সারাদেশ
ফেনীতে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের ১৪ স্থানে ভাঙন, ৩০ গ্রাম প্লাবিত
ফেনীতে টানা ভারী বৃষ্টি ও ভারতের উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি পানিতে মুহুরী, কহুয়া ও সিলোনিয়া নদীর বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের ১৫টি স্থান ভেঙে গেছে। এতে ফুলগাজী ও পরশুরাম উপজেলার ৩০টির বেশি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। জেলার বিভিন্ন স্থানে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে। তবে পানি কমতে শুরু করেছে ফেনী শহরের।
ফেনী বিদ্যুৎ বিতরণ বিভাগ ও পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি জানিয়েছে, প্লাবিত এলাকার অনেক বাড়ি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের বৈদ্যুতিক মিটার ও সাব-স্টেশন ডুবে যাওয়ায় নিরাপত্তার জন্য বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রাখা হয়েছে। পরিস্থিতির উন্নতি না হলে এই ব্যবস্থা অব্যাহত রাখা হতে পারে।
ফেনী পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) জানায়, পরশুরামের মুহুরী নদীর পানি বিপৎসীমা ছাড়িয়েছে। মঙ্গলবার (৮ জুলাই) রাত ১২টায় নদীর পানিপ্রবাহ রেকর্ড করা হয় ১৩.৯২ মিটার, যা বিপদসীমার চেয়ে ১.৫৭ মিটার বেশি। মাত্র ১৫ ঘণ্টার ব্যবধানে নদীর পানি বেড়েছে ৬.৯২ মিটার (২২ ফুট ১০ ইঞ্চি)।
আবহাওয়া অফিসের তথ্য অনুযায়ী, গতকাল মঙ্গলবার সকাল ৬টা থেকে বুধবার সকাল ৬টা পর্যন্ত ফেনীতে ৪৩৯ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড হয়েছে। ফেনী আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. মজিবুর রহমান বলেন, বুধবার ও বৃহস্পতিবারও মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টি হতে পারে।
পরশুরাম ও ফুলগাজী উপজেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, মুহুরী নদীর বাঁধের পরশুরামের জঙ্গলঘোনায় দুটি, অলকায় তিনটি, শালধরে একটি এবং ফুলগাজীর উত্তর শ্রীপুরে একটি স্থানের বাঁধ ভেঙেছে। সিলোনিয়া নদীর পরশুরামের গদানগরে একটি ও ফুলগাজীর দেড়পড়ায় দুটি স্থানে বাঁধে ভাঙন দেখা দিয়েছে। এ ছাড়া কহুয়া নদীর পরশুরামের সাতকুচিয়ায় দুটি, বেড়াবাড়িয়ায় একটি এবং ফুলগাজীর দৌলতপুরে একটি স্থানে বাঁধ ভেঙে অন্তত ৩০টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। এর ফলে পানিবন্দি হয়ে পড়েছে হাজার হাজার পরিবার।
১৭৩ দিন আগে
ফেনীতে ৪৪০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত, বেড়িবাঁধে ভাঙন
টানা দুই দিনের বর্ষণে ফেনী জেলার বিভিন্ন স্থানের রাস্তাঘাট, বাসাবাড়ি ও দোকানপাট পানিতে ডুবে গেছে। ফুলগাজীর শ্রীনগর, পরশুরামের রাধানগর, জঙ্গলঘোনা ও মির্জানগর এলাকায় বেড়িবাঁধ ভেঙে গেছে। পরশুরাম, ফুলগাজী ও ছাগলনাইয়ার বেশ কিছু নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে।
এতে সীমাহীন দুর্ভোগে পড়েছে নানা শ্রেণিপেশার মানুষ, ব্যবসায়ী ও শিক্ষার্থীরা। পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন লাখো মানুষ। প্রশাসনের পক্ষ থেকে ফুলগাজী ও পরশুরামের নিম্নাঞ্চলের মানুষদের নিরাপদ স্থানে নিতে মাইকিং করে সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে।
ফেনী আবহাওয়া অফিসের ইনচার্জ মজিবুর রহমান জানান, ফেনীতে গত সোমবার (৭ জুলাই) বেলা ৩টা থেকে মঙ্গলবার (৮ জুলাই) বেলা ৬টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় বৃষ্টি রেকর্ড করা হয়েছে ৪৪০ মিলিমিটার, যা চলতি মৌসুমে সর্বাধিক বৃষ্টিপাত। এতে শহরজুড়ে ব্যাপক জলাবদ্ধতা দেখা দেয়।
টানা বৃষ্টিতে ফুলগাজী বাজারের শ্রীপুর রোডে মুহুরী নদীর বাঁধ ভেঙে কয়েকটি দোকান ধসে গেছে।
জেলা প্রশাসক সাইফুল ইসলাম জানান, মুহুরী নদীর পানি বিপৎসীমার ৬৫ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। অস্বাভাবিক পানি বৃদ্ধির ফলে বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে। সিলোনিয়া নদীর পানি ও পরশুরামে বৃষ্টির পানি বিপৎসীমায় পৌঁছেছে।
বৃষ্টির পানিতে ডুবে গেছে শহরের এসএসকে রোড, একাডেমি রোড, পাঠানবাড়ি রোড, নাজির রোড, মিজান রোড, কলেজ রোড, শান্তি কোম্পানি রোড, কদলগাজী রোড, পেট্রোবাংলোসহ বিভিন্ন এলাকা।
শহরে রিকশা, ভ্যান ছাড়া তেমন কোনো যানবাহন চলাচল করতে দেখা যায়নি। কোথাও হাঁটু পানি, কোথাও আবার কোমর পানি জমে আছে। অধিকাংশ বাসাবাড়ির নিচতলায় পানি উঠে গেছে।
স্কুলগামী শিক্ষার্থীরা স্কুলে যাওয়ার চেষ্টা করেও কোমরপানির কারণে যেতে পারেনি। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ও বিভিন্ন গ্রুপে স্কুলগুলো ছুটি ঘোষণা করেছে। যারা পরীক্ষার্থী ছিলেন তারা বিশেষভাবে পানির মধ্যে হেঁটে বা রিকশা-ভ্যানে করে পরীক্ষায় অংশ নিয়েছে।
মার্কেট ও দোকানগুলোতে পানি ঢুকে পড়েছে। শহীদ শহীদুল্লা কায়সার সড়কে যানবাহনের ইঞ্জিনে পানি ঢুকে বিকল হয়ে গেছে অনেক গাড়ি। সকাল থেকে সড়কে আটকেপড়ায় দুর্ভোগে পড়েছেন সাধারণ যাত্রীরা।
মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত শহরের শহীদ শহীদুল্লা কায়সার সড়কের বিভিন্ন জায়গায় কোমর পানি জমে থাকতে দেখা গেছে। ফুলগাজী বাজারের শ্রীপুর রোডে মুহুরী নদীর বেড়িবাঁধ ভেঙে কয়েকটি দোকান নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে।
ফেনী পৌর হকার্স মার্কেটের ব্যবসায়ী তারেক জানান, সকাল থেকে দোকানে পানি ঢুকে সব মালপত্র ভিজে গেছে। গেল বছরের ক্ষতি এখনো কাটিয়ে উঠতে পারিনি। ড্রেনেজ ব্যবস্থা ঠিক থাকলে এমন পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে হতো না।
পরশুরাম উপজেলার মির্জানগর ইউনিয়নের সিলোনিয়া নদীর মেলাঘর, গদানগর ও মনিপুর গ্রামে বেড়িবাঁধ ভেঙে অন্তত ছয়টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে।
উপজেলার মনিপুর গ্রামের বাসিন্দা ও স্থানীয় সাংবাদিক আব্দুল মান্নান বলেন, মঙ্গলবার দুপুর থেকে সিলোনিয়া নদীর পানি বিপৎসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। নদীর পানি গড়িয়ে সুবার বাজারের দক্ষিণাংশ তলিয়ে গেছে।
ফেনীর পানি উন্নয়ন বোর্ডের তথ্য মতে, পরশুরামের মুহুরী নদীর পানি বিপৎসীমা ১২.৯৬ মিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এর আগে বিকেল ৩টায় ১২.২৬ মিটার উচ্চতায় পানি প্রবাহ রেকর্ড করা হয়েছিল। বিকেল চারটার পর থেকে মুহুরী নদীর পানি দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে।
ফেনী উজানে ভারতের ত্রিপুরা ও ফেনীতে এখনও ভারী বর্ষণ হচ্ছে। পানি উন্নয়ন বোর্ডের গেজ রিডার নেপাল সাহা বলেন, মঙ্গলবার (৮ জুলাই) চারটার পর থেকে মুহুরী নদীর পানি বিপৎসীমার ৯৬ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
ফেনী আবহাওয়া অফিসের ইনচার্জ মো. মজিবুর রহমান জানান, আগামী ২-৩ দিন জেলাজুড়ে বৃষ্টি অব্যাহত থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। শহরের ড্রেনেজ ব্যবস্থা ভালো না থাকায় পানি নামছে ধীরগতিতে।
ফেনী পৌর প্রশাসক ও স্থানীয় সরকার বিভাগের উপপরিচালক গোলাম মো. বাতেন বলেন, অতিরিক্ত বৃষ্টি ও অপর্যাপ্ত ড্রেনেজ ব্যবস্থার কারণে জলাবদ্ধতা দেখা দিয়েছে। বৃষ্টি বন্ধ হলে পানি দ্রুত নেমে যাবে।
ইতোমধ্যে পৌরসভার সাতটি টিম মাঠে কাজ করছে। চলমান বৃষ্টিপাত ও জলাবদ্ধতা পরিস্থিতিতে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে স্থানীয় বাসিন্দাদের প্রয়োজন ছাড়া বাইরে না যাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী মো. আবুল কাশেম জানিয়েছেন, মঙ্গলবার বেলা ১২টার দিকে কহুয়া নদীর বাঁধের উপর দিয়ে পানি লোকালয়ে ঢুকছে। তবে এখনো তা বিপৎসীমার নিচে রয়েছে। টানা বৃষ্টির কারণে সীমান্তবর্তী মুহুরী, কহুয়া ও সিলোনিয়া নদীর পানি বাড়ছে।
১৭৩ দিন আগে
সিলেটে গাছে ঝুলছিল যুবকের লাশ
সিলেটের দক্ষিণ সুরমার মোগলাবাজারে রেল লাইনের পাশে গাছে ঝুলন্ত অবস্থায় এক যুবকের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (৮ জুলাই) সকাল ১০টার দিকে মোগলাবাজার থানাপুলিশ লাশটি উদ্ধার করেছ।
নিহত যুবকের নাম জাহাঙ্গীর আলম। তার বাড়ি সিলেটের জৈন্তাপুর উপজেলায়।
মোগলাবাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বলেন, লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এটি হত্যা না আত্মহত্যা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
১৭৩ দিন আগে
ফরিদপুরে এনসিপি নেতার বাড়িতে দুর্বৃত্তদের তাণ্ডব
ফরিদপুরে এনসিপি'র জেলা কমিটির ১ নম্বর যুগ্ম সমন্বয়ক এস এম জাহিদ ও তার ছেলে জেলা শ্রমিক উইংয়ের প্রধান সমন্বয়ক এস এম জুনায়েদ জিতুর বাড়িতে গভীর রাতে তালা ভেঙ্গে ঢুকে তাণ্ডব চালিয়েছে দুর্বৃত্তরা।
সোমবার(৭ জুলাই) দিবাগত গভীর রাতে শহরের আলীপুর এলাকায় তার নিজ বাসভবন আয়েশা ভিলার দ্বিতীয় তলায় এ ঘটনা ঘটে।
খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। এ ঘটনায় ফরিদপুর কোতোয়ালি থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।
এস এম জাহিদ জানান, দুর্বৃত্তরা হানা দিয়ে তিনটি লোহার দরজার তালা ভেঙ্গে ভেতরে প্রবেশ করে। পরে দুটি খালি কক্ষে ঢুকে স্টিলের আলমারি ভেঙ্গে মালামাল তছনছ করে। এ সময় অন্য দুটি কক্ষে এনসিপি নেতা জাহিদ ও তার ছেলে শ্রমিক উইংয়ের প্রধান সমন্বয় জুনায়েদ অবস্থান করছিলেন। ভেতর থেকে আটকানো থাকায় ওই দুটি কক্ষের দরজা খুলতে পারেনি দুর্বৃত্তরা।
ফজরের আজান শুরু হলে এস এম জাহিদের জেগে ওঠা টের পেয়ে পালিয়ে যায় তারা। এ সময় তালা ভাঙ্গার যন্ত্র ও দুই জোড়া স্যান্ডেল রেখে যায় দুর্বৃত্তরা।
আরও পড়ুন: লালমনিরহাটে কালবৈশাখীর তাণ্ডব, লণ্ডভণ্ড শতাধিক বসতবাড়ি
তবে এ ঘটনায় কোনো মূল্যবান মালামাল খোয়া যায়নি বলে জানিয়েছেন এস এম জাহিদ। কোনো মালামাল না নেওয়ায় ঘটনাটি ব্যক্তি আক্রোশে ক্ষতি করার উদ্দেশ্য ছিল বলে আশঙ্কা করেছেন তিনি।
ফরিদপুর কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আসাদউজ্জামান জানান, ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে সিআইডি'র মাধ্যমে ঘটনার আলামত সংগ্রহ করা হয়েছে।
১৭৩ দিন আগে
চুয়াডাঙ্গায় ট্রেনে কাটা পড়ে যুবকের মৃত্যু, রেললাইন অবরোধ
চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার আমিরপুর রেলগেটে ট্রেনে কাটা পড়ে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে।
সোমবার (৮ জুলাই) বিকাল অনুমানিক ৪টার দিকে চিলাহাটি থেকে ছেড়ে আসা খুলনাগামী রুপসা এক্সপ্রেস ট্রেনের সঙ্গে সংঘর্ষে মোটরসাইকেলসহ ওই যুবক ট্রেনের নিচে পড়ে যান। ট্রেনের ইঞ্জিনে আটকে মোটরসাইকেলটি প্রায় ১ কিলোমিটার দূরে নিয়ে যায়।
এদিকে, তাৎক্ষণিকভাবে রেলগেটে গেটম্যানের দাবিতে দুর্ঘটনাকবলিত লাইনটি অবরোধ করেন স্থানীয়রা। সেই লাইনে রাজশাহী থেকে ছেড়ে আসা খুলনাগামী কপোতাক্ষ এক্সপ্রেস ট্রেনটি প্রায় এক ঘণ্টা আটকে থাকে রেললাইন অবরোধের কারণে। এতে খুলনাগামী ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
আরও পড়ুন: দিনাজপুরে কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে ট্রেনে কাটা পড়ে দুজন নিহত
চুয়াডাঙ্গা রেলওয়ে পুলিশ ফাড়ির উপপরিদর্শক (এসআই) জগদীশ চন্দ্র বসু এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, ‘রুপসা এক্সপ্রেস ট্রেনে কাটা পড়ে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। এখানে রেলগেটে গেটম্যানের দাবিতে কয়েকশ মানুষ ট্রেন অবরোধ করেছেন। তাৎক্ষণিকভাবে গ্যাটম্যানের দাবি করেছে। নিহতের পরিচয় নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
১৭৩ দিন আগে
গাছে বাঁধা অবস্থায় মিলল শ্রীমঙ্গলের নিখোঁজ এইচএসসি পরীক্ষার্থীর লাশ
মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল উপজেলার কাকিয়াছড়া চা বাগান থেকে এক কলেজছাত্রের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
সোমবার (৭ জুলাই) সকালে চা বাগানের একটি গাছের সঙ্গে বাঁধা অবস্থায় লাশটি দেখতে পেয়ে থানা পুলিশে খবর দেয় বাগান শ্রমিকরা। খবর পেয়ে ফিনলে কোম্পানির কাকিয়াছড়া চা বাগানের ১ নম্বর সেকশন থেকে গাছের সঙ্গে বেল্ট দিয়ে বাঁধা অবস্থায় হৃদয় আহমেদ ইয়াছিন (১৯) নামের ওই কলেজপড়ুয়া ছাত্রের লাশ উদ্ধার করে শ্রীমঙ্গল থানা পুলিশ।
নিহত হৃদয় উপজেলার সদর ইউনিয়নের শাহীবাগ এলাকার লিটন মিয়ার ছেলে। কমলগঞ্জ গণমহাবিদ্যালয়ে ২০২৫ সালের এইচএসসি পরীক্ষার্থী ছিলেন তিনি।
শ্রীমঙ্গল থানা পুলিশ জানায়, রবিবার সন্ধ্যা থেকে খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না হৃদয়ের। সোমবার সকালের দিকে বাগান শ্রমিকরা কাজে গেলে গাছের সঙ্গে বাঁধা অবস্থায় লাশ দেখতে পান। পরে আতঙ্কিত হয়ে পুলিশে খবর দেন তারা।
বাগানের শ্রমিকরা জানান, বেশ কয়েক বছর থেকেই মাঝে মাঝে চা বাগানে লাশ পাওয়া যাচ্ছে। বাগানে বড় সীমানা প্রাচীর না থাকায় যে কেউ বাগানে ঢুকতে পারে। আর এ সুযোগেই এমন ঘটনা ঘটতে পারে বলে মনে করেন তারা।
হৃদয়ের মা হাসিনা বেগম জানান, পরিবারের একমাত্র সন্তান ছিল হৃদয়। দেশের মানুষ ও প্রশাসনের কাছে তিনি ছেলের জন্য ন্যায়বিচার প্রার্থনা করেছেন।
শ্রীমঙ্গল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আমিনুল ইসলাম বলেন, ‘চা বাগানে লাশের খবর পেয়ে আমরা দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে তদন্ত শুরু করি। এ ঘটনার আলামত সংগ্রহের জন্য কাজ করছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, ওই ব্যক্তিকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে।
১৭৪ দিন আগে
টানা বর্ষণে ডুবেছে ফেনী শহর, ভেঙেছে মুহুরীর বাঁধ
ফেনীতে গতকাল সোমবার (৭ ই জুলাই ) দুপুর ১২টা হতে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় ৩৪৭ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। এটি মৌসুমের সর্বাধিক বৃষ্টিপাতের রেকর্ড।
টানা বর্ষণে শহরের বিভিন্ন এলাকায় হাঁটু থেকে কোমর সমান পানি জমে গেছে। এর ফলে চরম ভোগান্তিতে পড়েছে শহরবাসী। বৃষ্টির এই প্রবণতা অব্যাহত থাকলে দুর্যোগ সৃষ্টি হতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন সংশ্লিষ্টরা।
জেলা আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. মজিবুর রহমান জানান, আগামী ২-৩ দিন জেলাজুড়ে বৃষ্টি অব্যাহত থাকার সম্ভাবনা রয়েছে।
১৭৪ দিন আগে
নড়াইলের শত শত পরিবারকে নিঃস্ব করা অনলাইন প্রতারক চক্র অবশেষে পুলিশের জালে
নিজেদের রাজকীয় জীবনযাপন আর মাদকের অর্থ যোগাতে অনলাইনে প্রতারণায় নামেন তারা। লোভনীয় প্রতারণার জাল ফেলে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়ে করেন শত শত পরিবারকে নিঃস্ব। অবশেষে ধরা পড়লেন নড়াইল জেলা ডিবি পুলিশের হাতে। কেবল বিলাসী জীবনই না, তাদের রয়েছে অনলাইন গেমিং প্ল্যাটফর্মও।
সোমবার (৭ জুলাই) কালিয়া উপজেলার রঘুনাথপুর ও যাদবপুরে আটঘণ্টা অভিযান চালিয়ে এই প্রতারক চক্রের চার সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ সময় প্রতারণার কাজে ব্যবহার করা ৬টি মোবাইল ফোন ও সিম জব্দ করা হয়েছে।
গ্রেফতার হওয়া আসামিরা হলেন, উপজেলার রঘুনাথপুর গ্রামের শুকুর আলী মুন্সির ছেলে মুসাব্বির মুন্সি ছিপাতুল্যা (২৮), যাদবপুর গ্রামের শেখ বাহার উদ্দিনের দুই ছেলে নাজমুল হুসাইন (৩১) ও বাপ্পি হাসান অভি (২৭) এবং একই গ্রামের আফসার মীনার ছেলে রনি মীনা (৪১)।
ডিবি জানায়, অনলাইনে চমকপ্রদসব বিজ্ঞাপনের পরতে পরতে বুনে রাখা হয় প্রতারণার জাল। আর সেই জালে পা দিলেই নিঃস্ব হয় মানুষ। এমনই অনলাইন প্রতারক চক্রের সুচতুর সদস্যদের ধরতে অভিযানে নামে তারা।
দুটি মামলার সূত্র ধরে সোমবার দিনের আলো ফুটে ওঠার আগেই কালিয়া উপজেলার রঘুনাথপুরে হানা দেয় পুলিশ। তথ্য-প্রমাণের ভিত্তিতে গ্রেফতার করা হয় মুসাব্বির মুন্সি ছিপাতুল্যাকে।
‘পরের গন্তব্য ছিল পার্শ্ববর্তী গ্রাম যাদবপুরে। নবনির্মিত একতলা ভবনে তখনও গভীর ঘুমে আচ্ছন্ন দুই ভাই নাজমুল হুসাইন ও বাপ্পি হাসান অভি। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে সব প্রমাণ সরিয়ে ফেলার ব্যর্থ চেষ্টা করেন তাদের স্ত্রীরা। প্রতারণার কাজে ব্যবহৃত মোবাইল ফোন, সিমসহ গ্রেফতার করা হয় দুই ভাইকে। একই এলাকা থেকে রনি মীনা নামে আরও এক অনলাইন প্রতারককে গ্রেফতার করা হয়,’ জানিয়েছে ডিবি।
গ্রেফতার ব্যক্তিরা জানান, অতিরিক্ত টাকা উপার্জনের আশায় অনলাইন প্রতারণাকে পেশা হিসেবে বেছে নিয়েছে কালিয়া উপজেলার যাদবপুর, রঘুনাথপুর, চাঁদপুর, মহিষখোলাসহ আশপাশের অন্তত ১০ গ্রামের হাজারো পরিবার।
তারা আরও জানান, প্রতারণা করে হাতিয়ে নেয়া অর্থ পারিবারিক প্রয়োজন মেটানোর পাশাপাশি নিজেদের বিলাসী জীবন, মাদক ও অনলাইন গেমিং প্ল্যাটফর্মে খরচ করেন তারা।
প্রতারণার শিকার মাদারীপুরের নয়ন ঠিকাদার বলেন, ‘মোবাইল ফোনের বিজ্ঞাপন দেখে প্রথমে ৩০০ টাকা দিই। পরে তাদের ফাঁদে পড়ে ৩ হাজার টাকার ফোনের জন্য ২১ হাজার টাকা দিছি। আমার অসুস্থ মায়ের চিকিৎসার জন্য জমানো টাকা ছিল ওটা। কান্নাকাটি করছি, অনেকবার কল দিছি তাদের; আমার ফোন, টাকা–কোনোটাই দেইনি তারা।’
আরেক ভুক্তভোগী আহাদ বলেন, ‘একটা মোটরসাইকেলের জন্য কয়েক দফায় ১ লাখ ৯৫ হাজার টাকা তাদের দিছি। গাড়ি দেয়ার কথা বলে আমাকে এক মাস ধরে হয়রানি করছে। বাংলাদেশের আইনের বাইরেও যদি কোনো বিচার থাকে–প্রতারক চক্রের যেন কঠোর শাস্তি হয়।’
জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) আশরাফুল ইসলাম বলেন, ‘জেলা পুলিশের অভিযানে অনলাইন প্রতারক চক্রের চার সদস্যকে সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশ ২০২৫ ও প্রতারণা সংক্রান্ত মামলায় গ্রেফতার করা হয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, প্রতারক চক্রের সদস্যরা প্রথমে ফেসবুক পেজে লোভনীয় বিজ্ঞাপন দেয়। পরে পেজগুলো বুস্টিংয়ের মাধ্যমে বেশি মানুষের কাছে তাদের বিজ্ঞাপন পৌঁছে দেয়। আর দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে কোম্পানির এজেন্টদের মাধ্যমে চড়া দামে অন্যের নামে রেজিস্ট্রেশন করা সিম কিনে সেগুলো দিয়ে ক্রেতাদের সঙ্গে যোগাযোগ করে লেনদেন করে।
নিয়মিত অভিযানের মাধ্যমে এসব অনলাইন প্রতারক চক্র নির্মূলের আশ্বাসের পাশাপাশি অনলাইনে কেনাকাটার ক্ষেত্রে সাধারণ মানুষকে আরও বেশি সতর্ক হওয়ার পরামর্শ দেন।
আরও পড়ুন: চুয়াডাঙ্গায় বিকাশ প্রতারক চক্রের দুই যুবক আটক
১৭৪ দিন আগে
হবিগঞ্জে সংঘর্ষে নিহত ২, নবীগঞ্জে ১৪৪ ধারা জারি
পূর্ববিরোধের জের ধরে হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ উপজেলায় দুই গ্রামবাসীর মধ্যে সংঘর্ষে দুজন নিহত ও শতাধিক মানুষ আহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে গুরুতর আহত ১৯ জনকে নবীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। এদিকে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে উপজেলা প্রশাসন উপজেলা সদরে ১৪৪ ধারা জারি করেছেন।
সোমবার (৭ জুলাই) দুপুরের পরপরই উত্তেজনা দানা বাঁধতে থাকে। কিছুক্ষণের মধ্যেই ই সংঘর্ষে রুপ নেয়। এরপর বিকাল ৫টা থেকে সেখানে ১৪৪ ধারা জারি করে প্রশাসন।
সংঘর্ষ চলাকালে বেশ কয়েকটি দোকানপাট ভাঙচুর ও লুটপাটের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, ফেসবুকে একে অপরের বিরুদ্ধে লেখালেখি নিয়ে স্থানীয় গণমাধ্যমকর্মী আশাহিদ আলীকে গত ৪ জুলাই নবীগঞ্জ উপজেলার আনমুন এলাকায় মারধর করেন অপর গণমাধ্যমকর্মী সেলিম তালুকদার ও তার লোকজন। এ সময় আনমুন গ্রামের লোকজন হামলাকারীদের মধ্য থেকে ২ তরুণকে আটক করে পুলিশে দেন।
আরও পড়ুন: গাজীপুরে পানিতে ডুবে দুই শিশু নিহত
পুলিশে দেওয়া এই দুই তরুণের বাড়ি উপজেলার তিমিরপুর গ্রামে। এ ঘটনায় তিমিরপুর গ্রামের লোকজন উত্তেজিত হয়ে ওঠেন। এ নিয়ে তিন দিন আগে ওই দুই গ্রামের মানুষের মারামারিও হয়। সেই মারামারির সূত্র ধরে গতকাল (সোমবার) দুপুরে ঘোষণা দিয়ে আনমুন ও তিমিরপুর গ্রামের লোকজন লাঠিসোটা নিয়ে জড়ো হতে থাকেন নিজ নিজ এলাকায়। একপর্যায়ে সংঘর্ষে জড়ায় দুপক্ষ।
প্রায় ঘণ্টাব্যাপী চলা এই সংঘর্ষে উভয়পক্ষের লোকজন ইটপাটকেল, বল্লম, ধারালো অস্ত্রসহ নানা দেশীয় অস্ত্র ব্যবহার করেন। সংঘর্ষকালে উভয় পক্ষের শতাধিক মানুষ আহত হন। ভাঙচুর করা হয় বেশ কয়েকটি দোকানপাট। এতে পুরো শহর রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। খবর পেয়ে সেনাবাহিনী ও পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে উত্তেজনা নিয়ন্ত্রণে আনে।
এদিকে পূর্ব তিমিরপুরের ফারুক মিয়া (৪০) ও আনমনু গ্রামের রিমন মিয়া (২৫) নামে দুই ব্যাক্তিকে হাসপাতালে নেওয়ার পথে তাদের মৃত্যু হয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করে নবীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ কামরুজ্জামান জানান, ওই ঘটনার নিয়ন্ত্রণ ও পরিস্থিতি যাতে আর অবনতি না হয়, সে কারণে সোমবার বিকাল ৪টা থেকে নবীগঞ্জ উপজেলা সদরে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে।
আজ মধ্যরাত পর্যন্ত ১৪৪ ধারা বলবৎ থাকবে বলে জানিয়েছেন নবীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ( ইউএনও) মো. রুহুল আমিন।
১৭৪ দিন আগে
সিলেটে ৬ দফা দাবিতে চলছে পরিবহন ধর্মঘট, দূর্ভোগে যাত্রীরা
সিলেট জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ শের মাহবুব মুরাদের অপসারণ ও সকল পাথর কোয়ারি খুলে দেওয়াসহ ৬ দফা দাবিতে অনির্দিষ্টকালের পরিবহন ধর্মঘট শুরু হয়েছে।
পূর্বঘোষণা অনুযায়ী মঙ্গলবার (৮ জুলাই) সকাল ৬টা থেকে ধর্মঘট শুরু করেন পরিবহন মালিক-শ্রমিকরা।
গতকাল (সোমবার) সন্ধ্যায় সিলেটের একটি অভিজাত হোটেলে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে আনুষ্ঠানিকভাবে এই ধর্মঘটের ঘোষণা দেয় সিলেট জেলা সড়ক পরিবহন মালিক শ্রমিক ঐক্য পরিষদ। অবশ্য এইচএসসি পরীক্ষার্থী, রোগী পরিবহনে সম্পৃক্ত যানবাহন ধর্মঘটের আওতার বাইরে থাকবে বলে জানান পরিবহন নেতারা।
এদিকে, ধর্মঘটের কারণে সকাল থেকে সিলেট থেকে কোনো দুরপাল্লার বাস ছেড়ে যায়নি। সিলেট কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনালেও কোনো বাস প্রবেশ করেনি। তবে নগরীতে সিএনজিচালিত অটোরিকশাসহ সকল ধরনের যান চলাচল অনেকটা স্বাভাবিক রয়েছে, যে কারণে নগরীর মধ্যে ধর্মঘটের প্রভাব তেমনটা পড়েনি। আজ সকাল থেকে জিন্দাবাজার, আম্বরখানা, টিলাগড় ও মদিনা মার্কেট এলাকায় স্বাভাবিকভাবে ছোট ছোট স্থানীয় যান চলাচল করতে দেখা গেছে।
তবে স্বাভাবিক দিনের চেয়ে আজ যানবাহন সংখ্যায় অনেক কম। এতে করে বেশ দুর্ভোগে পড়েছেন যাত্রীরা। কিছু কিছু পয়েন্টে যানবাহনের অপেক্ষায় অনেককে অপেক্ষা করতে দেখা গেছে।
গতকাল সন্ধ্যায় সংবাদ সিলেট জেলা সড়ক পরিবহণ বাস-মিনিবাস কোচ মাইক্রোবাস শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি ময়নুল ইসলাম বলেন, সিলেটের গণপরিবহন, পণ্য পরিবহন ও পাথর সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ী, মালিক ও শ্রমিকরা ফ্যাসিস্ট সরকারের আমল থেকেই বিভিন্নভাবে বঞ্চিত ও অবহেলিত। আওয়ামী সরকারের মদদপুষ্ট একটি শক্তিশালী সিন্ডিকেটের রোষানলে পড়ে সিলেটের কোটি মানুষের নেমে আসে অবর্ণনীয় দুর্ভোগ। সিলেটের সব পাথর কোয়ারি ২০১৮ সালে বন্ধ করে দেওয়া হয়। বর্তমানে লাখ লাখ কর্মহীন মানুষের কারণে দুর্ভিক্ষাবস্থা বিরাজ করছে এই অঞ্চলে।
আরও পড়ুন: মঙ্গলবার থেকে সিলেটে অনির্দিষ্টকালের পরিবহন ধর্মঘট
মইনুল ইসলাম জানান, সড়ক পরিবহন আইন ২০১৮-এর ৩৬ ধারায় যে প্রজ্ঞাপন দেওয়া হয়েছে, তা মালিক-শ্রমিককে ধ্বংসের নীল নকশা। একইভাবে গাড়ির ফিটনেস সার্টিফিকেট বেসরকারি প্রতিষ্টানকে দেওয়া আরেক হয়রানি ও ষড়যন্ত্র। তাছাড়া গাড়ি তল্লাশির নামের পুলিশ ট্রাক শ্রমিকদের প্রতিনিয়ত হয়রানি করছে। এসবের প্রতিকার পেতে পরিবহন সংশ্লিষ্ট সকল সংগঠন এই ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে।
উল্লেখ্য, রবিবার (৬ জুলাই) সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) কমিশনার বরাবর ৫ দফা দাবি উল্লেখ করে পরিবহন ধর্মঘটের ডাক দিয়েছিলেন পরিবহন নেতারা। ওই ৫ দফা দাবির মধ্যে জেলা প্রশাসকের অপসারণের বিষয়টি ছিল না। পরে সোমবার বিকেলে জেলা প্রশাসকের অপসারণসহ ৬ দফা দাবির কথা জানায় সিলেট জেলা সড়ক পরিবহন মালিক-শ্রমিক ঐক্য পরিষদ।
তাদের ৬ দফা দাবি হচ্ছে, সড়ক পরিবহন আইন ২০১৮-এর ৩৬ ধারা প্রদত্ত ক্ষমতাবলে সরকারের বাস ও মিনিবাসের ক্ষেত্রে ২০, ট্রাক, পিকআপ ও কাভার্ডভ্যানের ক্ষেত্রে ১৫ ও সিএনজি ইমা ও লেগুনার ক্ষেত্রে ১৫ বছর ইকোনোমিক লাইফ নির্ধারণ করার প্রজ্ঞাপন বাতিল; সিলেটের সব পাথর কোয়ারির ইজারা স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার ও সনাতন পদ্ধতিতে বালুমহাল এবং পাথর কোয়ারি খুলে দেওয়া; বিআরটিএ কর্তৃক গাড়ির ফিটনেস সার্টিফিকেট প্রদানে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের ছাড়পত্র বাতিল ও গণপরিবহনের ওপর আরোপিত বর্ধিত ট্যাক্স প্রত্যাহার; সিলেটের সব ক্রাশার মিলের বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্নকরণ বন্ধ, বিদ্যুতের মিটার ফেরত ও ভাঙচুরকৃত মিলের ক্ষতিপূরণ এবং গাড়ি থেকে নিয়ে যাওয়া পাথর-বালুর ক্ষতিপূরণ; সিলেটের জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ শের মাহবুব মুরাদকে প্রত্যাহার এবং বালু পাথরসহ পণ্যবাহী গাড়ির চালকদের হয়রানি না করা।
এদিকে সিলেট জেলা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির সভাপতি ও জামায়াত নেতা মাওলানা লোকমান আহমদ শ্রমিক কর্মবিরতিতে রাস্তায় নিজ মালিকানাধীন সড়ক পরিবহন চালানোর ঘোষণা দিলেও সকাল সাড়ে ১০ টা পর্যন্ত তার বাস-ট্রাকগুলোকে রাস্তায় চলাচল করতে দেখা যায়নি।
১৭৪ দিন আগে