পরিবেশ-ও-কৃষি
ঢাকার বাতাসের মান আজ ‘ভালো’
গতকাল রাতে রাজধানী ঢাকায় থেমে থেমে বৃষ্টি হলেও সকাল হতেই উঁকি দিয়েছে রোদ। সেই সঙ্গে কর্মব্যস্ত মানুষেরা ছুটতে শুরু করেছেন তাদের গন্তব্যে। তবে স্বস্তির বিষয় হলো, আজ শহরের বাসিন্দাদের বায়ুদূষণের কারণে স্বাস্থ্যহানি নিয়ে চিন্তা করতে হবে না। কারণ ঢাকার বাতাসের মান আজ ‘ভালো’।
রোববার (১০ আগস্ট) সকাল ৯টার দিকে ঢাকার বাতাসের একিউআই স্কোর ছিল ৫০। বায়ুমান সূচক অনুযায়ী এই স্কোরকে ‘ভালো’ হিসেবে গণ্য করা হয়। এই স্কোর নিয়ে বিশ্বের দূষিত শহরের তালিকার ৭৫তম স্থানে নেমে গেছে ঢাকা।
গত কয়েকদিন ধরে ঢাকার বাতাসের দূষণের মাত্রা তুলনামূলক কম ছিল। প্রায়ই ‘মাঝারি’ পর্যায়ে অবস্থান করা এই শহরের বায়ুমানে মাঝেমধ্যে অবশ্য অবনতিও হয়ে থাকে। তবে আজ শহরের বাতাস বাসিন্দাদের জন্য স্বাস্থ্যকর হয়ে উঠেছে।
বর্ষা মৌসুমে ঢাকার বাতাসের মান তুলনামূলক ভালো থাকে। তবে অন্য সময় বিশ্বের শীর্ষ দূষিত শহরের তালিকার প্রথম দিকেই থাকে রাজধানী শহর।
ঢাকার চেয়ে আজ দক্ষিণ এশিয়ার দুটি শহরে বায়ুদূষণের মাত্রা বেশি। এর মধ্যে ভারতের দিল্লির বাতাস আজও ‘সংবেদনশীলদের জন্য অস্বাস্থ্যকর’, শহরটির স্কোর ১২২। এ ছাড়া ৯০ একিউআই স্কোর নিয়ে পাকিস্তানের লাহোরের বাতাস ‘মাঝারি’ পর্যায়ে রয়েছে।
একই সময়ে তালিকার শীর্ষে রয়েছে কঙ্গোর কিনশাসা যার একিউআই স্কোর ১৯৬। অন্যদিকে, ১৬০ ও ১৫৮ নিয়ে তালিকার দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থানে রয়েছে সৌদি আরবের রিয়াদ ও ইন্দোনেশিয়ার জাকার্তা।
আরও পড়ুন: ঢাকার বাতাস আজ ‘মাঝারি’
কণা দূষণের এই সূচক ৫০-এর মধ্যে থাকলে তা ‘ভালো’ বলে গণ্য করা হয়। আর স্কোর ৫০ থেকে ১০০-এর মধ্যে থাকলে তা ‘মাঝারি’ হিসেবে শ্রেণিভুক্ত করা হয়। এ ছাড়া ১০১ থেকে ১৫০ হলে ‘সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর’ হিসেবে বিবেচিত হয়। এই পর্যায়ে সংবেদনশীল ব্যক্তিদের দীর্ঘ সময় বাইরে পরিশ্রম না করার পরামর্শ দেওয়া হয়।
তবে এই স্কোর ১৫১ থেকে ২০০ হলে তা ‘অস্বাস্থ্যকর’, ২০১ থেকে ৩০০ হলে ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ এবং ৩০১-এর বেশি হলে তা ‘বিপজ্জনক’ হিসেবে বিবেচিত হয়। জনস্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক ঝুঁকি সৃষ্টি করে ৩০০-এর বেশি যেকোনো সূচক।
বাংলাদেশে একিউআই সূচক নির্ধারিত হয় পাঁচ ধরনের দূষণের ভিত্তিতে— বস্তুকণা (পিএম১০ ও পিএম২.৫), নাইট্রোজেন ডাই-অক্সাইড (এনও₂), কার্বন মনো-অক্সাইড (সিও), সালফার ডাই-অক্সাইড (এসও₂) ও ওজোন।
১৪১ দিন আগে
মূল ভূখণ্ডের ২০ শতাংশে উন্নীত করা হবে বনভূমি: পরিবেশ উপদেষ্টা
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় এবং পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, বাংলাদেশে সরকার নিয়ন্ত্রিত বনভূমির পরিমাণ দেশের মোট আয়তনের ২০ শতাংশে উন্নীত করতে সরকার সুপরিকল্পিত কর্মসূচি গ্রহণ করবে।
শনিবার (৯ আগস্ট) রাজধানীর বন ভবনে বন বিভাগের উন্নয়ন বিষয়ক এক সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। তিনি বনভূমি বৃদ্ধির পাশাপাশি বনাঞ্চল সুরক্ষা, জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ এবং জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলায় সমন্বিত পদক্ষেপের ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন।
সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান জানান, বনভূমির কাভারেজ বাড়ানোর উদ্যোগের অংশ হিসেবে দেশের নদীর জেগে ওঠা নতুন চর, উপকূলীয় এলাকা এবং পতিত জমিতে বনভূমি সৃষ্টির পদক্ষেপ নেওয়া হবে। এ লক্ষ্যে বনকর্মীদের দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য আধুনিক প্রশিক্ষণ কর্মসূচি গ্রহণ করা হবে।
তিনি আরও বলেন, বন বিভাগের কার্যক্রমকে স্বচ্ছ ও ফলপ্রসূ করতে ডিজিটাল মনিটরিং ব্যবস্থা চালু করা হবে, যাতে কর্মচারীরা বিধিমতো বনের উন্নয়নমূলক কাজে নিয়োজিত থাকতে পারেন। বিপন্ন বন্যপ্রাণী সংরক্ষণের অংশ হিসেবে ‘এলিফ্যান্ট করিডর রেস্টোরেশন’ কার্যক্রম হাতে নেওয়া হবে এবং বন্দী হাতির জন্য বিশেষ অনাথাশ্রম (অরফানেজ) স্থাপন করা হবে।
এছাড়া মধুপুর এলাকায় কমিউনিটি ট্যুরিজমের সুযোগ সৃষ্টি করে স্থানীয় জনগণের অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও প্রকৃতি সংরক্ষণ একসঙ্গে এগিয়ে নেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে। শিশু-কিশোরদের মধ্যে প্রকৃতি ও জীববৈচিত্র্যের প্রতি ভালোবাসা জাগাতে রাজধানীর পূর্বাচলে একটি অত্যাধুনিক নেচার লার্নিং সেন্টার স্থাপন করা হবে। উপদেষ্টা বলেন, আমাদের বন শুধু গাছের সমষ্টি নয়—এটি আমাদের জীবনের রক্ষা-কবচ। বনভূমি বৃদ্ধি ও সংরক্ষণে সকলকে এগিয়ে আসতে হবে।
সভায় পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. ফারহিনা আহমেদ, যুগ্ম সচিব (বন) শামিমা বেগম, প্রধান বন সংরক্ষক আমীর হোসাইন চৌধুরীসহ মন্ত্রণালয় ও বন বিভাগের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
১৪১ দিন আগে
ঢাকার বাতাস আজ ‘মাঝারি’
টানা কয়েকদিন ধরেই থেমে থেমে বৃষ্টি ঝরছে ঢাকায়। তা সত্ত্বেও ঢাকার বাতাসে অবনতি লক্ষ করা গেছে। যদিও গতকালের তুলনায় আজ শহরটির বাতাসে কিছুটা উন্নতি হয়েছে, তবে তা আশানুরূপ নয়।
শুক্রবার (৮ আগস্ট) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে ঢাকার একিউআই স্কোর ছিল ৯৩। এই স্কোর নিয়ে বিশ্বের দূষিত বাতাসের শহরের পঞ্চদশ স্থানে রয়েছে ঢাকা।
গতকাল একই সময়ে ঢাকার বাতাসের একিউআই স্কোর ছিল ১২৭। এই স্কোর ‘সংবেদনশীল জনগোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর’ হিসেবে চিহ্নিত এবং বায়ুদূষণে শীর্ষ শহরগুলোর ষষ্ঠ স্থানে ছিল রাজধানী ঢাকা।
সে তুলনায় আজ সামান্য উন্নতি হয়েছে। বায়ুমান সূচক অনুযায়ী ৯৩ স্কোর নিয়ে ‘মাঝারি’ পর্যায়ে থাকলেও শহরটির বাতাস ‘সংবেদনশীল জনগোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর’ হয়ে ওঠার থেকে খুব বেশি দূরে নেই।
এদিকে, গতকাল বায়ুদূষণে বিশ্বের দ্বিতীয় শীর্ষ শহর হিসেবে তালিকায় উঠে আসা ভারতের কলকাতার বাতাসে আজ অভূতপূর্ব উন্নতি দেখা গেছে। একদিনের ব্যবধানে ৭৭ স্কোর নিয়ে তালিকার ২৪তম স্থানে নেমে এসেছে শহরটি।
তবে আজ আবার বিশ্বের তৃতীয় দূষিত বাতাসের শহর হয়ে উঠেছে পাকিস্তানের লাহোর। শহরটির একিউআই স্কোর ১৫৪।
একই সময়ে আজ ১৬০ স্কোর নিয়ে তালিকার শীর্ষে রয়েছে কঙ্গোর কিসশাসা এবং দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে ইন্দোনেশিয়ার জাকার্তা, স্কোর ১৫৫।
আরও পড়ুন: দূষণে আজ দ্বিতীয় কলকাতা, ঢাকার বাতাসেও অবনতি
কণা দূষণের এই সূচক ৫০-এর মধ্যে থাকলে তা ‘ভালো’ বলে গণ্য করা হয়। আর স্কোর ৫০ থেকে ১০০-এর মধ্যে থাকলে তা ‘মাঝারি’ হিসেবে শ্রেণিভুক্ত করা হয়। এ ছাড়া ১০১ থেকে ১৫০ হলে ‘সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর’ হিসেবে বিবেচিত হয়। এই পর্যায়ে সংবেদনশীল ব্যক্তিদের দীর্ঘ সময় বাইরে পরিশ্রম না করার পরামর্শ দেওয়া হয়।
তবে এই স্কোর ১৫১ থেকে ২০০ হলে তা ‘অস্বাস্থ্যকর’, ২০১ থেকে ৩০০ হলে ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ এবং ৩০১-এর বেশি হলে তা ‘বিপজ্জনক’ হিসেবে বিবেচিত হয়। জনস্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক ঝুঁকি সৃষ্টি করে ৩০০-এর বেশি যেকোনো সূচক।
বাংলাদেশে একিউআই সূচক নির্ধারিত হয় পাঁচ ধরনের দূষণের ভিত্তিতে— বস্তুকণা (পিএম১০ ও পিএম২.৫), নাইট্রোজেন ডাই-অক্সাইড (এনও₂), কার্বন মনো-অক্সাইড (সিও), সালফার ডাই-অক্সাইড (এসও₂) ও ওজোন।
১৪৩ দিন আগে
একবছরে ৫ হাজার ৯৩ একর বনভূমি উদ্ধার
২০২৪ সালের আগস্টে দায়িত্ব পাওয়ার পর থেকে চলতি বছরের জুন পর্যন্ত ৫ হাজার ৯৩ একর বনভূমি উদ্ধার করেছে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়। উদ্ধারের পর এসব জমিতে পুনরায় বনায়ন কার্যক্রম পরিচালিত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৭ আগস্ট) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এমন তথ্য জানিয়েছে মন্ত্রণালয়। বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, বনের জমিতে সরকারি প্রকল্প স্থাপনের পুরোনো সিদ্ধান্ত বাতিলের ধারাবাহিকতায় কক্সবাজারের ৭০০ একর জমি এবং বাফুফের জন্য নির্ধারিত ২০ একর সংরক্ষিত বনভূমি ফিরিয়ে আনা হয়েছে। সোনাদিয়ার ৯ হাজার ৪৬৭ একর জমি ও জাফর আলম ক্যাডেট কলেজের নামে বন্দোবস্ত ১৫৫ দশমিক ৭০ একর জমিও পুনরুদ্ধার করা হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, চুনতি বন পুনরুদ্ধার প্রকল্পের আওতায় ৩৭ হাজার ১৮২ একর জমি থেকে আকাশমনি গাছ সরিয়ে প্রাকৃতিক বন ফিরিয়ে আনার কাজ শুরু হয়েছে। মধুপুর ও শেরপুরেও আকাশমনি গাছ সরিয়ে বনকে প্রাকৃতিক পরিবেশে ফিরিয়ে আনার উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে, যাতে হাতির করিডোর পুনরায় কার্যকর হয়।
বিলুপ্ত প্রজাতির দেশি ময়ূর ফিরিয়ে আনাসহ সাম্বার, কালোমুখ প্যারা পাখি, উল্লুক ও হাতির সুরক্ষায় নেওয়া হয়েছে সফল উদ্যোগ। মানুষের সাথে হাতি ও অন্যান্য বন্যপ্রাণীর দ্বন্দ্ব নিরসনে ১৫৯টি ইআরটি টিম গঠন ও জনসচেতনতা কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। মৌলভীবাজারের লাঠিটিলা সাফারি পার্ক প্রকল্প বাতিল এবং ক্যাপটিভ হাতি সংরক্ষণের অভয়ারণ্য গঠনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলেও বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।
এতে বলা হয়, রাজশাহীর বিল জোয়ানা ও বিল ভেলাসহ কয়েকটি জলাভূমিকে অভয়ারণ্য ঘোষণা এবং অন্যান্য এলাকায় জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণের উদ্যোগ চলমান রয়েছে। বন্যপ্রাণী আইন সংশোধন ও ট্রাস্ট গঠনের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। ওয়াইল্ড লাইফ ক্রাইম কন্ট্রোল ইউনিট ২৯৩টি অভিযান চালিয়ে ৫ হাজার ৬৮৪টি প্রাণি উদ্ধার করেছে। সাফারি পার্ক থেকে চুরি হওয়া লেমুরও উদ্ধার করা হয়েছে। ইতিহাসে প্রথমবারের মতো বন্যপ্রাণী ও বৃক্ষ নিধনের অপরাধে কারাদণ্ড কার্যকর হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, জনদাবির পরিপ্রেক্ষিতে ইউক্যালিপটাস ও একাশিয়া গাছের চারা উৎপাদন, বিপণন, রোপণ নিষিদ্ধ করা হয়েছে এবং নার্সারির এসব গাছ ধ্বংস করা হয়েছে। পরিবেশ সচেতনতা বৃদ্ধিতে 'গাছ থেকে পেরেক তুলে ফেলা' কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়েছে এবং দেশে প্রথমবারের মতো নেচার লার্নিং সেন্টার স্থাপনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
তরুণ প্রজন্মকে যুক্ত করে বন, বন্যপ্রাণী ও শব্দদূষণ রোধে সচেতনতামূলক কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। জাতীয় উদ্যান, ইকোপার্ক ও উদ্ভিদ উদ্যানে প্লাস্টিক ও বনভোজন নিষিদ্ধ করা হয়েছে। পূর্বাচলের ১৪৪ একরকে বিশেষ জীববৈচিত্র্য এলাকা ঘোষণা করা হয়েছে।
পরিবেশ ও জলবায়ু সংরক্ষণে নেওয়া উদ্যোগের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো— ঢাকার শপিংমলসমূহে নিষিদ্ধ পলিথিনের ব্যবহার বন্ধ করা এবং কাঁচাবাজারে অভিযান জোরদার করা। বিকল্প হিসেবে পাটের ব্যাগ সহজলভ্য করতে পাট ও বস্ত্র মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে সমন্বয়ে প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। বায়ুদূষণ নিয়ন্ত্রণে ‘ন্যাশনাল এয়ার কোয়ালিটি ম্যানেজমেন্ট প্ল্যান’ প্রণয়ন ও ৮৩০টি অবৈধ ইটভাটা ভেঙে ফেলা হয়েছে। ১৮টি অবৈধ সীসা কারখানা বন্ধ এবং ঢাকার সাভার-আশুলিয়াকে ডিগ্রেডেড এয়ারশেড হিসেবে ঘোষণা চূড়ান্ত করা হয়েছে। বিআরটিএ’র সহায়তায় পুরনো ও ফিটনেসবিহীন গাড়ির বিরুদ্ধে অভিযান জোরদার করা হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, শব্দদূষণ রোধে তরুণদের সম্পৃক্ত করে ক্যাম্পেইন পরিচালনা করা হয়েছে। গাজীপুরে গাছা খাল দূষণের অভিযোগে ৯টি কোম্পানির সংযোগ বিচ্ছিন্ন ও সকল পলিথিন কারখানা বন্ধ করা হয়েছে। পরিবেশ অধিদপ্তরের জন্য বিইএসটি প্রকল্পের আওতায় নতুন কার্যক্রম অনুমোদনসহ ৩৭টি ভবন নির্মাণ কার্যক্রম শুরু হয়েছে। ১৬টি জেলা থেকে পাহাড়ের দাগ-খতিয়ান সংগ্রহ করে অনলাইনে তালিকাভুক্ত করার কাজ চলছে। জলবায়ু পরিবর্তন ট্রাস্ট ফান্ডের অর্থায়নে ৩৫১ কোটি টাকার ৪১টি প্রকল্প অনুমোদন এবং ‘বাংলাদেশ ক্লাইমেট ডেভেলপমেন্ট পার্টনারশিপ’ চূড়ান্ত করা হয়েছে। পরিবেশ ও বন রক্ষায় ৮টি আইন, বিধিমালা ও নির্দেশিকা চূড়ান্ত করার কাজ চলমান রয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বাংলাদেশের পরিবেশ সুরক্ষা, বন ও বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ এবং জলবায়ু অভিযোজন প্রক্রিয়ায় চলমান অগ্রযাত্রায় সব নাগরিকের অংশগ্রহণের আহ্বান জানানো হয়।
১৪৩ দিন আগে
দূষণে আজ দ্বিতীয় কলকাতা, ঢাকার বাতাসেও অবনতি
বায়ুদূষণে দিল্লি ও মুম্বাই বরাবরই ভারতের অন্যান্য বড় শহরগুলোর তুলনায় এগিয়ে থাকে। পশ্চিমবঙ্গের রাজধানী কলকাতাকে এই তালিকায় দেখা গেলেও প্রায় সবসময়ই দিল্লির চেয়ে অনেক ভালো অবস্থায় থাকে শহরটির বায়ুমান। তবে আজ সকালে সবাইকে অবাক করে দিয়ে বায়ুদূষণে বিশ্বের দ্বিতীয় শীর্ষ শহর হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে কলকাতা।
বৃহস্পতিবার (৭ আগস্ট) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে কলকাতার একিউআই স্কোর ছিল ১৫৫, বায়ুমান শ্রেণিতে যা ‘অস্বাস্থ্যকর’। ১৭৩ একিউআই স্কোর নিয়ে কলকাতার উপরে ছিল কেবল কঙ্গোর কিনশাসা।
এই সময়ে ১৫২ একিউআই স্কোর নিয়ে তৃতীয় সৌদি আরবের রিয়াদ এবং স্কোর ১৪৩ নিয়ে চতুর্থ দূষিত শহর ছিল উগান্ডার কাম্পালা।
বৃষ্টিবর্ষায় বেশ কিছুদিন ঢাকার বাতাস ‘মাঝারি’, এমনকি কোনো কোনোদিন ‘ভালো’ হয়ে উঠলেও আজ সেই অবস্থার লক্ষণীয় অবনতি হয়েছে। একই সময়ে ঢাকার বাতাসের একিউআই স্কোর ছিল ১২৭। এই স্কোর ‘সংবেদনশীল জনগোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর’ হিসেবে চিহ্নিত এবং বায়ুদূষণে শীর্ষ শহরগুলোর ষষ্ঠ স্থানে উঠে এসেছে বাংলাদেশের রাজধানী।
আরও পড়ুন: বায়ুদূষণে আজ লাহোরের দারুণ উন্নতি, শীর্ষ পাঁচে শিকাগো
এ ছাড়া, দিল্লির বাতাস রয়েছে আজও ‘মাঝারি’ পর্যায়ে। শহরটির স্কোর ছিল ৭৯ এবং দূষিত শহরগুলোর তালিকার ২৩তম স্থানে ছিল এর অবস্থান।
কণা দূষণের এই সূচক ৫০-এর মধ্যে থাকলে তা ‘ভালো’ বলে গণ্য করা হয়। আর স্কোর ৫০ থেকে ১০০-এর মধ্যে থাকলে তা ‘মাঝারি’ হিসেবে শ্রেণিভুক্ত করা হয়। এ ছাড়া ১০১ থেকে ১৫০ হলে ‘সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর’ হিসেবে বিবেচিত হয়। এই পর্যায়ে সংবেদনশীল ব্যক্তিদের দীর্ঘ সময় বাইরে পরিশ্রম না করার পরামর্শ দেওয়া হয়।
তবে এই স্কোর ১৫১ থেকে ২০০ হলে তা ‘অস্বাস্থ্যকর’, ২০১ থেকে ৩০০ হলে ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ এবং ৩০১-এর বেশি হলে তা ‘বিপজ্জনক’ হিসেবে বিবেচিত হয়। জনস্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক ঝুঁকি সৃষ্টি করে ৩০০-এর বেশি যেকোনো সূচক।
বাংলাদেশে একিউআই সূচক নির্ধারিত হয় পাঁচ ধরনের দূষণের ভিত্তিতে— বস্তুকণা (পিএম১০ ও পিএম২.৫), নাইট্রোজেন ডাই-অক্সাইড (এনও₂), কার্বন মনো-অক্সাইড (সিও), সালফার ডাই-অক্সাইড (এসও₂) ও ওজোন।
১৪৪ দিন আগে
বায়ুদূষণে আজ লাহোরের দারুণ উন্নতি, শীর্ষ পাঁচে শিকাগো
এক মাসেরও বেশি সময় ধরে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দুই দেশের প্রধান দুই শহর ঢাকা ও দিল্লির বায়ুদূষণ কমে এলেও প্রায় পুরোটা সময়জুড়েই বায়ুদূষণে শীর্ষ শহরগুলোর কাতারে অবস্থান করছিল পাকিস্তানের লাহোর। তবে আজ সকালে সেই অবস্থা থেকে প্রভূত উন্নতি হয়েছে শহরটির।
বুধবার (৬ আগস্ট) সকাল সোয়া ৯টায় গতানুগতিক সময়ের তুলনায় লাহোরের বাতাসের দূষণ কমেছে প্রায় ১০০ পয়েন্ট। শহরটির একিউআই স্কোর যেখানে প্রতিনিয়ত দেড়শ’র আশপাশে থাকে, সেখানে আজ সকালে তা কমে দাঁড়িয়েছে মাত্র ৬৮-তে। দূষণের এই মাত্রা নিয়ে আজ দিল্লির (৭৫) চেয়েও ভালো অবস্থানে রয়েছে লাহোর। ‘মাঝারি’শ্রেণিতে থাকলেও শহরটির বাতাস ভালোর কাছাকাছি চলে এসেছে।
এদিকে, এই সময়ে দূষিত বায়ুর শীর্ষ পাঁচ শহরের মধ্যে জায়গা করে নিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের শিকাগো। কানাডার দাবানলের ধোঁয়ায় শহরটির দূষণের স্কোর ছিল তখন ১১৮, যা ‘সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর’। এই স্কোর নিয়ে বায়ুদূষণে শীর্ষ শহরগুলোর তালিকার পঞ্চম স্থানে ছিল শিকাগো।
এ ছাড়া, ১২৭, ১৩৪, ১৬৪ ও ১৭১ একিউআই স্কোর নিয়ে শিকাগোর উপরের চারটি স্থানে ছিল যথাক্রমে কাতারের দোহা, ইন্দোনেশিয়ার জাকার্তা, বাহরাইনের মানামা ও কঙ্গোর কিনশাসা।
আরও পড়ুন: বৃষ্টিতে ঢাকার বাতাসে উন্নতি, দাবানলের ধোঁয়ায় আজও কানাডার বাতাসে দূষণ
অন্যদিকে, ৬৩ একিউআই স্কোর নিয়ে ‘মাঝারি’ শ্রেণিতেই অবস্থান করছে ঢাকা। ওই সময় শহরগুলোর তালিকার ৩৬তম স্থানে ছিল বাংলাদেশের রাজধানী।
কণা দূষণের এই সূচক ৫০-এর মধ্যে থাকলে তা ‘ভালো’ বলে গণ্য করা হয়। আর স্কোর ৫০ থেকে ১০০-এর মধ্যে থাকলে তা ‘মাঝারি’ হিসেবে শ্রেণিভুক্ত করা হয়। এ ছাড়া ১০১ থেকে ১৫০ হলে ‘সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর’ হিসেবে বিবেচিত হয়। এই পর্যায়ে সংবেদনশীল ব্যক্তিদের দীর্ঘ সময় বাইরে পরিশ্রম না করার পরামর্শ দেওয়া হয়।
তবে এই স্কোর ১৫১ থেকে ২০০ হলে তা ‘অস্বাস্থ্যকর’, ২০১ থেকে ৩০০ হলে ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ এবং ৩০১-এর বেশি হলে তা ‘বিপজ্জনক’ হিসেবে বিবেচিত হয়। জনস্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক ঝুঁকি সৃষ্টি করে ৩০০-এর বেশি যেকোনো সূচক।
বাংলাদেশে একিউআই সূচক নির্ধারিত হয় পাঁচ ধরনের দূষণের ভিত্তিতে— বস্তুকণা (পিএম১০ ও পিএম২.৫), নাইট্রোজেন ডাই-অক্সাইড (এনও₂), কার্বন মনো-অক্সাইড (সিও), সালফার ডাই-অক্সাইড (এসও₂) ও ওজোন।
১৪৫ দিন আগে
বৃষ্টিতে ঢাকার বাতাসে উন্নতি, দাবানলের ধোঁয়ায় আজও কানাডার বাতাসে দূষণ
গত ২৪ ঘণ্টায় ঢাকায় ৬২ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। সকালেও ঝিরিঝিরি বৃষ্টি ছিল। এর প্রভাব পড়েছে ঢাকার বাতাসে, দূষণের মাত্রা অনেকটা কমেছে।
সোমবার (৪ আগস্ট) সকাল সোয়া ৯টার দিকে ৫৭ স্কোর নিয়ে দূষিত বাতাসের শহরের তালিকার ৫৪ত স্থানে নেমে এসেছে ঢাকা। বায়ুমান সূচক অনুযায়ী, শহরটির বাতাসের মান ‘ভালো’ হয়ে ওঠার খুব কাছাকাছি চলে এসেছে।
কারণ এই স্কোর ০ থেকে ৫০ এর মধ্যে হলে তা ‘ভালো’ হিসেবে গণ্য করা হয়। আর স্কোর ৫০ থেকে ১০০-এর মধ্যে থাকলে তা ‘মাঝারি’ হিসেবে শ্রেণিভুক্ত করা হয়।
গতকাল একই সময়ে ঢাকার স্কোর ছিল ৭৯। সে তুলনায় আজ অনেকটা উন্নতি হয়েছে। যদিও আজও শহরটির বাতাসের মান ‘মাঝারি’ পর্যায়ে রয়েছে।
এদিকে, কানাডার প্রেইরি অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়া দাবানলের ধোঁয়ার প্রভাবে দেশটির গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি শহরে বায়ুদূষণের মাত্রা বেড়ে গেছে। এরমধ্যে বিশ্বের দূষিত বাতাসের শহরের তালিকার শীর্ষ পাঁচের মধ্যে চলে এসেছে কানাডার টরেন্টো ও মন্ট্রিল শহর। আজও কানাডার বিভিন্ন শহরে অস্বাস্থ্যকর বাতাসের সতর্কতা জারি রয়েছে।
১৫৬ একিউআই স্কোর নিয়ে তালিকার দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে টরেন্টা এবং ১৫২ স্কোর নিয়ে চতুর্থ স্থানে রয়েছে মন্ট্রিল।
এই স্কোর ‘অস্বাস্থ্যকর’ হিসেবে শ্রেণিভুক্ত। ফুসফুস ও হৃদরোগে আক্রান্ত ব্যক্তি, শিশু, বয়স্ক এবং গর্ভবতী নারীরা এমন দূষিত বাতাসে সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে থাকেন।
একই সময়ে আজ বিশ্বের দূষিত শহরের তালিকার শীর্ষে রয়েছে উগান্ডার রাজধানী কাম্পালা। শহরটির একিউআই স্কোর ১৮৫। তৃতীয় স্থানে রয়েছে বাহরাইনের মানামা, স্কোর ছিল ১৫৫।
আরও পড়ুন: দাবানলের ধোঁয়ায় কানাডা-যুক্তরাষ্ট্রের বাতাসে দূষণ, ঢাকার কী অবস্থা
কণা দূষণের এই সূচক ১০১ থেকে ১৫০ হলে ‘সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর’ হিসেবে বিবেচিত হয়। এই পর্যায়ে সংবেদনশীল ব্যক্তিদের দীর্ঘ সময় বাইরে পরিশ্রম না করার পরামর্শ দেওয়া হয়।
তবে এই স্কোর ১৫১ থেকে ২০০ হলে তা ‘অস্বাস্থ্যকর’, ২০১ থেকে ৩০০ হলে ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ এবং ৩০১-এর বেশি হলে তা ‘বিপজ্জনক’ হিসেবে বিবেচিত হয়। জনস্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক ঝুঁকি সৃষ্টি করে ৩০০-এর বেশি যেকোনো সূচক।
বাংলাদেশে একিউআই সূচক নির্ধারিত হয় পাঁচ ধরনের দূষণের ভিত্তিতে— বস্তুকণা (পিএম১০ ও পিএম২.৫), নাইট্রোজেন ডাই-অক্সাইড (এনও₂), কার্বন মনো-অক্সাইড (সিও), সালফার ডাই-অক্সাইড (এসও₂) ও ওজোন।
১৪৭ দিন আগে
দাবানলের ধোঁয়ায় কানাডা-যুক্তরাষ্ট্রের বাতাসে দূষণ, ঢাকার কী অবস্থা
কানাডার দাবানলের ধোঁয়া বিশালাকৃতির এই দেশটির বিভিন্ন শহর ছাড়াও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্য-পশ্চিমাঞ্চলের কয়েকটি অঙ্গরাজ্যে ছড়িয়ে পড়েছে। শনিবারও এর প্রভাবে টানা তৃতীয় দিনের মতো অস্বাস্থ্যকর বাতাসের সতর্কতা জারি রয়েছে দেশদুটির অনেক শহরে।
বাংলাদেশ সময় রোববার (৩ আগস্ট) ভোরে যুক্তরাষ্ট্রের আইওয়া, মিনেসোটা, উইসকনসিন, মিশিগান, পূর্ব নেব্রাস্কা এবং ইন্ডিয়ানা ও ইলিনয়ের কিছু অংশে বাতাসের মান-সংক্রান্ত সতর্কতা বহাল ছিল। আকাশে ধোঁয়ার উপস্থিতি দিনভর থাকতে পারে বলেও স্থানীয় আবহাওয়া অফিসের বরাত দিয়ে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা অ্যাসোসিয়েট প্রেস।
অন্যদিকে, কানাডার পরিবেশ সংস্থা জানিয়েছে, কিছু এলাকায় এই ধোঁয়া রোববার পর্যন্ত স্থায়ী হতে পারে।
বিশ্বব্যাপী বাতাসের গুণগত মান পর্যবেক্ষণকারী সুইজারল্যান্ডভিত্তিক প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ার জানিয়েছে, শুক্রবার থেকে মিনিয়াপলিস শহরকে বিশ্বের অন্যতম দূষিত বায়ুর শহর হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। মিনেসোটার বিস্তীর্ণ এলাকায় ‘লাল’ বা ‘অস্বাস্থ্যকর’ মানের এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স (একিউআই) ছিল।
গতকাল (শনিবার) সকালে বিশ্বের তৃতীয় শীর্ষ দূষিত শহর ছিল মিনিয়াপলিস। শহরটির একিউআই স্কোর ছিল ১৫৮ যা ‘অস্বাস্থ্যকর’ হিসেবে শ্রেণিভুক্ত।
ফুসফুস ও হৃদরোগে আক্রান্ত ব্যক্তি, শিশু, বয়স্ক এবং গর্ভবতী নারীরা এমন দূষিত বাতাসে সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে থাকেন।
মিনিয়াপলিস-সেন্ট পল এলাকার জাতীয় আবহাওয়া দপ্তরের আবহাওয়াবিদ জো স্ট্রাস বলেন, ‘এবারের পরিস্থিতিতে যে বিষয়টি আলাদা, তা হলো দীর্ঘ সময় ধরে ধোঁয়ার কণাগুলো ভূপৃষ্ঠের কাছাকাছি অবস্থান করছে, ফলে টানা কয়েকদিন ধরে আমাদের এখানে বাতাসের মানে অবনতি হয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা প্রতিদিন এটার মোকাবিলা করছি। বাইরে বের হলে ধোঁয়ার গন্ধ পাওয়া যাচ্ছে, কখনো কখনো তো মুখেও ধোঁয়ার স্বাদ পাওয়া যাচ্ছে।’
আজ (রোববার) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে মিনিয়াপলিসের বাতাসের দূষণ কিছুটা কমেছে। একিউআই স্কোর ৯৫-তে নেমে শহরটির বাতাসের মান এখন ‘মাঝারি’ শ্রেণিতে অবস্থান করছে।
এ ছাড়া কানাডার প্রধান দুই শহর মন্ট্রিয়াল ও টরোন্টোর বাতাসের মানও এই সময়ে ‘সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর’ পর্যায়ে রয়েছে। শহর দুটির একিউআই স্কোর যথাক্রমে ১২৫ ও ১১৮ এবং বিশ্বের শীর্ষ দূষিত শহরের তালিকায় যথাক্রমে ষষ্ঠ ও অষ্টম স্থানে রয়েছে।
এদিকে, ১৬২ একিউআই স্কোর নিয়ে আজ বিশ্বের সবচেয়ে দূষিত শহর কঙ্গোর কিনশাসা। ১৫৩ ও ১৫২ নিয়ে তার পরের দুটি স্থানে ছিল সৌদি আরবের রিয়াদ ও উগান্ডার কাম্পালা। ১৫১ ও ১৪৯ একিউআই স্কোর নিয়ে বায়ুদূষণে বিশ্বের চতুর্থ ও পঞ্চম শীর্ষ শহর ছিল পাকিস্তানের লাহোর ও ইন্দোনেশিয়ার জাকার্তা।
আরও পড়ুন: সপ্তাহজুড়ে কেমন ছিল ঢাকার বাতাসের মান
অন্যদিকে, গতকাল সকালের চেয়ে ঢাকার বাতাসে আজ খুব বেশি উন্নতি হয়নি। গতকালের ৮০ একিউআই স্কোর থাকা ঢাকার বাতাসের আজকে সকালের স্কোর ৭৯। এ ছাড়া গতকালের অষ্টাদশ স্থান থেকে আজ বাংলাদেশের রাজধানী নেমেছে ২৪তম স্থানে।
কণা দূষণের এই সূচক ৫০-এর মধ্যে থাকলে তা ‘ভালো’ বলে গণ্য করা হয়। আর স্কোর ৫০ থেকে ১০০-এর মধ্যে থাকলে তা ‘মাঝারি’ হিসেবে শ্রেণিভুক্ত করা হয়। এ ছাড়া ১০১ থেকে ১৫০ হলে ‘সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর’ হিসেবে বিবেচিত হয়। এই পর্যায়ে সংবেদনশীল ব্যক্তিদের দীর্ঘ সময় বাইরে পরিশ্রম না করার পরামর্শ দেওয়া হয়।
তবে এই স্কোর ১৫১ থেকে ২০০ হলে তা ‘অস্বাস্থ্যকর’, ২০১ থেকে ৩০০ হলে ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ এবং ৩০১-এর বেশি হলে তা ‘বিপজ্জনক’ হিসেবে বিবেচিত হয়। জনস্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক ঝুঁকি সৃষ্টি করে ৩০০-এর বেশি যেকোনো সূচক।
বাংলাদেশে একিউআই সূচক নির্ধারিত হয় পাঁচ ধরনের দূষণের ভিত্তিতে— বস্তুকণা (পিএম১০ ও পিএম২.৫), নাইট্রোজেন ডাই-অক্সাইড (এনও₂), কার্বন মনো-অক্সাইড (সিও), সালফার ডাই-অক্সাইড (এসও₂) ও ওজোন।
১৪৮ দিন আগে
বাংলাদেশের নদী-পানির অধিকার সংরক্ষণের আন্দোলন বেগবান করার আহ্বান
অভিন্ন নদীগুলো থেকে ভারত এক তরফা পানি সরিয়ে নেওয়ায় বাংলাদেশের জীববৈচিত্র্য হুমকিতে পড়ায় যৌথ নদীগুলোর পানির ন্যায্য হিস্যা আদায়ে আন্দোলন বেগবান করার আহ্বান জানিয়েছেন নদী গবেষক পরিবেশকর্মীরা।
শনিবার (২ আগস্ট) জাতীয় প্রেস ক্লাবের মৌলানা আকরম খান হলে পানি অধিকার যোদ্ধা আতিকুর রহমান সালু স্মারক গ্রন্থের প্রকাশনা উদ্বোধন অনুষ্ঠানে বক্তারা এই আহ্বন জানান।
বক্তরা বাংলাদেশের নদী-পানির অধিকার সংরক্ষণের আন্দোলন আরো বেগবান করার প্রতিজ্ঞা ব্যক্ত করেন। তারা বলেন, ভারতের সঙ্গে ৫৪টি যৌথ নদীর মধ্যে গঙ্গা ছাড়া অন্য কোনটির পানি ব্যবস্থাপনার চুক্তি নেই। গঙ্গা পানি চুক্তির মেয়াদ ২০২৬ ডিসেম্বরে শেষ হবে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইমেরিটাস অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরীর লেখা মুখবন্ধসহ আতিকুর রহমান সালু স্মারকগ্রন্থে মোট ৩০টি লেখায় তার সংগ্রামী ও কর্মময় জীবনের উপর আলোকপাত করা হয়েছে। বাংলাদেশের নদী-পানির অধিকার আন্দোলনে তার আপোষহীন সংগ্রাম একটা অতূলনীয় দৃষ্টান্ত হিসেবে যুগযুগ ধরে অনুপ্রেরণা যোগাবে বলে উল্লেখ করা হয়।
বক্তারা বলেন, কোনো চুক্তি বা বোঝাপড়া ছাড়া উজানের দেশ ভারত সকল যৌথ নদীর উপর বাঁধ নির্মাণ করে শুকনো মওসুমে পানির প্রবাহ সরিয়ে নিয়ে বাংলাদেশে এক মারাত্মক পরিবেশগত বিপর্যয় সৃষ্টি করে চলেছে। অন্যদিকে বর্ষা মওসুমে বানের পানি বিনা নোটিশে ছেড়ে দিয়ে সৃষ্টি করছে প্রলয়ঙ্করী বন্যা ও নদী ভাঙ্গন। অথচ বর্তমান বিশ্বে যৌথ নদীর পানি সমস্যার সমাধান নিহিত রয়েছে বেসিনভিত্তিক যৌথ ব্যবস্থাপনায়, যেন উজান ও ভাটির সকল দেশ তার সুফল পায়। পাশাপাশি নদীগুলো হিমালয়ের উৎপত্তিস্থল থেকে সাগর পর্যন্ত জীবন্ত থাকে।
পড়ুন: যৌথ নদী কমিশন: ঢাকা, দিল্লি পানি-বন্টন চুক্তি নিয়ে আলোচনা
তারা বলেন, আতিকুর রহমান সালুর লক্ষ্য ছিল ২০০৫ সালের ৪ মার্চ চিলমারিতে অনুষ্ঠিত দশ লাখ লোকের সমাবেশের মতো আরেকটি বড় সমাবেশ আয়োজন করে নদীর পানির ন্যায্য হিস্যা বিষয়ে বাংলাদেশের মানুষের দাবি বিশ্ববাসীর কাছে তুলে ধরা এবং এ জীবন-মরণ সমস্যার সমাধানে ভারতের উপর চাপ প্রয়োগ করা। ১৯৭৬ সালের ১৬ মে মজলুম জননেতা মওলানা ভাসানীর নেতৃত্বে অনুষ্ঠিত ঐতিহাসিক ফারাক্কা লংমার্চের পরেই ১৯৭৭ সালের ভারসম্যপূর্ণ গঙ্গা পানি চুক্তি সই সম্ভব হয়েছিল। আন্তর্জাতিক ফারাক্কা কমিটি (আইএফসি), বাংলাদেশ আয়োজিত অনুষ্ঠানে অতিথি ছিলেন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী (প্রতিমন্ত্রীর মর্যাদায়) ড. আনিসুজ্জামান চৌধুরী, জাতীয় পার্টি (জাফর) চেয়ারম্যান মোস্তফা জামাল হায়দার,আইএফসি, বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক জসীম উদ্দিন আহমদ, সাবেক সংসদ সদস্য অধ্যাপক শাহরিয়া আখতার বুলু, আতিকুর রহমান সালুর সহধর্মিণী ও স্মারক গ্রন্থের প্রকাশক ফরিদা ইউসুফজাই, বাংলাদেশ লেবার পার্টির চেয়ারম্যান ডা. মোস্তফাফিজুর রহমান ইরান ও স্মারক গ্রন্থের সম্পাদক কামরুল হুদা।
সভায় সভাপতিত্ব করেন নিউইয়র্ক আইএফসির চেয়ারম্যান সৈয়দ টিপু সুলতান এবং সঞ্চালনা করেন আইএফসি, বাংলাদেশের সভাপতি মোস্তফা কামাল মজুমদার।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন নিউইর্য়কস্থ ভাসানী ফাউন্ডেশনের উপদেষ্টা গিয়াস আহমেদ, অধ্যক্ষ শেখ ফিরোজ আহমদ, অধ্যাপক ইসরারুল হক, কামাল উদ্দিন চৌধুরী, অধ্যক্ষ আবদুল মান্নান খান, অ্যাডভোকেট মুজিবুর রহমান, জামালউদ্দিন জামাল, রফিকুল ইসলাম আজাদ ও আতাউর রহমান আতা
১৪৮ দিন আগে
সপ্তাহজুড়ে কেমন ছিল ঢাকার বাতাসের মান
আজ শুক্রবার, সাপ্তাহিক ছুটির দিন। মাঝেমধ্যে ব্যতিক্রম লক্ষ করা গেলেও সপ্তাহজুড়ে বৃষ্টির কারণে ঢাকার বাতাসে বেশ ইতিবাচক প্রভাব পড়তে দেখা গেছে। আজও তার ব্যতিক্রম হয়নি; সপ্তাহের অন্যান্য দিনের মতো শুক্রবারও ঢাকার বাতাস ‘মাঝারি’ শ্রেণিতে রয়েছে।
আজ সকাল সোয়া ৯টার দিকে ঢাকার বাতাসের একিউআই স্কোর ছিল ৫৫। বায়ুমান সূচক অনুযায়ী বলা যায়, ‘মাঝারি’ হলেও ঢাকার বাতাস ‘ভালো’ হয়ে ওঠার থেকে খুব বেশ দূরে নেই। কারণ এই সূচক ০ থেকে ৫০ এর মধ্যে হলে তা ‘ভালো’ হিসেবে গণ্য করা হয়।
এই সপ্তাহে ঢাকার বায়ুদুষণের মাত্রা পর্যবেক্ষণ করলে দেখা যায়, গত শনিবার (২৬ জুলাই) ৬৯ একিউআই স্কোর নিয়ে ‘মাঝারি’ শ্রেণিতেই ছিল ঢাকার বাতাস। পরের দিন তা থেকে কিছুটা উন্নতি হয়, রবিবারের একিউআই স্কোর ছিল ৫৮।
তবে সোমবার বৃষ্টি হওয়া সত্ত্বেও ঢাকার বাতাসের মানে বেশ অবনতি হয়। ওই দিন ঢাকার একিউআই স্কোর ছিল ৯২। যেখানে এই স্কোর ১০১ থেকে ১৫০ হলে ‘সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর’ হিসেবে বিবেচিত হয়। এই পর্যায়ে সংবেদনশীল ব্যক্তিদের দীর্ঘ সময় বাইরে পরিশ্রম না করার পরামর্শ দেওয়া হয়।
এরপর মঙ্গলবার তা আবারও কিছুটা উন্নতি হয়ে স্কোর ওঠে ৮৬-তে। এই স্কোর নিয়ে বিশ্বের দূষিত বাতাসের শহরগুলোর তালিকার ২০তম স্থানে নেমেছিল ঢাকা।
আরও পড়ুন: রাতভর বৃষ্টিতে ঢাকার বাতাসে উন্নতি
পরদিন বুধবার সকালে আরও কিছুটা উন্নতি হয়, সেদিন ঢাকার একিইআই স্কোর ছিল ৭৭। সেই ধারা গতকালও অব্যাহত ছিল। রাতভর ও সকালের বৃষ্টিতে ঢাকার বাতাসের মানে লক্ষণীয় উন্নতি হয়; একিউআই স্কোর উঠে আসে ৫৮-তে।
আজ আরও উন্নতি হয়েছে। ৫৫ স্কোর নিয়ে দূষিত বাতাসের শহরের তালিকার ৬৩তম স্থানে নেমে এসেছে ঢাকা। সাধারণত নিচে নামা নেতিবাচক হলেও এই অবনমন স্বস্তির। কারণ দূষণ থেকে যতটাসম্ভব দূরে থাকা যায়, ততই ভালো।
এদিকে আজ বাতাসের শহর খ্যাত যুক্তরাষ্ট্রের শিকাগো শহর উঠে এসেছে তালিকার তৃতীয় স্থানে, যার একিউআই স্কোর ১৫৬। ১৭৫ ও ১৬৪ স্কোর নিয়ে তালিকার প্রথম ও দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে কঙ্গোর কিনশাসা ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাই।
দূষণের স্কোর ১৫১ থেকে ২০০ হলে ‘অস্বাস্থ্যকর’, ২০১ থেকে ৩০০ হলে ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ এবং ৩০১-এর বেশি হলে তা ‘বিপজ্জনক’ হিসেবে বিবেচিত হয়। জনস্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক ঝুঁকি সৃষ্টি করে ৩০০-এর বেশি যেকোনো সূচক।
বাংলাদেশে একিউআই সূচক নির্ধারিত হয় পাঁচ ধরনের দূষণের ভিত্তিতে— বস্তুকণা (পিএম১০ ও পিএম২.৫), নাইট্রোজেন ডাই-অক্সাইড (এনও₂), কার্বন মনো-অক্সাইড (সিও), সালফার ডাই-অক্সাইড (এসও₂) ও ওজোন।
১৫০ দিন আগে