বাংলাদেশ
শেখ হাসিনাকে ফেরত চেয়ে দিল্লিকে ফের চিঠি দিয়েছে ঢাকা
মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে মৃত্যুদণ্ড পাওয়া সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ফেরত চেয়ে আবারও ভারত সরকারকে চিঠি পাঠিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার।
রবিবার (২৩ নভেম্বর) পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন নতুন এই কূটনৈতিক যোগাযোগের কথা জানালেও এ বিষয়ে বিস্তারিত কিছু বলেননি।
তবে, নয়াদিল্লির একটি কূটনৈতিক সূত্র ইউএনবিকে জানায়, জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা ও রোহিঙ্গাবিষয়ক উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধি ড. খলিলুর রহমানের দিল্লি সফর শেষের পরপরই ‘নোট ভারবাল’ পাঠানো হয়।
গত ২০ নভেম্বর ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভালের আমন্ত্রণে নয়াদিল্লিতে অনুষ্ঠিত কলম্বো সিকিউরিটি কনক্লেভের (সিএসসি) সপ্তম জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টাদের বৈঠকে যোগ দেন ড. খলিলুর রহমান।
এর আগে, জুলাই অভ্যুত্থানে মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে গত সোমবার (১৭ নভেম্বর) শেখ হাসিনাসহ তিন আসামির বিরুদ্ধে রায় দেয় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। রায়ে শেখ হাসিনা ও তার সময়কার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামন খান কামালের হয় মৃত্যুদণ্ড। আর রাজসাক্ষী হওয়া পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনের কারাদণ্ড হয় পাঁচ বছরের।
এদের মধ্যে শেখ হাসিনা ও কামাল ৫ অগাস্টের পর থেকে ভারতে অবস্থান করছেন।
রায়ের দিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আনুষ্ঠানিক বিবৃতি দিয়ে শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান খান কামালকে ফেরত দিতে ভারতের প্রতি আবারও আহ্বান জানায়।
৩৫ দিন আগে
জাবিতে ভর্তির অনলাইন রেজিস্ট্রেশন শুরু, চলবে ৭ ডিসেম্বর পর্যন্ত
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষের স্নাতক (সম্মান) প্রথমবর্ষে ভর্তির অনলাইন রেজিস্ট্রেশন কর্যক্রম শুরু হয়েছে। এ কার্যক্রম চলবে আগামী ৭ ডিসেম্বর রাত ১১টা ৫৯ মিনিট পর্যন্ত।
শনিবার (২২ নভেম্বর) বিকেল সাড়ে চারটায় প্রশাসনিক ভবনের কাউন্সিল কক্ষে উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ কামরুল আহসান এ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন।
উদ্বোধন অনুষ্ঠানে উপাচার্য বলেন, ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদের নির্বিঘ্নে রেজিস্ট্রেশন নিশ্চিত করতে সংশ্লিষ্ট সব বিভাগকে প্রয়োজনীয় সহযোগিতা দিতে হবে। আগামী ৭ ডিসেম্বর রাত ১১টা ৫৯ মিনিট পর্যন্ত অনলাইনে রেজিস্ট্রেশন করা যাবে।
বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ জানায়, ইনস্টিটিউট অব ইনফরমেশন টেকনোলজি (আইআইটি) এ বছরের অনলাইন রেজিস্ট্রেশন কার্যক্রম পরিচালনা করবে।
আইআইটির পরিচালক অধ্যাপক ড. রিসালা তাসিন খান জানান, ভর্তি পদ্ধতি সহজ, সুষ্ঠু ও প্রযুক্তিনির্ভর রাখতে প্রয়োজনীয় সব প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।
ভর্তি-সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে (ju-admission.org) পাওয়া যাবে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট দপ্তর।
অনুষ্ঠানে উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মাহফুজুর রহমান, উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. সোহেল আহমেদ, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. আবদুর রবসহ বিভিন্ন অনুষদের ডিন, ইনস্টিটিউটের পরিচালক ও কর্মকর্তা-কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, এ বছর জাবিতে প্রথমবর্ষের ভর্তি পরীক্ষা গ্রহণের সম্ভাব্য তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে আগামী ২১ ডিসেম্বর থেকে।
৩৬ দিন আগে
বাংলাদেশ-নেপাল সম্পর্কের বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা করলেন রাষ্ট্রদূত ঘনশ্যাম ভান্ডারি
বন্ধু ও ভালো প্রতিবেশী হওয়ার গুরুত্বসহ বাংলাদেশ-নেপাল সম্পর্কের বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোকপাত করেছেন ঢাকায় নিযুক্ত নেপালের রাষ্ট্রদূত ঘনশ্যাম ভান্ডারি।
তিনি দুদেশের মধ্যে ক্রমবর্ধমান অর্থনৈতিক অংশীদারত্ব, সামাজিক ও আন্তঃব্যক্তিক বন্ধন, আঞ্চলিক ও বহুপাক্ষিক ফোরামে সমপৃক্ততা নিয়েও আলোচনা করেছেন।
ঢাকাতে অনুষ্ঠিত ‘বে অব বেঙ্গল কনভারসেশন-২০২৫’-এর ‘অ্যামবাসেডরিয়াল রিফ্লেকশন’ সেগমেন্টে এসব কথা বলেন রাষ্ট্রদূত। এ সময় দুই দেশের বাণিজ্য, বিনিয়োগ, জ্বালানি, পর্যটন, যোগাযোগ ও নাগরিকদের মধ্যে যোগাযোগকে মাইলফলক অর্জন বলে উল্লেখ করেন তিনি।
২০২৬ সালে একসঙ্গে স্বল্পোন্নত দেশের তালিকা থেকে বেরিয়ে যাবে বাংলাদেশ ও নেপাল। এ জন্য দুই দেশের একসঙ্গে কাজ করার বিষয়ে গুরত্বারোপ করেন তিনি।
নভেম্বরের ২২ থেকে ২৪ তারিখ পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হওয়া ‘বে অব বেঙ্গল কনভারসেশন-২০২৫’-এর আয়োজন করেছে সেন্টার ফর গভার্ন্যান্স স্টাডিজ।
৩৬ দিন আগে
বাংলাদেশ-ভুটানের আলোচনা, দুই দেশের সম্পর্ক উন্নয়নে গুরুত্ব
বাংলাদেশ ও ভুটানের মধ্যে সব ধরনের সহযোগিতা বৃদ্ধির উপায় নিয়ে আলোচনা করেছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও ভুটানের প্রধানমন্ত্রী শেরিং তোবগে।
শনিবার (২২ নভেম্বর) রাজধানীর তেজগাঁয়ে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে এই আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়। প্রতিনিধি পর্যায়ে আলোচনার আগে দ্বিপক্ষীয় এই আলোচনায় বসেন দুই নেতা।
এর আগে, প্রধান উপদেষ্টা তার কার্যালয়ে শেরিং তোবগেকে স্বাগত জানান।
৩৬ দিন আগে
বাংলাদেশ ও ভুটানের মধ্যে ২ সমঝোতা স্মারক সই
স্বাস্থ্য সহযোগিতা এবং ইন্টারনেট সংযোগ বিষয়ে বাংলাদেশ ও ভুটানের দুটি সমঝোতা স্মারক সই হয়েছে।
শনিবার (২২ নভেম্বর) দুই দেশের শীর্ষ নেতাদের দ্বিপক্ষীয় বৈঠক শেষে সমঝোতা স্মারকদুটি সই হয়।
স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস এবং ভুটানের প্রধানমন্ত্রী শেরিং তোবগে।
প্রধান উপদেষ্টার দপ্তর জানিয়েছে, স্বাস্থ্যকর্মী নিয়োগ বিষয়ে বাংলাদেশের স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সঙ্গে সই করে ভুটানের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। বাংলাদেশের তরফে স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিব মো. সাইদুর রহমান সমঝোতায় সই করেন।
আন্তর্জাতিক ইন্টারনেট ব্যান্ডউইথ এবং টেলিযোগাযোগ সেবা বাণিজ্য বিষয়ে দ্বিতীয় সমঝোতা স্মারকে বাংলাদেশের তরফে সই করেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সচিব আব্দুন নাসের খান।
প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস এবং ভুটানের প্রধানমন্ত্রী শেরিং টোবগে সই ও নথি বিনিময় প্রত্যক্ষ করেন বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার উপ-প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার।
সমঝোতা স্মারক সইয়ের আগে প্রধান উপদেষ্টা এবং ভুটানের প্রধানমন্ত্রী টোবগে একান্ত বৈঠক করেন। এরপর তাদের নেতৃত্বে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
তিন দিনের সফরে শনিবার সকাল সোয়া ৮টায় ঢাকার শাহজালাল বিমানবন্দরে পৌঁছান ভুটানের প্রধানমন্ত্রী শেরিং তোবগে। তাকে বিমানবন্দরে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানান প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস। সেখানে দুই নেতার মধ্যে সংক্ষিপ্ত বৈঠক হওয়ার পর শেরিং তোবগেকে গার্ড অব অনার দেয় সশস্ত্র বাহিনীর একটি চৌকস দল।
বিমানবন্দরের আনুষ্ঠানিকতা শেষে ভুটানের প্রধানমন্ত্রী সাভারের জাতীয় স্মৃতিসৌধে গিয়ে মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান। এ সময় শেরিং তোবগে স্মৃতিসৌধ প্রাঙ্গণে একটি গাছ রোপণ করেন এবং দর্শনার্থী বইয়ে সই করেন।
শেরিং তোবগে দুপুরে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন এবং বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীনের সঙ্গে বৈঠক করেন। সন্ধ্যায় ভুটানের প্রধানমন্ত্রী এবং তার প্রতিনিধিদলের সম্মানে রাষ্ট্রীয় ভোজের আয়োজন করা হবে বলে জানিয়েছে প্রধান উপদেষ্টার দপ্তর।
রবিবার বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন ভুটানের প্রধানমন্ত্রী। ওইদিন বাংলাদেশ সরকারের কয়েকজন উপদেষ্টা ভুটানের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করার সম্ভাবনা রয়েছে। বাংলাদেশের ব্যবসায়িক প্রতিনিধি দলও ভুটানের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে পারে।
সফর শেষে ২৪ নভেম্বর সকালে ভুটানের প্রধানমন্ত্রী থিম্পুর উদ্দেশে ঢাকা ত্যাগ করবেন। বিমানবন্দরে তাকে বিদায় জানাবেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা।
৩৭ দিন আগে
নির্বাচনি দায়িত্বে ‘সৎ ও নিরপেক্ষ’ কর্মকর্তা চায় পুলিশ সদরদপ্তর
আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দায়িত্ব পালনের জন্য থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হিসেবে নিয়োগ দিতে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) এবং ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কাছে সৎ, নিরপেক্ষ ও প্রশাসনিকভাবে দক্ষ পরিদর্শকদের তালিকা চেয়েছে পুলিশ সদরদপ্তর।
গত ১৬ নভেম্বর পুলিশ সদরদপ্তরের কর্মী ব্যবস্থাপনা শাখা-২ থেকে জারি করা এ সংক্রান্ত নির্দেশাবলিতে বলা হয়, আসন্ন ফেব্রুয়ারির নির্বাচনকে শান্তিপূর্ণ ও নিরপেক্ষভাবে পরিচালনার জন্য দক্ষ, নিরপেক্ষ ও নির্ভরযোগ্য ওসি অত্যন্ত জরুরি।
পুলিশ সদরদপ্তরের এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, নির্বাচনের সময়ে মাঠ পর্যায়ে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি রক্ষায় থানার ভারপ্রাপ্ত করমকর্তাদের কার্যকর ও নিরপেক্ষ ভূমিকার ওপর অনেকাংশে নির্ভর করে। নির্বাচনের সময় নির্বাচন কমিশনের নির্দেশনা বাস্তবায়নে, রাজনৈতিক উত্তেজনা এবং সহিংসতা নিরসনে থানাপ্রধানদের প্রাথমিক নির্দেশ পালনকারী হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
আগের নির্বাচনের অভিজ্ঞতার কথা বর্ণনা করে বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ওসির দক্ষতা ও নিরপেক্ষতা সার্বিক নিরাপত্তা ব্যবস্থাকে প্রভাবিত করে।
দেশব্যাপী রাজনৈতিক কর্মতৎপরতা বৃদ্ধি পাওয়ায় পুলিশ সদরদপ্তর ওসি নির্বাচনের এ প্রক্রিয়াকে গুরুত্ব দিয়েছে বলে জানায় সদরদপ্তর।
ডিএমপি, সিআইডি ও এসবি-প্রধানদের নিকট যোগ্য, পরিচ্ছন্ন রেকর্ডধারী, পরিক্ষীত প্রশাসনিক দক্ষতাসম্পন্ন এবং সততার জন্য পরিচিত পরিদর্শকদের তালিকা চেয়েছে সদরদপ্তর।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে পুলিশের এক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা বলেন, ওসি নিয়োগের আগে একটি কমিটি তাদের নিকট প্রেরিত তালিকা পর্যালোচনা করে এরপর কর্মকর্তাদের নিয়োগ দেবে।
পুলিশ সদরদপ্তরের কর্মী ব্যবস্থাপনা শাখা-২-এর পক্ষে অতিরিক্ত ডিআইজি আব্দুল্লাহ আল জহির স্বাক্ষরিত ওই বিবৃতিতে তিনি জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নিরাপত্তা কৌশলের অংশ হিসেবে দ্রুত এই প্রস্তুতি সম্পন্ন করতে গুরুত্বারুপ করেন।
সদরদপ্তরের আরেক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা ইউএনবিকে বলেন, এ উদ্যোগ মাঠপর্যায়ের বৃহৎ পুলিশিং কার্যক্রমের একটি অংশ। এতে বুদ্ধিভিত্তিক সমন্বয়ের অগ্রগতি, দুর্বল ভোটকেন্দ্রগুলোতে নজরদারি বাড়ানো, উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ নির্বাচনি এলাকাগুলোতে নিয়োজিত পুলিশ সদস্যদের বিশেষ প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করাও এই কার্যক্রমের অংশ।
৩৮ দিন আগে
বিচার বিভাগের পৃথক সচিবালয় প্রতিষ্ঠার পদক্ষেপ আরেক ধাপ এগোল
উচ্চ আদালতের জন্য পৃথক সচিবালয় স্থাপন করে বিচার বিভাগের পূর্ণ স্বাধীনতা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে ‘সুপ্রিম কোর্ট সচিবালয় অধ্যাদেশ ২০২৫’-এর খসড়া অনুমোদন করেছে অন্তর্বর্তী সরকার। এর ফলে বিচার বিভাগের জন্য আলাদা সচিবালয় প্রতিষ্ঠার দাবি অবশেষে সরকারের সবুজ সংকেত পেল।
বৃহস্পতিবার (২০ নভেম্বর) প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনুসের সভাপতিত্বে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে উপদেষ্টামণ্ডলীর বৈঠকে এই অনুমোদন দেওয়া হয়। এদিন বিকেলে ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে সাংবাদিকদের ব্রিফিংয়ে আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
আইন উপদেষ্টা বলেন, ‘সুপ্রিম কোর্ট সচিবালয় অধ্যাদেশের খসড়ার চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে উপদেষ্টা পরিষদ। এর মাধ্যমে বিচার বিভাগ স্বাধীন হবে। পূর্ণ স্বাধীনতা নিশ্চিত হবে।’
তিনি বলেন, ‘এখন থেকে নিম্ন আদালতের বিচারক নিয়োগ, বদলি, অন্যান্য বিষয় এবং আদালতের কন্ট্রোল ও শৃঙ্খলা সুপ্রিম কোর্ট সচিবালয়ের হাতে ন্যাস্ত থাকবে।’
আসিফ নজরুল বলেন, ‘এ নিয়ে গেজেট প্রকাশ করতে সাত দিনের মতো সময় লাগতে পারে। পৃথক সচিবালয় প্রতিষ্ঠা করতে দুই মাসের মতো সময় লাগতে পারে। পুরোটাই নির্ভর করছে প্রধান বিচারপতির ওপর।’
উল্লেখ্য, বর্তমানে নিম্ন আদালতের বিচারকদের বদলি, পদোন্নতি, পদায়ন ও শৃঙ্খলাবিষয়ক সব ক্ষমতা এখন আইন মন্ত্রণালয়ের। পৃথক সচিবালয় প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে তা সুপ্রিম কোর্টের কাছে ন্যস্ত হবে।
৩৮ দিন আগে
হাসিনা, কামালকে ফেরাতে আইসিসিতে যাওয়ার বিষয়টি বিবেচনাধীন: আইন উপদেষ্টা
সরকার ভারতকে প্রত্যার্পণের জন্য চিঠি দেওয়ার পাশাপাশি আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের (আইসিসি) দ্বারস্থ হয়ে দণ্ডপ্রাপ্ত শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান খান কামালকে দেশে ফেরানোর বিষয়টিও বিবেচনা করছে বলে জানিয়েছেন আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল।
বৃহস্পতিবার (২০ নভেম্বর) রাজধানীর ফরেন সার্ভিস অ্যাকাডেমিতে এক ব্রিফিংয়ে তিনি এ কথা জানান।
আইন উপদেষ্টা বলেন, ‘এই দণ্ডপ্রাপ্ত ব্যক্তিদের ফেরত আনার বিষয়ে আমরা আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে যেতে পারি কি না—তা নিয়ে শিগগিরই একটি বৈঠক করব।’
তিনি বলেন, ‘শেখ হাসিনা এবং আসাদুজ্জামান খান কামালকে প্রত্যর্পণের জন্য সরকার ভারতকেও একটি চিঠি পাঠাবে। তারা দুজনই আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ (আইসিটি-১) কর্তৃক মানবতা বিরোধী অপরাধ মামলায় দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন।’
‘মানবতাবিরোধী অপরাধে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আওয়ামী লীগ নেতা শেখ হাসিনা এবং সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের প্রত্যর্পণের জন্য আমরা একটি চিঠি পাঠাচ্ছি।
আসিফ নজরুল আরও বলেন, ‘তারা যেহেতু এখন দোষী সাব্যস্ত এবং মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত, তাই ন্যায়বিচারের স্বার্থে তাদের ফেরত পাঠাতে ভারতের অতিরিক্ত দায়িত্ব রয়েছে বলে আমরা মনে করি। আমরা ভারতকে তাদের প্রত্যর্পণ চুক্তির অধীনে দায়িত্বের কথা স্মরণ করিয়ে দিচ্ছি এবং সে কারণেই এই চিঠি পাঠানো হচ্ছে।’
সংবাদ সম্মেলনে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম উপস্থিত ছিলেন।
৩৮ দিন আগে
বহিরাগত বা অভ্যন্তরীণ শক্তিকে সুযোগ দেওয়ার সামর্থ্য আমাদের নেই: সিএসসিকে ঢাকা
ভারত মহাসাগর অঞ্চলে ‘স্থিতিশীল, নিরাপদ, শান্তিপূর্ণ ও সমৃদ্ধ’ পরিবেশ নিশ্চিত করতে এবং অভিন্ন চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় হাতে হাত মিলিয়ে কাজ করতে প্রস্তুত বাংলাদেশ। পাশাপাশি কোনো অবস্থাতেই কোনো বহিরাগত বা অভ্যন্তরীণ শক্তিকে সুযোগ দেওয়ার সামর্থ্য বাংলাদেশের নেই বলে জানিয়েছেন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা ড. খলিলুর রহমান।
বৃহস্পতিবার (২০ নভেম্বর) দিল্লিতে কলম্বো সিকিউরিটি কনক্লেভের (সিএসসি) জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টাদের সপ্তম সম্মেলনে বাংলাদেশের পক্ষে বক্তৃতার সময় এ কথা বলেন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা।
ড. খলিলুর রহমান বলেন, ‘আমাদের দেশের মানুষ কিংবা সমাজের কোনো অংশের নিরাপত্তা ও কল্যাণকে চ্যালেঞ্জ জানায়—এমন কোনো বহিরাগত বা অভ্যন্তরীণ শক্তিকে সুযোগ দেওয়ার সামর্থ্য আমরা রাখি না।
‘আঞ্চলিক নিরাপত্তার জটিলতা মোকাবিলায় আমরা পারস্পরিক বিশ্বাস ও সম্মান, অভিন্ন স্বার্থ এবং সুবিধা ভাগাভাগির নীতিতে আমাদের অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করি। একটি স্থিতিশীল, নিরাপদ ও সমৃদ্ধ অঞ্চল নিশ্চিত করতে বাংলাদেশ হাতে হাত মিলিয়ে একসঙ্গে পথ চলতে ও কাজ করতে প্রস্তুত।’
ভারত মহাসাগর অঞ্চলে নিরাপত্তা জোরদার এবং গুরুত্বপূর্ণ নিরাপত্তা বিষয়ে ঘনিষ্ঠ সহযোগিতা বাড়ানোর লক্ষ্যে বাংলাদেশ, ভারত ও অন্যান্য সদস্য রাষ্ট্র নিয়ে নয়াদিল্লিতে সম্মেলনটি অনুষ্ঠিত হয়।
স্বাগতিক দেশ ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভাল মালদ্বীপ, মরিশাস, শ্রীলঙ্কা ও বাংলাদেশের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টাদের স্বাগত জানান। এ ছাড়া পর্যবেক্ষক দেশ হিসেবে সম্মেলনে অংশ নেয় সেশেলস এবং আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিল মালয়েশিয়া।
সম্মেলনে বাংলাদেশের প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেওয়া ড. খলিলুর রহমান বলেন, কলম্বো সিকিউরিটি কনক্লেভকে ‘উন্মুক্ত আঞ্চলিকতাবাদের’ ভিত্তিতে একটি উন্মুক্ত ও অন্তর্ভুক্তিমূলক আঞ্চলিক বহুপক্ষীয় সংস্থা হিসেবে বিকশিত দেখতে চায় বাংলাদেশ।
কনক্লেভের পাঁচটি চিহ্নিত কর্মস্তম্ভকে বাংলাদেশ গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করে এবং সেগুলোর মাধ্যমে সমষ্টিগত নিরাপত্তা, আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা এবং সদস্য দেশগুলোর পারস্পরিক সমৃদ্ধি বৃদ্ধিতে সিএসসি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে জানিয়ে তিনি বলেন, বাংলাদেশ ধারাবাহিকভাবে এমন মূল্যবোধ ও নীতিমালা অনুসরণ করে, যা সবার যৌথ সমৃদ্ধির জন্য একটি স্বাধীন, উন্মুক্ত, শান্তিপূর্ণ, নিরাপদ ও অন্তর্ভুক্তিমূলক ভারত মহাসাগর নিশ্চিত করার দৃষ্টিভঙ্গিকে সমর্থন করে। যেখানে জাতীয় সার্বভৌমত্ব ও সমতা, রাজনৈতিক স্বাধীনতা, অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ না করা, আন্তর্জাতিক বিরোধের শান্তিপূর্ণ নিষ্পত্তি, আন্তর্জাতিক আইন এবং জাতিসংঘ সনদের নীতিমালা—এসবকে অবশ্যই প্রধান ভিত্তি হিসেবে থাকতে হবে। টেকসই উন্নয়ন, আন্তর্জাতিক শান্তি ও নিরাপত্তা, মানবিক সহায়তা এবং মৌলিক অধিকার ও স্বাধীনতা রক্ষায় আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক সহযোগিতা নিশ্চিত করতে হবে।
খলিলুর রহমান আরও বলেন, ‘আমাদের অঞ্চলের সামুদ্রিক ক্ষেত্র আন্তর্জাতিক বাণিজ্য ও আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বাংলাদেশ তার দায়িত্ব পালনে অটল। জলদস্যুতা, অবৈধ মাছ ধরা, সামুদ্রিক সন্ত্রাসবাদ ও অপরাধ মোকাবিলায় আমরা মিত্র দেশগুলোর সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করছি। অতীতে বিশ্বব্যাপী সন্ত্রাসবাদ ও উগ্রবাদের কিছু চ্যালেঞ্জ বাংলাদেশও মোকাবিলা করেছে। আমরা যেকোনো পরিস্থিতিতে সব প্রকার সন্ত্রাসবাদের প্রতি ‘জিরো টলারেন্স’ নীতি অনুসরণ করি।’
সম্প্রতি বাংলাদেশ ভুয়া তথ্য ও বিভ্রান্তিমূলক তথ্যের (মিসইনফরমেশন ও ডিসইনফরমেশন) হুমকির মুখোমুখি হয়েছে বলে মন্তব্য করেন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা খলিলুর রহমান। বাংলাদেশের অঙ্গীকার হলো নিজস্ব সাইবার স্পেস, গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামো ও প্রযুক্তিকে সুরক্ষিত রাখা; শুধু নাগরিকদের নিরাপত্তা, গোপনীয়তা ও কল্যাণ নিশ্চিত করার জন্যই নয়, বরং নিশ্চিত করার জন্য যে বাংলাদেশ থেকে কোনো কর্মকাণ্ড যেন আঞ্চলিক বা বৈশ্বিক সম্প্রদায়ের জন্য হুমকিস্বরূপ না হয়।
আঞ্চলিক নিরাপত্তার জটিলতা মোকাবিলায় পারস্পরিক বিশ্বাস ও সম্মান, অভিন্ন স্বার্থ এবং সুবিধা ভাগাভাগির নীতিতে অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করে তিনি বলেন, ‘একটি স্থিতিশীল, নিরাপদ ও সমৃদ্ধ অঞ্চল নিশ্চিত করতে বাংলাদেশ হাতে হাত মিলিয়ে একসঙ্গে পথ চলতে ও কাজ করতে প্রস্তুত।’
তিনি আরও বলেন, ‘পারস্পরিক বিশ্বাস ও স্বচ্ছতার ভিত্তিতে যেকোনো বিষয়ে অভিন্ন সমাধান খুঁজে পেতে আমরা প্রস্তুত। বাংলাদেশ এই কনক্লেভকে একটি উন্মুক্ত আঞ্চলিকতাবাদচালিত, উন্মুক্ত ও অন্তর্ভুক্তিমূলক আঞ্চলিক বহুপক্ষীয় সংস্থা হিসেবে গড়ে ওঠার প্রত্যাশা করে।’
এর আগে, বুধবার নয়াদিল্লিতে ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভালের সঙ্গে বৈঠক করেন ড. খলিলুর রহমান। বাংলাদেশ হাইকমিশনের এক কর্মকর্তা জানান, তারা সিএসসি-এর কাজ এবং গুরুত্বপূর্ণ দ্বিপাক্ষিক বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা করেন।
৩৮ দিন আগে
রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনে জরুরি আন্তর্জাতিক পদক্ষেপের দাবি বাংলাদেশের
১৩ লাখ রোহিঙ্গার ব্যয়ভার বহন করা সম্ভব নয় উল্লেখ করে তাদের নিজ দেশে ফেরানোর জন্য জরুরি ভিত্তিতে আন্তর্জাতিক পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য আহ্বান জানিয়েছে বাংলাদেশ।
জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের তৃতীয় কমিটি রোহিঙ্গা মুসলিমদের ওপর গৃহীত প্রস্তাব সর্বসম্মতিক্রমে গ্রহণ করেছে। পাশাপাশি এ সংকটের টেকসই সমাধান এবং রোহিঙ্গাদের নিরাপদে মিয়ানমারে ফেরার জন্য নতুন করে বৈশ্বিক প্রচেষ্টা নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে।
ওআইসি এবং ইউরোপীয় ইউনিয়ন যৌথভাবে প্রস্তাবটি উত্থাপন করে এবং ১০৫টি দেশ এতে সমর্থন জানায়।
২০১৭ সাল থেকে প্রতি বছর এ প্রস্তাব গৃহীত হয়ে আসছে। এ বছরের প্রস্তাবে রাখাইন রাজ্যে রোহিঙ্গা মুসলিমদের ওপর মানবাধিকার লঙ্ঘন ও মানবিক সহায়তা প্রদানে বাধাদান নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে। এ ছাড়া বাংলাদেশসহ অন্যান্য প্রতিবেশী রাষ্ট্রে জোর করে রোহিঙ্গাদের অনুপ্রবেশ নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করেছে জাতিসংঘের এই কমিটি।
বৃহস্পতিবার (২০ নভেম্বর) রোহিঙ্গাদের নিরাপদ ও টেকসই প্রত্যাবর্তনের জন্য এই কমিটি আন্তর্জাতিক সম্পৃক্ততার ওপর গুরুত্ব দেয় বলে জানিয়েছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
১৯ নভেম্বর প্রস্তাবটি গৃহীত হওয়ার পর সদস্য রাষ্ট্রগুলোকে তাদের সমর্থনের জন্য ধন্যবাদ জানায় বাংলাদেশের প্রতিনিধিদল। গত ৮ বছরে রোহিঙ্গাদের নিজ দেশে ফেরাতে দৃশ্যত কোনো অগ্রগতি দেখা যায়নি বলে হতাশাও ব্যক্ত করে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
৩৯ দিন আগে