রাজনীতি
জামায়াতের সঙ্গে কোনো সমঝোতা না: ওবায়দুল কাদের
জামায়াতের সঙ্গে আওয়ামী লীগের কোনো সমঝোতা হয় নি বলে জানিয়েছেন দলটির সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেছেন, ‘কোনো সমঝোতা না। যেহেতু জামায়াত নিষিদ্ধের বিষয়টি আদালতে বিচারাধীন। সেহেতু ভিন্ন কোনো উদ্যোগ নেয়া যুক্তিসংগত নয় বলে আমরা মনে করি।’
বৃহস্পতিবার (১২ জানুয়ারি) সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এক প্রশ্নের জবাবে সেতুমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
বিএনপির কর্মসূচি সম্পর্কে তিনি বলেন, তারা(বিএনপি) কর্মসূচি দিতে পারে, তাদের দফা আছে, দশ দফা আবার বলে এক দফা। তারপর দেখলাম, ২৩ দল, আবার ৫৪ দল। এখন শুনলাম আবার ৫২ দল একসঙ্গে ১৬ জানুয়ারি কর্মসূচি পালন করবে। এখন তাদের এই জগাখিচুড়ি ঐক্যের শেষ কোথায়, পরিণতি আমরা গত নির্বাচনে দেখেছি। অতিবাম, অতি ডান মিলিমিশে একাকার।
আরও পড়ুন: রাজশাহীতে জামায়াতের বিক্ষোভ মিছিল ছত্রভঙ্গ করতে গিয়ে ২ পুলিশ আহত
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘গতকাল বিএনপির সমাবেশ দেখলাম, অবশ্যই বড় হয়েছে, অস্বীকার করে লাভ নেই। আমাদের দুটো মিটিং অনেক বড় হয়েছে। শহীদ মিনারের সমাবেশ বড় হয়েছে। মিরপুরে তো বিরাট সমাবেশ হয়েছে। আলোচনাসভা সমাবেশে রূপ নিয়েছে, বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউতে। তাদের এই যে এত জোট, প্রেসক্লাবের সামনে, বিজয়নগরে, দেখলাম ফুটপাতে বসে আছে সমমনা ১২ দল। প্রেসক্লাবের সামনে দেখলাম, কয়েকটি চেয়ার, সেখানে আবার তাদের কর্মীদের চেয়ে সাংবাদিক বেশি। আর মঞ্চে আছে কিছু নেতা।’
বিএনপির নেতৃত্ব নিয়ে প্রশ্ন তুলে তিনি বলেন, তাদের তো কোনো নেতা নেই। আমাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আগামী নির্বাচনের নেতৃত্ব দেবেন। রাজনৈতিকভাবে তিনি আমাদের সভাপতি। তিনি আমাদের পরবর্তী নির্বাচনের নেতা। তাদের কে? তারা কখনও বলে বেগম জিয়া, কখনো বলে তারেক রহমান তাদের নেতা। কিন্তু তাদের নির্বাচন করার যোগ্যতা নেই। তারা অভিযুক্ত আসামি। কাকে তারা নেতা বানাবেন? গতবার কামাল হোসেন ছিল। পরে তাদের মানসম্মানও বিঘ্নিত হয়ে গেছে। সবাই জানেন, শেষ পর্যন্ত তিনিও(কামাল) হতাশ হয়ে পড়েছিলেন। কিন্তু এবার কী হবে, সময় বলে দেবে।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, আমরা রাজপথে আছি। আমরা রাজপথ ছাড়ব না। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আছে, আমাদের বিক্ষোভ করার কিছু নেই। তবে শান্তি সমাবেশ করব। শান্তির শোভাযাত্রা করব। জনগণের জানমালের নিরাপত্তা আমাদের দায়িত্ব। আমরা সতর্ক অবস্থানে থাকব। আমাদের বিক্ষোভের কোনো কারণ নেই।
ফরিদপুরে বিএনপির গণঅবস্থান কর্মসূচিতে সংঘর্ষ নিয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, গতকাল কোথাও সহিংস পরিস্থিতি তৈরি হয়নি। ফরিদপুরে যেটা হয়েছে, সেটা হচ্ছে তাদের মিটিং থেকে পুলিশের ওপর ইটপাটকেল নিক্ষেপ করা হয়েছে। তবে সেটা বেশি দূর গড়ায়নি। সমাধান হয়ে গেছে। আর ময়মনসিংহে স্পটে কিছু হয়নি। তবে তাদের গাড়ি নাকি আক্রান্ত হয়েছে। ঢিল ছুড়েছে, এ রকম কিছু হয়েছে। ঢাকায় উল্লেখযোগ্য কোনো ঘটনা ঘটেনি।
বিএনপির সঙ্গে পাল্টা কোনো কর্মসূচি দেয়া হচ্ছে না জানিয়ে তিনি বলেন, ১০ জানুয়ারি কেন্দ্রীয়ভাবে আমরা কর্মসূচি পালন করেছি। পরের দিন ১১ জানুয়ারি আমাদের কর্মসূচি ছিল।
মহানগরী উত্তর-দক্ষিণ আমাদের যুবলীগ-ছাত্রলীগ, অন্য সহযোগী সংগঠন, মফস্বলের উপজেলা পর্যায়ে কর্মসূচি পালন করেছি। এটি সবসময় হয়ে আসছে। এখানে পাল্টাপাল্টির কোনো বিষয় না।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে মিছিল থেকে জামায়াত শিবিরের ৮ নেতাকর্মী আটক
‘তবে বিএনপির আন্দোলন নিয়ে আমাদের অবস্থান অপরিবর্তিত। সেটা হচ্ছে সতর্ক পাহারায় থাকা। যাতে করে জনগণের জানমালের নিরাপত্তা বিঘ্নিত হতে না পারে এবং অশান্তি, বিশৃঙ্খলা সহিংসতার কোনো উপদান যুক্ত হতে না পারে, সে ব্যাপারে আমরা সতর্ক থাকছি,’ বললেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক।
তাকে প্রশ্ন করা হয়েছিল যে জামায়াতের সঙ্গে সরকারের কোনো সমঝোতা হয়েছে বলে শোনা যাচ্ছে প্রশ্নে তিনি আরও বলেন, ‘আমরা আদালতের রায়ের জন্য অপেক্ষা করছি। স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে এ ধরনের প্রক্রিয়া শুরু করার ব্যাপারে আমাদের কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি।’
জামায়াতকে নিয়েই বিএনপির যুগপৎ আন্দোলনের বিষয়ে তিনি বলেন, তা সবাই জানেন। জামায়াত ছাড়া বিএনপির টিকে থাকাই দুষ্কর। নেতিবাচক রাজনীতি করতে করতে বিএনপি যেখানে গিয়ে পৌঁছেছে, তাদের বড় সমাবেশ, বড় মিছিল করতে হলে জামায়াতকে দরকার। জামায়াতের আবার একটি সমর্থক-কর্মীর ব্যাংক আছে। কাজেই সমাবেশ বড় করতে হলে, মিছিলে লোক বেশি আনতে হবে জামায়াত ছাড়া তাদের (বিএনপি) চলবে না।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আমরা বারবার একই কথা বলেছি, সাম্প্রদায়িক শক্তির পৃষ্ঠপোষক বিএনপি। জঙ্গিবাদী গোষ্ঠীর বিশ্বস্ত ঠিকানা বিএনপি। বিএনপি-জামায়াত একই মুদ্রার এপিঠ-ওপিঠ। তাদের একটিকে ছাড়া আরেকটি চলবে না।’
আরও পড়ুন: বিশ্বের কোথায়ও তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা নেই: ওবায়দুল কাদের
বিএনপির আন্দোলন নিয়ে সতর্ক থাকবে আ.লীগ: কাদের
সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপির আন্দোলন নিয়ে আমরা সতর্ক থাকব। তারা যাতে সহিংস পরিস্থিতি তৈরি করতে না পারে, সে ব্যাপারে আমরা নিজেদের অবস্থান পরিবর্তন করিনি। আমরা রাজপথে আছি। রাজপথ আমরা ছাড়ব না। জনগণের জানমাল রক্ষার দায়িত্ব পালন করব।
বৃহস্পতিবার সচিবালয়ের মন্ত্রণালয় সভাকক্ষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, গতকাল বিএনপির বৈঠক অনেক বড় হয়েছে। আমাদের আলোচনা সভাও বড় সমাবেশে রূপ নেয়।
বিএনপির নেতৃত্ব নিয়ে প্রশ্ন তুলে তিনি বলেন, পরের নির্বাচনে আমাদের নেতৃত্ব দেবেন শেখ হাসিনা। কিন্তু তাদের নেতা কে? গত নির্বাচনে তারা কামাল হোসেনের নেতৃত্বে নির্বাচন করেছে।
তিনি বলেন, গতকাল কোনো সহিংস পরিস্থিতি কোথাও হয়নি। ফরিদপুরে তাদের মিটিং থেকে পুলিশের ওপর ইটপাটকেল ছুড়েছে। তবে তা বেশিদূর গড়ায়নি।
তারা শোভাযাত্রা করলে আমরা শান্তি সমাবেশ করব বলেও জানান ওবায়দুল কাদের।
জামায়াতে ইসলামী নিষিদ্ধ করা প্রসঙ্গে প্রশ্ন করা হলে ওবায়দুল কাদের বলেন, এটা আদালতের বিষয়। এ বিষয়ে আমরা সক্রিয় হওয়ার সিদ্ধান্ত নিইনি। আদালতের বিষয়ে দলীয় ভূমিকা যুক্তিসঙ্গত হবে না।
তার মতে, জামায়াত ছাড়া বিএনপি শক্তিহীন। বিএনপি-জামায়াত একই মুদ্রার এপিঠ-ওপিঠ। জামায়াত ছাড়া তাদের চলা অচল। বেশি লোক আনতে হলে তাদের জামায়াত ছাড়া চলবে না।
আরও পড়ুন: বিএনপি ক্ষমতায় এলে একাত্তরের চেতনা বিলুপ্ত হয়ে যাবে: ওবায়দুল কাদের
ভারতের সঙ্গে বৈরি সম্পর্ক রেখে উন্নয়ন সম্ভব নয়: কাদের
দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্রের সমুচিত জবাব দিতে প্রস্তুত আ.লীগ: কাদের
ভোটাধিকার পুনরুদ্ধারে আরও জেগে ওঠুন: জনগণের প্রতি ফখরুল
আওয়ামী লীগ সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করে ভোটাধিকার পুনরুদ্ধার করতে দেশবাসীকে আরও জেগে ওঠার আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
তিনি বলেছেন, বাংলাদেশের মানুষ জেগে উঠেছে। মুক্তিযুদ্ধের স্বপ্নকে বাস্তবায়িত করতে এবং আমাদের শিশুদের সুন্দর ভবিষ্যৎ নিশ্চিত করার জন্য সত্যিকারের জনগণের বাংলাদেশ গড়তে আমাদের এখন আরও বেশি করে জেগে উঠতে হবে।
অবস্থান কর্মসূচিতে বক্তব্য দেয়ার সময় বিএনপি নেতা বর্তমান 'স্বৈরাচারী' সরকারকে পদত্যাগে বাধ্য করার জন্য সর্বস্তরের জনগণকে তাদের চলমান যুগপৎ আন্দোলনে যোগ দেয়ার আহ্বান জানান।
এছাড়া যার মাধ্যমে একটি গণমুখী সরকার ও সংসদ প্রতিষ্ঠার পথ প্রশস্ত হয়।
আরও পড়ুন: পুলিশ ‘অবৈধভাবে’ বিরোধীদের তথ্য সংগ্রহ করছে: মির্জা ফখরুল
তিনি বলেন, আসুন আমরা সেই লক্ষ্যের দিকে এগিয়ে যাই। আমাদের ভোটাধিকার ও গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে বাংলাদেশের জনগণকে ঐক্যবদ্ধ করে এগিয়ে যেতে হবে। এছাড়া দেশের বিশিষ্ট নাগরিকরা এই লক্ষ্যে এগিয়ে আসছেন এটি একটি ভাল লক্ষণ।
বর্তমান সরকারের বিরুদ্ধে যুগপৎ আন্দোলনের অংশ হিসাবে নয়াপল্টনে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে অবস্থান কর্মসূচির আয়োজন করে বিএনপি।
নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে আগামী নির্বাচন অনুষ্ঠানসহ তাদের ১০ দফা দাবি আদায়ে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় এবং দেশের আরও নয়টি বিভাগে অনুরূপ কর্মসূচি পালন করেছে অন্যান্য সমমনা বিরোধী দল, জোট ও সংগঠনগুলো।
বুধবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে নয়াপল্টনে পবিত্র কোরআন তেলাওয়াতের মধ্য দিয়ে কর্মসূচি শুরু করে বিএনপি।
৩০ ডিসেম্বর ৩৩টি বিরোধী দলের গণমিছিলের পর এটি ছিল একযোগে আন্দোলনের দ্বিতীয় কর্মসূচি। এর আগে ৩০ ডিসেম্বর বিএনপিসহ ৩২টি সমমনা বিরোধী দল একযোগে আন্দোলনের প্রথম কর্মসূচি হিসাবে রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে গণমিছিল কর্মসূচি পালন করে।
আওয়ামী লীগ জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে
ফখরুল বলেন, আওয়ামী লীগ নিজেদের রাজনৈতিক দল হিসাবে পরিচয় দেয়। আমরা জানি যে তারা অনেক পুরানো পরিচিত দল। কিন্তু এখন তারা তাদের রাজনৈতিক অস্তিত্ব সম্পূর্ণভাবে হারিয়ে ফেলেছে।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগও জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। তাই বলপ্রয়োগ করে ক্ষমতায় থাকার জন্য তাদের এখন পুলিশ ও আমলাদের ওপর নির্ভর করতে হবে।
বিএনপি নেতা বলেন, গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার ও জনগণের ভোটের অধিকারের জন্য বর্তমান সরকারকে অপসারণে সব বিরোধী রাজনৈতিক দল একমত হয়েছে। তারা ১০ দফা দাবি আদায় করে এই আন্দোলন সফল করবে।
তিনি বলেন, বর্তমান সরকার রাষ্ট্রীয় সব প্রতিষ্ঠানকে ধ্বংস করে দিয়েছে। তাই আমরা রাজ্য সংস্কারের জন্য ২৭ দফার কথা বলছি।
ঢাকা ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) প্রকৌশলী তাকসিমের যুক্তরাষ্ট্রে ১৪টি বাড়ি নিয়ে গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদনের উল্লেখ করে ফখরুল বলেন, একটি স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা, শত শত কোটি টাকা বিদেশে পাচার করে বাড়ি তৈরি করছেন।
তিনি অভিযোগ করেন, ক্ষমতাসীন দলের লোকজন লুটপাট ও বিদেশে বিপুল অর্থ পাচার করে দেশের অর্থনীতিকে ধ্বংস করছে।
এছাড়া ক্ষমতাসীন দলের নেতারা ব্যাংকসহ সব প্রতিষ্ঠানে নিজেদের নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করে লুটপাটের রাজত্ব কায়েম করেছেন বলে অভিযোগ করেন বিএনপির এই নেতা।
তিনি বলেন, বর্তমান সরকারের প্রধান টার্গেট জনগণের সব অধিকার কেড়ে নিয়ে একদলীয় বাকশাল শাসন পুনরুদ্ধার করা। আমরা সরকারকে তা করতে দেব না। এই শাসনের পতন নিশ্চিত করতে আমরা জনগণের সঙ্গে একসাথে এগিয়ে যাব।
ফখরুল বলেন, তাদের দলের অনেক নেতাকর্মী এখনও অসহনীয় দুর্ভোগ সহ্য করে কারাগারে বন্দি।
তিনি সরকারের কাছে অবিলম্বে ঢাকা মহানগর দক্ষিণের আহ্বায়ক আবদুস সালাম, দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন ও প্রচার বিষয়ক সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী অ্যানিসহ দলের গ্রেপ্তার হওয়া কেন্দ্রীয় নেতাদের মুক্তির দাবি জানান।
ফখরুল অভিযোগ করেন, ফরিদপুর ও ময়মনসিংহে তাদের শান্তিপূর্ণ অবস্থান কর্মসূচিতে ক্ষমতাসীন দলের নেতাকর্মী ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী হামলা চালিয়েছে।
আমরা এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেছেন, সরকার বলত বিএনপি বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির জন্য কর্মসূচি ঘোষণা করে। তবে আমরা শান্তিপূর্ণভাবে ১০টি সমাবেশ ও পরবর্তী কর্মসূচির আয়োজন করেছি।
তিনি বলেন, আগামী দিনেও তারা একইভাবে জনগণের সঙ্গে একত্রে সরকারকে উৎখাত করতে এবং রাষ্ট্রের সংস্কারে তাদের ২৭ দফা বাস্তবায়নে তাদের সব কর্মসূচি পালন করবেন।
তিনি দলীয় নেতাকর্মীদের ব্যাপক অংশগ্রহণে অবস্থান কর্মসূচি সফল করার জন্য ধন্যবাদ জানান।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেছেন, জনগণ জেগে উঠেছে বলে এই সরকারকে যেতেই হবে।
তিনি বলেন, আমরা এই শাসনকে নিচে ঠেলে সরিয়ে দিতে চাই না। আমরা একটি তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে একটি বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচনের মাধ্যমে এর পতন নিশ্চিত করতে চাই।
আব্বাস বলেন, বিএনপি গণতন্ত্র ও শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে বিশ্বাসী হওয়ায় তাদের দল কোনো সহিংসতার আশ্রয় নিতে চায় না। সরকার অহেতুক আতঙ্কে ভুগছে। বিএনপি কোনো বিশৃঙ্খলা ও অশান্তি চায় না। আমরা সরকারকে উস্কানিমূলক কর্মকাণ্ড থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানাই। এমনটা করলে পরিণতি ভালো হবে না। জোর করে ক্ষমতায় থাকার দিন শেষ।
তিনি তাদের দলের ১০ দফা দাবি মেনে নিয়ে একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তরের আহ্বান জানান।
এদিকে বিএনপি ও এর সহযোগী সংগঠনের হাজার হাজার নেতাকর্মী অবস্থান কর্মসূচিতে যোগ দিলে এলাকায় যান চলাচল ব্যাহত হয়।
এছাড়া জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে গণতন্ত্র মঞ্চ একই কর্মসূচি পালন করে, বিজয় নগর পানির ট্যাঙ্কের কাছে ১২ দলীয় জোট, পুরানা পল্টনে জাতীয়তাবাদী সমমনা জোট, এফডিসি ক্রসিংয়ে এলডিপি এবং জাতীয় প্রেসক্লাবের পূর্ব পাশে গণতান্ত্রিক বাম ঐক্য এবং আরামবাগে ক্লাব ও গণফোরাম (মন্টু)।
আরও পড়ুন: ১০ ডিসেম্বরের সমাবেশ বানচালে নয়াপল্টনে সংঘর্ষ করেছে সরকার: মির্জা ফখরুল
ক্ষমতা হারানোর ভয়ে কর্মকর্তাদের অপসারণ করছে সরকার: মির্জা ফখরুল
সরকারকে আবার ধাক্কা দিতে গেলে বিএনপির পা ভেঙে যাবে: তথ্যমন্ত্রী
তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাছান মাহমুদ বলেছেন, সরকারকে আবার ধাক্কা দিতে গেলে বিএনপির পা ভেঙে যাবে।
তিনি বলেন, দয়া করে আর ধাক্কা দেয়ার চেষ্টা করবেন না। ১০ ডিসেম্বর বিএনপির কোমর ভেঙেছে, আবার ধাক্কা দেয়ার চেষ্টা করলে পা ভেঙে যাবে।
বুধবার বিকালে রাজধানীর মিরপুরে শাহ আলী ঈদগাহ ময়দানে ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগ আয়োজিত জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভায় তিনি এ হুঁশিয়ারি দেন।
আরও পড়ুন: বিএনপি অস্থিরতা তৈরি করতে চায়: তথ্যমন্ত্রী
ড. হাছান বলেন, আজকে বঙ্গবন্ধুকন্যার নেতৃত্বে বাংলাদেশ বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নপূরণের পথে অদম্য গতিতে এগিয়ে চলেছে। ক’দিন আগে আইএমএফ (আন্তর্জাতিক অর্থ তহবিল) রিপোর্ট দিয়েছে-বাংলাদেশের অর্থনীতি এখন পৃথিবীর ৩৫তম। আমরা যখন ২০০৯ সালে সরকার গঠন করেছিলাম, দেশ ছিল ৬০তম। আমরা গত ১৪ বছরে জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুরসহ অনেক দেশকে এবং পাকিস্তানকে বহু আগেই পেছনে ফেলেছি।
এই উন্নয়ন বিএনপি, খালেদা জিয়া ও মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরদের পছন্দ হয় না মন্তব্য করে তিনি বলেন, যে সরকার উন্নয়নের চাকাকে ধাবমান চাকায় পরিণত করে আজকে উন্নয়নের মহাসড়কে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে, সেই সরকারকে তারা ধাক্কা দিয়ে ফেলে দিতে চায়। তারা ১০ ডিসেম্বর ধাক্কা দিতে চেয়েছিল, কিন্তু আওয়ামী লীগ কোনও ধাক্কায় পড়ে যাওয়ার দল নয়, বরং যে ধাক্কা দেয় সে-ই পড়ে যায়। ১০ তারিখ সেটিই প্রমাণ হয়েছে।
১০ ডিসেম্বর বিএনপি আমাদের ধাক্কা দিতে গিয়ে তারাই পড়ে গিয়ে নয়াপল্টন থেকে গরুর হাটে চলে গেছে, তাই আজকে সুর পাল্টে ফেলেছে' উল্লেখ করে মন্ত্রী হাছান বলেন, আজকে মির্জা আব্বাস বক্তব্য রেখেছেন আমরা কোনও সরকারকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দিতে চাই না। অর্থাৎ ধাক্কা দেয়ার চেষ্টা করে বুঝতে পেরেছে ১০ ডিসেম্বর তাদের কোমর ভেঙে গেছে। সুতরাং এখন লাইনে এসেছে, বলে কী—আমরা সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে সরকারকে বিদায় দেবো।
হাছান মাহমুদ বলেন, বিএনপি এখন কর্মসূচি দিয়েছে ১৬ তারিখ নাকি তারা গণমিছিল করবে। আমরা রাজপথে নেমেছি, আমরা রাজপথ ছাড়বো না, আমরা রাজপথে থাকবো। কারণ, এই রাজপথেই জন্ম আওয়ামী লীগের। আর বিএনপির জন্ম ক্যান্টনমেন্টের মধ্যে, ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে। রাজপথ আর কাউকে দখলে নিতে দিবো না।
বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ১৯৭২ সালের ১০ জানুয়ারি, যে দিন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু পাকিস্তানের কারাগার থেকে মুক্তি লাভ করে বাংলাদেশে পর্দাপণ করেছিলেন, সে দিনই আমাদের স্বাধীনতা পূর্ণতা লাভ করেছিল। বঙ্গবন্ধুকে যখন ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট হত্যা করা হয়, তখন আমাদের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির হার ছিল ৯.৫৪ শতাংশ। আমরা আজ পর্যন্ত সেই রেকর্ড ভাঙতে পারিনি।
ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ বজলুর রহমানের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ড. আব্দুর রাজ্জাক, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন, শিল্প প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার, উত্তরের সাধারণ সম্পাদক এস এম মান্নান কচি প্রমুখ।
আরও পড়ুন: যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত শিক্ষার্থীর মৃত্যু মানবাধিকারের লঙ্ঘন: তথ্যমন্ত্রী
ভারতীয় সাংবাদিকদের সফর দু’দেশের সম্পর্ককে নতুন উচ্চতায় নেবে: তথ্যমন্ত্রী
স্বচ্ছ, অবাধ, নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন চায় ইসি
নির্বাচন কমিশন (ইসি) স্বচ্ছ, অবাধ, নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন চায় বলে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল৷
বুধবার দুপুরে রাজধানীর আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনের সম্মেলন কক্ষে রংপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনোত্তর মতবিনিময় সভা শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা জানান।
সিইসি বলেন, রংপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে কিছু সংকটের কথা শোনা গেছে। ইভিএমের মাধ্যমে ভোটগ্রহণে ধীরগতি হয়েছে বলেও অভিযোগ পাওয়া গেছে। ভবিষ্যতে এমন সমস্যা কোন ভোটে দেখতে চায়না ইসি। তাই সব পক্ষের সঙ্গে আলোচনা করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: নির্বাচন কমিশন কোনো রাজনৈতিক দলের পক্ষ নেবে না: আনিসুর রহমান
রংপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ধীরগতির কারণ পর্যালোচনাও করবে কমিশন বলেও জানান তিনি।
হাবিবুল আউয়াল বলেন, রংপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ফিঙ্গার প্রিন্টের সমস্যা কম ছিল। তবে নানা কারণে নির্বাচনে ভোট কাস্টিং এ ধীরগতি কম ছিল। ইভিএম এ ভোট সংকট দূর করতে ব্যবস্থা নেয়া হবে। টেকনিক্যাল কমিটির সঙ্গে আলোচনা করা হবে।
এর আগে রংপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনের নানা বিষয় নিয়ে গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা করে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
এতে নির্বাচন কভার করতে যাওয়া সাংবাদিকরা ভোটের দিনের নানা ত্রুটি-বিচ্যুতির কথা ইসিকে অবহিত করেন।
সভায় গণমাধ্যমকর্মীরা রংপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ভোটগ্রহণের ক্ষেত্রে নিজেদের দেখা অভিজ্ঞতার বিষয়গুলো তুলতে গিয়ে ভোটারদের বাধা দেয়া, ইভিএম ত্রুটি ধরা পড়া, প্রিজাইডিং কর্মকর্তাদের সহযোগিতা না পাওয়ার কথা বলেন।
নির্বাচন বিশেষজ্ঞ নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহ বলেন, ভোটাররা এখনও অভ্যস্ত হয়ে উঠেনি ইভিএমে। অনেকের হাতের ছাপ না মিলায় রংপুরে ভোটগ্রহণ ধীরগতি হয়েছে। আরও প্রশিক্ষণ প্রয়োজন।
মতবিনিময় সভায় সিইসি ছাড়াও অন্যান্য নির্বাচন কমিশনাররা উপস্থিত ছিল।
পাশাপাশি গণমাধ্যমকর্মী, সদ্য সমাপ্ত রংপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনের রিটার্নিং অফিসার, সহকারী রিটার্নিং অফিসাররা, নির্বাচন পর্যবেক্ষকরাও অংশ নেন এই সভায়।
আরও পড়ুন: শর্ত পূরণ হলে নিবন্ধন পেতে পারে জামায়াত: নির্বাচন কমিশনার
সিসি ক্যামেরা ব্যবহারে ভোট কেন্দ্রে শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠিত হয়েছে: নির্বাচন কমিশনার
বিএনপি ক্ষমতায় এলে একাত্তরের চেতনা বিলুপ্ত হয়ে যাবে: ওবায়দুল কাদের
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপি আবার ক্ষমতায় এলে দেশে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা থাকবে না।
তিনি বলেন, সাম্প্রদায়িক শক্তি ও জঙ্গিবাদের পৃষ্ঠপোষক বিএনপিকে আমরা ক্ষমতা হস্তান্তর করতে পারি না।
১৯৭১ সালে বাংলাদেশ পাকিস্তানের বিরুদ্ধে বিজয় অর্জনের পর জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে বুধবার ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগ আয়োজিত এক আলোচনা সভায় যোগ দিতে গিয়ে তিনি এ মন্তব্য করেন।
আরও পড়ুন: গোলাপবাগে সমাবেশ করে বিএনপি ‘অর্ধেক পরাজিত’: ওবায়দুল কাদের
এছাড়া পাকিস্তানের কারাগার থেকে মুক্তি পাওয়ার পর ১৯৭২ সালের ১০ জানুয়ারি লন্ডন ও নয়াদিল্লি হয়ে বঙ্গবন্ধু ঢাকায় ফিরে আসেন।
কাদের বলেন, বাংলাদেশের আরেক নাম শেখ মুজিবুর রহমান। যতদিন এই ভূমি থাকবে বঙ্গবন্ধু থাকবেন।
বুধবার বিএনপির গণঅবস্থান কর্মসূচির দিকে ইঙ্গিত করে তিনি বিরোধী দলের কড়া সমালোচনা করে বলেন, শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে ৫৪টি দল হাত মিলিয়েছে। কিন্তু ৫৪ দল কী করবে? তারা কিছু করতে পারে না।
কাদের বলেন, বিএনপির দুর্নীতি, লুটপাট ও দুঃশাসনের বিরুদ্ধে খেলা হবে।
তিনি বলেন, বিএনপি ক্ষমতায় থাকাকালে যা ধ্বংস করেছিল হাসিনা তা মেরামত করেছেন।
তিনি আরও বলেন, শেখ হাসিনা একদিনে শত শত সেতু ও শত শত রাস্তার উদ্বোধন করেছেন। শেখ হাসিনাই পারেন, একমাত্র শেখ হাসিনাই পারেন। আসুন আমরা তার হাতকে শক্তিশালী করি।
স্থানীয় গণমাধ্যমের সমালোচনা করে কাদের বলেন, বিএনপির শাসনামলে ৫০ দিনও তিনি ঘরে থাকতে পারেননি। এখন বিএনপির দুই নেতা ২৬ দিন ধরে কারাগারে ছিলেন।
এছাড়া কিছু মিডিয়া এমনভাবে লিখছে যেন তারা ২৬ হাজার বছর ধরে জেলে ছিল।
এতে সভাপতিত্ব করেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবির।
আরও পড়ুন: নেতার দরকার নেই, চৌকস কর্মী চাই: ছাত্রলীগকে ওবায়দুল কাদের
স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য সিঙ্গাপুর যাচ্ছেন ওবায়দুল কাদের
বিএনপির অবস্থান কর্মসূচি: ঢাকার রাজপথে জড়ো হয়েছেন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা
বিএনপি ও সমমনা বিরোধী দল ও জোটের অবস্থান কর্মসূচির পালটা কর্মসূচি হিসেবে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা বুধবার ঢাকায় অবস্থান নিয়েছে।
দলীয় সূত্রে জানা গেছে, যেকোনো অপ্রীতিকর ঘটনা মোকাবিলায় নগরীর প্রতিটি ওয়ার্ডে প্রতিটি নেতাকর্মী রাস্তায় নেমেছেন।
আরও পড়ুন: কুষ্টিয়ায় প্রধান শিক্ষককে আওয়ামী লীগ নেতার চড়-থাপ্পড়!
সকাল থেকেই বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, স্বচ্ছাসেবক লীগ, কৃষক লীগ, মহিলা আওয়ামী লীগ, মহিলা যুবলীগসহ সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা জড়ো হন।এছাড়া সমাবেশকে কেন্দ্র করে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়। কর্মসূচির কারণে যানবাহন আটকে থাকায় অধিকাংশ যাত্রী পায়ে হেঁটেই এলাকা অতিক্রম করেন।
অন্যদিকে সকাল থেকেই শাহবাগে জড়ো হন ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা।
১৬ জানুয়ারি দেশব্যাপী সমাবেশ ও মিছিলের ঘোষণা বিএনপি’র
১০ দফা দাবি আদায়ে ১৬ জানুয়ারি দেশব্যাপী সমাবেশ ও মিছিল কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বিএনপি।
মঙ্গলবার বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর নয়াপল্টনে দলের অবস্থান কর্মসূচি থেকে এ ঘোষণা দেন।
তিনি বলেন, সকল মহানগর, জেলা শহর, উপজেলা ও পৌরসভায় এ কর্মসূচি পালন করা হবে।
সরকারের বিরুদ্ধে যুগপৎ আন্দোলনের অংশ হিসেবে বিএনপিসহ অন্যান্য সমমনা বিরোধী দল, জোট ও সংগঠনগুলো আজ রাজধানীসহ অন্যান্য বিভাগে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছে।
আরও পড়ুন: বিএনপিসহ সমমনা দলগুলোর গণঅবস্থান কর্মসূচি শুরু
কর্মসূচিটি সকাল ১০টায় শুরু হয়ে দুপুর ২টায় মির্জা ফখরুলের বক্তব্যের মধ্য দিয়ে শেষ হয়।
নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে আগামী নির্বাচনসহ ১০ দফা দাবি আদায়ে চার ঘণ্টার এ কর্মসূচির আয়োজন করে বিএনপি।
৩০ ডিসেম্বর ৩৩টি বিরোধী দলের গণমিছিলের পর এটি যুগপৎ আন্দোলনের দ্বিতীয় কর্মসূচি।
বিএনপি নেতারা বলেন যে ২০০৭ সালে সেই দিনে ঘটে যাওয়া রাজনৈতিক পরিবর্তনের কথা মাথায় রেখে ১১ জানুয়ারির জন্য এই কর্মসূচি তৈরি করা হয়, দিনটি দেশে ‘এক-এগারো’ নামে পরিচিত।
এর আগে গত ৩০ ডিসেম্বর বিএনপিসহ ৩২টি সমমনা বিরোধী দল যুগপৎ আন্দোলনের প্রথম কর্মসূচি হিসেবে রাজধানী ও রংপুর মহানগরীর বিভিন্ন স্থানে বিক্ষোভ মিছিল করে।
আরও পড়ুন: ঢাকাসহ অন্যান্য বিভাগে বুধবার অবস্থান কর্মসূচি পালন করবে বিএনপিসহ সমমনা দলগুলো
সরকারবিরোধী আন্দোলন জোরদার করার নতুন শপথ নিলেন ফখরুল
বিএনপিসহ সমমনা দলগুলোর গণঅবস্থান কর্মসূচি শুরু
বর্তমান সরকারের বিরুদ্ধে যুগপৎ আন্দোলনের অংশ হিসেবে রাজধানীসহ অন্যান্য বিভাগে বিএনপিসহ সমমনা বিরোধী দল, জোট ও সংগঠনের গণঅবস্থান কর্মসূচি মঙ্গলবার শুরু হয়েছে।
নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে পরবর্তী নির্বাচন অনুষ্ঠানসহ তাদের ১০ দফা দাবি আদায়ের লক্ষ্যে বিরোধী দলগুলো পৃথকভাবে সকাল ১০টায় চার ঘণ্টার এই কর্মসূচি শুরু করে, যা দুপুর ২টা পর্যন্ত চলবে।
বিএনপিসহ সমমনা বিরোধী দলের নেতাকর্মীরা ইতোমধ্যেই নয়াপল্টনে জড়ো হয়েছে।
৩০ ডিসেম্বর ৩৩টি বিরোধী দলের গণমিছিলের পর এটি একযোগে আন্দোলনের দ্বিতীয় কর্মসূচি।
বিএনপি নেতারা বলেন যে ২০০৭ সালে সেই দিনে ঘটে যাওয়া রাজনৈতিক পরিবর্তনের কথা মাথায় রেখে ১১ জানুয়ারির জন্য এই কর্মসূচি তৈরি করা হয়, দিনটি দেশে ‘এক-এগারো’ নামে পরিচিত।
আরও পড়ুন: বিএনপির গণঅবস্থান কর্মসূচিতে জনদুর্ভোগ সহ্য করা হবে না: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
মঙ্গলবার ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুকের সঙ্গে দেখা করেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন এবং দলের আইনবিষয়ক সম্পাদক কায়সার কামাল এবং সকাল ১০টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত দলের নয়াপল্টন কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালনের অনুমতি পান তারা।
ডিএমপি কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক বলেন, তারা (পুলিশ) যান চলাচল স্বাভাবিক রেখে কর্মসূচি পালনের জন্য বিএনপির প্রতি আহ্বান জানান। যানবাহন চলাচলে বিঘ্ন ঘটলে দায় তাদের (বিএনপি) নিতে হবে।
সমাবেশে বক্তব্য রাখবেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন ও মির্জা আব্বাসসহ সিনিয়র নেতারা।
এছাড়া জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে গণতন্ত্র মঞ্চ, বিজয় নগর পানির ট্যাংক এলাকায় ১২ দলীয় জোট, পুরানা পল্টনে জাতীয়তাবাদী সমমনা জোট, এফডিসি মোড়ে এলডিপি, জাতীয় প্রেসক্লাবের পূর্ব পাশে গণতান্ত্রিক বম ঐক্য এবং আরামবাগে গণফোরাম (মন্টু) কর্মসূচি পালন করবে।
আরও পড়ুন: সরকার উৎখাতে বিএনপির সঙ্গে ডান-বামরা: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
ঢাকাসহ অন্যান্য বিভাগে বুধবার অবস্থান কর্মসূচি পালন করবে বিএনপিসহ সমমনা দলগুলো
বর্তমান সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করার জন্য যুগপৎ আন্দোলনের অংশ হিসেবে বিএনপিসহ অন্যান্য সমমনা বিরোধী দল, জোট ও সংগঠনগুলো ঢাকাসহ জেলার অন্যান্য বিভাগে গণঅবস্থান কর্মসূচি পালন করবে।
নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে আগামী নির্বাচনসহ ১০ দফা দাবি আদায়ে বিরোধী দল ও সংগঠনগুলো বুধবার (১১ জানুয়ারি) সকাল ১০টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত পৃথকভাবে চার ঘণ্টার কর্মসূচি পালন করবে।
৩০ ডিসেম্বর ৩৩টি বিরোধী দলের গণমিছিলের পর এটি হবে যুগপৎ আন্দোলনের দ্বিতীয় কর্মসূচি।
বিএনপির নীতিনির্ধারকরা বলেছেন, ২০০৭ সালের ১/১১ এর কথা মাথায় রেখে ১১ জানুয়ারি এই কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়েছে।
এদিকে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন এবং দলের আইন বিষয়ক সম্পাদক কায়সার কামাল ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুকের সঙ্গে দেখা করেন।
সন্ধ্যা ৭টা ২০ মিনিটের দিকে ডিএমপি কার্যালয় থেকে বেরিয়ে ডা. জাহিদ জানান, সকাল ১০টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত তাদের দলের নয়াপল্টন কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালনের অনুমতি পেয়েছেন তারা।
ডিএমপি কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক বলেন, তারা বিএনপিকে যান চলাচল স্বাভাবিক রেখে কর্মসূচি পালনের আহ্বান জানিয়েছেন। যান চলাচলে বিঘ্ন ঘটলে এর দায় তাদের (বিএনপি) নিতে হবে।
আরও পড়ুন: সরকারবিরোধী আন্দোলন জোরদার করার নতুন শপথ নিলেন ফখরুল
অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেবেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন ও মির্জা আব্বাসসহ সিনিয়র নেতারা।
এছাড়া জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে গণতন্ত্র মঞ্চ, বিজয় নগর পানির ট্যাঙ্কে ১২ দলীয় জোট, পুরানা পল্টনে জাতীয়তাবাদী সমমনা জোট, এফডিসি ক্রসিংয়ে এলডিপি, জাতীয় প্রেসক্লাবের পূর্ব পাশে গণতান্ত্রিক বাম ঐক্য এবং আরামবাগে গণফোরাম (মন্টু) কর্মসূচি পালন করবে।
যদিও বাংলাদেশ জামায়াত ইসলামী ৩০ ডিসেম্বর বিএনপি এবং অন্যান্য দলগুলোর সঙ্গে গণমিছিল কর্মসূচিতে যোগ দেয়।
দলের একজন সিনিয়র নেতা জানিয়েছেন, কৌশলগত অবস্থানের কারণে জামায়াত অবস্থান কর্মসূচি পালন না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
অবস্থানের পর বিরোধী দল ও জোটগুলো যুগপৎ আন্দোলন জোরদার করতে নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করতে পারে।
এছাড়া বিভিন্ন বিভাগে গণঅবস্থান কর্মসূচিতে অংশ নেবেন বিএনপির সিনিয়র নেতারা।
বিএনপির পরিকল্পনা অনুযায়ী সিলেট বিভাগে কর্মসূচির নেতৃত্ব দেবেন দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, রাজশাহীতে ড. আব্দুল মঈন খান, ময়মনসিংহে নজরুল ইসলাম খান, চট্টগ্রামে আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, বরিশালে সেলিমা রহমান ও ইকবাল হাসান, রংপুরে মাহমুদ টুকু, কুমিল্লায় ভাইস-চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু, খুলনায় শামসুজ্জামান দুদু ও ফরিদপুরে অ্যাডভোকেট আহমদ আজম খান।
এর আগে গত ৩০ ডিসেম্বর বিএনপিসহ ৩২টি সমমনা বিরোধী দল যুগপৎ আন্দোলনের প্রথম কর্মসূচি হিসেবে রাজধানী ও রংপুর মহানগরীর বিভিন্ন স্থানে গণমিছিল কর্মসূচি পালন করে।
বর্তমান সরকারের পদত্যাগ এবং নির্বাচনকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠনসহ তাদের ১০ দফা দাবিতে চাপ দেয়ার জন্য তারা তাদের পরবর্তী পদক্ষেপ হিসাবে ১১ জানুয়ারি সারাদেশে অবস্থান কর্মসূচি ঘোষণা করে।
এর আগে ২৪ ডিসেম্বর সব বিভাগীয় শহর ও জেলা সদরে গণমিছিল কর্মসূচি পালন করে বিএনপি।
ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের জাতীয় কাউন্সিল কর্মসূচি ও রংপুর সিটি নির্বাচনের কারণে বিএনপি ঢাকা ও রংপুরে এই কর্মসূচির দিন ৩০ ডিসেম্বর পুনঃনির্ধারণ করে।
আরও পড়ুন: বিএনপি দমন কমিশনে পরিণত হয়েছে দুদক: মোশাররফ
বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচনের 'পূর্বশর্ত' প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগ: গয়েশ্বর