বাংলাদেশ
ঈদুল আজহার ছুটিতে সড়ক দুর্ঘটনায় ২৬২ জনের মৃত্যু: আরএসএফ
চলতি জুনে ঈদুল আজহার ছুটিতে মাত্র ১৩ দিনের মধ্যে সড়ক দুর্ঘটনায় ২৬২ জন নিহত ও ৫৪৩ জন আহত হয়েছেন বলে সোমবার (২৪ জুন) এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে রোড সেফটি ফাউন্ডেশন।
এতে বলা হয়, নিহতদের মধ্যে ৩২ জন নারী ও ৪৪ শিশু রয়েছে।
এ সময়ে দেশের জাতীয় ও আঞ্চলিক দৈনিক এবং অনলাইন গণমাধ্যমে প্রকাশিত দুর্ঘটনার সংবাদ বিশ্লেষণ করে এ প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে সংস্থাটি।
ঈদের ছুটিতে প্রতিদিন গড়ে ২০ দশমিক ১৫ জন মানুষ মৃত্যুবরণ করলেও গত বছর ঈদুল আজহার ছুটিতে এই হার ছিল ২১ দশমিক ৬ জন মানুষ মারা গিয়েছিল।
এছাড়া সারা দেশে ১২৯টি মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় ১০৪ জন নিহত হয়েছেন, যা মোট নিহতের ৩৯ দশমিক ৬৯ শতাংশ। এই সংখ্যাটি গত বছরের তুলনায় ১৩ দশমিক ৩১ শতাংশ বেশি।
চলতি মাসের ১৩ দিনে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহতদের মধ্যে ৪৯ জন পথচারী ছিলেন, যা মোট নিহতের ১৮ দশমিক ৭০ শতাংশ। আর ২৮ জন ছিলেন বিভিন্ন যানবাহনের চালক ও সহকারী। যা মোট নিহতের ১০ দশমিক ৬৮ শতাংশ।
এ সময়ের মধ্যে সাতটি নৌদুর্ঘটনায় ১২ জন নিহত ও তিনজন আহত এবং ১৬টি রেলপথে দুর্ঘটনায় ১৪ জন নিহত ও ৮ জন আহত হয়েছেন।
আরও পড়ুন: সেপ্টেম্বরে সারাদেশে সড়কে ৩৯৪ জন প্রাণ হারিয়েছে: রোড সেফটি ফাউন্ডেশন
দুর্ঘটনায় জড়িত যানবাহনের মধ্যে রয়েছে ১৩ দশমিক ৩২ শতাংশ বাস, ১৮ দশমিক ৫৭ শতাংশ পিকআপ ভ্যান-লরি, ৭ দশমিক ৩১ শতাংশ প্রাইভেটকার-জিপ ও মাইক্রোবাস, ২৫ দশমিক ৮৯ শতাংশ মোটরসাইকেল, ১৪ দশমিক ৫৮ শতাংশ ব্যাটারিচালিত হিউম্যান হলার এবং ১৯ দশমিক ৮৮ শতাংশ তিন চাকার যানবাহন।
সংগঠিত দুর্ঘটনার ৩৮ দশমিক ৬৪ শতাংশ জাতীয় মহাসড়কে, ৩৬ দশমিক ২৫টি আঞ্চলিক সড়কে, ১১ দশমিক ১৫ শতাংশ অন্যান্য সড়কে সংঘটিত হয়।
প্রতিবেদনে বলা হয়, দুর্ঘটনায় সবচেয়ে বেশি ২৮ দশমিক ৬৮ শতাংশ মৃত্যু হয়েছে ঢাকা বিভাগে, সবচেয়ে কম ৩ দশমিক ১৮ শতাংশ মৃত্যু হয়েছে সিলেট বিভাগে।
রোড সেফটি ফাউন্ডেশনের তথ্য অনুযায়ী, উল্লেখিত সময়ে রাজধানীতে ১৮টি দুর্ঘটনায় ১৪ জন নিহত ও ১১ জন আহত হয়েছেন।
সংস্থাটি দেশের সড়কে হতাহতের জন্য দায়ী বেশ কয়েকটি কারণ চিহ্নিত করেছে। এর মধ্যে রয়েছে ফিটনেসবিহীন যানবাহন, বেপরোয়া গতিতে গাড়ি চালানো, অদক্ষ চালক এবং তাদের শারীরিক মানসিক অসুস্থতা, নির্দিষ্ট ড্রাইভিং সময়ের অনুপস্থিতি। এছাড়া মহাসড়কে ধীরগতির যানবাহন, তরুণদের বেপরোয়া মোটরসাইকেল চালানো, ট্রাফিক আইন না জানা, অপর্যাপ্ত ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা, বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) সীমিত ক্ষমতা এবং গণপরিবহন খাতে চাঁদাবাজির ব্যাপকতাও অনেকটা দায়ী।
আরও পড়ুন: নভেম্বরে সারাদেশে সড়কে ৪৬৭ জনের প্রাণহানি: রোড সেফটি ফাউন্ডেশন
৫৫৩ দিন আগে
সাবেক এনবিআর কর্মকর্তা মতিউর, স্ত্রী ও ছেলের বিদেশযাত্রায় নিষেধাজ্ঞা
অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সদ্য অপসারিত কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট অ্যাপিলেট ট্রাইব্যুনালের সভাপতি মতিউর রহমান, তার স্ত্রী লায়লা কানিজ ও ছেলে মুশফিকুর রহমান ইফাতের বিদেশযাত্রায় নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন আদালত।
সোমবার (২৪ জুন) দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) সহকারী পরিচালক (প্রসিকিউশন) আমিনুল ইসলাম জানান, ঢাকা মহানগর দায়রা জজ মোহাম্মদ আসসামছ জগলুল হোসেন এ আদেশ দেন।
আদালতে দুদকের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মীর আহম্মদ আলী সালাম।
ঈদুল আজহার আগে ছেলের ১৫ লাখ টাকার ছাগল কেনা নিয়ে ব্যাপক সমালোচনা ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তোলপাড় শুরু হয়। এরই মধ্যে গতকাল রবিবার মতিউর রহমানকে এনবিআরের পদ থেকে অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগে বদলি করা হয়। এছাড়াও রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন সোনালী ব্যাংক পিএলসির পরিচালক পদ থেকে সরিয়ে নেওয়া হয় তাকে।
মতিউর রহমানের ছেলের ১৫ লাখ টাকায় ছাগল কেনার একটি ভিডিও ভাইরাল হওয়ার পর তার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ ওঠে। সিঙ্গাপুর, যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা ও সংযুক্ত আরব আমিরাতে কথিত বিনিয়োগসহ বাংলাদেশে হাজার হাজার কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ নিয়ে এরপর থেকেই তীব্র সমালোচনার মুখে পড়েন মতিউর রহমান।
এসব অভিযোগ অনুসন্ধানে রবিবার তিন সদস্যের একটি কমিটি গঠন করে দুদক।
আরও পড়ুন: ছাগল-কাণ্ডে মতিউরকে এনবিআরের পদ থেকে অপসারণ
৫৫৩ দিন আগে
অনলাইন জুয়ায় জড়িত ৫০ লাখ মানুষ: পলক
অনলাইন জুয়ার বিরুদ্ধে সচেতনতা তৈরিতে সংশ্লিষ্ট সবাইকে নিয়ে সম্মিলিতভাবে প্রচেষ্টা চালানো হচ্ছে বলে জানিয়েছেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।
অনলাইন জুয়ার সঙ্গে দেশের ৫০ লাখ মানুষ জড়িত বলেও জানান প্রতিমন্ত্রী।
বাংলাদেশে নিযুক্ত ফ্রান্সের রাষ্ট্রদূত ম্যারি মাসদুপুইয়ের সঙ্গে সোমবার (২৪ জুন) সচিবালয়ে বৈঠকের পর সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা জানান প্রতিমন্ত্রী।
আরও পড়ুন: ৩ বছরেই সফল ইউনিকর্ন স্টার্টআপ নগদ: প্রতিমন্ত্রী পলক
অনলাইন জুয়ার মাধ্যমে টাকা পাচার হচ্ছে- এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে প্রতিমন্ত্রী বলেন, 'অনলাইন জুয়া নিয়ে আমরা মত বিনিময় করেছি। এটাতে মারাত্মক ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে আমাদের বিভিন্ন বয়সের ছেলেমেয়েরা। এমনকি অনেক বয়স্ক ও অবসরপ্রাপ্তও এর মধ্যে আসছেন। তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণ করে আমরা দেখেছি ৫০ লাখ মানুষ কীভাবে যেন এই অবৈধ জুয়ার সাইটগুলোর সঙ্গে জড়িয়ে গেছে।'
তিনি বলেন, 'আমরা অবৈধ জুয়ার সাইটগুলোকে ব্লক করার চেষ্টা করছি। পাশাপাশি একটা সচেতনতা তৈরি করার চেষ্টা করছি। যাতে সাধারণ মানুষ এ ধরনের কোনো প্রলোভনে পড়ে প্রতারিত না হন। আমাদের দেশের মুদ্রা যাতে বিদেশে পাচার না হয়। একটা সচেতনতা আর একটা প্রযুক্তিগত প্রয়োগ, পাশাপাশি কঠোর আইনের প্রয়োগ।'
প্রতিমন্ত্রী বলেন, 'আমরা মোট ২ হাজার ৬০০টি জুয়ার সাইট ব্লক করেছি। এখন আমরা মোবাইল অ্যাপগুলো প্রতিনিয়ত ব্লক করছি। এটা চলমান প্রক্রিয়া।'
সাংবাদিকদের আরেক প্রশ্নের জবাবে পলক বলেন, 'সেটা নিয়ে আমরা যৌথভাবে বসে ছিলাম ডিপার্টমেন্ট অব টেলিকম, ন্যাশনাল টেলিকম মনিটরিং সেন্টার, কম্পিউটার কাউন্সিল, বিটিআরসি ও সাইবার সিকিউরিটি এজেন্সি- সবাইকে নিয়ে। যার যতটুকু সক্ষমতা আছে পুলিশ ও ইন্টেলিজেন্স, সবাই মিলে সম্মিলিতভাবে একটা ড্রাইভ দিচ্ছি।'
প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, 'আরও উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন প্রযুক্তি প্রয়োগ করে আমরা অবিরাম এটা আমরা ব্লক করতে থাকব। মিডিয়াসহ বিভিন্ন সোর্সে আমরা যেটা পাচ্ছি, সেটা ব্লক করার চেষ্টা করছি।'
আরও পড়ুন: ডিজিটাল অন্তর্ভুক্তির মাধ্যমে সমতার বিশ্ব গড়ে তোলা সম্ভব: প্রতিমন্ত্রী পলক
১৫ বছরে চলনবিল অঞ্চলের মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তন হয়েছে: পলক
৫৫৩ দিন আগে
আনন্দের সঙ্গে শিক্ষালাভ নিশ্চিত করতে হবে: প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, তার সরকার দেশে এমন একটি শিক্ষা ব্যবস্থা গড়ে তুলতে চায়, যেখানে শিক্ষার্থীরা আগ্রহ ও আনন্দের সঙ্গে লেখাপড়া চালিয়ে যেতে পারে।
তিনি বলেন, ‘এমন একটি শিক্ষা ব্যবস্থা থাকা উচিত যাতে শিক্ষার্থীরা আগ্রহ নিয়ে পড়াশোনা চালিয়ে যেতে পারে। তাদের বারবার পড়াশোনা করতে বলার প্রয়োজন হবে না, বরং তারা নিজেরাই এটি করবে এবং তাদের সেই ইচ্ছাও রয়েছে। আমরা এই ব্যবস্থার উন্নয়ন করতে চাই।’
সোমবার সকালে রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে অসচ্ছল ও মেধাবী শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তি, টিউশন ফি ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির ভাষণে একথা বলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
মাধ্যমিক, স্নাতক (পাস) ও সমমান পর্যায়ের অসচ্ছল ও মেধাবী শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তি ও টিউশন ফি বিতরণ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন তিনি।
অনুষ্ঠানে সবচেয়ে মেধাবী শিক্ষার্থীদের হাতে বঙ্গবন্ধু সৃজনশীল মেধা অন্বেষণ-২০২৪ এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব স্কলার-২০২৩ তুলে দেন প্রধানমন্ত্রী।
শেখ হাসিনা বলেন, তার সরকার পাঠ্যপুস্তক ও সিলেবাস সংশোধন করেছে। একই সঙ্গে পরিবর্তনশীল বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলার জন্য সৃজনশীল শিক্ষা ব্যবস্থার উদ্যোগ নিয়েছে।
তিনি বলেন, সরকার এমন একটি ব্যবস্থার দিকে যেতে চায় যেখানে আনন্দময় পরিবেশের মধ্যে শিক্ষা গ্রহণ করা হবে।
শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা ও সংস্কৃতিবিষয়ক উপদেষ্টা কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী এবং শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী বেগম শামসুন নাহার বক্তৃতা করেন।
স্বাগত বক্তব্যে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব সুলেমান খান বলেন, এ প্রকল্পের মাধ্যমে মাধ্যমিক, উচ্চ মাধ্যমিক এবং স্নাতক ও সমপর্যায়ের ৬৪ লাখ ৭০ হাজারের বেশি শিক্ষার্থীর মধ্যে মোট ২ হাজার ২০৮ কোটি টাকা বিতরণ করা হবে।
তিনি বলেন, চলতি অর্থবছরে জিটুপি (গভর্নমেন্ট টু পারসন) পদ্ধতিতে শিক্ষার্থীদের অনলাইনে মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিসের মাধ্যমে উপবৃত্তি ও টিউশন ফি দেওয়া হচ্ছে।
এছাড়া ১৫ জন মেধাবী শিক্ষার্থীকে বঙ্গবন্ধু সৃজনশীল মেধা অন্বেষণ-২০২৪ এবং স্নাতকোত্তর পর্যায়ের ২১ জন শিক্ষার্থীকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব স্কলার-২০২৩ দেওয়া হয়।
১৫ শিক্ষার্থীকে একটি করে সনদ ও ২ লাখ করে টাকা এবং স্কলার অ্যাওয়ার্ড-২০২৩ এর জন্য নির্বাচিত ২১ শিক্ষার্থীর প্রত্যেককে একটি সনদ ও ৩ লাখ করে টাকা দেওয়া হয়।
বঙ্গবন্ধু সৃজনশীল মেধা অন্বেষণ-২০২৪ প্রাপ্তদের পক্ষে হাজারীবাগ গার্লস স্কুল অ্যান্ড কলেজের অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী নুসরাত জাহান মালিহা, দিনাজপুরের আমেনা-বাকি রেসিডেনসিয়াল মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজের দশম শ্রেণির ছাত্রী আতিফা রহমান এবং খুলনার সরকারি মজিদ মেমোরিয়াল সিটি কলেজের একাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী পিনাক মুগ্ধা দাস তাদের অনুভূতি ব্যক্ত করেন।
এছাড়া বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব স্কলার-২০২৩ প্রাপ্তদের পক্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী জারিন তাসনিম রাইসা, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা বিভাগের শিক্ষার্থী আল ফয়সাল বিন কাশেম কানন তাদের অনুভূতি ব্যক্ত করেন।
৫৫৩ দিন আগে
তরুণ সাংবাদিকদের সেরা চার প্রকল্পকে ১৮,০০০ ডলার দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাস
সাংবাদিকতার শিক্ষার্থী এবং তরুণ সাংবাদিকদের সেরা চার প্রকল্পকে ১৮ হাজার ৪৩০ ডলার দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাস।
রবিবার (২৩ জুন) বাংলাদেশে আয়োজিত প্রথম টেকক্যাম্পে অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে থেকে এই সেরা প্রকল্প নির্বাচন করা হয়।
অনুদানপ্রাপ্ত প্রকল্পগুলো হচ্ছে- ‘কোস্টাল ভয়েস’, ‘এম্পাওয়ারিং মিডিয়া স্টুডেন্টস টু আইডেন্টিফাই নিউজ সোর্সেস অ্যান্ড এলিমিনেটিং মিসইনফরমেশন অ্যান্ড ডিসইনফরমেশন’, ‘মিডিয়া লিটারেসি বেয়ন্ড দ্য স্ক্রিন: ব্রিজিং গ্যাপস, বিল্ডিং মাইন্ডস’ এবং ‘ভয়েস ফর ভয়েসলেস’।
বিজয়ীদের অভিনন্দন জানিয়ে দূতাবাসের পাবলিক অ্যাফেয়ার্স কাউন্সেলর স্টিভেন ইবেলি বলেন, ‘গণমাধ্যম সাক্ষরতার অগ্রগতি এবং ভুল তথ্যের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে আপনাদের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ। এখান থেকে অর্জন করা নতুন দক্ষতাগুলোকে আপনারা সমাজে ইতিবাচক কাজে ব্যবহার করতে পারেন।’
তিনি বলেন, ‘সাংবাদিকদের ক্ষমতায়ন, সত্য নিশ্চিত করতে আয়োজিত এ বছরের ৬ থেকে ৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত তিন দিনের টেকক্যাম্পের পর অনুদানের এই আয়োজনটি এক উল্লেখযোগ্য মাইলফলক। যুগান্তকারী এই উদ্যোগে অংশগ্রহণের জন্য সারা দেশ থেকে ৫০ জন সাংবাদিকতার শিক্ষার্থী এবং তরুণ সাংবাদিককে নির্বাচিন করা হয়।
৫৫৩ দিন আগে
মেধাবী শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তি ও টিউশন ফি বিতরণ উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী
মাধ্যমিক থেকে স্নাতক (পাস) ও সমমান পর্যায়ের অসচ্ছল ও মেধাবী শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তি ও টিউশন ফি বিতরণের উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
সোমবার (২৪ জুন) রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে সশরীরে উপস্থিত হয়ে বিতরণ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন তিনি।
অনুষ্ঠানে সবচেয়ে মেধাবী শিক্ষার্থীদের হাতে বঙ্গবন্ধু সৃজনশীল মেধা অন্বেষণ-২০২৪ এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব স্কলার -২০২৩ তুলে দেন প্রধানমন্ত্রী।
শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা ও সংস্কৃতিবিষয়ক উপদেষ্টা কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী এবং শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী বেগম শামসুন নাহার বক্তৃতা করেন।
স্বাগত বক্তব্যে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব সুলেমান খান বলেন, এ প্রকল্পের মাধ্যমে মাধ্যমিক, উচ্চ মাধ্যমিক এবং স্নাতক ও সমপর্যায়ের ৬৪ লাখ ৭০ হাজারের বেশি শিক্ষার্থীর মধ্যে মোট ২ হাজার ২০৮ কোটি টাকা বিতরণ করা হবে।
তিনি বলেন, চলতি অর্থবছরে জিটুপি (গভর্নমেন্ট টু পারসন) পদ্ধতিতে শিক্ষার্থীদের অনলাইনে মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিসের মাধ্যমে উপবৃত্তি ও টিউশন ফি দেওয়া হচ্ছে।
এছাড়া ১৫ জন মেধাবী শিক্ষার্থীকে বঙ্গবন্ধু সৃজনশীল মেধা অন্বেষণ-২০২৪ এবং স্নাতকোত্তর পর্যায়ের ২১ জন শিক্ষার্থীকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব স্কলার-২০২৩ দেওয়া হয়।
১৫ শিক্ষার্থীকে একটি করে সনদ ও ২ লাখ করে টাকা এবং স্কলার অ্যাওয়ার্ড-২০২৩ এর জন্য নির্বাচিত ২১ শিক্ষার্থীর প্রত্যেককে একটি সনদ ও ৩ লাখ করে টাকা দেওয়া হয়।
বঙ্গবন্ধু সৃজনশীল মেধা অন্বেষণ-২০২৪ প্রাপ্তদের পক্ষে হাজারীবাগ গার্লস স্কুল অ্যান্ড কলেজের অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী নুসরাত জাহান মালিহা, দিনাজপুরের আমেনা-বাকি রেসিডেনসিয়াল মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজের দশম শ্রেণির ছাত্রী আতিফা রহমান এবং খুলনার সরকারি মজিদ মেমোরিয়াল সিটি কলেজের একাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী পিনাক মুগ্ধা দাস তাদের অনুভূতি ব্যক্ত করেন।
এছাড়া বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব স্কলার-২০২৩ প্রাপ্তদের পক্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী জারিন তাসনিম রাইসা, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা বিভাগের শিক্ষার্থী আল ফয়সাল বিন কাশেম কানন তাদের অনুভূতি ব্যক্ত করেন।
৫৫৩ দিন আগে
জিডিসির সমাপনী অধিবেশনে ডিজিটাল রূপান্তরে বিমসটেকের সহযোগিতার আহ্বান ঢাকার
এই অঞ্চলে অর্থবহ ডিজিটাল রূপান্তরের জন্য নিরবচ্ছিন্ন সংযোগ, আন্তঃসীমান্ত তথ্য প্রবাহ এবং উন্নয়নমুখী উদ্ভাবনকে উৎসাহিত করার জন্য একটি প্ল্যাটফর্ম তৈরি করতে বে অব বেঙ্গল ইনিশিয়েটিভ ফর মাল্টি-সেক্টরাল টেকনিক্যাল অ্যান্ড ইকোনমিক কো-অপারেশনের (বিমসটেক) সদস্য রাষ্ট্রগুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।
রবিবার (২৩ জুন) ঢাকায় দুই দিনব্যাপী 'রিজিওনাল কনসালটেশন অন গ্লোবাল ডিজিটাল কমপ্যাক্ট (জিডিসি)'র সমাপনী অধিবেশনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ আহ্বান জানান।
বাংলাদেশ সরকার ও বিমসটেক সেক্রেটারিয়েট যৌথভাবে দুই দিনব্যাপী এই আঞ্চলিক আলোচনা সভার আয়োজন করে।
আরও পড়ুন: অন্তর্ভুক্তিমূলক ডিজিটাল ক্ষেত্রে আঞ্চলিক সহযোগিতার ওপর গুরুত্বারোপ বিমসটেক মহাসচিবের
নিউইয়র্কে জাতিসংঘে জিডিসি সম্পর্কিত চলমান আলোচনায় ঐক্যবদ্ধ কণ্ঠস্বর সহজতর করার জন্য অভিন্ন উদ্দেশ্য এবং প্রাসঙ্গিক অগ্রাধিকারগুলো চিহ্নিত ও প্রচার করা এই আলোচনার লক্ষ্য।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, চলতি বছরের সেপ্টেম্বরে অনুষ্ঠেয় জাতিসংঘের ভবিষ্যৎ শীর্ষ সম্মেলনে বিশ্ব নেতারা জিডিসি গ্রহণ করবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার 'স্মার্ট বাংলাদেশ' রূপকল্প-২০৪১ এর আলোকে ডিজিটাল কূটনীতিতে বাংলাদেশের আগ্রহের কথা পুনর্ব্যক্ত করেন প্রতিমন্ত্রী পলক।
এ প্রসঙ্গে তিনি গত বছর জাতিসংঘে 'জিরো ডিজিটাল ডিভাইড' বিষয়ে আইসিটি ডিভিশনের অধীনে এজেন্সি টু ইনোভেট (এটুআই) উত্থাপিত প্রস্তাবের কথা স্মরণ করেন। তিনি ডিজিটাল পাবলিক সার্ভিস ডেলিভারি এবং ইনোভেশন বিষয়ে গ্লোবাল সাউথের অন্যান্য দেশের সঙ্গে বাংলাদেশের শেয়ার করা বেশ কয়েকটি উদ্যোগের কথাও তুলে ধরেন।
প্রতিমন্ত্রী পলক মানবাধিকার ও মৌলিক স্বাধীনতা সমুন্নত রাখার পাশাপাশি তথ্যের গোপনীয়তা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
তিনি বলেন, সরকার সংশ্লিষ্ট আন্তর্জাতিক নিয়ম ও মান মেনে একটি তথ্য সুরক্ষা আইনের খসড়া চূড়ান্ত করেছে।
বৈঠকের সভাপতি পররাষ্ট্র সচিব রাষ্ট্রদূত মাসুদ বিন মোমেন পরবর্তী বিমসটেক চেয়ার হিসেবে বাংলাদেশের ক্ষমতায় আঞ্চলিক পরামর্শের মাধ্যমে সৃষ্ট গতিকে এগিয়ে নেওয়ার আশ্বাস দেন।
অন্যান্য বিষয়ের মধ্যে, তিনি ডিজিটাল সাক্ষরতা ও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা এবং অন্যান্য উদীয়মান প্রযুক্তির মানব-কেন্দ্রিক প্রয়োগের প্রচারের প্রয়োজনীয়তার উপর জোর দিয়েছিলেন।
শামসুল আরেফিন তার বক্তব্যে ডিজিটাল কানেক্টিভিটি, সাইবার নিরাপত্তা ও ডিজিটাল লিটারেসি বিষয়ে সদস্য রাষ্ট্রগুলোর মধ্যে সর্বোত্তম অনুশীলনগুলো বিনিময়ের জন্য 'বিমসটেক সেন্টার অব এক্সিলেন্সি' প্রতিষ্ঠার প্রস্তাব করেন।
জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়কারী গুয়েন লুইস সবার জন্য উন্মুক্ত, নিরাপদ ও অন্তর্ভুক্তিমূলক ডিজিটাল ভবিষ্যৎ গড়ে তুলতে জাতিসংঘের উদ্যোগকে ঘিরে আঞ্চলিক আলোচনা সভা আয়োজনে বাংলাদেশের উদ্যোগের প্রশংসা করেন।
পিছিয়ে পড়াদের ডিজিটাল অন্তর্ভুক্তি নিশ্চিত করাসহ আগামী বছরগুলোতে জিডিসি বাস্তবায়নে দেশগুলোকে সহায়তা করতে জাতিসংঘের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেন তিনি।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন শ্রীলঙ্কার অধ্যাপক ভেরানজা করুনারত্নে, বিমসটেক সচিবালয়ের পরিচালক (বিজ্ঞান, প্রযুক্তি ও উদ্ভাবন) মাহিশিনি কোলন এবং বাংলাদেশ ইনিশিয়েটিভ ফর ইউনিফাইড ভয়েসেস অন গ্লোবাল ডিজিটাল কমপ্যাক্ট ও ইউএন সামিট অব দ্য ফিউচার ২০২৪-এর নির্বাহী সমন্বয়ক এ এইচ এম বজলুর রহমান।
দুই দিনের এই আয়োজনে পাঁচটি কারিগরি অধিবেশন অনুষ্ঠিত হয়; যেখানে বিমসটেক সদস্য রাষ্ট্রগুলো জিডিসির পাঁচটি মূল উদ্দেশ্য সম্পর্কিত অভিন্ন অগ্রাধিকার নিয়ে আলোচনা করে।
কারিগরি আলোচনায় সভাপতিত্ব করেন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মহাপরিচালক (জাতিসংঘ ও এমইএ) ফাইয়াজ মুরশীদ কাজী।
আরও পড়ুন: উজ্জ্বল ভবিষ্যতের জন্য পরবর্তী বিমসটেক সম্মেলনে কিছু উল্লেখযোগ্য ফলাফল আসতে যাচ্ছে: মহাসচিব
৫৫৩ দিন আগে
ভর্তুকি ও মূল্য বাড়ানো সত্ত্বেও ২০২৫ সালে বাড়বে পিডিবির লোকসান: সিপিডি
সরকারের অব্যবস্থাপনার কারণে ২০২৫ সালের মধ্যে বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (পিডিবি) চলমান লোকসান ১৯৬ শতাংশ বেড়ে ১৮ হাজার কোটি টাকা হবে বলে মনে করছে গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি)।
এছাড়াও বিদ্যুতের দাম ও সরকারি ভর্তুকি বাড়ানোর পরও পিডিবি বিপুল ক্ষতির মুখে পড়বে বলে মনে করছে সিপিডি।
রবিবার (২৩ জুন) রাজধানীর মহাখালীতে ব্র্যাকে 'জাতীয় বাজেট ২০২৪-২৫ অর্থবছরে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাত, চ্যালেঞ্জ ও প্রস্তাবিত করণীয়' শীর্ষক উপস্থাপনায় এসব কথা তুলে ধরেন সিপিডির গবেষণা পরিচালক ড. খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম।
আরও পড়ুন: ট্যানারি শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি ২২৭৭৬ টাকা করার সুপারিশ সিপিডির
মূল প্রবন্ধ উপস্থাপনকালে ড. মোয়াজ্জেম বলেন, ২০৪১ সালের মধ্যে ৬০ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের সরকারের পরিকল্পনা অত্যন্ত উচ্চাভিলাষী লক্ষ্যমাত্রা। সেসময় ২৫ শতাংশ বাড়তি মজুদ থাকলেও সর্বোচ্চ ৩৫ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎই যথেষ্ট।
তিনি আরও বলেন, অতিরিক্ত সক্ষমতার কারণে জ্বালানি সংকট এবং বিতরণ ও সঞ্চালন লাইনের সীমাবদ্ধতা থাকায় চাহিদা অনুযায়ী বিদ্যুৎ উৎপাদন সম্ভব হচ্ছে না। ফলে উদ্বৃত্ত বিদ্যুৎ সক্ষমতা থাকা সত্ত্বেও লোডশেডিং হচ্ছে।
ড. মোয়াজ্জেম বলেন, আবার বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনের জন্য বিপুল পরিমাণ ক্যাপাসিটি চার্জ দিতে হয়। ফলে পিডিবির লোকসান বাড়ছেই। এর প্রভাবে গ্রাহকপর্যায়ে বিদ্যুতের দামও বাড়ছে।
সভায় বক্তারা বলেন, বিদ্যুৎ উৎপাদন না করলেও সরকার ১৬ হাজার মেগাওয়াটের বেশি বিদ্যুতের অতিরিক্ত খরচ (ক্যাপাসিটি চার্জ) বহন করছে। এই সক্ষমতা দেশের অর্থনীতির জন্য মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
সিপিডির গবেষণা পরিচালক মোয়াজ্জেম বলেন, দেশের বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলো উৎপাদন না করলেও তাদের ক্যাপাসিটি চার্জ দিতে হয়। এই চার্জের নামে হাজার হাজার কোটি টাকা এখন সরকারি তহবিল থেকে বেরিয়ে যাচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, দেশে বিদ্যুৎ উৎপাদন সক্ষমতা এখন ৩০ হাজার ৭৩৮ মেগাওয়াট। কিন্তু উৎপাদন হচ্ছে ১৪ হাজার মেগাওয়াট। ব্যবহার না করা হলেও উৎপাদন ক্ষমতা বাড়ানো হচ্ছে কেন?
সিপিডির গবেষণা পরিচালক আরও বলেন, সরকার এখন যে বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা তৈরি করেছে তা ২০৩০ সালেও প্রয়োজন হবে না। আজ থেকে ৬ বছরের মধ্যে চাহিদা ১৯৪০০ মেগাওয়াটে পৌঁছাতে পারে। ২৫ শতাংশ মজুদ বিবেচনায় নিলে বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা প্রয়োজন ২৩ হাজার ২৫২ মেগাওয়াট।
তিনি আরও বলেন, সক্ষমতা বাড়লেও দেশে লোডশেডিং হচ্ছে। গ্রীষ্মে গড় লোডশেডিং হয় ১১০০ মেগাওয়াট। বাজেটে বিদ্যুৎ-জ্বালানি খাত নিয়ে স্পষ্ট কিছু নেই। এ খাত নিয়ে সরকার কী করবে সে বিষয়ে সবাই অন্ধকারে।
সেমিনারে আরও বক্তব্য রাখেন স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য এ কে আজাদ।
নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ ও গ্যাস সরবরাহ দাবি করে দাম বাড়ানো হলেও লোডশেডিং কমেনি বলে মন্তব্য করেন তিনি।
এ কে আজাদ আরও বলেন, ‘৭-৮ ঘণ্টা বিদ্যুৎ থাকে না। সিএনজি স্টেশন থেকে গ্যাস এনে ডিজেল দিয়ে কারখানা চালাতে হয়। এতে খরচ বেড়েছে। অনেক কারখানা বন্ধ হয়ে যাচ্ছে।’
সভায় আরও ছিলেন- বুয়েটের পেট্রোলিয়াম ও খনিজ সম্পদ বিভাগের অধ্যাপক ড. এম তামিম, বাংলাদেশ পাওয়ার ম্যানেজমেন্ট ইনস্টিটিউটের রেক্টর মোহাম্মদ আলাউদ্দিন, পাওয়ার সেলের মহাপরিচালক মোহাম্মদ হোসাইন, ভোক্তা অধিকার সংস্থা ক্যাবের জ্বালানি উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. শামসুল আলম।
আরও পড়ুন: বাজেটে চলমান অর্থনৈতিক সংকটের প্রতিফলন নেই: সিপিডি
আর্থিক অভিজাতদের সহায়তা করতে সাংবাদিকদের ওপর বাংলাদেশ ব্যাংকের নিষেধাজ্ঞা: সিপিডি
৫৫৩ দিন আগে
প্রিমিয়ার ব্যাংকের চার কর্মকর্তার বিদেশ গমনে আদালতের নিষেধাজ্ঞা
দি প্রিমিয়ার ব্যাংকের চার কর্মকর্তার বিদেশ গমনে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন আদালত। অস্তিত্বহীন প্রতিষ্ঠানের নামে ৩ হাজার কোটি টাকা ঋণ মঞ্জুর করে তা আত্মসাতের অভিযোগে করা মামলার তদন্ত চলমান থাকায় এ নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
রবিবার দুদকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকার সিনিয়র স্পেশাল জজ মোহাম্মদ আসসামছ জগলুল হোসেন এই আদেশ দেন।
আরও পড়ুন: সাবেক আইজিপি বেনজীরের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করার নির্দেশ আদালতের
এসব কর্মকর্তা হলেন- প্রিমিয়ার ব্যাংকের অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও নারায়ণগঞ্জ শাখার ব্যবস্থাপক শহীদ হাসান মল্লিক, ভাইস প্রেসিডেন্ট মুশফিকুল আলম, ফরেন এক্সচেঞ্জ ইনচার্জ দীপক কুমার দেবনাথ ও ক্রেডিট ইনচার্জ মোহাম্মদ মেহেদী হাসান সরকার। তারা প্রত্যেকে ব্যাংকটির নারায়ণগঞ্জ শাখায় কর্মরত।
এদিন তাদের বিরুদ্ধে দুদকের উপপরিচালক মো. মোস্তাফিজুর রহমান বিদেশ গমনে নিষেধাজ্ঞার আবেদন করেন।
আদালতের আদেশের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন দুদকের আইনজীবী মাহমুদ হোসেন জাহাঙ্গীর।
আবেদন সূত্রে জানা যায়, অভিযুক্ত কর্মকর্তারা ব্যাক টু ব্যাক এলসি সুবিধার আড়ালে জালিয়াতি, অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে ৪৩টি সন্দেহভাজন তৈরি পোশাক রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠানের অনুকূলে প্রায় তিন হাজার কোটি টাকা ভুয়া ঋণ মঞ্জুর করে এবং তা আত্মসাৎ করে পাচার করেন।
আবেদনে উল্লেখ করা হয়, এ অপরাধে তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগের অনুসন্ধান চলছে। গোপন সূত্রে জানা যায়, অভিযোগ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা অর্থপাচার ও দেশত্যাগের পরিকল্পনা করছেন। এজন্য তাদের বিদেশ গমনে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা একান্ত প্রয়োজন।
আরও পড়ুন: বেনজীর ও তার স্ত্রী-সন্তানের সম্পদ দেখভালে তত্ত্বাবধায়ক নিয়োগ দিল আদালত
তারেককে ফিরিয়ে এনে আদালতের সাজা কার্যকর করব: প্রধানমন্ত্রী
৫৫৩ দিন আগে
শিক্ষার্থীদের কর্মযোগ্যতা বৃদ্ধির আহ্বান শিক্ষামন্ত্রীর
দেশের উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের কর্মযোগ্যতা বৃদ্ধিতে কার্যকর উদ্যোগ নিতে উপাচার্যদের আহ্বান জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল।
শিক্ষামন্ত্রী উচ্চশিক্ষার মানোন্নয়নে সরকারের রাজনৈতিক অঙ্গীকার বাস্তবায়নের অংশ হিসেবে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যদের এ আহ্বান জানান।
৪৭টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের (ইউজিসি) বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি (এপিএ) সই অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির ভাষণে তিনি এ কথা বলেন।
আরও পড়ুন: স্মরণশক্তিকে মেধা বলার মানসিকতা থেকে বেরিয়ে আসতে হবে: শিক্ষামন্ত্রী
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, সরকারের উন্নয়ন লক্ষ্য বাস্তবায়নে শিক্ষা ও গবেষণা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু আমাদের শিক্ষার্থীরা কর্মযোগ্যতায় অন্যান্য দেশের তুলনায় পিছিয়ে রয়েছে।
তিনি বলেন, দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে বিষয়ভিক্তিক জ্ঞানের পাশাপাশি দেশের অর্থনীতি ও সমাজ ব্যবস্থার সঙ্গে শিক্ষার্থীদের সরাসরি সংযোগ ঘটাতে হবে, তাদের কর্মক্ষেত্রের উপযোগী শিক্ষা দিতে হবে।
তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যারিয়ার সেন্টারের মাধ্যমে বেসিক ডিজিটাল লিটারেসি, প্রয়োজনীয় সফট স্কিলস, ভাষা শিক্ষা ও যোগাযোগে দক্ষ করার আহ্বান জানান।
শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান নব প্রতিষ্ঠিত পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়সমূহকে জেলার সরকারি কলেজগুলোকে অধিভুক্ত করে শিক্ষা কার্যক্রম চালুর পরামর্শ দেন এবং এসব বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে অবকাঠামো ও নতুন বিভাগ না খোলারও পরামর্শ দেন।
অধিভুক্ত কলেজের স্নাতক পর্যায়ের শিক্ষার মান বৃদ্ধির জন্য একাডেমিক মনিটরিংসহ প্রয়োজনীয় শিক্ষা অবকাঠামো গড়ে তোলারও আহ্বান জানান।
তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ে কারিকুলামে বৈচিত্র্য নিয়ে আসা, শিক্ষকদের দিয়ে একাডেমিক মাস্টার প্ল্যান তৈরি, ল্যাব ও অবকাঠামো সুবিধা বিনিময় করা, গবেষণার ফলাফল বাধ্যতামূলকভাবে প্রকাশের ব্যবস্থা এবং নিজস্ব র্যাংকিং ব্যবস্থা চালু করার পরামর্শ দেন।
ইউজিসি চেয়ারম্যান (অতিরিক্ত দায়িত্ব) অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ আলমগীরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন, কমিশনের সদস্য অধ্যাপক ড. মো. সাজ্জাদ হোসেন, অধ্যাপক ড. বিশ্বজিৎ চন্দ, অধ্যাপক ড. হাসিনা খান, অধ্যাপক ড. মো. জাকির হোসেন, সচিব ড. ফেরদৌস জামান।
এছাড়া, অনুষ্ঠানে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যদের পক্ষ থেকে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. সত্য প্রসাদ মজুমদার ও সফলভাবে এপিএ বাস্তবায়নে অভিজ্ঞতার কথা তুলে ধরেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. গিয়াস উদ্দীন মিয়া।
আরও পড়ুন: এনটিআরসিএর মাধ্যমে নিয়োগ পাওয়া শিক্ষকদের পারস্পরিক বদলিতে সমস্যা নেই: শিক্ষামন্ত্রী
এইচএসসি পরীক্ষার জন্য ২৯ জুন থেকে ১১ আগস্ট বন্ধ থাকবে কোচিং সেন্টার: শিক্ষামন্ত্রী
৫৫৩ দিন আগে