রাজনীতি
সাতকানিয়ায় নৌকা-স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষ
চট্টগ্রাম–১৫ আসন সাতকানিয়ায় জাতীয় নির্বাচনকে ঘিরে সহিংসতা ছড়িয়ে পড়েছে। প্রচারণা শুরুর পর থেকে আওয়ামী লীগ দলীয় প্রার্থী আবু রেজা মুহাম্মদ নেজামুদ্দিন নদভী এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী আওয়ামী লীগ নেতা এম এ মোতালেবের কর্মী–সমর্থকদের মধ্যে প্রতিদিনই দফায় দফায় সংঘর্ষ, গুলি বর্ষণ, ভাঙচুর, ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও ইটপাটকেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটছে।
সর্বশেষ বৃহস্পতিবার(২১ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় নেজামুদ্দিন নদভীর স্ত্রী ও মহিলা আওয়ামী লীগ নেত্রী রিজিয়া রেজা চৌধুরীর নেতৃত্বে উপজেলাল চরতি ইউনিয়নে নির্বাচনী প্রচারণার সময় হামলার ঘটনা ঘটেছে। এতে আওয়ামী লীগ প্রার্থী আবু রেজা নদভীর শ্যালক চরতি ইউপি চেয়ারম্যান মো. রুহুল্লাহ চৌধুরীসহ অন্তত ১৫ জন নেতা-কর্মী আহত হয়েছেন।
এর আগে বুধবার রাত ১২টার দিকে এমপি নদভীর সমর্থকরা পশ্চিম ঢেমশা ইছামতী আলিনগর এলাকায় স্বতন্ত্র প্রার্থী আবদুল মোতালেবের নির্বাচনী অফিস, গাড়ি ভাঙচুর এবং তার সমর্থকের বাড়িতে গুলি ছুড়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
আরও পড়ুন: বগুড়ার এসপির সহযোগিতা চান হিরো আলম
আওয়ামী লীগ প্রার্থী আবু রেজা নদভীর অভিযোগ, স্বতন্ত্র প্রার্থী এম এ মোতালেবের নির্দেশে সাইফুল ইসলামের নেতৃত্বে আমার নেতা-কর্মীদের ওপর হামলা চালানো হয়েছে। ঘটনার পরপর সাতকানিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মিল্টন বিশ্বাস, সাতকানিয়া সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. শিবলী নোমান ও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা প্রিটন সরকার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, আওয়ামী লীগ প্রার্থী আবু রেজা মুহাম্মদ নেজামুদ্দিন নদভীর স্ত্রী রিজিয়া রেজা চৌধুরী ও শ্যালক চরতি ইউপি চেয়ারম্যান মো. রুহুল্লাহ চৌধুরীর নেতৃত্বে চরতির কাটাখালী এলাকায় গণসংযোগসহ প্রচারণা চলছিল। এসময় ৪০ থেকে ৫০ জনের একটি দল লাঠিসোটা নিয়ে এসে নৌকার পক্ষে প্রচারণায় অংশ নেয়া নেতাকর্মীদের ওপর হামলা চালায়।
এতে চরতি ইউপি চেয়ারম্যান মো. রুহুল্লাহ চৌধুরী , সাতকানিয়া উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আবদুল মান্নান, পৌরসভা আওয়ামী লীগ নেতা গোলাম ফেরদৌস রুবেল, যুবলীগ নেতা কচির আহমদ কায়সার (৪৫), সাবেক ছাত্রলীগ নেতা আমিনুল ইসলাম আমিন, মিনহাজ উদ্দীন, জিহানুর রহমান চৌধুরী, কায়সার হামিদ অভি, রফিজ আহমদ ও আরিফুল ইসলামসহ ১৫ জন আহত হয়েছেন।
আরও পড়ুন: হয়তো এটা আমার শেষ নির্বাচন: শামীম ওসমান
আহতদেরকে সাতকানিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সসহ বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।
চরতি ইউপি চেয়ারম্যান মো. রুহুল্লাহ চৌধুরী বলেন, আমরা সকাল থেকে চরতির বিভিন্ন এলাকায় শান্তিপূর্ণভাবে প্রচারণা চালিয়েছি। রাত ৮টার দিকে কাঠাখালী ব্রিজ এলাকায় প্রচারণাকালে ইউপি সদস্য সাইফুল ইসলামের নেতৃত্বে ৪০ থেকে ৫০ জনের দল আমাদের ওপর হামলা চালায়। এতে আমাদের ১৫ থেকে ২০ জন নেতা-কর্মী আহত হয়েছেন।
আওয়ামী লীগ প্রার্থী নেজামুদ্দিন নদভী বলেন, আমি প্রশাসনকে অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার ও সন্ত্রাসীদেরকে গ্রেপ্তারের জন্য বলেছিলাম। কিন্তু তারা অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার করেনি এবং অস্ত্রধারীদেরকে গ্রেপ্তারও করেনি। ফলে তারা এখন নির্বাচনে সহিংসতায় লিপ্ত হচ্ছে। তাদেরকে গ্রেপ্তার করলে এ ধরনের হামলার ঘটনা ঘটতো না। প্রশাসনকে বলবো ঘটনায় জড়িতদের দ্রুত সময়ের মধ্যে গ্রেপ্তার করুন। না হলে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব হবে না। মূলত ভোটারদেরকে ভয়ভীতি প্রদর্শনের জন্য স্বতন্ত্র প্রার্থী এমএ মোতালেবের নির্দেশে এসব ঘটছে।
আরও পড়ুন: চুয়াডাঙ্গায় স্বতন্ত্র প্রার্থীর প্রচারকর্মীকে কুপিয়ে জখম করার অভিযোগ
এদিকে স্বতন্ত্র প্রার্থী এমএ মোতালেবের নির্বাচন পরিচালনা কমিটির প্রধান সমন্বয়ক ডা. আ.ম.ম. মিনহাজুর রহমান জানান, আওয়ামী লীগ প্রার্থী আবু রেজা নদভীর স্ত্রী রিজিয়া রেজা চৌধুরী নির্বাচনী প্রচারণাকালে স্থানীয় লোকজনকে কটাক্ষ করে কথা বলেছেন। বালির মহাল দখলসহ বিভিন্ন কারণে রিজিয়া রেজা ও চেয়ারম্যান রুহুল্লাহ চৌধুরীর ওপর স্থানীয় লোকজন অনেক আগে থেকেই ক্ষুব্ধ। অন্যদিকে প্রচারণা চলাকালে রিজিয়া রেজা চৌধুরীর সঙ্গে থাকা লোকজন চরতি এলাকার দুই ছেলেকে মারধর করেছেন। সবকিছু মিলিয়ে তারা জনরোষের শিকার হয়েছেন। এটা নির্বাচনী বিষয় নয়। আমরা সকল নেতাকর্মী ও সমর্থকদেরকে যে কোনো ধরনের ঝামেলা থেকে বিরত থাকার জন্য নির্দেশ দিয়েছি। এটাও বলে দিয়েছি যে, কেউ কোনো ঘটনা করলে এটার দায় প্রার্থী নেবেন না।
তিনি অভিযোগ করে বলেন, বুধবার মধ্যরাতে নদভীর অনুসারী রিয়াজউদ্দিন রিয়াদসহ ২০ থেকে ৩০ জনের এক দল বহিরাগত সন্ত্রাসী অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে এসে স্বতন্ত্র প্রার্থী আবদুল মোতালেবের নির্বাচনী অফিস ভাঙচুর করে পোস্টার ও চেয়ার ছুড়ে ফেলে। এ সময় সন্ত্রাসীরা শতাধিক রাউন্ড গুলি ছোড়ে এলাকার লোকজনকে ধাওয়া করে। স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থকদের নির্বাচনী কাজে ব্যবহৃত ১টি মাইক্রোবাস, ১টি ছোট ট্রাক, ১টি সিএনজি অটোরিকশার কাঁচ ও পুলিশ বহনকারী অপর একটি সিএনজি অটোরিকশা ভাঙচুর করে। পরে সন্ত্রাসীরা বর্তমান চেয়ারম্যান মো. রিদুয়ানুল হক সুমনের বাড়িতে হামলা ও এলোপাথাড়ি গুলি ছোড়ে।
এসব ঘটনার ঘটনার বিষয়ে জানতে চাইলে সাতকানিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রিটন সরকার বলেন, আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
আরও পড়ুন: সিরাজগঞ্জে স্বতন্ত্র প্রার্থীকে কটুক্তি করায় সাবেক বিএনপি নেতা আতাউরকে শোকজ
৭৩৮ দিন আগে
সিরাজগঞ্জে স্বতন্ত্র প্রার্থীকে কটুক্তি করায় সাবেক বিএনপি নেতা আতাউরকে শোকজ
জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সিরাজগঞ্জ-৫ (বেলকুচি-চৌহালী) আসনে নৌকার প্রার্থী আব্দুল মমিন মন্ডলের নির্বাচনী সমাবেশে স্বতন্ত্র প্রার্থী আব্দুল লতিফ বিশ্বাসকে নিয়ে কটুক্তি করায় আওয়ামী লীগে সদ্য যোগদানকারী সাবেক বিএনপি নেতা আতাউর রহমানকে কারণ দর্শানোর (শোকজ) নোটিশ দেওয়া হয়েছে।
বুধবার(২০ ডিসেম্বর) বিকালে নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটি এই নোটিশ দিয়েছেন।
সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর সিনিয়র সহকারী জজ আদালতের সেরেস্তাদার আমিরুল মোমেন খান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
নোটিশের বরাত দিয়ে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, আওয়ামী লীগ প্রার্থী আব্দুল মমিন মন্ডল এমপির পক্ষে নির্বাচনী সমাবেশে দেয়া বক্তব্যে আতাউর রহমান বলেছেন, ‘আব্দুল লতিফ বিশ্বাস যাতে ভোট চাইতে না পারেন, সে রকম পরিবেশ সৃষ্টি করবেন। ৭ জানুয়ারির পরে তিনি মাটি দিয়ে হাঁটবেন না, তাকে চলে যেতে হবে মঙ্গল গ্রহে।’
তার এ বক্তব্যে সংসদ নির্বাচনে রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীর আচরণ বিধিমালা-২০০৮ এর ধারা ১১(ক) এর লঙ্ঘন হয়েছে।
এজন্য কারণ দর্শানোর এ নোটিশ দেন নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটির কর্মকর্তা সিনিয়র সহকারী জজ মো. সোহেল রানা।
আরও পড়ুন: হয়তো এটা আমার শেষ নির্বাচন: শামীম ওসমান
আগামী ২৬ ডিসেম্বর দুপুর ১২টায় শাহজাদপুর সিনিয়র সহকারী জজ আদালতে সশরীরে হাজির হয়ে লিখিত ব্যাখা দিতে বলা হয়েছে নোটিশে।
উল্লেখ্য, সাবেক ওই বিএনপি নেতা বেলকুচি উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও রাজাপুর ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান ছিলেন। তিনি আগে বিএনপি থেকে ধানের শীষ প্রতীকে উপজেলা চেয়ারম্যান ও ইউপি চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন করে পরাজিত হন।
সম্প্রতি তিনি বেলকুচি উপজেলা আওয়ামী লীগে যোগ দিয়েছেন বলে সংশ্লিষ্ট সূত্র থেকে জানানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: চুয়াডাঙ্গায় স্বতন্ত্র প্রার্থীর প্রচারকর্মীকে কুপিয়ে জখম করার অভিযোগ
৭৩৯ দিন আগে
চুয়াডাঙ্গায় স্বতন্ত্র প্রার্থীর প্রচারকর্মীকে কুপিয়ে জখম করার অভিযোগ
চুয়াডাঙ্গা-১ আসনে ঈগল প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী দিলীপ কুমার আগরওয়ালার নির্বাচনি প্রচারণার কাজে নিয়োজিত রুবেল হোসেল (৩২) নামের এক যুবককে কুপিয়ে জখমের অভিযোগ উঠেছে।
বৃহস্পতিবার (২১ ডিসেম্বর) দুপুর আড়াইটার দিকে শহরের একাডেমি মোড়ে এ ঘটনা ঘটে।
আহত রুবেল হোসেন চুয়াডাঙ্গা শহরের বাগানপাড়ার মিনারুল ইসমালের ছেলে। তিনি তার ইজিবাইকে করে চুয়াডাঙ্গা ১ আসনে ঈগল প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী দিলীপ কুমার আগরওয়ালার নির্বাচনি প্রচারণার কাজ করছেন।
আহত রুবেলের মামা আসাবুল হক বলেন, ঈগল প্রতীকের প্রচারণার সময় একই এলাকার মফিজুর সঙ্গে আমার ভাগ্নে রুবেলের তর্কবিতর্ক হয়। এরপর দুপুরে রুবেল প্রচারণার জন্য মাইক নিয়ে একাডেমি মোড়ে আসলে শাহাদাৎ নামের একজন ধারাল অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে জখম করে রুবেলকে। পরে স্থানীয়দের সহযোগীতায় তাকে উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ডা. সোহরাব হোসেন বলেন, রুবেলের পিঠ ধারাল অস্ত্রের আঘাতে জখম হয়েছে। সেখানে ১০-১২ টা সেলাই দেওয়া হয়েছে। পরবর্তী পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর বোঝা যাবে তিনি শঙ্কামুক্ত কিনা। প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে ভর্তি রেখে তার অবস্থা পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে।
এ বিষয়ে চুয়াডাঙ্গা সদর থানা পুলিশের পরিদর্শক (ওসি) শেখ সেকেন্দার আলী জানান, মারামারির ঘটনা জানতে পেরেছি। এবিষয়ে জোর পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।
আরও পড়ুন: ফরিদপুরে পোস্টার লাগানোর সময় স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থককে কুপিয়ে জখম
নরসিংদীতে যুবককে কুপিয়ে হত্যা
৭৩৯ দিন আগে
জ্বালাও-পোড়াও-হত্যা কোনো সুষ্ঠু রাজনীতি নয়: ড. মোমেন
সিলেট-১ আসনে নৌকার পদপ্রার্থী ড. এ কে আব্দুল মোমেন তার নির্বাচনী প্রচারাভিযান শুরু করেছেন।
বৃহস্পতিবার (২১ ডিসেম্বর) সকাল ১১টায় সিলেট নগরীর ১নং ওয়ার্ডে শাহজালাল (র.) মাজারসংলগ্ন এলাকায় লিফলেট বিতরণের মাধ্যমে তিনি প্রচারাভিযান শুরু করেন।
প্রচারভিযানে ড. মোমেন ভোটারদের সঙ্গে কুশলাদি বিনিময় করে নৌকার পক্ষে আগামী ৭ জানুয়ারী নির্বাচনে ভোট চান।
এসময় গণমাধ্যমকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেন, নৌকা বাংলার জনগণের আস্থা ও উন্নয়নের প্রতীক। তাই আগামী ৭ জানুয়ারী নির্বাচনে দলে দলে নৌকায় ভোট দিয়ে আওয়ামী লীগকে জয়ী করবে। বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থাকে সমুন্নত রেখে উন্নয়ন অগ্রযাত্রাকে অব্যাহত রাখতে নৌকার কোনো বিকল্প নেই।
তিনি আরও বলেন, রাজনীতি মানুষের কল্যাণের জন্য। জ্বালাও-পোড়াও-হত্যা কোনো সুষ্ঠ রাজনীতি নয়। বিএনপির নেতৃত্বে পরিপক্কতার অভাব রয়েছে বলেই তারা ধ্বংসাত্নক হিংসার রাজনীতি শুরু করেছে।
বিএপির নেতারা শুধু টিভি চ্যানেলের টক শোতে সীমবদ্ধ বলে উল্লেখ করে তিনি বলেন, জনগণের কাছে তাদের কোনো মূল্য নেই। কারণ তারা জনগণের জন্য রাজনীতি করেনা, ক্ষমতার জন্য রাজনীতি করে।
আব্দুল মোমেন একটি অবাধ সুষ্ঠু উৎসবমুখর নির্বাচনের জন্য ভোটারদেরকে নিজের পছন্দ মতো প্রার্থীকে ভোট দেওয়ারও আহ্বান জানান।
এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন মহানগর আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ফয়জুর রহমান আলোয়ার, সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক জাকির হোসেন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আজাদুর রহমান আজাদ, সাংগঠনিক সম্পাদক ডা. আরমান আহমদ শিপলু, জেলা আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজ কল্যাণ সম্পাদক সৈয়দ এপতার হোসেন পিয়ার, মহানগর যুবলীগের সভাপতি আলম খান মুক্তি, জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এডভোকেট সালমা সুলতানা, ১নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সেক্রেটারি আনোয়ার সাদাত, মহিলা শ্রমিক লীগের সভানেত্রী নাজমা খানম, শফিউল আলম জুয়েল, রুবেল আহমদ, সোহাগ আহমদ ওয়েছ ও অঙ্গসংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতা-কর্মীরা।
আরও পড়ুন: সিলেটে শেখ হাসিনার নির্বাচনী প্রচারণার শুরুতে লাখো মানুষের ঢল
নির্বাচনী প্রচারণার শুরুতে সিলেটে মাজার জিয়ারত করলেন প্রধানমন্ত্রী
বুধবার সিলেট থেকে নির্বাচনী প্রচার শুরু করবেন প্রধানমন্ত্রী
৭৩৯ দিন আগে
হয়তো এটা আমার শেষ নির্বাচন: শামীম ওসমান
হয়তো এটা আমার শেষ নির্বাচন বলে মন্তব্য করেছেন নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য শামীম ওসমান।
তিনি বলেন, ‘হয়তো এটা আমার শেষ নির্বাচন। নির্বাচন করার ইচ্ছা আমার নাই, অন্য কেউ আসুক।’
বৃহস্পতিবার (২১ ডিসেম্বর) বিকালে কাশীপুর ইউনিয়নে নির্বাচনী প্রচারণা শেষে শামীম ওসমান এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘আমাকে মারার চেষ্টা করা হচ্ছে, আমি জানি। আমার জন্য একটাই দোয়া করবেন, আপনাদের ভালোবাসার প্রতিদান যাতে দিতে পারি। মা-বোনেরা আমাকে যেভাবে আজ আদর করেছে, আমি ভুলব না। আমি কখনো ভোট চাই না। কারণে আপনি আমার থেকে কম বুঝেন না। আমি নাটক করতে পারি না, আমি ভন্ডামি করি না। রাজনীতিকে আমি ইবাদত হিসেবে দেখি।’
শামীম ওসমান বলেন, ‘আমরা ফতুল্লা অঞ্চলে ৬৫০ কোটি টাকার রাস্তা করেছি। ২৬০০শ’ কোটি টাকা ব্যয়ে পঞ্চবটী-মুন্সিগঞ্জ সড়ক হচ্ছে, ১৩০০শ’ কোটি টাকা ব্যয়ে ডিএনডি প্রজেক্টের কাজ চলমান আছে হয়তো জুন মাসের মধ্যেই শেষ হয়ে যাবে। ১২-১৫ হাজার কোটি টাকার কাজ আমরা শেষ করতে পেরেছি।’
আরও পড়ুন: খুলনায় নির্বাচনী প্রচারে নামেনি ৬ জাপা প্রার্থী
তিনি বলেন, ‘আমি আপনাদের কাছে ভোট চাই না, কেন? কারণ আপনি ঠিক করবেন আপনি কি চান। সিদ্ধান্ত আপনার।’
তিনি আরও বলেন ‘যত বড় শক্তি বিদেশ থেকে আসুক না কেন, কিচ্ছু করতে পারবে না। আগামী ৭ তারিখে নির্বাচন হবেই। তারা আমাদের মানচিত্রে আঘাত করেছে। সিরিয়া ও লিবিয়ার মতো দেশ বানাতে না চাইলে ভোট দিতে আইসেন। ভোট আমাকে দিয়েন না, যাকে খুশি তাকে ভোট দিয়েন; তবে ভোটটা দিয়েন।’
শামীম ওসমান বলেন, ‘তাদের কোনো সুযোগ দিয়েন না। এবারের ভোটটা দেওয়া আপনাদের খুব দরকার। বিএনপি-টিএনপি কিচ্ছু থাকবে না, ছুড়ে ফেলে দিবে। লন্ডন থেকে বসে হুকুম দেয় বাসে আগুন দিতে, ওরা বলে জ্বি ভাইয়া।’
তিনি বলেন, ‘নির্বাচনের পর আমার প্রথম কাজ মাদক, সন্ত্রাস ও চাঁদাবাজি; এগুলো বন্ধ করব। আপনারা জিজ্ঞেস করতে পারেন, কেন করবেন এগুলো? কারণ আমি আল্লাহকে খুশি করে মরতে চাই।’
কাশীপুর ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. বশির আলম ফাতুর সভাপতিত্বে এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন-নারায়ণগঞ্জ মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শাহ্ নিজাম, ফতুল্লা থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও কাশীপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সাইফউল্লাহ বাদল, এনায়েতনগর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামানসহ বিভিন্ন ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান, মেম্বার ও স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা-কার্মীরা।
আরও পড়ুন: সিলেটে শেখ হাসিনার নির্বাচনী প্রচারণার শুরুতে লাখো মানুষের ঢল
নির্বাচনী প্রচারণার শুরুতে সিলেটে মাজার জিয়ারত করলেন প্রধানমন্ত্রী
৭৩৯ দিন আগে
বগুড়ার এসপির সহযোগিতা চান হিরো আলম
বগুড়া- ৪ (কাহালু ও নন্দীগ্রাম) আসনে বাংলাদেশ কংগ্রেস মনোনীত প্রার্থী (ডাব প্রতীক) আলোচিত আশরাফুল হোসেন ওরফে হিরো আলম বগুড়ার এসপির সহযোগিতা চেয়েছেন।
তিনি বলেন, ‘আমি বৃহস্পতিবার বগুড়ায় এসেছি, শুক্রবার থেকে প্রচারণা শুরু করব। প্রচারণার আগে এসপি স্যারের সঙ্গে দেখা করতে এসেছিলাম। স্যারকে জানিয়েছি কাহালু নন্দীগ্রামে প্রচারণাকালে অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটলে সঙ্গে সঙ্গে যেন পুলিশের সহযোগিতা পাই।
বৃহস্পতিবার (২১ ডিসেম্বর) দুপুর আড়াইটার দিকে পুলিশ সুপার সুদীপ কুমার চক্রবর্ত্তীর সঙ্গে সাক্ষাতের পর সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এসব কথা বলেন তিনি।
এসময় হিরো আলম বলেন, এবার কাউকে ফাঁকা মাঠে গোল দিতে দেবো না। কেউ যেন ফাঁকা মাঠে গোল দিতে না পারে এজন্য নির্বাচনের মাঠে রয়েছি।
আরও পড়ুন: জাতীয় নির্বাচন থেকে প্রার্থীতা প্রত্যাহারের ঘোষণা হিরো আলমের
নির্বাচনের খরচের ব্যাপারে তিনি বলেন, ‘নির্বাচন করতে আহামরি খরচ হয় না। যারা দুর্বল প্রার্থী তারাই নির্বাচনে টাকা খরচ করে। আমার নির্বাচনের খরচ যারা আমাকে ভালোবাসে তারাই দিবে। আর জনগণ আমাকে ভালবেসে ভোট দিতে আসবে।
হিরো আলম আরও বলেন, বগুড়াসহ সারাদেশে সুষ্ঠু নির্বাচন হবে এটা ইসি বারবার বলেছে। এক্ষেত্রে পুলিশ ও সাংবাদিকেরা বড় ভূমিকা রাখবে বলে আশা করি।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘ভোট করতে চাচ্ছিলাম না। কারণ ভোটাররা বলছে তোমাকে ভোট দেব কয়বার? তুমি পাশ করলে কিন্তু এমপি হতে পারলে না। তবে ভোটারদের অনুরোধে নির্বাচনে আছি। আবার অনেকে মনে করেছে হিরো আলম টাকার কাছে বিক্রি হয়ে গেছে। টাকা খেয়ে ভোটের মাঠ থেকে সরে যাচ্ছে। এসব কারণে ভোটের মাঠে রয়েছি।’
হিরো আলমের সাক্ষাৎ প্রসঙ্গে পুলিশ সুপার (অতিরিক্ত ডিআইজি পদে পদোন্নতিপ্রাপ্ত) সুদীপ কুমার চক্রবর্ত্তী বলেন, ‘বগুড়ার সাতটি আসনে ৫৫জন প্রার্থীকে পুলিশ সমান সহযোগিতা করবে। এখানে কাউকে আলাদা দেখার সুযোগ নেই। হিরো আলমের কথা শুনেছি এবং তাকে আশ্বস্ত করেছি কাহালু ও নন্দীগ্রাম থানা পুলিশ নির্বাচনী বিধি মেনে সহযোগিতা করবে।
এর আগে তিনি রিটার্নিং অফিসার ও জেলা প্রশাসক মো. সাইফুল ইসলামের কাছ থেকে ডাব প্রতীক বরাদ্দ নেন।
আরও পড়ুন: একাধিক ত্রুটির কারণে হিরো আলমের মনোনয়ন বাতিল
‘মানহানিকর’ মন্তব্যের জন্য রিজভীর বিরুদ্ধে মামলা করবেন হিরো আলম
৭৩৯ দিন আগে
নির্বাচনে ভোটারদের অংশগ্রহণের জন্য শান্তিপূর্ণভাবে কাজ করুন: প্রার্থীদের প্রতি প্রধানমন্ত্রীর আহ্বান
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আসন্ন জানুয়ারি জাতীয় নির্বাচনের প্রচারণার সময় শান্তি বজায় রাখার আহ্বান জানিয়ে হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, কোনো সংঘাতে জড়ালে তার নিজের দলের সদস্যদেরও রেহাই দেওয়া হবে না।
তিনি বলেন, ‘অন্যের অধিকারে হস্তক্ষেপ করবেন না। কোনো সংঘাতের ক্ষেত্রে, এমনকি আমার দলের কর্মীরাও এমন কিছুতে জড়িত থাকলে তাদেরও রেহাই দেওয়া হবে না। তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেব। এটা মনে রাখবেন।’
বৃহস্পতিবার (২১ ডিসেম্বর) রাজধানীর তেজগাঁওয়ে আওয়ামী লীগ কার্যালয় থেকে ভার্চুয়াল প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে পঞ্চগড়, লালমনিরহাট, নাটোর, পাবনা ও খাগড়াছড়ি- পাঁচটি জেলায় সমাবেশে বক্তব্য দেওয়ার সময় ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সভানেত্রী শেখ হাসিনা এই কড়া হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন।
তিনি বলেন, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জনগণ তাদের ভোট দেবে কারণ এটা তাদের সাংবিধানিক অধিকার।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমরা চাই জনগণ স্বাধীনভাবে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করুক। তারা যাতে যাকে খুশি তাকে বেছে নিতে এবং ভোট দিতে পারে। যারা তাদের (জনগণের) ভোট পাবে, সেউ বিজয়ী হবে।’
আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, গণতন্ত্রকে আরও শক্তিশালী করতে হবে। তা না হলে বাংলাদেশ এখন পর্যন্ত যে উন্নয়ন করেছে তা ভেস্তে যাবে।
আওয়ামী লীগের প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের প্রতি ইঙ্গিত করে তিনি বলেন, ‘এখানে 'নৌকা' প্রতীকের প্রার্থী, স্বতন্ত্র প্রতিদ্বন্দ্বী ও অন্যান্য দলের প্রতিদ্বন্দ্বী রয়েছেন। সবাইকে জনগণের কাছে যেতে হবে। যেসব প্রার্থী ভোট পাবেন তারাই নির্বাচিত হবেন।’
প্রধানমন্ত্রী নির্বাচনে তার দলের নির্বাচনী প্রতীক ‘নৌকা’র পক্ষে ভোট চেয়ে বলেন, এই প্রতীকে ভোট দিয়ে মানুষ ১৯৭১ সালে স্বাধীনতা অর্জন করেছিল। এখন জনগণ অর্থনৈতিক মুক্তি পেয়েছে এবং নৌকায় ভোট দিয়ে বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা পেয়েছে।
আরও পড়ুন: নির্বাচনী প্রচারণার শুরুতে সিলেটে মাজার জিয়ারত করলেন প্রধানমন্ত্রী
তিনি বলেন, উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে হলে আওয়ামী লীগকেই সরকার গঠন করে জনগণের কল্যাণ নিশ্চিত করতে হবে।
প্রধানমন্ত্রী সব প্রার্থী ও তাদের সমর্থকদের শান্তিপূর্ণভাবে নির্বাচনে অংশ নিতে বলেছেন, যাতে কেউ ভোট নিয়ে কোনো অভিযোগ তুলতে না পারে এবং ভোটকেন্দ্রে বিপুল সংখ্যক ভোটার উপস্থিত হন।
তিনি বলেন, ‘নির্বাচনে জনগণ ও ভোটারদের অংশগ্রহণ থাকতে হবে। কোনো দল নির্বাচনে যোগ দিলো বা যোগ দিলো না তাতে কিছু যায় আসে না। বিএনপি একটি কারণে নির্বাচনে অংশ নেয় না, কারণ এখানে ভোট কারচুপির সুযোগ নেই।’
তিনি আরও বলেন, যেহেতু ২০০৮ সালে বিএনপি তা করতে পারবে না (ভোট কারচুপি), তাই তারা সব সময়ই নির্বাচন বানচাল ও বয়কট করতে চায়। এটা তাদের ইচ্ছা এবং এটা নিজ নিজ দলের বিষয়।
শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘সুষ্ঠুভাবে নির্বাচনে অংশ নিন। সবাইকে (প্রার্থী) অবাধে প্রচারণা চালাতে হবে এবং জনগণকে তাদের পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিতে এবং বাছাই করতে দিতে হবে। তাহলেই আমাদের গণতন্ত্র আরও শক্তিশালী হবে।’
আওয়ামী লীগ সভাপতি জাতীয় নির্বাচনে অংশ নেওয়া সবাইকে ধন্যবাদ জানান।
তিনি বলেন, জনগণ ১৯৯৬ সালে বিএনপিনেত্রী খালেদা জিয়াকে ভোট কারচুপির অভিযোগে ক্ষমতা থেকে উৎখাত করে এবং তারপর ২০০৬ সালে ভোটার তালিকায় ১ কোটি ২৩ লাখ ভুয়া ভোটার তালিকাভুক্ত করে আবারও ভোট চুরির চেষ্টা করে।
তিনি বলেন, ‘খুবই দুর্ভাগ্যজনক যে আমরা এখন তাদের কাছ থেকে গণতন্ত্র ও সুষ্ঠু ভোটের কথা শুনতে পাচ্ছি, যারা ভোট কারচুপির অভিযোগে দুই দফায় বহিষ্কৃত হয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আওয়ামী লীগই এটা (সুষ্ঠু নির্বাচন) করেছে। জনগণকে ভোটের অধিকার ফিরিয়ে দিয়েছে।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আসন্ন নির্বাচনে আপনাদের সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে যাতে কেউ সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদের আশ্রয় নিয়ে জনগণের ক্ষতি করতে না পারে। আমি সবাইকে এই বিষয়ে সতর্ক থাকার আহ্বান জানাতে চাই।’
আরও পড়ুন: অগ্নিসংযোগ করে বিএনপি মানুষের মন জয় করতে পারবে না: শেখ হাসিনা
অগ্নিসংযোগ ও নাশকতাকারীদের রাজনীতি করার অধিকার নেই: প্রধানমন্ত্রী
৭৩৯ দিন আগে
একতরফা নির্বাচন বর্জনের আহ্বান গণতন্ত্র মঞ্চের
বর্তমান সরকারের অধীনে নির্বাচনের বিরোধী দলগুলোর একটি বিরোধী মঞ্চ গণতন্ত্র মঞ্চ আজ (বৃহস্পতিবার) দেশের জনগণকে রাস্তায় নেমে ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠেয় 'একতরফা' নির্বাচন বয়কট করার আহ্বান জানিয়েছে।
রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এক সমাবেশে গণতন্ত্র মঞ্চের শীর্ষ নেতা ও গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি এই আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের কোনো দেশপ্রেমিক মানুষ ভোটাধিকার কেড়ে নেওয়ার জন্য নির্বাচনে ভোট দিতে পারে না। বাংলাদেশের বর্তমান ও ভবিষ্যত এবং দেশের নাগরিক ও বর্তমান প্রজন্মের প্রতি যদি আমাদের সামান্যতম অঙ্গীকার থাকে, তাহলে আমরা কেউই এই ভোটকে সমর্থন করতে পারব না। আমরা এই ভোটকে ন্যায়সঙ্গত করতে পারি না।’
আরও পড়ুন: যুক্তফ্রন্ট গঠন করে জাতীয় নির্বাচনে অংশ নেয়ার ঘোষণা সৈয়দ ইব্রাহিমের
গণসংহতি আন্দোলনের এই নেতা আরও বলেন, বাংলাদেশের মানুষ ভয়াবহ পরিস্থিতির সম্মুখীন।
তিনি বলেন, দেশের স্বার্থে বৃহত্তর ঐক্য গড়ে তোলার মাধ্যমে সকল জনগণকে এখন রাজপথে নামতে হবে। আসুন আমরা সবাই নিজ নিজ অবস্থান থেকে মাঠে আসি। এই নিপীড়ক শাসনের সিংহাসন ভেঙ্গে পড়বে যদি জনগণের বৃহত্তর ঐক্য গড়ে ওঠে।
সাকি বলেন, দেশকে বাঁচাতে এবং জনগণের ভোটাধিকার পুনরুদ্ধারের জন্য সাহসিকতার সঙ্গে সরকারকে দৃঢ়ভাবে প্রতিহত করার সময় এসেছে।
তিনি বলেন, 'আমি জনগণকে বলতে চাই, এই দেশ আমাদের সবার। দেশকে রক্ষা করার আহ্বান জানানো হয়েছে। সুতরাং আপনার আর অলস বসে থাকার সময় নেই। তারা (সরকার) আমাদের গুলি করতে পারে এবং ভয় দেখাতে পারে, কিন্তু তারা আমাদের সবাইকে হত্যা করতে পারে না। পাকিস্তান সেনাবাহিনী সেটা করতে পারেনি। সুতরাং পায়ের তলার মাটি হারানো এই আওয়ামী লীগ সরকারের আমাদের দমিয়ে রাখার ক্ষমতা নেই। আগামী ৭ জানুয়ারি নির্বাচনের নামে একটি তামাশা আমাদের বয়কট করতে হবে।
একতরফা নির্বাচনের প্রতিবাদে এবং নির্দলীয় প্রশাসনের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচনের পথ সুগম করতে আওয়ামী লীগ সরকারের পদত্যাগ দাবি করে গণতন্ত্র মঞ্চ এই সমাবেশের আয়োজন করে।
আরও পড়ুন: যাত্রাবাড়ীতে জামায়াতের মানববন্ধন ছত্রভঙ্গ করেছে পুলিশ
পরে মঞ্চের নেতা-কর্মীরা মতিঝিল অভিমুখে একটি মিছিল বের করেন।
জনগণের ভোটাধিকার কেড়ে নিয়ে প্রহসনের নির্বাচনের ব্যবস্থা করা বর্তমান অবৈধ সরকারকে সহযোগিতা না করার জন্য সর্বস্তরের জনগণের প্রতি আহ্বান জানান সাকি।
তিনি বলেন, 'আমাদের গণসংযোগ ও গণমিছিল অব্যাহত থাকবে। ভবিষ্যতে আমরা আরও বড় কর্মসূচি ঘোষণা করব।’
তিনি আরও অভিযোগ করেন যে সরকার ট্রেনে আগুন দিয়ে মানুষকে হত্যা করে এবং বিরোধী দলগুলোর উপর দোষ চাপিয়ে বিরোধীদের দমন করার কৌশল নিয়েছে।
তিনি বলেন, 'আমি সরকারকে বলছি, আপনারা অতীতে এসব নাশকতা চালিয়েছেন। মানুষ এখন আর এই দোষারোপের খেলা বিশ্বাস করে না। জনগণ বুঝতে পেরেছে যে আপনার মূল উদ্দেশ্য বিরোধী দলকে নিপীড়ন করা। আপনারা বিরোধী দলের ওপর দোষ চাপানোর জন্য নাশকতার কাজ করেছেন এবং দমন-পীড়নের মাধ্যমে বিরোধী দলের নেতা-কর্মীদের গ্রেপ্তার করেছেন।
সাকি অভিযোগ করেন, সরকার বিভিন্ন সংস্থার সদস্যদের ব্যবহার করে ট্রেন ও যানবাহনে অগ্নিসংযোগের মতো নাশকতামূলক কর্মকাণ্ড চালাচ্ছে।
আরও পড়ুন: তেজগাঁওয়ে ট্রেনে অগ্নিসংযোগ বিরোধী দলকে দমন-পীড়ন করার ষড়যন্ত্র: গণতন্ত্র মঞ্চ
৭৩৯ দিন আগে
ফরিদপুরে পোস্টার লাগানোর সময় স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থককে কুপিয়ে জখম
ফরিদপুর-৩ আসনে পোস্টার লাগানোর সময় স্বতন্ত্র প্রার্থী এ কে আজাদের সমর্থককে কুপিয়ে জখম করেছে দুর্বৃত্তরা।
বৃহস্পতিবার (২১ ডিসেম্বর) দুপুর বেলা ১২ টায় ফরিদপুর সদর উপজেলার ঈশান গোপালপুর ইউনিয়নের উমেদিয়া বাজারে এ ঘটনা ঘটে।
আহত আজিজ শেখ (৩০) ফরিদপুর সদর উপজেলার ঈশান গোপালপুরের বাসিন্দা।
স্থানীয়রা জানান, দুপুরে ওমেদিয়া বাজারে এ কে আজাদের ঈগল প্রতীকের পোস্টার লাগানোর সময় চার-পাঁচজন যুবক আজিজ শেখের উপর হামলা করে। তারা সেখানে ঈগলের কোনো পোস্টার লাগানো যাবেনা বলে হুমকি দেয় এবং পিটিয়ে ও কুপিয়ে গুরুতর জখম করে আজিজকে।
আহতাবস্থায় তাকে ফরিদপুরের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।
এ ব্যাপারে কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শহিদুল ইসলামের বক্তব্য জানতে চাইলে তিনি বলেন, এব্যাপারে এখনও কিছু জানতে পারিনি। বিষয়টি জেনে বলতে পারব। ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: চুয়াডাঙ্গায় স্বতন্ত্র প্রার্থীর প্রচারকর্মীকে কুপিয়ে জখম করার অভিযোগ
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় যুবককে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ, ২ ভাই আটক
৭৩৯ দিন আগে
সব প্রাথীর জন্য সমান সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করা হবে: ইসি আহসান হাবিব
আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সব প্রার্থীর জন্য সমান সুযোগ নিশ্চিত করা হবে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) মো. আহসান হাবিব খান।
বৃহস্পতিবার (২১ ডিসেম্বর) খুলনা জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে নির্বাচনী আচরণবিধি ও অন্যান্য বিষয়ে মতবিনিময় সভায় যোগদান শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ সাধারণ নির্বাচন-২০২৪ উপলক্ষে খুলনা, সাতক্ষীরা ও বাগেরহাট জেলার রিটার্নিং অফিসার, সহকারী রিটার্নিং অফিসার, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীসহ নির্বাচন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের সঙ্গে আচরণ-বিধি ও অন্যান্য বিষয়ে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইসি আহসান হাবিব খান।
বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে ইসি বলেন, আজকের মতবিনিময় সভার উদ্দেশ্য ছিল নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী প্রার্থীদের নির্বাচনকালীন নিরাপত্তা ও সমান সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করা।
তিনি বলেন, নির্বাচন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা সকল প্রার্থীকে একইভাবে দেখা এবং কোনো প্রকার পক্ষপাতিত্ব না করার বিষয়ে সবার সামনে প্রার্থীদের আশ্বস্ত করেছেন।
আরও পড়ুন: সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য যা যা করা দরকার ইসি তা করছে: কমিশনার রাশেদা
তিনি আরও বলেন, ‘আমার আশা ও প্রত্যাশা দ্বাদশ জাতীয় সংসদ সাধারণ নির্বাচন সুন্দর, অবাধ, নিরপেক্ষ ও উৎসবমুখর পরিবেশে অনুষ্ঠিত হবে। ভোটারদের ভোটকেন্দ্রে আসার জন্য আমরা উপযুক্ত পরিবেশ সৃষ্টি করব এবং নিরাপত্তা প্রদান করব, যাতে করে নির্বিঘ্নে-নির্ভয়ে সব ভোটার ভোটকেন্দ্রে এসে নিজের ভোট যাকে খুশি তাকে দিতে পারেন।
ইসি বলেন, ভোটকেন্দ্রের শৃঙ্খলা রক্ষার বিষয়ে নির্বাচন কমিশন জিরো টলারেন্স নীতি প্রদর্শন করবে। নির্বাচন কার্যক্রমের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা শতভাগ সততার সঙ্গে কাজ করবেন বলে আশ্বস্ত করেছেন। প্রার্থীরা যাতে নির্বিঘ্নে-নির্দ্বিধায় ও নিরাপত্তার সঙ্গে নির্বাচনী প্রচারণা করতে পারেন সেজন্য প্রশাসন, পুলিশ ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে তৎপর রাখা হয়েছে।
খুলনার অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (সার্বিক) সরোজ কুমার নাথের সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মো. মোজাম্মেল হক, রেঞ্জ ডিআইজি মো. মঈনুল হক, বিজিবি ও কোস্টগার্ডের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং আসন্ন জাতীয় সংসদ সাধারণ নির্বাচনে খুলনা, সাতক্ষীরা ও বাগেরহাট জেলার রিটার্নিং অফিসার, সহকারী রিটানির্ং অফিসার, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীসহ নির্বাচন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা ও প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: যেকোনো দল শান্তিপূর্ণভাবে ভোটারদের ভোটকেন্দ্রে না যেতে বলতে পারে: ইসি আলমগীর
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ ও সুষ্ঠু হবে: সিইসি
৭৩৯ দিন আগে