সারাদেশ
খুলনায় অস্ত্র-গুলি ও ইয়াবাসহ আটক ৫
খুলনা সদর থানার শিপিয়ার্ড রোড চানমারি বাজার এলাকায় সেনা ও পুলিশের যৌথ অভিযান চালিয়ে ইয়াবা, রিভলবারসহ ৫ জনকে আটক করেছে।
সোমবার দিবাগত রাত আড়াইটার দিকের এই অভিযানে ১টি বিদেশি রিভলবার, ২ রাউন্ড গুলি ও ২৭০টি ইয়াবাসহ উদ্ধার করা হয়। আটকদের মধ্যে ৩ জন ছাত্র দলের সঙ্গে জড়িত।
আটকরা হলেন- রূপসা ইস্টার্ন রোডের নুরুল ইসলামের ছেলে ছাত্রদল কর্মী মো. রাজু আহমেদ (৩০), চানমারী বাজার মাদরাসা রোডের শামসুর রহমানের ছেলে ছাত্রদল কর্মী জুনায়েদ হোসেন মুন্না (৩০), মাস্টারপাড়ার শওকত হোসেনের ছেলে ছাত্রদল কর্মী মিরাজ (৩২), চানমারী দ্বিতীয় গলির জালালের ছেলে নীরব ইসলাম জিয়া (২৩) ও বাগেরহাটের শরণখোলার রায়েন্দা বাজারের হানিম শিকদারের ছেলে শামীম হোসেন (২৯)।
স্থানীয়রা জানান, সেনাবাহিনী এবং পুলিশের একটি যৌথ অভিযান নগরীর শিপইয়ার্ড এবং চানমারী এলাকায় পরিচালনা করে।
অভিযানটি মধ্যরাত থেকে শুরু হয়ে ভোর সাড়ে ৬টা পর্যন্ত চলে। এ সময় তারা ওই দু’টি এলাকার ৩টি বাসায় অভিযান চালায়।
চানমারী ইউনুস তালুকদারের বাড়ি থেকে একটি বিদেশি পিস্তল, ২ রাউন্ড তাজাগুলি এবং ২৭০ পিছ ইয়াবাসহ ৫ জনকে গ্রেপ্তার করে যৌথবাহিনীর সদস্যরা।
খুলনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাওলাদার সানোয়ার হোসেন মাসুম বলেন, ‘রাতে যৌথ বাহিনীর অভিযানে এদের আটক করা হয়েছে। আটক আসামিদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের জন্য খুলনা সদর ক্যাম্পে নিয়ে আসা হয়। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তাদের খুলনা সদর থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। আরও যাচাই-বাছাই করে এদের দলীয় পরিচয়সহ অস্ত্র রাখার কারণ উদঘাটন করা হবে।’
আরও পড়ুন: ফরিদপুরে যৌথ বাহিনীর অভিযানে ‘সন্ত্রাসী’ তূর্য গ্রেপ্তার
১৯৫ দিন আগে
মুন্সীগঞ্জ লঞ্চঘাটে পা পিছলে নদীতে পরার ২৯ ঘণ্টা পর লাশ উদ্ধার
মুন্সীগঞ্জ লঞ্চঘাটে পা পিছলে নদীতে পড়ে নিখোঁজ হওয়া মো. লোকমান হোসেনের (২৮) লাশ ২৯ ঘণ্টা পর উদ্ধার করা হয়েছে। মঙ্গলবার (১৭ জুন) সকাল ৭টা ৩০ মিনিটের দিকে মোল্লারচর এলাকার নদী থেকে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল তার লাশ উদ্ধার করে।
নিখোঁজ লোকমান হোসেন ভোলা জেলার তজুমউদ্দিন উপজেলার দেওয়ানপুর গ্রামের মৃত রফিকুল ইসলামের ছেলে। তিনি পেশায় একজন রাজমিস্ত্রী।
জানা গেছে, রবিবার দিবাগত রাত আনুমানিক ২টা থেকে ২টা ৩০ মিনিটের মধ্যে 'ফারহান-৩' নামের মনপুরা থেকে ঢাকাগামী একটি লঞ্চ মুন্সীগঞ্জ লঞ্চঘাটে থামলে দুর্ঘটনাটি ঘটে। লোকমান হোসেন তার স্ত্রী রিপা আক্তার, চাচাতো ভাই শিহাদ ও সোহেলকে নিয়ে ঢাকার উদ্দেশ্যে লঞ্চে যাত্রা করছিলেন। ঘাটে পৌঁছে সফরসঙ্গী সোহেলকে নামিয়ে দিতে গিয়ে হঠাৎ পা পিছলে নদীতে পড়ে যান লোকমান।
চাচাতো ভাই শিহাদ জানান, ‘সোহেলকে নামাতে গিয়ে পিছন থেকে সহায়তা করছিল লোকমান। ঠিক তখনই তার পা পিছলে যায় এবং মুহূর্তেই সে নদীতে পড়ে যায়। এরপর অনেক খোঁজাখুঁজি করেও তাকে পাওয়া যায়নি।’
দুর্ঘটনার পরপরই জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯-এ কল করে সহযোগিতা চাওয়া হয়। পরে ফায়ার সার্ভিস, বিআইডব্লিউটিএ এবং নৌ-পুলিশ যৌথভাবে উদ্ধার অভিযান শুরু করে। সোমবার সারাদিন কোনো সন্ধান মেলেনি। ফলে স্বজনদের মধ্যে উৎকণ্ঠা বাড়তে থাকে। অবশেষে মঙ্গলবার সকালে মোল্লারচর এলাকায় নদী থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় পরিবার ও এলাকাজুড়ে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
মুন্সীগঞ্জ ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের উপসহকারী পরিচালক মো. সফিকুল ইসলাম জানান, নদীপথে যাতায়াতে বাড়তি সতর্কতা এবং নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরও জোরদার করার বিষয়ে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে—যাতে ভবিষ্যতে এমন দুর্ঘটনা এড়ানো যায়। নিখোঁজের পর থেকে আমরা উদ্ধার কার্যক্রম চলমান রাখি। লাশ উদ্ধার করে আমরা নৌ পুলিশের কাছে হস্তান্তর করি
আরও পড়ুন: ঝিনাইদহে বটগাছ থেকে ট্রাকচালকের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার
১৯৫ দিন আগে
ঝিনাইদহে বটগাছ থেকে ট্রাকচালকের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার
ঝিনাইদহ শহরের কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল এলাকার একটি পুকুর পাড়ের বটগাছ থেকে মধু হোসেন (২৮) নামের এক ট্রাকচালকের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
মঙ্গলবার(১৭ জুন) সকালে তার লাশ উদ্ধার করা হয়।
মৃত মধু ঝিনাইদহ সদর উপজেলার পোড়াহাটি ইউনিয়নের হীরাডাঙ্গা গ্রামের বিল্লাল ড্রাইভারের ছেলে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, সকালে পুকুর পাড়ের বটগাছের ডালে মধুর লাশ ঝুলতে দেখে পুলিশকে খবর দেয় স্থানীয়রা। পরে সদর থানা পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার করে সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠায়।
মধুর ছোট ভাই পরশ জানায়, মধু প্রায় পাঁচ-ছয় মাস ধরে বিকাশ কুমার নামের এক ব্যক্তির গাড়ি চালিয়ে জীবিকা নির্বাহকরছিলেন। গত কয়েক মাস ধরে তার বাবার সঙ্গে মনোমালিন্য চলছিল। যে কারণে প্রায় ২ থেকে ৩ মাস ধরে সে বাড়িতে যাওয়া বন্ধ করে দিয়েছিল। সোমবার বিকালে পরিবারের সদস্যদের ফোন করে বলে, ‘আমার ভুল হয়ে গেছে, তোরা সবাই আমাকে ক্ষমা করে দিস।’
চাচাতো ভাই এনামুল জানান, সোমবার সন্ধ্যা ৭টা থেকে রাত সাড়ে ৯টা পর্যন্ত মধু তার মামাতো ভাই রমজান হোসেনেরসঙ্গে ছিলেন। পরদিন সকালে ঝিনাইদহ কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনালের উত্তর-পশ্চিম পাশে বড় পুকুরের ধার ঘেঁষে একটি বটগাছে তার ঝুলন্ত লাশ দেখতে পান স্থানীয়রা।
আরও পড়ুন: সিলেটে যুবকের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার
ঝিনাইদহ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল্লাহ আল মামুন, লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। প্রাথমিকভাবে আত্মহত্যা বলে মনে হচ্ছে। তারপরও ময়নাতদন্তের রিপোর্ট এলে মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে।
১৯৫ দিন আগে
পাবর্তীপুরে পুকুরের ডুবে ২ মাদরাসা ছাত্রীর মৃত্যু
দিনাজপুরের পাবর্তীপুরে উপজেলা চত্বরের পুকুরে গোসলের সময় গভীর পানিতে তলিয়ে দুই মাদরাসা ছাত্রীর প্রাণহানি হয়েছে। মঙ্গলবার(১৭ জুন) দুপুর ১টার দিকে এই প্রাণহানির ঘটনা ঘটে।
পাবর্তীপুর মডেল থানার উপ পরিদর্শক দ্বীনেশ চন্দ্র বর্মন জানান, মাদরাসায় ক্লাশ শেষে বাড়িতে ফিরে প্রতিবেশী অন্যান্য শিশুদের সঙ্গে উপজেলা চত্বরের পুকুরের গোসল করছিল মুশফিকা আক্তার মিম এবং আছিয়া মোবাশ্বিরা নামে আরো দুই শিশু। কিন্তু তারা সাতার না জানায় গভীর পানিতে তলিয়ে মারা গেছে।
মুশফিকা আক্তার মিম (৯) উপজেলা চত্বর সংলগ্ন হুগলিপাড়ার মোশাররফ হোসেনের মেয়ে। সে মাদরাসার দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্রী। আছিয়া মোবাশ্বিরা (৭) একই মাদরাসার প্রথম শ্রেণির ছাত্রী।
থানার ইনচার্জ আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, দুই শিশুর অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনায় অপমৃত্যু মামলা রেকর্ড করা হয়েছে। পরিবারের কোনো অভিযোগ না থাকায় দাফন কাফনে ময়না তদন্ত ছাড়াই অভিভাবকের কাছে লাশ হস্তান্তর করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ইডেন কলেজের পুকুরে ডুবে কলেজছাত্রীর মৃত্যু
১৯৫ দিন আগে
যশোরে নগদের ৫৫ লাখ টাকা ছিনতাই
যশোরের মনিরামপুর সড়কের কুয়াদা জামতলা মোড়ে নগদ কোম্পানির ৫৫ লাখ টাকা ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটেছে। নগদ যশোর শাখার একটি ডিলারের কর্মকর্তা রবিউল ইসলামের কাছ থেকে মোটরসাইকেলে আসা দুর্বৃত্ত চক্র এই টাকা ছিনিয়ে নিয়েছে বলে অভিযোগ।
মঙ্গলবার (১৭ জুন) সকাল ৯টার দিকে এই ঘটনা ঘটে বলে ভুক্তভোগী জানিয়েছে।
নগদ যশোরের একাউন্ট্যান্ট কাজী মমিনুর ইসলামের কাছ থেকে ৫৫ লাখ টাকা বুঝে নিয়ে কর্মকর্তা রবিউল ইসলাম একটি প্রাইভেটকারে মনিরামপুরের উদ্দেশে যাচ্ছিলেন। জামতলা মোড়ে পৌঁছালে মোটরসাইকেল আসা দুর্বৃত্ত চক্র প্রাইভেটকারের সামনে এসে গতিরোধ করে। এরপর গাড়ির গ্লাস ভাঙচুর করে এবং রবিউলকে নামিয়ে মারধর করে টাকার ব্যাগ ছিনিয়ে নেয়।
নগদ কর্মকর্তা রবিউল ইসলাম যশোরের ভাতুড়িয়া হাফেজ পাড়ার জালাল উদ্দিনের ছেলে। তিনি নগদ যশোর একটি শাখার ব্যবস্থাপক। যশোর থেকে নগদের টাকাটি যে প্রাইভেটকারের চালক পোস্ট অফিস পাড়ার মোহাম্মদ সাজু। প্রাইভেটকার নাম্বার ঢাকা মেট্টো গ-১৫৫৯২৩।
রবিউল ইসলাম জানান, তিনি যশোরের নগদের একাউন্ট্যান্ট কাজী মমিনুর ইসলামের কাছ থেকে ওই ৫৫ লাখ টাকা নিয়ে মনিরামপুর শাখা সাব অফিসের টাকা আবু সাজিদের কাছে পৌঁছে দিতে যাচ্ছিলেন। আর পথিমধ্যে তাদের উপর হামলা হয়েছে। তার উপর আঘাত করা হয়েছে, গাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত করা হয়েছে। এব্যাপারে আইনি পদক্ষেপ গ্রহণের প্রস্তুতি নিচ্ছেন তিনি।
ঘটনাস্থলে মনিরামপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ও জেলা গোয়েন্দা শাখার একটি টিম প্রকৃত ঘটনা উদঘাটনে খোঁজখবর নিচ্ছেন।
আরও পড়ুন: ভারতে যাওয়ার সময় তানোর যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক গ্রেপ্তার
মনিরামপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বাবলুর রহমান খান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, পুলিশ ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের ধরতে ও ছিনতাইকৃত টাকা উদ্ধারে কাজ শুরু করেছে।
১৯৫ দিন আগে
ফরিদপুরে যৌথ বাহিনীর অভিযানে ‘সন্ত্রাসী’ তূর্য গ্রেপ্তার
ফরিদপুরে যৌথ বাহিনীর অভিযানে ৬০ পিস ইয়াবাসহ মাদক সেবনের বিভিন্ন প্রকার আনুষাঙ্গিক দ্রব্য জব্দ করা হয়েছে। এ সময় খালেদ মোহাম্মদ তূর্য নামে এক যুবককে গ্রেপ্তারের দাবি করেছে যৌথ বাহিনী। তার বিরুদ্ধে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড পরিচালনার অভিযোগও রয়েছে।
মঙ্গলবার (১৭ জুন) দিবাগত রাত ১২টা ৪০ মিনিটে ফরিদপুর ক্যাম্পের ঝিলটুলি নিজ বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় তার স্ত্রী আইরিন আক্তার (২৬) এবং পিতা হালিম শেখকেও গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
গ্রেপ্তার আসামি খালেদ মোহাম্মদ তূর্য (২৭) চরকলাপুর গ্রামের তুষার শিকদারের ছেলে।
কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসাদুজ্জামান জানান, ফরিদপুর শহরে ছিনতাই ও সন্ত্রাসী কার্যক্রম চালিয়ে আসছিল তূর্য নামের ওই যুবক। থানায় তার নামে একাধিক মামলাও রয়েছে।
তিনি জানান, তূর্য ফরিদপুর ঝিলতুলি এলাকায় ছোট একটি রুম নিয়ে মাদকের কারবার চালায়—এমন তথ্য পেয়ে আজ (মঙ্গলবার) ফরিদপুরে তার নিজ বাড়িতে অভিযান চালায় পুলিশ ও সেনাসদস্যদের একটি যৌথ দল। তল্লাশি চালিয়ে তার বাড়ি থেকে ৬০ পিস ইয়াবাসহ মাদক সেবনের বিভিন্ন প্রকার সরঞ্জাম জব্দ করা হয়।
ওসি আসাদুজ্জামান আরও বলেন, ‘গ্রেপ্তার হওয়া যুবকের স্ত্রীসহ মাদকের এই ব্যবসায় জড়িতে আছেন। তাদের দুজনকেই গ্রেপ্তার করে কোতোয়ালি থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।’
এ বিষয়ে ফরিদপুর সেনাবাহিনীর ক্যাম্প কমান্ডার বলেন, ‘দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি রক্ষার্থে আমাদের অভিযান চলবে।’
আরও পড়ুন: ভারতে যাওয়ার সময় তানোর যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক গ্রেপ্তার
১৯৫ দিন আগে
খুলনায় দুই নারীর করোনা শনাক্ত, প্রাদুর্ভাব ঠেকাতে হাসপাতালগুলোতে প্রস্তুতি
খুলনায় গত কয়েকদিন ধরে করোনার নানা উপসর্গ নিয়ে হাসপাতালে রোগীদের ভীড় লক্ষ করা গেছে। ইতোমধ্যে অনেকেই পরীক্ষা করিয়েছেন, যার মধ্যে দুই নারীর শরীরে করোনা ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। তাদের মধ্যে একজনকে খুলনা মেডিকেল কলেজ (খুমেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৭ জুন) খুমেক হাসপাতাল ও খুলনা জেনারেল হাসপাতালে পৃথক পরীক্ষায় তাদের শরীরে করোনা শনাক্ত হয়।
খুমেক হাসপাতালের করোনা ইউনিটের ফোকাল পারসন ডা. খান আহমেদ ইশতিয়াক এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। পাশাপাশি করোনার নতুন ঢেউ মোকাবিলায় খুলনায় নানা প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
ডা. ইশতিয়াক জানান, আক্রান্ত দুই নারীর নাম সুমাইয়া ও তানিয়া। তাদের মধ্যে সুমাইয়াকে খুমেক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এদিকে, দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের হাসপাতালগুলোতে করোনা পরীক্ষার পর্যাপ্ত কিট না থাকার কারণে সংক্রমণের তথ্য মিলছে না বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
তবে দেশব্যাপী করোনার প্রকোপ আবার বাড়তে শুরু করায় প্রস্তুত করা হচ্ছে হাসপাতালগুলো। এ অঞ্চলের সর্ববৃহৎ চিকিৎসা প্রতিষ্ঠান খুমেক হাসপাতালের করোনা ইউনিটে ৪০টি শয্যা প্রস্তুত করা হয়েছে। পাশাপাশি ১০টি আইসিইউ শয্যাও প্রস্তুত করা হচ্ছে।
তবে করোনা পরীক্ষার জন্য হাসপাতালটিতে মাত্র ৭৫টির মতো র্যাপিট অ্যান্টিজেন কিট রয়েছে যা চাহিদার তুলনায় খুবই সামান্য। করোনা পরীক্ষার জন্য মন্ত্রণালয়ে পাঁচ হাজার কিটের চাহিদাপত্র পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ। এ ছাড়া, পিসিআর মেশিনটিও যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে বন্ধ রয়েছে বলে জানা গেছে।
তবে খুলনা জেনারেল (সদর) হাসপাতালে ৪০০টির মতো কিট রয়েছে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
এ বিষয়ে ডা. ইশতিয়াক বলেন, ‘করোনার প্রাদুর্ভাব নতুন করে দেখা দেওয়ায় খুমেক হাসপাতালের করোনা ইউনিটের সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে। আমরা একটি কমিটি গঠন করেছি। বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক প্যানেলও প্রস্তুত। বর্তমানে ৪০টি আইসোলেশন ও দশটি আইসিইউ শয্যা প্রস্তুত আছে। এনেসথেশিউলোজিস্ট ও করোনার জন্য মেডিসিন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকও প্রস্তুত আছেন।’
খুলনাবাসীকে করোনার চিকিৎসা দিতে চিকিৎসকরা প্রস্তুত রয়েছেন বলে আশ্বাস দেন তিনি।
আরও পড়ুন: করোনায় আরও এক মৃত্যু, শনাক্ত ২৫
খুমেক হাসপাতাল সূত্রে আরও জানা যায়, ২০২৩ ও ২০২৪ সালে খুলনায় করোনা পরীক্ষাই হয়নি। ফলে মজুদ করা কিটের মেয়াদোত্তীর্ণ হয়েছে বলে জানান সংশ্লিষ্টরা।
তবে বর্তমানে করোনা উপসর্গ নিয়ে আসা রোগীদের পৃথকভাবে চিকিৎসাসেবা দেওয়া হচ্ছে বলে জানান হাসপাতালটির চিকিৎসকরা।
এ বিষয়ে খুমেক হাসপাতালের সহকারী পরিচালক ডা. মিজানুর রহমান বলেন, ‘জ্বরের সঙ্গে সর্দি-কাশি ও পুরো শরীরে ব্যাথা—এমন কোনো রোগী পেলে আমরা তাৎক্ষণিকভাবে তার পরীক্ষা করাচ্ছি। তাছাড়া, শ্বাসকষ্টসহ করোনার অন্যান্য উপসর্গ নিয়ে যারা আসছেন, তাদের আলাদাভাবে নিয়ে চিকিৎসা দিচ্ছি। এখানে লাল, হলুদ ও গ্রিন জোন ভাগ করে পৃথকভাবে চিকিৎসাসেবা দেওয়া হচ্ছে।’
নমুনা সংগ্রহকারীদের দেওয়া তথ্যমতে, এখনই প্রতিদিন ৮ থেকে ১০ জন করে করোনার উপসর্গ নিয়ে হাসপাতালে আসছেন। হাসপাতালে আরটিপিসিআর মেশিন ব্যবহার করার জন্য ব্যক্তিগত সুরক্ষা যন্ত্রপাতি হাসপাতালে নেই। পাশাপাশি অক্সিজেন সার্বক্ষণিকভাবে প্রস্তুত আছে, অতিরিক্ত ৫০০ অক্সিজেন সিলিন্ডার হাসপাতালে মজুদ রয়েছে।
১৯৫ দিন আগে
ঝিনাইদহ সীমান্তে ৬ বাংলাদেশিকে ফেরত দিল বিএসএফ
ভারতে অনুপ্রবেশের সময় দেশটির সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফের হাতে আটক ছয় বাংলাদেশিকে ফেরত নেওয়া হয়েছে।
শনিবার (১৪ জুন) বিকালে সীমান্তবর্তী শূন্যরেখায় বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) ও বিএসএফের পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে তাদের হস্তান্তর করা হয়।
মহেশপুর ব্যাটালিয়নের (৫৮ বিজিবি) পক্ষ থেকে সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ সাইফুল ইসলামের সই করা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ভারতীয় ১৯৪ বিএসএফ ব্যাটালিয়নের রামনগর ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার শনিবার দুপুর ১২টা ৫০ মিনিটের দিকে বাঘাডাঙ্গা কোম্পানির খোসালপুর বিওপি কমান্ডারকে ওই ৬ জনের সম্পর্কে জানানো হয়। সীমান্ত অতিক্রম করে ভারতে অনুপ্রবেশের তাদের আটক করার কথা জানায় বিএসেএফ।
আরও পড়ুন: ঠাকুরগাঁওয়ে পুশইন করা ভারতীয় দম্পতিকে বিএসএফের কাছে হস্তান্তর
আটক ব্যক্তিদের মধ্যে চারজন পুরুষ, একজন নারী ও একটি শিশু রয়েছে বলে জানিয়েছে বিজিবি।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, ওই ছয় বাংলাদেশির নাম, ঠিকানা ও মোবাইল নম্বরসহ বিস্তারিত তথ্য বিজিবিকে সরবরাহ করে বিএসএফ। একই সঙ্গে তাদের ফিরিয়ে নেওয়ার অনুরোধ জানানো হয়। এরপর বিজিবি যাচাই-বাছাই করে তাদের পরিচয় শনাক্ত করে।
পরিচয় নিশ্চিত হওয়ার পর শনিবার বিকাল পৌনে ৫টার দিকে সীমান্তবর্তী ৬০/৮৫ নম্বর পিলারের কাছে শূন্যরেখায় বিজিবি ও বিএসএফের মধ্যে পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে বিজিবির প্রতিনিধি হিসেবে খোসালপুর বিওপির কোম্পানি কমান্ডার উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠক শেষে আটক ছয় বাংলাদেশিকে বিজিবির কাছে হস্তান্তর করে বিএসএফ।
ফেরত নেওয়া ওই ব্যক্তিদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ শেষে মহেশপুর থানায় হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে বলে বিজিবির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।
১৯৫ দিন আগে
কুষ্টিয়ায় অপহৃত সেই ব্যবসায়ীকে বাড়ির সামনে ফেলে গেল অপহরণকারীরা
কুষ্টিয়ায় অপহরণের একদিন পর ব্যবসায়ী মো. জাহা বক্সকে (৩৮) অচেতন অবস্থায় বাড়ির সামনে ফেলে রেখে গেছে অপহরণকারীরা।
সোমবার (১৬ জুন) দিবাগত রাত ১২টার দিকে দুই ব্যক্তি মোটরসাইকেলে করে এসে চোখ ও মুখ বাঁধা অবস্থায় তাকে বাড়ির সামনে ফেলে রেখে যায় বলে নিশ্চিত করেছে পুলিশ ও পারিবারিক সূত্র।
পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছেন, অপহরণের পর তাকে মারধর করা হয়েছে। শারীরিকভাবে অসুস্থ থাকায় তার সঙ্গে কথা বলা সম্ভব হয়নি।
জাহা বক্স কুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় থানাধীন আব্দালপুর ইউনিয়নের পশ্চিম আব্দালপুর গ্রামের মৃত কুদ্দুস আলীর ছেলে। তিনি বাড়ির পাশে ‘প্রান্ত স্টোর’ নামে একটি পাইকারি মুদি দোকান চালাতেন।
আরও পড়ুন: মুক্তিপণ না পেয়ে অপহৃত যুবককে হত্যা
এর আগে রবিবার দিবাগত রাত ১টার দিকে নিজ প্রতিষ্ঠান থেকে নগদ টাকাসহ তাকে অপহরণের অভিযোগ ওঠে। অপহরণকারীরা একটি চিঠির মাধ্যমে ১৫ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। চিঠিতে পাঁচ দিনের মধ্যে নির্দিষ্ট ঠিকানায় টাকা না দিলে তাকে হত্যা করে লাশ গুম করে দেওয়ার হুমকিও দেওয়া হয়।
এ ঘটনায় ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান আলী হায়দার স্বপনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নিয়ে যায় পুলিশ। তিনি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি এবং চরমপন্থি সংগঠন জাসদ গণবাহিনীর আঞ্চলিক নেতা হিসেবে পরিচিত আলী রেজা সিদ্দিক কালুর ভাই।
আজ (মঙ্গলবার) সকালে জাহা বক্সের ছেলে প্রান্ত জানান, ‘রাত ১২টার দিকে আমাদের বাড়ির বারান্দায় কিছু একটা পড়ে যাওয়ার শব্দ শুনি। বাইরে বেরিয়ে দেখি বাবা অচেতন অবস্থায় পড়ে আছেন। তার মুখ ও চোখ বাঁধা ছিল।’
‘পরে জানতে পারি দুইজন ব্যক্তি মোটরসাইকেলে করে তাকে নামিয়ে দিয়ে চলে গেছে। বাবাকে মারধর করা হয়েছে, মাথায় দাগও রয়েছে। তিনি এখন কথা বলার মতো অবস্থায় নেই।’
অপহরণের রাতে কীভাবে ঘটনাটি ঘটেছিল তা জানাতে গিয়ে প্রান্ত বলেন, ‘একজন ব্যক্তি স্যালাইন নেওয়ার কথা বলে বাবাকে ডেকে নিয়ে যায়। বাবা তাকে পরিচিত কেউ ভেবেছিলেন, কিন্তু বাইরে গিয়ে দেখেন তিনি অপরিচিত। প্রথমে একজন থাকলেও পরে আরও একজনকে দেখা যায়। দোকান খোলার পরপরই পেছন থেকে বাবার মুখ, চোখ ও হাত বেঁধে তাকে মোটরসাইকেলে তুলে নিয়ে যায়। ক্যাশ বাক্সের নিচে রাখা টাকাও তারা নিয়ে গেছে। রাতেই পুলিশ বাড়িতে এসে কথা বলে গেছে।’
তিনি বলেন, ‘আমাদের কোনো অভিযোগ নেই। বাবা জীবিত ফিরে এসেছেন, এটাই যথেষ্ট।’
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি) থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মেহেদী হাসান বলেন, ‘জাহা বক্সকে উদ্ধারে পুলিশ, ডিবি ও অন্যান্য বাহিনী সক্রিয় ছিল। তিনি শারীরিকভাবে অসুস্থ। বর্তমানে পুলিশের তত্ত্বাবধায়নে আছেন। সুস্থ হলে তাকে এ বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।’
আটক ইউপি চেয়ারম্যান সম্পর্কে ওসি জানান, ‘তার বিরুদ্ধে আরও কিছু অভিযোগ রয়েছে। তাকে অন্য একটি মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হবে।’
১৯৫ দিন আগে
ঠাকুরগাঁওয়ে পুশইন করা ভারতীয় দম্পতিকে বিএসএফের কাছে হস্তান্তর
ঠাকুরগাঁওয়ের চাপশার সীমান্ত দিয়ে পুশইন করা ২৩ জনের মধ্যে চিহ্নিত এক ভারতীয় দম্পতিকে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) হাতে তুলে দিয়েছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।
সোমবার (১৬ জুন) রাতে ওই দম্পতিতে হস্তান্তর করা হয়ে। গত ১৪ জুন তাদের পুশইন করা হয়েছিল বলে জানিয়েছে বিজিবি।
এর আগে, ওই দম্পতিকে ফেরত দিতে সোমবার সন্ধ্যায় বিএসএফের ৮৭ ব্যাটালিয়নের কোম্পানি কমান্ডার পর্যায়ে পতাকা বৈঠক করে বিজিবি।
বিজিবি জানায়, গত ১৪ জুন আওতাধীন ঠাকুরগাঁওয়ের হরিপুরের চাপসার বিওপির সীমান্ত পিলার ৩৪৭/১-এস দিয়ে ২৩ জনকে পুশইন করে বিএসএফ। পরে তাদের আটক করে বিজিবির ৪২ ব্যাটালিয়ন।
আরও পড়ুন: নেত্রকোণা সীমান্তে ৩২ জনকে পুশ ইন বিএসএফের
এরপর আটক ২৩ জনের মধ্যে যাচাই-বাছাইয়ে ২১ জনের নাগরিকত্ব নিশ্চিত হওয়ায় তাদের ঠাকুরগাঁও জেলার হরিপুর থানায় হস্তান্তর করা হয়।
অন্য দুজন হলেন— ভারতীয় দম্পতি ফজের মণ্ডল (২১) ও তার স্ত্রী তাছলিমা মণ্ডল (১৯)। তারা পশ্চিমবঙ্গের উত্তর চব্বিশপরগনার বাসিন্দা।
১৯৫ দিন আগে