বাংলাদেশ
কানেকটিভিটি উচ্চতর পর্যায়ে নিতে একসঙ্গে কাজ করছে ঢাকা-দিল্লি: কর্মকর্তা
বাংলাদেশ ও ভারত যোগাযোগ বাড়াতে এবং এটিকে বিভিন্ন উপায়ে ফিজিক্যাল ও ডিজিটাল উভয় ক্ষেত্রেই উচ্চতর স্তরে নিতে তারা একসঙ্গে কাজ করছে বলে জানিয়েছেন ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা।
তিনি বলেন, দুই দেশ যাতে তাদের বাণিজ্য সংযোগ, দুদেশের জনগণের পারস্পরিক যোগাযোগ এবং আরও কিছু প্রকল্প একসঙ্গে জোরদার করতে পারে। একই সঙ্গে সম্পর্ককে উচ্চতর পর্যায়ে নিয়ে যেতে পারে, সেজন্য এই উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।
ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল শুক্রবার(২৮ জুন) নয়াদিল্লিতে সাপ্তাহিক মিডিয়া ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের বলেন, 'আমরা দুই দেশ উচ্চতর পর্যায়ে যোগাযোগ বাড়াতে একসঙ্গে কাজ করছি।’
রেল যোগাযোগ সম্পর্কে একজন সাংবাদিক জানতে চেয়েছিলেন কোনো ধরনের ফি বা কিছু আর্থিক সুবিধা থাকবে কি না এবং ট্রেনগুলো যখন সেই অঞ্চলগুলো দিয়ে যাবে, তখন কোনো আধাসামরিক বা সুরক্ষা বাহিনী মোতায়েন করা হবে কি না।
জবাবে ভারতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র বলেন, 'ফি, নিরাপত্তার দিক নিয়ে আপনার প্রশ্নগুলো খুবই টেকনিক্যাল প্রশ্ন। টেকনিক্যাল কমিটি ও দুই সরকারের মধ্যে আলোচনার জন্য যখনই এগুলো আসবে, তখনই এগুলো নিয়ে আলোচনা হবে।’
গত ২১ ও ২২ জুন নয়াদিল্লিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দু'দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে রেলওয়ে যোগাযোগের জন্য একটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) সই হয়।
রেলের সমঝোতা স্মারকটি দু’দেশের মধ্যে রেলপথ সংযোগের বিষয়ে ছিল।
আরও পড়ুন: ডিক্যাব সদস্যদের সঙ্গে ভারতীয় হাইকমিশনের মতবিনিময়
এর আগে ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিনয় কোয়াত্রা বলেন, ভারত-বাংলাদেশ অংশীদারত্বের অন্যতম স্তম্ভ হিসেবে যোগাযোগ অব্যাহত রয়েছে।
রাষ্ট্রীয় সফর শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে তিনি বলেন, 'আমরা বিশ্বাস করি, যোগাযোগ ব্যবস্থা ভৌগোলিক সম্পর্ককে নতুন অর্থনৈতিক সুযোগে রূপান্তরিত করতে পারে। শুধু ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে নয়, পুরো অঞ্চলের জন্যও এটি হতে পারে।
তিনি বলেন, এ লক্ষ্যে রাজশাহী ও কলকাতার মধ্যে একটি নতুন যাত্রীবাহী ট্রেন সার্ভিস চালু করা হচ্ছে এবং আগামী মাসের মধ্যে গেদে-দর্শনা থেকে হলদিবাড়ি-চিলাহাটি আন্তঃসীমান্ত ইন্টারচেঞ্জ পয়েন্ট পর্যন্ত বাংলাদেশ রেলওয়েতে একটি মালবাহী ট্রেন পরীক্ষামূলক চালুর পরিকল্পনা করা হচ্ছে।
ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বলেন, 'এটি ভুটানের সঙ্গে উপআঞ্চলিক যোগাযোগেও সহায়তা করবে’
কোয়াত্রা বলেন, ইতোমধ্যে প্রায় ছয়টি আন্তঃসীমান্ত রেল সংযোগ রয়েছে। তবে গুরুত্ব না থাকলেও আন্তঃসীমান্ত রেল সংযোগ রয়েছে।
তিনি বলেন, এই রেল যোগাযোগের আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ দিক হলো তারা বাংলাদেশের ভূখণ্ড দিয়ে ভারতের বিভিন্ন অংশের মধ্যে ট্রানজিট দেয়। সেই বিষয়টিকেই কেন্দ্র করে আজকের আলোচনা হয়েছে।
কোয়াত্রা বলেন, ‘সুতরাং এটি কার্যকরভাবে একটি সংযোগের দৃষ্টান্ত, যা প্রকৃতপক্ষে উভয় দেশ, সমাজ, অর্থনীতিকে ব্যাপকভাবে উপকৃত করে।’
আরও পড়ুন: গঙ্গা চুক্তির আলোচনায় পশ্চিমবঙ্গের অন্তর্ভুক্তি নিয়ে বিস্তারিত জানাল ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়
৫৪৮ দিন আগে
যেসব তরুণ মাদককে না বলতে পারে তারাই প্রকৃত স্মার্ট: ডিএনসিসি মেয়র
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম বলেছেন, যেসব তরুণ মাদককে ‘নো’ বলতে পারে তারাই প্রকৃত স্মার্ট। কারণ তারা জানে মাদক একটি নীরব ঘাতকের নাম, সব শেষ করে দেয়।
মাদক থেকে নিজেদের দূরে রেখে খেলাধুলায় ব্যস্ত হওয়ার আহ্বান জানান তিনি।
শনিবার (২৯ জুন) সকাল সাড়ে ৯টায় রাজধানীর উত্তরা ৪ নম্বর সেক্টর পার্কে ঢাকা নর্থ মেয়র বাস্কেটবল টুর্নামেন্ট-২০২৪ উদ্বোধনকালে তিনি এসব কথা বলেন।
ডিএনসিসি মেয়র বলেন, খেলাধুলার মাধ্যমে একটি শিশুর সুষ্ঠু মেধার বিকাশ ঘটে।
আরও পড়ুন: ‘সুস্থ সমাজ গঠনে খেলাধুলা করতে হবে: ডিএনসিসি মেয়র
এ সময় তিনি শিশু-কিশোরদের খেলাধুলার বিষয়ে আরও সচেতন হওয়ার আহ্বান জানিয়ে বলেন, ‘অভিভাবকদের বেশি যত্নশীল হতে হবে। তাদের দামি দামি মোবাইল ফোন না কিনে দিয়ে খেলা সামগ্রী কিনে দেন। তারা ঠিকই মাঠে নেমে আসবে।’
তিনি বলেন, বাচ্চাদের হাতে হাতে ফোন। দিনরাত তারা সেটা নিয়ে পড়ে থাকছে। তাদের এই অভ্যাসগুলো পরিবর্তন করতে হবে। আমাদেরকেই পরিবর্তন করতে সহযোগিতা করতে হবে।
খেলাধুলার দরজা সবার জন্য উন্মুক্ত উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘সিটি করপোরেশন তরুণ প্রজন্মকে স্বাগতম জানাতে প্রস্তুত। আমরা সব সময় তাদের পাশে থাকব।’
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন, ঢাকা-১৮ আসনের সংসদ সদস্য খসরু চৌধুরী, সাবেক সংসদ সদস্য শফিউল ইসলাম মহিউদ্দিনসহ আরও অনেকে।
উদ্বোধন শেষে টুর্নামেন্টের ট্রফি উন্মোচন করা হয়। টুর্নামেন্টে ৪৪টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও বিভিন্ন একাডেমির দল অংশ নেবে।
আরও পড়ুন: ভবনের গাড়ি পার্কিংয়ের জায়গায় অবৈধভাবে গড়ে তোলা দোকান বন্ধ করা হবে: ডিএনসিসি মেয়র
৫৪৮ দিন আগে
এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা শুরু রবিবার
রবিবার থেকে সারা দেশে শুরু হচ্ছে উচ্চ মাধ্যমিক সার্টিফিকেট (এইচএসসি) ও সমমানের পরীক্ষা।
২ হাজার ২৭৫টি কেন্দ্রে ৯ হাজার ৪৬৩টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে ৯টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ড, মাদরাসা বোর্ড ও কারিগরি বোর্ডের মোট ১৪ লাখ ৫০ হাজার ৭৯০ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নেবে বলে আশা করা হচ্ছে।
এদের মধ্যে ৯টি সাধারণ বোর্ড থেকে ১১ লাখ ২৮ হাজার ২৮১ জন, মাদরাসা বোর্ড থেকে ৮৮ হাজার ৭৬ জন ও কারিগরি বোর্ড থেকে ২ লাখ ৩৪ হাজার ৪৩৩ জন পরীক্ষার্থী অংশ নেবে।
২৯ জুন থেকে ১১ আগস্ট পর্যন্ত সব কোচিং সেন্টার বন্ধ থাকবে।
গত বছর সব বোর্ড থেকে মোট ১৩ লাখ ৫৯ হাজার ৩৪২ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিল।
বিদেশে ৮টি কেন্দ্র থেকে ২৮১ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নেবে।
রুটিন অনুযায়ী এইচএসসির লিখিত পরীক্ষা ১১ আগস্ট পর্যন্ত এবং ব্যবহারিক পরীক্ষা ১২ আগস্ট থেকে ২১ আগস্ট পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হবে।
আরও পড়ুন: ৩০ জুন থেকে এইচএসসি পরীক্ষা শুরু: শিক্ষামন্ত্রী
এছাড়া কারিগরি বোর্ডের অধীন পরীক্ষা ১৮ জুলাই পর্যন্ত চলবে এবং ব্যবহারিক পরীক্ষা ১৯ জুলাই শুরু হয়ে ৪ আগস্ট পর্যন্ত চলবে।
সব পরীক্ষার্থীকে পরীক্ষা শুরুর ৩০ মিনিট আগে অবশ্যই পরীক্ষা কেন্দ্রে প্রবেশ করতে হবে এবং পরীক্ষা শুরুর ২৫ মিনিট আগে এসএমএসের মাধ্যমে সংশ্লিষ্টদের প্রশ্নপত্র কোড জানিয়ে দেওয়া হবে হবে।
পরীক্ষা কেন্দ্রে কাউকে মোবাইল ফোন নিয়ে প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না। শুধুমাত্র পরীক্ষা কেন্দ্রে ইনচার্জরা মোবাইল ফোন সেট নিয়ে প্রবেশ করতে পারবেন।
এছাড়া পরীক্ষার্থী, কেন্দ্র পরিদর্শক, মন্ত্রণালয়ের টিম, বোর্ডের টিম, স্থানীয় প্রশাসন ও উপজেলা প্রশাসন টিম ও নিরাপত্তাকর্মী ছাড়া অন্য কেউ পরীক্ষা কেন্দ্রে থাকতে পারবে না।
উচ্চ মাধ্যমিক সার্টিফিকেট (এইচএসসি) ও সমমানের পরীক্ষায় পরীক্ষার্থীদের সহায়তা দিতে প্রস্তুত থাকবে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কুইক রেসপন্স টিম (কিউআরটি)।
বৃহস্পতিবার ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা উপলক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার (ট্রাফিক) মুনিবুর রহমান।
আরও পড়ুন: এইচএসসি পরীক্ষার জন্য ২৯ জুন থেকে ১১ আগস্ট বন্ধ থাকবে কোচিং সেন্টার: শিক্ষামন্ত্রী
৫৪৮ দিন আগে
গঙ্গা চুক্তির আলোচনায় পশ্চিমবঙ্গের অন্তর্ভুক্তি নিয়ে বিস্তারিত জানাল ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়
২০২৬ সালের পরে গঙ্গা পানিচুক্তি নবায়ন সম্পর্কে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, গত ৫ এপ্রিল পশ্চিমবঙ্গ থেকে একটি যোগাযোগ পাওয়া গেছে। এতে বলা হয়েছে, ২০২৬ সালের পরে চুক্তিতে তাদের খাবার পানি এবং শিল্পের পানির প্রয়োজনীয়তার কথা অন্তর্ভুক্ত করতে হবে।
চলতি বছরের ৩১ মে অনুষ্ঠিত কমিটির শেষ বৈঠকে যোগ এই প্রয়োজনীয়তার পুনরাবৃত্তি করেছিলেন পশ্চিমবঙ্গের প্রতিনিধি।
ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারসহ সংশ্লিষ্ট সব পক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে চুক্তি নবায়নের জন্য প্রয়োজনীয় প্রস্তুতিমূলক কাজ পরিচালনা করে ভারতের পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়।
পরের ধাপে গঙ্গার পানি চুক্তি নবায়ন নিয়ে ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে আলোচনা শুরু করতে মন্ত্রণালয় একটি যৌথ কারিগরি কমিটি গঠন করে।
শুষ্ক মৌসুমে ফারাক্কা বাঁধে গঙ্গা/গঙ্গার পানি বণ্টনের জন্য ১৯৯৬ সালের ১২ ডিসেম্বর বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে একটি চুক্তি সই হয়েছিল।
আরও পড়ুন: প্রমোদতরি ‘এম ভি গঙ্গা বিলাস’: ষাট গম্বুজ মসজিদ পরিদর্শনে ২৫ বিদেশি পর্যটক
এই চুক্তিটি ত্রিশ বছরের জন্য বৈধ এবং তাই ২০২৬ সালে নবায়ণ করার বিষয়টি রয়েছে।
চুক্তির অভ্যন্তরীণ পর্যালোচনার জন্য দেশটির পানিসম্পদ মন্ত্রণালয় ২০২৩ সালের ২৪ জুলাই একটি অভ্যন্তরীণ কমিটি গঠন করে। সংশ্লিষ্ট স্টেকহোল্ডারদের মধ্যে বিহার সরকারের পাশাপাশি পশ্চিমবঙ্গ সরকারও রয়েছে। যাদের প্রতিনিধিদের এই কমিটিতে সদস্য হিসাবে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
পশ্চিমবঙ্গ সরকার ২০২৩ সালের ২৫ আগস্ট কমিটিতে তাদের প্রতিনিধি মনোনীত করে।
অভ্যন্তরীণ কমিটি এ পর্যন্ত চারটি সভা করেছে। ২০২৩ সালের ২২ আগস্ট প্রথমটি, দ্বিতীয়টি ২০২৩ সালের ৩০ অক্টোবর, তৃতীয়টি ২০২৪ সালের১৫ মার্চ এবং ২০২৪ সালের ৩১ মে শেষ বৈঠকটি করে কমিটি। এটি কমিটি ২০২৪ সালের ১৪ জুন তার চূড়ান্ত প্রতিবেদন জমা দিয়েছে। যেটি পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ে পরীক্ষাধীন।
এ পর্যন্ত চারটি বৈঠকের মধ্যে তিনটিতে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের প্রতিনিধিত্ব করেছেন যুগ্ম সচিব, সেচ ও নৌপথ বিভাগ অথবা প্রধান প্রকৌশলী (নকশা ও গবেষণা), সেচ ও নৌপথ বিভাগ। অর্থাৎ পশ্চিমবঙ্গ সরকারের প্রতিনিধি মনোনয়ন পাওয়ার পরে অনুষ্ঠিত তিনটি সভায় অংশ নিয়েছিলেন।
আরও পড়ুন: গঙ্গা চুক্তি নবায়ন ও তিস্তা চুক্তি সই করতে আন্তর্জাতিক ফারাক্কা কমিটির আহ্বান
৫৪৮ দিন আগে
‘ব্যবস্থাপনার নানা চ্যালেঞ্জে ভুগছে বাংলাদেশের বড় শহরগুলো’
বাংলাদেশের প্রধান শহরগুলো যানজট, জলাবদ্ধতা, বায়ু-পানি-মাটি দূষণ, ভূমিকম্প ঝুঁকিসহ বিভিন্ন ব্যবস্থাপনা চ্যালেঞ্জে ভুগছে বলে জানিয়েছেন বক্তারা।
বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল অ্যান্ড স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজ (বিআইআইএসএস) বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) বিআইআইএসএস মিলনায়তনে 'মেকিং সিটিস সাসটেইনেবল: চ্যালেঞ্জেস অ্যান্ড ইমপারেটিভস ফর বাংলাদেশ' শীর্ষক সেমিনারের আয়োজন করে।
গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রী র আ ম ওবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি এবং বিআইআইএসএসের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মো. আবু বকর সিদ্দিক খান স্বাগত বক্তব্য দেন।
সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বিআইআইএসএসের গবেষণা পরিচালক ড. সেগুফতা হোসেন। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপনের পর প্যানেল আলোচনা শুরু হয়।
প্যানেল আলোচনায় অংশ নেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইমেরিটাস অধ্যাপক এবং চেয়ারম্যান, সেন্টার ফর আরবান স্টাডিজ (সিইউএস) নজরুল ইসলাম, বিশ্বব্যাংকের নগর উন্নয়ন বিশেষজ্ঞ ঈশিতা আলম অবনী এবং বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) স্থাপত্য বিভাগের অধ্যাপক ড. খন্দকার শাব্বির আহমেদ।
পরে উন্মুক্ত আলোচনা পর্ব অনুষ্ঠিত হয়। বিআইআইএসএস’র চেয়ারম্যান রাষ্ট্রদূত এএফএম গাউসুল আজম সরকার অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন এবং সমাপনী বক্তব্য দেন।
আরও পড়ুন: 'উন্নয়ন, ন্যায়বিচার ও স্বাধীনতা' শীর্ষক বিআইডিএসের বার্ষিক সম্মেলন শুরু বৃহস্পতিবার
বক্তারা উল্লেখ করেন, টেকসই শহর গড়ে তোলা বিশ্বব্যাপী অনেক অঞ্চলে একটি অগ্রাধিকার হয়ে উঠেছে।
দ্রুত নগরায়ণ ও অবকাঠামোগত অগ্রগতি এবং গ্রামীণ অধিবাসীদের শহরে অভিবাসনের ফলে শহরের প্রকৃতি, মানুষের জীবন ও সম্পদকে প্রভাবিত করে এমন আরও অনেক সমস্যা তৈরি করেছে।
উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে বাংলাদেশও এ ধরনের সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে। এরমধ্যে যানজট, জলাবদ্ধতা, বায়ু-পানি-মাটি দূষণ ও ভূমিকম্পের ঝুঁকি রয়েছে। পরিকল্পিত ও টেকসই নগরায়ন অর্থনৈতিক উন্নয়নের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ পূর্বশর্ত। বাংলাদেশ এসডিজি-১১-তে চিত্রিত এই প্রয়োজনীয়তার স্বীকৃতি দিয়েছে।
বক্তারা বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিচক্ষণ নেতৃত্বে সরকার এসডিজি ১১ -এর লক্ষ্যমাত্রার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ করেছে এবং তা অর্জনে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে।
সরকারের প্রচেষ্টার অগ্রভাগে রয়েছে গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়।
বক্তারা আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার এবং অন্যান্য মেগাসিটির সেরা অনুশীলনগুলো থেকে শেখার মাধ্যমে সারাদেশে টেকসই উন্নয়নের জন্য নগর চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার পরামর্শ দেন।
আরও পড়ুন: কোভিড-১৯ মহামারির সময়ে ধনী ও দরিদ্রের আয়বৈষম্য বেড়েছে: বিআইডিএস’র গবেষণা
৫৪৮ দিন আগে
লঘুচাপের প্রভাবে সমুদ্রবন্দরে তিন নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত
উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন উপকূলীয় এলাকায় অবস্থানরত লঘুচাপের প্রভাবের কারণে চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের এক বুলেটিনে বলা হয়েছে, ‘উত্তর বঙ্গোপসাগরে লঘুচাপের প্রভাবে গভীর সঞ্চালনশীল মেঘমালা তৈরি হচ্ছে এবং বায়ুচাপের তারতম্যের আধিক্য বিরাজ করছে।’
এর প্রভাবে সমুদ্রবন্দরগুলো, উত্তর বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকায় দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে।
উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারগুলোকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে।
এদিকে শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ঢাকাসহ দেশের সব বিভাগে বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, রংপুর, ময়মনসিংহ, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অধিকাংশ জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে এবং রাজশাহী, ঢাকা ও খুলনা বিভাগের অনেক জায়গায় মাঝারি ধরনের ভারী থেকে ভারী বৃষ্টি হতে পারে।
সারাদেশে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
৫৪৮ দিন আগে
দেশে করোনায় ১ জনের মৃত্যু, শনাক্ত ২৩
দেশে শুক্রবার (২৮ জুন) সকাল ৮টা পর্যন্ত আগের ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে আরও এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে।
তবে নতুন করে ২৩ জনের শরীরে এই ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে মোট আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২০ লাখ ৫০ হাজার ৯৮০ জনে।
আরও পড়ুন: ২৪ ঘণ্টায় করোনায় আরও ১৩ জন আক্রান্ত
এখন পর্যন্ত ভাইরাসটিতে মৃত্যু হয়েছে ২৯ হাজার ৪৯৮ জনের।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের করোনাবিষয়ক নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় ৫১১ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। একই সময় শনাক্তের হার ৪ দশমিক ৫০ শতাংশ।
মোট পরীক্ষায় এ পর্যন্ত শনাক্তের হার ১৩ দশমিক শূন্য ৫ শতাংশ এবং শনাক্ত বিবেচনায় মোট মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৪৪ শতাংশ।
এদিকে, গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন ৩৩ জন। এ নিয়ে মোট সুস্থ ব্যক্তির সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২০ লাখ ১৮ হাজার ৪৭১ জনে।
আরও পড়ুন: দেশে আরও ১৭ জনের করোনা শনাক্ত
২৪ ঘণ্টায় করোনায় আরও ১৬ জন আক্রান্ত
৫৪৮ দিন আগে
ডেঙ্গুতে আরও ৯ জন আক্রান্ত
ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে দেশে শুক্রবার (২৮ জুন) সকাল পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় কারো মৃত্যু হয়নি।
তবে এই সময়ের মধ্যে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৯ জন।
আরও পড়ুন: ডেঙ্গুতে আরও ৩৪ জন আক্রান্ত
এর মধ্যে ঢাকার হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৭ জন। আর ঢাকার বাইরের হাসপাতালে নতুন করে ভর্তি হয়েছেন আরও ২ জন রোগী।
চলতি বছরে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে এখন পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে ৪৩ জনের। এদের মধ্যে পুরুষ ২০ জন ও নারী ২৩ জন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুমের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
সরকারি প্রতিবেদন অনুযায়ী, চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে ২৮ জুন পর্যন্ত ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছেন মোট ৩ হাজার ৫৪৭ জন।
এদের মধ্যে পুরুষ ২ হাজার ১৪৬ জন ও নারী ১ হাজার ৪০১ জন।
আরও পড়ুন: দেশে ডেঙ্গুতে আরও ১ জনের মৃত্যু, আক্রান্ত ৩৪
দেশে ডেঙ্গুতে আরও ১ জনের মৃত্যু, আক্রান্ত ৪৩
৫৪৮ দিন আগে
আইইউটি সমাবর্তন: তরুণদের দেশ ও বিশ্বমানবতার সেবায় ব্রতী হতে আহ্বান পররাষ্ট্রমন্ত্রীর
উচ্চশিক্ষা লাভ করে শুধু নিজের জন্য নয়, দেশ, সমাজ ও বিশ্বমানবতার সেবায় আত্মনিয়োগ করতে তরুণদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
শুক্রবার (২৮ জুন) দুপুরে গাজীপুরের বোর্ডবাজারে ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) ৩৬তম সমাবর্তনে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ আহ্বান জানান।
হাছান মাহমুদ বলেন, সময়ের বিবর্তনে মানুষ আজ ক্রমেই স্বার্থপর হয়ে উঠছে। অন্যের কথা আর ভাবতে চায় না। এই অবক্ষয় থেকে সমাজকে ফিরিয়ে আনতে শিক্ষিত তরুণ সমাজকে অগ্রণী হতে হবে।
মুসলিম দেশগুলো আরও ঐক্যবদ্ধ থাকলে গাজায় মানবিক বিপর্যয় এবং মিয়ানমারে রোহিঙ্গাদের ওপর নির্যাতন রোধ করা যেত উল্লেখ করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, চলমান সংঘাত বন্ধে ও সংঘাতমুক্ত বিশ্ব গড়তে বিশ্ব জনমত তৈরিতে এগিয়ে আসতে হবে।
তরুণ শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে ড. হাছান বলেন, জীবন এক যুদ্ধক্ষেত্র এবং স্বপ্ন আর প্রচেষ্টা এই যুদ্ধজয়ের সবচেয়ে বড় হাতিয়ার।
ভারতের প্রয়াত প্রেসিডেন্ট এপিজে আব্দুল কালামের উক্তি স্মরণ করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, যে স্বপ্ন মানুষকে ঘুমাতে দেয় না, সেই স্বপ্ন আর স্বপ্নজয়ের প্রচেষ্টা একাকার হলে বিপুল বিদ্যুৎ-চৌম্বকীয় শক্তির উদ্ভব হয়। আর এই শক্তি অপ্রতিরোধ্য।
এ সময় বাংলাদেশে এ বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার জন্য অর্গানাইজেশন অব ইসলামিক কো-অপারেশনকে (ওআইসি) ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, আইইউটি আজ দেশি-বিদেশি শিক্ষার্থীদের প্রযুক্তি বিষয়ে উচ্চ শিক্ষায় এক অনন্য বিদ্যাপীঠ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত। সামনের দিনগুলোতেও আইইউটি 'সেন্টার অভ এক্সিলেন্স' হিসেবে তার অবস্থান অক্ষুণ্ণ রাখবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন মন্ত্রী।
আইইউটি উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রফিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে সমাবর্তনে বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন ওআইসির সহকারী মহাসচিব ড. আহমদ কাওয়েসা সেনজেনডো।
৫৪৯ দিন আগে
গার্ল গাইডস অ্যাওয়ার্ড পেল ১০ বছর বয়সি ৩১ শিশু
বাংলাদেশ গার্ল গাইডস অ্যাসোসিয়েশনের উদ্যোগে জাতীয় পর্যায়ে হলদে পাখিদের (১০ বছর বয়সি কন্যাশিশু) 'নীল কমল অ্যাওয়ার্ড' দেওয়া হয়েছে।
পদকপ্রাপ্ত ৩১ হলদে পাখির হাতে ক্রেস্ট ও সার্টিফিকেট তুলে দেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী রুমানা আলী।
শুক্রবার (২৮ জুন) সকালে রাজধানীর বেইলি রোডে গার্ল গাইডস অ্যাসোসিয়েশনের অডিটোরিয়ামে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
রুমানা আলী বলেন, ‘শিশুরা স্মার্ট বাংলাদেশের কারিগর, জাতির আলোকবর্তিকা। তাদের মনে ও মননে হাজারো স্বপ্ন ছড়িয়ে দিতে হবে। দেশপ্রেম, কর্তব্যপরায়ণতা ও মানবিক মূল্যবোধে উদ্দীপ্ত ও অনুপ্রাণিত করতে হবে।’
প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় দেশের সব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে 'কাব স্কাউটিং' ও 'হলদে পাখি' দল গঠনের কাজ শুরু করেছে।
৫৪৯ দিন আগে