বাংলাদেশ
প্রতিটি দেশই ইন্টারনেটের নেতিবাচক দিক মোকাবিলা করছে : ইইউ রাষ্ট্রদূত
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বৈধ বাকস্বাধীনতা এবং সহিংসতা ও ঘৃণ্য অপরাধ বন্ধে বিধিবিধানের ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূত চার্লস হোয়াইটলি।
সোমবার (১০ জুন) রাজধানীতে ‘ডিক্যাব-টক’ এ অংশ নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন।
হোয়াইটলি বলেন, ‘আমরা আমাদের ডিজিটাল সার্ভিসেস অ্যাক্টের মাধ্যমে ইউরোপে এটি নিয়ন্ত্রণ করেছি। যেটি মেটার মতো প্রতিষ্ঠানের ওপর দায় চাপিয়ে দেয়। উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, তারা যদি ইন্টারনেট থেকে খুব দ্রুত ঘৃণামূলক বক্তব্য সরিয়ে না নেয়, তবে ইউরোপের বাজারে এর প্রভাব পড়বে।’
সহিংসতার বিস্তার রোধে প্ল্যাটফর্মগুলোর নিষ্ক্রিয়তার কথা উল্লেখ করে ইইউ রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘প্রতিটি দেশই ইন্টারনেটের নেতিবাচকতা মোকাবিলা করছে এবং সমাজে এটি প্রভাব ফেলছে।’
রাষ্ট্রদূত বলেন, আরও কীভাবে পদক্ষেপ নেওয়া যায় তা নিয়েও আলোচনা চলছে এবং বাংলাদেশেও একই বিতর্ক চলছে।
হোয়াইটলি বলেন, ‘সুতরাং, অবশ্যই, আপনাদের ডিজিটাল সাইবার সিকিউরিটি অ্যাক্ট (ডিএসএ) রয়েছে। আপনারা কীভাবে মিথ্যা তথ্য মোকাবিলা করবেন তা নিয়ে কথা বলছেন। তবে সবকিছুর মূল বিষয় হলো, আপনাদেরকে এমনভাবে এটি করতে হবে- যাতে বাকস্বাধীনতার অধিকার, মত প্রকাশের স্বাধীনতার অধিকারকে সংরক্ষণ ও সম্মান করা হয়।’
আরও পড়ুন: তৃতীয় মেয়াদে ভারতের প্রধানমন্ত্রী মোদির শপথ অনুষ্ঠানে শেখ হাসিনা
তিনি বলেন, একটি দায়িত্বশীল সরকারকে সহিংসতা ও ঘৃণ্য অপরাধ বন্ধ করা এবং বৈধ বাকস্বাধীনতার সুযোগ দেওয়ার মাধ্যমে এরকম খুব সূক্ষ্ম ব্যবস্থাপনাটি পরিচালনা করতে হবে।
রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘আমি মনে করি আমরা সবাই একে অপরের কাছ থেকে শিখতে পারি। আর আমরা সেটাই করছি। আমাদের কিছু সদস্য রাষ্ট্রের ইউরোপীয় ইউনিয়নে এই ক্ষেত্রে ভিন্ন ভিন্ন ঐতিহ্য রয়েছে। নিঃসন্দেহে আমেরিকার দৃষ্টিভঙ্গি ভিন্ন। আপনারা জানেন, ইউরোপীয় আইনে আপনারা যা দেখেন তার চেয়ে নির্দিষ্ট ধরণের বক্তব্যের জন্য সহনশীলতার বিভিন্ন স্তর রয়েছে। সুতরাং আমাদের ঐতিহ্য আছে, কিন্তু মূল কথা হলো আমাদের সবারই বাক স্বাধীনতা থাকা দরকার। আমাদের সমাজে নিরাপত্তা ও সুরক্ষারও প্রয়োজন রয়েছে। এটি একটি জটিল ধাঁধা।’
সংখ্যালঘু নেতা, সুশীল সমাজের সদস্য, যুদ্ধাপরাধবিরোধী প্রচারণাকারী, যুদ্ধের নায়ক ও শহীদদের পরিবারের কাছ থেকে প্রায়ই অভিযোগ উঠে থাকে যে ফেসবুক বাংলাদেশে ঘৃণামূলক বক্তব্য বা সাম্প্রদায়িক সহিংসতায় উসকানি দেওয়ার প্রবণতা বন্ধ করতে ব্যর্থ হয়েছে।
বাংলাদেশ নিয়ে ফেসবুকের সর্বশেষ প্রতিবেদনটিও একই সম্প্রদায়ের সদস্যদের কাছে ব্যাপক সমালোচিত হয়েছে।
মেটার সর্বশেষ প্রতিবেদনটিকে ‘পক্ষপাতদুষ্ট এবং ত্রুটিপূর্ণ’ বলে অভিহিত করেছে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ওয়েব টিম।
ডিপ্লোম্যাটিক করেসপন্ডেন্টস অ্যাসোসিয়েশন, বাংলাদেশ (ডিক্যাব) এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন ডিক্যাব সভাপতি নুরুল ইসলাম হাসিব ও সাধারণ সম্পাদক আশিকুর রহমান অপু।আরও পড়ুন: বাংলাদেশের পর্যটন খাতে শ্রীলঙ্কার বিনিয়োগ চান প্রধানমন্ত্রী
৫৬৭ দিন আগে
দেশে আরও ১৯ জন করোনায় আক্রান্ত
দেশে সোমবার (১০ জুন) সকাল ৮টা পর্যন্ত আগের ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে কারো মৃত্যু হয়নি।
তবে এ সময় নতুন করে ১৯ জনের শরীরে এই ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে মোট আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২০ লাখ ৫০ হাজার ৭২২ জনে।
আরও পড়ুন: দেশে আরও ১৭ জন করোনায় আক্রান্ত
এখন পর্যন্ত ভাইরাসটিতে মৃত্যু হয়েছে ২৯ হাজার ৪৯৫ জনের।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের করোনাবিষয়ক নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় ৩৫১ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। একই সময় শনাক্তের হার ৫ দশমিক ৪১ শতাংশ।
মোট পরীক্ষায় এ পর্যন্ত শনাক্তের হার ১৩ দশমিক শূন্য ৬ শতাংশ এবং শনাক্ত বিবেচনায় মোট মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৪৪ শতাংশ।
এদিকে, গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন ৩১ জন। এ নিয়ে দেশে মোট সুস্থ ব্যক্তির সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২০ লাখ ১৮ হাজার ৫২ জনে।
আরও পড়ুন: দেশে আরও ১৬ জন করোনায় আক্রান্ত
দেশে আরও ১৫ জন করোনায় আক্রান্ত
৫৬৭ দিন আগে
কোটা পুনর্বহাল: বাকৃবিতে শতাধিক শিক্ষার্থীর বিক্ষোভ
সরকারি চাকরিতে ২০১৮ সালের পরিপত্র বাতিল করে কোটা পদ্ধতি পুনর্বহাল সংক্রান্ত হাইকোর্টের রায়ের প্রতিবাদ জানিয়ে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ সমাবেশ ও মানববন্ধন করেছে।
সোমবার (১০ জুন) দুপুর সাড়ে ১২টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদীন মিলনায়তনের মুক্তমঞ্চের সামনে হাইকোর্টের ওই রায়কে বৈষম্যমূলক উল্লেখ করে মানববন্ধন করেন বাকৃবির প্রায় ৫ শতাধিক শিক্ষার্থী।
আরও পড়ুন: সুস্থ-সবল জাতি গঠনে ওয়ান হেলথ গুরুত্বপূর্ণ: বাকৃবি উপাচার্য
এসময় শিক্ষার্থীরা, ‘মেধাবীদের কান্না, আর না আর না; সুযোগের সমতা, সংবিধানের মূল কথা; কোটার কাছে মেধার হার, রুখতে হবে আরেকবার; বঙ্গবন্ধুর বাংলায় বৈষম্যের ঠাই নাই;’ স্লোগান দিতে থাকে।
ভেটেরিনারি সায়েন্স অনুষদের মেহেদী হাসান তানজিল বলেন, মুক্তিযুদ্ধ শব্দটাকে বিচ্ছেদ করলে আমরা শুধু মুক্তিই পাই, কোথাও বৈষম্য দেখতে পাই না। স্বাধীনতার এত বছর পরেও নতুন করে কোটা বৈষম্য তৈরি করা হলে সেটি আমাদের মুক্তিযুদ্ধের চেতনার সঙ্গেই সাংঘর্ষিক।
তিনি আরও বলেন, ‘তাছাড়া আমরা জানি কোটা মূলত পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর অধিকার আদায়ের একটা মাধ্যম। কিন্তু বর্তমানে যারা কোটা সুবিধার আওতাধীন, তাদের মধ্যে কেবল প্রতিবন্ধী ও আদিবাসী ছাড়া কেউই পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর আওতায় পড়ে না। বিশেষ বিবেচনায় অবশ্যই মুক্তিযোদ্ধা কোটা রাখা যেতে পারে। তবে সেটা কখনোই ৫ শতাংশের বেশি হওয়া উচিৎ নয়।’
ভেটেরিনারি অনুষদের আরেক শিক্ষার্থী মোরশেদুল ইসলাম মিশু বলেন, ‘২০১৮ সালে প্রধানমন্ত্রী কোটা পদ্ধতি বাতিল করে দিলে সাধারণ শিক্ষার্থীরা আলোর মুখ দেখতে শুরু করে। তবে কোটা পদ্ধতি পুনর্বহাল সংক্রান্ত হাইকোর্টের রায়ের মাধ্যমে আমরা সাধারণ শিক্ষার্থীরা আবার ৫৬ ভাগ কোটা পদ্ধতির মধ্যে পড়ে যাই।’
তিনি আরও বলেন, ‘মেধা কাজে লাগিয়ে যোগ্য চাকরি পাওয়ার অন্তরায় হয়ে দাঁড়ায় এই কোটা পদ্ধতি। আমরা চাই মেধার ভিত্তিতে যেন সব শিক্ষার্থী দেশের মূল চালিকা শক্তিতে প্রবেশ করতে পারে।’
মো. ইরান মিয়া নামে পশুপালন অনুষদের এক শিক্ষার্থী বলেন, স্বাধীনতার ৫২ বছর পরে এসেও সরকারি চাকরিতে কোটা পদ্ধতির পুনর্বহাল বাংলাদেশের ছাত্রসমাজের সঙ্গে চরম বৈষম্যের প্রতিফলন। প্রতিবন্ধী ও ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর জন্য কোটা রাখা যেতে পারে। বৈষম্যমূলক এই কোটা পদ্ধতি সংস্কার না করলে সারা বাংলার ছাত্রসমাজ দুর্বার আন্দোলন গড়ে তুলবে।
আরেক শিক্ষার্থী নূর-ই-হাফিজা বলেন, দেশের প্রথম শ্রেণির চাকরিগুলোতে মেধার ভিত্তিতে একজন যোগ্য প্রার্থীকে সুযোগ দেওয়া উচিত। মেধার যথাযথ সম্মান না করলে দেশ অচিরেই মেধাশূণ্য হয়ে যাবে।
উল্লেখ্য, গত বুধবার সরকারি চাকরিতে মুক্তিযোদ্ধা কোটা বাতিলসংক্রান্ত পরিপত্র অবৈধ ঘোষণা করে রায় দেন হাইকোর্ট। পরদিন থেকেই ওই রায়ের বিরুদ্ধে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা আন্দোলনে নামেন।
আরও পড়ুন: বাকৃবিতে ৪০ প্রতিষ্ঠানের অংশগ্রহণে চাকরি মেলা
বাকৃবিতে ন্যাশনাল ক্যারিয়ার কার্নিভ্যাল অনুষ্ঠিত
৫৬৭ দিন আগে
বাংলাদেশের পর্যটন খাতে শ্রীলঙ্কার বিনিয়োগ চান প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উভয় দেশের পারস্পরিক স্বার্থে বাংলাদেশের পর্যটন খাতে শ্রীলঙ্কার বিনিয়োগ কামনা করেছেন।
সোমবার (১০ জুন) সকালে নয়া দিল্লিতে শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট রনিল বিক্রমাসিংহের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎকালে তিনি এ আহ্বান জানান। রবিবার ভারতের নবনির্বাচিত প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির শপথ অনুষ্ঠানে যোগ দেন দুই নেতা।
বৈঠক শেষে পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ সাংবাদিকদের বলেন, ‘বৈঠকে পর্যটন খাতে শ্রীলঙ্কা অনেক এগিয়ে থাকায় খাতটিতে বাংলাদেশে কীভাবে দেশটির বিনিয়োগ আসতে পারে তা নিয়ে আলোচনা হয়।’
তিনি বলেন, দুই নেতা কৃষি ও সামুদ্রিক খাতে পারস্পরিক সহযোগিতার বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন।
আরও পড়ুন: নয়া দিল্লিতে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে জয়শঙ্করের সাক্ষাৎ
হাছান মাহমুদ বলেন, ‘বৈঠকটি ছিল সৌজন্যমূলক সাক্ষাৎ। তবে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের সামগ্রিক দিক নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে।’
শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট তার দেশের সংকটময় সময়ে আর্থিকভাবে সহায়তা করার জন্য বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানান।
শেখ হাসিনা বিক্রমাসিংহেকে বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ জানান।
শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট বলেন, বাংলাদেশ সফরের তার ইচ্ছা আছে। কিন্তু তার দেশ নির্বাচনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে।
পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন এবং প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব নাঈমুল ইসলাম খান এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: ঢাকা-নয়াদিল্লি সম্পর্ক গভীর করার অঙ্গীকার হাসিনা-মোদির: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
৫৬৭ দিন আগে
নয়া দিল্লিতে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে জয়শঙ্করের সাক্ষাৎ
ভারতে সফররত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন দেশটির কেন্দ্রীয় মন্ত্রিপরিষদের মন্ত্রী ও সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুব্রহ্মণ্যম জয়শঙ্কর।
বৈঠক শেষে পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ সাংবাদিকদের বলেন, ‘বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী ও জয়শঙ্কর দুই বন্ধুত্বপূর্ণ দেশের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেছেন।’
তিনি বলেন, তারা আগামী দিনে এই সম্পর্ককে আরও এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেন।
আরও পড়ুন: 'ভারতে স্বাগতম': দিল্লিজুড়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা-মোদির ব্যানার
নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বাধীন তৃতীয় মেয়াদে মন্ত্রিসভার সদস্য নির্বাচিত হওয়ায় জয়শঙ্করকে অভিনন্দন এবং তাকে বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ জানান শেখ হাসিনা।
জয়শঙ্কর বলেন, দুই দেশের সম্পর্ক নতুন উচ্চতায় পৌঁছেছে।
জয়শঙ্করকে উদ্ধৃত করে হাছান মাহমুদ বলেন, ‘আমরা দুই দেশ এই সম্পর্ককে আরও উন্নত করার জন্য কাজ করে যাচ্ছি।’
ব্রিফিংয়ে জ্যৈষ্ঠ পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন এবং প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব নাঈমুল ইসলাম খান উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: মোদির শপথ গ্রহণ: প্রথম ‘সম্মানিত অতিথি’ হিসেবে প্রধানমন্ত্রীকে ভারতের অভ্যর্থনা
৫৬৭ দিন আগে
ঢাকা-নয়াদিল্লি সম্পর্ক গভীর করার অঙ্গীকার হাসিনা-মোদির: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে বিদ্যমান দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক আরও গভীর করার অঙ্গীকার করেছেন দুই দেশে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও নরেন্দ্র মোদি।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ সোমবার সকালে এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে বলেন, 'আগামী দিনগুলোতে বিদ্যমান দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক আরও গভীর হবে বলে দুই নেতা আশা প্রকাশ করেছেন।’
টানা তৃতীয়বারের মতো ভারতের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেওয়ার পর রবিবার ভারত সফররত মোদির সঙ্গে একান্ত বৈঠক করেন শেখ হাসিনা।
আরও পড়ুন: ভুটান থেকে জলবিদ্যুৎ আমদানির আগ্রহ পুনর্ব্যক্ত করেছেন শেখ হাসিনা: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
হাছান মাহমুদ বলেন, অত্যন্ত উষ্ণ ও বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের মধ্যে অনুষ্ঠিত বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে তার সুবিধাজনক সময়ে বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ জানান।
তিনি বলেন, শেখ হাসিনা ও নরেন্দ্র মোদির বিচক্ষণ নেতৃত্বে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক এক নতুন উচ্চতায় আসীন হয়েছে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, দুই নেতা পরে রাষ্ট্রপতি ভবনে রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর দেওয়া ভোজসভায় অংশ নেন।
পরস্পরের প্রতি প্রত্যাশার বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে হাছান মাহমুদ বলেন, 'দুই দেশের মধ্যে অনেক বিষয় জড়িত। একসঙ্গে কাজ করার কিছু সুফল রয়েছে।’
তিনি বলেন, দুই দেশের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের মাধ্যমে যোগাযোগসহ উভয় দেশের জনগণ নানাভাবে উপকৃত হচ্ছে।
তিনি বলেন, 'আমাদের বহুমুখী গভীর সম্পর্ক আরও সম্প্রসারণ হবে এবং এটি আরও গভীর হবে।’
ভারতে বাংলাদেশের হাইকমিশনার মো. মোস্তাফিজুর রহমান এবং প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব এম নাঈমুল ইসলাম খান ব্রিফিংয়ে উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: ক্ষমতার বাইরে থাকা বিএনপি নেতাদের আর সহ্য হচ্ছে না: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
৫৬৭ দিন আগে
আমলকী কমাবে ব্রয়লারের হিট স্ট্রেস, বাড়াবে উৎপাদন
সম্পূর্ণ প্রাকৃতিক উপায়ে ব্রয়লার মুরগির হিট স্ট্রেসের প্রভাব কমাবে আমলকী। এছাড়া আমলকীর নির্যাস বা পাউডার খাবার ও পানির সঙ্গে ব্যবহার করলে উচ্চ তাপমাত্রাতেও ব্রয়লার মুরগির খাবার গ্রহণের পরিমাণ বাড়বে। সেই ব্রয়লার মুরগির উৎপাদনও বাড়বে।
বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) একদল গবেষক এসব তথ্য জানিয়েছেন।
বাকৃবির প্রাণরসায়ন ও অনুপ্রাণ বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. চয়ন গোস্বামী ও পোল্ট্রি বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. বাপন দের তত্ত্বাবধানে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের ফেলোশিপের অর্থায়নে প্রাণরসায়ন ও অনুপ্রাণ বিজ্ঞান বিভাগের প্রভাষক মো. কামরুল হাসান কাজল এই গবেষণা সম্পন্ন করেন।
গবেষকেরা বলেন, ব্রয়লারের হিট স্ট্রেস কমানোর জন্য বিভিন্ন পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়। যেমন সম্পূর্ণ খামারে এয়ার কন্ডিশন বা ভেন্টিলেশনের ব্যবস্থা এবং কিছু সিনথেটিক ড্রাগস ব্যবহার করা। কিন্তু এসব পদ্ধতি উৎপাদন খরচ বাড়িয়ে দেয়, যা আমাদের প্রান্তিক পর্যায়ের খামারিদের জন্য মোটেও লাভজনক নয়। তাই খামারিদের জন্য দীর্ঘস্থায়ী ও টেকসই সমাধান হচ্ছে প্রাকৃতিকভাবে হিট স্ট্রেসের প্রভাব কমানোর উপায় বের করা। এক্ষেত্রে আমলকী অত্যন্ত কার্যকরী বলে দাবি করেন তারা।
তবে ভবিষ্যতে ব্রয়লার মুরগির ক্ষেত্রে আমলকীর ব্যবহার নিয়ে আরও গবেষণার প্রয়োজন রয়েছে বলেও জানান গবেষকরা।
ব্রয়লারের ক্ষেত্রে আমলকীর বিভিন্ন উপকারী দিক সম্পর্কে গবেষকেরা ইউএনবিকে বলেন, ব্রয়লারের খাদ্যের সঙ্গে আমলকীর নির্যাস বা পাউডার মিশিয়ে দিলে খাবার গ্রহণে কোনো সমস্যা দেখা যায় না। কারণ আমলকীর পাউডার খাবারের স্বাদে কোনো পরিবর্তন আনে না। এছাড়া আমলকীর পাউডার ব্রয়লারের ক্ষুধাবর্ধক হিসেবেও কাজ করে।
আমলকীকে অ্যান্টিবায়োটিকের বিকল্প উল্লেখ করে অধ্যাপক বাপন দে বলেন, আমলকী উচ্চমাত্রায় ভিটামিন সি ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ হওয়ায় অ্যান্টিবায়োটিকের বিকল্প হিসেবে ব্যবহার করা যাবে। অ্যান্টিবায়োটিকে পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া থাকলেও আমলকীর পাউডার প্রাকৃতিক হওয়ায় কোনো পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া নেই। এছাড়াও এতে ফাইটোকেমিক্যাল থাকায় তীব্র গরমে ব্রয়লার মুরগির উৎপাদন অব্যাহত রাখতে সহায়তা করে।
তিনি আরও বলেন, গবেষণায় দেখা গেছে আমলকী ব্যবহারে মুরগির পরিপাকতন্ত্রের উপকারী ব্যাকটেরিয়ার পরিমাণ বেড়ে যায় এবং ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়ার পরিমাণ কমে যায়।
উচ্চ তাপমাত্রায় ব্রয়লারের বিরূপ প্রভাব ও আমলকীর মাধ্যমে প্রভাব কমানোর পদ্ধতি সম্পর্কে অধ্যাপক চয়ন গোস্বামী বলেন, দ্রুত বিপাকীয় হার, বৃদ্ধি ও ঘর্মগ্রন্থি না থাকায় ব্রয়লার হিট স্ট্রেসের প্রতি যথেষ্ট সংবেদনশীল। উচ্চ তাপমাত্রায় মুরগির দেহে প্রচুর পরিমাণ ফ্রি রেডিক্যাল ও রিয়েক্টিভ অক্সিজেন স্পিসিস (আরওএস) উৎপন্ন হয়; যা শরীরে আমিষ, লিপিড, ডিএনএ ও শক্তি উৎপাদন হ্রাস করে। কিন্তু আমলকী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ হওয়ায় ফ্রি রেডিক্যাল ও আরওএসের ক্ষতিকর প্রভাবকে কমিয়ে দেয়; যা ওজন বৃদ্ধিতেও সাহায্য করে।
প্রান্তিক পর্যায়ের খামারিদের ব্যবহারের কথা মাথায় রেখে অত্যন্ত সহজ উপায়ে আমলকীর পাউডার বানানো হয় বলে জানান অধ্যাপক চয়ন।
তিনি বলেন, প্রথমে সংগ্রহ করা আমলকী পরিষ্কার করে হালকা রোদে শুকানো হয়েছে। এরপর বীজগুলো ফেলে দিয়ে বাকি অংশ পুনরায় হালকা রোদে শুকিয়ে পাউডার তৈরি করা হয়েছে।
আমলকী পাউডার ব্যবহার পদ্ধতি সম্পর্কে অধ্যাপক চয়ন ইউএনবিকে বলেন, এক কেজি আমলকী থেকে ১৫০ থেকে ১৯০ গ্রাম পর্যন্ত পাউডার পাওয়া যায়। আমরা গবেষণায় শূন্য দশমিক ৫ শতাংশ ও ১ শতাংশ ডোজ দুইটি ব্যবহার করেছি। তাই এক কেজি খাবারের সঙ্গে ৫ অথবা ১০ গ্রাম পাউডার মিশিয়ে খাওয়ানো যাবে।
ভিটামিন সি সমৃদ্ধ অসংখ্য উদ্ভিদ থাকতেও আমলকী কেন ব্যবহার করা হলো এ প্রসঙ্গে অধ্যাপক চয়ন বলেন, অন্যান্য উৎসের তুলনায় আমলকীতে ভিটামিন সির পরিমাণ অনেক বেশি। প্রতি ১০০ গ্রাম আমলকীতে ৫০০ থেকে ৭০০ মিলিগ্রাম পর্যন্ত ভিটামিন সি পাওয়া যায়।
তাছাড়া সাম্প্রতিক সময়ে আমলকির উৎপাদন প্রচুর পরিমাণে বেড়েছে। বাজারে বিভিন্ন ধরনের হাইব্রিড ও দেশীয় প্রজাতির আমলকী পাওয়া যাচ্ছে। এছাড়া কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর আমলকীর মতো বিভিন্ন ওষুধি গাছ লাগানোর প্রকল্পও হাতে নিয়েছে।
উচ্চ তাপমাত্রায় আমলকীর পাউডার ব্যবহারের মাধ্যমে সামগ্রিকভাবে ব্রয়লারের ওজন বৃদ্ধি ও তাপমাত্রাজনিত মৃত্যু হ্রাস পেয়েছে। তবে ভবিষ্যতে ব্রয়লারে আমলকীর ব্যবহার নিয়ে আরও গবেষণার প্রয়োজন রয়েছে উল্লেখ করে অধ্যাপক চয়ন বলেন, ব্রয়লারের হিট স্ট্রেসের প্রভাব কমাতে আমলকীর ফাইটোকেমিক্যালগুলোর মধ্যে কোনটি সক্রিয় উপাদান হিসেবে কাজ করছে তা বের করতে হবে। অন্যান্য অ্যান্টিবায়োটিকের সঙ্গে আমলকীর তুলনামূলক গবেষণা করে দেখতে হবে। ব্রয়লারের কোন অঙ্গে আমলকী কেমন প্রভাব ফেলছে তাও পর্যবেক্ষণ করতে হবে।এই তিনটি বিষয়ে বিশদভাবে গবেষণা করলে পোল্ট্রি খাতে আমলকী অভূতপূর্ব অবদান রাখবে বলে আশা প্রকাশ করেন এই গবেষক।
৫৬৭ দিন আগে
ঢাকার স্ট্রিট ফুডে ব্যাকটেরিয়ার পরিমাণ বেশি হলেও অসুস্থতার হার কম: গবেষণা
সাম্প্রতিক এক গবেষণায় ঢাকায় বিক্রি হওয়া জনপ্রিয় স্ট্রিট ফুডগুলোতে ক্ষতিকারক ব্যাকটেরিয়ার উদ্বেগজনক উপস্থিতি পাওয়া গেছে। তবে এসব স্ট্রিট ফুড গ্রহণকারী বেশিরভাগ লোক অসুস্থ হচ্ছে না।
যুগান্তকারী এই গবেষণার নেতৃত্ব দেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সেন্টার ফর অ্যাডভান্সড রিসার্চ ইন সায়েন্সেসের প্রধান বিজ্ঞানী এবং ফুড, নিউট্রিশন অ্যান্ড এগ্রিকালচার রিসার্চ ল্যাবরেটরির প্রধান ড. মো. লতিফুল বারী।
শনাক্ত করা ব্যাকটিরিয়াগুলো ডায়রিয়াসহ বিভিন্ন গ্যাস্ট্রোইনটেস্টাইনাল সমস্যার কারণ হিসেবে পরিচিত। তবুও গবেষণায় দেখা গেছে, প্রতি ১০ হাজার ভোক্তার মধ্যে কেবল দু'জন ই. কোলি, চারজন সালমোনেলার ও কেবল একজন ভিব্রিওর কারণে অসুস্থ হয়ে পড়েন।
উচ্চ মাত্রার দূষণ সত্ত্বেও, গবেষণায় উল্লেখ করা হয়েছে, রাস্তার এসব খাবার গ্রহণকারী বেশিরভাগ লোক অসুস্থ হচ্ছে না। এর কারণ এখনও অজানা।
'প্রিভেলেন্স অব মাইক্রোবিয়াল হ্যাজার্ডস ইন স্ট্রিট ফুড অ্যান্ড রেডি-টু-ইট সালাদ আইটেম ইন রেস্টুরেন্টস অ্যান্ড দেয়ার প্রবাবল রিস্ক অ্যানালাইসিস' শীর্ষক এই গবেষণা প্রকল্পটি বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের (বিএফএসএ) অর্থায়নে করা হয়েছে।
চটপটি, ছোলা মিশ্রণ, স্যান্ডউইচ, আখের রস, অ্যালোভেরার রস এবং মিশ্র সালাদের মতো আইটেমগুলোতে অত্যধিক পরিমাণে ই. কোলি, সালমোনেলা এসপিপি এবং ভিব্রিও এসপিপি খুঁজে পেয়েছেন গবেষকরা।
ড. বারীর দল ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ৩৭টি জোনের ৪৫০টি নমুনা পরীক্ষা করেন। রবিবার সকালে অনুষ্ঠিত এক সেমিনারে এ ফলাফল প্রকাশ করা হয়।
ড. বারী দূষণের জন্য দূষিত পানি, নোংরা তোয়ালে, অপরিষ্কার হাত ও ধুলাবালি আক্রান্ত পরিবেশকে দায়ী করেছেন। তিনি বিক্রেতাদের স্বাস্থ্য ও স্যানিটেশন সম্পর্কে জ্ঞানের অভাবকে এই সমস্যার একটি উল্লেখযোগ্য কারণ হিসেবে উল্লেখ করেছেন।
খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে স্ট্রিট ফুড বিক্রেতাদের নিয়মিত মনিটরিং ও প্রশিক্ষণের ওপর গুরুত্বারোপ করেন ড. বারী।
তিনি বলেন, ‘বিক্রেতাদের স্বাস্থ্যবিধি অনুশীলনের উন্নতি করা এবং প্রতিদিন এসব তদারকি করা জনসাধারণের জন্য রাস্তার এসব খাবার নিরাপদ করতে প্রয়োজন।’
৫৬৭ দিন আগে
দেশীয় পশু দিয়েই কোরবানি হবে: প্রাণিসম্পদমন্ত্রী
দেশে উৎপাদিত পশু দিয়েই কোরবানি হবে বলে জানিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী মো. আব্দুর রহমান।
রবিবার ঢাকার সাভারে বাংলাদেশ প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউট (বিএলআরআই) আয়োজিত ‘বার্ষিক গবেষণা পরিকল্পনা কর্মশালা-২০২৪’ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা জানান।
তিনি বলেন, এবার দেশীয় পশু দিয়েই কোরবানি হবে। লক্ষ্যমাত্রা থেকে অধিক প্রস্তুতি আমাদের আছে। চোরাচালানের মাধ্যমে কেউ দেশে পশু এনে থাকলে তা অবৈধ বলে বিবেচিত হবে।
প্রাণিসম্পদমন্ত্রী আরও বলেন, রাতের অন্ধকারে কিছু গরু দেশে ঢুকছে বলে অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে, তবে সীমান্ত রক্ষাকারী বাহিনী তাদের চেষ্টা অব্যাহত রেখেছেন।
আরও পড়ুন: চোরাই পথে গরু প্রবেশ ঠেকাতে মনিটরিং করা হচ্ছে: প্রাণিসম্পদমন্ত্রী
তিনি বলেন, রাষ্ট্র কোনোভাবেই কোরবানির জন্য কাউকে পশু আমদানি করার অনুমতি বা বৈধতা দেয়নি।
তিনি বলেন, চোরাচালানের মাধ্যমে যারা দেশে পশু আনছে তারা অবৈধ পথ অবলম্বন করছেন। দেশে কোরবানিতে পশুর চাহিদা আছে ১ কোটি ৭ লাখ যেখানে কোরবানির জন্য প্রস্তুত আছে প্রায় ১ কোটি ৩০ লাখ পশু, যা চাহিদা অনুযায়ী অনেক বেশি।
এর আগে রবিবার সকালে রাজবাড়ীর গোয়ালন্দের দৌলতদিয়া ফেরিঘাটে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে প্রাণিসম্পদমন্ত্রী বলেন, আসন্ন ঈদুল আজহায় দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌ-রুটসহ সারা দেশে চলাচলকারী পশুবাহী ট্রাক থেকে যারা চাঁদা নেবে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
তিনি বলেন, ঘাটে পশুবাহী গাড়ির নজরদারির জন্য লাইভস্টক বিভাগের নেতৃত্বে স্থানীয়ভাবে একটি বিশেষ টিম জরুরি সেবার জন্য নিয়োজিত থাকবে।
এছাড়া বাজারে ক্রেতা-বিক্রেতার সুবিধার জন্য জেলা প্রশাসন ও স্থানীয় প্রশাসনও তদারকি করবে বলে জানান প্রাণিসম্পদমন্ত্রী।
কর্মশালায় বক্তব্যে প্রাণিসম্পদমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউটের বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তারা দেশের সম্পদ, তাদের গবেষণার কারণে দেশের প্রান্তিক খামারি ও কৃষি খাতের ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, মানুষের খাদ্যের গুণগত মান যেমন নিশ্চিত করতে হবে তেমনি পশু খাদ্যেরও গুণগতমান সঠিকভাবে বজায় রাখতে হবে।
পশুর জন্য কোন খাবারটি উপযুক্ত তা গবেষণার মাধ্যমে বের করে আনার জন্য কৃষি বিজ্ঞানীদের প্রতি তিনি এসময় আহ্বান জানান।
এছাড়া গবেষণার মাধ্যমে প্রাণিসম্পদে নতুন নতুন জাত উদ্ভাবন করার জন্য বিজ্ঞানীদের প্রতি আহ্বান আহ্বান জানান তিনি।
বাংলাদেশ প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড. এস এম জাহাঙ্গীর হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত কর্মশালায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব সাঈদ মাহমুদ বেলাল হায়দর।
আরও পড়ুন: মোট জনসংখ্যার প্রায় ২০ শতাংশ প্রাণিসম্পদ খাতের উপর সরাসরি নির্ভরশীল: প্রাণিসম্পদমন্ত্রী
প্রাণিসম্পদ সেবাকে জরুরি সেবা হিসেবে ঘোষণার উদ্যোগ নেওয়া হবে: প্রাণিসম্পদমন্ত্রী
৫৬৭ দিন আগে
ইউএসএইড ট্রেড অ্যাক্টিভিটির সঙ্গে ৭ বিশ্ববিদ্যালয়ের সমঝোতা স্মারক সই
ইন্টিগ্রেটেড সাপ্লাই চেইন ম্যানেজমেন্ট (আইএসসিএম) কোর্স বাস্তবায়নের জন্য ঢাকা ও চট্টগ্রামের ৭টি বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে সমঝোতা স্মারক সই করেছে ফিড দ্য ফিউচার বাংলাদেশ ট্রেড অ্যাক্টিভিটি।
রবিবার (৯ জুন) ঢাকার হোটেল রেনেসাঁতে ইউএসএইড বাংলাদেশের মিশন ডিরেক্টরের উপস্থিতিতে এই সমঝোতা স্মারক সই হয়।
যেসব বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে ইউএসএইড ট্রেড অ্যাক্টিভিটি সমঝোতা স্মারক সই হয়েছে সেগুলো হলো- ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটি, এশিয়ান ইউনিভার্সিটি ফর উইমেন, চট্টগ্রাম ইন্টারন্যশনাল ইউনিভার্সিটি, ইউনিভার্সিটি অব ক্রিয়েটিভ টেকনোলজি, প্রিমিয়ার ইউনিভার্সিটি, ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি চট্টগ্রাম এবং খুলনার নর্দার্ন ইনিভার্সিটি অব বিজনেস অ্যান্ড টেকনোলজি।
এই সমঝোতা স্মারক উন্নত শিক্ষার মাধ্যমে বাংলাদেশের বাণিজ্য লজিস্টিক্স সেক্টরের সক্ষমতা বাড়ানোর ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ।
আইএসসিএম কোর্সটি প্রয়োজনীয় সাপ্লাই চেইন ম্যানেজমেন্ট সম্পর্কিত সব গুরুত্বপূর্ণ বিষয় অন্তর্ভুক্ত করেছে। লজিস্টিক্স সেক্টর সম্পর্কে সম্পূর্ণভাবে ধারণা পেতে শিক্ষার্থী ও পেশাদাররা এই কোর্সে ভর্তি হতে পারবেন। বাংলাদেশে লজিস্টিক্স অপারেশনের দক্ষতা ও কার্যকারিতা বাড়ানোর জন্য এই ধারণা অর্জন করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
ইউএসএইড বাংলাদেশের মিশন ডিরেক্টর বলেছেন, ‘বাংলাদেশিদের ট্রেড লজিস্টিক্স সেক্টরে অন্তর্ভুক্ত করে বাংলাদেশের উন্নয়নের এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক এবং অংশগ্রহণমূলক দৃষ্টিভঙ্গি গড়ে তোলায় শক্তিশালী ভূমিকা পালন করবে, যা ইউএসএইডের যুব উন্নয়নের অগ্রাধিকারের সঙ্গে পুরোপুরি সামঞ্জস্যপূর্ণ।’
বাংলাদেশ ফ্রেইট ফরওয়ার্ডার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি কবির আহমেদ বলেন, ‘সাপ্লাই চেইন ও লজিস্টিক্স সেক্টর বাংলাদেশের অর্থনীতির মেরুদণ্ড। বিশ্বের অন্যান্য দেশের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে বাংলাদেশের অবকাঠামোগত ও ডিজিটাল সম্প্রসারণ চলছে। এই সম্প্রসারণের প্রয়োজন মেটানোর জন্য তরুণদের ট্রেড সেক্টরে ক্যারিয়ার গড়তে এবং বাংলাদেশকে উন্নতির দিকে নিয়ে যাওয়ার জন্য আমাদের প্রয়োজনীয় শিক্ষার ব্যবস্থা করে তাদের প্রস্তুত করতে হবে।’
স্মারক সইয়ের পর বাংলাদেশ শিপিং এজেন্টস অ্যাসোসিয়েশন, বাংলাদেশ ফ্রেইট ফরওয়ার্ডার্স অ্যাসোসিয়েশন, বাংলাদেশ ইনল্যান্ড কন্টেইনার ডিপো অ্যাসোসিয়েশন এবং বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে সাপ্লাই চেইন ও লজিস্টিক্স বিষয়কে শিক্ষাব্যবস্থার মধ্যে অন্তর্ভুক্ত করার প্রয়োজনীয়তা নিয়ে একটি আলোচনা সেশন করা হয়।
ইউএসএইড বাংলাদেশের প্রাইভেট এন্টারপ্রাইজ অফিসার ক্রিস মেজারভি বলেন, ‘আইএসসিএম কোর্সটি বাংলাদেশের লজিস্টিক্স সেক্টরের ভবিষ্যতে একটি কৌশলগত বিনিয়োগের প্রতিনিধিত্ব করে। প্রোগ্রামটির লক্ষ্য টেকসই প্রবৃদ্ধি চালনা করা, একটি গতিশীল, অন্তর্ভুক্তিমূলক কর্মশক্তি গড়ে তোলা এবং বাংলাদেশের লজিস্টিকস সেক্টরের সম্ভাবনাকে আরও বাড়িয়ে তোলা।’
৫৬৭ দিন আগে