বাংলাদেশ
মূল্যস্ফীতি রোধে সংকোচনমূলক নীতি নিয়ে অসন্তোষের ইঙ্গিত অর্থমন্ত্রীর
অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী বলেছেন, মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে সংকোচনমূলক নীতি দীর্ঘমেয়াদে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিকে শ্লথ করতে পারে, এ কথা অনস্বীকার্য।
২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটের সমাপনী ভাষণে তিনি বলেন, ‘যদিও মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণের জন্য সংকোচনমূলক নীতি গ্রহণ করা দরকার, তবে এটি অনস্বীকার্য যে দীর্ঘমেয়াদে এই পদ্ধতি প্রবৃদ্ধিকে ধীর করতে পারে।’
তিনি বলেন, ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত, সমৃদ্ধ, স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে হলে বাংলাদেশকে অব্যাহত উচ্চ প্রবৃদ্ধি অর্জন করতে হবে।
আরও পড়ুন: ‘মূল্যস্ফীতি রোধে কার্যকর পদক্ষেপের জন্য ৬ মাস অপেক্ষা করুন’: বাজেটোত্তর সংবাদ সম্মেলনে অর্থমন্ত্রী
তিনি বলেন, ‘এ প্রেক্ষাপটে আমরা অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা অর্জন এবং টেকসই প্রবৃদ্ধির আপাত পরস্পরবিরোধী লক্ষ্যগুলোর মধ্যে ভারসাম্য রক্ষার কঠিন চ্যালেঞ্জ নিয়ে এই বাজেট প্রণয়ন করেছি।’
প্রধানমন্ত্রীর যোগ্য, অভিজ্ঞ ও বিচক্ষণ নেতৃত্বে সরকার উপায় ও সামর্থ্যের ব্যবধান কমিয়ে দ্রুত উচ্চ প্রবৃদ্ধির পথে ফিরে আসতে পারবে বলে তিনি দৃঢ়ভাবে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
অর্থমন্ত্রী বলেন, প্রস্তাবিত বাজেটে সরকার স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে শিক্ষা, স্বাস্থ্য, কৃষি, স্থানীয় সরকার ও পল্লী উন্নয়ন, বিদ্যুৎ, যোগাযোগ, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি খাতে প্রয়োজনীয় বরাদ্দ দেওয়ার চেষ্টা করেছে।
তিনি বলেন, ‘এছাড়া খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতের বিষয়টিতেও আমরা যথাযথ গুরুত্ব দিয়েছি।’
তাই এবারের প্রস্তাবিত বাজেটে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণের পাশাপাশি সামষ্টিক অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা আনার বিষয়কে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়েছে সরকার।
মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে ইতোমধ্যে বিভিন্ন সংকোচনমূলক পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে মুদ্রানীতিতি; পলিসি রেট (রেপো) উল্লেখযোগ্যভাবে বাড়িয়ে সাড়ে ৮ শতাংশ এবং ব্যাংকের সুদের হার পুরোপুরি বাজারভিত্তিক করা হয়েছে।
তিনি বলেন, রপ্তানিকে উৎসাহিত করতে এবং রেমিট্যান্স ত্বরান্বিত করার মাধ্যমে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বাড়াতে ডলারের বিনিময় হারে ক্রলিং পেগ সিস্টেম চালু করা হয়েছে।
অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘মুদ্রানীতির সংকোচনমূলক উদ্যোগের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে আমরা রাজস্ব নীতিতে সহায়ক নীতি গ্রহণ করেছি, যেমন বাজেট ঘাটতি হ্রাস, অপ্রয়োজনীয় ব্যয় নিরুৎসাহিত করা এবং বিভিন্ন খাতে কৃচ্ছ্রসাধনের উদ্যোগ।’
সরকারের গৃহীত এসব নীতিমালার ফলে আগামী অর্থবছরে মূল্যস্ফীতি ৬ দশমিক ৫ শতাংশে নেমে আসবে বলে আশা করছেন অর্থমন্ত্রী।
প্রস্তাবিত বাজেটে বিনিয়োগ ও কর্মসংস্থান সহায়ক অবকাঠামো উন্নয়নে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে সম্পদ সংগ্রহের পরিকল্পনা করা হয়েছে বলে জানান তিনি।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের জন্য ওপেক তহবিলের সহায়তা বাড়ানোর আহ্বান অর্থমন্ত্রীর
‘এসব উদ্যোগের ফলে আগামী অর্থবছরে জিডিপি প্রবৃদ্ধি ৬ দশমিক ৭৫ শতাংশ এবং মধ্য মেয়াদে ৭ দশমিক ২৫ শতাংশে পৌঁছাবে বলে আমরা আশা করছি।’
তিনি বলেন, সরকারি ব্যয় মেটাতে সরকার সম্পদ সংগ্রহে বহুমুখী পদক্ষেপ নিচ্ছে।
তিনি বলেন, ‘রাজস্ব আদায় নীতিমালা নির্ধারণের আগে আমরা বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান, ব্যবসায়ী সংগঠন ও স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে আলোচনা করে তাদের প্রস্তাবগুলো বিস্তারিত পর্যালোচনা করেছি।’
মাহমুদ আলী বলেন, উন্নয়নের গতিধারা অব্যাহত রাখতে সরকার কর-জিডিপি অনুপাত বাড়ানোর ওপর গুরুত্বারোপ করে কর ফাঁকি হ্রাসসহ কর আদায় বাড়াতে বিভিন্ন কৌশল গ্রহণ করেছে।
‘রাজস্ব আহরণে বিদ্যমান চ্যালেঞ্জ সমাধানের মাধ্যমে মধ্যমেয়াদে রাজস্ব আয় বৃদ্ধির লক্ষ্যে আমরা রাজস্ব ব্যবস্থাপনায় বিভিন্ন সংস্কার কার্যক্রম হাতে নিয়েছি।’
একই সঙ্গে তিনি বলেন, ২০২৬ সালে স্বল্পোন্নত দেশের তালিকা থেকে উত্তরণোত্তর বাস্তবতা বিবেচনায় রেখে সরকার জাতীয় কাস্টমস নীতিমালা সংস্কার করছে।
‘রপ্তানিবিরোধী পক্ষপাত কমাতে সহায়তা করার জন্য আমদানি শুল্কের উপর নির্ভরতা হ্রাস করা হচ্ছে।’
অর্থমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শত শত ঘাত-প্রতিঘাত অতিক্রম করে দেশের সব মানুষকে নিয়ে একের পর এক জাতির পিতার অসমাপ্ত কাজ করে যাচ্ছেন।
অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘২০৩০ সালের মধ্যে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করব এবং ২০৩১ সালের মধ্যে উচ্চ মধ্যম আয়ের দেশের কাতারে শামিল হব এবং ২০৪১ সালের মধ্যে আমরা একটি উন্নত-সমৃদ্ধ-স্মার্ট বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করতে সক্ষম হব, ইনশাল্লাহ।’
আরও পড়ুন: বাজেট এখনও পাস হয়নি, অনেক কিছু সংশোধন হতে পারে: অর্থমন্ত্রী
৫৪৭ দিন আগে
সিলেটে ভারতীয় চিনিবোঝাই ট্রাক আটক
সিলেট নগরীতে ১১৭ বস্তা চিনিসহ ট্রাক আটক করেছে পুলিশ।
শুক্রবার (২৮ জুন) দিবাগত রাত সাড়ে ৩টার দিকে নগরীর আম্বরখানা পয়েন্ট থেকে ট্রাকটি আটক করা হয়।
চিনিভর্তি ট্রাক আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আম্বরখানা পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই সুজিত চক্রবর্তী।
আম্বরখানা পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই সুজিত চক্রবর্তী বলেন, রাত সাড়ে ৩টার দিকে নগরীর আম্বরখানা পয়েন্ট থেকে ট্রাকভর্তি চিনি আটক করা হয়েছে। ট্রাকে ১১৭ বস্তা ভারতীয় চিনি পাওয়া গেছে। এ বিষয়ে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।
আরও পড়ুন: পটুয়াখালীতে ২৬৮৮০ ক্যান বিয়ার জব্দ, ৩ যুবক গ্রেপ্তার
৫৪৭ দিন আগে
আইওসি এক্সিকিউটিভ কাউন্সিলের বৈঠক: আইওসিইন্ডিও কার্যক্রমের জন্য বাজেটের বিধান নির্ধারণ
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, গত ২৫ থেকে ২৮ জুন প্যারিসে ইন্টারগভর্নমেন্টাল ওশানোগ্রাফিক কমিশনের (আইওসি) নির্বাহী পরিষদের বৈঠক ফ্রান্সের প্যারিসে অনুষ্ঠিত হয়েছে।
প্যারিসের বৈঠকে বেশ কয়েকটি মূল কার্যক্রমের জন্য বাজেটের বিধান প্রস্তুত করা হয়। এর মধ্যে রয়েছে ভারত মহাসাগরের জন্য জিওএস (গ্লোবাল ওশান অবজারভেশন সিস্টেম) আঞ্চলিক জোট, ভারত মহাসাগরে সম্প্রদায়ের সহনশীলতা তৈরি, আইওসিইন্ডিও প্রশাসন ও সমন্বয়, আইওসিইন্ডিও সক্ষমতা উন্নয়ন এবং আইওসিইন্ডিও সমুদ্র গবেষণা।
এই অধিবেশনে মধ্য ভারত মহাসাগরের জন্য আইওসি আঞ্চলিক কমিটির (আইওসিইন্ডিও) সাফল্যগুলো বিশেষভাবে তুলে ধরা হয়।
১৯৮২ সালে প্রতিষ্ঠার পর থেকে আইওসিন্ডিও আইওসির অধীনে কাজ করছে। বিভিন্ন বৈজ্ঞানিক গবেষণা ক্ষেত্র যেমন সমুদ্রের তাপমাত্রা, মহাসাগর পর্যবেক্ষণ, সমুদ্রের আবহাওয়া ও উপকূলীয় দুর্বলতার উপর গুরুত্ব দেয়।
২০২১ সালের জুন মাসে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মেরিটাইম অ্যাফেয়ার্স ইউনিটের সচিব রিয়ার অ্যাডমিরাল মো. খুরশেদ আলম (অবসরপ্রাপ্ত) বাংলাদেশ থেকে আইওসিইন্ডিওর সভাপতি নির্বাচিত হন।
তার নেতৃত্বে কমিটি বিভিন্ন সদস্য রাষ্ট্র ও স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে ১১টি বৈঠক করেছে।
এই প্রচেষ্টাগুলো কমিটিকে ভারত মহাসাগরের জন্য একটি উপকমিশনে উন্নীত করতে একটি প্রস্তাবের সফল পাসের মাধ্যমে শেষ হয়। যা ২০২৩ সালের জুনে আইওসি অ্যাসেম্বলিতে অনুমোদিত হয়।
আরও পড়ুন: আইওসি রিজিয়নাল কমিটি ফর দ্য সেন্ট্রাল ইন্ডিয়ান ওশান কমিটির অধিবেশন ঢাকায় শুরু
যদিও আইওসিইন্ডিও ভারত মহাসাগরের জন্য নিবেদিত একমাত্র কমিটি ছিল। এছাড়া প্রশান্ত মহাসাগর, ক্যারিবিয়ান ও আফ্রিকান উপকূলের মতো অন্যান্য অঞ্চলে আইওসির অধীনে উপ-কমিশন রয়েছে।
আইওসিইন্ডিও সাবকমিশন ১১টি সদস্য রাষ্ট্র নিয়ে গঠিত। রাষ্ট্রগুলো হলো- বাংলাদেশ, ফ্রান্স, ভারত, ইন্দোনেশিয়া, কুয়েত, ওমান, রাশিয়া, সৌদি আরব এবং শ্রীলঙ্কা, ইরান এবং সংযুক্ত আরব আমিরাত সহসভাপতির দায়িত্ব পালন করছে।
এই আপগ্রেডের পর রিয়ার অ্যাডমিরাল মো. খুরশেদ আলম (অবসরপ্রাপ্ত) আইওসিইন্ডিওর চেয়ারম্যান হিসেবে পুনঃনির্বাচিত হন।
এরপর তিনি বিশ্বের সবচেয়ে কম আবিষ্কৃত মহাসাগরগুলোর মধ্যে ভারত মহাসাগর নিয়ে গবেষণা বাড়ানোর লক্ষ্যে আইওসির কাছে বেশ কয়েকটি প্রস্তাব জমা দিয়েছেন।‘
আরও পড়ুন: আইওসি-২০২৩’ আয়োজন আন্তর্জাতিক পরিমন্ডলে বাংলাদেশের অবস্থানকে সুসংহত করেছে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
৫৪৭ দিন আগে
উচ্চ শিক্ষার মান নিশ্চিত করতে দক্ষ শিক্ষক প্রয়োজন: ইউজিসি চেয়ারম্যান
বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের চেয়ারম্যান (অতিরিক্ত দায়িত্ব) অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ আলমগীর বলেছেন, ‘আমাদের মূল লক্ষ্য হলো দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া। দেশকে এগিয়ে নিতে শিক্ষার কোনো বিকল্প নেই।’
তিনি বলেন, ‘প্রকৃত শিক্ষা ও উচ্চমানের গবেষণা নিশ্চিত করতে পারেন একমাত্র একজন আদর্শ শিক্ষক। আদর্শ শিক্ষকই পারেন একজন শিক্ষার্থীকে আদর্শ মানুষ ও দেশের সম্পদ হিসেবে গড়ে তুলতে। তাছাড়া উচ্চ শিক্ষার মান নিশ্চিত করতেও দক্ষ শিক্ষক প্রয়োজন।’
আরও পড়ুন: শিক্ষকরা দক্ষ না হলে উচ্চশিক্ষার মানোন্নয়ন সম্ভব নয়: ইউজিসি চেয়ারম্যান
বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) কৃষি অনুষদের সম্মেলনকক্ষে শনিবার (২৯ জুন) সকালে ‘বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি (এপিএ) কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন: চ্যালেঞ্জ ও উত্তরণ’ শীর্ষক কর্মশালায় তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, ‘দেশের সাধারণ মানুষকে সচেতন করার একমাত্র মাধ্যম হলো শিক্ষা। পৃথিবীর উন্নত দেশগুলো শিক্ষার মান উন্নয়নে সবচেয়ে গুরুত্ব দিয়েছে। একটি শিক্ষিত ও আদর্শ জাতি গঠনে শিক্ষার প্রতিটি স্তরে সমান গুরুত্ব দেওয়া প্রয়োজন।’
এ সময় তিনি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর শিক্ষা ও গবেষণার মান উন্নয়নে প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনা দেন।
ময়মনসিংহের তিন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রায় ৭০ জন শিক্ষক ও কর্মকর্তা নিয়ে কর্মশালার আয়োজন করেছে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি)।
আরও পড়ুন: ইউজিসির পূর্ণকালীন সদস্য হিসেবে যোগ দিলেন অধ্যাপক জাকির হোসেন
তিন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় হলো, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (বাকৃবি), বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (বশেফমুবিপ্রবি) এবং জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয় (জাককানইবি)।
কর্মশালায় সভাপতিত্ব করেন, ইউজিসির সচিব ড. ফেরদৌস জামান।
এসময় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, বাকৃবির কৃষি অনুষদের ডিন অধাপক ড. গোলাম রাব্বানী।
কৃষিবিদদের ভূমিকা সম্পর্কে ইউজিসির সচিব ড. ফেরদৌস জামান বলেন, ‘কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো অনন্য গবেষণার মাধ্যমে দেশের কোটি কোটি মানুষের খাদ্য চাহিদা পূরণে যথেষ্ট ভূমিকা রেখেছে। আবাদি জমির পরিমাণ দিন দিন কমে গেলেও কৃষিবিদদের কারণে বাংলাদেশ আজ খাদ্য ও মৎস্য সম্পদে স্বয়ংসম্পূর্ণ।’
সচিব আরও বলেন, ‘বর্তমান সরকার উচ্চ শিক্ষায় যথেষ্ট গুরুত্ব দিয়েছেন। আমাদের দেশের সব বিশ্ববিদ্যালয় এক যুগে উচ্চশিক্ষার অগ্রগতি সাধন করছে। তাই উচ্চশিক্ষা পরিবারের সকলের দায়িত্ব এই অগ্রগতিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া।’
উক্ত কর্মশালায় বিভিন্ন সেশনে নিজ নিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের এপিএ কার্যক্রম তুলে ধরেন বাকৃবি, জাককানইবি ও বশেফমুবিপ্রবির শিক্ষকরা।
আরও পড়ুন: দেশের উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সকল তথ্য সংরক্ষণের আহ্বান ইউজিসি চেয়ারম্যানের
৫৪৭ দিন আগে
ডেঙ্গুতে আরও ৬০ জন আক্রান্ত
ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে দেশে শনিবার (২৯ জুন) সকাল পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় কারো মৃত্যু হয়নি।
তবে এই সময়ের মধ্যে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৬০ জন।
আরও পড়ুন: দেশে ডেঙ্গুতে আরও ১ জনের মৃত্যু, আক্রান্ত ৪৩
এর মধ্যে ঢাকার হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৩০ জন। আর ঢাকার বাইরের হাসপাতালে নতুন করে ভর্তি হয়েছেন আরও ৩০ জন রোগী।
চলতি বছরে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে এখন পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে ৪৩ জনের। এদের মধ্যে পুরুষ ২০ জন ও নারী ২৩ জন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুমের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
সরকারি প্রতিবেদন অনুযায়ী, চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে ২৯ জুন পর্যন্ত ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছেন মোট ৩ হাজার ৬০৭ জন।
এদের মধ্যে পুরুষ ২ হাজার ১৯১ জন ও নারী ১ হাজার ৪১৬ জন।
আরও পড়ুন: ডেঙ্গুতে আরও ৯ জন আক্রান্ত
দেশে ডেঙ্গুতে আরও ১ জনের মৃত্যু, আক্রান্ত ৩৪
৫৪৭ দিন আগে
দেশে আরও ১৪ জনের করোনা শনাক্ত
দেশে শনিবার (২৯ জুন) সকাল ৮টা পর্যন্ত আগের ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে কারো মৃত্যু হয়নি।
তবে নতুন করে ১৪ জনের শরীরে এই ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে মোট আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২০ লাখ ৫০ হাজার ৯৯৪ জনে।
আরও পড়ুন: ২৪ ঘণ্টায় করোনায় আরও ১৬ জন আক্রান্ত
এখন পর্যন্ত ভাইরাসটিতে মৃত্যু হয়েছে ২৯ হাজার ৪৯৮ জনের।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের করোনাবিষয়ক নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় ৩৪৫ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। একই সময় শনাক্তের হার ৪ দশমিক শূন্য ৬ শতাংশ।
মোট পরীক্ষায় এ পর্যন্ত শনাক্তের হার ১৩ দশমিক শূন্য ৫ শতাংশ এবং শনাক্ত বিবেচনায় মোট মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৪৪ শতাংশ।
এদিকে, গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন ৩৩ জন। এ নিয়ে মোট সুস্থ ব্যক্তির সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২০ লাখ ১৮ হাজার ৫০৩ জনে।
আরও পড়ুন: দেশে করোনায় ১ জনের মৃত্যু, শনাক্ত ২৩
দেশে আরও ১৭ জনের করোনা শনাক্ত
৫৪৭ দিন আগে
কলম্বো প্রক্রিয়া জোরদারে ২ বছরের 'কর্ম পরিকল্পনার রূপরেখা' প্রকাশ করেছে ভারত
কলম্বো প্রক্রিয়াকে আরও জোরদার করতে মূল অগ্রাধিকার ও উদ্যোগের উপর দৃষ্টিপাত করে আগামী দুই বছরের জন্য একটি ‘কর্ম পরিকল্পনার রূপরেখা’ প্রকাশ করেছে ভারত।
গত শুক্রবার (২৮ জুন) জেনেভায় আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার (আইওএম) সদর দপ্তরে স্থায়ী প্রতিনিধি পর্যায়ের বৈঠকে কলম্বো প্রসেসের প্রথম বৈঠক ভারতের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়।
জেনেভায় আইওএমের সদর দপ্তরে কলম্বো প্রসেসের বৈঠক আয়োজন করা হয়।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালেয়ের সচিব (সিপিভি ও ওআইএ) মুক্তেশ পরদেশী আসন্ন চেয়ার-ইন-অফিস হিসেবে বিশেষ বক্তব্য দেন।
শনিবার(২৯ জুন) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, কলম্বো প্রক্রিয়ার উদ্দেশ্যকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া এবং সদস্য দেশগুলোর মধ্যে সহযোগিতা বাড়াতে ভারতের প্রতিশ্রুতির উপর জোর দিয়েছেন তিনি।
কলম্বো প্রক্রিয়ার (২০২৪-২৬) জন্য ভারতের অগ্রাধিকারের মধ্যে রয়েছে (ক) কলম্বো প্রক্রিয়ার আর্থিক স্থায়িত্ব পর্যালোচনা, (খ) নতুন সদস্য রাষ্ট্র এবং পর্যবেক্ষকদের অন্তর্ভুক্ত করে সদস্যপদ বাড়ানো , (গ) প্রযুক্তিগত স্তরের সহযোগিতা পুনর্বিন্যাস করা, (ঘ) চেয়ারম্যানশিপের জন্য একটি কাঠামোগত আবর্তন বাস্তবায়ন, (ঙ) নিরাপদ, সুশৃঙ্খল এবং নিয়মিত অভিবাসনের জন্য গ্লোবাল কমপ্যাক্টের (জিসিএম) একটি আঞ্চলিক পর্যালোচনা পরিচালনা করা, (চ) আবুধাবি সংলাপ (এডিডি) এবং অন্যান্য আঞ্চলিক সংলাপের সঙ্গে জড়িত হওয়ার প্রক্রিয়া করা।
কলম্বো প্রসেস একটি আঞ্চলিক পরামর্শমূলক প্রক্রিয়া, যা বাংলাদেশসহ এশিয়ার ১২টি সদস্য রাষ্ট্রের সমন্বয়ে গঠিত। এটি প্রাথমিকভাবে অভিবাসী শ্রমিকদের জন্য মূল দেশ হিসেবে কাজ করে।
আরও পড়ুন: কানেকটিভিটি উচ্চতর পর্যায়ে নিতে একসঙ্গে কাজ করছে ঢাকা-দিল্লি: কর্মকর্তা
৫৪৭ দিন আগে
জনপ্রতিনিধি ও সরকারি কর্মচারীদের একসঙ্গে কাজ করতে হবে: তাজুল ইসলাম
স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম বলেছেন, ‘স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে জনপ্রতিনিধি ও সরকারি কর্মচারীদের একসঙ্গে কাজ করতে হবে৷ এছাড়া যৌথ প্রচেষ্টার পাশাপাশি তাদের মধ্যে থাকতে হবে পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধ।’
মন্ত্রী বলেন, ‘তাই সবাই মিলে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হয়ে কাজ করলে কোনো বাধা সামনে দাঁড়াতে পারবে না।’
শনিবার (২৯ জুন) সকালে ঢাকা জেলা প্রশাসন আয়োজিত ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে ঢাকা জেলার ইউনিয়ন পরিষদসমুহের ক্যাশলেস স্মার্ট সেবা কার্যক্রমের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তাজুল ইসলাম এসব কথা বলেন৷
তিনি বলেন, ‘জনগণের ভাগ্য উন্নয়নে উভয়কেই অঙ্গীকারবদ্ধ হতে হবে।’
আরও পড়ুন: বিএনপিকে নির্বাচনে আনার দায়িত্ব আওয়ামী লীগের নয়: তাজুল ইসলাম
তাজুল ইসলাম বলেন, ‘ঢাকা জেলার ইউনিয়ন পরিষদসমূহের ক্যাশলেস স্মার্ট সেবা কার্যক্রম স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের আরেকটি মাইলফলক। ক্যাশলেস করার কারণে রাজস্ব সংগ্রহ বহুগুণ বাড়বে। এই সেবা শুধু ঢাকা জেলায় নয়, সারা দেশে ছড়িয়ে দিতে হবে৷ দেশের সব ইউনিয়ন পরিষদে ক্যাশলেস স্মার্ট সেবা কার্যক্রম চালু করতে হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘শুধু রাজস্ব আহরণ বৃদ্ধি নয়, স্মার্ট ক্যাশলেস সেবা কার্যক্রমের মাধ্যমে জনগণের ভোগান্তিও কমবে৷ আগে আমরা দেখেছি, দীর্ঘসময় লাইনে দাঁড়িয়ে থাকার কারণে রাজস্ব প্রদানসহ যেকোনো ইউটিলিটি বিল পরিশোধে অনীহা দেখা যেত। কিন্তু, ক্যাশলেস স্মার্ট সেবার মাধ্যমে জনগণ খুব সহজেই বিকাশ অ্যাপের মাধ্যমে তাদের হোল্ডিং ট্যাক্স পরিশোধ করতে পারবে।’
ঢাকা জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আনিসুর রহমানের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ছিলেন, প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান ফজলুর রহমান।
আরও উপস্থিত ছিলেন, ঢাকা-২০ আসনের সংসদ সদস্য বেনজির আহমদ, জাতীয় সংসদ সদস্য শেখ আনার কলি পুতুল, স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব আবু হেনা মোরশেদ জামান, ঢাকার বিভাগীয় কমিশনার মো. সাবিরুল ইসলাম।
আরও পড়ুন: দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে নিবিড়ভাবে কাজ করতে হবে: তাজুল ইসলাম
উদ্যোক্তারা দেশের ভবিষ্যৎ অর্থনৈতিক অগ্রগতির কাণ্ডারি: তাজুল ইসলাম
৫৪৮ দিন আগে
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো যাতে স্মার্ট নাগরিক গড়তে পারে সে লক্ষ্যে কাজ করা হচ্ছে: পরিবেশমন্ত্রী
স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো যাতে স্মার্ট নাগরিক গড়তে পারে সে লক্ষ্যে কাজ করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনমন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী।
শনিবার (২৯ জুন) খিলগাঁও মডেল বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ মিলনায়তনে আয়োজিত বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা, আন্তঃবিভাগীয় বিতর্ক প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণী ও নবীন বরণ অনুষ্ঠানে পরিবেশমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: জলবায়ু সহিষ্ণুতা অর্জনে বিসিসিটির সংস্কার করা হবে: পরিবেশমন্ত্রী
পরিবেশমন্ত্রী বলেন, ‘শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে মানসম্মত শিক্ষার পাশাপাশি সার্বিক পরিবেশের উন্নয়নের লক্ষ্যে সবুজায়ন প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হবে।’
এছাড়া বর্তমান সরকার শিক্ষা, স্বাস্থ্য খাত ও পরিবেশের উন্নয়নে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়েছে বলে জানিয়েছেন পরিবেশমন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী।
পরিবেশমন্ত্রী আরও বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের মানসিক ও শারীরিক উন্নয়নের জন্য ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতার আয়োজন করতে হবে।’
এ ধরনের প্রতিযোগিতার মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা নেতৃত্বের গুণাবলী বিকশিত করে সব ক্ষেত্রে নিজেকে প্রস্তুত করবে বলে জানান পরিবেশমন্ত্রী।
আরও পড়ুন: দক্ষিণ এশিয়ায় পরিবেশগত সহযোগিতা জোরদারের আহ্বান পরিবেশমন্ত্রীর
এছাড়া সব অনিয়ম থেকে দূরে থেকে শিক্ষার্থীদের যথাযথভাবে পাঠদানের জন্য শিক্ষকদের প্রতি আহ্বান জানান পরিবেশমন্ত্রী।
৫৪৮ দিন আগে
তথ্যের সততা নিশ্চিতের অঙ্গীকার করতে হবে: তথ্য প্রতিমন্ত্রী
তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত বলেছেন, শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য সবার আগে তথ্যের সততা নিশ্চিতের অঙ্গীকার করতে হবে।
তিনি বলেন, ভিন্ন মত থাকা সমাজের একটা সৌন্দর্য, গণতন্ত্রের সৌন্দর্য। কিন্তু যেখানে একমত হতে হবে সেটি হচ্ছে, সত্য ও সঠিক তথ্য বলতে হবে।
আরও পড়ুন: সরকার সুষম ও টেকসই উন্নয়নে বিশ্বাস করে: তথ্য প্রতিমন্ত্রী
শনিবার (২৯ জুন) দুপুরে রাজধানীর ফার্মগেটের কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশের কনভেনশন হলে পিস অ্যাম্বাসেডর'স জাতীয় সম্মেলন ২০২৪ এ সম্মানিত অতিথির বক্তব্যে প্রতিমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
দি হাঙ্গার প্রজেক্ট বাংলাদেশের উদ্যোগে, ইউনাইটেড স্টেটস এজেন্সি ফর ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্টের (ইউএসএআইডি) সহযোগিতায় এবং ডেমোক্রেসি ইন্টারন্যাশনাল ও ইন্টারন্যাশনাল ফাউন্ডেশন ফর ইলেক্টোরাল সিস্টেমসের অংশীদারত্বে এ সম্মেলন আয়োজন করা হয়।
সম্মেলনে প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে তথ্য বিকৃত করলে সমাজে শান্তি প্রতিষ্ঠা হবে না। আগে অঙ্গীকার করতে হবে যে, আমি যে রাজনৈতিক ধ্যান-ধারণায় বিশ্বাস করি না কেনো, তথ্যের জায়গায় আমি নিশ্চিত করতে চাই আমার সততা।
তিনি আরও বলেন, রাজনীতিতে প্রতিদ্বন্দ্বিতা থাকা প্রয়োজন, ভিন্ন মত থাকা প্রয়োজন। কিন্তু প্রতিদ্বন্দ্বিতা, প্রতিযোগিতা হবে ইতিবাচক, নেতিবাচক নয়। প্রতিদ্বন্দ্বিতা দ্বন্দ্ব-সংঘাতে পরিণত হয় যখন নেতিবাচকতা চলে আসে।
আরও পড়ুন: বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি জনগণের আস্থা তৈরি করবে: তথ্য প্রতিমন্ত্রী
৫৪৮ দিন আগে