রাজনীতি
নোয়াখালী-৩ আসন: আ. লীগের নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থকদের হামলার অভিযোগ
নোয়াখালী-৩ আসনে নৌকার প্রার্থী মামুনুর রশিদ কিরনের সমর্থকদের হামলায় দুই সাংবাদিকসহ স্বতন্ত্র প্রার্থী মিনহাজ আহমেদ জাবেদের ১২ কর্মী আহতের অভিযোগ উঠেছে।
শুক্রবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে বেগমগঞ্জের একলাশপুর ইউনিয়নের মাইজদী-চৌমুহনী আঞ্চলিক মহাসড়কের গাবুয়া বাজারে এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয়রা জানান, স্বতন্ত্র প্রার্থী মিনহাজ আহমেদ জাবেদ ট্রাক মার্কার গণসংযোগ শেষে ফেরার পথে গাবুয়া বাজারে পৌঁছালে নৌকা সমর্থিত মামুনুর রশিদ কিরনের লোকজন লাঠিসোটা ও দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হামলা করে। এ সময় এটিএন বাংলার গাড়িসহ গণসংযোগের একটি গাড়ি ভাঙচুর করা হয়।
আরও পড়ুন: রাজশাহী-৫ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থীর নির্বাচনী ক্যাম্পে ককটেল বিস্ফোরণ
হামলায় এটিএন বাংলার রিপোর্টার মো. নাজিবুর রহমান ও ক্যামেরাপারসন এইচ এম এহসান স্বজনসহ স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থক হুমায়ুন কবির, মো. রাশেদ, রায়হান, তোফাজ্জল হোসেন, ফররুখ আহমেদ, ইফাজ, রিপন, ইসমাইল, প্রান্ত, রুবেল ও আপন। তাদেরকে বেগমগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
স্বতন্ত্র প্রার্থী মিনহাজ আহমেদ জাবেদ বলেন, ‘আমরা একলাশপুরের তুলাবাড়ি এলাকায় ভোটারদের সঙ্গে দেখা করে চৌমুহনী ফেরার পথে গাবুয়া বাজারে পৌঁছলে নৌকা মার্কার সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা আমাদের গাড়িবহরে অতর্কিত হামলা চালায়। এতে দুই সাংবাদিকসহ আমার ১০ জন কর্মী মারাত্মক আহত হয়েছেন।’
আরও পড়ুন: ফরিদপুর-৩ আসন: নৌকার দুটি ক্যাম্পে অগ্নিসংযোগ ও স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থকদের মারধরের অভিযোগ
এটিএন বাংলার সাংবাদিক মো. নাজিবুর রহমান বলেন, ‘আমরা স্বতন্ত্র প্রার্থী মিনহাজ আহমেদের সাক্ষাৎকার নেওয়ার কিছুক্ষণ পর তাদের গাড়িবহরে একদল লোক হামলা করে। স্বতন্ত্র প্রার্থীকে তার লোকজন পার করে দিলে হামলাকারীরা আমাদের গাড়িতে ব্যাপক ভাঙচুর চালায়। এতে আমাদের গাড়ির ব্যাপক ক্ষতি হয়।’
সংবাদ পেয়ে বেগমগঞ্জ সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. নাজমুল হাসান রাজিব, বেগমগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. মহিনুল হাসান, বেগমগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আনোয়ারুল ইসলামসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার নাজমুল হাসান রাজিব বলেন, ‘আমরা ভিডিও ফুটেজ দেখে প্রকৃত হামলাকারীদের শনাক্ত করে দ্রুত গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করব।’
আরও পড়ুন: বরিশালে প্রধানমন্ত্রীর জনসভায় সংঘর্ষে নিহত ১, আহত ২৫
৭৩০ দিন আগে
ফরিদপু্রে নৌকার নির্বাচনী প্রচারে ক্রিকেটার মাশরাফি
ফরিদপুর-১ আসনের আওয়ামী লীগ প্রার্থী প্রেসিডিয়াম মেম্বার মো. আব্দুর রহমানের নির্বাচনী প্রচারে অংশ নিয়েছেন মাশরাফি বিন মর্তুজা।
শুক্রবার বিকেল সাড়ে ৩টায় নড়াইল থেকে বোয়ালমারী উপজেলার সহস্রাইলে আসেন মাশরাফি। সেখানে গণসংযোগ করেন তিনি। এরপর পথসভায় বক্তব্য রাখেন মাশরাফি।
মাশরাফি উপস্থিত সবার কাছে নৌকা প্রতীকে ভোট চান।
এসময় ফরিদপুর-১ আসনের আওয়ামী লীগ প্রার্থী আব্দুর রহমানসহ নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
পথসভা শেষ করে তিনি আলফাডাঙ্গা উপজেলার কামারগ্রাম আওয়ামী লীগের জনসভায় যোগ দেন।
সেখানেও তিনি বঙ্গবন্ধুর নৌকা প্রতীকে ভোট দেওয়ার জন্য আহ্বান জানান।
সভায় বক্তব্য রাখেন সাবেক পুলিশ কমিশনার আসাদুজ্জামান মিয়া, পুলিশের সাবেক এআইজি মালিক খসরু, জেলা কৃষক লীগের সভাপতি শেখ শহিদুল ইসলাম।
সভায় বক্তারা বলেন, এ অঞ্চলের উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে নৌকার বিকল্প নেই, দল মত নির্বিশেষে সকলকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে শেখ হাসিনা মনোনীত প্রার্থীর পক্ষে কাজ করে বিজয় করতে হবে।
৭৩০ দিন আগে
বরিশালে প্রধানমন্ত্রীর জনসভায় সংঘর্ষে নিহত ১, আহত ২৫
বরিশালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জনসভাস্থলে আওয়ামী লীগের দু’পক্ষের সংঘর্ষে সিরাজ সিকদার (৫৫) নামে এক ব্যক্তি নিহত এবং ২৫ জন আহত হয়েছেন।
শুক্রবার (২৯ ডিসেম্বর) নগরের বঙ্গবন্ধু উদ্যানে এই ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষের মুহূর্তে জনসভা মঞ্চে উঠছিলেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা।
নিহত সিরাজ সিকদার বরিশালের হিজলা উপজেলার গুয়াবাড়িয়া ইউনিয়ন কৃষক লীগের সভাপতি।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, বিকাল সাড়ে ৩টায় বরিশাল-৪ নির্বাচনী এলাকার ঈগল প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী পঙ্কজ দেবনাথের বিপুল সমর্থক প্রধানমন্ত্রীর জনসভায় যোগ দিতে বঙ্গবন্ধু উদ্যানে আসে। সেখানে আগে থেকেই অবস্থান করছিল একই আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পাওয়া দলের আন্তর্জাতিকবিষয়ক সম্পাদক ড. শাম্মি আহম্মেদের অনুসারীরা।
নির্বাচন কমিশনে (ইসি) বাতিল হওয়া মনোনয়ন ফিরে পেতে বর্তমানে উচ্চ আদালতে আইনি লড়াইয়ে আছেন শাম্মি। সমাবেশস্থলের প্রবেশ পথে আনসার ক্যাম্পের সামনে দু’পক্ষ মুখোমুখি হলে সংঘর্ষ বাধে। এতে ঘটনাস্থলেই সিরাজ সিকদার নিহত এবং দু’পক্ষের ২৫ জন আহত হন। এদের মধ্যে ১৩ জনকে শেরে বাংলা মেডিকেল কলেজ (শেবামেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এদিকে নিহত সিরাজ সিকদারকে দু’জনেই নিজের কর্মী বলে দাবি করেছেন এমপি পঙ্কজ ও ড. শাম্মি।
প্রধানমন্ত্রীর জনসভায় যোগ দিতে তার সঙ্গেই লঞ্চে করে বরিশালে এসেছেন জানিয়ে এমপি পঙ্কজ বলেন, ‘আমরা সবাই একসঙ্গে এসেছি। জনসভা মাঠে ঢোকার সময় আমার কর্মী সমর্থকদের উপর হামলা চালানো হয়। সিরাজ সিকদার শুরু থেকেই আমার কর্মী এবং নির্বাচনে ঈগল প্রতীকের পক্ষে কাজ করছেন।’
হামলার ঘটনাকে পূর্ব পরিকল্পিত দাবি করে পঙ্কজ বলেন, ‘আমার লোকজন আসবে জেনে সমাবেশে ঢোকার মুখে প্রস্তুতি নিয়ে ছিল তারা। ঢোকার সঙ্গে সঙ্গে হামলা চালিয়ে একজনকে হত্যা ও বাকিদের আহত করা হয়।’
এ বিষয়ে কথা বলার জন্য ড. শাম্মি আহম্মেদকে একাধিকবার ফোন দেওয়া হলেও ধরেননি তিনি।
তার অনুসারী আওয়ামী লীগের আন্তর্জাতিকবিষয়ক উপকমিটির সদস্য সৈয়দ মুনির বলেন, ‘সিরাজ সিকদার আমাদের কর্মী। হিজলা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি টিপু সুলতানের সঙ্গে তিনি বরিশালে এসেছিলেন। সমাবেশস্থলে ঢোকার মুখে সিরাজ সিকদারসহ আমাদের লোকজনের উপর হামলা চালানো হলে ঘটনাস্থলেই তিনি মারা যান।’
শেরে বাংলা মেডিকেল কলেজ (শেবামেক) হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ডা. কামরুজ্জামান তুহিন বলেন, ‘সিরাজ সিকদারকে মৃত অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয়েছে। হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে তিনি মারা গেছেন বলে প্রাথমিকভাবে আমরা ধারণা করছি। ময়নাতদন্ত ছাড়া এ ব্যাপারে বিস্তারিত কিছু বলা সম্ভব নয়।’
৭৩০ দিন আগে
বিএনপি-জামায়াত বিশ্বে টাকা বিলিয়ে দেশের বিরুদ্ধে কুৎসা রটাচ্ছে: আইনমন্ত্রী
বিএনপি-জামায়াত নির্বাচন ভণ্ডুল করতে সারা বিশ্বে টাকা বিলিয়ে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে কুৎসা রটাচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৪ (কসবা-আখাউড়া) আসনের আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।
তিনি বলেন, যে বাংলাদেশকে মিসকিন আর তলাবিহীন ঝুড়ি বলা হতো, সে বাংলাদেশকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিশ্ব দরবারে মর্যাদার আসনে নিয়ে গেছেন। এরই ধারাবাহিকতা বজায় রাখতেই ৭ জানুয়ারি ভোটের প্রয়োজন। কিন্তু যখনই ভোট হয় তখনই বিএনপি-জামায়াত ভোট থেকে সরে যায়। কারণ তারা দেশের মানুষের উন্নয়ন ও সুখ শান্তি চায় না। এখন তারা নির্বাচন ভণ্ডুল করার জন্য সারা বিশ্বে টাকা বিলিয়ে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে কুৎসা রটাচ্ছে।
শুক্রবার (২৯ ডিসেম্বর) দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলা পশ্চিম ইউনিয়নের আকছিনা বাজার মাঠে নির্বাচনী গণসংযোগ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
এসময় তিনি বলেন, বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ নিয়ে কোনো রাজনৈতিক দল বা কাউকে ছিনিমিনি খেলতে দেওয়া হবে না। দেশের মানুষ ভোট দিয়ে তাদের ভবিষ্যৎ প্রতিনিধি বেছে নেবে। যদি বাংলাদেশের ভূখণ্ডে কেউ অপরাধ করে, দেশের আইনে অবশ্যই তার বিচার হবে।
পরে তিনি ভোটারদের আগামী ৭ জানুয়ারি ভোট কেন্দ্রে গিয়ে নৌকা প্রতীককে জয়ী করার আহ্বান জানান।
কসবা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক রাশেদুল কাওসার ভূঁইয়া জীবন, কসবা পৌর মেয়র এমজি হাক্কানিসহ দলীয় নেতা-কর্মীরা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: বিএনপি-জামায়াতের আমলে হত্যা করলেও কোনো বিচার হতো না: আইনমন্ত্রী
তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি অসাংবিধানিক: জাতিসংঘ মানবাধিকার কাউন্সিলকে আইনমন্ত্রী
অপরাধ করায় বিএনপি নেতারা গ্রেপ্তার: আইনমন্ত্রী
৭৩০ দিন আগে
ক্ষমতা হারানোর ভয়ে সুষ্ঠু নির্বাচন করতে চায় না সরকার: মঈন খান
আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতা হারানোর ভয়ে সুষ্ঠু নির্বাচন করতে চায় না বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আব্দুল মঈন খান।
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশে এখন সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন হলে আওয়ামী লীগ পরাজিত হবে, তাই তারা সুষ্ঠু নির্বাচন করতে ভয় পাচ্ছে। এ কারণেই তারা একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের আয়োজন করছে না। এটাই প্রধান কারণ, যে যাই বলুক না কেন।’
শুক্রবার (২৯ ডিসেম্বর) জাতীয় প্রেস ক্লাবে বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের (বিএফইউজে) দ্বি-বার্ষিক কাউন্সিলের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ জনগণের শক্তিতে বিশ্বাস করলে সুষ্ঠু ও বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচনকে কেন এত ভয় পায়- এ প্রশ্ন তোলেন এই বিএনপি নেতা।
তিনি বলেন, ‘এবার সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষভাবে নির্বাচন করুন, তাহলে দেখবেন আগামী সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনে বাংলাদেশের জনগণ আবারও আনন্দের সঙ্গে আপনাদের ভোট দেবে।’
তিনি বাংলাদেশের জনগণের চরিত্র ও মনস্তাত্ত্বিক বৈশিষ্ট্য বুঝে রাজনীতি করার জন্য ক্ষমতাসীনদের প্রতি আহ্বান জানান।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের জাতীয় নির্বাচনে প্রতিবেশী দেশ হস্তক্ষেপ করছে: রিজভী
যদিও নির্বাচনের আট দিন বাকি তবে ডক্টর মঈন মনে করেন, রাজনৈতিক সংকট নিরসনে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে রাজনৈতিক সংলাপ করার এবং দেশে একটি বিশ্বাসযোগ্য ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন অনুষ্ঠানের পথ খুঁজে বের করার জন্য সরকারের এখনও সময় আছে।
তিনি বলেন, ‘৭ জানুয়ারি এখনও অনেক দূরে... এই সহিংস সংঘর্ষের রাজনীতি থেকে বেরিয়ে আসার জন্য আলোচনা করুন। আপনারা সরকারে আছেন বলে আমি আপনাদের অনুরোধ করছি। সুতরাং, এই বিষয়ে মূল সিদ্ধান্ত নেওয়া আপনার দায়িত্ব।’
বিএনপির জ্যেষ্ঠ এই নেতা বলেন, দেশের স্বার্থে ও গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের জন্য রাজনৈতিক দলগুলোকে সংঘাত এড়িয়ে শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানের নীতিতে ফিরতে হবে।
সাবেক তথ্যমন্ত্রী ড. মঈন বলেন, দেশের জনগণের কাছে সরকারকে জবাবদিহি করতে গণমাধ্যম অত্যন্ত শক্তিশালী ভূমিকা পালন করতে পারে।
তিনি বলেন, ‘সংবাদপত্রকে বলা হয় রাষ্ট্রের চতুর্থ স্তম্ভ...আধুনিক বিশ্বে সংবাদপত্র খুবই গুরুত্বপূর্ণ। যারা দেশ চালাচ্ছেন তাদের জনগণের কাছে জবাবদিহি করাই গণমাধ্যমের প্রধান দায়িত্ব। এই কারণে, বিশ্বের সব সরকার মিডিয়াকে ভয় পায়।’
এই বিএনপি নেতা আরও বলেন, গণমাধ্যমগুলো সরকারের চেয়ে বেশি শক্তিশালী, কারণ তারা তাদের কলম দিয়ে যেকোনো সরকারের পতন নিশ্চিত করতে পারে।
সরকারের বিরুদ্ধে গণমাধ্যমকে ফাঁকি দেওয়ার অভিযোগ তুলে তিনি সংবাদপত্রের স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে সাংবাদিকদের নিজেদের মধ্যে বিভেদ ও সংঘাত দূর করে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান।
আরও পড়ুন: নির্বাচনের নামে প্রহসনমূলক খেলা বানচাল করতে জনগণের প্রতি আহ্বান বিএনপির
শনিবার পর্যন্ত চলবে বিএনপির গণসংযোগ কর্মসূচি
৭৩০ দিন আগে
বিএনপি মানুষ পোড়ায়, বাংলাদেশে রাজনীতি করার অধিকার নেই তাদের: বরিশালে প্রধানমন্ত্রী
বিএনপিকে সন্ত্রাসী দল আখ্যা দিয়ে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা বলেছেন, বাংলাদেশে তাদের রাজনীতি করার অধিকার নেই।
তিনি বলেন, ‘বিএনপির বাংলাদেশে রাজনীতি করার কোনো অধিকার নেই। কারণ তারা মানুষ পুড়িয়ে হত্যা করে।’
শুক্রবার (২৯ ডিসেম্বর) বরিশাল নগরীর ঐতিহাসিক বঙ্গবন্ধু উদ্যানে প্রচার সমাবেশে ভাষণ দেন প্রধানমন্ত্রী। এ সময় তার পাশে ছোট বোন শেখ রেহানা ছিলেন।
এসময় প্রধানমন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগের রাজনীতি শুধু জনগণের কল্যাণের জন্য।
বিএনপি ও জামায়াতের রাজনীতি হচ্ছে মানুষ পোড়ানো উল্লেখ করে তিনি বলেন, জনগণ কি তাদের চায়? না, জনগণ তাদের চায় না।
তিনি বলেন, আমরা যখন জনগণের জন্য দেশের উন্নয়ন করি, তখন বিএনপি-জামায়াত অগ্নিসংযোগ করে।
এই প্রসঙ্গে তিনি ট্রেনে সাম্প্রতিক অগ্নিসংযোগের হামলার কথা উল্লেখ করেছেন।
তিনি বলেন, তারা একজন মা ও শিশুসহ বেশ কয়েকজনকে হত্যা করেছে।
তিনি ২০০১ সালে বিএনপি-জামায়াতের অগ্নিসংযোগের কথা স্মরণ করে বলেন, তারা ২০১৩ ও ২০১৪ সালেও একই কাজ করেছিল। এখন তারা আবারও অগ্নিসংযোগ শুরু করেছে।
তিনি বলেন, ‘আমি বিএনপি-জামায়াতের এসব কাজের নিন্দা জানাই।’
আরও পড়ুন: নির্বাচনী জনসভায় ভাষণ দিতে বরিশালে প্রধানমন্ত্রী, নগরীতে উৎসবমুখর পরিবেশ
শেখ হাসিনা বলেন, বিএনপির মিত্র জামায়াত একাত্তরের গণহত্যা, লুটপাট, ধর্ষণ, মানুষ নির্যাতনের সঙ্গে জড়িত ছিল। তারা পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর সঙ্গে হাত মিলিয়েছিল।
তাদের কয়েকজন নেতাকে যুদ্ধাপরাধী হিসেবে দোষী সাব্যস্ত করে মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে ফাঁসি দেওয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘এক পক্ষ সন্ত্রাসী, খুনি, দশ ট্রাক অস্ত্র চোরাকারবারী, অর্থ পাচারে জড়িত, এতিমের টাকা পাচারকারী এবং সব ধরনের অপকর্মে জড়িত; আর অন্যটি যুদ্ধাপরাধীদের।’
শেখ হাসিনা বলেন, বিএনপি-জামায়াত নির্বাচন চায় না।
তিনি বলেন, ‘তারা এটা বানচাল করতে চায়, আমি আপনাদের অনুরোধ করছি আপনারা সবাই ৭ জানুয়ারি সকালে ভোট কেন্দ্রে যাবেন। আপনার প্রতীক কী হবে? তা হবে নৌকা।’
আওয়ামী লীগের নির্বাচনী প্রতীক নৌকায় ভোট চেয়ে জনগণের সেবা করার জন্য শেখ হাসিনা আবারও জনগণকে স্মরণ করিয়ে দেন কীভাবে মহানবী নূহ (আ.) এর নৌকা মহাপ্লাবনের সময় মানব জাতিকে রক্ষা করেছিল।
তিনি আরও বলেন, ১৯৭০ সালে মানুষ নৌকায় ভোট দেওয়ায় বাংলাদেশ স্বাধীনতা লাভ করে।
আরও পড়ুন: জানুয়ারির নির্বাচনকে উৎসবমুখর ও প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ করে তুলুন: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
আ. লীগের সফল পররাষ্ট্রনীতির কারণে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে শক্তিশালী অবস্থানে বাংলাদেশ: প্রধানমন্ত্রী
৭৩০ দিন আগে
বাংলাদেশের জাতীয় নির্বাচনে প্রতিবেশী দেশ হস্তক্ষেপ করছে: রিজভী
সুস্পষ্টভাবে ভারতকে খোঁচা দিয়ে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী অভিযোগ করেন, ৭ জানুয়ারির ‘ডামি’ নির্বাচন করতে একটি দেশ বাংলাদেশে সরাসরি হস্তক্ষেপ করছে।
এই বিএনপি নেতা বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী গতকাল (বৃহস্পতিবার) বলেছেন, নির্বাচন নিয়ে দেশে- বিদেশে ষড়যন্ত্র চলছে। আপনারাই নির্বাচনের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছেন। একটি প্রতিবেশী দেশ বাংলাদেশে একটি ডামি নির্বাচন করতে সরাসরি হস্তক্ষেপ করছে।’
তিনি অবশ্য ভারতের নাম উল্লেখ করেননি।
শুক্রবার (২৯ ডিসেম্বর) রাজধানীর ধানমন্ডি এলাকায় প্রচারপত্র বিতরণকালে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি দেশবাসীকে সাজানো নির্বাচন বর্জনের আহ্বান জানান।
সরকার শুধু ক্ষমতা ধরে রাখার জন্য দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বকে বিসর্জন দিয়ে বাংলাদেশকে একটি দালাল রাষ্ট্রে পরিণত করার চেষ্টা করছে বলেও অভিযোগ করেন রিজভী।
তিনি বলেন, ‘মানুষ তাদের নীলনকশা সফল হতে দেবে না।’
বিএনপির জ্যেষ্ঠ এই নেতা বলেন, ৭ জানুয়ারি বাংলাদেশে কোনো নির্বাচন হবে না। ‘এটি আসন ভাগাভাগি ও বণ্টনের নির্বাচন। এটা একটা প্রহসনমূলক নির্বাচন।’
জনগণই দেশের মালিক উল্লেখ করে তিনি বলেন, সরকার জনমত উপেক্ষা করে ডামি নির্বাচন করে বিদেশিদের ফাঁকি দেওয়ার চেষ্টা করছে। যতই ষড়যন্ত্র করুক না কেন সরকার সফল হবে না।
আরও পড়ুন: ভোটারদের ভোটকেন্দ্রে নিতে সরকারের 'মরিয়া' চেষ্টায় সাড়া মিলছে না: রিজভী
তিনি বলেন, ‘আমরা ভোটারদের এই ডামি নির্বাচন বর্জনের আহ্বান জানাচ্ছি... ভোটের দিন ঘরে থাকুন, ভোটকেন্দ্রে যাবেন না। ভোটকেন্দ্রে না গিয়ে এই অবৈধ নির্বাচনকে না বলুন।’
দলের দেশব্যাপী কর্মসূচির অংশ হিসেবে রিজভী বিএনপির কয়েকজন নেতা-কর্মীকে নিয়ে সকালে রাজধানীর ধানমন্ডি-১৫-এর কাঁচা বাজারে লিফলেট বিতরণ করেন।
৭ জানুয়ারির নির্বাচন বর্জন ও আওয়ামী লীগ সরকারকে সহযোগিতা না করার আহ্বানের পক্ষে জনসমর্থন জোগাড় করতে বিএনপি ও সমমনা বিরোধী দলগুলো লিফলেট বিতরণ ও গণসংযোগ কর্মসূচি পালন করছে।
বৃহস্পতিবার দলটি গণসংযোগ ও লিফলেট বিতরণ কর্মসূচির মেয়াদ শনিবার পর্যন্ত আরও দুই দিন বাড়িয়েছে।
বর্তমান সরকারকে পদত্যাগ করতে এবং নির্দলীয় নিরপেক্ষ প্রশাসনের অধীনে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন আয়োজনে বাধ্য করতে গত বছরের ১০ ডিসেম্বর থেকে প্রায় তিন ডজন বিরোধী রাজনৈতিক দলের সঙ্গে বিএনপি যুগপৎ আন্দোলন চালিয়ে আসছে।
গত ২৮ অক্টোবর দলের মহাসমাবেশকে কেন্দ্র করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষের পর বিএনপির আন্দোলন গতি হারিয়ে ফেলে, কারণ এরপর দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ অনেক সিনিয়র নেতাকে গ্রেপ্তার করা হয় এবং অনেকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে গ্রেপ্তারের ভয়ে আত্মগোপনে চলে যায়।
তবে বিএনপি ও সমমনা দলগুলো ২৯ অক্টোবর থেকে ১২ দফায় ২৩ দিন দেশব্যাপী অবরোধ এবং চার দফায় পাঁচ দিন হরতাল দেয়।
অবশেষে ২০ ডিসেম্বর বিরোধী দল অসহযোগ আন্দোলনের ডাক দেয়।
আরও পড়ুন: ইসির আন্দোলন বন্ধ করতে চাওয়া নজিরবিহীন ও গণবিরোধী: রিজভী
ক্ষমতাসীন দলের এমপি-মন্ত্রীদের হাতে আলাদিনের বাতি আছে: রিজভী
৭৩০ দিন আগে
বিএনপি চোরাগুপ্তা হামলা করে দেশে সংঘাতময় পরিস্থিতি সৃষ্টির পায়তারা করছে: ড. মোমেন
আওয়ামী লীগ গণতন্ত্র বিশ্বাস করে বলেই একটি অবাধ ও সুষ্ঠু গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের জন্য ভোটারদের দ্বারে দ্বারে যাচ্ছে। অন্যদিকে বিএনপি চোরাগুপ্তা হামলা চালিয়ে দেশে সংঘাতময় পরিস্থিতি সৃষ্টির পায়তারা করছে বলে মন্তব্য করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন।
তিনি বলেন, বিএনপির অসহযোগ আন্দোলন দুঃখজনক। তারা মনে করছে নির্বাচনে এলে তারা ভোট পাবে না। বিএনপি ভুল পথে চলছে। আল্লাহ তাদের হেদায়েত দান করুক।
শুক্রবার (২৯ ডিসেম্বর) সকালে সিলেট নগরীতে নির্বাচনী প্রচারের সময় সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে মোমেন এসব কথা বলেন।
সিলেট-১ আসনের আওয়ামী লীগের এই প্রার্থী নগরীর বিভিন্ন এলাকায় সকালে লিফলেট বিতরণের মাধ্যমে নির্বাচনী প্রচার চালান।
এরপর তেরো রতন ও গোটাটিকর শিল্প এলাকায় লিফলেট বিতরণ করেন এবং ভোট চান।
এ সময় তিনি বলেন, বাংলাদেশ ১৭০ মিলিয়ন মানুষের দেশ, বিশ্বের ৩৩তম বৃহত্তম অর্থনীতি। আমরা এখন আত্মনির্ভরশীল। সব দেশের সঙ্গে আমাদের সুসম্পর্ক আছে। বাংলাদেশ আফগানিস্তান নয়, কাজেই দু-একটি দেশের হুমকি-ধমকিতে কোনো লাভ হবে না।
প্রচারের সময় ছিলেন- মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক জাকির হোসেন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আজাদুর রহমান আজাদ, সাংগঠনিক সম্পাদক সালেহ আহমদ সেলিম, কৃষি ও সমবায়বিষয়ক সম্পাদক তপন মিত্র, আফসর আহমদ, ২২ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর ফজলে রাব্বী চৌধুরী মাসুম, ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ সভাপতি ডা. আব্দুল ওয়াহিদ, মো. আবুর কামাল, জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সহসাধারণ সম্পাদক সাজেদা পারভীন, সৈয়দা রাবেয়া ইসলাম, সুলতানা বেগম, ওয়ার্ড সভাপতি জাভেদ আহমদ, ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি হোসেন আহমদ, তারেক আহমদ, সুয়েব আহমদসহ স্থানীয় নেতারা।
আরও পড়ুন: এমন নির্বাচন হবে যা দেখে দুনিয়ার সবাই শিখবে: মোমেন
গণতন্ত্রে নির্বাচনের বিকল্প নেই: ড. মোমেন
শুধু দেশ নয়, আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার জন্যেও শেখ হাসিনাকে প্রয়োজন: ড. মোমেন
৭৩০ দিন আগে
সব প্রার্থীই আমাদের কাছে সমান: ইসি রাশেদা সুলতানা
নির্বাচন কমিশনার (ইসি) বেগম রাশেদা সুলতানা বলেছেন, সব প্রার্থীই আমাদের কাছে সমান; দল বা প্রার্থী বুঝে নয়, অপরাধ বুঝেই প্রার্থীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে।
তিনি বলেন, যে প্রার্থীই আচরণবিধি লঙ্ঘন করবেন, কমিশন তার বিরুদ্ধেই ব্যবস্থা নেবে। এ কার্যক্রম আরও জোরদার হচ্ছে। ভোটের পরিবেশ সুষ্ঠু রাখতে কমিশন সচেষ্ট রয়েছে। ভোটারেরা যাতে নির্বিঘ্নে ভোট দিতে পারে সেই ব্যবস্থা আমরা করেছি।
শুক্রবার (২৯ ডিসেম্বর) দুপুরে লালমনিরহাটে এক মতবিনিময় সভায় সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এসব কথা বলেন ইসি।
এর আগে জেলা প্রশাসকের সম্মেলনকক্ষে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী এবং নির্বাচন সংশ্লিষ্ট প্রশাসন ও প্রিজাইডিং অফিসারদের সঙ্গে পৃথক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে যোগ দেন তিনি।
সভায় কয়েকজন প্রার্থী নির্বাচনী মাঠের নানা ধরনের সমস্যার কথা তুলে ধরেন।
মতবিনিময় সভায় রংপুরের বিভাগীয় কমিশনার হাবিবুর রহমান, রংপুরের ডিআইজি আব্দুল বাতেন, লালমনিরহাট জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ উল্যাহ ও পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: স্থানীয় ২০৭৭৩ পর্যবেক্ষক নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করবে: ইসি
একটি ভোটও জাল হলে সেই কেন্দ্রের ভোট বন্ধ করা হবে: ইসি আহসান হাবিব
শতভাগ নিশ্চিত করতে পারি, আগের রাতে ভোট হবে না: সিইসি
৭৩০ দিন আগে
ফরিদপুর-৩ আসন: নৌকার দুটি ক্যাম্পে অগ্নিসংযোগ ও স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থকদের মারধরের অভিযোগ
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ফরিদপুর-৩ (সদর) আসনে সহিংসতা বেড়েই চলেছে। গত কয়েক দিনে নৌকা ও স্বতন্ত্র ঈগর প্রতীকের প্রার্থীদের দাবি অনুযায়ী ২৫টি হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে।
এদিকে বৃহস্পতিবার দিবাগত গভীর রাতে নৌকা প্রতীকের দুইটি নির্বাচনী অস্থায়ী ক্যাম্পে অগ্নিসংযোগের অভিযোগ তোলা হয়েছে। এছাড়াও স্বতন্ত্র প্রার্থীর কর্মী-সমর্থকদের মারধরের অভিযোগ করা হয়েছে।
ফরিদপুর জেলা আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক নিয়াজ জামান সজিব দাবি করেন, ফরিদপুর পৌর এলাকার ১নং ওয়ার্ডের শোভারামপুর ও সদর উপজেলার মাচ্চর ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের দয়ারামপুর এলাকায় গভীররাতে অগ্নিসংযোগ করে ক্যাম্পে থাকা চেয়ার, টেবিল ও পোস্টার পুড়িয়ে দেওয়া হয়।
তিনি জানান, এ বিষয়ে থানায় লিখিত অভিযোগ দেওয়ার প্রস্তুতি চলছে।
আরও পড়ুন: ফরিদপুর-১ আসন: আচরণবিধি লঙ্ঘনের দায়ে নৌকা প্রার্থীর প্রতিনিধিকে জরিমানা
এদিকে শুক্রবার সকালে স্বতন্ত্র প্রার্থীর কর্মী সমর্থকদের উপর সদর উপজেলার নর্থ চ্যানেল ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের ১নং কেন্দ্রের সদস্য সচিব এবং বয়োজ্যেষ্ঠ কর্মী সিদ্দিক শেখ, আব্দুল আজিজকে মারধর করা হয়।
স্বতন্ত্র প্রার্থীর নির্বাচনী সম্বনয়কারি সোয়েবুল ইসলাম অভিযোগ তুলে জানান, কোনো উস্কানি ছাড়াই নর্থচ্যানেল ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি হাজী মোফাজ্জল হোসেন সকালের দিকে লোকজন নিয়ে অতর্কিতভাবে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে আমাদের কয়েকজন কর্মীকে মারধর করে। এ সময় তারা বিভিন্ন ভাবে ভয়ভীতি দেখায় ।
এ বিষয়ে ফরিদপুর কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শহিদুল ইসলাম বলেন, ‘উভয় ঘটনাই পুলিশ তদন্তের জন্য ঘটনাস্থলে গিয়েছে। আমরা এখনো কোনো লিখিত অভিযোগ পাইনি। তদন্ত শেষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
আরও পড়ুন: ফরিদপুর-৩ আসন: হামলায় আ. লীগ প্রার্থীর ২ সমর্থক আহত
ফরিদপুর-৩: ঈগল প্রতীকের নির্বাচনী অফিসে নৌকার কর্মীদের হামলা, আহত ৫
৭৩১ দিন আগে