পরিবেশ-ও-কৃষি
সমুদ্রবন্দরের সংকেত নামলেও সারা দেশে বৃষ্টির পূর্বাভাস
লঘুচাপের কারণে গত কয়েকদিন ধরে দেশের সমুদ্রবন্দরগুলোতে থাকা তিন নম্বর সতর্ক সংকেত নামিয়ে ফেলতে বলা হয়েছে। তবে মৌসুমী বায়ুর প্রভাবে সারা দেশে হালকা থেকে মাঝারি আবার কোথাও কোথাও ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনার কথা জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস।
বৃহস্পতিবার (৩ জুলাই) আবহাওয়ার নিয়মিত বিজ্ঞপ্তিতে একথা জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ভারতের ছত্তিশগড় ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত লঘুচাপটি দুর্বল হয়ে মৌসুমী বায়ুর অক্ষের সঙ্গে মিলিত হয়েছে। মৌসুমী বায়ুর অক্ষের বর্ধিতাংশ রাজস্থান, মধ্যপ্রদেশ, উত্তরপ্রদেশ, বিহার, গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চল হয়ে ভারতের আসাম পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। এর একটি বর্ধিতাংশ উত্তর বঙ্গোপসাগর পর্যন্তও বিস্তৃত।
বৃহস্পতিবার (৩ জুলাই) সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, মৌসুমী বায়ু বাংলাদেশের ওপর মোটামুটি সক্রিয় এবং উত্তর বঙ্গোপসাগরে মাঝারী অবস্থায় রয়েছে। এর প্রভাবে খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের অধিকাংশ জায়গায় এবং রংপুর, রাজশাহী, ঢাকা, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী থেকে ভারী বর্ষণ হতে পারে।
এই সময়ে সারা দেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা সামান্য কমতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। এ ছাড়া বৃষ্টিপাতের এই প্রবণতা আগামী কয়েকদিন অব্যাহত থাকবে বলে পূর্বাভাসে বলা হয়েছে।
এদিকে, সমুদ্র বন্দরসমূহ, উত্তর বঙ্গোপসাগর ও বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকায় ঝড়ো হাওয়া বয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা নেই জানিয়ে সামুদ্রিক সতর্কবার্তায় বলা হয়েছে, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে সংকেত নামিয়ে ফেলতে বলা হয়েছে।
নদীবন্দরে ১ নম্বর সংকেত
সমুদ্রবন্দরগুলো থেকে সংকেত নামিয়ে ফেলতে বলা হলেও দেশের অভ্যন্তরীণ নদীবন্দরগুলোতে ১ নম্বর সতর্ক সংকেত বহাল রাখা হয়েছে।
এ বিষয়ে আজ সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, খুলনা, বরিশাল, পটুয়াখালী, নোয়াখালী, চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার অঞ্চলেরন ওপর দিয়ে পূর্ব অথবা দক্ষিণ-পূর্ব দিক থেকে ঘণ্টায় ৪৫ থেকে ৬০ কিলোমিটার বেগে অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।
এসব এলাকার নদীবন্দরকে ১ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
১৭৯ দিন আগে
ঢাকার বাতাস আজও ‘মাঝারি’
বৃষ্টির মৌসুম শুরু হতেই ঢাকার বায়ুমানে উন্নতি লক্ষ করা যাচ্ছে। আজও তার ব্যতিক্রম হয়নি। গত কয়েকদিনের মতো আজও ঢাকার বাতাস যেকোনো প্রকার অস্বাস্থ্যকর শ্রেণি থেকে বেশ দূরে রয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৩ জুলাই) সকাল দশটার দিকে ঢাকার বাতাসের একিউআই স্কোর ছিল ৭৯, একিউআই সূচকে যা ‘মাঝারি’ হিসেবে শ্রেণিবদ্ধ।
সাধারণত বায়ুদূষণের সূচক (এইকিআই) শূন্য থেকে ৫০-এর মধ্যে থাকলে তা ‘ভালো’ শ্রেণিবদ্ধ করা হয়। তারপর থেকে ১০০ পর্যন্ত একিউআই স্কোর ‘মাঝারি’।
এই সময়ে ভারতের রাজধানী দিল্লির বায়ুমানও ‘মাঝারি’ শ্রেণিতে ছিল, তবে তা ঢাকার চেয়ে কিছুটা খারাপ ছিল। দিল্লির বাতাসের সূচক ছিল তখন ৯০ এবং দূষণে শীর্ষ শহরগুলোর তালিকায় অবস্থান ছিল ১৭তম।
তবে অবশেষে আজ দূষিত বাতাসের শহরগুলোর তালিকার শীর্ষ পাঁচ থেকে বের হতে সক্ষম হয়েছে পাকিস্তানের লাহোর। একই সময়ে ১২৪ স্কোর নিয়ে তালিকার অষ্টম স্থানে অবস্থান করছিল শহরটি। বেশ কিছুদিন পর আজ সকালে লাহোরের বায়ুমানে এত উন্নতি হয়েছে। সাধারণত ১৫০-এর নিচে নামে না লাহোরের একিউআই স্কোর।
আজ সবচেয়ে দূষিত শহর ছিল চিলির সান্তিয়াগো। শহরটির সূচক ছিল ১৬২। ১৬০, ১৫৬ ও ১৫৪ স্কোর নিয়ে তার পরের তিন শহর ছিল উগান্ডার কাম্পালা, বাহরাইনের মানামা ও কঙ্গোর কিনশাসা। শীর্ষ চার শহরের বায়ুমানই ছিল ‘অস্বাস্থ্যকর’। পঞ্চম স্থানে থাকা মিসরের কায়রোর বাতাসের স্কোর ছিল এই সময় ১৩২, অর্থাৎ ‘সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর’।
কণা দূষণের এই সূচক ১০১ থেকে ১৫০ হলে ‘সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর’ বলে গণ্য করা হয়। এই পর্যায়ে সংবেদনশীল ব্যক্তিদের দীর্ঘ সময় বাইরে পরিশ্রম না করার পরামর্শ দেওয়া হয়। আর ১৫১ থেকে ২০০ হলে ‘অস্বাস্থ্যকর’, ২০১ থেকে ৩০০ হলে ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ এবং ৩০১-এর বেশি হলে তা ‘বিপজ্জনক’ হিসেবে বিবেচিত হয়। জনস্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক ঝুঁকি সৃষ্টি করে ৩০০-এর বেশি যেকোনো সূচক।
বাংলাদেশে একিউআই সূচক নির্ধারিত হয় পাঁচ ধরনের দূষণের ভিত্তিতে— বস্তুকণা (পিএম১০ ও পিএম২.৫), নাইট্রোজেন ডাই-অক্সাইড (এনও₂), কার্বন মনো-অক্সাইড (সিও), সালফার ডাই-অক্সাইড (এসও₂) ও ওজোন।
ঢাকা দীর্ঘদিন ধরেই বায়ুদূষণজনিত সমস্যায় ভুগছে। শীতকালে এখানকার বায়ুমান সাধারণত সবচেয়ে খারাপ থাকে, আর বর্ষাকালে তুলনামূলকভাবে উন্নত হয়।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) জানিয়েছে, বায়ুদূষণের কারণে প্রতিবছর বিশ্বে আনুমানিক ৭০ লাখ মানুষের মৃত্যু হয়। এসব মৃত্যুর প্রধান কারণ হলো স্ট্রোক, হৃদরোগ, দীর্ঘস্থায়ী শ্বাসকষ্ট (সিওপিডি), ফুসফুসের ক্যান্সার এবং শ্বাসযন্ত্রের তীব্র সংক্রমণ।
১৭৯ দিন আগে
ঢাকায় জলবায়ু ও দুর্যোগ ঝুঁকি প্রশমন কেন্দ্রের উদ্বোধন
জলবায়ু পরিবর্তন ও দুর্যোগের ব্যাপকতা ও প্রভাবের কারণে বিশ্বজুড়ে পরিবেশগত সংকট মোকাবিলায় ‘নগর জলবায়ু ও দুর্যোগ ঝুঁকি প্রশমন কেন্দ্র’ উদ্বোধন করা হয়েছে।বুধবার (২ জুলাই) রাজধানীর একটি হোটেলে অক্সফ্যাম ইন বাংলাদেশ ও অস্ট্রেলিয়ার কার্টিন বিশ্ববিদ্যালয়ের যৌথ উদ্যোগে এই কেন্দ্রটির উদ্বোধন করা হয়।
উদ্বোধিত কেন্দ্রটি স্থাপনের লক্ষ্য হলো গবেষণা, উদ্ভাবন, সহযোগিতা এবং প্রচারের মাধ্যমে জলবায়ু কার্যক্রম ও দুর্যোগ প্রতিক্রিয়া নিয়ে শহুরে স্থিতিস্থাপকতা বৃদ্ধি করা।
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, বর্তমানে বিশ্বের ৫৮ শতাংশ জনসংখ্যা শহুরে এলাকার বসবাস করছে—যার হার ২০৫০ সালের মধ্যে ৭০ শতাংশে পৌঁছাবে। বিশ্বের শহরগুলো ৭৫ শতাংশ বৈশ্বিক শক্তি ব্যবহার করে এবং ৭০ শতাংশেরও বেশি কার্বন নির্গমন করে। একইসঙ্গে তাপপ্রবাহ, বায়ু দূষণ, বন্যার মতো ঝুঁকির মুখে শহর। ২০২৪ ছিল রেকর্ড গরমের বছর, এটি ঢাকার মতো শহরের পরিবেশ ও বসবাসযোগ্যতাকে চ্যালেঞ্জ করেছে।
অনুষ্ঠানে অক্সফ্যাম ইন বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর অশীষ দামলে বলেছেন, ‘ঢাকার মতো শহরগুলো একাধিক সংকটের শিকার যার মধ্যে রয়েছে উচ্চ তাপ, বায়ু দূষণের মতো বিষয়। এই চ্যালেঞ্জগুলো সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ সম্প্রদায়গুলোকে আরও গভীর ঝুঁকির মধ্যে ঠেলে দিচ্ছে।’
উদ্বোধন করা কেন্দ্রটি শহুরে জলবায়ু ও দুর্যোগের চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবিলার জন্য আধুনিক গবেষণা, অন্তর্ভুক্তিমূলক নীতি তৈরি ও প্রচার, সক্ষমতা বৃদ্ধি এবং সম্প্রদায়-নেতৃত্বাধীন উদ্ভাবনের মাধ্যমে কাজ করবে।
বর্তমানে এটি ছয়টি মূল থিমে মনোনিবেশ করছে: শহুরে তাপ ও দূষণ, শক্তি পরিবর্তন, সবুজ অবকাঠামো, ভূ-স্থানীয় বিজ্ঞান, জলবায়ু ন্যায় এবং জরুরি প্রতিক্রিয়া ব্যবস্থা।
অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে কার্টিন বিশ্ববিদ্যালয়ের পৃথিবী ও গ্রহ বিজ্ঞান বিভাগের প্রধান অধ্যাপক মার্টিন ভ্যান ক্রানেনডঙ্ক বলেন, শহুরে উন্নয়ন আমাদের গ্রহকে নতুনভাবে গঠন করছে এবং এর সঙ্গে আমাদের ঝুঁকিগুলোও। শহুরে এলাকাগুলো জলবায়ু পরিবর্তনের সবচেয়ে বড় প্রভাবের সম্মুখীন। কিন্তু একইসঙ্গে পরিবর্তনের জন্য প্রয়োজনীয় উপকরণও ধারণ করে।
কেন্দ্রটি বিজ্ঞান ও সম্প্রদায়কে সংযুক্ত করে স্থানীয় ও বৈশ্বিকভাবে প্রয়োগিক সমাধান তৈরি করবে বলে জানান তিনি।
ঢাকায় সুইডেনের দূতাবাসের প্রথম সচিব ও উন্নয়ন সহযোগিতার উপ-প্রধান নায়োকা মার্টিনেজ-ব্যাকস্ট্রম বলেন, ‘আজকের শহুরে উন্নয়ন জলবায়ু স্থিতিস্থাপকতাকে উপেক্ষা করতে পারে না। উদ্বোধন হওয়া কেন্দ্রটি শহুরে জনগণের জন্য সমন্বিত পরিকল্পনা গঠনে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।’
সম্মেলনে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের প্রশাসক শাহজাহান মিয়া সহযোগিতামূলক কার্যক্রমের প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরে বলেন, ‘বন্যা থেকে তাপ চাপ, ঢাকা জলবায়ু ঝুঁকির একটি বিস্তৃত পরিসরের সম্মুখীন।
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজ বলেন, ‘শহুরে ব্যবস্থাপনায়, সেরা সমাধানগুলো প্রায়ই কমিউনিটি থেকে আসে। আজকের শহুরে চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবিলার জন্য আমাদের অভিযোজিত কৌশল, সমন্বিত নেতৃত্ব এবং সম্প্রদায়-নেতৃত্বাধীন পরিকল্পনা প্রয়োজন ।’
বাংলাদেশ সরকারও এই উদ্যোগের প্রতি তার প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেছেন।
অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব রেজাউল মাকসুদ জাহেদী বলেন, ‘শহুরে জলবায়ু স্থিতিস্থাপকতা আর বিকল্প নয়, এটি এখন অপরিহার্য। সহযোগিতামূলক পদ্ধতি দুর্যোগ প্রস্তুতি ও মোকাবেলায় সহযোগিতা করে।
অক্সফ্যাম ইন বাংলাদেশের জলবায়ু ন্যায় ও প্রাকৃতিক সম্পদের অধিকার বিভাগের প্রধান ড. মোহাম্মদ এমরান হাসান এবং কার্টিন বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. আশরাফ দেওয়ান কেন্দ্রের প্রেক্ষাপট এবং রোডম্যাপের উপর বিস্তারিত উপস্থাপন করেন।
সেশনটি সঞ্চালনা করেন অক্সফাম ইন বাংলাদেশের ইনফ্লুয়েন্সিং, কমিউনিকেশনস, অ্যাডভোকেসি অ্যান্ড মিডিয়া বিভাগের প্রধান মো. শরিফুল ইসলাম।
অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় অংশে দুটি গবেষণা উপস্থাপনা এবং একটি প্যানেল আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়। চীনা বিজ্ঞান একাডেমির ড. ফেই ইয়াং অস্থায়ী বসবাসে শহুরে তাপ চাপের উপর গুরুত্বপূর্ণ ফলাফল উপস্থাপন করেন। এরপর পোর্টসমাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ড. মো হক তথ্য ও প্রযুক্তির ভূমিকা তুলে ধরেন।
ইউএনডিপি বাংলাদেশের মো. সারদার এম আসাদুজ্জামান পরিচালিত আলোচনায় বিশেষজ্ঞরা অংশ নেন। তারা হলেন— হেসিন জাহান (ওয়াটারএইড বাংলাদেশ), টোমাস ওয়ারলুন্ড রাইলেনিয়াস (সুইডেনের দূতাবাস), ড. মো. গোলাম রাব্বানি (ক্লাইমেট ব্রিজ ফান্ড, ব্র্যাক), এবং মো. মোহাম্মদ বারাদ হোসেন চৌধুরী (শিক্ষা মন্ত্রণালয়) অংশগ্রহণ করেন।
আলোচনায় অন্তর্ভুক্তিমূলক পরিকল্পনা, জলবায়ু-স্মার্ট অবকাঠামো এবং আন্তঃখাত সহযোগিতার প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরা হয়।অক্সফাম ইন বাংলাদেশের প্রোগ্রাম পরিচালক মাহমুদা সুলতানা অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘোষণা করেন এবং ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন।
১৭৯ দিন আগে
লঘুচাপটি দুর্বল হলেও সারা দেশে মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস
সৃষ্ট লঘুচাপটি উত্তর বঙ্গোপসাগরে এই বায়ু মাঝারি থেকে প্রবল অবস্থায় রয়েছে। এর প্রভাবে আজ সারা দেশে মাঝারি থেকে ভারী বর্ষণের পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
বুধবার (২ জুলাই) আবহাওয়া নিয়মিত বুলেটিনে বলা হয়েছে, লঘুচাপটি দুর্বল হয়ে বর্তমানে ভারতের ঝাড়খন্ড ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে। এটি এখন মৌসুমি বায়ুর অক্ষের সঙ্গে মিলিত হয়েছে। এর ফলে মৌসুমি বায়ুর অক্ষের বর্ধিতাংশ ভারতের রাজস্থান, মধ্যপ্রদেশ, উত্তরপ্রদেশ, বিহার, গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চল হয়ে ভারতের আসাম পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে।
মৌসুমি বায়ুর বর্ধিতাংশ উত্তর বঙ্গোপসাগর পর্যন্তও বিস্তৃত রয়েছে এবং তা বাংলাদেশের ওপর মোটামুটি সক্রিয়। পাশাপাশি উত্তর বঙ্গোপসাগরে এই বায়ু মাঝারি থেকে প্রবল অবস্থায় রয়েছে।
এর প্রভাবে বৃহস্পতিবার সকাল ৯টা পর্যন্ত খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের অনেক জায়গায় এবং রাজশাহী, রংপুর, ঢাকা, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি অথবার বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সাথে খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের কোথাও কোথাও মাঝারী ধরনের ভারী থেকে ভারী বর্ষণ হতে পারে।
বৃষ্টিপাতে এই প্রবণতা আগামী কয়েকদিন অব্যাহত থাকতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস। সেইসঙ্গে সারা দেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
১৮০ দিন আগে
ঢাকায় হালকা বৃষ্টি ও ৬ জেলায় ঝড়ের পূর্বাভাস
গত দুদিন ধরে ঢাকায় বৃষ্টি তেমন না হলেও বাতাসের চাপের আধিক্য ছিল বেশ। আজও সেই চাপ অব্যাহত রয়েছে। সেই সঙ্গে সকাল থেকেই চলছে মেঘ-রোদের খেলা। তবে দুপুরের মধ্যে হালকা বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অফিস।
মঙ্গলবার (১ জুলাই) দুপুর ১টা পর্যন্ত আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, ঢাকা ও আশপাশের অঞ্চলের আকাশ এই সময়ে আংশিক থেকে সাময়িকভাবে মেঘলা থাকতে পারে।
সেই সঙ্গে দক্ষিণ অথবা পূর্ব-দক্ষিণ দিক থেকে ঘণ্টায় ১০ থেকে ১৫ কিলোমিটার বেগে বাতাস প্রবাহিত হতে পারে। সেই সঙ্গে ঝরতে পারে হালকা বৃষ্টি।
গতকাল ঢাকায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৩৩.১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ঢাকায় দিনের তাপমাত্রা আজ অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
নদীবন্দরে ১ নম্বর সংকেত
এদিকে, আজ সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত দেশের অভ্যন্তরীণ নদীবন্দরগুলোর জন্য আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, খুলনা, বরিশাল, পটুয়াখালী, নোয়াখালী, চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার অঞ্চলের ওপর দিয়ে পূর্ব অথবা দক্ষিণ-পূর্ব দিক থেকে ঘণ্টায় ৪৫ থেকে ৬০ কিলোমিটার বেগে বৃষ্টি অথবা বজ্রবৃষ্টিসহ অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে।
এসব এলাকার নদীবন্দরকে ১ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
আরও পড়ুন: সাত জেলায় ঝড়বৃষ্টির পূর্বাভাস, সমুদ্রবন্দরে ৩ নম্বর সংকেত অব্যাহত
১৮১ দিন আগে
বায়ুদূষণে পর্যদুস্ত মধ্যপ্রাচ্যের দুই শহর, ঢাকারও অবনতি
বেশ কিছুদিন ধরে আইকিউএয়ারের দূষিত বাতাসের শহরগুলোর তালিকার শীর্ষস্থানে পরিচিত শহর ঢাকা, দিল্লিকে দেখা যাচ্ছে না। পরিবর্তে প্রতিদিনই আফ্রিকা বা এশিয়ার অন্য কোনো শহর স্থানগুলো দখল করছে। তবে আজ ফের কিছুটা ব্যতিক্রম দেখা গেছে এই তালিকায়, দুটি শীর্ষস্থান দখল করে নিয়েছে মধ্যপ্রাচ্যের দুই শহর।
মঙ্গলবার (১ জুলাই) সকাল সোয়া ৯টায় বিশ্বের সবচেয়ে দূষিত বায়ুর শহর ছিল ইরাকের বাগদাদ। তারপরই জায়গা করে নেয় কুয়েত সিটি। কিন্তু শহরদুটির দূষণের মাত্রা দেখলে চোখ কপালে ওঠার মতো।
সাধারণত বায়ুদূষণের সূচক (এইকিআই) ১৫১ থেকে ২০০ হলে ‘অস্বাস্থ্যকর’, ২০১ থেকে ৩০০ হলে ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ এবং ৩০১-এর বেশি হলে তা ‘বিপজ্জনক’ হিসেবে বিবেচিত হয়। জনস্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক ঝুঁকি সৃষ্টি করে ৩০০-র বেশি যেকোনো সূচক।
অথচ বাগদাদের একিউআই সূচক ছিল দ্বিগুণেরও বেশি। ওই সময়ে ৭৫৮ একিউআই স্কোর নিয়ে তালিকার শীর্ষে ছিল শহরটি। দ্বিতীয় স্থানে থাকা কুয়েত সিটির অবস্থাও নাজুক, এই শহরের দূষণের সূচক ছিল ৫৭৭।
এর আগে, এ বছরের ১৫ মে একই ধরনের বিপর্যয় দেখা গিয়েছিল বাগদাদে। সেদিন সকালে শহরটির দূষণের মাত্রা ছিল আজকের চেয়েও বেশি, ১০৯২।
অন্যান্য শহরগুলোর অবস্থা
এই সময় মধ্যপ্রাচ্যের এই দুটি শহর ছাড়া বিশ্বের অন্য শহরগুলোর পরিস্থিতি স্বাভাবিকই ছিল। এর মধ্যে তালিকার তৃতীয় দূষিত শহর কঙ্গোর কিনশাসার একিউআই সূচক ছিল ১৭৮ এবং চারে থাকা চিলির সান্তিয়াগোর সূচক ছিল ১৫৫।
আরও পড়ুন: দূষণের পরিমাণ বাড়লেও ঢাকার বায়ুমান আজও ‘মাঝারি’
তবে একটি বিষয় গত কয়েকদিন ধরে লক্ষ করা যাচ্ছে। তা হলো, কমবেশি বৃষ্টির কারণে বেশ কিছুদিন বায়ুদূষণে শীর্ষ শহরগুলোর তালিকায় ঢাকাকে তো দেখা যাচ্ছেই না, এমনকি ভারতের দিল্লিকেও মাঝেমধ্যে তালিকার বেশ নিচে অবস্থান করতে দেখা যায়। কিন্তু প্রতিদিনই শীর্ষ পাঁচ দূষিত শহরের মধ্যে জায়গা করে নেয় পাকিস্তানের লাহোর। আজও তার ব্যতিক্রম হয়নি।
১৫৫ একিউআই স্কোর নিয়ে এই সময় লাহোরের অবস্থান ছিল পঞ্চম স্থানে।
ঢাকা, দিল্লির অবস্থা কী
গত তিন দিন থেকে একটু একটু করে অবনতি লক্ষ করা যাচ্ছে ঢাকার বায়ুমানে। আজও তার ব্যতিক্রম হয়নি। আজ সকালে ঢাকার একিউআই স্কোর ছিল ৯০, যা ‘মাঝারি’ হিসেবে শ্রেণিভুক্ত। গতকাল সকালে এই স্কোর ছিল ৭৭, তার আগের দিন (রবিবার) তা ছিল ৭৯। এ ছাড়া শনিবার সকালে ঢাকার বাতাসে দূষণের সূচক ছিল ৫৯।
অন্যদিকে, গত কয়েকদিন তালিকার শীর্ষস্থানে না থাকলেও দশ থেকে ২০তম স্থানের মধ্যে দেখা যায় দিল্লিকে। আজ সামান্য অবনতি হয়েছে শহরটির বাতাসের, তবে ঢাকার চেয়ে আজ দিল্লির বায়ুমান কিছুটা ভালো। ৮৬ একিউআই স্কোর নিয়ে ঢাকার ঠিক পরেই, অর্থাৎ দ্বাদশ স্থানে ছিল শহরটি।
কণা দূষণের এই সূচক শূন্য থেকে ৫০-এর মধ্যে থাকলে তা ‘ভালো’ শ্রেণিবদ্ধ করা হয়। তারপর থেকে ১০০ পর্যন্ত একিউআই স্কোর ‘মাঝারি’। একিউআই স্কোর ১০১ থেকে ১৫০ হলে ‘সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর’ বলে গণ্য করা হয়। এই পর্যায়ে সংবেদনশীল ব্যক্তিদের দীর্ঘ সময় বাইরে পরিশ্রম না করার পরামর্শ দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন: ঢাকার বাতাসে আবারও উন্নতি
বাংলাদেশে একিউআই সূচক নির্ধারিত হয় পাঁচ ধরনের দূষণের ভিত্তিতে— বস্তুকণা (পিএম১০ ও পিএম২.৫), নাইট্রোজেন ডাই-অক্সাইড (এনও₂), কার্বন মনো-অক্সাইড (সিও), সালফার ডাই-অক্সাইড (এসও₂) ও ওজোন।
ঢাকা দীর্ঘদিন ধরেই বায়ুদূষণজনিত সমস্যায় ভুগছে। শীতকালে এখানকার বায়ুমান সাধারণত সবচেয়ে খারাপ থাকে, আর বর্ষাকালে তুলনামূলকভাবে উন্নত হয়।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) জানিয়েছে, বায়ুদূষণের কারণে প্রতিবছর বিশ্বে আনুমানিক ৭০ লাখ মানুষের মৃত্যু হয়। এসব মৃত্যুর প্রধান কারণ হলো স্ট্রোক, হৃদরোগ, দীর্ঘস্থায়ী শ্বাসকষ্ট (সিওপিডি), ফুসফুসের ক্যান্সার এবং শ্বাসযন্ত্রের তীব্র সংক্রমণ।
১৮১ দিন আগে
বাবুই পাখির ছানা হত্যা-বাসা ধ্বংসের ঘটনায় মূল আসামি গ্রেপ্তার হয়েছেন: পরিবেশ মন্ত্রণালয়
ঝালকাঠি জেলার সদর উপজেলার ৯ নম্বর সেখেরহাট ইউনিয়নের গুয়াটন গ্রামে বাবুই পাখির ছানা হত্যা, বাসা ও ডিম ধ্বংসের ঘটনায় জড়িত মূল আসামি মোবারক আলী ফকির (৭০) গ্রেপ্তার হয়েছেন বলে জানিয়ে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়।
বন বিভাগের মামলা দায়েরের পরে পুলিশ অভিযান চালিয়ে তাকে নিজ বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করেছে বলেও জানানো হয়।
সোমবার (৩০ জুন) মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা দীপংকর বরের সই করা সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে অনুযায়ী, এ ঘটনায় বন্যপ্রাণী (সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা) আইন, ২০১২ অনুযায়ী বন বিভাগ কর্তৃক তিনজনের বিরুদ্ধে চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত, ঝালকাঠিতে মামলা দায়ের করা হয়েছে। পাশাপাশি স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের এক সদস্য সংশ্লিষ্ট থানায় আরেকটি মামলা দায়ের করেছেন।
আরও পড়ুন: ইলিশের দাম অস্বাভাবিকভাবে না বাড়াতে মৎস্য উপদেষ্টার নির্দেশ
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, গত ২৭ জুন সরকারি রাস্তার পাশে সরকারি ভূমিতে অবস্থিত একটি তালগাছ বাবুই পাখির বহু বাসাসহ কেটে ফেলা হয়। স্থানীয় সচেতন নাগরিকরা গাছে বাবুই পাখির বাসা, ডিম ও বাচ্চা থাকার কথা জানিয়ে গাছটি না কাটার অনুরোধ জানালেও দুষ্কৃতিকারীরা তা উপেক্ষা করে গাছটি কেটে ফেলে। ফলে গাছটি পড়ে গিয়ে সেখানে থাকা ৪৭টি বাসা, ৯৬টি ছানা ও ২৪টি ডিম সম্পূর্ণ ধ্বংস হয়ে যায়।
ঘটনার পরপরই বন বিভাগ ও স্থানীয় প্রশাসনের তৎপরতায় মূল অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়েছে এবং অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে জানানো হয়। একইসঙ্গে বন বিভাগ ঘটনাস্থলে নতুন তালগাছের চারা রোপণ করেছে এবং স্থানীয় পর্যায়ে বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ ও সচেতনতা বৃদ্ধিতে কার্যক্রম শুরু করেছে।
ভবিষ্যতে এ ধরণের বন্যপ্রাণী হত্যা ও তাদের আবাসস্থল ধ্বংসকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানিয়েছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. ফারহিনা আহমেদ।
১৮১ দিন আগে
বায়ুদূষণ রোধে স্বল্প, মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদি উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে: পরিবেশ উপদেষ্টা
দেশের বায়ুদূষণ রোধে স্বল্প, মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদি উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে বলে জানিয়েছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান।
সোমবার (৩০ জুন) সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে চীনের একদল বায়ুদূষণ বিশেষজ্ঞের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের উদ্দেশে তিনি এসব কথা বলেন।
উপদেষ্টা জানান, শীত আসার আগেই রাজধানীর সব কাঁচা ও ক্ষতিগ্রস্ত রাস্তার সংস্কারকাজ সম্পন্ন করার লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে। ধুলা দূষণ কমাতে রাস্তায় মাটি ঢেকে দেওয়া ও পানি ছিটানোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ ছাড়া ‘জিরো সয়েল’ নীতি কার্যকর, মাটি শক্তকরণ ও পানি ছিটানোর গাড়ি ব্যবহারের পরিকল্পনাও রয়েছে বলে উল্লেখ করেন তিনি।
তিনি বলেন, ‘শহুরে বায়ুদূষণের অন্যতম কারণ পুরনো ও উচ্চমাত্রার ধোঁয়া নির্গমনকারী যানবাহন। এ বিষয়ে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ) পুরনো যানবাহন অপসারণ ও নতুন ২৫০টি পরিবেশবান্ধব যানবাহন যুক্ত করার উদ্যোগ নিয়েছে। এ ছাড়া, নির্গমন মান বজায় রাখতে ১০টি স্বয়ংক্রিয় যানবাহন পরিদর্শন কেন্দ্র স্থাপন করবে বিআরটিএ।’
দীর্ঘমেয়াদি সমাধানের লক্ষ্যে চীনা বিশেষজ্ঞদের পরামর্শে একটি ওয়ার্কিং গ্রুপ গঠনের পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে বলেও জানান রিজওয়ানা হাসান।
তিনি বলেন, ‘সঠিক তথ্য ও বিশ্লেষণ ছাড়া কার্যকর নীতিমালা তৈরি সম্ভব নয়। এজন্য একটি উন্নত বায়ু নির্গমন পর্যবেক্ষণ ব্যবস্থা স্থাপন, বৈশ্বিক মান অনুসারে নির্গমন মান উন্নয়ন, স্যানিটারি ল্যান্ডফিল ও বর্জ্য ইনসিনারেশন প্ল্যান্ট চালু ও রান্নার জন্য এলপিজি ব্যবহারে উৎসাহ দেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। তাছাড়া, পরিবেশবান্ধব প্রযুক্তি ও ব্যবস্থাপনা গ্রহণে কর প্রণোদনাও বিবেচনায় রয়েছে।’
উপদেষ্টা জানান, বাংলাদেশ ক্লিন এয়ার প্রকল্পের আওতায় উচ্চ দূষণ সৃষ্টিকারী শিল্প প্রতিষ্ঠানে অব্যাহত নির্গমন পর্যবেক্ষণ ব্যবস্থা চালু করবে পরিবেশ অধিদপ্তর এবং দেশজুড়ে প্রশিক্ষণ ও সচেতনতা কার্যক্রম পরিচালনা করবে।
এদিকে, ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) শহরে সড়কে বেড়া বসানো ও ৫০টি বৈদ্যুতিক যানবাহন চালুর মাধ্যমে পরিবেশবান্ধব পরিবহনব্যবস্থা চালু করতে যাচ্ছে।
জাইকা সহায়তাপ্রাপ্ত একটি প্রকল্পের মাধ্যমে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে আটটি বাস্তবভিত্তিক বায়ু গুণমান পর্যবেক্ষণ কেন্দ্র স্থাপন করা হবে, যা প্রমাণভিত্তিক নীতিনির্ধারণে সহায়ক হবে বলে জানান তিনি। পাশাপাশি বিইএসটি প্রকল্পও বাস্তবায়িত হবে।
আরও পড়ুন: সাত জেলায় ঝড়বৃষ্টির পূর্বাভাস, সমুদ্রবন্দরে ৩ নম্বর সংকেত অব্যাহত
এ সময় চীনা বিশেষজ্ঞদের সহযোগিতা বাংলাদেশের বায়ুদূষণ নিয়ন্ত্রণ সক্ষমতাকে আরও শক্তিশালী করবে বলে আশা প্রকাশ করেন উপদেষ্টা। তিনি বলেন, ‘সরকারের উদ্দেশ্য সুস্পষ্ট—পরিচ্ছন্ন ও স্বাস্থ্যকর পরিবেশ নিশ্চিত করা।’
বৈঠকে আরও উপস্থিত ছিলেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. ফারহিনা আহমেদ, অতিরিক্ত সচিব ড. ফাহমিদা খানম, অতিরিক্ত সচিব মো: খায়রুল ইসলাম, নানজিং বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ অনুষদের নির্বাহী ডিন অধ্যাপক ইউ ঝাও, একই বিশ্ববিদ্যালয়ের নানজিং-হেলসিঙ্কি ইনস্টিটিউটের উপ-ডিন অধ্যাপক হাইকুন ওয়াং এবং বায়ুমণ্ডলীয় বিজ্ঞান অনুষদের সহযোগী অধ্যাপক টেংইউ লিউ, পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিচালক (বায়ুদূষণ) মো. জিয়াউল হক প্রমুখ।
বৈঠকে জাতীয় নির্গমন ইনভেন্টরি ও রাসায়নিক বিশ্লেষণের প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরা হয়, যা দেশের বায়ুদূষণের উৎস চিহ্নিত করে বিজ্ঞানভিত্তিক টার্গেটেড হস্তক্ষেপের ভিত্তি তৈরি করবে।
১৮১ দিন আগে
সাত জেলায় ঝড়বৃষ্টির পূর্বাভাস, সমুদ্রবন্দরে ৩ নম্বর সংকেত অব্যাহত
উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর এবং সংলগ্ন পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকায় অবস্থানরত লঘুচাপটি একই এলাকায় অবস্থান করছে। এর প্রভাবে দেশের সমুদ্রবন্দরগুলোকে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখাতে বলেছে আবহাওয়া অফিস।
সোমবার (৩০ জুন) আবহাওয়াবিদ ওমর ফারুকের সই করা আবহাওয়ার সামুদ্রিক সতর্কবার্তায় এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বার্তায় বলা হয়েছে, লঘুচাপের প্রভাবে উত্তর বঙ্গোপসাগরে বায়ুচাপের তারতম্যের আধিক্য বিরাজ করছে। এর ফলে উত্তর বঙ্গোপসাগর, বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকা ও সমুদ্র বন্দরগুলোর ওপর দিয়ে দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে।
চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরকে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত সব মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে।
নদীবন্দরে ১ নম্বর সংকেত
এদিকে, আজ সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত দেশের অভ্যন্তরীণ নদীবন্দরগুলোর জন্য আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, খুলনা, বরিশাল, পটুয়াখালী, কুমিল্লা, নোয়াখালী, চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার অঞ্চলসমূহের ওপর দিয়ে দক্ষিণ-পূর্ব কিংবা পূর্ব দিক থেকে ঘণ্টায় ৪৫ থেকে ৬০ কিলোমিটার বেগে দমকা অথবা ঝড়োহাওয়াসহ অস্থায়ীভাবে বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।
এসব এলাকার নৌবন্দরগুলোকে ১ নম্বর সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
১৮২ দিন আগে
সাগরে ফের লঘুচাপ, সমুদ্রবন্দরে তিন নম্বর সংকেত
আবহাওয়া অধিদপ্তরের গতকালের পূর্বাভাস বাস্তবে পরিণতে করে উত্তরপশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও সংলগ্ন এলাকায় একটি লঘুচাপ সৃষ্টি হয়েছে। এর প্রভাবে দেশের উপকূলীয় অঞ্চলগুলোতে মাঝারি ধরনের ভারী থেকে ভারী বৃষ্টিপাত হতে পারে বলে জানানো হয়েছে।
রবিবার (২৯ জুন) আবহাওয়ার নিয়মিত বুলেটিনে বলা হয়েছে, মৌসুমি বায়ুর অক্ষের বর্ধিতাংশ ভারতের মধ্যপ্রদেশ, বিহার, গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গ, লঘুচাপের কেন্দ্রস্থল ও বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চল হয়ে ভারতের আসাম পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। এই বায়ু বাংলাদেশের ওপর মোটামুটি সক্রিয় এবং উত্তর বঙ্গোপসাগরে প্রবল অবস্থায় রয়েছে।
আগামীকাল সকাল ৯টা পর্যন্ত আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের অধিকাংশ জায়গায় এবং রংপুর, রাজশাহী, ঢাকা, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী থেকে ভারী বর্ষণ হতে পারে।
বৃষ্টির প্রভাবে দেশের দক্ষিণাঞ্চলে দিনের তাপমাত্রা কমতে পারে এবং দেশের অন্যত্র তা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। এ ছাড়া সারা দেশে রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
বৃষ্টিপাতের এই প্রবণতা আগামী কয়েকদিন অব্যাহত থাকতে পারে বলে বিজ্ঞপ্তি থেকে জানা গেছে।
সমুদ্রবন্দরে তিন নম্বর সংকেত
এদিকে, আবহাওয়াবিদ আফরোজা সুলতানার সই করা সামুদ্রিক সতর্কবার্তায় বলা হয়েছে, উত্তরপশ্চিম বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট লঘুচাপের প্রভাবে গভীর সঞ্চারণশীল মেঘমালা তৈরি অব্যাহত রয়েছে। এর প্রভাবে উত্তর বঙ্গোপসাগর, বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকা ও সমুদ্র বন্দরসমূহের ওপর দিয়ে দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে।
চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দর সমূহকে তিন নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে উপকূলের কাছাকাছি এসে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে।
সাত জেলায় ঝড়ের পূর্বাভাস
আজ সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত দেশের অভ্যন্তরীণ নদীবন্দরগুলোর জন্য আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, খুলনা, বরিশাল, পটুয়াখালী, নোয়াখালী, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার অঞ্চলের ওপর দিয়ে দক্ষিণ-পূর্ব অথবা পূর্ব দিক থেকে ঘণ্টায় ৪৫ থেকে ৬০ কিলোমিটার বেগে অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রবৃষ্টি হতে পারে।
এসব এলাকার নদী বন্দরকে ১ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ফের লঘুচাপের সম্ভাবনা, ৮ জেলায় ঝড়, সারা দেশে বৃষ্টির পূর্বাভাস
১৮৩ দিন আগে