রাজনীতি
প্রতীক হিসেবে অনুমোদিত হলে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে ‘শাপলা’ চায় বাংলাদেশ কংগ্রেস
শাপলা প্রতীকের দাবিতে যখন জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) অনড়, ঠিক এ মুহূতে দলীয় প্রতীক হিসেবে জাতীয় ফুল ‘শাপলা’ বরাদ্দ দেওয়ার দাবি জানিয়ে নির্বাচন কমিশনে (ইসি) আবেদন করেছে বাংলাদেশ কংগ্রেস।
কমিশন ‘শাপলা’কে দলীয় প্রতীক হিসেবে অনুমোদন দিলে ‘ডাব’ প্রতীকের পরিবর্তে প্রথম দাবিদার হিসেবে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে তাদেরই ‘শাপলা’ প্রতীক বরাদ্দ দেওয়ার অনুরোধ জানিয়েছে বাংলাদেশ কংগ্রেস।
সোমবার (১৩ অক্টোবর) বাংলাদেশ কংগ্রেসের মহাসচিব অ্যাডভোকেট মো. ইয়ারুল ইসলামের সই করা এ আবেদনটি প্রধান নির্বাচন কমিশনার বরাবর জমা দেওয়া হয়। ইসিতে দলটির দপ্তর সম্পাদক তুষার রহমান আবেদনপত্রটি জমা দেন। আবেদনপত্রের সঙ্গে তাদের দাবির পক্ষে প্রয়োজনীয় নথিও সংযুক্ত করা হয়।
আবেদনে পত্রে বাংলাদেশ কংগ্রেস বলেছে, ‘আমরা ২০১৩ সালে প্রতিষ্ঠার পর থেকে বাংলাদেশ কংগ্রেস দলীয় প্রতীক হিসেবে “শাপলা” ব্যবহার করে আসছি। দলের প্রথম প্রচারপত্রে ন্যাচারাল ডিজাইনে শাপলার ব্যবহার হয়। পরে শৈল্পিক ডিজাইন করে সকল কাগজপত্রে “শাপলা” দলীয় প্রতীক হিসেবে ব্যবহার করা হয়। ২০১৭ সালে নিবন্ধনের আবেদন করার সময় নির্বাচন কমিশন থেকে বলা হয়, “শাপলা” জাতীয় প্রতীক এবং এটা দলীয় প্রতীক হতে পারে না। নির্বাচন কমিশনের উক্ত কথার পরিপ্রেক্ষিতে আমরা “বই” প্রতীক প্রস্তাব করে আবেদন জমা দেই, যদিও আবেদনপত্রের সঙ্গে জমা দেওয়া কাগজপত্র ও দলীয় লোগোতে তখনও শাপলার ছবি ছিল।’
এতে আরও বলা হয়, ‘পরবর্তীতে মহামান্য সুপ্রিম কোর্টের উভয় বিভাগের রায় অনুসারে যখন বাংলাদেশ কংগ্রেস-এর নিবন্ধন দেওয়া হয়, তখন আমরা “বই” প্রতীক দাবি করি, কিন্তু গেজেটভূক্ত প্রতীকের বাইরে প্রতীক দেওয়া সম্ভব নয় বলে আমাদের “ডাব” প্রতীক নিতে বাধ্য করা হয়।
‘ডাব’ প্রতীকের পরিবর্তে ‘শাপলা’ প্রতীক বরাদ্দের কথা উল্লেখ করে আবেদনপত্রে আরও বলা হয়, ‘সম্প্রতি কোনো কোনো রাজনৈতিক দল থেকে ‘শাপলা’কে দলীয় প্রতীক হিসেবে চাওয়া হচ্ছে। সে পরিপ্রেক্ষিতে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের জাতীয় প্রতীক ‘শাপলা’কে যদি দলীয় প্রতীক হিসেবে বরাদ্দ দেওয়া হয়, সেক্ষেত্রে প্রথম দাবিদার বাংলাদেশ কংগ্রেসকে অগ্রাধিকার দিতে হবে। আমরা “ডাব” প্রতীকের পরিবর্তে “শাপলা” প্রতীক বরাদ্দের আবেদন জানাচ্ছি।’
উল্লেখ্য, ৯ অক্টোবর জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিনের সঙ্গে সাক্ষাত শেষে সাংবাদিকদের বলেন, ‘নিবন্ধন যদি আমাদের দিতে হয় এবং নিবন্ধন প্রশ্নে সেটা শাপলা দিয়েই হবে। শাপলা ছাড়া এনসিপির নিবন্ধন হবে না। এনসিপিও শাপলা ছাড়া নিবন্ধন মানবে না।’
এর আগে, ৫০টি প্রতীক থেকে জাতীয় নাগরিক পার্টিকে (এনসিপি) নিজেদের মার্কা বাছাই করতে চিঠি দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। যে তালিকায় ছিল না শাপলা।
যে ৫০টি প্রতীক থেকে এনসিপিকে তাদের মার্কা পছন্দ করতে বলা হয়েছে, সেগুলোর মধ্যে রয়েছে- আলমিরা, খাট, উটপাখি, ঘুড়ি, কাঁপ-পিরিচ, চশমা, দালান, বেগুন, চার্জার লাইট, কম্পিউটার, জগ, জাহাজ, টিউবওয়েল, টিফিন ক্যারিয়ার, টেবিল, টেবিল ঘড়ি, টেলিফোন, ফ্রিজ, তবলা, বক, মোরগ, কলম, তরমুজ, বাঁশি, লাউ, কলস, চিংড়ী, থালা, বেঞ্চ, লিচু, দোলনা, প্রজাপতি, বেলুন, ফুটবল, ফুলের টব, মোড়া, বালতি, কলা, বৈদ্যুতিক পাখা, মগ, মাইক, ময়ূর, মোবাইল ফোন, শঙ্খ, সেলাই মেশিন, সোফা, স্যুটকেস, হরিণ, হাঁস ও হেলিকপ্টার।
৭৭ দিন আগে
এনসিপি গণতন্ত্রে উত্তরণে পথে বাধা সৃষ্টি করবে না, প্রত্যাশা সিইসির
শাপলা প্রতীক বরাদ্দ নিয়ে নির্বাচন কমিশনের সীমাবদ্ধতার কথা মাথায় রেখে এনসিপি গণতন্ত্রে উত্তরণের পথে বাধা সৃষ্টি করবেন না বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন। এছাড়া নির্বাচনের সময় ফ্যাক্টচেক না করে কোনো সংবাদ পরিবেশন না করতে গণমাধ্যমের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
রবিবার (১২ অক্টোবর) চট্টগ্রাম সার্কিট হাউজে চট্টগ্রাম বিভাগের সকল জেলা প্রশাসক, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও সংস্থা এবং নির্বাচন-সংশ্লিষ্ট দপ্তরের কর্মকর্তাদের সঙ্গে অনুষ্ঠিত রুদ্ধদ্বার বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের তিনি এই প্রত্যাশার কথা জানান।
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য করতে নির্বাচনের আগে, নির্বাচনকালীন ও নির্বাচনের পরে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখা বড় চ্যালেঞ্জ বলে মনে করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার।
পরিষ্কার ও স্বচ্ছ নির্বাচন করার প্রতিশ্রুতি দিয়ে তিনি বলেন, এবার লুকিয়ে, রাতের আঁধারে কোনো ভোট হবে না।
এনসিপিকে শাপলা প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে এ এম এম নাসির উদ্দিন বলেন, নির্বাচন কমিশনের সীমাবদ্ধতা সম্পর্কে এসসিপির ধারণা আছে। তাই গণতন্ত্রে উত্তরণের পথে এনসিপি বাধা সৃষ্টি করবে না বলেই প্রত্যাশা করছি।
তিনি বলেন, ‘যারা এনসিপির নেতৃত্বে আছেন, তারা ২০২৪ সালের অভ্যুত্থান চলাকালে সম্মুখ সারিতে থেকে আন্দোলন করেছেন। তারা গণতন্ত্রায়নের পথে বাধা সৃষ্টি করবেন না— সেটা আমি বিশ্বাস করি।’
সিইসি বলেন, কোনো দল যখন নিবন্ধন পায়, আমাদের যে নির্ধারিত প্রতীকের তালিকা, সেখান থেকে তাকে প্রতীক নিতে হয়। যেহেতু শাপলা আমাদের তালিকায় নেই, তাই দিতে পারিনি। এখন পর্যন্ত তালিকার বাইরে কাউকে প্রতীক দেওয়া হয়নি।
নতুন করে প্রতীক যোগ করতে অসুবিধা আছে কিনা, সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নে ‘কোনো অসুবিধা নেই’ বলেও জানান তিনি।
নির্বাচনের সময় ভোট বা নির্বাচন কমিশন নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রচারিত বিষয় নিয়ে ফ্যাক্টচেক করে সংবাদ পরিবেশন করতে দেশের সংবাদমাধ্যমের প্রতি এসময় আহ্বান জানান সিইসি।
নির্বাচনের আগে অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে বলেও জানান তিনি।
৭৮ দিন আগে
নির্বাচনে নিরপেক্ষ দায়িত্ব পালন নিশ্চিত করার দায়িত্ব নিলেন নবনিযুক্ত জনপ্রশাসন সচিব
আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মাঠ প্রশাসনের কর্মকর্তাদের নিরপেক্ষভাবে দায়িত্ব পালন নিশ্চিত করার দায়িত্ব নিয়েছেন জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের নবনিযুক্ত সিনিয়র সচিব মো. এহছানুল হক।
রবিবার (১২ অক্টোবর) দুপুরে কর্মস্থলে যোগদান করে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে নতুন সচিব বলেন, ‘আমাদের প্রধান উপদেষ্টার নির্দেশ হলো নির্বাচন সুষ্ঠু হবে। নির্বাচনকালীন আমরা নির্বাচন কমিশনের অধীনে কাজ করব। যারা মাঠ প্রশাসনে দায়িত্বে আছেন, তারা অত্যন্ত নিরপেক্ষভাবে দায়িত্ব পালন করবে। এটি নিশ্চিত করার দায়িত্ব আমি নিলাম।’
ডিসি ও ইউএনও পদে পরিবর্তন হবে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এ বিষয়ে নীতি নির্ধারণী মহলের সঙ্গে আলোচনা করতে হবে, এখন কিছু বলা যাচ্ছে না।’
অবশেষে নতুন সচিব পেল জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়
নতুন সচিব আরও বলেন, ‘আমার বিশ্বাস, উপযুক্ত পরিবেশ ও সুরক্ষা প্রদান করলে আমার কর্মকর্তারা নিরপেক্ষ নির্বাচন করতে সক্ষম হবেন। যদি কেউ দলীয় সম্পৃক্ততার কারণে নিরপেক্ষভাবে দায়িত্ব পালন না করে, তার বিরুদ্ধে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
তিনি আরও উল্লেখ করেন, ‘আমি কখনো দলীয় নির্দেশে কাজ করি নি, ভবিষ্যতেও করব না। নির্বাচনকালীন কর্মকর্তাদের যেন সব বিতর্কের ঊর্ধ্বে থাকার সুযোগ থাকে, সেদিকেও আমরা লক্ষ্য রাখব।’
৭৮ দিন আগে
পদ্ধতি নয়, সুষ্ঠু নির্বাচনই বড় চ্যালেঞ্জ: মঞ্জু
বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে নির্বাচনের পদ্ধতির চেয়ে সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজনই এখন বেশি গুরুত্বপূর্ণ বলে মন্তব্য করেছেন এবি পার্টির আহ্বায়ক মজিবুর রহমান ভূঁইয়া মঞ্জু।
তিনি বলেছেন, ‘যদি আগের মতো রাতেই ভোট হয়, যদি কেন্দ্র দখল করে ভোট ডাকাতি হয়, তাহলে বর্তমান পদ্ধতিতেই নির্বাচন হোক কিংবা পিআর পদ্ধতিতেই হোক— তাতে কোনো ইতিবাচক পরিবর্তন আসবে না।’
শনিবার (১১ সেপ্টেম্বর) দুপুরে রাজধানীর মৌচাকে কসমস সেন্টারে আয়োজিত ‘ইলেকশন ২০২৬: অ্যা ক্রিটিক্যাল লুক অ্যাট প্রোপোশনাল রিপ্রেজেন্টেশন’ শীর্ষক সেমিনারে তিনি এসব কথা বলেন।
অনুষ্ঠানটির মিডিয়া পার্টনার হিসেবে ছিল ইউনাইটেড নিউজ অব বাংলাদেশ (ইউএনবি)।
মঞ্জু বলেন, ‘নির্বাচন পদ্ধতির চেয়ে এখন সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ হলো আমরা কতটা গণতান্ত্রিক পদ্ধতির ধারা বজায় রেখে একটি নির্বাচন করতে পারি, সেই সক্ষমতা ও সদিচ্ছা।’
পিআর পদ্ধতি নিয়ে দলীয় অবস্থান ব্যাখ্যা করে তিনি বলেন, যদি নিম্নকক্ষে পিআর পদ্ধতি চালু করতেই হয়, তাহলে এবি পার্টি চায় মিশ্র পিআর পদ্ধতি, যেখানে অধিকাংশ আসনে প্রচলিত ধারায় ভোট হবে, আর কিছু আসনে পিআর পদ্ধতি প্রযোজ্য হবে।
এবি পার্টির এই নেতা বলেন, ‘পিআর পদ্ধতি মুখরোচক আলোচনার জন্য ভালো, কিন্তু এটি বাস্তবে কাজে লাগানো বেশ কঠিন। বাস্তবতার নিরিখে এই পদ্ধতি কার্যকর ভূমিকা রাখার সম্ভাবনা কম।’
থ্রেশহোল্ড পিআর পদ্ধতির প্রসঙ্গে মঞ্জু বলেন, ‘এ পদ্ধতিতে অসংখ্য দলের বদলে জোটবদ্ধ দল তৈরি হবে। এতে করে রাজনৈতিক আদর্শিক দ্বন্দ্ব কমে আসবে।’
নিম্নকক্ষে এখনেই পিআর পদ্ধতি না এনে সবার আগে উচ্চকক্ষে পিআর পদ্ধতি আনার পক্ষে মত দেন এই রাজনীতিক।
সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের মামুন আল মোস্তফা।
কসমস গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও ইউএনবির এডিটর-ইন-চিফ এনায়েতউল্লাহ খানের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আবদুল মঈন খান ও আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী, নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না, বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল হামিদুর রহমান আযাদ, গণসংহতি আন্দোলনের আবুল হাসান রুবেল, গণঅধিকারের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান এবং নির্বাচন কমিশনের সাবেক সচিব সম জকরিয়া প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
৭৯ দিন আগে
নতুন করে পিআর নিয়ে আলোচনার কিছু নেই, এ বিষয়ে সমাধান হয়ে গেছে: মাহমুদুর রহমান মান্না
নিম্নকক্ষে পিআরের বিরোধিতা করে নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, “জুলাই সনদে স্বাক্ষরে সরকার আমাদের কাছে যে প্রস্তাব পাঠাবে, দৃঢ় বিশ্বাস সেখানে নিম্নকক্ষে পিআর বলে কিছুই থাকবে না। নতুন করে পিআর নিয়ে আলোচনার কিছু নেই। এ বিষয়ে ইতোমধ্যে সমাধান হয়ে গেছে।”
শনিবার (১১ অক্টোবর) দুপুরে রাজধানীর মৌচাকে কসমস সেন্টারে আয়োজিত ‘ইলেকশন ২০২৬: এ ক্রিটিক্যাল লুক অ্যাট প্রোপোরশনাল রিপ্রেজেন্টেশন’ শীর্ষক সেমিনারে তিনি এ মন্তব্য করেন। অনুষ্ঠানটির মিডিয়া পার্টনার ছিল ইউনাইটেড নিউজ অব বাংলাদেশ (ইউএনবি)।
ভোটের বাজারে পিআরের কোনো মূল্য নেই উল্লেখ করে মান্না বলেন, “দেশের মানুষ পিআর বোঝে না। এ নিয়ে তাদের কোনো আগ্রহও নেই।”
উচ্চকক্ষ প্রতিষ্ঠার পক্ষে মান্না বলেন, “কোনো দল দুই-তৃতীয়াংশ মেজরিটি পেলেই তাদের মধ্যে স্বৈরাচারী মনোভাব তৈরি হতে পারে। সরকারের সঙ্গে অন্যান্য দলের একটি চেক অ্যান্ড ব্যালেন্সের প্রয়োজন রয়েছে। উচ্চকক্ষ থাকলে তা নিশ্চিত করা সম্ভব। উচ্চকক্ষে পিআর পদ্ধতি নিয়ে আলোচনা হতে পারে।”
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদি দল (বিএনপি) প্রসঙ্গে মান্না বলেন, “দেশের বর্তমান পরিস্থিতিতে বিএনপিকে যেভাবেই হোক গণতন্ত্রের পথে থাকতে হবে। বিএনপি যদি গণতন্ত্রের পথ থেকে সরে আসে, দেশের ওপর বড় রকমের দুর্যোগ নেমে আসবে।”
গণভোট প্রসঙ্গে মান্না বলেন, “সনদে অনেকগুলো ধারা থাকবে। এক ধারায় একমত হলে হয়তো আরেক ধারায় মানুষ একমত হবে না। সেখানে হ্যাঁ বা না ভোট কতটা কার্যকর হবে, তা ভেবে দেখতে হবে।”
মান্না সব রাজনৈতিক দলকে আগামীর বাংলাদেশে মেটিকুলাস এবং কালেক্টিভ যাত্রার আহ্বান জানান।
কসমস গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও ইউএনবির সম্পাদক-ইন-চিফ এনায়েতউল্লাহ খানের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় অংশ নেন নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না, বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল হামিদুর রহমান আযাদ, এবি পার্টির মজিবুর রহমান মঞ্জু, গণসংহতি আন্দোলনের আবুল হাসান রুবেল, গণঅধিকারের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান এবং নির্বাচন কমিশনের সাবেক সচিব ড. মোহাম্মদ জকরিয়া প্রমুখ।
৭৯ দিন আগে
হঠাৎ রাজপথে পিআর নিয়ে আন্দোলনের পেছনে দূরভিসন্ধি রয়েছে: বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাইফুল হক
বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক বলেছেন, ঐকমত্য কমিশনে উচ্চকক্ষে পিআর নিয়ে আলোচনা হলেও নিম্নকক্ষের পিআর প্রসঙ্গে কোনো আলোচনা হয়নি। তখন কোনো রাজনৈতিক দল নিম্নকক্ষে পিআর প্রসঙ্গে শক্ত কোনো আলাপও তোলেনি।
‘কমিশনে এ নিয়ে কোনো আলাপ না তুলে হঠাৎ করে রাজপথে পিআর নিয়ে আন্দোলনের পেছনে কারও কারও নিশ্চয়ই দূরভিসন্ধি আছে। নিম্নকক্ষে পিআর নিয়ে আসার এই আন্দোলন এবং আলোচনা কয়েকটি দলের চাপিয়ে দেয়া আলোচনা,’ বলেন সাইফুল।
শনিবার (১১ সেপ্টেম্বর) দুপুরে রাজধানীর মৌচাকে কসমস সেন্টারে আয়োজিত ‘ইলেকশন ২০২৬: অ্যা ক্রিটিক্যাল লুক অ্যাট প্রোপোশনাল রিপ্রেজেন্টেশন’ শীর্ষক সেমিনারে তিনি এই প্রশ্ন তোলেন। অনুষ্ঠানটির মিডিয়া পার্টনার হিসেবে ছিল ইউনাইটেড নিউজ অব বাংলাদেশ (ইউএনবি)।
দেশের মানুষ প্রচলিত ধারায় অভ্যস্ত উল্লেখ করে সাইফুল বলেন, ৭০ শতাংশ মানুষ পিআর চায়, এ ধরণের বক্তব্য বিভ্রান্তিমূলক। মানুষ রাজনৈতিক ও মানসিক অভ্যস্থতায় আগের ধারাকেই সুবিধাজনক মনে করে।
‘মানুষের মাঝে নানা ধরণের বিভ্রান্তি ছড়ানো হচ্ছে। ঢালাওভাবে বলা হচ্ছে ৯০’র ওপরের দেশে পিআর আছে। সেসব পিআরের ধরণ কেমন, এ নিয়ে আদৌ কোনো বিশ্লেষণ নেই,’ বলেন সাইফুল।
সংবিধান অনিবন্ধিত দল এবং স্বতন্ত্র প্রার্থীদের নির্বাচনে আসার অধিকার দেয়। পিআর আসলে এই অধিকার পুরোপুরি ক্ষুন্ন হবে বলে মনে করেন সাইফুল।
‘সরকার এমনিতেই সংকটের মধ্যে আছে। পিআর নিয়ে আমরা রাজনৈতিক দলগুলো আর সংকট না বাড়াই,’ আহ্বান জানান সাইফুল।
গণভোট প্রসঙ্গে সাইফুল জানান, সরকারসহ অনেকে নভেম্বরে গণভোটের কথা চিন্তা করলেও এটি আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত হবে বলে এখান থেকে সরে আসা হয়েছে। ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচনের কোনো বিকল্প নেই এবং সংসদ নির্বাচনের দিনই গণভোট আয়োজনের উপযুক্ত সময়।
‘এখন গণভোট হলে ২০-২৫ শতাংশের বেশি মানুষ ভোট দিবে না। এর কমসংখ্যক মানুষ নিয়ে জুলাই অভ্যুত্থানের সনদের স্বীকৃতি দেয়া হবে বিপদজ্জনক,’ বলেন সাইফুল।
কসমস গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও ইউএনবির সম্পাদক-ইন-চিফ এনায়েতউল্লাহ খানের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় অংশ নেন নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না, বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল হামিদুর রহমান আযাদ, এবি পার্টির মজিবুর রহমান মঞ্জু, গণসংহতি আন্দোলনের আবুল হাসান রুবেল, গণঅধিকারের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান এবং নির্বাচন কমিশনের সাবেক সচিব ড. মোহাম্মদ জকরিয়া প্রমুখ।
৭৯ দিন আগে
বিদ্যমান নির্বাচনী পদ্ধতি নিয়ে জনগণের কোনো অভিযোগ নেই: গণসংহতি আন্দোলনের আবুল হাসান রুবেল
পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচনের গ্রহণযোগ্যতা প্রসঙ্গে গণসংহতি আন্দোলনের আবুল হাসান রুবেল বলেন, ‘এমন নয় যে জনগণ প্রচলিত নির্বাচনী পদ্ধতিতে আস্থা হারিয়ে ফেলেছে। ১৭ বছর ধরে তারা কোনো ভোট দিতে পারেনি। জনগণ চায় ভোটাধিকার। বিদ্যমান পদ্ধতি নিয়ে তাদের কোনো অভিযোগ নেই।’
শনিবার (১১ অক্টোবর) দুপুরে রাজধানীর মৌচাকে কসমস সেন্টারে আয়োজিত ‘ইলেকশন ২০২৬: এ ক্রিটিক্যাল লুক অ্যাট প্রোপোরশনাল রিপ্রেজেন্টেশন’ শীর্ষক সেমিনারে তিনি এ মন্তব্য করেন।
অনুষ্ঠানটির মিডিয়া পার্টনার ছিল ইউনাইটেড নিউজ অব বাংলাদেশ (ইউএনবি)।
রুবেল বলেন, ‘পিআরের কথা তখনই ভাবা যেত, যদি জনগণ বিদ্যমান পদ্ধতির ওপর আস্থা হারিয়ে ফেলতো।’
যদি পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন হয়, তাহলে বাংলাদেশের ভূ-রাজনৈতিক অবস্থান আরও চাপে পড়বে বলে রুবেল জানান। তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের মতো ভৌগলিক অবস্থানের দেশে পিআর পদ্ধতি স্থিতিশীলতা নষ্ট করবে। তখন প্রতিবেশী দেশ ভারত, মিয়ানমার, চীন—এদের মধ্যে পড়ে চিরেচ্যাপ্টা পরিস্থিতি সৃষ্টি হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘এভাবেই বঙ্গোপসাগরীয় অঞ্চলের দিকে বিশ্বের শক্তিধর সব রাষ্ট্রের নজর থাকে। এ অঞ্চল কোনো কারণে অস্থিতিশীল হলে তারা বাংলাদেশ থেকে সুবিধা নেওয়ার চেষ্টা করবে।’
পিআরের অস্থিতিশীলতার সবচেয়ে বড় উদাহরণ হিসেবে রুবেল নেপালকে উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, ‘নেপালে ১৭ বছরে ১৪ বার প্রধানমন্ত্রী পরিবর্তন হয়েছে। এই অস্থিতিশীল পরিস্থিতির জন্য পিআর অনেক ক্ষেত্রে প্রভাবক হিসেবে কাজ করেছে।’
তিনি যোগ করেন, ‘সরকার যদি কাজ করার মতো সময় ও স্থিতিশীলতা না পায়, তাহলে দেশের পরিস্থিতি খারাপ হবে। এমন সময়ে পিআর পদ্ধতির দিকে যাওয়া বুদ্ধিমানের কাজ হবে না।’
দেশ দীর্ঘ সময় অস্থিতিশীল থাকলে আবারও ফ্যাসিজমের সম্ভাবনার শঙ্কা প্রকাশ করেন রুবেল। তিনি বলেন, ‘হাসিনার ফ্যাসিজম ছিল অনপপুলার ফ্যাসিজম। যদি অস্থিতিশীল পরিস্থিতি থেকে নতুন করে কোনো ফ্যাসিজম জন্ম নেয়, তা হবে পপুলার ফ্যাসিজম—এটি হাসিনার ফ্যাসিজমের থেকেও ভয়ঙ্কর হবে।’
রাজনীতিকে সংসদে কেন্দ্রবিন্দুতে নিয়ে আসার আহ্বান জানিয়ে সাইফুল হক বলেন, ‘সংসদের মাধ্যমে সব সমস্যার সমাধান সম্ভব। এরপরও যদি পিআর নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালানোর প্রয়োজন মনে হয়, সেজন্য এটি নিরাপদ হবে উচ্চকক্ষে আনা।’
কসমস গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও ইউএনবির সম্পাদক-ইন-চিফ এনায়েতউল্লাহ খানের সভাপতিত্বে আয়োজিত আলোচনায় অংশ নেন নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না, বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল হামিদুর রহমান আযাদ, এবি পার্টির মজিবুর রহমান মঞ্জু, গণসংহতি আন্দোলনের আবুল হাসান রুবেল, গণঅধিকারের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান এবং নির্বাচন কমিশনের সাবেক সচিব সম জকরিয়া প্রমুখ।
৭৯ দিন আগে
ইসরায়েলের মতো দেশ উগ্রবাদী হয়ে ওঠার পেছনে পিআর পদ্ধতির বড় ভূমিকা রয়েছে: ড. জকরিয়া
ইসরায়েলের মতো দেশ উগ্রবাদী হয়ে ওঠার পেছনে পিআর পদ্ধতির বড় ভূমিকা রয়েছে উল্লেখ করে করেছেন নির্বাচন কমিশনের সাবেক সচিব ড. মোহাম্মদ জকরিয়া বলেছেন, ‘ইসরায়েলের উদারপন্থীদের জনসমর্থন বেশি থাকা সত্ত্বেও নেসেটে তাদের বিল পাস হয় না, তারা সরকার গঠন করতে পারে না। কারণ, অনেক ক্ষুদ্র উগ্রবাদী দল এক হয়ে পিআর পদ্ধতির মাধ্যমে নিজেদের স্বার্থ হাসিল করছে, সৃষ্টি করছে অরাজক পরিস্থিতি।’
‘বাংলাদেশেও এমন পরিস্থিতির উদ্ভব হবে না—এ নিশ্চয়তা কে দিতে পারে?’ প্রশ্ন তোলেন তিনি।
শনিবার (১১ অক্টোবর) দুপুরে রাজধানীর মৌচাকে কসমস সেন্টারে আয়োজিত ‘ইলেকশন ২০২৬: এ ক্রিটিক্যাল লুক অ্যাট প্রোপোরশনাল রিপ্রেজেন্টেশন’ শীর্ষক সেমিনারে তিনি এ মন্তব্য করেন। অনুষ্ঠানটির মিডিয়া পার্টনার ছিল ইউনাইটেড নিউজ অব বাংলাদেশ (ইউএনবি)।
তিনি বলেছেন, ঢালাওভাবে যারা পিআর পদ্ধতির দাবি তুলছেন, তাদের জানা উচিত—এই এক পিআর পদ্ধতির মধ্যেই রয়েছে নানা ধাপ। কিন্তু তারা কোন ধাপের, কোন প্রকারের পিআর পদ্ধতির নির্বাচন চান, সে বিষয়ে কোনো স্পষ্ট বক্তব্য নেই।
মুক্ত, বদ্ধ, মিশ্র—প্রধানত এই তিন পদ্ধতির মধ্যে কোনটি বাংলাদেশের জন্য উপযোগী, সেটি নিয়ে আলোচনা ও পরীক্ষা-নিরীক্ষার প্রয়োজন আছে বলে মনে করেন ড. জকরিয়া।
পিআর পদ্ধতির সুবিধার চেয়ে অসুবিধা বেশি উল্লেখ করে জকরিয়া বলেন, ‘একটি দল সবচেয়ে বেশি ভোট পেয়ে সরকার গঠন করতে পারবে না—এটা কেবল পিআর পদ্ধতিতেই সম্ভব। এমন ঘটলে জনগণের প্রত্যাশার ব্যত্যয় ঘটবে।’
তিনি বলেন, ‘পিআরের যেসব সুবিধার কথা বলা হচ্ছে, তার চেয়ে অসুবিধার পরিমাণই বেশি। সব দিক বিবেচনা করে রাজনৈতিক দলগুলোর পিআর প্রসঙ্গে সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত।’
পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন হলে আওয়ামী লীগের পুনর্বাসন হতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করে জকরিয়া বলেন, ‘এ পদ্ধতিতে প্রার্থীদের নিজ এলাকায় যাওয়ার প্রয়োজন পড়বে না। আওয়ামী লীগের অনেক প্রার্থী নানা রাজনৈতিক দলে মিশে গিয়ে আবারও সংসদে বসতে পারে।’
‘এতে করে ফ্যাসিবাদের আবারও পুনরুত্থান ঘটতে পারে,’ মন্তব্য করেন তিনি।
কসমস গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও ইউএনবির সম্পাদক-ইন-চিফ এনায়েতউল্লাহ খানের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় অংশ নেন নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না, বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল হামিদুর রহমান আযাদ, এবি পার্টির মজিবুর রহমান মঞ্জু, গণসংহতি আন্দোলনের আবুল হাসান রুবেল, গণঅধিকারের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান এবং নির্বাচন কমিশনের সাবেক সচিব ড. মোহাম্মদ জকরিয়া প্রমুখ।
৭৯ দিন আগে
পিআর পদ্ধতি প্রত্যাখ্যান করলেন মঈন খান
‘পিআর পদ্ধতি দলীয় কিছু আসন বৃদ্ধি ছাড়া, জনগণের জন্য কোনো সুবিধা নেই’ বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আবদুল মঈন খান।
শনিবার (১১ সেপ্টেম্বর) দুপুরে রাজধানীর মৌচাকে কসমস সেন্টারে আয়োজিত ‘ইলেকশন ২০২৬: অ্যা ক্রিটিক্যাল লুক অ্যাট প্রোপোশনাল রিপ্রেজেন্টেশন’ শীর্ষক সেমিনারে তিনি এই প্রশ্ন তুলেন। অনুষ্ঠানটির মিডিয়া পার্টনার হিসেবে ছিল ইউনাইটেড নিউজ অব বাংলাদেশ (ইউএনবি)।
তিনি বলেন, ‘আমি কেন পিআর চাচ্ছি? একটু যদি আমরা খোলাখুলি যদি বলি, পিআরটা চাচ্ছি এই কারণে যে, আমি পার্লামেন্টে কিছু বেশি সিট (আসন) পাবো, এর বাইরে কিছু নাই। এখন আমি পার্লামেন্টে অধিকতর ক্ষমতাবান হবো, অধিক সিট পাবো সেই কারণে মানুষের মৌলিক যে দাবি সেটাকে আমি অগ্রাহ্য করব, এটা তো গণতন্ত্রের ভাষা নয়। কাজেই সেই দিক থেকে এটা সেলফ কনট্রাডিক্টরি।’
মঈন খান আহ্বান করেন, ‘আসুন, আমরা মানুষের কল্যাণ আমরা সবাই মিলে ঐক্যবদ্ধ থেকে কাজ করি, এখানে খোলা নিয়ে কাজ করতে হবে।’
আবদুল মঈন খান বলেন, ‘দেখুন, পিআর করার অর্থটা কি? পিআর হচ্ছে আপনি ব্যক্তির যে অবস্থান সেটাকে দুর্বল করে দলের অবস্থানকে আরো শক্তিশালী করে দিচ্ছে অর্থাৎ মানুষ ভোট দিবে দলকে এবং দল নির্ধারণ করে দেবে কে প্রার্থী হবেন।’
তিনি বলেন, ‘তাহলে কি হচ্ছে? আমাদের যে মৌলিক চিন্তাধারা যে, জনগণ তাদের প্রতিনিধি থাকবে এবং জনগণের প্রতিনিধিরা সরাসরি জনগণের কাছে জবাবদিহি করবে সেইটা তো তাহলে আর থাকছে না।
মঈন খান বলেন, বাংলাদেশের যে রাজনৈতিক ইতিহাস আমরা বিগত ৫৪ বছরে দেখেছি, যখনই দল বেশি শক্তিশালী হয়ে গেছে তখনই কিন্তু জনগণের জন্য দুর্যোগ নেমে এসেছে।’
কসমস গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও ইউএনবির সম্পাদক-ইন-চিফ এনায়েতউল্লাহ খানের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় অংশ নেন নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না, বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল হামিদুর রহমান আযাদ, এবি পার্টির মজিবুর রহমান মঞ্জু, গণসংহতি আন্দোলনের আবুল হাসান রুবেল, গণঅধিকারের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান এবং নির্বাচন কমিশনের সাবেক সচিব ড. মোহাম্মদ জকরিয়া প্রমুখ।
৭৯ দিন আগে
পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচনের বিষয়ে গণভোটের দায়িত্ব রাজনৈতিক দলগুলোকে কে দিয়েছে, প্রশ্ন খসরুর
সংখ্যানুপাতিক প্রতিনিধিত্ব (পিআর) পদ্ধতিতে নির্বাচনের বিষয়ে গণভোট করার দায়িত্ব রাজনৈতিক দলগুলোকে কে দিয়েছে তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী।
শনিবার (১১ সেপ্টেম্বর) দুপুরে রাজধানীর মৌচাকে কসমস সেন্টারে আয়োজিত ‘ইলেকশন ২০২৬: অ্যা ক্রিটিক্যাল লুক অ্যাট প্রোপোশনাল রিপ্রেজেন্টেশন’ শীর্ষক সেমিনারে তিনি এই প্রশ্ন তোলেন। অনুষ্ঠানটির মিডিয়া পার্টনার হিসেবে ছিল ইউনাইটেড নিউজ অব বাংলাদেশ (ইউএনবি)।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য বলেন, ‘পিআরের জন্য আমাকে গণভোটে যেতে হবে কেন? আমাদের তো প্রত্যেকটি দলের অনেকগুলো ইস্যু আছে যেগুলোতে ঐক্যমত হয়নি।’
আমির খসরু বলেন, ‘প্রথমত, এই দায়িত্ব আমাদেরকে কে দিয়েছে? আমাদেরকে জনগণ গণভোট করার দায়িত্ব দেয়নি।’
তিনি আরও বলেন, ‘দেশ প্রায় ১৪ মাস ধরে নির্বাচনহীন একটি সরকারের হাতে আছে। বর্তমান সংবিধানের আওতায় নির্বাচন করে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে হবে এবং জনগণের ওপর ছেড়ে দিতে হবে—তারা পিআর চায় নাকি প্রচলিত ব্যবস্থায় নির্বাচন চায়। তাই আগে আমাদের একটি নির্বাচিত সরকার, নির্বাচিত সংসদ গঠন করতে হবে, তারপর প্রত্যেকটি দল তাদের বিষয়গুলো নিয়ে জনমত তৈরি করতে পারবে এবং জনগণের কাছে যেতে পারবে।’
পিআর পদ্ধতির পক্ষে থাকা দলগুলোর উদ্দেশে খসরু বলেন, ‘যারা পিআর চান, তাদের উচিত জনগণের ম্যান্ডেট আনা। ৩০টি রাজনৈতিক দল নিয়ে আলোচনা করে আগামীর বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ নির্ধারণের অধিকার জনগণ কাউকে দেয়নি। জনগণ কী চায়, সেটি নির্বাচনের মাধ্যমেই নির্ধারণ করবে।’
তিনি বলেন, ‘জনগণ পিআর চায়, এমন কোনো জনসমর্থন তারা দেখাতে পারবে না। কমিশনের আলোচনায়ও এ নিয়ে স্পষ্ট কিছু নেই। তাহলে এই গণভোটের দাবি কেন?’
৭৯ দিন আগে