সারাদেশ
সীমান্তে ফের পুশ-ইনের চেষ্টা, স্থানীয়দের নিয়ে বিএসএফকে রুখে দিল বিজিবি
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগর সীমান্ত দিয়ে প্রায় ৭৫০ জনকে বাংলাদেশে পুশ-ইনের চেষ্টা করেছিল ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। তবে স্থানীয় জনতাকে সঙ্গে নিয়ে বিএসএফের সেই প্রচেষ্টা রুখে দিয়েছে বাংলাদেশ সীমান্ত রক্ষা বাহিনী (বিজিবি)।
বৃহস্পতিবার (১৬ মে) দিবাগত রাত ২টার দিকে উপজেলার সিঙ্গারবিল ইউনিয়নের সীমান্ত এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
একাধিক সূত্র থেকে জানা যায়, বিভিন্ন সময়ে ত্রিপুরা রাজ্যে আটক ৬০০ জনের বেশি ও রাজস্থানে আটক ১৪৮ জনকে পুশ-ইনের সিদ্ধান্ত নেয় ভারতীয় কর্তৃপক্ষ। আটকদের বেশিরভাগই বাংলাদেশি এবং কয়েকজন রোহিঙ্গাও রয়েছেন।
তাদের সীমান্ত দিয়ে বাংলাদশে পাঠিয়ে দিতে গতকাল (বৃহস্পতিবার) রাত ২টার দিকে বিজয়নগর সীমান্তে আসে বিএসএফ।
এ খবর জানতে পেরে সীমান্তে সতর্ক অবস্থান নেয় বিজিবি। তাদের সঙ্গে যোগ দেয় স্থানীয়রা। সে সময় মসজিদের মাইকে ঘোষণা দিয়ে সিঙ্গারবিল, বিষ্ণুপুর, নলঘরিয়া, মেরাসানী, নোয়াবাদী সীমান্তে শত শত লোক দেশীয় অস্ত্র-শস্ত্র নিয়ে জড়ো হয়। অনেকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক লাইভে এসে সবাইকে সীমান্তে জড়ো হওয়ার আহ্বান জানান। সীমোন্তে জনতার ভিড় দেখে পিছিয়ে যায় বিএসএফ।
আরও পড়ুন: সিলেট সীমান্তে পুশ-ইন হওয়া ১৬ জনের পরিচয় মিলেছে
এ বিষয়ে সিঙ্গারবিল ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য মামুন চৌধুরী বলেন, ‘বিএসএফ পুশ-ইনের চেষ্টা করলে এলাকায় মাইকিং করা হয়। বিজিবির সহযোগিতায় এলাকার মানুষ সীমান্তে গিয়ে জড়ো হয়। লোকজন জড়ো হলে বিএসএফ সরে যায়।’
বিজয়নগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সাধনা ত্রিপুরা বলেন, ‘সীমান্তের পরিস্থিতি স্বাভাবিক আছে। পুশ-ইন চেষ্টার খবরে জনগণ বিজিবির সঙ্গে থেকে প্রতিহত করেছে। এখনও সতর্ক অবস্থানে আছেন সবাই।’
বিজিবি-২৫ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল জাব্বার আহাম্মেদ সাংবাদিকদের বলেন, ‘বিএসএফ পুশ-ইন করবে বলে খবর আসলে বিজিবি সতর্ক অবস্থান নেয়। পাশাপাশি উৎসুক জনতাও সীমান্তে জড়ো হন। সবার যৌথ প্রচেষ্টায় এ ঘটনায় সফল হয়েছি আমরা।’
২২৭ দিন আগে
কক্সবাজার থেকে উড্ডয়নের পর খুলে পড়ল বিমানের চাকা
কক্সবাজার বিমানবন্দর থেকে ছেড়ে আসা বাংলাদেশ বিমানের একটি ফ্লাইটের চাকা খুলে নিচে পড়ে যাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। তবে এ ঘটনায় কোনো ক্ষয়ক্ষতি হয়নি।
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের মহাব্যবস্থাপক (জনসংযোগ) এবিএম রওশন কবীর ইউএনবিকে ফোনে এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, ‘কী কারণে এমনটি ঘটেছে, তা সঠিক বলা যাচ্ছে না। ইঞ্জিনিয়ারিং ডিপার্টমেন্ট পরীক্ষা-নীরিক্ষা করার পর বলা যাবে। তবে ঢাকা হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ফ্লাইটটি নিরাপদে ল্যান্ড করেছে।’
আরও পড়ুন: ভারত-পাকিস্তানে বহু ফ্লাইট বাতিল, বিমানবন্দর বন্ধ
এদিকে, কক্সবাজার এয়ারপোর্ট কন্ট্রোল রুম থেকে জানানো হয়, কক্সবাজার বিমানবন্দরের রানওয়ে থেকে আকাশে উড্ডয়নের পরই পেছনের একটি চাকা খুলে নিচে পড়ে যায়। আজ দুপর ১টা ১৭ মিনিটে বিজি ৪৩৬ বিমানটি ৭১ যাত্রী নিয়ে উড্ডয়ন করে এবং ২ টা ১৭ মিনিটে বিমানটি নিরাপদে ঢাকায় অবতরণ করেছে।
২২৭ দিন আগে
নওগাঁয় ১২০ টাকায় পুলিশের চাকরি পেল ৩৬ জন
নওগাঁয় মাত্র ১২০ টাকা খরচ করে পুলিশের কনস্টেবল পদে চাকরি পেয়েছেন ৩৬জন। উত্তীর্ণ প্রার্থীদের অভিনন্দন জানিয়ে সততা, নিষ্ঠা ও পেশাদারত্বের সঙ্গে দেশসেবার মনোভাব নিয়ে বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনীতে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন নওগাঁর পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সাফিউল সারোয়ার।
বৃহস্পতিবার (১৫ মে) রাতে আনুষ্ঠানিকভাবে পুলিশ লাইন্স ড্রিল শেডে এ ফলাফল ঘোষণা করেন তিনি। ফলাফল ঘোষণা শেষে প্রাথমিকভাবে উত্তীর্ণ প্রার্থীদের শুভেচ্ছা জানান নওগাঁর পুলিশ সুপার। এ সময় বাংলাদেশ ট্রেইনি রিক্রুট কনস্টেবল (টিআরসি) পদে নিয়োগ বোর্ডের অন্যান্য সদস্যগণও উপস্থিত ছিলেন।
শারীরিক মাপ, কাগজপত্র ও শারীরিক সক্ষমতা যাচাই শেষে ৪৪৫ জন প্রার্থীর লিখিত পরীক্ষা শেষে উত্তীর্ণ ৬৯ জন প্রার্থী মৌখিক ও মনস্তাত্ত্বিক পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেন। তার মধ্যে ৩৬ জনকে প্রাথমিকভাবে উত্তীর্ণ ঘোষণা করে নওগাঁ জেলা টিআরসি নিয়োগ বোর্ড।
সাফিউল সারোয়ার জানান, ‘সেবার ব্রতে চাকরি’— এই শ্লোগানে শতভাগ মেধা, যোগ্যতা ও স্বচ্ছতার ভিত্তিতে টিআরসি পদে নিয়োগ পরীক্ষায় সরকারি কোষাগারে ১২০ টাকা জমা দিয়ে চাকরি পেয়েছেন প্রার্থীরা।
ফলাফল প্রকাশের পর উত্তীর্ণ প্রার্থীরা তাৎক্ষণিকভাবে আবেগঘন অনুভূতি ব্যক্ত করেন।
সাফিউল সারোয়ার জানান, এই নিয়োগ প্রক্রিয়া চলাকালীন তিনজন প্রতারককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে এবং তাদের বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগে মামলা করা হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘এই প্রতারক চক্র বিভিন্ন প্রার্থীকে চাকরি দেওয়ার নামে মোটা অংকের টাকা চুক্তি করেছিল। আটকের পর তাদের কাছ থেকে নগদ টাকা, চুক্তিনামা, ব্যাংকের চেকসহ অন্যান্য ডকুমেন্ট উদ্ধার করে পুলিশ।’
২২৭ দিন আগে
মুন্সীগঞ্জে আগুনে শতাধিক দোকান ভস্মীভূত
মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগর বাজারে অগ্নিকাণ্ডে শতাধিক দোকানের মালামাল পুড়ে গেছে।
বৃহস্পতিবার (১৫ মে) মধ্যরাতে লাগা আগুন ফায়ার সার্ভিসের পাঁচটি ইউনিটের চেষ্টায় আজ (শুক্রবার) সকালে নিয়ন্ত্রণে আসে।
বাজারের ব্যবসায়ীরা জানান, রাত ২টার দিকে আগুন লাগে। এরপর মুহূর্তেই তা বাজারের মূল অংশে ছড়িয়ে পড়ে। বিশেষ করে কাপড় পট্টি, বানিয়া পট্টি ও মুরগি পট্টি নামে পরিচিত তিনটি গলিতে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বেশি। পরিস্থিতি সামাল দিতে ফায়ার সার্ভিসকে হিমশিম খেতে হয়। পরে আজ সকাল ৮টার দিকে আগুন পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয় ফায়ার সার্ভিস।
আরও পড়ুন: ঢাকার বেইলি রোডের ক্যাপিটাল সিরাজ টাওয়ারের আগুন সম্পূর্ণ নেভানো হয়েছে
মুন্সীগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের উপ-সহকারী পরিচালক সফিকুল ইসলাম বলেন, ছয় ঘণ্টার চেষ্টায় আজ সকাল ৮টার দিকে আগুন পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আসে। এই আগুনের ঘটনায় অনেক প্রান্তিক ব্যবসায়ী সর্বশান্ত হয়ে গেছেন। জমজমাট বাজারটি এখন বিরান ভূমি।
তিনি বলেন, লুঙ্গি পট্টির পাইকার আনোয়ার বস্ত্র বিতানের মালিক মঞ্জুরুল ইসলাম বাজারের কাছের শ্রীনগরের হরপাড়া গ্রাম থেকেও ছুটে এসেও শেষ রক্ষা করেত পারেননি। অন্য দোকানের মতো তার দোকানেরও অন্তত ৬০ লাখ টাকার লুঙ্গি পুড়ে ছাই হয়ে গেছে।
শুক্রবার সকালে শ্রীনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. মহিন উদ্দিন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে ক্ষতিগ্রস্তদের সরকারি সহায়তা দেওয়ার আশ্বাস দেন।
২২৭ দিন আগে
গোপালগঞ্জে বাস-ট্রাক সংঘর্ষে ৩ জন নিহত, আহত ৩০
গোপালগঞ্জের কাশিয়ানীতে বাস ও ট্রাকের সংঘর্ষে তিনজন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও অন্তত ৩০ জন।
বৃহস্পতিবার (১৫ মে) রাত ৯টার দিকে উপজেলার ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের ফুকরা মিল্টন বাজার এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
তাৎক্ষণিকভাবে নিহতদের পরিচয় জানা যায়নি। তবে আহতদের মধ্যে ১৮ জনকে গোপালগঞ্জ ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
হতাহতদের উদ্ধারের সময় ওই মহাসড়কটিতে প্রায় দুই ঘণ্টা যানবাহন চলাচল বন্ধ ছিল।
কাশিয়ানী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খন্দকার হাফিজুর রহমান বলেন, ‘খুলনার মোংলা থেকে ছেড়ে আসা বলেশ্বর পরিবহনের একটি বাস চট্টগ্রাম যাওয়ার পথে ঘটনাস্থলে এলে বিপরীত দিক থেকে আসা একটি দ্রুতগামী ট্রাকের সঙ্গে সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলেই ট্রাক-চালকসহ তিনজন নিহত ও আরও অন্তত ৩০ জন আহত হন।
আরও পড়ুন: ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় অটোরিকশা-মোটরসাইকেল সংঘর্ষে নিহত ১
তিনি জানান, দুর্ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে আহতদের উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য কাশিয়ানী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও গোপালগঞ্জ ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে পাঠান।
যান চলাচল বন্ধ থাকার বিষয়টি নিশ্চিত করে তিনি বলেন, পরে যান চলাচল স্বাভাবিক করতে ফায়ার সার্ভিস এবং পুলিশ কাজ শুরু করে। তাদের প্রচেষ্টায় ঘণ্টা দুয়েকের মধ্যে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।
এদিকে, গোপালগঞ্জ ২৫০ বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতাল থেকে জানানো হয়েছে, আহতদের চিকিৎসা করতে অতিরিক্ত জনবল নিয়োগ করেছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
২২৭ দিন আগে
সিলেটে এবার চাহিদার চেয়ে কোরবানিযোগ্য পশু বেশি
সিলেটে এবার কোরবানিযোগ্য পশু রয়েছে তিন লাখের বেশি। আর চাহিদা রয়েছে পৌনে তিন লাখের মতো। ফলে চাহিদার চেয়ে কোরবানিযোগ্য পশু এবার বেশি রয়েছে।
সম্প্রতি সিলেট প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের দায়িত্বশীলরা এমন তথ্য দিয়েছেন।
সংশ্লিষ্ট অফিসের তথ্যমতে, চাহিদা অনুযায়ী এবার সিলেটে কোরবানির পশুর সংকটের আশঙ্কা নেই। খামারিদের কাছে পর্যাপ্ত পশু আছে, আবার গৃহপালিত পশুর সংখ্যাও কম নয়। তাছাড়া প্রতি বছর বিভিন্ন জেলা থেকে হাজার হাজার গরু আসে সিলেটে। ফলে চাহিদার চেয়ে অনেক বেশি গরু, ছাগল, ভেড়া এবার পাওয়া যাবে বলে আশা করছেন সংশ্লিষ্টরা।
প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের এক কর্মকর্তা বলেন, সিলেটের অনেক প্রবাসী বড় গরু কোরবানি দিতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন। স্থানীয়ভাবে এমন গরুর সংখ্যা কম থাকলেও কিশোরগঞ্জ, নেত্রকোণা, ময়মনসিংহ ও কুষ্টিয়াসহ দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে বড় আকারের অনেক গরু বরাবরের মতো এবারও সিলেটে আসবে।
আরও পড়ুন: কোরবানির পশুর কাঁচা চামড়ার ন্যায্যমূল্য নিশ্চিতে উচ্চ পর্যায়ের কমিটি গঠনের নির্দেশ ড. ইউনূসের
প্রাণিসম্পদ বিভাগীয় কার্যালয়ের তথ্য অনুযায়ী, বিভাগের চার জেলার বিভিন্ন খামারে কোরবানির জন্য ৩ লাখ ৯ হাজার গবাদি পশু প্রস্তুত করা হয়েছে। এর মধ্যে ১ লাখ ৩০ হাজার ৭৫৬টি ষাঁড়, ৩২ হাজার ৩৬৮টি বলদ, ৩৭ হাজার ৩৯২টি গাভী, ৫ হাজার ৪২০টি মহিষ, ৭৭ হাজার ৬৪৬টি ছাগল, ২৪ হাজার ১৪টি ভেড়া ও ৯১৯টি অন্যান্য পশু রয়েছে।
সিলেট বিভাগীয় প্রাণিসম্পদ অফিসের পরিচালক ডা. মারুফ হাসান জানান, প্রাথমিক হিসাবে সিলেট বিভাগে কোরবানির পশুর চাহিদা আছে ২ লাখ ৭১ হাজার ৫০০। এবার চাহিদা কিছু কম হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এর বিপরীতে খামারিদের কাছে মজুদ আছে ৩ লাখ ৮ হাজার ৫১৫টি পশু। ফলে এবার কোরবানির পশুর কোনো সংকট হবে না বলে আশা করা হচ্ছে।
২২৭ দিন আগে
চুয়াডাঙ্গায় আম সংগ্রহ শুরু, আসছে আঁটি, গুঁটি ও বোম্বাই
চুয়াডাঙ্গায় শুরু হয়েছে আম সংগ্রহ। বৃহস্পতিবার (১৫ মে) আদর্শ মহিলা কলেজ এলাকার আমবাগান থেকে কার্যক্রমটি শুরু হয়। কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জহিরুল ইসলাম।
কৃষি বিভাগ প্রণীত ‘ম্যাঙ্গো ক্যালেন্ডার’ অনুযায়ী, ১৫ মে থেকে আঁটি, গুঁটি ও বোম্বাই জাতের আম সংগ্রহের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। ২২ মে হিমসাগর, ২৮ মে ল্যাংড়া, ৫ জুন আম্রপালি, ১৫ জুন ফজলি ও ২৮ জুন থেকে বারি-৪ জাতের আম সংগ্রহ করা যাবে বলে জানান কৃষি বিভাগ।
এ উপলক্ষে আয়োজিত সংক্ষিপ্ত আলোচনাসভায় সভাপতিত্ব করেন জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মাসুদুর রহমান সরকার।
তিনি বলেন, ‘জেলার চারটি উপজেলায় প্রায় ২ হাজার ৩০০ হেক্টর জমিতে আমের চাষ হচ্ছে। এ বছর প্রায় ৩৫ হাজার মেট্রিক টন আম উৎপাদন হতে পারে।‘
এছাড়া প্রতি কেজি আমের গড় উৎপাদন মূল্য ৩০ থেকে ৪০ টাকা ধরে এ খাতে প্রায় দেড়শ কোটি টাকার বাণিজ্য হবে বলে আশা করা যাচ্ছে বলে জানান মাসুদুর রহমান।
আরও পড়ুন: খাগড়াছড়িতে কালবৈশাখী ও শিলাবৃষ্টিতে আমের ব্যাপক ক্ষতি
প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জহিরুল ইসলাম। তিনি বলেন, ‘আম উৎপাদনের দিক দিয়ে দেশের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ এলাকা চুয়াডাঙ্গা। বিশেষ করে হিমসাগর জাতের আমের সুখ্যাতি রয়েছে দেশ-বিদেশে। সেই ঐতিহ্য ধরে রাখতে আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।’
তিনি আরও বলেন, ‘চাষীদের কড়া নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে, অপরিপক্ব আম বাজারজাত করা যাবে না। পরিস্থিতি বিবেচনায় আম সংগ্রহের সময়সূচি পরিবর্তন হতে পারে। আমের সরবরাহ ও বাজারজাতকরণে কোনো ধরনের প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি না হয়, সেদিকেও কঠোর নজর রয়েছে।’
এ সময় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শরীফুজ্জামান শরীফ ও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত উপ-পরিচালক দেবাশীষ কুমার দাস।
২২৮ দিন আগে
হিলি সীমান্তে ধানখেত থেকে ড্রোন উদ্ধার
দিনাজপুরের হাকিমপুর উপজেলার ঘাসুড়িয়া সীমান্তে ধানখেত থেকে একটি ড্রোন উদ্ধার করা হয়েছে। ড্রোনটি পরে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়। এদিকে সীমান্তবাসীরা আতঙ্কে রয়েছেন।
উপজেলার ঘাসুড়িয়া আদিবাসীপাড়ার প্রফুল্ল টপ্প বলেন, ‘বুধবার (১৪ মে) দুপুরের দিকে সীমান্তবর্তী একটি ধানখেতে ধান কাটার কাজ করছিলেন। এ সময় খেতের মাঝখানে একটি কালো রঙের মাকড়সার মতো বস্তু পড়ে থাকতে দেখে সহকর্মীদের জানাই। পরে তারা কাছে এসে বলেন এটি ড্রোন। তারা ড্রোনটি তার বাড়িতে রাখার কথা বলেন। কাজ শেষ করে ড্রোনটি বাড়িতে নিয়ে যান তিনি।’
উপজেলার খট্টামাধবপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য মোবারক হোসেন বলেন, ‘সীমান্তের ২৮৭/২১ নম্বর সাব সীমানা পিলার সংলগ্ন ঘাসুড়িয়া গ্রামের মিরাজুল ইসলামের জমিতে এককদল শ্রমিক ধান কাটছিলেন। এক পর্যায়ে শ্রমিক প্রফুল্ল টপ্প ড্রোনটি দেখতে পেয়ে সবাইকে জানান।’
‘তারা প্রফুল্ল টপ্পকে তার কাছে ড্রোনটি রাখার কথা বলতে প্রফুল্ল ড্রোনটি বাড়িতে নিয়ে যান। পরে স্থানীয়রা মংলা বিজিবি ক্যাম্পে ও থানায় খবর দিলে তারা ড্রোনটি উদ্ধার করে নিয়ে যান।’
আরও পড়ুন: এবার ভারতের ড্রোন ভূপাতিত করার দাবি পাকিস্তানের
হাকিমপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এস এম জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘গতকাল বুধবার দুপুরে ঘাসুড়িয়া সীমান্তের ৪০০ গজ বাংলাদেশ অভ্যন্তরে ধানখেতে স্থানীয় শ্রমিক প্রফুল্ল টপ্প পড়ে থাকা একটি ড্রোন ক্যামেরা দেখতে পান। বিষয়টি লোকজনকে জানালে তারা এসে ড্রোন ক্যামেরাটি উদ্ধার করে থানায় খবর দেয়। পরে ওইদিন রাত ১০টার দিকে পুলিশ ড্রোন ক্যামেরাটি উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। বর্তমানে সেটি থানা হেফাজতে রয়েছে।
দিনাজপুর জেলা পুলিশ সুপার মো. মারুফাত হুসাইন বলেন, ‘ঘাসুড়িয়া সীমান্তের একটি ধানখেত থেকে উদ্ধার হওয়া ড্রোন ক্যামেরাটি ভারত থেকে উড়ে আসা বলে তিনি প্রাথমিক ভাবে ধারনা করছেন। ড্রোনটিতে ৫টি ক্যামেরার লেন্স রয়েছে।’
তবে ড্রোনটি পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখা হচ্ছে এবং আরও তথ্য উৎঘাটনে অনুসন্ধান চলছে বলেও জানান তিনি।
২২৮ দিন আগে
চোর সন্দেহে বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী যুবককে খুঁটিতে বেঁধে মারধর
মৌলভীবাজার কমলগঞ্জের পতনঊষারে চোর সন্দেহে আলমগীর মিয়া (২৫) নামে এক বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী যুবককে বিদ্যুতের খুঁটির সঙ্গে বেঁধে পিটিয়ে আহত করার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
মঙ্গলবার (১৩ মে) রাতে কুলাউড়া উপজেলার টিলাগাঁও ইউনিয়নের চকসালং গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। আহত যুবক আলমগীর মিয়া রসুলপুর গ্রামের আলতা মিয়ার ছেলে।
আলমগীর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। সেখানকার মেডিকেল অফিসার ডা. কনক কান্তি সিনহা বলেন, ‘প্রতিবন্ধী আলমগীরের শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।’
বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী যুবকের পরিবারের সদস্যরা জানান, গত ১২ মে আলমগীর স্থানীয় নয়াবাজার থেকে ভুল করে অন্য পথে চলে যান। রাতে তাকে কুলাউড়া উপজেলার টিলাগাঁও ইউনিয়নে চোর সন্দেহ আটক করা হয়।
পরে স্থানীয় ইউপি সদস্য কয়ছর রশীদের উপস্থিতিতে তাকে বিদ্যুতের খুঁটির সঙ্গে বেঁধে মারধর করে। পরে তাকে অটোরিকশা করে তার বাড়ির পাশে রেখে যাওয়া হয়।
আরও পড়ুন: মুন্সীগঞ্জে দুই তরুণীকে মারধর: আসামির ২ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর
কয়ছর রশীদ বলেন, ‘লোকজন চোর ভেবে পিটিয়েছে। এখানে কিছু দিন আগে ডাকাতির হয়েছে। এজন্য এলাকাবাসী চোর সন্দেহ করেছে। পরে প্রতিবন্ধী বুঝতে পেরে বাড়িতে পাঠিয়েছি।’
আলমগীরের চাচাতো ভাই আবু রায়হান বলেন, ‘সে মানসিক ও বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী। ভোরে আহত অবস্থায় সে বাড়িতে এসেছে। সে কোথায় গিয়েছিল কিছু বলতে পারছে না। শুধু বলছে কারা জানি তাকে চোর ভেবে খুব মারধর করেছে। সে অনেকবার অনুরোধ করছে তাকে না মারার জন্য, কিন্তু কেউ তার কথা শুনেনি। এ ঘটনায় আমরা কুলাউড়া থানায় মামলা দায়ের করার প্রস্তুতি চলছে।’
কুলাউড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গোলাম আপছার বলেন, ‘বিষয়টি আমার জানা নেই। অভিযোগ পেলে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
২২৮ দিন আগে
রাজশাহীতে বিএনপির দুই গ্রুপে সংঘর্ষ, আহত ১০
রাজশাহীর পুঠিয়ায় আধিপত্য বিস্তার এবং স্থানীয় পুকুরের টেন্ডার নিয়েই সংঘর্ষে জড়িয়েছে বিএনপির দুই গ্রুপ। এ ঘটনায় অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন।
বুধবার (১৪ মে) রাতে পুঠিয়া উপজেলা চত্বরে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয় স্থানীয় বিএনপির কার্যালয় এবং তিনটি মোটরসাইকেল।
স্থানীয়রা জানান, ওই দিন বিকালে টেন্ডার নিয়ে শুরু হওয়া উত্তেজনা রাত পর্যন্ত গড়ায়। একপর্যায়ে পুঠিয়া বাজারে দুপক্ষ দেশীয় অস্ত্রসহ সংঘর্ষে জড়ায়। দীর্ঘ সময় ধরে চলে এ ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া সংঘর্ষ।
এক পর্যায়ে স্থানীয়রা বিষয়টি পুলিশকে জানায়। পরে পুলিশ এসে শুরুতে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়। পরে সেনা সদস্য এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। বর্তমানে পুরো এলাকায় থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে এবং অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। আহতরা চিকিৎসা নিয়েছেন পুঠিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে।
পুলিশ জানান, দীর্ঘদিন ধরে পুঠিয়ায় বিএনপির দুই গ্রুপের মধ্যে রাজনৈতিক বিরোধ চলছিল। একপক্ষের নেতৃত্বে রয়েছেন সাবেক মেয়র ও উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক আল মামুন খানের অনুসারীরা এবং অপরপক্ষের নেতৃত্বে আছেন বিএনপি নেতা ফারুক রায়হানের অনুসারীরা।
আরও পড়ুন: সিলেটের দুপক্ষের সংঘর্ষে যুবলীগ নেতার মৃত্যু
তারা আরও জানান, পুকুর টেন্ডার ঘিরেই সংঘর্ষের সূত্রপাত। বিকালের পর থেকেই উত্তেজনা বাড়তে থাকে, সন্ধ্যার দিকে দুই পক্ষই দেশীয় অস্ত্র নিয়ে মিছিল ও মহড়া শুরু করে, যা সংঘর্ষে রূপ নেয়। এ ঘটনায় অন্তত ১০ জন আহত হন।
পুঠিয়া বাজারের ব্যবসায়ী আজিজুল হক বলেন, ‘সন্ধ্যার পরে হঠাৎ দেখি দুই দিক থেকে লোকজন লাঠিসোটা, রড, দেশীয় অস্ত্র নিয়ে এগিয়ে আসছে। বাজারের সব দোকানপাট বন্ধ হয়ে যায়। কেউ কেউ আমাদের দোকানে আশ্রয় নেয়। দুই ঘণ্টার বেশি সময় ধরে মারামারি চলে। পরে সেনা সদস্য এলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। ফায়ার সার্ভিসের লোকজন গিয়ে বিএনপির পার্টি অফিসের আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। তবে এর আগে পার্টি অফিসের আসবাবপত্র পুড়ে যায়।’
স্থানীয় বাসিন্দা রোকেয়া বেগম জানান, আমার ছেলে মোটরসাইকেল নিয়ে দোকানে যাচ্ছিল, ওর মোটরসাইকেলটা আগুনে পুড়ে গেছে। পুরো এলাকা এখন আতঙ্কে আছে।’
পুঠিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কবির হোসেন বলেন, ‘পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। ঘটনাস্থলে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর টহল জোরদার করা হয়েছে। ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ ও সেনাবাহিনী মোতায়েন রয়েছে। এ ঘটনায় মামলা প্রক্রিয়াধীন।’
২২৮ দিন আগে