বাংলাদেশ
প্রতিশ্রুতি নয়, পরিবর্তনে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ: জাকসুর ভিপি প্রার্থী শেখ সাদী
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) দরজায় কড়া নাড়ছে কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জাকসু) নির্বাচন। দিন যতই ঘনিয়ে আসছে প্রার্থীদের তৎপরতা যেন ততই বৃদ্ধি পাচ্ছে। প্রার্থীরা যাচ্ছেন ভোটারদের দ্বারে দ্বারে, প্রতিশ্রুতি দিয়ে চাচ্ছেন ভোট।
এসব প্রতিশ্রুতি, প্যানেল গঠন ও নির্বাচনের সার্বিক বিষয় নিয়ে কথা বলেছেন তিন সহ-সভাপতি (ভিপি) পদপ্রার্থী শেখ সাদী (ছাত্রদল), আরিফুজ্জামান উজ্জল (বাগছাস), আরিফ উল্লাহ (ছাত্রশিবির)। তিনজন প্রার্থীকে নিয়ে তিন পর্বের প্রতিবেদনের আজ থাকছে প্রথম পর্ব।
শেখ সাদীর বাবার নাম আবু বক্কর সিদ্দিক এবং মা শেফালী বেগম। তিনি গাইবান্ধা জেলার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার বড়দহ হরিরামপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি নাকাইহাট বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি এবং নাকাইহাট কলেজ থেকে এইচএসসি সম্পন্ন করেন। শেখ সাদী হাসান জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের ২০১৮-১৯ সেশনের শিক্ষার্থী।
জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে তিনি অন্যতম অগ্রনায়ক হিসাবে কাজ করেছেন। ছোটবেলা থেকেই ছাত্রদলের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত আছেন শেখ সাদী। দলকে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়ে সম্মানের শিখরে নিয়ে যেতে চান বলে নিজের মনোভাব ব্যক্ত করেছেন তিনি। সেই সঙ্গে প্রতিশ্রুতি নয়, বরং তারা পরিবর্তনে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ বলে মন্তব্য করেছেন তিনি।
এবারের জাকসু নির্বাচনে ছাত্রদল সমর্থিত প্যানেল থেকে ভিপি প্রার্থী হিসাবে মনোনীত সাদী বলেন, এবারের জাকসু নির্বাচনে আমরা ভালো ফলাফল আশা করছি। বিগত দিনগুলোর মতো শিক্ষার্থীদের কল্যাণে কাজ করবে ছাত্রদল। সেইসঙ্গে নব্বইয়ের গৌরব ধরে রাখবে বলেও আশ্বাস দেন তিনি।
দলীয় প্যানেল নির্বাচনে কোন কোন বিষয় গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আমাদের প্যানেলে একটি পদের জন্য একাধিক করে যোগ্য প্রার্থী ছিল। ফলে আমরা সময় নিয়ে অভ্যন্তরীণ ভোটাভোটির মাধ্যমে সৎ, যোগ্য, মেধাবী ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের অধিকার আদায়ে যারা সব সময় সোচ্চার ছিলো এবং সামনের সারিতে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছে এমন শিক্ষার্থীদের নিয়ে আমাদের প্যানেল গঠন করা হয়েছে।’
নির্বাচনী ব্যয় নির্বাহের জন্য দলীয় কোনো উৎস থেকে অর্থ বরাদ্দ পেয়েছেন কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে বলেন, ‘আমরা এ নির্বাচনের জন্য কোনো ধরনের অর্থ বরাদ্দ পাইনি। বিশ্ববিদ্যালয় নির্বাচন কমিশনের প্রণীত নীতিমালায় যে অর্থ নির্ধারণ করা হয়েছে, সে অনুযায়ী নিজেরাই নির্বাচনী ব্যয় বহন করছি।’
সাধারণ শিক্ষার্থীরা কেন তাদের ভোট দেবে এমন প্রশ্নের জবাবে সাদী বলেন, আমরা বিগত ফ্যাসিস্ট আমলে ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থীবান্ধব কোনো কাজ করার সুযোগ পাইনি। কিন্তু খুনি হাসিনার পতন পরবর্তী সময়ে আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ে বেশ কিছু শিক্ষার্থীবান্ধব কাজ করেছি। এর মধ্যে অন্যতম হলো— আমরা ক্যাম্পাসের শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিত করতে প্রায় ৫ হাজারের বেশি শিক্ষার্থীদের ফ্রী ‘হেপাটাইটিস বি’ ভ্যাকসিনেশন প্রোগ্রামের আওতায় এনেছি।
এই কাজ বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বা সরকারের করা উচিত থাকলেও সেটি জাবি ছাত্রদল একক সংগঠন হিসেবে করেছে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
আরও পড়ুন: জাকসু নির্বাচনে ছাত্রদল মনোনীত প্যানেলের ৮ দফা ইশতেহার ঘোষণা
এ ছাড়াও শিক্ষার্থীদের মানসিক স্বাস্থ্য বিকাশের জন্য মেয়েদের নাইট টুর্নামেন্ট আয়োজন, দুর্ঘটনা এড়াতে ক্যাম্পাসের বিভিন্ন পয়েন্টে গতিসীমা বিলবোর্ড লাগানোসহ প্রাণ-প্রকৃতি রক্ষার্থে গাছে গাছ পাখিদের আবাসস্থল স্থাপন করেছেন বলে জানান সাদী।
এর বাইরেও বিভিন্ন অধিকার আদায়ের আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে থাকার দাবি করেন। এ বিষয়গুলো অবশ্যই বিবেচনায় নিয়ে শিক্ষার্থীরা তাদের সমর্থন করবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।
প্রচারণায় শিক্ষার্থীদের সাড়া পাওয়া নিয়ে তিনি জানান, আমরা নির্বাচনী প্রচারণার অংশ হিসেবে যখন শিক্ষার্থীদের কাছে যাচ্ছি, তখন তাদের কাছ থেকে আমরা অভাবনীয় সাড়া পাচ্ছি। বিভিন্ন আন্দোলন সংগ্রামে আমাদের সবর উপস্থিতি থাকায় শিক্ষার্থীদের অধিকাংশই আমাদের জানেন, এমনকি আমাদের ভোট দেওয়ার প্রতিশ্রুতিও দিচ্ছেন।
প্রচারণা চালাতে গিয়ে কোনো বাধার সম্মুখীন হচ্ছেন কি না এর জবাবে তিনি বলেন, ‘এখন পর্যন্ত কোনো বাধার সম্মুখীন হয়নি। আমাদের অনুষদ ও বিভাগগুলোতে নিয়ম করে প্রচারণা চালাচ্ছি। ভালো সাড়া পাচ্ছি, সবাই সবার জায়গা থেকে আমাদের সহযোগিতা করছেন। আমাদের সিনিয়ররাও সাধ্যমতো সহযোগিতা করছেন। আশা করি আমরা শেষ পর্যন্ত এমন একটি সুন্দর ও সুষ্ঠু পরিবেশ পাবো এবং প্রশাসন একটা লেবেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত করবেন এমনটাই বিশ্বাস রাখি।’
ক্যাম্পাসের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘ক্যাম্পাসে নিরাপত্তা সন্তোষজনক। এখন পর্যন্ত কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। আমাদের জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় এই দিক থেকে অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আলাদা। এখানে কোনো ঝামেলা নেই। এখানে আমরা সব দলের প্রার্থীরা সৌহার্দপূর্ণ পরিবেশে প্রচারণা চালাচ্ছি। আর নির্দিষ্ট একটা গন্ডির মধ্যে হওয়ায় বহিরাগত প্রবেশের সুযোগও কম। তবে ছুটির দিনগুলোতে কিছু লোক ঘুরতে আসে, এই ব্যাপারে প্রশাসনকে আরও গুরুত্ব দেওয়া উচিত বলে মনে করি।’
নির্বাচিত হলে শিক্ষার্থীদের জন্য কি কি কাজ করবেন এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, নির্বাচিত হলে সবার আগে আমি তিনটি কাজ করব। প্রথমত, শিক্ষার্থীদের মৌলিক সমস্যা (খাবারের মান, স্বাস্থ্য সেবা, যাতায়াতসহ এ ধরণের সকল সমস্যা) সমাধানে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করব। দ্বিতীয়ত, শিক্ষা ও গবেষণায় কাঠামোগত মান উন্নয়ন। তৃতীয়ত, অংশগ্রহণমূলক প্রশাসন নিশ্চিত করা।
সাদী আরও বলেন, ‘জাকসুর ধারাবাহিকতা রক্ষা করার জন্য জাকসু সেল ও শিক্ষার্থীদের যে কোনো সমস্যা দ্রুত সমাধানের জন্য আলাদা শিক্ষার্থী সেল গঠন করব। এমনকি শিক্ষার্থীদের পড়াশোনার শেষের দিকে ক্যারিয়ার কেন্দ্রীক বিভিন্ন সেমিনারের আয়োজন করব, যাতে তারা হতাশাগ্রস্ত না হয়ে পড়েন।’
উল্লেখ্য, দীর্ঘ ৩৩ বছর পর আগামী ১১ সেপ্টেম্বর জাকসু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে বলে নিশ্চিত করেছেন জাকসু নির্বাচন কমিশনার।
১১২ দিন আগে
পল্লী বিদ্যুৎ কর্মীদের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে কাজে ফিরতে নির্দেশ
চলমান আন্দোলনের অংশ হিসেবে কর্মস্থলে অনুপস্থিত থাকা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে কাজে ফিরে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছে সরকার।
রবিবার (৭ সেপ্টেম্বর) বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে এই সতর্কবার্তা জানানো হয়।
এতে বলা হয়েছে, নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ অত্যাবশ্যক পরিষেবা। এ সেবায় বাধা দেওয়া বা বিঘ্ন ঘটানো অত্যাবশ্যক পরিষেবা আইন অনুযায়ী শাস্তিযোগ্য অপরাধ।
সরকার পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কর্মীদের দাবিসমূহ সমাধানে সক্রিয়ভাবে কাজ করছে এবং বিষয়টিকে অত্যন্ত গুরুত্বসহকারে বিবেচনা করছে বলেও বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: মাগুরা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির ৪৬৯ জন কর্মকর্তা-কর্মচারী গণছুটিতে
মন্ত্রণালয় আরও জানিয়েছে, পল্লী এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ কাজে নিয়োজিত এবং গণছুটির নামে অনুপস্থিত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে কর্মস্থলে ফেরার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। নাহলে তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার কথা উল্লেখ করা হয়েছে।
এর আগে, শনিবার (৬ সেপ্টেম্বর) সংবাদ সম্মেলন এসে দাবি আদায়ে রোববার থেকে গণছুটিসহ বিভিন্ন কর্মসূচি ঘোষণা করেন আন্দোলনকারীরা।
১১২ দিন আগে
ডাকসু নির্বাচন: কেন্দ্রের সামনে বসছে এলইডি স্ক্রিন, দেখানো হবে ভোট গণনা
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচনকে স্বচ্ছ করতে নতুন উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। প্রতিটি ভোটকেন্দ্রের বাইরে এলইডি স্ক্রিনে ভোট গণনা সরাসরি দেখানো হবে বলে জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন।
রোববার (৭ সেপ্টেম্বর) রাতে ডাকসু ভোটের প্রধান রিটার্নিং কর্মকর্তার সই করা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ তথ্য জানানো হয়।
এদিকে, উৎসবমুখর পরিবেশে শেষ হয়েছে প্রার্থীদের প্রচারণা। গতকাল ছিল প্রচারণার শেষ দিন। আচরণবিধির ৪(খ) ধারা অনুযায়ী, ৭ সেপ্টেম্বর রাত ১১টার পর থেকে সব ধরনের প্রচারণা বন্ধ থাকবে।
আরও পড়ুন: ডাকসু নির্বাচনের দিন চক্রাকারে চলবে শাটল সার্ভিস, রুটম্যাপ প্রকাশ
অন্য একটি বিজ্ঞপ্তিতে নির্বাচন কমিশন বলেছে, ডাকসু ও হল সংসদ নির্বাচনে ভোটাররা ব্যাগ, মোবাইল ফোন, স্মার্ট ওয়াচ, যেকোনো ধরনের ইলেকট্রনিক ডিভাইস, পানির বোতল ও তরল কোনো পদার্থ নিয়ে ভোটকেন্দ্রে প্রবেশ করতে পারবেন না।
গণমাধ্যমের জন্য দেওয়া নির্দেশনায় বলা হয়েছে, ভোটের দিন (৯ সেপ্টেম্বর) সকাল সাড়ে ৭টার দিকে খালি ব্যালট বাক্স সিলগালা করা হবে সংবাদমাধ্যমকর্মীদের সামনে।
এ সময় কেন্দ্রগুলোতে উপস্থিত থাকতে সাংবাদিকদের আমন্ত্রণ জানিয়েছেন প্রধান রিটার্নিং কর্মকর্তা।
মঙ্গলবার (৯ সেপ্টেম্বর) সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের আটটি কেন্দ্রে ডাকসু এবং হল সংসদে শিক্ষার্থীদের ভোটগ্রহণ করা হবে।
১১২ দিন আগে
ঢামেকের তৃতীয় তলার ছাদের পলেস্তারা খুলে রোগী আহত
ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের নাক, কান, গলা (ইএনটি) বিভাগের ৩০৩ নম্বর ওয়ার্ডের ছাদের একাংশের পলেস্তারা খসে পড়ে এক রোগীর আহত হয়েছেন।
আহত ওই রোগীর নাম সালমা বেগম (৩৮)। তিনি নাক কান গলা বিভাগের ৩০৩ নাম্বার ওয়ার্ডে ভর্তি আছেন।
রবিবার (৭ সেপ্টেম্বর) সকাল ৯টার দিকে এই ঘটনা ঘটে।
আহত নারী সালমা বেগম জানান, আমার কানের পর্দা ফেটে গেলে গত মঙ্গলবার দুই সেপ্টেম্বর নাক কান গলা বিভাগের ৩০৩ নম্বর ওয়ার্ডে ভর্তি হই। ওই ওয়ার্ডের সিট না থাকায় আমি বারান্দায় পাটি বিছিয়ে চিকিৎসা সেবা নিচ্ছিলাম। আজ সকালে হঠাৎ আমার উপরে উপরে ছাদের কলেজ তারা খুলে পড়ে। এতে আমার ডান পায়ে প্রচণ্ড ব্যথা পাই। আমাদের বাসা চকবাজার থানার নাজিম উদ্দিন রোড এলাকায়।
নাম প্রকাশ্যে অনিচ্ছুক এক চিকিৎসক জানান, সকালে আমি ডিউটিতে এসে দেখি হঠাৎ করে উপর থেকে ছাদের পলেস্তারা ভেঙে রোগীর উপর পড়েছে। ওই রোগীর পায়ে অনেক ব্যথা পেয়েছে। এই ভবনটি ১৯৪৬ সালের তৈরি করা অনেক পুরাতন হয়ে গেছে এর আগেও এই ওয়ার্ডে রোগীর উপরে পলেস্তারা ভেঙে পড়ে রোগী আহতের ঘটনা ঘটেছিল।
এই বিষয়ে জানতে চাইলে কেবিন ব্লকের ওয়ার্ড মাস্টার আব্দুল গফুর বলেন, ৩০৩ নম্বর ওয়ার্ডের নাক কান গলা বিভাগের ছাদের পলেস্তারা খুলে পড়ে গেছে সে বিষয়টি আমার জানা নেই। কোন রোগী আহত হয়েছে কিনা সে বিষয়টিও আমার জানা নাই।
ঘটনার বিষয়ে জানতে চাইলে একাধিকবার মুঠো ফোনে ফোন দিলেও হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোঃ আসাদুজ্জামান ফোন ধরেননি। পরে তাকে মেসেজ দেয়া হলেও তিনি কোন উত্তর দেননি।
১১২ দিন আগে
অবৈধ বাসস্ট্যান্ড সরানোর দাবিতে জবি শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের পদযাত্রা
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) ক্যাম্পাস সংলগ্ন এলাকা থেকে রায়সাহেব বাজার পর্যন্ত অবৈধ বাসস্ট্যান্ড অপসারণের দাবিতে পদযাত্রা কর্মসূচি পালন করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।
রবিবার (৭ সেপ্টেম্বর) দুপুর ১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শান্ত চত্বর থেকে পদযাত্রা শুরু হয়ে ক্যাম্পাস প্রদক্ষিণ করে মূল ফটক অতিক্রম করে রায়সাহেব বাজারে গিয়ে অবস্থান নেয়।
সেখানে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে শিক্ষার্থীদের দাবির সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা একাত্মতা প্রকাশ করে পদযাত্রায় অংশ নেন।
পদযাত্রায় শিক্ষার্থীরা ‘ওয়ান টু থ্রি ফোর, বাসস্ট্যান্ড নো মোর’, ‘সিন্ডিকেটের কালো হাত, ভেঙে দাও গুঁড়িয়ে দাও’, ‘জ্বালো জ্বালো আগুন জ্বালো’, ‘থাকবে না থাকবে না, অবৈধ বাসস্ট্যান্ড থাকবে না’ ইত্যাদি স্লোগান দেন।
এ সময়ে শাখা ছাত্র অধিকার পরিষদের দপ্তর ও প্রচার সম্পাদক অপু মুন্সী বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস কি বাসস্ট্যান্ড, নাকি বাসস্ট্যান্ডের বিশ্ববিদ্যালয় তা অনেক সময় বোঝা যায় না।বিশ্ববিদ্যালয়ের আশেপাশে এমন পরিবেশ আমরা আর এ চাই না। আমাদের নিরাপত্তা প্রয়োজন। যদি এই অবৈধ বাস ঢোকে, তাহলে একটিও বাস আর সুস্থভাবে ফিরতে পারবে না।’
জবি শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. মো. রইছ উদ্দীন বলেন, ‘এই বিশ্ববিদ্যালয় দেশের একটি গুরুত্বপূর্ণ উচ্চশিক্ষার কেন্দ্র। অথচ এর সামনে অবৈধ বাসস্ট্যান্ড তৈরি করে চাঁদাবাজি ও মাদকের আখড়া গড়ে তোলা হয়েছে। আমাদের এক ছাত্রী বাসচাপায় আহত হয়েছে।
তিনি অভিযোগ করেন, আমরা বহুবার দাবি জানালেও প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোনো সমাধান আসেনি। আজ থেকে আমরা ঘোষণা দিচ্ছি রায়সাহেব বাজার পার হয়ে কোনো বাস ক্যাম্পাস এলাকায় প্রবেশ করতে পারবে না। যদি বাস ঢোকে, আর বাসের সাথে কোনো অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটে, তবে এর দায় আমরা নিবো না।’
তিনি আরও বলেন, ‘এই বাসস্ট্যান্ড স্থাপনের অনুমতি কে দিয়েছে তা খুঁজে বের করতে হবে। কারণ পুরো বাসস্ট্যান্ড কার্যক্রম সম্পূর্ণ অবৈধ। আমরা চাই একটি সুন্দর ও নিরাপদ বিশ্ববিদ্যালয় পরিবেশ। আশা করি আমাদের দাবি ব্যর্থ হবে না।’
এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. মো. তাজাম্মুল হক, সহকারী প্রক্টরসহ বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে শিক্ষার্থীদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে একই দিনে উপাচার্যের সভাকক্ষে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন, শিক্ষক সমিতি, প্রক্টরিয়াল বডি, ডিএমপি ট্রাফিক বিভাগ ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর যৌথ সভায় কয়েকটি সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
সিদ্ধান্তগুলো হলো: দুপুর ১২টার পর থেকে কোনো পরিবহন রায়সাহেব বাজার থেকে বাহাদুর শাহ পার্কের দিকে প্রবেশ করবে না; সকল বাস পরীক্ষামূলকভাবে আগামী এক সপ্তাহ গোয়ালঘাট থেকে ফিরে যাবে; ডিএমপি ট্রাফিক ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এ বিষয়ে নীতিমালা প্রস্তুত করবে; প্রয়োজনে এক সপ্তাহ পর পুনরায় সভা অনুষ্ঠিত হবে।
গত ৪ সেপ্টেম্বর অবৈধ বাসস্ট্যান্ড সরানোর দাবিতে মানববন্ধন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। এদিন মানববন্ধন শেষে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বরাবর স্মারকলিপি দেন তারা।
১১২ দিন আগে
১৪ বছরেও শেষ হয়নি চুয়াডাঙ্গায় কেরু চিনিকলের আধুনিকায়ন প্রকল্প
১৪ বছর পেরিয়ে গেলেও শেষ হয়নি চুয়াডাঙ্গায় কেরু চিনিকলের আধুনিকায়ন প্রকল্প।
রবিবার (৭ সেপ্টেম্বর) প্রকল্পের কাজ পরিদর্শন করেছেন সেনাবাহিনীর ২৯ সদস্যের একটি দল। মেজর জেনারেল নাহিদ আজগারের নেতৃত্বে এই দলটি বেলা সাড়ে ১২টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত বিএমআর প্রকল্পের কাজ পরিদর্শন করেন। দলে ছিলেন ব্রিগেডিয়ার সাজ্জাদ হোসেন, লেফটেন্যান্ট কর্নেল আলামিন হোসেনসহ অন্যান্য সেনা কর্মকর্তা।
প্রকল্পটি ২০১২ সালে অনুমোদন দিয়েছিলেন ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। মাত্র দুই বছরের মধ্যে শেষ করার কথা থাকলেও ১৪ বছর পেরিয়ে গেলেও কাজ সম্পন্ন হয়নি। ভারতীয় প্রকৌশলীসহ ২২ জন বিশেষজ্ঞ কোন কাজ না করেই ডলারে বেতন নিচ্ছেন বলে অভিযোগ রয়েছে।
সূত্র জানায়, প্রাথমিকভাবে ‘বিএমআর অব কেরু অ্যান্ড কোং (বিডি) লিমিটেড’ প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছিল ৪৬ কোটি টাকা। এটি পুরোনো চিনিকল আধুনিকায়ন এবং আখ মাড়াই ও চিনি উৎপাদন যন্ত্রপাতি প্রতিস্থাপনের উদ্দেশ্যে শুরু হয়েছিল।
প্রথমে ২০১৪ সালের জুনে কাজ শেষ হওয়ার কথা থাকলেও এখন পর্যন্ত সাতবার সময় বাড়ানো হয়েছে। বর্তমানে প্রকল্পের ব্যয় বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১০২ কোটি টাকায়।
সর্বশেষ ১৭ আগস্ট একনেক সভায় প্রকল্পের মেয়াদ আরও এক দফায় বাড়িয়ে ২০২৬ সালের জুন পর্যন্ত নির্ধারণ করা হয়।
১১২ দিন আগে
ডাকসু: নজর কাড়ছে লিগ্যাল নোটিশ, ডলারসহ জেন-জি প্রচারণা
শেষ দিনে জমে উঠেছে ডাকসুর নির্বাচনী প্রচারণা। লিগ্যাল নোটিশ, ডলার, বুকমার্ক, কার্ডসহ সাধারণ লিফলেটের মাধ্যমে শেষ মুহূর্ত্বে ব্যস্ত সময় পার করছেন প্রার্থীরা।
ডাকসুর ২৮টি পদের বিপরীতে ৪৭১ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। শেষ দিনের প্রচারণায় পুরো ক্যাম্পাস ছেয়ে গেছে প্রার্থীদের লিফলেটে। তবে, কেবল ভোট নয় অভিনব ডিজাইনের লিফলেট ও প্রচারপত্রগুলো ব্যক্তিগত সংগ্রহেও রাখছেন অনেক শিক্ষার্থী।
লিগ্যাল নোটিশ
ভোট পেতে ভোটারদের লিগ্যাল নোটিশ দিয়ে বেশ সাড়া ফেলেছেন ডাকসুতে মানবাধিকার ও আইন বিষয়ক সম্পাদক পদপ্রার্থী মু. মেহেদী হাসান মুন্না।
ঢাবির সর্বাপেক্ষা সুন্দরী রমণী এবং সুদর্শন পুরুষদের লক্ষ্য করে পাঠানো লিগ্যাল নোটিশে বলা হয়, লিগ্যাল নোটিশ গ্রহীতাকে মানবাধিকারের পক্ষে অনুরুদ্ধ হয়ে এই মর্মে অবহিত করছি যে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় মানবাধিকার পড়ালেও কাঠামোগত এবং গঠনতান্ত্রিক সংঘাত দ্বারা শিক্ষার্থীদের মানবাধিকার ক্ষুণ্ণ করে। মু. মেহেদী হাসান মুন্না ওরফে মানবাধিকার মুন্না পূর্ব এবং বর্তমানের মতো ভবিষ্যতেও অধিকার আদায়ের লড়াই করতে চায়।
তবে কেবল লিগ্যাল নোটিশ দিয়েই ক্ষান্ত থাকেননি মুন্না। নারী ভোটারদের নজর কাড়তে নিজের ইশতেহার-সংবলিত প্রজাপতি আকৃতির প্রচারপত্রও দিচ্ছেন তিনি।
পড়ুন: ডাকসু নির্বাচন: সাইবার নিরাপত্তা শঙ্কায় প্রার্থীরা, প্রধান লক্ষ্য নারী প্রার্থীরা
নজর কাড়ছে জেন-জি প্রচারণা
জেন-জি প্রজন্ম স্বভাবতই তাদের নিজস্ব ও পছন্দের বিষয়গুলো দেখে আকৃষ্ট হয়। তাই, এবারের ডাকসু নির্বাচনী প্রচারণায় বেশ কিছু জেন-জি স্টাইলের প্রচারণা দেখা গেছে।
ডাকসুতে স্বতন্ত্রভাবে সদস্য পদে নির্বাচন করা সামসুদ্দোজা নবাব জনপ্রিয় আমেরিকান টিভি সিরিজ ব্রেকিং ব্যাড-এর পোস্টারের আদলে লিফলেট বানিয়েছেন।
এই প্রার্থীর লিফলেটের একেবারে উপরের দিকে ইংরেজিতে লেখা ‘লেট হিম কুক অন ৯ সেপ্টেম্বর’। এরপর লেখা ‘কেন্দ্রীয় সদস্য পদপ্রার্থী’। আর মাঝে তার ব্যালট নম্বর ১৬২। লিফলেটের একেবারে নিচের দিকে কিউআর কোডের পাশাপাশি রয়েছে ব্রেকিং ব্যাড-এর পোস্টারের আদলে ইংরেজিতে লেখা ‘সামসুদ্দোজা নবাব’।
এদিকে, ছাত্রদল সমর্থিত প্যানেলের ভিপি প্রার্থী আবিদুল ইসলাম রানা এর মধ্যেই কোরিয়ান ভাষা, জাপানিজ স্টাইলে লিফলেট দিয়ে জেন-জিকে আকৃষ্ট করেছেন। পাশাপাশি বিখ্যাত স্টুডিও গিবলি আর ভ্যান গগের কালজয়ী চিত্রকর্ম 'দ্য স্টারি নাইট'-এর অনুপ্রেরণায় বানানো বুকমার্কও বিলি করেছেন তিনি। অন্য আরেকটি সেটে তিনি তুলে ধরেছেন ঢাবির ঐতিহাসিক 'অপরাজেয় বাংলা' ও মাইকেল মধুসূদন দত্তের 'মেঘনাদবধ কাব্য'কে। দুটি বুকমার্কেই বড় করে লেখা জুলাই অভ্যুত্থানে চানখারপুলে দাঁড়িয়ে তার বলা বহুল আলোচিত বাক্য— 'প্লিজ, দয়া করে কেউ কাউকে ছেড়ে যাইয়েন না'।
টাকা ও ডলারের আদলে প্রচার
স্যার এ এফ রহমান হল সংসদ নির্বাচনে সহসভাপতি (ভিপি) পদে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন নাইমুর রহমান। ভোটারদের মনোযোগ আকর্ষণ করতে ইউএস ডলারের আদলে লিফলেট বানিয়ে সাড়া ফেলেছেন তিনি। হল সংসদ নির্বাচনে ভিপি পদে তার ব্যালট নাম্বার ১ হওয়ায় এক ডলারের আদলে লিফলেট বানিয়েছেন তিনি।
ডলার আকৃতির এই লিফলেটে দেখা যায়, ডলারের চার কোনায় যেখানে পরিমাণ লেখা থাকে, সেখানে লিফলেটে তিনি ব্যালট নাম্বার ‘এক’ লিখেছেন। আর ওপরের অংশে লেখা ফেডারেল রিজার্ভ নোট। মাঝে লেখা ‘আসন্ন ডাকসু ও হল সংসদ নির্বাচন–২০২৫’। স্যার এ এফ রহমান হল সংসদে ভিপি পদপ্রার্থী (স্বতন্ত্র)। তার নিচে লেখা ‘নাইমুর রহমান, দর্শন বিভাগ, সেশন ২০১৯–২০’। এর পাশেই দেওয়া আছে কিউআর কোড, যেটি স্ক্যান করলেই তার ব্যক্তিগত ফেসবুক আইডিতে যাওয়া যাবে। আর লিফলেটের শেষ অংশে লেখা রয়েছে ‘ওয়ান ডলার’। যেটা মূলত তার ব্যালট নাম্বার।
এদিকে, ডাকসু নির্বাচনে কেন্দ্রীয় সদস্যপদে প্রার্থীতা করা আরাফাত হোসেন বানিয়েছেন টাকার আদলে লিফলেট। এই প্রার্থীর এক হাজার টাকার নোটের আদলে বানানো এই ব্যালটের সামনের অংশে ‘বাংলাদেশ ব্যাংক’–এর জায়গায় লেখা হয়েছে ‘ডাকসু ভোট ব্যাংক’। এরপর লেখা হয়েছে ‘চাহিবামাত্র ইহার প্রার্থীকে একশত সত্তর ব্যালটে ভোট দিয়ে বাধিত করবেন’। আসল নোটে যেখানে গভর্নরের নাম লেখা থাকে, সেখানে ব্যালটে লেখা হয়েছে ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ নির্বাচনে কার্যকরী সদস্য পদপ্রার্থী মো. আরাফাত হোসেন’।
পড়ুন: ডাকসু নির্বাচনে লড়বে ৯ প্যানেল, প্রার্থিতায় নতুনত্ব
এ ছাড়াও, প্রার্থীরা নানা ধরনের অভিনব কৌশলে বানানো লিফলেটের মাধ্যমেও নিজেদের প্রচারণা চালাচ্ছেন, চেষ্টা করছেন ভোটারদের মন জয় করার।
তফসিল অনুযায়ী, আগামী ৯ সেপ্টেম্বর ডাকসুর ২৮টি ও হল সংসদ নির্বাচনের ১৩টি মিলিয়ে মোট ৪১টি ভোট দেবেন ঢাবি শিক্ষার্থীরা।
১১৩ দিন আগে
ডাকসু নির্বাচনের দিন চক্রাকারে চলবে শাটল সার্ভিস, রুটম্যাপ প্রকাশ
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে শিক্ষার্থীদের ভোট দেওয়ার সুবিধার্থে ক্যাম্পাসে চক্রাকারে শাটল সার্ভিস চালু রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
রবিবার (৭ সেপ্টেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তর শাটল সার্ভিসের রুটম্যাপ প্রকাশ করে।
এতে বলা হয়, ডাকসু নির্বাচন ২০২৫’র ভোটারদের সুবিধার্থে ৯ সেপ্টেম্বর সকাল ৭টা ৪৫ মিনিট থেকে বিকাল ৩টা ৫০ মিনিট পর্যন্ত শাটল সার্ভিস চলবে।
পড়ুন: ডাকসু নির্বাচন: টানা ৩৪ ঘণ্টা বন্ধ থাকবে ঢাবির সব প্রবেশপথ
শাটল সার্ভিসের রুটম্যাপ
রুটম্যাপ অনুযায়ী, শাটল সার্ভিস বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূতত্ত্ব বিভাগ থেকে, কার্জন হল হয়ে শাহবাগ, টিএসসি, উদয়ন উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক ক্লাব, ইউল্যাব স্কুল এন্ড কলেজ, সিনেট ভবন এবং শারীরিক শিক্ষা কেন্দ্র হয়ে আবার ভূতত্ত্ব বিভাগে চক্রাকারে চলমান থাকবে।
আগামী ৯ সেপ্টেম্বর ডাকসু ও হল সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এদিন সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত ভোটগ্রহণ চলবে।
১১৩ দিন আগে
মাগুরা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির ৪৬৯ জন কর্মকর্তা-কর্মচারী গণছুটিতে
মাগুরা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির ৪৬৯ জন কর্মকর্তা-কর্মচারী গণছুটিতে গেছেন।
রবিবার (৭ সেপ্টেম্বর) সকাল থেকে গণছুটিতে গেছেন তারা।
পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের (জঊই) বিরুদ্ধে দীর্ঘদিনের অনিয়ম, দুর্নীতি ও দমন-পীড়নের প্রতিবাদে এ ছুটি নিয়েছেন বলে সমিতির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।
কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অভিযোগ, নিম্নমানের মালামাল সরবরাহ, জনবল সংকট ও অটো পালস মিটারের মতো গ্রাহক হয়রানির ফাঁদে সমিতিকে জিম্মি করে রাখা হয়েছে।
রবিবার সকাল থেকে মাগুরা পল্লী বিদ্যুৎ ভবনে কর্মকর্তা-কর্মচারীরা জড়ো হতে থাকেন। তারা নিজেদের ছুটির দরখাস্ত জেনারেল ম্যানেজার শাহীন আহমেদের কাছে জমা দেন। সেই সঙ্গে নিজেদের দায়িত্বে থাকা মোবাইল ফোন জমা দেন তারা।
সমিতির সদস্যরা জানান, দাবি না মানা পর্যন্ত তারা ছুটিতে থাকবেন।
১১৩ দিন আগে
আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি কিছুটা খারাপ হয়েছে, স্বীকার করলেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির কিছুটা অবনতি হয়েছে বলে স্বীকার করেছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। সাম্প্রতিক সময়ে দেশে ঘটে যাওয়া বিভিন্ন ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে এ কথা বলেছেন তিনি।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি এতদিন যেমন ছিল, সাম্প্রতিক কয়েক দিনের ঘটনায় আমি বলব, সেটা কিছুটা খারাপের দিকে গেছে। আমরা চেষ্টা করছি, যাতে দ্রুতই আগের অবস্থায় ফিরিয়ে আনা যায়।’
রোববার (৭ সেপ্টেম্বর) দুপুরে রাজারবাগ পুলিশ লাইনে আয়োজিত নির্বাচনী প্রশিক্ষণ কর্মসূচির উদ্বোধন অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা এ মন্তব্য করেন।
রাজবাড়ীর ঘটনায় অস্থিতিশীল পরিস্থিতি নিয়ে প্রশ্ন করা হলে জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, ‘রাজবাড়ীর ঘটনা আমরা তদন্ত করে দেখছি। পাঁচজনকে ইতোমধ্যে আইনের আওতায় আনা হয়েছে। তদন্ত শেষ হলে পুরো বিষয়টি স্পষ্ট হবে। কারা এর সঙ্গে জড়িত ছিল, তা তখনই জানা যাবে।’
আরও পড়ুন: আওয়ামী লীগ অবশ্যই নির্বাচন বাধাগ্রস্ত করার চেষ্টা করবে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
যাদের গাফিলতির কারণে এ ঘটনা ঘটেছে সেই ডিসি ও এসপিকে দায়িত্বে রেখে কি সুস্থ তদন্ত সম্ভব এমন প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা বলেন, ‘কারও অবহেলা বা গাফিলতি ছিল কিনা, সেটা তদন্তেই বের হবে। আগে থেকেই কর্মকর্তাদের সরিয়ে দিলে তদন্তের গুরুত্ব নষ্ট হবে। তদন্তে কেউ দোষী প্রমাণিত হলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে, আর কেউ নির্দোষ প্রমাণিত হলে তার বিরুদ্ধে কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হবে না।’
রাজবাড়ীতে গত কয়েকদিন আগে থেকেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে হুমকি দেওয়া হচ্ছিল তারপরও কেন এই মব ঠেকানো গেল না। গতকাল হাটহাজারীতেও এমন একটা ঘটনা ঘটল। তাহলে কি আপনারা মব ঠেকাতে ব্যর্থ হচ্ছেন? এমন অভিযোগ নাকচ করেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা।
তিনি বলেন, ‘আমরা ব্যর্থ হইনি। যারা এসব ঘটিয়েছে, তাদের আইনের আওতায় আনা হবে। আসলে আমরা অনেকটাই অসহিষ্ণু হয়ে পড়েছি। সমাজে ধৈর্যের অভাব তৈরি হয়েছে। তাই সবাইকে ধৈর্য ধরার আহ্বান জানাচ্ছি।’
আগামী নির্বাচনে এসব পরিস্থিতি জনগণের অংশগ্রহণে বাধা সৃষ্টি করবে কিনা— এমন প্রশ্নের জবাবে জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, ‘জনগণ যখন নির্বাচনমুখী হয়ে যাবে, তখন তাদের কেউ প্রতিহত করতে পারবে না। ভোটকেন্দ্রে যেতে জনগণকে বাধা দেওয়ার মতো শক্তি কারও নেই।’
১১৩ দিন আগে