বাংলাদেশ
বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন সেনাপ্রধানের
বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘরে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান।
সোমবার (২৪ জুন) তিনি এই শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। পরে সেখানে রক্ষিত পরিদর্শন বইয়ে সই করেন তিনি।
এর আগে সেনাবাহিনী প্রধান শিখা অনির্বানে ফুল দিয়ে মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে আত্মোৎসর্গকারী শহীদ সেনা সদস্যদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান। সেখানে রক্ষিত পরিদর্শন বইতেও সই করেন তিনি।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে সেনাপ্রধানকে বিদায়ী সংবর্ধনা
পরে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর একটি চৌকস দল সেনাবাহিনী প্রধানকে সেনাকুঞ্জে গার্ড অব অনার দেয় এবং তিনি সেখানে একটি গাছের চারা রোপন করেন।
সেনাবাহিনী প্রধান সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধে মহান মুক্তিযুদ্ধে বীর শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন এবং তিনি বীর শহীদদের সম্মানে সালাম প্রদান করেন।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের সেনাপ্রধানের দায়িত্ব নিলেন জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান
৫৫২ দিন আগে
ঢাকা-দিল্লি পানি বণ্টন আলোচনা থেকে বাদ পড়ায় ক্ষুব্ধ মমতা
সম্প্রতি নয়া দিল্লিতে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বৈঠকের সময় তাকে বাদ দেওয়ায় অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
সোমবার (২৪ জুন) মোদিকে কড়া ভাষায় লেখা চিঠিতে তিনি লিখেছেন, ‘বাংলাদেশের মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সাম্প্রতিক সফরের প্রসঙ্গে আমি এই চিঠিটি লিখছি। বৈঠকে গঙ্গা ও তিস্তা নদীর পানি বণ্টন নিয়ে আলোচনা হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। রাজ্য সরকারের মতামত ছাড়া এই ধরনের একতরফা আলাপ-আলোচনা গ্রহণযোগ্য নয়, কাম্যও নয়।’
মমতা বাংলাদেশের সঙ্গে পশ্চিমবঙ্গের সম্পর্কের গুরুত্বের ওপর জোর দিয়ে বলেন, 'ভৌগোলিক, সাংস্কৃতিক ও অর্থনৈতিকভাবে বাংলাদেশের সঙ্গে আমাদের খুব ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে, আমি বাংলাদেশের মানুষকে ভালোবাসি এবং শ্রদ্ধা করি এবং সবসময় তাদের মঙ্গল কামনা করি। পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য অতীতে বেশ কয়েকটি ইস্যুতে বাংলাদেশকে সহযোগিতা করেছে।’
তিনি ভারত-বাংলাদেশ ছিটমহল বিনিময়, ভারত-বাংলাদেশ রেললাইন এবং বাস সার্ভিস বিনিময়সহ বেশ কয়েকটি সফল সহযোগিতার কথা তুলে ধরেন। তবে তিনি পানিসম্পদের গুরুত্ব তুলে ধরে বলেন, 'পানি খুবই মূল্যবান এবং এটি মানুষের জীবনরেখা। এমন একটি স্পর্শকাতর ইস্যুতে আমরা আপস করতে পারি না, যা জনগণের ওপর মারাত্মক ও বিরূপ প্রভাব ফেলে। এই ধরনের চুক্তির প্রভাবে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবে পশ্চিমবঙ্গের মানুষ।’
আরও পড়ুন: উভয় দেশের জনগণের কল্যাণে সহযোগিতার বিষয়ে একমত ঢাকা-দিল্লি: মোদির সঙ্গে বৈঠক শেষে শেখ হাসিনা
পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী ২০২৬ সালে মেয়াদোত্তীর্ণ ভারত-বাংলাদেশ ফারাক্কা চুক্তির নবায়ন নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, 'এটি একটি চুক্তি যা বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে পানি বণ্টনের নীতি বর্ণনা করে এবং আপনারা জানেন যে পশ্চিমবঙ্গের জনগণের জীবনযাত্রা রক্ষার জন্য এটি বিশাল প্রভাব ফেলে এবং ফারাক্কা বাঁধে যে পানি সরানো হয়, তা কলকাতা বন্দরের নাব্যতা বজায় রাখতে সহায়তা করে।’
তিনি পূর্ব ভারত ও বাংলাদেশের নদীর অঙ্গসংস্থানবিদ্যার পরিবর্তনের কথা উল্লেখ করেন, যা পশ্চিমবঙ্গে পানির প্রাপ্যতার ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে।‘গত ২০০ বছর ধরে গঙ্গার (এবং বাংলাদেশে পদ্মা) পূর্বমুখী অভিবাসনের ফলে পশ্চিমবঙ্গের বেশ কয়েকটি নদীর সঙ্গে তাদের যোগাযোগ ব্যাহত হচ্ছে। যেমন পদ্মা থেকে জলঙ্গি ও মাথাভাঙ্গা নদীর সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে সুন্দরবনে মিঠা পানির প্রবাহ কমে গেছে। আসলে ফারাক্কা বাঁধ প্রকল্প নির্মাণের সূচনা হলো থেকে গঙ্গার ভাগীরথীর সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা।’
আরও পড়ুন: শেখ হাসিনার রাষ্ট্রীয় সফর বাংলাদেশ-ভারতের মৈত্রীর গভীরতার প্রতিফলন: জয়শঙ্কর
এসব বিষয়ে তার আগের চিঠিতে সাড়া না পাওয়ায় হতাশা প্রকাশ করে মমতা বলেন, 'এসব বিষয়ে আমি আপনাদের দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য একাধিকবার চিঠি লিখেছি।’
তিস্তা নদী প্রসঙ্গে তিনি লিখেছেন, 'ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে তিস্তার পানি বণ্টন নিয়েও বৈঠকে আলোচনা হয়েছে বলে মনে হচ্ছে। সিকিমে একের পর এক জলবিদ্যুৎ প্রকল্প নির্মাণ, উঁচু অববাহিকায় বন উজাড় এবং জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে তিস্তা নদীর স্বাভাবিক প্রবাহ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।’
বাংলাদেশে তিস্তা পুনরুদ্ধারে ভারত সরকারের দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতার প্রস্তাবের সমালোচনা করে তিনি ভারতের অংশে তিস্তা পুনরুদ্ধারে জলবিদ্যুৎ মন্ত্রণালয়ের সুনির্দিষ্ট পদক্ষেপের অভাবের কথা উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, ‘আমি অবাক হয়েছি যে জলবিদ্যুৎ মন্ত্রণালয় নদীটিকে তার আসল রূপ এবং ভারতীয় অংশে নদীর অংশ পুনরুদ্ধারের জন্য কোনও দৃঢ় পদক্ষেপ নেয়নি। উল্লিখিত কারণগুলোর কারণে তিস্তায় বছরের পর বছর ধরে পানির প্রবাহ হ্রাস পেয়েছে এবং ধারণা করা হয়, যদি বাংলাদেশের সঙ্গে কোনও পানি বণ্টন করা হয় তবে সেচের পানির অপর্যাপ্ত প্রাপ্যতার কারণে উত্তরবঙ্গের (পশ্চিমবঙ্গ) লাখ লাখ মানুষ মারাত্মকভাবে প্রভাবিত হবে।’
চিঠির শেষ অংশে মমতা তার তীব্র আপত্তির কথা পুনর্ব্যক্ত করে বলেন, ‘পরিশেষে আমার দৃঢ় আপত্তির বার্তা দিতে চাই যে, তিস্তার পানি বণ্টন এবং ফারাক্কা চুক্তি নিয়ে রাজ্য সরকারের সম্পৃক্ততা ছাড়া বাংলাদেশের সঙ্গে কোনো আলোচনা করা উচিত নয়। পশ্চিমবঙ্গের মানুষের স্বার্থ সবার আগে, যার সঙ্গে কোনও মূল্যেই আপস করা উচিত নয়।’
আরও পড়ুন: ভারত সফরে যা যা আলোচনা করেছেন প্রধানমন্ত্রী
৫৫২ দিন আগে
বিভিন্ন সরকারি প্রতিষ্ঠানের কাছে ব্যাংকের পাওনা ৫০ হাজার কোটি টাকার বেশি
চলতি বছরের ৩১ মার্চ পর্যন্ত সরকারি মালিকানাধীন ৫৬টি প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি ব্যাংকের পাওনা ৫১ হাজার ৩৯১ কোটি টাকা।
সোমবার (২৪ জুন) জাতীয় সংসদে নোয়াখালী-২ আসন থেকে নির্বাচিত আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য মোরশেদ আলমের এক প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী এ তথ্য জানান।
অর্থমন্ত্রীর পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ৫৬টি সরকারি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশন থেকে (বিএডিসি) বিভিন্ন ব্যাংকের পাওনা সবচেয়ে বেশি ১৫ হাজার ৫৫০ কোটি টাকা। আর সবচেয়ে কম ঢাকা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ৭৮ লাখ টাকা।
আরও পড়ুন: গ্রামাঞ্চলে অতিরিক্ত মোবাইল ব্যবহারের নেতিবাচক প্রভাব নিয়ে আশঙ্কা সংসদ সদস্যের
সরকারি অন্য প্রতিষ্ঠানগুলো হলো- চিনিকল (৭ হাজার ৮১৩ কোটি টাকা), সার, কেমিক্যাল ও ওষুধ শিল্প (৭ হাজার ২৫০ কোটি ৭১ লাখ টাকা), অন্যান্য নন-ফাইন্যান্সিয়াল করপোরেশন-পাবলিক (৬ হাজার ৬০ কোটি ৩৭ লাখ টাকা), ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ (৫ হাজার ১৮ কোটি ৬০ লাখ টাকা), বাংলাদেশ বিমান করপোরেশন (৪ হাজার ৪৪১ কোটি ৩৮ লাখ টাকা), খাদ্য মন্ত্রণালয় (৬৪৪ কোটি ৮০ লাখ টাকা), বাংলাদেশ পাটকল ও সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান (৬০৩ কোটি ৪১ লাখ টাকা), বাংলাদেশ মেশিন টুলস ফ্যাক্টরি লিমিটেড (৫৮৭ কোটি ৩ লাখ টাকা), বাংলাদেশ সার্ভিসেস লিমিটেড (৫৮০ কোটি ১০ লাখ টাকা), ঢাকা ইলেকট্রিক সাপ্লাই কোম্পানি (২৭৭ কোটি ৬০ লাখ টাকা), ইক্যুইটি এন্টারপ্রেনারশিপ ফান্ড (২৬৫ কোটি ৯৫ লাখ টাকা), অন্যান্য আর্থিক মধ্যস্থতাকারী সরকারি (১৬৫ কোটি টাকা) এবং জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় (১৪৪ কোটি ৭৮ লাখ টাকা)।
আরও পড়ুন: জাতীয় বাজেট ২০২৪-২৫ অর্থবছর: জিডিপি প্রবৃদ্ধি ধরা হয়েছে ৬.৭৫ শতাংশ
৫৫২ দিন আগে
জল্লাদ শাহজাহান মারা গেছেন
বঙ্গবন্ধুর ছয় খুনিসহ ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত ৬০ জনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকরকারী ‘জল্লাদ শাহজাহান’ নামে পরিচিত শাহজাহান ভূঁইয়া মারা গেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। তার বয়স হয়েছিল ৭৪ বছর।
সোমবার (২৪ জুন) ভোর সাড়ে ৫টার দিকে রাজধানীর শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।
সাভারের হেমায়েতপুরের বাসায় বুকে ব্যথা অনুভব করলে রাত সাড়ে ৩টার দিকে শাহজাহানকে হাসপাতালে নেওয়া হয়।
হাসপাতাল থেকে জল্লাদ শাহজাহানের লাশ গ্রহণ করেন তার বোন ফিরোজা।
নরসিংদীর পলাশ উপজেলার ইছাখালীতে জানাজা শেষে তাকে দাফন করা হবে।
তিন দশকেরও বেশি সময় কারাভোগের পর ২০২৩ সালের ১৮ জুন ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে মুক্তি পান জল্লাদ শাহজাহান ভূঁইয়া।
কারা কর্তৃপক্ষ জানায়, আলী ভূঁইয়ার ছেলে শাহজাহান ১৯৫০ সালের ২৬ মার্চ নরসিংদীর পলাশ উপজেলার ইছাখালী গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন।
১৯৯২ সালের ৮ নভেম্বর ডাকাতির মামলায় শাহজাহানকে ১২ বছরের কারাদণ্ড ও পাঁচ হাজার টাকা আর্থিক জরিমানা করা হয়।
আরও পড়ুন: শ্রীলঙ্কায় ৪৩ বছর পর মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করতে জল্লাদ নিয়োগ
অপর একটি ডাকাতি ও হত্যা মামলায় তাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও আরও পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
এসব মামলায় তাকে মোট ৪২ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
১৯৯৫ সালের ২১ নভেম্বর তাকে মানিকগঞ্জ থেকে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে স্থানান্তর করা হয়।
জেল সূত্রে জানা যায়, ২০০১ সালে শারমিন রিমা হত্যা মামলায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ছয় খুনি, চার যুদ্ধাপরাধী, দুই জেএমবি সদস্য, কুখ্যাত সন্ত্রাসী এরশাদ শিকদার, মনির ও খুকুসহ ২৬ জনের ফাঁসি কার্যকর করেছেন জল্লাদ শাহজাহান।
জল্লাদ হিসেবে ভূমিকা পালন ও শৃঙ্খলা প্রদর্শনের জন্য কারা কর্তৃপক্ষ তার কারাদণ্ডের মেয়াদ ১০ বছর ৫ মাস ২৮ দিন মাফ করে দেয়।
সেই বিবরণে বলা হয়, শাহজাহান ৩১ বছর ৬ মাস ২ দিন কারাদণ্ড ভোগ করেন।
আরও পড়ুন: মুক্তি পেয়েছেন বঙ্গবন্ধুর ৬ খুনিসহ ২৬ জনকে ফাঁসিতে ঝোলানো ‘জল্লাদ’ শাহজাহান
৫৫২ দিন আগে
ইসরোর সঙ্গে যৌথভাবে ছোট স্যাটেলাইট তৈরি করবে বাংলাদেশ: পলক
ভারতীয় স্পেস রিসার্চ অর্গানাইজেশনের (ইসরো) সঙ্গে যৌথভাবে বাংলাদেশ একটি ছোট স্যাটেলাইট তৈরি করবে বলে জানিয়েছেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।
প্রতিমন্ত্রী পলক বলেন, এই ছোট স্যাটেলাইটটি হবে আর্থ অবজারভেটরি জিও স্পেশাল স্যাটেলাইট। যেটির মেয়াদ থাকবে ৫ থেকে ৬ বছর।
আরও পড়ুন: ডিজিটাল অন্তর্ভুক্তির মাধ্যমে সমতার বিশ্ব গড়ে তোলা সম্ভব: প্রতিমন্ত্রী পলক
সোমবার (২৪ জুন) সচিবালয়ে ফ্রান্সের রাষ্ট্রদূত ম্যারি মাসদুপুইয়ের সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে তিনি এসব কথা বলেন।
সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ভারত সফর করেছেন, আপনার মন্ত্রণালয়ের কী বিষয় ছিল এমন প্রশ্নে পলক বলেন, আমাদের দুইটি বিষয় ছিল খুব গুরুত্বপূর্ণ।
একটি হচ্ছে- ভিশন পার্টনারশিপ ডকুমেন্টস ফর ডিজিটাল পার্টনারশিপ। যেটা ভারতের আছে ‘বিকশিত ভারত-২০৪৭’। তাদের উন্নত, উচ্চ আয়ের দেশ হওয়া। আর প্রধানমন্ত্রীর ভিশন-২০৪১, স্মার্ট বাংলাদেশ, উন্নত বাংলাদেশ হওয়া।
এরজন্য কীভাবে প্রযুক্তিকে ব্যবহার করে আমরা দুই দেশ একসঙ্গে কাজ করব, সেজন্য একটা ভিশন ডিজিটাল পার্টনারশিপ ডকুমেন্টস, একটা নতুন ধরনের অনেক বড় পরিসরের বড় পরিধির ভিশন সাইন করছি।
দ্বিতীয়টি হচ্ছে- তাদের যে স্পেস রিসার্চ অর্গানাইজেশন (ইসরো) আছে, তা বেশ ভালো করছে ও চন্দ্রযান-৩ সফলভাবে চাঁদেও অবতরণ করেছে। তাদের সঙ্গে আমরা যৌথভাবে একটা ছোট স্যাটেলাইট তৈরি করব। যেখানে ওরা প্রায় ৫০ কোটি টাকার মতো অনুদান দেবে।
প্রতিমন্ত্রী পলক আরও বলেন, আমরা আমাদের প্রায় ৫০ জন ছেলে-মেয়েকে এখানে ব্যবহার করব। যারা ইসরোতে ভিজিট করবে। তাদের বিজনেস উইংয়ের সঙ্গে কাজ করবে, গবেষণার কাজ করবে।
তিনি বলেন, তাদের কিছু স্যাটেলাইটের কনস্ট্রাকশন ডিজাইন আমরা যৌথভাবে করব এবং সেটা একসঙ্গে লঞ্চ করব।
আরও পড়ুন: ইন্টারনেটের জনপ্রিয় ছোট প্যাকেজগুলোর পক্ষে পলক
অনলাইন জুয়ায় জড়িত ৫০ লাখ মানুষ: পলক
৫৫২ দিন আগে
ডেঙ্গুতে আরও ৩৪ জন আক্রান্ত
ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে দেশে সোমবার (২৪ জুন) সকাল পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় কারো মৃত্যু হয়নি।
তবে এই সময়ের মধ্যে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৩৪ জন।
আরও পড়ুন: দেশে ডেঙ্গুতে আরও ১১ জন আক্রান্ত
এর মধ্যে ঢাকার হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ১৬ জন। আর ঢাকার বাইরের হাসপাতালে নতুন করে ভর্তি হয়েছেন আরও ১৮ জন রোগী।
চলতি বছরে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে এখন পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে ৪১ জনের। এদের মধ্যে পুরুষ ২০ জন ও নারী ২১ জন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুমের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
সরকারি প্রতিবেদন অনুযায়ী, চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে ২৪ জুন পর্যন্ত ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছেন মোট ৩ হাজার ৪১৯ জন।
এদের মধ্যে পুরুষ ২ হাজার ৭১ জন ও নারী ১ হাজার ৩৪৮ জন।
আরও পড়ুন: ডেঙ্গুতে আরও ৪২ জন আক্রান্ত
ডেঙ্গুতে আরও ২৮ জন আক্রান্ত
৫৫২ দিন আগে
২৪ ঘণ্টায় করোনায় আরও ১১ জন আক্রান্ত
দেশে সোমবার (২৪ জুন) সকাল ৮টা পর্যন্ত আগের ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে কারো মৃত্যু হয়নি।
তবে নতুন করে ১১ জনের শরীরে এই ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে মোট আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২০ লাখ ৫০ হাজার ৯১১ জনে।
আরও পড়ুন: ২৪ ঘণ্টায় করোনায় আরও ১০ জন আক্রান্ত
এখন পর্যন্ত ভাইরাসটিতে মৃত্যু হয়েছে ২৯ হাজার ৪৯৭ জনের।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের করোনাবিষয়ক নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় ২২০ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। একই সময় শনাক্তের হার ৫ দশমিক শূন্য শতাংশ।
মোট পরীক্ষায় এ পর্যন্ত শনাক্তের হার ১৩ দশমিক শূন্য ৫ শতাংশ এবং শনাক্ত বিবেচনায় মোট মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৪৪ শতাংশ।
এদিকে, গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন ২৪ জন। এ নিয়ে মোট সুস্থ ব্যক্তির সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২০ লাখ ১৮ হাজার ৩৮০ জনে।
আরও পড়ুন: ২৪ ঘণ্টায় করোনায় আরও ১২ জন আক্রান্ত
২৪ ঘণ্টায় করোনায় আরও ১১ জন আক্রান্ত
৫৫২ দিন আগে
ইন্টারনেটের জনপ্রিয় ছোট ছোট প্যাকেজের পক্ষে পলক
ইন্টারনেট প্যাকেজগুলো রিভিউ করে জনপ্রিয় ছোট ছোট প্যাকেজ চালু রাখার পক্ষে মত দিয়েছেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।
সোমবার (২৪ জুন) সচিবালয়ে ফ্রান্সের রাষ্ট্রদূত ম্যারি মাসদুপুইয়ের সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে প্রতিমন্ত্রী পলক এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: অনলাইন জুয়ায় জড়িত ৫০ লাখ মানুষ: পলক
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘ডাটা প্যাকেজ বেঁধে দেওয়ার পর থেকে গ্রাহকদের মধ্যে একটা অসন্তোষ আছে। এছাড়া বিটিআরসি (বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন) চেয়ারম্যান ও কমিশনারদের সঙ্গে বসেছিলাম, আমরা রিভিউ করছি। আমি বলেছি একটা রিপোর্ট দিতে।’
তিনি বলেন, ‘যদি আমাদের ডাটা প্যাকেজ তিনটি থেকে বাড়াতে হয় বা অন্য কোনো ছোট প্যাকেজ কাজে লাগে বা মানুষের কাছে প্রিয় হয়, তাহলে গ্রাহকের যেটা প্রিয় বা পছন্দের, সেটাই আমরা যাতে বিবেচনা করি- এটা তাদের বলেছি।’
গত বছরের ১৭ সেপ্টেম্বর সাবেক ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার গ্রাহক স্বার্থ বিবেচনায় মোবাইল ফোন অপারেটরদের ডাটা ও ডাটা-সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন প্যাকেজের নতুন নির্দেশিকা উদ্বোধন করেন।
এরপর ১৫ অক্টোবর মোবাইল ইন্টারনেটের তিন ধরনের সময়ের মেয়াদে (৩ দিন, ৭ দিন ও ১৫ দিন) প্যাকেজ কার্যকর হয়। এছাড়া ৩০ দিনের প্যাকেজের জায়গায় যথাক্রমে ৭ দিন, ৩০ দিন ও আনলিমিটেড প্যাকেজ চালু করা হয়।
ওই সময় ৩ দিনের প্যাকেজ তুলে দেওয়া হয়। অসংখ্য প্যাকেজ থেকে সেসময় ৪০টি প্যাকেজ নির্ধারণ করা হয়।
৩ দিনের মেয়াদ তুলে দেওয়ার পক্ষে সেসময় মন্ত্রী বলেন, ‘৩ দিনের মেয়াদে ১৫ জিবি ডাটা দিলে তা গ্রাহকের উপকারে আসে না।’
তিনি আরও বলেন, ‘মোবাইল অপারেটরগুলো ব্যবসায়িক স্বার্থে ডাটার মেয়াদ সীমিত রাখতে চায়। অসংখ্য প্যাকেজ থাকায় জনগণ বিভ্রান্তিতে পড়ছে।’
নতুন নির্দেশিকায় ৪০টি প্যাকেজ গ্রাহকদের স্বাচ্ছন্দ্য দেবে বলে জানিয়েছিলেন মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার।
আরও পড়ুন: ডিজিটাল অন্তর্ভুক্তির মাধ্যমে সমতার বিশ্ব গড়ে তোলা সম্ভব: প্রতিমন্ত্রী পলক
১৫ বছরে চলনবিল অঞ্চলের মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তন হয়েছে: পলক
৫৫৩ দিন আগে
ভারত সফর নিয়ে মঙ্গলবার সংবাদ সম্মেলন করবেন প্রধানমন্ত্রী
সাম্প্রতিক ভারত সফরের ফলাফল নিয়ে মঙ্গলবার(২৫ জুন) সংবাদ সম্মেলন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
প্রধানমন্ত্রীর প্রেস উইং সূত্রে জানা গেছে, বেলা ১১টায় প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে এই সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে।
আরও পড়ুন: মেধাবী শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তি ও টিউশন ফি বিতরণ উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আমন্ত্রণে দুই দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে গত ২১ জুন নয়াদিল্লি যান শেখ হাসিনা।
লোকসভা নির্বাচনের পর বিজেপি নেতৃত্বাধীন জোট টানা তৃতীয়বারের মতো সরকার গঠনের পর এই প্রথম কোনো সরকার প্রধানের ভারতে দ্বিপক্ষীয় সফর হলো।
সফরকালে ঢাকা ও নয়া দিল্লির মধ্যে ৭টি সমঝোতা স্মারক সই হয় এবং দুই প্রতিবেশী দেশের মধ্যে ক্রমবর্ধমান সম্পর্ক আরও সংহত করার জন্য আরও তিনটি সমঝোতা স্মারক সই হয়।আরও পড়ুন: আনন্দের সঙ্গে শিক্ষালাভ নিশ্চিত করতে হবে: প্রধানমন্ত্রী
৫৫৩ দিন আগে
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার চীন সফরের অপেক্ষায় আছি : চীনের মন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আসন্ন চীন সফর খুবই ফলপ্রসূ হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন বাংলাদেশে সফররত চীনের কম্যুনিস্ট পার্টির আন্তর্জাতিক বিভাগের মন্ত্রী লিউ জিয়ানচাও।
সোমবার (২৪ জুন ) দুপুরে রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদের সঙ্গে সাক্ষাৎকালে তিনি এই আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, 'আমি মনে করি, প্রধানমন্ত্রীর আসন্ন সফর খুবই ফলপ্রসূ হতে যাচ্ছে।’
চীনের নেতা বলেন, আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সফরের জন্য তারা অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছেন।
বাংলাদেশ ও চীনের মধ্যে পারস্পরিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয়ে আলোচনা করতে মন্ত্রী বর্তমানে বাংলাদেশ সফর করছেন। চার দিনের সরকারি সফরে শনিবার(২২ জুন) ঢাকায় পৌঁছেছেন তিনি।
চীনের এই মন্ত্রী বলেন, 'আমাদের অনেক প্রত্যাশা রয়েছে এবং আমি নিশ্চিত, আমাদের দুই দেশের সরকার ও সরকারি সংস্থাগুলো আগামীতে আমাদের দুই দেশের মধ্যে সহযোগিতার জন্য একটি সাধারণ পরিকল্পনা তৈরি করবে।’
জিয়ানচাও বলেন, দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক, সম্পর্কের ইতিহাস এবং বন্ধুত্ব নিয়ে তাদের মধ্যে অত্যন্ত গভীর ও বিস্তৃত আলোচনা হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘এভাবে প্রায় পঞ্চাশ বছর পর এই বন্ধুত্ব পাকাপোক্ত হয়। যেহেতু আমাদের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক ১৯৭৫ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল।’
তিনি বলেন, বাংলাদেশের সমৃদ্ধি অভিযান, উদাহরণস্বরূপ ভিশন-২০৪১ এবং একটি স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে বাংলাদেশের সঙ্গে কাজ করার আগ্রহ ও দৃঢ় অনুপ্রেরণা ও উৎসাহের অংশীদার চীন।
আরও পড়ুন: এক চীন নীতির প্রতি বাংলাদেশের অঙ্গীকার এবং বাণিজ্য সম্পর্ক জোরদারের আহ্বান বিশেষজ্ঞদের
আর চীন ও বাংলাদেশ অবকাঠামো, কৃষি, বিনিয়োগ, উৎপাদন ও বাণিজ্য খাতেও কাজ করতে পারে।
তিনি বলেন, ‘আপনাদের আধুনিকায়ন অভিযানে প্রতিবেশী ও অংশীদার হিসেবে চীন একটি ব্র্যান্ড হিসেবে রয়ে গেছে। তাই বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভের কাঠামোর মধ্যেই আমরা এটা করব।’
পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদের সঙ্গে বৈঠকে চীনের মন্ত্রী বলেন, তারা কিছু আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক ইস্যু নিয়েও আলোচনা করেছেন।
তিনি বলেন, 'বেশিরভাগ ইস্যুতে আমাদের একই রকম দৃষ্টিভঙ্গি রয়েছে এবং দুই দেশের রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে যোগাযোগের সময় পারস্পরিক যোগাযোগ এবং প্রেক্ষাপটের উপরও জোর দেওয়া হয়।’
চীনের এই নেতা বলেন, তারা বিশ্বাস করেন যে সরকারের নীতিগুলো প্রায়শই দলীয় দৃষ্টিভঙ্গি থেকে আসে। ‘সুতরাং আমরা বিশ্বাস করি রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে পারস্পরিক যোগাযোগ খুব প্রয়োজন, এটি মানুষকে একে অপরকে আরও ভালভাবে বুঝতে সহায়তা করছে এবং এটি সরকারকে একে অপরের কাছে প্রাসঙ্গিক এবং বর্তমান নীতি প্রণয়নে সহায়তা করছে।’
তিনি বলেন, এই ধরনের পারস্পরিক আলাপ-আলোচনার বিষয়টি খুবই গুরুত্বপূর্ণ এবং এটাই পারস্পরিক শিক্ষার প্রক্রিয়া।
সম্ভাব্য নথি সইয়ের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, তারা আশা করছেন অনেক ক্ষেত্রে চুক্তি হতে যাচ্ছে। ‘আমরা চুক্তি সই করি এবং আপনারা জানেন, আমরা প্রতিশ্রুতি দিই এবং আমরা তা পূরণ করি।’
আরও পড়ুন: চীনা ভাষা শিখে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বাড়াতে বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের উৎসাহিত করলেন রাষ্ট্রদূত ইয়াও
এক প্রশ্নের জবাবে চীনের এই নেতা বলেন, তারা বাংলাদেশ সরকারের উদারতা ও মানবিক সহায়তার প্রশংসা করেন। একই সঙ্গে রোহিঙ্গা ইস্যু আরও জটিল হয়ে উঠছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
তিনি বলেন, রোহিঙ্গা ইস্যুতে সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন পক্ষের সঙ্গে কাজ করে সমস্যা সমাধানে চীনের ভূমিকা অব্যাহত রাখবে।
মঙ্গলবার চীনের এই নেতা রাষ্ট্রপতি মোঃ সাহাবুদ্দিনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন।
তার এই সফরকে নিয়মিত উচ্চ পর্যায়ের দ্বিপক্ষীয় সফরের অংশ হিসেবে দেখা হলেও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আসন্ন চীন সফর নিয়ে আলোচনা হতে পারে বলে এর আগে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্র জানিয়েছিল।
জুলাইয়ের শুরুতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রত্যাশিত চীন সফরের বিষয়টি চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েনের সঙ্গে বৈঠকে গুরুত্বারোপ করেন। এছাড়া বাংলাদেশে বিনিয়োগ বৃদ্ধি এবং দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক জোরদারে চীনের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেন তিনি।
রাষ্ট্রদূত ইয়াও বাংলাদেশের 'রূপকল্প-২০৪১' এবং 'স্মার্ট বাংলাদেশ' বাস্তবায়নের আকাঙ্ক্ষার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও সাংস্কৃতিক বিনিময় সম্প্রসারণে এই সফরের তাৎপর্যের ওপর জোর দেন।
শেখ হাসিনার আসন্ন সফর নিয়ে সম্প্রতি এক সেমিনারে এক প্রশ্নের জবাবে রাষ্ট্রদূত ইয়াও সাংবাদিকদের বলেন, ‘এটা হবে আরেকটি ঐতিহাসিক ঘটনা। এটি একটি গেম-চেঞ্জার হবে। এটি একটি নতুন অধ্যায়ের সূচনা করবে।’
একজন সাংবাদিক আগামী মাসে প্রধানমন্ত্রীর সফরের সম্ভাব্য তারিখ জানতে চাইলে রাষ্ট্রদূত এ কথা বলেন।
সম্প্রতি ইয়াও বলেন, বাংলাদেশ ও চীনের উচিত সহযোগিতার জন্য তাদের কৌশলগত অংশীদারিত্ব আরও জোরদার করা এবং নতুন প্রবৃদ্ধির বিষয় অনুসন্ধান করা।
আরও পড়ুন: ২১-২২ জুন নয়া দিল্লি ও ৯-১২ জুলাই চীন সফরে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী
৫৫৩ দিন আগে