বাংলাদেশ
বিকেলে আরও ৭ রাজনৈতিক দলের সঙ্গে বৈঠক করবেন প্রধান উপদেষ্টা
আজ দেশের আরও সাতটি রাজনৈতিক দল ও একটি সংগঠনের সঙ্গে বৈঠক করবেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। মঙ্গলবার (২ সেপ্টেম্বর) বিকেল ৫টায় যমুনায় এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে।
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে পাঠানো এক বার্তায় এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়, আজ বিকেল ৫টায় সাতটি রাজনৈতিক দল ও একটি সংগঠনের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করবেন প্রধান উপদেষ্টা।
দলগুলো ও সংগঠনটি হচ্ছে— এবি পার্টি, নাগরিক ঐক্য, গণসংহতি আন্দোলন, গণঅধিকার পরিষদ, এলডিপি, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, জাতীয় গণফ্রন্ট ও হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ।
আরও পড়ুন: জামায়াতের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ইউনূসের বৈঠক
এর আগে, বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি ও আসন্ন জাতীয় নির্বাচন নিয়ে আলোচনা করতে রোববার (৩১ আগস্ট) তিনটি রাজনৈতিক দলের সঙ্গে বৈঠকে বসেন প্রধান উপদেষ্টা। দলগুলো ছিল বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি), জামায়াতে ইসলামী ও জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)।
১১৮ দিন আগে
নীলফামারী ইপিজেডে শ্রমিক-পুলিশ সংঘর্ষে নিহত ১, আহত ১৫
নীলফামারীর উত্তরা রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চলে (ইপিজেড) শ্রমিকদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষে একজন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আরও অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছেন।
মঙ্গলবার (২ সেপ্টেম্বর) সকাল সাড়ে ৮টার দিকে এ সংঘর্ষ শুরু হয়ে বলে জানিয়েছেন কয়েকজন প্রত্যক্ষদর্শী।
নীলফামারী ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট আধুনিক সদর হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) আবদুর রহিম জানান, একজনকে মৃত অবস্থায় হাসপাতালে নেওয়া হয় এবং আরও ১৫ জন চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
সংঘর্ষের সময় সেনাবাহিনীর দুটি গাড়ি ভাঙচুর করা হয়। তবে এই সংঘর্ষের কারণ ও বিস্তারিত তথ্য তাৎক্ষণিকভাবে নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
১১৮ দিন আগে
‘কম্বাইন্ড ডিগ্রি’ প্রসঙ্গে নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করল বাকৃবি প্রশাসন
বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) ভেটেরিনারি ও পশুপালন অনুষদের শিক্ষার্থীদের ‘কম্বাইন্ড’ বা সম্মিলিত ডিগ্রির বিষয়টির সমাধানে একাডেমিক কাউন্সিল-পরবর্তী সকল ঘটনায় নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
সোমবার (১ সেপ্টেম্বর) বাকৃবির ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার কৃষিবিদ ড. মো. হেলাল উদ্দীনের সই করা এক বিবৃতিতে এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের ভাষ্য জানানো হয়।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, গত ৩১ আগস্ট অনুষ্ঠিত একাডেমিক কাউন্সিলের সভায় কম্বাইন্ড ডিগ্রির বিষয়টি সমাধানের জন্য গঠিত কমিটির ছয় দফা সুপারিশ সর্বসম্মতভাবে গৃহীত হয়। সভা শেষে শিক্ষার্থীরা কর্তৃপক্ষকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানাতে প্রস্তুত থাকলেও পরবর্তীতে স্বার্থান্বেষী মহলের প্ররোচনায় তারা প্রায় ৩০০ শিক্ষক-কর্মকর্তাকে মিলনায়তনে আটকে রাখে। তাদের মধ্যে বৃদ্ধ, হৃদরোগী, ডায়াবেটিস রোগী ও গর্ভবতী শিক্ষিকাও ছিলেন। তীব্র গরমে ও অভুক্ত অবস্থায়ও শিক্ষকরা শিক্ষার্থীদের সঙ্গে শান্তিপূর্ণ আলোচনার চেষ্টা চালান এবং তাদের প্রতিনিধিদের বসতে বারবার অনুরোধ করেন, কিন্তু শিক্ষার্থীরা তা প্রত্যাখ্যান করে, এমনকি নারী শিক্ষকদের ভোগান্তির কথাও তারা উপেক্ষা করে। আট ঘণ্টা অবরুদ্ধ থাকার পরও শিক্ষকরা ধৈর্য ধরে বলপ্রয়োগ না করে আলোচনার মাধ্যমে সমাধানের চেষ্টা চালান। তবে জেলা প্রশাসক ও পুলিশ প্রশাসনের হস্তক্ষেপও ব্যর্থ হয়।
আরও পড়ুন: বাকৃবি প্রশাসনকে এবার ৬ দফা দাবি বাস্তবায়নের আল্টিমেটাম শিক্ষার্থীদের
বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, এ নিয়ে উত্তেজনা বাড়লে অডিটরিয়ামের দক্ষিণ ও মুক্তমঞ্চ দিকের গেটের তালা কে বা কারা ভেঙে দেয়। ফলে দীর্ঘ সময় আটকে থাকা শিক্ষকরা বাইরে আসার সুযোগ পান। এ সময় আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা বাধা দিলে ধাক্কাধাক্কির ঘটনায় কয়েকজন ছাত্র-ছাত্রী আহত হয়। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এতে মর্মাহত হয়ে আহতদের প্রতি দুঃখ প্রকাশ করেছে।
শিক্ষকদের স্বজন, কর্মচারী ও শুভানুধ্যায়ীদের ‘বহিরাগত’ আখ্যা দিয়ে শিক্ষার্থীদের উত্তেজিত করা হয়েছে উল্লেখ করে বিবৃতিতে বলা হয়েছে, এই আন্দোলনকে ভিন্ন খাতে নেওয়ার চেষ্টা হয়েছে। গেটের তালা ভাঙার ঘটনাটি কারা করেছে তা নিশ্চিত নয়। এটি শিক্ষকদের স্বজন, এলাকাবাসী বা কর্মচারীরা করেছেন কিনা, তা তদন্তে বের হবে। যদি বহিরাগত কেউ জড়িত থাকে তবে স্থানীয় প্রশাসনের সহায়তায় তাকে আইনের আওতায় আনা হবে বলেও জানানো হয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন শিক্ষার্থীদের দাবি মেনে নেওয়ার পরও স্বার্থান্বেষী মহলের প্ররোচনায় ক্যাম্পাসে ভাঙচুর চালানো হয়, যা ষড়যন্ত্রের অংশ বলে মনে করছে কর্তৃপক্ষ। এ অবস্থায় ৩১ আগস্ট রাত সাড়ে ৯টায় অনলাইনে সিন্ডিকেটের জরুরি সভা আহ্বান করা হয়। সভায় সিদ্ধান্ত হয়— বিশ্ববিদ্যালয়ের আইনশৃঙ্খলা জেলা প্রশাসনের হাতে ন্যস্ত থাকবে এবং পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত সব ক্লাস ও পরীক্ষা বন্ধ থাকবে।
রেজিস্ট্রারের সেই করা বিবৃতিতে আরও বলা হয়, শিক্ষার্থীদের স্বার্থ ক্ষুণ্নকারী বা হামলাকারী যেই হোক, তার বিরুদ্ধে তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে এবং তদন্ত শেষে সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করা হবে।
১১৮ দিন আগে
শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আরও একটি মামলা দায়ের
চট্টগ্রামের নিউমার্কেট এলাকায় জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে গুলিতে আহত হওয়ার ঘটনায় শেখ হাসিনাসহ ১৮২ জনের বিরুদ্ধে চট্টগ্রাম আদালতে আরও একটি মামলা দায়ের হয়েছে।
সোমবার (১ সেপ্টেম্বর) চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আবু বক্কর সিদ্দিকের আদালতে মামলাটি করেন চট্টগ্রাম আন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র একেএম নুরুল্লাহ (২৩)।
মামলায় পলাতক সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান, পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ, ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরীসহ ১৮২ জনকে আসামি করা হয়েছে।
আদালত বাদীর বক্তব্য গ্রহণ করে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটনকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাদীপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট তাসমিন আক্তার নিসাত।
পড়ুন: শেখ হাসিনার সর্বোচ্চ শাস্তি দাবি ফখরুলের
মামলার অন্য আসামিরা হলেন, তৎকালীন নগর পুলিশের সাবেক কমিশনার সাইফুল ইসলাম, সাইফ পাওয়ার টেকের এমডি তরফদার রুহুল আমিন, আইনজীবী রানা দাশগুপ্ত, এস আলম গ্রুপের কর্ণধার সাইফুল আলম মাসুদ, শেখ হাসিনার সাবেক নিরাপত্তা উপদেষ্টা তারিক আহমেদ সিদ্দিক, সাবেক এমপি আনিসুল ইসলাম মাহমুদ, সাবেক এমপি মুজিবুর রহমান ও শেখ ওয়ালী আসিফ ইনান প্রমুখ।
মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়, ২০২৪ সালের ৪ আগস্ট নগরের নিউমার্কেট–সংলগ্ন রেলওয়ে জামে মসজিদের সামনে জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে অংশ নেন বাদী। আসামিদের নির্দেশে ছাত্রলীগ, আওয়ামী লীগ ও যুবলীগের নেতা-কর্মীরা লাঠিসোঁটা ও অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে তার উপর হামলা চালান। সেদিন বাদী গুলিবিদ্ধ হন।
বাদীর দুই পায়ে ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে গুলি লাগে। বাদী চিকিৎসাধীন থাকায় ও জড়িত আসামিদের নাম-ঠিকানা সংগ্রহ করতে সময় লাগে, যার কারণে মামলা করতে দেরি হয়েছে।
১১৮ দিন আগে
ন্যায়সঙ্গত সমাজে অতি দারিদ্র্যের স্থান নেই: পরিকল্পনা উপদেষ্টা
পরিকল্পনা উপদেষ্টা ড. ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ বলেছেন, ন্যায়সঙ্গত সমাজে অতি দারিদ্র্যের কোনো স্থান নেই, সবার জন্য বেঁচে থাকার ন্যূনতম সামাজিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ একেবারে গরিব দেশ নয়, আমরা উচ্চমধ্যম আয়ের দেশ হতে চলছি। এখনতো আমাদের কোনো অজুহাত চলবে না যে, আমরা সবাইকে ন্যূনতম সামাজিক নিরাপত্তা দিতে পারব না।
সোমবার (১ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর শেরে বাংলা নগরে চায়না ফ্রেন্ডশিপ কনফারেন্স সেন্টারে তিন দিনব্যাপী ‘ন্যাশনাল কনফারেন্স অন সোশ্যাল প্রটেকশন ২০২৫’-এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, এখন আর কোনো অজুহাত দেওয়ার সুযোগ নেই যে আমরা সবার জন্য ন্যূনতম সামাজিক সুরক্ষা দিতে পারছি না। তাই দারিদ্র্য নিরসনকে আমাদের প্রধান লক্ষ্যগুলোর একটি হিসেবে নিতে হবে।
অনুষ্ঠানে দুর্যোগ ও ত্রাণ ব্যবস্থাপনা উপদেষ্টা ফারুক-ই-আজম বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।
ড. ওয়াহিদউদ্দিন বলেন, এখন থেকে আমাদের সবাইকে এটিকে অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক লক্ষ্য হিসেবে গ্রহণ করতে হবে। ব্যয়ের দিক থেকে আমরা দরিদ্র হলেও আয়ের দিক থেকে আমরা আরও বেশি দরিদ্র। দারিদ্র্যের হার প্রতিবছর বাড়ছে। অনেক মানুষ দরিদ্র নয়, তবে দারিদ্র্যসীমার ঠিক ওপরে অবস্থান করছে। তাদের অবস্থান টেকসই নয়, সামান্য ধাক্কায় তারা দরিদ্র হয়ে পড়তে পারে।
তিনি বলেন, ‘কিছু মানুষ নাকবরাবর পানিতে দাঁড়িয়ে আছেন। সামান্য ঢেউ এলেই তারা তলিয়ে যাবেন। তারা ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় কোনোভাবে শুধু জীবনধারণ করে যাচ্ছেন।’
সামাজিক ভাতা প্রদানে উপকারভোগী নির্ধারণেও বড় সমস্যা রয়েছে উল্লেখ করে উপদেষ্টা বলেন, বাংলাদেশে সামাজিক সুরক্ষা কর্মসূচির বড় একটি অংশই সত্যিকারের উপকারভোগীদের কাছে পৌঁছাচ্ছে না। বর্তমানে ভাতাভোগীদের প্রায় ৫০ শতাংশই ভূতুড়ে বা রাজনৈতিক সুবিধাভোগী।
পড়ুন: আগস্টে ২৪২ কোটি ডলার রেমিট্যান্স এসেছে
তিনি আরও বলেন, সামাজিক সুরক্ষা কর্মসূচির মাধ্যমে দেশের দরিদ্র, প্রান্তিক ও অসহায় মানুষকে সহায়তা করার কথা। কিন্তু বাস্তবে দেখা যাচ্ছে, তালিকায় নাম তুলছে এমন সব ব্যক্তি, যাদের মূলত প্রয়োজন নেই বরং রাজনৈতিক পরিচয় বা প্রভাব কাজে লাগিয়েই তারা সুবিধা পাচ্ছেন। এতে প্রকৃত সুবিধাভোগীরা বাদ পড়ে যাচ্ছে।
ড. ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ বলেছেন, জাতীয়ভাবে সমন্বিত তালিকা তৈরি করা ও মাঠপর্যায়ে তদারকি করা গেলে প্রকৃত উপকারভোগী ও যোগ্যদের নাম বের হয়ে আসবে।
তিনি বলেন, সর্বজনীন সামাজিক নিরাপত্তার মধ্যে স্কুলসেবা ও স্বাস্থ্যসেবা জড়িত। এটাই মৌলিক ন্যায়বিচার। যার জীবন ধারনেরই কোনো উপায় নেই- তার স্কুল ও স্বাস্থ্যসেবা নিয়ে কোনো লাভ নেই।
তিনি বলেন, কাজেই এ দুটি বিষয় অঙ্গাঙ্গিভাবে জড়িত। ১৯৭১ সালের স্বাধীনতার মূল্যবোধ ও গত বছরের জুলাইয়ের গণঅভ্যুত্থানেরও সবচেয়ে বড় বিষয় ছিল সাম্যভিত্তিক সমাজ গড়া। সবার আয় সমান হবে না, কিন্তু সুযোগ সমান থাকতে হবে।
তিনি বলেন, একসময় দেশের কিছু অঞ্চল ছিল চরম দারিদ্র্যকবলিত, যেমন রংপুরে মৌসুমি দারিদ্র্য ছিল। এ মৌসুমি দারিদ্র্যকে বলা হতো মঙ্গা। ২০০৩-০৫ সালের দিকে গণমাধ্যমে মঙ্গা নিয়ে অনেক আলোচনা হতো। আগে তো সরকার মঙ্গার কথা অস্বীকার করত। সংবাদমাধ্যমের কারণেই সরকার মঙ্গাকে স্বীকৃতি দিয়েছে এবং মঙ্গা নিরোধের জন্য অনেক কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে। বর্তমানে রংপুর অঞ্চলে মৌসুমি ক্ষুধা এখন অতটা আর নেই, তবে দারিদ্র্য আছে।
ওয়াহিদউদ্দিন জানান, নতুন করে নেত্রকোণা, সুনামগঞ্জ, সাতক্ষীরা ও পটুয়াখালীর মতো কিছু অঞ্চলে দারিদ্র্যপীড়িত এলাকা তৈরি হয়েছে। এসব এলাকা লক্ষ্য করে কর্মসূচি নিতে হবে।
তিনি আরও বলেন, আমরা এই সরকার মাত্র কয়েক মাসের জন্য আছি। তা সত্ত্বেও আমরা পথনকশা তৈরি করে দিতে চাই। সেটা করা গেলে ভবিষ্যতে নির্বাচিত সরকারের সুবিধা হবে। সেখান থেকে তারা শুরু করতে পারবে।
১১৮ দিন আগে
একটি দল নির্বাচন ভন্ডুলের চেষ্টা করছে: অ্যাডভোকেট জয়নুল
বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন বলেছেন, একটি দল নির্বাচন ভন্ডুল করার জন্য সাধ্যমত চেষ্টা করছে। তারেক রহমানের সাথে লন্ডনে বসে সরকারপ্রধান ওয়াদা করেছেন আগামী রোজার আগে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এ নির্বাচন কেউ প্রতিহত করতে পারবে না।
সোমবার(১ সেপ্টেম্বর) বিকালে বরিশাল নগরীর ফজলুল হক এ্যাভিনিউতে বিএনপির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে অনুষ্ঠিত সমাবেশে এ কথা বলেন।
বরিশাল মহানগর ও জেলা বিএনপির (উত্তর ও দক্ষিণ) এই কর্মসূচির আয়োজন করে। সমাবেশ শেষে নগরীতে একটি র্যালি বের করে নেতাকর্মীরা।
পিআর ভুলে গিয়ে ব্যালটের নির্বাচনে অংশ নেওয়ার আহ্বান জানিয়ে জয়নুল আরও বলেন, দেশের মানুষকে বাঁচান। দেশের সম্পদ এবং দেশকে বাঁচান। বাংলাদেশের মানুষ ভোট দিতে চায়। সেই ভোট ফেব্রুয়ারিতে হবে, এর ব্যত্যয় ঘটার কোনো সম্ভাবনা নেই।
পড়ুন: ক্ষমতায় গেলে রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক পরিবর্তন আনবে বিএনপি: মির্জা ফখরুল
বিএনপির কেন্দ্রীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক (বরিশাল বিভাগ) আকন কুদ্দুসুর রহমানের সভাপতিত্বে সমাবেশে আরও উপস্থিত ছিলেন, জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য সাবেক এমপি মেজবাহ উদ্দিন ফরহাদ, এবায়েদুল হক চান ও আবু নাসের মো. রহমতুল্লাহ, বন ও পরিবেশ বিষয়ক সহ-সম্পাদক রওনাকুল ইসলাম টিপু, বিভাগীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মাহাবুবুল হক নান্নু, মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক মনিরুজ্জামান খান ফারুক, সদস্য সচিব জিয়া উদ্দিন সিকদার, দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবুল হোসেন খান ও সদস্য সচিব আবুল কালাম শাহিন এবং উত্তর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক দেওয়ান মো. শহিদুল্লাহসহ ছাত্রদল, যুবদল, স্বেচ্ছাসেবকদল ও মহিলাদলের স্থানীয় নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে বেলুন-ফেস্টুন এবং কবুতর উড়িয়ে সমাবেশ ও র্যালির উদ্বোধন করেন অনুষ্ঠানের জয়নুল আবেদীন।
১১৮ দিন আগে
ডাকসু নির্বাচন: ‘৩৬ জুলাইয়ের’ সঙ্গে মিলিয়ে ঐক্যবদ্ধ শিক্ষার্থী জোটের ইশতেহার ঘোষণা
জুলাই গণঅভ্যুত্থানের ঐতিহাসিক ৩৬ দিনের সঙ্গে মিল রেখে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্রসংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে ৩৬ দফা ইশতেহার ঘোষণা করেছে ছাত্রশিবির সমর্থিত ‘ঐক্যবদ্ধ শিক্ষার্থী জোট’ প্যানেল। এ ইশতেহারে ৬টি জরুরি বিষয় বাস্তবায়ন এবং ৬টি বিষয় প্রতিহত ও দূর করার ঘোষণা দিয়েছেন তারা।
সোমবার (১ সেপ্টেম্বর) বিকাল সাড়ে ৩টায় ডাকসু ভবনের সামনে ইশতেহার উপস্থাপন করেন প্যানেল থেকে এজিএস প্রার্থী মহিউদ্দিন খান। এ সময় এ প্যানেলের ভিপি পদপ্রার্থী সাদিক কায়েম, জিএস প্রার্থী এস এম ফরহাদসহ অন্যান্য প্রার্থীরাও উপস্থিত ছিলেন।
ইশতেহারে বাস্তবায়ন করার প্রতিশ্রুত ৬টি বিষয় হলো– নিরাপদ ক্যাম্পাস, আবাসন সংকট সমাধান, নারী শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা, চিকিৎসা সুবিধা ও স্বাস্থ্যসম্মত খাবার, উন্নত পরিবহন, ক্যারিয়ার গঠনে পর্যাপ্ত তথ্য ও সেবা।
প্রতিহত ও দূরীভূত করার প্রতিশ্রুত বিষয়গুলো হলো–কর্তৃত্ববাদী রাজনীতি, নির্যাতন ও সহিংসতা, গণরুম-গেস্টরুম কালচার, বৈষম্যমূলক নীতি ও আচরণ, মাদক, ছিনতাই, চাঁদাবাজি ও 'লাঞ্চের পরে আসেন' কালচার, ইসলামোফোবিয়া ও সাইবার বুলিং।
প্যানেলটির ঘোষিত ৩৬টি ইশতেহারের মধ্যে আছে, ডাকসু নির্বাচনকে একাডেমিক ক্যালেন্ডারের অন্তর্ভুক্ত করে প্রতি বছর নির্ধারিত সময়ে নির্বাচন বাস্তবায়ন করা, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে ফ্যাসিবাদের দোসরমুক্ত করা, প্রথম বর্ষ থেকে প্রত্যেক শিক্ষার্থীর বৈধ সিট নিশ্চিত করা, হল ও অন্যান্য ক্যান্টিন-ক্যাফেটেরিয়াতে পুষ্টিবিদের মাধ্যমে স্বল্পমূল্যে পুষ্টিকর খাবারের মেন্যু প্রণয়ন এবং ৩ মাস অন্তর খাবার মান পরীক্ষা করা, নারী শিক্ষার্থীদের জন্য নিরাপদ পরিবহন নিশ্চিত করা, ছাত্রী হলে পুরুষ কর্মচারী যথাসম্ভব কমিয়ে আনা এবং প্রক্টরিয়াল টিমে প্রয়োজনীয় সংখ্যক নারী সদস্য নিয়োগ দেওয়া।
পড়ুন:ডাকসু নির্বাচনে বাধা নেই, হাইকোর্টের আদেশ চেম্বার আদালতে স্থগিত
ইশতেহারের আরও রয়েছে, ছাত্রীদের জন্য ছাত্রী হলে প্রবেশের বিধি-নিষেধ শিথিল করা, ছাত্রীদের জন্য মাতৃত্বকালীন ছুটির বিধান কার্যকর করা, কমনরুমে নারী কর্মচারী নিয়োগ দেওয়া, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সেবাকেন্দ্রিক লাল ফিতার দৌরাত্ম্য নিরসন করে 'পেপারলেস রেজিস্ট্রার বিল্ডিং' গড়ে তোলা, উচ্চ শিক্ষায় বিদেশে গমনেচ্ছু শিক্ষার্থীদের জন্য ওয়ান স্টপ সার্ভিস চালু করা, ডাকসু ওয়েবসাইট উন্নতকরণ এবং অ্যাপের মাধ্যমে অ্যাকসেস টু রিসোর্সেস নিশ্চিত করা ও স্বচ্ছতা বৃদ্ধি করা।
শিক্ষক মূল্যায়ন পদ্ধতিকে আরও কার্যকর করতে উন্নত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর আদলে 'মেন্টরশিপ প্রোগ্রাম' চালু করা, শিক্ষার্থীদের নিয়ে রিসার্চ-বিষয়ক কর্মশালা করা, কেন্দ্রীয় লাইব্রেরি, বিজ্ঞান লাইব্রেরি, হল লাইব্রেরি ও পাঠকক্ষ এবং ডিপার্টমেন্টের সেমিনার কক্ষে সম্প্রসারণ করা এবং সফট স্কিল ডেভেলপমেন্টের ওপর ওয়ার্কশপ আয়োজন করার প্রতিজ্ঞাও এই ইশতেহারে রয়েছে।
এছাড়াও ইশতেহারে, অ্যালামনাই নেটওয়ার্ক শক্তিশালীকরণের মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়ের সামগ্রিক উন্নয়নে তাদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা, কেন্দ্রীয় মসজিদ, হল মসজিদ, মন্দির ও অন্যান্য উপাসনালয় সমূহের অবকাঠামোগত সংস্কার ও উন্নয়ন করা। মানসিক স্বাস্থ্যসেবা ও কাউন্সেলিং সেবার পরিসর বৃদ্ধি করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে ছাত্রশিবির সমর্থিত এ প্যানেল।
বিশ্ববিদ্যালয় মেডিকেল সেন্টার ও সেবা আধুনিকীকরণ, মেডিকেল সেন্টারে চুক্তিভিত্তিক বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের নিয়োগ, সারাদেশে বিভিন্ন বেসরকারি হাসপাতালের সাথে সমঝোতা স্মারক সই করার মাধ্যমে শিক্ষার্থী ও তার অভিভাবকদের চিকিৎসা ব্যয়ের ওপর বিশেষ ছাড়ের ব্যবস্থা করা, শারীরিকভাবে অক্ষম শিক্ষার্থীদের জনা ‘অদম্য মেধাবী শিক্ষাবৃত্তি’ চালু করার উদ্যোগ নেবেন বলে এ ইশতেহারে উল্লেখ করেছে ছাত্রশিবির।
৩৬ দফার এ ইশতেহারে আরও রয়েছে, আধুনিক ভাষা ইনস্টিটিউটকে বৈশ্বিক মানদণ্ডে উন্নীত করা, বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণা খাতে বরাদ্দ বাড়িয়ে ল্যাবগুলোতে উন্নত ও আধুনিক যন্ত্রপাতি নিশ্চিত করা, ক্যাম্পাসের সুষ্ঠু পরিবেশ বজায় রাখার লক্ষ্যে বহিরাগত যান-নিয়ন্ত্রণ, ভাসমান হকার ও ভবঘুরেদের উচ্ছেদ করা, যৌন হয়রানি ও সাইবার-বুলিং প্রতিরোধে 'জিরো টলারেন্স নীতি' বাস্তবায়ন, অভিযোগ সেল শক্তিশালীকরণ ও আইনি সহায়তা প্রদান, ফ্রি 'মেন্সট্রুয়াল হাইজিন প্রোডাক্ট' সহজলভ্য করা, হলভিত্তিক সমস্যা সমাধানে 'গ্রিভেন্স রেসপন্স টিম' এবং 'ভিক্টিম সাপোর্ট সেল' গঠন।
বিশ্ববিদ্যালয় প্রদত্ত মেইলের প্রবেশ বাড়ানো, জরাজীর্ণ বাসগুলো বাদ দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনায় নতুন বাস ক্রয় করা, মোবাইল অ্যাপে রিয়েলটাইম ট্র্যাকিংয়ের ব্যবস্থা করা, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা ও আইনি সহায়তা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে সারাদেশের সকল প্রশাসনিক কর্মকর্তা ও আইনজীবীদের অন্তর্ভুক্ত করে ‘লিগ্যাল হেল্প ডেস্ক’ স্থাপন করা।
শারীরিক শিক্ষা কেন্দ্রের অবকাঠামোগত আধুনিকায়ন, হল পর্যায়ে শারীরিক শিক্ষা কার্যক্রমের আধুনিকায়ন ও ইনডোর গেমসের আওতা বাড়ানো, টিএসসির অবকাঠামোগত উন্নয়ন ও সুষ্ঠু পরিবেশ নিশ্চিত করা, শারীরিকভাবে অক্ষম শিক্ষার্থী উপযোগী ক্লাসরুম ও একাডেমিক কার্যক্রম নিশ্চিত করা, নারী শিক্ষার্থীদের জন্য 'সেলফ ডিফেন্স প্রশিক্ষণ'র আয়োজন করা
হলগুলোতে কর্মচারীদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা এবং কর্মচারী মূল্যায়ন পদ্ধতি চালু করা, পরিবেশ ও প্রতিবেশের সংরক্ষণ, শব্দ দূষণ রোধ, সুষ্ঠু ট্র্যাফিক বাবস্থা নিশ্চিতকরণের মাধ্যমে পরিচ্ছন্ন গ্রিন ক্যাম্পাস গঠন করা এবং সাংস্কৃতিক ও বুদ্ধিবৃত্তিক আধিপত্যবাদ মোকাবিলায় এই অঞ্চলের মানুষের নিজস্ব সংস্কৃতির বিকাশে কাজ করা।
১১৮ দিন আগে
ডাকসু নির্বাচন ভন্ডুলের চেষ্টা করলে কঠোর ব্যবস্থা: ডিএমপি কমিশনার
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নিবার্চন ভন্ডুল করার চেষ্টা করলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী।
সোমবার (১ সেপ্টেম্বর) সকালে ডিএমপি হেডকোয়ার্টার্সের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত ডাকসু নিবার্চন-২০২৫ উপলক্ষে সার্বিক নিরাপত্তা ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত সমন্বয় সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।
ডিএমপি কমিশনার বলেন, ডাকসু নির্বাচনের ক্ষেত্রে নির্বাচন কমিশনের দেওয়া সকল নির্দেশনা অনুযায়ী সর্বাত্মক সহযোগিতার জন্য আমরা প্রস্তুত। যারা ডাকসু নির্বাচনকে ভন্ডুল করার চেষ্টা করবে, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
তিনি ডাকসু নির্বাচনকে নিরাপদ ও নির্বিঘ্ন করতে সরকারের সব সংস্থার সমন্বিত প্রচেষ্টার প্রতি গুরুত্বারোপ করেন।
সভার শুরুতে ডিএমপির যুগ্ম পুলিশ কমিশনার (অপারেশনস্) মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ পাওয়ারপয়েন্ট প্রেজেন্টেশনের মাধ্যমে নির্বাচনের সার্বিক নিরাপত্তা পরিকল্পনা উপস্থাপন করেন।
এরপর সভায় উপস্থিত বিভিন্ন সংস্থার প্রতিনিধি উন্মুক্ত আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন এবং তাদের মূল্যবান মতামত তুলে ধরেন।
সভায় ডিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনস) এস এন মো. নজরুল ইসলাম, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (লজিস্টিকস্, ফিন্যান্স অ্যান্ড প্রকিউরমেন্ট) হাসান মো. শওকত আলী, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (সিটিটিসি) মো. মাসুদ করিম; অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (গোয়েন্দা) মো. শফিকুল ইসলাম, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) মো. জিললুর রহমান, যুগ্ম পুলিশ কমিশনাররা, উপ-পুলিশ কমিশনারসহ বিভিন্ন পদমর্যাদার পুলিশ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
এ ছাড়াও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর সাইফুদ্দিন আহমেদ, ডাকসু নির্বাচন কমিশনের চিফ রিটার্নিং অফিসার অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ জসীম উদ্দিন, সহযোগী রিটার্নিং অফিসার, ছাত্র প্রতিনিধি, বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিনিধি, পুলিশের বিভিন্ন বিশেষায়িত ইউনিটের প্রতিনিধি, ফায়ার সার্ভিসসহ সরকারের বিভিন্ন সেবামূলক প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
১১৮ দিন আগে
ভোলায় জাহাজের ধাক্কায় কাঁচামালবাহী কোষ্টার জাহাজডুবি, একদিন পেরোলেও শুরু হয়নি উদ্ধারকাজ
ভোলা সদর উপজেলার কাচিয়া ইউনিয়ন সংলগ্ন মেঘনা নদীতে জাহাজের ধাক্কায় সিরামিক কোম্পানির কাঁচামালবাহী এমভি রেক্সগ্লোরি-১ কোষ্টার জাহাজডুবির ঘটনা ঘটেছে।
সোমবার (১ সেপ্টেম্বর) দুপুর পর্যন্ত ডুবে যাওয়ার একদিন পার হলেও উদ্ধারকাজ শুরু হয়নি। এ ঘটনায় ভোলা মডেল থানায় দুটি জিডি করা হয়েছে।
ঘটনায় কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। জাহাজে থাকা চালক, মাষ্টারসহ সবকর্মীরা উদ্ধার হয়েছেন।
কোষ্টার জাহাজ এমভি রেক্স গ্লোরি-১’র সুকানি মো. শহিদুল ইসলাম ও স্থানীয় প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সিরামিক কাঁচামাল বোঝাই করে এমভি রেক্সগ্লোরি-১ চট্টগ্রাম বন্দর থেকে ২৯ আগষ্ট দিনে ঢাকার উদ্দেশে রওনা দেয়। পরদিন ৩০ আগষ্ট শুক্রবার রাতে ভোলার কাচিয়া ঘাটে নোঙর করে। রবিবার ভোর ৪টার দিকে বিপরীত দিক থেকে আসা এম ভি সুলতান বক্কর নামের আরেকটি জাহাজ ধাক্কা দিলে রেক্সগ্লোরির তলা ফেটে যায়। এর পর থেকে ধীরে ধীরে জাহাজটি ডুবতে থাকে।
জাহাজে থাকা ১৩ জন স্টাফ স্থানীয় ট্রলারের সাহায্যে মেঘনা নদীর তীরের তুলাতুলি মাছঘাটে আশ্রয় নেন। ওই জাহাজে মীর সিরামিকসের প্রায় ১৮শ টন কাঁচা মাল রয়েছে।
সোমবার সকালে সরেজমিনে দেখা যায়, জাহাজটির চার ভাগের তিন ভাগ পুরোপুরি ডুবে গেছে। এখন শুধু জাহাজের মাষ্টার ব্রিজ চালকের রুম ও মাস্তুল দেখা যাচ্ছে। জাহাজটি পুরোপুরি ডুবতে মাত্র ৪-৫ হাত বাকি আছে। আজ সন্ধ্যার মধ্যেই জাহাজটি সম্পূর্ণ ডুবে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
জাহাজের স্টাফরা জানান, বিষয়টি মালিকপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে। তারা উদ্ধার জাহাজ পাঠিয়ে মালামাল খালাস ও জাহাজকে বিপদমুক্ত করার উদ্যোগ নেবেন।
এ ব্যাপারে ভোলা ইলিশা নৌ থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহিন উদ্দিন জানান, পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। ডুবে যাওয়া জাহাজের স্টাফদের উদ্ধার করে নিরাপদ হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। তবে জাহাজটি উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি।
এ ঘটনায় দুটি জাহাজের পক্ষ থেকে ভোলা মডেল থানায় দুটি পৃথক সাধারণ ডায়রি করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন থানার ওসি আবু সাহাদাৎ মো. হাচনাইন পারভেজ।
১১৮ দিন আগে
আগস্টে ২৪২ কোটি ডলার রেমিট্যান্স এসেছে
সদ্য সমাপ্ত আগস্ট মাসে ২৪২ কোটি মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা। ২০২৪ সালের একই সময়ে ২২২ কোটি ডলার রেমিট্যান্স এসেছিল। অর্থাৎ আগের অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় রেমিট্যান্স প্রবাহ প্রায় ৮ দশমিক ৯ শতাংশ বেড়েছে।
সোমবার (১ সেপ্টেম্বর) বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদনে এসব তথ্য উঠে এসেছে।
সবশেষ চলতি অর্থবছরের শুরুর জুলাই মাসে প্রবাসী বাংলাদেশিরা দেশে রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন রেকর্ড ২৪৮ কোটি মার্কিন ডলার।
চলতি ২০২৫-২৬ অর্থবছরের প্রথম দুই মাস— জুলাই ও আগস্টে রেমিট্যান্স এসেছে ৪৯০ কোটি ডলার। গত বছর একই সময় এসেছিল ৪১৩ কোটি ডলার। এর মানে রেমিট্যান্স বেড়েছে ৭৭ কোটি ডলার যা ১৮ দশমিক ৪ শতাংশ।
পড়ুন: একটি ভালো নির্বাচন হলে দেশে স্থিতিশীলতা ফিরবে: অধ্যাপক ড. মোস্তাফিজুর
আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের বিপিএম৬ মানদণ্ড অনুযায়ী, বাংলাদেশের মোট বৈদেশিক মুদ্রার মজুত বেড়ে ৩ হাজার ১০০ কোটি ডলারে দাঁড়িয়েছে। এর আগে এটি ২ হাজার ৬০০ কোটির বেশি ছিল।
গেল ২০২৪-২৫ অর্থবছরে প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্সে রেকর্ড প্রবাহ এসেছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ তথ্যমতে, ২০২৪-২৫ অর্থবছর শেষে দেশে রেমিট্যান্স এসেছে ৩ হাজার ৩৩ কোটি মার্কিন ডলার।
১১৮ দিন আগে