বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট প্রবল ঘূর্ণিঝড় রিমালের প্রভাবে বাগেরহাটের বিভিন্ন নদ-নদীর পানি বিপৎসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এছাড়া জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হয়েছে সুন্দরবন পূর্ব বিভাগের কটকা, কচিখালী, দুবলা, শেলাসহ বনের বিভিন্ন এলাকা।
এদিকে সুন্দরবনের বিভিন্ন অংশের উপর দিয়ে চার ফুট উচ্চতায় পানি প্রবাহিত হচ্ছে এবং লবণ পানি ঢুকে সুন্দরবনে মিষ্টি পানির সব পুকুর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
আরও পড়ুন: ঘূর্ণিঝড় রিমাল: ঝুঁকিপূর্ণ বেড়িবাঁধ নিয়ে ঘুম ছুটেছে খুলনাবাসীর
তবে বন্যপ্রাণীদের অবস্থায় সম্পর্কে কোনো তথ্য জানাতে পারেনি বন বিভাগ।
বাগেরহাটের বিভিন্ন নদ-নদীতে স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে চার থেকে প্রায় পাঁচ ফুট পানি বেড়েছে। নদ-নদীতে বিপৎসীমার অনেক উপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে।
ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে বিভিন্ন এলাকার বেড়িবাঁধ।
সুন্দরবন পূর্ব বিভাগের করমজল বন্যপ্রাণী প্রজনন কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আজাদ কবির বলেন, জোয়ারের পানিতে সুন্দরবন প্লাবিত হয়েছে। বনের মধ্যে দিয়ে চার থেকে প্রায় পাঁচ ফুট উচ্চতায় পানি প্রবাহিত হচ্ছে।
সুন্দরবন পূর্ব বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) কাজী মুহাম্মদ নুরুল করিম বলেন, জোয়ারের পানিতে সুন্দরবনের বিভিন্ন অংশ প্লাবিত হয়েছে। লবণ পানি প্রবেশ করে সুন্দরবনের ৫০টি মিষ্টি পানির পুকুর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। দুবলা জেলে টহল ফাঁড়ির একটি জেটি পানির চাপে ভেসে গেছে। পানিতে বন বিভাগের বিভিন্ন অফিসের অবকাঠামোর ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। পানির কারণে বন্যপ্রাণীর কী ধরনের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে তা জানা যায়নি।
বাগেরহাট পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আবু রায়হান মোহাম্মদ আল-বিরুনী বলেন, বাগেরহাটের পশুর নদে বিপৎসীমার ১১৫ সেন্টিমিটার, বলেশ্বর নদে ১৪ সেন্টিমিটার এবং দড়াটানা নদে ১৫ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে। বিভিন্ন নদ-নদীতে জোয়ারে পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। জেলায় মোট ৩৩৮ কিলোমিটার বাঁধ রয়েছে। বাগেরহাট সদর, মোড়েলগঞ্জ এবং শরণখোলায় বর্তমানে ১৬ কিলোমিটার বাঁধ ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে। এর মধ্যে আট কিলোমিটার বাঁধ অধিক ঝুঁকিপূর্ণ।