রাজনীতি
আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে দেশে গভীর চক্রান্ত চলছে: রুহুল কবির রিজভী
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী অভিযোগ করেছেন, বর্তমানে দেশে গভীর এক চক্রান্ত চলছে, যা আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্রের সঙ্গেও যুক্ত থাকতে পারে।
শনিবার (৬ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ঈদে মিলাদুন্নবী উপলক্ষে আয়োজিত মিলাদ মাহফিলে তিনি এ অভিযোগ করেন।
রিজভী বলেন, আমি সরকারকে বলতে চাই— আমার দৃঢ় অনুভূতি হচ্ছে, দেশে গভীর এক চক্রান্ত চলছে ।
তিনি এ চক্রান্তের বিষয়ে তদন্ত করার জন্য অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে দাবি জানান।
বিএনপি নেতা বলেন, ‘পাকিস্তান আমলেও মাজার আক্রমণ করা বা লাশ পুড়িয়ে দেয়ার কথা শোনা যায়নি। এখন হঠাৎ করে এসব নৈরাজ্য কেন করা হচ্ছে। আমরা এর তীব্র নিন্দা জানাই।’
রিজভী বলেন, সময় এগিয়েছে, আমাদেরও এগোনোর কথা ছিল। হঠাৎ এখন কেন এসব হচ্ছে? এ ধরনের কাজই শেখ হাসিনা করতেন।
তিনি বলেন, শেখ হাসিনা বলতেন, বিএনপি ক্ষমতায় থাকলে, বিএনপি পাকিস্তানপন্থি দল, বিএনপি ইসলামী জঙ্গিদেরকে প্রশ্রয় দিচ্ছে, এসব অপতথ্য এবং অপপ্রচার করতেন। এই অপতথ্য অপপ্রচার করার পরেও উনি এটা কোনোভাবেই প্রমাণ করতে পারেননি।
জামায়াতকে পরোক্ষভাবে ইঙ্গিত করে তিনি বলেন, ওই দল বিএনপিকে ভারতপন্থী দল হিসেবে তুলে ধরার চেষ্টা করছে।
তিনি বলেন, আপনারাই তো ৫ আগস্টের পর বললেন ভারতের সঙ্গে বিশেষ সম্পর্ক আছে। অথচ ১৯৭১ সালে স্বাধীনতার যুদ্ধের সময় পাকিস্তানি সেনাদের পাশে দাঁড়িয়েছিলেন আপনারাই।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দিকে ইঙ্গিত করে রিজভী বলেন, তিনি একসময় মদিনা সনদের ভিত্তিতে দেশ চালানোর অঙ্গীকার করেছিলেন।
তিনি বলেনন, কিন্তু বাস্তবে কী হলো? তার এক মন্ত্রীর লন্ডনে ১৪০টি বাড়ি, তার সন্তানদের নামে পূর্বাচলে ৬০ কাঠা জমি, আবার চট্টগ্রাম বিমানবন্দরের পাশে সরকারি ৭২ বিঘা জমিতে ৩০টি বাংলো তৈরির পরিকল্পনা— অথচ সাধারণ মানুষ চিকিৎসা না পেয়ে মারা গেছে।
পড়ুন: সুষ্ঠু নির্বাচন হলে ডাকসুতে ছাত্রদল বিজয়ী হবে: রিজভী
কোভিডের সময় অক্সিজেনের অভাবে অসংখ্য মানুষ মারা গেছে বলে উল্লেখ করেন তিনি।
তিনি বলেন, আমাদের ওপর বিপদ আসে, আমরা দেশেই থাকি, আমাদের নেত্রী দেশেই থাকেন, মিথ্যা মামলায় পাঁচ-ছয় বছর তিনি নির্যাতনে কারাবন্দি অবস্থায় থাকেন, আমরা কোনো পন্থি দল নই, বাংলাদেশপন্থি দল বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল।
প্রবক্তা মুহাম্মদ (সা.)-এর প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে রিজভী বলেন, আজ প্রচণ্ড গরমের মধ্যেও আমরা সমবেত হয়েছি মহান মানুষকে স্মরণ করতে, যিনি আল্লাহর বাণী বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে দিয়েছেন। যদি আমরা সামান্যতম অনুকরণ করতাম বা আমরা লালন করতাম তাহলে এই দেশ থেকে অন্যায়-অনাচার, কুপ্রবৃত্তি, পাপাচার, হানাহানি রক্তারক্তি সব বন্ধ হয়ে যেত।
তিনি দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, নবীর অনুসারী দাবি করলেও বাস্তবে তাকে আমরা কেউ অনুসরণ করি না। তাকে আমরা কেউ অনুকরণ করি না। এটাই হলো মুসলিম সমাজের সবচেয়ে বড় ব্যর্থতা।
রিজভী বলেন, মহানবী (সা.) বিভক্ত আরব সমাজকে একত্রিত করেছিলেন এবং সবার জন্য সমাধান দিয়েছিলেন। আজ আমরা মদিনা সনদের কথা বলি, কিন্তু বাস্তবে কিছুই মানি না।
এই আনন্দ ও প্রার্থনার দিনে আসুন আমরা নবীর জীবন থেকে অনুপ্রেরণা নেই, যিনি আল্লাহর বাণী এনেছিলেন। যদি আমরা তার উদাহরণ অনুসরণ করি, তাহলে সমাজ থেকে দুর্নীতি, লোভ, ঘৃণা দূর হবে। আমরা সৎভাবে বাঁচতে পারব এবং শান্তি ফিরে আসবে।
১১৩ দিন আগে
হামলায় নূরের শর্ট টাইম মেমোরি লস হয়েছে: রাশেদ খান
রাজধানীর ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুরের স্বল্পমেয়াদী স্মৃতিশক্তি হ্রাস (শর্ট টাইম মেমরি লস) হয়েছে বলে দাবি করেছেন দলটির সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান।
শনিবার (৬ সেপ্টেম্বর) দুপুরে ঢামেক হাসপাতালে নুরের শারীরিক অবস্থা পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ তথ্য জানান।
রাশেদ খান বলেন, ছোটখাটো অনেক বিষয় ভুলে যাচ্ছেন নুর। তার নাক দিয়ে এখনও রক্ত ঝরছে। সরকার থেকে বিদেশে নিয়ে সুচিকিৎসার আশ্বাস দেওয়া হলেও সরকারের একটি মহল চায় না নুরের শারীরিক অবস্থার উন্নতি হোক।
এ সময় তিনি অভিযোগ করেন, সরকারের অবহেলা ও রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে নুরের শারীরিক অবস্থা আরও জটিল হতে পারে।
অন্য দিকে শুক্রবার (৫ সেপ্টেম্বর) জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় গণঅধিকার পরিষদের কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই বলেও দাবি করেন রাশেদ খান।
তিনি বলেন, জাতীয় পার্টি কার্যালয়ে হামলার ঘটনায় আমাদের নেতাকর্মীদের নাম জড়ানোর চেষ্টা করা হচ্ছে, যা সম্পূর্ণ রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।
১১৩ দিন আগে
সংস্কার ছাড়া দেশে কোনো নির্বাচন হতে পারে না: এটিএম আজহার
সংস্কার ছাড়া দেশে কোনো নির্বাচন হতে পারে না বলে মন্তব্য করেছেন জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের সদস্য ও রংপুর-২ আসনের এমপি পদপ্রার্থী এটিএম আজহারুল ইসলাম।
তিনি বলেন, ‘জুলাই সনদ বাস্তবায়ন, গণহত্যাকারীদের বিচার ও দৃশ্যমান সংস্কারের আগে কোনো নির্বাচন আয়োজনের চেষ্টা করলে জনগণ তা মেনে নেবে না। সেই নির্বাচন গ্রহণযোগ্যতাও পাবে না। অবিলম্বে সংবিধান সংশোধন করে তার আলোকে ভোট করতে হবে। বাহাত্তরের সংবিধান জারি রাখার জন্য আবু সাঈদ, মুগ্ধরা জীবন দেননি।’
গতকাল শুক্রবার (৬ সেপ্টেম্বর) রাতে রংপুরের বদরগঞ্জ উপজেলার মধুপুর ইউনিয়নের পলিপাড়া ও পাকার মাথায় উপজেলা জামায়াত আয়োজিত পথসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
এটিএম আজহার বলেন, ‘জামায়াত সবাইকে আপন করে নিতে চায়। এই দলের নেতা-কর্মীরা সবার আপনজন। কিন্তু মানুষকে ভুল বুঝিয়ে জামায়াত থেকে দূরে রাখার অপচেষ্টায় লিপ্ত হচ্ছে একটি মহল। তার পরেও এই দলের নেতা-কর্মীরা মানুষের সুখ-দুঃখে পাশে থাকে।’
আওয়ামী লীগ সরকার ষড়যন্ত্র করে আল্লামা সাঈদীকে মেরে ফেলেছে দাবি করে এই জামায়াত নেতা বলেন, ‘জোর করে ভয়ভীতি দেখিয়ে বন্দুকের নলের সামনে পরিবারকে জিম্মি করে সাঈদীর বিরুদ্ধে সাক্ষী নেওয়া হয়েছিল। এখন সবাই দেখছে সেই সাক্ষীরা প্রকাশ্যে নির্ভয়ে এসে সত্য কথাগুলো বলে দিচ্ছে।’
আরও পড়ুন: প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করে নির্বাচনী রোডম্যাপ দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা: ডা. তাহের
ভোট সম্পর্কে এটিএম আজহার বলেন, ‘অন্য দলের নেতারা বিভিন্ন মিথ্যা প্রতিশ্রুতি, নানা ওয়াদা দিয়ে ভোট নেয়। কিন্তু ভোট পাওয়ার পর সেই নেতারা আর এলাকায় না এসে নিজেদের উন্নয়ন করে। কারণ তারা মানব রচিত সংবিধানের আলোকে পরিচালিত সংসদের শাসক। মানব উন্নয়ন করতে হলে অবশ্যই আল কোরআনের আইন প্রয়োগ করতে হবে, সৎ লোকদের শাসন প্রতিষ্ঠা করতে হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের একটাই স্লোগান— আল্লাহর আইন চাই। সেটা প্রতিষ্ঠা করতে হলে সৎ লোককে ভোট দিতে হবে। সৎ লোকের মাধ্যমে প্রচলিত আইন পরিবর্তন করে জামায়াতের ছায়াতলে আসতে হবে। জামায়াতের ছায়ায় এলে অন্তত নামাজ পড়বেন, মিথ্যা বলবেন না, রোজা রাখবেন।’
পথসভায় মধুপুর ইউনিয়ন জামায়াতের সভাপতি আবদুল কুদ্দুস মণ্ডলের সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য রাখেন উপজেলা জামায়াতের আমির কামরুজ্জামান কবির, নায়েবে আমির শাহ রুস্তম আলী, সেক্রেটারি মাওলানা মিজানুর রহমান, উপজেলা ছাত্রশিবিরের সভাপতি মোজাহিদুল ইসলাম প্রমুখ।
১১৪ দিন আগে
জামায়াতে ইসলামীকে অতীতের ভুলের জন্য ক্ষমা চাইতে বললেন বিএনপি নেতা
জামায়াতে ইসলামীকে অতীতের ভুলের জন্য ক্ষমা চেয়ে আগামী জাতীয় নির্বাচনে অংশ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য জয়নুল আবেদিন ফারুক।
শুক্রবার (৫ সেপ্টেম্বর) জাতীয় প্রেস ক্লাবের তোফাজ্জ্বল হোসেন মানিক মিয়া হলে বাংলাদেশ স্বাধীনতা ঘোষক পরিষদের উদ্যোগে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।
ফারুক বলেন, আজকে দেখলাম একটা পত্রিকায় যে, জনগণ যদি না চায় পিআর (সংখ্যানুপাতিক নির্বাচন পদ্ধতি) দরকার নাই। আল্লাহ মাবুদ, আজকে পবিত্র জুম্মার দিন, আল্লাহ তাদের হেদায়েত করুন।
তিনি বলেন, আমি তাদের (জামায়াতে ইসলামী) বলব, দয়া করে আস্তে আস্তে রাজনৈতিক কৌশল পরিবর্তন করেন। জনগণের কাছে ক্ষমা চান। অতীতের ইতিহাসে দোষত্রুটি থাকলে ক্ষমা চেয়ে নির্বাচনে আসেন।
বিএনপি নেতা আরও বলেন, জামায়ত নির্বাচনের সময়সীমা বাড়ানোর বিভিন্ন দাবি করছে, কিন্তু একদিকে নির্বাচনের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে এবং ধর্মীয় আবেগ ব্যবহার করে ভোটের প্রচারণা চালাচ্ছে।
তিনি বলেন, জামায়াত একদিকে বলছে পিআর না হলে নির্বাচনে যাব না, অন্যদিকে গণভোট ছাড়া নির্বাচনে যাব না। আবার তিনশত প্রার্থী ইতোমধ্যে ঘোষণা করে মসজিদে মসজিদে প্রচার শুরু করে দিছে। ঘরে ঘরে শুরু করে দিছে, বেহেস্তে নিয়া যাব যদি দাঁড়ি পাল্লাকে ভোট দাও।
ফারুক বলেন, জামায়তের নির্বাচনী প্রচারণা নিয়ে বিএনপি উদ্বিগ্ন নয়। ‘আমি আমার এলাকার মানুষকে বলেছি, কোনো কিছু করার দরকার নাই। আল্লাহর ওপর ভরসা রাখো। জনগণ জানে, শহীদ জিয়ার দল, বেগম খালেদা জিয়ার দল, তারেক রহমানের দল যতবারই ক্ষমতায় ছিল, বিশ্বাস ঘাতকতা করেনি।
তিনি আরও বলেন, অন্তর্বর্তী সরকার সুষ্ঠু নির্বাচন উপহার দিতে পারে, বাংলাদেশে আল্লাহ ছাড়া কোনো শক্তি নাই জনগণকে হারাতে পারে। কারণ বিএনপিই হচ্ছে বাংলাদেশের জনগণের দল।
পড়ুন: মৌচাকে লড়ির ধাক্কায় শিশুসহ ৫ জন আহত
ফারুক বলেন, বিএনপি ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারিক রহমান জুলাই-অগাস্টের ছাত্র আন্দোলনকে দেশের ১৮ কোটি মানুষের সর্বাত্মক সমর্থনে সফল করেছেন।
সভায় সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ স্বাধীনতা ঘোষক পরিষদ এর সভাপতি শেখ শামীম হাসান অনিক।
তিনি বলেন, ষড়যন্ত্র এখনো শেষ হয়নি। নির্বাচনকে বানচাল করার জন্য নানা পদ্ধতি, নানা কায়দা, পিআর, মব সৃষ্টির প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। এসব নির্বাচনের পথে বাধা দেওয়ার জন্য তৈরি করা একটি পরিকল্পনা।
ফারুক অভিযোগ করেন, আওয়ামী লীগ আবারো দিল্লির প্ররোচণায় বাংলাদেশের কিছু লোক যদি আবার আওয়ামী লীগের সাথে আতাঁত করে অন্তর্বর্তী সরকারের নির্বাচনকে বানচাল করার চেষ্টা করেন, জনগণ প্রতিহত করবে।
ফারুক আরও বলেন, শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের নাম মুছে ফেলার জন্য ১৬ বছর ধরে অনেক চেষ্টা করা হয়েছে। মানুষের হৃদয় থেকে শহীদ জিয়ার নাম মুছতে পারেনি। পাথর মেরে ছবি ভেঙে ফেলা যায়, কিন্তু হৃদয় থেকে নাম মুছে ফেলা যায় না।
১১৪ দিন আগে
নির্বাচন কমিশন সুষ্ঠু নির্বাচন নিশ্চিতে গণমাধ্যম নির্দেশিকা পর্যালোচনা করবে: ইসি মাসুদ
স্বচ্ছ নির্বাচন আয়োজনে সাংবাদিকদের গুরত্বপূর্ণ সহযোগিতার জন্য নির্দেশিকা পর্যালোচনা ও প্রয়োজনে সংশোধন করা হবে বলে জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
বৃহস্পতিবার (৪ সেপ্টেম্বর) নির্বাচন কমিশন এবং রিপোর্টার্স ফোরাম ফর ইলেকশন অ্যান্ড ডেমোক্রেসি (আরএফইডি) এর মধ্যে এক মতবিনিময় সভায় এই আশ্বাস দেওয়া হয়েছে।
সভায় নির্বাচনের সংবাদ পরিবেশনকারী সাংবাদিকরা ‘নির্বাচন সংবাদ পরিবেশন করার জন্য নিযুক্ত সাংবাদিক/গণমাধ্যম কর্মীদের জন্য নির্দেশিকা ২০২৫’ সংশোধনের দাবি জানান। ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারির প্রথম দিকে নির্ধারিত ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে ইসি গত জুলাইয়ে এই নির্দেশিকা প্রকাশ করেছে।
অনুষ্ঠানের বক্তব্যে নির্বাচন কমিশনার আবদুর রহমানেল মাসুদ বলেন, স্বচ্ছ নির্বাচন নিশ্চিত করতে সাংবাদিকদের সহযোগিতা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
তিনি বলেন, ‘আমরা সকলেই একটি স্বচ্ছ নির্বাচন চাই। এর জন্য আপনার সহযোগিতা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কোনো অন্যায়কে পৃষ্ঠপোষকতা দেওয়া হবে না। আমরা ভুল করতে পারি, কিন্তু আমরা কোনো অন্যায় সহ্য করব না। তাই, আমরা আপনার (সাংবাদিকদের) সহযোগিতা কামনা করছি।’
আরএফইডির লিখিত দাবি সম্পর্কে বলতে গিয়ে রহমানেল মাসুদ বলেন, নির্দেশিকায় পরিবর্তনের জন্য এই দাবিগুলো পর্যালোচনা করা হবে। ‘উভয় পক্ষের জন্য, জনগণের জন্য এবং একটি সুষ্ঠু ও স্বচ্ছ নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য আমরা যা ভালো তা করব।’
পড়ুন: নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার না হলে আ. লীগ নির্বাচন করতে পারবে না: ইসি সানাউল্লাহ
তিনি বলেন, তারা কোনো অন্যায় সহ্য করবে না, যদি ভুলও হয়। এই বিষয়ে সাংবাদিকদের সহযোগিতা কামনা করেন।
ইসি মাসুদ সাংবাদিক, নির্বাচন কমিশন, জনগণের সর্বোত্তম স্বার্থে এবং গণমাধ্যম আচরণবিধির প্রস্তাবিত সংশোধনী পর্যালোচনা করে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন নিশ্চিত করার জন্য পদক্ষেপ নেবেন।
নির্বাচন ঘিরে আস্থার ঘাটতি স্বীকার করে নির্বাচন কমিশনার মো. আনোয়ারুল ইসলাম সরকার বলেন, আসল সমস্যা হলো কেউই আস্থার অবস্থানে নেই।
তিনি বলেন, ‘আস্থার সংকট আমাদের জাতীয় সংকট। আমি নির্দ্বিধায় বলতে পারি না যে সবাই খারাপ এবং আমি ভালো। আর আপনি বলতে পারেন না যে আমি খারাপ এবং আপনি ভালো। এই পরিস্থিতিতে, আমাদের নির্বাচন কমিশন প্রথমেই যা বলছে- তা হলো- আস্থা ফেরাতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘আমাদের একে অপরের সঙ্গে সহযোগিতা করা উচিত- যাতে আমরা একটি ভালো নির্বাচন অনুষ্ঠান করতে পারি.... কারণ আমাদের সকলের মূল লক্ষ্য একই। আমি মনে করি আলোচনার মাধ্যমে পরবর্তীতে এগুলো সমাধান করা যেতে পারে।’
অনুষ্ঠানে আরও দুই নির্বাচন কমিশনার তাহমিনা আহমেদ এবং ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আব্দুল ফজল মো. সানাউল্লাহ এবং ইসির সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদও বক্তব্য দেন।
আরএফইডির সাধারণ সম্পাদক গোলাম রব্বানীর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আরএফইডির সভাপতি কাজী এমাদ উদ্দিন জেবেল সাংবাদিকদের কাঙ্ক্ষিত প্রস্তাবিত নির্দেশিকাগুলোর উপর একটি উপস্থাপনা করেন এবং ইসির কাছে তা হস্তান্তর করেন।
১১৫ দিন আগে
জামায়াত আমির ডা. শফিকুর রহমানের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন ইইউ রাষ্ট্রদূত মিলার
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. ডা. শফিকুর রহমানের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূত মাইকেল মিলার।
বৃহস্পতিবার (৪ সেপ্টেম্বর) সকাল ১১টায় বসুন্ধরাস্থ কার্যালয়ে তিনি সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন। এসময় রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন ডেপুটি হেড অব ডেলিগেশন বেইবা জেরিনা।
সৌজন্য সাক্ষাৎ ও মতবিনিময়কালে তারা বাংলাদেশ ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন। এসময় বাংলাদেশের গণতন্ত্রকে অর্থবহ করার বিষয়টিও অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে স্থান পায়। ভবিষ্যতে উভয়ের মধ্যে পারস্পরিক সম্পর্ক, উন্নয়ন ও অগ্রগতির ধারা অব্যাহত থাকবে বলে তারা আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন।
পড়ুন: ক্যান্সার হাসপাতালে এক কোটি টাকার অনুদান হস্তান্তর করল জামায়াত
রাষ্ট্রদূত জামায়াত আমিরের স্বাস্থ্যের খোঁজখবর নেন। সেপ্টেম্বরের মাঝামাঝি সময়ের দিকে জামায়াতে ইসলামীর সঙ্গে ইইউ’র উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধি দলের বৈঠক হওয়ার বিষয়েও আলোচনা হয়।
সাক্ষাৎকালে জামায়াত আমিরের সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন দলের নায়েবে আমির ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মো. তাহের ও জামায়াত আমিরের পররাষ্ট্রবিষয়ক অধ্যাপক ড. মাহমুদুল হাসান।
১১৫ দিন আগে
জিএম কাদের ও তার স্ত্রীর বিদেশযাত্রায় নিষেধাজ্ঞা
দুর্নীতি ও অর্থপাচারের অভিযোগে চলমান তদন্তের মধ্যে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ (জিএম) কাদের ও তার স্ত্রী শেরীফা কাদেরের বিদেশযাত্রায় নিষেধাজ্ঞা জারি করেছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার (০৪ সেপ্টেম্বর) দুদকের দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা আকতারুল ইসলাম এ তথ্য জানিয়েছেন।
ইউএনবিকে তিনি বলেছেন, নিষেধাজ্ঞা কার্যকর করতে এ সংক্রান্ত চিঠি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে পাঠানো হয়েছে।
গত ২৫ মার্চ সংরক্ষিত নারী আসনে মনোনয়ন প্রক্রিয়ায় অনিয়ম এবং দলের ভেতরে ‘পদ বাণিজ্যের’ মাধ্যমে কাদের অবৈধ সম্পদ গড়ে তুলেছেন— এমন অভিযোগে জিএম কাদেরের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান চালাচ্ছে দুদক। এ অনুসন্ধানের অংশ হিসেবে এ দম্পতির বিদেশ যাত্রায় নিষেধাজ্ঞা চেয়ে আদালতে আবেদন করা হয়।
অভিযোগে বলা হয়েছে, ২০১৮ সালের একাদশ সংসদ নির্বাচনের পর সংরক্ষিত নারী আসনে দলীয় মনোনয়ন প্রদানের বিনিময়ে ১৮ কোটি ১০ লাখ টাকা ঘুষ গ্রহণ করা হয়েছিল। এর মূল সুবিধাভোগী ছিলেন তৎকালীন ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জিএম কাদের।
চুক্তি অনুযায়ী অর্থ পরিশোধ না হওয়ায় অধ্যাপক মাসুদা এম রশীদ চৌধুরীকে দলীয় পদ থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয় এবং তার স্থলে সংসদ সদস্য হন শেরীফা কাদের।
আরও পড়ুন: জিএম কাদের ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে মামলা
দুদকের তথ্য অনুযায়ী, জিএম কাদের জালিয়াতির মাধ্যমে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হন এবং দলীয় পদ বাণিজ্য ও মনোনয়ন বাণিজ্যের মাধ্যমে বিপুল পরিমাণ অর্থ সংগ্রহ করেন যা পরবর্তীতে বিদেশে পাচার করা হয়। দলের কেন্দ্রীয় কমিটি ৩০১ সদস্যবিশিষ্ট হলেও বর্তমানে এতে ৬০০ থেকে ৬৫০ জনকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে যা পদ বাণিজ্যের প্রমাণ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।
দুদক মহাপরিচালক আক্তার হোসেন অভিযোগ, কাদের ভিন্ন ভিন্ন নামে সিঙ্গাপুর, লন্ডন ও সিডনিতে অর্থপাচার করেছেন।
২০২৪ সালের দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনে দাখিল করা হলফনামা অনুযায়ী, জিএম কাদেরের নামে নগদ ৪৯ লাখ ৮৮ হাজার টাকা, ব্যাংকে ৩৫ লাখ ৯৫ হাজার টাকা এবং ৮৪ লাখ ৯৮ হাজার টাকার একটি জিপ গাড়ি রয়েছে।
অন্যদিকে, তার স্ত্রী শেরীফা কাদেরের নামে নগদ ৫৯ লাখ ৫৯ হাজার টাকা, ব্যাংকে ২৮ লাখ ৯ হাজার টাকা এবং ৮০ লাখ টাকার একটি জিপ গাড়ি রয়েছে। এছাড়া তার স্থাবর সম্পদের মধ্যে লালমনিরহাট ও ঢাকায় জমি এবং ফ্ল্যাট অন্তর্ভুক্ত।
১৯৯৬ সাল থেকে একাধিকবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হওয়া কাদের বর্তমানে সংসদে বিরোধী দলের নেতা হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। এর আগে ২০০৯ থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত তিনি বেসামরিক বিমান ও পর্যটনমন্ত্রী এবং বাণিজ্যমন্ত্রীর দায়িত্বে ছিলেন।
১১৬ দিন আগে
খালেদা জিয়ার সঙ্গে বিদায়ী ফরাসি রাষ্ট্রদূতের সাক্ষাৎ
বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন ঢাকায় নিযুক্ত ফ্রান্সের বিদায়ী রাষ্ট্রদূত মেরি মাসদুপুই।
বুধবার (৩ সেপ্টেম্বর) রাত সাড়ে ৮টার দিকে রাজধানীর গুলশানে খালেদা জিয়ার কার্যালয়ে এ সাক্ষাৎ হয়।
বিএনপি মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
আরও পড়ুন: জন্মদিনে খালেদা জিয়াকে প্রধান উপদেষ্টার ফুলেল শুভেচ্ছা
তিনি জানান, রাষ্ট্রদূত মেরিকে ফুলের তোড়া দিয়ে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন খালেদা জিয়া। এ সময় তার স্বাস্থ্যের খোঁজখবর নেন এবং সুস্বাস্থ্য কামনা করেন বিদায়ী রাষ্ট্রদূত।
সাক্ষাৎকালে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান ও চেয়ারপারসনের ব্যক্তিগত চিকিৎসক এ জেড এম জাহিদ হোসেন উপস্থিত ছিলেন।
১১৬ দিন আগে
সুষ্ঠু নির্বাচন হলে ডাকসুতে ছাত্রদল বিজয়ী হবে: রিজভী
অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে ছাত্রদলের প্যানেলই বিজয়ী হবে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী।
বুধবার (৩ সেপ্টেম্বর) বিএনপির ৪৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে ঢাকা জেলা বিএনপি আয়োজিত আলোচনা সভা ও র্যালির আগে তিনি এ মন্তব্য করেন।
রুহুল কবির রিজভী বলেন, ছাত্রদল হলো আন্দোলন, সংগ্রাম ও নীতি-আদর্শের দল। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) শিক্ষার্থীরা যদি অবাধভাবে ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারে, তাহলে ছাত্রদলের প্যানেলই জয়ী হবে।
আগামী ফেব্রুয়ারিতে নির্ধারিত জাতীয় নির্বাচনে একটি স্বার্থান্বেষী গোষ্ঠী ভোটগ্রহণ প্রক্রিয়ায় প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করছে বলে দাবি রিজভীর।
তিনি বলেন, এখন হঠাৎ করে কোনো কোনো রাজনৈতিক দল অনেক কথা বলছে। পিআর পদ্ধতি কী? কোনো জনগণ বলতে পারবে? গ্রামের মানুষ, এ দেশের সাধারণ মানুষ বলতে পারবে? এটা কখনও ব্যবহার করা হয়নি। এটি তো জনগণ চায় না।সভায় উপস্থিত নেতাকর্মীদের উদ্দেশে তিনি প্রশ্ন রাখেন, আপনারা কি পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন চান? সঙ্গে সঙ্গে কর্মীরা না না বলে স্লোগান দেন।
জনগণ সরাসরি পদ্ধতিতেই নির্বাচন চায় বলে দাবি করেন রিজভী।
তিনি বিএনপি নেতাকর্মীদের সতর্ক থেকে নির্বাচনী প্রক্রিয়া ব্যাহত করার যেকোনো অপচেষ্টা প্রতিরোধের আহ্বান জানিয়েছেন।
আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন ঢাকা জেলা বিএনপির সভাপতি খোন্দকার আবু আশফাক এবং সঞ্চালনা করেন সাধারণ সম্পাদক নিপুণ রায়।
পরবর্তীতে, বিএনপির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে দোহার উপজেলা বিএনপির আয়োজনে একটি র্যালি অনুষ্ঠিত হয়।
১১৬ দিন আগে
নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার না হলে আ. লীগ নির্বাচন করতে পারবে না: ইসি সানাউল্লাহ
আওয়ামী লীগের কার্যক্রমের উপর থাকা নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার না করা হলে দলটি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে পারবে না বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ।
কার্যক্রম নিষিদ্ধ থাকা কোনো রাজনৈতিক দলের নেতারা আসন্ন সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে পারেন কিনা এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ‘রাজনৈতিক দল হিসেবে আওয়ামী লীগের কোনো কার্যক্রম পরিচালনার অনুমতি নেই। তাই, তারা সেই রাজনৈতিক দলের নামে যেকোনো ধরনের নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে পারবে না।’
বুধবার (৩ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর আগওরগাঁওয়ের নির্বাচন কমিশন ভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে নির্বাচন কমিশনার এ কথা বলেন।
নির্বাচন কমিশনার জনপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫-এর খসড়ায় পরিবর্তনগুলো উত্থাপন করার সময় এই মন্তব্য করেন।
আগামী ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারির শুরুর দিকে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া ত্রয়োদশ জাতীয় নির্বাচনের আগে আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো এই আইনের খসড়াটি অধ্যাদেশ হিসেবে আইনে রূপান্তরিত হবে।
পড়ুন: নির্বাচনে ‘না ভোট’ দেওয়ার সুযোগ রাখার খসড়া আইন ইসির
কার্যক্রম নিষিদ্ধ থাকা দলের নেতারা স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারবেন কিনা এমন আরেকটি প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, তারা দলের প্রতীক ছাড়া নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন কিনা তা সময়ই বলে দেবে।
খসড়া আরপিও-তে পরিবর্তনগুলো তুলে ধরে সানাউল্লাহ বলেন, যদি কোনো রাজনৈতিক দলকে 'অবৈধ বা বাতিল' ঘোষণা না করা হয় কিন্তু সরকার তার কার্যক্রম স্থগিত করে, তবে সেক্ষেত্রে সেই রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন এবং তার জন্য সংরক্ষিত প্রতীক স্থগিত থাকবে।
পলাতকদের নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা নিষিদ্ধ করার প্রস্তাব করে নির্বাচন কমিশন খসড়া আরপিও (সংশোধন) অধ্যাদেশ চূড়ান্ত করেছে।
সানাউল্লাহ বলেন, যেকোনো আদালতে পলাতক ঘোষণা করা ব্যক্তি নির্বাচনের জন্য বা (সংসদের) সদস্য হওয়ার জন্য অযোগ্য হবেন।
২০২৫ সালের ১২ মে সন্ত্রাসবিরোধী আইনের অধীনে সরকার একটি গেজেট বিজ্ঞপ্তি জারি করে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ এবং এর সহযোগী সংগঠনগুলোর সকল কার্যক্রম নিষিদ্ধ করেছে। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল (আইসিটি) দলের নেতা-কর্মীদের বিচার সম্পন্ন করা পর্যন্ত এই নিষেধাজ্ঞা বলবৎ থাকবে।
পড়ুন: নির্বাচনে অন্য কোনো দেশকে থাবা মারার সুযোগ দেওয়া হবে না : প্রধান উপদেষ্টা
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগ গেজেট বিজ্ঞপ্তি জারির পর নির্বাচন কমিশন (ইসি) আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক দল হিসেবে নিবন্ধন স্থগিত করে।
সরকারের বিজ্ঞপ্তি অনুসারে, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে এই সংগঠনগুলোর নেতা-কর্মীদের বিচার সম্পন্ন না হওয়া পর্যন্ত আওয়ামী লীগ এবং এর সহযোগী ও সমমনা সংগঠনগুলোর সকল কার্যক্রম নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, আওয়ামী লীগ বা এর সহযোগী সংগঠনগুলোর আয়োজিত যেকোনো ধরণের প্রকাশনা, গণমাধ্যম সম্পৃক্ততা, অনলাইন এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচারণা, সমাবেশ, সভা, সমাবেশ এবং সম্মেলন কঠোরভাবে নিষিদ্ধ।
১১৬ দিন আগে