সারাদেশ
ভোলায় উচ্ছেদ অভিযানে হামলা, পৌরসভার ৩ গাড়িতে আগুন
ভোলা শহরের প্রাণকেন্দ্র নতুন বাজারে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযানের সময় হামলা ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় পৌরসভার তিনটি ময়লা ও মালামাল পরিবহনের গাড়ি (ট্রাক) পুড়ে যায়।
শনিবার (২৫ অক্টোবর) বিকেল পৌনে ৫টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় দুপক্ষের সংঘর্ষে অন্তত ২০ জন পরিচ্ছন্নতাকর্মী আহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে ৬ জনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বিকেলে পৌরসভার কর্মীরা নতুন বাজার চত্বরের মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ভবনের পাশে অবৈধ দোকান উচ্ছেদ করে গাড়িতে মালামাল তুলছিলেন। এ সময় বিক্ষুদ্ধ ব্যবসায়ীরা বাধা দিলে কথাকাটাকাটির একপর্যায়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে দুপক্ষ।
পৌরসভার উচ্ছেদ অভিযানের কর্মী আনাসার-ভিডিপি আবুল কালাম আজাদ অভিযোগ করেন, তাদের ওপর হামলা চালিয়ে মারধর করা হয়। এতে অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন। পরে পৌরসভার তিনটি গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। সংঘবদ্ধ ওই চক্রটি আগুন দেওয়া গাড়ির কাছে কাউকে যেতে দেয়নি।
এদিকে, স্থানীয়দের সহায়তায় ও পরে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা পৌঁছে প্রায় আধা ঘণ্টা পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন। তবে তার আগেই গাড়িগুলোর বডি ও ইঞ্জিনসহ অনেকাংশ পুড়ে যায়।
এ ব্যাপারে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
ভোলা পৌরসভার প্রশাসক মো. মিজানুর রহমান সাংবাদিকদের জানান, নতুন বাজারে অবৈধ দোকান উচ্ছেদ করার সময় বিক্ষুদ্ধ ব্যবসায়ীরা তিনটি গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দিয়েছেন। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নিরুপণের কাজ চলছে। এ ঘটনায় দায়ীদের বিরুদ্ধে মামলা করা হবে এবং উচ্ছেদ অভিযান অব্যাহত থাকবে।
ঘটনার পর জেলা প্রশাসক মো. আজাদ জাহান ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে তদন্তের আশ্বাস দেন। বর্তমানে এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।
ভোলা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু শাহাদাৎ মো. হাছনাইন পারভেজ বলেন, উচ্ছেদ অভিযানে আগে থেকে পুলিশ চাওয়া হয়নি। তবে তদন্ত সাপেক্ষে এ ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
৬৪ দিন আগে
তৃতীয় সন্তানও কন্যা হওয়ায় খালে ফেলে `হত্যা' করলেন মা
সাতক্ষীরার কলারোয়া উপজেলায় তৃতীয়বার কন্যা সন্তান জন্ম দেওয়ায় এক নারী পাঁচ দিনের নবজাতককে খালে ফেলে হত্যা করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে । এ ঘটনায় করা মামলায় ওই নারীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
সোমবার (২১ অক্টোবর) রাত ১২টার দিকে উপজেলার কাজিরহাট হাইস্কুল মাঠ সংলগ্ন খাল থেকে শিশুটির মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
অভিযুক্ত নারী ও শিশুটির মা শারমিন আক্তার কলারোয়ার হেলাতলা ইউনিয়নের রঘুনাথপুর টাওয়ার মোড় এলাকার আব্দুল জব্বারের মেয়ে। স্বামী ইব্রাহিম খলিলসহ বাবার বাড়িতেই বসবাস করতেন তারা।
কলারোয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ সাইফুল ইসলাম জানান, সোমবার বিকেলে নবজাতককে নিয়ে শারমিন বাইরে যান। কিছুক্ষণ পর তিনি ফিরে এসে জানান, সন্তানটি চুরি হয়েছে, পাওয়া যাচ্ছে না। পরে ইব্রাহিম খলিল কলারোয়া থানায় গিয়ে সন্তান নিখোঁজের অভিযোগ (জিডি) করতে গেলে পুলিশের সন্দেহ হয়।
পুলিশ জানিয়েছে, থানার একটি তদন্ত টিম তৎক্ষণাৎ ঘটনাস্থলে গিয়ে রাতেই ঘটনা উদঘাটন করে। জিজ্ঞাসাবাদে শারমিন নবজাতককে পাশের খালে ফেলে দেওয়ার কথা স্বীকার করেছেন।
পুলিশ নবজাতকের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে।
ওসি শেখ সাইফুল ইসলাম জানান, নিহত শিশুটির মা শারমিনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করেছেন দাদী খাদিজা বেগম। জিজ্ঞাসাবাদে শিশুটির বাবা জড়িত না থাকায় তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
৬৯ দিন আগে
বগুড়ায় সারজিস আলমের সভা চলাকালে ককটেল বিস্ফোরণ
বগুড়ায় জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সমন্বয় সভা চলার সময় ককটেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটেছে। নিক্ষেপ করা দুটি ককটেলের একটি বিস্ফোরণ হয় বলে জানিয়েছেন প্রত্যক্ষদর্শীরা।
এ সময় কেউ আহত না হলেও এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। পরে পুলিশ এসে পরিস্থিতি সামাল দেয়। এ ঘটনার জন্য পুলিশের ব্যর্থতাকে দায়ী করেছেন এনসিপি নেতারা।
সোমবার (২০ অক্টোবর) বিকেলে বগুড়া জেলা পরিষদ মিলনায়তনে সভা চলছিল। সেখানে এনসিপির উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম উপস্থিত ছিলেন। ৪টার দিকে পরিষদ চত্বরে একটি ককটেল বিস্ফোরণ হয়।
বগুড়া জেলা এনসিপির সমন্বয় কমিটির সদস্য শওকত ইমরান বলেন, বিকেল চারটার দিকে একদল সন্ত্রাসী জেলা পরিষদ মিলনায়তনের সভা লক্ষ্য করে জেলা পরিষদ অফিস চত্বরে পরপর দুটি ককটেল নিক্ষেপ করে। এ সময় চারদিকে আতঙ্কের সৃষ্টি হয়।
তিনি বলেন, অনেকে দৌড়ে পালিয়ে যান। এনসিপি নেতারা মিলনায়তন থেকে নিচে নেমে আসেন।
এ ঘটনার পর সারজিস আলম অভিযোগ করে সাংবাদিকদের বলেন, এ ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের খুঁজে বের করে শাস্তি দিতে হবে। প্রশাসনের গাফিলতির কারণে এমনটা ঘটেছে। এনসিপি নেতাদের নিরাপত্তা দিতে বগুড়া জেলা প্রশাসন ব্যর্থ হয়েছে।
পরে পুলিশের কড়া পাহারায় সারজিস আলমসহ দলের নেতার্মীরা জেলা পরিষদ ত্যাগ করেন। পরে সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাসহ (ওসি) পুলিশ কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
৬৯ দিন আগে
শ্রমিকদের বিক্ষোভ: আশুলিয়ার ছয়টি পোশাক কারখানায় ছুটি ঘোষণা
শ্রমিকদের বিক্ষোভের মুখে সাভারের আশুলিয়ার ছয়টি তৈরি পোশাক কারখানায় সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে।
রোববার (১৯ অক্টোবর) সকালে এসব কারখানায় আজকের জন্য সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হয়।
শ্রমিকরা জানান, শ্রমিক বিক্ষোভের মুখে গেল বৃহস্পতিবার জামগড়ার আইডিএস গ্রুপের ফ্যাশান ফোরাম গার্মেন্টস অনিদিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করে মালিকপক্ষ। পরে আজ সকালে ওই কারখানার শ্রমিকরা বন্ধ কারখানা খুলে দেওয়ার দাবিতে কারখানার সামনে অবরোধ করলে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। একপর্যায়ে বিক্ষুব্ধ শ্রমিকরা সেখানে উচ্চ ফ্যাশন, এফ এন এফ, টেরড ফ্যাশন ও প্রিটি গ্রুপে ইট-পাটকেল ছুড়লে আজকের মতো পাঁচটি কারখানায় ছুটি ঘোষণা করা হয়।
এ ছাড়া শাহরিয়ার গার্মেন্ট কারখানায় শ্রমিক ছাঁটাইকে কেন্দ্র করে শ্রমিকরা সড়কে বিক্ষোভ করলে ওই কারখানাটিও আজকের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়।
যেকোনো অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে কারখানাগুলোর সামনে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে বলে জানিয়েছেন আশুলিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল হান্নান।
৭০ দিন আগে
রংপুরে বিএনপি নেতার ওপর হামলা, প্রতিবাদে সড়ক অবরোধ
রংপুরের পীরগাছায় রাশেদুল ইসলাম রাশেদ নামে এক বিএনপি নেতাকে মারধরের ঘটনাকে কেন্দ্র করে থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। মারধরের প্রতিবাদে শুক্রবার (১৭ অক্টোবর) রাতে রংপুর-গাইবান্ধা আঞ্চলিক মহাসড়ক অবরোধ করেন তার অনুসারীরা।
আজ শনিবার সকালে পীরগাছা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আমিরুল ইসলাম জানান, পরিস্থিতি এখন স্বাভাবিক রয়েছে, এখন পর্যন্ত কোনো পক্ষ থেকে অভিযোগ দেওয়া হয়নি।
অবরোধ চলাকালে উপজেলার দেউতি বাজারে পীরগাছা সদর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ও বিএনপি নেতা মোস্তাফিজার রহমান রেজার ওপর হামলা চালানো হয় এবং তার গাড়ি ভাঙচুর করা হয়।
জানা গেছে, বিএনপি নেতা রাশেদুল ইসলাম রাশেদের ওপর হামলার ঘটনায় পুলিশ মামলা না নেওয়ায় শুক্রবার রাতে রংপুর-গাইবান্ধা আঞ্চলিক মহাসড়কের দেউতি বাজারে সড়ক অবরোধ করেন তার অনুসারীরা। এ সময় তারা উপজেলা বিএনপির সভাপতি আমিনুল ইসলাম রাঙ্গা এবং সাংগঠনিক সম্পাদক জুয়েল মণ্ডলের বিরুদ্ধে বিভিন্ন স্লোগান দেন।
এরপর রাতে পীরগাছা সদর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ও বিএনপি নেতা মোস্তাফিজার রহমান রেজা রংপুর শহর থেকে পীরগাছা যাওয়ার পথে দেউতি বাজারে অবরোধের মুখে পড়েন। চেয়ারম্যান রেজা উপজেলা বিএনপির সভাপতি আমিনুল ইসলাম রাঙ্গার চাচাতো ভাই হওয়ায় অবরোধকারীরা তার প্রতি ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন। পরিস্থিতি সামাল দিতে স্থানীয় কয়েকজন চেয়ারম্যানের গাড়িকে ঘুরিয়ে অন্য একটি রাস্তায় পাঠালেও উত্তেজিত লোকজন তার গাড়ির পিছু ধাওয়া করেন। একপর্যায়ে প্রাণ বাঁচাতে চেয়ারম্যান রেজা নিরুপায় হয়ে একজনের বাড়িতে ঢুকে আশ্রয় নেন। এ সময় উত্তেজিত লোকজন ওই বাড়িটিতেও ঢোকার চেষ্টা করেন এবং চেয়ারম্যানের গাড়িটি ভাঙচুর করেন।
এদিকে, এ ঘটনার খবর পেয়ে সেনাবাহিনী ও পুলিশ দেউতি বাজারে গিয়ে অবরোধকারীদের ছত্রভঙ্গ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। প্রায় তিন ঘণ্টা পর সড়ক যোগাযোগ স্বাভাবিক করে। তবে যেখানে চেয়ারম্যান রেজা অবরুদ্ধ ছিলেন, সেখানে তারা পৌঁছানি। পরে স্থানীয় বিএনপির নেতাকর্মী ও গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গের সহযোগিতায় চেয়ারম্যান রেজাকে অবরুদ্ধ অবস্থা থেকে মুক্ত কর হয়। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে বর্তমানে থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে।
এ বিষয়ে পীরগাছা থানা-পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি-তদন্ত) আমিরুল ইসলাম বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ও সেনাবাহিনী ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনে সড়ক যোগাযোগ স্বাভাবিক করেছে। এখনো মোস্তাফিজার রহমান রেজার পক্ষ থেকে কোনো লিখিত অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
তিনি আরও বলেন, বিএনপি নেতা রাশেদের ওপর হামলার ঘটনায় তারা একটি এজাহার পেয়েছেন এবং মামলার বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন।
উল্লেখ্য, গত বুধবার (১৫ অক্টোবর) রাতে পীরগাছা উপজেলা পরিষদ হলরুমে সদ্য প্রয়াত রংপুর জেলা বিএনপির সদস্য সচিব আনিছুর রহমান লাকুর স্মরণসভায় যোগ দিতে এসেছিলেন পারুল ইউনিয়ন বিএনপির নেতা রাশেদুল ইসলাম রাশেদ। এ সময় উপজেলা পরিষদ-সংলগ্ন বটতলায় দুর্বৃত্তরা তার ওপর হামলা চালায়। হামলাকারীরা উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক জুয়েল হোসেন মণ্ডলের অনুসারী বলে দাবি করছেন রাশেদের অনুসারীরা।
৭২ দিন আগে
ফরিদপুরে বাস উল্টে শিশুসহ নিহত দুই, আহত ১৫
ফরিদপুর-বরিশাল মহাসড়কের ভাঙ্গা উপজেলায় একটি যাত্রীবাহী বাস উল্টে শিশুসহ দুইজন নিহত হয়েছে। এতে আহত হয়েছেন আরও অন্তত ১৫ জন।
বুধবার (১৫ অক্টোবর) দুপুরে উপজেলার পূর্বসদরদী নামক স্থানে অপর একটি যাত্রীবাহী বাসের ধাক্কায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
দুর্ঘটনায় নিহত শামসুন্নাহার (৪০) নামে এক নারী বরিশাল জেলার উজিরপুর উপজেলার নজরুল ইসলামের স্ত্রী। তবে তাৎক্ষণিকভাবে নিহত শিশুটির পরিচয় নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
আরও পড়ুন: মেহেরপুরে ট্রাকের ধাক্কায় জাবি ছাত্রী নিহত
ভাঙ্গা হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রোকিবুজ্জামান জানান, ঢাকা থেকে বরিশালগামী ইউরো লাইন নামের একটি পরিবহন বাস ও শ্যামলী পরিবহন একে অপরকে ওভারটেক করার সময় শ্যামলী পরিবহনের ধাক্কায় ইউরো লাইন বাসটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পানি ভর্তি খাদে উল্টে যায়। এতে ঘটনাস্থলেই শামসুন্নাহার নিহত হন।
তিনি আরও বলেন, স্থানীয় জনতা, ফায়ার সার্ভিসের কর্মী ও হাইওয়ে পুলিশ উদ্ধার অভিযান চালিয়ে নিহতদের লাশ এবং আহতদের উদ্ধার করে ভাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেছে।
তিনি আরও জানান, দুর্ঘটনাকবলিত বাসটি উদ্ধার করা হয়েছে। একই সঙ্গে শ্যামলী পরিবহনের বাসটিকেও আটক করা হয়েছে।
৭৫ দিন আগে
মেহেরপুরে ট্রাকের ধাক্কায় জাবি ছাত্রী নিহত
মেহেরপুরে ট্রাকের ধাক্কায় মোটরসাইকেল থেকে ছিটকে পড়ে অমি খাতুন (২২) নামে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) এক ছাত্রী নিহত হয়েছেন।
বুধবার (১৫ অক্টোবর) সকাল ১০টার দিকে সদর উপজেলার ফতেপুর গ্রামের রাস্তায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
অমি খাতুন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করতেন। তিনি উপজেলার রামদাসপুর ভিটিরমাঠ গ্রামের স্কুল শিক্ষক রাহিনুলের স্ত্রী।
আরও পড়ুন: মিরপুরের অগ্নিকাণ্ডে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১৬
সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মেজবাহ উদ্দীন জানান, অমি খাতুন ও তার স্বামী রাহিনুল ইসলাম মেহেরপুর শ্বশুর বাড়ি থেকে মোটরসাইকেল যোগে রামদাসপুর গ্রামে ফিরছিলেন। পথে ফতেপুর নামক স্থানে পৌঁছালে দ্রুত গতির একটি ট্রাক পিছন থেকে তাদের ধাক্কা দেয়। এ সময় মোটরসাইকেল থেকে রাস্তায় ছিটকে পড়ে ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় অমির।
তিনি আরও বলেন, বিষয়টি জানতে পেরে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। আইনি প্রক্রিয়া শেষে নারীর মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে বলেও জানান ওসি।
৭৫ দিন আগে
হবিগঞ্জে বিয়েবাড়িতে গিয়ে পুকুরে ডুবে তিন শিশুর মৃত্যু
হবিগঞ্জের চুনারুঘাট উপজেলার চান্দপুর চা-বাগানে একটি বিয়েবাড়িতে গিয়ে পানিতে ডুবে তিন শিশুর মৃত্যু হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৪ অক্টোবর) দুপুরে উপজেলার চান্দপুর চা-বাগানে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত তিন শিশু হলো— উপজেলার রামগঙ্গা এলাকার সেলিম মিয়ার কন্যা মোছকান আক্তার (১০), সাজিদ আলীর কন্যা শামীমা আক্তার (১০) এবং মজিদ আলীর কন্যা ছানিয়া আক্তার (৯)।
আরও পড়ুন: মিরপুরে গার্মেন্টস কারখানা ও রাসায়নিকের গুদামে অগ্নিকাণ্ড, ৯ জনের মৃত্যু
পরিবার ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, শিশুগুলোর পরিবার স্থানীয় এক আত্মীয়ের বিয়েতে গিয়েছিল। মঙ্গলবার বিয়ের অনুষ্ঠান চলছিল।
এই সময় শিশুরা খেলতে খেলতে এক পর্যায়ে গোসল করার জন্য পাশ্ববর্তী পুকুরের পানিতে নেমে যায়। সাঁতার না জানায় একে একে তিন শিশু পানিতে ডুবে মারা যায়।
চুনারুঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহিদুল ইসলাম জানান, স্থানীয়রা শিশু তিনটিকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করেন।
৭৫ দিন আগে
মানিকগঞ্জে এক দিনে ৫ মরদেহ উদ্ধার
মানিকগঞ্জে পৃথক স্থান থেকে এক দিনে নারীসহ পাঁচজনের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
সোমবার (১৩ অক্টোবর) সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত মানিকগঞ্জ সদর, ঘিওর, সিংগাইর ও সাটুরিয়া উপজেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে মরদেহগুলো উদ্ধার করা হয়।
সদর থানা পুলিশ জানায়, দুপুরে মানিকগঞ্জ শহরের পশ্চিম দাশড়া এলাকার একটি ভাড়া বাসা থেকে দরজা ভেঙে আবু হানিফ (২৮) নামের এক যুবকের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এছাড়া সদর উপজেলার জয়রা এলাকার মানিকগঞ্জ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পাশ থেকে অজ্ঞাত পরিচয়ের মানসিক ভারসাম্যহীন এক মধ্যবয়স্ক ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
নিহত আবু হানিফ কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামের আবুল বসরের ছেলে। তিনি বিদেশে লোক পাঠানোর কাজ করতেন।
মানিকগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত তদন্ত কর্মকর্তা (ওসি তদন্ত) আমিনুল ইসলাম জানান, নিহতের সাবেক স্ত্রী জরুরি সেবা নম্বর ৯৯৯-এ ফোন করে বিষয়টি পুলিশকে জানান। এরপর পুলিশ ও বাড়ির মালিকসহ আশপাশের মানুষের সহযোগিতায় ঘরের দরজা ভেঙে ফ্যানের সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। পরে ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহটি মানিকগঞ্জ মেডিকেল কলেজের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলে জানিয়েছেন ওসি আমিনুল ইসলাম।
এদিকে ঘিওর থানা পুলিশ জানায়, আজ সকালে উপজেলার সিংজুরী ইউনিয়নের দেওভোগ এলাকা সোনা মিয়া (৪০) নামের এক ব্যক্তির ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
নিহত সোনা মিয়া ঘিওরের সিংজুরী ইউনিয়নের বেড়াভাঙ্গা এলাকার মৃত হযরত আলীর ছেলে।
ঘিওর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কোহিনুর ইসলাম জানান, সোনা মিয়া তার বোনের বাড়িতে বেড়াতে যান এবং রোববার রাতে খাবার খেয়ে ঘুমিয়ে পড়েন। এরপর সকালে ঘর থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
নিহত সোনা মিয়ার স্ত্রী জুলাইয়ে ছাত্র-জনতার আন্দোলনে ঢাকায় নিহত হন বলে জানান ওসি কোহিনুর ইসলাম।
অপরদিকে, আজ সকালে সিংগাইর উপজেলায় বিষপানে রোজিনা (৩২) নামের এক গৃহবধুর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
নিহত রোজিনা আক্তার সিংগাইর উপজেলার জয়মণ্ডপ ইউনিয়নের দেউলি এলাকার আয়নাল মিয়ার স্ত্রী।
সিংগাইর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জে ও এম তৌফিক আজম জানান, রোববার দিবাগত রাতে দেউলি এলাকার রোজিনা আক্তার বিষপান করেন এবং গুরুতর অবস্থায় উদ্ধার করে রাতেই তাকে মানিকগঞ্জ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এরপর চিকিৎসাধীন অবস্থায় ভোররাতে তার মৃত্যু হয়।
তিনি জানান, খবর পেয়ে নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের মানিকগঞ্জ মেডিকেল কলেজের মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।
এ ছাড়া, সাটুরিয়া উপজেলায় একটি কারখানায় কাজ করার সময় ড্রামের চাপায় রাসেল মাহমুদ (৩৫) এক শ্রমিক নিহত হয়েছেন।
নিহত রাসেল মাহমুদ জামালপুর সদর উপজেলার রুহুল্লী এলাকার মৃত ইদ্রিস আলীর ছেলে। তিনি ইনসেপ্টা ফার্মিসিউক্যালসের কারখানায় শ্রমিক হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
সাটুরিয়া থানার ওসি শাহিনুল ইসলাম জানান, রোবাবর ইনসেপ্টা ফার্মিসিউক্যালসের কারখানায় কাজ করার সময় শ্রমিক রাসেল মাহমুদের ওপর ছাদ থেকে একটি প্লাস্টিকের ড্রাম পড়ে এবং তিনি গুরুতর আহত হন। পরে তাকে উদ্ধার করে মানিকগঞ্জ সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরবর্তীতে রোববার দিবাগত রাতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
অভিযোগ পেলে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলেও ওসি জানান।
৭৬ দিন আগে
নরসিংদীতে অবৈধ ব্যাটারি কারখানায় বিস্ফোরণ, ৭ শ্রমিক দগ্ধ
নরসিংদীতে সীসা তৈরির একটি কারখানায় বিস্ফোরণে ৭ শ্রমিক দগ্ধ হয়েছেন। তাদের মধ্যে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ৩ জনকে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।
গতকাল রবিবার সকাল ১০টার দিকে সদর উপজেলার পাঁচদোনা এলাকায় অবস্থিত কারখানাটিতে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
নরসিংদী সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ এমদাদুল হক এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
গুরুতর আহত শ্রমিকরা হলেন— দক্ষিণ শীলমান্দি এলাকার কাদির মিয়ার ছেলে মোজাম্মেল হোসেন (১৯), সাদ্দাম মিয়ার ছেলে হোসেন আলী (২৪) এবং সাদ্দাম হোসেনের ছেলে তাইজুল ইসলাম (২৫)। এ ছাড়াও আরও চার শ্রমিক আহত হয়েছেন যাদের পরিচয় নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
স্থানীয়রা জানান, দীর্ঘদিন ধরেই পাঁচদোনা এলাকায় নিয়ম-নীতির তোয়াক্কা না করে অবৈধভাবে ব্যাটারি কারখানা পরিচালনা করে আসছে একটি চীনা প্রতিষ্ঠান। কারখানাটিতে পুরাতন ব্যাটারি পুড়িয়ে সীসা সংগ্রহ ও তৈরি করা হয়ে থাকে।
রবিবার সকালে কাজ করার সময় কারখানাটিতে আগুন লেগে বিস্ফোরণ ঘটে। এতে ৭ জন শ্রমিক অগ্নিদগ্ধ হয়ে গুরুতর আহত হন। স্থানীয়রা আহত শ্রমিকদের উদ্ধার করে নরসিংদী সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে যায়। এসময় কর্তব্যরত চিকিৎসক চারজনকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে বাকি তিনজনকে আশংকাজনক অবস্থায় ঢাকার জাতীয় বার্ণ এন্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে স্থানান্তরের পরামর্শ দেন।
নরসিংদী সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল কর্মকর্তা (আরএমও) ফরিদা গুলশানারা কবির জানান, সকালে পাঁচদোনা থেকে ৭ জন অগ্নিদগ্ধ রোগীকে হাসপাতালে নিয়ে আসেন স্বজনরা। এর মধ্যে দুইজনের শরীরের ৬০ ভাগ এবং ১ জনের ৫০ ভাগ দগ্ধ হয়েছে। তাদের প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় জাতীয় বার্ণ এন্ড প্লাস্টিক সার্জারী ইনস্টিটিউটে পাঠানো হয়েছে। বাকী চারজনকে সাধারণ চিকিৎসা সেবা দেয়া হয়েছে।
নরসিংদী সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ এমদাদুল হক জানান, আগুনের খবর পেয়ে পুলিশ ও দমকল বাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। এ ঘটনায় পরবর্তী আইনি পদক্ষেপ প্রক্রিয়াধীন।
৭৭ দিন আগে