বিশেষ সংবাদ
সেতু এখন মরণ ফাঁদ!
সংস্কারের অভাবে খুলনার পাইকগাছা উপজেলার সোলাদানার কুচিয়া নদীর ওপর নির্মিত সেতুটি এখন মরণ ফাঁদে পরিণত হয়েছে।
প্রায় ৩৫ বছর আগে নির্মিত সেতুটি দীর্ঘ দিনে সংস্কার না করায় অতিরিক্ত লবণাক্ততার কারণে এরই মধ্যে খুঁটিতে ফাঁটল ধরেছে। রেলিং (গার্ডার) ভেঙে পড়েছে আরও আগে। এই অবস্থাতে বেশ কয়েকটি গ্রামের হাজারো মানুষ জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সেতুটি পারাপার করছে। যেকোন মুহূর্তে সেতুটি ভেঙে বড় ধরনের দুর্ঘটনার আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা। তবে অগ্রাধিকারভিত্তিতে শিগগিরই সেতুটি বাস্তবায়নের আশ্বাস দিয়েছে উপজেলা প্রশাসন।
জানা গেছে, উপজেলার সোলাদানা ইউনিয়নের কুচিয়া নদীর দু’তীরের টেংরামারী, উত্তর কাইনমুখী, দক্ষিণ কাইনমুখী ও দিঘাসহ প্রত্যন্ত এলাকার বাসিন্দাদের চলাচলের সুবিধার্থে সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল মাজেদ সানা সেতুটি নির্মাণ করেন।
আরও পড়ুন: অপরিকল্পিত সেতুর কারণে প্রাণ ফিরে পাচ্ছে না পুনঃখনন করা ভারানি খাল
দ্বীপ বেষ্টিত সোলাদানার উত্তর কাইনমুখী গ্রামের কিশোর মন্ডল জানান, ইউনিয়নব্যাপী জালের মত ছড়িয়ে রয়েছে অসংখ্য ছোট-বড় নদী বা খাল। চারদিকে যতদূর চোখ যায় যেন পানি আর পানি। সুষ্ঠু যাতায়াত ব্যবস্থায় সেতুটিই তাদের একমাত্র ভরসা। তবে মূল অবকাঠামো হারিয়ে সেতুটি এখন রীতিমত ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় দাঁড়িয়ে এখনো এলাকাবাসীর অবিরাম সেবা দিয়ে যাচ্ছে। তবে যেকোন সময় দুর্ঘটনারও আশঙ্কা করছেন তিনি।
দিঘার এলাকার কল্লোল মন্ডল জানান, আরও ১০ বছর আগের সেতুটির চলাচলে অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। এরপরও তারা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বাধ্য হয়েই যাতায়াত করছেন। উপজেলা সদরসহ স্কুল-কলেজে পৌঁছাতে সেতুটিই তাদের একমাত্র ভরসা।
দক্ষিণ কাইনমুখীর বিজন মন্ডল জানান, সেতুটি দিয়ে পণ্যবাহী যানবাহন চলাচল অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় অতিরিক্ত খরচ করে মালামাল বাড়িতে নিতে হয় তাদের।
আরও পড়ুন: নিষিদ্ধ ‘শাপলা পাতা’ মাছ প্রকাশ্যে বিক্রি, বিলুপ্তির আশঙ্কা
সাবেক ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান এস এম এনামুল হক জানান, তিনি চেয়ারম্যান থাকাকালীন নতুন সেতুর প্রস্তাবনাসহ কাগজপত্র তৈরি করে উপজেলা নির্বাহী প্রকৌশলীর দপ্তরে পাঠিয়েছিলেন, সেটি এখনো পাশ হয়নি।
বর্তমান ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল মান্নান গাজী জানান, জনগুরুত্বপূর্ণ সেতুটি দিয়ে প্রতিদিন স্থানীয় চারটি গ্রামসহ উপজেলার হাজারো মানুষ যাতায়াত করে। ঝুঁকিপূর্ণ সেতুটি পরিত্যক্ত ঘোষণার পাশাপাশি নতুন করে আরও একটি সেতু নির্মাণের দাবি তার। এ নিয়ে আগামী উপজেলা মাসিক উন্নয়ন সভায় উত্থাপনের কথাও জানান তিনি।
আরও পড়ুন: চুয়াডাঙ্গায় গাছে গাছে আমের মুকুল, ছড়াচ্ছে সৌরভ
এ ব্যাপারে পাইকগাছা উপজেলা প্রকৌশলী হাফিজুর রহমান জানান, সাবেক চেয়ারম্যান এস এম এনামুল হক উপজেলা সমন্বয় সভায় একাধিকবার সেতুটির বিষয় উত্থাপন করলেও সেসময় পর্যাপ্ত অর্থাভাবে সেতুটির বাস্তবায়ন সম্ভব হয়নি। বর্তমানে সেতুটির অবস্থা বিবেচনায় অগ্রাধিকারভিত্তিতে শিগগিরই বাস্তবায়ন করা হবে।
রাজশাহীতে এবার আম উৎপাদনে রেকর্ড ছাড়ানোর আশা
এবার রাজশাহীর কোনো কোনো আমগাছ মুকুলে ছেয়ে গেছে, আবার কোনো গাছে মাঝারি পরিমাণে মুকুল রয়েছে। এ বছরের তুলনায় গত বছর গাছগুলোতে প্রচুর পরিমাণে মুকুল এলেও, এবার আম উৎপাদনে রেকর্ড ছাড়ানোর আশা করছেন রাজশাহী ফল গবেষণা কেন্দ্র। জেলার আম চাষিরাও ভালো ফলন পাওয়ার আশা করছেন।
রাজশাহী কৃষি বিভাগের তথ্যমতে, চলতি ২০২১-২২ মৌসুমে রাজশাহী জেলায় ১৮ হাজার ৫১৫ হেক্টর জমিতে আমবাগান রয়েছে। এবার রাজশাহী জেলায় প্রায় ৫৭২ হেক্টর জমিতে আমের চাষ বেড়েছে। বর্তমানে গাছগুলোতে মুকুল থেকে আমের গুটি হতে শুরু করেছে।
রাজশাহী কৃষিসম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত উপপরিচালক আবদুল্লাহ হিল কাফী জানান, গত ২০২০-২১ মৌসুমে আমবাগান ছিল ১৭ হাজার ৯৪৩ হেক্টর জমিতে। হেক্টরপ্রতি গড় ফলন হয়েছিল ১২ দশমিক ১০১ মেট্রিক টন। সম্ভাব্য উৎপাদন হয়েছিল দুই লাখ ১৭ হাজার ১২৮ দশমিক ২৪ মেট্রিক টন আম।
আরও পড়ুন: অপরিকল্পিত সেতুর কারণে প্রাণ ফিরে পাচ্ছে না পুনঃখনন করা ভারানি খাল
অপরিকল্পিত সেতুর কারণে প্রাণ ফিরে পাচ্ছে না পুনঃখনন করা ভারানি খাল
দীর্ঘ আন্দোলন-সংগ্রামের পর দখলমুক্ত করে অবশেষে পুনঃখনন করা হলেও বেশ কয়েকটি অপরিকল্পিত সেতুর কারণে ঐতিহ্যবাহী বরগুনার ভারানি খাল প্রাণ ফিরে পাচ্ছে না বলে অভিযোগ করেছেন সচেতন মহল।
জানা গেছে, বরগুনার প্রমত্তা পায়রা ও খাকদোন এই দুই নদের সংযোগ রক্ষাকারী ভারানী খাল দুই পাড়ে বহুবছর ধরে অবৈধ দখলদারদের কবলে পড়ে মরা খালে পরিণত হয়েছিল। খাকদোন নদের এ শাখা খালটি বরগুনা শহরের মাছবাজার এলাকার মাদরাসা সড়ক হয়ে বরগুনা সদর ও বুড়িরচর ইউনিয়নের মধ্য দিয়ে দক্ষিণে ৯ কিলোমিটার গিয়ে পায়রা নদে গিয়ে যুক্ত হয়েছে। আর এই ৯ কিলোমিটারের মধ্যে মোট ১১টি সেতু গড়ে উঠেছে। প্রতিটা সেতুই এমন অপরিকল্পিতভাবে তৈরি করা হয়েছে যে বর্ষা মৌসুমে যেকোনো ছোট-বড় নৌযানের এই সেতুগুলোর নিচ দিয়ে যাতায়াত করা অসম্ভব হয়ে পড়ে।
বরগুনা সদর উপজেলার সঙ্গে নৌপথ কেন্দ্রিক ব্যবসা বাণিজ্যের নির্ভরযোগ্য চলাচলের মাধ্যম ছিল খালটি। কিন্তু দখলদারদের দৌরাত্ম্য ও দূষণে সময়ের ব্যবধানে এটি মরা খালে পরিণত হয়। একই সঙ্গে ভারানি খালের সঙ্গে সংযুক্ত আরও সাতটি শাখা খালেরও একই অবস্থা।
সম্প্রতি বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) ভারানি খাল দখলমুক্ত ও পুনঃখননের উদ্যোগ নেয়। খালের দুই তীরের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের পর পুনঃখননের কাজ এখন শেষ পর্যায়ে। তবে অপরিকল্পিতভাবে নির্মিত ১১টি সেতু বহাল তবিয়তে রয়েছে। এই সেতুগুলো ভেঙে পরিকল্পিতভাবে পুননির্মাণ না করা হলে এ খাল কখনোই প্রাণ খুঁজে পাবে না বলে অভিমত প্রকাশ করছেন অনেকেই।
২০১৭ সালে স্থানীয় পরিবেশবাদী ও সচেতন নাগরিকরা খালটি দখলমুক্ত করতে আন্দোলন শুরু করেন। দল-মত নির্বিশেষে সর্বস্তরের জনগণ দফায় দফায় বরগুনায় অবস্থিত খাল দুটি অবৈধ দখলদারদের হাত থেকে মুক্ত করে পানি প্রবাহ নিশ্চিতের দাবিতে মানববন্ধন-সমাবেশও করেছেন সংগঠন থেকে শুরু করে সকল শ্রেণিপেশার মানুষ। এতে জেলা প্রশাসন তৎপর হয়। বরগুনা জেলা প্রশাসন সংশ্লিষ্ট ভূমি অফিসের সহায়তায় উভয় পাড়ে ১৩৫ জন অবৈধ দখলদারের তালিকাও তৈরি করে।
আরও পড়ুন: সেতুর অভাবে ৩০ হাজার মানুষের দুর্ভোগ
বাংলাদেশ পরিবেশ আইনজীবী সমিতি (বেলা) ২০১৮ সালে খালটির অবৈধ দখল উচ্ছেদ ও সুষ্ঠু রক্ষণাবেক্ষণের লক্ষ্যে উচ্চ আদালতে জনস্বার্থে মামলা দায়ের করে। প্রাথমিক শুনানি শেষে ২০১৯ সালের ৭ জানুয়ারি বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ ও বিচারপতি রাজিব আল জলিল সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ বরগুনা জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার ও বরগুনা সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এবং সহকারী কমিশনারকে (ভূমি) খালটি থেকে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করে আদালতে অগ্রগতি প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন।
এরই পরিপ্রেক্ষিতে বরগুনা জেলা প্রশাসন ভূমি অফিস ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সহযোগিতায় ২০১৯ সালের ৮ এপ্রিল উচ্ছেদ অভিযান শুরু করে ডিসেম্বরে শেষ হয়। এরপর বরগুনা পানি উন্নয়ন বোর্ড খালটি পুনঃখননের প্রকল্প হাতে নেয়।
পাউবো কার্যালয়ের তথ্যমতে, ২০২০-২০২১ অর্থবছরে দুই কোটি ৮০ লাখ টাকা ব্যয়ে ভারানী খালের পুনঃখনন কাজ শুরু হয়। চট্টগ্রাম জেলার ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স গরীবে নেওয়াজ ও পটুয়াখালী জেলার ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান আল মামুন এন্টারপ্রাইজ যৌথভাবে এ খাল খননের প্রকল্পটির কার্যাদেশ পায়। বরাদ্দ এই কাজের দৈর্ঘ্য ৪ কিলোমিটার ও প্রস্থ স্থানভেদে ২৬ থেকে ৩০ মিটার বা ৮৫ থেকে ১০০ ফুট ও নিম্নস্তরের প্রস্থ ১২ মিটার বা ৩৯ দশমিক ৩৬ ফুট গভীরতা ১ দশমিক ৫ মিটার থেকে ২ মিটার পর্যন্ত বা ৫ ফুট থেকে ৬ দশমিক ৫০ ফুট।
আরও পড়ুন: ‘ভোজ্য তেলের আমদানির পয়সায় পদ্মা সেতু নির্মাণ করা যাবে’
ক্যাপসিকাম চাষে খুশি যশোরের কৃষকরা
একসময় অপরিচিত বিদেশি সবজি হিসেবে বিবেচিত ক্যাপসিকাম বর্তমানে বাংলাদেশে দ্রুত জনপ্রিয়তা পাচ্ছে। স্থানীয়ভাবে মিষ্টি মরিচ নামে পরিচিত ক্যাপসিকামের ক্রমবর্ধমান চাহিদা বাংলাদেশের চাষিরা এই সবজির চাষের দিকে ঝুঁকছেন। দামও ভালো পাচ্ছেন চাষিরা।
যশোরের ঝিকরগাছা উপজেলার ৪২ বছর বয়সী কৃষক মঞ্জুরুল আলম। তিনি কৃষি জমিতে বাণিজ্যিকভাবে ক্যাপসিকাম চাষ করে সফল হয়েছেন।
আবহাওয়ার অনুকূলে থাকায় তার খেতে ফলন ভালো হয়েছে। এছাড়া তার সাফল্য এলাকাজুড়ে ছড়িয়ে পড়ায় তার মতো আরও কৃষকরা ক্যাপসিকাম চাষে এগিয়ে আসছেন।
আরও পড়ুন: করোনায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ: ক্যাপসিকাম চাষে রাহুলের সফলতা
কৃষক মঞ্জুরুল আলম বলেন, তিনি মূলত একজন ফুল চাষি। দেশে করোনা আসার পর কয়েক বছর ফুলের বাজারে ধস নামায় অনেকটা চিন্তিত হয়ে পড়েন। এরপর থেকে তিনি সিদ্ধান্ত নেন ক্যাপসিকাম চাষের। তবে এক্ষেত্রে প্রথমে তাকে বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশন বিএডিসির (সেচ)পক্ষ থেকে সহযোগিতা করা হয়।
তিনি জানান, বিএডিসির পক্ষ থেকে তার এক বিঘা জমিতে আধুনিক পলি শেড করে দেয়া হয়। ওই শেডে বৃষ্টির পানি রিফ্রেশ করে খেতে প্রয়োগের পাশাপাশি তাপ নিয়ন্ত্রিত বৈদ্যুতিক ফ্যান, ফগার ইরিগেশন পদ্ধতিসহ নানা কলাকৌশল সংযোজন করা হয়। এরপর ওই শেডে ক্যাপসিকামের চাষ শুরু হয়। প্রথম বছরেই তিনি ক্যাপসিকাম চাষ করে সাফল্য অর্জন করেন।
মঞ্জুরুল আলম জানান, প্রথম দিকে খেত থেকে প্রতি কেজি ক্যাপসিকাম ২০০ টাকার বেশি দরে বিক্রি করতেন। এরপর বাজারে ক্যাপসিকামের চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় দামও বাড়তে থাকে। প্রতি কেজি ক্যাপসিকাম ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা বিক্রি করেন তিনি।
সরিষার ফলন ও দাম পেয়ে খুশি চাঁপাইনবাবগঞ্জের চাষিরা
চলতি মৌসুমে চাঁপাইনবাবগঞ্জে সরিষার ভালো ফলন হয়েছে। সেই সঙ্গে বেশ ভাল দামে সরিষা বিক্রিও হচ্ছে। তাই উৎপাদিত সরিষার ভালো ফলন ও দাম পেয়ে খুশি চাষিরা।
সরেজমিনে বিভিন্ন এলাকায় দেখা গেছে, খেত থেকে ফসল ঘরে তোলার কাজে ব্যস্ত চাষিরা। কোথাও চলছে সরিষার গাছকাটা আবার কোথাও চলছে মাড়াইয়ের কাজ।
চাষিরা জানান, এবার অনুকূল আবহাওয়া ও রোগ বালাইয়ের তেমন উপদ্রব না থাকায় ফলন ভালো হয়েছে। বিঘা প্রতি গড়ে সাত মণ করে ফলন পাওয়া গেছে। আর এবার শুরু থেকেই সরিষার বাজার দর ভালো রয়েছে। ফলে সরিষা আবাদ করে কৃষকরা লাভবান হয়েছেন।
সদর উপজেলার সুন্দরপুর এলাকার চাষি মোশাররফ হোসেন জানান, এবার তিনি তিন বিঘা জমিতে সরিষা আবাদ করেছিলেন। আবহাওয়া ভালো থাকায় ফলন ভালো পেয়েছেন। প্রথম দিকেই দুই হাজার আটশ টাকা মণ দরে তিনি সরিষা বিক্রি করেছে। পরে দর আরও বেড়েছে।
আরও পড়ুন: সরিষা চাষে ভাগ্য ফিরছে যশোরের কৃষকের
নাচোল উপজেলার নেজামপুর এলাকার চাষি আলমগীর জানান, বৃষ্টিতে কিছু নষ্ট করেছিল যার কারণে ফলন একটু কম হয়েছে। বিঘা প্রতি ৬ মণ ফলেছে। দর তিন হাজার পাঁচশ টাকা মণ পেয়েছেন। খরচ বাদ দিয়ে তার ছয় হাজার টাকা লাভ হয়েছে বলে জানান তিনি।
একই উপজেলার ঘিয়ন এলাকার চাষি আবদুস সামাদ জানান, দুই বছর আগে সরিষার দর তেমন ছিল না। ১২শ থেকে ১৩শ টাকা মণ দর ছিল। কিন্তু গত বছর থেকে সরিষার দর বেড়েছে। গতবার তিনি আড়াই বিঘায় সরিষার আবাদ করেছিলেন। দর ভালো পাওয়ায় এবার তিনি চার বিঘা জমিতে সরিষা করেছেন।
খুলনায় অবৈধ কয়লার চুল্লী: কালো ধোঁয়ায় মারাত্মক স্বাস্থ্য ঝুঁকি
খুলনার রূপসা উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় গড়ে উঠেছে অবৈধ কয়লার চুল্লী। এসব কয়লা পোড়ানো ধোঁয়ায় বিনষ্ট হচ্ছে চির চেনা প্রকৃতি ও পরিবেশ। এছাড়া কালো ধোয়ায় মারাত্মক স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে রয়েছে এলাকার মানুষ। কয়লার চুল্লী গড়ে উঠলেও মানা হচ্ছে না নীতিমালা। তবে অবৈধ কয়লার চুল্লীর বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের কথা জানিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন।
স্থানীয়দের অভিযোগ, বসতবাড়ির পাশে কয়লার চুল্লীর বিষাক্ত ক্ষতিকর ধোঁয়ার কারণে শ্বাসকষ্ট, হার্টের সমস্যা দেখা দিচ্ছে। বিশেষ করে শিশু, বয়স্কদের মধ্যে চর্মরোগের প্রবণতাও বৃদ্ধি পাচ্ছে। এই ধোঁয়ার কারণে ফসল, গাছপালা বিনষ্ট হচ্ছে এবং গাছের ফল-ফলাদিও কমে যাচ্ছে। জলাশয়ের হচ্ছে মাছেরও ক্ষতি। এমনকি ভর্য়কর এ কালো ধোঁয়ায় সর্দি কাশি এবং শ্বাসকষ্ট জনিত রোগেও আক্রান্ত হচ্ছেন মানুষ।
রূপসা উপজেলার কয়লার চুল্লীগুলো পরিবেশ ও উপজেলা প্রশাসন অভিযান চালিয়ে জরিমানা এবং ভেঙে দিলেও কর্তৃপক্ষকে তোয়াক্কা না করে চালিয়ে যাচ্ছে এ ব্যবসা। এ ব্যাপারে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন এলাকাবাসী।
আরও পড়ুন: সুন্দরবনের রাজস্ব বৃদ্ধিতে ক্ষতির মুখে পর্যটন ব্যবসায়ীরা
রামনগর নতুন বাজার খেয়া ঘাটের পূর্ব পাড়ের উত্তর পাশে পুরাতন মোমিন রাইস মিল এলাকার স্থানীয় বাসিন্দা মোসা. আনজিরা খাতুন বলেন, এই কয়লার চুল্লীর কালো ধোঁয়ার কারনে শ্বাসকষ্ট, কাশি ও সর্দির খুব সমস্যা হয়।
একই এলাকার জামিলা খাতুন বলেন, ‘যেই ধোঁয়া শুরু হয়, ঠিক সেই মুহূর্তে আমার ছেলেটার কাশি হয়। ডাক্তার দেখাতে এবং ওষুধ কিনতে এক হাজার থেকে এক হাজার পাঁচশ টাকা লাগে।’
একইভাবে ঘনবসতি এলাকার বাসিন্দা মনোয়ারা বেগম ও সালমা বেগম বলেন, কয়লা চুল্লীর কালো ধোঁয়ার কারণে শ্বাসকষ্টের সমস্যা হয়, গলা জ্বলে।
আরও পড়ুন: বিশ্বকাপ ফুটবল: ৬ লাখ পিস টি-শার্ট তৈরি করেছে সনেট টেক্সটাইল
কয়লা চুল্লীর অবৈধ ব্যবসার কথা স্বীকার করে জামাল খাঁ বলেন, আমি বাপ-দাদার আমল থেকেই এ ব্যবসা করছি। তবে, এটি অবৈধ জেনেও পেটের দায়ে করি। এছাড়া এ কয়লা দেশেই ব্যবহার হয়ে থাকে।
খুলনা পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিদর্শক মো. মারুফ বিল্লাহ বলেন, গতবছর আমরা অভিযান চালিয়ে কয়লার চুল্লী ভেঙে দিয়েছিলাম। এখন পুনরায় চালু হলে আবারও অভিযান চালানো হবে।
রূপসা উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি), উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) মো. সাজ্জাদ হোসেন বলেন, অবৈধ কয়লার চুল্লীর বিরুদ্ধে দ্রুত আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
আরও পড়ুন: নিষিদ্ধ ‘শাপলা পাতা’ মাছ প্রকাশ্যে বিক্রি, বিলুপ্তির আশঙ্কা
সুন্দরবনের রাজস্ব বৃদ্ধিতে ক্ষতির মুখে পর্যটন ব্যবসায়ীরা
সুন্দরবন ভ্রমণে পর্যটকদের খরচ দ্বিগুণ বেড়েছে। বনজীবীদের রাজস্বও বেড়েছে সমহারে। গোলপাতায়-কাঁকড়ার রাজস্ব বেড়েছে প্রায় আড়াই গুণ। ভ্রমণ মৌসুমের শেষ সময়ে এসে বনবিভাগের এই সিদ্ধান্তে ক্ষতির সম্মূখীন পর্যটন ব্যবসায়ীরা। তবে রাজস্ব বাড়ানোকে স্বাভাবিক হিসেবে দেখে পর্যটন আগমণে কোনো প্রভাব পড়বে না বলে মনে করছে সুন্দরবন পশ্চিম বনবিভাগের কর্মকর্তারা।
পর্যটন ব্যবসায়ীদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, সরকার পর্যটনে বিকাশের কথা বললেও হঠাৎ করে এই রাজস্ব বাড়ানোয় নতুন করে ক্ষতির মুখে পড়বে সুন্দরবনের পর্যটন শিল্প। এর ফলে সুন্দরবনের প্যাকেজ ভ্রমণের খরচ অনেক বেড়ে যাবে। এছাড়া পূর্বের খরচ অনুযায়ী অগ্রিম বুকিং নেয়া পর্যটন ব্যবসায়ীদের পড়তে হবে চরম বিপাকে।
এদিকে,একই সাথে সুন্দরবনে পর্যটনের পাশাপাশি দুবলার চরে রাস মেলায় পুণ্যার্থী ও সুন্দরবনে সব ধরনের বনজীবীদের জন্যও নতুন রাজস্ব হার নির্ধারণ করে দিয়েছে বন বিভাগ।
আরও পড়ুন: বিশ্বকাপ ফুটবল: ৬ লাখ পিস টি-শার্ট তৈরি করেছে সনেট টেক্সটাইল
নতুন প্রজ্ঞাপনে ধার্য করা রাজস্বের তালিকা থেকে জানা যায়, গোলপাতা প্রতি কুইন্টাল ২৫ টাকা থেকে ৬০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। সুন্দরবনের ভেটকি মাছের রাজস্ব প্রতি কুইন্টালে ১২০০ টাকা থেকে ২৪০০ টাকা ও কাঁকড়া কুইন্টাল প্রতি ২৭৫ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৭৫০ টাকা করা হয়েছে।
সুন্দরবনের সাধারণ জায়গাগুলোতে মাথাপিছু দেশি পর্যটকের ভ্রমণ ফি ছিল প্রতিদিনের জন্য ৭০ টাকা, সেটা বেড়ে হয়েছে ১৫০ টাকা। বিদেশি পর্যটকের আগে খরচ হত প্রতিদিন ১০০০ টাকা, এখন তা বাড়িয়ে করা হয়েছে ২০০০ টাকা।
বিশ্বকাপ ফুটবল: ৬ লাখ পিস টি-শার্ট তৈরি করেছে সনেট টেক্সটাইল
আগামী নভেম্বরে কাতারে শুরু হচ্ছে বিশ্বকাপ ফুটবলের আসর। প্রায় মাসজুড়ে উৎসবে ভাসবে দেশটির মানুষ। সেই উৎসবের ঢেউ স্পর্শ করবে দুনিয়ার তাবৎ ফুটবল প্রেমীদের। এই বিশ্বকাপে বাংলাদেশ অংশগ্রহণ করতে না পারলেও বাংলাদেশের তৈরি টি-শার্ট পড়বে ফুটবল ভক্তরা।
চট্টগ্রামের সনেট টেক্সটাইল লিমিটেড নামে একটি কারখানায় ফিফার লাইসেন্সপ্রাপ্ত একটি প্রতিষ্ঠানের জন্য তৈরি হয়েছে টি-শার্টগুলো। প্রায় ছয় লাখ টি-শার্ট বানিয়ে রপ্তানি করেছে চট্টগ্রামের এ পোষাক কারখানা। যার রপ্তানি মূল্য প্রায় ১৫ লাখ মার্কিন ডলার বা ১৩ কোটি টাকা। প্রতিষ্ঠানটি এর আগে ২০১৮ সালের রাশিয়া বিশ্বকাপ ও ২০২০ সালের ইউরো কাপের টি-শার্ট, জ্যাকেট তৈরি করেছিল।
ইতোমধ্যে অর্ধেক শার্ট রপ্তানি করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রতিষ্ঠানটির কর্মকর্তারা।
আরও পড়ুন: তৃতীয় ম্যাচেও আধিপত্য ধরে রাখতে চায় টাইগাররা
জানা গেছে, বিশ্বকাপ ফুটবলে পোশাকপণ্য ও সরঞ্জাম সরবরাহের জন্য আয়োজক সংস্থা ফিফা বিশ্বখ্যাত প্রতিষ্ঠানগুলোকে লাইসেন্স দেয়। লাইসেন্সপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠানগুলো বিভিন্ন দেশের প্রতিষ্ঠানকে জার্সি, টি-শার্ট, জ্যাকেটসহ নানা সরঞ্জাম তৈরির কার্যাদেশ দেয়। কাতার বিশ্বকাপের পোশাকপণ্য সরবরাহে অনেকের মতো ফিফার লাইসেন্স পেয়েছে রাশিয়ার একটি বিখ্যাত ক্রীড়াসামগ্রী সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান। প্রতিষ্ঠানটি চট্টগ্রামের আগ্রাবাদে গোসাইলডাঙ্গার সনেট টেক্সটাইল লিমিটেডকে ছয় লাখ টি-শার্ট বানানোর কার্যাদেশ দিয়েছিল।
ফিফার অফিশিয়াল টিশার্ট তৈরিতে কঠোর সব শর্ত মানতে হয়। সেইসব শর্ত পূরণ করে দিনরাত কাজ করছেন বাংলাদেশি পোষাক শ্রমিকরা। এটি তাদের পেশাগত কাজ হলেও বর্তমান উৎপাদনে বাড়তি আনন্দ আছে বলে জানান শ্রমিকরা।
সনেট টেক্সটাইলের পরিচালক গাজী মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ বলেন, ফিফার লাইসেন্সে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান পণ্য তৈরি করে নিয়ে যায়। আমাদের রাশিয়ান ক্রেতাও ফিফা থেকে লাইসেন্স নিয়ে প্রায় ছয় লাখ টি-শার্ট তৈরির অর্ডার দিয়েছিল। তারা যে ডিজাইন দিয়েছিল সেই অনুযায়ী আমরা টি-শার্টগুলো তৈরি করে দিয়েছি। এগুলো রাশিয়া নিয়ে যাবে। সেখানে তারা তাদের স্টলে সেগুলো বিক্রি করবে।
আরও পড়ুন: নিষিদ্ধ ‘শাপলা পাতা’ মাছ প্রকাশ্যে বিক্রি, বিলুপ্তির আশঙ্কা
নিট পোশাক প্রস্তুতকারকদের সংগঠন বিকেএমইএ নির্বাহী সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম বলেন, এর আগেও আমাদের প্রতিষ্ঠান থেকে ২০১৮ সালের রাশিয়া বিশ্বকাপ ও ২০২০ সালের ইউরো কাপের টি-শার্টও রপ্তানি করেছিলাম।
তিনি বলেন, আমারা নিয়মিতই পোশাক রপ্তানি করি। তবে বিশ্বব্যাপী অনুষ্ঠিত হওয়া বড় একটি ইভেন্টের টি-শার্ট তৈরি করতে পেরে ভালো লেগেছে। কেননা এর সঙ্গে দেশের ইমেজ জড়িত।
নিষিদ্ধ ‘শাপলা পাতা’ মাছ প্রকাশ্যে বিক্রি, বিলুপ্তির আশঙ্কা
সমুদ্রের জীববৈচিত্র্য রক্ষায় শাপলা পাতা মাছ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। দেশে শাপলা পাতা মাছ ধরা এবং বিক্রয় আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ হলেও কেউ তা মানছে না। প্রকাশ্যে বিক্রি করা হচ্ছে এই মাছ। এভাবে নিধন চলতে থাকলে এক সময় এই মাছ বিলুপ্ত হওয়ার আশঙ্কা করছে সংশ্লিষ্টরা। এছাড়া শাপলা পাতার বিচরণ ক্ষেত্রগুলোতে সব ধরনের মাছ ধরা নিষিদ্ধ করার কথা বলছে মৎস্য বিভাগ।
শাপলা পাতার বৈজ্ঞানিক নাম স্টিংরে ফিস। ইন্টারন্যাশনাল ইউনিয়ন ফর কনজারভেশন অব নেচার (আই ইউ সিএন) কর্তৃক শাপলা পাতা মাছকে বিপন্ন প্রায় প্রজাতি হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
বাগেরহাট, বরগুনাসহ উপকূলের মাছের আড়তে প্রায়াই ছোট-বড় বিভিন্ন মাপের শাপলা পাতা মাছ বিক্রি হতে দেখা গেছে। সম্প্রতি ৪০০ কেজি ওজনের একটি শাপলা পাতা মাছ বাগেরহাট কেবি বাজার মাছের পাইকারি আড়তে বিক্রির জন্য তোলা হয়। প্রকাশ্যে ডাকের মাধ্যমে প্রায় সাড়ে ৫২ হাজার টাকায় মাছটি বিক্রি হয়। পরে মাছ ব্যবসায়ীরা ক্রয় করে মাছটি খুচরা বাজারে সাড়ে ৩০০ টাকা কেজি দরে মোট এক লাখ ৪০ হাজার টাকায় বিক্রি করে।
আরও পড়ুন: চুয়াডাঙ্গায় গাছে গাছে আমের মুকুল, ছড়াচ্ছে সৌরভ
পিরোজপুরে সদরের কদমতলা ইউনিয়নের পোরগোলা গ্রামের জেলে মো. রুস্তম আলী হাওলাদার জানান, তিনি ৩০ বছর ধরে সাগরে আসা যাওয়া করছেন। জেলেরা হরহামেশা শাপলা পাতা মাছ ধরছে। বড় সাইজের শাপলা পাতা ধরতে জেলেরা সমুদ্রের তীরের কাছাকাছি হাজারও বর্শি পেতে রাখে। তীর দিয়ে শাপলা পাতা বিচরণ করার সময় বর্শিতে আটকে যায়। আর ছোট সাইজের শাপলা পাতা জালে ধরা পড়ে। জেলেরা না জেনেই এই মাছ ধরছে।
চুয়াডাঙ্গায় গাছে গাছে আমের মুকুল, ছড়াচ্ছে সৌরভ
চুয়াডাঙ্গায় ঋতুরাজ বসন্তে ফুটা নানা ফুলের সঙ্গে আমের মুকুলও সৌরভ ছড়াচ্ছে। এবার সময়ের আগেই সোনালি মুকুলে ভরে গেছে জেলার আম বাগানগুলো। মাঘের আমন্ত্রণে আসা আগাম মুকুল ফাল্গুনকে স্বাগত জানিয়ে বাগান মালিক ও ব্যবসায়ীদের মনে আশার আলো জ্বালিয়েছে।
জেলার সরেজমিনে কয়েকটি বাগান ঘুরে দেখা গেছে, গাছে গাছে নানা ফুলের সঙ্গে থোকায় থোকায় হলুদ রঙের আমের মুকুল আসতে শুরু করেছে। গাছে মুকুল ও গুটি আম দেখে ইতোমধ্যে ব্যবসায়ীরা বাগানের দরদাম হাঁকছেন। আর বাগানের মালিকেরা আমের ভালো ফলন পেতে ছত্রাকনাশক প্রয়োগসহ বাগান পরিচর্যায় ব্যস্ততার সময় পার করছেন।
আরও পড়ুন: মিলছে না ন্যায্যমূল্য, লোকসানে চুয়াডাঙ্গার পান চাষিরা
চুয়াডাঙ্গা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্র জানায়, গত বছর চুয়াডাঙ্গা সদরে ৮২৫ হেক্টর জমিতে ১০ হাজার ৭৬০ মেট্রিক টন, আলমডাঙ্গায় ২৮০ হেক্টর জমিতে ৫ হাজার ৩৪০ মেট্রিক টন, জীবননগরে ৪০০ হেক্টর জমিতে ৭ হাজার মেট্রিক টন ও দামুড়হুদায় ৩১০ হেক্টর জমিতে ৭ হাজার ৮৭৫ মেট্রিক টনসহ জেলায় মোট এক হাজার ৮৯২ হেক্টর জমিতে ৩২ হাজার ৯৫৫ মেট্রিক টন আম উৎপাদন হয়েছিল।