রাজনীতি
মানবাধিকার দিবসে প্রেস ক্লাবের সামনে বিএনপির মানববন্ধন
আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবস উপলক্ষে গুম ও রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ডে নিহতদের পরিবারের সদস্যদের নিয়ে মানববন্ধন করেছে বিএনপির নেতা-কর্মীরা।
রবিবার (১০ ডিসেম্বর) সকাল ১০টা ৫৫ মিনিটে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সেলিমা রহমানের সভাপতিত্বে পবিত্র কোরআন তেলাওয়াতের মধ্যে দিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে কর্মসূচি শুরু হয়।
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ব্যাপক উপস্থিতিতে সকাল থেকেই বিএনপির কয়েকশ’ নেতা-কর্মী ওই এলাকায় জড়ো হন।
দলটি জানিয়েছে, এ ছাড়া বাংলাদেশে মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিষয়টি তুলে ধরতে বিরোধী দলের সব জেলা শাখা একই দিনে একই ধরনের কর্মসূচি পালন করছে।
আরও পড়ুন: বিএনপি নেতা খন্দকার মোশাররফকে আইসিইউতে স্থানান্তর
শনিবার এক সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদের প্রতীক হিসেবে তারা এই কর্মসূচি সফলভাবে পালন করতে চান।
সরকারি সংস্থাকর্তৃক গুমের শিকার ব্যক্তিদের পরিবারের প্ল্যাটফর্ম 'মায়ের ডাক' শনিবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে গুমের শিকারদের পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের নিয়ে এক সমাবেশের আয়োজন করে।
সারা বিশ্বের ন্যায় বাংলাদেশেও পালিত হচ্ছে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবস।
দিবসটির এবারের প্রতিপাদ্য 'সবার জন্য স্বাধীনতা, সমতা ও ন্যায়বিচার'।
দিবসটি উপলক্ষে বিভিন্ন সংগঠন ও রাজনৈতিক দল দেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি তুলে ধরে বিস্তারিত কর্মসূচি গ্রহণ করেছে।
আরও পড়ুন: বিএনপি নেতারা কারাগারে চরম মানবাধিকার লঙ্ঘনের শিকার: রিজভী
৭৫০ দিন আগে
বিএনপি নেতা খন্দকার মোশাররফকে আইসিইউতে স্থানান্তর
রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেনের শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাকে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) স্থানান্তর করা হয়েছে।
বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান ইউএনবিকে জানান, শুক্রবার রাতে তাকে কেবিন থেকে আইসিইউতে নেওয়া হয়।
৫ ডিসেম্বর রাজধানীর বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি হন বিএনপির এই জ্যেষ্ঠ নেতা। তার পরিবারের সদস্যরা জনগণের কাছে দোয়া চেয়েছেন।
আরও পড়ুন: বিএনপি নেতারা কারাগারে চরম মানবাধিকার লঙ্ঘনের শিকার: রিজভী
বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন তার সার্বিক শারীরিক অবস্থার ওপর নজর রাখছেন।
এদিকে, ডা. জাহিদ হোসেন সন্ধ্যা ৬টার দিকে এভারকেয়ার হাসপাতালে ব্যারিস্টার মইনুল হোসেনের মরদেহ দেখতে যান।
আরও পড়ুন: বিএনপি নেতা রিজভীর সমাবেশ থেকে গাড়িতে ইটপাটকেল নিক্ষেপ পিকেটারদের
৭৫০ দিন আগে
৫ দিনে ইসিতে ৫৬০ প্রার্থীর আপিল
আগামী জানুয়ারিতে অনুষ্ঠিতব্য দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মনোনয়নপত্র বাতিল বা গ্রহণের বিষয়ে রিটার্নিং কর্মকর্তাদের সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে আপিল করেছেন ৫৬০ জন বিক্ষুব্ধ প্রার্থী।
গত ৫ ডিসেম্বর থেকে ৯ ডিসেম্বর পর্যন্ত পাঁচ দিনে নির্বাচন কমিশনে এই আপিল করা হয়।
আগামী রবিবার (১০ ডিসেম্বর) থেকে শুক্রবার (১৫ ডিসেম্বর) পর্যন্ত আপিলের শুনানি ও নিষ্পত্তি করবে কমিশন।
রিটার্নিং কর্মকর্তাদের সিদ্ধান্ত বাতিল চেয়ে মঙ্গলবার (প্রথম দিন) ৪২টি, বুধবার ১৪১টি, বৃহস্পতিবার ১৫৫টি, শুক্রবার ৯৩টি এবং শনিবার (শেষ দিন) ১৩১টি আপিল করা হয়।
আরও পড়ুন: নির্বাচন পর্যবেক্ষক হিসেবে ইসির নিবন্ধন পেল আরও ২৯ প্রতিষ্ঠান
রিটার্নিং কর্মকর্তাদের মনোনয়নপত্র বাতিলের বিরুদ্ধে বেশির ভাগ আপিল করা হয় এবং মনোনয়নপত্র গ্রহণের বিরুদ্ধে হাতে গোনা কয়েকটি আবেদন করা হয়।
আগামী ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠেয় দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ৩০০টি আসনে স্বতন্ত্র ৭৪৭ জনসহ মোট ২ হাজার ৭১৬ জন মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।
কিন্তু রিটার্নিং কর্মকর্তারা গত ১-৪ ডিসেম্বর মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাইয়ে ১ হাজার ৯৮৫টি মনোনয়নপত্র গ্রহণ ও ৭৩১টি বাতিল করেছেন।
আরও পড়ুন: মনোনয়নপত্র বাতিলের বিরুদ্ধে ৩৩৮ প্রার্থীর আপিল: ইসি
৭৩১টি মনোনয়নপত্রের বেশিরভাগই তিনটি কারণে বাতিল করা হয়েছিল - স্বতন্ত্র প্রার্থীদের জমা দেওয়া ১ শতাংশ ভোটারের সইয়ের অসামঞ্জস্যতা, ঋণ ও ইউটিলিটি বিল খেলাপি এবং দ্বৈত নাগরিকত্ব।
প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ দিন ১৭ ডিসেম্বর এবং রিটার্নিং কর্মকর্তারা ১৮ ডিসেম্বর প্রার্থীদের মধ্যে প্রতীক বিতরণ করবেন।
১৮ ডিসেম্বর থেকে ৫ জানুয়ারি (সকাল ৮টা) পর্যন্ত ভোটগ্রহণের ৪৮ ঘণ্টা আগে প্রার্থীরা নির্বাচনী প্রচারণায় অংশ নিতে পারবেন। আগামী ৭ জানুয়ারি সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত বিরতিহীনভাবে ভোটগ্রহণ চলবে।
আরও পড়ুন: ৩৩৮ ওসি ও ২০৫ জন ইউএনওর বদলির প্রস্তাবে ইসির অনুমোদন
৭৫০ দিন আগে
বিএনপি নেতারা কারাগারে চরম মানবাধিকার লঙ্ঘনের শিকার: রিজভী
বিএনপির বন্দী নেতা-কর্মীদের ওপর নিপীড়ন এবং সব সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত করে চরম মানবাধিকার লঙ্ঘন করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন দলটির জেষ্ঠ নেতা রুহুল কবির রিজভী।
তিনি বলেন, 'প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে সন্তুষ্ট করতে বিএনপির সকল বন্দীদের সব ধরনের সাধারণ সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত করার জন্য বর্তমান আইজি প্রিজন মৌখিকভাবে সব কারা কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিয়েছেন।
শবিবার (৯ নভেম্বর) ভার্চুয়াল প্রেস ব্রিফিংয়ে এই অভিযোগ করেন তিনি।
বিএনপি নেতা বলেন, আইজি প্রিজন কারাবন্দি বিএনপি নেতা-কর্মীদের ওপর নির্যাতন ও অধিকার মারাত্মকভাবে লঙ্ঘিত করে সারা দেশের কারাগারগুলোকে হিটলারের গ্যাস চেম্বার ও কনসেন্ট্রেশন ক্যাম্পে পরিণত করেছেন।
তিনি বলেন, 'নির্যাতনের কারণে কারাগারে থাকা বিএনপির নেতা-কর্মীরা এখন বিপাকে পড়েছেন।’
আরও পড়ুন: বিএনপি নেতৃত্বাধীন বিরোধী দলগুলোর ৪৮ ঘণ্টার অবরোধ শুরু হচ্ছে বুধবার
রিজভী দাবি করেন, কারাবন্দি বিএনপির নেতা-কর্মীদের কারাগারের ভেতরের কক্ষ থেকে বের হতে দেওয়া হচ্ছে না। এমনকি আত্মীয়-স্বজনদের বন্দীদের সঙ্গে দেখা করতে, তাদের জন্য জামাকাপড় দিতে এবং ফোনে কথা বলতেও বাধা দেওয়া হচ্ছে।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ক্ষমতায় আসার পর কারাগারগুলো এখন বিএনপির নেতা-কর্মীদের দ্বারা পরিপূর্ণ হওয়ায় কারাগারগুলো এখন প্রকৃত সামাজিক অপরাধীদের জায়গা নয়। সুতরাং, তিনি সেখানে ফ্যাসিবাদের নিপীড়নের সমস্ত পদ্ধতি প্রয়োগ করছেন। জেলখানায় তিনি (শেখ হাসিনা) তার আদর্শে অনুপ্রাণিত কর্মকর্তা নিয়োগ করেছেন।
তিনি বলেন, শেখ হাসিনা চান বিএনপি নেতা-কর্মীরা গ্রেপ্তারের আগে বাইরে যেমন হয়রানি, নিপীড়ন ও নির্যাতনের শিকার হন, কারাগারেও তারা তেমনি নির্যাতিত হন।
আরও পড়ুন: ক্ষমতা ধরে রাখতেই তৈরি পোশাক খাতে বিপদ ডেকে আনছে সরকার: রিজভী
রিজভী বলেন,‘কারাগারের ভেতরে ভয়াবহ নিপীড়ন চলছে। এই নিপীড়ন নজিরবিহীন। এই নিপীড়ন ভাষায় প্রকাশ করা যায় না। অতিমাত্রায় উৎসাহী কর্মকর্তারা আমাদের দলের বন্দীদের বিরুদ্ধে এক ধরনের যুদ্ধ ঘোষণা করেছেন।’
তিনি বন্দীদের উপর এ ধরনের নির্যাতনের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান। একই সঙ্গে বন্দীদের ন্যায্য অধিকার নিশ্চিত করার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি জোরালো আহ্বান জানান বিএনপির এই নেতা।
আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবসের প্রাক্কালে শাহবাগ থেকে গুমের শিকার ব্যক্তিদের পরিবারের সদস্যদের তাড়িয়ে দেয়া এবং জাতীয় জাদুঘরের সামনে সমাবেশে বাধা দেয়ার জন্য সরকারের সমালোচনা করেন বিএনপির জেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব।
তিনি আরও বলেন, ‘জোরপূর্বক গুম ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের শিকার ব্যক্তিরা নিজেদের পক্ষে কথা বলতে পারেন না। গুম, ক্রসফায়ার ও মানবাধিকার লঙ্ঘন করে এই সরকার রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা এমনভাবে টিকিয়ে রাখতে চায়, যাতে তার অপরাধের বিরুদ্ধে কেউ কিছু বলতে না পারে।’
রিজভী দাবি করেন, শনিবার বিকাল ৫টা পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় পুলিশ বিএনপির ১৭৫ জন নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে।
তিনি আরও বলেন, চলতি বছরের অক্টোবরের শেষ সপ্তাহ থেকে এ পর্যন্ত তাদের দলের ২০ হাজার ৬৬৫ জন নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: আগামী ১০ ডিসেম্বর মানববন্ধন করবে বিএনপি: রিজভী
৭৫০ দিন আগে
বিএনপি বিশৃঙ্খলা করলে দাঁতভাঙা জবাব দেবে মানুষ: তথ্যমন্ত্রী
তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, বিএনপি হচ্ছে সবচাইতে বড় মানবাধিকার লঙ্ঘনকারী দল। তারা যদি মানবাধিকারের কথা বলে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে তাহলে দেশের মানুষ দাঁতভাঙ্গা জবাব দেবে।
শনিবার (৯ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় রাজধানীতে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে বিশ্ব মানবাধিকার দিবস উপলক্ষে বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট আয়োজিত ‘বিএনপি-জামায়াতের অগ্নিসন্ত্রাস, মানবাধিকার লঙ্ঘন, গণতন্ত্র হত্যার চক্রান্ত ও দেশবিরোধী ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে প্রদীপ প্রজ্জ্বলন সমাবেশে’- প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: বিএনপি চরম মানবাধিকার লঙ্ঘনকারী: তথ্যমন্ত্রী
অগ্নিসন্ত্রাসে নিহতদের স্মরণে প্রদীপ প্রজ্জ্বলনকালে তথ্যমন্ত্রী বলেন, দেশে বিএনপিই প্রথম মানুষের অধিকার হরণ করা দল। এবং তাদের প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান মানুষের রক্তের উপর দাঁড়িয়েই ক্ষমতা দখল করেছিলেন।
তিনি আরও বলেন, তিনিই ইনডেমনিটি অধ্যাদেশকে আইনে পরিণত করে বঙ্গবন্ধুর হত্যাকাণ্ডের বিচার বন্ধ করে সবচেয়ে বড় মানবাধিকার লঙ্ঘন করেছেন, ১৯৭৭ সালে নির্বিচারে সেনা ও বিমান বাহিনীর অফিসারদেরকে বিনা বিচারে হত্যা করেছেন। তারপর ২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলা, ২০১৩, ১৪ ও ১৫ সালে মানুষ পোড়ানোর মহোৎসব করেছে বিএনপি-জামায়াত। এগুলো চরম মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা।
হাসান মাহমুদ বলেন, বিএনপি-জামায়াত এখনও গর্ত থেকে উঁকি দিয়ে অবরোধ-হরতালের নামে মানুষ, যানবাহন ও সহায়-সম্পত্তিতে হামলা, গাড়ি পোড়ানোর কর্মসূচি পরিচালনা করছে।
তিনি বলেন, এগুলো সন্ত্রাসী কাজ, মানুষকে জিম্মি করার দেশবিরোধী অপতৎপরতা। সমস্ত শিল্পী সমাজকে ঐক্যবদ্ধভাবে এদের মোকাবিলা করতে হবে, মানুষকে জাগাতে হবে। মানবাধিকার নিয়ে বিশৃঙ্খলা করে মানুষ তাদের দাঁতভাঙ্গা জবাব দেবে।
পশ্চিমা বিশ্ব ও মানবাধিকার প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, ফিলিস্তিনে পাখি শিকার করার মতো মানুষ শিকার করা হচ্ছে, সাধারণ মানুষসহ হাজার হাজার নারী ও শিশুকে হত্যা করা হলো, আর বিশ্বমোড়লরা চেয়ে চেয়ে দেখল। এমনকি ইসরাইলি বাহিনী যাতে ভালোমতো বোমা বর্ষণ করতে পারে সেজন্য বিশেষ বোমা দিয়ে তারা সহায়তাও করছে। তারাই আবার মানবাধিকারের ধুয়া তোলে। এরা মানবাধিকার নিয়ে কথা বলার নৈতিক অধিকার হারিয়েছে।
বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের কার্যকরী সভাপতি স্বাধীনবাংলা বেতারকেন্দ্রের সংগীতশিল্পী মোহাম্মদ রফিকুল আলমের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক অরুন সরকার রানার সঞ্চালনায় জাতীয় চলচ্চিত্রে আজীবন সম্মাননায় ভূষিত চিত্রতারকা ও জোটের সহসভাপতি রোজিনা, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক শাহে আলম মুরাদ, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সহসভাপতি মানিক লাল ঘোষ, বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের চিত্রতারকা অরুণা বিশ্বাস, প্রচার সম্পাদক লায়ন মুহা: মীযানুর রহমান, চিত্রতারকা সিমলা, সংবাদ পাঠিকা মুনা চৌধুরী প্রমুখ সমাবেশে তাদের বক্তৃতায় অগ্নিসন্ত্রাসী, তাদের হুকুমদাতা ও অর্থদাতাদের দ্রুত বিচারের দাবি জানান।
আরও পড়ুন: মানবাধিকার দিবসে দেশে পরিস্থিতি ঘোলাটে করার চক্রান্ত হচ্ছে: তথ্যমন্ত্রী
বিএনপিই দেশের প্রথম কিংস পার্টি: তথ্যমন্ত্রী
৭৫০ দিন আগে
অর্থনৈতিকভাবে আমরা অসামান্য সাফল্য অর্জন করেছি: শিক্ষামন্ত্রী
বাংলাদেশ অর্থনৈতিকভাবে অসামান্য সাফল্য অর্জন করেছে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।
তিনি বলেছেন, আগামীতে আমাদের অনেক স্বপ্ন ও সম্ভাবনা রয়েছে। কিন্তু এখন যে বৈশ্বিক অর্থনৈতিক মন্দা চলছে অর্থাৎ সারা বিশ্ব এখন যে অর্থনৈতিক চাপের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে, সেটি আমাদের মধ্যেও পড়েছে।
শুক্রবার (৮ ডিসেম্বর) বিকালে চাঁদপুর আউটার স্টেডিয়ামে মুক্তিযুদ্ধের বিজয় মেলা অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, সারা বিশ্বের অর্থনৈতিক এ চাপের মধ্যে অন্যান্য দেশ, এমনকি অনেক ধনী দেশের তুলনায় আমরা অনেক স্বস্তিতে আছি। আল্লাহর কাছে শুকরিয়া আদায় করছি তিনি আমাদের সঠিক নেতৃত্ব দিয়েছেন এবং শেখ হাসিনাকে আমাদের নেতা হিসেবে পেয়েছি বলে আমরা আজকে স্বস্তিতে আছি। আশা করি আগামী দিনেও শেখ হাসিনাকে সুযোগ দেবেন জনগণ।
আরও পড়ুন: নতুন শিক্ষাক্রম নিয়ে ভয়ঙ্কর মিথ্যাচার করা হচ্ছে: শিক্ষামন্ত্রী
দীপু মনি বলেন, বৈশ্বিক এই চাপ এবং অর্থনৈতিক মন্দা কেটে গেলে আমরা আমাদের সব সম্ভাবনাকে বিকশিত করে আমাদের যে লক্ষ্য আছে সেগুলো অর্জন করতে সক্ষম হব।
মন্ত্রী বলেন, ২০৪১ সালের স্মার্ট বাংলাদেশের জন্য তরুণদের উপযুক্ত করে গড়ে তুলতে সরকার কাজ করছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০০৮ সালে ঘোষণা দিয়েছিলেন ২০২১ সালে বাংলাদেশ হবে মধ্যম আয়ের দেশ।
তিনি আরও বলেন, এখন তিনি ঘোষণা দিয়েছেন ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশ হবে স্মার্ট বাংলাদেশ। আর স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার কারিগর আজকের তরুণ প্রজন্ম।
তিনি বলেন, আজকে যারা প্রাথমিকে ও মাধ্যমিকে পড়াশোনা করছে সেই শিক্ষার্থীদের স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার কারিগর হিসেবে গড়ে তুলতে সরকার কাজ করে যাচ্ছে।
আরও পড়ুন: সময়মতো বই দিতে পারব বলে আমরা আশাবাদী: শিক্ষামন্ত্রী
শিক্ষায় বাংলাদেশ এগিয়ে চলেছে: শিক্ষামন্ত্রী
৭৫১ দিন আগে
আগামী ১০ ডিসেম্বর মানববন্ধন করবে বিএনপি: রিজভী
আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবস উপলক্ষে আগামী ১০ ডিসেম্বর গুম ও রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ডের শিকার ব্যক্তিদের পরিবারের সদস্যদের নিয়ে রাজধানীসহ সারাদেশে মানববন্ধন করার প্রস্তুতি নিয়েছে বিএনপি।
শুক্রবার (৮ ডিসেম্বর) এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আগামী রবিবারের (১০ ডিসেম্বর) কর্মসূচি সফল করতে দলের প্রস্তুতির কথা বলেন।
রাজধানীতে বেলা ১১টায় জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে মানববন্ধন করবেন বলে জানান তিনি।
রিজভী দাবি করেন, ‘বিএনপির ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি ইউনিট এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় সব প্রস্তুতি নিয়েছে।’
এছাড়া এই বিএনপি নেতা বলেন, বাংলাদেশে মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিষয়টি তুলে ধরতে তাদের দলের সব জেলা ইউনিট একই দিনে একই সময়ে কর্মসূচি পালন করতে যাচ্ছে।
তিনি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, সরকার যদি কর্মসূচি পালনে বাধা সৃষ্টির চেষ্টা করে, তাহলে তাদের দলের নেতা-কর্মীদের প্রতিরোধ ছাড়া কোনো উপায় থাকবে না।
রিজভী বলেন, অন্যায়ের প্রতিবাদের প্রতীক হিসেবে তারা সফলভাবে কর্মসূচি পালন করতে চান।
আরও পড়ুন: বিএনপি নেতা রিজভীর সমাবেশ থেকে গাড়িতে ইটপাটকেল নিক্ষেপ পিকেটারদের
তিনি বিএনপির সর্বস্তরের নেতা-কর্মী এবং যারা গুম এবং রাজনৈতিক ও বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছেন তাদের পরিবারের সদস্যদের ঢাকাসহ সারাদেশে মানববন্ধনে স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশ নেওয়ার আহ্বান জানান।
নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানের দাবি আদায়ে শুক্রবার সকাল ৬টায় শেষ হওয়া ৪৮ ঘণ্টার অবরোধ কর্মসূচি পালনের জন্য তিনি বিরোধী দলের নেতা-কর্মীদের ধন্যবাদ জানান।
গত ২৮ অক্টোবর রাজধানীর নয়াপল্টনে দলের মহাসমাবেশ পুলিশ বানচাল করার পর থেকে ১০ দফা অবরোধ ও তিন দফায় হরতাল পালন করে বিএনপি।
রিজভী বলেন, ‘স্বৈরাচারী’ আওয়ামী লীগ সরকারের কাছে মানবতা ও মানবাধিকারের কোনো মূল্য নেই।
তিনি বলেন, ‘আওয়ামী সরকার এখন ক্ষমতা ধরে রাখার জন্য স্বৈরাচারী শাসনে পরিণত হয়েছে… তারা চায় দেশের মানুষ সত্য ভুলে যাক এবং তারা সমাজ থেকে সত্যকে মুছে ফেলতে চায়। তারা দেশ থেকে ন্যায়বিচার দূর করার চেষ্টা করছে।’
বিএনপির জ্যেষ্ঠ এই নেতা আরও বলেন, সরকার এমন পরিস্থিতি তৈরি করেছে যেখানে সত্য কথা বলা এবং মানবাধিকারের কথা বলা বা শান্তিপূর্ণ অন্তর্ভুক্তিমূলক নির্বাচনকে সবচেয়ে বড় অপরাধ হিসেবে গণ্য করা হচ্ছে।
তিনি বলেন, সরকার নিষ্ঠুর দমন-পীড়ন চালিয়ে বিরোধী দলের নেতা-কর্মীদের পাশাপাশি সাধারণভাবে সুশীল সমাজকে দমন করার চেষ্টা করছে, দেশে ভয়াবহ পরিস্থিতি সৃষ্টি করছে।
শুক্রবার বিকাল ৫টা থেকে গত ২৪ ঘণ্টায় পুলিশ বিএনপির ২১৫ জনের বেশি নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে বলে দাবি করেন রিজভী।
তিনি আরও বলেন, ২৮ অক্টোবর থেকে এ পর্যন্ত তাদের দলের প্রায় ২০ হাজার ৪৯০ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার বা আটক করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ক্ষমতা ধরে রাখতেই তৈরি পোশাক খাতে বিপদ ডেকে আনছে সরকার: রিজভী
বিএনপি নেতৃত্বাধীন বিরোধী দলগুলোর ৪৮ ঘণ্টার অবরোধ শুরু হচ্ছে বুধবার
৭৫১ দিন আগে
মানবাধিকার দিবসে দেশে পরিস্থিতি ঘোলাটে করার চক্রান্ত হচ্ছে: তথ্যমন্ত্রী
আগামী ১০ ডিসেম্বর বিশ্ব মানবাধিকার দিবসকে সামনে রেখে দেশে পরিস্থিতি ঘোলাটে করার চক্রান্ত হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ।
মন্ত্রী বলেন, ‘মানবাধিকার একটি ব্যবসায় পরিণত হয়েছে। মানবাধিকারের কথা বলে কোনো কোনো দেশকে দমনের চেষ্টা করা হয়। দেশে পেট্রোল বোমা নিক্ষেপ করে মানুষ হত্যা করা হচ্ছে, অথচ বিবৃতিজীবীরা হারিয়ে গেছে।’
শুক্রবার (৮ ডিসেম্বর) দুপুরে চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের এস রহমান হলে চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়নের আয়োজনে বাংলাদেশ সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টের চেক বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ কথা বলেন।
আরও পড়ুন: বিএনপি চরম মানবাধিকার লঙ্ঘনকারী: তথ্যমন্ত্রী
হাছান মাহমুদ বলেন, ‘কোনো কোনো সন্ত্রাসীর পক্ষেও বিবৃতিজীবীরা কেউ কেউ সোচ্চার হয়। কিন্তু সেই সন্ত্রাসী যে এত মানুষ মারল, সেটি নিয়ে কোনো কথাবার্তা নেই। পৃথিবীতে কিছু মানবাধিকার সংগঠন আছে যেগুলো মূলত মানবাধিকারের ব্যবসা করে।’
তিনি আরও বলেন, ‘যে সমস্ত বিশ্ববেনিয়া মানবাধিকারের কথা বলে এবং বাংলাদেশেও যারা মানবাধিকার নিয়ে কথা বলে, ফিলিস্তিনে পাখি শিকার করার মতো মানুষ শিকার করা হচ্ছে, সাধারণ মানুষসহ হাজার হাজার নারী ও শিশুকে হত্যা করা হলো, কিন্তু এ নিয়ে তাদের বা বড় বড় সংগঠনগুলোর কোনো কথা বা বিবৃতি নেই।’
তিনি বলেন, ‘অথচ তারা বরিশালে কোথায় একজন আরেকজনকে ঘুষি মারল, কোথায় কিছু মানুষ একজনকে ধাওয়া করল সেজন্যও বিবৃতি দিয়েছে।’
তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশে সবচেয়ে বড় মানবাধিকার লঙ্ঘন হয়েছে ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা এবং এরপর জিয়াউর রহমানের নেতৃত্বে ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ জারি এবং সেটিকে আইনে পরিণত করে বঙ্গবন্ধুর হত্যাকাণ্ডের বিচার বন্ধ করা।’
মন্ত্রী বলেন, ‘দ্বিতীয় সবচেয়ে বড় মানবাধিকার লঙ্ঘিত হয়েছে ১৯৭৭ সালে নির্বিচারে সেনা অফিসার ও বিমান বাহিনীর অফিসারদের বিনা বিচারে হত্যা করা, নামের মিল আছে সেজন্যই ফাঁসিতে ঝুলিয়ে দেওয়া, এমন কি ফাঁসি কার্যকর হবার পর ফাঁসির রায় হয়েছে এমন ঘটনাও আছে।’
তিনি বলেন, ‘তারপর ২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলা, ২০১৩, ১৪ ও ১৫ সালে মানুষ পোড়ানোর মহোৎসব করা হয়েছে। এগুলো চরম মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা।’
তিনি বলেন, ‘কিছু বিবৃতিজীবী আছে, বিবৃতি দেওয়াই তাদের পেশা। বাংলাদেশেও কিছু আছেন। কিন্তু সবসময় যারা এ ধরনের বিবৃতি দেন, দেশে এখন যেভাবে পেট্রোল বোমা নিক্ষেপ করে মানুষ হত্যা করা হচ্ছে, তাদের বিবৃতি এখন দেখতে পাচ্ছি না।’
মন্ত্রী আরও বলেন, ‘এই বিবৃতিজীবীরা কই? জনগণ এদের খুঁজছে, আমিও খুঁজছি। আমি একটু উদ্বিগ্ন তাদের জন্য। তারা জ্বর কিংবা ডেঙ্গুতে আক্রন্ত হলো কি না তা নিয়ে মানুষ চিন্তায় আছে।’
তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘ফিলিস্তিনে হামলা চালিয়ে একই হাসপাতালে একসঙ্গে ৫০০ মানুষকে হত্যা করা হয়েছে। আরেকটি হাসপাতালে হামলা চালিয়ে হাসপাতালকে অকেজো করে দেওয়ার পর সেখানে আইসিইউতে থাকা সব মানুষ মৃত্যুবরণ করেছে। এই ধরনের চরম মানবাধিকার লঙ্ঘন বিশ্ববেনিয়ারা তাকিয়ে তাকিয়ে দেখেছে। আবার ইসরাইলি বাহিনী যাতে ভালোমতো বোমা বর্ষণ করতে পারে সেজন্য সহায়তাও করছে।’
আরও পড়ুন: বিএনপিই দেশের প্রথম কিংস পার্টি: তথ্যমন্ত্রী
হাছান মাহমুদ বলেন, ‘বিশ্ব প্রেক্ষাপটে এই মানবাধিকার লঙ্ঘনে আমরা চুপ থাকতে পারি না। আমি প্রথম থেকেই এটার বিরুদ্ধে সোচ্চার আছি, থাকব। আমাদের সরকার ও প্রধানমন্ত্রীও সোচ্চার আছেন। আমাদের প্রধানমন্ত্রী জাতিসংঘে গিয়ে এটার বিরুদ্ধে বক্তব্য রেখেছেন। আরব রাষ্ট্রগুলোর সমস্ত রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে বসে এই ব্যাপারে করণীয় নির্ধারণ করার জন্য তাদের অনুরোধ জানিয়েছেন।’
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাছান মাহমুদ বলেন, ‘কেউ হরতাল-অবরোধের ডাক দিতে পারে, সরকার পতনের ডাক দিতে পারে, সরকারের বিরুদ্ধে বক্তব্য রাখতে পারে, এটিই গণতান্ত্রিক ও বহুমাত্রিক সমাজের রীতি। কিন্তু ঘরে বসে সেই ডাক দিয়ে গাড়ির মধ্যে পেট্রোলবোমা নিক্ষেপ করা, মানুষ পুড়িয়ে হত্যা করা, সেটি তো কোনো রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড নয়। এগুলো একদিকে যেমন সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড, অপরদিকে মানুষের অধিকার ও মানবাধিকার লঙ্ঘন করা। আমি আশা করব, সাংবাদিকরা এগুলোর বিরুদ্ধে কথা বলবেন, কলম ধরবেন।’
‘শ্রমিক অধিকারের নামে বড়লোক এজেন্টদের মুখোশ উন্মোচন করুন’
শ্রমিক অধিকারের নামে বছরে ১২ বার বিদেশ সফরকারী দুই-একজন শ্রমিক নেতা কারো এজেন্ট হিসেবে কাজ করছে কি না- এমন প্রশ্নের জবাবে সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, দেখা গেল, আল্পনা-কল্পনা-জল্পনা আক্তাররা বছরে ১২ বার বিদেশ গেছে, ১৮ থেকে ২০ লাখ টাকা বিমান ভাড়া দিয়েছে। এদের কারো কারো আবার গাড়ি আছে, ঢাকা শহরে বড় বড় ফ্ল্যাট আছে।
তিনি বলেন, শ্রমিক সমাবেশে যাওয়ার সময় কিছু দূরে গাড়ি রেখে হেঁটে কিংবা রিকশায় যান, যদি শ্রমিকরা গাড়ি দেখে ফেলে। এরা কারো এজেন্ট হিসেবে যে কাজ করে সেটি আজ স্পষ্ট।
মন্ত্রী বলেন, এ সমস্ত এজেন্টের ব্যাপারেও আমাদের সতর্ক থাকতে হবে। আমি সাংবাদিক সমাজের কাছে অনুরোধ জানাব তাদের মুখোশ উন্মোচন করার জন্য।
চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়নের (সিইউজে) সভাপতি তপন চক্রবর্তীর সভাপতিত্বে ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সাইদুল ইসলামের সঞ্চালনায় ও অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন- বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সহসভাপতি মোহাম্মদ শহীদুল আলম, চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি আলী আব্বাস, সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টের সদস্য কলিম সরওয়ার, সিইউজের সাধারণ সম্পাদক ম. শামসুল ইসলাম, সিনিয়র সহসভাপতি রুবেল খান, সহসভাপতি অনিন্দ্য টিটু, চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক দেবদুলাল ভৌমিক প্রমুখ।
আরও পড়ুন: ‘আগুনসন্ত্রাসীদের’ বিরুদ্ধে সোচ্চার হতে গণমাধ্যমকর্মীদের প্রতি তথ্যমন্ত্রীর আহ্বান
৭৫১ দিন আগে
বিএনপি নেতা রিজভীর সমাবেশ থেকে গাড়িতে ইটপাটকেল নিক্ষেপ পিকেটারদের
বিএনপি ও সমমনা দলগুলোর ঘোষিত দশম দফা অবরোধের দ্বিতীয় দিনে বৃহস্পতিবার (৮ ডিসেম্বর) ঢাকায় বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর নেতৃত্বে ঝটিকা মিছিল থেকে পিকেটারদের রাস্তায় চলাচলরত বাস ও অন্যান্য যানবাহনে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করতে দেখা গেছে।
ভিডিওতে দেখা যায়, রিজভীর নেতৃত্বে প্রায় ৩০ জন পিকেটারকে রাস্তায় মিছিল করতে।
তারা ২০২৪ সালের ৭ জানুয়ারি আসন্ন জাতীয় নির্বাচনের ঘোষিত তফসিলের বিরুদ্ধে স্লোগান দিচ্ছিল।
একপর্যায়ে পিকেটাররা রাস্তায় বসে থাকলেও বাস, গাড়ি, সিএনজিচালিত অটোরিকশাসহ অন্যান্য যানবাহনকে অবরোধ অমান্য করে চলাচল করতে দেখা যায়।
পিকেটাররা তখন একটি টায়ার এনে রাস্তায় আগুন ধরিয়ে দিতে এবং যানবাহন চলাচল বন্ধ করার চেষ্টা করে।
কিন্তু রাস্তার অপর পাশ দিয়ে যানবাহন চলতে থাকায় সেগুলোর দিকে পিকেটারদের ইট-পাটকেল ছুঁড়তে দেখা যায়।
আরও পড়ুন: ক্ষমতা ধরে রাখতেই তৈরি পোশাক খাতে বিপদ ডেকে আনছে সরকার: রিজভী
এর মাত্র একদিন আগে, এই বিএনপি নেতা গণমাধ্যমকে বলেন, জনসাধারণের মনোযোগ সরাতে আওয়ামী লীগ নাশকতামূলক কর্মকাণ্ড করতে পারে।
২৮ অক্টোবর থেকে দেশে গণপরিবহনে অগ্নিসংযোগ, ভাঙচুর, হামলা, সহিংসতা ও পুলিশের উপর হামলার ঘটনা ঘটছে।
লন্ডন থেকে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত প্রধান তারেক রহমান দেশের ভাগ্য নির্ধারণে তার দলের কর্মীদের ‘রাস্তায়’ নামার জন্য ডাক দিলে অনেক মানবাধিকারকর্মীও সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের নেতা উদ্বেগ প্রকাশ করেন।
সংখ্যালঘু নেতারা এই আহ্বানকে ‘সহিংসতার প্ররোচনা’ হিসেবে অভিহিত করেছেন।
আরও পড়ুন: নির্বাচনে কারচুপির সঙ্গে জড়িতদের জনগণের আদালতে বিচার হবে : রিজভী
বুধবার থেকে ফের ৪৮ ঘণ্টার অবরোধ ঘোষণা বিএনপির
৭৫১ দিন আগে
নিষেধাজ্ঞা নিয়ে আওয়ামী লীগ উদ্বিগ্ন নয়: কাদের
আওয়ামী লীগ কোনো নিষেধাজ্ঞা নিয়ে উদ্বিগ্ন নয় বলে জানিয়েছেন দলটির সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
তিনি বলেন, ‘সংবিধান অনুযায়ী স্বাধীন নির্বাচন কমিশনের অধীনে অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের দিকে আমরা এগিয়ে যাচ্ছি। এখানে নিষেধাজ্ঞা কেন,’ প্রশ্ন তোলেন ওবায়দুল কাদের।
শুক্রবার (৮ ডিসেম্বর) রাজধানীর ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে ওবায়দুল কাদের এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, যদি কোনো নিষেধাজ্ঞা আসে, তাহলে তা বিএনপির ওপর হওয়া উচিত। তারাই নাশকতা করছে, হামলা করছে। এগুলো সুষ্ঠু নির্বাচনের পথে বাধা। যুক্তরাষ্ট্র যদি নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে চায়, তাহলে শুধু ‘বিএনপি ও তার মিত্ররাই নিষেধাজ্ঞার যোগ্য।’
আরও পড়ুন: বিএনপি-জামায়াত মানবাধিকার দিবসে বিশৃঙ্খলার ষড়যন্ত্র করছে: কাদের
তিনি বলেন, দেশে-বিদেশে গার্মেন্টস শ্রমিকদের নিজেদের স্বার্থে কাজে লাগানোর আগ্রহ কারো কারো মধ্যে রয়েছে।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তৈরি পোশাক খাতের স্বার্থে শ্রমিকদের মজুরি বৃদ্ধি করেছেন।
বর্তমান সরকার এ খাতের শ্রমিকদের স্বার্থের প্রতি আন্তরিক।
তিনি বলেন, 'আমাদের দল ক্ষমতায় এলে সংসদে নতুন শ্রম আইন প্রণয়নের উদ্যোগ নেওয়া হবে। এ নিয়ে পানি ঘোলা করার কোনো প্রয়োজন নেই।’
আওয়ামী লীগের সঙ্গে আসন ভাগাভাগি প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেন, যা ১৭ তারিখের আগেই হবে। তাহলে এই সমস্যা আর থাকবে না।
৩২টি আসনে আওয়ামী লীগের কোনো স্বতন্ত্র প্রার্থী নেই।
আরও পড়ুন: আসন বণ্টনের বিষয় আসেনি: জাপার সঙ্গে বৈঠক প্রসঙ্গে কাদের
এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, 'এখানে মনোনয়ন বাতিলের জন্য আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে কোনো চাপ নেই। নির্বাচন কমিশন তার আচরণবিধি অনুযায়ী ব্যবস্থা নিচ্ছে। দেশের বিচার ব্যবস্থাও স্বাধীন। আওয়ামী লীগ চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে বাধা দেবে না। এবার ভোটার উপস্থিতি আরও ভালো হবে।’
তিনি বলেন, 'কোনো বাধা, হুমকি, নাশকতা, অগ্নিসন্ত্রাসী এ নির্বাচন বাধাগ্রস্ত করতে পারবে না।
তিনি বলেন, যারা নির্বাচনে বাধা দিতে আসবে, নির্বাচনমুখী ভোটাররা তাদের প্রতিহত করবে।
বিএনপি ও তার মিত্ররা নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে না। তারপরও নির্বাচন নিয়ে উৎসাহ-উদ্দীপনার কমতি নেই। জনগণ স্বতঃস্ফূর্তভাবে ভোট দেয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে।
সংবাদ সম্মেলনে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ, সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক, সুজিত রায় নন্দী, দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: বিএনপিই দেশের প্রথম কিংস পার্টি: তথ্যমন্ত্রী
৭৫২ দিন আগে