রাজনীতি
নির্বাচন নিয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের গণবিরোধী অবস্থানের অভিযোগ বিএনপির
বিএনপি অভিযোগ করেছে, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় তার বিবৃতি দিয়ে গণবিরোধী অবস্থান নিয়েছে এবং বিরোধী দলগুলোর বিরুদ্ধে আগামী ৭ জানুয়ারির নির্বাচনকে বাধাগ্রস্ত করার অভিযোগ এনেছে।
শুক্রবার (২২ ডিসেম্বর) রাজধানীর উত্তরায় লিফলেট বিতরণ শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী অভিযোগ করেন, মন্ত্রণালয় একতরফা নির্বাচনের পক্ষে ভূমিকা রাখছে।
তিনি বলেন, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রচার চালাচ্ছে যে বিএনপি ও তার সহযোগীরা বাংলাদেশে নির্বাচন বাধাগ্রস্ত করছে এবং তারা তাদের লক্ষ্য অর্জনের জন্য অবরোধ কার্যকর করার প্রচেষ্টা জোরদার করেছে।
এই বিএনপি নেতা বলেন, ‘ফেসবুকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পোস্ট করা বিবৃতি সঠিক নয়। গণতান্ত্রিক বিশ্বের কাছে এটা এখন স্পষ্ট হয়ে গেছে বাংলাদেশে একটি একপেশে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। এ অবস্থায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জনগণের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে নব্য রাজাকারের ভূমিকা নিয়েছে।’
তিনি বলেন, দেশে একটি অবাধ, সুষ্ঠু, স্বচ্ছ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সরকারের সহযোগী হিসেবে কাজ করছে। ‘এটি একটি গণবিরোধী পদক্ষেপ। আমরা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এ ধরনের কর্মকাণ্ডের তীব্র নিন্দা জানাই।’
রিজভী দাবি করেন, ৬৩টি রাজনৈতিক দল এবং বাংলাদেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ জনগণ একতরফা সাজানো নির্বাচন বর্জন করেছে। তারাও (বিএনপি) নির্বাচন প্রত্যাখ্যান করেছে।
রাষ্ট্রযন্ত্র ব্যবহার করে একতরফা নির্বাচন করে জনগণের ভোটাধিকার কেড়ে নেওয়ার প্রচেষ্টায় সরকার জনগণের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি।
আরও পড়ুন: আজ থেকে সরকারের বিরুদ্ধে ‘অসহযোগ আন্দোলনের’ ঘোষণা বিএনপির
৭৩৭ দিন আগে
বিএনপি অসহযোগের নামে মানুষ হত্যা করছে: দীপু মনি
আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী ও শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, বিএনপি অসহযোগের নামে মানুষ হত্যা করছে। ট্রেনে, বাসে ও ট্রাকে আগুন দিচ্ছে। তবে আন্দোলন করলেও জনগণকে ছাড়া অসহযোগ আন্দোলন করা যায় না।
শুক্রবার (২২ ডিসেম্বর) দুপুরে চাঁদপুর সদর উপজেলার শাহমাহমুদপুর ইউনিয়নে (চাঁদপুর-৩ আসনে) প্রচারণায় অংশ নিয়ে উঠান বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন তিনি।
আরও পড়ুন: নতুন শিক্ষাক্রমে শিক্ষার্থীদের দক্ষতার ভিত্তিতে মূল্যায়ন করা হবে: দীপু মনি
দীপু মনি বলেন, বিএনপির সঙ্গে লোকজন দেখা যায় না। হঠাৎ করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একটা ঘোষণা দিয়ে, চার/পাঁচজন নিয়ে রাস্তায় দৌড়া-দৌড়ি করে নাশকতা করেন।
তিনি আরও বলেন, অসহযোগ মানে নাশকতা নয়। যারা নাশকতা, সহিংসতা করে, যারা যুদ্ধাপরাধীর দোসর, তারা অসহযোগের মানেও বুঝে না। কারণ জনগণ তাদের সঙ্গে নেই।
গণসংযোগকালে দীপু মনির সঙ্গে সদর উপজেলা চেয়ারম্যান নাজিম দেওয়ান, জেলা ও উপজেলা আওয়ামী লীগ এবং অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: জানুয়ারি মাসের ১ তারিখ বই উৎসব হবে: দীপু মনি
পর্যটন পরিকল্পনার বড় অংশ হচ্ছে চাঁদপুর আধুনিক নৌবন্দর: দীপু মনি
৭৩৭ দিন আগে
জাতীয় নির্বাচন: প্রতি ভোটকেন্দ্রে পাহারায় ১৫-১৭ জন নিরাপত্তাকর্মী থাকবেন
আগামী ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠেয় দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সারাদেশের ৩০০টি নির্বাচনী এলাকার প্রতিটি ভোটকেন্দ্রে ১৫-১৭ নিরাপত্তা সদস্যের একটি দল মোতায়েন করা হবে।
বৃহস্পতিবার (২১ ডিসেম্বর) নির্বাচন কমিশনের (ইসি) জারি করা প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী, ঝুঁকিপূর্ণ ভোট কেন্দ্রগুলোতে কঠোর নিরাপত্তা বজায় রাখা হবে।
সারাদেশে প্রায় ৪২ হাজার ভোটকেন্দ্র রয়েছে এবং দ্বাদশ সাধারণ নির্বাচনে মোট ১১ কোটি ৯৬ লাখ ৯১ হাজার ৬৩৩ জন ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করার সুযোগ পাবেন।
কমিশন মেট্রোপলিটন এলাকার বাইরে অবস্থিত ভোটকেন্দ্র এবং মেট্রোপলিটন এলাকার ভেতরে অবস্থিত কেন্দ্রগুলোর জন্য পৃথক নিরাপত্তা পরিকল্পনা প্রণয়ন করা হয়েছে।
মেট্রোপলিটন এলাকার বাইরে অস্ত্রধারী দুইজন পুলিশ, অস্ত্রধারী একজন আনসার, অস্ত্র বা লাঠিধারী একজন আনসার, ১০ জন আনসার, লাঠি হাতে একজন বা দুইজন গ্রামপুলিশ সদস্যসহ ১৫-১৬ জনের একটি দল সব সাধারণ ভোটকেন্দ্রের নিরাপত্তা দেবে।
তবে প্রতি গুরুত্বপূর্ণ ভোটকেন্দ্রের ক্ষেত্রে (যেগুলো ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্র হিসেবে বিবেচিত) অস্ত্রসহ তিনজন পুলিশসহ ১৬-১৭ জনের একটি দল থাকবে।
মেট্রোপলিটন এলাকার ভেতরের সব ভোট কেন্দ্রের নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে ১৫ সদস্যের একটি নিরাপত্তা দল। যার মধ্যে অস্ত্রধারী তিনজন পুলিশ সদস্য, অস্ত্রধারী একজন আনসার, অস্ত্র বা লাঠিধারী আরেকজন আনসার এবং ১০ জন আনসার সদস্যের দল প্রতি ভোটকেন্দ্রের নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে।
তবে গুরুত্বপূর্ণ ভোটকেন্দ্র হলে ১৬ সদস্যের একটি নিরাপত্তা দল পাহারা দেবে এবং অস্ত্রধারী পুলিশ সদস্য সংখ্যা তিনজনের পরিবর্তে চারজন হবে।
আরও পড়ুন: সব প্রাথীর জন্য সমান সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করা হবে: ইসি আহসান হাবিব
বিশেষ এলাকাগুলো যেমন- পার্বত্য চট্টগ্রাম ও দুর্গম এলাকায় মেট্রোপলিটন এলাকার বাইরে অন্যান্য গ্রামীণ এলাকার মতোই নিরাপত্তা ব্যবস্থা বজায় রাখা হবে।
আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সদস্যরা ভোটগ্রহণের দুই দিন আগে থেকে পাঁচ দিন (যাতায়াতের সময়সহ) মোতায়েন থাকবে এবং ভোটের একদিন পর পর্যন্ত তারা সেখানে থাকবে।
এছাড়া নির্বাচনী এলাকায় সশস্ত্র বাহিনী, বিজিবি, কোস্টগার্ড, র্যাব, পুলিশ, আর্মড পুলিশ ও আনসার ব্যাটালিয়নের সদস্যরা মোবাইল টিম ও স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে মোতায়েন থাকবে।
তারা ২০২৩ সালের ২৯ ডিসেম্বর থেকে ২০২৪ সালের ১০ জানুয়ারি পর্যন্ত ১৩ দিন (তাদের যাতায়াতের সময়সহ) নির্বাচনী দায়িত্বে নিয়োজিত থাকবে।
তা ছাড়া নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন রোধে নির্বাচনী এলাকায় বিপুল সংখ্যক জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোতায়েন রয়েছে।
৪৪টি নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলের মধ্যে ২৭টি দল নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে। আর বিএনপিসহ কয়েকটি দল নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে নির্বাচন বর্জন করছে।
সংসদ নির্বাচনে মোট ১৮৯৫ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
প্রার্থীরা এখন নির্বাচনী প্রচার চালাচ্ছেন এবং ভোট গ্রহণের ৪৮ ঘণ্টা আগে অর্থাৎ, ৫ জানুয়ারি (সকাল ৮টা) পর্যন্ত তারা প্রচার চালাতে পারবেন।
২০২৪ সালের ৭ জানুয়ারি সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত কোনো বিরতি ছাড়াই ভোট গ্রহণ করা হবে।
আরও পড়ুন: যেকোনো দল শান্তিপূর্ণভাবে ভোটারদের ভোটকেন্দ্রে না যেতে বলতে পারে: ইসি আলমগীর
নির্বাচনে অনিয়ম রোধে ৬৫৩ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ ইসির
৭৩৭ দিন আগে
রাজশাহী-১ আসন: ওমর ফারুক-মাহির মধ্যে চলছে কথার লড়াই
যারা নৌকার বিপক্ষে কাজ করবে, তাদের ছবি তুলে রাখতে বলেছেন রাজশাহী-১ (গোদাগাড়ী-তানোর) আসনের আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী ও বর্তমান এমপি ওমর ফারুক চৌধুরী।
এতে ভীষণ ক্ষুব্ধ হয়েছেন এ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী ও ঢাকাই সিনেমার চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহি।
আরও পড়ুন: বিএনপি-জামায়াতের আমলে হত্যা করলেও কোনো বিচার হতো না: আইনমন্ত্রী
বৃহস্পতিবার রাতে নিজের ফেসবুক আইডিতে পোস্ট করা এক ভিডিও বার্তায় এমপি ওমর ফারুক চৌধুরীর প্রতি ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া দেখান তিনি।
এলাকার ভোটারদের উদ্দেশে মাহিয়া মাহি বলেন, ‘আপনারা কেউ, কিছু লোকের কিছু কথায় ভয় পাবেন না। ৭ তারিখ সাজুগুজু করে উৎসবের মতো করে ভোটকেন্দ্রে যাবেন। নিজের ভোটটা নিজে দেবেন। কারণ, কিছু মানুষ জানেন তার জনপ্রিয়তা কতটুকু। এখানে যদি একটা কাকপক্ষীকেও জিজ্ঞেস করা হয় যে যিনি ক্ষমতায় ছিলেন, তার জনপ্রিয়তা কতটুকু? আমার মনে হয়, উনার থেকে অজনপ্রিয় মানুষ এই এলাকায় নেই। আশ্চর্য একটা বিষয়, একটা সিংহও যদি রাস্তায় হেঁটে বেড়ায়, তাকে দেখে কেউ ভয় পাবে না যতটা না এই মানুষকে দেখে মানুষ ভয় পায়।
মাহি আরও বলেন, “আমার মনে হয়েছে তানোর-গোদাগাড়ীর মানুষকে এই ভয়ভীতি থেকে তাদের বাঁচানো আমার দায়িত্ব। তাই স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছি। স্বতন্ত্র প্রার্থী নিয়ে কে কী বলছেন? আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘স্বতন্ত্র প্রার্থীর পক্ষে কেউ যদি কাজ করতে চায়, কাজ করতে পারে। এটা তাদের ইচ্ছা।’ কেন্দ্রীয় নেতারা, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, তারা অনেক মানবিক। তারা এই শাসকের মতো না। তাদের কথা হচ্ছে—নির্বাচন হবে উৎসবমুখর। তারা একবারও বলেননি, যারা স্বতন্ত্র প্রার্থীর পক্ষে কাজ করছেন তাদের ছবি তুলে রাখতে হবে। ভিডিও করে রাখতে হবে। পরে ব্যবস্থা নিতে হবে। নাহ, এ রকম কোনো তথ্য তো কেন্দ্র দেয়নি। আপনি কে যে মানুষের মধ্যে ভয়ভীতি সৃষ্টি করছেন?’
আরও পড়ুন: সরকার নীতি-নির্ধারণী সিদ্ধান্ত নেবে না, রুটিন কাজ করবে: আইনমন্ত্রী
এমপি ফারুক চৌধুরীর উদ্দেশে মাহিয়া মাহি বলেন, ‘যে সমস্ত নেতা-কর্মী আমার পক্ষে কাজ করছেন, নির্বাচনকে উৎসবমুখর করতে কাজ করছেন, তাদের নিয়ে আপনি মন্তব্য করেছেন ভিডিও করে রাখতে হবে, ছবি তুলে রাখতে হবে। কেন? আপনি কতদিন ধরে আওয়ামী লীগ করেন সেটা কিন্তু জানি। আপনি আগে কী ছিলেন, কোন দল করতেন সেটা কিন্তু আমরা সবাই জানি। ওগুলো নিয়ে আমি কথা বলতে চাই না। আপনাকে স্পষ্ট করে বলে দিতে চাই, ভয়ভীতি দেখানো বন্ধ করেন। নির্বাচনটা উৎসবমুখর হতে দেন। আপনি যে ভয়ভীতি দেখিয়ে এই এলাকায় একটা ভীতিকর অবস্থা সৃষ্টি করতে চাচ্ছেন, সেটা কিন্তু এবার হবে না।’
ফারুক চৌধুরীকে হুঁশিয়ারি দিয়ে মাহি বলেন, “মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, ‘যে নির্বাচনকে উৎসবমুখর করতে বাধা দেবে, তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’ তাই আপনি কিন্তু বেশি তিড়িংবিড়িং কইরেন না। ঠিক আছে? এতদিন অনেক কিছু মানুষ সহ্য করেছে। এইবার আর করবে না। কারণ, সবকিছুর তো একটা শেষ আছে। অহংকার পতনের মূল। আপনার অহংকার, আপনার এই জমিদারি স্টাইল আপনাকে পতন করাবে। আপনার মতো শাসক এই এলাকার মানুষ আর চায় না। তারা একটা সাধারণ জনপ্রতিনিধি চায়। আপনার মতো না। তাই এই সমস্ত ভুলভাল তথ্য দেওয়া বন্ধ করেন।’
আরও পড়ুন: টাইপিংয়ে ভুলের জন্য সংসদে পাস হওয়া শ্রম আইন ফেরত দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি: আইনমন্ত্রী
রাজনীতির মাঠে এসে ফারুক চৌধুরীর নানা বাঁধার কথা তুলে ধরে মাহি বলেন, ‘আপনি বঙ্গবন্ধুকে ভালোবাসেন না। এটা আমি হলফ করে বলতে পারি। কারণ, আমি নিজে প্রমাণ। যদি ভালোবাসতেন বঙ্গবঙ্গুর শতবর্ষ উপলক্ষে আমার আয়োজন করা টুর্নামেন্ট বন্ধ করার চেষ্টা করতে পারতেন না। আপনার অত্যাচার আমি জানি। আপনি কীভাবে আটকানোর চেষ্টা করেছেন। আপনি পারেননি, পারবেন না। শেখ রাসেলের জন্মদিন উপলক্ষে একটা টুর্নামেন্ট আয়োজন করছিলাম, সেটাও বন্ধ করার চেষ্টা করেছেন। কারণ, আপনি ভয় পান। আপনার জনপ্রিয়তা নেই। যারা স্বতন্ত্র প্রার্থী মাঠে আছে, তারা আপনার চেয়ে বহুগুণে জনপ্রিয়, আপনারই এলাকায়।’
ওমর ফারুক চৌধুরীর সম্প্রতি তারই এক অনুসারীর মোবাইল ফোন ভেঙে ফেলেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
সে প্রসঙ্গে মাহি বলেন, ‘যেভাবে নিজের নেতা-কর্মীদেরই মোবাইল-টোবাইল ভাঙা শুরু করেছেন, এগুলো বন্ধ করেন। তা না হলে সব নেতা-কর্মী আপনার কাছ থেকে চলে যাবে। কারণ, জনগণও আপনার সঙ্গে নেই, আপনার নেতা-কর্মীও আপনার সঙ্গে নেই। নির্বাচনটা একটা উৎসবমুখর হতে দেন। জনগণ যাকে বেছে নেবে আমরা সেটা মেনে নেব। ১০ হুন্ডা, ২০ গুণ্ডা, নির্বাচন ঠান্ডা-এই টাইপের নির্বাচন এবার হবে না। জনগণ এবার সোচ্চার। বিষয়টা মাথায় রাখবেন।’
এর আগে বুধবার রাতে এক নির্বাচনী সভায় এমপি ওমর ফারুক চৌধুরী বলেন, যারা নৌকার বিরোধিতা করবে, তাদের ছবি তুলে রাখতে হবে। ভিডিও করে রাখতে হবে। পরে কাজে লাগবে।
আরও পড়ুন: বিএনপি নেতাদের মুক্তি নিয়ে কৃষিমন্ত্রীর বক্তব্য ব্যক্তিগত: আইনমন্ত্রী
এ সময় স্বতন্ত্র প্রার্থীর পক্ষে থাকা নেতা-কর্মীদের কৌশলে ‘রাজাকার’ বলেও মন্তব্য করেন আসনের টানা তিনবারের এই এমপি।
দলের কেন্দ্র থেকে কোনো নির্দেশনা না থাকলেও ওমর ফারুক চৌধুরী বলেন, ‘আমাদের কেন্দ্রীয় নেতারা বলেছেন-যারা নৌকার বিপক্ষে যাবে তাদের ছবি ও ভিডিও ধারণ করে রাখতে হবে। দল তাদের ব্যাপারে কিছু করবে এবং সেভাবে সিদ্ধান্ত নেবে।’
দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে প্রথমে চাঁপাইনবাবগঞ্জ-২ আসন থেকে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন চেয়েছিলেন মাহিয়া মাহি। না পেয়ে রাজশাহী-১ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
এই আসনে আওয়ামী লীগের বর্তমান সংসদ সদস্য ওমর ফারুক চৌধুরী আবারও দলের মনোনয়ন পেয়েছেন। ওমর ফারুক চৌধুরী ও মাহিয়া মাহি ছাড়াও আরও আটজন প্রার্থী রয়েছেন এ আসনে।
আরও পড়ুন: ঢাকার বাসরুট খুঁজে পেতে দরকারি কিছু মোবাইল অ্যাপ
৭৩৭ দিন আগে
ফরিদপুর-৩ আসনে জমে উঠেছে নির্বাচনী গণসংযোগ
ফরিদপুর-৩ (সদর) আসনে জমে উঠেছে নির্বাচনী গণসংযোগ। সকাল থেকে রাত পর্যন্ত চলছে গণসংযোগ। প্রার্থীরা বিরামহীন ছুটে চলছেন শহর ও গ্রামগঞ্জে।
আরও পড়ুন: গাজীপুরে তানভির সিদ্দিকীর গণসংযোগে বাধা হামলা
এ আসনে মূল প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী হলেন-
আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শামিম হক।
ঈগল প্রতীকের প্রার্থী জেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা ও এফবিসিসিআইয়ের সাবেক সভাপতি এ কে আজাদ।
স্বতন্ত্র প্রার্থী আব্দুল কাদের আজাদ (এ কে আজাদ) প্রতিদিন ভোর থেকেই গণসংযোগ করেছেন। শুক্রবার ভোরে গণসংযোগ করেছেন সদর উপজেলার বাণিজ্যিক নগরী হিসেবে পরিচিত কানাইপুর এলাকায়। এসময় বিভিন্ন উন্নয়নের প্রতিশ্রুতি দিয়ে ঈগল প্রতীকের পক্ষে ভোট প্রার্থনা করেন তিনি।
আরও পড়ুন: ২১-২৩ ডিসেম্বর গণসংযোগ এবং ২৪ ডিসেম্বর দেশব্যাপী অবরোধের ঘোষণা বিএনপির
গণসংযোগকালে এ কে আজাদ বলেন, আপনাদের যে ভালোবাসা পেয়েছি, তাতে আমি অত্যন্ত আনন্দিত ও খুশি। আগামী ৭ তারিখে যদি ঈগল মার্কাকে জয়ী করেন, আমি ওয়াদা দিচ্ছি প্রতিটি ইউনিয়নে একটি করে ট্রেনিং সেন্টার করব। এখান থেকে প্রশিক্ষণ শেষে তাদের চাকরির ব্যবস্থাও আমি করব।
তিনি আরও বলেন, আমি নির্বাচিত হলে ফরিদপুর থেকে সন্ত্রাস নির্মূল করব। কোনো চাঁদাবাজি হবে না। কোনো ব্যবসায়ীকে কোনো চাঁদা দিতে হবে না। আমি একজন ব্যবসায়ী, আপনাদের প্রতিনিধিত্ব করা আমার নৈতিক দায়িত্ব, আপনাদের রক্ষা করা আমার দায়িত্ব। আপনাদের প্রত্যেকটি সমস্যা সমাধান করা হবে।
অপরদিকে আওয়ামী লীগের প্রার্থী শামিম হক সকাল থেকে দলীয় নেতা-কর্মীদের নিয়ে সদর উপজেলার ধুলদী রাজাপুর, ওমেদিয়া ও মাতুব্বর বাবার আম্বিকাপুর এলাকায় গণসংযোগ করেছেন।
আরও পড়ুন: গণসংযোগ শেষে বাড়ি ফেরার পথে বিএনপি নেতাসহ আটক ৬
এসময় তিনি বলেন, নৌকায় ভোট দিলে এলাকার উন্নয়নের ধারাবাহিক অব্যাহত থাকবে। এ এলাকায় ব্যবসা বাণিজ্যের প্রসার ঘটার মধ্যে দিয়ে যুব সমাজের কর্মসংস্থানের পথ প্রসারিত হবে।
তিনি আরও বলেন, সরকার খেটে খাওয়া মানুষের জীবনমান পরিবর্তনে নানা উদ্যোগ নিয়েছে। শেখ হাসিনা আবার রাষ্ট্রক্ষমতায় এলে এ দেশ উন্নত দেশের তালিকায় পৌঁছতে পারবে।
এসময় সন্তানের উজ্জ্বল ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে সবাইকে নৌকায় ভোট দেওয়ার আহ্বান জানান তিনি।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে গণসংযোগ থেকে বিএনপি নেতা আটক
৭৩৭ দিন আগে
জমে উঠেছে খুলনা- ৪ আসনের নির্বাচন, হবে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই
উচ্চ আদালত থেকে প্রার্থিতা ফিরে পেয়েছেন খুলনা-৪ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য প্রয়াত এস এম মোস্তফা রশিদী সুজার ভাই ও জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি এস এম মোর্ত্তজা রশিদী দারা।
বৃহস্পতিবার (২১ ডিসেম্বর) তাকে প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। ভোটের লড়াইয়ে তার ফিরে আসায় চিন্তা বেড়ে গেছে নৌকার প্রার্থী ও বর্তমান সংসদ সদস্য আবদুস সালাম মুর্শেদী শিবিরে।
আরও পড়ুন: একতরফা নির্বাচন বর্জনের আহ্বান গণতন্ত্র মঞ্চের
এলাকার ভোটাররা বলছেন, গত বছর জেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে খুলনা জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হারুনুর রশীদের বিরুদ্ধে শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন দারা।
এছাড়া বাছাইতে জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতির প্রার্থিতা বাতিল হলে নির্ভার ছিলেন সালাম মুর্শেদী। কিন্তু উচ্চ আদালতের রায়ে দারা ভোটের মাঠে ফেরায় জয় পেতে নতুন ছক কষতে হচ্ছে মুর্শেদী সমর্থকদের।
রূপসা, তেরখাদা ও দীঘলিয়া উপজেলা নিয়ে খুলনা-৪ আসন। আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক এস এম মোস্তফা রশিদী সুজা ১৯৯১, ১৯৯৬ ও ২০১৪ সালে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।
আরও পড়ুন: হয়তো এটা আমার শেষ নির্বাচন: শামীম ওসমান
২০১৮ সালে তিনি মারা গেলে আসনটিতে মনোনয়ন পান আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে ‘নবাগত’ ব্যবসাযী ও বাফুফের সিনিয়র সহসভাপতি আবদুস সালাম মুর্শেদী। তিনি এবারও নৌকার টিকিট পেয়েছেন।
এছাড়া নির্বাচনী এলাকাসহ খুলনার আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের মাঝে ব্যাপক জনপ্রিয়তা ছিল সুজার।
জানা গেছে, সংসদ সদস্য নির্বাচিত হওয়ার পর সুজার কিছু অনুসারী সালাম মুর্শেদীর সঙ্গে যোগ দেন। তিনি বেশির ভাগ সময় ঢাকায় থাকায় দলের মধ্যে কিছু সুবিধাভোগী গোষ্ঠী তৈরি হয়।
তাদের সঙ্গে দূরত্ব বাড়ে আওয়ামী লীগের অন্য অংশের নেতা-কর্মীর। এখন তারা নানা ভাগে বিভক্ত। এরই জেরে আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন পেতে ১৮ নেতা আবেদন করেন।
আরও পড়ুন: নির্বাচনে ভোটারদের অংশগ্রহণের জন্য শান্তিপূর্ণভাবে কাজ করুন: প্রার্থীদের প্রতি প্রধানমন্ত্রীর আহ্বান
সালাম মুর্শেদীকে আওয়ামী লীগ বেছে নিলেও ১৪ নেতা মনোনয়নপত্র জমা দেন। যাচাই-বাছাই ও আপিল শেষে ১০ জন প্রতীক পেয়েছেন।
দারা ফিরে আসায় লড়াই হবে ১১ জনের মধ্যে।
স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মী জানান, গত পাঁচ বছরে নানা কারণে সালাম মুর্শেদীর সঙ্গে দূরত্ব বেড়েছে তৃণমূল নেতা-কর্মীর। এতদিন তারা শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বীর সন্ধানে ছিলেন। দারা নিশ্চিতভাবে এসব নেতার সমর্থন পাবেন। প্রয়াত ভাই সুজার অনুসারীদের জনপ্রিয়তাও তার পক্ষে থাকবে।
আওয়ামী লীগের কয়েকজন সাবেক নেতা জানান, ভোটের মাঠে দারা দারুণ কৌশলী। ২০২২ সালের জেলা পরিষদ নির্বাচনে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হারুনুর রশীদকে ঝুঁকিতে ফেলে দিয়েছিলেন তিনি।
আরও পড়ুন: যুক্তফ্রন্ট গঠন করে জাতীয় নির্বাচনে অংশ নেয়ার ঘোষণা সৈয়দ ইব্রাহিমের
ওই নির্বাচনে শেখ হারুন ৫০৬ ও দারা পান ৪০৩ ভোট। নির্বাচনে শেখ হারুনের পক্ষে আওয়ামী লীগের সর্বস্তরের নেতারা মাঠে সক্রিয় ছিলেন; বিপরীতে দারার জন্য তেমন কাউকে দেখা যায়নি। সংসদ নির্বাচনে এবার দারা বড় চমক দেখাতে পারেন বলে মনে করছেন ভোটাররা।
জানতে চাইলে মোর্ত্তজা রশিদী দারা বলেন, ‘উচ্চ আদালতের রায়ের কপি নিয়ে বুধবার খুলনায় ফিরব। আশা করছি, প্রতীক নিয়ে ওই দিনই প্রচারে বের হতে পারব। আমি সব সময় খুলনার সাধারণ মানুষের সঙ্গে থাকি। তারা যখন খুশি ডাকলেই আমাকে কাছে পায়। সুষ্ঠু ভোট হলে আমি বিপুল ভোটে বিজয়ী হব।’
এ ব্যাপারে সালাম মুর্শেদীর মোবাইল নম্বরে একাধিকবার ফোন দিলেও রিসিভ হয়নি।
আরও পড়ুন: যাত্রাবাড়ীতে জামায়াতের মানববন্ধন ছত্রভঙ্গ করেছে পুলিশ
তবে সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছিলেন, ‘প্রতিদ্বন্দ্বী কোনো প্রার্থীকে আমি ছোট করে দেখছি না। আমার বিশ্বাস, রূপসা, তেরখাদা ও দীঘলিয়ার মানুষ নৌকার বিপক্ষে যাবে না। গত পাঁচ বছরে এলাকায় যত উন্নয়ন হয়েছে, স্বাধীনতার পর এত উন্নয়ন হয়নি।’
প্রসঙ্গত, খুলনা-৪ আসনে এবার মোট ভোটার ৩ লাখ ৫৫ হাজার ১৫৩ জন। তিনটি উপজেলার ১৩৩টি কেন্দ্রের ৮০৫টি বুথে ভোটাররা ভোট দেবেন।
আসনটির অন্যান্য প্রার্থী হলেন-
জাতীয় পার্টির মো. ফরহাদ আহমেদ (লাঙ্গল), বিএনএমের এসএম আজমল হোসেন (নোঙর), এনপিপির মো. মোস্তাফিজুর রহমান (আম), স্বতন্ত্র এমডি এহসানুল হক (সোফা), বাংলাদেশ কংগ্রেসের মনিরা সুলতানা (ডাব), স্বতন্ত্র জুয়েল রানা (ট্রাক), রেজভি আলম (ঈগল), ইসলামী ঐক্যজোটের রিয়াজ উদ্দিন খান (মিনার) এবং তৃণমূল বিএনপির মো. হাবিবুর রহমান (সোনালি আঁশ)।
আরও পড়ুন: মানবতাবিরোধী অপরাধ ও গণহত্যা প্রতিরোধে রাষ্ট্রসমূহ বাধ্য: জাতিসংঘ কমিটি
৭৩৭ দিন আগে
সাতকানিয়ায় নৌকা-স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষ
চট্টগ্রাম–১৫ আসন সাতকানিয়ায় জাতীয় নির্বাচনকে ঘিরে সহিংসতা ছড়িয়ে পড়েছে। প্রচারণা শুরুর পর থেকে আওয়ামী লীগ দলীয় প্রার্থী আবু রেজা মুহাম্মদ নেজামুদ্দিন নদভী এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী আওয়ামী লীগ নেতা এম এ মোতালেবের কর্মী–সমর্থকদের মধ্যে প্রতিদিনই দফায় দফায় সংঘর্ষ, গুলি বর্ষণ, ভাঙচুর, ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও ইটপাটকেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটছে।
সর্বশেষ বৃহস্পতিবার(২১ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় নেজামুদ্দিন নদভীর স্ত্রী ও মহিলা আওয়ামী লীগ নেত্রী রিজিয়া রেজা চৌধুরীর নেতৃত্বে উপজেলাল চরতি ইউনিয়নে নির্বাচনী প্রচারণার সময় হামলার ঘটনা ঘটেছে। এতে আওয়ামী লীগ প্রার্থী আবু রেজা নদভীর শ্যালক চরতি ইউপি চেয়ারম্যান মো. রুহুল্লাহ চৌধুরীসহ অন্তত ১৫ জন নেতা-কর্মী আহত হয়েছেন।
এর আগে বুধবার রাত ১২টার দিকে এমপি নদভীর সমর্থকরা পশ্চিম ঢেমশা ইছামতী আলিনগর এলাকায় স্বতন্ত্র প্রার্থী আবদুল মোতালেবের নির্বাচনী অফিস, গাড়ি ভাঙচুর এবং তার সমর্থকের বাড়িতে গুলি ছুড়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
আরও পড়ুন: বগুড়ার এসপির সহযোগিতা চান হিরো আলম
আওয়ামী লীগ প্রার্থী আবু রেজা নদভীর অভিযোগ, স্বতন্ত্র প্রার্থী এম এ মোতালেবের নির্দেশে সাইফুল ইসলামের নেতৃত্বে আমার নেতা-কর্মীদের ওপর হামলা চালানো হয়েছে। ঘটনার পরপর সাতকানিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মিল্টন বিশ্বাস, সাতকানিয়া সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. শিবলী নোমান ও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা প্রিটন সরকার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, আওয়ামী লীগ প্রার্থী আবু রেজা মুহাম্মদ নেজামুদ্দিন নদভীর স্ত্রী রিজিয়া রেজা চৌধুরী ও শ্যালক চরতি ইউপি চেয়ারম্যান মো. রুহুল্লাহ চৌধুরীর নেতৃত্বে চরতির কাটাখালী এলাকায় গণসংযোগসহ প্রচারণা চলছিল। এসময় ৪০ থেকে ৫০ জনের একটি দল লাঠিসোটা নিয়ে এসে নৌকার পক্ষে প্রচারণায় অংশ নেয়া নেতাকর্মীদের ওপর হামলা চালায়।
এতে চরতি ইউপি চেয়ারম্যান মো. রুহুল্লাহ চৌধুরী , সাতকানিয়া উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আবদুল মান্নান, পৌরসভা আওয়ামী লীগ নেতা গোলাম ফেরদৌস রুবেল, যুবলীগ নেতা কচির আহমদ কায়সার (৪৫), সাবেক ছাত্রলীগ নেতা আমিনুল ইসলাম আমিন, মিনহাজ উদ্দীন, জিহানুর রহমান চৌধুরী, কায়সার হামিদ অভি, রফিজ আহমদ ও আরিফুল ইসলামসহ ১৫ জন আহত হয়েছেন।
আরও পড়ুন: হয়তো এটা আমার শেষ নির্বাচন: শামীম ওসমান
আহতদেরকে সাতকানিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সসহ বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।
চরতি ইউপি চেয়ারম্যান মো. রুহুল্লাহ চৌধুরী বলেন, আমরা সকাল থেকে চরতির বিভিন্ন এলাকায় শান্তিপূর্ণভাবে প্রচারণা চালিয়েছি। রাত ৮টার দিকে কাঠাখালী ব্রিজ এলাকায় প্রচারণাকালে ইউপি সদস্য সাইফুল ইসলামের নেতৃত্বে ৪০ থেকে ৫০ জনের দল আমাদের ওপর হামলা চালায়। এতে আমাদের ১৫ থেকে ২০ জন নেতা-কর্মী আহত হয়েছেন।
আওয়ামী লীগ প্রার্থী নেজামুদ্দিন নদভী বলেন, আমি প্রশাসনকে অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার ও সন্ত্রাসীদেরকে গ্রেপ্তারের জন্য বলেছিলাম। কিন্তু তারা অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার করেনি এবং অস্ত্রধারীদেরকে গ্রেপ্তারও করেনি। ফলে তারা এখন নির্বাচনে সহিংসতায় লিপ্ত হচ্ছে। তাদেরকে গ্রেপ্তার করলে এ ধরনের হামলার ঘটনা ঘটতো না। প্রশাসনকে বলবো ঘটনায় জড়িতদের দ্রুত সময়ের মধ্যে গ্রেপ্তার করুন। না হলে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব হবে না। মূলত ভোটারদেরকে ভয়ভীতি প্রদর্শনের জন্য স্বতন্ত্র প্রার্থী এমএ মোতালেবের নির্দেশে এসব ঘটছে।
আরও পড়ুন: চুয়াডাঙ্গায় স্বতন্ত্র প্রার্থীর প্রচারকর্মীকে কুপিয়ে জখম করার অভিযোগ
এদিকে স্বতন্ত্র প্রার্থী এমএ মোতালেবের নির্বাচন পরিচালনা কমিটির প্রধান সমন্বয়ক ডা. আ.ম.ম. মিনহাজুর রহমান জানান, আওয়ামী লীগ প্রার্থী আবু রেজা নদভীর স্ত্রী রিজিয়া রেজা চৌধুরী নির্বাচনী প্রচারণাকালে স্থানীয় লোকজনকে কটাক্ষ করে কথা বলেছেন। বালির মহাল দখলসহ বিভিন্ন কারণে রিজিয়া রেজা ও চেয়ারম্যান রুহুল্লাহ চৌধুরীর ওপর স্থানীয় লোকজন অনেক আগে থেকেই ক্ষুব্ধ। অন্যদিকে প্রচারণা চলাকালে রিজিয়া রেজা চৌধুরীর সঙ্গে থাকা লোকজন চরতি এলাকার দুই ছেলেকে মারধর করেছেন। সবকিছু মিলিয়ে তারা জনরোষের শিকার হয়েছেন। এটা নির্বাচনী বিষয় নয়। আমরা সকল নেতাকর্মী ও সমর্থকদেরকে যে কোনো ধরনের ঝামেলা থেকে বিরত থাকার জন্য নির্দেশ দিয়েছি। এটাও বলে দিয়েছি যে, কেউ কোনো ঘটনা করলে এটার দায় প্রার্থী নেবেন না।
তিনি অভিযোগ করে বলেন, বুধবার মধ্যরাতে নদভীর অনুসারী রিয়াজউদ্দিন রিয়াদসহ ২০ থেকে ৩০ জনের এক দল বহিরাগত সন্ত্রাসী অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে এসে স্বতন্ত্র প্রার্থী আবদুল মোতালেবের নির্বাচনী অফিস ভাঙচুর করে পোস্টার ও চেয়ার ছুড়ে ফেলে। এ সময় সন্ত্রাসীরা শতাধিক রাউন্ড গুলি ছোড়ে এলাকার লোকজনকে ধাওয়া করে। স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থকদের নির্বাচনী কাজে ব্যবহৃত ১টি মাইক্রোবাস, ১টি ছোট ট্রাক, ১টি সিএনজি অটোরিকশার কাঁচ ও পুলিশ বহনকারী অপর একটি সিএনজি অটোরিকশা ভাঙচুর করে। পরে সন্ত্রাসীরা বর্তমান চেয়ারম্যান মো. রিদুয়ানুল হক সুমনের বাড়িতে হামলা ও এলোপাথাড়ি গুলি ছোড়ে।
এসব ঘটনার ঘটনার বিষয়ে জানতে চাইলে সাতকানিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রিটন সরকার বলেন, আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
আরও পড়ুন: সিরাজগঞ্জে স্বতন্ত্র প্রার্থীকে কটুক্তি করায় সাবেক বিএনপি নেতা আতাউরকে শোকজ
৭৩৮ দিন আগে
সিরাজগঞ্জে স্বতন্ত্র প্রার্থীকে কটুক্তি করায় সাবেক বিএনপি নেতা আতাউরকে শোকজ
জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সিরাজগঞ্জ-৫ (বেলকুচি-চৌহালী) আসনে নৌকার প্রার্থী আব্দুল মমিন মন্ডলের নির্বাচনী সমাবেশে স্বতন্ত্র প্রার্থী আব্দুল লতিফ বিশ্বাসকে নিয়ে কটুক্তি করায় আওয়ামী লীগে সদ্য যোগদানকারী সাবেক বিএনপি নেতা আতাউর রহমানকে কারণ দর্শানোর (শোকজ) নোটিশ দেওয়া হয়েছে।
বুধবার(২০ ডিসেম্বর) বিকালে নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটি এই নোটিশ দিয়েছেন।
সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর সিনিয়র সহকারী জজ আদালতের সেরেস্তাদার আমিরুল মোমেন খান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
নোটিশের বরাত দিয়ে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, আওয়ামী লীগ প্রার্থী আব্দুল মমিন মন্ডল এমপির পক্ষে নির্বাচনী সমাবেশে দেয়া বক্তব্যে আতাউর রহমান বলেছেন, ‘আব্দুল লতিফ বিশ্বাস যাতে ভোট চাইতে না পারেন, সে রকম পরিবেশ সৃষ্টি করবেন। ৭ জানুয়ারির পরে তিনি মাটি দিয়ে হাঁটবেন না, তাকে চলে যেতে হবে মঙ্গল গ্রহে।’
তার এ বক্তব্যে সংসদ নির্বাচনে রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীর আচরণ বিধিমালা-২০০৮ এর ধারা ১১(ক) এর লঙ্ঘন হয়েছে।
এজন্য কারণ দর্শানোর এ নোটিশ দেন নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটির কর্মকর্তা সিনিয়র সহকারী জজ মো. সোহেল রানা।
আরও পড়ুন: হয়তো এটা আমার শেষ নির্বাচন: শামীম ওসমান
আগামী ২৬ ডিসেম্বর দুপুর ১২টায় শাহজাদপুর সিনিয়র সহকারী জজ আদালতে সশরীরে হাজির হয়ে লিখিত ব্যাখা দিতে বলা হয়েছে নোটিশে।
উল্লেখ্য, সাবেক ওই বিএনপি নেতা বেলকুচি উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও রাজাপুর ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান ছিলেন। তিনি আগে বিএনপি থেকে ধানের শীষ প্রতীকে উপজেলা চেয়ারম্যান ও ইউপি চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন করে পরাজিত হন।
সম্প্রতি তিনি বেলকুচি উপজেলা আওয়ামী লীগে যোগ দিয়েছেন বলে সংশ্লিষ্ট সূত্র থেকে জানানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: চুয়াডাঙ্গায় স্বতন্ত্র প্রার্থীর প্রচারকর্মীকে কুপিয়ে জখম করার অভিযোগ
৭৩৮ দিন আগে
চুয়াডাঙ্গায় স্বতন্ত্র প্রার্থীর প্রচারকর্মীকে কুপিয়ে জখম করার অভিযোগ
চুয়াডাঙ্গা-১ আসনে ঈগল প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী দিলীপ কুমার আগরওয়ালার নির্বাচনি প্রচারণার কাজে নিয়োজিত রুবেল হোসেল (৩২) নামের এক যুবককে কুপিয়ে জখমের অভিযোগ উঠেছে।
বৃহস্পতিবার (২১ ডিসেম্বর) দুপুর আড়াইটার দিকে শহরের একাডেমি মোড়ে এ ঘটনা ঘটে।
আহত রুবেল হোসেন চুয়াডাঙ্গা শহরের বাগানপাড়ার মিনারুল ইসমালের ছেলে। তিনি তার ইজিবাইকে করে চুয়াডাঙ্গা ১ আসনে ঈগল প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী দিলীপ কুমার আগরওয়ালার নির্বাচনি প্রচারণার কাজ করছেন।
আহত রুবেলের মামা আসাবুল হক বলেন, ঈগল প্রতীকের প্রচারণার সময় একই এলাকার মফিজুর সঙ্গে আমার ভাগ্নে রুবেলের তর্কবিতর্ক হয়। এরপর দুপুরে রুবেল প্রচারণার জন্য মাইক নিয়ে একাডেমি মোড়ে আসলে শাহাদাৎ নামের একজন ধারাল অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে জখম করে রুবেলকে। পরে স্থানীয়দের সহযোগীতায় তাকে উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ডা. সোহরাব হোসেন বলেন, রুবেলের পিঠ ধারাল অস্ত্রের আঘাতে জখম হয়েছে। সেখানে ১০-১২ টা সেলাই দেওয়া হয়েছে। পরবর্তী পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর বোঝা যাবে তিনি শঙ্কামুক্ত কিনা। প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে ভর্তি রেখে তার অবস্থা পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে।
এ বিষয়ে চুয়াডাঙ্গা সদর থানা পুলিশের পরিদর্শক (ওসি) শেখ সেকেন্দার আলী জানান, মারামারির ঘটনা জানতে পেরেছি। এবিষয়ে জোর পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।
আরও পড়ুন: ফরিদপুরে পোস্টার লাগানোর সময় স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থককে কুপিয়ে জখম
নরসিংদীতে যুবককে কুপিয়ে হত্যা
৭৩৮ দিন আগে
জ্বালাও-পোড়াও-হত্যা কোনো সুষ্ঠু রাজনীতি নয়: ড. মোমেন
সিলেট-১ আসনে নৌকার পদপ্রার্থী ড. এ কে আব্দুল মোমেন তার নির্বাচনী প্রচারাভিযান শুরু করেছেন।
বৃহস্পতিবার (২১ ডিসেম্বর) সকাল ১১টায় সিলেট নগরীর ১নং ওয়ার্ডে শাহজালাল (র.) মাজারসংলগ্ন এলাকায় লিফলেট বিতরণের মাধ্যমে তিনি প্রচারাভিযান শুরু করেন।
প্রচারভিযানে ড. মোমেন ভোটারদের সঙ্গে কুশলাদি বিনিময় করে নৌকার পক্ষে আগামী ৭ জানুয়ারী নির্বাচনে ভোট চান।
এসময় গণমাধ্যমকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেন, নৌকা বাংলার জনগণের আস্থা ও উন্নয়নের প্রতীক। তাই আগামী ৭ জানুয়ারী নির্বাচনে দলে দলে নৌকায় ভোট দিয়ে আওয়ামী লীগকে জয়ী করবে। বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থাকে সমুন্নত রেখে উন্নয়ন অগ্রযাত্রাকে অব্যাহত রাখতে নৌকার কোনো বিকল্প নেই।
তিনি আরও বলেন, রাজনীতি মানুষের কল্যাণের জন্য। জ্বালাও-পোড়াও-হত্যা কোনো সুষ্ঠ রাজনীতি নয়। বিএনপির নেতৃত্বে পরিপক্কতার অভাব রয়েছে বলেই তারা ধ্বংসাত্নক হিংসার রাজনীতি শুরু করেছে।
বিএপির নেতারা শুধু টিভি চ্যানেলের টক শোতে সীমবদ্ধ বলে উল্লেখ করে তিনি বলেন, জনগণের কাছে তাদের কোনো মূল্য নেই। কারণ তারা জনগণের জন্য রাজনীতি করেনা, ক্ষমতার জন্য রাজনীতি করে।
আব্দুল মোমেন একটি অবাধ সুষ্ঠু উৎসবমুখর নির্বাচনের জন্য ভোটারদেরকে নিজের পছন্দ মতো প্রার্থীকে ভোট দেওয়ারও আহ্বান জানান।
এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন মহানগর আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ফয়জুর রহমান আলোয়ার, সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক জাকির হোসেন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আজাদুর রহমান আজাদ, সাংগঠনিক সম্পাদক ডা. আরমান আহমদ শিপলু, জেলা আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজ কল্যাণ সম্পাদক সৈয়দ এপতার হোসেন পিয়ার, মহানগর যুবলীগের সভাপতি আলম খান মুক্তি, জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এডভোকেট সালমা সুলতানা, ১নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সেক্রেটারি আনোয়ার সাদাত, মহিলা শ্রমিক লীগের সভানেত্রী নাজমা খানম, শফিউল আলম জুয়েল, রুবেল আহমদ, সোহাগ আহমদ ওয়েছ ও অঙ্গসংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতা-কর্মীরা।
আরও পড়ুন: সিলেটে শেখ হাসিনার নির্বাচনী প্রচারণার শুরুতে লাখো মানুষের ঢল
নির্বাচনী প্রচারণার শুরুতে সিলেটে মাজার জিয়ারত করলেন প্রধানমন্ত্রী
বুধবার সিলেট থেকে নির্বাচনী প্রচার শুরু করবেন প্রধানমন্ত্রী
৭৩৮ দিন আগে