বাংলাদেশ
ডাকসু নির্বাচন: ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ-আগ্নেয়াস্ত্রের বিষয়ে ডিএমপির নির্দেশনা জারি
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচন উপলক্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও আশপাশের এলাকায় যানবাহন চলাচল নিয়ন্ত্রণে বিশেষ নির্দেশনা জারি করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)।
সোমবার (৮ সেপ্টেম্বর) ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলীর সই করা এক গণবিজ্ঞপ্তিতে এই নির্দেশনা জারি করা হয়েছে।
এতে বলা হয়, আগামীকাল ৯ সেপ্টেম্বর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। উক্ত নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে সম্পাদনের নিমিত্তে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এবং পার্শ্ববর্তী এলাকার যানবাহন চলাচল নিয়ন্ত্রণ এবং ডাইভারশন করা হবে।
ট্রাফিক নির্দেশনা অনুযায়ী, শাহবাগ ক্রসিং, হাইকোর্ট ক্রসিং, নীলক্ষেত ক্রসিং, শহীদুল্লাহ হল ক্রসিং ও পলাশী ক্রসিংয়ে ডাইভারশন করা হবে।
ডাকসু নির্বাচন উপলক্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অভিমুখী যানবাহনসমূহকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রবেশ না করে বিকল্প রাস্তা ব্যবহার করার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে। তবে অ্যাম্বুলেন্স ও জরুরি পরিসেবা এই ডাইভারশনের আওতামুক্ত থাকবে।
পড়ুন: ডাকসু নির্বাচন ভন্ডুলের চেষ্টা করলে কঠোর ব্যবস্থা: ডিএমপি কমিশনার
নগরবাসী, যানবাহন চালক ও যাত্রীসাধারণকে উপরোক্ত ক্রসিং সমূহসহ আশপাশের এলাকা/সড়কসমূহ যথাসম্ভব এড়িয়ে চলাচল করতে অনুরোধ করা হয়েছে।
অন্য আরেকটি গণবিজ্ঞপ্তিতে জনশৃঙ্খলা ও নিরাপত্তা রক্ষার স্বার্থে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও সংলগ্ন এলাকায় ৮ সেপ্টেম্বর রাত ৮টা থেকে ১১ সেপ্টেম্বর দুপুর ১২টা পর্যন্ত সকল প্রকার আগ্নেয়াস্ত্র, বিস্ফোরক বহন ও প্রদর্শন নিষিদ্ধ করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ।
১১১ দিন আগে
অবৈধ বালু উত্তোলনে ধ্বংসের মুখে তিস্তার কোটি টাকার স্পার বাঁধ
অবৈধ বালু উত্তোলনে চরম ঝুঁকিতে পড়েছে তিস্তা নদীর তীরে নির্মিত ৫ কোটি টাকার সলেডি স্পার বাঁধ। লালমনিরহাটের আদিতমারী উপজেলার মহিষখোঁচা ইউনিয়নে গোবর্দ্ধন গ্রামের বাঁধের মাত্র একশত গজ ভাটিতে বসানো হয়েছে বালু উত্তোলনের বোমা মেশিন। প্রশাসনের নজর এড়িয়ে দীর্ঘদিন ধরে চলছে এই বাঁধ বিনাশী কার্যক্রম।
জানা গেছে, তিস্তা নদীর ভাঙন রোধে বিগত বিএনপি ও জামায়াত জোট সরকার আমলে ২০০২ সালে ৫ কোটি টাকা ব্যয়ে লালমনিরহাটের আদিতমারী উপজেলার মহিষখোচা ইউনিয়নের গোবর্দ্ধন গ্রামে তিস্তা নদীর বাম তীরে সলেডি স্পার বাঁধ-২ নির্মাণ করে তৎকালীন সরকার। সেই বাঁধের একশত গজ ভাটিতে বোমা মেশিন বসিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বালু উত্তোলন করছে একটি বালু খেকো চক্র।
আর এই চক্রের নেতৃত্বে রয়েছেন আওয়ামী লীগের সাবেক সমাজকল্যাণ মন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদের এপিএস মিজানুর রহমানের ঘনিষ্ট সহযোগী শওকত হোসেন ওরফে বালু শওকত। গত ১১ বছর এপিএস মিজানের তিস্তা নদীর বালু উত্তোলন ও বিক্রির ব্যবসা দেখভাল করতেন তিনি।
মিজান পলাতক হলেও খোলস পাল্টিয়ে ব্যবসা ঠিক রেখেছেন শওকত আলী। তার বাড়ি পলাশী ইউনিয়নের মহিষাশ্বহর গ্রামে। বিগত দিনে এপিএস মিজান ও আওয়ামী ক্ষমতা দেখিয়ে বালু উত্তোলন করে শূন্য থেকে হয়েছেন কোটিপতি।
স্থানীয়দের অভিযোগ, দীর্ঘ দিন ধরে সরকারি কাজের অজুহাত দেখিয়ে তিস্তা নদী থেকে বালু উত্তোলন করে বিক্রি করছেন বালু শওকত। বর্তমানে সরকারি কাজের অজুহাতে বালু তুলছেন শওকত। বোমা মেশিনটি সলেডি স্প্যার বাঁধের প্রায় একশত গজ ভাটিতে নেওয়া হয়েছে। ফলে সেখানে বড় গর্ত হওয়ায় যেকোনো মুহূর্তে ধসে যেতে পারে স্প্যার বাঁধটি। এটি ধসে গেলে শত শত বসতভিটা স্থাপনা ও আবাদি জমি তিস্তার কড়াল গ্রাসে বিধ্বস্ত হবে।
পড়ুন: ফেনীতে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন, বিএনপি নেতাসহ ৭৩ জনের বিরুদ্ধে মামলা
সরেজমিনে দেখা যায়, সলেডি স্প্যার বাঁধের মাত্র একশত গজ ভাটিতে বোমা মেশিন বসিয়ে দক্ষিণে প্রায় পাঁচশত গজ দূরে মজুর বাড়ির পাশে স্তুপ করা হচ্ছে তিস্তা নদীর বালু। কয়েক দিন আগে স্তুপ করা হয় ওই এলাকার রফিজের ছেলে মন্টু মিয়া, মোসলেমের ছেলে মন্টু, নবিয়ারের ছেলে তাজাম্মেল, বজলুর ছেলে রবিউলের বাড়ির পাশেসহ অনেক স্থানে স্তুপ করছে। বালু তোলা শেষ হলে সুযোগ মতো সড়িয়ে নেওয়া হবে ট্রাকে। এমনটাই জানান স্থানীয়রা।
তবে সেখানে কর্মরত একজন শ্রমিক বলেন, শওকতের নির্দেশে বালু তোলা হচ্ছে। তার মেশিন তার তেল আমরা তার হয়ে কাজটা করছি মাত্র। বালু প্রসঙ্গে কিছু জানতে হলে শওকতের সঙ্গে কথা বলার পরামর্শ দেন এ শ্রমিক। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক ব্যক্তি বলেন, আওয়ামী লীগ আমলে এপিএস মিজানের হয়ে কোটি কোটি টাকার বালু উত্তোলন করেছে বালু শওকত। এখন মিজান নেই, ভোল্ট পাল্টিয়ে স্থানীয় অন্য দলের নেতাদের সঙ্গে নিয়ে আগের ব্যবসা ঠিক রেখেছেন শওকত। একই স্থান থেকে প্রতিবছর বালু উত্তোলন করায় বাঁধটি বেশ ঝুঁকিপূর্ণ হয়েছে। বন্যার সময় বাঁধটি কেঁপে উঠে। বালু উত্তোলনের প্রতিবাদ করলে স্থানীয় নেতাদের দিয়ে হয়রানি করে। তাই কেউ প্রতিবাদ করে না।
এসব বিষয়ে শওকত আলী ওরফে বালু শওকত বলেন, সলেডি স্প্যার বাঁধের ভাটিতে প্রায় ১৩ হাজার জিও ব্যাগে বালু ভরাট করার কাজ পেয়েছেন দিনাজপুরের একজন ঠিকাদার। তার হয়ে আমি নদী থেকে বালু উত্তোলন করে কাজ শেষ করেছি। এখন কে বালু উত্তোলন করছে তা আমার জানা নেই।
স্প্যার বাঁধের কাছে বালু মেশিন বসানোর কারণে বাঁধের ক্ষতি হবে কি না? এমন প্রশ্নে তিনি কোনো মন্তব্য করেননি। মূল ঠিকাদারের নাম নম্বর চাইলেও দেননি তিনি।
লালমনিরহাট পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী সুনিল কুমার বলেন, জিও ব্যাগে বালু ভরাট ও ডাম্পিংয়ের কাজ চলমান। বালু স্থানীয়ভাবে ম্যানেজ করার কথা হয়েছে। তবে বাঁধের কাছে মেশিন বসানো ঠিক নয়। বিষয়টি দেখে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
১১১ দিন আগে
জুলাই গণঅভ্যুত্থানে হত্যা মামলার কার্যক্রম সুষ্ঠু ও গতিশীল করতে কমিটি গঠন
জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সময় সারা দেশের চলমান ছাত্র-জনতার আন্দোলন দমনের উদ্দেশ্যে হত্যাসহ সংঘটিত অন্যান্য গুরুতর অপরাধের অভিযোগে দায়ের করা মামলাগুলোর কার্যক্রম সুষ্ঠু ও গতিশীল করতে সাত সদস্যের কমিটি গঠন করেছে আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়। তবে অভিযোগপত্র দাখিল করা মামলাগুলোর (আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে বিচারাধীন) মামলাগুলো কমিটির আওতায় থাকবে না।সাত সদস্য বিশিষ্ট এ কমিটির সভাপতি করা হয়েছে আইন ও বিচার বিভাগের অতিরিক্ত সচিবকে।
সোমবার (৮ সেপ্টেম্বর) এই কমিটি গঠন করা হয়।
কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন- (১) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন প্রতিনিধি (যুগ্মসচিব পদমর্যাদার নিম্নে নয়) (২) বাংলাদেশ পুলিশের একজন প্রতিনিধি (ডিআইজি পদমর্যাদা) (৩) জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের মনোনীত শহীদ পরিবারের একজন সদস্য (৪) আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মনোনীত একজন মানবাধিকার কর্মী, (৫)জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের মনোনীত একজন আইনজীবী এবং (৬) আইন ও বিচার বিভাগের জিপি-পিপি অধিশাখার উপ-সলিসিটর (কমিটির সদস্য-সচিব)।
পড়ুন: দ্রুত ও কম খরচে মামলা নিষ্পত্তির লক্ষ্যে কাজ করছে আইন মন্ত্রণালয়: আসিফ নজরুল
কমিটির কর্মপরিধি নির্ধারণ করা হয়েছে: (ক) কমিটি জুলাই গণ-অভ্যুত্থানকালে দেশব্যাপী চলমান ছাত্র-জনতার আন্দোলন দমনের উদ্দেশ্যে সংঘটিত হত্যাসহ অপরাপর গুরুতর অপরাধের অভিযোগে দায়ের করা মামলার পূর্ণাঙ্গ তালিকা সংগ্রহ করবে (মামলার বর্তমান পর্যায় উল্লেখসহ)। (খ) এরুপ মামলার মধ্যে যেসব মামলার অভিযোগপত্র দাখিল হয়েছে, সেসব মামলায় (আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে বিচারাধীন মামলা ব্যতীত) প্রসিকিউশনের কার্যক্রম পরিচালনায় বিদ্যমান সমস্যা চিহ্নিত করবে (যদি থাকে) এবং উক্ত সমস্যা নিরসনের লক্ষ্যে কমিটি প্রয়োজনীয় সুপারিশ সরকারের নিকট পাঠাবে। (গ) কমিটির কার্যক্রমের অগ্রগতি ভুক্তভোগী পরিবার ও দেশবাসীকে সময়ে সময়ে অবহিত করবে এবং (ঘ) মামলার ভিকটিম ও সাক্ষীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে কমিটি প্রয়োজনীয় সুপারিশ সরকারকে দেবে।
উল্লেখ্য, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে দায়ের করা হত্যার মামলার বিচার সুষ্ঠুভাবে চলমান রয়েছে। সরকার আশা করছে, নবগঠিত কমিটির কার্যকর পদক্ষেপের মাধ্যমে প্রচলিত ফৌজদারি আদালতসমূহেও জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সময় সংঘটিত হত্যাসহ অপরাপর গুরুতর অপরাধের বিচার কার্যক্রম সুষ্ঠু ও গতিশীল হবে।
১১১ দিন আগে
দুর্গাপূজা উপলক্ষে ভারতে ১২০০ টন ইলিশ রপ্তানি করবে সরকার
দুর্গাপূজা উপলক্ষে এক হাজার দুইশ টন ইলিশ শর্তসাপেক্ষে ভারতে রপ্তানির জন্য নীতিগত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে অন্তর্বর্তী সরকার।
সোমবার (৮ সেপ্টেম্বর) বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের রপ্তানি-২ শাখার উপসচিব এস এইচ এম মাগফুরুল হাসান আব্বাসীর সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে ইলিশ মাছ রপ্তানির বিষয়ে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, প্রতিবছরের ন্যায় চলতি ২০২৫ সালে দুর্গাপূজা উপলক্ষে ১,২০০ (এক হাজার দুইশত) ইলিশ ভারতে শর্তসাপেক্ষে রপ্তানির জন্য সরকার নীতিগত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে। সে আলোকে আগ্রহী রপ্তানিকারকদের নিকট হতে আগামী ১১ সেপ্টেম্বর বিকাল ৫টা পর্যন্ত অফিস চলাকালীন সময়ের মধ্যে হার্ড কপিতে আবেদন আহ্বান করা হচ্ছে।
পড়ুন: যুক্তরাষ্ট্র কোনো নির্দিষ্ট রাজনৈতিক দলের পক্ষে নয়: ট্রেসি অ্যান জ্যাকবসন
বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, আবেদনের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠানের হালনাগাদ ট্রেড লাইসেন্স, ইআরসি, আয়কর সার্টিফিকেট, ভ্যাট সার্টিফিকেট, বিক্রয় চুক্তিপত্র, মৎস্য অধিদপ্তরের লাইসেন্সসহ সংশ্লিষ্ট দলিলাদি দাখিল করতে হবে।
সরকার প্রতি কেজি ইলিশের ন্যূনতম রপ্তানি মূল্য ১২ দশমিক ৫ মার্কিন ডলার নির্ধারণ করেছে।
বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের আগেই যারা আবেদন করেছেন, তাদেরকেও নতুনভাবে আবেদন দাখিল করতে হবে বলে জানানো হয়েছে।
১১১ দিন আগে
ডেঙ্গু: আরও দুইজনের মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ৫৭৩
এডিস মশাবাহিত ডেঙ্গুজ্বরে আক্রান্ত হয়ে দেশে আরও দুইজনের মৃত্যু হয়েছে। আর এ সময়ে সারা দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন আরও ৫৭৩ জন রোগী।
রবিবার (৭ সেপ্টেম্বর) সকাল থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় এসব মৃত্যু ও আক্রান্তের রেকর্ড করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৪ সেপ্টেম্বর) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ অ্যান্ড ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুমের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
২৪ ঘণ্টায় ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে একজন ও ময়মনসিংহ বিভাগে একজন মারা গেছেন।
সবচেয়ে বেশি ১৪৩ জন আক্রান্ত হয়েছে ঢাকা বিভাগে। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ আক্রান্ত বরিশাল বিভাগে ১০৪ জন।
পড়ুন: ডেঙ্গু: আরও ৩ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ৩৬৩
নতুন করে আক্রান্তের মধ্যে ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ১৫৩ জন। আর ঢাকার বাইরের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন আরও ৪২০ জন।
বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, চলতি বছর আক্রান্ত হয়ে এখন পর্যন্ত ১৩৭ জনের মৃত্যু হয়েছে, যাদের মধ্যে ৫৪ দশমিক ৭ শতাংশ পুরুষ ও ৪৫ দশমিক ৩ শতাংশ নারী।
এতে আরও জানানো হয়, চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে ৮ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছে মোট ৩৪ হাজার ৯৮৪ জন। এর মধ্যে ৫৯ দশমিক ৯ শতাংশ পুরুষ ও ৪০ দশমিক ১ শতাংশ নারী।
১১১ দিন আগে
নুরের সুস্থ হতে ৪ থেকে ৬ সপ্তাহ লাগতে পারে: ঢামেক পরিচালক
গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুরের সুস্থ হতে আরও চার থেকে ছয় সপ্তাহ সময় লাগতে পারে এবং পরিবার চাইলে আগামী কয়েক দিন পর তাকে বাসায় নিয়ে যেতেও পারে বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান।
সোমবার(৮ সেপ্টেম্বর) দুপুরে ঢামেক হাসপাতালে নিজ কার্যালয়ে নুরুল হক নুরের সর্বশেষ শারীরিক অবস্থা নিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ কথা বলেন তিনি।
পরিচালক বলেন, গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুরের সুস্থ হতে আরও চার থেকে ছয় সপ্তাহ সময় লাগতে পারে এবং চাইলে আগামী কয়েক দিন পর পরিবারের সদস্যরা তাকে বাড়ি নিয়ে যেতে পারেন।
তিনি বলেন, গত ২৯ আগস্ট আমাদের এখানে আহত অবস্থায় নিয়ে আসলে জরুরি বিভাগের অনস্টপ ইমার্জেন্সি সেন্টার (ওসেক) তাকে ভর্তি করা হয়। সেখান থেকে রাতেই তাকে আইসিউতে নিয়ে যাওয়া হয়। অবস্থার উন্নতি হলে তাকে আইসিইউ থেকে শিফট করা হয়।
পড়ুন: হত্যার উদ্দেশ্যেই নুরকে আঘাত করা হয়: মির্জা ফখরুল
তিনি আরও বলেন, নুরুল হক নুরের চিকিৎসায় ৬ সদস্যের মেডিকেল বোর্ড গঠন করা হয়েছিল। নুরের নাকে হাড় ভাঙার কারণে মাঝে মাঝে রক্তপাত হচ্ছে। লোক যখন একটি হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য যায় তখন তার দুই নাকে প্যাক দেওয়া ছিল যাতে তার রক্তপাত বন্ধ হয়ে যায়। পরে সেটি আমরা খুলে দেই। পরে আবার সেখান থেকে রক্ত দেখা যায় এটা মাঝেমধ্যেই আসতে পারে যেহেতু সেখানে একটি রস সারফেস রয়েছে। মাঝেমধ্যে হাসি বা কাশি দিলে রক্ত আসতে পারে কিন্তু সেটা নিয়ে চিন্তিত হওয়ার কিছু নেই। তার নাকের হাড় ভাঙলেও তার স্ট্রাকচার চেঞ্জ হয়নি। নূরের আরেকটি ফ্রাকচার ছিল ম্যাক্সিলাতে। সেটা ইনকমপ্লিট ফ্রাকচার না লিনিয়ার ফ্রাকচার এটাও কিন্তু ডিসপ্লেস না। এটাও ঠিক হতে চার থেকে ছয় সপ্তাহ লাগবে।
নুরের চোখের সম্যার বিষয়ে তিনি বলেন, চোখের পাশে যেকোনো ধরনের আঘাত লাগলে সেখানে রক্ত জমাট বাঁধে। চোখের নিচে যে রক্ত জমাট ছিল সেই জমাটটি আর এখন দেখা যাচ্ছে না। পুরোপুরি ঠিক হয়ে গেছে।
তার মাথার আঘাতের বিষয়ে হাসপাতাল পরিচালক বলেন, তার মাথায় যে আঘাত ছিল সেটি ছিল খুবই মাইনর। তিনি আইসিইউতে থাকতে আমরা একটি সিটি স্ক্যান করাই। সেখানে যে অল্প পরিমাণ রক্ত জমা ছিল সেটি এবজর্ভ হয়ে গেছে। এখন তিনি স্থিতিশীল আছেন এবং গ্রাজুয়েলি তার উন্নতি হচ্ছে।
পরিচালক আরও জানান, আজকে আমি দেখে আসলাম তার একটু ঠান্ডা এবং সঙ্গে জ্বর রয়েছে। তার বর্তমানে একশোর মতো জ্বর রয়েছে। গতকাল পর্যন্ত তার জ্বর ছিল না আমরা বিশেষজ্ঞকে ডেকে এনে তাকে দেখানো হয়েছে। এটা সিজনাল জ্বরও হতে পারে এখন ডেঙ্গুর সিজন ডেঙ্গু হতে পারে কিছু পরীক্ষা দিয়ে গেছেন সেটি করালে জানতে পারব।
গণঅধিকার পরিষদ থেকে যে অভিযোগটি করা হচ্ছে মাথায় আঘাতের কারণে নুরের শর্ট মেমরি লস হচ্ছে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে পরিচালক বলেন, এই ধরনের আঘাতের কারণে শর্ট মেমোরি লস হওয়ার কোনো সম্ভাবনা নেই।
নুরুল হক নুরকে বিদেশে নিয়ে চিকিৎসা করানোর বিষয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে পরিচালক বলেন, নুরের পরিবার চাইলে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে দেশের বাইরে নিতে পারে।
১১২ দিন আগে
জাকসু নির্বাচন: বাগছাসের জিএস প্রার্থী সিয়ামের বিরুদ্ধে আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জাকসু) নির্বাচনকে সামনে রেখে নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন করে প্রচারণা চালাচ্ছেন বাগছাস সমর্থিত 'শিক্ষার্থী ঐক্য ফোরাম' প্যানেলের জিএস প্রার্থী আবু তৌহিদ মোহাম্মদ সিয়াম।
রবিবার (৭ সেপ্টেম্বর) রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম হলের গেস্ট রুমে সিয়াম প্রায় ৪০ থেকে ৫০ জন শিক্ষার্থীকে নিয়ে মিটিং করেছেন বলে নিশ্চিত করেছেন ওই হলের একাধিক শিক্ষার্থী।
শিক্ষার্থীরা জানান, জিএস প্রার্থী আবু তৌহিদ মোহাম্মদ সিয়াম হলের গেস্টরুমের দরজা বন্ধ করে প্রায় ৪০ থেকে ৫০ জনের অধিক ভোটারের উপস্থিতিতে ভোট চাচ্ছেন, নির্বাচনী ক্যাম্পেইন করছেন।
এদিকে নির্বাচনী আচরনবিধির ৭(খ) ধারায় বলা হয়েছে, নির্বাচনী প্রচারণার উদ্দেশ্যে নির্বাচন কমিশনের অনুমতি ব্যতিত ২৫ জনের অধিক মানুষের একসঙ্গে জমায়েত হওয়া যাবে না।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে, নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আবাসিক হলটির এক নিরাপত্তারক্ষী জানান, গতকাল রাতে গেস্টরুমে কিছু মামা একত্রিত হয়ে মিটিং করতেছিল। পরে তারা রাস্তায় গিয়েও হট্টগোলের মতো অবস্থার সৃষ্টি করেছিল।
জাকসু নির্বাচনকে সামনে রেখে হলগুলোতে নিয়মিত এ ধরণের বিব্রতকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয় বলে অভিযোগ করেছেন শিক্ষার্থীরা। নির্বাচনের দুইদিন পরেই পরীক্ষা শুরু হবে কিছু ডিপার্টমেন্টে। তাই এসব কোলাহলে তাদের পড়াশোনারও ক্ষতি হচ্ছে বলে জানিয়েছেন একাধিক শিক্ষার্থী।
পড়ুন: প্রতিশ্রুতি নয়, পরিবর্তনে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ: জাকসুর ভিপি প্রার্থী শেখ সাদী
হলের আবাসিক শিক্ষার্থী তুহিন মিয়া বলেন, গতকাল রাতে আমরা দেখেছি সিয়াম হলের গেস্টরুমে প্রায় অর্ধশতাধিক শিক্ষার্থীদের নিয়ে মিটিং করছেন। এতে করে হট্টগোলের সৃষ্টি হয়েছিল ওই এলাকায়। মিটিং শেষে হলের সামনের রাস্তায় গিয়েও তারা ভীড় জমায়। এটা যদি নির্বচনী আচরণবিধির বিরুদ্ধে যায়—তাহলে প্রশাসনকে ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধ জানাই।
এদিকে বিষয়টি মিথ্যা দাবি করে আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের এক শিক্ষার্থী জানান, সিয়াম ভাই আমাদের ডিপার্টমেন্টের সবাইকে ডেকেছিলেন তাই আমরা এখানে আসছি এবং নির্বাচন নিয়ে মিটিং করেছি।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে তৌহিদ সিয়াম বলেন, ‘কাজী নজরুল হলে আমরা কোনো প্রোগ্রাম করিনি। আমি কয়েকজন সহ সেই হলে প্রচারণা চালাতে গিয়েছিলাম পরে গেস্টরুমে কিছু শিক্ষার্থী ডাকলে তাদের সঙ্গে গিয়ে কথা বলি।
আচরণবিধি লঙ্ঘনের বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেওয়া হবে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ও জাকসু নির্বাচন কমিশনের সদস্য সচিব অধ্যাপক একেএম রাশিদুল আলম বলেন, আমরা মাঝে মধ্যে ক্যাম্পাসে তদারকি করি যে এমন কোনো ঘটনা ঘটছে কিনা। তখন সঙ্গে সঙ্গেই ব্যবস্থা নিয়ে থাকি কিন্তু আমাদের নজরে না আসলে আমরা অভিযোগপত্র গ্রহণ সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেই।
তিনি আরও বলেন, আমাদের কাছে এখনো কোনো অভিযোগ আসেনি। তবে অভিযোগ আসলে আমরা বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা গ্রহণ করব।
১১২ দিন আগে
দুর্গাপূজায় অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা এড়াতে চালু হচ্ছে অ্যাপ: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
পূজা মণ্ডপে যেকোনো ধরনের অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা এড়াতে একটি অ্যাপ চালু করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
তিনি বলেন, কোনো পূজা মন্ডপে কোনো অপ্রীতিকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হলে এই অ্যাপের মাধ্যমে তা সেখানে থাকা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা সচিত্র জানিয়ে দেবেন। এর ভিত্তিতে দ্রুত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পদক্ষেপ নেবেন শীর্ষ কর্মকর্তারা।
সোমবার (৮ সেপ্টেম্বর) সচিবালয়ে শারদীয় দুর্গাপূজা উদযাপন উপলক্ষে নিরাপত্তা ও আইনশৃঙ্খলা বিষয়ক সভা শেষে উপদেষ্টা এই অ্যাপ চালুর কথা জানান।
উপদেষ্টা বলেন, 'সনাতন ধর্মাবলম্বী ভাইয়েরা প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, এটি (দুর্গাপূজা) খুবই ভালোভাবে হবে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষার্থে তাদের যে একটি বড় ভূমিকা হলো, তারা পুরো সময়টা দেখার জন্য দিনে তিনজন রাতে চারজন লোক দিবেন যাতে মণ্ডপটা ২৪ ঘণ্টা পুরো অবজারভেশনে থাকে। আমাদের আনসার সদস্য এবং সদস্যাও থাকবেন। তারাও পর্যবেক্ষণ করবে যাতে কোথাও যাতে কোনো ধরনের সমস্যা না হয়।'
তিনি বলেন, 'আমরা একটা নতুন অ্যাপও তৈরি করে দিয়েছি। কোথাও যদি কোনো ধরনের ঘটনা ঘটে, তবে এটা তার সত্যতা আছে কিনা সেটা চেক করা যাবে। একইসঙ্গে ঘটনা যে ঘটেছে সেটির প্রতিকার যাতে সঙ্গে সঙ্গে নেওয়া যায়, সেটার ব্যবস্থা করা হয়েছে।'
বৈঠকে থাকা একাধিক কর্মকর্তা জানান, মূলত মণ্ডপগুলোতে আইনশৃঙ্খলার দায়িত্বে থাকা সদস্যদের অ্যাপে প্রবেশের ক্ষমতা থাকবে। কোনো ঘটনা ঘটলে তারা অ্যাপে প্রবেশ করে তাৎক্ষণিক ছবি এবং ভিডিওর মাধ্যমে তা ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের জানিয়ে দেবেন। তাদের সে ছবি ও ভিডিও তৎক্ষণাৎ শীর্ষ কর্মকর্তাদের কাছে চলে যাবে। তারা দ্রুত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে উদ্যোগ নেবেন।
পড়ুন: পূজায় মদ-গাঁজার আসর বসানো যাবে না : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, 'পূজা উপলক্ষে আশেপাশের যে মেলা বসে সেখানে গাজার আড্ডা বসে, মদের আড্ডা বসে- সেগুলো কিন্তু এবার কোনো অবস্থায় হতে পারবে না। এবার কোনো মেলা হবে না। তবে ছোটখাটো দুই একটা দোকান থাকতে পারে। কমিটির কাছ থেকে অনুমতি নিয়ে ওই দোকানগুলো স্থাপন করতে পারবে।'
আপনারা বলেছেন যারা নির্বাচন অংশ নিতে পারবে না তারা নাশকতা করার চেষ্টা করছে। তারা পূজাটাকে উপলক্ষ হিসেবে নেবে কিনা- এ বিষয় দৃষ্টি আকর্ষণ করলে উপদেষ্টা বলেন, 'যারা দুষ্কৃতিকারী তারা সব জায়গায় দুষ্কর্ম করার চেষ্টা করে। এটা শুধু পূজা নয় সব জায়গায় করার চেষ্টা করবে। এটা প্রতিহত করার দায়িত্ব হলো আমাদের, আপনাদের, আমাদের সবার। আমরা সবাই মিলে এটি প্রতিহত করব।'
পূজার আগে প্রতিমা বানানোর সময় অনেক সময় ভাঙচুর হয়। সেই ব্যাপারে কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে কিনা- জানতে চাইলে উপদেষ্টা বলেন, 'আমাদের প্রিভেনটিভ (প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা) তো শুরু হয়ে গেছে।'
নাশকতা কারা করবে- জানতে চাইলে তিনি বলেন, 'আপনারা তো বললেন যে দুষ্কৃতিকারীরা করতে পারে। তাদের আমরা আইনের আওতায় নিয়ে আসছি। দুষ্কৃতিকারীদের তো কোনো দল-মত নেই।'
১১২ দিন আগে
পূজায় মদ-গাঁজার আসর বসানো যাবে না : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
আসন্ন শারদীয় দুর্গা পূজায় মদ-গাঁজার আসর বসানো যাবে না বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
সোমবার (০৮ সেপ্টেম্বর) শারদীয় দুর্গা পূজা উপলক্ষ্যে আয়োজিত প্রস্তুতি সভার আলোচনা শেষে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, পূজামণ্ডপগুলোতে টানা ২৪ ঘণ্টা নজরদারি থাকবে এবং নিরাপত্তার জন্য পর্যাপ্ত সংখ্যক আনসার সদস্য মোতায়েন করা হবে। পূজা উপলক্ষে বসা মেলায় কোনোভাবেই মদ-গাঁজার আসর চালানো যাবে না।
তিনি আরও বলেন, সীমান্ত এলাকায় পূজামণ্ডপগুলোর নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করবে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। তবে সারাদেশের প্রতিটি মণ্ডপেই আনসার মোতায়েন থাকবে।
আরও পড়ুন: আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি কিছুটা খারাপ হয়েছে, স্বীকার করলেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী জানান, ঢাকায় প্রতিমা বিসর্জনের ক্ষেত্রে একটি নির্দিষ্ট লাইনের মাধ্যমে শৃঙ্খলা বজায় রাখতে হবে। কার পর কে বিসর্জন দেবে তার ধারাবাহিকতা থাকতে হবে।
উপদেষ্টা বলেন, এ বছর সারাদেশে প্রায় ৩৩ হাজার পূজামণ্ডপ রয়েছে। পূজা আয়োজন কমিটি কোনো ধরনের উদ্বেগ প্রকাশ করেনি। গতবার শান্তিপূর্ণভাবে পূজা উদযাপন করা হয়েছিল। এবার আরও শান্তিপূর্ণভাবে পূজা উদযাপন করা হবে বলে আশ্বাস দিয়েছেন তিনি।
১১২ দিন আগে
জাকসু নির্বাচন স্থগিত চেয়ে হাইকোর্টে রিট
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় (জাবি) কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (জাকসু) নির্বাচন স্থগিত চেয়ে হাইকোর্টে রিট আবেদন করেছেন সহ-সভাপতি (ভিপি) পদ থেকে বাদ পড়া প্রার্থী অমর্ত্য রায় জন।
সোমবার (৮ সেপ্টেম্বর) হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় তিনি এই রিটটি দায়ের করেন।
অমর্ত্য রায় জন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী। তাকে অন্যায়ভাবে নির্বাচন থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন তিনি। তবে জাকসুর গঠনতন্ত্র অনুযায়ী, কোনো অনিয়মিত শিক্ষার্থী ভোটার হতে পারে না।
এর আগে রোববার (৭ সেপ্টেম্বর) অমর্ত্য রায়ের প্রার্থিতা ফিরে পেতে জাবির ভিসি, রেজিস্ট্রার ও জাকসু নির্বাচনের প্রধান কমিশনারকে লিগ্যাল নোটিশ পাঠানো হয়।
দীর্ঘ ৩৩ বছর পর আগামী ১১ সেপ্টেম্বর জাকসু ও হল সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। এই নির্বাচনে মোট ২৫টি পদের বিপরীতে ১৭৯ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এর মধ্যে সহ-সভাপতি (ভিপি) পদে ১০ জন এবং সাধারণ সম্পাদক (জিএস) পদে ৯ জন প্রার্থী রয়েছেন।
নির্বাচনকে ঘিরে বিশ্ববিদ্যালয়ে ইতোমধ্যে বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন ৭টি প্যানেল ঘোষণা করেছে।
আরও পড়ুন: জাকসু নির্বাচনে ছাত্রদল মনোনীত প্যানেলের ৮ দফা ইশতেহার ঘোষণা
এর মধ্যে ছাত্রদল সমর্থিত প্যানেল, গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদ সমর্থিত ‘শিক্ষার্থী ঐক্য ফোরাম’ , বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক আবদুর রশিদ জিতুর নেতৃত্বে ‘স্বতন্ত্র শিক্ষার্থী সম্মিলন’, বামপন্থি সংগঠনগুলোর ‘সম্প্রীতির ঐক্য’ এবং ছাত্রশিবির-সমর্থিত ‘সমন্বিত শিক্ষার্থী জোট’ প্যানেলের মধ্যে মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতা হতে পারে বলে মনে করছেন শিক্ষার্থীরা।
এ ছাড়া, বামপন্থি সংগঠনগুলোর অপর অংশের ‘সংশপ্তক পর্ষদ’ নামে ৫ সদস্যের আংশিক প্যানেল ও জাহাঙ্গীরনগর সাংস্কৃতিক জোটের একাংশের মুখপাত্র মাহফুজ ইসলামের নেতৃত্বে ৮ সদস্যের ‘স্বতন্ত্র অঙ্গীকার পরিষদ’ নামে আরেকটি আংশিক প্যানেল রয়েছে। স্বতন্ত্র হিসেবেও অনেক প্রার্থী লড়ছেন।
গত ১ সেপ্টেম্বর এক রিট আবেদনের শুনানি শেষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে স্থগিতাদেশ দিয়েছিলেন হাইকোর্ট। তবে সেদিনই হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত চেয়ে আপিল বিভাগে আবেদন করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। পরবর্তীতে এ বিষয়ে শুনানির পর হাইকোর্টের দেওয়া আদেশ স্থগিত করেন আপিল বিভাগ। ফলে আগামীকাল (মঙ্গলবার) পূর্বনির্ধারিত তারিখেই অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচন।
১১২ দিন আগে