বাংলাদেশ
কোরবানির বর্জ্য অপসারণ কার্যক্রম উদ্বোধন করেন ডিএনসিসি মেয়র
কোরবানির বর্জ্য অপসারণ কার্যক্রমের উদ্বোধন ডিএনসিসি মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম।
সোমবার (১৭ জুন) ঈদের দিন দুপুর ২টায় মিরপুর-২ এর এইচ ব্লকের ৬ নম্বর রোডে বর্জ্য অপসারণ কার্যক্রম উদ্বোধন করেন তিনি।
এসময় সাংবাদিকদের মেয়র বলেন, 'আমরা ৩ নম্বর ওয়ার্ডে একটি নির্দিষ্ট স্থানে এবং ৭ নম্বর ওয়ার্ডে ৪টি নির্দিষ্ট স্থানে কোরবানির উদ্যোগ নিয়েছি। সবাই একসঙ্গে একটি নির্দিষ্ট জায়গায় কোরবানি দিলে পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রমটা অনেক সহজ হয়। ৭ নম্বর ওয়ার্ডের ৪টি নির্দিষ্ট স্থানে ১২'শ পশু কোরবানি দেওয়া হয়েছে। একসঙ্গে এতোগুলো পশু কোরবানি দেওয়ায় পরিচ্ছন্নতার কাজটা দ্রুত করা সম্ভব হচ্ছে। যে ওয়ার্ডে নির্দিষ্ট স্থানে বেশি সংখ্যক পশু কোরবানি দিবে সেই ওয়ার্ডে বরাদ্দ বাড়িয়ে দেব।'
আরও পড়ুন: দক্ষিণখান-উত্তরখানের ৮১ কিলোমিটার রাস্তার নির্মাণকাজ ৩০ নভেম্বরের মধ্যে সম্পন্ন হবে: ডিএনসিসি মেয়র
মেয়র বলেন, 'রাত ৮টার মধ্যে নির্ধারিত ৬ ঘণ্টায় কোরবানির বর্জ্য অপসারণে ডিএনসিসির ১০ হাজারের অধিক পরিচ্ছন্নতা কর্মী কাজ করছে। সব কাউন্সিলর ও ডিএনসিসির সব কর্মকর্তা মাঠে রয়েছে। আমি নিজে ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে পরিদর্শন করব। নগরবাসীর প্রতি অনুরোধ আমাদের পরিচ্ছন্ন কর্মীদের সহযোগিতা করুন। হট লাইন নম্বর ১৬১০৬ এ ফোন করে বর্জ্যের বিষয়ে তথ্য জানাবেন। কন্ট্রোল রুম থেকে ব্যবস্থা নেবে।'
মেয়র বলেন, 'এখন অনেক গরম, আবার বৃষ্টিও হচ্ছে। এই সময়ে এডিসের লার্ভা জন্মায়। তাই সবাইকে সচেতন থাকতে হবে। অনেকে আজকে কালকেও বাড়িতে যাবেন বাড়ি যাওয়ার আগে বাসা বাড়ির ছাদ, বারান্দা, বাথরুম এগুলো পরিষ্কার করে যাবেন। কোথাও পানি জমে এডিসের লার্ভা জন্মাতে পারে এমন পাত্র উল্টিয়ে রাখবেন।'
উদ্বোধন শেষে ডিএনসিসি মেয়র বিভিন্ন ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে কোরবানির বর্জ্য অপসারণ কার্যক্রম সশরীরে পরিদর্শন শুরু করেন।
আরও পড়ুন: ‘সুস্থ সমাজ গঠনে খেলাধুলা করতে হবে: ডিএনসিসি মেয়র
ভবনের গাড়ি পার্কিংয়ের জায়গায় অবৈধভাবে গড়ে তোলা দোকান বন্ধ করা হবে: ডিএনসিসি মেয়র
৫৫৯ দিন আগে
মুক্তিযোদ্ধা ও তাদের পরিবারে ঈদ উপহার পাঠিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী
পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতির জন্য আত্মত্যাগের স্বীকৃতি দিয়ে দেশের সকল মুক্তিযোদ্ধাদের আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।
মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মান জানানোর ঐতিহ্য অব্যাহত রেখে প্রধানমন্ত্রী রাজধানীর মোহাম্মদপুরের গজনভী রোডের শহীদ ও যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা পুনর্বাসন কেন্দ্রে (মুক্তিযোদ্ধা টাওয়ার-১) যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদদের পরিবারকে ফুল, ফল ও মিষ্টি পাঠান।
প্রধানমন্ত্রীর প্রেস উইং থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, অনুষ্ঠানের শুরুতেই উপস্থিত বীর মুক্তিযোদ্ধা এবং যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধাগণ এক এক করে বক্তব্য রাখেন। বক্তব্য শেষে মুক্তিযোদ্ধা টাওয়ার-১ এর বাসিন্দাদের হাতে ফলমূল ও মিষ্টি হাতে তুলে দেন প্রধানমন্ত্রীর সহকারী প্রেস সচিব এবিএম সরওয়ার-ই-আলম সরকার।
আরও পড়ুন: ত্যাগের মহিমায় ঈদুল আজহা উদযাপন করছে দেশবাসী
এসময় মুক্তিযোদ্ধারা তাদের বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রীর দূরদর্শী ও বলিষ্ঠ নেতৃত্বের ভূয়সী প্রশংসা করেন।
তারা বলেন, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে নির্মমভাবে হত্যা করার পর অবৈধভাবে ক্ষমতা দখলকারীরা মুক্তিযোদ্ধাদের মূল্যায়ন তো করেনিই, বরং নানভাবে তাদের হয়রানি ও অসম্মানিত করেছে। এটা করেই স্বৈরশাসকরা থেমে যায়নি, তারা ইতিহাস বিকৃতির মাধ্যমে এদেশের গৌরবময় ইতিহাসকে কলঙ্কিত করেছে।
তারা আরও উল্লেখ করেন, বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১৯৯৬ সালে সরকার গঠনের পর দেশে গণতন্ত্র ও আইনের শাসন ফিরিয়ে এনেছেন। সেই সঙ্গে মুক্তিযোদ্ধাদের সঠিক সম্মানের স্থানে বসিয়েছেন। যার ফলে শেখ হাসিনার সরকারের আমলে তারা সবচেয়ে সন্তুষ্ট আছেন বলে মনে করেন।
সবশেষে বক্তব্যের মাধ্যমে বাঙালি জাতির সূর্যসন্তানদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধানমন্ত্রীর সহকারী প্রেস সচিব।
তিনি বলেন, ‘বীর মুক্তিযোদ্ধাগণ ৯ মাসের রক্তক্ষয়ী সংগ্রামের বিনিময়ে স্বাধীনতা অর্জনের মাধ্যমে বাঙালি জাতিকে বিশ্বের দরবারে বিজয়ী জাতি হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী ২০২১ সালের মধ্যে উন্নয়নশীল বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার সকল মাপকাঠি পূর্ণ করেছেন। সামনের দিনগুলোতে তিনি ২০৩০ সালের মধ্যে এসডিজি অর্জন এবং ২০৪১ সালের মধ্যে ক্ষুধা-দারিদ্র্যমুক্ত সমৃদ্ধশালী ও স্মার্ট বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন।’
আরও পড়ুন: আওয়ামী লীগ নেতাদের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময়
৫৬০ দিন আগে
বিপুল জমায়েতের মাধ্যমে দেশব্যাপী ঈদুল আজহা উদযাপন
বড় বড় জামাতে মিলিত হয়ে নামাজ আদায় করে উৎসবের সঙ্গে ঈদুল আজহা উদযাপন করছে সারা দেশের মুসলমানরা।
দেশের বৃহত্তম ঈদগাহ ময়দান দিনাজপুরের গোর-এ-শহীদে ঈদের নামাজ আদায় করতে সমবেত হন প্রায় তিন লাখ মুসল্লি। সকাল সাড়ে ৮টায় মাওলানা সামসুল হক কাসেমীর নেতৃত্বে ওই ঈদগাহের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হয়।
জেলা শহর ও আশপাশের মানুষ যাতে জামাতে অংশ নিতে পারে, সেজন্য দুইটি বিশেষ ট্রেনের ব্যবস্থা করে বাংলাদেশ রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ। এর মধ্যে একটি পঞ্চগড় থেকে ঠাকুরগাঁও হয়ে এবং অন্যটি পাবর্তীপুর থেকে দিনাজপুর রেলস্টেশন পর্যন্ত চলাচল করেছে। এছাড়া মুসল্লিদের নিরাপত্তায় সতর্ক ছিল প্রশাসন।
আরও পড়ুন: ত্যাগের মহিমায় ঈদুল আজহা উদযাপন করছে দেশবাসী
২০১৭ সাল থেকে গোর-এ-শহীদ ঈদগাহ মাঠে শোলাকিয়ার মতো বড় পরিসরে ঈদ জামাতের আয়োজন হয়ে আসছে।
অন্যদিকে, ভারী বৃষ্টির মধ্যেও সিলেটের শাহী ঈদগাহে বিভাগের প্রধান ঈদ জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। প্রতি বছর লক্ষাধিক মুসল্লি এই ঈদগাহে ঈদের নামাজের জন্য একত্রিত হন। তবে প্রতিকূল আবহাওয়ার কারণে এবার তাদের উপস্থিতি অনেক কম দেখা গেছে।
এছাড়া, বাগেরহাটে বিশ্ব ঐতিহ্য ষাটগুম্বজ মসজিদে পবিত্র ঈদুল আজহার নামাজ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সোমবার সকাল সাড়ে সাতটায় এই মসজিদে জেলার প্রধান ও প্রথম ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়। পরে সকাল ৮টায় দ্বিতীয় এবং সাড়ে ৮টায় তৃতীয় ও সর্বশেষ জামাত অনুষ্ঠিত হয়।
বিশ্ব ঐতিহ্যের তালিকাভুক্ত এই মসজিদে ঈদের নামাজ পড়তে ভোর থেকেই জেলা ও জেলার বাইরের বিভিন্ন এলাকা থেকে ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা এসে ভীড় জমায়।
আরও পড়ুন: আওয়ামী লীগ নেতাদের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময়
কুমিল্লায় ঈদের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হয় কুমিল্লা কেন্দ্রীয় ঈদগাহে। সকাল ৮টায় অনুষ্ঠিত জামাতের ইমামতি করেন কান্দিরপাড় কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ এবং কুমিল্লা কেন্দ্রীয় ঈদগাহের ইমাম ও খতিব হাফেজ মুফতি মোহাম্মদ ইব্রাহীম ক্বাদেরী।
এসময় কুমিল্লা-৬ আসনের সংসদ সদস্য আ ক ম বাহাউদ্দিন বাহার, জেলা প্রশাসক খন্দকার মুহাম্মদ মুশফিকুর রহমানসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক ব্যাক্তিবর্গ জামাতে অংশ নেন।
৫৬০ দিন আগে
যুক্তরাজ্যে এমবিই সম্মাননা পাচ্ছেন জিয়াউস সামাদ চৌধুরী জেপি
ব্রিটেনের রাজার কাছ থেকে মর্যাদাপূর্ণ মেম্বার অব দ্য অর্ডার অব দ্য ব্রিটিশ এম্পায়ার (এমবিই) খেতাব পেতে চলেছেন জিয়াউস সামাদ চৌধুরী জেপি। ওয়েস্ট মিডল্যান্ডে বাংলাদেশিদের জন্য অসামান্য অবদান এবং সেবামূলক কাজের জন্য তিনি এই পুরস্কার পাচ্ছেন।
সামাজিক, সাংস্কৃতিক, রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও বিরল ব্যক্তিগত অর্জনসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য অবদানের জন্য বিশিষ্ট ব্যক্তিদের এই সম্মান প্রদান করেন ব্রিটিশ রাজা তৃতীয় চার্লস। রানির শাসনামলে এই সম্মানার নাম ছিল ‘কুইন্স অ্যাওয়ার্ডস’। রাজা তৃতীয় চার্লস দ্বায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে এই রাষ্ট্রীয় সম্মাননা ‘কিংস অ্যাওয়ার্ডস’ নামে পরিচিত।
শনিবার (১৫ জুন) রাজা তৃতীয় চার্লসের জন্মদিনে পুরস্কারের জন্য মনোনীত ব্যক্তিদের একটি তালিকা প্রকাশ করে বাকিংহাম প্যালেস। ওই তালিকায় স্থান করে নিয়েছেন সিলেটের ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলার নুরপুর গ্রামের স্বনামধন্য পরিবারের সন্তান জিয়াউস সামাদ।
তার ভাই আহমেদ-উস সামাদ চৌধুরী এবং প্রয়াত সংসদ সদস্য মাহমুদ-উস সামাদ চৌধুরীও দেশ-বিদেশে অত্যন্ত পরিচিত ও সম্মানিত ব্যক্তিত্ব। তাদের বাবা ছিলেন ফেঞ্চুগঞ্জের বিশিষ্ট ব্যক্তিত্ব দেলোয়ার হোসেন চৌধুরী।
আরও পড়ুন: গাজায় যুদ্ধ বন্ধে যুক্তরাজ্যকে পাশে চায় বাংলাদেশ: লন্ডনে পররাষ্ট্রমন্ত্রী
৮৫ বছর বয়সী জিয়াউস সামাদ চৌধুরী পাঁচ সন্তানের পিতা। তার সন্তানদের সবাই পেশাগত জীবনে নিজ নিজ ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠিত।
বার্মিংহাম ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টের সিনিয়র ম্যাজিস্ট্রেট এবং জাস্টিস অব দ্য পিস হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন জিয়াউস সামাদ চৌধুরী। তিনি ওয়েস্ট মিডল্যান্ডের প্রথম কোনো বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত জাস্টিস অব দ্য পিস। ২০০৪ সালে বিচারপতি পদ থেকে তিনি অবসর গ্রহণ করেন।
১৯৬০ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিএ সম্পন্ন করে উচ্চ শিক্ষাগ্রহণে যুক্তরাজ্যে পাড়ি জমান জিয়াউস সামাদ। ট্রান্সপোর্ট ম্যানেজমেন্ট, সেলস অ্যান্ড মার্কেটিং, অ্যাকাউন্টিং, অ্যাডভান্স কাউন্সেলিং, জুডিশিয়াল অ্যাডমিনিট্রেশন ও কমিউনিটি ডেভেলপমেন্ট নিয়ে পড়াশোনা করেন তিনি।
পড়াশোনা চলাকালেই তিনি ক্যাটারিংয়ের ব্যবসা শুরু করেন এবং যুক্তরাজ্যের বিভিন্ন শহরে সফলভাবে রেস্টুরেন্ট ব্যবসা পরিচালনা করেন। এক পর্যায়ে ব্যবসার পাট চুকিয়ে তিনি চাকরিতে ঢোকেন। দীর্ঘ ১৮ বছরের চাকরিজীবনে তিনি স্যান্ডওয়েল মেট্রোপলিটন বারায় চিফ বাংলাদেশি কমিউনিটি ডেভেলপমেন্ট অফিসার হিসেবে কর্মরত ছিলেন। সেই সময় তিনি সরকারের ‘সিঙ্গেল ইকনোমিক রিজেনারেশন বাজেট’ ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে স্থানীয় প্রায় ১৭ হাজার বাংলাদেশির প্রতিনিধিত্ব করেন।
বিচারিক কাজ থেকে অবসরের পর জিয়াউস সামাদ চৌধুরী জেপি সাহিত্যচর্চায় মনোনিবেশ করেন। তার লেখা ইংরেজি ভাষায় প্রকাশিত স্মৃতিচারণমূলক গ্রন্থ ‘মেমোয়ার্স অব বাংলাদেশ’। এছাড়া তার কবিতার বইগুলোর মধ্যে রয়েছে- মনোচ্ছাস, মন মুরলী, মন মোহনা ও মনোদয়।
আরও পড়ুন: যুক্তরাজ্যে বাংলাদেশি শ্রমিকদের ভিসা সহজ করার আহ্বান প্রবাসী প্রতিমন্ত্রীর
৫৬০ দিন আগে
জাতীয় ঈদগাহে ঈদুল আজহার নামাজ আদায় করেছেন রাষ্ট্রপতি
হাইকোর্ট প্রাঙ্গণে জাতীয় ঈদগাহে প্রধান জামাতে যোগ দিয়ে ঈদুল আজহার নামাজ আদায় করেছেন রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিন।
সোমবার (১৭ জুন) সকালে রাষ্ট্রপতির পরিবারের সসদ্য ও কর্মকর্তারা তার সঙ্গে ছিলেন।
রাষ্ট্রপতি সেখানে পৌঁছালে প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানসহ বিশিষ্ট ব্যক্তিরা তাকে স্বাগত জানান।
আরও পড়ুন: ত্যাগের মহিমায় ঈদুল আজহা উদযাপন করছে দেশবাসী
এসময় মন্ত্রিসভার সদস্য, সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি, আইনপ্রণেতা, জ্যেষ্ঠ রাজনৈতিক নেতা এবং উচ্চপদস্থ সামরিক ও বেসামরিক কর্মকর্তারা ঈদের নামাজ আদায় করেন।
বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খতিব হাফেজ মাওলানা মুফতি রুহুল আমিন ঈদের নামাজ পরিচালনা করেন। দেশের শান্তি ও অগ্রগতি এবং জনগণ তথা মুসলিম উম্মাহর কল্যাণ কামনা করে এসময় বিশেষ মোনাজাত করা হয়।
নামাজ শেষে ঈদগাহের মুসল্লিদের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন রাষ্ট্রপতি। এসময় রাষ্ট্রপতির একাধিক সচিবও নামাজে অংশ নেন।
৫৬০ দিন আগে
ত্যাগের মহিমায় ঈদুল আজহা উদযাপন করছে দেশবাসী
ভক্তি ও ত্যাগের মহিমায় উদ্ভাসিত হয়ে উৎসবের আমেজে মুসলমানদের দ্বিতীয় বৃহত্তম ধর্মীয় উৎসব ঈদুল আজহা উদযাপন করছে দেশবাসী।
ঈদ উপলক্ষে পৃথক বাণীর মাধ্যমে দেশ ও বিশ্বের মুসলমানদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
রাজধানীর হাইকোর্ট-সংলগ্ন জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে ঈদের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হয়। এছাড়া বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদে পাঁচটি ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। সেখানে সকাল ৭টায় প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত হয়, এরপর সকাল ৮টা, ৯টা, ১০টা এবং বেলা পৌনে ১১টায় বাকি জামাতগুলো অনুষ্ঠিত হয়।
আরও পড়ুন: দেশবাসীকে ঈদের শুভেচ্ছা জানালেন রাষ্ট্রপতি
ভারী বৃষ্টির মধ্যেও সিলেটের শাহী ঈদগাহে বিভাগের প্রধান ঈদ জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। প্রতি বছর লক্ষাধিক মুসল্লি এই ঈদগাহে ঈদের নামাজের জন্য একত্রিত হন। তবে প্রতিকূল আবহাওয়ার কারণে এবার তাদের উপস্থিতি অনেক কম দেখা গেছে।
৫৬০ দিন আগে
দেশে আরও ১৪ জন করোনায় আক্রান্ত
দেশে রবিবার (১৬ জুন) সকাল ৮টা পর্যন্ত আগের ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে কারো মৃত্যু হয়নি। তবে এ সময় নতুন করে ১৪ জনের শরীরে এই ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে মোট আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২০ লাখ ৫০ হাজার ৮৩৪ জনে।
এখন পর্যন্ত ভাইরাসটিতে মৃত্যু হয়েছে ২৯ হাজার ৪৯৬ জনের।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের করোনাবিষয়ক নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: দেশে আরও ১৮ জন করোনায় আক্রান্ত
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় ৩০৬ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। একই সময় শনাক্তের হার ৪ দশমিক ৫৮ শতাংশ।
মোট পরীক্ষায় এ পর্যন্ত শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ০৫ শতাংশ এবং শনাক্ত বিবেচনায় মোট মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৪৪ শতাংশ।
এদিকে, গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন ৩৮ জন। এ নিয়ে দেশে মোট সুস্থ ব্যক্তির সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২০ লাখ ১৮ হাজার ১৯০ জনে।
আরও পড়ুন: দেশে আরও ২৪ জন করোনায় আক্রান্ত
৫৬০ দিন আগে
সেন্ট মার্টিনের নিরাপত্তা নিয়ে গুজবে বিভ্রান্ত না হওয়ার আহ্বান আইএসপিআরের
মিয়ানমারের চলমান অভ্যন্তরীণ সংঘর্ষ সেন্ট মার্টিনের কাছে হওয়ায় বিষয়টি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এর নিরাপত্তা নিয়ে বিভিন্ন ‘স্বার্থান্বেষী মহল’ গুজব ছড়ানো হচ্ছে। এ ধরনের গুজবে বিভ্রান্ত না হতে বলেছে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর)।
রবিবার প্রকাশিত আইএসপিআরের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, মিয়ানমারে চলমান অভ্যন্তরীণ সংঘর্ষে মিয়ানমার সামরিক বাহিনী রাখাইন রাজ্যে আরাকান আর্মির বিরুদ্ধে যৌথ অভিযান পরিচালনা করছে।
এতে আরও বলা হয়েছে, মিয়ানমারের সামরিক বাহিনী এবং আরাকান আর্মির এই সংঘর্ষের কারণে নাফ নদী ও নদী সংলগ্ন মোহনা এলাকায় বাংলাদেশি জলযানের উপর অনাকাঙ্খিত গুলিবর্ষণের ঘটনা ঘটছে। এ বিষয়ে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে ১২ জুন ২৪ প্রতিবাদ জানায়।
পরবর্তীতে মিয়ানমার নৌবাহিনী সেন্ট মার্টিন্স দ্বীপের কাছে দেশটির সমুদ্রসীমায় ও নাফ নদীর মিয়ানমার সীমানায় অবস্থান করে তাদের দিকে আরাকান আর্মির অবস্থান লক্ষ্য করে গোলাবর্ষণ করছে। একই সঙ্গে আরাকান আর্মিও মিয়ানমার নৌবাহিনীর জাহাজ ও জলযান লক্ষ্য করে গোলাবর্ষণ করছে।
আইএসপিআর জানিয়েছে, বর্তমানে মিয়ানমার সীমান্তে মিয়ানমার নৌবাহিনীর একাধিক যুদ্ধজাহাজ ওইসব অভিযান পরিচালনা করছে। মিয়ানমার নৌবাহিনী সেন্ট মার্টিনের কাছে মিয়ানমারের সমুদ্রসীমায় অবস্থানের ক্ষেত্রেও বাংলাদেশ নৌবাহিনীকে অবহিত করছে।
উল্লেখ্য, মিয়ানমারের অভ্যন্তরীণ সংঘর্ষটি মিয়ানমারের মূল ভূখন্ড এবং তৎসংলগ্ন উপকূলীয় এলাকায় চলমান রয়েছে। সেন্ট মার্টিন দ্বীপের কাছে বাংলাদেশ নৌবাহিনী ও কোস্ট গার্ডের একাধিক জাহাজ মিয়ানমারের জাহাজের গতিবিধি পর্যবেক্ষণসহ বাংলাদেশের সমুদ্রসীমায় থেকে নিয়মিত টহল পরিচালনা করছে।
৫৬০ দিন আগে
চট্টগ্রামে সেনাপ্রধানকে বিদায়ী সংবর্ধনা
সেনাবাহিনী প্রধানকে বিদায়ী সংবর্ধনা জানিয়েছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্ট, রেজিমেন্ট অব আর্টিলারি ও কোর অব মিলিটারি পুলিশ।
চট্টগ্রাম সেনানিবাসস্থ ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টাল সেন্টারে সেনাবাহিনীর ইস্টবেঙ্গল রেজিমেন্ট, রেজিমেন্ট অব আর্টিলারি এবং কোর অব মিলিটারি পুলিশের বিদায়ী কর্নেল কমান্ড্যান্ট সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদকে রবিবার (১৬ জুন) বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্ট, রেজিমেন্ট অব আর্টিলারি এবং কোর অব মিলিটারি পুলিশের সেনাসদস্যদের সমন্বয়ে গঠিত একটি চৌকস দল সামরিক রীতিতে কুচকাওয়াজ প্রদর্শন করে।
আনুষ্ঠানিকতা শেষে জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ অনুষ্ঠানে উপস্থিত সবার উদ্দেশ্যে 'কর্নেল কমান্ড্যান্ট' হিসেবে তার বিদায়ী বক্তব্য রাখেন।
সেনাবাহিনী প্রধান তার বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি বিশেষ কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে বলেন, প্রধানমন্ত্রীর ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনী আজ একটি আধুনিক এবং চৌকস বাহিনী হিসেবে বিশ্বের দরবারে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়েছে।
এ সময় জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ কর্নেল কমান্ড্যান্ট হিসেবে গৃহীত পদক্ষেপগুলো তুলে ধরেন। এছাড়াও, তিনি কর্নেল কমান্ড্যান্ট হিসেবে দায়িত্ব পালনকালে সর্বাত্মক সহযোগিতা করার জন্য সংশ্লিষ্ট সবার প্রতি আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
উল্লেখ্য, তিনি গত নভেম্বর ২০২১ ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্ট, মার্চ ২০২২ রেজিমেন্ট অব আর্টিলারি এবং অক্টোবর ২০২০ কোর অব মিলিটারি পুলিশের কর্নেল কমান্ড্যান্ট হিসেবে দায়িত্বভার গ্রহণ করেন।
অনুষ্ঠানে সেনাসদরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা, ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্ট, রেজিমেন্ট অব আর্টিলারি এবং মিলিটারি পুলিশের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তারাসহ ২৪ পদাতিক ডিভিশনের ঊর্ধ্বতন সামরিক কর্মকর্তা, জেসিও ও অন্যান্য পদবির সেনাসদস্যগণ উপস্থিত ছিলেন।
এর পূর্বে, সেনাবাহিনী প্রধান দিঘীনালা জোন সদরদপ্তরে পৌঁছালে তাকে স্বাগত জানান জিওসি ২৪ পদাতিক ডিভিশন ও এরিয়া কমান্ডার চট্টগ্রাম।
এ সময় সেনাবাহিনী প্রধান দীঘিনালা জোনের সামরিক কর্মকর্তারা, জেসিও ও অন্যান্য পদবির সেনা সদস্যদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন এবং সেখানে একটি গাছের চারা রোপণ করেন।
৫৬০ দিন আগে
দেশে ডেঙ্গুতে আরও ৪ জন আক্রান্ত
ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে দেশে রবিবার (১৬ জুন) সকাল পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় কারো মৃত্যু হয়নি। তবে এই সময়ে আক্রান্ত হয়ে আরও ৪ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।
এর মধ্যে ঢাকার হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৪ জন।
চলতি বছরে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে এখন পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে ৪০ জনের। এদের মধ্যে পুরুষ ২০ জন ও নারী ২০ জন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুমের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
সরকারি প্রতিবেদন অনুযায়ী, চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে ১৬ জুন পর্যন্ত ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছেন মোট ৩ হাজার ২১১ জন।
এদের মধ্যে পুরুষ ১ হাজার ৯৩৯ জন ও নারী ১ হাজার ২৭২ জন।
৫৬০ দিন আগে