রাজনীতি
নির্বাচনী আচরণবিধি ভঙ্গের দায়ে মাশরাফির সমর্থকদের জরিমানা
নড়াইল-২ আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী মাশরাফি বিন মুর্তজার নির্বাচনী প্রচারের সময় আচরণবিধি লঙ্ঘনের দায়ে তার ৪ সমর্থককে জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।
বুধবার(২৭ ডিসেম্বর) রাতে ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আনিছুর রহমান এই জরিমানা করেন।
আরও পড়ুন: জাতীয় নির্বাচন: মাশরাফির আয় গতবারের চেয়ে অর্ধেকের বেশি কমেছে
তিনি জানান, নড়াইল-২ আসনে নির্বাচনী আচরণবিধি মেনে চলা নিশ্চিত করতে নিয়মিত প্রচারের অংশ হিসেবে বুধবার রাতে নগরীর হাতির বাগান এলাকায় অভিযান চালানো হয়।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আনিসুর রহমান জানান, গাড়িতে নৌকা প্রতীকের স্টিকার লাগানোর দায়ে মাশরাফির চার সমর্থককে ৫ হাজার ২০০ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
তাদের এই অপরাধের পুনরাবৃত্তি না করার জন্য সতর্ক করা হয়েছে বলেও জানান আনিসুর।
আরও পড়ুন: ৭ জানুয়ারি ভোটকেন্দ্রে গিয়ে ভোট দেওয়ার আহ্বান মাশরাফির
৭৩১ দিন আগে
ভোটারদের হুমকি-ধমকি দিলে শাস্তির বিধান করা হয়েছে: ইসি রাশেদা সুলতানা
ভোটারদের হুমকি-ধমকি দিলে শাস্তির বিধান করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার (ইসি) রাশেদা সুলতানা।
তিনি বলেন, ‘ভোটারদের ভয় পাওয়ার কোনো কারণ নেই। তাদের নিরাপত্তার জন্য আইন করা হয়েছে। যদি কেউ ভোটারদের বাধা দেয়, হুমকি-ধমকি দেয় তার জন্য শাস্তির বিধান করা হয়েছে। ভোটারেরা নির্ভয়ে-নিঃসংকোচে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সহায়তা নিতে পারবেন।’
বৃহস্পতিবার (২৮ ডিসেম্বর) সকালে কুড়িগ্রাম জেলা প্রাশাসক ও রিটার্নিং কর্মকর্তার হলরুমে প্রিজাইডিং কর্মকর্তাদের সঙ্গে মত বিনিময়ের সময় এসব কথা বলেন ইসি।
এসময় রংপুর বিভাগের অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার তৌফিক-ই-লাহী চৌধুরী, রংপুর রেঞ্জের আ্যাডিশনাল ডিআইজি এসএম রশিদুল হক পিপিএম, জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সাইদুল আরীফ, পুলিশ সুপার আল আসাদ মো. মাহফুজুল ইসলাম।
মতবিনিময় সভায় আগামী ৭ জানুয়ারীর নির্বাচনে কুড়িগ্রাম জেলার চারটি সংসদীয় আসনে দায়িত্বপ্রাপ্ত সব প্রিজাইডিং কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
৭৩১ দিন আগে
নির্বাচনের নামে প্রহসনমূলক খেলা বানচাল করতে জনগণের প্রতি আহ্বান বিএনপির
নির্বাচনের নামে আওয়ামী লীগ সরকারের ‘খেলা’র চেষ্টা নস্যাৎ করতে দেশবাসীকে ঐক্যবদ্ধভাবে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপি নেতা নজরুল ইসলাম খান।
বৃহস্পতিবার (২৮ ডিসেম্বর) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে লিফলেট বিতরণকালে তিনি বলেন, ‘আমরা দেশের জনগণের কাছে আগামী নির্বাচন বর্জন করার জন্য আবেদন করছি, কারণ এই নির্বাচনে আপনাদের পছন্দের প্রার্থী বাছাই করার সুযোগ নেই।’
বিএনপির এই সিনিয়র নেতা বলেন, ৭ জানুয়ারির নির্বাচন একটি অবৈধ, দুর্নীতিবাজ ও লুটেরা সরকারের মেয়াদ বাড়ানোর অপচেষ্টা মাত্র। “আপনারা (জনগণ) তাদের (সরকার) 'না' বলুন। আপনারা তাদের বিরুদ্ধে দাঁড়ান এবং নির্বাচনের নামে এই খেলা বানচাল করুন।”
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল বলেন, ‘জনগণের সব অধিকার কেড়ে নেওয়া সরকার ডামি নির্বাচন এবং গণতন্ত্রের নামে প্রহসনমূলক খেলা চালিয়ে যাচ্ছে।’
তিনি বলেন, ‘বিরোধী দলগুলো এই নির্বাচন বর্জন করায় দেশের জনগণের মতামত প্রকাশের কোনো সুযোগ নেই। যে নির্বাচনে সরকারবিরোধী কোনো প্রার্থী নেই সেখানে ভোট দেওয়ার কোনো গুরুত্ব ও সুযোগ নেই। সেজন্য দেশের জনগণ তাদের গণতান্ত্রিক অধিকার রক্ষায় এই নির্বাচন বর্জন করবে।’
আরও পড়ুন: শনিবার পর্যন্ত চলবে বিএনপির গণসংযোগ কর্মসূচি
গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের চলমান আন্দোলনে যোগ দিতে এবং নির্দলীয় সরকারের অধীনে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের লড়াইয়ে জয়ী হওয়ার জন্য দেশবাসীকে আবারও আহ্বান জানান এই বিএনপি নেতা।
তিনি বলেন, আসুন গণতন্ত্রের সংগ্রামে জয়ী হই এবং এমন একটি বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করি যে বাংলাদেশ হবে আমাদের বাংলাদেশ, জনগণের বাংলাদেশ।
দলের তিন দিনব্যাপী গণসংযোগ কর্মসূচির শেষ দিনে নজরুল জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে পথচারীদের মধ্যে নির্বাচন বর্জনের আহ্বান সম্বলিত লিফলেট বিতরণ করেন।
একতরফা জাতীয় নির্বাচন বয়কটের পক্ষে জনসমর্থন আদায়ে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় লিফলেট বিতরণ করেছেন বিএনপি ও সমমনা বিরোধী দলের নেতারা।
আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইশতেহার সম্পর্কে তার প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে নজরুল বলেন, নির্বাচনের নামে একটি খেলার অংশ হিসেবে ক্ষমতাসীন দল বুধবার তাদের ইশতেহার ঘোষণা করেছে। ‘এতে অনেক লম্বা লম্বা কথা আছে। অথচ গতকালও (বুধবার) সারা বিশ্বের শহরের তালিকায় সবচেয়ে খারাপ বায়ুর মানের তালিকায় শীর্ষে ছিল ঢাকা শহর। এভাবেই তারা হয়ে উঠেছেন উন্নয়নের রোল মডেল।’
আরও পড়ুন: ভোটারদের ভোটকেন্দ্রে নিতে সরকারের 'মরিয়া' চেষ্টায় সাড়া মিলছে না: রিজভী
আওয়ামী লীগের অবৈধ ক্ষমতা বাড়াতে ডামি নির্বাচনে অংশ নেবেন না: বিএনপি
৭৩১ দিন আগে
এখন ব্যবস্থা না নেওয়া গেলেও নির্বাচনের পর কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে: কাদের
যাদের সম্পদ অস্বাভাবিক বেড়েছে তাদের বিরুদ্ধে নির্বাচনের পর ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) আসন্ন নির্বাচনে প্রার্থীদের হলফনামায় অসঙ্গতির অভিযোগের বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে কাদের বলেন, ‘সরকার শুধু রুটিন ওয়ার্ক পরিচালনা করায় এই মুহূর্তে ব্যবস্থা নেওয়া না গেলেও নির্বাচনের পর কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
বৃহস্পতিবার (২৮ ডিসেম্বর) বিকালে ধানমন্ডিতে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সমসাময়িক বিষয় নিয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এ মন্তব্য করেন।
টিআইবি তাদের প্রতিবেদনে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) কাছে প্রকাশ করা প্রার্থীদের আয়, সম্পদ, ঋণ ও ঋণের সত্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে।
টিআইবি একজন মন্ত্রীকে অভিযুক্ত করেছে, যার নাম প্রকাশ করা হয়নি।
আরও পড়ুন: ভয়ভীতি সত্ত্বেও আসন্ন নির্বাচনে ভোটার উপস্থিতি সন্তোষজনক হবে: কাদের
টিআইবি জানিয়েছে, সরকারের মন্ত্রিসভার অন্তত একজন সদস্যের নিজ নামে বিদেশে একাধিক কোম্পানি থাকার প্রমাণ রয়েছে, যার প্রতিফলন হলফনামায় নেই। মন্ত্রী ও তার স্ত্রীর মালিকানাধীন ছয়টি কোম্পানি এখনও বিদেশে সক্রিয়ভাবে রিয়েল এস্টেট ব্যবসা পরিচালনা করছেন। সেসব কোম্পানির মোট সম্পদ মূল্য প্রায় ২ হাজার ৩১২ কোটি টাকা।
বিএনপির আন্দোলন প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেন, দলটি জনসমর্থন হারিয়েছে।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘যদি (বিএনপির আন্দোলনের প্রতি) জনসমর্থন থাকত, তাহলে কোনো দলকেই সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করার জন্য লুকিয়ে হামলা চালাতে হতো না।’
বিভিন্ন নির্বাচনী এলাকায় সহিংসতার ঘটনাকে ‘বিচ্ছিন্ন’ উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, এটা স্বাভাবিক। কোনো প্রার্থী নির্বাচন বর্জন করবে না।
তিনি বলেন, প্রার্থীরা ভোটারদের বুঝিয়ে ভোট কেন্দ্রে নিয়ে আসতে চান।
আরও পড়ুন: নির্বাচনে বাধা দানকারীদের বিরুদ্ধে ভিসা নিষেধাজ্ঞা দিতে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি আহ্বান কাদেরের
স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষার লড়াই এটি: ওবায়দুল কাদের
৭৩১ দিন আগে
শনিবার পর্যন্ত চলবে বিএনপির গণসংযোগ কর্মসূচি
চলমান গণসংযোগ ও লিফলেট বিতরণ কর্মসূচি আরও দুই দিন বাড়িয়ে শনিবার পর্যন্ত করেছে বিএনপি। জনগণকে আসন্ন জাতীয় নির্বাচন বর্জন ও আওয়ামী লীগ সরকারকে সহযোগিতা না করার আহ্বান জানাতে এই কর্মসূচি পালন করা হচ্ছে বলে দলটি জানিয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৮ ডিসেম্বর) বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে ঘোষণাটি দেন।
তিনি বলেন, ‘সারা দেশে আমাদের গণসংযোগ ও লিফলেট বিতরণ কার্যক্রম চলছে। শুক্র ও শনিবারও এ কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে।’
আসন্ন একতরফা নির্বাচন বর্জন, চলমান অসহযোগ আন্দোলন এবং নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন আয়োজনের এক দফা দাবিতে জনসমর্থন আদায়ে আরও ২ দিন কর্মসূচি পালনে দলের সব স্তরের নেতা-কর্মী ও সমমনা দল এবং জোটের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
বিএনপির সমমনা দলগুলোও একই ধরনের কর্মসূচি ঘোষণা করেছে।
এর আগে ২৪ ডিসেম্বর মঙ্গলবার থেকে ৩ দিনের গণসংযোগ ও লিফলেট বিতরণ কর্মসূচি ঘোষণা করে দলটি। যা আজ (বৃহস্পতিবার) শেষ হওয়ার কথা ছিল।
আরও পড়ুন: আওয়ামী লীগের অবৈধ ক্ষমতা বাড়াতে ডামি নির্বাচনে অংশ নেবেন না: বিএনপি
ভোটারদের ভোটকেন্দ্রে নিতে সরকারের 'মরিয়া' চেষ্টায় সাড়া মিলছে না: রিজভী
৭৩১ দিন আগে
লাঙ্গল থেকে নৌকায় ৩ শতাধিক নেতা-কর্মী
ঢাকা জেলা জাতীয় পার্টির সিনিয়র সহসভাপতি খন্দকার নুরুল আনোয়ার বেলালের নেতৃত্বে নবাবগঞ্জ উপজেলা জাতীয় পার্টির ৩ শতাধিক নেতা-কর্মী আওয়ামী লীগে যোগ দিয়েছেন। স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাদের ভাষ্যমতে, বর্তমান সরকারের উন্নয়নে ‘অভিভূত’ হয়ে তারা আওয়ামী লীগে যোগ দিয়েছেন।
বুধবার (২৭ ডিসেম্বর) রাত সাড়ে ৮টার দিকে উপজেলা আওয়ামী লীগ অফিসে ঢাকা-১ আসনে দলটির মনোনীত প্রার্থী সালমান এফ রহমানের হাতে ফুলের তোড়া তুলে দিয়ে তারা যোগদান করেন।
এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, যোগ দেওয়া নেতাদের মধ্যে রয়েছেন- ঢাকা জেলা জাতীয় পার্টির সিনিয়র সহসভাপতি খন্দকার নুরুল আনোয়ার বেলাল, জাতীয় মাহিলা পার্টির ঢাকা জেলা ও নবাবগঞ্জ উপজেলা শাখার সভাপতি রেশমী আক্তার, জাতীয় যুব সংহতির নবাবগঞ্জ উপজেলা শাখার আহ্বায়ক মো. জাকির হোসেন ও জাতীয় যুব সংহতি নবাবগঞ্জ উপজেলা শাখার যুগ্ম আহ্বায়ক মো. মাহফুজুর রহমান৷
সদ্য যোগ দেওয়া রেশমী আক্তার ও খন্দকার নুরুল আনোয়ার বেলাল তাদের বক্তব্যে বলেন, ‘জাতীয় পার্টির কর্মকাণ্ডে আমরা বিরক্ত। তাই কাঁধ থেকে লাঙ্গল ফেলে দিয়ে আজ নৌকায় উঠলাম। আমাদের প্রিয় নেতা সালমান এফ রহমানের সঙ্গে থেকে আওয়ামী লীগের জন্য কাজ করব। আসন্ন নির্বাচনে শেখ হাসিনাকে বিজয়ী করতে একসঙ্গে কাজ করার আশাবাদ ব্যক্ত করেন তারা।’
আরও পড়ুন: আ. লীগ দেশের উন্নয়ন করছে, বিএনপি মানুষ পোড়াচ্ছে: সালমান এফ রহমান
ঢাকা-১ আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী সালমান এফ রহমান জাতীয় পার্টি থেকে আওয়ামী লীগে যোগ দেওয়া নেতা-কর্মীদের ফুল দিয়ে বরণ করে নিয়ে বলেন, ‘নবাবগঞ্জের অভূতপূর্ব উন্নয়নে এ অঞ্চলের মানুষ যারপরনাই খুশি। আজ যোগ দেওয়া নেতা-কর্মীরা ৭ জানুয়ারির নির্বাচনে নৌকার বিজয়ে নিরলস কাজ করে যাবেন বলে আশা করি।’
অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করার কথা জানিয়েছেন ঢাকা-১ আসনের সংসদ সদস্য সালমান এফ রহমান।
এ সময় দীর্ঘদিন জাতীয় পার্টির রাজনীতি করা এসব নেতা-কর্মীরা আওয়ামী লীগে যোগদান করে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন। জাতীয় পার্টিতে অবহেলিত এসব নেতা-কর্মীরা তুলে ধরেন তাদের আক্ষেপের কথা।
অনুষ্ঠানে ৭ জানুয়ারির নির্বাচনে সবাইকে নিয়ে ভোট দেওয়ারও আহ্বান জানান সালমান এফ রহমান। নিজ দলের নেতা-কর্মীদের জাতীয় পার্টির অংশগ্রহণ করা নেতা-কর্মীদের সহযোগিতার করার আহ্বান জানান।
আরও পড়ুন: সেরা করদাতা সম্মাননা-ট্যাক্স কার্ড পেলেন সালমান এফ রহমান
বিএনপিকে ছাড়াও নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক হবে: সালমান এফ রহমান
৭৩২ দিন আগে
অর্থমন্ত্রীর নির্বাচনী প্রচারে প্রিসাইডিং অফিসার, কারণ দর্শানোর নোটিশ
কুমিল্লা-১০ (সদর দক্ষিণ, লালমাই ও নাঙ্গলকোট) আসনের প্রার্থী অর্থমন্ত্রীর নির্বাচনী প্রচারে অংশ নেওয়ায় প্রিসাইডিং অফিসার লালমাই উপজেলার অধ্যক্ষ আবুল কালাম মজুমদার মহিলা কলেজের প্রভাষক মো. আব্দুল হালিমকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছে নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটি।
বুধবার (২৭ ডিসেম্বর) নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটি চেয়ারম্যান, সিনিয়র সহকারী জজ রাজীব কুমার দেব শোকজ করেন।
আরও পড়ুন: শতভাগ নিশ্চিত করতে পারি, আগের রাতে ভোট হবে না: সিইসি
নোটিশে বলা হয়েছে, মঙ্গলবার (২৬ ডিসেম্বর) গণমাধ্যমে প্রকাশিত, সামাজিক মাধ্যম , লালমাই উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও সহকারী রিটার্নিং অফিসারের মোবাইল ফোন মারফত তথ্য অনুযায়ী আপনি নৌকা প্রতীকের প্রার্থী আ হ ম মুস্তফা কামালের পক্ষে নির্বাচনী প্রচারণা করেছেন।
গত ২৫ ডিসেম্বর উক্ত আসনের লালমাই উপজেলার ভুলইন উত্তর ইউনিয়নের হাজতখোলা বাজারে অর্থমন্ত্রীর মেয়ে ও ছোট ভাই গোলাম সারওয়ারের সঙ্গে নৌকার পক্ষে ভোট চেয়ে গণসংযোগ করেন। প্রচারকালে আপনার হাতে নৌকার লিফলেট ছিল। আপনি প্রার্থীর কন্যাকে কয়েকজন প্রবীণ ব্যক্তির সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিয়ে মন্তব্য করেছেন ‘ওরা আমাদের দলের লোক।’
আরও পড়ুন: চট্টগ্রাম ১৬: আওয়ামী লীগের প্রার্থীর বিরুদ্ধে ইসির মামলা
এতে আরও বলা হয়, আপনি প্রিসাইডিং অফিসার হিসেবে প্রশিক্ষণ গ্রহণ করে প্রার্থীর পক্ষে নির্বাচনী প্রচারণায় অংশগ্রহণ করে নৌকার পক্ষে ভোট চেয়ে গণসংযোগ করেছেন। আপনার অনুরূপ কার্যকলাপ অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনী পরিবেশের পরিপন্থী।
এতে আপনি গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ স্পষ্ট লঙ্ঘন করেছেন মর্মে প্রতীয়মান হয়। এমতাবস্থায় আপনার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য কেন নির্বাচন কমিশন বরাবরে সুপারিশসহ প্রতিবেদন প্রেরণ করা হবে না সেই মর্মে আগামী ২৯ ডিসেম্বর বিকালে নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটি, কুমিল্লা-১০ এর অস্থায়ী কার্যালয় সহকারী জজ আদালতে (বরুড়া) কুমিল্লায় স্বয়ং হাজির হয়ে কারণ দর্শানোর জন্য আপনাকে নির্দেশ প্রদান করা হলো।
অভিযুক্ত কলেজ শিক্ষক মো. আব্দুল হালিম এ বিষয়ে কোন মন্তব্য করতে রাজি হননি।আরও পড়ুন: একটি ভোটও জাল হলে সেই কেন্দ্রের ভোট বন্ধ করা হবে: ইসি আহসান হাবিব
৭৩২ দিন আগে
রাজশাহীতে নৌকার সমর্থকদের হামলায় স্বতন্ত্র প্রার্থীর ৭ নেতা-কর্মী আহত
রাজশাহীর বাগমারায় নৌকার সমর্থকদের হামলায় স্বতন্ত্র প্রার্থীর অন্তত সাতজন নেতা-কর্মী আহত হয়েছেন। বুধবার(২৭ ডিসেম্বর) দুপুরে বাগমারার শ্রীপুর ইউনিয়নের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে এই হামলা চালানো হয়।
রাজশাহী-৪ আসনের (বাগমারা) স্বতন্ত্র প্রার্থী এনামুল হকের (কাঁচি প্রতীক) নেতা-কর্মীদের ওপর নৌকার প্রার্থী আবুল কালাম আজাদের সমর্থকরা এ হামলা চালায় বলে অভিযোগ করা হয়েছে।
এর আগে মঙ্গলবার বিকালে নৌকার সমর্থকরা স্বতন্ত্র প্রার্থী এনামুল হকের তিন সমর্থকের ওপর হামলা করে।
আরও পড়ুন: ফরিদপুর-৩ আসন: হামলায় আ. লীগ প্রার্থীর ২ সমর্থক আহত
বুধবার দুপুরে হামলায় গুরুতর আহত হয়েছেন এমপি এনামুল হকের সাবেক পিএস জিল্লুর রহমান (৪২)। অন্য আহতরা হলেন- শ্রীপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বজলুর রহমান (৩৮) ও আওয়ামী লীগের কর্মী আলমগীর হোসেন। আহতদের মধ্যে তিনজনকে উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে ভর্তি করা হয়েছে। বাকি ৪ জনকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
জিল্লুর রহমান জানান, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রতীক বরাদ্দের পর থেকে শ্রীপুর ইউনিয়নে স্বতন্ত্র প্রার্থী এনামুল হকের কোনো পোস্টার লাগাতে দেওয়া হয়নি।
এরই পরিপ্রেক্ষিতে বুধবার দুপুর ১২টার দিকে ওই ইউনিয়নের সাংগঠনিক সম্পাদক বজলুর রহমানসহ ১০ থেকে ১২ জন নেতাকর্মী শ্রীপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে পোস্টার বিতরণ ও লাগানোর সময় হামলার শিকার হন।আরও পড়ুন: রংপুরে নৌকা সমর্থকদের হামলায় স্বতন্ত্র প্রার্থীর ১০ জন সমর্থক আহত
এসময় তাদের দুটি মোবাইল ও এক কর্মীর একটি মোবাইল হামলাকারী ছিনিয়ে নেয়।
তিনি আরও জানান, ঘটনাস্থল থেকে বাগমারা থানা মাত্র ৫ মিনিট দূরত্বের হলেও পুলিশ খবর পেয়েও সেখানে ঘটনার এক ঘণ্টা পর পুলিশ যায়। স্থানীয়রা গুরুতর আহতদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে ভর্তি করেন। কালামের সমর্থকদের মারধরে তার ডান পায়ে প্রচণ্ড আঘাতপ্রাপ্ত হয়েছেন।
এর আগে মঙ্গলবার বিকালে স্বতন্ত্র প্রার্থীর তিন সমর্থকের ওপর হামলা চালায় নৌকার সমর্থকরা। আহতদের উদ্ধার করে বাগমারা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।
বাগমারা থানার থানার তদন্ত ওসি সোহেব খান হামলার ঘটনাটি নিশ্চিত করে জানান, খবর পেয়ে সেখানে পুলিশ পাঠানো হয়েছিল। স্থানীয়দের বরাতে তিনি জানিয়েছেন, নৌকার প্রার্থীর লোকজন বেশ কয়েকজনকে মারধর করে আহত করেছে।
এ ব্যাপারে থানায় অভিযোগ দিলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।
আরও পড়ুন: ফরিদপুর-৩: ঈগল প্রতীকের নির্বাচনী অফিসে নৌকার কর্মীদের হামলা, আহত ৫
৭৩২ দিন আগে
তিন কাঠা জমি থাকলেই কোটিপতি: তথ্যমন্ত্রী
তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেছেন, ঢাকা শহরে এক কোটি টাকার নিচে কোথাও জমি নেই, চট্টগ্রামেও নেই। ‘কারো তিন কাঠা জমি থাকলেই তো সে কোটিপতি। এখন সবাই কোটিপতি।’
বুধবার (২৭ ডিসেম্বর) সচিবালয়ে মন্ত্রণালয় সভাকক্ষে সমসাময়িক বিষয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এই মন্তব্য করেন।
মঙ্গলবার ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল একটি বক্তব্যে বলেছে, আওয়ামী লীগের প্রার্থীদের ১৮ জনের ১০০ কোটি টাকার বেশি আছে। এছাড়াও ৭৭ শতাংশ কোটিপতি রয়েছেন।
টিআইবির ওই প্রতিবেদন সম্পর্কে মন্ত্রী বলেন, গবেষণা করে তারা পদ্মা সেতুর দুর্নীতি নিয়ে বলেছিল। তাদের অনেক বড় গলা ছিল। তারা প্রচুর সংবাদ সম্মেলন করেছে। পরে দেখা গেল, পদ্মা সেতুতে তো দুর্নীতি হয়নি এবং দুর্নীতির কোনো সুযোগও সৃষ্টি হয়নি।
আরও পড়ুন: সাইকেল শোভাযাত্রা করে নির্বাচনী প্রচার শুরু করলেন তথ্যমন্ত্রী
তিনি আরও বলেন, ‘বিভিন্ন সময়ের নানা গবেষণায় দেখা যায়, সেগুলো আসলে গবেষণা না, কতগুলো প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়। সরকারকে বেকায়দায় ফেলতে সেই প্রতিবেদন উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে প্রকাশ করা হয়।’
হাছান মাহমুদ বলেন, তাদের প্রতিবেদনে ৭৭ শতাংশ কোটিপতির কথা বলা হয়েছে, দেশে এক কাঠা জমির দাম গ্রামেও ২০ লাখ টাকা। পাঁচ কাঠা জমির দাম এক কোটি টাকা। ঢাকা শহরে এক কোটি টাকার নিচে কোথাও জমি নেই, চট্টগ্রামেও নেই। কারো তিন কাঠা জমি থাকলেই তো সে কোটিপতি। এখন সবাই কোটিপতি। কাজেই এই হিসাব দিয়ে জনগণকে বিভ্রান্ত করার কোনো সুযোগ নেই। এই হিসাব উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।
দ্রব্যমূল্য নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তথ্যমন্ত্রী বলেন, গত ১৫ বছরে সরকার পরিচালনার সময় দ্রব্যমূল্য সবসময় মানুষের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে ছিল। কোনো কোনো সময় কোনো কোনো পণ্যের মূল্য বেড়েছে। মানুষের ক্রয়ক্ষমতাও বেড়েছে।
আরও পড়ুন: নির্বাচনের আগে মানুষের দৃষ্টি অন্যদিকে নিতেই সিপিডির অসত্য তথ্যনির্ভর সংবাদ সম্মেলন: তথ্যমন্ত্রী
তিনি বলেন, ‘আজ থেকে ১৫ বছর আগে একজন দিনমজুর সারাদিন পরিশ্রম করে যে টাকা পেতেন, সেই টাকা দিয়ে চার-পাঁচ কেজি চাল কিনতে পারতেন। এখন একজন দিনমজুর সারাদিন কাজ করে যে চাল কিনতে পারেন, সেটা ১২ থেকে পনেরো কেজি।’
মন্ত্রী বলেন, ‘তেতাল্লিশে কলকতা, বাংলায় যখন দুর্ভিক্ষ হয়, তখন ছয় টাকায় চল্লিশ কেজি চাল পাওয়া যেত। কিন্তু সেই চাল কিনতে না পেরে মানুষ মারা গেছেন। তখন তো দ্রব্যমূল্য অনেক কম ছিল। মূল্যবৃদ্ধির সঙ্গে পাল্লা দিয়ে মানুষের ক্রয়ক্ষমতা বেড়েছে কি না। আমাদের দেশে যত না মূল্য বেড়েছে, মানুষের ক্রয়ক্ষমতা তার চেয়ে বেশি বেড়েছে।’
তবে মাঝে মাঝে ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেট করে কৃত্রিমভাবে পণ্যের মূল্য বাড়িয়ে দেয় বলে মনে করেন মন্ত্রী।
মন্ত্রী বলেন, এটা হলো মুনাফালোভীদের কারসাজি। আমরা সেটিকে নিয়ন্ত্রণের কথা বলেছি। আবার সরকার গঠন করতে পারলে এই মুনাফালোভী ও অসাধু চক্রের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, আমাদের কিছু ভোগ্যপণ্য আছে, যেগুলো আমদানি নির্ভর। আমরা এগুলোর উৎপাদন বাড়াতে চাই। একইসঙ্গে এগুলোর সংরক্ষণ ব্যবস্থা উন্নত করতে চাই।
ভোগ্যপণ্যের উৎপাদন বাড়িয়ে স্বয়ংসম্পূর্ণ হওয়ার প্রত্যাশাও ব্যক্ত করেন তিনি।
আরও পড়ুন: সিপিডি কোনো গবেষণা করেনি, তাদের রিপোর্ট নির্জলা মিথ্যাচার: তথ্যমন্ত্রী
৭৩২ দিন আগে
ভোটারদের ভোটকেন্দ্রে নিতে সরকারের 'মরিয়া' চেষ্টায় সাড়া মিলছে না: রিজভী
বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, ভোটারদের ভোটকেন্দ্রে নিয়ে যেতে সরকার ‘মরিয়া’ হয়ে উঠলেও জনগণের কাছ থেকে কোনো সাড়া পাচ্ছে না।
রাজধানীর শান্তিনগর এলাকায় লিফলেট বিতরণের সময় সাংবাদিকদের তিনি বলেন, 'ক্ষমতাসীন দলের প্রার্থীদের নির্বাচনী প্রচারণা চালাতে দেখে লোকজন দ্রুত পালিয়ে যাচ্ছে।’
তিনি বলেন, ‘দেশে অবৈধ সরকার ও অধস্তন নির্বাচন কমিশন যে ডামি ও প্রহসনের নির্বাচন আয়োজন করছে তাতে জনগণ সাড়া দিচ্ছে না। জনগণকে ভোটকেন্দ্রে নিয়ে যেতে মরিয়া হয়ে উঠেছে ক্ষমতাসীন দল। তারা ঘরে ঘরে গিয়ে নানা ধরনের হুমকি-ধমকি দিচ্ছে।’
তিন দিনের কর্মসূচির অংশ হিসেবে রিজভী বিএনপির কয়েকজন নেতা-কর্মীকে সঙ্গে নিয়ে পথচারীদের মধ্যে লিফলেট বিতরণ করে ৭ জানুয়ারির জাতীয় নির্বাচন বর্জনের আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, সরকার জনগণকে একতরফা নির্বাচনে অংশ নিতে বাধ্য করে পুরো দেশকে নরকে পরিণত করার চেষ্টা করছে।
বিএনপির এই নেতা বলেন, আসন্ন নির্বাচন নিয়ে দেশের কোথাও ভোটারদের মধ্যে কোনো উৎসাহ-উদ্দীপনা নেই।
তিনি বলেন, 'কোনো এলাকায় আপনারা জনগণের মধ্যে ভোট নিয়ে কোনো আলোচনা করতে দেখতে পাবেন না। তারা (আওয়ামী লীগ নেতারা) যখন কোনো এলাকায় নৌকার পক্ষে নির্বাচনী প্রচার চালায়, তখন মানুষ দ্রুত সেখান থেকে পালানোর চেষ্টা করে। সাধারণ মানুষ বলছে এটা ভোট নয়, এটা ৩০০ আসন বণ্টনের নাটক।’
রিজভী বলেন, সরকার ৭ জানুয়ারি ভোটকেন্দ্রে যেতে বাধ্য করার জন্য বিভিন্ন হুমকি দিয়ে সারাদেশের জনগণের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়েছে।
তিনি বলেন, ‘আমরা সরকারকে বলতে চাই, সন্ত্রাসীদের মতো হুমকি দেওয়ার কোনো মানে নেই, কারণ মানুষ ডামি নির্বাচনে ভোট দিতে যাবে না।’
রিজভী ছাড়াও বিএনপির আরও অনেক নেতা ও বিভিন্ন বিরোধী দলের নেতারা নির্বাচন বর্জন ও আওয়ামী লীগ সরকারকে সহযোগিতা না করার আহ্বানে জনসমর্থন আদায়ে নগরীর বিভিন্ন এলাকায় গণসংযোগ ও লিফলেট বিতরণ করেন।
৭৩২ দিন আগে