বাংলাদেশ
অস্ট্রেলিয়ায় সড়ক দুর্ঘটনায় ফেনীর শিক্ষার্থী নিহত
অস্ট্রেলিয়ার দক্ষিণাঞ্চলে সড়ক দুর্ঘটনায় মো. আদিব ফারহান (২০) নামে এক বাংলাদেশি শিক্ষার্থী নিহত হয়েছেন। রবিবার (৩১ আগস্ট) স্থানীয় সময় ভোর ৬টার দিকে নিউক্যাসল শহরে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত আদিব ফারহান ফেনীর ফুলগাজী উপজেলার দরবারপুর ইউনিয়নের জগৎপুর গ্রামের মোশাররফ হোসেনের ছেলে। দীর্ঘদিন ধরে তার পরিবার ঢাকার নাখালপাড়া এলাকায় বসবাস করছে। ছয় মাস আগে উচ্চশিক্ষার জন্য অস্ট্রেলিয়ায় যান তিনি।
পড়ুন: যশোরের মনিরামপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় স্কুলছাত্রী নিহত, আহত বাবা-মা
পরিবার সূত্রে জানা যায়, আদিব চার বন্ধুসহ ভোরে নাশতা করতে বেরিয়েছিলেন। পথে তাদের প্রাইভেটকার নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে উল্টে যায়। এতে আদিব ফারহানসহ সবাই গুরুতর আহত হন। স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক আদিবসহ দুই শিক্ষার্থীকে মৃত ঘোষণা করেন। অন্য দুজনও চিকিৎসাধীন।
নিহতের চাচা আবুল হাসনাত বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, আদিব ছিলেন পরিবারের বড় সন্তান। তিনি এ লেভেল, ও লেভেল শেষ করে উচ্চশিক্ষার জন্য অস্ট্রেলিয়ায় গিয়েছিলেন। মাত্র দুই মাস আগে তিনি ছুটিতে দেশে এসেছিলেন। ছেলের মৃত্যুর খবরে মা বারবার মূর্ছা যাচ্ছেন, বাবা বাকরুদ্ধ হয়ে পড়েছেন।
এ ঘটনায় প্রবাসী বাংলাদেশি কমিউনিটিতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। আদিবের লাশ দ্রুত দেশে আনার জন্য পরিবারের পক্ষ থেকে সরকারের কাছে সহযোগিতা কামনা করা হয়েছে।
১১৯ দিন আগে
আওয়ামী লীগ অবশ্যই নির্বাচন বাধাগ্রস্ত করার চেষ্টা করবে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেছেন, কার্যক্রম বর্তমানে নিষিদ্ধ থাকা আওয়ামী লীগ আসন্ন জাতীয় নির্বাচন ‘অবশ্যই ব্যাহত করার চেষ্টা’ করবে।
রবিবার (৩১ আগস্ট) সচিবালয়ে আইনশৃঙ্খলা বিষয়ক কোর কমিটির বৈঠকের পর সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে উপদেষ্টা এই মন্তব্য করেন।
আসন্ন জাতীয় নির্বাচনের উপর গুরুত্ব দিয়ে পুলিশ সংস্কার কমিশন, রাজনৈতিক দলের কর্মকাণ্ড, মাদক নিয়ন্ত্রণ, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের উসকানি এবং ভুয়া খবর ছড়িয়ে দেওয়ার বিষয়ে বৈঠকে আলোচনা করা হয়েছে বলে জানান তিনি।
নির্বাচন সম্পর্কিত আলোচনা সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেন, ফ্যাসিস্ট সরকারের পতনের পর রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে যে ঐক্য ছিল, তা পুনরুজ্জীবিত ও সুরক্ষিত করতে হবে।
তিনি আরও বলেন, ‘মতবিরোধ থাকলেও গণতন্ত্রের স্বার্থে একসঙ্গে কাজ করার জন্য সকল রাজনৈতিক দলকে ব্যক্তিগত এবং দলীয় স্বার্থকে দূরে সরিয়ে রাখতে হবে। এই ঐক্য ভেঙে গেলে, ফ্যাসিস্ট গোষ্ঠীগুলো বিশৃঙ্খলা ও অস্থিরতা তৈরি করতে পারে।’
পড়ুন: সুষ্ঠু নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীতে বড় নিয়োগ দেওয়া হয়েছে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
তিনি আরও বলেন, নির্বাচনের নিরাপত্তা সম্পর্কে জাহাঙ্গীর আলম বলেন, নির্বাচনের সুষ্ঠুতা এবং শান্তিপূর্ণ আয়োজন সংশ্লিষ্ট রাজনৈতিক দলগুলোর আচরণের উপর নির্ভর করছে। আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলো নিরাপত্তা দেবে এবং আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখার জন্য সম্পূর্ণ প্রস্তুত রয়েছে।
জনসাধারণের অংশগ্রহণের গুরুত্বের উপর জোর দিয়ে তিনি বলেন, ‘মানুষের স্বেচ্ছায় এবং উৎসাহের সঙ্গে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। রাজনৈতিক দলগুলোকে অবশ্যই নিশ্চিত করতে হবে যে সকলের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করবে। সকলের সহযোগিতায়, আমরা বিশ্বাস করি অন্তর্বর্তী সরকার একটি অবাধ, শান্তিপূর্ণ এবং উৎসবমুখর নির্বাচন অনুষ্ঠান করতে সক্ষম হবে।’
পুলিশের নিরপেক্ষতা এবং নিষ্ক্রিয়তা সম্পর্কে জনসাধারণের উদ্বেগ সম্পর্কে জানতে চাইলে উপদেষ্টা বলেন, পুলিশ যদি তাড়াতাড়ি পদক্ষেপ নেয়, তাহলে মানুষ অভিযোগ করে যে তারা একটি শান্তিপূর্ণ অনুষ্ঠান বন্ধ করে দিয়েছে। কিন্তু, যদি তারা খুব দেরিতে পদক্ষেপ নেয়—তাহলে আবার সমালোচনা হয়।
উপদেষ্টা বলেন, ‘ভারসাম্য বজায় রাখা খুবই কঠিন। আমরা চেষ্টা করছি। উদাহরণস্বরূপ, গতকাল (৩০ আগস্ট) একটি অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছিল। পুলিশ যদি তা ঘটার আগেই পদক্ষেপ নিত—তাহলে অনেকেই বলত যে, তারা অপ্রয়োজনীয়ভাবে হস্তক্ষেপ করেছে।’
সারা দেশে সাম্প্রতিক সহিংসতার ঘটনা সম্পর্কে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, তারা প্রয়োজনীয় সকল প্রস্তুতি নিচ্ছে। ‘৭ সেপ্টেম্বর থেকে পুলিশ প্রশিক্ষণ কর্মসূচি শুরু হবে। আমরা প্রস্তুত।’
তিনি এই ধরনের ঘটনা কমাতে জনসাধারণ এবং রাজনৈতিক সমর্থন কামনা করেন। ‘এই ঘটনাগুলো ধীরে ধীরে কমাতে আমাদের সকলের সাহায্য প্রয়োজন। তবেই নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে অনুষ্ঠিত হতে পারে।’
কিছু গোষ্ঠী ইচ্ছাকৃতভাবে একটি সুষ্ঠু নির্বাচন ঠেকানোর চেষ্টা করছে কিনা জানতে চাইলে উপদেষ্টা বলেন, যারা আর রাজনীতিতে সক্রিয় নন, তারা অবশ্যই বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে চাইবেন। তাদের মধ্যে কেউ কেউ এখনও পলাতক আছেন।
তিনি আরও বলেন, ‘রাজনৈতিক দল, জনগণ এবং কর্তৃপক্ষ—আমাদের সকলের কর্তব্য—তাদের থামানো।’
১১৯ দিন আগে
নুরের উপর এমন বর্বর হামলার ঘটনা আ. লীগ আমলেও ঘটেনি: উপদেষ্টা আসিফ
যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া বলেছেন, গণধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুরের উপর এমন বর্বর হামলার ঘটনা আওয়ামী লীগ সরকারের আমলেও ঘটেনি, যা এই সরকারের আমলে ঘটেছে। এই দায়-দায়িত্ব সরকারকে নিতে হবে।
রবিবার (৩১ আগষ্ট) দুপুরে গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নূরকে দেখতে এসে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগের সামনে সাংবাদিকদের এই কথা বলেন তিনি।তিনি বলেন, এই হামলা কোনো সাধারণ কর্মীর উপরে ঘটনা ঘটেনি, এটি একটি দলের প্রধানের উপর হামলার ঘটনা ঘটেছে।
উপদেষ্টা বলেন, গণধিকার পরিষদ সভাপতি নুরুল হক নূরের ওপর যে বর্বর হামলার ঘটনা ঘটেছে, আওয়ামী লীগ সরকারের আমলেও এই ঘটনা ঘটতে দেখিনি। যেটি দুঃখজনকভাবে এই সরকারের আমলে ঘটেছে।
পড়ুন: নুরের শারীরিক অবস্থার খোঁজ নিলেন রাষ্ট্রপতি
তিনি আরও বলেন, হামলার ঘটনা যেহেতু অন্তর্বর্তী সরকারের আমলে ঘটেছে, তাই এই হামলার ঘটনা যেই ঘটাক না কেন, তার দায়-দায়িত্ব সরকার দায়িত্ব এড়াতে পারে না। দায় এই সরকারের উপরি বর্তায়। তাই এই সরকারকে এটা সমাধান করতে হবে এবং বিচার করার মাধ্যমে ভবিষ্যতে যেন এই ধরনের ন্যাক্কারজনক ঘটনা ঘটাতে না পারে—এই সরকারকে সেটি নিশ্চিত করতে হবে।
উপদেষ্টা আরও বলেন, গণধিকার পরিষদের পক্ষ থেকে সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে অভিযোগের প্রশ্নে তিনি বলেন, সরকার একটি শক্তিশালী তদন্ত কমিটি করার বিষয়ে ভাবছে।
মব নিয়ে তিনি বলেন, কোনটা মব আর কোনটা রাজনৈতিক কর্মসূচি এটার পার্থক্যটা আগে বুঝতে হবে। রাজনৈতিক দল কিভাবে মব করে। আমি যতটুকু জানি প্রথমত হামলা করেছে জাতীয় পার্টির পক্ষ থেকে। এর আগেও দেখেছি আমরা রাজনৈতিক দলগুলার মধ্যে উত্তপ্ত পরিস্থিতি সৃষ্টি হতেই পারে। মব বলে একটি পক্ষকে নিউট্রালাইজ করা আরেকটি পক্ষকে ফ্যাসিলিটি দেওয়া এটাই স্পষ্টই জাতীয় পার্টির মাধ্যমে আওয়ামী লীগকে ফেরানোর পরিকল্পনা করছে।
উপদেষ্টা আরও বলেন, নুরু ভাই জুলাই আন্দোলনের একজন জাতীয় সম্মুখ সারির নেতা ছিলেন। তার ওপর এই ধরনের ন্যাক্কারজনক হামলা মেনে নেওয়া যায় না। আমি তাকে দেখে এসেছি। তার নাকে মুখে বিভিন্ন জায়গায় আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। সরকারের পক্ষ থেকে তার চিকিৎসার ব্যবস্থা করেছি এবং যদি তার উন্নত চিকিৎসার প্রয়োজন হয়, সরকারের পক্ষ থেকে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে নেওয়া হবে বলে জানান তিনি।
১১৯ দিন আগে
সংঘর্ষের ঘটনায় চবিতে ১৪৪ ধারা জারি
শুক্রবার দিবাগত রাতে এক ছাত্রীকে হেনস্থার ঘটনাকে কেন্দ্র করে চবি শিক্ষার্থীদের সঙ্গে স্থানীয় জনতার সংঘর্ষের পর চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি করেছে স্থানীয় প্রশাসন।
হাটহাজারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবদুল্লাহ আল মুমিন রবিবার(৩১ আগস্ট) বিকালে এই নিষেধাজ্ঞা জারি করেছেন।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ২ নম্বর গেটের পূর্ব পাশ থেকে উপজেলার ফতেহপুর ইউনিয়নের বিশ্ববিদ্যালয় এলাকার পূর্ব পাশে রেলগেট পর্যন্ত রবিবার দুপুর ২টা থেকে সোমবার রাত ১২টা পর্যন্ত এই নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।
আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি বজায় রাখতে এবং জনসাধারণের জীবন ও সম্পত্তি রক্ষার জন্য স্থানীয় প্রশাসন এই জরুরি অবস্থা জারি করেছে।
স্থানীয় প্রশাসনের জারি করা বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, এই সময়ের মধ্যে সকল ধরণের আন্দোলন, জমায়েত, সমাবেশ, বিক্ষোভ এবং সকল ধরণের অস্ত্র ও ধারালো অস্ত্র বহন নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
পড়ুন: চবিতে আবারও দফায় দফায় সংঘর্ষ, সব পরীক্ষা স্থগিত
এর আগে, গতকাল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সাথে স্থানীয়দের সংঘর্ষে উপাচার্য ও প্রক্টরসহ কমপক্ষে ৫০ জন আহত হন।
সংঘর্ষে অধ্যাপক কামাল উদ্দিন, উপ উপাচার্য এবং প্রক্টর তানভীর মোহাম্মদ হায়দার আরিফ আহত হন।
শিক্ষার্থীরা জানিয়েছেন, দুপুর পৌনে ১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের উত্তর আবাসিক এলাকার ২ নম্বর গেটে স্থানীয় একদল লোক কোনো উসকানি ছাড়াই শিক্ষার্থীদের লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করলে সংঘর্ষ শুরু হয়। এতে পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার ঘটনা ঘটে এবং ৫০ জন আহত হন। এসময় পুরো এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়।
শিক্ষার্থীরা আরও দাবি করেছেন, সকালে ক্যাম্পাসে সেনাবাহিনীর সদস্যদের দেখা গেলেও তারা একটি সংক্ষিপ্ত অভিযান চালিয়ে চলে যান। তাদের চলে যাওয়ার পরপরই সংঘর্ষ শুরু হয়।
এদিকে, সংঘর্ষের পর সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল বিভাগের চলমান সকল পরীক্ষা স্থগিত করেছে।
উপ উপাচার্য কামাল উদ্দিন বলেন, ‘স্থানীয়দের হামলায় আহত অনেক শিক্ষার্থীর আজ নির্ধারিত পরীক্ষা ছিল। পরিস্থিতি বিবেচনা করে সকল পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে।’
এর আগে, শনিবার দর্শন বিভাগের এক ছাত্রীকে মধ্যরাতের কিছু আগে গেট খোলার বিষয়টি নিয়ে তার ভাড়া বাড়ির একজন প্রহরী এবং তার মধ্যে তর্কাতর্কি শুরু হয়। এক পর্যায়ে, প্রহরী মেয়েটিকে শারীরিকভাবে হেনস্থা করার অভিযোগ ওঠে।
অন্যান্য শিক্ষার্থীরা ঘটনার প্রতিবাদে জড়ো হয়ে প্রহরীকে আটক করার চেষ্টা করলে তাদের সঙ্গে স্থানীয়দের হাতাহাতির ঘটনা ঘটে।
এক পর্যায়ে, স্থানীয় মসজিদ থেকে ঘোষণা দেওয়া হয় যে বাসিন্দাদের জড়ো হয়ে আক্রমণ করার আহ্বান জানানো হয়। অন্যদিকে চবি সোহরাওয়ার্দী হল মসজিদ থেকে ঘোষণার মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা একত্রিত হয়, যার ফলে ভয়াবহ সংঘর্ষের সূত্রপাত হয় এবং ৫০ জন আহত হয়।
শিক্ষার্থীরা আরও দাবি করেছেন যে, সংঘর্ষের সময় স্থানীয় লোকজন ধারালো অস্ত্র দিয়ে কিছু শিক্ষার্থীর উপর হামলা চালিয়েছে।
আহতদের মধ্যে ২০ থেকে ২১ জনকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (সিএমসিএইচ) ভর্তি করা হয়েছে।
১১৯ দিন আগে
ডেঙ্গুতে ঢাকায় চারজনের মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ৫৬৮
এডিস মশাবাহিত ডেঙ্গুজ্বরে আক্রান্ত হয়ে দেশে আরও চারজনের মৃত্যু হয়েছে। আর এ সময়ে সারা দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন আরও ৫৬৮ জন রোগী।
শনিবার (৩০ আগস্ট) সকাল থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় এই মৃত্যু হয়েছে বলে আজ রবিবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ অ্যান্ড ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুমের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
নতুন করে আক্রান্তের মধ্যে ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ১৪৯ জন। আর ঢাকার বাইরের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন আরও ৪১৯ জন।
আরও পড়ুন: ডেঙ্গু: হাসপাতালে ভর্তি ১৬৫, মৃত্যু নেই
বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, চলতি বছর আক্রান্ত হয়ে এখন পর্যন্ত ১২২ জনের মৃত্যু হয়েছে, যাদের মধ্যে ৫৪ দশমিক ৯ শতাংশ পুরুষ এবং ৪৫ দশমিক ১ শতাংশ নারী।
এতে আরও জানানো হয়, চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে ৩১ আগস্ট পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছেন মোট ৩১ হাজার ৪৭৬ জন। এর মধ্যে ৫৯ দশমিক ৬ শতাংশ পুরুষ এবং ৪০ দশমিক ৪ শতাংশ নারী।
১২০ দিন আগে
৩ দফা দাবিতে সড়ক অবরোধে পবিপ্রবির কৃষি শিক্ষার্থীদের
কৃষিবিদ ঐক্য পরিষদের ঘোষিত ৩ দফা দাবির সমর্থনে ঢাকা-কুয়াকাটা মহাসড়ক অবরোধ করেছেন পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষি অনুষদের শিক্ষার্থীরা।
রবিবার (৩১ আগস্ট) দুপুরে লেবুখালী ব্রিজ টোলপ্লাজায় দুই শতাধিক শিক্ষার্থী বিক্ষোভে অংশ নেন। ঘণ্টাব্যাপী এ কর্মসূচিতে সড়কে যান চলাচল ব্যাহত হয়। সেনাবাহিনী ও পুলিশের উপস্থিতিতে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে থাকে।
পড়ুন: শিক্ষার্থীদের অবরোধে ৪ ঘণ্টা বন্ধ ঢাকা-ময়মনসিংহ রেল যোগাযোগ
শিক্ষার্থীদের দাবিগুলো হলো-
ডিএই, বিএডিসি ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানে ১০ম গ্রেড কৃষিবিদদের জন্য উন্মুক্ত করা, নিয়োগ পরীক্ষায় উত্তীর্ণ ছাড়া ৯ম গ্রেডে পদোন্নতি বাতিল এবং কৃষি বিষয়ে স্নাতক ছাড়া অন্য কারো নামের সঙ্গে ‘কৃষিবিদ’ পদবি ব্যবহার না করার প্রজ্ঞাপন জারি।
শিক্ষার্থীরা বলেন, ন্যায্য দাবি আদায় না হলে তারা আরও কঠোর কর্মসূচি দেবেন তারা।
১২০ দিন আগে
শিক্ষার্থীদের অবরোধে ৪ ঘণ্টা বন্ধ ঢাকা-ময়মনসিংহ রেল যোগাযোগ
কৃষিবিদ ঐক্য পরিষদ ঘোষিত তিন দফা দাবি বাস্তবায়নের দাবিতে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) শিক্ষার্থীরা ‘কৃষি অবরোধ’ কর্মসূচি পালন করায় ঢাকা ও ময়মনসিংহের মধ্যে রেল যোগাযোগ প্রায় চার ঘণ্টা বন্ধ ছিল।
কর্মসূচির অংশ হিসেবে বাকৃবি কৃষি অনুষদের শিক্ষার্থীরা রবিবার (৩১ আগস্ট) সকাল ১১টার দিকে ক্যাম্পাসের জব্বারের মোড় এলাকায় ঢাকা-ময়মনসিংহ রেলপথ অবরোধ করেন।
এতে ঢাকাগামী হাওর এক্সপ্রেস ট্রেনটি থেমে যায়। দুপুর ১২টা ৪৫ মিনিটে ট্রেনটি ছেড়ে দেওয়া হয়। পরে, দুপুর ১টায়, শিক্ষার্থীরা আবার একই স্থানে মোহনগঞ্জগামী মহুয়া কমিউটার ট্রেন অবরোধ করে। বিকাল ৩টা ৭ মিনিটে শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত কমিউটার ট্রেনটি আটকে ছিল। এর ফলে ঢাকা-ময়মনসিংহ রেল যোগাযোগ প্রায় চার ঘণ্টা বন্ধ ছিল।
শিক্ষার্থীদের তিন দফা দাবির মধ্যে রয়েছে-
১. কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, বিএডিসি ও অন্যান্য গবেষণা প্রতিষ্ঠানে দশম গ্রেডের সকল পদ (উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা/উপসহকারী বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা/সমমানের) কৃষিবিদদের জন্য সম্পূর্ণ উন্মুক্ত করে দিতে হবে।
২. নিয়োগ পরীক্ষার মাধ্যমে যোগ্যতা অর্জন না করে নবম গ্রেডে পদোন্নতির অনুমতি দেওয়া বন্ধ করাসহ বিএডিসিতে বিদ্যমান কোটা ব্যবস্থা বাতিল করতে হবে।
৩. কৃষি ও কৃষি-সম্পর্কিত বিষয়ের স্নাতক ছাড়া অন্য কেউ ‘কৃষিবিদ’ (কৃষিবিদ) উপাধি ব্যবহার করতে পারবে না। এই বিষয়ে একটি সরকারি গেজেট জারি করতে হবে।
পড়ুন: বিমানবন্দর এলাকায় ট্রেন লাইনচ্যুত, ঢাকামুখী ট্রেন চলাচলে বিঘ্ন
শিক্ষার্থীরা জানিয়েছেন, তারা কেবল তাদের দাবি আদায়ের জন্যই নয়, বরং ডিপ্লোমাধারীদের ‘অযৌক্তিক দাবি’ বলে বর্ণনা করার প্রতিবাদে এই অবরোধ করেছে। তারা অভিযোগ করেছেন, ডিপ্লোমাধারীরা সোশ্যাল মিডিয়ায় নারী কৃষি শিক্ষার্থীদের লক্ষ্য করে অবমাননাকর মন্তব্য করছে।
বাকৃবির কৃষি অনুষদের শিক্ষার্থী রুবেল আহমেদ বলেন, ‘আমরা এই ডিগ্রি অর্জনের জন্য পাঁচ বছর ধরে পড়াশোনা করি। যদি ডিপ্লোমাধারীদের একই পদবি ব্যবহার করার অনুমতি দেওয়া হয়—তাহলে আমাদের ডিগ্রির কী মূল্য আছে?’ তিনি দেরি না করে তাদের দাবি মেনে নিতে সরকারকে আহ্বান জানান।
১২০ দিন আগে
নুরের শারীরিক অবস্থার খোঁজ নিলেন রাষ্ট্রপতি
গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি ও ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুরের শারীরিক অবস্থার খোঁজ নিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন।
রোববার (৩১ আগস্ট) সকাল ১০টা ৭ মিনিটে তিনি ফোন করেন বলে নুরের ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে পোস্ট করে জানানো হয়েছে।
পোস্টে আরও বলা হয়েছে, নুরকে বিদেশে উন্নত চিকিৎসার জন্য সরকারের পক্ষ থেকে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে বলে রাষ্ট্রপতি আশ্বস্ত করেছেন। দ্রুত আরোগ্য কামনা করে তার ওপর হামলার ঘটনার তীব্র নিন্দা ও গভীরভাবে দুঃখ প্রকাশ করেছেন রাষ্ট্রপতি।
এ জঘন্য হামলায় জড়িতদের ব্যাপারে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করা হবে মর্মেও আশ্বস্ত করেছেন তিনি।
আরও পড়ুন: নুরের শারীরিক অবস্থার উন্নতি হচ্ছে: ঢামেক পরিচালক
১২০ দিন আগে
নির্বাচন ঘিরে বিভিন্ন চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হচ্ছে: ডিএমপি কমিশনার
আসন্ন নির্বাচনকে ঘিরে বিভিন্ন চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হচ্ছে বলে জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী।
শনিবার (৩০ আগস্ট) রাজধানীর উত্তরাস্থ এপিবিএন হেডকোয়ার্টার্সে বাংলাদেশ পুলিশ এফসি ফুটবল টিমের সঙ্গে নতুন খেলোয়াড় এবং কোচের অন্তর্ভুক্তি চুক্তি সই অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা জানান।
বাংলাদেশ পুলিশ এফসির প্রেসিডেন্ট হিসেবে নতুন খেলোয়াড়দের স্বাগত জানিয়ে সাজ্জাত আলী বলেন, আসন্ন নির্বাচনকে ঘিরে আমাদের বিভিন্ন চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হচ্ছে। শত ব্যস্ততার মধ্যেও ক্রিকেট দলকে শক্তিশালী করতে আমাদের চেষ্টা অব্যাহত আছে। এরই অংশ হিসেবে নতুন খেলোয়াড়দের অন্তর্ভুক্তি পুলিশ এফসিকে আরও শক্তিশালী করবে।
১২০ দিন আগে
অন্তর্বর্তী সরকারের আমলে ১৬০৪ বার সড়ক অবরোধ হয়েছে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ক্ষমতায় আসার পর ১২৩টি সংগঠন মোট ১ হাজার ৬০৪ বার সড়ক অবরোধ করেছে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। এতে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন তিনি।
আইনশৃঙ্খলা-সংক্রান্ত কোর কমিটির বৈঠক শেষে রোববার (৩১ আগস্ট) দুপুরে তিনি এসব কথা বলেন।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, আমরা দায়িত্ব নেওয়ার পর ঢাকা ও এর আশপাশের সড়কে এক হাজার ৬০৪টি অবরোধ হয়েছে। ১২৩টি সংগঠন এগুলো করেছে।
তবে এ ব্যাপারে সাংবাদিকদের মাধ্যমে তিনি অনুরোধ জানান, এগুলো যেন সড়কে না করা হয়। কারণ এতে জনদুর্ভোগ সৃষ্টি হয়।
আরও পড়ুন: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার নামে ভুয়া অডিও রেকর্ড, মন্ত্রণালয়ের প্রতিবাদ
তিনি বলেন, যানজটের একটা বড় কারণ হলো, একটি সড়কের যদি কোনো একটা কোণা ব্লক হয়ে যায়, তাতে ঢাকা শহর অ্যাফেক্টেড হয়। আমি সবার কাছে অনুরোধ করব, এগুলো যেন একটি সুনির্দিষ্ট জায়গায় করা হয়। মাঠ রয়েছে, কিংবা আমাদের সোহরাওয়ার্দী উদ্যান রয়েছে— এসব জায়গায় করা হলে জনদুর্ভোগটা কম হবে।
১২০ দিন আগে