বাংলাদেশ
প্রস্তাবিত বাজেট বাস্তবসম্মত ও গণমুখী: কাদের
২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটকে বাস্তবসম্মত ও গণমুখী বলে আখ্যায়িত করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
তিনি বলেন, ‘বর্তমান বৈশ্বিক সংকটকালে একটি গণমুখী বাজেট প্রস্তাব করা হয়েছে। আওয়ামী লীগের নির্বাচনি ইশতেহারে দেওয়া প্রতিশ্রুতি ও অগ্রাধিকারের খাতগুলো বিবেচনায় নিয়ে এই বাজেট প্রণয়ন করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ঈদযাত্রায় অতিরিক্ত ভাড়া আদায় বন্ধে বাস মালিকদের প্রতি আহ্বান কাদেরের
দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণেও বিশেষ নজর দেওয়া হবে বলে জানান তিনি।
বাজেট প্রণয়নে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) কোনো নির্দেশনা অনুসরণ করা হয়েছে কি না সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘শেখ হাসিনার সরকার কারো প্রেসক্রিপশন অনুসরণ করে বাজেট তৈরি করে না।’
এর আগে বৃহস্পতিবার (৬ জুন) বিকাল ৩টা ৪ মিনিটে অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী জাতীয় সংসদে ২০২৪-২৫ অর্থবছরের জন্য ৭ লাখ ৯৭ হাজার কোটি টাকার বাজেট উপস্থাপন করেন।
এটি বর্তমান অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলীর প্রথম বাজেট এবং আওয়ামী লীগ সরকারের ষষ্ঠ মেয়াদের প্রথম বাজেট।
আরও পড়ুন: পলাতক তারেক বিদেশে বিলাসী জীবনযাপন করছে: বেনজীর প্রসঙ্গে মন্তব্য নিয়ে ফখরুলকে কাদের
বিএনপি দুর্নীতি ও লুটপাটের ওস্তাদ: ওবায়দুল কাদের
৫৭০ দিন আগে
১৪ বছরে ১৭৬ দেশে ৯৭ লাখ ৭০ হাজার বাংলাদেশি কর্মী গেছেন
২০০৯ সাল থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত বিশ্বের ১৭৬টি দেশে ১০ লাখ ৮৫ হাজার ১১৭ জন নারী শ্রমিকসহ মোট ৯৭ লাখ ৭০ হাজার ২৫০ জন বাংলাদেশি কর্মে যুক্ত হয়েছেন।
বৃহস্পতিবার (৬ জুন) জাতীয় সংসদে ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট উপস্থাপনকালে অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, ‘বৈদেশিক কর্মসংস্থান বাংলাদেশের অর্থনীতির অন্যতম প্রধান খাত। প্রবাসী কর্মীদের পাঠানো রেমিট্যান্স বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বৃদ্ধি এবং বৈদেশিক সাহায্যের ওপর নির্ভরশীলতা কমিয়ে দেশের অর্থনীতিকে স্বাবলম্বী করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।’
আরও পড়ুন: স্বাস্থ্য খাতে প্রস্তাবিত বাজেটে বরাদ্দ বাড়ছে
তিনি বলেন, ২০০৯-১০ অর্থবছরে রেমিট্যান্সের পরিমাণ ছিল ১০ দশমিক ৯৯ বিলিয়ন ডলার, যা ২০২২-২৩ অর্থবছরে দ্বিগুণ হয়ে ২১ দশমিক ৬১ বিলিয়ন ডলারে দাঁড়িয়েছে।
বৈদেশিক কর্মসংস্থানের মাধ্যমে রেমিট্যান্স প্রবাহ বজায় রাখতে এবং বৈশ্বিক শ্রমবাজারের চাহিদা মেটাতে বিদেশি ভাষা শেখার পাশাপাশি বিভিন্ন কারিগরি প্রশিক্ষণের মাধ্যমে দক্ষতা উন্নয়নের ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়েছে।
২০০৯ সাল থেকে ২০২৩ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের মাধ্যমে মোট ১৩ লাখ ৭০ হাজার ৭০ জনকে বিভিন্ন দক্ষতা উন্নয়ন প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে।
এছাড়া ৪৩টি টেকনিক্যাল ট্রেনিং সেন্টারের (টিটিসি) মাধ্যমে জাপানি, ইংরেজি, কোরিয়ান ও চাইনিজসহ বিভিন্ন বিদেশি ভাষায় প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে।
বাংলাদেশের অর্থনীতিতে বৈদেশিক কর্মসংস্থানের গুরুত্ব বিবেচনা করে ২০২৪-২৫ অর্থবছরে বাণিজ্যভিত্তিক প্রশিক্ষণ নিশ্চিত করার লক্ষ্যে বিদ্যমান ১০৪টি টিটিসি ছাড়াও আরও ৫০টি টিটিসি স্থাপনের পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
এছাড়া 'দেশে ও বিদেশে কর্মসংস্থানের জন্য ড্রাইভিং প্রশিক্ষণ প্রদান' শীর্ষক প্রকল্পটি বিগত ৫ বছরে মোট ১ লাখ ২ হাজার ৪০০ জনকে ড্রাইভিং প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে।
মাহমুদ আলী বলেন, দেশে ফিরে আসা কর্মীদের সহজ শর্তে ঋণ দেওয়ার জন্য সরকার প্রবাসীকল্যাণ ব্যাংককে ৫০০ কোটি টাকা বরাদ্দ দিয়েছে।
এ তহবিল থেকে ২০২৪ সালের মার্চ পর্যন্ত দেশে ফিরে আসা ১২ হাজার ৮৯০ জন প্রবাসী ২৯৩ কোটি ৬৫ লাখ টাকা ঋণ নিয়েছেন।
এছাড়া ২০০৯ সাল থেকে ২০২৪ সালের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বৈধভাবে বিদেশে যাওয়া নিহত প্রবাসী কর্মীদের পরিবারকে আর্থিক অনুদান হিসেবে দেওয়া হয়েছে ১ হাজার ৪৩৬ কোটি ৭৬ লাখ টাকা।
আরও পড়ুন: বাজেট ২৪-২৫: আরও সাশ্রয়ী হবে কিডনি ডায়ালাইসিস
বাজেট ২৪-২৫: দাম বাড়তে পারে যেসব পণ্যের
৫৭০ দিন আগে
বাজেট ২৪-২৫: আরও সাশ্রয়ী হবে কিডনি ডায়ালাইসিস
২০২৪-২৫ অর্থবছরের জাতীয় বাজেটে কিডনি ডায়ালাইসিসের প্রয়োজনীয় উপাদানগুলোর আমদানি শুল্ক কমানোর প্রস্তাব করা হয়েছে। এতে দেশব্যাপী কিডনি ডায়ালাইসিসের ব্যয় কমবে এবং হাজার হাজার রোগীকে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা দেওয়া সম্ভব হবে।
বাজেটে ডায়ালাইসিস ফিল্টার ও ডায়ালাইসিস সার্কিটের আমদানি শুল্ক ১০ শতাংশ থেকে ১ শতাংশে নামিয়ে আনা হয়েছে।
আরও পড়ুন: বাজেট ২০২৪-২৫: প্রাথমিক ও গণশিক্ষা খাতে বরাদ্দ বাড়ছে
বৃহস্পতিবার (৬ জুন) জাতীয় সংসদে বাজেট বক্তৃতায় অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী বলেন, ‘ডায়ালাইসিস ফিল্টার ও ডায়ালাইসিস সার্কিট কিডনি রোগীদের ডায়ালাইসিসের জন্য ব্যবহৃত দুটি অপরিহার্য উপাদান। আমি এই দুই পণ্যের আমদানি শুল্ক ১০ শতাংশ থেকে কমিয়ে ১ শতাংশ করার প্রস্তাব করছি।’
রক্ত থেকে বর্জ্য আইটেম এবং অতিরিক্ত তরল দূর করতে ডায়ালাইসিস ফিল্টার বা ডায়ালাইজার ব্যবহৃত হয়। অন্যদিকে ডায়ালাইসিস মেশিনের মাধ্যমে রক্ত সঠিকভাবে প্রবাহিত হওয়া নিশ্চিত করে ডায়ালাইসিস সার্কিট।
এসব গুরুত্বপূর্ণ পণ্যের ওপর এখন পর্যন্ত ১০ শতাংশ আমদানি শুল্ক আরোপ করা আছে যা সামগ্রিক চিকিৎসা ব্যয়ে প্রভাব ফেলছে।
আরও পড়ুন: ২০২৪-২৫ অর্থবছরে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে বরাদ্দ ৩০ হাজার ৩১৭ কোটি টাকা
জাতীয় বাজেট ২০২৪-২৫ অর্থবছর: জিডিপি প্রবৃদ্ধি ধরা হয়েছে ৬.৭৫ শতাংশ
৫৭০ দিন আগে
বাজেট ২৪-২৫: দাম বাড়তে পারে যেসব পণ্যের
২০২৪-২৫ অর্থবছরের জন্য বাজেট প্রস্তাব পেশ করেছেন অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী।
সে অনুযায়ী আগামী ১ জুলাই থেকে বাড়তে পারে যেসব পণ্যের দাম-
সিগারেট: তিন স্তরের সিগারেটের ওপর ৬৫ দশমিক ৫ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক আরোপের প্রস্তাব করা হয়েছে। ফলে বাড়বে সব ধরনের সিগারেটের দাম।
মোবাইল ফোন: সিম কার্ডের দাম বাড়িয়ে ২০০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৩০০ টাকা করার প্রস্তাব করা হয়েছে। এছাড়াও বাড়বে মোবাইলে কথা বলার ব্যয়। বর্তমানে একজন গ্রাহক ১০০ টাকা রিচার্জ করলে ৭৩ টাকার কথা বলতে পারেন। আর বাকি ২৭ টাকা ভ্যাট ও সম্পূরক শুল্ক বাবদ মোবাইল অপারেটররা কেটে রাখে। প্রস্তাবিত বাজেটে মোবাইল সেবার ওপর ৫ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক বাড়ানো হলে ভোক্তা ৬৯ টাকা ৩৫ পয়সার কথা বলতে পারবে।
আরও পড়ুন: বাজেট ২০২৪-২৫: ব্যয়বহুল হতে যাচ্ছে টেলিকম পরিষেবা
আইসক্রিম: আইসক্রিমে সম্পূরক শুল্ক ৫ থেকে ১০ শতাংশ পর্যন্ত বাড়তে পারে। ফলে বাড়বে আইসক্রিমের দাম।
বৈদ্যুতিক মিটার: প্রি-পেইড মিটার ও অন্যান্য বৈদ্যুতিক মিটারের আমদানি শুল্ক ১৫ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ২৫ শতাংশ করার প্রস্তাব করা হয়েছে। প্রি-পেইড মিটার পার্টস ও অন্যান্য বৈদ্যুতিক মিটার যন্ত্রাংশের আমদানি শুল্ক ১০ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ১৫ শতাংশ করার সুপারিশ করা হয়েছে।
পানির ফিল্টার: বাসা-বাড়িতে ব্যবহৃত পানির ফিল্টার আমদানিতে শুল্ক বাড়ানো হচ্ছে। দেশে উৎপাদনের কারণে পানির ফিল্টার আমদানিতে শুল্ক ১০ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ১৫ শতাংশ করা হচ্ছে।
শুল্কমুক্ত গাড়ি: বর্তমানে সংসদ সদস্যরা শুল্কমুক্ত সুবিধা দিয়ে গাড়ি আমদানি করতে পারেন। সংসদ সদস্যদের গাড়ি আমদানিতে ২৫ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক ও ১৫ শতাংশ ভ্যাট আরোপের প্রস্তাব করা হয়েছে।
কোমল পানীয়-এনার্জি ড্রিংকস: কোমল পানীয়, কার্বনেটেড বেভারেজ, এনার্জি ড্রিংকসের ওপর ভ্যাট ৫ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ১০ শতাংশ করা হতে পারে। এ ছাড়া কার্বনেটেড পানীয়ের ওপর ন্যূনতম কর আরও ২ থেকে ৫ শতাংশ বাড়ানো হতে পারে। ফলে এসব পণ্য বেশি দামে কিনতে হবে।
কাজু বাদাম: দেশে কাজু বাদাম চাষকে গুরুত্ব দিতে খোসাযুক্ত কাজু বাদাম আমদানিতে শুল্ক ৫ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ১০ শতাংশ করা হচ্ছে। এতে কাজু বাদামের দাম বাড়তে পারে।
এসি: বিলাসিতা পণ্য হিসেবে বিবেচনা করে দেশে এসি উৎপাদনে ব্যবহৃত কম্প্রেসর ও সব ধরনের উপকরণের ওপর ভ্যাট ৫ থেকে বাড়িয়ে সাড়ে ৭ শতাংশ করা হচ্ছে। তাই এসির দাম বাড়তে পারে। এসি বিক্রিতে ভ্যাট ৫ শতাংশ বেড়ে ৭ দশমিক ৫ শতাংশ হওয়ায় ফ্রিজ উৎপাদনে খরচ বাড়বে।
এলইডি বাল্ব: এলইডি বাল্ব ও এনার্জি সেভিং বাল্ব উৎপাদনের জন্য উপকরণ আমদানিতে ১০ শতাংশ শুল্ক বাড়ায় এলইডি বাল্বের দাম বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে।
সিএনজি-এলপিজিতে রূপান্তর ব্যয়: গাড়ির সিএনজি-এলপিজি রূপান্তরে ব্যবহৃত কিট, সিলিন্ডার ও অন্যান্য যন্ত্রপাতি ও যন্ত্রাংশ আমদানিতে শুল্ক ৩ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৫ শতাংশ করা হচ্ছে। এই কারণে গাড়ি রূপান্তর ব্যয়বহুল হয়ে উঠতে পারে।
আরও পড়ুন: ২০২৩-২৪ অর্থবছরের সংশোধিত বাজেটে সরকারি ব্যয় কমেছে ৪৭ হাজার ৩৬৭ কোটি টাকা
বাজেট ২০২৪-২৫: প্রাথমিক ও গণশিক্ষা খাতে বরাদ্দ বাড়ছে
৫৭০ দিন আগে
স্বাস্থ্য খাতে প্রস্তাবিত বাজেটে বরাদ্দ বাড়ছে
ধুঁকতে থাকা স্বাস্থ্য খাতের জন্য ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেটে সামান্য বরাদ্দ বাড়ানোর প্রস্তাব করেছেন অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী।
বৃহস্পতিবার (৬ জুন) জাতীয় সংসদে বাজেট উপস্থাপনকালে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘২০২৪-২৫ অর্থবছরে স্বাস্থ্যসেবা, স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবারকল্যাণের অগ্রগতি বজায় রাখতে ৪১ হাজার ৪০৭ কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব করছি।’
২০২৩-২৪ অর্থবছরে এই খাতে বরাদ্দ ৩৮ হাজার ৫১ কোটি টাকা ছিল বলে জানান তিনি।
আরও পড়ুন: বাজেট ২০২৪-২৫: স্বাস্থ্য খাতে বরাদ্দ ৪১ হাজার ৪০৭ কোটি টাকা
নতুন বরাদ্দে মোট বাজেটের ৫ দশমিক ২ শতাংশ পেয়েছে স্বাস্থ্য খাত এবং তা জিডিপির শূন্য দশমিক ৭ শতাংশ।
অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘সর্বজনীন স্বাস্থ্য ও পুষ্টি নিশ্চিত করা আমাদের সরকারের অন্যতম মূলনীতি। আমরা এই নীতি বাস্তবায়নের জন্য কাজ করছি। বিশেষ করে, আমরা জনসাধারণকে সাশ্রয়ী মূল্যের স্বাস্থ্য, পুষ্টি ও পরিবারকল্যাণ পরিষেবা প্রদানের মাধ্যমে একটি সুস্থ, শক্তিশালী ও প্রাণবন্ত জনসংখ্যা গড়ে তুলতে নিরলসভাবে কাজ করছি।’
তিনি বলেন, ইতোমধ্যে স্বাস্থ্য, পুষ্টি ও পরিবারকল্যাণ খাতের উন্নয়নে প্রশংসনীয় অগ্রগতি অর্জন করেছে সরকার।
‘সম্পদের সীমাবদ্ধতা থাকা সত্ত্বেও বাংলাদেশ স্বাস্থ্য-সম্পর্কিত এমডিজি লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে উল্লেখযোগ্য সাফল্য দেখিয়েছে। এর মাধ্যমে অনুপ্রাণিত হয়ে, আমরা ২০৩০ সালের মধ্যে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্য (এসডিজি) এবং ২০৪১ সালের মধ্যে পরিপ্রেক্ষিত পরিকল্পনার লক্ষ্য অর্জন এবং স্মার্ট স্বাস্থ্য পরিষেবা নিশ্চিত করার জন্য কাজ করছি।’
গত দেড় দশকে স্বাস্থ্য খাতে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতির কথা তুলে ধরে মন্ত্রী বলেন, ‘২০০৭ সালে লাখপ্রতি মাতৃমৃত্যুর হার ছিল ৩৫১ জন, যা বর্তমানে ১৩৬ জনে নেমে এসেছে।’
তিনি বলেন, ২০০৭ সালে পাঁচ বছরের কম বয়সী শিশুমৃত্যুর হার ছিল প্রতি হাজারে ৬০ জন, যা বর্তমানে ৩৩ জনে নেমে এসেছে। ওই বছর নবজাতক মৃত্যুর হার ছিল প্রতি হাজারে ২৯টি, যা বর্তমানে কমে ২০-এ দাঁড়িয়েছে। ২০০৭ সালে দেশের মানুষের গড় আয়ু ছিল ৬৬ দশমিক ৬ বছর, যা এখন ৭২ দশমিক ৩ বছরে উন্নীত হয়েছে।
তিনি জানান, বিভিন্ন গুরুতর ছোঁয়াচে রোগ থেকে নারী ও শিশুদের রক্ষায় সম্প্রসারিত টিকাদান কর্মসূচি (ইপিআই) অব্যাহত রেখেছে সরকার।
এছাড়া স্বাস্থ্য খাতে ডিজিটালাইজেশনের ক্ষেত্রেও উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হয়েছে বলে জানান তিনি। বলেন, ‘জাতীয় পর্যায়ের স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠান ও হাসপাতাল থেকে শুরু করে কমিউনিটি ক্লিনিক ও গ্রামীণ স্বাস্থ্যকর্মীদের ইন্টারনেট সংযোগসহ কম্পিউটার, ল্যাপটপ ও ট্যাবলেট সরবরাহ করা হয়েছে। সব নাগরিককে অভিন্ন স্বাস্থ্য পরিচয়পত্রসহ স্বাস্থ্যকার্ড দেওয়ার মাধ্যমে একটি ইলেকট্রনিক স্বাস্থ্য ডাটাবেস তৈরি করা হচ্ছে।’
আরও পড়ুন: বাজেট ২০২৪-২৫: স্বাস্থ্য খাতে বরাদ্দ ৪১ হাজার ৪০৭ কোটি টাকা
স্বাস্থ্যসেবার মান উন্নয়নের জন্য আধুনিক ও মানসম্মত স্বাস্থ্য শিক্ষা অপরিহার্য উল্লেখ করে মাহমুদ আলী বলেন, ‘মেডিকেল ও নার্সিং শিক্ষা এবং শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো উন্নত ও আধুনিকায়ন করা হচ্ছে।’
‘মেডিকেলের সমস্ত স্নাতকোত্তর ডিগ্রিকে এক প্ল্যাটফর্মের অধীনে আনার জন্য পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। এছাড়া পরীক্ষা পদ্ধতির আধুনিকীকরণ করা এবং শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ দেওয়ার মতো পরিকল্পনাগুলো উল্লেখযোগ্য।’
গত ১৫ বছরে মেডিকেল ইনস্টিটিউটের সংখ্যা এবং আসন উভয়ই উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, ২০০৮ সালে দেশে মাত্র ৫৯টি মেডিকেল কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় ছিল, যা এখন বেড়ে ১১১টি হয়েছে। এছাড়া ১৩টি ডেন্টাল কলেজ ও ইউনিট থেকে বেড়ে ৩৫টি হয়েছে।
মন্ত্রী বলেন, “ওষুধের মৌলিক ও ফলিত গবেষণার অবকাঠামো তৈরি, গবেষণা কার্যক্রম পরিচালনা, স্বাস্থ্য খাতে উদ্ভাবনের সক্ষমতা বৃদ্ধি ইত্যাদির জন্য ‘সমন্বিত স্বাস্থ্যবিজ্ঞান গবেষণা ও উন্নয়ন তহবিলে’ বরাদ্দ দেওয়া হচ্ছে।’
অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘আগামী বাজেটে আমি এই খাতে ১০০ কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব করছি। ভবিষ্যতের চাহিদা মেটাতে স্বাস্থ্যসেবা খাতে বেশ কিছু উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। বিশেষায়িত ও দক্ষ জনশক্তি (মেডিকেল টেকনিশিয়ান, বিশেষজ্ঞ ইত্যাদি) তৈরির লক্ষ্যে বিশেষ প্রশিক্ষণ সামগ্রী প্রস্তুত করা হয়েছে, যারা বিশেষ প্রযুক্তি বা ডিভাইস, অপারেশন ও অন্যান্য দরকারি কার্যক্রম পরিচালনার জন্য নিযুক্ত থাকবেন।’
আরও পড়ুন: বাজেট ২০২৪-২৫: প্রাথমিক ও গণশিক্ষা খাতে বরাদ্দ বাড়ছে
৫৭০ দিন আগে
২০২৩-২৪ অর্থবছরের সংশোধিত বাজেটে সরকারি ব্যয় কমেছে ৪৭ হাজার ৩৬৭ কোটি টাকা
২০২৩-২৪ অর্থবছরের সংশোধিত বাজেটে সরকারি ব্যয় ৪৭ হাজার ৩৬৭ কোটি টাকা কমেছে।
বাজেট বক্তৃতায় বিদায়ী ২০২৩-২৪ অর্থবছরের সংশোধিত বাজেটে সরকারি ব্যয়ের অঙ্ক পুনর্বিন্যাস করে ৭ লাখ ১৪ হাজার ৪১৮ কোটি টাকায় নামিয়ে আনেন অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী। যা ধরা হয়েছিল ৭ লাখ ৬১ হাজার ৭৮৫ কোটি টাকা।
আরও পড়ুন: বাজেট ২০২৪-২৫: ১৫ শতাংশ কর দিয়ে বৈধ করা যাবে অপ্রদর্শিত স্থাবর সম্পদ
তবে এপ্রিল পর্যন্ত সার্বিক সরকারি ব্যয় বিবেচনায় তা ৪৭ হাজার ৩৬৭ কোটি টাকা কমানোর প্রস্তাব করা হয়, যা ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেট নথিতে উল্লেখ করা হয়েছে।
এর মধ্যে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে মূল বরাদ্দ ১৮ হাজার কোটি টাকা কমিয়ে ২ লাখ ৪৫ হাজার কোটি টাকা করার প্রস্তাব করা হয়েছে।
২০২৩-২৪ অর্থবছরের বাজেটে ঘাটতি ধরা হয়েছিল ২ লাখ ৬১ হাজার ৭৮৫ কোটি টাকা। সংশোধিত বাজেটে ঘাটতি প্রস্তাব করা হয়েছে ২ লাখ ৩৬ হাজার কোটি টাকা, যা জিডিপির ৪ দশমিক ৭ শতাংশ। উল্লেখ্য, মূল বাজেটে ঘাটতি ধরা হয়েছিল জিডিপির ৫ দশমিক ২ শতাংশ।
সংশোধিত বাজেটে মোট ঘাটতির মধ্যে অভ্যন্তরীণ উৎস থেকে ১ লাখ ৫৬ হাজার কোটি টাকা এবং বৈদেশিক উৎস থেকে ৭৯ হাজার ৭৯৩ কোটি টাকা অর্থায়নের প্রস্তাব করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: বাজেট ২০২৪-২৫: প্রাথমিক ও গণশিক্ষা খাতে বরাদ্দ বাড়ছে
বাজেট ২০২৪-২৫: ব্যয়বহুল হতে যাচ্ছে টেলিকম পরিষেবা
৫৭০ দিন আগে
বাজেট ২০২৪-২৫: প্রাথমিক ও গণশিক্ষা খাতে বরাদ্দ বাড়ছে
২০২৪-২৫ অর্থবছরের জাতীয় বাজেটে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা খাতে ৩৮ হাজার ৮১৯ কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব করেছে সরকার।
বৃহস্পতিবার (৬ জুন) জাতীয় সংসদ ভবনে ২০১৯-২০ অর্থবছরের বাজেট উপস্থাপনকালে অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী এ বরাদ্দের প্রস্তাব করেন।
গত বছর ২০২৩-২৪ অর্থবছরে এ খাতে ৩৪ হাজার ৭২২ কোটি টাকা বরাদ্দ দিয়েছিল সরকার।
বাজেট উপস্থাপনের সময় মন্ত্রী বলেন, ‘শিক্ষার প্রাথমিক স্তরে শিশুর জ্ঞানের ভিত্তি তৈরি হয়। তাই জাতীয় উন্নয়নে প্রাথমিক শিক্ষার প্রভাব তাৎপর্যপূর্ণ এবং এটি টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিত করার অন্যতম প্রধান পদক্ষেপ।’
আরও পড়ুন: ২০২৪-২৫ অর্থবছরে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে বরাদ্দ ৩০ হাজার ৩১৭ কোটি টাকা
এর পরিপ্রেক্ষিতে প্রাথমিক শিক্ষার উন্নয়নে চলমান কার্যক্রম গতিশীল করার পাশাপাশি এ খাতের উন্নয়নে নতুন নতুন কার্যক্রম গ্রহণ করা হবে।
তিনি বলেন, শিক্ষার মান নিশ্চিত করতে এবং শিক্ষক-শিক্ষার্থীর অনুপাত বৃদ্ধির লক্ষ্যে ২০০৯ থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত ২ লাখ ৩৮ হাজার ৫৭৯ জন শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া হয়েছে এবং ২৬ হাজার ৩৬৬টি নতুন সহকারী শিক্ষকের পদ সৃষ্টি করা হয়েছে।
ফলে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীর অনুপাত যেখানে ২০০৬ সালে প্রতি ৫২ জন শিক্ষার্থীর বিপরীতে ১ জন শিক্ষক ছিল, ২০২২ সালে এসে তা প্রতি ৩৩ জন শিক্ষার্থীর জন্য ১ জনে উন্নীত হয়েছে।
এছাড়াও প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য ৫টি কোর ও ৩টি নন-কোর বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে।
এছাড়া ইংরেজি ও গণিত এবং অন্যান্য ২৭টি বিষয়ে ৫ লাখ ৩৭ হাজার শিক্ষককে বিষয়ভিত্তিক প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, শিক্ষকদের প্রশিক্ষণের জন্য ৬৭টি পিটিআইতে অত্যাধুনিক প্রযুক্তির আইসিটি ল্যাব স্থাপন করা হয়েছে।
মন্ত্রী বলেন, 'দারিদ্র্যপীড়িত এলাকায় স্কুল ফিড' শীর্ষক প্রকল্পের মাধ্যমে দেশের ১০৪টি উপজেলার ১৫ হাজার ৪৭০টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ২৭ লাখের বেশি শিক্ষার্থীর জন্য চলমান স্কুল ফিডিং কর্মসূচি সম্প্রতি সম্পন্ন হয়েছে।’
এরই ধারাবাহিকতায় দেশের ১৫০টি উপজেলা থেকে সব প্রাথমিক বিদ্যালয়ে 'স্কুল ফিডিং কর্মসূচি' চালুর লক্ষ্য নিয়ে একটি প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। সুচিন্তিত সরকারি নীতির ফলে প্রাথমিক শিক্ষায় নিট ভর্তির হার ২০০৯ সালের ৯০ দশমিক ৮ শতাংশ থেকে বেড়ে ২০২২ সালে ৯৭ দশমিক ৫৬ শতাংশে উন্নীত হয়েছে।
একই সময়ে ২০০৯ সালে প্রাথমিক শিক্ষায় ঝরে পড়ার হার ছিল ৪৫ দশমিক ১ শতাংশ, যা ২০২২ সালে ১৩ দশমিক ৯৫ শতাংশে নেমে এসেছে।
পাশাপাশি জাতীয় প্রাথমিক শিক্ষা কাঠামো আধুনিকায়ন ও এর মূল্যায়ন ব্যবস্থার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ১ লক্ষাধিক ল্যাপটপ, মাল্টিমিডিয়া প্রজেক্টর, ইন্টারনেটসহ সাউন্ড সিস্টেম বিতরণ এবং মাল্টিমিডিয়া ক্লাসরুম চালু করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: সংসদে ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেট উপস্থাপন শুরু করেছেন অর্থমন্ত্রী
জাতীয় বাজেট ২০২৪-২৫ অর্থবছর: জিডিপি প্রবৃদ্ধি ধরা হয়েছে ৬.৭৫ শতাংশ
৫৭০ দিন আগে
বাজেট ২০২৪-২৫: ব্যয়বহুল হতে যাচ্ছে টেলিকম পরিষেবা
২০২৪-২০২৫ অর্থবছরের প্রস্তাবিত জাতীয় বাজেটে মোবাইল ফোনের সিমনির্ভর সেবার ওপর সম্পূরক শুল্ক ১৫ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ২০ শতাংশ করায় টেলিযোগাযোগ সেবা ব্যয়বহুল হবে।
বৃহস্পতিবার (৬ জুন) বিকালে জাতীয় সংসদে ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট উপস্থাপন করেন অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী।
অর্থমন্ত্রী তার প্রথম বাজেট বক্তৃতায় বলেন, 'আমি শুধু সিম/রুইম কার্ড সমর্থিত মোবাইল টেলিকম সার্ভিসের (সার্ভিস কোড এস০১২.১০) ওপর বিদ্যমান ১৫ শতাংশের পরিবর্তে ২০ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক নির্ধারণের প্রস্তাব করছি।’
আরও পড়ুন: বাজেট ২০২৪-২৫: স্বাস্থ্য খাতে বরাদ্দ ৪১ হাজার ৪০৭ কোটি টাকা
এছাড়া প্রতিটি সিম বা ই-সিম কার্ড সরবরাহের ক্ষেত্রে বিদ্যমান ভ্যাটের পরিমাণ ২০০ টাকার পরিবর্তে ৩০০ টাকা মূল্য সংযোজন কর (ভ্যাট) নির্ধারণের প্রস্তাব করেন তিনি।
অর্থমন্ত্রী বলেন, ইন্টারনেটের খরচ উল্লেখযোগ্যভাবে কমিয়ে ওয়েবভিত্তিক কর্মসংস্থান ও ব্যবসার সুযোগ বাড়ানো হয়েছে। ২০০৮ সালে ১ এমবিপিএস ফিক্সড ইন্টারনেট ব্যান্ডউইথের সর্বনিম্ন খরচ ছিল ২৭ হাজার টাকা, এখন যেখানে তা মাত্র ৬০ টাকা। এসব সুবিধা গ্রামাঞ্চলে পৌঁছে দিতে স্বল্প খরচে ইউনিয়ন পর্যায়ে উচ্চগতির ইন্টারনেট ব্যবস্থা বাড়ানো হয়েছে।
আবুল হাসান মাহমুদ আলী আরও বলেন, মোবাইলে ফিন্যান্সিয়াল ওয়ালেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা ১২ কোটি ছাড়িয়ে গেছে। দেশজুড়ে ৯ হাজারের বেশি ডিজিটাল সেন্টার, প্রায় সাড়ে ৮ হাজার পোস্ট ই-সেন্টার এবং ৫ হাজার ৩৪৪ জন নারীসহ ১৬ হাজারের বেশি উদ্যোক্তার মাধ্যমে নাগরিকরা প্রয়োজনীয় সব ডিজিটাল সেবা নিতে পারছে।
এছাড়াও নাগরিকদের সুবিধাজনকভাবে পরিষেবাগুলো পাওয়ার সুযোগ করে দিতে ২ হাজার ৪০০টিরও বেশি পরিষেবাকে ডিজিটালাইজড করা হয়েছে।
অর্থমন্ত্রী বলেন, ইন্টারনেটের সহজলভ্যতা ২০০৮ সালে ৪০ লাখ থেকে ২০২৪ সালের জানুয়ারির শেষে প্রায় ১২.৯২ কোটিতে উন্নীত হয়েছে। এই সময়ে বাংলাদেশে ইন্টারনেট ব্যবহার ২০০৮ সালের মাত্র ২.৭ শতাংশ থেকে বেড়ে ৭৫.১২ শতাংশে উন্নীত হয়েছে বলে জানান তিনি।
আরও পড়ুন: বাজেট ২০২৪-২৫: ১৫ শতাংশ কর দিয়ে বৈধ করা যাবে অপ্রদর্শিত স্থাবর সম্পদ
২০২৪-২৫ অর্থবছরে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে বরাদ্দ ৩০ হাজার ৩১৭ কোটি টাকা
৫৭০ দিন আগে
বাজেট ২০২৪-২৫: ১৫ শতাংশ কর দিয়ে বৈধ করা যাবে অপ্রদর্শিত স্থাবর সম্পদ
কোম্পানি ও ফার্মসহ বাংলাদেশের করদাতারা এখন আয়ের উৎস সম্পর্কে কোনো প্রশ্নের মুখোমুখি না হয়ে স্থাবর সম্পত্তির উপর ১৫ শতাংশ কর দিয়ে অপ্রদর্শিত সম্পদকে বৈধ করতে পারবেন।
২০২৪-২৫ অর্থবছরের জন্য প্রযোজ্য নতুন বিধানটি ব্যক্তি এবং সংস্থাগুলোকে যাচাই-বাছাই ছাড়াই পূর্বে অপ্রদর্শিত সম্পদ ঘোষণার মাধ্যমে বৈধ করার অনুমতি দেয়। বিশেষত, কোনো করদাতা যদি নগদ, ব্যাংক আমানত, আর্থিক সিকিউরিটিজ বা অন্যান্য ধরনের সম্পদের উপর ১৫ শতাংশ কর দেন, তাহলে কোনো কর্তৃপক্ষ প্রশ্ন তুলবে না।
আরও পড়ুন: জাতীয় বাজেট ২০২৪-২৫ অর্থবছর: জিডিপি প্রবৃদ্ধি ধরা হয়েছে ৬.৭৫ শতাংশ
তাদের সম্পদ বৈধ বা সাদা করতে করদাতাদের অবশ্যই জমি, বিল্ডিং, ফ্ল্যাট বা বাণিজ্যিক স্থানের মতো সম্পত্তিগুলোতে নির্দিষ্ট পরিমাণ কর দিতে হবে।
অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী বলেছেন, ডাটা ভেরিফিকেশন সিস্টেম চালুর ফলে বিভিন্ন কোম্পানির অপ্রদর্শিত আয় ও সম্পদ প্রকাশে আইনি জটিলতা তৈরি হয়েছে।
রিটার্ন দাখিলের ক্ষেত্রে করদাতাদের অজ্ঞতাসহ ‘অনিবার্য পরিস্থিতির’ সম্পদ প্রকাশের ক্ষেত্রে ‘ত্রুটি’ হতে পারে বলে উল্লেখ করেন তিনি।
আরও পড়ুন: বাজেট ২০২৪-২৫: স্বাস্থ্য খাতে বরাদ্দ ৪১ হাজার ৪০৭ কোটি টাকা
২০২৪-২৫ অর্থবছরে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে বরাদ্দ ৩০ হাজার ৩১৭ কোটি টাকা
৫৭০ দিন আগে
২০২৪-২৫ অর্থবছরে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে বরাদ্দ ৩০ হাজার ৩১৭ কোটি টাকা
২০২৪-২৫ অর্থবছরে দেশের বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে বরাদ্দ এসেছে ৩০ হাজার ৩১৭ কোটি টাকা, যা আগের ২০২৩-২৪ অর্থবছরে ছিল ৩৪ হাজার ৮১৯ কোটি টাকা।
বাজেটে প্রস্তাবিত বরাদ্দ উপস্থাপনকালে অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী বলেন, উৎপাদনের অন্যতম প্রধান খাত বিদ্যুৎ।
তিনি আরও বলেন, 'আমাদের সরকার বিদ্যুৎ খাতের উন্নয়নে সবচেয়ে বেশি ও সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিচ্ছে এবং উৎপাদন, সঞ্চালন ও বিতরণ ব্যবস্থার উন্নয়নে বিভিন্ন প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে।’
অর্থমন্ত্রী বলেন, সরকার শতভাগ জনগোষ্ঠীকে বিদ্যুতের আওতায় এনেছে এবং বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা ২০৩০ সালের মধ্যে ৪০ হাজার মেগাওয়াট এবং ২০৪১ সালের মধ্যে ৬০ হাজার মেগাওয়াটে উন্নীত করার পরিকল্পনা করেছে।
তিনি আরও জানান, গ্রিডের আধুনিকায়ন করে বিদ্যুৎ সঞ্চালন লাইন ২৪ হাজার সার্কিট কিলোমিটারে উন্নীত করার পরিকল্পনা রয়েছে। এছাড়া সরকার বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের সমন্বিত মহাপরিকল্পনার অংশ হিসেবে ইন্টিগ্রেটেড এনার্জি অ্যান্ড পাওয়ার মাস্টার প্ল্যান (আইইপিএমপি) প্রণয়ন করেছে।
আরও পড়ুন: সংসদে ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেট উপস্থাপন শুরু করেছেন অর্থমন্ত্রী
বিদ্যুৎ খাতে বাজেট উপস্থাপনকালে অর্থমন্ত্রী আরও উল্লেখ করেন, ২০০৯ সালে বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা ছিল মাত্র ৪ হাজার ৯৪২ মেগাওয়াট, যা বর্তমানে ৩০ হাজার ২৭৭ মেগাওয়াটে উন্নীত হয়েছে (ক্যাপটিভ ও নবায়নযোগ্য জ্বালানিসহ)। বর্তমানে ৯ হাজার ১৪৪ মেগাওয়াট ক্ষমতার ২৭টি বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণাধীন রয়েছে।
বিদ্যুৎ উৎপাদনের দীর্ঘমেয়াদি মহাপরিকল্পনার অংশ হিসেবে আঞ্চলিক ও উপ-আঞ্চলিক সহযোগিতা কর্মসূচির আওতায় ২০৪১ সালের মধ্যে প্রতিবেশী দেশগুলো থেকে প্রায় ৯ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আমদানির পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। পাশাপাশি মোট বিদ্যুৎ উৎপাদনের ৪০ শতাংশ নবায়নযোগ্য জ্বালানি থেকে উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।
অর্থমন্ত্রী বলেন, ভারত থেকে গ্রিড আন্তঃসংযোগের মাধ্যমে ১ হাজার ১৬০ মেগাওয়াট এবং কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে ১ হাজার ৬০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ বাংলাদেশের জাতীয় গ্রিডে সরবরাহ করা হচ্ছে।
আরই ও প্রি-পেইড মিটারের জন্য বিশেষ বরাদ্দ
২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত, সমৃদ্ধ, স্মার্ট ও টেকসই বাংলাদেশ বিনির্মাণে নবায়নযোগ্য জ্বালানির গুরুত্ব বিবেচনা করে এর উন্নয়ন ও ব্যবহারকে উৎসাহিত করতে ১০০ কোটি টাকার বিশেষ বরাদ্দের প্রস্তাব করেছেন অর্থমন্ত্রী।
বিদ্যুৎ উৎপাদন ও সঞ্চালনের পাশাপাশি এ খাতে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি বাড়াতে স্মার্ট প্রি-পেইড/স্মার্ট মিটার স্থাপন কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে।
জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ
দেশে নিরাপদ ও পর্যাপ্ত জ্বালানি সরবরাহ নিশ্চিত করতে সরকার নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে বলে জানান অর্থমন্ত্রী।
তিনি আরও বলেন, ২০০৯ সালের জানুয়ারিতে আমাদের গ্যাসের উৎপাদন ছিল দৈনিক ১ হাজার ৭৪৪ মিলিয়ন ঘনফুট, যা বর্তমানে বেড়ে প্রায় ২ হাজার ১০০ মিলিয়ন ঘনফুটে উন্নীত হয়েছে।
আরও পড়ুন: বাজেট ২০২৪-২৫: স্বাস্থ্য খাতে বরাদ্দ ৪১ হাজার ৪০৭ কোটি টাকা
এছাড়া প্রতিদিন প্রায় ১ হাজার থেকে ১ হাজার ৫০ মিলিয়ন ঘনফুট এলএনজি জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হচ্ছে।
দেশের মোট বাণিজ্যিক জ্বালানির ৫৪ থেকে ৫৯ শতাংশ আসে প্রাকৃতিক গ্যাস থেকে। বর্তমানে আবিষ্কৃত গ্যাসক্ষেত্রের সংখ্যা ২৯টি, যার মধ্যে ২০টি উৎপাদনে রয়েছে। দেশের ক্রমবর্ধমান গ্যাসের চাহিদা মেটাতে উপকূলীয় এলাকায় তেল/গ্যাস অনুসন্ধান ও উত্তোলনের জন্য ২০২৩ সালের জানুয়ারি থেকে ২০২৫ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে পেট্রোবাংলার আওতায় ৪৮টি কূপ খননকাজের পরিকল্পনা করেছে বাপেক্স।
অফশোর গ্যাস অনুসন্ধান
বাংলাদেশের স্বার্থ ক্ষুণ্ন না করে এবং প্রতিবেশী বিভিন্ন দেশের উৎপাদন বণ্টন চুক্তির আলোকে বিদ্যমান 'অফশোর মডেল-পিএসসি ২০১৯'কে আরও আকর্ষণীয় করে বাংলাদেশ অফশোর মডেল প্রোডাকশন শেয়ারিং কন্ট্রাক্ট (পিএসসি)-২০২৩ প্রণয়ন করা হয়েছে।
এ চুক্তির আওতায় অগভীর সমুদ্রের ৯টি ব্লক ও গভীর সমুদ্রের ১৫টি ব্লকে তেল-গ্যাস অনুসন্ধান ও উত্তোলনের জন্য আন্তর্জাতিক কোম্পানি নিয়োগ করতে 'বাংলাদেশ অফশোর বিডিং রাউন্ড-২০২৪' শুরু করা হয়েছে। আশা করা হচ্ছে, চলতি বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে গভীর ও অগভীর সমুদ্রের পিএসসি সই হবে।
এছাড়া জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের অধীনে সামুদ্রিক খনিজ ও অন্যান্য সম্পদের সর্বোত্তম ব্যবহারের লক্ষ্যে ‘ব্লু ইকোনমি’ সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়/বিভাগের কার্যক্রম সমন্বয়ের লক্ষ্যে ব্লু ইকোনমি সেল কাজ করছে।
সামুদ্রিক সম্পদ আহরণ ও এর সুষ্ঠু ব্যবহারের গুরুত্ব বিবেচনা করে এ খাতে গবেষণা ও উন্নয়ন কার্যক্রমের জন্য বাজেটে ১০০ কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: জাতীয় বাজেট ২০২৪-২৫ অর্থবছর: জিডিপি প্রবৃদ্ধি ধরা হয়েছে ৬.৭৫ শতাংশ
৫৭০ দিন আগে