সারাদেশ
ভোলায় ছাত্রলীগ নেতার মরদেহ উদ্ধার
ভোলায় মো. সাইফুল্লাহ আরিফ নামে (৩০) এক নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের নেতাকে নির্মমভাবে কুপিয়ে ও পিটিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা।
শনিবার (৩০ আগস্ট) ভোরে সদর উপজেলার কালিবাড়ী রোড এলাকার নববী মসজিদ-সংলগ্ন নিজ বাড়ির সামনে থেকে তার মরদেহ উদ্ধার পুলিশ।
নিহত আরিফ ভোলা সদর উপজেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি এবং স্থানীয় সাবেক শিক্ষক মো. বশির উদ্দিনের একমাত্র ছেলে। তিনি পেশায় একজন ডিপ্লোমা টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ার।
একমাত্র ছেলের এমন হত্যা কোনোভাবেই মেনে নিতে পারছেন না বাবা-মা, ছেলেকে হারিয়ে প্রায় পাগল তারা।
আরিফের বাবা জানান, গতকাল (শুক্রবার) রাতের খাবার শেষে মাকে পানি খাইয়ে ১২টার দিকে আরিফ তার রুমে ঘুমাতে যান। শনিবার ভোরে ফজরের নামাজের সময় গেইট খুলে বাইরে বের হলে বাড়ির সামনের রাস্তায় আরিফের রক্তাক্ত মরদেহ পড়ে থাকতে দেখেন তিনি। পরে তার চিৎকারে স্থানীয়রা ছুটে আসেন।
স্থানীয় ও স্বজনদের ধারণা, রাতের কোনো এক সময় দুর্বৃত্তরা আরিফকে বাসা থেকে ডেকে নিয়ে কুপিয়ে ও হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে হত্যা করে।
আরও পড়ুন: সাভার ও আশুলিয়ায় শিশুসহ দুজনের মরদেহ উদ্ধার
এরপর ভোলা ডিবি পুলিশ ঘটনাস্থল গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ভোলা সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে।
নিহতের স্বজনরা জানান, কারা বা কী কারণে আরিফকে হত্যা করেছে তা তাদের জানা নেই। এ ঘটনায় প্রশাসনের কাছে বিচার দাবি করেন নিহতের পরিবার।
ভোলা ডিবি পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইকবাল হোসেন জানান, এ ঘটনার কারণ উদ্ঘাটনে তদন্ত চলছে।
১২১ দিন আগে
নুরের ওপর হামলার প্রতিবাদে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে অবরোধ
ডাকসুর সাবেক ভিপি ও গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর এবং দলটির কেন্দ্রীয় নেতাকর্মীদের ওপর হামলার প্রতিবাদে সড়ক অবরোধ কর্মসূচি পালন করেছে গণঅধিকার পরিষদ, কুমিল্লা জেলা শাখা।
শনিবার (৩০ আগস্ট) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে কুমিল্লা কোটবাড়ি বিশ্বরোড এলাকায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ কর্মসূচি শুরু করেন তারা। এ সময় দলীয় গণঅধিকার পরিষদের নেতাকর্মীরা নুরের ওপর হামলাকারীদের দ্রুত গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।
অবরোধ চলাকালে বক্তারা বলেন, দেশের গণতান্ত্রিক আন্দোলন দমাতে সরকার বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের ওপর একের পর এক হামলা চালানো হচ্ছে।
আরও পড়ুন: আজ সারা দেশে গণঅধিকার পরিষদের বিক্ষোভ, ঢাকায় সমাবেশ
তারা হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, নুরুল হক নুরসহ গণঅধিকার পরিষদের কোনো নেতাকর্মীর ওপর আবারো হামলা হলে কঠোর আন্দোলনের ডাক দেওয়া হবে।
এ সময় আন্দোলনকারীরা টায়ার জালিয়ে বিক্ষাভ করেন। এতে সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে পড়ে এবং এলাকাজুড়ে উত্তেজনা বিরাজ করে।
পুলিশের হস্তক্ষেপে আধঘণ্টা পর আন্দোলনকারীরা ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক থেকে অবরোধ তুলে নেন। তবে তুলে নেওয়ার আগে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে দোষীদের শাস্তির ব্যবস্থা না করলে আবারও রাজপথ অচল করে দেওয়া হবে বলে জানান। এরপর সড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।
১২১ দিন আগে
সিলেট-তামাবিল সড়কে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী নিহত, আহত ৫
সিলেট-তামাবিল মহাসড়কের জৈন্তাপুরে বাসচাপায় তালহা (১৭) নামে এক মোটরসাইকেল আরোহী নিহত হয়েছেন। এ সময় আহত হয়েছেন আরও পাঁচজন।
শুক্রবার (২৯ আগস্ট) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে উপজেলার সারীঘাট এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
স্থানীয়রা জানান, গতকাল (শুক্রবার) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে জাফলং থেকে ছেড়ে আসা একটি সিলেটগামী বাসের সঙ্গে দরবস্ত থেকে আসা জৈন্তাপুরগামী দুটি মোটরসাইকেলের সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলেই এক মোটরসাইকেল আরোহী নিহত হন এবং অপর পাঁচজন গুরুতর আহত হন।
ঘটনার পরপরই চালক বাস নিয়ে দ্রুত পালিয়ে যান। ঘটনার পর সিলেট-তামাবিল মহাসড়কে প্রায় ১ ঘণ্টা যান চলাচল বন্দ ছিল।
নিহত তালহা জৈন্তাপুর উপজেলার দরবস্ত ইউনিয়নের কাঞ্জরগ্রামের তাজউদ্দিনের ছেলে।
আহতরা হলেন— উপজেলার সারীঘাট ডৌডিক গ্রামের শুক্কুর মিয়ার ছেলে শাকিল (২০), একই গ্রামের মাওলানা আব্দুল ওয়াহিদ এর ছেলে জুনেদ আহমদ (১৮), মনির আলীর ছেলে শাহরিয়ার (২০), আরফান আলীর ছেলে ইব্রাহীম আহমদ (২২) এবং উপজেলার গুজ্ছগ্রামের জিয়া উদ্দিনের ছেলে ফরহাদ আলী (১৫)।
আরও পড়ুন: ত্রিশালে ট্রাকের ধাক্কায় অটোরিকশার দুই আরোহী নিহত
দুর্ঘটনার পর স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে প্রথমে জৈন্তাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। সেখান থেকে তাদের প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে গুরুতর অবস্থায় সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
এদিকে, খবর পেয়ে তামাবিল হাইওয়ে থানার একটি পুলিশ টিম ঘটনাস্থলে পৌঁছে নিহত তালহার মরদেহ উদ্ধার করে এবং দুর্ঘটনাকবলিত দুটি মোটরসাইকেল জব্দ করে থানায় নিয়ে যায়।
তামাবিল হইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাবিবুর রহমান জানান, ঘাতক বাসটিকে আটকের চেষ্টা চলছে। আহতদের চিকিৎসার খোঁজ খবর নেওয়া হচ্ছে।
১২১ দিন আগে
সাভার ও আশুলিয়ায় শিশুসহ দুজনের মরদেহ উদ্ধার
সাভার পৌর এলাকা ও আশুলিয়ার শ্রীপুর থেকে পৃথকভাবে এক অজ্ঞাত যুবক ও এক শিশুর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
সাভার মডেল থানা পুলিশ জানায়, শুক্রবার (২৯ আগস্ট) রাতে সাভার পৌর কমিউনিটি সেন্টারের একটি পরিত্যক্ত ভবনের দোতলায় হাত-পা বাঁধা অবস্থায় এক অজ্ঞাত যুবকের মরদেহ দেখতে পান স্থানীয়রা। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠায়।
নিহত যুবকের পরনে প্যান্ট ও গেঞ্জি ছিল। হত্যাকাণ্ডের কারণ উদঘাটনে পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে।
অন্যদিকে, আশুলিয়ার শ্রীপুর এলাকায় অপহরণের ১৩ দিন পর পাঁচ বছর বয়সী শিশু জোনাইদ হোসেনের হাড়গোড় উদ্ধার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব-৪)।
আরও পড়ুন: শরীয়তপুরে বিএনপি নেতা হত্যা: প্রধান আসামির বস্তাবন্দি মরদেহ উদ্ধার
র্যাব-৪ এর সাভার নবীনগর ক্যাম্পের কমান্ডার মেজর নাজমুল ইসলাম জানান, গত ১৬ আগস্ট আশুলিয়ার শ্রীপুর এলাকায় ভাড়া বাসা থেকে শিশু জোনাইদকে অপহরণ করে তার প্রতিবেশী মোরছালিন। পরে ৪০ হাজার টাকা মুক্তিপণ না পেয়ে শিশুটিকে শ্বাসরোধে হত্যা করে এবং লাশ একটি জঙ্গলে ফেলে দেয়।
অপহরণের ঘটনায় আশুলিয়া থানায় সাধারণ ডায়েরি করা হলে, তদন্তে নামে র্যাব-৪। পরে গতকাল (শুক্রবার) সন্ধ্যায় শ্রীপুরের ফারুকনগর এলাকা থেকে অপহরণকারী মোরছালিনকে গ্রেপ্তার করে র্যাব। এরপর আসামির দেওয়া তথ্যে রাতেই শ্রীপুরের একটি জঙ্গল থেকে শিশু জোনাইদের হাড়গোড় উদ্ধার করা হয়।
১২১ দিন আগে
পাগলা মসজিদের দানবাক্সে এবার ৩২ বস্তা টাকা, চলছে গণনা
ঐতিহাসিক মসজিদটির নাম পাগলা মসজিদ। কিশোরগঞ্জ পৌর শহরের নরসুন্দা নদীর তীরে অবস্থিত এ মসজিদটির ১৩টি লোহার দানবাক্স রয়েছে। এর আগে ১১টি দানবাক্স থাকলেও এবার আরও দুটি বেড়ে মোট ১৩টি দানবাক্স হয়েছে। প্রতি তিন মাস পরপর দানবাক্সগুলো খোলা হয়। এবার চার মাস ১৭ দিন পর সেগুলো খোলা হয়েছে।
শনিবার (৩০ আগস্ট) সকাল ৭টায় ১৩টি দানবাক্স থেকে ৩২ বস্তা টাকা পাওয়া গেছে। সঙ্গে বরাবরের মতোই পাওয়া গেছে বৈদেশিক মুদ্রা ও স্বর্ণের গহনা। এখন চলছে গণনা। গণনায় অংশ নিয়েছেন প্রায় ৫০০ জনের একটি দল।
কিশোরগঞ্জ জেলা প্রশাসক ও পাগলা মসজিদ কমিটির সভাপতি ফৌজিয়া খান এসব তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, আমরা এবার চার মাস ১৭ দিন পর দানবক্স খুলেছি। এবার রেকর্ড ৩২ বস্তা টাকা পাওয়া যায়। ব্যাংক কর্মকর্তা ও মাদরাসার ছাত্ররা টাকা গণনার কাজ করছেন।
মসজিদ পরিচালনা কমিটি সূত্রে জানা গেছে, শনিবার সকাল সোয়া ৭টার দিকে জেলা প্রশাসক ফৌজিয়া খান ও পুলিশ সুপার মোহাম্মদ হাছান চৌধুরী এবং দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে মসজিদের ৯টি দান দানবাক্স খোলা হয়েছে। বাক্সগুলো খুলে ৩২টি বস্তায় ভরে টাকাগুলো মসজিদের দোতলায় আনা হয়েছে গণনার জন্য। এখন চলছে টাকা গণনার কাজ।
টাকা গণনার কাজে কিশোরগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মিজাবে রহমত, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মোহাম্মদ নাহিদ হাসান খান, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) জেসমিন আক্তার, সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) কামরুল হাসান মারুফ, রূপালী ব্যাংকের সহকারী মহাব্যবস্থাপক (এজিএম) মোহাম্মদ আলী হারেছীসহ ঐতিহাসিক জামিয়া ইমদাদিয়া মাদরাসার ২২০ ও পাগলা মসজিদের নুরুল কোরআন হাফিজিয়া মাদরাসার ১২০ জন ছাত্র, ব্যাংকের ১০০ জন স্টাফ, মসজিদ কমিটির ৩৪ জন ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ২০ জন সদস্য অংশ নিয়েছেন।
আরও পড়ুন: পাগলা মসজিদের দানবাক্সে মিলল ৯ কোটি টাকা
মসজিদের খতিব, এলাকাবাসী ও দূরদূরান্ত থেকে আসা লোকজনের দাবি, এ মসজিদে মানত করলে মনের আশা পূর্ণ হয়— এমন ধারণা থেকে ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সবাই এই মসজিদে দান করে থাকেন।
জনশ্রুতি আছে, এক সময় এক আধ্যাত্মিক পাগল সাধকের বাস ছিল কিশোরগঞ্জ পৌর শহরের হারুয়া ও রাখুয়াইল এলাকার মাঝ দিয়ে প্রবাহিত নরসুন্দা নদের মধ্যবর্তী স্থানে জেগে ওঠা উঁচু টিলাকৃতির স্থানটিতে। মুসলিম-হিন্দু নির্বিশেষে সব ধর্মের লোকজনের যাতায়াত ছিল ওই সাধকের আস্তানায়। পাগল সাধকের দেহাবসানের পর তার উপাসনালয়টিকে কামেল পাগল পীরের মসজিদ হিসেবে ব্যবহার শুরু করে এলাকাবাসী।
সাধকের দেহাবসানের পর থেকে আশ্চর্যজনকভাবে এলাকা, এমনকি দূরদূরান্তের লোকজনের সেখানে ভিড় বাড়তে থাকে। মানত কিংবা দান খয়রাত করলে মনোবাসনা পূরণ হয়—এই বিশ্বাস থেকে বিভিন্ন বয়সের ও ধর্ম-বর্ণের নারী-পুরুষ মানত নিয়ে আসেন এ মসজিদে। তারা নগদ টাকা-পয়সা, স্বর্ণ ও রুপার অলঙ্কারের পাশাপাশি গরু, ছাগল, হাঁস-মুরগি, এমনকি বৈদেশিক মুদ্রাও দান করে থাকেন।
বিশেষ করে প্রতি শুক্রবার দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে এ মসজিদে বিভিন্ন বয়সের নারী-পুরুষের ঢল নামে। আগতদের মধ্যে মুসলিমদের অধিকাংশই জুমার নামাজ আদায় করেন মসজিদে। আর এ ইতিহাস প্রায় আড়াইশ বছরেরও বেশি সময়ের বলে জানান স্থানীয়রা।
১২১ দিন আগে
শেরপুরে শাপলা তুলতে গিয়ে বিলে ডুবে দুই শিশু নিহত
শেরপুর সদর উপজেলায় শাপলা ফুল তুলতে গিয়ে বিলের পানিতে ডুবে ফাহিমা আক্তার নুন (৯) ও জেমি (৮) নামে দুই শিশু নিহত হয়েছে।
শুক্রবার (২৯ আগস্ট) বিকেলে উপজেলার গাজিরখামার ইউনিয়নের চকপাড়া এলাকার বলেশ্বর বিল থেকে তাদের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
ফাহিমা আক্তার নুন চকপাড়া এলাকার মাসেক আলীর মেয়ে এবং জেমি একই এলাকার জয়নুদ্দিনের মেয়ে।
আরও পড়ুন: ভোলায় পানিতে ডুবে দুই বোনের মৃত্যু
নিহতের স্বজনরা জানান, গতকাল (শুক্রবার) সকাল ১০টার দিকে ফাহিমা ও জেমি বাড়ির পাশের বলেশ্বর বিলে শাপলা তুলতে যায়। এরপর তারা আর ফিরে না আসায় পরিবারের সদস্যরা খোঁজাখুঁজি শুরু করেন। খোঁজাখুঁজির পর একপর্যায়ে বিকেলে স্থানীয়দের সহায়তায় তাদের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
স্থানীয়দের ধারণা, শাপলা তুলতে তুলতে তারা বিলের মাঝখানের গর্তে পড়ে যায়। সেখানে পানি বেশি থাকায় ডুবে গিয়ে তাদের মৃত্যু হয়েছে।
শেরপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জুবায়দুল আলম জানান, ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় পরবর্তী আইনি পদক্ষেপ গ্রহণের প্রক্রিয়া চলছে।
১২১ দিন আগে
খাবার আনতে দেরি হওয়ায় শিক্ষার্থীকে ‘গরম খুন্তির ছ্যাঁকা’ দিলেন মাদরাসা সুপার
মাগুরা জেলার শ্রীপুরে খাবার আনতে দেরি হওয়ায় এক শিক্ষার্থীকে গরম খুন্তির ছ্যাঁকা দিয়ে নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে মাদারাসা সুপার মাওলানা আবু সাইদের বিরুদ্ধে।
বৃহস্পতিবার (২৯ আগস্ট) রাতে উপজেলার নাকোল-কমলাপুর দারুল উলুম ইসলামি মাদরাসায় এ ঘটনা ঘটে।
ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর নাম জুনায়েদ হোসেন (১২)। সে মাগুরা শহরের আদর্শপাড়ার ভাড়া বাড়ির বাসিন্দা সুজন মিয়ার ছেলে।
নাকোল থানা পুলিশ জানিয়েছে, নির্যাতনের পর শিশুটি গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়লেও তাকে চিকিৎসা দেওয়া হয়নি, বরং কাউকে কিছু না জানানোর জন্য ভয় দেখিয়ে মাদরাসায় আটকে রাখা হয়। আজ (বৃহস্পতিবার) জুনায়েদ পালিয়ে বাড়ি ফিরে গেলে তার বাবা সুজন মিয়া নাকোল পুলিশ ফাঁড়িতে এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগ করেন।
সুজন মিয়া জানান, চার বছর আগে ছেলেকে হাফেজ বানানোর উদ্দেশ্যে ওই মাদরাসায় ভর্তি করেন। কিন্তু সেখানে তুচ্ছ ঘটনায়ও মাদরাসার সুপার মাওলানা আবু সাইদের নির্যাতনের শিকার হতে হতো তার ছেলেকে।
আরও পড়ুন: ভারত থেকে বাংলাদেশি যুবকের নির্যাতনের ভিডিও পাঠিয়ে মুক্তিপণ দাবি
তিনি বলেন, গত রাতে সুপারের খাবার আনতে জুনায়েদকে মাদরাসার পাশে একটি বাড়িতে পাঠানো হয়। সেখানে গৃহস্থের খাবার প্রস্তুতে দেরি হওয়ায় জুনায়েদের ফিরতেও দেরি হয়। কিন্তু এ জন্য জুনায়েদকে অপরাধী করে নির্যাতন করা হয়।
শিশু জুনায়েদ জানায়, রাত ৯টার দিকে খাবার নিয়ে মাদরাসায় ফিরলেও সুপারের ঘনিষ্ট দুই ছাত্র ওয়ালিদ ও সিজান তার হাত বেঁধে মুখে বালিশ চাপা দিয়ে পরনের কাপড় খুলে ফেলে। এরপর মোমবাতির আগুনে স্টিলের খুন্তি গরম করে শরীরে ছ্যাঁকা দেয়। নির্যাতনের বিষয়টি প্রকাশ করলে আরও মারধরের হুমকিও দেওয়া হয় তাকে।
এ বিষয়ে এ ঘটনার সঙ্গে নিজের জড়িত থাকার বিষয়টি অস্বীকার করে মাদরাসার সুপার মাওলানা আবু সাইদ বলেন, রাতে তাদের মাদরাসায় তালা দিয়ে নিজ ঘরে যাই। কিন্তু কখন এটি ঘটেছে জানা নেই।
নাকোল পুলিশ ফাঁড়ির দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. মুকুল হোসেন জানান, শিশুটির বাবার অভিযোগের বিষয়টি তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
১২২ দিন আগে
শরীয়তপুরে বিএনপি নেতা হত্যা: প্রধান আসামির বস্তাবন্দি মরদেহ উদ্ধার
শরীয়তপুরের জাজিরা উপজেলায় বিএনপি নেতা খবির উদ্দিন সরদার হত্যার ঘটনায় প্রধান আসামি আলমাস সরদারের বস্তাবন্দি লাশ উদ্ধার করেছে জাজিরা থানা পুলিশ।
বৃহস্পতিবার (২৮ আগস্ট) রাত সাড়ে ১১টার দিকে জাজিরা উপজেলার বড়কান্দি ইউনিয়নের ওমরদি কান্দি এলাকার জব্বার মাষ্টারের পরিত্যক্ত ভিটা থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
এর আগে, গত মঙ্গলবার (২৬ আগস্ট) রাতে উপজেলার বড়কান্দি ইউনিয়নের উমরদি মাদবরকান্দি এলাকায় মসজিদের মাইকের আজানে ঘুমের ব্যাঘাত হচ্ছে অভিযোগ তুলে ইমামকে হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠে আলমাসের বিরুদ্ধে। এর প্রতিবাদ করায় বড়কান্দি ইউনিয়ন বিএনপি নেতা খবির সরদারকে ছুরিকাঘাতে হত্যার অভিযোগ উঠে। ওই ঘটনার প্রধান অভিযুক্ত ছিল নিহত আলমাস।
নিহত খবির সরদার বড়কান্দি ইউনিয়ন বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক ছিলেন। এ ঘটনায় নিহতের ভাই দানেশ সরদার বাদী হয়ে আলমাসসহ ২০ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরও ২০ থেকে ২৫ জনকে আসামি করে জাজিরা থানায় একটি হত্যা মামলা করেন।
আরও পড়ুন: মুন্সীগঞ্জের গজারিয়ায় নিখোঁজ সাংবাদিক বিভুরঞ্জন সরকারের লাশ উদ্ধার
পুলিশ জানিয়েছে, হত্যাকাণ্ডে পর থেকে নিখোঁজ ছিলেন অভিযুক্ত আলমাস সরদার। তাকেও হত্যা করে গুম করে কোথাও রাখা হয়েছে বলে সন্দেহ করা হয়েছিল। সে অনুযায়ী সারা দিন খোঁজাখুঁজির পর বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে তার মরদেহটি ওই পরিত্যাক্ত ভিটার মাটির নিচ থেকে উদ্ধার করা হয়। পরে নিহত আলমাসের পরিবারের সদস্যরা এসে লাশটি তার বলে শনাক্ত করেন।
এ বিষয়ে জাজিরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাইনুল ইসলাম বলেন, বিএনপি নেতা খবির সরদার হত্যা মামলার প্রধান আসামি আলমাস সরদারের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
১২২ দিন আগে
ভোলার দৌলতখানে পানিতে ডুবে দুই শিশুর মৃত্যু
ভোলার দৌলতখান উপজেলায় পানিতে ডুবে ফাতেমা ও জোবায়দা নামে দুই শিশুর মৃত্যু হয়েছে। সম্পর্কে তারা খালাতো বোন।
বুধবার (২৭ আগস্ট) চরখলিফা ইউনিয়নের দিদারউল্লাহ গ্রামের ৬নং ওয়ার্ডের হজু পাটোয়ারী বাড়িতে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
এদিন বিকেলে তারা নিখোঁজ হয়। পরে রাত সাড়ে ১০টার দিকে বাড়ির পুকুর থেকে তাদের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
নিহত ফাতেমা (৬) দিদারউল্লাহ গ্রামের মো. শাকিলের মেয়ে এবং জোবায়দা (৪) মো. হোসেনের মেয়ে।
স্থানীয়রা জানান, বুধবার বিকেলে শিশু দুটি বাড়ির আঙিনায় খেলাধুলা করছিল। সবার অগোচরে তারা বাড়ির পাশে পুকুরে ডুবে যায় বলে ধারণা করা হচ্ছে। তাদের দেখতে না পেয়ে বিভিন্ন জায়গায় সন্ধান করলেও খোঁজ পায়নি পরিবার। এরপর গ্রামে মাইকে প্রচারও করা হয়।
অবশেষে দীর্ঘ ৬ থেকে ৭ ঘণ্টা পর রাত ১০ টার দিকে জোবায়দাকে পুকুরে ভাসমান অবস্থায় দেখতে পাওয়া যায়। এরপর সাড়ে ১০টার দিকে ফাতেমাকেও পুকুর থেকে উদ্ধার করা হয়।
পরে তাদের দৌলতখান উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ২ বোনকেই মৃত ঘোষণা করেন।ে
আরও পড়ুন: রাণীশংকৈলে নদীতে ডুবে শিশুর মৃত্যু
দৌলতখান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জিল্লুর রহমান জানান , এ ঘটনায় দৌলতখান থানায় একটি অপমৃত্যুর মামলা দায়ের করা হয়েছে। পরিবারের কোনো অভিযোগ না থাকায় মৃতদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
১২৩ দিন আগে
তামাবিল কাস্টমসের নিলামকে কেন্দ্র করে ছাত্রদল-শ্রমিক সংঘর্ষ, আহত বেশ কয়েকজন
সিলেটের গোয়াইনঘাটের তামাবিল কাস্টমসের জব্দ করা পণ্যের নিলামকে কেন্দ্র করে ছাত্রদলের নেতাকর্মী ও স্থলবন্দর শ্রমিকদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে উভয় পক্ষের একাধিক ব্যক্তি আহত হয়েছেন।
বুধবার (২৭ আগস্ট) দুপুরে তামাবিল শুল্ক স্টেশনে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। আহতদের মধ্যে তামাবিল স্থলবন্দর শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়নের (রেজি নং: চট্ট-২২১৪) সভাপতি মনির হোসেনও রয়েছেন।
ঘটনার পরপরই শ্রমিক সংগঠনের পক্ষ থেকে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন সাংগঠনিক সম্পাদক সাদ্দাম হোসেন। অভিযোগে আট জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। এ ছাড়া অজ্ঞাতনামা আরও ১০-১২ জনকে অভিযুক্ত করা হয়েছে।
অভিযোগে বলা হয়েছে, প্রতিপক্ষের হামলায় ট্রেড ইউনিয়নের সভাপতি মনির হোসেনসহ কয়েকজন আহত হয়েছেন। হামলাকারীরা প্রায় দেড় লাখ টাকা লুটে নিয়েছে বলেও উল্লেখ করা হয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, তামাবিল শুল্ক স্টেশনে গতকাল (বুধবার) জব্দ করা ভারতীয় মোটরসাইকেলসহ অন্যান্য পণ্যের নিলাম চলছিল। এ সময় জৈন্তাপুর উপজেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক বদরুল আলম শাওন, সদস্য সচিব এম শাহীন আলম ও স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব আব্দুল্লাহ ইলিয়াস নিলামের নিয়ন্ত্রণ নিতে চাইলে স্থানীয় ব্যবসায়ীরা তাদের আটকে রাখেন।
পরে ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক সুলেমান আহমেদ ছাত্রদল ও স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতাকর্মীদের নিয়ে ঘটনাস্থলে গেলে সংঘর্ষ বাঁধে। এতে ট্রেড ইউনিয়নের সভাপতি মনির হোসেনসহ উভয় পক্ষের বেশ কয়েকজন আহত হন।
গোয়াইনঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সরকার তোফায়েল আহমদ বলেন, নিলামে দুইটি গ্রুপ ছিল। একটি গ্রুপের পক্ষে নিলাম পাইয়ে দেওয়ার পক্ষে ছিলেন জৈন্তাপুর ছাত্রদল এবং অন্য গ্রুপে ছিলেন শ্রমিক সংগঠনের নেতা। ছাত্রদলের নিলাম নিয়ন্ত্রণের কথা তিনি জানেন না। তবে শ্রমিক সংগঠনের সভাপতি একটি গ্রুপের পক্ষে ছিলেন বলে উল্লেখ করেন। এ নিয়ে সংঘর্ষ হয় এবং শ্রমিক সংগঠনের সভাপতিসহ আরও অনেকে আহত হয়েছেন। অভিযোগের বিষয়টি খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানান এই পুলিশ কর্মকর্তা।
আরও পড়ুন: সুনামগঞ্জে ১২টি ভারতীয় গরু জব্দ করেছে বিজিবি
জৈন্তাপুর উপজেলা ছাত্রদলের বদরুল আলম শাওন গণমাধ্যমকে জানান, তামাবিল স্থলবন্দর এখনো আওয়ামী লীগের দোসরদের নিয়ন্ত্রণে। নূর উদ্দীন, জালাল উদ্দীন ও তার সহযোগীরামাধ্যমে নিয়ন্ত্রণ করা হয়।
তিনি বলেন, ‘আমরা নিলামে অংশ নিতে গেলে নূর উদ্দীনরা আমাদের বাঁধা দেয়। বাগবিতণ্ডায় লিপ্ত হন তারা। পরে আপোস মিমাংসায় বসা হলে শ্রমিক নেতা মনির উদ্দীন টেবিলে থাপ্পড় দিয়ে কীসের আপোস বলে উসকে দেন।’
নূর উদ্দীন, জালাল উদ্দীন ও মনির উদ্দীনদের লোকজন তাদের ওপর হামলা চালিয়েছে বলে অভিযোগ করেন শাওন। তারাও মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছেন বলেও জানান তিনি।
১২৩ দিন আগে