বাংলাদেশ
সব স্থলবন্দরে ডিজিটাল সেবা কার্যক্রম চালু করা হবে: নৌপ্রতিমন্ত্রী
স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের লক্ষ্যে দেশের সব স্থলবন্দরে ডিজিটাল সেবা কার্যক্রম চালু করা হবে বলে জানিয়েছেন নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী।
বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) সাতক্ষীরা জেলায় ভোমরা স্থলবন্দরের ডিজিটালাইজেশন প্রকল্পের ই-পোর্ট ম্যানেজমেন্ট সিস্টেমের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এ কথা জানান তিনি।
তিনি আরও বলেন, বন্দরের সেবা কার্যক্রম কাগজহীন করতে বেনাপোল ও বুড়িমারী স্থলবন্দরের পর তৃতীয় বন্দর হিসেবে ভোমরা স্থলবন্দরে অটোমেশন চালু করা হয়েছে।
প্রায় ১২শ কোটি টাকা ব্যয়ে ভোমরা স্থলবন্দরের অবকাঠামোগত উন্নয়ন করা হবে জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, “ভোমরা বন্দর আগামী দিনের প্রাণকেন্দ্র হয়ে যাবে। 'হিরো' পোর্ট হয়ে যাবে। বন্দরটি যেন কোনো সংকটে না পড়ে সেজন্যে সংশ্লিষ্ট সবাইকে কাজ করতে হবে।”
প্রতিমন্ত্রী বলেন, গ্লোবাল অ্যালায়েন্স ফর ট্রেড ফ্যাসিলিটেশনের (জিএটিএফ) অর্থায়নে প্রায় ৯ কোটি টাকা ব্যয়ে ভোমরা স্থলবন্দরে ডিজিটালাইজেশন করা হয়েছে। এই কার্যক্রম প্রতিবেশী দেশের সঙ্গে পণ্য সরবরাহ সচল রাখতে ব্যাপক ভূমিকা রাখবে।
খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ব্যবসাবান্ধব করে তুলতে ভোমরা বন্দরে ই-পোর্ট ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম উদ্বোধন করা হয়েছে। স্থলবন্দরগুলোতে অনেক চ্যালেঞ্জ আছে। আপডেট করা হচ্ছে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন উল্লেখ করে নৌপ্রতিমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সময় সড়ক, রেল, আকাশ, নৌপথে সর্বক্ষেত্রে অভূতপূর্ব উন্নয়ন হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, ‘মোংলা বন্দরকে লাভজনক করা হয়েছে। পায়রা বন্দর করা হয়েছে। মাতারবাড়ি সমুদ্র বন্দর করা হচ্ছে। এসব উন্নয়নের ফলে বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক নৌসংস্থায় 'সি' ক্যাটাগরিতে সদস্য নির্বাচিত হয়েছে।’
বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান মো. জিল্লুর রহমান চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও ছিলেন- সংসদ সদস্য ডা. আ ফ ম রুহুল হক, সংসদ সদস্য আশরাফুজ্জামান আশু, সংসদ সদস্য লায়লা পারভীন সেঁজুতি, সুইসকন্টাক্ট বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর মুজিবুল হাসান, গ্লোবাল অ্যালায়েন্স ফর ট্রেড ফ্যাসিলিটেশন (জিএটিএফ) ডিরেক্টর ফিলিপ আইলার, সুইসকন্টাক্টের ডিরেক্টর (গ্লোবাল প্রোগ্রামস) বেনজামিন ল্যাংসহ আরও অনেকে।
৫৪২ দিন আগে
ওবায়দুল কাদেরের সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের বৈঠক স্থগিত, কর্মবিরতি চলছে
পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে অনির্দিষ্টকালের জন্য শিক্ষক-কর্মচারীদের কর্মবিরতির অংশ হিসেবে বৃহস্পতিবারও ক্লাস-পরীক্ষাসহ সব কার্যক্রম বন্ধ ছিল।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের সঙ্গে শিক্ষকদের বৈঠকও স্থগিত করা হয়েছে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা অনুষদের প্রধান ফটকের সামনে আয়োজিত সমাবেশে ৩৫টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তত ৯০ জন শিক্ষক প্রত্যয় পেনশন স্কিম থেকে পাবরিক বিশ্ববিদ্যালয়কে বাদ দেওয়ার দাবিতে একাত্মতা প্রকাশ করেন।
সমাবেশে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি ড. নিজামুল হক ভূঁইয়া বলেন, সর্বজনীন পেনশন ব্যবস্থা সম্পূর্ণ বৈষম্যমূলক। এটি কিছু লোককে সুবিধা দেবে এবং কাউকে বঞ্চিত করবে। ‘এই পেনশন প্রকল্প আমাদের মর্যাদা ক্ষুণ্ন করেছে এবং আমাদের আর্থিক বিষয় ও ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কথা ভাবতে বাধ্য করেছে।’
তিনি বলেন, ‘পেনশন স্কিমে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের অন্তর্ভুক্তি এ পেশার ওপর মারাত্মক প্রভাব ফেলবে। শিক্ষকদের এই প্রকল্পে অন্তর্ভুক্ত করা হলে তারা সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত হবেন।’
আরও পড়ুন: ছাত্র-শিক্ষকদের আন্দোলনে অনুপ্রবেশ করেছে বিএনপি: হাছান মাহমুদ
তাদের প্রত্যাশার বিষয়ে জানতে চাইলে অধ্যাপক নিজামুল হক বলেন, ‘আমরা আশা করছি কর্তৃপক্ষ আমাদের সঙ্গে এ বিষয়ে কথা বলবে। আজ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের সঙ্গে আমাদের বৈঠক হওয়ার কথা ছিল, কিন্তু জরুরি কর্মসূচির কারণে তিনি আজ আমাদের সঙ্গে যোগ দিতে পারেননি। আমরা শিগগিরই তার সঙ্গে কথা বলব বলে আশা করছি। আমরা নিশ্চিত কিছু সরকারি কর্মকর্তা প্রধানমন্ত্রীকে মিথ্যা বা বানোয়াট তথ্য দিয়ে বিভ্রান্ত করেছেন, তার সঙ্গে কথা বলতে পারলে সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে।’
সভা বাতিলের বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ফেডারেশনের যুগ্ম মহাসচিব আব্দুর রহিম বলেন, রাষ্ট্রীয় স্বার্থ জড়িত এমন কোনো গুরুত্বপূর্ণ কর্মসূচি থাকতে পারে। ‘কিন্তু আমাদের প্রয়োজনটাও গুরুত্বপূর্ণ। এ বিষয়ে গুরুত্ব দিতে হবে। উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো দীর্ঘদিন বন্ধ থাকা দেশের জন্য শুভ নয়। দাবি না মানা পর্যন্ত আমরা আন্দোলন চালিয়ে যাব। এর কোনো বিকল্প পথ নেই।’
আরও পড়ুন: বিশ্বজুড়েই দুর্নীতি একটি বাস্তবতা: ওবায়দুল কাদের
৫৪২ দিন আগে
কক্সবাজারের নারীদের আত্মকর্মসংস্থানে ল্যাপটপ দেওয়ার প্রতিশ্রুতি পলকের
তথ্যপ্রযুক্তির সর্বোত্তম নিরাপদ ব্যবহারের মাধ্যমে নারীদের আত্মকর্মসংস্থান নিশ্চিত করতে ল্যাপটপ দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন ডাক টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।
নারীদের আত্মকর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করে উদ্যোক্তা হিসেবে তাদের টেকসই ক্ষমতায়ন নিশ্চিতকল্পে ‘হার পাওয়ার প্রকল্প: প্রযুক্তির সহায়তায় নারীর ক্ষমতায়ন (১ম সংশোধিত)’ প্রকল্পের আওতায় ল্যাপটপ দেওয়ার ঘোষণা দেন তিনি।
বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) বিকালে হার পাওয়ার প্রকল্পের আওতায় কক্সবাজারে নারী প্রশিক্ষণার্থীদের চলমান প্রশিক্ষণ কার্যক্রম পরিদর্শনকালে এ আশ্বাস দেন তিনি।
প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, ‘২৫ হাজার নারী উদ্যোক্তা তৈরি করার জন্য প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা ও প্রধানমন্ত্রীর আইসিটি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়ের পরামর্শ ও দিকনির্দেশনায় তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি অধিদপ্তরের অধীনে ‘হার পাওয়ার’ প্রকল্পের বাস্তবায়ন করছি। যেখানে প্রশিক্ষণ ও মেন্টরশিপ শেষে নারী উদ্যোক্তাদের একটি করে ল্যাপটপ উপহার দেওয়া হচ্ছে।’
তিনি আরও বলেন, ভবিষ্যতে এই উদ্যোগ আরও বড় করা গেলে স্কুলের শিক্ষার্থীদের ক্লাস শেষে শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাবের রিসোর্সগুলো বেকার তরুণ-তরুণীদের ব্যবহার করার সুযোগ করে দেওয়া যায়। এছাড়াও শিক্ষকদেরও ফ্রিল্যান্সিং প্রশিক্ষণের সুযোগ করে দেওয়া সম্ভব হবে।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী বলেন, বর্তমান সরকারের মেয়াদে আইটি সেক্টরে আরও ১০ লক্ষ নতুন কর্মসংস্থান তৈরি করা হবে। পাশাপাশি নারী কর্মসংস্থান নিশ্চিত করতে আগামীতে ‘হার পাওয়ার-২’ প্রকল্প গ্রহণ করা হবে বলে জানান তিনি।
এ প্রকল্পে আরও প্রায় দেড় লক্ষ তরুণীদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা হবে জানিয়ে পলক বলেন, আগামী ২০৪১ সালের মধ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের লক্ষ্য পূরণে স্মার্ট নারী উদ্যোক্তা তৈরিতে ‘হার পাওয়ার’ প্রকল্প গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।
পরে প্রতিমন্ত্রী মোবাইল অপারেটরদের নেটওয়ার্কের মান যাচাইয়ের জন্য কক্সবাজার বিমানবন্দর এলাকায় চলমান ড্রাইভ টেস্টের কার্যক্রম পরিদর্শন করেন।
৫৪২ দিন আগে
মালয়েশিয়ায় যেতে না পারা কর্মীদের টাকা ১৮ জুলাইয়ের মধ্যে ফেরতের নির্দেশ
বেঁধে দেওয়া সময়ের মধ্যে মালয়েশিয়ায় যেতে না পারা কর্মীদের টাকা আগামী ১৮ জুলাইয়ের মধ্যে ফেরত দিতে রিক্রুটিং এজেন্সিগুলোর প্রতি নির্দেশ দিয়েছে প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়।
বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে মালয়েশিয়া পরিস্থিতি নিয়ে আয়োজিত মত বিনিময় সভায় একথা জানান প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী শফিকুর রহমান চৌধুরী।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘গতকাল (বুধবার) আমরা বায়রার (বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব ইন্টারন্যাশনাল রিক্রুটিং এজেন্সি) সঙ্গে বসেছিলাম। তারা আমাদের সঙ্গে একমত হয়েছেন। যেসব কর্মী মালয়েশিয়ায় যেতে পারেননি তাদের টাকা ফেরত দেওয়া হবে। তারা (বায়রা) ১৫ দিন সময় চেয়েছে। আমরা বলেছি, আগামী ১৮ জুলাইয়ের মধ্যে টাকা ফেরত দিতে। এ সময়ের মধ্যে যারা টাকা দিতে পারবে না তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
শফিকুর রহমান বলেন, ‘১৫ দিন দেখি কতজনের টাকা উদ্ধার হয়। উদ্ধার না হলে আমরা ব্যবস্থা নেব। আমাদের উদ্দেশ্য, যারা যেতে পারেননি তারা যেন টাকাটা ফেরত পান। কতজন যেতে পারেনি সেটা বড় কথা নয়, এখন টাকা ফেরত পাওয়াটা বড় বিষয়। বায়রা ও রিক্রুটিং এজেন্সি বুঝতে পারছে তারা এবার ছাড় পাবে না।’
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘তদন্ত কমিটির অনুসন্ধানে দেখা গেছে, ১০০টি রিক্রুটিং এজেন্সি মালয়েশিয়ায় কর্মী পাঠায়। তাদের কারো ১০ জন, কারো ৫০ জন, কারো ৫০০ জন, কারো ৪০০ জন কর্মী যেতে পারেননি। প্রায় ২ হাজার ২৫ জন অভিযোগ করেছেন। ১৭ হাজার ৭৭৭ হাজার জন কর্মী মালয়েশিয়া যেতে পারেনি। ৫ লাখ ৩২ হাজার ১৬২ কোটার মধ্যে ৪ লাখ ৭৬ হাজার চলে গেছে। এর মধ্যে ৪ লাখ ৯৩ জন বিএমইটির ছাড়পত্র পেয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা এগুলো নিয়ে বায়রার সঙ্গে বসেছি, তারা টাকা নিল কিন্তু পাঠাতে পারল না। এই টাকার কী হবে তাদের কাছে জানতে চেয়েছি গতকাল বুধবার। তারা সবাই সম্মত হয়েছে যে প্রমাণ সাপেক্ষে যার কাছ থেকে যত টাকা নেওয়া হয়েছে সেটি আগামী ১৫ দিনের মধ্যে ফেরত দেওয়া হবে। এই একটি ধাপে আমরা মোটামুটি এগিয়েছি।’
৫৪২ দিন আগে
বিদ্যুৎ সরবরাহ ৩-৪ দিনের মধ্যে স্বাভাবিক হবে ও গ্যাস সরবরাহ জুলাইয়ের মাঝামাঝিতে: নসরুল হামিদ
বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেছেন, আগামী তিন থেকে চার দিনের মধ্যে বাংলাদেশের বিদ্যুৎ সরবরাহ পরিস্থিতির উন্নতি হবে বলে আশা করা হচ্ছে। আর জুলাইয়ের মাঝামাঝিতে গ্যাস সরবরাহও স্বাভাবিক হয়ে আসবে।
বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে বাজেটোত্তর সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান তিনি।
জ্বালানি পরিস্থিতি স্থিতিশীল করতে চলমান প্রচেষ্টার বিষয়ে জনগণকে আশ্বস্ত করে নসরুল হামিদ বলেন, ‘আমরা এখন সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। ১৫-১৬ জুলাইয়ের মধ্যে গ্যাস সরবরাহ নিরবচ্ছিন্ন থাকবে।’
প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, বিদ্যুৎ সরবরাহের উন্নতি এরইমধ্যে দেখা যাচ্ছে। আদানির পক্ষ থেকে পুনরায় বিদ্যুৎ সরবরাহ শুরু হয়েছে। পায়রা বিদ্যুৎকেন্দ্রও আবার চালু হয়েছে।
সেপ্টেম্বরে সম্ভাব্য বন্যার ক্ষতি কমাতে প্রস্তুতির প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেন প্রতিমন্ত্রী।
আরও পড়ুন: কারিগরি ও অন্যান্য কারণে মাঝেমধ্যে অস্বাভাবিক বিদ্যুৎ বিল আসতে পারে: নসরুল হামিদ
এই ক্ষতি কমিয়ে আনতে কাজ চলছে জানিয়ে বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশ ৭০০ নদীর দেশ। সাম্প্রতিক ঝড় ও বন্যায় সিলেট অঞ্চলের ৩০ হাজার বিদ্যুতের খুঁটি ধ্বংস হয়েছে এবং সব সাবস্টেশন ডুবে গেছে।’
গ্যাসের চাপ কম থাকার বিষয়ে জানতে চাইলে হামিদ বলেন, ‘ঝড়ের কারণে আমাদের একটি ভাসমান এলএনজি টার্মিনাল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ১৪ থেকে ১৫ জুলাই টার্মিনালে আবার গ্যাস সরবরাহ শুরু হলে গ্যাস সমস্যার সমাধান হবে।’
বিদ্যুতের মূল্য বাড়ার বিষয়টি তুলে ধরে নসরুল হামিদ বলেন, ‘আইএমএফ বছরে চারবার বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর শর্ত দিয়েছে। এ কারণে দুইবার দাম বাড়ানো হয়েছে। এটি নিয়মিত প্রক্রিয়া। সরকার চাইলে আমরা দাম বাড়ানোর উদ্যোগ নেব।’ তবে এখনই গ্রাহক পর্যায়ে বিদ্যুতের দাম বাড়ানো হবে না বলে আশ্বস্ত করেন তিনি।
আগামী ৮ জুলাই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্ধারিত চীন সফরকে সামনে রেখে জ্বালানি সহযোগিতা নিয়ে আলোচনার পরিকল্পনার কথা জানান জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী।
মহেশখালী থেকে গ্রিডের সমান্তরালে ৮টি পাইপলাইন সংযুক্ত করার চেষ্টা চলছে জানিয়ে তিনি বলেন, সম্ভাব্য এক বিলিয়ন ডলারের বিনিয়োগ ও চুক্তি আশা করা হচ্ছে। মূলত বিদ্যুৎ সঞ্চালন ও বিতরণ প্রকল্পগুলোর জন্য এই চুক্তিগুলো করা হবে।
২০২৭ সালের মধ্যে গ্যাস সংকট সমাধান, আরও দুটি ভাসমান এলএনজি টার্মিনাল নির্মাণের পরিকল্পনা এবং স্থল ও অগভীর সমুদ্র এলাকায় নতুন কূপ খননের উদ্যোগ নিয়ে আশাবাদ ব্যক্ত করেন নসরুল হামিদ।
আরও পড়ুন: ২০৩৫ সালের মধ্যে হাইড্রোজেন থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে চায় বাংলাদেশ: সংসদে প্রধানমন্ত্রী
৫৪২ দিন আগে
বাংলাদেশে দারিদ্র্য বিমোচন ও অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে ভূমিকা রাখছে এসএমই: অক্সফাম
দেশের প্রায় ৭৮ লাখ ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের উন্নয়নে বাংলাদেশ সরকারের ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প (এসএমই) ফাউন্ডেশন ও অক্সফাম ইন বাংলাদেশ একসঙ্গে কাজ করবে।
এ উদ্দেশ্যে বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) ঢাকার আগারগাঁওতে এসএমই ফাউন্ডেশনের কার্যালয়ে দুই প্রতিষ্ঠানের মধ্যে সমঝোতা স্মারক সই হয়।
বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর তথ্যানুযায়ী, বাংলাদেশে প্রায় ৭৮ লাখ এসএমই রয়েছে, যা দেশের মোট শ্রমশক্তির ২৫ শতাংশ এবং শিল্প খাতের কর্মসংস্থানের ৮০ শতাংশ। সেই ধারাবাহিকতায়, এসএমই ফাউন্ডেশন ও অক্সফাম ইন বাংলাদেশের মধ্যে হওয়া এই সমঝোতা স্মারক দেশের ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প খাতে ব্যবসায়িক পরিষেবা ও উদ্যোক্তা উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হবে।
সমঝোতা স্মারক সই প্রসঙ্গে এসএমই ফাউন্ডেশনের চেয়ারপার্সন অধ্যাপক ড. মো. মাসুদুর রহমান বলেন, ‘এই সমঝোতা স্মারক বাংলাদেশের ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের টেকসই প্রবৃদ্ধি নিশ্চিত করার পথে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। অক্সফামের সঙ্গে কাজ করার মাধ্যমে, আমরা সার্বিকভাবে এসএমইর উন্নয়নে কাজ করতে পারব, আর্থিক প্রতিবন্ধকতা কাটিয়ে দীর্ঘমেয়াদি সাফল্য অর্জনে সহায়তা করতে পারব।’
অক্সফাম ইন বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর আশিষ দামলে বলেন, ‘বাংলাদেশের দারিদ্র নিরসন ও অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অর্জনে এসএমই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এসএমই ফাউন্ডেশনের সঙ্গে এই অংশীদারিত্বের মাধ্যমে আমরা ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প; বিশেষ করে তরুণ উদ্যোক্তা, নারী ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর নেতৃত্বে একটি সমতার পরিবেশ গড়ব। আমাদের এই যৌথ প্রচেষ্টা আরও বেশি শক্তিশালী ও অন্তর্ভুক্তিমূলক অর্থনীতি গড়তে অবদান রাখবে।’
এই সমঝোতা স্মারকের অধীনে, উভয়পক্ষ নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের দক্ষতা ব্যবহারের মাধ্যমে এসএমই উদ্যোক্তাদের ব্যবসা ও আর্থিক ব্যবস্থাপনা, ডিজিটাল ও ভৌত বাজার একীকরণ ও প্রাপ্য আর্থিক উৎসের সুযোগ নিয়ে কাজ করবে। এই অংশীদারিত্বের মাধ্যমে এসএমই তহবিল উন্নয়নে বেসরকারি খাতের বাধা মোকাবিলায় দুইপক্ষই বিশেষভাবে জোর দেবে।
এসএমই ফাউন্ডেশন, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প খাতের জাতীয় কৌশল গঠন; বিশেষ করে নারী ও তরুণ উদ্যোক্তা এবং প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর উন্নয়নে সংশ্লিষ্ট নীতিগুলো নিয়ে অক্সফামের সঙ্গে কাজ করবে।
ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প যেসব চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হয় সেগুলো চিহ্নিত করে, আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে যুক্ত করার মাধ্যমে উদ্যোক্তাদের সাশ্রয়ী ও পর্যাপ্ত আর্থিক সুযোগ তৈরিতেও কাজ করবে এসএমই ফাউন্ডেশন এবং অক্সফাম ইন বাংলাদেশ। বিশেষ করে ব্যবসায়িক সহযোগিতা শক্তিশালীকরণ, যুব-অন্তর্ভুক্তিমূলক আর্থিক মডেলের পাইলটিং করা ইত্যাদির বিষয়ে গুরুত্ব দেওয়া হবে।
৫৪২ দিন আগে
মিঠাপুকুরে সেপটিক ট্যাংকে পড়ে মা-ছেলেসহ ৩ জনের মৃত্যু
রংপুরের মিঠাপুকুরে সেপটিক ট্যাংকে পড়ে মা ও ছেলেসহ তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) ভোর ৬টার দিকে উপজেলার শাল্টি গোপালপুর ইউনিয়নের ধাপ উদয়পুর গ্রামে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
নিহতরা হলেন- ওই গ্রামের বাদশা মিয়ার স্ত্রী দেলোয়ারা বেগম (৫৫), ছেলে ইদা মিয়া (৩৫) ও তোবারক হোসেনের ছেলে ইবলুল মিয়া (৩৫)।
আরও পড়ুন: গাজীপুরে সেফটিক ট্যাংক থেকে ২ শিশুর লাশ উদ্ধার
ইউপি সদস্য জাহাঙ্গীর আলম বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, দেলোয়ারা বেগমের বাড়ির পেছনে গরুর মলমূত্র যাওয়ার জন্য একটা সেপটিক ট্যাংক খোঁড়া হয়েছিল। ওই ট্যাংকের পাশে মই দিয়ে ঘরের সানশেডের ওপর লাউয়ের পাতা তুলছিলেন দেলোয়ারা বেগম। এসময় মই ভেঙে নিচে সেপটিক ট্যাংকের গর্তে পড়ে যান তিনি। তাকে বাঁচাতে গিয়ে ছেলে ইদা মিয়াও সেখানে পড়ে যান। এরপর ওই দুজনকে বাঁচাতে গেলে প্রতিবেশী ইবলুল মিয়াও ওই ট্যাংকে পড়ে মারা যান।
খবর পেয়ে মিঠাপুকুর ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে তিনজনের লাশ উদ্ধার করেন।
মিঠাপুকুর ফায়ার সার্ভিসের গুদাম পরিদর্শক মশিউর রহমান বলেন, সেপটিক ট্যাংকটি সরু ও গভীর ছিল। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে সকাল সাড়ে ৭টার দিকে ওই সেপটিক ট্যাংক থেকে তিনজনের লাশ উদ্ধার করে। পরে লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান হারুন অর রশিদ তিনজনের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
আরও পড়ুন: সেফটিক ট্যাংক পরিষ্কার করার সময় বিস্ফোরণে নওগাঁয় শ্রমিক নিহত
৫৪২ দিন আগে
দেশে আরও ২১ জনের করোনা শনাক্ত
দেশে বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) সকাল ৮টা পর্যন্ত আগের ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে কারো মৃত্যু হয়নি।
তবে নতুন করে ২১ জনের শরীরে এই ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে মোট আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২০ লাখ ৫১ হাজার ৭৫ জনে।
এখন পর্যন্ত ভাইরাসটিতে মৃত্যু হয়েছে ২৯ হাজার ৪৯৮ জনের।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের করোনাবিষয়ক নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: দেশে আরও ১৭ জনের করোনা শনাক্ত
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় ৪৭৭ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। একই সময় শনাক্তের হার ৪ দশমিক শূন্য ৪০ শতাংশ।
মোট পরীক্ষায় এ পর্যন্ত শনাক্তের হার ১৩ দশমিক শূন্য ৫ শতাংশ এবং শনাক্ত বিবেচনায় মোট মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৪৪ শতাংশ।
এদিকে, গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন ৮ জন। এ নিয়ে মোট সুস্থ ব্যক্তির সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২০ লাখ ১৮ হাজার ৫৫০ জনে।
আরও পড়ুন: দেশে আরও ১৩ জনের করোনা শনাক্ত
৫৪২ দিন আগে
দুই ঘণ্টা পর ঢাকা-ময়মনসিংহ রেল যোগাযোগ স্বাভাবিক
প্রায় দুই ঘণ্টা বন্ধ থাকার পর ঢাকা-ময়মনসিংহ রুটে রেল যোগাযোগ স্বাভাবিক হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) বেলা সোয়া ৩টার দিকে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) জব্বারের মোড় থেকে জামালপুরগামী জামালপুর এক্সপ্রেস ট্রেনটি রওনা দেয়।
সরকারি চাকরিতে কোটা পদ্ধতি বাতিলের দাবিতে দ্বিতীয় দিনে দুপুর ১টার দিকে ঢাকা-ময়মনসিংহ রেলপথ অবরোধ করে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) সাধারণ শিক্ষার্থীরা। এতে প্রায় দুই ঘণ্টা বন্ধ থাকে ঢাকা-ময়মনসিংহ রেল যোগাযোগ।
আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা হাইকোর্টের রায় বহাল রাখায় নিন্দা জানিয়েছেন। অতি দ্রুত ওই মামলার নিষ্পত্তি না হলে সারা দেশের ছাত্র সমাজ দুর্বার আন্দোলন গড়ে তুলবে বলেও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তারা।
বাকৃবির প্রক্টর অধ্যাপক ড. মো. আজহারুল ইসলাম বলেন, প্রায় দুই ঘণ্টা ঢাকা-ময়মনসিংহ রেল যোগাযোগ বন্ধ ছিল। শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে যাতে কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে এ ব্যাপারে যথেষ্ট সচেতন রয়েছে প্রশাসন।
এখন ঢাকা-ময়মনসিংহ রুটে রেল যোগাযোগ স্বাভাবিক রয়েছে বলেও জানান তিনি।
এর আগে গত বুধবার সরকারি চাকরিতে কোটা পদ্ধতি বাতিলের দাবিতে দুপুর ১টা থেকে ২টা পর্যন্ত বাকৃবির জব্বারের মোড় সংলগ্ন এলাকায় রেলপথ অবরোধ করে রাখেন শিক্ষার্থীরা। এতে প্রায় এক ঘণ্টা বন্ধ ছিল ঢাকা-ময়মনসিংহ রুটে রেল যোগাযোগ।
৫৪২ দিন আগে
তিস্তা প্রকল্প নিয়ে বাংলাদেশের যেকোনো সিদ্ধান্ত মেনে নেবে চীন: রাষ্ট্রদূত ইয়াও
তিস্তা প্রকল্প নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার সম্পূর্ণ অধিকার একমাত্র বাংলাদেশের উল্লেখ করে ঢাকায় নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন বলেছেন, তিস্তা প্রকল্প নিয়ে বাংলাদেশের সিদ্ধান্তকে অবশ্যই সম্মান জানাতে হবে।
তিনি বলেন, ‘তিস্তা নদী নিয়ে যে প্রকল্পই হোক না কেন, সিদ্ধান্ত নেওয়ার অধিকার সত্যিকার অর্থে বাংলাদেশের। এই সিদ্ধান্তকে সম্মান জানাতে হবে।’
বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের তিস্তা নদী নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে ডিক্যাব টকে কূটনৈতিক সংবাদদাতাদের তিনি এ কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আসন্ন চীন সফর নিয়ে জাতীয় প্রেস ক্লাবে ডিপ্লোম্যাটিক করেসপন্ডেন্টস অ্যাসোসিয়েশন, বাংলাদেশ (ডিক্যাব) এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন ডিক্যাব সভাপতি নুরুল ইসলাম হাসিব ও সাধারণ সম্পাদক আশিকুর রহমান অপু।
প্রধানমন্ত্রীর চীন সফর বিভিন্ন সহযোগিতার ক্ষেত্রে একটি নতুন রূপরেখা দেবে এবং আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক বিষয়ে দুই দেশের অবস্থানের সমন্বয় করার সুযোগ দেবে বলে আশা ব্যক্ত করেন চীনা রাষ্ট্রদূত।
আরও পড়ুন: চীন-বাংলাদেশের আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক সহযোগিতা জোরদারে শেখ হাসিনার আসন্ন সফর: রাষ্ট্রদূত
বাংলাদেশের অনুরোধে চীন তিস্তা নদী নিয়ে প্রস্তাব দিয়েছে এবং যেকোনো সিদ্ধান্ত মেনে নিতে প্রস্তুত উল্লেখ করে রাষ্ট্রদূত ইয়াও বলেন, ‘আমরা প্রস্তুত। পরবর্তী ধাপে কী করা যায়, তা সম্পূর্ণ বাংলাদেশেরই সিদ্ধান্ত।’
ভারতও তিস্তা প্রস্তাবে আগ্রহ প্রকাশ করেছে এবং তিস্তা নদী সংরক্ষণ ও ব্যবস্থাপনা বিষয়ে আলোচনার জন্য একটি কারিগরি দল শিগগিরই বাংলাদেশ সফর করবে বলে ঘোষণা দিয়েছে।
এর আগে গত ২৫ জুন সাম্প্রতিক ভারত সফর নিয়ে গণভবনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, তিস্তা মহাপরিকল্পনা প্রকল্পে অর্থায়ন প্রস্তাব গ্রহণের ক্ষেত্রে দেশের জন্য সবচেয়ে লাভজনক কোনটি সেটি বিবেচনা করা হবে।
তিনি বলেন, ‘আমরা তিস্তা প্রকল্প হাতে নিয়েছি। এতে অর্থায়নের জন্য চীন ও ভারত পৃথক প্রস্তাব দিয়েছে। যে প্রস্তাব আমাদের দেশের জনগণের জন্য আরও লাভজনক হবে অবশ্যই সেটি গ্রহণ করতে হবে।’
রাষ্ট্রদূত ইয়াও পৃথক এক প্রশ্নের জবাবে বাংলাদেশ ও এর প্রতিবেশী দেশগুলোর মধ্যে সুসম্পর্কের ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
তিনি বলেন, ‘এটা আপনাদের জাতীয় পররাষ্ট্রনীতির সফলতা। তাই আমরা সুসম্পর্ক দেখতে চাই। আমরা চাই আমাদের সম্পর্ক ইতিবাচক ভূমিকা পালন করুক এবং অন্যান্য দেশ এটিকে ইতিবাচকভাবে দেখুক। সুতরাং এটি একটি উভয় পক্ষের জয়সূচক সহযোগিতা এবং এটি সব পক্ষকে উপকৃত করবে।’
এই প্রকল্প নিয়ে ভারত ও চীনের মধ্যে উত্তেজনার সম্ভাবনা নাকচ করে দিয়ে চীনা রাষ্ট্রদূত বলেন, 'আমি কোনো উত্তেজনা দেখছি না। আমরা চাই শিগগিরই প্রকল্পের কাজ শুরু হোক। প্রায় ৩০ মিলিয়ন মানুষের এই প্রকল্প প্রয়োজন, তাই এটি শিগগিরই শুরু ও সময়মতো শেষ করা যায় কি না সেটিই দেখছি আমরা।’
বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চলের উন্নয়নের বিষয়ে রাষ্ট্রদূত উল্লেখ করেন যে, এটি বাংলাদেশের পক্ষ থেকে একটি প্রস্তাব এবং এই উন্নয়নে সহায়তার মাধ্যমে চীন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে।
তিনি বলেন, 'বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ উন্নয়নে চীনের সম্পৃক্ত হওয়ার এটি একটি ভালো সুযোগ এবং এ প্রস্তাবে আমাদের খুব সক্রিয় ও ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি থাকবে।’
আরও পড়ুন: ইকোনোমিক জোনে ২১.৮৫ মিলিয়ন ডলার বিনিয়োগে চীনের কোম্পানির চুক্তি সই
রাষ্ট্রদূত বলেন, ১০ লাখের বেশি রোহিঙ্গা শরণার্থীকে আশ্রয় দেওয়ায় বাংলাদেশের মানবিক চেতনার ভূয়সী প্রশংসা করে চীন।
চীন যুদ্ধবিরতি ও সংলাপের জন্য মিয়ানমার সংঘাতে জড়িত সব পক্ষকে সক্রিয়ভাবে চাপ দিচ্ছে। এভাবে দেশটি শরণার্থীদের দ্রুত প্রত্যাবাসনের পথ প্রশস্ত করছে বলে জানান রাষ্ট্রদূত।
ইয়াও বলেন, ‘বিভিন্ন খাতে বাংলাদেশকে সহযোগিতা করতে প্রস্তুত রয়েছে চীন। পাশাপাশি যৌথভাবে উন্নয়নশীল দেশগুলোর বৈধ অধিকার ও স্বার্থ রক্ষা এবং আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক শান্তি ও স্থিতিশীলতার উন্নয়নে কাজ করতে আগ্রহী চীন।’
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আসন্ন সফরে শিক্ষা, গণমাধ্যম, অবকাঠামো, বাণিজ্য সম্প্রসারণ, বিনিয়োগ, বাংলাদেশ থেকে কৃষি আমদানি এবং ডিজিটাল ইকোনমির মতো খাতে সহযোগিতার সুযোগ রয়েছে বলে জানান রাষ্ট্রদূত।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ-চীন সম্পর্ক বর্তমানে সবচেয়ে ভালো অবস্থায় আছে এবং উন্নয়নেরও অনেক সুযোগ রয়েছে।
রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘আগামী বছর বাংলাদেশ ও চীন কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনের ৫০ বছর পূর্তি উদযাপন করবে। কীভাবে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক আরও বাড়ানো যায়, বিনিময়ের পরিধি বাড়ানো যায়, সহযোগিতার সম্ভাবনাকে কাজে লাগানো যায় এবং দুই দেশ ও জনগণের মধ্যে সম্পর্ক আরও ভালো, গভীর ও ঘনিষ্ঠ করা যায় সে বিষয়ে উভয় পক্ষেরই চেষ্টার প্রয়োজন রয়েছে।’
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার চীন সফর দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের ক্ষেত্রে একটি মাইলফলক হয়ে থাকবে এবং অতীতের অর্জনগুলোর ওপর ভিত্তি করে সামনে এগিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে ভূমিকা রাখবে বলে মনে করেন তিনি।
তিনি বলেন, ‘এই সফর নিঃসন্দেহে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক ও বিভিন্ন ক্ষেত্রে সহযোগিতার ক্ষেত্রে সাহায্য করবে। পাশাপাশি চীন ও বাংলাদেশের মধ্যে সহযোগিতার কৌশলগত অংশীদারিত্বে নতুন সাফল্য এনে দেবে এবং সম্পর্ককে নতুন উচ্চতায় উন্নীত করবে।’
রাষ্ট্রদূত আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার চীন সফর সবার কাছে বহুল প্রত্যাশিত। ‘এই সফর আগামী পাঁচ বছর বা তারও বেশি সময় চীন-বাংলাদেশ সম্পর্কের উন্নয়নে ভূমিকা রাখবে বলে আশা করা হচ্ছে।’
সফরকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চীনা নেতাদের সঙ্গে বৈঠক, বেশ কয়েকটি সহযোগিতা দলিল সই এবং যৌথভাবে বড় ধরনের সহযোগিতার বিষয়ে ঘোষণা দেবেন।
এই সফরের মাধ্যমে উভয় পক্ষ দৃঢ়ভাবে একে-অপরকে সমর্থন করবে এবং সব ক্ষেত্রে যোগাযোগ আরও গভীর হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন রাষ্ট্রদূত।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের চতুর্থ বৈদেশিক ঋণদাতা চীন; ঋণ পরিশোধের সময়কাল নিয়ে উদ্বেগ বিশেষজ্ঞদের
৫৪২ দিন আগে