বাংলাদেশ
বিমানের টিকিট বিক্রিতে প্রতারণা বন্ধে কঠোর হচ্ছে সরকার
টিকিট বিক্রিতে দুর্নীতি, প্রতারণা ও যাত্রী হয়রানি রোধে কঠোর ব্যবস্থা নিচ্ছে সরকার। এখন থেকে এসব অপরাধে সর্বোচ্চ ১০ লাখ টাকা জরিমানা ও এক বছরের কারাদণ্ডের বিধান রেখে সংশোধিত অধ্যাদেশের চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে সরকার।
নতুন আইনে অবৈধ টিকিট বিক্রি, অতিরিক্ত ভাড়া আদায় ও অননুমোদিত লেনদেনের মতো কর্মকাণ্ডে সংশ্লিষ্ট ট্রাভেল এজেন্সির নিবন্ধন স্থগিত বা বাতিলের ক্ষমতাও পাচ্ছে সরকার।
বেসামরিক বিমান চলাচল (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫’ এবং ‘বাংলাদেশ ট্রাভেল এজেন্সি (নিবন্ধন ও নিয়ন্ত্রণ) (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫’-এর খসড়া উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে চূড়ান্ত অনুমোদন পাওয়ার পরই এই কঠোর শাস্তির বিষয়টি নিশ্চিত করেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন উপদেষ্টা শেখ বশির উদ্দীন।
বৃহস্পতিবার (১৩ নভেম্বর) সচিবালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে উপদেষ্টা এসব তথ্য তুলে ধরেন। এ সময় বিমান মন্ত্রণালয়ের সচিব নাসরীন জাহান, অতিরিক্ত সচিব ফারহিম ভীমা ও মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
বিমান উপদেষ্টা বলেন, টিকিট বিক্রিতে যেকোনো প্রকার দুর্বৃত্তায়ন, প্রতারণা বা যাত্রী হয়রানির ক্ষেত্রে অপরাধের গুরুত্ব অনুযায়ী সর্বোচ্চ ১০ লাখ টাকা পর্যন্ত অর্থদণ্ড ও এক বছর পর্যন্ত কারাদণ্ডের বিধান রাখা হয়েছে।
তিনি জানান, বিদ্যমান আইনের দুর্বলতা দূর করে নতুন অধ্যাদেশে নিবন্ধন সনদ বাতিল বা স্থগিতের ১১টি নতুন কারণ যুক্ত করা হয়েছে। এর মধ্যে অবৈধ টিকিট বিক্রয়, অতিরিক্ত ভাড়া আদায়, কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি, তৃতীয় দেশের টিকিট বেচাকেনা এবং গ্রুপ বুকিংয়ের ক্ষেত্রে টিকিট কনফার্মের পর যাত্রীর তথ্য পরিবর্তনকে দণ্ডনীয় অপরাধ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।
শেখ বশির উদ্দীন বলেন, প্রতারণা বা আর্থিক আত্মসাতের প্রমাণ মিললে সরকার সংশ্লিষ্ট ট্রাভেল এজেন্সির নিবন্ধন সাময়িকভাবে স্থগিত করতে পারবে। এমনকি, প্রয়োজনে অভিযুক্ত ব্যক্তির ওপর সাময়িক ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞাও জারি করা হবে।
‘বাংলাদেশ ট্রাভেল এজেন্সি (নিবন্ধন ও নিয়ন্ত্রণ) (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫’-এর লক্ষ্য হলো ট্রাভেল ব্যবসায় অবৈধ অর্থ লেনদেন, মানি লন্ডারিং, টিকিট মজুতদারি ও রাজস্ব ফাঁকি রোধ করা এবং অভিবাসী কর্মীদের সুরক্ষা নিশ্চিত করা।
উপদেষ্টা জানান, বাংলাদেশের আকাশপথে যাত্রীদের ৮০ শতাংশের বেশি অভিবাসী কর্মী। নতুন আইন বাস্তবায়িত হলে অভিবাসী কর্মীদের ন্যায্য অধিকার সংরক্ষিত হবে, টিকিট বিক্রিতে স্বচ্ছতা আসবে এবং যাত্রীসেবা হবে আরও আধুনিক, নিরাপদ ও জনবান্ধব।
বেসামরিক বিমান চলাচল (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫-এ প্রথমবারের মতো ‘যাত্রীসেবা নিশ্চিতকরণ’ শব্দগুচ্ছ আইনের প্রস্তাবনায় যুক্ত করা হয়েছে। পাশাপাশি, টিকিট বিতরণে স্বচ্ছতা ও ন্যায্যতা আনতে গ্লোবাল ডিস্ট্রিবিউশন সিস্টেম (জিডিএস), নিউ ডিস্ট্রিবিউশন ক্যাপাবিলিটি (এনডিসি) ও এপিআই-ভিত্তিক ডিজিটাল সিস্টেমের নিবন্ধন বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।
এ ছাড়া, নতুন অধ্যাদেশে এয়ার অপারেটরের ট্যারিফ দাখিল ও মনিটরিংয়ের বিধান, কার্বন ফুটপ্রিন্ট হ্রাসে টেকসই জ্বালানি ব্যবহারের নির্দেশনা এবং একটি ‘বেসামরিক বিমান চলাচল অর্থনৈতিক কমিশন’ গঠনের ক্ষমতা অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
বিমান উপদেষ্টা বলেন, ‘এই দুটি অধ্যাদেশ বাস্তবায়িত হলে বিমান পরিবহন ও ট্রাভেল ব্যবসায় শৃঙ্খলা, আর্থিক স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা প্রতিষ্ঠিত হবে। একই সঙ্গে টিকিটের ন্যায্য মূল্য নিশ্চিত হবে এবং যাত্রী ও অভিবাসী কর্মীদের অধিকার সংরক্ষিত হবে।’
নতুন আইন বাস্তবায়নের মাধ্যমে বাংলাদেশের বিমান পরিবহন ব্যবস্থা আরও আধুনিক, স্বচ্ছ ও যাত্রীবান্ধব হবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।
৪৫ দিন আগে
জুলাই সনদ বাস্তবায়ন আদেশ জারি করলেন রাষ্ট্রপতি, গেজেট প্রকাশ
জুলাই জাতীয় সনদ (সংবিধান সংস্কার) বাস্তবায়নের আনুষ্ঠানিক আদেশ জারি করেছেন রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিন। এর মাধ্যমে ‘জুলাই জাতীয় সনদ ২০২৫’-এর প্রক্রিয়া সম্পন্ন হলো।
বৃহস্পতিবার (১৩ নভেম্বর) জুলাই জাতীয় সনদ (সংবিধান সংস্কার) বাস্তবায়ন আদেশ, ২০২৫ গেজেট আকারে প্রকাশ করা হয়।
গেজেট অনুযায়ী, সংবিধান সংস্কারের অংশ হিসেবে পরবর্তী জাতীয় নির্বাচনের দিনই গণভোট অনুষ্ঠিত হবে। এই গণভোটে ‘হ্যাঁ’ বা ‘না’—এই দুই বিকল্পে চারটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নে ভোটগ্রহণ হবে, যেগুলো ঐকমত্য কমিশনে আলোচিত হয়েছিল।
গণভোটে ‘হ্যাঁ’ ভোট প্রাধান্য পেলে নবনির্বাচিত সংসদ সদস্যদের নিয়ে ‘সংবিধান সংস্কার পরিষদ’ গঠন করা হবে। এ পরিষদ সংস্কার প্রক্রিয়ার পূর্ণ এখতিয়ারভুক্ত থাকবে। ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নির্বাচিত প্রতিনিধিরা একযোগে সংসদ সদস্য ও সংবিধান সংস্কার পরিষদের সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন।
সংস্কার পরিষদ তাদের প্রথম অধিবেশনের তারিখ থেকে সর্বোচ্চ ১৮০ দিনের (ছয় মাস) মধ্যে সংবিধান সংস্কার প্রক্রিয়া সম্পন্ন করবে। সংস্কার কার্য শেষ হলে পরিষদ স্বয়ংক্রিয়ভাবে বিলুপ্ত হবে।
পরিষদ নিজেই অধিবেশন আহ্বান ও মুলতবি করার, সংস্কার প্রস্তাব উত্থাপন ও গ্রহণ করার এবং প্রক্রিয়া নির্ধারণের ক্ষমতা রাখবে। সংসদ সচিবালয় পরিষদের প্রশাসনিক ও কারিগরি সহায়তা প্রদান করবে।
সংবিধান সংস্কার পরিষদের কাঠামো
নবনির্বাচিত সংসদ সদস্যরা যেদিন শপথ নেবেন, সেদিনই একই অনুষ্ঠানে তারা পরিষদ সদস্য হিসেবেও শপথ নেবেন। সংসদীয় শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানের যিনি পরিচালনা করবেন, তিনি পরিষদের শপথও পরিচালনা করবেন।
প্রথম অধিবেশনে সদস্যরা পরিষদের সভাপ্রধান ও উপ-সভাপ্রধান নির্বাচন করবেন। পদাধিকারী নির্বাচনের আগ পর্যন্ত সদস্যদের ঐকমত্যের ভিত্তিতে নির্ধারিত একজন প্রবীণ সদস্য অধিবেশন পরিচালনা করবেন। সভাপ্রধান ও উপ-সভাপ্রধানের অনুপস্থিতিতে বিধি অনুযায়ী যেকোনো সদস্য অধিবেশন পরিচালনা করতে পারবেন।
সংসদীয় নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণার ৩০ দিনের মধ্যে পরিষদের প্রথম অধিবেশন আহ্বান করতে হবে, যা সংসদের প্রথম অধিবেশনের সময়সীমার সঙ্গে সাদৃশ্যপূর্ণ। পরিষদের কার্যক্রম পরিচালনায় ন্যূনতম ৬০ সদস্যের উপস্থিতি আবশ্যক হবে।
পরিষদের যেকোনো সিদ্ধান্ত সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোটে নির্ধারিত হবে। ভোট সমান হলে সভাপ্রধানের ভোটই চূড়ান্ত বলে বিবেচিত হবে।
গেজেট অনুযায়ী, পরিষদের সদস্যরা সংসদ সদস্যদের মতোই আইনগত মর্যাদা, অধিকার ও দায়মুক্তি ভোগ করবেন। পরিষদ জুলাই জাতীয় সনদকে সংবিধানের অন্তর্ভুক্ত করার বিষয়টি বাস্তবায়নের অংশ হিসেবে নিশ্চিত করবে।
উচ্চকক্ষ গঠন
রাষ্ট্রপতির আদেশে বলা হয়েছে, সংবিধান সংস্কার সম্পন্ন হওয়ার এক মাসের মধ্যে একটি উচ্চকক্ষ গঠন করতে হবে।
নতুন এ কক্ষটি নিম্নকক্ষ নির্বাচনে প্রাপ্ত ভোটের আনুপাতিক প্রতিনিধিত্বের ভিত্তিতে গঠিত হবে।
উচ্চকক্ষের মেয়াদ তার শপথগ্রহণের দিন থেকে নিম্নকক্ষ ভেঙে দেওয়া পর্যন্ত বহাল থাকবে। জাতীয় নির্বাচনের সময় উচ্চকক্ষের জন্য আলাদা প্রার্থী তালিকা জমা দেওয়ার প্রয়োজন হবে না।
উচ্চকক্ষ গঠনে কোনো প্রক্রিয়াগত জটিলতা দেখা দিলে সরকার নির্দেশনা দিতে পারবে এবং পরিষদ প্রয়োজনীয় বিধান প্রণয়ন করতে পারবে।
গেজেটে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, পরিষদ কর্তৃক গৃহীত যেকোনো সংস্কার চূড়ান্ত হিসেবে গণ্য হবে। এর জন্য অতিরিক্ত কোনো অনুমোদন বা অনুমোদন প্রক্রিয়া প্রয়োজন হবে না।
রাষ্ট্রপতি সংশোধিত সংবিধানটি দ্রুত সরকারি গেজেটে প্রকাশের নির্দেশ দিয়েছেন।
৪৫ দিন আগে
চারটি বিষয়ের ওপর একটি প্রশ্নে হবে গণভোট: প্রধান উপদেষ্টা
জাতির উদ্দেশে ভাষণে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, জুলাই সনদের আলোকে গণভোটের ব্যালটে উপস্থাপনীয় প্রশ্ন নির্ধারণ করা হয়েছে। এতে চারটি বিষয়ের ওপর একটিমাত্র প্রশ্নে ‘হ্যাঁ’ বা ‘না’ ভোট দিয়ে মতামত জানাতে হবে।
বৃহস্পতিবার (১৩ নভেম্বর) দুপুর আড়াইটার দিকে এ ভাষণ শুরু হয়।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দিনই গণভোটের আয়োজন করা হবে। জুলাই সনদের আলোকে আমরা গণভোটের ব্যালটে উপস্থাপনীয় প্রশ্নও নির্ধারণ করেছি।’
প্রধান উপদেষ্টার ভাষ্য, প্রশ্নটি হবে এরকম— আপনি কি জুলাই জাতীয় সনদ (সংবিধান সংস্কার) বাস্তবায়ন আদেশ, ২০২৫ এবং জুলাই জাতীয় সনদে লিপিবদ্ধ সংবিধান সংস্কার সম্পর্কিত নিম্নলিখিত প্রস্তাবগুলোর প্রতি আপনার সম্মতি জ্ঞাপন করছেন—
ক) নির্বাচনকালীন সময়ে তত্ত্বাবধায়ক সরকার, নির্বাচন কমিশন এবং অন্যান্য সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান জুলাই সনদে বর্ণিত প্রক্রিয়ার আলোকে গঠন করা হবে।
খ) আগামী সংসদ হবে দুই কক্ষবিশিষ্ট। জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দলগুলোর প্রাপ্ত ভোটের অনুপাতে ১০০ জন সদস্যবিশিষ্ট একটি উচ্চকক্ষ গঠিত হবে এবং সংবিধান সংশোধন করতে হলে উচ্চকক্ষের সংখ্যাগরিষ্ঠ সদস্যের অনুমোদন দরকার হবে।
গ) সংসদে নারীর প্রতিনিধি বৃদ্ধি, বিরোধী দল থেকে ডেপুটি স্পিকার ও সংসদীয় কমিটির সভাপতি নির্বাচন, প্রধানমন্ত্রীর মেয়াদ সীমিতকরণ, রাষ্ট্রপতির ক্ষমতা বৃদ্ধি, মৌলিক অধিকার সম্প্রসারণ, বিচার বিভাগের স্বাধীনতা ও স্থানীয় সরকারসহ বিভিন্ন বিষয়ে যে ৩০টি প্রস্তাবে জুলাই জাতীয় সনদে রাজনৈতিক দলগুলোর ঐক্যমত হয়েছে সেগুলো বাস্তবায়নে আগামী নির্বাচনে বিজয়ী দলগুলো বাধ্য থাকবে।
ঘ) জুলাই সনদে বর্ণিত অন্যান্য সংস্কার রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতিশ্রুতি অনুসারে বাস্তবায়ন করা হবে।’
গণভোটের দিন এই চারটি বিষয়ের ওপর একটিমাত্র প্রশ্নে ‘হ্যাঁ’ বা ‘না’ ভোট দিয়ে মতামত জানানোর জন্য বলেছেন প্রধান উপদেষ্টা।
তিনি আরও বলেন, ‘জাতীয় নির্বাচনের মতো গণভোটও ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে একই দিনে অনুষ্ঠিত হবে। এতে সংস্কারের লক্ষ্য কোনোভাবে বাধাগ্রস্ত হবে না। নির্বাচন আরও উৎসবমুখর ও সাশ্রয়ী হবে। গণভোট অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে উপযুক্ত সময়ে প্রয়োজনীয় আইন প্রণয়ন করা হবে।’
বাংলাদেশ টেলিভিশন, বিটিভি নিউজ এবং বিটিভি ওয়ার্ল্ড ভাষণটি সরাসরি সম্প্রচার করেছে।
৪৬ দিন আগে
জাতীয় নির্বাচনের দিন গণভোট হবে: প্রধান উপদেষ্টা
জাতির উদ্দেশে ভাষণে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, জাতীয় নির্বাচনের দিন গণভোট অনুষ্ঠিত হবে।
বৃহস্পতিবার (১৩ নভেম্বর) দুপুর আড়াইটায় এ ভাষণ শুরু হয়।
বাংলাদেশ টেলিভিশন, বিটিভি নিউজ এবং বিটিভি ওয়ার্ল্ড ভাষণটি সরাসরি সম্প্রচার করছে।
৪৬ দিন আগে
দুপুর আড়াইটায় জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেবেন প্রধান উপদেষ্টা
প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস আজ বৃহস্পতিবার (১৩ নভেম্বর) দুপুর ২টা ৩০মিনিটের দিকে জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেবেন।
প্রধান উপদেষ্টার এই ভাষণ বাংলাদেশ টেলিভিশন, বিটিভি নিউজ এবং বিটিভি ওয়ার্ল্ড সরাসরি সম্প্রচার করবে।
৪৬ দিন আগে
শেখ হাসিনাসহ তিন আসামির মামলার রায় সোমবার
জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের ঘটনায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তিন আসামির বিরুদ্ধে করা মামলার রায় হবে আগামী সোমবার (১৭ নভেম্বর)।
বৃহস্পতিবার (১৩ নভেম্বর) বিচারপতি মো. গোলাম মর্তুজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ এই তারিখ ঘোষণা করেন।
ট্রাইব্যুনালের অপর দুই সদস্য হলেন বিচারপতি মো. শফিউল আলম মাহমুদ ও বিচারক মো. মোহিতুল হক এনাম চৌধুরী।
এ মামলার অপর দুই আসামি হলেন সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান ও পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন। সাবেক আইজিপি মামুন রাজসাক্ষী হিসেবে জবানবন্দি দিয়েছেন।
২০২৪ সালের ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল পুনর্গঠন করা হয়। পুনর্গঠিত ট্রাইব্যুনালে জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের ঘটনায় প্রথম মামলাটি (মিসকেস বা বিবিধ মামলা) হয় শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে। গত বছরের ১৭ অক্টোবর পুনর্গঠিত ট্রাইব্যুনালের প্রথম বিচারকাজ অনুষ্ঠিত হয়। সেদিনই এ মামলায় শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন ট্রাইব্যুনাল।
প্রথম দিকে এ মামলায় শেখ হাসিনাই একমাত্র আসামি ছিলেন। চলতি বছরের ১৬ মার্চ এ মামলায় শেখ হাসিনার পাশাপাশি সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনকে আসামি করার আবেদন করে প্রসিকিউশন (রাষ্ট্রপক্ষ) এবং ট্রাইব্যুনাল তা মঞ্জুর করেন।
চব্বিশের গণ-অভ্যুত্থানের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধ মামলায় মোট পাঁচটি অভিযোগ আনে প্রসিকিউশন।
অভিযোগগুলো হলো— গত বছরের ১৪ জুলাই গণভবনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে শেখ হাসিনার উসকানিমূলক বক্তব্য প্রদান; হেলিকপ্টার, ড্রোন ও প্রাণঘাতী অস্ত্র ব্যবহার করে আন্দোলনকারীদের নির্মূল করার নির্দেশ প্রদান; রংপুরে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র আবু সাঈদকে গুলি করে হত্যা; রাজধানীর চানখাঁরপুল এলাকায় ছয় আন্দোলনকারীকে গুলি করে হত্যা এবং আশুলিয়ায় ছয়জনকে পোড়ানোর অভিযোগ।
গত ১২ মে প্রতিবেদন জমা দেয় ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থা। আনুষ্ঠানিক অভিযোগ মোট ৮ হাজার ৭৪৭ পৃষ্ঠার। এর মধ্যে, তথ্যসূত্র ২ হাজার ১৮ পৃষ্ঠার, জব্দতালিকা ও দালিলিক প্রমাণাদি ৪ হাজার পাঁচ পৃষ্ঠার এবং শহীদদের তালিকার বিবরণ ২ হাজার ৭২৪ পৃষ্ঠার রয়েছে।
এর ভিত্তিতে ১ জুন ট্রাইব্যুনালে হাসিনা, আসাদুজ্জামান খান ও আবদুল্লাহ আল-মামুনের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দাখিল করে প্রসিকিউশন। ওই দিনই ট্রাইব্যুনাল অভিযোগ আমলে নেন। এরপর ১০ জুলাই তিনজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১।
এক পর্যায়ে এই মামলায় দোষ স্বীকার করে ঘটনার সত্যতা উদ্ঘাটনে (অ্যাপ্রুভার) রাজসাক্ষী হতে সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনের করা আবেদন মঞ্জুর করেন ট্রাইব্যুনাল। পরবর্তীতে এই মামলার রাজসাক্ষী হয়ে সাক্ষ্য দেন তিনি।
গত ২৩ অক্টোবর মামলায় অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান সমাপনী বক্তব্য দেন। তিনি শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান খানের সর্বোচ্চ শাস্তি প্রার্থনা করেন। পরে আসামিপক্ষের আইনজীবীর বক্তব্যের জবাব দেন চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম। তিনিও শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান খানের সর্বোচ্চ শাস্তি চান।
অ্যাটর্নি জেনারেল ও চিফ প্রসিকিউটরের বক্তব্যের জবাব দেন রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী মো. আমির হোসেন। তিনি শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান খানের খালাস প্রার্থনা করেন। পরে ট্রাইব্যুনাল মামলার রায় কবে দেওয়া হবে, তা আগামী ১৩ নভেম্বর জানানো হবে বলে জানান।
‘বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি রুখে দেবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী’
শেখ হাসিনাসহ তিন আসামির বিরুদ্ধে করা এ মামলার রায়ের তারিখ ঘোষণাকে কেন্দ্র করে দেশে যে বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি সৃষ্টি করার অপচেষ্টা চালানো হচ্ছে, তা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী দৃঢ়তার সঙ্গে রুখে দেবে বলে মন্তব্য করেছেন প্রসিকিউটর মো. মিজানুল ইসলাম।
গতকাল বুধবার ট্রাইব্যুনাল প্রাঙ্গণে এক ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের বিচারপ্রক্রিয়া নিয়ে প্রশ্ন তোলা হচ্ছে, এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে প্রসিকিউটর মিজানুল বলেন, তিনি নিঃসন্দেহে বলতে পারেন, স্বচ্ছ ও স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায় বিচার অনুষ্ঠিত হচ্ছে। সরকারের বিরুদ্ধে একটা প্রোপাগান্ডার অংশ হিসেবে এমনটা বলা হচ্ছে।
এদিকে, রায়ের তারিখ ঘোষণা ও আওয়ামী লীগের কর্মসূচি ঘিরে যেকোনো নাশকতা ঠেকাতে আজ ঢাকা মহানগরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায় ডিএমপির ১৭ হাজার সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। এর বাইরে মোতায়েন রয়েছে সেনাবাহিনী, বিজিবি ও পুলিশের বিভিন্ন ইউনিটের সদস্যরাও।
৪৬ দিন আগে
আ.লীগের ‘লকডাউন’ কর্মসূচি ঘিরে ঢাকায় কড়া নিরাপত্তা
কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের বৃহস্পতিবারের ‘ঢাকা লকডাউন’ কর্মসূচি ঘিরে রাজধানীতে নিরাপত্তা জোরদার করেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। শহরের গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলোতে মোতায়েন করা হয়েছে পুলিশ, র্যাব ও বিজিবি।
অন্যান্য দিনের তুলনায় আজ বৃহস্পতিবার ঢাকার রাস্তায় সাধারণ মানুষ ও যান চলাচল উল্লেখযোগ্যভাবে কম দেখা গেছে। বিশেষ করে সড়কে বেসরকারি পরিবহনের উপস্থিতি অনেকটাই কম লক্ষ্য করা গেছে।
তবে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো খোলা রয়েছে এবং স্বাভাবিক কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে।
এদিকে, যেকোনো অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে এবং আওয়ামী লীগের যেকোনো পদক্ষেপ প্রতিহত করতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পাশাপাশি ঢাকার বিভিন্ন পয়েন্টে অবস্থান নিতে দেখা গেছে বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী ও তাদের জোটভুক্ত সহযোগী দলগুলোর নেতা-কর্মীদের। আওয়ামী লীগের কর্মসূচির প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিলও করেন তারা।
আজ (১৩ নভেম্বর) জুলাই-আগস্ট আন্দোলনে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালসহ তিনজনের বিরুদ্ধে রায় ঘোষণার তারিখ নির্ধারণ করা হবে। এ দিনেই ‘ঢাকা লকডাউন’ কর্মসূচি দিয়েছে কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগ।
গত কয়েকদিনে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে অগ্নিসংযোগ ও ককটেল বিস্ফোরণের বেশ কয়েকটি ঘটনা ঘটেছে, যা জনমনে নতুন করে অস্থিরতা ও সহিংসতার আশঙ্কা বাড়িয়ে তুলেছে।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে সরকার ঢাকায় ১২ প্লাটুন বিজিবি ও আশপাশের জেলাগুলোতে আরও ২ প্লাটুন মোতায়েন করেছে।
বুধবার (১২ নভেম্বর) এক সংবাদ সম্মেলনে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী বলেন, লকডাউনকে কেন্দ্র করে যেকোনো নাশকতামূলক কর্মকাণ্ড ঠেকাতে পুলিশ সম্পূর্ণ প্রস্তুত।
রায়ের তারিখ ঘোষণা ও আওয়ামী লীগের কর্মসূচি ঘিরে যেকোনো নাশকতা ঠেকাতে আজ ঢাকা মহানগরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায় ডিএমপির ১৭ হাজার সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। এর বাইরে মোতায়েন রয়েছে সেনাবাহিনী, বিজিবি ও পুলিশের বিভিন্ন ইউনিটের সদস্যরাও।
এর আগে, গত ২৩ অক্টোবর অভিযোগ ও যুক্তিতর্ক শেষে ১৩ নভেম্বর রায় ঘোষণার তারিখ নির্ধারণের জন্য দিন ঠিক করেন বিচারপতি মো. গোলাম মোর্তুজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১।
বহুল আলোচিত এই মামলায় সাক্ষ্য দিয়েছেন গণঅভ্যুত্থানের অন্যতম শহীদ আবু সাঈদের পিতা ও স্বজনহারা পরিবারের অনেকে। এ ছাড়া ‘স্টার উইটনেস’ হিসেবে সাক্ষ্য দিয়েছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির আহ্বায়ক ও জুলাই আন্দোলনের নেতা নাহিদ ইসলাম এবং দৈনিক আমার দেশ পত্রিকার সম্পাদক ড. মাহমুদুর রহমান। এই মামলায় সর্বমোট ৫৪ জন সাক্ষী সাক্ষ্য দিয়েছেন।
এর আগে, গত ১০ জুলাই শেখ হাসিনা, কামাল ও মামুনের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন ট্রাইব্যুনাল। এই মামলায় দোষ স্বীকার করে ঘটনার সত্যতা উদ্ঘাটনে (অ্যাপ্রোভার) রাজসাক্ষী হয়ে সাক্ষ্য দেন সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন।
মামলায় তাদের বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের পাঁচটি অভিযোগ আনে প্রসিকিউশন। আনুষ্ঠানিক অভিযোগ মোট আট হাজার ৭৪৭ পৃষ্ঠার। এর মধ্যে তথ্যসূত্র দুই হাজার ১৮ পৃষ্ঠা, জব্দতালিকা ও দালিলিক প্রমাণাদি চার হাজার পাঁচ পৃষ্ঠা এবং শহীদদের তালিকার বিবরণ দুই হাজার ৭২৪ পৃষ্ঠা। সাক্ষী করা হয়েছে ৮১ জনকে। গত ১২ মে প্রসিকিউটরের কাছে এ মামলার প্রতিবেদন জমা দেন ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থার কর্মকর্তারা।
এই মামলাটি ছাড়াও শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে আরও দুটি মামলা রয়েছে। এর একটি হয়েছে আওয়ামী লীগের সাড়ে ১৫ বছরের শাসনামলে গুম-খুনের ঘটনায়। অন্য মামলাটি হয়েছে রাজধানীর মতিঝিলের শাপলা চত্বরে হেফাজতে ইসলামের সমাবেশে হত্যাকাণ্ডের ঘটনায়।
৪৬ দিন আগে
ভারতীয় মিডিয়ায় শেখ হাসিনার সাক্ষাৎকার নিয়ে ঢাকার অসন্তোষ প্রকাশ
দিল্লিতে থেকে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারতের বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমকে সাক্ষাৎকার দেওয়ার ঘটনায় অসন্তোষ প্রকাশ করেছে ঢাকা।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা ইউএনবিকে জানিয়েছেন, বুধবার ঢাকায় ভারতীয় উপ-হাইকমিশনার পবন ভাদেকে ডেকে নিয়ে অসন্তোষের কথা জানিয়েছে মন্ত্রণালয়।
কূটনৈতিক সূত্রে জানা গেছে, ভারতীয় কূটনীতিককে অনুরোধ জানানো হয়েছে, তিনি যেন নয়াদিল্লিকে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে শেখ হাসিনার গণমাধ্যমে প্রবেশাধিকার তাৎক্ষণিকভাবে বন্ধ করার অনুরোধ পৌঁছে দেন।
৪৬ দিন আগে
চাকরির প্রলোভনে যুবককে দুবাই নিয়ে বিক্রি: বরিশালে ২ জনের যাবজ্জীবন
ভালো চাকরির প্রলোভনে বরিশালের এক যুবককে দুবাই নিয়ে মানবপাচারকারী চক্রের কাছে বিক্রি, নির্যাতন ও মুক্তিপণ আদায়ের দায়ে দুইজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
বরিশালের মানবপাচার অপরাধ দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক সোহেল আহমেদ বুধবার (১২ নভেম্বর) আসামিদের অনুপস্থিতিতে এই রায় ঘোষণা করেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করে সংশ্লিষ্ট আদালতের বেঞ্চ সহকারী তুহিন মোল্লা বলেন, যাবজ্জীবনের পাশাপাশি দুজনকে পাঁচ লাখ টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে। এই টাকা অনাদায়ে তাদের আরও এক বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ড ভোগ করতে হবে। জরিমানার টাকা আদায় করে বাদীকে প্রদানের জন্য আদালত নির্দেশ দিয়েছেন বলে জানান তিনি।
দণ্ডপ্রাপ্ত ব্যক্তিরা হলেন— লক্ষ্মীপুরের রায়পুরা উপজেলার উত্তর কেরুয়া এলাকার মোশারেফ হোসেনের ছেলে শাহ ইমরান সাগর (৪৫) এবং হবিগঞ্জের বাহুবল উপজেলার দত্তপাড়া এলাকার আনসার আলীর ছেলে বাচ্চু মিয়া (৩৭)।
তুহিন মোল্লা বলেন, বরিশাল নগরীর ২৩ নম্বর ওয়ার্ডের হরিণাফুলিয়া নতুন হাট এলাকার বাসিন্দা নবীন ফরাজীকে (২৮) দুবাই নিয়ে ভাল চাকরির প্রলোভন দেখান শাহ ইমরান সাগর। এরপর সেই শর্তে ২০২৩ সালের ২৭ মার্চ নবীনকে দুবাই পাঠান তিনি। দুবাই পৌঁছানোর পর নবীনকে মানবপাচারচক্রের সদস্যদের কাছে বিক্রি করে দেন বাচ্চু মিয়া। এরপর তাকে আটকে রেখে নির্যাতন চালায় চক্রের সদস্যরা। পরে নবীন তার বাবার কাছ থেকে পাঁচ লাখ টাকা নিয়ে পাচারচক্রের সদস্যদের কাছে দেন। এরপর নবীনকে ছেড়ে দেওয়া হয়।
তিনি জানান, মুক্তির পর দুবাইয়ে থাকা এক প্রবাসীর মাধ্যমে দেশে ফিরে আসেন নবীন। তারপর ২০২৩ সালের ৩০ আগস্ট দুইজনকে আসামি করে বরিশাল মানবপাচার অপরাধ দমন আদালতে মামলা করেন তিনি। মামলার তদন্ত শেষে ২০২৪ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি বরিশাল কোতোয়ালি মডেল থানার এসআই শিহাবউদ্দিন ওই দুইজনকে আসামি করে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন। বিচারক সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে আসামিদের এই রায় দিলে তাদের বরিশাল কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়।
৪৬ দিন আগে
চট্টগ্রামে নওফেলের বাড়িতে পুলিশের অভিযান, আটক ৭
চট্টগ্রাম সাবেক মেয়র মহিউদ্দিন চৌধুরী ও সাবেক শিক্ষামন্ত্রী আওয়ামী লীগের পলাতক নেতা মহিবুল হাসান চৌধিরী নওফেলের বাসভবনে অভিযান পরিচালনা করেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। এ সময় ছাত্রলীগের সন্দেহভাজন ৭ নেতা-কর্মীকে আটক করে পুলিশ।
বুধবার (১২ নভেম্বর) বিকেলে নগরীর ষোলশহর দুই নাম্বার গেইট মেয়র গলিতে এ অভিযান চালায় পুলিশ।
বিষয়টি নিশ্চিত করে পাঁচলাইশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ সোলায়মান বলেন, সাবেক শিক্ষামন্ত্রীর বাসায় নিষিদ্ধঘোষিত ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা অবস্থান করছে—এমন অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে আজ (বুধবার) বিকেলে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী অভিযান পরিচালনা করে। অভিযান চালিয়ে এখনো পর্যন্ত সাতজনকে আটক করে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে। তাদের সংশ্লিষ্টতা যাচাই করে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান তিনি।
তিনি আরও জানান, নগরীতে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে গতকাল রাত থেকে প্রতিটি গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় পুলিশের টহল বাড়ানো হয়েছে।
এদিকে, আওয়ামী লীগ-ছাত্রলীগের নৈরাজ্যের প্রতিবাদের আজ বিকেলে নগরীর মুরাদপুর এলাকায় বিক্ষোভ মিছিল করেছে ইসলামী ছাত্রশিবির। এ ছাড়া সন্ধ্যায় বহদ্দারহাট এলাকায় বিক্ষোভ করেছে এনসিপির নেতা-কর্মীরা।
৪৬ দিন আগে