বাংলাদেশ
ডেঙ্গুতে আরও ৩২ জন আক্রান্ত
ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে দেশে বুধবার (১২ জুন) সকাল পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় কারো মৃত্যু হয়নি। তবে এই সময়ে আক্রান্ত হয়ে আরও ৩২ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।
এর মধ্যে ঢাকার হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ১৬ জন। আর ঢাকার বাইরের হাসপাতালে নতুন করে ভর্তি হয়েছেন আরও ১৬ জন রোগী।
আরও পড়ুন: ডেঙ্গুতে আরও ১৫ জন আক্রান্ত
চলতি বছরে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে এখন পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে ৩৯ জনের। এদের মধ্যে পুরুষ ২০ জন ও নারী ১৯ জন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুমের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
সরকারি প্রতিবেদন অনুযায়ী, চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে ১২ জুন পর্যন্ত ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছেন মোট ৩ হাজার ১৫০ জন।
এদের মধ্যে পুরুষ ১ হাজার ৯০৬ জন ও নারী ১ হাজার ২৪৪ জন।
আরও পড়ুন: দেশে ডেঙ্গুতে আরও ১ জনের মৃত্যু, আক্রান্ত ২৫ জন
দেশে ডেঙ্গুতে আরও ১ জনের মৃত্যু, আক্রান্ত ৪৭ জন
৫৬৪ দিন আগে
বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে নতুন বিমান বাহিনী প্রধানের শ্রদ্ধা
গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন নবনিযুক্ত বিমান বাহিনী প্রধান এয়ার মার্শাল হাসান মাহমুদ খান।
বুধবার (১২ জুন) শ্রদ্ধা নিবেদনের সময় বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর একটি চৌকস দল টুঙ্গিপাড়ায় জাতির পিতার প্রতি গার্ড অব অনার প্রদর্শন করে।
বিমান বাহিনী প্রধান ও বিএএফডব্লিডব্লিএ’র সভাপতি বঙ্গবন্ধুর সমাধিসৌধের সামনে কিছুক্ষণ নীরবে দাঁড়িয়ে থাকেন এবং ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের সকল শহীদসহ বঙ্গবন্ধুর বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করে বিশেষ মোনাজাতে অংশ নেন।
আরও পড়ুন: রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন বিদায়ী বিমান বাহিনী প্রধান আব্দুল হানান
পরে তারা পরিদর্শন বইয়েও সই করেন।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বিমান বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে গত ১১ জুন এয়ার মার্শাল হাসান মাহমুদ খান বিমান বাহিনী প্রধানের দায়িত্ব গ্রহণ করেন।
আরও পড়ুন: নবনিযুক্ত বিমান বাহিনী প্রধান হাসান মাহমুদ খানকে এয়ার মার্শালের র্যাঙ্ক ব্যাজ পরানো হয়েছে
৫৬৪ দিন আগে
বর্জ্য অপসারণে ডিএসসিসির সক্ষমতা বেড়েছে: মেয়র তাপস
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস বলেছেন, কোরবানির হাট ও জবাই করা পশুর বর্জ্য অপসারণে প্রয়োজনীয় যান-যন্ত্রপাতির মানদণ্ডে ডিএসসিসি আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে বেশি সক্ষমতা অর্জন করেছে।
তিনি বলেন, আগে কোরবানির হাট ও কোরবানির পশুর বর্জ্য অপসারণে নিয়োজিত যান-যন্ত্রপাতিতে আমাদের কিছু দূর্বলতা ছিল। কিন্তু এবার আমরা পুরোপুরি সক্ষম।
আরও পড়ুন: ঈদের পর বঙ্গবাজার মার্কেটের নির্মাণ কাজ শুরু হবে: মেয়র তাপস
তিনি আরও বলেন, বর্জ্য অপসারণের জন্য আমরা নিজস্ব অর্থায়নে ইতোমধ্যে ১০ টন সক্ষমতার ২৫টি ডাম্প ট্রাক ও ১০টি পে-লোডার আমাদের বহরে সংযোজন করেছি। আরও ১৫টি ডাম্প ট্রাক সংযোজন করা হচ্ছে। সুতরাং, আমাদের যানবাহন ও যন্ত্রপাতির বহর এখন অত্যন্ত সমৃদ্ধ।
বুধবার (১২ জুন) সকাল ১০টায় জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে পবিত্র ঈদুল আজহার প্রধান জামাত আয়োজনের সার্বিক প্রস্তুতি সরেজমিন পরিদর্শন শেষে ডিএসসিসি মেয়র এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, কারো কোনো বিড়ম্বনা হবে না। এবার কেন্দ্রীয় নিয়ন্ত্রণ কক্ষের পাশাপাশি প্রতিটি হাটেও আলাদা আলাদা নিয়ন্ত্রণ কক্ষ প্রতিষ্ঠা করা হচ্ছে। তাই, কোথাও যদি কোনোরকম কোনো বিড়ম্বনার সৃষ্টি হয়, আমাদের হাটের কিংবা কেন্দ্রীয় নিয়ন্ত্রণ কক্ষে জানলে আমরা অবশ্যই তাৎক্ষণিকভাবে ব্যবস্থা নেব। এছাড়াও আমরা প্রতি বছরই আগের বছরের অভিজ্ঞতা পর্যালোচনা করি।
এ সময় শেখ তাপস বলেন, গত বছরের ন্যায় এবারও ২৪ ঘণ্টার মধ্যে কোরবানির পশুর বর্জ্য অপসারণে আমাদের লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে।
তিনি গণমাধ্যমকে আরও বলেন, এছাড়াও জাতীয় ঈদগাহে প্যান্ডেলের অভ্যন্তরে প্রায় ৩৫ হাজার মুসল্লি নামাজ আদায় করতে পারবেন এবং অতি বৃষ্টি হলেও প্রধান ঈদ জামাত আয়োজনের সকল প্রস্তুতি রয়েছে ও মুসল্লিরা স্বাচ্ছন্দ্যে ঈদের জামাত পড়তে পারবেন।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান, সচিব আকরামুজ্জামান, ভারপ্রাপ্ত প্রধান প্রকৌশলী আশিকুর রহমান, প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা মোহাম্মদ নাসিম আহমেদ, অঞ্চল-১ এর আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা মো. শফিকুল ইসলাম, প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. ফজলে শামসুল কবির, ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম, ২০ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ফরিদ উদ্দিন আহমেদ রতন।
আরও পড়ুন: ২০১৯ সালের চেয়ে ২০২৩-এ ঢাকায় ডেঙ্গুরোগী ৪২ হাজার কম ছিল: মেয়র তাপস
প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্যসেবার অভাবে ডেঙ্গুতে মৃত্যু হার বেশি: মেয়র তাপস
৫৬৪ দিন আগে
সেনাপ্রধান শফিউদ্দিনকে বিদায়ী সংবর্ধনা
সেনাপ্রধান জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদকে বিদায়ী সংবর্ধনা জানিয়েছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর আর্মার্ড কোর, কোর অব ইঞ্জিনিয়ার্স এবং বাংলাদেশ ইনফ্যান্ট্রি রেজিমেন্ট।
বুধবার বগুড়া সেনানিবাসের আর্মার্ড কোর সেন্টার অ্যান্ড স্কুলের প্যারেড গ্রাউন্ডে তাকে বিদায়ী কুচকাওয়াজের মধ্য দিয়ে এই সংবর্ধনা দেওয়া হয়।
আনুষ্ঠানিকতা শেষে শফিউদ্দিন আহমেদ অনুষ্ঠানে উপস্থিত সবার উদ্দেশে কর্নেল কমান্ড্যান্ট হিসেবে তার বিদায়ী বক্তব্য রাখেন।
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গা প্রত্যাবর্তনে মিয়ানমার আরও সচেষ্ট হবে বলে আশ্বাস বিদায়ী রাষ্ট্রদূতের
শফিউদ্দিন আহমেদ তার বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি বিশেষ কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে বলেন, প্রধানমন্ত্রীর ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনী আজ একটি আধুনিক ও চৌকস বাহিনী হিসেবে বিশ্বের দরবারে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়েছে।
এসময় জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ কর্নেল কমান্ড্যান্ট হিসেবে তার গৃহীত পদক্ষেপগুলো তুলে ধরে বলেন, ‘ফোর্সেস গোল-২০৩০’ এর আলোকে একটি আধুনিক ও যুগোপযুগী সেনাবাহিনী গড়ে তোলার লক্ষ্যে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে সংযোজিত হয়েছে অত্যাধুনিক অস্ত্র, গোলাবারুদ ও সরঞ্জামাদি।
বাহিনীর আধুনিকায়ন ও সম্প্রসারণের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে যুগোপযুগী প্রশিক্ষণের জন্য প্রশিক্ষণ সহায়ক অবকাঠামো নির্মাণ ও সংস্কারসহ প্রযুক্তি নির্ভর প্রশিক্ষণ নিশ্চিত করার কথা উল্লেখ করেন।
পাশাপাশি তিনি কর্নেল কমান্ড্যান্ট হিসেবে দায়িত্ব পালনকালে সর্বাত্মক সহযোগিতা করার জন্য সংশ্লিষ্ট সবার প্রতি আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা ব্যক্ত করেন।
বিদায়ী সেনাপ্রধান আশা করেন, আর্মার্ড কোর, ইঞ্জিনিয়ার্স কোর এবং ইনফ্যান্ট্রি রেজিমেন্ট তাদের স্ব স্ব ক্ষেত্রে উন্নতি ও অগ্রগতির ধারা অব্যাহত থাকবে।
এর আগে সেনাপ্রধান বগুড়া সেনানিবাসে পৌঁছালে তাকে স্বাগত জানান ১১ পদাতিক ডিভিশনের জিওসি ও এরিয়া কমান্ডার বগুড়া।
উল্লেখ্য, তিনি গত ২২ সেপ্টেম্বর ২০২১ তারিখ আর্মার্ড কোর, ২৪ নভেম্বর ২০২১ তারিখ কোর অব ইঞ্জিনিয়ার্স এবং ৩ অক্টোবর ২০২১ তারিখ বাংলাদেশ ইনফ্যান্ট্রি রেজিমেন্টের 'কর্নেল কমান্ড্যান্ট' হিসেবে দায়িত্বভার গ্রহণ করেন।
এর আগে তিনি ঘাটাইল সেনানিবাসে পৌঁছালে জিওসি ১৯ পদাতিক ডিভিশন ও ঘাটাইলের এরিয়া কমান্ডার তাকে স্বাগত জানান।
পরে সেনাবাহিনী প্রধান ঘাটাইল এরিয়ার সব পদবির সেনাসদস্যদের উদ্দেশে বিদায়ী দরবার গ্রহণ করেন এবং সবার সঙ্গে মত বিনিময় করেন।
আরও পড়ুন: রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন বিদায়ী বিমান বাহিনী প্রধান আব্দুল হানান
এয়ারবাসের উড়োজাহাজ যুক্ত হচ্ছে বিমানের বহরে, জানালেন বিদায়ী এমডি
৫৬৪ দিন আগে
গ্রেনেড হামলা মামলায় তারেকসহ ১৪ আসামি পলাতক: প্রধানমন্ত্রী
২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ ১৫ আসামি পলাতক বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি আরও বলেন, ‘৪৯ জন দোষীর মধ্যে ৩৪ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তারেক রহমান ওরফে তারেক জিয়াসহ ১৫ জন দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি বর্তমানে পলাতক।’
বুধবার (১২ জুন) প্রধানমন্ত্রীর জন্য নির্ধারিত প্রশ্নোত্তর পর্বে আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য ফরিদা ইয়াসমিনের (মহিলা আসন-৩৫) এক প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।
আরও পড়ুন: তারেককে ফিরিয়ে এনে আদালতের সাজা কার্যকর করব: প্রধানমন্ত্রী
এদিন বিকাল ৪টায় স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী সংসদে বৈঠকের শুরুতে প্রশ্নোত্তর পর্ব রাখেন।
২০১৮ সালের ১০ অক্টোবর ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল নম্বর-১ এর বিচারক রায় দেওয়ায় গ্রেনেড হামলা মামলার বিচারে মোট ৪৯ আসামির সাজা হয় বলে জানান প্রধানমন্ত্রী।
তিনি আরও বলেন, ‘সাজাপ্রাপ্তদের মধ্যে ১৯ জনকে মৃত্যুদণ্ড, ১৯ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং বাকি ১১ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেওয়া হয়।’
শেখ হাসিনা বলেন, বিদেশে পলাতক আসামি মাওলানা তাজউদ্দিন, হারিছ চৌধুরী ও রাতুল আহমেদ বাবু ওরফে রাতুল বাবুর বিরুদ্ধে রেড নোটিশ জারি করেছে ইন্টারপোল। সাজাপ্রাপ্ত পলাতকদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
২০০৪ সালের ২১ আগস্ট রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগ আয়োজিত সন্ত্রাসবিরোধী সমাবেশে বর্বরোচিত গ্রেনেড হামলার ঘটনায় দণ্ডবিধি ও বিস্ফোরক আইনে দুটি মামলা করা হয়।
ওই হামলায় তৎকালীন বিরোধীদলীয় নেতা শেখ হাসিনা প্রাণে বেঁচে গেলেও ২৪ জন নিহত ও পাঁচ শতাধিক আহত হয়।
আরও পড়ুন: দুর্নীতি-সন্ত্রাসের প্রতীক তারেক রহমানই বিএনপির দুঃশাসনের মুখ: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
৫৬৪ দিন আগে
রোহিঙ্গা শরণার্থীদের সহায়তায় সবসময় বাংলাদেশের পাশে থাকার প্রতিশ্রুতি যুক্তরাষ্ট্রের
মিয়ানমারে সহিংসতায় বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গা ও অন্যরা যাতে নিরাপদে ঘরে ফিরতে পারে সেজন্য দেশটিতে চলমান সংঘাতের শান্তিপূর্ণ সমাধানে এ অঞ্চলের দেশগুলো ও জাতিসংঘের প্রতি সমর্থন অব্যাহত রাখবে যুক্তরাষ্ট্র।
বুধবার (১২ জুন) আমেরিকান সেন্টারে এক সংক্ষিপ্ত সংবাদ সম্মেলনে যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের আঞ্চলিক শরণার্থী সমন্বয়কারী ম্যাকেনজি রো এ কথা জানান।
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের জানা দরকার যে, রোহিঙ্গা শরণার্থীদের মানবিক সহায়তা প্রদানের বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্র অবিচল অংশীদার হিসেবে পাশে থাকবে।’
ইউএনবির এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ২০১৭ সাল থেকে এই আঞ্চলিক সংকট মোকাবিলায় অনেক আন্তর্জাতিক অংশীদারদের সঙ্গে কাজ করছেন তারা।
এছাড়াও ক্যাম্পের ভেতরে যা কিছু ঘটছে এবং মানবিক সহায়তায় প্রভাব ফেলছে তা উদ্বেগের বিষয় বলে উল্লেখ করেন এই আঞ্চলিক শরণার্থী সমন্বয়কারী।
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে সমন্বিত প্রচেষ্টা নিতে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর আহ্বান
তিনি বলেন, 'ক্যাম্পের মধ্যে যেকোনো ইস্যু মানবিক সহায়তাকে প্রভাবিত করতে পারে, এটি সবসময়ই উদ্বেগের বিষয়। আমাদের সহায়তা যাদের সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন তাদের কাছে যেন পৌঁছায় সেটি আমরা নিশ্চিত করতে চাই। আমরা আমাদের অংশীদারদের সঙ্গে কাজ করছি এবং যারা আমাদের সঙ্গে কাজ করতে ইচ্ছুক সেসব অংশীদারদের সঙ্গে মিলে এই অবস্থার মোকাবিলা নিয়ে ভাবছি।’
জবাবদিহিবিষয়ক এক প্রশ্নের জবাবে রো বলেন, আইনের শাসনভিত্তিক গণতান্ত্রিক সমাজ বিনির্মাণের জন্য মানবাধিকার লঙ্ঘনের জবাবদিহি একটি অপরিহার্য ভিত্তি।
তিনি আরও বলেন, বেসামরিক নাগরিকদের মানবাধিকার লঙ্ঘনের জন্য দায়ীদের জবাবদিহির আওতায় আনতে আন্তর্জাতিক প্রচেষ্টায় নেতৃত্ব দিতে যুক্তরাষ্ট্র প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
মিয়ানমার, বাংলাদেশ ও এ অঞ্চলে রোহিঙ্গা শরণার্থী সংকটে ক্ষতিগ্রস্তদের মানবিক সহায়তার সবচেয়ে বড় দাতা যুক্তরাষ্ট্র।
২০১৭ সালের আগস্ট থেকে মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে গণহত্যা, মানবতাবিরোধী অপরাধ ও জাতিগত নিধনের হাত থেকে বাঁচতে ৭ লাখ ৪০ হাজারের বেশি রোহিঙ্গা পালিয়ে আসার পর থেকে সৃষ্ট এই সংকটে যুক্তরাষ্ট্র এ পর্যন্ত প্রায় ২৮ হাজার ৮০ কোটি টাকার অর্থ সহায়তা দিয়েছে।
এর মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র শুধু বাংলাদেশে থাকা শরণার্থী ও স্থানীয়দের সহায়তায় দিয়েছে প্রায় ২২ হাজার ২৩০ কোটি ডলার।
বাংলাদেশ একা নয় উল্লেখ করে রো আরও বলেন, 'রোহিঙ্গা শরণার্থীদের সহায়তায় বাংলাদেশকে সহায়তা করতে যুক্তরাষ্ট্রসহ অনেক সরকার, জাতিসংঘের সংস্থা ও এনজিও অংশীদারিত্ব করছে।’
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গা সংকট: বাংলাদেশের বন্ধ সীমান্ত নীতি প্রত্যাহারের আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ বিশেষজ্ঞ
শরণার্থীরা নিরাপদে ও স্বেচ্ছায় নিজ দেশে ফিরে না যাওয়া পর্যন্ত উদারভাবে আশ্রয় দেওয়ায় যুক্তরাষ্ট্রসহ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় বাংলাদেশের জনগণ ও সরকারের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে বলে উল্লেখ করেন তিনি।
তিনি বলেন, '২০ জুন বিশ্ব শরণার্থী দিবসকে সামনে রেখে যারা সহিংসতা ও নিপীড়নের কারণে ঘরবাড়ি ছেড়ে পালাতে বাধ্য হয়েছেন তাদের দুর্দশা স্মরণ করছি।’
মার্কিন এই কর্মকর্তা আরও বলেন, তারা সহায়তার মাধ্যমে শিক্ষা ও প্রশিক্ষণের সুযোগসহ জীবন রক্ষাকারী সহায়তা ও সুরক্ষা দিচ্ছেন, যা রোহিঙ্গাদের পরিস্থিতি অনুকূলে হলে স্বেচ্ছায়, নিরাপদে, মর্যাদার সঙ্গে এবং টেকসই প্রত্যাবাসনে সহায়তা করার জন্য দক্ষতা বিকাশে সহায়ক। এ ছাড়া কক্সবাজার অঞ্চলে দুর্যোগ প্রস্তুতি জোরদার করা এবং রোহিঙ্গা ও স্থানীয় জনগোষ্ঠীর জন্য স্বাস্থ্যসেবা ও বিশুদ্ধ পানি নিশ্চিতের কাজ করছে।
রো বলেন, যুক্তরাষ্ট্র তাদের অংশীদার এবং বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে কাজ করতে ইচ্ছুক, যাতে সামনে এগিয়ে যাওয়ার একটি ইতিবাচক পথ খুঁজে পাওয়া যায়।
পুনর্বাসন প্রচেষ্টা সম্পর্কিত এক প্রশ্নের জবাবে রো বলেন, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ২০২৪ অর্থবছরে যুক্তরাষ্ট্রে ১ লাখ ২৫ হাজার শরণার্থীকে পুনর্বাসনের লক্ষ্য আবারও নির্ধারণ করেছেন।
বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রে প্রায় ১২ থেকে ১৩ হাজার রোহিঙ্গা রয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘এটা শুধু বাংলাদেশ নয়, এটা বৈশ্বিক। আমরা আশাবাদী যে আমরা সেই লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারব। এরপর আমাদের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। তখন নতুন লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা আশা করি যে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে এই সংখ্যা বাড়বে।’
রো বলেন, তাদের নিজ দেশে টেকসই, মর্যাদাপূর্ণ ও নিরাপদ প্রত্যাবর্তনই চূড়ান্ত লক্ষ্য।
তিনি বলেন, 'আমি আগেও বলেছি, বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গা শরণার্থীদের নিরাপদ, স্বেচ্ছা, মর্যাদাপূর্ণ ও টেকসই প্রত্যাবাসন না হওয়া পর্যন্ত সহায়তা করতে অন্যান্য দাতাগোষ্ঠী, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়, জাতিসংঘের সংস্থা, এনজিও এবং বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে কাজ করতে যুক্তরাষ্ট্র প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
বাংলাদেশ এখন কক্সবাজার ও ভাসানচরে ১৩ লাখের বেশি রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দিচ্ছে।
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গা ও বাংলাদেশিদের সহায়তা অব্যাহত রাখতে অংশীদার ও বাংলাদেশের সঙ্গে কাজ করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ: রাষ্ট্রদূত প্রেসকট
৫৬৪ দিন আগে
ড. ইউনূস অসত্য ও আক্রমণাত্মক কথা বলছেন: আইনমন্ত্রী
ড. ইউনূস অসত্য কথা বলে বেড়াচ্ছেন উল্লেখ করে আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, এসব কথা বাংলাদেশের জনগণের জন্য অপমানজনক।
তিনি বলেন, দেশের যেকোনো নাগরিক আইন লঙ্ঘন করলে তার যেমন বিচার হয় ড. ইউনূসেরও সেভাবেই বিচার হচ্ছে।
আরও পড়ুন: হাসপাতাল থেকে বাসায় ফিরেছেন আইনমন্ত্রী
বুধবার (১২ জুন) সচিবালয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠক শেষে এসব কথা বলেন মন্ত্রী৷
আইনমন্ত্রী বলন, কর ফাঁকি দেওয়ার মামলাকে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশসহ পশ্চিমা দেশগুলো গুরুত্বপূর্ণ মামলা হিসেবে বিবেচনা করে। ঠিক সেভাবেই ড. ইউনূসের মামলা পরিচালিত হচ্ছে।
আনিসুল হক বলেন, ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন একটি মামলা করেছে। সে মামলার ব্যাপারে আমি বলেছি- মামলাটি আদালতে চলমান।
তিনি আরও বলেন, আদালতে যে মামলা চলমান, সে মামলা সম্পর্কে আইনমন্ত্রী কোনো কথা বলেন না। বিষয়টিও তাদের (ইউরোপিয়ান প্রতিনিধি দল) বলেছি।
আরেকটি বিষয় আমি বলেছি, তার বিরুদ্ধে কর না দেওয়ার মামলা রয়েছে। তার একটি মামলায় তিনি আপিল বিভাগ পর্যন্ত গিয়ে হারার পরে কর দিয়েছেন। অন্যান্য মামলা যেগুলো রয়েছে সেগুলোও কর না দেওয়ার মামলা।
মন্ত্রী আরও বলেন, ইউরোপীয় প্রতিনিধি দলের সঙ্গে শ্রম আইন, আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্সি আইন, ডেটা প্রটেকশন ও সাইবার সিকিউরিটি অ্যাক্ট নিয়ে কথা হয়েছে। তাদের নির্বাচন কমিশন থেকে একটি টিম এসেছিল সেই টিমের রিপোর্টের পরিপ্রেক্ষিতে আমরা কী চিন্তা ভাবনা করছি, রোহিঙ্গা ইস্যু এবং সর্বশেষ অ্যান্টি ডিসস্ক্রিমিনেশন বেল সম্পর্কেও তাদের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। তারা ড. ইউনূসের মামলা সম্পর্কে জিজ্ঞেস করেছিল। এসব ব্যাপারেও তাদের সঙ্গে কথা হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘আমরা কবে নাগাদ শ্রম আইন পাস করতে যাচ্ছি এসব তারা জানতে চেয়েছিল। আমি তাদের বলেছি- আন্তর্জাতিক শ্রম আদালতে আমাদের বিরুদ্ধে যে নালিশ করা হয়েছিল সেই নালিশটার আমরা শেষ চাই। আমি তাদের বলেছি শ্রম আইন নিয়ে আমরা যথেষ্ট কাজ করেছি।’
তিনি আরও বলেন, ‘শ্রম আইন সংশোধন নিয়েও কাজ করছি। আমার মনে হয় বিষয়টা শেষ করে দেওয়া উচিত।’
ড. ইউনূসের বিষয়ে কী কথা হয়েছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ড. ইউনূসের বিচার প্রক্রিয়া নিয়ে তাদের দেশ থেকে অনেকগুলো প্রশ্ন এসেছে সেসব বিষয়ে তারা স্পষ্ট হতে চেয়েছিলেন।
তিনি বলেন, ড. ইউনূসের ব্যাপারে যেসব মামলা রয়েছে আমি তাদের সেসব বলেছি। বলেছি, তিনি শ্রমিকদের অধিকার লঙ্ঘন করেছিলেন সেখানে মামলা হয়েছে। তাকে সাজা দেওয়া হয়েছে। ১০৮ জন শ্রমিক ব্যক্তিগতভাবে তার বিরুদ্ধে মামলা করেছেন।
আরও পড়ুন: বিচার বিভাগের দক্ষতা-সক্ষমতা বাড়াতে যুগান্তকারী পদক্ষেপ হাতে নেওয়া হয়েছে: আইনমন্ত্রী
আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় সবাইকে ঐকমত্যের ভিত্তিতে কাজ করতে হবে: আইনমন্ত্রী
৫৬৪ দিন আগে
দেশে আরও ১৮ জন করোনায় আক্রান্ত
দেশে বুধবার (১২ জুন) সকাল ৮টা পর্যন্ত আগের ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে কারো মৃত্যু হয়নি।
তবে এ সময় নতুন করে ১৮ জনের শরীরে এই ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে মোট আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২০ লাখ ৫০ হাজার ৭৬৪ জনে।
এখন পর্যন্ত ভাইরাসটিতে মৃত্যু হয়েছে ২৯ হাজার ৪৯৫ জনের।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের করোনাবিষয়ক নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় ৩৬৩ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। একই সময় শনাক্তের হার ৪ দশমিক ৯৬ শতাংশ।
মোট পরীক্ষায় এ পর্যন্ত শনাক্তের হার ১৩ দশমিক শূন্য ৬ শতাংশ এবং শনাক্ত বিবেচনায় মোট মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৪৪ শতাংশ।
এদিকে, গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন ২৫ জন। এ নিয়ে দেশে মোট সুস্থ ব্যক্তির সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২০ লাখ ১৮ হাজার ৯৫ জনে।
৫৬৫ দিন আগে
ঘূর্ণিঝড় রিমাল: ক্ষয়ক্ষতির হিসাব প্রধানমন্ত্রীর কাছে হস্তান্তর বৃহস্পতিবার
ঘূর্ণিঝড় রিমালের সার্বিক ক্ষয়ক্ষতির হিসাব বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে হস্তান্তর করা হবে বলে জানিয়েছেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী মো. মহিববুর রহমান।
গতকাল মঙ্গলবার পর্যন্ত ৭ হাজার কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতির হিসাব পেয়েছেন তিনি।
বুধবার (১২ জুন) সচিবালয়ে গণমাধ্যম কেন্দ্রে বাংলাদেশ সেক্রেটারিয়েট রিপোর্টার্স ফোরাম (বিএসআরএফ) আয়োজিত 'দুর্যোগ মোকাবিলায় সরকারের প্রস্তুতি বিষয়ে বিএসআরএফ সংলাপ'-এ তিনি কথা জানান।
বিএসআরএফের সাধারণ সম্পাদক মাসউদুল হকের সঞ্চালনায় এতে সভাপতিত্ব করেন সভাপতি ফসিহ উদ্দীন মাহতাব।
আরও পড়ুন: মেরামতের অপেক্ষায় ‘রিমালে’ ক্ষতিগ্রস্ত ভোলার ১১২ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘সার্বিকভাবে ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণে গতকাল একটি আন্তঃমন্ত্রণালয় সভা হয়েছে। এই প্রথম উদ্যোগ নিয়েছি ঘূর্ণিঝড়ের সব ক্ষতি হিসাব করে প্রধানমন্ত্রীর হাতে দেব। আমি আজকের মধ্যে সারাদেশের সমস্ত মন্ত্রণালয়ের যে ক্ষতিটা হয়েছে সেটা সম্পূর্ণ রেডি করে আগামীকাল প্রধানমন্ত্রীর হাতে দেব।’
তিনি বলেন, ‘আমি প্রায় ৯০ ভাগ হিসাব পেয়ে গেছি। আজকে বাকিটা পেয়ে যাব। ক্ষয়ক্ষতির হিসাবটা আমি প্রধানমন্ত্রীর কাছে দেব, যাতে তিনি এটি সঠিকভাবে বাস্তবায়ন করতে পারেন। যাতে সব কাজগুলো প্রধানমন্ত্রী সঠিকভাবে করতে পারেন।
৯০ শতাংশ ক্ষতি টাকার অংকে কত- জানতে চাইলে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘গতকাল পর্যন্ত আমি দেখলাম যে আমার কাছে ৭ হাজার কোটি টাকার হিসাব আমার কাছে এসেছে।’
তিনি আরও বলেন, এবার সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে বেড়িবাঁধের। উপকূলীয় মৎস্য সম্পদেরও বিপুল ক্ষতি হয়েছে। কোটি কোটি টাকার মাছের ঘেরগুলো নষ্ট হয়েছে। ঘূর্ণিঝড়ে অসংখ্য বেড়িবাঁধ নষ্ট হয়েছে, রাস্তাঘাট নষ্ট হয়েছে, বাড়িঘর নষ্ট হয়েছে।
ঢাকায় সর্বাচ্চ আট মাত্রার ভূমিকম্পও হতে পারে বলেও এসময় আশঙ্কা প্রকাশ করেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী।
তিনি বলেন, তবে ভয়ের কারণ নেই। কারণ এমন পরিস্থিতি বহুদেশে আসছে। যেমন, তুরস্কে ভূমিকম্প হয়। কিন্তু তারা দুর্যোগ সহনীয় অবকাঠামো ও সমাজ ব্যবস্থা গড়ে তুলেছে। যে কারণে সমস্যা এলে তা সমাধান করার সক্ষমতা তারা তৈরি করেছেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, যদি কোনো রকম ভূমিকম্প হয়, সেজন্য শহুরে অঞ্চলে ব্যাপকভাবে স্বেচ্ছাসেবী তৈরি করতে কাজ করছি। ভবনগুলো যদি ধসে যায়, তাহলে সেগুলো পরিষ্কার করা ও মানুষকে উদ্ধারে আমরা ব্যাপকভাবে পরিকল্পনা গ্রহণ করেছি।
তিনি জানান, ভবিষ্যতে একটি নিরাপদ বাংলাদেশ রেখে যেতে চাইলে জাতিকে দুর্যোগের বিষয়ে সচেতন করতে হবে। বিশেষ করে আমার ভয়ের কারণ ভূমিকম্প। বাংলাদেশ ভূমিকম্প প্রবণ দেশগুলোর মধ্যে অন্তর্ভুক্ত। যেকোনো সময় আট মাত্রার ভূমিকম্প হতে পারে। এতে ঢাকা শহরের লাখ লাখ লোক আটকা পড়তে পারেন।
এক প্রশ্নের উত্তরে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘নির্দিষ্ট গবেষণার ভিত্তিতেই আমি এমন কথা (৮ মাত্রার ভূমিকম্প) বলেছি। এ নিয়ে আমাদের সুনির্দিষ্ট তথ্য আছে।’
আরও পড়ুন: ঘূর্ণিঝড় রিমালে ২০ জেলায় ৬৮৮০ কোটি টাকার ক্ষতি: ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী
৫৬৫ দিন আগে
সেনাপ্রধানের সঙ্গে রুয়ান্ডা ডিফেন্স ফোর্সের চিফ অব ডিফেন্স স্টাফের সৌজন্য সাক্ষাৎ
রুয়ান্ডা ডিফেন্স ফোর্সের চিফ অব ডিফেন্স স্টাফ জেনারেল এম কে মুবারখ বাংলাদেশ সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন।
বুধবার (১২ জুন) ঢাকা সেনানিবাস্থ সেনাসদরে সাক্ষাতের সময় তারা পারস্পরিক কুশলাদি বিনিময় ছাড়াও দু'দেশের মধ্যে বিদ্যমান সুসম্পর্ক ও ভবিষ্যৎ অগ্রযাত্রায় সহযোগিতার বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করেন।
সেনাবাহিনী প্রধান তার সঙ্গে সাক্ষাৎ করার জন্য রুয়ান্ডার চিফ অব ডিফেন্স স্টাফকে ধন্যবাদ জানান।
সেনাবাহিনী প্রধানের সঙ্গে সাক্ষাতের পূর্বে রুয়ান্ডা ডিফেন্স ফোর্সের চিফ অব ডিফেন্স স্টাফ শিখা অনির্বাণে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। পরে সেনাকুঞ্জে সশস্ত্র বাহিনীর একটি চৌকস দল তাকে গার্ড অব অনার প্রদান করেন এবং সেখানে তিনি একটি গাছের চারা রোপণ করেন।
উল্লেখ্য, ১১ জুন রুয়ান্ডা ডিফেন্স ফোর্সের চিফ অব ডিফেন্স স্টাফ (সিডিএস) ৫ দিনের সরকারি সফরে বাংলাদেশে আসেন। তার এই সফরকালে তিনি মিরপুর সেনানিবাসে ন্যাশনাল ডিফেন্স কলেজ পরিদর্শন, বঙ্গবন্ধু মিলিটারি মিউজিয়াম পরিদর্শন, রাজেন্দ্রপুর সেনানিবাসে বাংলাদেশ মেশিন টুলস ফ্যাক্টরি (বিএমটিএফ) ও বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব পিস সাপোর্ট অপারেশন ট্রেনিং (বিপসট) এবং কক্সবাজার এরিয়া পরিদর্শন করবেন।
এই সফর বাংলাদেশ ও রুয়ান্ডার মধ্যকার পারস্পরিক সম্পর্কোন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে আশা করা হচ্ছে।
৫৬৫ দিন আগে