রাজনীতি
ইসির আন্দোলন বন্ধ করতে চাওয়া নজিরবিহীন ও গণবিরোধী: রিজভী
১৮ ডিসেম্বর থেকে ৭ জানুয়ারির মধ্যে রাজনৈতিক সমাবেশ নিষিদ্ধ করতে অনুরোধ জানিয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে নির্বাচন কমিশনের চিঠি পাঠানোর সিদ্ধান্ত 'নজিরবিহীন ও গণবিরোধী বলে অভিহিত করেছেন বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
চিঠির নিন্দা জানিয়ে রিজভী বলেন, 'আওয়ামী লীগের অধীনস্থ ও বিতর্কিত রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানে পরিণত হওয়া নির্বাচন কমিশন সম্প্রতি নজিরবিহীন ও গণবিরোধী সিদ্ধান্ত নিয়েছে।’
আগামী ১৮ ডিসেম্বর থেকে নির্বাচনের দিন পর্যন্ত নির্বাচনী প্রচারণা ব্যতীত অন্য কোনো রাজনৈতিক কর্মসূচি বা সমাবেশের অনুমতি না দিতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে অনুরোধ করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
মঙ্গলবার (১২ ডিসেম্বর) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সচিবের কাছে পাঠানো এক চিঠিতে এ অনুরোধ জানানো হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৪ ডিসেম্বর) এর প্রতিক্রিয়ায় রিজভীর সই করা এক বিবৃতিতে এ কথা জানায় বিএনপি।
বিএনপির এই নেতা বলেন, পক্ষপাতদুষ্ট ও অযোগ্য নির্বাচন কমিশন আসন ভাগাভাগির মাধ্যমে ২০২৪ সালের ৭ জানুয়ারি ‘ডামি’ নির্বাচন আয়োজনের গণবিরোধী সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
রিজভী বলেন, নির্বাচন কমিশনের প্রতি কেন ব্যাপক অবিশ্বাস রয়েছে এবং কেন লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরি করা বা এর অধীনে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন করা সম্ভব হচ্ছে না, তা এখন স্পষ্ট হয়েছে।
আরও পড়ুন: শহীদ বুদ্ধিজীবীদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন বিএনপির
বিবৃতিতে তিনি বলেন, জনগণের মুক্ত ও স্বাধীনতার আকাঙ্ক্ষাকে দমন করার জন্য দুঃশাসন, দুর্নীতি ও নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের অসহনীয় মূল্যবৃদ্ধির মধ্যে গণতন্ত্রপন্থী সকল শক্তি এই অন্যায্য পদক্ষেপের নিন্দা জানাচ্ছে।
এর আগে মেরুদণ্ডহীন নির্বাচন কমিশন ফ্যাসিবাদী সরকারের নির্দেশনা মেনে রাজনৈতিক দলগুলোকে নিবন্ধন ও ভুয়া সংগঠনগুলোকে নির্বাচন পর্যবেক্ষক হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে।
রিজভী বলেন, 'তথাকথিত' রাজনৈতিক দল তৈরি করে এবং দেশি-বিদেশি নির্বাচন পর্যবেক্ষক নিয়োগ দিয়ে আওয়ামী লীগ ও নির্বাচন কমিশনের প্রতারণার চেষ্টা জাতির সামনে উন্মোচিত হয়েছে।
এর আগে মেরুদণ্ডহীন নির্বাচন কমিশন ফ্যাসিবাদী সরকারের নির্দেশনা মেনে রাজনৈতিক দলগুলোর নিবন্ধন ও ভুয়া সংগঠনগুলোকে নির্বাচন পর্যবেক্ষক হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে বলেও অভিযোগ করেন রিজভী।
আরও পড়ুন: অবশেষে চিকিৎসার জন্য ভারতে গেলেন বিএনপি নেতা হাফিজ উদ্দিন
বিএনপির চলমান 'শান্তিপূর্ণ ও অহিংস' আন্দোলনকে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের সংগ্রাম আখ্যায়িত করে রিজভী কমিশনের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের আহ্বান জানান।
তিনি বলেন,‘রাজনৈতিক কর্মসূচি বন্ধের নতুন প্রচেষ্টায় আমরা উদ্বেগ ও নিন্দা জানাচ্ছি। গণতান্ত্রিক মত প্রকাশের অধিকার খর্ব করার এই অশুভ উদ্যোগ বাংলাদেশে চলমান রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও কূটনৈতিক সংকটকে আরও তীব্র করে তুলবে।’
নির্বাচনে অংশগ্রহণ থেকে বিরত থাকা যেকোনো ব্যক্তি বা দলের গণতান্ত্রিক অধিকার হলেও বিএনপি নির্বাচনে অংশগ্রহণের বিরোধী নয়।
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা বিশ্বাস করি, অবাধ, সুষ্ঠু, অংশগ্রহণমূলক ও বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন হলে বিএনপির নিরঙ্কুশ বিজয় অনিবার্য।’
রিজভী বলেন, গণতন্ত্রকামী সব রাজনৈতিক দলের অংশগ্রহণে বিএনপি একযোগে আন্দোলন করছে।
তিনি বলেন, জনগণের আশা-আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন ঘটাতে বিএনপিসহ ৬৩টি রাজনৈতিক দল নির্বাচন বর্জন করেছে।
১২ কোটি ভোটারের ভোটাধিকার পুনরুদ্ধারের মাধ্যমে নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ ও নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে আমাদের শান্তিপূর্ণ ও ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন অব্যাহত থাকবে এবং আরও জোরদার হবে।
আরও পড়ুন: ৭ জানুয়ারির নির্বাচনের ফলাফল নির্ধারণ করছে সরকার: ড. মঈন খান
৭৪৫ দিন আগে
বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করে জাতিকে পঙ্গু করা যায়নি: হাছান মাহমুদ
বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করে জাতিকে পঙ্গু করা যায়নি বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ।
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের স্বাধীনতা যখন আসন্ন, পাকিস্তানি হানাদারবাহিনী তখন উপলব্ধি করতে পেরেছিল বাংলাদেশ স্বাধীনতা অর্জন করতে যাচ্ছে। তাই জাতিকে পঙ্গু করার উদ্দেশ্যেই ১৪ ডিসেম্বর জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের হত্যা করা হয়েছিল। তবে তাদের হত্যা করেও বাঙালি জাতিকে পঙ্গু করা যায়নি।’
বৃহস্পতিবার (১৪ ডিসেম্বর) শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসের সকালে রায়েরবাজার বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের দলীয় শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।
এসময় হাছান মাহমুদ বলেন, ‘শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসে যাদেরকে হত্যা করা হয়েছিল, বাঙালি জাতির স্বাধীনতার লক্ষ্যে মনন তৈরি করতে বঙ্গবন্ধুর সহযোগী হিসেবে তারা তাদের লেখনী, বক্তব্যের মাধ্যমে ও নানাভাবে কাজ করেছিলেন।’
তিনি বলেন, ‘গত ৫২ বছরের বেশি সময়ের এই পথ চলায় বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন বাস্তবায়নের পথে বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ আজ বহুদূর এগিয়ে গেছে।’
আরও পড়ুন: বিএনপি আন্ডারগ্রাউন্ড সংগঠনে রূপান্তরিত হয়েছে: তথ্যমন্ত্রী
তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশে যদি বিএনপি-জামায়াতের নেতৃত্বে অপরাজনীতি, সাম্প্রদায়িকতা আশ্রয়ী রাজনীতি, জ্বালাও-পোড়াও ও ধংসাত্মক রাজনীতি না থাকত আমরা বঙ্গবন্ধুর সব স্বপ্ন এতদিনে বাস্তবায়ন করতে পারতাম।’
তিনি বলেন, ‘বিশেষ করে যারা স্বাধীনতা চায়নি, স্বাধীনতাকামী মুক্তিযোদ্ধাদের বিরুদ্ধে যারা পাকিস্তানিদের হয়ে যুদ্ধ করেছে; সেই জামায়াতে ইসলামীকে সঙ্গে নিয়ে বিএনপি অপরাজনীতি করছে। এই অপরাজনীতি যদি দেশে না থাকত, দেশ আজ বহুদূর এগিয়ে যেতে পারত।’
হাছান মাহমুদ বলেন, ‘আজ বাংলাদেশ পৃথিবীর কাছে একটি গর্বিত জাতি এবং সারাবিশ্ব এই দেশের প্রশংসায় পঞ্চমুখ। অথচ দুঃখের বিষয় এখনও বাংলাদেশে সাম্প্রদায়িক রাজনীতি হয়।’
তিনি বলেন, ‘শেখ হাসিনাই যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করেছেন। আমরা যখন বিচারের ঘোষণা দিলাম তখন অনেকেই ভেবেছে এই বিচার হবে না। বিচার কার্যক্রম শুরুর পরও অনেকেই ভেবেছে কার্যক্রম শুরু হলেও শেষ হবে না। আবার রায় হওয়ার পরেও অনেকে ভেবেছিল রায় হলেও বাস্তবায়ন হবে না। কিন্তু সবাইকে অবাক করে দিয়ে পৃথিবীর অনেক বড় রাষ্ট্রের রক্তচক্ষু এবং অনেক চাপকে উপেক্ষা করে শেখ হাসিনা যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করেছেন এবং বিচারের রায় বাস্তবায়ন করেছেন। শেখ হাসিনা দেশ পরিচালনার দায়িত্বে থাকলে সব মানবতাবিরোধী অপরাধীদের বিচার হবে এবং বিচারের রায়ও কার্যকর হবে।’
আরও পড়ুন: মানবাধিকার লঙ্ঘনকারীরাই মানবাধিকারের কথা বলে, প্রেসক্রিপশন দেয়: তথ্যমন্ত্রী
বিএনপি বিশৃঙ্খলা করলে দাঁতভাঙা জবাব দেবে মানুষ: তথ্যমন্ত্রী
৭৪৫ দিন আগে
৭ জানুয়ারির নির্বাচনের ফলাফল নির্ধারণ করছে সরকার: ড. মঈন খান
বিএনপির সিনিয়র নেতা ড. আবদুল মঈন খান বলেছেন, ভোটের আগে আসন বণ্টনের মাধ্যমে সরকার ৭ জানুয়ারির নির্বাচনের ফলাফল নির্ধারণ করছে।
তিনি বলেন, ‘জানুয়ারিতে নির্ধারিত নির্বাচনটি কোনো নির্বাচনই হতে পারে না। কারণ খোলাখুলিভাবে ভোট ও আসন ভাগাভাগি চলছে। এই নির্বাচনের ফলাফল ঢাকায় (সরকার দ্বারা) নির্ধারণ করা হচ্ছে। এখন যা হচ্ছে তা নির্বাচন না, সুবিধাভোগীদের মধ্যে সুবিধা বিতরণের মতো কিছু একটা।’
বৃহস্পতিবার (১৪ ডিসেম্বর) রাজধানীর মিরপুরে শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।
এসময় আবদুল মঈন খান বলেন, সরকার আসন বণ্টনের এমন নির্বাচন করে জাতির ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করছে।
তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশন (ইসি) এখন রাজধানীতে সরকারের ঠিক করা ফলাফল ৭ জানুয়ারি ঘোষণা করবে।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য আরও বলেন, ‘তাই বাংলাদেশের ১৮ কোটি মানুষের কাছে আজ স্পষ্ট হয়ে গেছে যে ৭ জানুয়ারি কোনো নির্বাচন হবে না।’
আরও পড়ুন: ক্ষমতাসীন দলের এমপি-মন্ত্রীদের হাতে আলাদিনের বাতি আছে: রিজভী
শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে মিরপুরে শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে ফুল দিয়ে বুদ্ধিজীবীদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন ড. আবদুল মঈন খানসহ দলের কয়েকজন জ্যেষ্ঠ নেতা।
এসময় ড. মঈন বলেন, ‘বুদ্ধিজীবীদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে আমরা সরকারের কাছে সংঘাতের পথ ত্যাগ করার আহ্বান জানাই। এদেশের মানুষ শান্তি ভালোবাসে এবং তারা শান্তিতে থাকতে চায়... শান্তিপূর্ণভাবে রাজনৈতিক অচলাবস্থার অবসান ঘটাতে সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য পদত্যাগ করুন।’
তিনি বলেন, বিএনপি দীর্ঘদিন ধরে রাজপথে আছে এবং জনগণের ভোটের অধিকার ফিরিয়ে না দেওয়া পর্যন্ত থাকবে।
দেশ স্বাধীনের ৫০ বছরের বেশি সময় পার হলেও আওয়ামী লীগ শাসনামলে একদলীয় শাসন প্রতিষ্ঠিত হওয়ায় জনগণের বাকস্বাধীনতা, ভোটাধিকার ও গণতান্ত্রিক অধিকার নেই বলে দুঃখ প্রকাশ করেন বিএনপি নেতা।
তিনি বলেন, ‘মানুষ (বিএনপির) এখন নিজেদের ঘরে থাকতে পারে না, ভিন্নমত প্রকাশ করতে পারে না। সবাইকে এখন বাকশালের (একদলীয় সরকার) পক্ষে কথা বলতে হবে।’
এই বিএনপি নেতা বলেন, যারা একদলীয় সরকারের বিরুদ্ধে আওয়াজ তোলে, তারা গুম, রাজনৈতিক হত্যা এবং দমন-নিপীড়নের শিকার হচ্ছে।
আরও পড়ুন: বিএনপি নেতা-কর্মীদের ‘পক্ষপাতদুষ্ট’ বিচারকের মাধ্যমে শাস্তি দিচ্ছে সরকার: রিজভী
তিনি বলেন, সরকার বুলেট, টিয়ারগ্যাস ও সাউন্ড গ্রেনেড দিয়ে জনগণকে আটকানোর চেষ্টা করতে পারে। কিন্তু গত দেড় বছর ধরে বিএনপি যেভাবে একদলীয় সরকারের বিরুদ্ধে গণতান্ত্রিক ও শান্তিপূর্ণভাবে প্রতিবাদ জানাচ্ছে, তা তারা অব্যাহত রাখবে।
ড. মঈন বলেন, ‘আমরা চাই বাংলাদেশে এই রাজনৈতিক সংঘাত শান্তিপূর্ণভাবে শেষ হোক। সরকার দাবি করে তারা ব্যাপক উন্নয়ন করেছে, তাহলে তারা অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন করতে ভয় পাচ্ছে কেন?’
এসময় তিনি সরকারের প্রতি বিধিনিষেধ ও দমন-পীড়নের পথ ছেড়ে জনগণের মুখোমুখি হওয়ার আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, ‘সব মৌলিক অধিকার ফিরিয়ে আনুন এবং একটি সুষ্ঠু ও বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন করুন। সুষ্ঠু নির্বাচনে জয়ী হলে আমিই সবার আগে আপনাদের অভিনন্দন জানাব। কিন্তু বাস্তবতা হলো, আপনারা দেশের জনগণকে এবং সুষ্ঠু নির্বাচনকে ভয় পান।’
আরও পড়ুন: বিএনপি নেতা-কর্মীরা কারাগারে নির্যাতনের শিকার হচ্ছেন: রিজভী
৭৪৫ দিন আগে
অবশেষে চিকিৎসার জন্য ভারতে গেলেন বিএনপি নেতা হাফিজ উদ্দিন
বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মেজর (অবসরপ্রাপ্ত) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ চিকিৎসার জন্য ভারতে গেছেন।
বৃহস্পতিবার (১৪ ডিসেম্বর) বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান এই তথ্য জানান।
তিনি বলেন, দুপুর আড়াইটার দিকে এয়ার ইন্ডিয়ার একটি ফ্লাইটে তিনি হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ত্যাগ করেছেন।
শনিবার দিল্লির ফোর্টিস হাসপাতালে বিএনপি নেতার হাঁটুর অস্ত্রোপচার হওয়ার কথা রয়েছে বলেও জানান শায়রুল কবির।
হাফিজ ও তার স্ত্রী দিলারা হাফিজের গত মঙ্গলবার দিল্লি যাওয়ার কথা ছিল। হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষ হাফিজকে ভারতে যেতে বাধা দিলেও তার স্ত্রীকে সেখানে যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন: ক্ষমতাসীন দলের এমপি-মন্ত্রীদের হাতে আলাদিনের বাতি আছে: রিজভী
হাফিজ উদ্দিনের বিদেশ যাত্রায় বাধা দেওয়ার বিরুদ্ধে বুধবার (১৩ নভেম্বর) হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হয়। এদিকে আজ তিনি দিল্লি গেছেন।
তফসিল ঘোষণার আগে তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ সাংবাদিকদের বলেছিলেন, হাফিজ উদ্দিনসহ অনেক নেতা বিএনপি ছেড়ে নতুন দলে যোগ দেবেন।
পরে গত ৮ নভেম্বর বনানীর বাসায় এক সংবাদ সম্মেলনে হাফিজ উদ্দিন বলেন, তিনি শিগগিরই রাজনীতি থেকে অবসর নেবেন এবং বিএনপিকে বিভক্ত করে নতুন দল গঠনের জল্পনা উড়িয়ে দেন।
তিনি সংবাদ সম্মেলনে বলেন, 'আমি শারীরিকভাবে সক্রিয় রাজনীতিতে অংশ নিতে পারি না। আমি শিগগিরই অবসর নেব... এখন আমার অগ্রাধিকার আমার স্বাস্থ্য। এটা সত্য নয় যে আমি একটি নতুন রাজনৈতিক দল গঠন করব। আমি এই মুহূর্তে রাজনীতিতে সক্রিয় নই। বিএনপি নির্বাচনে অংশ নিলে আমি অংশ নেব। আমি এখনো বিএনপির সঙ্গে আছি এবং দলের সঙ্গেই থাকব।’
আরও পড়ুন: শহীদ বুদ্ধিজীবীদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন বিএনপির
৭৪৫ দিন আগে
শহীদ বুদ্ধিজীবীদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন বিএনপির
শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে বৃহস্পতিবার (১৪ ডিসেম্বর) রাজধানীর মিরপুরে শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে ফুল দিয়ে শহীদ বুদ্ধিজীবীদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েছে বিএনপি।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খানসহ দলের কয়েকজন জ্যেষ্ঠ নেতা শহীদদের সমাধিতে ফুল দেন এবং দেশের জন্য প্রাণ দেওয়া মহান জাতীয় বীরদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে কিছুক্ষণ নীরবতা পালন করেন।
এ সময় বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন, যুগ্ম মহাসচিব মাহবুবউদ্দিন খোকন, কেন্দ্রীয় নেতা আব্দুল হাই সিকদার, মোস্তাফিজুর রহমান বাবুল, তাইফুল ইসলাম টিপু, রফিক শিকদার, আবেদ রেজা, কাদের গণি চৌধুরী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
এ উপলক্ষে সকালে বিএনপি জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত রাখে এবং সব কার্যালয়ে কালো পতাকা উত্তোলন করে।
তবে বিএনপির নয়াপল্টন কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের কলাপসিবল গেট এখনও বাইরে থেকে তালাবদ্ধ থাকায় দলের নেতা-কর্মীদের দলীয় কার্যালয়ে আসতে দেখা যায়নি।
২৮ অক্টোবরের জনসভাকে কেন্দ্র করে ঘটা সহিংসতার জেরে বিএনপির কার্যালয় বন্ধ করে দেওয়া হয়।
এদিকে, দিবসটি উপলক্ষে জাতীয় প্রেস ক্লাবে এক আলোচনা সভার আয়োজন করে বিএনপিপন্থী পেশাজীবীদের সংগঠন বাংলাদেশ স্মৃতি পেশাজীবী পরিষদ।
শিক্ষাবিদ, সাংবাদিক, অন্যান্য পেশাজীবী ও বিএনপি নেতা-কর্মীদের অংশগ্রহণে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খান।
১৯৭১ সালের ১৪ ডিসেম্বর রাতে ঢাকায় শিক্ষাবিদ, সাংবাদিক, সাহিত্যিক, লেখক, চিকিৎসক, বিজ্ঞানী, আইনজীবী, শিল্পী, দার্শনিক ও রাজনৈতিক চিন্তাবিদসহ দুই শতাধিক বুদ্ধিজীবীকে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী তাদের স্থানীয় সহযোগীদের সহায়তায় ঢাকায় তুলে নিয়ে যায়।
৭৪৫ দিন আগে
ক্ষমতাসীন দলের এমপি-মন্ত্রীদের হাতে আলাদিনের বাতি আছে: রিজভী
নির্বাচন কমিশনে জমা দেওয়া হলফনামায় ক্ষমতাসীন দলের অনেক প্রার্থীর সম্পদের যে ঘোষণা দেখানো হয়েছে তা আলাদিনের প্রদীপের গল্পের মতো বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
তিনি বলেন, দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) এসব আর্থিক বিবরণী সম্পর্কে সম্পূর্ণ নীরব, কারণ এটি কেবল বিরোধী দলের নেতা ও ভিন্নমতাবলম্বীদের নিপীড়ন ও হয়রানির হাতিয়ারে পরিণত হয়েছে।
বুধবার(১৩ ডিসেম্বর) এক ভার্চুয়াল প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: বিএনপি নেতা-কর্মীদের ‘পক্ষপাতদুষ্ট’ বিচারকের মাধ্যমে শাস্তি দিচ্ছে সরকার: রিজভী
বিএনপির এই নেতা আরও বলেন, ‘আসন্ন একদলীয় ও নাটকীয় নির্বাচনে তাদের (আওয়ামী লীগের) মন্ত্রী, সংসদ সদস্য, ডামি ও সুবিধাভোগী ও স্বতন্ত্র প্রার্থীদের হলফনামা আরবি রূপকথার বিখ্যাত আলাদিনের চেরাগের কথা মনে করিয়ে দেয়।’
তিনি আরও বলেন, ক্ষমতাসীন দলের অনেক প্রার্থী তাদের হলফনামায় বিদেশের উঁচু এলাকায় বাড়ি, গাড়ি, অ্যাপার্টমেন্ট দেখিয়েছেন এবং ডুপ্লেক্স সহ আরও অনেক কিছু তাদের হলফনামায় প্রমাণিত হয়েছে যে তারা স্বর্গে বাস করছেন।
রিজভী বলেন, ‘ভোট ডাকাতির মন্ত্রী এমপিরা এবং ক্ষমতাসীন দলের নেতারা গত ১৫ বছরে বিপুল সম্পদ ও নগদ অর্থ সংগ্রহ করেছেন।’
তিনি আরও বলেন, ‘তাদের স্ত্রী, সন্তান ও শ্বশুরবাড়ির লোকজনও অস্বাভাবিক ধনী হয়েছে।’
রিজভী বলেন, সাধারণ ব্যবসায়ীরা ক্ষতির সম্মুখীন হলেও আওয়ামী ‘ফ্যাসিবাদী’ রাজনীতিবিদদের কোনো ক্ষতি নেই।
বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘আওয়ামী রাজনীতি এমন একটি ব্যবসায় পরিণত হয়েছে যেখানে কোনো ঝুঁকি নেই, লোকসানের ঝুঁকি নেই। তারা যে ব্যবসাই করুক না কেন, তারা শুধু মুনাফা অর্জন করে। তাদের কেউই শেয়ার ব্যবসায় লোকসানের সম্মুখীন হননি। কৃষি ও মাছের ব্যবসায়ও তারা অনেক বার লাভবান হয়েছে। স্ত্রীরাও কোটি কোটি টাকা ও সম্পদ উপার্জন করে স্বামীর ব্যবসা রক্ষণাবেক্ষণ করেছেন।’
রিজভী আরও বলেন, ‘ক্ষমতাসীন দলের নেতারা আওয়ামী লীগের ম্যাজিক স্টিকের ছোঁয়ায় সম্পদের পাহাড় ও গাড়ির বহর গড়ে তুলেছেন। ১০ বছর আগে যেসব মন্ত্রীর বার্ষিক আয় এক লাখের নিচে ছিল, তারা এখন কোটি কোটি টাকার মালিক।’
তিনি আরও বলেন, ‘ক্ষমতাসীন দলের নেতারা আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার জন্য নির্বাচন কমিশনে জমা দেওয়া হলফনামায় এখনও তাদের মূল সম্পদের খুব কম সম্পদ দেখিয়েছেন। তারা তাদের হলফনামায় অবৈধভাবে অর্জিত অর্থ, বিদেশে সেকেন্ড হোম এবং বিদেশে পাচার করা অর্থের কথা উল্লেখ করেননি।’
বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘যারা আওয়ামী লীগের রাজনীতি করে তাদের লক্ষ্য লুটপাটের মাধ্যমে অবৈধ সম্পদের পাহাড় গড়ে তোলা। হলফনামায় লুটেরাদের সামান্য সম্পদই বেরিয়ে এসেছে। সংসদ সদস্য, মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী ও স্বতন্ত্র প্রার্থীরাও তাদের সম্পদের অনেক তথ্য গোপন করেছেন।’
তিনি বলেন, ‘ক্ষমতাসীন দলের নেতাদের অবৈধভাবে অর্জিত সম্পদের বিষয়ে দুদক নীরব, কারণ তারা প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে কাজ করে। আওয়ামী লুটেরাদের সম্পদ দেখে তারা অন্ধ হয়ে যায়।’
বিএনপির এই নেতা আরও বলেন, ‘দুদককে একটি দলীয় প্রতিষ্ঠানে পরিণত করা হয়েছে কারণ এর বর্তমান কাজ হচ্ছে বিএনপি নেতা ও ভিন্নমতাবলম্বীদের খুঁজে বের করা।’
তিনি দাবি করেন, বুধবার বিকাল ৫টা পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় ৩৪০ জনের বেশি নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: বিএনপি নেতা-কর্মীরা কারাগারে নির্যাতনের শিকার হচ্ছেন: রিজভী
বিএনপি নেতা রিজভীর সমাবেশ থেকে গাড়িতে ইটপাটকেল নিক্ষেপ পিকেটারদের
৭৪৬ দিন আগে
সিলেটের রাজনৈতিক ঐতিহ্যকে ধরে রাখতে চাই: মোমেন
সিলেট-১ আসনে জাতীয় পার্টির মনোনীত প্রার্থী হয়েও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেনের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন মহানগর জাতীয় পার্টির আহ্বায়ক নজরুল ইসলাম বাবুল।
বুধবার (১৬ ডিসেম্বর) বিকালে সিলেটে জাপা নেতার ব্যবসায়িক কার্যালয়ে যান পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন। পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ সময় নজরুল ইসলামের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন তাকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানান।
এসময় পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেন, এই মানুষের (বাবুল) আমার কোনো ব্যক্তিগত সখ্য নেই। নির্বাচন বিষয়ে তার সঙ্গে কোনো আলাপও হয়নি। কিন্তু আমার জন্য তিনি দলীয় সিদ্ধান্তকে উপেক্ষা করে সিলেট-১ আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন না। তাই আমার মনে হলো- তার সঙ্গে একবার দেখা করে কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ জানানো দরকার।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘সিলেটে একটি রাজনৈতিক ঐতিহ্য রয়েছে। এখানে ভিন্ন মত-দলকে আমরা কখনো অসম্মান করি না। এটাকে ধরে রাখতে চাই। আমাদের চিন্তাধারায় ভিন্নতা থাকতে পারে তবে আমরা একই শহরের মানুষ।’
আরও পড়ুন: জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠকে বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেবেন মোমেন
পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, তিনি (বাবুল) সদ্য অনুষ্ঠিত সিসিক নির্বাচনে মেয়র পদে দাঁড়িয়ে নৌকার প্রার্থীর বিপক্ষে প্রায় ৬০ হাজার ভোট পেয়েছেন। সেটি কম কথা নয়। তিনি চাইলেই সিলেট-১ আসনে আমার বিরুদ্ধে লড়তে পারতেন। কিন্তু আমার জন্য সরে দাঁড়িয়েছেন। তার এই আত্মত্যাগ সিলেটের সম্প্রীতির রাজনীতির একটি অনন্য উদাহরণ।
এ সময় জাতীয় পার্টি নেতা নজরুল ইসলাম বাবুল বলেন, পররাষ্ট্রমন্ত্রীর পরিবার একটি অভিজাত পরিবার। তার ভাই সাবেক অর্থমন্ত্রী মরহুম আবুল মাল আব্দুল মুহিত সিলেটের উন্নয়নের অনেক কিছু করেছেন। তিনিও অসামান্য অবদান রেখে চলেছেন সিলেটের জন্য। এ অবস্থায় সিলেট-১ আসনে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বিরুদ্ধে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা আমার পক্ষে উচিত মনে করিনি। তাই দলীয় সিদ্ধান্তকে উপেক্ষা করেই আমি নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়িয়েছি। এতে যদি দল আমাকে বহিষ্কার করে, তবুও আমার কিছু যায় আসে না।
আরও পড়ুন: অযৌক্তিক রাজনৈতিক চাপের মধ্যে গঠনমূলক ও সহযোগিতামূলক ভূমিকা চেয়ে জাতিসংঘে মোমেনের চিঠি
৭৪৬ দিন আগে
আচরণবিধি লঙ্ঘন: ফরিদপুর-৪ আসনের কাজী জাফর উল্লাহকে শোকজ
আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগে ফরিদপুর-৪ আসনের আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী কাজী জাফর উল্লাহকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছে।
তিনি আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও নির্বাচন পরিচালনা কমিটির কো-চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
বুধবার (১৩ ডিসেম্বর) নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটির চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মঈন উদ্দীন চৌধুরী স্বাক্ষরিত এক নোটিশ দিয়ে কাজী জাফর উল্লাহকে কারণ দর্শাতে নির্দেশ দেওয়া হয়।
নোটিশে আওয়ামী লীগের প্রার্থীকে হাজির হয়ে লিখিত ব্যাখ্যা দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন: নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন: ফেনীতে নৌকার প্রার্থীকে শোকজ
একই আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী মজিবুর রহমান চৌধুরীর অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে তাকে এই কারণ দর্শাতে নির্দেশ দিয়েছে নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটি।
নোটিশে বলা হয়েছে, অনুমতি ছাড়া সংসদীয় এলাকায় সভা করে প্রতিপক্ষকে হেয় করা হয়েছে। এছাড়া নির্বাচনী প্রচার ও প্রচারণার আগেই নিজ দলের প্রতীকে ভোট প্রার্থনা করেছেন যা, রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীর আচরণ বিধিমালা, ২০০৮ এর বিধি ১১(ক) এর পরিপন্থী।
একইসঙ্গে, আপনি উক্ত সভা সম্পর্কে যথাযথ কর্তৃপক্ষের কাছে লিখিত অনুমতি গ্রহণ ও স্থানীয় পুলিশ কর্তৃপক্ষকে অবহিত না করে সভায় অংশ গ্রহণ করে ওই বিধিমালার বিধি ৬(খ) ও ৬(গ) লঙ্ঘন করেছেন মর্মে প্রতীয়মান হয়।
নোটিশে আরও বলা হয়, জাফর উল্লাহ সংসদীয় নির্বাচনে রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীর আচরণ বিধিমালা, ২০০৮ এর বিধি ১১(ক), ৬(খ) ও ৬(গ) এর বিধান এবং তৎসহ বিধি ১২ এর বিধান লঙ্ঘন করেছেন যা নির্বাচনপূর্ব অনিয়ম হিসেবে গণ্য করে।
এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের নিমিত্ত কেন বিষয়টি নির্বাচন কমিশনের কাছে পাঠানো হবে না- সেই মর্মে ১৪ ডিসেম্বর (বৃহস্পতিবার) বিকেল সাড়ে ৩টার মধ্যে নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটির অস্থায়ী কার্যালয় যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ, দ্বিতীয় আদালত, জেলা ও দায়রা জজ্ঞ আদালত, ফরিদপুর এ ব্যক্তিগতভাবে হাজির হয়ে লিখিত ব্যাখ্যা দিতে নির্দেশ দেওয়া হলো।
এ বিষয়ে কাজী জাফর উল্লাহর সহকারী একান্ত সচিব মামুনুর রশিদ বলেন, নোটিশটি আমরা হাতে পাইনি, পেলে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
আরও পড়ুন: আপত্তিকর বক্তব্য দেওয়ায় বেলকুচি পৌরসভার মেয়রকে শোকজ
নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন: নওগাঁয় ২ প্রার্থীকে শোকজ
৭৪৬ দিন আগে
রেললাইন কাটা, গাড়িতে আগুন দিয়ে মানুষ পোড়ানো- এ কোন রাজনীতি: তথ্যমন্ত্রী
তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, রেললাইন কাটা, গাড়িতে আগুন দিয়ে মানুষ পোড়ানো- এগুলো কোন ধরনের রাজনীতি।
বুধবার (১৩ ডিসেম্বর) দুপুরে সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সাংবাদিকদের সঙ্গে মত বিনিময়কালে তথ্যমন্ত্রী একথা বলেন।
আরও পড়ুন: বিএনপিই দেশের প্রথম কিংস পার্টি: তথ্যমন্ত্রী
তিনি বলেন, মঙ্গলবার দিবাগত রাতে গাজীপুরে ট্রেন লাইনের ২০ ফুট কেটে দেওয়া হয়েছে এবং এতে সাতটি বগি লাইনচ্যুত হয়েছে, একজন যাত্রী নিহত হয়েছেন, অর্ধ শতাধিকের বেশি যাত্রী আহত হয়েছেন, ট্রেন চলাচল ব্যাহত হয়েছে।
মন্ত্রী আরও বলেন, রাজধানীতেও কয়েকটি গাড়িতে আগুন দেওয়া হয়েছে। তাদের এই তথাকথিত অবরোধ শুরু হওয়ার পর দেশের কোথাও অবরোধ পালিত হয়নি। কিন্তু এ পর্যন্ত ৩৫০ যানবাহনে আগুন দেওয়া হয়েছে, সাতজনের বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন এবং বহু মানুষ আগুনে দগ্ধ হয়েছেন।
তিনি বলেন, এই ট্রেন লাইন কাটা, গাড়িতে আগুন দিয়ে মানুষ পোড়ানো- এগুলো কোন ধরনের রাজনীতি? এই অপরাজনীতি চিরদিনের জন্য বন্ধ হওয়া দরকার। আমরা সবাই যদি এর বিরুদ্ধে আওয়াজ তুলি তাহলে এই অপরাজনীতি চিরদিনের জন্য বন্ধ হবে।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব গুপ্ত স্থান থেকে প্রতিদিন সংবাদ সম্মেলন করেন, মাঝে মধ্যে হঠাৎ ভোরে বা মধ্যরাতে তাকে রাস্তাতেও দেখা যায়।
তিনি বলেন, আচমকা ১০ কিংবা পাঁচ মিনিটের জন্য মিছিল করে আবার হাওয়ায় মিলিয়ে যায়। নিষিদ্ধ সংগঠনের নেতারা যেরকম করেন, ঠিক ওরকমই তারা করছেন। মানুষ ও গাড়ি-ঘোড়া পোড়ানো, সন্ত্রাস নৈরাজ্য সৃষ্টি কখনো গণতান্ত্রিক আন্দোলন নয়।
আরও পড়ুন: বিএনপি আন্ডারগ্রাউন্ড সংগঠনে রূপান্তরিত হয়েছে: তথ্যমন্ত্রী
তথ্যমন্ত্রী আরও বলেন, এগুলো সন্ত্রাসী দেশবিরোধী, জনবিরোধী কর্মকাণ্ড। তাদের কর্মকাণ্ডের বর্বরতা, হিংস্রতা, নৃশংসতা হিংস্র হায়েনাকেও হার মানিয়েছে। তারা হিংস্র জন্তুর চেয়েও জঘন্য হয়ে দাঁড়িয়েছে। এদের এই অপরাজনীতি চিরদিনের জন্য বন্ধ করতে আমরা বদ্ধপরিকর।
সন্ত্রাসীদের বিচার নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, অবশ্যই অপরাধীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে এবং অনেকে মনে করছেন, যারা রেললাইন কেটেছে পুলিশ তাদের খুঁজে পাবে না, কিন্তু পুলিশ অবশ্যই তাদের খুঁজে বের করবে, তাদের বিরুদ্ধে মামলা এবং আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
অবরোধের ডাককে মানুষ বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়েছে উল্লেখ করে হাছান মাহমুদ বলেন, আপনারা জানেন, দেশে ৪৪টি নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলের মধ্যে ৩০টি অর্থাৎ বেশিরভাগ দলই নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে। দেশ এখন নির্বাচনী উৎসবমুখর। কিন্তু নির্বাচন প্রতিহত করতে ক্রমাগতভাবে বিএনপি-জামায়াতের পক্ষ থেকে গুপ্ত স্থান থেকে অবরোধের ডাক দেওয়া হচ্ছে।
জাতীয় পার্টির সঙ্গে আলোচনা প্রশ্নে তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, জাতীয় পার্টির মহাসচিব ইতোমধ্যেই স্পষ্ট করেছেন, তারা নির্বাচন করার জন্যই মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। আমিও বিশ্বাস করি, তারা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে ভালো ফল করবেন। জাতীয় পার্টি আমাদের দীর্ঘদিনের সহযোগী, গণতন্ত্র ও সংবিধানকে রক্ষা করার জন্য তারা আমাদের সহযোগী হিসেবে কাজ করেছে। আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, আজকের পরিস্থিতিতেও জাতীয় পার্টি আগের মতোই আমাদের সহযোগী হিসেবে কাজ করবে।
সাংবাদিকদের মন্তব্য ‘বিএনপির সমমনা কিছু ছোট দল নির্বাচনবিরোধী উস্কানিমূলক বক্তব্য দিচ্ছে’ প্রসঙ্গে তথ্যমন্ত্রী বলেন, দেখুন ব্যাঙ অনেক ছোট কিন্তু ব্যাঙের আওয়াজ অনেক বড়। আমাদের রাজনীতিতেও কিছু দল আছে ব্যাঙ যেমন ছোট সে রকম, কিন্তু আওয়াজ অনেক বড়। এরা নানা ধরনের কথা বলে।
আরও পড়ুন: ইউরোপীয় ইউনিয়নসহ কয়েকটি সংস্থা ও দেশ নির্বাচনে পর্যবেক্ষক পাঠাবে: তথ্যমন্ত্রী
৭৪৬ দিন আগে
গাজীপুরে রেললাইন কাটাকে নাশকতা বলে তদন্তের দাবি বিএনপির
গাজীপুরে রেললাইন কাটার ঘটনাকে নাশকতা আখ্যায়িত করে দোষীদের খুঁজে বের করতে বিচার বিভাগীয় তদন্তের দাবি জানিয়েছে বিএনপি।
এক বিবৃতিতে বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেন, বিরোধী দলের উপর দোষ চাপানোর জন্য পরিকল্পিতভাবে এ ঘটনা ঘটানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: বিএনপি ও সমমনা বিরোধী দলের ডাকা ১১ দফায় অবরোধ চলছে
তিনি বলেন, ভাওয়াল রেলস্টেশনের কাছে একটি ট্রেনের সাতটি বগি লাইনচ্যুত হওয়ার ঘটনা নিঃসন্দেহে একটি নাশকতার ঘটনা। আমি এই ঘটনার নিন্দা জানাই।
বিএনপির এই নেতা আরও বলেন, যারা এ ধরনের অমানবিক ঘটনা ঘটিয়েছে তারা মানবতার শত্রু।
আমরা এ ঘটনার নিরপেক্ষ বিচার বিভাগীয় তদন্ত দাবি করছি। বিএনপির পক্ষ থেকে ট্রেন লাইনচ্যুতের ঘটনায় জড়িতদের অবিলম্বে গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।
তিনি দুর্ঘটনায় নিহতদের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন এবং আহতদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করেন।
বিবৃতিতে রিজভী বলেন, কিছু গণমাধ্যম ট্রেন দুর্ঘটনার দায় বিরোধী দলগুলোর ঘাড়ে চাপানোর চেষ্টা করছে।
তিনি বলেন, ‘এটা গভীর ষড়যন্ত্র। এটা প্রমাণ করে এবং মানুষ বিশ্বাস করে যে এই ধরনের নাশকতা পরিকল্পিতভাবে সংঘটিত হয়েছে।’
তিনি দাবি করেন, ট্রেন দুর্ঘটনা নিয়ে বিরোধী দলগুলোর চলমান গণতান্ত্রিক আন্দোলনের বিরুদ্ধে কিছু গণমাধ্যম অপপ্রচার চালাচ্ছে এবং অন্যের পাপের শাস্তি দিতে বিরোধী দলের ঘাড়ে চাপাচ্ছে।
বিএনপি ও অন্যান্য বিরোধী দলের ৩৬ ঘণ্টার রেল, সড়ক ও নৌপথ অবরোধের শেষ দিন বুধবার ভোরে গাজীপুর রেলস্টেশনের কাছে বাঁখারিয়ায় ট্রেনের সাতটি বগি লাইনচ্যুত হয়ে একজন নিহত ও পাঁচজন আহত হয়েছেন।
জয়দেবপুর রেলওয়ে স্টেশন মাস্টার হানিফ আলী জানান, ভোর সাড়ে ৪টার দিকে ময়মনসিংহ থেকে ঢাকাগামী মোহনগঞ্জ এক্সপ্রেসের সাতটি বগি লাইনচ্যুত হয়।
স্থানীয় পুলিশ কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, এটি দুর্ঘটনা নাকি নাশকতার ঘটনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: বিএনপি নেতা-কর্মীদের ‘পক্ষপাতদুষ্ট’ বিচারকের মাধ্যমে শাস্তি দিচ্ছে সরকার: রিজভী
বিএনপি আন্ডারগ্রাউন্ড সংগঠনে রূপান্তরিত হয়েছে: তথ্যমন্ত্রী
৭৪৬ দিন আগে