এদিকে, বিকল্প কোনো পল্টুন না থাকায় ফেরিঘাটের পল্টুন দিয়েই ঝুঁকি নিয়ে যাত্রীরা লঞ্চ ও সি ট্রাকে যাতায়ত করছেন। এই ঘাটটি ছাড়াও ভোলা জেলার বিভিন্ন উপজেলায় বিআইডব্লিউটিএর আরও ৬টি ঘাট বিধ্বস্ত অবস্থায় পড়ে থাকলেও এখনো মেরামত কাজ শুরু হয়নি।
স্থানীয় ও যাত্রীরা জানান, মেঘনা নদীর জোয়ার এলেই কয়েক ফুট পানিতে ডুবে যায় আবার ভাটায় জেগে উঠে ভোলার ইলিশা লঞ্চঘাটের একমাত্র পল্টুন। গত ১ সপ্তাহ আগে মেঘনা নদীর অস্বাভাবিক জোয়ার ও ঝড়ো বাতাসে পানির ঢেউয়ের আঘাতে লঞ্চঘাটের পল্টুনটি কাত হয়ে বিধ্বস্ত হয়। ভেঙ্গে যায় লঞ্চে ওঠার সংযোগ সড়ক। যে কারণে ব্যবহারের অযোগ্য হয়ে পড়ে লঞ্চঘাটের রাস্তা ও পল্টুন। অথচ এই ঘাট দিয়ে প্রতিদিন কয়েক হাজার যাত্রী ঢাকা, লক্ষ্মীপুর, বরিশালসহ বিভিন্ন রুটে যাতায়ত কনরে।
ইলিশার লঞ্চঘাটের পল্টুন বিধ্বস্ত হওয়ার পরও মেরামত না করায় বাধ্য হয়ে পাশের ফেরিঘাটে পল্টুন দিয়ে যাত্রীদের লঞ্চে ও সি ট্রাকে তোলা হয়। ঘাটে যখন ফেরি থাকে তখন ঝুঁকি নিয়ে লঞ্চে উঠতে হয় বলে জানান যাত্রীরা।
ঘাট ইজারাদার হোসেন সরোয়ারদী মাষ্টার অভিযোগ করেন, তারা বহু টাকা দিয়ে এই ঘাট ইজারা নিলেও বার বার বিআইডব্লিউটিএ-কে চিঠিসহ বলার পরও তারা ইলিশা লঞ্চঘাট মেরামত করছেনা। এতে যাত্রীদের অনেক ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে।
বিআইডব্লিউটিএর সূত্র জানায়, শুধু ভোলার ইলিশা ঘাটই নয়, ভোলার দৌলতখান, মির্জাকালু, তজুমদ্দিন লঞ্চ ও সি-ট্রাক ঘাট, মনপুরার রামনেওয়াজ ও লালমোহনের দেবির চার লঞ্চঘাটের পল্টুনও অস্বাভাবিক জোয়ারের আঘাতে বিধ্বস্ত হয়েছে।
তবে বিআইডব্লিউটিএর ভোলা নদী বন্দরের সহকারী পরিচালক মো. কামরুজ্জামান জানান, কিছু দিন আগে অস্বাভাবিক জোয়ারে ভোলার ইলিশাসহ জেলার ক্ষতিগ্রস্ত ৭টি লঞ্চঘাটের পল্টুন, জেটি মেরামতের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে।
এছাড়াও ইলিশা লঞ্চঘাটসহ আরও ৫টি লঞ্চঘাট বিশ্ব ব্যাংকের সহায়তায় আধুনিকায়ন করা হবে বলে জানান তিনি।