পাঁচ ভাই-বোনের মধ্যে আহসান সবার বড়। পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি হওয়ার কথা ছিল তার। গর্ভধারিণী মায়ের মৃত্যুর পর তাদের দেখাশোনার জন্য তার পিতা আরেকটি বিয়ে করেন। কিছুদিন পর পিতাও চলে যান তাদের এতিম করে।
‘মরার ওপর খাঁড়ার ঘা’ এর মতো ৫ বছর বয়সেই আহসান আক্রান্ত হয় ফাইলেরিয়া (গোধ) রোগে। পরিবারের বড় ছেলে যখন মৃত্যু পথযাত্রী, তখন ছোট ভাই-বোনকে নিয়ে অসহায়ভাবে দিন পার করছেন সৎ মা। পাড়া প্রতিবেশীর সামান্য সহযোগীতায় পরিবারটি বেঁচে আছে। হতদরিদ্র পরিবার হওয়ায় অভাব-অনটনেই কাটছে তাদের সংসার।
আহসানের বাড়ি কুমিল্লা জেলার লাকসাম উপজেলায়। ফাইলেরিয়া রোগে আক্রান্ত হওয়ায় এক স্থান থেকে অন্য স্থানে নড়তেও পারেন না ঠিকভাবে। পায়খানা-প্রস্রাবসহ প্রতিটা কাজে তাকে সহযোগিতা করেন তার সৎ মা ও ছোট বোন।
কুমিল্লা জেলার লাকসাম উপজেলার আজগরা ইউনিয়নের কৃঞ্চপুর গ্রামের মৃত সফিকুর রহমান মজুমদারের বড় ছেলে আহসান। পরিবারের বড় ছেলে হওয়ায় তাই আক্ষেপটা যেন আরও একটু বেশি। অভাবের কারণে চিকিৎসা বন্ধ রয়েছে তার। এতে দিন দিন অবস্থার অবনতি হচ্ছে।
একই বাড়ির ফয়েজ আহমেদ মজুমদার ও মহিন উদ্দিন জানান, আহসান ছোটকাল থেকেই এই দুরারোগ্য ব্যাধিতে আক্রান্ত হয়েছে। এতিম আহসানকে গ্রামবাসী কিছু সাহায্য সহযোগিতা করে কিছুদিন চিকিৎসা খরচ চালিয়েছিল।
এই রোগটি দিনদিন বেড়ে যাওয়ায় এখন উন্নত চিকিৎসার প্রয়োজন। হতদরিদ্র পরিবার হওয়ায় তার ব্যয়ভার বহন করতে পরিবারটি অক্ষম। গ্রামবাসী ঢাকা ফাইলেরিয়া অ্যান্ড জেনারেল হাসপাতালে আহসানকে নিয়ে গেলে প্রফেসর ডা. মোয়াজ্জেম হোসেন তাকে দ্রুত ভারত নেয়ার পরামর্শ দেন। তিনি জানান ,ভারতে এই রোগের চিকিৎসার জন্য ৩ লাখ টাকা প্রয়োজন।
এই অবস্থায় আহসানের চিকিৎসায় সমাজের বিত্তবানরা এগিয়ে আসবেন এই আশায় তাকিয়ে আছেন তার পরিবার। আহসানের ফোন নাম্বার ০১৭৪১-৮৪৩০৮৯।