বাংলাদেশ
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের মেয়াদ বাড়ল ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের মেয়াদ তৃতীয় দফায় বাড়ানো হয়েছে। এই কমিশনের মেয়াদ আগামী ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত বাড়িয়ে বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) প্রজ্ঞাপন জারি করেছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।
প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে গত ১২ ফেব্রুয়ারি সাত সদস্যের জাতীয় ঐকমত্য কমিশন গঠন করা হয়। এই কমিশনকে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য ছয় মাস সময় দেওয়া হয়েছিল। সেই হিসেবে গত ১৫ আগস্ট এই কমিশনের মেয়াদ শেষ হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু কমিশনের কার্যক্রম শেষ না হওয়ায় এর আগে দুই দফায় এর মেয়াদ এক মাস করে বাড়ানো হয়। এখন তৃতীয় দফায় কমিশনের মেয়াদ ১৫ দিন বাড়াল সরকার।
ছয়টি সংস্কার কমিশনের সুপারিশ বিবেচনা ও গ্রহণের জন্য জাতীয় ঐকমত্য কমিশনকে দায়িত্ব দেওয়া হয়। এর ধারাবাহিকতায় ঐকমত্য কমিশন রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপ করে সংস্কারের বিষয়ে রাজনৈতিক ঐক্যমত্যে এসেছে। শুক্রবার জুলাই সনদে রাজনৈতিক দলগুলোর সই করা কথা রয়েছে।
৭৩ দিন আগে
সিলেট বোর্ডে এইচএসসির ফল বিপর্যয়, অর্ধেক ফেল
২০২৫ সালের উচ্চমাধ্যমিক সার্টিফিকেট (এইচএসসি) ও সমমান পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশিত হয়েছে। সারা দেশে গড় পাসের হার ৫৮ দশমিক ৮৩ শতাংশ, তবে সিলেট শিক্ষা বোর্ডে ফলাফল আরও নিম্নমুখী, এবার পাসের হার মাত্র ৫১ দশমিক ৮৬ শতাংশ। অথচ গত বছর এই বোর্ডে পাসের হার ছিল ৮৫ দশমিক ৩৯ শতাংশ।
বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) সকাল ১০টায় বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় সিলেট শিক্ষাবোর্ডের সম্মেলন কক্ষে আনুষ্ঠানিকভাবে ফলাফল ঘোষণা করেন শিক্ষাবোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর মো. আনোয়ার হোসেন চৌধুরী।
ফল অনুযায়ী, সিলেট বিভাগে পাশের হার ৫১ দশমিক ৮৬, যা বিগত ৭ বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন। গত বছর ২০২৪ সালে পাশের হার ছিল ৮৫ দশমিক ৩৯ ভাগ, ২০২৩ সালে ৭১ দশমিক ৬২ ভাগ, ২০২২ সালে ৮১ দশমিক ৪০ ভাগ, ২০২১ সালে ৯৪ দশমিক ৮০ ভাগ, আর ২০২০ সালে শতভাগ, ২০১৯ সালে ৬৭ দশমিক ০৫, ২০১৮ সালে ৭৩ দশমিক ৭, ২০১৭ সালে ৭২ ভাগ, ২০১৬ সালে ৬৮ দশমিক ৫৯ ভাগ, ২০১৫ সালে ৭৪ দশমিক ৫৭ আর ২০১৪ সালে ৭৯ দশমিক ১৬।
২০২০ সালে করোনাকালে এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় সবাইকে পাস করিয়ে দেওয়া হয়, যেটিকে ‘অটোপাস’ বলা হয়ে থাকে। ফলাফল প্রস্তুতের ক্ষেত্রে বিগত বছরের এসএসসির ফল বিবেচনা নেওয়া হয়। আর ২০২১ সালে সংক্ষিপ্ত সিলেবাসে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয় এবং জেএসসি ও এসএসসি পরীক্ষার কিছু নম্বর যোগ করে চূড়ান্ত ফলাফল তৈরি করা হয়েছিল, যার ফলে পাশের হার স্বাভাবিকের তুলনায় অনেক বেশি ছিল।
এবার সিলেটে মোট পরীক্ষার্থী ছিল ৬৯ হাজার ৯৪৪ জন, যার মধ্যে ৬৯ হাজার ১৭২ জন পরীক্ষায় অংশ নেন। মোট পরীক্ষার্থীর মধ্যে ছেলে শিক্ষার্থী ২৭ হাজার ৭৬৪ জন আর মেয়ে ৪১ হাজার ৪০৮ জন। মোট পাশকৃত পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ৩৫ হাজার ৮৭০ জন, যার মধ্যে ছেলে ১৩ হাজার ৮৭০ এবং মেয়ে ২২ হাজার ১ জন। মোট জিপিএ-৫ পেয়েছেন ১ হাজার ৬০২ জন, যার মধ্যে ছেলে ৬৮১ এবং মেয়ে ৯২১ জন। পাশের হারে পিছিয়ে রয়েছে ছেলেরা; ছেলে পরীক্ষার্থীদের মধ্যে পাশ করেছেন ৪৯ দশমিক ৯৬ জন আর মেয়েদের পাশের হার ৫৩ দশমিক ১৩ ভাগ।
প্রাপ্ত ফল অনুযায়ী, পাশের হার সবচেয়ে কম মানবিক বিভাগে। এই বিভাগে পাশ করেছেন ৪৫ দশমিক ৫৯ ভাগ পরীক্ষার্থী। এ ছাড়া বিজ্ঞান বিভাগে পাশের হার ৭৫ দশমিক ৯৫ ভাগ এবং ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগে ৫০ দশমিক ১৮। ১৬০২ জন জিপিএ-৫ প্রাপ্ত পরীক্ষার্থীর মধ্যে বিজ্ঞান বিভাগ থেকে পেয়েছেন ১ হাজার ৩৭৯ জন, মানবিক বিভাগ থেকে ১৫৩ জন এবং ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগ থেকে ৭০ জন শিক্ষার্থী রয়েছেন।
সিলেট বিভাগে পাশের হার সবচেয়ে কম মৌলভীবাজারে আর বেশি সিলেট জেলায়। সিলেটে পাশের হার ৬০ দশমিক ৬১ ভাগ, হবিগঞ্জে ৪৯ দশমিক ৮৮, সুনামগঞ্জে ৪৬ দশমিক ৩৫ এবং মৌলভীবাজারে ৪৫ দশমিক ৮০ ভাগ শিক্ষার্থী পাশ করেছেন।
গত বছর সিলেট বোর্ড থেকে ৬ হাজার ৬৯৮ জন পরীক্ষার্থী জিপিএ-৫ পেয়েছিলেন। এবারের ফলাফলে জিপিএ-৫ পেয়েছে ১ হাজার ৬০২ জন।
শিক্ষাবোর্ডের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ইংরেজি ও গণিতে অধিকসংখ্যক শিক্ষার্থী অকৃতকার্য হওয়ায় সামগ্রিক ফল খারাপ হয়েছে। তাছাড়া অনেক কলেজে উপস্থিতির হারও কম ছিল।
এদিকে চলতি বছরের উচ্চ মাধ্যমিক সার্টিফিকেট (এইচএসসি) ও সমমান পরীক্ষায় সিলেট শিক্ষা বোর্ডের ৩২৩ টি কলেজের মধ্যে ৪টি কলেজ শতভাগ শিক্ষার্থী ফেল করেছে। আর শতভাগ পাশ করেছে মাত্র ৩টি প্রতিষ্ঠানে।
এবছর ফলাফল ঘিরে কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের আনন্দ উচ্ছাস দেখা যায়নি।
৭৩ দিন আগে
৩ ভুয়া বিদেশি বিশ্ববিদ্যালয়ের শাখা ক্যাম্পাসে ভর্তিতে ইউজিসির সতর্কতা
বাংলাদেশে তিনটি ভুয়া বিদেশি বিশ্ববিদ্যালয়ের শাখা ক্যাম্পাসে শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনার তথ্য পেয়েছে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন (ইউজিসি)। এসব বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তিতে সতর্কতা জারি করেছে ইউজিসি।
ওই বিশ্ববিদ্যালয়সমূহ হলো— আমেরিকা ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটি, ইউএসএ; ট্রিনিটি ইউনিভার্সিটি, ইউএসএ; এবং স্পিরিচুয়াল ইনস্টিটিউট অব নিউ ইয়র্ক (স্টেট ইউনিভার্সিটি)। সরকার ও কমিশন থেকে এ ধরনের কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুমোদন দেওয়া হয়নি বলে জানিয়েছে ইউজিসি।
সম্প্রতি বাংলাদেশ কমার্স ব্যাংক লিমিটেড আমেরিকা ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটি, ইউএসএ এবং ট্রিনিটি ইউনিভার্সিটি, ইউএসএর দুজন শিক্ষার্থীর সনদ যাচাইয়ের লক্ষ্যে কমিশনে আবেদন করে। সনদ যাচাইয়ের সময় ভুয়া বিদেশি বিশ্ববিদ্যালয়ের শাখা ক্যাম্পাসের কার্যক্রম পরিচালনার বিষয়টি জানতে পারে ইউজিসি।
মন্ত্রণালয় কর্তৃক পাঠানো কমিশনের প্রস্তাবিত বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকা অনুযায়ী উক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের নামে কোনো প্রকল্প প্রস্তাব পাওয়া যায়নি।
বিভিন্ন গণমাধ্যমে দেশে অনুমোদনবিহীন বিদেশি বিশ্ববিদ্যালয়ের শাখা ক্যাম্পাস, টিউটোরিয়াল সেন্টার ও স্টাডি সেন্টার পরিচালনার খবর পাওয়া যাচ্ছে। এসব শাখা ক্যাম্পাস, টিউটোরিয়াল সেন্টার ও স্টাডি সেন্টারের অধিকাংশই অননুমোদিত। এ সকল প্রতিষ্ঠান ব্যাচেলর, মাস্টার্স, এমপিএইচ, এমবিএ, এমফিল ও পিএইচডিসহ বিভিন্ন প্রকার ডিগ্রি প্রদান করছে, যা আইনানুযায়ী সম্পূর্ণ অবৈধ।
এ সকল অননুমোদিত ও অবৈধ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে শিক্ষার্থীরা অর্থের বিনিময়ে সনদ গ্রহণ করছেন। এসব চক্রের ফাঁদে পড়ে বহু শিক্ষার্থী প্রতারিত হচ্ছেন। দ্রুত এ সকল বিশ্ববিদ্যালয়ের বিরুদ্ধে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সম্প্রতি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, শিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং দুর্নীতি দমন কমিশনে চিঠি দিয়েছে ইউজিসি।
৭৩ দিন আগে
চট্টগ্রাম ইপিজেডে কারখানায় আগুন, নিয়ন্ত্রণে ফায়ার সার্ভিসের ১৯ ইউনিট
চট্টগ্রাম রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চলের (ইপিজেড) একটি তৈরি পোশাক কারখানায় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। এ খবর লেখা পর্যন্ত আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে ফায়ার সার্ভিসের ১৯টি ইউনিট।
বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) দুপুর আড়াইটার দিকে এ অগ্নিকাণ্ড ঘটে।
চট্টগ্রাম ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের উপপরিচালক মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন জানান, দুপুর আড়াইটার দিকে সিইপিজেড এলাকার আটতলা ভবনের পঞ্চম ও ষষ্ঠ তলায় অবস্থিত অ্যাডামস ক্যাপস অ্যান্ড টেক্সটাইল লিমিটেড কারখানায় আগুনের সূত্রপাত হয়। মুহূর্তেই আগুন চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে।
খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের ১৭টি ইউনিট, যার মধ্যে নৌবাহিনীর একটি ইউনিটও রয়েছে, ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ শুরু করে। পরে আরও দুটি ইউনিট তাদের সঙ্গে যোগ দিয়েছে।
তিনি আরও জানান, ভবনে থাকা ১৮ থেকে ২০ জন কর্মীকে নিরাপদে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।
আগুন নিয়ন্ত্রণে ফায়ার সার্ভিসের পাশাপাশি পুলিশ, র্যাব, বিজিবি ও সেনাবাহিনীর সদস্যরাও অভিযান পরিচালনা করছেন।
এখন পর্যন্ত ভবনের পঞ্চম, ষষ্ঠ ও সপ্তম তলা আগুনে পুড়ে গেছে বলে জানা গেছে, যা এলাকায় আতঙ্ক সৃষ্টি করেছে। তবে তাৎক্ষণিকভাবে আগুনের সূত্রপাতের কারণ জানা যায়নি।
কর্মকর্তাদের আশঙ্কা, কারখানায় থাকা রাসায়নিক পদার্থের কারণে আগুনের তীব্রতা বেড়ে যেতে পারে।
৭৩ দিন আগে
জুলাই সনদ স্বাক্ষর অনুষ্ঠান কাল, সংসদ এলাকায় ড্রোন নিষিদ্ধ
আগামীকাল শুক্রবার (১৭ অক্টোবর) জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় অনুষ্ঠিত হবে ঐতিহাসিক জুলাই সনদ ২০২৫–এর স্বাক্ষর অনুষ্ঠান। অনুষ্ঠান ঘিরে নেওয়া হয়েছে সর্বোচ্চ নিরাপত্তাব্যবস্থা। এরই অংশ হিসেবে অনুষ্ঠান চলাকালে সংসদ এলাকায় সব ধরনের ড্রোন ওড়ানো নিষিদ্ধ করেছে সরকার।
বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) সন্ধ্যায় প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইংয়ের পাঠানো এক বার্তায় এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়, আগামীকাল শুক্রবার জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় ‘জুলাই জাতীয় সনদ-২০২৫’ স্বাক্ষর অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হবে। সংসদ এলাকায় এ সময় কোনো প্রকার ড্রোন ওড়ানোর বিষয়ে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। নির্দেশনা মেনে চলার জন্য সংশ্লিষ্ট সবাইকে অনুরোধ করা হলো।
অনুষ্ঠানে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস, অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টারা, বিএনপি-জামায়াতসহ দেশের প্রায় সব রাজনৈতিক দলের শীর্ষস্থানীয় নেতাদের উপস্থিত থাকার কথা।
আরও পড়ুন: উৎসবমুখর পরিবেশে জুলাই সনদে সই হবে, আশা প্রধান উপদেষ্টার
জুলাই সনদ স্বাক্ষর অনুষ্ঠান ঘিরে গতকাল বুধবার রাতে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে রাজনৈতিক দলগুলোর একটি ‘অতি জরুরি’ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন দেশের প্রধান প্রধান রাজনৈতিক দলের শীর্ষ নেতারা।
বৈঠকে কমিশনের সভাপতি প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ইউনূস দলগুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, ‘আপনারা যেমন সবাই মিলে সনদ তৈরি করেছেন, আমাদের সরকারের দায়িত্ব হলো সবাই মিলে উৎসবমুখর নির্বাচনটা করে দেওয়া।’
সনদ স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে সবাইকে অংশ নেওয়ার আমন্ত্রণ জানিয়ে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘আমরা উৎসবমুখরভাবে সেখানে যাব এবং এই দলিলে সই করব এবং উৎসব করব। সবাই, সারা জাতি এটায় শরিক হবে। জাতির জন্য এটা স্মরণীয় হয়ে থাকবে।’
৭৩ দিন আগে
এইচএসসির ফল: ময়মনসিংহে ১৫টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পাস করেননি কোনো শিক্ষার্থী
চলতি বছরের উচ্চ মাধ্যমিক সার্টিফিকেট (এইচএসসি) ও সমমান পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হয়েছে। এতে ময়মনসিংহ শিক্ষাবোর্ডে এবার পাসের হার শতকরা ৫১.৫৪ ভাগ। তবে এই বোর্ডের আওতাধীন ১৫টি প্রতিষ্ঠানের শতভাগ শিক্ষার্থী অকৃতকার্য হয়েছেন।
বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) সকাল ১০টার দিকে ময়মনসিংহ শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মো. শহীদুল্লাহ এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য প্রকাশ করেন।
তিনি জানান, এবার ময়মনসিংহ শিক্ষা বোর্ডে এইচএসসি পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিলেন ৭৫ হাজার ৮৫৫ জন শিক্ষার্থী। মোট ৩৯ হাজার ৯৬ জন শিক্ষার্থী পাস করেছেন, জিপিএ-৫ পেয়েছেন ২ হাজার ৬৮৪ জন।
পাস ও জিপিএ-৫ পাওয়ার ক্ষেত্রে এগিয়ে রয়েছে মেয়েরা। পাস করা শিক্ষার্থীদের মধ্যে ছেলেদের সংখ্যা ১৬ হাজার ৬৭৬ এবং মেয়েদের সংখ্যা ২২ হাজার ৪২০ জন। অন্যদিকে, জিপিএ-৫ পাওয়া ছেলেদের সংখ্যা এক হাজার ১১৭ এবং মেয়েদের সংখ্যা এক হাজার ৫৬৭ জন।
সংবাদ সম্মেলনে আরও জানানো হয়, এবার ময়মনসিংহ শিক্ষা বোর্ডের মাত্র ৩টি প্রতিষ্ঠানের পরীক্ষার্থীরা শতভাগ পাস করেছে। প্রতিষ্ঠান ৩টি হলো ময়মনসিংহ গার্লস ক্যাডেট কলেজ, ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার চরজিথর হাই স্কুল অ্যান্ড কলেজ এবং নেত্রকোণার খালিয়াজুরি উপজেলার আব্দুল জব্বার রাবেয়া খাতুন হাই স্কুল অ্যান্ড কলেজ। এর বিপরীতে শতভাগ অকৃতকার্য প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা ১৫টি।
এর মধ্যে ময়মনসিংহের ৭টি, জামালপুরের ২টি, নেত্রকোণার ৪টি এবং শেরপুরের ২টি প্রতিষ্ঠান রয়েছে। প্রতিষ্ঠানগুলো হলো ময়মনসিংহের গৌরীপুর উপজেলার ভুটিয়ারকোণা আদর্শ হাই স্কুল অ্যান্ড কলেজ, নান্দাইলের বরিল্লা কে. এ. হাই স্কুল অ্যান্ড কলেজ, ত্রিশালের সিটি রয়েল কলেজ, ত্রিশাল আইডিয়াল কলেজ, গৌরীপুর পাবলিক কলেজ, মুক্তাগাছার প্রিন্সিপাল পারভীন জাকির কলেজ, ফুলবাড়িয়ার আলাপসিংহ কলেজ।
আরও পড়ুন: এইচএসসির ফলে এগিয়ে ঢাকা বোর্ড, কুমিল্লার পাসের হার সবচেয়ে কম
এছাড়া শতভাগ অকৃতকার্যের তালিকায় রয়েছে জামালপুরের বকশিগঞ্জের চন্দ্রাবাজ রাশিদা বেগম স্কুল অ্যান্ড কলেজ এবং মেলান্দহ উপজেলার এস. এম. শিখা মোখলেসুর রহমান কলেজ, নেত্রকোণার কেন্দুয়ার গোপালপুর মডেল কলেজ, জনতা আদর্শ মহাবিদ্যালয়, নেত্রকোণা সদর উপজেলার ভাষাসৈনিক আবুল হোসেন কলেজ এবং পূর্বধলার জোবায়দা জহুরউদ্দিন সরকার মহিলা কলেজ। শেরপুর সদরের মন্মথ দে কলেজ এবং নালিতাবাড়ী উপজেলার হীরন্ময়ী হাই স্কুল অ্যান্ড কলেজ।
ফল ও শিক্ষার মানোন্নয়নে শিক্ষক, অভিভাবক, শিক্ষার্থী এবং ম্যানেজিং কমিটিকে গুরুত্ব দিয়ে কাজ করতে হবে বলে মত দেন বোর্ড চেয়ারম্যান।
এবারের এইচএসসি পরীক্ষায় ময়মনসিংহ শিক্ষা বোর্ডে ৩০৬টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ৭৫ হাজার ৮৫৫ জন শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেছিলেন। এর মধ্যে ৫১ জন শিক্ষার্থী অসদুপায় অবলম্বনের দায়ে বহিষ্কৃত হয়েছিলেন।
৭৪ দিন আগে
এইচএসসির ফলে এগিয়ে ঢাকা বোর্ড, কুমিল্লার পাসের হার সবচেয়ে কম
চলতি বছরের উচ্চ মাধ্যমিক সার্টিফিকেট (এইচএসসি) ও সমমান পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হয়েছে। ১১টি শিক্ষা বোর্ডে গড় পাসের হার ৫৮.৮৩ শতাংশ। পাসের হারে এগিয়ে রয়েছে ঢাকা বোর্ড, অন্যদিকে সর্বনিম্ন পাসের হার রেকর্ড হয়েছে কুমিল্লা বোর্ডে।
বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) সকাল ১০টার দিকে দেশের ১১টি শিক্ষা বোর্ড একযোগে ফলাফল প্রকাশ করা হয়।
এবার গত বছরের তুলনায় পাসের হার কমেছে ১৮ দশমিক ৯৫ শতাংশ। এ বছর জিপিএ-৫ পেয়েছেন ৬৯ হাজার ৯৭ জন শিক্ষার্থী।
এ বছরের ফল বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, সাধারণ শিক্ষা বোর্ডগুলোর মধ্যে ঢাকা বোর্ডে পাসের হার ৬৪.৬২ শতাংশ, রাজশাহী বোর্ডে ৫৯.৪০ শতাংশ, কুমিল্লা বোর্ডে ৪৮.৮৬ শতাংশ, যশোর বোর্ডে ৫০.২০ শতাংশ, চট্টগ্রাম বোর্ডে ৫২.৫৭ শতাংশ, বরিশাল বোর্ডে ৬২.৫৭ শতাংশ, সিলেট বোর্ডে ৫১.৮৬ শতাংশ, দিনাজপুর বোর্ডে ৫৭.৪৯ শতাংশ এবং ময়মনসিংহ বোর্ডে ৫১.৫৪ শতাংশ।
আরও পড়ুন: এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফল প্রকাশ, পাসের হার ৫৮.৮৩ শতাংশ
এর মধ্যে ঢাকা বোর্ডে পাসের হার সর্বোচ্চ ৬৪.৬২ শতাংশ এবং সর্বনিম্ন পাসের হার কুমিল্লা বোর্ডে ৪৮.৮৬ শতাংশ।
শিক্ষা মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, এ বছর দেশের ১১টি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে মোট ১২ লাখ ৫১ হাজার ১১১ জন শিক্ষার্থী এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষার জন্য ফরম পূরণ করেন। তাদের মধ্যে ৬ লাখ ১৮ হাজার ১৫ জন ছাত্র এবং ৬ লাখ ৩৩ হাজার ৯৬ জন ছাত্রী।
সারা দেশে মোট ২ হাজার ৭৯৭টি কেন্দ্রে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। তবে প্রায় ২৭ হাজার শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নেননি। আর এবারও ফল তৈরি হয়েছে ‘বাস্তব মূল্যায়ন’ নীতিতে।
গত জুলাই মাসে প্রকাশিত এসএসসি পরীক্ষার মতো এবারও এইচএসসির ফল প্রকাশ ঘিরে কোনো ধরনের আনুষ্ঠানিকতা রাখা হয়নি।
৭৪ দিন আগে
এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফল প্রকাশ, পাসের হার ৫৮.৮৩ শতাংশ
চলতি বছরের উচ্চ মাধ্যমিক সার্টিফিকেট (এইচএসসি) ও সমমান পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হয়েছে। ১১টি শিক্ষা বোর্ডে গড় পাসের হার ৫৮.৮৩ শতাংশ। গতবারের তুলনায় এবার পাসের হার কমেছে ১৯ শতাংশ। ২০২৪ সালের এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষায় গড় পাসের হার ছিল ৭৭ দশমিক ৭৮ শতাংশ।
বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) সকাল ১০টার দিকে দেশের ১১টি শিক্ষা বোর্ড একযোগে ফলাফল প্রকাশ করা হয়।
পরে পরীক্ষার ফলাফল নিয়ে রাজধানীর বকশীবাজারে ঢাকা শিক্ষা বোর্ডে ব্রিফিং করেন বাংলাদেশ আন্তশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটির চেয়ারম্যান অধ্যাপক খন্দোকার এহসানুল কবির।
তিনি জানান, এবার ঢাকা বোর্ডে পাসের হার ৬৪.৬২, রাজশাহীতে ৫৯.৪০, কুমিল্লায় ৪৮.৮৬, যশোরে ৫০.২০, চট্টগ্রামে ৫২.৫৭, বরিশালে ৬২.৫৭, সিলেটে ৫১.৮৬, দিনাজপুরে ৫৭.৪৯, ময়মনসিংহে ৫১.৫৪, মাদরাসা শিক্ষা বোর্ডে ৭৫.৬১ এবং কারিগরি শিক্ষা বোর্ডে পাসের হার ৬২.৬৭।
খন্দোকার এহসানুল জানান, এবার মোট জিপিএ-৫ পেয়েছেন ৬৯ হাজার ৯৭ জন।
এদিকে ২০২৪ সালে জিপিএ-৫ পান ১ লাখ ৪৫ হাজার ৯১১ জন। গতবারের তুলনায় এবার জিপিএ-৫ কমেছে অর্ধেকেরও বেশি।
আরও পড়ুস: এইচএসসির ২২ ও ২৪ জুলাইয়ের স্থগিত পরীক্ষা একই দিনে হবে
পরীক্ষার্থীরা তিনভাবে এইচএসসির ফলাফল জানতে পারছেন। এবার ১১টি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে ১২ লাখ ৫১ হাজার ১১১ শিক্ষার্থী পরীক্ষা দেন।
শিক্ষার্থীরা ফলাফল দেখবেন যেভাবে
১.
সংশ্লিষ্ট শিক্ষা বোর্ডের ওয়েবসাইটের রেজাল্ট (Result) কর্নারে ক্লিক করে বোর্ড ও প্রতিষ্ঠানের EIIN–এর মাধ্যমে ফলাফল ডাউনলোড করতে পারবেন। সব শিক্ষা বোর্ডের ওয়েবসাইটে Result কর্নারে ক্লিক করে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের EIIN এন্ট্রি করে নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের রেজাল্ট শিট ডাউনলোড করতে পারবেন।
২.
পরীক্ষার্থীদের পরীক্ষার ফলাফল নিজ নিজ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে শিক্ষা বোর্ডগুলোর সমন্বিত ওয়েবসাইট ঠিকানা ও সংশ্লিষ্ট বোর্ডের ওয়েবসাইটের মাধ্যমে ফলাফল সংগ্রহ করতে পারবেন।
৩.
নির্ধারিত Short Code–16222–এ এসএমএসের মাধ্যমে ফলাফল পাবেন শিক্ষার্থীরা। পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশের পর এসএমএসের মাধ্যমে HSC Board Name (First 3 Letters) Roll Year টাইপ করে 16222 নম্বরে পাঠাতে হবে শিক্ষার্থীদের।
উদাহরণ: HSC Dha 123456 2024 লিখে 16222–তে পাঠাতে হবে।
শিক্ষা বোর্ড, শিক্ষা মন্ত্রণালয় বা পত্রিকা অফিসে ফলাফল পাওয়া যাবে না বলে শিক্ষা বোর্ডের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে।
চলতি বছরের এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা শুরু হয়েছিল গত ২৬ জুন। লিখিত পরীক্ষা গত ১৯ আগস্ট শেষ হয়। ব্যবহারিক পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয় ২১ থেকে ৩১ আগস্ট। এবার ১১টি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে ১২ লাখ ৫১ হাজার ১১১ শিক্ষার্থী পরীক্ষা দেন।
৭৪ দিন আগে
উৎসবমুখর পরিবেশে জুলাই সনদে সই হবে, আশা প্রধান উপদেষ্টার
উৎসবমুখর পরিবেশে জুলাই সনদে সই হবে বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
বুধবার (১৫ অক্টোবর) সন্ধ্যায় রাজধানীর ফরেন সার্ভিস অ্যাকাডেমিতে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে জরুরি বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টা এই আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
এ সময় রাজনৈতিক নেতা ও ঐকমত্য কমিশনের সদস্যদের প্রতি ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানিয়ে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘এর মাধ্যমে (জুলাই সনদ) ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের পর পরবর্তী অধ্যায় রচিত হলো। সংস্কারের কথা আমরা বলে যাচ্ছিলাম, কিন্তু আপনার সেই সংস্কার প্রকৃতপক্ষে করে দেখিয়ে দিয়েছেন।’
তিনি বলেন, ‘জুলাই সনদ স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে আমরা গোটা জাতি একটা বড় রকমের উৎসবের মধ্যে শরিক হব। যে কলমগুলো দিয়ে সই করলাম, সেগুলো জাদুঘরে রক্ষিত থাকবে। মানুষ তাদের ভুলতে পারবে না, ইতহাস ভুলতে পারবে না।’
‘এটা (জুলাই সনদ) গোটা জাতির জন্য মস্ত বড় একটা সম্পদ হয়ে রইল। সেজন্য আপনাদের সবাইকে অভিনন্দন।’
৭৪ দিন আগে
মিরপুরে আগুন: শনাক্তের পর মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে
রাজধানীর মিরপুরে রাসায়নিক গুদাম ও পোশাক কারখানায় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে নিহত ১৬ জনের মরদেহ শনাক্তের পর শিগগিরই তাদের পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে বলে জানিয়েছেন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের (ঢামেক) পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান।
বুধবার (১৫ অক্টোবর) গণমাধ্যমকে এসব বলেন তিনি।
আসাদুজ্জামান জানান, যেসব মরদেহ শনাক্ত করা সম্ভব হবে না, সেগুলো কিছুদিন রেখে আঞ্জুমান মফিদুল ইসলামের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
ঢামেক পরিচালক বলেন, নিহতদের মধ্যে ৯ জন পুরুষ ও ৭ জন নারী রয়েছেন। তাদের সবাইকে অগ্নিকাণ্ডের পর হাসপাতালে আনা হয়। মরদেহগুলো আগুনে পুড়ে এমন অবস্থা হয়েছে শনাক্ত করাটা খুব কঠিন। এখন পর্যন্ত ১০ জন দাবি করেছেন, তারা তাদের আত্মীয়-স্বজনকে শনাক্ত করতে পেরেছে। তবে কর্তৃপক্ষ, জেলা প্রশাসক এবং পুলিশ নিশ্চিত না হয়ে তাদের কাছে লাশ হস্তান্তর করতে চাচ্ছেন না।
তিনি জানান, সব মরদেহের ডিএনএ নমুনা সংগ্রহের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। যেসব মরদেহ দাবি করা হয়েছে, শনাক্তের পর তা পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে। আর যেসব মরদেহ দাবি করা হয়নি, সেগুলো কয়েক দিন সংরক্ষণ করে পরে আঞ্জুমান মফিদুল ইসলামের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
আরও পড়ুন: মিরপুরে নিহতদের পরিচয় শনাক্তে ডিএনএ পরীক্ষা লাগবে: ফায়ার সার্ভিস
ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান বলেন, মরদেহ হস্তান্তরের প্রক্রিয়া দ্রুত করতে পুলিশ সহযোগিতা করছে। যেসব মরদেহ দাবি করা হয়েছে, প্রশাসনিক সহায়তায় তা যত দ্রুত সম্ভব পরিবারের কাছে হস্তান্তরের চেষ্টা করা হবে বলে আশ্বাস দেন তিনি।
এর আগে, মঙ্গলবার (১৪ অক্টোবর) বেলা ১১টা ৩০ মিনিটের দিকে মিরপুরের রূপনগর এলাকায় চারতলা আনোয়ার ফ্যাশন গার্মেন্টস কারখানা ও পাশের টিনশেড রাসায়নিক গুদামে আগুন লাগে।
স্থানীয়রা জানান, আগুনটি কারখানার নিচতলা থেকে ছড়িয়ে পড়ে রাসায়নিক গুদামে পৌঁছায়, যেখানে থাকা দাহ্য পদার্থে একাধিক বিস্ফোরণ ঘটে এবং মুহূর্তেই চারতলা ভবনটিতে আগুন ছড়িয়ে পড়ে।
খবর পাওয়ার পর ফায়ার সার্ভিসের প্রথম ইউনিট ১১টা ৫৬ মিনিটে ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। প্রথমে পাঁচ ইউনিট পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করে। পরে আরও সাত ইউনিট যোগ দেয় আগুন নিয়ন্ত্রণে।
ঘটনাস্থলে উৎসুক জনতার ভিড় সামলাতে মোতায়েন করা হয় সেনাবাহিনী। এরপর তাদের সঙ্গে সহায়তায় যোগ দেন পাশে থাকা বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী, স্বেচ্ছাসেবক, পুলিশ, র্যাব ও বিজিবি।
সন্ধ্যা ৭টা ১৫ মিনিটের দিকে উদ্ধারকর্মীরা ঘটনাস্থল থেকে ১৬ জনের দগ্ধ মরদেহ উদ্ধার করেন।
৭৫ দিন আগে