রাজনীতি
রবিবারের নির্বাচন দেশে-বিদেশে বিশ্বাসযোগ্য হবে: সিইসি
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন জাতীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে বিশ্বাসযোগ্য হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল।
রাজধানীতে নির্বাচন পূর্ব সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ‘বিশ্বাসযোগ্যতা একটি আপেক্ষিক বিষয়। তবে আমরা আমাদের পক্ষ থেকে এই নির্বাচনকে ব্যাপকভাবে বিশ্বাসযোগ্য করার চেষ্টা করব। আমরা আশাবাদী যে, নির্বাচন দেশে-বিদেশে বিশ্বাসযোগ্য হবে।’
শনিবার (৬ জানুয়ারি) বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলনকেন্দ্রে স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক সাংবাদিক ও নির্বাচন পর্যবেক্ষকদের জন্য 'মিট প্রেস দ্য: দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ২০২৪' এর আয়োজন করে নির্বাচন কমিশন।
এক প্রশ্নের জবাবে সিইসি বলেন, একটি বড় রাজনৈতিক গোষ্ঠী ভোটের বিরুদ্ধে জোরালো প্রচার চালাচ্ছে। ফলে এই নির্বাচন শান্তিপূর্ণভাবে আয়োজন করতে গিয়ে চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হতে পারে নির্বাচন কমিশন।
তিনি বলেন, 'এবার সামনে কিছু চ্যালেঞ্জ রয়েছে, কারণ এরই মধ্যে বেশ কিছু ঘটনা ঘটেছে। একটি বড় রাজনৈতিক দল আরও কয়েকটি দলের সঙ্গে জোটবদ্ধ হয়ে নির্বাচনবিরোধী জোরালো প্রচারণা চালাচ্ছে।’
তবে হাবিবুল আউয়াল বলেন, বিরোধী দলের প্রতিরোধের মধ্যেও জনগণের অংশগ্রহণে নির্বাচন কমিশন এই নির্বাচন পরিচালনা করতে সক্ষম হবে।
তিনি বলেন, 'শান্তিপূর্ণভাবে নির্বাচন অনুষ্ঠানের ক্ষেত্রে কিছুটা হলেও সংকট দেখা দিতে পারে, কারণ একটি গোষ্ঠী নির্বাচনের বিরোধিতা করছে, বর্জন করছে এবং প্রকাশ্যে প্রতিহত করার ঘোষণা দিচ্ছে। আমরা এই বাস্তবতা অস্বীকার করি না।’
আরও পড়ুন: শতভাগ নিশ্চিত করতে পারি, আগের রাতে ভোট হবে না: সিইসি
তবে নির্বাচন কমিশন প্রস্তুতি নিয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, 'বিরোধিতা ও প্রতিরোধ থাকা সত্ত্বেও জনগণ ও ভোটারদের অংশগ্রহণে আমরা এই নির্বাচন আয়োজন করতে সক্ষম হব।’
হাবিবুল আউয়াল নির্বাচনের বিরুদ্ধে প্রচারণা চালানো সব বিরোধী রাজনৈতিক দলের দিকে ইঙ্গিত করে বলেন, 'আপনারা ভোটকেন্দ্রে না গিয়ে জনমত গঠনের জন্য নির্বাচনের বিরুদ্ধে শান্তিপূর্ণভাবে প্রচারণা চালাতে পারেন, কিন্তু ভোটারদের ভোটকেন্দ্রে যেতে বাধা দিয়ে শারীরিকভাবে নির্বাচন প্রতিহত করলে তা অপরাধ হবে।’
তিনি আরও বলেন, বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো যদি নির্বাচন প্রতিহত করতে অগ্নিসংযোগ ও শারীরিক শক্তি প্রয়োগ করে তাহলে কমিশনকে চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে হবে।
বিএনপিসহ ১৫ দলের বর্জনের মধ্য দিয়ে নির্বাচন হবে বলে অনেক নির্বাচন বিশেষজ্ঞ এটিকে সঠিক নির্বাচন মনে করছেন না- এ বিষয়ে তার দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে সিইসি বলেন, কোনো রাজনৈতিক বিতর্কে জড়ানো ইসির কাজ নয়। ইসির কাজ শুধু নির্বাচন পরিচালনা করা। তিনি বলেন, ‘এই বিতর্ক রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে থাকবে এবং রাজনীতিবিদরাই একদিন এর সমাধান করতে পারেন।’
আরও পড়ুন: আগামী নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হতে হবে: সিইসি
হাবিবুল আউয়াল এই নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করার স্বার্থে প্রতিটি ভোটকেন্দ্রে তাদের পোলিং এজেন্ট রাখার জন্য প্রার্থীদের প্রতি আহ্বান জানান।
সম্ভাব্য ভোটার উপস্থিতি সম্পর্কে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ভোটার উপস্থিতির হার অনুমান করা এখনই কঠিন।
তবে তিনি বলেন, ভোটার উপস্থিতি যদি এক শতাংশেরও কম হয় তবে এটি আইনগতভাবে সঠিক হবে, যদিও কেউ কেউ এর বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন তুলতে পারে।
সিইসি বলেন, ভোটারদের ভোটকেন্দ্রে ভোট দিতে আসতে উৎসাহিত করা ইসির একটি ছোট খাটো দায়িত্ব। প্রার্থীদের প্ররোচনার কারণে ভোটাররা সর্বদা যেতে আগ্রহী উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আমি মনে করি এটি একটি ছোট খাটো দায়িত্ব।’
এক প্রশ্নের জবাবে সিইসি বলেন, 'বিএনপি নির্বাচনে অংশ নিলে নির্বাচন আরও প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ, অংশগ্রহণমূলক ও উৎসবমুখর হতো। এটা একটা সত্যি।’
এর আগে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রস্তুতি নিয়ে একটি অডিও-ভিজ্যুয়াল প্রেজেন্টেশন প্রদর্শন করা হয়।
চার নির্বাচন কমিশনার, পররাষ্ট্র সচিব ও ইসি সচিব এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: ভোট দিতে কোনো চাপ নেই, তবে 'একটি দলের' লিফলেটে না দিতে বলা হয়েছে: সিইসিকে উদ্ধৃত করে পররাষ্ট্র সচিব
৭২২ দিন আগে
পানিয়ারুপ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভোট দেবেন আইনমন্ত্রী
রবিবার (৭ জানুয়ারি) আইনমন্ত্রী আনিসুল হক ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলার পানিয়ারুপ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভোটকেন্দ্রে তার ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন।
রবিবার (৭ জানুয়ারি) দুপুর ১২টা বা এর কাছাকাছি সময়ে ভোট দেবেন বলে জানিয়েছেন। পানিয়ারুপ তার নিজ গ্রাম।
আরও পড়ুন: বাক স্বাধীনতা কিংবা সংবাদপত্রের স্বাধীনতা হরণের জন্য আইসিটি আইন করা হয়নি: আইনমন্ত্রী
বাংলাদেশের ইতিহাসে টানা দুই মেয়াদে আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পালনকারী আনিসুল হক ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৪ (কসবা-আখাউড়া) আসন থেকে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ মনোনীত সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী।
এর আগে তিনি ২০১৪ ও ২০১৮ সালের নির্বাচনে নৌকা প্রতীক নিয়ে জাতীয় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।
আরও পড়ুন: অন্যরা ক্ষমতায় আসে খেতে, আওয়ামী লীগ আসে দিতে: আইনমন্ত্রী
এবার কসবা ও আখাউড়া উপজেলায় মোট ভোটার সংখ্যা ৪ লাখ দুই হাজার ৫৯০টি। এর মধ্যে কসবা উপজেলার ভোটার সংখ্যা ২ লাখ ৭৬ হাজার ৩৮৬টি। আখাউড়া উপজেলার ভোটার সংখ্যা ২ লাখ ২৬ হাজার ২০৪টি।
মোট ভোটারের মধ্যে পুরুষ ২ লাখ ৭ হাজার ৮৪৭ জন, নারী ১ লাখ ৯৪ হাজার ৭৩৯ জন এবং হিজড়া চারজন।
আরও পড়ুন: বিএনপি-জামায়াত বিশ্বে টাকা বিলিয়ে দেশের বিরুদ্ধে কুৎসা রটাচ্ছে: আইনমন্ত্রী
আইনমন্ত্রীর নির্বাচনি এলাকার কসবা উপজেলা একটি পৌরসভা ও ১০টি ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত। এই উপজেলায় ভোট কেন্দ্র ৭৪টি।
আরও পড়ুন: বিএনপি-জামায়াতের আমলে হত্যা করলেও কোনো বিচার হতো না: আইনমন্ত্রী
৭২২ দিন আগে
প্রশাসন একপেশে আচরণ করছে: এ কে আজাদ
আওয়ামী লীগের প্রার্থী শামীম হকের বাহিনী দিয়ে ঈগল প্রতীকের কর্মী-সমর্থকদের ভয়ভীতি দেখিয়ে ফরিদপুরে একটা ভয়ার্ত পরিবেশ সৃষ্টি করা হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন ফরিদপুর-৩ (সদর) আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী এ কে আজাদ।
এ ছাড়া পুলিশ প্রশাসনও একপেশে আচরণ করছে বলে তিনি মন্তব্য করেন।
আরও পড়ুন: ফরিদপুরে নির্বাচনী জনসভায় ভাষণ দেবেন শেখ হাসিনা
নির্বাচনের ঠিক ২৪ ঘণ্টা আগে শনিবার দুপুর ১২টার দিকে ফরিদপুর শহরের ঝিলটুলী এলাকার নিজ বাড়িতে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন ঈগল প্রতীকের প্রার্থী এ কে আজাদ।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের বিভিন্ন স্তরের নেতা-কর্মী।
এ কে আজাদ বলেন, বাংলাদেশকে বেকারত্ব ও ক্ষুধামুক্ত করার মিশনে ঈগলের পক্ষে জনসমর্থন দেখে তা নস্যাৎ করার চেষ্টা করছেন জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি শামীম হক ও তার সমর্থকরা। সুষ্ঠু ও অবাধ নির্বাচনে বারবার নানা কায়দায় বাধার সৃষ্টি করছেন। এতে সরকারের সুনাম ক্ষুণ্ণ হচ্ছে।
আরও পড়ুন: স্বাধীনতাবিরোধী শক্তির চক্রান্ত বন্ধ করতে নৌকায় ভোট দিন: ফরিদপুরে শেখ হাসিনা
তিনি বলেন, গত ১৮ ডিসেম্বর প্রতীক বরাদ্দের পর থেকে ঈগল সমর্থক নেতা-কর্মীদের হামলা-মামলা, ভয়-ভীতি দেখানো অব্যাহত রয়েছে। ক্যাম্প পুড়িয়ে দেওয়ার ঘটনা ঘটাচ্ছে। এসব ঘটনায় পাঁচটি মামলা এবং ১৪টি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করার পরও দুই-একটি ছাড়া তেমন কার্যকর কোনো পদক্ষেপ নিতে দেখা যায়নি।
আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নিরপেক্ষতা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে উল্লেখ করে এ কে আজাদ বলেন, নির্বাচনের পরিবেশকে অস্থিতিশীল করতে আমার নেতা-কর্মীদের বাড়ি গিয়ে ভয়ভীতি দেখানো হচ্ছে। তারা যাতে বাসায় না থাকেন এই ভয়ও দেখানো হচ্ছে। শামীম হকের গুণ্ডাবাহিনী ও পুলিশ হুমকি দেওয়া অব্যাহত রেখেছে। একই সঙ্গে ঈগল সমর্থক নেতা-কর্মীদের গ্রেপ্তার ও অব্যাহত রয়েছে।
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রীর আগমন উপলক্ষে ফরিদপুরে আ. লীগের নেতা-কর্মীদের উপচেপড়া ভিড়
তিনি বলেন, গত রাতেও পুলিশ ঈগল প্রতীকের সমর্থক ও একাধিক নেতা-কর্মী বাসায় হানা দিয়ে নানা রকম ভয়ভীতি দেখিয়েছে। এতে করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর নিরপেক্ষতা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে।
সংবাদ সম্মেলনে সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে নিরপেক্ষ করার আহ্বান জানান এ কে আজাদ।
আরও পড়ুন: ফরিদপুর চেম্বারের সাবেক সভাপতি সিদ্দিকুর ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে দুদকের মামলা
৭২২ দিন আগে
বিরোধী দলের বর্জনের মধ্যে রবিবারের নির্বাচনে জয় পেতে যাচ্ছে আওয়ামী লীগ
বিরোধী দলের নির্বাচন বর্জন এবং টানা চতুর্থবারের মতো ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের বিজয় নিশ্চিতের মধ্যে দিয়েই বাংলাদেশে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে রবিবার দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন।
প্রধান বিরোধী দল বিএনপিসহ বেশ কয়েকটি দল নির্বাচন বর্জন করছে। অপরদিকে আওয়ামী লীগসহ ২৭টি রাজনৈতিক দল অংশ নিচ্ছে।
বিশ্লেষকদের মতে, বিরোধী দলের বর্জনের কারণে আওয়ামী লীগ আবারও সরকার গঠনের জন্য নির্বাচনে জয়লাভ করবে এবং ১৫ বছরের শাসনকাল আরও পাঁচ বছর বাড়িয়ে ২০২৯ সাল পর্যন্ত করবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: ইসি অবাধ, নিরপেক্ষ পরিচ্ছন্ন নির্বাচন করতে চায়: নির্বাচন কমিশনার আহসান হাবিব
অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের তদারকির জন্য নির্দলীয় প্রশাসনের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তরের দাবি শেখ হাসিনার সরকার প্রত্যাখ্যান করায় বিরোধীরা দৌড় থেকে সরে আসছে।
দেশের ইতিহাসে এবারই প্রথম ক্ষমতাসীন দলটি নিজ দলের স্বতন্ত্র হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী প্রার্থীদের কারণে কঠিন লড়াইয়ের মুখোমুখি হচ্ছে ।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বৃহস্পতিবার জাতির উদ্দেশে টিলিভিশনে দেওয়া তার নির্বাচনি প্রচারের শেষ ভাষণে ভোটারদের ভোরে ভোটকেন্দ্রে যাওয়ার আহ্বান জানান। তিনি তার দলের নির্বাচনি প্রতীক নৌকায় ভোট দেওয়ার আহ্বান জানান।
তবে বিরোধী দল বিএনপি ও তার সমমনা দলগুলো ভোটের দিনসহ ৪৮ ঘণ্টার হরতালের ডাক দিয়েছে।
আরও পড়ুন: কোনো কেন্দ্রে জাল ভোট হলে প্রিজাইডিং অফিসারকে বরখাস্ত করা হবে: নির্বাচন কমিশনার
শুক্রবার রাতে বেনাপোল এক্সপ্রেস ট্রেনে অগ্নিসংযোগ ও ভোটকেন্দ্রে অগ্নিসংযোগের ঘটনায় শিশুসহ চারজনের মৃত্যুর পর সারাদেশে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে।
ইসি জানায়, শনিবার সারা দেশে নির্বাচনি কর্মকর্তারা ভোটকেন্দ্রে নির্বাচনি সামগ্রী পৌঁছে দিচ্ছেন। তবে ভোটের দিন সকালে ব্যালটগুলো কেন্দ্রে পাঠানো হবে।
দেশের ৩০০টি আসনের মধ্যে ২৯৯টি আসনে সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত বিরতিহীনভাবে ভোট গ্রহণ চলবে। নওগাঁ-২ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থীর মৃত্যুতে ওই আসনে ভোট গ্রহণ স্থগিত করা হয়েছে বলে জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। নির্বাচনে ৪৩৬ জন স্বতন্ত্র প্রার্থীসহ মোট ১ হাজার ৯৭০ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
আরও পড়ুন: ভালো নির্বাচন না হলে অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক সংকট তৈরি হবে: নির্বাচন কমিশনার
৮০ থেকে ১০০ আসনে আওয়ামী লীগ প্রার্থী ও স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা একই দলের প্রতিদ্বন্দ্বীদের মধ্যে কঠিন লড়াই দেখা যাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
নির্বাচনে ক্ষমতাসীন দল মনোনীত প্রার্থীরা ২৬৬টি আসনে নৌকা প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।এ ছাড়া জাতীয় পার্টির সঙ্গে ২৬টি আসন এবং ১৪ দলীয় জোটের তিনটি শরিককে ছয়টি আসন ছেড়ে দিয়েছে ক্ষমতাসীনরা। এর মধ্যে জাসদকে তিনটি, ওয়ার্কার্স পার্টিকে দুটি ও জাতীয় পার্টিকে (জেপি-মঞ্জু) একটি আসন দিয়েছে।
বরিশাল-৪ ও কক্সবাজার-১ আসনে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থীদের প্রার্থিতা বাতিল হওয়ায় তাদের কোনো প্রার্থী নেই। বরিশাল-৪ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য পঙ্কজ নাথ এবং কক্সবাজার-১ আসনে কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান সৈয়দ মুহাম্মদ ইব্রাহিম প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
আরও পড়ুন: নির্বাচন নির্বিঘ্ন করতে মাঠ প্রশাসনকে নির্দেশ নির্বাচন কমিশনের
জাতীয় পার্টির মনোনীত প্রার্থীরা আনুষ্ঠানিকভাবে ২৬৫টি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। জাপার ২৬৫ জন প্রার্থীর মধ্যে ২৬ জন আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন জোটের প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তবে জাতীয় পার্টির কয়েকজন প্রার্থী অনানুষ্ঠানিকভাবে নির্বাচনি দৌড় থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন।
নির্বাচন কমিশনে নিবন্ধিত ৪৪টি রাজনৈতিক দলের মধ্যে ১৬টি দল নির্বাচনি দৌড়ের বাইরে রয়েছে।
ইসির তথ্য অনুযায়ী, ৪২ হাজার ২৪টি ভোটকেন্দ্রের ২ লাখ ৬০ হাজার ৮৫৬টি বুথে ১১ কোটি ৯৩ লাখ ৩২ হাজার ৯৩৪ জন ভোটার ভোটাধিকার প্রযোগ করবেন। এর মধ্যে ৬ কোটি ৫ লাখ ৯১ হাজার ১৯৭ জন পুরুষ ভোটার, ৫ কোটি ৮৭ লাখ ৩৯ হাজার ৮৮৯ জন নারী ও ৮৪৮ জন তৃতীয় লিঙ্গের ভোটার রয়েছেন।
আরও পড়ুন: নির্বাচন কমিশন যথাসময়ে নির্বাচন করতে প্রস্তুত: সাহাবুদ্দিনকে সিইসি
৭ জানুয়ারির নির্বাচনে প্রায় ১০ হাজার ভোটকেন্দ্রকে ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্র হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে (যদিও নির্বাচন কমিশন এ ধরনের কেন্দ্রগুলোকে গুরুত্বপূর্ণ ভোটকেন্দ্র হিসেবে আখ্যায়িত করেছে)। ঝুঁকিপূর্ণ ভোটকেন্দ্রগুলোতে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
সারা দেশে আচরণবিধি লঙ্ঘন রোধ করে নির্বাচনি পরিবেশ বজায় রাখতে প্রায় ৮ লাখ নিরাপত্তা কর্মী নির্বাচনি দায়িত্বে নিয়োজিত রয়েছেন।
এর মধ্যে ৩৮ হাজার ১৫৪ জন সেনা সদস্য, ২ হাজার ৮২৭ জন নৌবাহিনী সদস্য (১৯ জেলা), ৪৪ হাজার ৯১২ জন (১১৫১ প্লাটুন) বিজিবি সদস্য, ২ হাজার ৩৫৫ (৭০ প্লাটুন) কোস্টগার্ড সদস্য, র্যাবের ৬০০ টহল দল ও ব্যারেব ৯৫টি রিজার্ভ টিম, ১ লাখ ৭৪ হাজার ৭৬৭ জন পুলিশ সদস্য এবং ৫ লাখ ১৪ হাজার ২৮৮ জন আনসার সদস্য রয়েছেন।
আরও পড়ুন: ২২ দল আয়-ব্যয়ের হিসাব জমা দেয়নি নির্বাচন কমিশনে
এ ছাড়া নির্বাচনি আচরণবিধি লঙ্ঘনের শাস্তি দিতে ৬৫৩ জন জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট এবং প্রায় দুই হাজার (১৯৭০) নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাঠে রয়েছেন।
নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা গেছে, সারাদেশে ৪২ হাজার ২৪ জন প্রিজাইডিং অফিসার, ২ লাখ ৬০ হাজার ৮৫৬ জন সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার এবং প্রায় ৫ লাখ ২২ হাজার পোলিং অফিসারসহ প্রায় ৯ লাখ পোলিং কর্মকর্তা ভোট গ্রহণের দায়িত্ব পালন করবেন।
নির্বাচন পরিচালনার জন্য ৬৪ জন জেলা প্রশাসক ও ঢাকা ও চট্টগ্রামের ২ জন বিভাগীয় কমিশনারসহ ৬৬ জন রিটার্নিং অফিসার এবং ৫৯০ জন সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা, ৪৯৩ জন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও), ৫৬ জন উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা, ১৪ জন স্থানীয় সরকার উপপরিচালক, ৮ জন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক, ১১ জন জোনাল নির্বাহী কর্মকর্তা, ৫ জন ক্যান্টনমেন্ট নির্বাহী কর্মকর্তা, ২ জন সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও একজন সার্কেল কর্মকর্তা রয়েছেন।
নির্বাচন কমিশন মেট্রোপলিটন এলাকার বাইরে অবস্থিত ভোটকেন্দ্র ও মেট্রোপলিটন এলাকার অভ্যন্তরে অবস্থিত ভোটকেন্দ্রের জন্য পৃথক নিরাপত্তা পরিকল্পনা প্রণয়ন করায় প্রতিটি ভোটকেন্দ্রের নিরাপত্তার জন্য ১৫-১৭ সদস্যের একটি টিম মোতায়েন করা হবে।
আরও পড়ুন: ‘নির্বাচন কমিশনের কর্মকর্তাদের ড্রেনে ফেলে দেওয়ার’ হুমকি দিল নূর
মেট্রোপলিটন এলাকার বাইরে দুই জন পুলিশ সদস্য, অস্ত্রসহ একজন আনসার, অস্ত্র বা লাঠিসহ একজন আনসার, লাঠিসহ ১০ জন আনসার, লাঠিসোটা নিয়ে একজন বা দুইজন গ্রাম পুলিশ সদস্যসহ ১৫-১৬ জনের একটি নিরাপত্তা কর্মী প্রতিটি সাধারণ ভোটকেন্দ্র পাহারা দেবে। তবে প্রতিটি গুরুত্বপূর্ণ ভোটকেন্দ্রের ক্ষেত্রে (যা ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্র হিসেবে বিবেচিত হয়) অস্ত্রসহ তিনজন পুলিশসহ ১৬-১৭ জন নিরাপত্তারক্ষী থাকবে। মেট্রোপলিটন এলাকার অভ্যন্তরে প্রতিটি ভোটকেন্দ্রের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে তিন পুলিশ সদস্য, অস্ত্রসহ একজন আনসার, অস্ত্র ও অথবা লাঠিসহ একজন আনসার, লাঠিসহ আরও ১০ জন আনসার সদস্যের সমন্বয়ে গঠিত ১৫ সদস্যের নিরাপত্তা দল থাকবে।
আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন জোটের ২৬ জন প্রার্থী হলেন- ঠাকুরগাঁও-৩, নীলফামারী-৩ ও ৪, রংপুর-১ ও ৩, কুড়িগ্রাম-১ ও ২, গাইবান্ধা-১ ও ২, বগুড়া-২ ও ৩, সাতক্ষীরা-২, পটুয়াখালী-১, বরিশাল-৩, পিরোজপুর-৩, ময়মনসিংহ-৫ ও ৮, কিশোরগঞ্জ-৩, মানিকগঞ্জ-১, ঢাকা-১৮, হবিগঞ্জ-১, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২, ফেনী-৩, চট্টগ্রাম-৫ ও ৮ এবং নারায়ণগঞ্জ-৫।
এ ছাড়া আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন জোটে জাসদ বগুড়া-৪, কুষ্টিয়া-২ ও লক্ষ্মীপুর-৪ আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে এবং বরিশাল-২ ও রাজশাহী-২ আসনে ওয়ার্কার্স পার্টির দুজন এবং পিরোজপুর-২ আসনে জাতীয় পার্টি-জেপির একজন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
আরও পড়ুন: নির্বাচন কমিশন নিরপেক্ষতা ও সক্ষমতার প্রমাণ দিয়েছে: ইএমএফ
২০২৩ সালের ১৫ নভেম্বর প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল ২০২৪ সালের ৭ জানুয়ারি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেন।
মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ তারিখ ছিল ৩০ নভেম্বর, ২০২৩ এবং প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ তারিখ ছিল ১৭ ডিসেম্বর, ২০২৩।
সর্বশেষ ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর দুই বৃহত্তম রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগ ও বিএনপির অংশগ্রহণে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।
আরও পড়ুন: ২ দিন চলবে না বেনাপোল এক্সপ্রেসসহ ২১ ট্রেন
৭২২ দিন আগে
বিএনপির নির্বাচন বর্জন-নাশকতায় যোগসূত্র আছে কি না তা খতিয়ে দেখতে হবে: কাদের
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন বর্জনে বিএনপির আহ্বানের সঙ্গে চলমান নাশকতার মধ্যে কোনো যোগসূত্র আছে কি না- তা তদন্ত করে দেখতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
শনিবার (৬ জানুয়ারি) সকালে নিজ নির্বাচনি এলাকা নোয়াখালী-৫ (কোম্পানীগঞ্জ-কবিরহাট) এলাকায় সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে তিনি এসব কথা বলেন।
বিএনপি-জামায়াতের গুজব ও অপপ্রচারে বিভ্রান্ত না হয়ে নির্ভয়ে ভোটকেন্দ্রে যাওয়ার আহ্বানও জানান ওবায়দুল কাদের।
তিনি বলেন, ‘আমরা গভীর ক্ষোভ ও উদ্বেগের সঙ্গে লক্ষ্য করছি, ৭ জানুয়ারির নির্বাচন সামনে রেখে বিএনপি ও তাদের মিত্ররা নাশকতা, অগ্নিসংযোগসহ ব্যাপক সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড শুরু করেছে।’
আরও পড়ুন: ভোটের দিন নৈরাজ্য সৃষ্টির পরিকল্পনা করেছে বিএনপি: তথ্যমন্ত্রী
গতকাল বেনাপোল এক্সপ্রেসে অগ্নিসংযোগের ঘটনায় নিন্দা জানিয়ে তিনি বলেন, বিএনপি-জামায়াত দেশকে ধ্বংস করতে চায়।
তিনি আরও বলেন, বিএনপি ও জামায়াত একাত্তরের পরাজিত শক্তি এবং ১৯৭৫ সালের খুনি। তারা ‘মানুষকে পুড়িয়ে রাজনীতি’ করতে চায়।
ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি নির্বাচন বর্জনের ডাক দিয়েছে এবং প্রতিনিয়ত নির্বাচনবিরোধী অপপ্রচার চালাচ্ছে।
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ কখনও কোনো অশুভ শক্তির কাছে মাথা নত করেনি এবং ভবিষ্যতেও করবে না।’
আরও পড়ুন: ভোটের দিন নৈরাজ্য সৃষ্টির পরিকল্পনা করেছে বিএনপি: তথ্যমন্ত্রী
রবিবারের নির্বাচন সারাদেশে শান্তিপূর্ণ হবে উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, বিদেশি পর্যবেক্ষক ও সাংবাদিকরাও নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করবেন।
তিনি বলেন, ‘নির্বাচন বর্জনকারী অশুভ শক্তির সন্ত্রাসী চরিত্রের প্রমাণ আপনারা দেখতে পাচ্ছেন। তারা বাস, ট্রেনে আগুন ধরিয়ে দিচ্ছে। আমরা বাংলাদেশের জনগণ এই সন্ত্রাসীদের চরিত্র জানি।’
বিএনপি যাতে নাশকতা চালাতে না পারে সেজন্য আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের সজাগ থাকার আহ্বান জানান ওবায়দুল কাদের।
আওয়ামী লীগ জনগণের ভোটের মাধ্যমে আবারও সরকার গঠন করবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দেশকে আবারও স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার পথে নিয়ে যাবেন।
আওয়ামী লীগের এই নেতা বলেন, নির্বাচনের পরও বিএনপি-জামায়াত নাশকতা চালিয়ে যেতে পারে এবং তাদের কঠোর জবাব দিতে হবে।
তিনি বলেন, আমরা বিএনপিকে সন্ত্রাসী কার্যক্রম চালাতে দেব না। আমরা জানি কীভাবে কঠোর হতে হয়। সময়মতো সব ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও হুঁশিয়ারি দেন আওয়ামী লীগেরর এই নেতা।
আরও পড়ুন: বিএনপি নেতাদের উপর যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা নীতি প্রয়োগ করা উচিত: মোমেন
৭২২ দিন আগে
আগুনসন্ত্রাসে ভোট উৎসব ম্লান করা যাবে না: তথ্যমন্ত্রী
তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, আগুনসন্ত্রাস করে ভোট উৎসব ম্লান করা যাবে না।
তিনি বলেন, যেসব নেতা এসব ঘৃণ্য ও জঘন্য কাজের নির্দেশদাতা তারাও সমান অপরাধে অপরাধী।
শনিবার (৬ জানুয়ারি) দুপুরে চট্টগ্রাম নগরীর দেওয়ানজী পুকুর লেনের ওয়াইএনটি সেন্টারে সাংবাদিকদের সঙ্গে সমসাময়িক বিষয়ে ব্রিফিংকালে এসব কথা বলেন তিনি।
আরও পড়ুন: শ্রমিক-কর্মচারীদের মামলায় ড. ইউনুসের শাস্তি হয়েছে: তথ্যমন্ত্রী
এ সময় আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণবিষয়ক সম্পাদক মোহাম্মদ আমিনুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, জনগণের দাবি হচ্ছে, ভদ্রবেশী সুবেশধারী এসব নেতাদের বিরুদ্ধেও কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করার। যদি আমরা সরকার গঠন করতে পারি, আমাদের প্রধান কিছু কাজের মধ্যে অন্যতম প্রধান হবে আগুনসন্ত্রাসীদের মূলোৎপাটন করা। একটি সভ্য দেশে এসব চলতে দেওয়া যায় না।
তথ্যমন্ত্রী আরও বলেন, নির্বাচন নিয়ে সমস্ত আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রচণ্ড আগ্রহ তৈরি হয়েছে। সেজন্যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপীয় ইউনিয়ন, জাতিসংঘ, সার্কভুক্ত এবং ওআইসিভুক্ত দেশগুলো থেকে শুরু করে অনেক দেশ ও সংস্থা নির্বাচনি পর্যবেক্ষক পাঠিয়েছে। অর্থাৎ আন্তর্জাতিক মহল এ নির্বাচনকে গ্রহণ করেছে বিধায় তারা নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করার জন্য ব্যাপক হারে পর্যবেক্ষক পাঠিয়েছে।
আরও পড়ুন: ভোটের দিন নৈরাজ্য সৃষ্টির পরিকল্পনা করেছে বিএনপি: তথ্যমন্ত্রী
হাছান মাহমুদ বলেন, যারা এ নির্বাচনকে ভণ্ডুল করার লক্ষ্যে সাধারণ মানুষের উপর পেট্রলবোমা নিক্ষেপ করছে, মানুষ পুড়িয়ে হত্যা করছে, এদের ব্যাপারে আশা করি আন্তর্জাতিক মহল মুখ খুলবে এবং এ দুষ্কৃতকারীদের নিবৃত্ত ও নির্মূল করার ক্ষেত্রে তারাও সহযোগিতা করবে।
তিনি বলেন, গতকাল ঢাকার গোপীবাগে বেনাপোল এক্সপ্রেসের চারটি বগিতে বিএনপি-জামায়াতের দুষ্কৃতকারীরা আগুন দিয়েছে। যেভাবে এই বর্বরোচিত হামলা চালানো হয়েছে এতে এ পর্যন্ত ৯ জনের মৃত্যু হয়েছে, হতাহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। বিএনপি-জামায়াত ২০১৩, ১৪ ও ১৫ সালে যেভাবে অগ্নিসন্ত্রাস চালিয়েছিল, ঠিক একইভাবে বর্বরোচিত হামলা তারা গত ২৮ অক্টোবর থেকে শুরু করে।
আরও পড়ুন: জনগণের কাছ থেকে প্রত্যাখ্যাত বিএনপি বিদেশি এজেন্ট নিয়োগ করেছে: তথ্যমন্ত্রী
গতকাল ট্রেনে আগুন দেওয়ার ঘটনার পর বিএনপি একটি আন্তর্জাতিক তদন্তের দাবি করেছে- সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নে সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান বলেন, সমস্ত ঘটনা ঘটিয়ে অস্বীকার করা বিএনপির অভ্যাস। এর আগেও মা ও শিশুসহ চারজন একসাথে মৃত্যুবরণ করেছে। ওই এলাকায় বিএনপি নেতা মির্জা আব্বাস সাহেবের বাড়ি। এর আগের ঘটনা কার নির্দেশে, কারা করেছে, সবাই গ্রেপ্তার হয়েছে, তারা স্বীকারোক্তি দিয়েছে।
আরও পড়ুন: নির্বাচনী জোয়ারে বিএনপির নেতা-কর্মী সমর্থকরাও শামিল হয়েছে: তথ্যমন্ত্রী
আগুনসন্ত্রাসের মতো ঘৃণ্য ও নৃশংস কাজগুলো যারা করছে তাদের বিরুদ্ধে কলম ধরতে সাংবাদিকদের অনুরোধ জানিয়ে সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, ভোট শতভাগ সুষ্ঠু, স্বচ্ছ ও নিরপেক্ষ করার জন্য নির্বাচন কমিশন অত্যন্ত কঠোর এবং বলিষ্ঠ পদক্ষেপ ইতোমধ্যে গ্রহণ করেছে এবং ভোট যে শতভাগ অবাধ ও স্বচ্ছ হবে সেই ব্যাপারে জনগণের মধ্যেও বদ্ধমূল ধারণা জন্মেছে। অবাধ সুষ্ঠু ও উৎসবমুখর পরিবেশে নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য সরকার নির্বাচন কমিশনকে সর্বোতভাবে সহায়তা করছে।
আরও পড়ুন: আওয়ামী লীগ উন্নয়ন করে, বিএনপি মানুষ পোড়ায়: তথ্যমন্ত্রী
৭২২ দিন আগে
কেন্দ্রে যাচ্ছে নির্বাচনি সরঞ্জাম, ব্যালট যাবে ভোরে
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোট গ্রহণের আর মাত্র কয়েক ঘণ্টা বাকি। রবিবার সকাল ৮টা থেকে শুরু হবে ভোট গ্রহণ। ইতোমধ্যে কেন্দ্রগুলোতে নির্বাচনি সরঞ্জাম পাঠাতে শুরু করেছে নির্বাচন কমিশন।
শনিবার (৬ জানুয়ারি) সকাল থেকেই কেন্দ্রগুলোতে নির্বাচনি সরঞ্জাম পাঠানো শুরু হয়।
সিলেটের রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক শেখ রাসেল হাসানের কার্যালয় থেকে নগরের বিভিন্ন কেন্দ্রে সরঞ্জাম পাঠানো হচ্ছে। এছাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে উপজেলা পর্যায়ের কেন্দ্রগুলোতে সরঞ্জাম পাঠানো হচ্ছে।
কঠোর নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে ব্যালট বাক্সসহ অন্যান্য সরঞ্জামগুলো কেন্দ্রে নিয়ে যাচ্ছেন নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্য ও নির্বাচনে দায়িত্বপ্রাপ্তরা। তবে ব্যালট যাবে ভোটের দিন সকালে। আর রবিবার রাত ৩টায় সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রিজাইডিং কর্মকর্তাদের কাছে ব্যালট হস্তান্তর করবেন বলে জানা গেছে।
একইভাবে দেশের সব জেলায় একই প্রক্রিয়ায় নির্বাচনি সরঞ্জামগুলো পাঠানো হবে। ব্যালটও কঠোর নিরাপত্তায় কেন্দ্রে প্রিজাইডিং কর্মকর্তাদের মাধ্যমে পৌঁছাবেন রিটার্নিং কর্মকর্তারা।
আরও পড়ুন: নির্বাচন উপলক্ষে ফায়ার সার্ভিসের কেন্দ্রীয় মনিটরিং সেল গঠন
সারাদেশের সংবাদদাতের পাঠানো তথ্যমতে, মাগুরা, বাগেরহাট, যশোর, ফরিদপুর, দিনাজপুর, খুলনাসহ অন্যান্য জেলায় নির্বাচনি সরঞ্জাম কেন্দ্রগুলোতে পাঠাচ্ছে। সবক্ষেত্রে কঠোর নিরাপত্তা নিশ্চিত করছে প্রশাসন। এছাড়া ইসির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী দুর্গম এলাকাগুলোতেও যথাযথ প্রক্রিয়া অবলম্বন করে পাঠানো হচ্ছে নির্বাচনি সরঞ্জাম ও ব্যালট।
এদিকে ৭ জানুয়ারির নির্বাচনকে ঘিরে দেশের বেশকিছু এলাকায় সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে। এরমধ্যে গাজীপুরে দুটি ভোটকেন্দ্রে আগুন দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। এছাড়া ময়মনসিংহের দুটি ভোটকেন্দ্রেও আগুন দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে।
সারাদেশে নিরাপত্তা জোরদারে মাঠে রয়েছে, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পাশাপাশি সেনাবাহিনী, বিজিবি, র্যাব ও আনসার সদস্যরা।
আরও পড়ুন: দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন: সোনামসজিদ স্থলবন্দরে ২ দিন আমদানি-রপ্তানি বন্ধ
৭২২ দিন আগে
রাজনৈতিক ফায়দার জন্য আবারো আগুন নিয়ে খেলা শুরু করেছে সরকার: ট্রেনে অগ্নিসংযোগ প্রসঙ্গে বিএনপি
বেনাপোল এক্সপ্রেস ট্রেনে অগ্নিসংযোগের ঘটনায় নিন্দা জানিয়ে বিএনপি বলেছে, সরকার বিরোধী দলকে দোষারোপ করে রাজনৈতিক ফায়দা হাসিলের জন্য আগুন নিয়ে খেলছে।
বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, ‘সরকার আবারো আগুন নিয়ে খেলা শুরু করেছে। তারা একতরফা জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য অতীতের মতো পুরানো খেলায় মেতে উঠেছে।’
৭ জানুয়ারির 'ডামি' নির্বাচনের প্রতিবাদে আজ শনিবার (৬ জানুয়ারি) সকাল ৬টা থেকে শুরু হওয়া ৪৮ ঘণ্টার হরতালের সমর্থনে পিকেটিংয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
রিজভী দাবি করেন, এর আগেও ক্ষমতাসীন দল অগ্নিসংযোগের মাধ্যমে রাজনৈতিক ফায়দা হাসিলের চেষ্টা করেছে।
আরও পড়ুন: বিএনপির ডাকা দেশব্যাপী ৪৮ ঘণ্টার হরতাল চলছে
বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘গতকালের (শুক্রবার) বেনাপোল এক্সপ্রেস ট্রেনে অগ্নিকাণ্ড ও হতাহতের ঘটনা সরকারের পুরানো খেলার অংশ বলে জনগণ বিশ্বাস করে।’
গণতন্ত্রের জন্য বিএনপিসহ অন্যান্য বিরোধী দলের আন্দোলনে জনগণ ব্যাপক সাড়া ফেলেছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ক্ষমতাসীনরা সন্ত্রাসে লিপ্ত হয়ে মানুষের জীবন নিয়ে ছিনিমিনি খেলছে।
রিজভী অভিযোগ করেন, ‘কর্তৃত্ববাদী দেশের মতো নির্বাচন আয়োজন করতে সরকার একের পর এক ষড়যন্ত্র করছে, আর দায় চাপাচ্ছে বিরোধী দলের ওপর।’
তিনি বলেন, সরকার বিরোধী দলগুলো, বিশেষ করে বিএনপিকে নির্মূল করে ক্ষমতায় টিকে থাকতে চায়।
বেনাপোল এক্সপ্রেস ট্রেনে অগ্নিসংযোগকে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত আখ্যায়িত করে জাতিসংঘের তত্ত্বাবধানে এ ঘটনার আন্তর্জাতিক তদন্তের দাবি জানান বিএনপির এই নেতা।
আরও পড়ুন: বিএনপি নেতাদের উপর যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা নীতি প্রয়োগ করা উচিত: মোমেন
৭২৩ দিন আগে
বিএনপির ডাকা দেশব্যাপী ৪৮ ঘণ্টার হরতাল চলছে
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রতিবাদে বিএনপি ও সমমনা বিরোধী দলগুলোর ডাকা ৪৮ ঘণ্টার হরতাল চলছে। শনিবার (৬ জানয়ারি) সকাল ৬টায় শুরু হওয়া হরতাল শেষ হবে সোমবার সকাল ৬টায়।
৭ জানুয়ারির জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে বিপুল সংখ্যক মানুষ ঢাকা শহর ছেড়েছেন। অন্যান্য দিনের তুলনায় সড়কে যানবাহনের সংখ্যা কম হলেও এবং অগ্নিসংযোগের আশঙ্কা থাকা সত্ত্বেও কিছুসংখ্যক গণপরিবহন চলতে দেখা গেছে।
গতকাল রাতে ঢাকার বেনাপোল এক্সপ্রেস ট্রেনের ৪টি বগিতে অগ্নিসংযোগের ঘটনায় অন্তত ৪ জন নিহত হয়েছেন।
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বৃহস্পতিবার এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে হরতালের ঘোষণা দেন।
তিনি বলেন, ৭ জানুয়ারির নির্বাচন বয়কটের দলের আহ্বানের পক্ষে জনসমর্থন আদায়ের জন্যই তাদের এই কর্মসূচি।
বর্তমান সরকারকে পদত্যাগ করতে এবং নির্দলীয় নিরপেক্ষ প্রশাসনের অধীনে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানে বাধ্য করতে গত বছরের ১০ ডিসেম্বর থেকে প্রায় ৩ ডজন বিরোধী রাজনৈতিক দলসহ একযোগে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে।
আরও পড়ুন: শনিবার সকাল ৬টা থেকে সারাদেশে ৪৮ ঘণ্টার হরতালের ডাক বিএনপির
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ অনেক সিনিয়র নেতা গ্রেপ্তার হয়েছেন এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অভিযানের মুখে অনেকে আত্মগোপনে রয়েছেন।
তবে বিএনপি ও সমমনা দলগুলো গত ২৯ অক্টোবর থেকে ১২ দফায় ২৩ দিন অবরোধ এবং ৫ দিনের হরতাল কর্মসূচি পালন করেছে।
উল্লেখ্য, গত ২০ ডিসেম্বর অসহযোগ আন্দোলনের ডাক দেয় বিরোধী দলটি।
আরও পড়ুন: রংপুরে বিএনপির দিনব্যাপী হরতাল
৭২৩ দিন আগে
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন: সোনামসজিদ স্থলবন্দরে ২ দিন আমদানি-রপ্তানি বন্ধ
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে আজ শনিবার ও আগামীকাল রবিবার ২ দিন চাঁপাইনবাবগঞ্জের সোনামসজিদ স্থলবন্দরে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম বন্ধ থাকবে।
তবে ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট দিয়ে পাসপোর্টধারী যাত্রীরা বাংলাদেশ ও ভারতে যাতায়াত করতে পারবেন। সোমবার যথারীতি বন্দরে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম শুরু হবে।
সোনামসজিদ স্থলবন্দর সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি হারুন অর-রশিদ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
আরও পড়ুন: বড়দিন উপলক্ষে বেনাপোল বন্দর দিয়ে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ
তিনি বলেন, ‘আগামী ৭ জানুয়ারি রবিবার দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এ কারণে ৬ ও ৭ জানুয়ারি অর্থাৎ শনিবার ও রবিবার সোনামসজিদ স্থলবন্দরে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম বন্ধ রাখার জন্য কাস্টমস কর্তৃপক্ষকে অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে অবহিত করা হয়।’
হারুন অর-রশিদ আরও বলেন, কাস্টমসের যুগ্ম কামিশনার মোহাম্মদ মাহবুব হাসান স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে আমাদেরকে জানানো হয়- আগামী ৭ জানুয়ারী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের কারণে ৬ ও ৭ জানুয়ারি সোনামসজিদ স্থলবন্দরে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। তবে ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট দিয়ে পাসপোর্টধারী যাত্রীরা বাংলাদেশ ও ভারতে যাতায়াত করতে পারবেন।
সোমবার যথারিতি স্থলবন্দরে আমদানি ও রপ্তানি কার্যক্রম চালু হবে বলে চিঠিতে উল্লেখ করা হয়।
আরও পড়ুন: কালীপূজা উপলক্ষে বুড়িমারী স্থলবন্দর দিয়ে ২দিন আমদানি-রপ্তানি বন্ধ
পূজার কারণে বেনাপোল স্থলবন্দরে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ, যাত্রী চলাচল স্বাভাবিক
৭২৩ দিন আগে