পডকাস্ট
শ্রেষ্ঠ সন্তানদের পরিবারের জন্য দিঘলিয়ায় তৈরি হচ্ছে ‘বীর নিবাস’
খুলনার দিঘলিয়া উপজেলায় ১২ জন মৃত বীর মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের জন্য এক কোটি ৬১ লাখ ২৩ হাজার ৪১৬ টাকা ব্যয়ে নির্মাণ করা হচ্ছে ‘বীর নিবাস’। এর মধ্যে কাজের টেন্ডার সম্পন্ন হয়েছে।
এদিকে, পর্যায়ক্রমে সরকার সকল মুক্তিযোদ্ধাদের আবাসন সমস্যা দূরীকরণের জন্য বীর নিবাস তৈরি করে দিবে। এমন সংবাদে দিঘলিয়া উপজেলায় মুক্তিযোদ্ধাদের মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনার সৃষ্টি হয়েছে।
দিঘলিয়ায় ‘বীর নিবাস’ নির্মাণে মেসার্স জামাল ট্রেডার্স নামে একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান লটারির মাধ্যমে কাজটি পেয়েছেন। এর মধ্যে প্রতিষ্ঠানটি কার্যাদেশ হাতেও পেয়েছে।
আরও পড়ুন: বীর মুক্তিযোদ্ধারা ‘ডিজিটাল সনদ’ পাবেন: মন্ত্রী
এব্যাপারে সংশ্লিষ্টরা জানান, সরকার সারাদেশে অসচ্ছল মুক্তিযোদ্ধাদের আবাসন সমস্যা সমাধানের লক্ষ্যে অস্বচ্ছল বীর মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য আবাসন নির্মাণ প্রকল্প হাতে নেয়। এরই ধারাবাহিকতায় মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে সরকার সারাদেশে প্রতিটি উপজেলায় অস্বচ্ছল মুক্তিযোদ্ধাদের নামের তালিকা পাঠানোর জন্য উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের কাছে চিঠি দেন।
দিঘলিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও অসচ্ছল মুক্তিযোদ্ধাদের আবাসন প্রকল্প নির্মাণের সিলেকশন কমিটির সভাপতি মো. মাহবুবুল আলম গত অক্টোবর মাসে ১৮ জনের নামের প্রস্তাবনা মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রণালয়ে পাঠান। ১৮ জনের মধ্যে মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রণালয় ১২ জনের নামে অনুমোদন দেয়।
তারা হলেন, মৃত বীর মুক্তিযোদ্ধা গাজী আব্দুল লতিফ, মো. মন্টু বিশ্বাস, মো. হায়দার আলী, শেখ নজির আহমেদ, মো. নুর ইসলাম সরদার, মো. মঞ্জুরুল আলম, মো. আজাহার আলী, মো. কায়সেদ শেখ, মো. আব্দুল জব্বার, শেখ জালাল উদ্দিন, শেখ সাহেব আলী।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিস সূত্র জানায়, অস্বচ্ছল মুক্তিযোদ্ধাদের আবাসন নির্মাণ প্রকল্পের আওতায় অত্র উপজেলায় মৃত ১২ জন বীর মুক্তিযোদ্ধার পরিবারের জন্য আবাসনের জন্য বরাদ্দ দেয়া হয়েছে এক কোটি ৬১ লাখ ২৩ হাজার ৪১৬ টাকা। প্রতিটি আবাসন নির্মাণের জন্য ব্যয় ধরা হয়েছে ১৩ লাখ ৪৩ টাকা। আবাসন নির্মাণের পর এসব ঘরের নাম দেয়া হবে ‘বীর নিবাস’।
আরও পড়ুন: মুক্তিযোদ্ধা ভাতা প্রক্রিয়ায় যুক্ত হলো সোনালী ব্যাংক
সূত্র জানায়, ঘরগুলো নির্মাণের জন্য গত ৩০ সেপ্টেম্বর উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিস হয়। গত ১১ অক্টোবর দরপত্র গ্রহণের শেষ দিনে মোট ৭৭ জন ড্রপিং করে। পরবর্তীতে লটারির মাধ্যমে মেসার্স জামাল ট্রেডার্স নামে একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান কাজটি পায়। বৃহস্পতিবার (৪ নভেম্বর) উপজেলা পিআইও অফিস থেকে ঐ ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে কার্যাদেশ দেয়া হয়েছে।
২ বছর আগে
কুমিল্লা শহরে গ্রেনেড হামলা-১৯৭১
বুম বুম বুম। ঠিক দুপুরবেলা ১৫/২০ মিনিটের মধ্যে তিনটি ভিন্ন ভিন্ন স্থান থেকে বোমা ফাটার শব্দ শোনা গেলো। ঠিক শহরের মাঝেই হয়েছে বোঝা গেলো। মাঝে মাঝে ক্যান্টনমেন্টের দিক থেকে কামান দাগানোর শব্দ আসে। এগুলো নিছক ভয় দেখানোর জন্যই। আজ সত্যিকার বোমা ফেটেছে। বোমা ফাটানোর সাথে সাথে নিমেষে কান্দিরপাড়-রাজগঞ্জ- চকবাজার প্রধান সড়ক জনশূন্য হয়ে গেলো।
মুক্তিবাহিনী এ ঘটনা ঘটিয়েছে এটা নিশ্চিত। কিছুক্ষণের মধ্যেই পাকিস্তানি আর্মি এসে যাবে। যাকে পাবে তাকেই ধরে নিয়ে যাবে। কাউকে গুলি করে মেরেও ফেলতে পারে। হায়েনাদের বিশ্বাস নেই। ভয়ের মাঝেও জনগণ খুশি। আজ নিশ্চয় কোন বড় অপারেশন হয়েছে। এখন না জানা গেলেও সন্ধ্যায় স্বাধীন বাংলা বেতারে খবর পাওয়া যাবে। আজ চরমপত্রে এম আর আখতার মুকুল রসিয়ে রসিয়ে মুক্তি বাহিনী কিভাবে হানাদার বাহিনীর অবস্থা ছেরা বেরা করে দিয়েছে তা বর্ণনা দেবেন।
চকবাজার এর পাশ দিয়ে গোমতী নদীতে যাওয়ার পথে এক রাজাকারের হই চৈ শুনে লোকজন জমে গেলো। এক রাজাকার বাহাদুরি দেখিয়ে চিৎকার করছে মুক্তি ধরে ফেলেছি। একটা যুবক মাটিতে বসে আছে মাথা নিচু করে। শরীরের বাম অংশ দিয়ে রক্তক্ষরণ হচ্ছে। যুবক কি জ্ঞান হারিয়ে ফেলেছে? কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে যুবক সম্বিত ফিরে পেলো। মনে হল সে এখানে কেন? আঁচ করলো সে লোকজন বেষ্টিত। মনে পড়লো কিছুক্ষণ আগে এক রাজাকার তাকে ধরে ফেলেছে। মুহূর্তের মধ্যে তার পূর্ণ স্মৃতি শক্তি ফিরে এলো।
মেলাঘর ক্যাম্পের কুমিল্লার বিশেষ দলটির ডাক পড়লো হায়দার ভাইয়ের (ক্যাপ্টেন হায়দার) অফিসের সামনে। তিনি জানালেন কর্নেল ওসমানী ও নীতি নির্ধারকদের সাথে বৈঠক শেষে আগরতলা থেকে মেজর খালেদ মোশাররফ গতকাল ফেরত এসেছেন। সেখানে আলোচনা হয়েছে যে কুমিল্লা ক্যান্টনমেন্ট, কুমিল্লা শহর ও সীমান্তের বিবির বাজার লাইনটি শান্ত রয়েছে যা মোটেই কাম্য নয়। এখানে কিছু একটা করা দরকার। আন্তর্জাতিক মিডিয়া পাকিদের পক্ষে স্থিতিশীলতার সুর ভাজছে। খালেদ মোশাররফের নির্দেশে হায়দার ভাই এই গেরিলা গ্রুপকে নিয়ে বসেছেন কি করা যায়।
বিশেষ গ্রুপের কার্যক্রম বাড়াতে হবে। তিনি গ্রুপ সদস্যদের থেকে মতামত নিলেন। কুমিল্লা শহর এখন শান্ত। কারফিউ নেই। শহরে ঢোকা সহজ। রেকি করে ঠিক করতে হবে কোন কোন টার্গেট হাতে নিতে হবে। তারপর অপারেশন। এ প্রস্তাবে হায়দার ভাই সায় দিয়ে গাইডলাইন দিলেন। বার বার মনে করিয়ে দিলেন ‘সেফটি ফার্স্ট’। নিরাপত্তা সবার আগে। তারপর কঠিন টার্গেট নেয়ার কোন প্রয়োজন নেই। পলায়নের রাস্তাটা হবে নিরাপদ ও সহজ। প্রতিটা গেরিলাকে বেঁচে থাকতে হবে শত্রুর উপর বার বার আঘাত হানার জন্য ও তাদের মনোবল ভেঙ্গে দেয়ার জন্য।
বিশেষ গ্রুপ এর সদস্যরা রেকি শেষ করে টার্গেট বাছাই করে মেলাঘর ফেরত এলো। ঠিক হলো একই সময়ে আটটি স্থানে গ্রেনেড হামলা করা হবে যাতে বড় ইমপ্যাক্ট হয়।
কুমিল্লা শহরে প্রবেশের সহজ পথ হল নৌকায় গোমতী পার হয়ে অলিগলি দিয়ে চলা। অন্য পথে গেলে বার বার রাস্তা বদল করতে হয়। সেনাবাহিনীর চেকপোস্ট বাইপাস করতে হয়। মোটামুটি ঠিক হল গোমতী পার হয়েই অপারেশন করতে হবে।
পারাপারের কাজ করবে সংরাইশের আবুল। অপারেশন শেষে ফেরতও একই ভাবে। সম্পূর্ণ প্ল্যান হায়দার ভাইয়ের অনুমোদন পেলো। বাহার, জামাল খোকনসহ মোট ছয় জনকে গ্রেনেড দেয়া হল। বাহার একটা চাইনিজ পিস্তল পেল। সে একাই তিনটি টার্গেটে গ্রেনেড হামলা চালাবে। মনোহরপুর ন্যাশনাল ব্যাংক অফ পাকিস্তান, রাজগঞ্জের ব্যাংক (বর্তমান জনতা ব্যাংক) ও ছাতিপট্টি কমার্স ব্যাঙ্কে মূল সড়কে হামলা চালাবে তাই বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে পিস্তল দেয়া হয়েছে। অন্যান্য টার্গেট গুলো ছিল জজ কোর্ট, ডিসি অফিস ও অন্যান্য সরকারি অফিস। ব্রিফিং শেষে হায়দার ভাই মনে করিয়ে দিলেন ঝুঁকি থাকলে অপারেশন করা যাবে না। পিস্তল হারানো যাবে না। পিস্তল হচ্ছে তোমার আত্মরক্ষার শেষ সম্বল। ছয়জন গেরিলাকে মেলাঘর থেকে গাড়িতে করে সোনামুড়ায় নামিয়ে দেয়া হল। সোনামুড়া থেকে প্রথম গন্তব্য পেয়ারা বাগান।
সময় ঠিক করা ছিল দুপুর বারোটা বাজলে যে যার কাজ শুরু করবে। বাহার উজির দিঘির পাড় দিয়ে মনোহরপুরের গলিতে ঢুকে প্রথম গ্রেনেড ছুঁড়ল ন্যাশনাল ব্যাংক অফ পাকিস্তানে ( বর্তমান সোনালি ব্যাংক)। তারপর দৌড়াতে দৌড়াতে রাজগঞ্জের ব্যাংকে গ্রেনেড চার্জ করলো। না থেমেই আরও সামনে দৌড়ে গিয়ে ছাতিপট্টি কমার্স ব্যাংক এ শেষ গ্রেনেডটি ছোড়া হল। কিন্তু তৃতীয় গ্রেনেড ৬ সেকেন্ডের আগেই ফেটে গেলো। স্প্লিন্টারের আঘাতে গ্রেনেড হামলাকারী যুবকের বাম হাত ও শরীরের বিভিন্ন অংশ রক্তাক্ত হয়ে গেলো। দ্রুত পালাতে হবে। শত্রুর এলাকা থেকে পালানোর চিন্তা মাথায় ছিল বলে রক্তক্ষরণ ও ব্যথার কথা মনেই এলো না। বাহার প্রানপণে দৌড়াচ্ছে। শরীরের শক্তি শেষ হয়ে আসছে। আর পা চলতে চাচ্ছে না। এই দুর্বল মুহূর্তেই রাজাকার এসে তাকে ধরে ফেলল। মুক্তি ধরে রাজাকারের উল্লাস।
মুক্তির মাথা এখন পরিস্কার। কি হয়েছে তা পুরাপুরি মনে এলো। এখান থেকে পালাবে কি করে এটাই একমাত্র চিন্তা। চারিদিকে লোকজন। পাকিস্তানি হায়েনারা দ্রুত চলে আসতে পারে। গায়ে তো শক্তি নেই। শরীরের বিভিন্ন স্থানে হাত বুলিয়ে দেখল। ঠাণ্ডা ঠাণ্ডা লাগছে। রক্তে ভেজা শরীর। হাত বুলাতে বুলাতে পেটের কাছে শক্ত কি যেন একটা ঠেকল। কি হতে পারে। শক্ত জিনিসটার উপরে আবারও হাত বুলালো। মনে পড়ে গেলো এটাতো ৭.৬২ মি মি চাইনিজ পিস্তল।
আত্মরক্ষার শেষ সম্বল। পেট এবং নাভি বরাবর বাঁধা ছিল। মাথায় বিদ্যুৎ খেলে গেলো। শরীরে অসুরের শক্তি ভর করলো। মুক্তি এক লাফে দাড়িয়ে গেলো। পিস্তল বের করে রাজাকারকে লক্ষ্য করে গুলি ছুড়তেই পুরো এলাকা ফাঁকা হয়ে গেলো। রাজাকার ও জনতা উধাও। গোমতীর দিকে প্রাণপণে দৌড়। আবুল নৌকা নিয়ে দাড়িয়ে আছে। নদী পার হয়েই জ্ঞান হারাল যুবক। ওপারে ভিক্টোরিয়া কলেজের UOTC (বর্তমান BNCC) সার্জেন্ট কামাল ভাই আহত যোদ্ধাকে সোনামুড়া নিয়ে আসেন।
সূত্র: বাহার উদ্দিন রেজা বীর প্রতীক
লেখক: কলামিস্ট কর্নেল (অব.) মো. শাহ জাহান মোল্লা
(প্রকাশিত মতামতের দায় লেখকের, ইউএনবির নয়)
আরও পড়ুন: আফগানিস্তান দেখা হলো না
মুর্তজা বশীর ভাই, কেমন আছেন আজকাল?
নেশা করা মধ্যবিত্তের ইতিহাস কোন দিকে?
৩ বছর আগে
‘মুক্তিযুদ্ধ পদক' প্রবর্তন
মহান মুক্তিযুদ্ধ, মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি সংরক্ষণ এবং চেতনা বিকাশে ব্যক্তি ও সংগঠন/সংস্থার গুরুত্বপূর্ণ অবদান ও গৌরবোজ্জ্বল ভূমিকা রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে সম্মানিত ও উৎসাহিত করার জন্য ‘মুক্তিযুদ্ধ পদক’ প্রবর্তন করেছে সরকার। এজন্য মুক্তিযুদ্ধ পদক নীতিমালা-২০২১ এর প্রজ্ঞাপন জারি করেছে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়।
সোমবার মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
৭ ক্যাটাগরিতে মুক্তিযুদ্ধ পদক প্রদান করা হবে। সেগুলো হচ্ছে-
(ক) স্বাধীনতা সংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধ সংগঠনে ভূমিকা (খ) সরাসরি মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ ও বীরত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন (গ) স্বাধীনতা পরবর্তীকালে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়ন (ঘ) মুক্তিযুদ্ধ/ স্বাধীনতা বিষয়ক সাহিত্য রচনা (ঙ) মুক্তিযুদ্ধ ভিত্তিক চলচ্চিত্র/তথ্যচিত্র/নাটক নির্মাণ/সংস্কৃতিক কর্মকান্ড (চ) মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতা বিষয়ক গবেষণা (ছ) মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি সংরক্ষণ। এছাড়া সরকার কর্তৃক নির্ধারিত অন্য কোন ক্ষেত্রে এ পদক দেয়া হবে।
প্রতি বছরের ১৫ ডিসেম্বর ‘মুক্তিযুদ্ধ পদক’ আনুষ্ঠানিকভাবে প্রদান করা হবে।
পদকপ্রাপ্তদের ১৮ (আঠার) ক্যারেট মানের ২৫ গ্রাম স্বর্ণ দিয়ে নির্মিত একটি পদক, পদক এর একটি রেপ্লিকা এবং দুই লাখ টাকা দেয়া হবে।
পদক প্রাপ্তির যোগ্যতা :
ব্যক্তি পর্যায়ে এ পদকের জন্য মনোনীত ব্যক্তিকে অবশ্যই বাংলাদেশের নাগরিক হতে হবে। তবে, মহান মুক্তিযুদ্ধে উল্লেখযোগ্য অবদান রাখা বিদেশি নাগরিককেও এ পদক প্রদান করা যাবে।পদক প্রদানের জন্য ব্যক্তির সামগ্রিক জীবনের কৃতিত্ব ও অবদানকে গুরুত্ব প্রদান করা হবে।
বেসরকারি সংস্থা বা প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে- গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের স্বীকৃত কোন প্রতিষ্ঠান অথবা যুদ্ধকালীন বা যুদ্ধ পরবর্তী সর্বজনবিদিত সংগঠন হতে হবে।মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়নে অগ্রণী ভূমিকা পালনে অনন্য হতে হবে।
সরকারি দপ্তর, সংস্থা বা প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বিকাশে সরাসরি অবদান রাখা মন্ত্রণালয়/ বিভাগ, মন্ত্রণালয় বিভাগের অধীন দপ্তর, সংস্থা বা প্রতিষ্ঠান বিবেচিত হবে।
পদক প্রাপ্তির অযোগ্যতা:
ক) রাষ্ট্রবিরোধী কার্যকলাপে/ফৌজদারি আইনে শাস্তিপ্রাপ্ত বা ফৌজদারি অপরাধে দন্ডিত বা দেউলিয়া কোন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান এ পদক প্রাপ্তির জন্য বিবেচিত হবেন না।
খ) একবার পদকপ্রাপ্ত ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান পরবর্তী ১০ (দশ) বছরে একই বিষয়ে পুনরায় পদকের জন্য বিবেচিত হবেন না।
গ) মুক্তিযুদ্ধের চেতনাবিরোধী কোন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকে এ পদক প্রদান করা হবে না।
মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় বছরের নির্দিষ্ট সময়ে মুক্তিযুদ্ধ পদক প্রদানের লক্ষ্যে মনোনয়ন আহবান করবে। মনোনয়ন আহ্বান করা হলে প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার মাধ্যমে ব্যাপকভাবে জানানো হবে।
আরও পড়ুন: মুক্তিযোদ্ধা ভাতা: আগামী অর্থ বছরে প্রায় ৬৭ শতাংশ হারে বাড়ছে
যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য ফল-মিষ্টি পাঠালেন প্রধানমন্ত্রী
৩ বছর আগে