সারাদেশ
মধ্যরাতে সিলেট অঞ্চলে দুইবার ভূমিকম্প
সিলেট ও মৌলভীবাজারে পাঁচ মিনিটের ব্যবধানে দুটি মৃদু ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে।
বুধবার (১০ ডিসেম্বর) দিবাগত রাত ২টা ২০ মিনিট ৩১ সেকেন্ডে এবং এর পাঁচ মিনিট পর ২টা ২৫ মিনিট ১৪ সেকেন্ডে এ কম্পন অনুভূত হয়।
বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের সিসমিক অবজারভেটরির তথ্যমতে, রিখটার স্কেলে প্রথম ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল ৩.৫ এবং উৎপত্তিস্থল সিলেট জেলার বিয়ানীবাজার উপজেলায়। পরের ভূমিকম্পটির মাত্রা ছিল ৩.৩ এবং এর উৎপত্তিস্থল ছিল বিয়ানীবাজারের পার্শ্ববর্তী মৌলভীবাজার জেলার বড়লেখা উপজেলায়।
সিলেট আবহাওয়া অধিদপ্তরের সহকারি আবহাওয়াবিদ শাহ মো. সজীব হোসেন সিসমিক সেন্টারের বরাতে এ সকল তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তবে এখন পর্যন্ত এ ভূমিকম্পের কোনো ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি।
এর আগে, গত শুক্রবার (২১ নভেম্বর) ও পরদিন শনিবার প্রায় ৩১ ঘণ্টার মধ্যে ঢাকা ও এর আশপাশে চারবার ভূমিকম্প হয়। এর মধ্যে শুক্রবার সকালে ঢাকা থেকে প্রায় ২৫ কিলোমিটার দূরে রিখটার স্কেলে ৫ দশমিক ৭ মাত্রার ভূমিকম্পটির উৎস ছিল নরসিংদীর মাধবদী। উৎপত্তিস্থলের গভীরতা ছিল ভূপৃষ্ঠ থেকে ১০ কিলোমিটার গভীরে।
শুক্রবারের ভূমিকম্পে দুই শিশুসহ ১০ জন প্রাণ হারান। এর মধ্যে ঢাকায় চারজন, নরসিংদীতে পাঁচজন ও নারায়ণগঞ্জে একজন নিহত হন। এ ছাড়া বিভিন্ন জেলায় কয়েকশ’ মানুষ আহত হন।
১৮ দিন আগে
ভারতে নিখোঁজ বাংলাদেশি যুবকের মরদেহ উদ্বার
চাঁপাইনবাবগঞ্জের বাখের আলী সীমান্তের ওপারে ভারতীয় অংশে নদী থেকে বাংলাদেশি এক যুবকের মরদেহ উদ্ধার করেছে দেশটির পুলিশ।
বুধবার (১০ ডিসেম্বর) দুপুরে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের মালদা জেলার জঙ্গিপুর বাইজিতপুর এলাকার ভাগিরথী নদী থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
নিহত যুবক তসির আলী (৩১) চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলার চরবাগডাঙ্গা ইউনিয়নের বাখের আলী পশ্চিমপাড়ার ইব্রাহিম হকের ছেলে ।
নিহতের স্বজন, স্থানীয় বাসিন্দা ও বিজিবি সূত্রে জানা যায়, তিন দিন আগে রাতের অন্ধকারে চোরাচালানের জন্য তসির আলীসহ কয়েক যুবক সীমান্ত পেরিয়ে ভারতে অনুপ্রবেশ করেন। এ সময় ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী-বিএসএফ তাদের তাড়া করলে তারা পালিয়ে এলেও তসির নিখোঁজ ছিলেন।
ঘটনার পর বুধবার দুপুরে সীমান্তের শূণ্যরেখা থেকে প্রায় ৭ কিলোমিটার ভারতের ভেতরে নদীতে মরদেহটি ভাসতে দেখে থানায় খবর দেন স্থানীয়রা। খবর পেয়ে ভারতীয় পুলিশ তসির আলীর মরদেহ উদ্ধার করে নিয়ে যায়।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ ৫৩ বিজিবি ব্যাটলিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল কাজী মুস্তাফিজুর রহমান জানান, তসির আলী তিন দিন ধরে নিখোঁজ ছিলেন। ওপারে নদীতে মরদেহ ভাসতে দেখে ভারতের পুলিশ তা উদ্ধার করে নিয়ে গেছে বলে তার পরিবারের পক্ষ থেকে আমাদের কাছে জানানো হয়েছে। তবে কীভাবে তার মৃত্যু হয়েছে, সেটি নিশ্চিত নই।
তিনি আরও জানান, বিষয়টি নিয়ে আজ (বৃহস্পতিবার) সকাল সাড়ে ১০টায় বিজিবি ও বিএসএফের মধ্যে কোম্পানি কমান্ডার পর্যায়ে পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৈঠকে আনুষ্ঠানিকভাবে ওই যুবকের পরিচয় ও ছবি বিএসএফের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। যুবকের পরিচয় নিশ্চিত হলে মরদেহ হস্তান্তরের বিষয়ে বিএসএফ বিজিবিকে জানাবে বলে কথা হয়েছে।
১৮ দিন আগে
খুলনায় গৃহবধূর রক্তাক্ত মরদেহ উদ্ধার, ছেলে নিখোঁজ
খুলনায় একটি বাসা থেকে শিউলী (৪৫) বেগম নামে এক গৃহবধূর রক্তাক্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
বুধবার (১০ ডিসেম্বর) দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে নগরীর ট্যাংক রোডের রবিউল ইসলামের বাড়ি থেকে ওই মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
নিহত গৃহবধূ মো. সালাউদ্দিন খানের স্ত্রী। ছেলে রিয়াদকে সঙ্গে নিয়ে তিনি ওই বাসায় ভাড়া থাকতেন।
এই মৃত্যু নিয়ে প্রতিবেশীদের ধারণা, রিয়াদই তার মাকে হত্যা করেছে।
সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) শাহজাহান আহম্মেদ জানান, কে বা কারা শিউলীকে হত্যা করেছে, সে বিষয়ে পুলিশ তদন্ত করছে। তবে মায়ের মৃত্যুর পর থেকেই রিয়াদকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না।
স্থানীয়দের বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, রিয়াদ পেশায় একজন টাইলস মিস্ত্রী। ওই কাজে কষ্ট হয় জেনে ট্যাংক রোডের মাথায় তাকে একটি দোকান করে দেন তার মা। এদিকে, ৪০ দিন আগে প্রথম স্বামীকে ছেড়ে মো. সাগর নামের একজনকে দ্বিতীয় বিয়ে করেন শিউলী বেগম। এরপর ৫-৬ দিন আগে ব্যাংক থেকে ৫ লাখ ৭৫ হাজার টাকা তুলে বাড়িতে নিয়ে আসেন তিনি, যেটি তার পরিবারের সবাই জানতেন।
খুলনা জোনের সহকারী পুলিশ কমিশনার শিহাব করীম জানান, রাতে খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে পুলিশ। মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। শিউলী বেগমের মৃত্যুর পর থেকে তার একমাত্র ছেলে রিয়াদকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। সিআইডির বিশেষজ্ঞ দলও রাতে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। তারা ঘর থেকে আলামত সংগ্রহ করেছে।
তিনি আরও জানান, নিহতের মাথার তালুর বাঁ পাশে পুতো (লোহার দণ্ড) দিয়ে আঘাত করে দুর্বল করে ফেলে এবং পরবর্তীতে মৃত্যু নিশ্চিত করার জন্য বালিশচাপা দিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়। কে তাকে হত্যা করেছে, এই মুহুর্তে বলা সম্ভব নয়। এ বিষয়ে তদন্ত চলছে, পরবর্তীতে বিস্তারিত জানানো হবে।
১৮ দিন আগে
২২ ঘণ্টায় ৪০ ফুট খুঁড়েও খোঁজ মেলেনি শিশু সাজিদের
রাজশাহীর তানোর উপজেলায় পরিত্যক্ত গভীর নলকূপের পাইপে পড়ে যাওয়া দুই বছরের শিশু সাজিদকে রাতে থেকে সকাল পর্যন্ত ৪০ ফিট খুঁড়েও উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। স্থানীয়দের ধারণা, শিশুটি আরও নিচে চলে গেছে।
বৃহস্পতিবার (১১ ডিসেম্বর) বেলা ১১টা পর্যন্ত প্রায় ২২ ঘণ্টা পার হলেও তার নড়াচড়ার কোনো আলামত পায়নি ফায়ার সার্ভিস। স্থানীয়রাও কাটিয়েছেন নির্ঘুম রাত।
আজ সকালে তানোর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহীনুজ্জামান বলেন, উদ্ধারকাজ শেষ হয়নি। খনন চলছে। সেনাবাহিনী, পুলিশ ও স্থানীয় প্রাশাসন ফায়ার সার্ভিস কর্মীদের সহযোগিতা করছে। ফায়ার সার্ভিসের তিনটি ইউনিট অবিরাম উদ্ধারকাজ চালিয়ে যাচ্ছে।
ফায়ার সার্ভিস জানায়, সাজিদ ৮ ইঞ্চি ব্যাসার্ধের যে গর্তে পড়ে গেছে তার পাশে বড় গর্ত খুঁড়ে সেখান থেকে সুড়ঙ্গ পথে তার কাছাকাছি যাওয়া হয়েছে। তবে সেখানেও অস্তিত্ব খুঁজে পাওয়া যায়নি তার। এখনো বিভিন্ন কৌশলে চেষ্টা চলছে শিশুটিকে সেখান থেকে উদ্ধারের। শিশুটির অবস্থান শনাক্তে সেই গর্তে ফায়ার সার্ভিস ফেলেছিল বিশেষ ক্যামেরা। কিন্তু ৩৫ ফুট যাওয়ার পর আটকে যায় ক্যামেরা। এর মধ্যে সাজিদের দেখা মেলেনি।
ফায়ার সার্ভিসকর্মীদের ধারণা, হয়তো ৪০ ফুট নিচেই রয়েছে সাজিদ। এই সময়ে পাইপের মধ্যে অক্সিজেন সরবরাহ অব্যাহত রয়েছে বলেও ফায়ার সার্ভিসের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, দুর্ঘটনার পর পাইপের ভেতর থেকে শিশুটির সাড়াশব্দ পাওয়া যাচ্ছিল। তবে দীর্ঘ সময় পার হওয়ায় শিশুটি এখনও বেঁচে আছে কি না, তা নিয়ে শঙ্কা তৈরি হয়েছে। ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরাও এ বিষয়ে নিশ্চিত করে কিছু বলতে পারেননি।
তবে স্থানীয়দের ধারণা, এই এলাকা খরাপ্রবণ হওয়ায় পানির স্তর ১৩০ থেকে ১৪০ ফুট নিচে। স্থানীয়রা ধরণা করছেন, ৪০ ফুট নয়, আরেও নিচে চলে গেছে সাজিদ।
এর আগে, বুধবার (১০ ডিসেম্বর) দুপুর ১টার দিকে উপজেলার পাচন্দর ইউনিয়নের কোয়েলহাট গ্রামে এ দুর্ঘটনা ঘটে। এর পরপরই উদ্ধার অভিযানে নামে ফায়ার সার্ভিস। সাজিদ ওই এলাকার মোহাম্মদ রাকিবের ছেলে।
১৮ দিন আগে
ফেনীতে থানার পাশের দীঘিতে মিলল মরদেহ
ফেনী মডেল থানার পেছনের দীঘি থেকে এক ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (৯ ডিসেম্বর) রাত ৯টার দিকে থানা-সংলগ্ন রাজাঝির দিঘির পশ্চিম পাশ থেকে মরদেহটি উদ্ধার করে পুলিশ।
স্থানীয়রা জানান, নিহত ব্যক্তির নাম মো. শুক্কুর (৪০)। গাজীপুর সদর উপজেলার হাতিমারা এলাকার বাসিন্দা ওই ব্যক্তি রাজমিস্ত্রির কাজ করতেন। কাজের সন্ধানে গেল সোমবার সকালে তিনি ফেনীতে আসেন।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, রাত পৌনে ৯টার দিকে দিঘির নিরাপত্তার দায়িত্বে নিয়োজিত ব্যক্তি তার মরদেহ দেখতে পান। পরে স্থানীয়দের মাধ্যমে খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল যায়। ফায়ার সার্ভিসের সহযোগিতায় এক ঘণ্টা পর মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
দিঘির নিরাপত্তার দায়িত্বে নিয়োজিত আবু কাউছার নিপু বলেন, রাতে দিঘির পশ্চিম পাশে হাঁটার সময় লাইটের আলোতে পানিতে মানুষের মাথার মতো কিছু দেখতে পাই। পরে স্থানীয়দের জানালে তারা এসে পুলিশকে খবর দেয়।
ফেনী ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের জ্যেষ্ঠ স্টেশন কর্মকর্তা আবদুল মজিদ বলেন, মরদেহটি পানিতে ডুবন্ত অবস্থায় ছিল। খবর পেয়ে তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিস।
ফেনী মডেল থানা পরিদর্শক (তদন্ত) সজল কান্তি দাশ বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে ফায়ার সার্ভিসের সহায়তায় মরদেহ উদ্ধার করে ফেনী জেনারেল হাসপাতালে পাঠায়। মরদেহ এখন হাসপাতালের মর্গে আছে। তার পরনে ছিল শার্ট, লুঙ্গি ও মাফলার।
তিনি আরও জানান, কয়েক দিন আগে তার মৃত্যু হয়েছে বলে ধারণা করছি। পরিচয় শনাক্ত, মরদেহটি এখানে কীভাবে এসেছে এবং মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানতে পুলিশ কাজ করছে।
১৯ দিন আগে
যশোরে ‘প্রেমিকের’ বাড়ি থেকে কিশোরীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার
যশোরে ১৫ বছর বয়সী এক কিশোরীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। নিহতের পরিবার ‘তাকে হত্যা করা হয়েছে’ দাবি করলেও যে বাড়ি থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে, তারা বলছে, মেয়েটি আত্মহত্যা করেছে।
সোমবার (০৮ ডিসেম্বর) গভীর রাতে সদর উপজেলার ইছালি ইউনিয়নের রামকৃষ্ণপুর গ্রামে ঘটে এই ঘটনা।
স্থানীয়রা জানান, নিহত কিশোরী ওই গ্রামের এক প্রবাসীর মেয়ে এবং স্থানীয় সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ছাত্রী ছিল। একই গ্রামের নাজমুল নামের এক যুবকের সঙ্গে তার প্রেমের সম্পর্ক ছিল। এর জের ধরেই এই ঘটনা ঘটে। নাজমুলের বাড়ির উঠানের আম গাছ থেকেই ঝুলন্ত অবস্থায় মেয়েটির মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
নিহতের পরিবারের সদস্যদের অভিযোগ, এটি আত্মহত্যা নয়, বরং পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড। তারা জানান, নাজমুল বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে তিন বছর মেয়েটির সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক রেখেছিল। কিন্তু সম্প্রতি ছেলেটি তাদের সম্পর্ক প্রত্যাখ্যান করলে সোমবার রাতে তার বাড়িতে বিয়ের দাবি নিয়ে যায় ওই কিশোরী।
তাদের দাবি, ওই বাড়িতে যাওয়ার পর নাজমুল ও তার পরিবারের সদস্যরা মেয়েটিকে মারপিট করে হত্যা করে এবং ঘটনা ধামাচাপা দিতে গামছা ও মেয়েটির গায়ে থাকা ওড়না পেঁচিয়ে মরদেহ গাছে ঝুলিয়ে দেয়।
তবে অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করে নাজমুল ও তার বাড়ির সদস্যদের দাবি, মেয়েটি আত্মহত্যা করেছে।
যশোর কোতোয়ালি থানার পরিদর্শক (তদন্ত) কাজী বাবুল হোসেন জানিয়েছেন, প্রাথমিকভাবে প্রেম-সংক্রান্ত ঘটনাকে কেন্দ্র করে এই মৃত্যু হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। তবে এটি হত্যা নাকি আত্মহত্যা, তা বের করতে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
১৯ দিন আগে
টেকনাফে ট্রাকের ধাক্কায় অটোরিকশা খাদে, নিহত ২
কক্সবাজারের টেকনাফে ট্রাকের ধাক্কায় একটি সিএনজিচালিত অটোরিকশা খাদে পড়ে অটোরিকশাচালকসহ দুজন নিহত হয়েছেন।
মঙ্গলবার (৯ ডিসেম্বর) বিকেল ৩টার দিকে হ্নীলা ইউনিয়নের আলীখালী সড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন— অটোরিকশার চালক ফারুক (৩০) ও যাত্রী ইমান হোসেন (২৫)। ফারুক হ্নীলা ইউনিয়নের মৌলভীবাজারের মো. সেলিমের ছেলে এবং ইমান হোসেন টেকনাফ সদর ইউনিয়নের নাজিরপাড়ার মো. সৈয়দ নুরের ছেলে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ট্রাকের ধাক্কায় অটোরিকশাটি দুমড়েমুচড়ে খাদে পড়ে যায় এবং ঘটনাস্থলেই চালকসহ দুজন নিহত হন।
টেকনাফের হোয়াইক্যং হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মো. নুরুল আবছার জানান, স্থানীয় বাসিন্দাদের মাধ্যমে খবর পাওয়ার পর ঘটনাস্থলে পুলিশ যায়। ময়নাতদন্তের জন্য লাশ কক্সবাজার সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। ট্রাক ও অটোরিকশাটি পুলিশ হেফাজতে রাখা হয়েছে বলে জানান এই পুলিশ কর্মকর্তা।
১৯ দিন আগে
সিলেটে সিআইডি কর্মকর্তাকে ছুরি মেরে পালাল আসামি
সিলেট নগরীর সাগরদীঘির পাড় এলাকায় সাইবার মামলায় পরোয়ানাভুক্ত আসামি ধরতে গিয়ে ছুরিকাঘাতে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) কর্মকর্তা খুরশেদ আলম আহত হয়েছেন।
সোমবার (৮ ডিসেম্বর) দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
আহত খুরশেদ আলম সিলেট সিআইডির উপপরিদর্শক (এসআই) হিসেবে কর্মরত। তাকে ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। গতরাতেই তার অস্ত্রোপাচার করা হয়।
জানা গেছে, সাগরদীঘির পাড় এলাকায় সোমবার রাতে একটি সাইবার মামলার পরোয়ানাভুক্ত আসামি ধরতে সাদাপোশাকে অভিযান চালায় সিআইডির একটি দল। তাদের উপস্থিতি টের পেয়ে আসামি পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। একপর্যায়ে এসআই খুরশেদ আলম আসামিকে ধরতে যান। তখন আসামি তার বুকে ছুরি মেরে পালিয়ে যান। পরে খুরশেদ আলমকে সহকর্মীরা উদ্ধার করে ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান।
এসব তথ্য নিশ্চিত করে সিআইডি সিলেটের পুলিশ সুপার সুজ্ঞান চাকমা বলেন, সাইবার মামলার আসামিকে গ্রেপ্তার করতে গেলে পুলিশ কর্মকর্তাকে ছুরিকাঘাত করে পালিয়েছে আসামি। আহত পুলিশ কর্মকর্তা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। হামলাকারীকে গ্রেপ্তার করতে পুলিশি অভিযান অব্যাহত আছে।
সিলেট কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খান মো. মাঈনুল জাকির বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। একই সঙ্গে এ ঘটনায় থানায় মামলা প্রক্রিয়াধীন। হামলাকারীকে ধরতে পুলিশের একাধিক টিম কাজ করছে।
২০ দিন আগে
চাঁপাইনবাবগঞ্জে যুবককে কুপিয়ে হত্যা
চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জে নয়ন আলী (২৫) নামে এক যুবককে কুপিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা।
সোমবার (৮ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা ৭টার দিকে উপজেলার বাবুপুর মোড়ে ঘটে এ ঘটনা। শিবগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হুমায়ন কবির মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
নয়ন উপজেলার নয়ালাভাঙা ইউনিয়নের মোড়লটোলার আব্দুল করিমের ছেলে।
স্থানীয়রা জানান, গতকাল সন্ধ্যা ৭টার দিকে শিবগঞ্জ উপজেলার বাবুপুর মোড়ে নয়নকে চাপাতি দিয়ে হাত-পায়ে কুপিয়ে গুরুতর আহত করে ফেলে যায় দুর্বৃত্তরা। পরে সেখানে উপস্থিত লোকজন তাকে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে পাঠানো হয়। রামেক হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
রামেক হাসপাতালের মুখপাত্র ডা. শংকর কুমার বিশ্বাস জানান, নয়নকে মৃত অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয়েছে। অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে তার মৃত্যু হতে পারে।
শিবগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হুমায়ন জানান, ঘাতকদের ধরতে পুলিশ অভিযান শুরু করেছে।
২০ দিন আগে
গাজীপুরে কারখানা বন্ধের ঘোষণায় শ্রমিকদের বিক্ষোভ
গাজীপুরে একটি পোশাক কারখানা অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধের নোটিশে শ্রমিকদের মাঝে অসন্তোষের সৃষ্টি হয়েছে। কারখানা খুলে দেওয়া এবং তাদের কিছু দাবি জানিয়ে বিক্ষোভ করছেন তারা।
মঙ্গলবার (৯ ডিসেম্বর) সকাল ৮টা থেকে কারখানার প্রধান ফটকে জড়ো হয়ে শ্রমিকরা বিক্ষোভ শুরু করেন।
শ্রমিক ও শিল্প পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গাজীপুর সিটি করপোরেশনের কোনাবাড়ী থানাধীন আমবাগ এলাকার পি এন কম্পোজিট লিমিটেড কারখানার এক শ্রমিক গত ৭ ডিসেম্বর জরুরি কাজে কারখানা থেকে বের হয়ে বাইরে যান। যখন তিনি কাজ শেষ করে ফিরে আসেন, তখন কারখানার এক কর্মকর্তার সঙ্গে তার বাগবিতণ্ডা হয়।
ওই ঘটনাকে কেন্দ্র করে পরের দিন, অর্থাৎ গতকাল (সোমবার) শ্রমিকদের কয়েকজন ওই কর্মকর্তাকে প্রত্যাহারের দাবি জানিয়ে বিক্ষোভ শুরু করেন। সারা দিন শ্রমিকদের বুঝিয়েও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে পারেনি কারখানা কর্তৃপক্ষ। বিকেলে শ্রমিকরা চলে গেলে কর্তৃপক্ষ রাতেই সিদ্ধান্ত নিয়ে কারখানা বন্ধ ঘোষণা করে। বন্ধের নোটিশ কারখানার প্রধান ফটকে সেঁটে দেওয়া হয়।
নোটিশে লেখা রয়েছে, পি এন কম্পোজিট লিমিডেটের সংশিষ্ট সকলের অবগতির জন্য জানানো যাচ্ছে যে, ৭ ডিসেম্বর থেকে কারখানার শ্রমিকরা কিছু অযৌক্তিক দাবি উত্থাপন করে, অবৈধভাবে কারখানায় সংঘবদ্ধ হয়ে উৎপাদন কার্যক্রম বন্ধ করে। চরম বিশৃঙ্খলা ও অস্থিতিশীল অবস্থা সৃষ্টি করে এবং অবৈধ ধর্মঘটে লিপ্ত হয়, যা আজও চলমান। এর ফলশ্রুতিতে কারখানার অভ্যন্তরে আইনশৃঙ্খলার চরম অবনতি ঘটে। এ ছাড়াও কারখানার নির্ধারিত রপ্তানি কার্যক্রম ব্যাহত হওয়ার কারণে কোম্পানি বিপুল পরিমাণ আর্থিক ক্ষতির সম্মুক্ষীন হয়েছে।
নোটিশে আরও বলা হয়েছে, কারখানা কর্তৃপক্ষ শ্রমিকদের আহ্বান জানায় যে, যে কোনো প্রকার দাবি আলোচনার মাধ্যমে সমাধান করা সম্ভব এবং সবাইকে উৎপাদন কার্যক্রম সচল রাখার জন্য অনুরোধ করা হয়। কিন্তু শ্রমিকরা কাজে যোগদান করা থেকে বিরত থাকে। ফলে কারখানার উৎপাদন কার্যক্রম সম্পূর্ণ বন্ধ থাকে। শ্রমিকদের এই আচরণ বাংলাদেশ শ্রম আইন ২০০৬ অনুযায়ী বেআইনি ধর্মঘট হিসেবে গণ্য হয়। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে কারখানার কার্যক্রম পরিচালনা করা সম্ভব হচ্ছে না। এ অবস্থায় কারখানা কর্তৃপক্ষ এই কারখানার শ্রমিক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের সার্বিক নিরাপত্তার স্বার্থে বাধ্য হয়ে বাংলাদেশ শ্রম আইন ২০০৬ এর ১৩ (১) ধারা মোতাবেক মঙ্গলবার থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য কারখানা বন্ধ ঘোষণা করল। পরবর্তীতে কারখানা চালু করার অনুকূল পরিবেশ সৃষ্টি হলে খোলার তারিখ নোটিশের মাধ্যমে জানানো হবে।
মঙ্গলবার সকালে শ্রমিকরা কাজে যোগ দিতে গিয়ে জানতে পারেন, কারখানা অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। এতে তারা উত্তেজিত হয়ে বিক্ষোভ শুরু করেন। খবর পেয়ে গাজীপুর শিল্প পুলিশ ও কোনাবাড়ি থানা পুলিশ শ্রমিকদের নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন বলে জানা গেছে।
এ ব্যাপারে জানতে কারখানার ব্যবস্থাপক তাপসের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, গত ৭ ডিসেম্বর ডিউটি চলাকালীন একজন শ্রমিক কারখানার বাইরে যায়। পরে তার সঙ্গে এ বিষয়টি নিয়ে ভুল বোঝাবুঝি হলে শ্রমিকরা কাজ বন্ধ করে দেয়। একাধিকবার সমাধানের চেষ্টা করলেও তারা কথা না শুনে সোমবারও কাজ বন্ধ করে দিয়ে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে। পরে কর্তৃপক্ষ সকাল থেকে কারখানা অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করে।
কোনাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খন্দকার জালাল উদ্দিন মাহমুদ বলেন, ঘটনাস্থলে শিল্প ও থানা পুলিশ রয়েছে। শ্রমিক এবং কারখানা কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে বিষয়টি কীভাবে সমাধান করা যায় সেই পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।
২০ দিন আগে