পরিবেশ-ও-কৃষি
লন্ডন, ওয়াশিংটনের চেয়ে আজ ঢাকার বাতাস স্বাস্থ্যকর
শেষ রাতে মুষলধারে বৃষ্টিপাতের পর রাজধানী ঢাকায় আজ সকালেও ঝরেছে ঝিরিঝিরি বৃষ্টি। এতে রাজধানী শহররের বায়ুদুষণের মাত্রা গতকালের তুলনায় আরও অনেকটা কমেছে। এমনকি বাতাসের মান নির্ণয়কারী ওয়েবসাইট আইকিউ এয়ারের সূচক অনুযায়ী, ঢাকার বাতাস আজ ‘ভালো’ হয়ে ওঠার খুবই কাছাকাছি চলে এসেছে।
বৃহস্পতিবার (২৪ জুলাই) সকাল ৯টার দিকে ঢাকার বাতাসের মান ‘ভালো’ থেকে মাত্র ৫ দূরে ছিল। এ সময় শহরটির একিউআই স্কোর ছিল ৫৫, যেখানে এই স্কোর শূন্য থেকে ৫০-এর মধ্যে থাকলে তা ‘ভালো’ বলে গণ্য করা হয়। স্কোর ৫০ থেকে ১০০-এর মধ্যে থাকলে তা ‘মাঝারি’ হিসেবে শ্রেণিভুক্ত করা হয়।
গত দুদিন ধরেই ঢাকার বাতাসে বাতাসের মানে উন্নতি দেখা গিয়েছে। বৃষ্টি না থাকলেও ঢাকার বাতাস ‘মাঝারি’ পর্যায়ে ছিল। আজও সেই ধারা অব্যাহত রয়েছে। ৫৫ স্কোর নিয়ে ‘মাঝারি’ শ্রেণিভুক্ত হলেও দূষণের মাত্রা অনেকটা কমেছে। গতকাল একই সময়ে ৬১ স্কোর নিয়ে বিশ্বের দূষিত শহরের তালিকার ৪০তম স্থানে ছিল ঢাকা।
ঢাকার বাতাসের এই উন্নতির কারণে যুক্তরাজ্যের লন্ডন ও যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটনের মতো শহরের থেকেও শহরটির অবস্থান ভালো। দূষিত শহরের তালিকায় এই শহর দুটিরও নিচে ৫৮তম স্থানে রয়েছে ঢাকা, যেখানে ৬০ একিউআই স্কোর নিয়ে ওয়াশিংটনে রয়েছে ৪৭ তম স্থানে এবং ৬৬ স্কোর নিয়ে ৪০তম স্থানে রয়েছে লন্ডন।
এদিকে, আজ তালিকার শীর্ষে অবস্থান করছে উগান্ডার কাম্পালা, একিউআই স্কোর ১৮৫। এরপর ১৮৩ ও ১৭৯ স্কোর নিয়ে দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থানে রয়েছে কঙ্গোর কিনশাসা ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাই।
আরও পড়ুন: বায়ুদূষণে শীর্ষ দশে আজ দক্ষিণ এশিয়ার কোনো শহর নেই
এই স্কোর ১০১ থেকে ১৫০ হলে ‘সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর’ হিসেবে বিবেচিত হয়। এই পর্যায়ে সংবেদনশীল ব্যক্তিদের দীর্ঘ সময় বাইরে পরিশ্রম না করার পরামর্শ দেওয়া হয়।
কণা দূষণের এই সূচক ১৫১ থেকে ২০০ হলে তা ‘অস্বাস্থ্যকর’, ২০১ থেকে ৩০০ হলে ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ এবং ৩০১-এর বেশি হলে তা ‘বিপজ্জনক’ হিসেবে বিবেচিত হয়। জনস্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক ঝুঁকি সৃষ্টি করে ৩০০-এর বেশি যেকোনো সূচক।
বাংলাদেশে একিউআই সূচক নির্ধারিত হয় পাঁচ ধরনের দূষণের ভিত্তিতে— বস্তুকণা (পিএম১০ ও পিএম২.৫), নাইট্রোজেন ডাই-অক্সাইড (এনও₂), কার্বন মনো-অক্সাইড (সিও), সালফার ডাই-অক্সাইড (এসও₂) ও ওজোন।
ঢাকা দীর্ঘদিন ধরেই বায়ুদূষণজনিত সমস্যায় ভুগছে। শীতকালে এখানকার বায়ুমান সাধারণত সবচেয়ে খারাপ থাকে, আর বর্ষাকালে তুলনামূলকভাবে উন্নত হয়।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) জানিয়েছে, বায়ুদূষণের কারণে প্রতিবছর বিশ্বে আনুমানিক ৭০ লাখ মানুষের মৃত্যু হয়। এসব মৃত্যুর প্রধান কারণ হলো— স্ট্রোক, হৃদরোগ, দীর্ঘস্থায়ী শ্বাসকষ্ট (সিওপিডি), ফুসফুসের ক্যান্সার এবং শ্বাসযন্ত্রের তীব্র সংক্রমণ।
১৫৮ দিন আগে
বায়ুদূষণে শীর্ষ দশে আজ দক্ষিণ এশিয়ার কোনো শহর নেই
বিশ্বের দূষিত বাতাসের শহরের তালিকার শীর্ষে প্রায়ই দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোকে অবস্থান করতে দেখা যায়। বিশেষত বাংলাদেশের ঢাকা, ভারতের দিল্লি, মুম্বাই এবং পাকিস্তানের লাহোর ও করাচি। তবে আজ এই চিত্রের ব্যতিক্রম দেখা গেছে। এই শহরেরগুলোর বায়ুদূষণ কমেছে।
গতকাল লাহোর ও দিল্লির বাতাসের মানে অবনতি দেখা গেলেও ঢাকার বাতাসের লক্ষণীয় উন্নতি দেখা গিয়েছিল। ৬০ স্কোর নিয়ে শহরটির বাতাস ‘মাঝারি’ শ্রেণিভুক্ত ছিল। আজও ঢাকার বাতাস ‘মাঝারি’ পর্যায়েই রয়েছে।
বুধবার (২৩ জুলাই) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে ৬১ স্কোর নিয়ে দূষিত বাতাসের শহরের তালিকার ৪০তম স্থানে ছিল ঢাকা।
বৃষ্টি কিংবা ছুটির দিন না হলেও বাতাসের মানে এই পরিবর্তন রাজধানীবাসীর মনে স্বস্তি এনেছে। এতে করে বাইরে বের হলে দূষিত বাতাসের কারণে স্বাস্থ্য খারাপ হওয়ার সম্ভাবনা কম থাকে। বিশেষত শিশু ও বৃদ্ধসহ সংবেদনশীল মানুষদের জন্য বায়ুদূষণ অনেক বেশি ক্ষতিকর।
এদিকে, ঢাকার সঙ্গে সঙ্গে আজ দিল্লি ও লাহোরের বাতাসেও দূষণ কমেছে। গতকাল ১৪৯ স্কোর নিয়ে তালিকার তৃতীয় স্থানে থাকা দিল্লি আজ ৭৬ স্কোর নিয়ে দূষিত বাতাসের শহরের তালিকার ১৯তম স্থানে রয়েছে।
অন্যদিকে, গতকাল ১৫৩ স্কোর নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে লাহোর আজ ৫৮ একিউআই স্কোর নিয়ে তালিকার ৪৭তম স্থানে রয়েছে।
আরও পড়ুন: লাহোর ও দিল্লির বাতাসে দূষণ বাড়লেও ঢাকায় লক্ষণীয় উন্নতি
একই সময়ে আজ তালিকার শীর্ষে অবস্থান করছে কঙ্গোর কিনশাসা, একিইআই স্কোর ১৬০। এ ছাড়া, ১৫৮ ও ১৪৩ স্কোর নিয়ে তালিকার দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থানে রয়েছে উগান্ডার কাম্পালা ও চিলির সান্তিয়াগো।
একিউআই স্কোর ১০১ থেকে ১৫০ হলে ‘সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর’ হিসেবে বিবেচিত হয়। এই পর্যায়ে সংবেদনশীল ব্যক্তিদের দীর্ঘ সময় বাইরে পরিশ্রম না করার পরামর্শ দেওয়া হয়।
কণা দূষণের এই সূচক ১৫১ থেকে ২০০ হলে তা ‘অস্বাস্থ্যকর’, ২০১ থেকে ৩০০ হলে ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ এবং ৩০১-এর বেশি হলে তা ‘বিপজ্জনক’ হিসেবে বিবেচিত হয়। জনস্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক ঝুঁকি সৃষ্টি করে ৩০০-এর বেশি যেকোনো সূচক।
বাংলাদেশে একিউআই সূচক নির্ধারিত হয় পাঁচ ধরনের দূষণের ভিত্তিতে— বস্তুকণা (পিএম১০ ও পিএম২.৫), নাইট্রোজেন ডাই-অক্সাইড (এনও₂), কার্বন মনো-অক্সাইড (সিও), সালফার ডাই-অক্সাইড (এসও₂) ও ওজোন।
ঢাকা দীর্ঘদিন ধরেই বায়ুদূষণজনিত সমস্যায় ভুগছে। শীতকালে এখানকার বায়ুমান সাধারণত সবচেয়ে খারাপ থাকে, আর বর্ষাকালে তুলনামূলকভাবে উন্নত হয়।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) জানিয়েছে, বায়ুদূষণের কারণে প্রতিবছর বিশ্বে আনুমানিক ৭০ লাখ মানুষের মৃত্যু হয়। এসব মৃত্যুর প্রধান কারণ হলো— স্ট্রোক, হৃদরোগ, দীর্ঘস্থায়ী শ্বাসকষ্ট (সিওপিডি), ফুসফুসের ক্যান্সার এবং শ্বাসযন্ত্রের তীব্র সংক্রমণ।
১৫৯ দিন আগে
লাহোর ও দিল্লির বাতাসে দূষণ বাড়লেও ঢাকায় লক্ষণীয় উন্নতি
গত দু-তিন দিনে ঢাকায় বৃষ্টিপাত হয়নি, আবার কড়া রোদ ও গরমে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে রাজধানীর মানুষজন। তবে এরই মধ্যে স্বস্তির বিষয় হলো, আজ ঢাকার বাতাসে দূষণের মাত্রা ব্যাপকভাবে কমে বাতাসের মান ‘ভালো’ হয়ে ওঠার কাছাকাছি চলে এসেছে।
মঙ্গলবার (২২ জুলাই) সকাল ৯টার দিকে ঢাকার বাতাসের একিউআই স্কোর ছিল ৬০। যদিও এই স্কোর নিয়ে ‘মাঝারি’ পর্যায়ে রয়েছে শহরটির বাতাস। তবে একিউআই স্কোর শূন্য থেকে ৫০-এর মধ্যে থাকলে তা ‘ভালো’ এবং ৫০ থেকে ১০০-এর মধ্যে থাকলে তা ‘মাঝারি’ বলে গণ্য করা হয়।
গতকালের লক্ষণীয় অবনতির পর আজকের এই পরিবর্তন সত্যিই ইতিবাচক। কারণ গতকাল এই সময়ে ১৫২ স্কোর নিয়ে বিশ্বের দূষিত বাতাসের শহরের তালিকার তৃতীয় স্থানে অবস্থান করছিল ঢাকা। তবে আজ ৬০ একিউআই স্কোর নিয়ে তালিকার ৪৫তম স্থানে রয়েছে শহরটি।
আরও পড়ুন: ‘অস্বাস্থ্যকর’ বাতাস নিয়ে বিশ্বের তৃতীয় দূষিত শহর ঢাকা
এদিকে, গতকাল ৯৯ স্কোর নিয়ে তালিকার দশম স্থানে থাকা ভারতের দিল্লি আজ ১৪৯ স্কোর নিয়ে তালিকার তৃতীয় স্থানে চলে এসেছে। একই সময়ে ১৫৩ স্কোর নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে উঠে এসেছে পাকিস্তানের লাহোর। গতকাল শহরটির স্কোর ছিল ১১৮।
আজ তালিকার শীর্ষে অবস্থান করছে ইন্দোনেশিয়ার জার্কাতা। শহরটির একিউআই স্কোর ১৫৫।
এই স্কোর ১০১ থেকে ১৫০ হলে ‘সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর’ হিসেবে বিবেচিত হয়। এই পর্যায়ে সংবেদনশীল ব্যক্তিদের দীর্ঘ সময় বাইরে পরিশ্রম না করার পরামর্শ দেওয়া হয়।
কণা দূষণের এই সূচক ১৫১ থেকে ২০০ হলে তা ‘অস্বাস্থ্যকর’, ২০১ থেকে ৩০০ হলে ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ এবং ৩০১-এর বেশি হলে তা ‘বিপজ্জনক’ হিসেবে বিবেচিত হয়। জনস্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক ঝুঁকি সৃষ্টি করে ৩০০-এর বেশি যেকোনো সূচক।
বাংলাদেশে একিউআই সূচক নির্ধারিত হয় পাঁচ ধরনের দূষণের ভিত্তিতে— বস্তুকণা (পিএম১০ ও পিএম২.৫), নাইট্রোজেন ডাই-অক্সাইড (এনও₂), কার্বন মনো-অক্সাইড (সিও), সালফার ডাই-অক্সাইড (এসও₂) ও ওজোন।
ঢাকা দীর্ঘদিন ধরেই বায়ুদূষণজনিত সমস্যায় ভুগছে। শীতকালে এখানকার বায়ুমান সাধারণত সবচেয়ে খারাপ থাকে, আর বর্ষাকালে তুলনামূলকভাবে উন্নত হয়।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) জানিয়েছে, বায়ুদূষণের কারণে প্রতিবছর বিশ্বে আনুমানিক ৭০ লাখ মানুষের মৃত্যু হয়। এসব মৃত্যুর প্রধান কারণ হলো— স্ট্রোক, হৃদরোগ, দীর্ঘস্থায়ী শ্বাসকষ্ট (সিওপিডি), ফুসফুসের ক্যান্সার এবং শ্বাসযন্ত্রের তীব্র সংক্রমণ।
১৬০ দিন আগে
তিন জেলায় পলিথিনবিরোধী অভিযান: ৮১০ কেজি নিষিদ্ধ পলিথিন জব্দ ও কারখানা বন্ধ
তিন জেলায় পলিথিনবিরোধী অভিযান চালিয়ে ৮১০ কেজি নিষিদ্ধ পলিথিন জব্দ করেছে পরিবেশ অধিদপ্তরের ভ্রাম্যমাণ আদালত। এসময় কয়েকটি কারখান বন্ধও করে দেওয়া হয়।
সোমবার (২১ জুলাই)পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা দীপংকর বরের পাঠানো প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানা যায়।
এতে বলা হয়, বাংলাদেশ পরিবেশ সংরক্ষণ আইন, ১৯৯৫ (সংশোধিত-২০১০) এর ৬(ক) ধারা লঙ্ঘনের দায়ে পিরোজপুর, গাজীপুর ও নারায়ণগঞ্জ জেলায় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে নিষিদ্ধ ঘোষিত পলিথিন উৎপাদন, বিক্রয়, সরবরাহ ও বাজারজাতের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছে পরিবেশ অধিদপ্তর।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, অভিযানে তিন জেলায় ৩টি ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে ২টি মামলায় সর্বমোট ৩৫ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়। পাশাপাশি ৮১০ কেজি নিষিদ্ধ পলিথিন, ২টি ওজন মাপার যন্ত্র, ৩টি পলিথিন উৎপাদন মেশিন এবং ১টি বৈদ্যুতিক মিটার জব্দ করা হয়।
এতে আরও বলা হয়, গাজীপুরে অভিযানে একটি অবৈধ পলিথিন কারখানার বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করাসহ তা বন্ধ করে দেওয়া হয়।
অভিযানের অংশ হিসেবে কয়েকটি সুপারশপসহ স্থানীয় দোকানমালিক ও সাধারণ জনগণকে নিষিদ্ধ পলিথিন ব্যবহারের ক্ষতিকর দিক সম্পর্কে সচেতন করা হয় এবং ভবিষ্যতে আইন লঙ্ঘন না করার জন্য সতর্ক করা হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে পলিথিন দূষণ রোধে জনসচেতনতা বৃদ্ধি এবং পরিবেশবান্ধব বিকল্প ব্যবহারে উৎসাহ দেওয়া হয়।
১৬০ দিন আগে
‘অস্বাস্থ্যকর’ বাতাস নিয়ে বিশ্বের তৃতীয় দূষিত শহর ঢাকা
টানা কয়েকদিন বৃষ্টি না হওয়ার ফলে ঢাকার পরিবেশ যেন পুরোনো রূপে ফিরতে শুরু করেছে। বৃষ্টির কারণে বেশ কয়েকদিন ঢাকার বাতাস ‘মাঝারি’ পর্যায়ে ছিল। তবে আজ শহরটির বাতাস বাসিন্দাদের জন্য হয়ে উঠেছে ‘অস্বাস্থ্যকর’।
সোমবার (২১ জুলাই) সকাল ৯টার দিকে ঢাকার একিউআই স্কোর ছিল ১৫২। এই স্কোর নিয়ে বিশ্বের দূষিত বাতাসের শহরের তালিকার তৃতীয় স্থানে উঠে এসেছে ঢাকা।যেখানে গতকাল এই সময়ে ঢাকার একিউআই স্কোর ছিল ৬২। ‘ভালো’ না হলেও মোটামুটি কাছাকাছিই ছিল, তবে আজ সকালেই শহরটির বাতাস ‘অস্বাস্থ্যকর’ হয়ে উঠেছে।
বৃষ্টির প্রভাবে টানা কয়েকদিন ঢাকার বাতাস ‘মাঝারি’ পর্যায়ে ছিল। কখনো কখনো তা ‘ভালো’ হয়ে ওঠার কাছাকাছি চলে গেলেও বৃষ্টি না হওয়ায় আবার বেড়েছে বায়ুদূষণ। মাঝারি থেকে একদিনের ব্যবধানে শহরটির বাতাস ‘অস্বাস্থ্যকর’ হয়ে উঠেছে।
ঢাকার সঙ্গে দক্ষিণ এশিয়ার যে আরও দুটি শহর দূষিত বাতাসের তালিকার শীর্ষে রয়েছে, সেগুলো হলো— ভারতের দিল্লি ও পাকিস্তানের লাহোর। এ দুটি শহরে কিন্তু ঢাকার মতো এত অবনতি দেখা যায়নি বায়ুমানের ক্ষেত্রে। ৯৯ স্কোর নিয়ে তালিকার ১০ম স্থানে রয়েছে দিল্লি।
আরও পড়ুন: বায়ুদূষণে দিল্লিকে টেক্কা দিয়েছে কলকাতা, ঢাকার চেয়ে ভালো অবস্থানে মুম্বাই
অন্যদিকে, ১১৮ স্কোর নিয়ে তালিকার ৬ষ্ঠ স্থানে রয়েছে লাহোর। যেখানে গতকাল ১৪৯ একিউআই স্কোর নিয়ে তৃতীয় স্থানে ছিল লাহোর। সে তুলনায় আজ লাহোরের বায়ুমানে কিছুটা উন্নতি লক্ষ করা গেছে।
এদিকে, আজ একই সময়ে ১৫৯ একিউআই স্কোর নিয়ে বিশ্বের শীর্ষ দূষিত শহর ছিল উগান্ডার কাম্পালা। ১৫৪ ও ১৩৭ স্কোর নিয়ে তালিকার দ্বিতীয় ও চতুর্থ স্থানে ছিল যথাক্রমে চিলির সান্তিয়াগো ও ইন্দোনেশিয়ার জার্কাতা।
সাধারণত, একিউআই স্কোর শূন্য থেকে ৫০-এর মধ্যে থাকলে তা ‘ভালো’ এবং ৫০ থেকে ১০০-এর মধ্যে থাকলে তা ‘মাঝারি’ বলে গণ্য করা হয়। এরপর এই স্কোর ১০১ থেকে ১৫০ হলে ‘সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর’ হিসেবে বিবেচিত হয়। এই পর্যায়ে সংবেদনশীল ব্যক্তিদের দীর্ঘ সময় বাইরে পরিশ্রম না করার পরামর্শ দেওয়া হয়।
কণা দূষণের এই সূচক ১৫১ থেকে ২০০ হলে তা ‘অস্বাস্থ্যকর’, ২০১ থেকে ৩০০ হলে ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ এবং ৩০১-এর বেশি হলে তা ‘বিপজ্জনক’ হিসেবে বিবেচিত হয়। জনস্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক ঝুঁকি সৃষ্টি করে ৩০০-এর বেশি যেকোনো সূচক।
বাংলাদেশে একিউআই সূচক নির্ধারিত হয় পাঁচ ধরনের দূষণের ভিত্তিতে— বস্তুকণা (পিএম১০ ও পিএম২.৫), নাইট্রোজেন ডাই-অক্সাইড (এনও₂), কার্বন মনো-অক্সাইড (সিও), সালফার ডাই-অক্সাইড (এসও₂) ও ওজোন।
ঢাকা দীর্ঘদিন ধরেই বায়ুদূষণজনিত সমস্যায় ভুগছে। শীতকালে এখানকার বায়ুমান সাধারণত সবচেয়ে খারাপ থাকে, আর বর্ষাকালে তুলনামূলকভাবে উন্নত হয়।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) জানিয়েছে, বায়ুদূষণের কারণে প্রতিবছর বিশ্বে আনুমানিক ৭০ লাখ মানুষের মৃত্যু হয়। এসব মৃত্যুর প্রধান কারণ হলো— স্ট্রোক, হৃদরোগ, দীর্ঘস্থায়ী শ্বাসকষ্ট (সিওপিডি), ফুসফুসের ক্যান্সার এবং শ্বাসযন্ত্রের তীব্র সংক্রমণ।
১৬১ দিন আগে
টেকসই বিনিয়োগে বৈশ্বিক প্রতিশ্রুতি জরুরি: পরিবেশ উপদেষ্টা
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন এবং পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, টেকসই বিনিয়োগ শুধু কোনো একটি দেশের লক্ষ্য নয়—এটি হতে হবে বৈশ্বিক প্রতিশ্রুতি।
‘আমাদের টেকসই লেনদেন ও টেকসই বিনিয়োগ—উভয়ের প্রতিই মনোযোগ দিতে হবে। টেকসই উন্নয়নে ন্যায্যতা থাকতে হবে। যদি সম্পদনির্ভর অর্থনীতিগুলো অসামঞ্জস্যপূর্ণ হারে ভোগ করতে থাকে, তাহলে কোনো বৈশ্বিক টেকসই কাঠামোই টিকবে না।’
রবিবার (২০ জুলাই) ঢাকার বনানীর একটি হোটেলে আমেরিকান চেম্বার অব কমার্স ইন বাংলাদেশ (অ্যামচ্যাম) আয়োজিত ‘অ্যামচ্যাম ডায়ালগ অন ফস্টারিং সাসটেইনেবল ইনভেস্টমেন্ট’ শীর্ষক আলোচনায় তিনি প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
টেক্সটাইল ও জ্বালানি খাতকে বিশেষভাবে গুরুত্ব দিয়ে তিনি বলেন, শিল্পখাতে পানির ব্যবহার নিয়ে যে নীতিমালার খসড়া হয়েছে, তা চূড়ান্ত করার সময় এসেছে। ভূগর্ভস্থ পানিকে কেউ যেন আর বিনামূল্যে না নেয়, তার যথাযথ মূল্য নির্ধারণ করতে হবে। একবার যখন শিল্পকারখানাগুলো এর মূল্য পরিশোধ করবে, তখন তারা পানির ব্যবহার নিয়েও দায়িত্বশীল হবে।
তিনি আরও বলেন, টেক্সটাইল খাতে এখনো কিছু বিষাক্ত রাসায়নিক ব্যবহার হচ্ছে, যা রপ্তানিমুখী পণ্যে না হলেও স্থানীয় বাজারে ব্যবহৃত হচ্ছে। এ বিষয়ে একটি বাধ্যতামূলক কেমিক্যাল ব্যবস্থাপনা বিধিমালা জরুরি—এটি জনস্বাস্থ্যের প্রশ্ন।
জ্বালানি বিষয়ে তিনি জানান, সরকার নবায়নযোগ্য জ্বালানি নীতিমালা গ্রহণ করেছে, যেখানে ২০৩০ সালের মধ্যে ৩০ শতাংশ নবায়নযোগ্য জ্বালানির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। প্রত্যেক সরকারি দপ্তরে নবায়নযোগ্য জ্বালানির সংযোগ বাধ্যতামূলক করা হচ্ছে। এটি শুধু একটি নীতিগত অঙ্গীকার নয়, বাস্তবায়নের শুরু।
জলবায়ু ন্যায়বিচারের প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, বাংলাদেশ জলবায়ু পরিবর্তনের অন্যতম শিকার হলেও এর দায় আমাদের নয়। তাই একটি ন্যায্য বৈশ্বিক টেকসই ব্যবস্থার প্রয়োজন।
তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন সংশোধন নিয়ে চলমান আলোচনার বিষয়ে তিনি বলেন, সরকার সকল অংশীজনের সঙ্গে আলোচনা করেই সিদ্ধান্ত নেবে। জনস্বাস্থ্যের বিষয়টি এখানে অগ্রাধিকার পাবে। সিঙ্গাপুরের মতো সফল মডেল আমাদের অনুপ্রেরণা হওয়া উচিত, যেখানে আইন লঙ্ঘনের হার মাত্র ৫ শতাংশ।
তিনি বলেন, টেকসই বিনিয়োগকে শুধু উৎপাদকের দায় হিসেবে দেখলে চলবে না। এর ব্যয় ন্যায্যভাবে ক্রেতা ও উৎপাদক—উভয়ের মধ্যে ভাগ করে নেওয়া উচিত, যাতে আমাদের অর্থনীতির ভিত্তি যাঁরা তৈরি করছেন, সেই লক্ষ লক্ষ শ্রমিকের ন্যায্য সুরক্ষা নিশ্চিত হয়।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন অ্যামচ্যাম সভাপতি সৈয়দ এরশাদ আহমেদ, অ্যামচ্যামের সাবেক সভাপতি ও অর্থনীতিবিদ ফরেস্ট ই. কুকসন, এবং অ্যামচ্যাম সহ-সভাপতি ও চেভরন বাংলাদেশের প্রেসিডেন্ট এরিক এম. ওয়াকার। রিকাভার, শেভরন বাংলাদেশ ও ফিলিপ মরিসের প্রতিনিধিরা তাদের পরিবেশবান্ধব উদ্যোগ নিয়ে পাওয়ার পয়েন্ট উপস্থাপনা করেন।
১৬১ দিন আগে
বায়ুদূষণে দিল্লিকে টেক্কা দিয়েছে কলকাতা, ঢাকার চেয়ে ভালো অবস্থানে মুম্বাই
মেছাচ্ছন্ন আকাশ নিয়ে রবিবারের সকাল শুরু করা ঢাকার বাতাসে দূষণের মাত্রা আজও ‘মাঝারি’, তবে আজ কয়েকটি বিষয় লক্ষ করা গেছে।
সাধারণত বাতাসের মান নির্ণয়কারী ওয়েবসাইট আইকিউ এয়ারের শীর্ষ দূষিত শহরগুলোর মধ্যে থাকতে দেখা যায় ঢাকা, লাহোর ও দিল্লিকে। কিন্তু বৃষ্টির কারণে ঢাকা ও দিল্লির অবস্থায় তার থেকে উন্নতি হয়েছে। কিছুদিন ধরে শহরদুটির বায়ুমান ‘মাঝারি’ শ্রেণিতে অবস্থান করছে। আজও তার ব্যতিক্রম হয়নি।
রবিবার (২০ জুলাই) সকাল ৯টার দিকে দিল্লি ৭০ এবং ঢাকার একিউআই স্কোর ছিল ৬২। ফলে তালিকার শীর্ষস্থানগুলোর বেশ নিচে অবস্থান করছিল এই দুই শহর। একইসঙ্গে ১৪৯ একিউআই স্কোর নিয়ে বরাবরের মতোই শীর্ষ পাঁচে ছিল লাহোর।
তবে লক্ষণীয় বিষয় হলো, ভারতের দূষিত বায়ুর শহরগুলোর মধ্যে সবার উপরে থাকে দিল্লি। রাজধানী শহরের চেয়ে সাধারণত অনেক ভালো অবস্থায় থাকে কলকাতা ও মুম্বাই। কিন্তু আজ একই সময়ে কলকাতার দূষণের স্কোর দিল্লির চেয়ে ৭ বেশি, অর্থাৎ ৭৭। ফলে তালিকার অষ্টাদশ স্থানে থাকা দিল্লিকে টপকে একাদশ স্থানে উঠে গেছে পশ্চিমবঙ্গের এই শহর।
এদিকে, ৬২ একিউআই স্কোর নিয়ে তালিকার বেশ নিচে, নির্দিষ্ট করে বললে ৩২তম স্থানে থাকলেও ভারতের বাণিজ্যিক রাজধানী মুম্বাইয়ের চেয়ে ভালো অবস্থানে নেই ঢাকা। শহরটির দূষণের স্কোর ঢাকার চেয়ে এক কম। তালিকায় এর স্থান ঢাকার পরেই।
অন্যদিকে, ১৭০ একিউইউ স্কোর নিয়ে এই সময়ে বিশ্বের শীর্ষ দূষিত শহর ছিল কঙ্গোর কিনশাসা। এরপর ১৫৩ ও ১৪৯ স্কোর নিয়ে দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থানে ছিল উগান্ডার কাম্পালা ও পাকিস্তানের লাহোর। এ ছাড়া ১৩৫ একিউআই স্কোর নিয়ে চতুর্থ স্থানে মালয়েশিয়ার রাজধানী কুয়ালালামপুর এবং ১৩৪ নিয়ে পঞ্চম স্থানে ছিল চিলির সান্তিয়াগো।
আরও পড়ুন: ঢাকার বায়ুমানে আরও অবনতি, তবে চমক দেখিয়েছে মিসর
একিউআই স্কোর শূন্য থেকে ৫০-এর মধ্যে থাকলে তা ‘ভালো’ এবং ৫০ থেকে ১০০ মধ্যে থাকলে তা ‘মাঝারি’ বলে গণ্য করা হয়। এরপর এই স্কোর ১০১ থেকে ১৫০ হলে ‘সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর’ বলে গণ্য করা হয়। এই পর্যায়ে সংবেদনশীল ব্যক্তিদের দীর্ঘ সময় বাইরে পরিশ্রম না করার পরামর্শ দেওয়া হয়।
কণা দূষণের এই সূচক ১৫১ থেকে ২০০ হলে ‘অস্বাস্থ্যকর’, ২০১ থেকে ৩০০ হলে ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ এবং ৩০১-এর বেশি হলে তা ‘বিপজ্জনক’ হিসেবে বিবেচিত হয়। জনস্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক ঝুঁকি সৃষ্টি করে ৩০০-এর বেশি যেকোনো সূচক।
বাংলাদেশে একিউআই সূচক নির্ধারিত হয় পাঁচ ধরনের দূষণের ভিত্তিতে— বস্তুকণা (পিএম১০ ও পিএম২.৫), নাইট্রোজেন ডাই-অক্সাইড (এনও₂), কার্বন মনো-অক্সাইড (সিও), সালফার ডাই-অক্সাইড (এসও) ও ওজোন।
ঢাকা দীর্ঘদিন ধরেই বায়ুদূষণজনিত সমস্যায় ভুগছে। শীতকালে এখানকার বায়ুমান সাধারণত সবচেয়ে খারাপ থাকে, আর বর্ষাকালে তুলনামূলকভাবে উন্নত হয়।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) জানিয়েছে, বায়ুদূষণের কারণে প্রতিবছর বিশ্বে আনুমানিক ৭০ লাখ মানুষের মৃত্যু হয়। এসব মৃত্যুর প্রধান কারণ হলো স্ট্রোক, হৃদরোগ, দীর্ঘস্থায়ী শ্বাসকষ্ট (সিওপিডি), ফুসফুসের ক্যান্সার এবং শ্বাসযন্ত্রের তীব্র সংক্রমণ।
১৬২ দিন আগে
মিরপুর পাখির হাটে বন অধিদপ্তরের অভিযান: ৬১ পাখি ও দুটি কচ্ছপ উদ্ধার
রাজধানীর মিরপুর-১ এর পাখির হাটে অভিযান চালিয়ে ৬১টি পাখি ও দুটি কচ্ছপ উদ্ধার করা হয়েছে। শুক্রবার (১৮ জুলাই) ১০টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত বন্যপ্রাণী সুরক্ষা আইন বাস্তবায়নে বন অধিদপ্তরের বন্যপ্রাণী অপরাধ দমন ইউনিট এই অভিযান চালায়।
উদ্ধার করা পাখিগুলোর মধ্যে রয়েছে— ৪১টি টিয়া, ৩টি হরিয়াল ও ঘুঘু, ১০টি মুনিয়া এবং ৫টি শালিক। এছাড়া উদ্ধার করা হয়েছে ২টি কচ্ছপ। অভিযান শেষে দুপুরে মিরপুর বোটানিক্যাল গার্ডেনে পাখিগুলো অবমুক্ত করা হয়।
বন্যপ্রাণী অপরাধ দমন ইউনিট জানায়, পাখি এবং অন্যান্য বন্যপ্রাণী বিক্রি ও খাঁচাবন্দি রাখা বাংলাদেশ বন্যপ্রাণী (সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা) আইন, ২০১২ অনুযায়ী দণ্ডনীয় অপরাধ। জনসচেতনতা বাড়ানো এবং অবৈধ বন্যপ্রাণীর বাণিজ্য বন্ধে এ ধরনের অভিযান নিয়মিত পরিচালিত হচ্ছে।
বন অধিদপ্তরের প্রধান বন সংরক্ষক আমীর হোসাইন চৌধুরী জানান, প্রকৃতিতে বন্যপ্রাণীর স্বাধীন বিচরণই তাদের প্রাকৃতিক অধিকার। শহরের পাখির হাটগুলোতে যেভাবে অসংখ্য বন্য প্রাণী খাঁচায় বন্দি হয়ে বিক্রি হচ্ছে, তা শুধু বেআইনি নয়—নিষ্ঠুরও বটে। তিনি জানান, উদ্ধার প্রাণিগুলো প্রাথমিক পর্যবেক্ষণ শেষে নিরাপদ পরিবেশে অবমুক্ত করা হয়েছে।
বন অধিদপ্তর সকল নাগরিককে বন্যপ্রাণী কেনাবেচা ও খাঁচায় পোষা থেকে বিরত থাকতে এবং এ ধরনের বেআইনি কার্যকলাপের তথ্য দিয়ে সহযোগিতার আহ্বান জানিয়েছে। এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে বলেও জানানো হয়।
১৬৩ দিন আগে
ঢাকার বায়ুমানে আরও অবনতি, তবে চমক দেখিয়েছে মিসর
আজ শুক্রবার, সাপ্তাহিক ছুটির দিন। এ কারণে ঢাকার সড়কে যান চলাচল ও জনসমাগম দুই-ই কম। তা সত্ত্বেও আজ ঢাকার বাতাসে উন্নতির দেখা নেই। টানা কয়েকদিন শহরটির বায়ুমান ‘মাঝারি’ পর্যায়ে থাকলেও, আজ তা ‘সংবেদনশীলদের জন্য অস্বাস্থ্যকার’ হয়ে উঠেছে।
আজ (১৮ জুলাই) সকাল ৯টা ৬ মিনিটে ঢাকার বাতাসের একিউআই স্কোর বেড়ে দাঁড়ায় ১২৩ এ। এই স্কোর নিয়ে আবারও বিশ্বের দূষিত বাতাসের শহরের তালিকার শীর্ষ দশে চলে এসেছে শহরটি।
গত কয়েকদিন মৌসুমি বৃষ্টির প্রভাবে শহরটির বায়ুমানে পরিবর্তন দেখা গিয়েছিল। ‘ভালো’ হতে না পারলেও বেশ কয়েকদিন ধরেই ঢাকার বাতাসের মান ‘মাঝারি’ ছিল। গতকাল সকালে বৃষ্টির পরে একিউআই স্কোর ছিল ৬৮।
তবে বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে মেঘ কেটে রোদ উঠতে শুরু করে। এরপর থেকে আর বৃষ্টিপাত হয়নি। আজ সকালেও ঝকঝকে আকাশে সোনালি রোদ দেখা গেছে। রোদের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে যেন বাড়তে শুরু করেছে বায়ু দূষণের মাত্রা। ফলে এক দিনের ব্যবধানে ৬৮ থেকে একিইআই স্কোর গিয়ে দাঁড়িয়েছে ১২৩ এ।
একিউআই স্কোর শূন্য থেকে ৫০-এর মধ্যে থাকলে তা ‘ভালো’ এবং ৫০ থেকে ১০০ মধ্যে থাকলে তা ‘মাঝারি’ বলে গণ্য করা হয়। এরপর এই স্কোর ১০১ থেকে ১৫০ হলে ‘সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর’ বলে গণ্য করা হয়। এই পর্যায়ে সংবেদনশীল ব্যক্তিদের দীর্ঘ সময় বাইরে পরিশ্রম না করার পরামর্শ দেওয়া হয়।
একই সময়ে আজ আবার তালিকার শীর্ষে অবস্থান করছে কঙ্গোর কিনশাসা, শহরটির স্কোর ১৭৪। আশ্চর্যের বিষয় হলো গতকাল তালিকার শীর্ষে থাকা মিসরের কায়রো আজ নেমে গেছে ৩৫ তম স্থানে, শহরটির একিউআই স্কোর মাত্র ৬৪।
একই সঙ্গে পাকিস্তানের লাহোরের বাতাসেও ঢাকার মতো অবনতি দেখা গেছে, কয়েকদিন ইতিবাচক পরিবর্তন দেখা দিলেও আজ আবার ১৫৯ স্কোর নিয়ে তালিকার তৃতীয় স্থানে চলে এসেছে। দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে ইন্দোনেশিয়ার জার্কাতা, স্কোর ১৬৭।
আরও পড়ুন: ঢাকার বায়ুদূষণে আজ বৃষ্টির প্রভাব
কণা দূষণের এই সূচক ১৫১ থেকে ২০০ হলে ‘অস্বাস্থ্যকর’, ২০১ থেকে ৩০০ হলে ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ এবং ৩০১-এর বেশি হলে তা ‘বিপজ্জনক’ হিসেবে বিবেচিত হয়। জনস্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক ঝুঁকি সৃষ্টি করে ৩০০-এর বেশি যেকোনো সূচক।
বাংলাদেশে একিউআই সূচক নির্ধারিত হয় পাঁচ ধরনের দূষণের ভিত্তিতে— বস্তুকণা (পিএম১০ ও পিএম২.৫), নাইট্রোজেন ডাই-অক্সাইড (এনও₂), কার্বন মনো-অক্সাইড (সিও), সালফার ডাই-অক্সাইড (এসও) ও ওজোন।
ঢাকা দীর্ঘদিন ধরেই বায়ুদূষণজনিত সমস্যায় ভুগছে। শীতকালে এখানকার বায়ুমান সাধারণত সবচেয়ে খারাপ থাকে, আর বর্ষাকালে তুলনামূলকভাবে উন্নত হয়।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) জানিয়েছে, বায়ুদূষণের কারণে প্রতিবছর বিশ্বে আনুমানিক ৭০ লাখ মানুষের মৃত্যু হয়। এসব মৃত্যুর প্রধান কারণ হলো স্ট্রোক, হৃদরোগ, দীর্ঘস্থায়ী শ্বাসকষ্ট (সিওপিডি), ফুসফুসের ক্যান্সার এবং শ্বাসযন্ত্রের তীব্র সংক্রমণ।
১৬৪ দিন আগে
ঢাকার বায়ুদূষণে আজ বৃষ্টির প্রভাব
মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে টানা বৃষ্টিপাত হচ্ছে ঢাকায়, আজ সকালেও সেই ধারা অব্যাহত রয়েছে। এতে টানা দুই দিনের অবনতির পর আজ সকালে ঢাকার বায়ুমানে উন্নতি লক্ষ করা গেছে। উন্নতির এই ধারা বজায় থাকলে শহরটির বাতাসের মান ‘ভালো’ পর্যন্ত হয়ে উঠতে পারে, তখন বাসিন্দারা স্বস্তিতে নিশ্বাস নিতে পারবেন।
বৃহস্পতিবার (১৭ জুলাই) সকাল সোয়া ৯টায় ঢাকার বাতাসের একিউআই স্কোর ছিল ৬৮। একিউআই স্কোর শূন্য থেকে ৫০-এর মধ্যে থাকলে তা ‘ভালো’ এবং ৫০ থেকে ১০০ মধ্যে থাকলে তা ‘মাঝারি’ বলে গণ্য করা হয়।
তাই বায়ুমান সূচক অনুযায়ী গত কয়েকদিনের মতো ‘মাঝারি’ পর্যায়ে অবস্থান করলেও স্কোরের ইতিবাচক পরিবর্তন হয়েছে। ৬৮ স্কোর নিয়ে আজ দূষিত বাতাসের শহরের তালিকার ৩০তম স্থানে রয়েছে ঢাকা।
গতকাল একই সময়ে একিউআই স্কোর ৯০ নিয়ে ২৪তম স্থানে ছিল ঢাকা। গত দুই দিনই ঢাকার বাতাস ‘সংবেদনশীলদের জন্য অস্বাস্থ্যকর’ হয়ে ওঠার প্রায় কাছাকাছি চলে গিয়েছিল। সেখান থেকে আজ বেশ কিছুটা উন্নতি হয়েছে।
এদিকে, টানা কয়েকদিন শীর্ষে থাকার পর আজ দূষিত শহরের তালিকার দ্বিতীয় স্থানে নেমেছে কঙ্গোর কিনশাসা। একই সময়ে শহটির একিউআই স্কোর ছিল ১৭৪। কিনশাসাকে হটিয়ে এ সময় শীর্ষে অবস্থান করছিল মিসরের কায়রো, শহরটির স্কোর ছিল ২৩০। এ ছাড়া ১৬৩ স্কোর নিয়ে তালিকার তৃতীয় স্থানে রয়েছে সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাই।
আরও পড়ুন: ঢাকার বাতাসে আজ আরও অবনতি
কণা দূষণের এই সূচক ১৫১ থেকে ২০০ হলে ‘অস্বাস্থ্যকর’, ২০১ থেকে ৩০০ হলে ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ এবং ৩০১-এর বেশি হলে তা ‘বিপজ্জনক’ হিসেবে বিবেচিত হয়। জনস্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক ঝুঁকি সৃষ্টি করে ৩০০-এর বেশি যেকোনো সূচক।
বাংলাদেশে একিউআই সূচক নির্ধারিত হয় পাঁচ ধরনের দূষণের ভিত্তিতে— বস্তুকণা (পিএম১০ ও পিএম২.৫), নাইট্রোজেন ডাই-অক্সাইড (এনও₂), কার্বন মনো-অক্সাইড (সিও), সালফার ডাই-অক্সাইড (এসও₂) ও ওজোন।
ঢাকা দীর্ঘদিন ধরেই বায়ুদূষণজনিত সমস্যায় ভুগছে। শীতকালে এখানকার বায়ুমান সাধারণত সবচেয়ে খারাপ থাকে, আর বর্ষাকালে তুলনামূলকভাবে উন্নত হয়।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) জানিয়েছে, বায়ুদূষণের কারণে প্রতিবছর বিশ্বে আনুমানিক ৭০ লাখ মানুষের মৃত্যু হয়। এসব মৃত্যুর প্রধান কারণ হলো স্ট্রোক, হৃদরোগ, দীর্ঘস্থায়ী শ্বাসকষ্ট (সিওপিডি), ফুসফুসের ক্যান্সার এবং শ্বাসযন্ত্রের তীব্র সংক্রমণ।
১৬৫ দিন আগে