রাজনীতি
নির্বাচনী প্রচারের অভিযোগে রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩ শিক্ষককে শোকজ
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সিরাজগঞ্জ-৬ আসনের আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থীর পক্ষে নির্বাচনী কর্মসূচি পরিচালনা করার অভিযোগে রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩ শিক্ষককে কারণ দর্শানোর (শোকজ) নোটিশ দিয়েছে নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটি।
বৃহস্পতিবার (৪ জানুয়ারি) সিরাজগঞ্জ-৬ আসনের নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটির কর্মকর্তা এবং যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ মো. মামুন-অর-রশিদ এ নোটিশ দেন।
নোটিশপ্রাপ্ত শিক্ষকরা হলেন-রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক বিজন কুমার, বাংলা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. ফখরুল ইসলাম ও অর্থনীতি বিভাগের প্রভাষক সৈয়দ আশরাফ।
সিরাজগঞ্জ জেলা যুগ্ম ও দায়রা জজ আদালতের বেঞ্চ সহকারী মো. জুয়েল রানা এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
আরও পড়ুন: সিরাজগঞ্জ-৪: আ. লীগ প্রার্থীকে কারণ দর্শানোর নোটিশ
তিনি বলেন, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীর আচরণবিধিমালা- ২০০৮ এর ১৪ নম্বর বিধিসহ অন্য আইন লঙ্ঘন করে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক হিসেবে ওই তিন শিক্ষক গত ৩ জানুয়ারি নৌকা প্রতীকের প্রার্থী চয়ন ইসলামের পক্ষে নির্বাচনী প্রচার চালিয়েছেন।
সিরাজগঞ্জের রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটির কর্মকর্তার কাছে নির্বাচনী প্রচারের ভিডিও ফুটেজ সরবরাহ করেছেন বলে জানান তিনি।
এমতাবস্থায় আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগে রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের ওই ৩ শিক্ষকের বিরুদ্ধে কেন আইনানুগ ব্যবস্থার জন্য নির্বাচন কমিশনে সুপারিশ করা হবে না তা আগামী শুক্রবার বিকাল ৩টায় আদালতে হাজির হয়ে লিখিত ব্যাখা দিতে বলা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ৭ জানুয়ারি নির্বাচন: কারণ দর্শানোর নোটিশের সংখ্যা প্রায় ৫০০
৭২৪ দিন আগে
নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ালেন লক্ষ্মীপুর-৩ আসনের জাপা প্রার্থী
সুষ্ঠু পরিবেশ না থাকা ও কালো টাকার ছড়াছড়ির অভিযোগ তুলে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিয়েছেন লক্ষ্মীপুর-৩ আসনের জাতীয় পার্টির প্রার্থী রাকিব হোসেন।
বৃহস্পতিবার (৪ জানুয়ারি) বিকালে জেলা শহরের ঝুমুর এলাকায় তার নির্বাচনী কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণা দেন।
আরও পড়ুন: চুয়াডাঙ্গার দুই আসনে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা জাপার দুই প্রার্থীর
তিনি বলেন, সারাদেশে প্রহসনের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। লক্ষ্মীপুরের সাধারণ মানুষ নির্বাচন থেকে বিমুখ হয়ে পড়েছে, শুধু বিশেষ সুবিধাভোগী কিছু লোক নির্বাচনের মাঠ গরম রেখেছে।
তিনি অভিযোগ করে বলেন, নির্বাচনে কালো টাকার ব্যাপক ছড়াছাড়ি হচ্ছে। কালো টাকার প্রভাবে কেন্দ্রে এখন এজেন্ট দেওয়া যাচ্ছে না। বিভিন্ন জায়গায় আমার পোস্টার ছিঁড়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: সিলেট-৫ আসন: সরে দাঁড়ালেন জাপার প্রার্থী সাব্বির
এসব বিষয়ে রিটার্নিং অফিসারের কাছে অভিযোগ জানিয়েও কোনো প্রতিকার পাওয়া যায়নি। তাই সুষ্ঠু পরিবেশ না থাকায় কেন্দ্রের নির্দেশে আমি নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দেন বলে জানান এই প্রার্থী।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, জেলা জাতীয় পার্টির সাংগঠনিক মহিউদ্দিন খোকন, সাহিত্যবিষয়ক সম্পাদক সালাউদ্দিন এমরান, তথ্য ও গবেষণাবিষয়ক নিজাম উদ্দিন খান, জেলা সদস্য মিনহাজুর রহমান বিন্তু, পৌর জাতীয় পার্টির সহ-সাধারণ সম্পাদক মো. সালাহ্ উদ্দিন খোকন প্রমুখ।
আরও পড়ুন: নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ালেন নজিবুল বশর ভাণ্ডারী
৭২৪ দিন আগে
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় স্বতন্ত্র প্রার্থীর কার্যালয়ে ছাত্রলীগের হামলার অভিযোগ
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর মিছিল থেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী ফিরোজুর রহমান ওলিওর কেন্দ্রীয় নির্বাচনী কার্যালয়ে হামলার অভিযোগ উঠেছে।
বৃহস্পতিবার(৪ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় শহরের কাউতলীর স্টেডিয়াম মার্কেট এলাকায় এ হামলার ঘটনা ঘটে।
জানা যায়, ছাত্রলীগের ৭৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আজ বিকালে শহরের টেংকের পাড় থেকে জেলা ছাত্রলীগের একটি আনন্দ মিছিল বের হয়। মিছিলটি শহরের কুমারশীল মোড়, হাসপাতাল রোড, কোর্ট রোড, টি. এ রোড এলাকা হয়ে স্টেডিয়াম এলাকায় যায়। এসময় মিছিল থেকে ছাত্রলীগের কর্মীরা ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ (সদর-বিজয়নগর) আসনের আওয়ামী লীগের স্বতন্ত্র প্রার্থী ফিরোজুর রহমান ওলিওর (কাঁচি) মার্কার কেন্দ্রীয় নির্বাচনী অফিসে হামলা চালায়।
এসময় তারা অফিসে ব্যাপক ইট-পাটকেল নিক্ষেপ শুরু করে। এতে অফিসে থাকা লোকজন আতঙ্কিত হয়ে কলাপসিবল গেইট ও শাটার লাগিয়ে আত্মরক্ষা করেন। পরে পুলিশ দ্রুত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ ঘটনায় পুরো এলাকাজুড়ে তীব্র আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।
আরও পড়ুন: বরিশাল-২ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থকদের উপর হামলা-গুলির অভিযোগ
৭২৪ দিন আগে
৭ জানুয়ারি নির্বাচন: শুক্রবার সকাল ৮টায় শেষ হচ্ছে প্রচার
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রচার শেষ হচ্ছে শুক্রবার সকাল ৮টায়। গত ১৮ ডিসেম্বর প্রতীক বরাদ্দের মধ্য দিয়ে নির্বাচনী প্রচার শুরু হয়।
নির্ধারিত সময়ের পর কোনো ধরনের সভা, সমাবেশ, মিছিল ও প্রচারের অনুমতি দেবে না নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
নির্বাচনী প্রচার শেষ হওয়ার একদিন পর ৭ জানুয়ারি সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত ২৯৯টি সংসদীয় আসনে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। নওগাঁ-২ আসনে এক প্রার্থীর মৃত্যুতে ওই আসনের নির্বাচন স্থগিত করেছে ইসি।
যানবাহন চলাচলে নিষেধাজ্ঞা
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রস্তুতি হিসেবে শনিবার মধ্যরাত থেকে ২৪ ঘণ্টার জন্য ট্যাক্সিক্যাব, পিকআপ ভ্যান, মাইক্রোবাস ও ট্রাক চলাচলের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে সরকার।
আরও পড়ুন: এবার নতুন ভোটার হয়েছে ১ কোটি ৫৪ লাখ: ইসি
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, সশস্ত্র বাহিনী, প্রশাসনের সদস্য ও অনুমোদিত পর্যবেক্ষক, জরুরি সেবার যানবাহন, ওষুধ, চিকিৎসা সরঞ্জাম ও অভিন্ন কাজে ব্যবহৃত জিনিসপত্র এবং সংবাদপত্র বহনকারী সব ধরনের যানবাহন, দূরপাল্লার যানবাহন, প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী ও তাদের এজেন্টদের ক্ষেত্রে এই বিধিনিষেধ শিথিল করা হবে।
সাংবাদিক, পর্যবেক্ষক, নির্বাচন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা-কর্মচারী, জাতীয় মহাসড়ক, প্রধান আন্তঃজেলা রুট, মহাসড়ক এবং প্রধান মহাসড়কের সংযোগ সড়কের ক্ষেত্রেও বিধিনিষেধ শিথিল করা হবে।
সশস্ত্র বাহিনী মোতায়েন
আগামী ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠেয় জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে ইতোমধ্যে সারাদেশে সশস্ত্র বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে।
আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, নির্বাচনের আগে, নির্বাচনের সময় ও পরে শান্তিশৃঙ্খলা রক্ষায় ৩ জানুয়ারি থেকে ১০ জানুয়ারি পর্যন্ত সশস্ত্র বাহিনী মোতায়েন থাকবে।
বিজিবি ও কোস্টগার্ডের সমন্বয়ে সেনাবাহিনী যথাক্রমে সীমান্তবর্তী ৪৭টি উপজেলা ও ৪টি উপকূলীয় উপজেলায় দায়িত্ব পালন করবে।
আরও পড়ুন: ভোট দিতে কোনো চাপ নেই, তবে 'একটি দলের' লিফলেটে না দিতে বলা হয়েছে: সিইসিকে উদ্ধৃত করে পররাষ্ট্র সচিব
৭২৪ দিন আগে
জাতির সেবা করতে আওয়ামী লীগকে আবার ক্ষমতায় আনার আহ্বান শেখ হাসিনার
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোট দিয়ে আওয়ামী লীগকে টানা চতুর্থবারের মতো ক্ষমতায় ফিরিয়ে আনার জন্য জনগণের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা।
৭ জানুয়ারি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রচারের শেষ সময়ে বৃহস্পতিবার (৪ জানুয়ারি) জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে তিনি বলেন, 'আজ আমি নৌকা প্রতীকের পক্ষে ভোট চাইতে আপনাদের সামনে হাজির হয়েছি।’ ভাষণটি প্রচার হয় সন্ধ্যা ৭টায়।
কবি সুকান্ত ভট্টাচার্যের 'উদয়াচল' কবিতা থেকে উদ্ধৃতি দিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, “ডাক এসেছে, এখন রাস্তায় নামার সময়।”
২৪ মিনিটের ভাষণে প্রধানমন্ত্রী বলেন, উন্নয়ন দীর্ঘস্থায়ী করতে, মানুষের জীবনযাত্রার মানোন্নয়নে কাজ করতে এবং ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত একটি উন্নত স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে তিনি আরও পাঁচ বছরের মেয়াদ চান।
আরও পড়ুন: আগামী ৭ জানুয়ারির নির্বাচন দেশের গণতান্ত্রিক ইতিহাসে একটি মাইলফলক হবে: প্রধানমন্ত্রী
শেখ হাসিনা বলেন, আওয়ামী লীগ সরকারের পরপর তিন মেয়াদে (২০০৯-২০২৩) সাম্য ও ন্যায়বিচারের ভিত্তিতে জনকল্যাণমুখী সমাজ বিনির্মাণের প্রক্রিয়ায় 'গণতান্ত্রিক ধারা ও স্থিতিশীলতা' অব্যাহত রয়েছে।
তিনি বলেন, 'আপনাদের মূল্যবান ভোট পেয়ে আমরা যদি আবার সরকার গঠন করতে পারি, তাহলে আমরা আমাদের গৃহীত কর্মসূচির বাস্তবায়ন অব্যাহত রাখতে সক্ষম হব। এটি আমাদের জীবনযাত্রার অবস্থার আরও উন্নতির সুযোগ দেবে।’
শেখ হাসিনা অতীতে নৌকা প্রতীকে ভোট দিয়ে আওয়ামী লীগকে সেবা করার সুযোগ দেওয়ায় দেশবাসীকে ধন্যবাদ জানান।
তিনি আরও বলেন, এই দীর্ঘ যাত্রায় তিনি যা কিছু অর্জন করেছেন তা জনগণের সমর্থন ছাড়া সম্ভব হতো না।
তিনি বলেন, 'আমি যদি কোনো ভুল করে থাকি, তাহলে আপনাদের কাছে আমার অনুরোধ, বিষয়টি ক্ষমার চোখে দেখুন। আমি যদি আবার সরকার গঠন করতে পারি, তাহলে ভুলগুলো সংশোধনের সুযোগ পাব। ৭ জানুয়ারির নির্বাচনে নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে আপনাদের সেবা করার সুযোগ দিন।’
শেখ হাসিনা জনগণকে তার পরিবার মনে করেন জানিয়ে তার উপর আস্থা রাখার অনুরোধ করেন।
তিনি বলেন, 'আসুন আমরা সবাই মিলে এই বাংলাদেশকে একটি স্মার্ট সোনার বাংলা হিসেবে গড়ে তুলি এবং জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্ন পূরণ করি।’
গণতন্ত্র ও আইনের শাসনে বিশ্বাসী সব রাজনৈতিক দল ও প্রতিষ্ঠানের প্রতি আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, তারা যেন এমন কোনো ধারণা লালন না করে, যা দেশের সাংবিধানিক প্রক্রিয়াকে বিঘ্নিত করে।
ক্ষমতাসীন দলের প্রধান বলেন, তার দল ৭ জানুয়ারি একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন প্রত্যাশা করছে।
এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো সংসদে পাস হওয়া কোনো আইনের অধীনে নির্বাচন কমিশন গঠন করা হয়েছে।
তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশনকে আর্থিক স্বাধীনতা দেওয়া হয়েছে। প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী এখন নির্বাচন কমিশনের অধীনে রয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, নির্বাচন কমিশন স্বাধীনভাবে নির্বাচন পরিচালনা করছে।
তিনি বলেন, 'আমাদের সরকার সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের জন্য নির্বাচন কমিশনকে সব ধরনের সহযোগিতা দিচ্ছে।’
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ গণমানুষের দল এবং যখনই তারা ক্ষমতায় আসে তখনই দেশের অর্থনৈতিক ও সামাজিক উন্নয়ন নিশ্চিত করে।
তিনি বলেন, সরকার ব্যাপক অবকাঠামোগত উন্নয়নের পাশাপাশি জনগণের খাদ্য, নিরাপত্তা, স্বাস্থ্যসেবা, আবাসন, শিক্ষা ও কর্মসংস্থান নিশ্চিত করেছে।
দলের নির্বাচনী ইশতেহারের কথা উল্লেখ করে শেখ হাসিনা দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের জন্য ১২টি অগ্রাধিকারের কথা উল্লেখ করেন।
আরও পড়ুন: অন্যরা ক্ষমতায় আসে খেতে, আওয়ামী লীগ আসে দিতে: আইনমন্ত্রী
এগুলো হলো:
১. সর্বস্তরে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার চর্চা ও প্রচার করা।
২. সবার ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে দাম রাখার জন্য যথাসাধ্য চেষ্টা করা।
৩. কর্মসংস্থানভিত্তিক শিক্ষা ও যুবকদের কর্মসংস্থান নিশ্চিত করা।
৪. আধুনিক প্রযুক্তিনির্ভর স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তোলা।
৫. সমন্বিত কৃষি ব্যবস্থার যান্ত্রিকীকরণ এবং উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে উৎপাদিত ফসল সংরক্ষণের ব্যবস্থা গ্রহণ।
৬. কৃষিপণ্য ও খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ শিল্পের উন্নয়ন।
৭. গ্রাম পর্যায় পর্যন্ত অবকাঠামো ও শিল্পের উন্নয়নের মাধ্যমে কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করা।
৮. ব্যাংক বিমা ও আর্থিক খাতের দক্ষতা ও সক্ষমতা বৃদ্ধি করা।
৯. নিম্ন আয়ের মানুষের জন্য স্বাস্থ্যসেবা সাশ্রয়ী করা।
১০. সর্বজনীন পেনশন ব্যবস্থায় সবাইকে অন্তর্ভুক্ত করে ব্যক্তি ও সামাজিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করা।
১১. আইন প্রয়োগকারী সংস্থাকে আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারে দক্ষ করে তোলা এবং তাদের জবাবদিহি নিশ্চিত করা।
১২. সাম্প্রদায়িকতা এবং সব ধরনের সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ নির্মূল করা।
গত ১৫ বছরে দেশের সার্বিক উন্নয়নের সংক্ষিপ্ত বিবরণ দিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, প্রবৃদ্ধি ৭ দশমিক ২৫ শতাংশ, মাথাপিছু আয় ৫ গুণ, বাজেটের আকার ১২ গুণ এবং বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি ১৩ গুণ, জিডিপির আকার ১২ গুণ, বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ৩৬ গুণ, রপ্তানি আয় ৫ গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। বার্ষিক রেমিট্যান্স বেড়েছে ৬ গুণ, বৈদেশিক বিনিয়োগ বেড়েছে ৫ গুণ।
তিনি বলেন, শ্রমিকদের মজুরি ৯ গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে, বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ৩৬ গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে এবং রপ্তানি আয় ৫ গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে।
তিনি আরও উল্লেখ করেন, দারিদ্র্যের হার ৪১ দশমিক ৫১ শতাংশ থেকে ১৮ দশমিক ৭ শতাংশে নেমে এসেছে এবং চরম দারিদ্র্যের হার ৫ গুণ হ্রাস পেয়েছে।
পানীয় জলের কভারেজ ৫৫ শতাংশ থেকে বেড়ে ৯৮ দশমিক ৮ শতাংশ হয়েছে। স্যানিটারি ল্যাট্রিন ৪৩ দশমিক ২৮ শতাংশ থেকে বেড়ে হয়েছে ৯৭ দশমিক ৩২ শতাংশ। শিশু মৃত্যুর হার প্রতি হাজারে ৮৪ থেকে কমে ২১ হয়েছে। মাতৃমৃত্যুর হার প্রতি লাখে ৩৬০ থেকে কমে ১৫৬ হয়েছে। মানুষের গড় আয়ু এখন ৭২ দশমিক ৮ বছর।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, গত ১৫ বছরে বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা আট গুণ বেড়েছে এবং বিদ্যুৎ ব্যবহারের হার ২৮ শতাংশ থেকে ১০০ শতাংশে উন্নীত হয়েছে। কারিগরি শিক্ষায় সাক্ষরতার হার ২২ গুণ বৃদ্ধি পেয়ে ৭৬ দশমিক ৮ শতাংশে উন্নীত হয়েছে। এ ছাড়া শস্যের উৎপাদন বেড়েছে চারগুণ।
তিনি বলেন, 'আমরা নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু নির্মাণ করেছি। আমরা ঢাকায় মেট্রোরেল চালু করেছি, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণ করেছি এবং পাতাল রেল নির্মাণের উদ্বোধন করেছি। আমরা রূপপুরে দেশের প্রথম পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপন করেছি।’
আরও পড়ুন: গণতন্ত্র রক্ষায় আবারও শেখ হাসিনাকে প্রয়োজন: ওবায়দুল কাদের
তিনি বলেন, হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনাল উদ্বোধন করা হয়েছে।
তিনি বলেন, “আমরা চট্টগ্রামে দক্ষিণ এশিয়ার প্রথম ভূগর্ভস্থ সড়ক 'বঙ্গবন্ধু টানেল' নির্মাণ করেছি। কক্সবাজারে একটি দৃষ্টিনন্দন রেলওয়ে স্টেশনসহ ঢাকা-কক্সবাজার রেলপথ প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। 'বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১' উৎক্ষেপণ করা হয়েছে।”
তিনি বলেন, যেকোনো অর্থনৈতিক সূচকে বাংলাদেশের অর্থনীতি ২০০৯ সালের তুলনায় ২০২৩ সালে বহুগুণ প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছে। ২০০৯ সালে জিডিপি ছিল মাত্র ১০২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। ২০২৩ সালে জিডিপি বেড়ে দাঁড়ায় ৪৫০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।
ক্ষমতাসীন দলের প্রধান বলেন, আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে ব্যাংক ঋণের পরিমাণ সাত গুণেরও বেশি বেড়েছে। ২০০৯ সালের জুন পর্যন্ত খেলাপি ঋণের পরিমাণ ছিল ২২ হাজার কোটি টাকা; যা মোট ঋণের ১০ দশমিক ৫ শতাংশ। ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বর শেষে খেলাপি ঋণের পরিমাণ ছিল ১ লাখ ৫৫ হাজার কোটি টাকা, যা মোট বিতরণ করা ঋণের ৯ দশমিক ৯ শতাংশ।
সমালোচকদের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, 'এটা দুঃখজনক যে তারা জাতির কাছে সঠিক তথ্য উপস্থাপন করে না। দেশের বিরুদ্ধে মিথ্যা তথ্য দিয়ে মানুষকে বিভ্রান্ত করাই তাদের চরিত্র। মনে হচ্ছে দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন দেখলে এসব মানুষ হতাশ হয়ে পড়ে।’
তিনি বলেন, ১৫ বছর আগের বাংলাদেশ এবং আজকের বাংলাদেশের মধ্যে বিশাল পার্থক্য রয়েছে। মানুষের জীবনযাত্রার মান উন্নত হয়েছে। মানুষ আজ উন্নত জীবনের স্বপ্ন দেখছে।
পররাষ্ট্রনীতির প্রসঙ্গ টেনে শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশ শান্তি চায় এবং যুদ্ধ পরিহার করে।
আমরা ফিলিস্তিন ও ইউক্রেনের যুদ্ধের অবসান চাই। আমরা ফিলিস্তিনে চলমান গণহত্যার অবসান চাই। বাংলাদেশ সবসময় ফিলিস্তিনের জনগণের পাশে রয়েছে।
আরও পড়ুন: গণতন্ত্রের স্বার্থে রবিবার ভোটকেন্দ্রে যাবেন: নারায়ণগঞ্জের জনসভায় শেখ হাসিনা
৭২৪ দিন আগে
ভোট দিতে কোনো চাপ নেই, তবে 'একটি দলের' লিফলেটে না দিতে বলা হয়েছে: সিইসিকে উদ্ধৃত করে পররাষ্ট্র সচিব
প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল স্পষ্ট করে বলেছেন, ভোটারদের ভোট দিতে কেন্দ্রে যাওয়ার জন্য কোনো চাপ নেই, তবে ভোটকেন্দ্রে না যাওয়ার আহ্বান জানিয়ে লিফলেট বিতরণের বিষয়ে চাপ দেখা যাচ্ছে।
পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন বৃহস্পতিবার ঢাকায় অবস্থানরত কূটনীতিকদের জন্য আয়োজিত এক ব্রিফিংয়ে সিইসিকে উদ্ধৃত করে বলেন, 'নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে এ ধরনের কোনো চাপ নেই, এমনকি তার কাছেও এমন কোনো প্রমাণ নেই।’
ভোটারদের ভোটকেন্দ্রে যাওয়ার চাপের বিষয়ে এক কূটনীতিক তার বক্তব্য জানতে চাইলে সিইসি এ কথা বলেন।
এর জবাবে সিইসি বলেন, নির্বাচন বর্জনকারী একটি রাজনৈতিক দলের (বিএনপি) লিফলেট বিতরণ এবং জনগণকে ভোটকেন্দ্রে না যাওয়ার আহ্বান জানানোর বিষয়ে জানান।
আরও পড়ুন: আগামী নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হতে হবে: সিইসি
পররাষ্ট্র সচিব বলেন, নির্বাচন কমিশন আয়োজিত ব্রিফিংয়ে অর্ধশতাধিক কূটনীতিক ও আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রতিনিধিরা অংশ নেন।
সিইসি আউয়াল ৭ জানুয়ারির নির্বাচনের প্রস্তুতি সম্পর্কে একটি আপডেট দেন, এরপর প্রশ্নোত্তর পর্ব অনুষ্ঠিত হয়।
পররাষ্ট্র সচিব বলেন, বিদেশি কূটনীতিকদের জন্য এ ধরনের সুযোগ বিরল।
তিনি আশা প্রকাশ করেন, এই ব্রিফিং কূটনীতিকদের তাদের বিস্তৃত প্রতিবেদনের মাধ্যমে তাদের নিজ নিজ দেশকে নির্বাচন সম্পর্কে জানাতে সহায়তা করবে।
মাসুদ মোমেন বলেন, কূটনীতিকরা ইসির সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন এবং ঘন ঘন আদান-প্রদানের মাধ্যমে তাদের আপডেট রাখা হচ্ছে।
তিনি বলেন, কূটনীতিকদের সব তথ্য জানানো হয়েছে এবং এ কারণেই খুব বেশি প্রশ্ন করা হয়নি।
পররাষ্ট্র সচিব বলেন, আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষক ও সাংবাদিকরা ঢাকায় আসতে শুরু করেছেন। তারা সুবিধাজনক মনে হলে ঢাকাসহ দেশের অন্যান্য স্থানে নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করতে পারবেন।
সফলভাবে নির্বাচনের প্রস্তুতির ক্ষেত্রে যাতে কোনো ঘাটতি না থাকে তা নিশ্চিত করেছে ইসি।
আরও পড়ুন: এবার নতুন ভোটার হয়েছে ১ কোটি ৫৪ লাখ: ইসি
৭২৪ দিন আগে
দুঃখ প্রকাশ করে আচরণবিধি লঙ্ঘনের জবাব দিলেন বিমান প্রতিমন্ত্রী
হবিগঞ্জ -৪ আসনের আওয়ামী লীগের প্রার্থী বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মাহবুব আলী নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন অভিযোগের জবাব দিয়েছেন।
বৃহস্পতিবার(৪ জানুয়ারি) নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটির প্রধান সিনিয়র সহকারী জজ সবুজ পালের কাছে লিখিত জবাব দেন তিনি।
আরও পড়ুন: নির্বাচনী আচরণবিধি ভঙ্গের দায়ে মাশরাফির সমর্থকদের জরিমানা
এতে তিনি বলেন, গত ২ জানুয়ারি বিকালে চুনারুঘাট উপজেলা সদরে মধ্যবাজারে শেখ হাসিনার নৌকা মার্কার প্রার্থী হিসেবে তার জনসভা ছিল। বঙ্গবন্ধুর আদর্শের অনুসারীদের এবং নৌকা পাগল জনগণের বিপুল উপস্থিতির কারণে যানবাহন ও জনগণের চলাচলে কোনো প্রকার অসুবিধা হয়ে থাকলে আমি দুঃখ প্রকাশ করছি।
লিখিত জবাবে ভবিষ্যতে নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন না করার নিশ্চয়তা দেন তিনি।
প্রতিমন্ত্রী মাহবুব আলী তার প্রতিনিধির মাধ্যমে এ জবাব পাঠান। সিনিয়র সহকারী জজ সবুজ পালের বেঞ্চ সহকারী খন্দকার শরীফ মো. রুবেল প্রতিমন্ত্রীর জবাবের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
আরও পড়ুন: কুমিল্লায় আচরণবিধি লঙ্ঘনের দায়ে জরিমানা, ম্যাজিস্ট্রেটের উপর হামলা
৭২৪ দিন আগে
চট্টগ্রামের ১৬টি সংসদীয় আসনের ৭২% কেন্দ্রই ঝুঁকিপূর্ণ
আগামী ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিতব্য দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে চট্টগ্রামের ১৬টি সংসদীয় আসনের মোট ভোটকেন্দ্র আছে ২ হাজার ২৩টি। এরমধ্যে ১ হাজার ৪৫৯টি ভোটকেন্দ্রকে ‘গুরুত্বপূর্ণ’ (ঝুঁকিপূর্ণ) হিসেবে চিহ্নিত করেছে পুলিশ। অর্থাৎ ৭২ শতাংশ কেন্দ্রই ঝুঁকিপূর্ণ।
পুলিশের দেওয়া তথ্য মতে, নগরীর ছয়টি আসনের ৬৬০টি ভোটকেন্দ্রে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ, জেলার ১০টি আসনের ১ হাজার ৩৬৩টি ভোটকেন্দ্রের দায়িত্ব পালন করবে চট্টগ্রাম জেলা পুলিশ। এরমধ্যে সিএমপি এলাকায় ৪৪৬টি ভোটকেন্দ্র এবং জেলার বিভিন্ন এলাকায় ১০টি আসনে ১ হাজার ১৩টি ভোটকেন্দ্রকে ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।
চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন এলাকার প্রতি ১০টি কেন্দ্রের জন্য সিএমপির একটি মোবাইল টহল টিম মোতায়েন থাকবে। নগরীর সব ভোট কেন্দ্রের জন্য থাকবে ৪২টি স্ট্রাইকিং ফোর্স। ৬ ও ৭ জানুয়ারি অতিরিক্ত ১৫টি মোবাইল স্ট্রাইকিং ফোর্স দায়িত্ব পালন করবে। নগরীর ছয় আসনে ৩৫ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন থাকবে। এ ছাড়া সাত প্লাটুন বিজিবি রিজার্ভ ফোর্স হিসেবে অবস্থান করবে। উপজেলার আওতাধীন আসনগুলোতে ব্যাটালিয়ন আনসারের ১৩টি টিম স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে মোতায়েন থাকবে।
আরও পড়ুন: মুন্সীগঞ্জে আ. লীগ প্রার্থীর সমর্থককে গুলি করে হত্যা
চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার কৃষ্ণপদ রায় বলেন, ‘নগরীর ছয়টি আসনে ৪৪৬টি কেন্দ্র ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্রে চারজন এবং কম ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্রে তিনজন পুলিশ সদস্য এবং ১৫ জন আনসার সদস্য থাকবে। পাশাপাশি মোবাইল টিম, থানা এবং কন্ট্রোল রুমে স্ট্রাইকিং ফোর্স থাকবে। সোয়াত, বোমা নিষ্ক্রিয়করণ ইউনিট ও ডগ স্কোয়াডের কে-নাইন ইউনিটকেও স্ট্রাইকিং হিসেবে রাখা হবে। নির্বাচনকে কেন্দ্র করে তিন স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা সাজানো হয়েছে। এর একটি তফসিল ঘোষণার পর থেকে নির্বাচনের আগের দিন পর্যন্ত, একটি নির্বাচনের দিন এবং অপরটি নির্বাচন পরবর্তী সময়ের জন্য।’
জেলা পুলিশ সুপার এস এম শফিউল্লাহ জানান, জেলা এলাকার সাধারণ ভোটকেন্দ্রে দুজন অস্ত্রধারী পুলিশ, ‘গুরুত্বপূর্ণ’ কেন্দ্রগুলোতে তিনজন অস্ত্রধারী পুলিশ মোতায়েন থাকবে। প্রতিটি ভোটকেন্দ্রে মোতায়েন থাকবে ১০ জন আনসার-ভিডিপি সদস্য, এক অথবা দুজন গ্রাম পুলিশ সদস্য। এছাড়াও সেনা ও বিজিবি দায়িত্ব পালন করবে।
আরও পড়ুন: এবার নতুন ভোটার হয়েছে ১ কোটি ৫৪ লাখ: ইসি
৭২৪ দিন আগে
অন্যরা ক্ষমতায় আসে খেতে, আওয়ামী লীগ আসে দিতে: আইনমন্ত্রী
আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন সরকার মুক্তিযোদ্ধাদের ভাতা দুই হাজার টাকা থেকে বাড়িয়ে ২০ হাজার টাকা করেছে বলে জানিয়েছেন আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক।
তিনি বলেন, ‘আমরা প্রতিদান দিতে জানি। অন্য সরকার আসে খেতে আর আওয়ামী লীগ সরকার আসে দিতে।’
বৃহস্পতিবার(৪ জানুয়ারি) ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ার দক্ষিণ ইউনিয়নের হিরাপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়সংলগ্ন মাঠে এক জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
আইনমন্ত্রী বলেন, বিএনপি উছিলা খুঁজে নির্বাচন কীভাবে না করা যায়। তারা প্রথমে ২০১৪ সালে অবরোধ দিয়েছে। বিনা দোষে নিরীহ সাধারণ মানুষকে বাসে পুড়িয়ে হত্যা করেছে। ২০১৮ সালে মনোনয়ন বাণিজ্য করেছে। ২০২৩ সালে আবারও এই অবরোধ দিয়েছে। এই নির্বাচন না করার জন্যই ট্রেনের বগিতে আগুন দিয়ে নিষ্পাপ মায়ের কোলে শিশুকে হত্যা করেছে।
আরও পড়ুন: বিএনপি-জামায়াতের আমলে হত্যা করলেও কোনো বিচার হতো না: আইনমন্ত্রী
তিনি বলেন, এমন রাজনৈতিক দলের কাছে বাংলাদেশের জনগণ নিরাপদ নয়। বাংলাদেশের ভবিষ্যৎও নিরাপদ নয়, সেটাই প্রমাণ করার সময় এসেছে। ৭ জানুয়ারির নির্বাচনে বাংলাদেশের মানুষ সারা বিশ্বকে দেখাবে যে, গণতন্ত্র বাংলাদেশের মানুষ বোঝে। তারা তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতেও জানে।
দক্ষিণ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ নির্বাচন পরিচালনা কমিটির চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মজনু মিয়ার সভাপতিত্বে সভায় বক্তব্য দেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক পৌর মেয়র তাকজিল খলিফা কাজলসহ আওয়ামী লীগের স্থানীয় নেতারা।
আরও পড়ুন: বিএনপি-জামায়াত বিশ্বে টাকা বিলিয়ে দেশের বিরুদ্ধে কুৎসা রটাচ্ছে: আইনমন্ত্রী
৭২৪ দিন আগে
আগামী ৭ জানুয়ারি চরম পরাজয়ের মুখে পড়বে সরকার: মঈন খান
বিএনপি নেতা ড. আবদুল মঈন খান বলেছেন, আগামী ৭ জানুয়ারি 'ডামি' নির্বাচনের মাধ্যমে সরকারের চরম পরাজয় হবে।
তিনি বলেন, 'সরকার ৭ জানুয়ারি বিজয়ের কথা ভাবছে। বাস্তবতা হচ্ছে, আগামী ৭ জানুয়ারি বাংলাদেশে আওয়ামী লীগের চরম পরাজয় হবে।’
সমাবেশে বিএনপির এই নেতা আরও বলেন, স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি বলে দাবি করা আওয়ামী লীগ ভুল পথে হাঁটছে। ‘তারা যদি ভুল পথে চলতে থাকে তাহলে তারা ইতিহাসের ডাস্টবিনে পড়ে থাকবে। আপনাদের (আওয়ামী লীগ) উচিত এই তিক্ত সত্য উপলব্ধি করা।’
আগামী ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠেয় একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রতিবাদে বৃহস্পতিবা জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে এই সমাবেশের আয়োজন করে বিএনপিপন্থী পেশাজীবীদের সংগঠন বাংলাদেশ শ্রমজীবী পরিষদ।
পরে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. মঈনসহ পেশাজীবী সংগঠনের নেতারা পথচারীদের মাঝে ভোট বর্জনের আহ্বান জানিয়ে লিফলেট বিতরণ করেন।
তিনি নির্বাচন বাতিল করে সংসদ ও মন্ত্রিসভা ভেঙে দিয়ে দেশে শান্তি ফিরিয়ে আনতে সরকারকে সঠিক পথে আসার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, 'আপনারা বুলেট, সাউন্ড গ্রেনেড ও টিয়ার গ্যাস দিয়ে বাংলাদেশের ১৮ কোটি মানুষকে দমন করতে পারবেন না। সুতরাং সমঝোতার পথে আসুন, শান্তির পথে আসুন।’
তিনি বলেন, বিএনপিসহ ৬৩টি রাজনৈতিক দল উদার, গণতান্ত্রিক ও শান্তিপূর্ণ রাজনীতিতে বিশ্বাসী হওয়ায় নির্বাচন বর্জন করছে। ‘এজন্য আমি সরকারকে ভুল পথ থেকে ফিরে আসার আহ্বান জানাচ্ছি। দেশের মানুষের মতামতকে কীভাবে সম্মান করতে হয় তা শেখার চেষ্টা করুন। আপনারা দাবি করেন, আপনারা মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তি। যদি তাই হয়, তাহলে আপনারা কেন গণতন্ত্রকে বিসর্জন দিয়েছেন?’
তিনি বলেন, ৭ জানুয়ারির নির্বাচনের প্রতি বাংলাদেশের জনগণ ও বিদেশি কারোরই আস্থা নেই।
মঈন বলেন, বিভিন্ন আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের সাংবাদিকরা তাদের প্রতিবেদনের মাধ্যমে বাংলাদেশে কীভাবে তথাকথিত নির্বাচন হচ্ছে তা তুলে ধরতে ঢাকায় এসেছেন।
এদিকে, বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী রবিবার সকালে উত্তরা রাজউক স্কুলের সামনে বিএনপির নির্বাচন বর্জনের আহ্বান সম্বলিত লিফলেট বিতরণ করেন।
সেখানে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি বলেন, সরকার যে কৌশলই অবলম্বন করুক না কেন, সাধারণ ভোটাররা নয়, শুধু আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরাই রবিবার ভোটকেন্দ্রে যাবেন।
তিনি বলেন, 'সরকার ভেবেছিল ডামি প্রার্থী দেখিয়ে গণতান্ত্রিক বিশ্বকে দেখাবে যে সুষ্ঠু নির্বাচন হচ্ছে। কিন্তু গণতান্ত্রিক বিশ্বের কাছে এটা স্পষ্ট হয়ে গেছে যে, বাংলাদেশে একটি সাজানো নির্বাচন মঞ্চস্থ হচ্ছে।
রিজভী বলেন, রাষ্ট্রযন্ত্রকে ব্যবহার করে ডামি নির্বাচন করে সরকার ক্ষমতায় থাকতে পারবে না।
তিনি বলেন, 'আপনারা (সরকার) দেশকে বিপদের দিকে ঠেলে দিলে এর পরিণতি ভালো হবে না। জনগণ নির্বাচন বয়কট করবে এবং তারা ভোটকেন্দ্রে যাবে না।
৭২৪ দিন আগে