রাজনীতি
পিলখানা বিদ্রোহের বিচার দীর্ঘায়িত হওয়ায় প্রশ্ন তুলেছে বিএনপি
পিলখানা বিদ্রোহ মামলার দীর্ঘসূত্রিতা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে বিএনপি।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আবদুল মঈন খানের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল সকালে বনানী সামরিক কবরস্থানে বিদ্রোহে নিহতদের কবরে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
তিনি বলেন, ‘পিলখানা হত্যাকাণ্ড মামলার রায়ের কথা আমরা শুনেছি, কিন্তু রায়ের অবস্থা কী? রায়ে কি কোনো আপিল হয়েছে, আর ১৫ বছরেও শুনানি শেষ হয়নি কেন? এছাড়া ২০১১ সালে আরেকটি বিস্ফোরক মামলা দায়ের করা হয়। কেন এই মামলার বিচার এখনও বিলম্বিত হচ্ছে?’
আরও পড়ুন: সুসময় এলে সব গুম-হত্যার বিচার করবে বিএনপি: মিজানুর রহমান মিনু
তিনি বলেন, ‘আজ আমরা শুধু একটি কথাই বলব, বাংলাদেশের প্রতিটি নাগরিক যেন সুশাসনের মাধ্যমে, আইনের মাধ্যমে ন্যায়বিচার পায়। এটাই আমরা প্রত্যাশা করি।’
২০০৯ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি তিন দিনব্যাপী 'বিডিআর সপ্তাহ' চলাকালে বাংলাদেশ রাইফেলসের (বর্তমানে বিজিবি) কয়েকশ সদস্য পিলখানা সদর দপ্তরের দরবার হলে সশস্ত্র বিদ্রোহ করে। এদিনের বিদ্রোহে ৫৭ জন সেনা কর্মকর্তাসহ মোট ৭৪ জন নিহত হন।
পরদিন ২৬ ফেব্রুয়ারি তৎকালীন সরকার ও বিডিআর বিদ্রোহীদের মধ্যে আলোচনার মাধ্যমে অস্ত্র, গোলাবারুদ ও গ্রেনেড জমা দিয়ে বিদ্রোহের সমাপ্তি ঘটে।
আরও পড়ুন: সরকারের ব্যর্থতা ঢাকতে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির জন্য বিএনপিকে দায়ী করছেন প্রধানমন্ত্রী: রিজভী
আওয়ামী লীগের পতন অনিবার্য মনে করে বিএনপি: নজরুল ইসলাম খান
সরকারের ব্যর্থতা ঢাকতে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির জন্য বিএনপিকে দায়ী করছেন প্রধানমন্ত্রী: রিজভী
জনগণকে বিভ্রান্ত করতে এবং সরকারের ব্যর্থতা ঢাকতে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিএনপিকে দায়ী করছেন বলে অভিযোগ করেছে বিএনপি।
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, ‘ডামি নির্বাচনের মাধ্যমে গঠিত সিন্ডিকেট সরকার অদ্ভুত সব মন্তব্য করে জনগণকে বিভ্রান্ত করছে। দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে সম্পূর্ণ ব্যর্থ সরকার এখন এজন্য বিএনপিকে দায়ী করছে।’
শনিবার নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি আরও বলেন, গণভবনে শুক্রবারের সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, যারা সরকার উৎখাতের আন্দোলন করছে তাদের দ্রব্যমূল্য বাড়ানোর কিছু কৌশল আছে।
আরও পড়ুন: ক্ষমতাসীন দলের ব্যবসায়ী চক্র দ্রব্যমূল্য বাড়িয়ে লুটপাটে মরিয়া হয়ে উঠেছে: রিজভী
রিজভী বলেন, ‘তার এ ধরনের বক্তব্যের অর্থ হলো, তার স্বৈরশাসন পচে বিপথগামী হয়ে গেছে। তাই ডাহা মিথ্যাচার, অসত্য, বানোয়াট ও ভিত্তিহীন মন্তব্য করা ছাড়া শেখ হাসিনার আর কোনো উপায় নেই। এই সমস্ত বক্তব্য একটি অশান্ত মনের বহিঃপ্রকাশ... এজন্য তিনি হাস্যকর মিথ্যাচারের আশ্রয় নিচ্ছেন।’
তিনি বলেন, তবে প্রধানমন্ত্রী স্বীকার করেছেন যে দ্রব্যমূল্য সীমাহীনভাবে বেড়েছে। ‘ব্যর্থতা, লুটপাট, চুরি ও অপকর্মের জন্য নির্লজ্জভাবে বিএনপিকে দোষারোপ করা তাদের (সরকারের) পুরোনো অভ্যাস।’
রিজভী বলেন, যেহেতু শেখ হাসিনা সরকার প্রধান হিসেবে অসাধু ব্যবসায়ীদের নিয়ন্ত্রণ করতে পারছেন না, তাই তিনি অবৈধভাবে ক্ষমতায় থাকতে ব্যর্থতার জন্য বিএনপিকে দায়ী করে মিথ্যাচার চালাচ্ছেন। ‘বাজার নিয়ন্ত্রণে লুটেরা সরকারের ন্যূনতম যোগ্যতা নেই।’
বিএনপির এই নেতা বলেন, সব জিনিসপত্রের আকাশছোঁয়া দামের মধ্যে সাধারণ মানুষ বেঁচে থাকার জন্য খুব কঠিন সময় পার করছে।
তিনি বলেন, সরকার নানা হুমকি দিলেও বাজার নিয়ন্ত্রণ করতে পারছে না, মার্কেট ম্যানিপুলেটররা এখন আওয়ামী লীগের শাসন নিয়ন্ত্রণ করছে।
‘প্রতিটি পণ্যের দাম যেভাবে বাড়ছে তাতে শুধু নিম্ন আয়ের মানুষ নয়, মধ্যবিত্তরাও চরম অসহায় হয়ে পড়েছে। চাল, ডাল, তেল, পেঁয়াজ, রসুন, মুরগিসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য কিনতে পারছে না মানুষ। গরিব মানুষের কাছে গরুর মাংস ও খাসির মাংস এখন আকাশের দূরবর্তী নক্ষত্রের মতো হয়ে উঠছে।’
বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য হাবিবুর রহমান হাবিব গুরুতর অসুস্থ হলেও কারা কর্তৃপক্ষ তাকে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা দিচ্ছে না বলে অভিযোগ করেন তিনি।
বিএনপির এই নেতা, 'তার (হাবিব) অবস্থা গুরুতর। কারাগারে তার চিকিৎসা হচ্ছে না এবং তাকে যথাযথ প্রেসক্রিপশন ও ওষুধ দেওয়া হচ্ছে না। তিনি হাঁটতেও পারছেন না।’
সম্প্রতি ১৫ জন বিরোধী দলীয় নেতা কারাবন্দি অবস্থায় মারা যাওয়ায় অসুস্থ হাবিবের উন্নত চিকিৎসার জন্য দ্রুত পদক্ষেপ নিতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
আরও পড়ুন: ক্ষমতা দখল করে ঔদ্ধত্য দেখাচ্ছে আ.লীগ সরকার: রিজভী
‘যত্নের অভাবে বা নির্যাতনে’ পুলিশ হেফাজতে বিএনপির ১৫ নেতা-কর্মীর মৃত্যু হয়েছে: রিজভী
আওয়ামী লীগের পতন অনিবার্য মনে করে বিএনপি: নজরুল ইসলাম খান
‘গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের’ দাবিতে বিরোধী দলের চলমান আন্দোলনের মধ্য দিয়ে সরকারে পরিবর্তন আসবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন বিএনপির সিনিয়র নেতা নজরুল ইসলাম খান।
বিএনপির আন্দোলনের সফলতা-ব্যর্থতা নিয়ে আওয়ামী লীগ কথা বলতে পারে না উল্লেখ করে তিনি বলেন, ১৯৭৫ সালের পর তাদের ক্ষমতায় আসতে ২১ বছর লেগেছিল।
বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘আমরা ক্ষমতার পরিবর্তন চাই এবং বিশ্বাস করি যে এটি অনিবার্যভাবে ঘটবে।’
গত বছর গ্রেপ্তারের ছয় দিন পর হাসপাতালে মারা যাওয়া বিএনপি নেতা ইমতিয়াজ আহমেদ বুলবুলের গোপীবাগের বাসায় সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।
ঢাকা দক্ষিণ সিটির ৩৯ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির নেতা বুলবুল গত ৩০ নভেম্বর হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান।
বিএনপির অভিযোগ, নির্যাতনের ফলে হেফাজতে বাবুলের মৃত্যু হয়েছে।
গাজীপুর কারাগারে পাঠানোর ছয় দিন পর ৩০ নভেম্বর মারা যান ঢাকার সমাজকর্মী ইমতিয়াজ আহমেদ বুলবুল।
আরও পড়ুন: বিএনপি রোজা-রমজান, ঈদ কোনোটাই মানে না: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম বলেন, রাজনৈতিক দলগুলো সময়ের দাবি অনুযায়ী তাদের বিভিন্ন কর্মসূচি ও কৌশল প্রণয়ন করে।
তিনি বলেন, ‘১৯৯০ সালে হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের স্বৈরাচারী শাসনের বিরুদ্ধেসহ অতীতে বিভিন্ন আন্দোলনে তাদের দল বিজয়ী হয়েছে। ২০০৭ সালে সরকার রাষ্ট্রীয় জরুরি অবস্থার সময় নির্বাচন করতে চেয়েছিল কিন্তু আমাদের বাধার মুখে তা করতে ব্যর্থ হয়েছিল। আমরা এখন গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের চেষ্টা করছি।’
বিএনপির এই নেতা বলেন, আওয়ামী লীগ প্রবর্তিত একদলীয় শাসন বাকশাল বাতিল করে তাদের দল বহুদলীয় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেছে। বিএনপিও সামরিক স্বৈরাচারের অবসান ঘটিয়ে সংসদীয় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেছে। সেজন্য এই বিএনপি আগামীতে বাংলাদেশে আবারও গণতন্ত্র ও সুশাসন প্রতিষ্ঠা করতে সক্ষম হবে।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বিএনপিসহ অন্যান্য বিরোধী দল দীর্ঘদিন ধরে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের জন্য যুগপৎ আন্দোলন করছে।
তিনি বলেন, ‘তারা (আওয়ামী লীগ) আমাদের বিরুদ্ধে আন্দোলন করতে পারছে না বলে অভিযোগ করছে। বিএনপি ১৭ বছর ধরে ক্ষমতার বাইরে। তারা ১০-১২ বছর আগে থেকেই বলে আসছে, আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার মতো শক্তি বিএনপির নেই। তারা (আওয়ামী লীগ) ২১ বছর ক্ষমতার বাইরে ছিল। এ সময় তাদের মেরুদণ্ড ভেঙে গিয়েছিল নাকি সোজা ছিল?’
নজরুল ইসলাম খান বলেন, ২১ বছর পর যখন ক্ষমতায় আসতে সময় লেগেছিল, তখন বিএনপির গতিবিধি নিয়ে প্রশ্ন তোলার অধিকার আওয়ামী লীগের নেই।
সরকারের বিরুদ্ধে ক্ষমতা দখলের অভিযোগ তুলে তিনি সুশাসন পুনঃপ্রতিষ্ঠায় পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানান, যাতে কোনো ব্যক্তির স্বজনরা বিনা অপরাধে স্বজন হারানোর বেদনায় কান্নাকাটি করতে না পারে। কেউ অপরাধ করলে তাকে অবশ্যই শাস্তি পেতে হবে। কিন্তু এখন কী হচ্ছে?
বিএনপি নেতা বুলবুলের হেফাজতে মৃত্যুকে ‘হত্যার ঘটনা’ আখ্যায়িত করে দোষীদের বিচারের আওতায় আনার দাবি জানান।
বিএনপির হাইকমান্ডের পক্ষ থেকে নজরুল বুলবুলের শোকসন্তপ্ত স্বজনদের সঙ্গে কথা বলেন এবং তাদের সান্ত্বনা দেন।
আরও পড়ুন: বিদ্যুৎ-জ্বালানি তেলের দাম বাড়ানোর পরিকল্পনা 'জনবিরোধী', নিষ্ঠুর: বিএনপি
সুসময় এলে সব গুম-হত্যার বিচার করবে বিএনপি: মিজানুর রহমান মিনু
সুসময় এলে সব গুম-হত্যার বিচার করবে বিএনপি: মিজানুর রহমান মিনু
বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও রাজশাহী সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র মিজানুর রহমান মিনু বলেছেন, ‘বর্তমান ফ্যাসিস্ট সরকার ক্ষমতায় আসার পর বিএনপির হাজারো নেতা-কর্মীকে হত্যা করেছে।’
তিনি বলেন, ‘ছয় শতাধিক নেতা-কর্মীকে গুম করে ফেলা হয়েছে। এসব ঘটনার কোনো বিচার হয়নি। সুসময় এলে সব গুম-হত্যার বিচার করবে বিএনপি।’
আরও পড়ুন: খুলনায় অপহৃত কলেজছাত্র আমিনুরের মরদেহ উদ্ধার
শুক্রবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) বিকালে নওগাঁয় গুপ্ত হামলায় নিহত বিএনপির নেতা কামাল আহমেদ ও কারাবন্দী অবস্থায় মারা যাওয়া বিএনপি নেতা মতিবুল ইসলামের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে গিয়ে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন বিএনপির এই কেন্দ্রীয় নেতা।
মিজানুর রহমান বলেন, কামাল আহমেদকে হত্যার পর তিন মাস অতিবাহিত হলেও এখন পর্যন্ত পুলিশ কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি। এমনকি এ ঘটনার রহস্য পর্যন্ত উদ্ঘাটন করতে পারেনি।
‘অথচ নিহত ব্যক্তির স্বজনেরা ও এলাকাবাসী সবাই জানেন, কামালকে হত্যার ঘটনায় আওয়ামী সন্ত্রাসীরা জড়িত। ঘাতকদের সবাই চেনে। বিএনপির সুসময় এলে এ হত্যার বিচার করা হবে। সব অন্যায়ের প্রতিশোধ নেওয়া হবে। ‘
এ সময় নিহত বিএনপি নেতা কামাল আহমেদের স্ত্রী ও সন্তানদের সান্ত্বনা দেন মিজানুর রহমান৷ শিগগিরই বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের পক্ষ থেকে নিহত বিএনপি নেতাদের পরিবারকে আর্থিক অনুদান দেওয়ার আশ্বাস দেন তিনি।
আরও পড়ুন: বিএনপির ঢাকা উত্তরের সদস্য সচিব আমিনুলসহ ৪ জন গ্রেপ্তার: রিজভী
রাসিক নির্বাচনে বিএনপির কেউ অংশ নিলে আজীবনের জন্য বহিষ্কার করা হবে: মিনু
অনিয়ম কঠোরভাবে দমন না করলে দেশ শূন্য হয়ে যাবে: মুজিবুল হক চুন্নু
জাতীয় পার্টির মহাসচিব ও বিরোধীদলীয় চিফ হুইপ মুজিবুল হক চুন্নু সংসদে বলেছেন, আর্থিক খাতের অনিয়ম-দুর্নীতি কঠোরভাবে মোকাবিলা না করলে দেশ শূন্য হয়ে যাবে।
এ ধরনের অনিয়ম নিয়ন্ত্রণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ার অনুরোধ জানান বিরোধীদলীয় এই সংসদ সদস্য।
বৃহস্পতিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) সংসদে এক অনির্ধারিত আলোচনায় অংশ নিয়ে চুন্নু এ কথা বলেন।
বিভিন্ন পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদের বরাত দিয়ে চুন্নু বলেন, পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের আর্থিক অনিয়মের পরিমাণ ১ হাজার ৩০০ কোটি টাকা। সবচেয়ে বেশি অনিয়ম হয়েছে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে।
সরকার যদি তাদের কঠোরভাবে দমন না করে তাহলে দেশ শূন্য হয়ে যাবে।
চুন্নু বলেন, এরই মধ্যে ব্যাংকগুলো ফাঁকা হয়ে গেছে।
তিনি বলেন, 'নিশ্চয়ই ওভার ইনভয়েসিং ও আন্ডার ইনভয়েসিংয়ের মাধ্যমে এটা করা হয়েছে।’
তিনি বলেন, 'এগুলো দেখভালের দায়িত্ব কার? আমরা কোথায় যাব? অর্থ ও বাণিজ্যমন্ত্রীসহ সংশ্লিষ্ট মন্ত্রীরা যদি এসব দেখভাল না করেন।’
চুন্নু বলেন, এ ধরনের অনিয়ম খতিয়ে দেখতে বাংলাদেশ ব্যাংক নীরব থেকেছে।
আরও পড়ুন: নতুন সংসদের দায়িত্ব নিখুঁতভাবে পালন করা নিয়ে শঙ্কা জিএম কাদেরের
তিনি বলেন,‘ব্যাংকের মাধ্যমে টাকা পাচার হচ্ছে, যা তাদের প্রতিবেদনে (বাংলাদেশ ব্যাংক) উল্লেখ করা হয়েছে। এতদিন কী করলেন তারা? বাংলাদেশ ব্যাংক কেন বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারছে না? তারা কি কোনো জিনিসের দাম জানে না?’
বাংলাদেশ ব্যাংকের কঠোর সমালোচনা করে চুন্নু বলেন, 'তারা (বাংলাদেশ ব্যাংক) জানে না আন্ডার ইনভয়েস নাকি ওভার ইনভয়েসিং হচ্ছে?'
নগরীর একটি হাসপাতালে খতনা করার সময় এক শিশুর মর্মান্তিক মৃত্যুর কথাও তুলে ধরেন জাপার এই সংসদ সদস্য।
এ সব মোকাবিলায় প্রধানমন্ত্রীকে আরও কঠোর হওয়ার আহ্বান জানান তিনি।
তিনি আরও বলেন, ‘সরকার যদি কঠোর না হয়, তাহলে আমাদের কোথাও যাওয়ার জায়গা নেই। আশা করি, সরকার তাদের কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করবে এবং এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেবে।’
আরও পড়ুন: জাপার জাতীয় কাউন্সিলের দিন ঘোষণা করলেন রওশন এরশাদ
বিএনপি রোজা-রমজান, ঈদ কোনোটাই মানে না: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
বিএনপি রোজা-রমজান-ঈদ কোনোটাই মানে না বলে মন্তব্য করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ।
তিনি বলেন, তারা এখন রমজানের মধ্যে কর্মসূচি দেওয়ার কথা ভাবছে, ঈদের দিনও কর্মসূচি দেয় কি না সেটিই দেখার বিষয়।
বৃহস্পতিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে রাজধানীর সেগুনবাগিচায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে মত বিনিময়কালে তিনি এ কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, নির্বাচন বর্জন করে বিএনপি যে ভুল করেছে, সেজন্য তাদের দলটা 'ধপাস' করে পড়ে গেছে। এখন তারা কোমর সোজা করে দাঁড়াতে পারবে কি না সেটি বিষয়। আর এই ভুলের জন্য নেতারা কর্মীদের তোপের মুখে পড়েছে। রমজানে কর্মসূচি দিলে তারা জনগণের তোপের মুখে পড়বে।
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রীকে ইইউ প্রেসিডেন্টের অভিনন্দন, সহযোগিতার অঙ্গীকার
এ সময় জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে উত্থাপিত গাজায় যুদ্ধ বিরতির প্রস্তাবে যুক্তরাষ্ট্রের ভেটো দেওয়ায় প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান বলেন, ‘গাজায় নারী-শিশুদের নির্বিচারে হত্যাই শুধু নয়, সেখানে পানি-বিদ্যুৎসহ সব 'বেসিক সাপ্লাই লাইন' পরিকল্পিতভাবে ব্যাহত করা হচ্ছে, হাসপাতালে অভিযান-হামলা চালানো হচ্ছে, চরমভাবে মানবাধিকার লঙ্ঘনের অপরাধ সংঘটিত হচ্ছে। এটি আন্তর্জাতিক আইন-কানুনের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন। কেউ কেউ ইসরায়েলিদের নিরাপত্তার কথা বলে, তাহলে এই ফিলিস্তিনি নারী-শিশুদের নিরাপত্তা, ফিলিস্তিনিদের অধিকার কোথায় গেল? যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আমাদের অত্যন্ত বন্ধুপ্রতিম সম্পর্ক। কিন্তু এই ভেটো প্রদান গভীর হতাশাব্যঞ্জক। আমরা কোথাও যুদ্ধ চাই না, যুদ্ধ বন্ধ হোক।’
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন জানিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের চিঠি এবং দেশটির পররাষ্ট্র দপ্তরের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়া ব্যুরোর ডেপুটি অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি আফরিন আখতারের আসন্ন সফরের মধ্যে সম্পর্ক নিয়ে প্রশ্ন করলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্ক আরও এগিয়ে নিতে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের চিঠি অত্যন্ত গুরুত্ববহ এবং তাদের কর্মকর্তাদের সফর আমাদের সম্পর্ককে আরও গভীর ও বিস্তৃত করবে।
আরও পড়ুন: গাজায় বাংলাদেশের মানবিক সহায়তা পৌঁছে দেওয়ায় মিশরকে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর ধন্যবাদ
বিদ্যুৎ-জ্বালানি তেলের দাম বাড়ানোর পরিকল্পনা 'জনবিরোধী', নিষ্ঠুর: বিএনপি
আগামী মার্চে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি তেলের দাম বাড়াতে সরকারের পরিকল্পনাকে 'গণবিরোধী, নিষ্ঠুর' আখ্যায়িত করে কঠোরভাবে সমালোচনা করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
বৃহস্পতিবার (২২ জানুয়ারি) নয়া পল্টনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, 'সরকার মার্চ মাসে বিদ্যুৎ ও জ্বালানির দাম বাড়ানোর পরিকল্পনা নিয়েছে, যা বিভিন্ন গণমাধ্যমে এসেছে। যে সরকার অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল করেছে, তারা এ ধরনের গণবিরোধী ও অগ্রহণযোগ্য সিদ্ধান্ত নিতে পারে।’
রিজভী বলেন, ‘এই সিদ্ধান্ত হবে অত্যন্ত নির্মম। রমজানকে সামনে রেখে এই সিদ্ধান্ত মানে কাটা ঘায়ে নুনের ছিটা। মধ্যম ও নিম্ন আয়ের মানুষ ইতোমধ্যে চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছে। জনসংখ্যার ৮০ শতাংশের কোনো প্রকার আয় বাড়েনি। মানুষ চরম কষ্টের মধ্যে বসবাস করছে। কেউ কেউ ক্ষুধা ও অপুষ্টির মুখোমুখি হচ্ছে। বিদ্যুৎ ও জ্বালানির দাম বাড়ানোর সরকারি সিদ্ধান্ত জনগণকে বিপদে ফেলবে।’
আরও পড়ুন: বিরোধী দলকে নিষিদ্ধ করতে চায় আ. লীগ: ড. মঈন
তিনি বলেন, বিদ্যুৎ ও জ্বালানির দাম বাড়লে চেইন রিঅ্যাকশনের মাধ্যমে সাধারণ মানুষের ওপর নেতিবাচক প্রভাব পড়বে। কৃষি, শিল্প ও কলকারখানা ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
বিদ্যুৎ ও জ্বালানির দাম বাড়ানোর পরিকল্পনার তীব্র নিন্দা জানিয়ে তিনি বলেন, সরকার দাম বাড়ালে প্রতিবাদ কর্মসূচি ঘোষণা করবে বিএনপি।
রিজভী বলেন, বর্তমান দখলদার সরকার বাংলা ভাষা ও সংস্কৃতির প্রতি তাদের ভালোবাসা প্রদর্শন করলেও বাস্তবে এ দেশ বিদেশি ভাষা ও সংস্কৃতির কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হচ্ছে।
তিনি বলেন, ‘এর প্রমাণ বাংলাদেশের সর্বত্রই রয়েছে। আজ টেলিভিশন খুললেই হিন্দি নাটক, হিন্দি সিনেমা চোখে পড়ে। সিনেমা হলে দেখানো হচ্ছে ভারতীয় ছবি। এগুলো কিসের জন্য?’
সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য জয়নুল আবদিন ফারুকসহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: একুশে ফেব্রুয়ারির চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে জনগণ অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে চায়: বিএনপি
কারামুক্ত বিএনপি নেতা আলাল
সাড়ে তিন মাস পর গাজীপুরের কাশিমপুর কারাগার থেকে মুক্তি পেয়েছেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল।
বুধবার(২১ ফেব্রুয়ারি) বিকালে তিনি কারাগার থেকে বের হন বলে বিএনপির একটি সূত্র জানিয়েছে।
এর আগে উচ্চ আদালত থেকে জামিন নিয়ে মুক্তি পান আলাল।
মুক্তি পাওয়ার পর কারাফটকের সামনে তাকে ফুল দিয়ে বরণ করে নেন বিএনপির নেতাকর্মীরা।
এ সময় আলাল বলেন, তিনি শারীরিকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন এবং শিগগিরই চিকিৎসকের পরামর্শ নেবেন।
তিনি আরও বলেন, দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নেতৃত্বে গণতন্ত্র, ভোটাধিকার ও আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার আন্দোলন অব্যাহত থাকবে।
একুশে ফেব্রুয়ারির চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে জনগণ অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে চায়: বিএনপি
অমর একুশে ফেব্রুয়ারি, ভাষা শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনের শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)।
দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর নেতৃত্বে নেতা-কর্মীরা দীর্ঘ সময় অপেক্ষার পর সকাল ১০টা ৪৭ মিনিটে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে পৌঁছান এবং বেদীতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।
সকাল ৭টায় নীলক্ষেতের বলাকা সিনেমা হলের সামনে কালো ব্যাজ ধারণ করে জড়ো হন দলের নেতা-কর্মীরা। পরে তারা প্রথমে আজিমপুর কবরস্থানে ভাষা আন্দোলনের শহীদদের কবরে ফাতেহা পাঠ শেষে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে যান।
সেখানে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে রিজভী বলেন, বিএনপি নেতা-কর্মীরা সব ধরনের দমন-পীড়ন সহ্য করে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে রাজপথে নেমেছে।
আরও পড়ুন: ভাষা আন্দোলন মাথা নত না করা শেখায়: জমির উদ্দিন সরকার
তিনি বলেন, ‘দেশের মানুষ নির্ভয়ে উচ্চকণ্ঠে কথা বলতে চায় এবং একুশে ফেব্রুয়ারির চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে নিজেদের অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে চায়। আজকের এই দিনে আমরা শপথ নিচ্ছি- ভাষা শহীদদের দেখানো পথ অনুসরণ করে তা পালন করব।’
এক প্রশ্নের জবাবে রিজভী বলেন, তাদের এক দফা আন্দোলন থেমে নেই। আন্দোলন চলছে। কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্য অর্জিত না হওয়া পর্যন্ত আমাদের আন্দোলন অব্যাহত থাকবে।
তিনি বলেন, বর্তমান সরকারের পতন এবং একটি সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের মাধ্যমে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার না হওয়া পর্যন্ত তারা এক দফা আন্দোলন চালিয়ে যাবেন।
আরও পড়ুন: ২১ ফেব্রুয়ারি উপলক্ষে ২ দিনের কর্মসূচি ঘোষণা বিএনপির
ভাষা আন্দোলন মাথা নত না করা শেখায়: জমির উদ্দিন সরকার
গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের উপায় হিসেবে সারাদেশের সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছাতে তার দলকে তৃণমূল পর্যায়ে প্রচারণা চালানোর উপর গুরুত্বারোপ করেছেন বিএনপি নেতা জমির উদ্দিন সরকার।
মঙ্গলবার এক আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলন জনগণকে মাথা নত না করতে শেখায়। এখান থেকে উদ্বুদ্ধ হয়ে জনগণ তাদের অধিকার প্রতিষ্ঠায় ঘুরে দাঁড়াবে।
তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের এখন জনগণের দ্বারে দ্বারে গিয়ে বলতে হবে বিএনপি মানেই শান্তি, গণতন্ত্র ও সাধারণ মানুষের উন্নয়ন। ইনশাল্লাহ দেশে গণতন্ত্র ফিরে আসবে।’
আরও পড়ুন: ২১ ফেব্রুয়ারি উপলক্ষে ২ দিনের কর্মসূচি ঘোষণা বিএনপির
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও জাতীয় সংসদের সাবেক স্পিকার সরকার বলেন, গণতন্ত্র ও আইনের শাসনের অনুপস্থিতির কারণে দেশ অরাজকতার দিকে ধাবিত হচ্ছে।
তিনি বলেন, বিএনপি ও দলটির নেতা-কর্মীরা গণতন্ত্র ও মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠায় কাজ করায় দীর্ঘদিন ধরে কঠিন সময় পার করছে।
মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে এ আলোচনা সভার আয়োজন করে বিএনপি।
সরকার আরও বলেন, ভাষা আন্দোলন কোনো গতানুগতিক আন্দোলন নয়, এটি একটি আদর্শিক আন্দোলন।
তিনি বলেন, ভাষা আন্দোলন ছিল বাংলার পরিবর্তে উর্দুকে রাষ্ট্রভাষা করার পাকিস্তানিদের ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে একটি গণতান্ত্রিক আন্দোলন।
তিনি বলেন, ‘ভাষা আন্দোলনের ফলে বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জিত হয়। এই ভাষা আন্দোলন আমাদের শিক্ষা দেয় যে- আমরা মাথা নত না করে আমরা আমাদের অধিকার আদায় করব। আমাদের আওয়াজ তুলতে হবে এবং আমাদের অধিকার নিশ্চিত করতে হবে।’
বিএনপির স্থায়ী কমিটির আরেক সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, বাঙালিই একমাত্র জাতি যারা জীবন দিয়েছে, রক্ত ঝরিয়েছে, মাতৃভাষার জন্য যুদ্ধ করেছে। ‘মাতৃভাষার জন্য জীবন উৎসর্গ করা গত শতাব্দীতে বাংলা ছিল শ্রেষ্ঠ উদাহরণ।’
আরও পড়ুন: বিএনপি নেতারা মুখ রক্ষায় অসংলগ্ন কথা বলছেন: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
তিনি বলেন, ১৯৫২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি ভাষা আন্দোলনকারীদের নির্মমভাবে হত্যা করে পাকিস্তানিরা বাঙালিদের শহীদ মিনার দিয়েছে। ‘কিন্তু শেখ হাসিনার সুবাদে এখন বাংলাদেশের প্রতিটি ঘরে ঘরে শহীদ মিনার তৈরির অবস্থা হয়েছে।’
বিএনপি নেতা অভিযোগ করেন, তাদের দলের কয়েক হাজার নেতা-কর্মী খুন ও গুমের শিকার হয়েছেন এবং আওয়ামী লীগ সরকারের হাতে হাজার হাজার মানুষ নিপীড়ন ও হয়রানির শিকার হয়েছেন।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খান বলেন, বাংলাদেশ গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য স্বাধীন হয়েছে। ‘দেশ স্বাধীন হওয়ার প্রায় ৫৩ বছর পর এখন আমরা এমন এক ক্রান্তিলগ্নে উপনীত হয়েছি যখন বাংলাদেশে গণতন্ত্রের মৃত্যু হয়েছে।’
‘আসুন আমরা জনগণের অধিকার ফিরিয়ে আনি, জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠায় এগিয়ে আসি। দেশে মানুষের মৌলিক অধিকার ফিরিয়ে দিতে হবে। এজন্য আমরা রাজপথে ছিলাম, রাজপথে আছি, রাজপথে থাকব।’
আরও পড়ুন: ‘বিএনপি শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি দিলে আমরা বাধা দেব কেন?’