রাজনীতি
বার্ষিক আয় কমলেও ৫ বছরে জাসদ সভাপতি হাসানুল হক ইনুর সম্পদ বেড়েছে ৪ গুণ
জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ) সভাপতি ও কুষ্টিয়া-২ (মিরপুর-ভেড়ামারা) আসনের সংসদ সদস্য হাসানুল ইনুর আয় তেমন না বাড়লেও গত ৫ বছরে তার সম্পদ বেড়েছে প্রায় ৪ গুণ।
এই সময়ে তার বার্ষিক আয়ের পরিমাণ সামান্য কমে ৩৩ লাখ ৭৪ হাজার ৮০৪ টাকায় দাঁড়িয়েছে। অন্যদিকে, গত ১০ বছরে ইনুর স্ত্রীর সম্পদ বেড়েছে ২৯ গুণ।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে কুষ্টিয়ায় রিটার্নিং অফিসারের কার্যালয়ে মনোনয়নের সঙ্গে দাখিল করা হলফনামা থেকে এসব তথ্য পাওয়া গেছে।
হলফনামায় দেওয়া তথ্যানুযায়ী, পেশায় রাজনৈতিক কর্মী ও প্রকৌশলী হাসানুল হক ইনু। তার আয়ের বড় অংশ আসে ব্যবসা, বেতন-ভাতা, ব্যাংক-আর্থিক প্রতিষ্ঠানের লভ্যাংশ ও টিভি টকশো থেকে।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জমা দেওয়া হলফনামায় ইনু ব্যবসা থেকে বার্ষিক আয় দেখিয়েছেন ৭ লাখ ৬২ হাজার ১৪৯ টাকা, বেতন-ভাতা থেকে তার আয় ২৩ লাখ ২৭ হাজার ৫৮০ টাকা, টিভি টকশো ও ব্যাংক সুদ থেকে পেয়েছেন ২ লাখ ১৬ হাজার ৭০ টাকা। সব মিলিয়ে তার বার্ষিক আয় ৩৩ লাখ ৭৪ হাজার ৮০৪ টাকা।
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দেওয়া হলফনামায় তিনি আয় দেখিয়েছিলেন ৩৪ লাখ ৬১ হাজার ৬২৩ টাকা। সে হিসেবে ইনুর বার্ষিক আয় একটু কমে গেছে।
তা সত্বেও, গত পাঁচ বছরে হাসানুল হক ইনুর সম্পদ বেড়ে প্রায় ৪ গুণ হয়েছে।
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দেওয়া হলফনামায় তিনি সম্পদের পরিমাণ উল্লেখ করেছিলেন ১ কোটি ১৫ লাখ ৭ হাজার ৮৬৬ টাকা।
আরও পড়ুন: বিএনপির নেতারা গণতন্ত্রের ফেরেশতা নয়: ইনু
দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের হলফনামায় দেওয়া তথ্যে এর পরিমাণ ৩ কোটি ৯২ লাখ ৭৬ হাজার ২২৯ টাকা।
বর্তমানে ইনুর নগদ অর্থের পরিমান ৩ কোটি ৫৬ লাখ ১৫৫ টাকা, ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে তার নামে জমা রয়েছে ১৪ লাখ ৮৪ হাজার ৯২৪ টাকা, সোনা রয়েছে ২৫ ভরি।
১৯৭৪ সালের দাম অনুযায়ী এই সোনার দাম দেখানো হয়েছে ২৫ হাজার ৫০০ টাকা।
এছাড়া, তার ৪ লাখ টাকা মূল্যের একটি জিপ গাড়ি আছে। আর রাজধানীর পূর্বাচলে ১০ কাঠার একটি প্লট রয়েছে, যার মূল্য দেখানো হয়েছে ১৬ লাখ ১০ হাজার টাকা।
তবে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে দেওয়া হলফনামা অনুযায়ী হলফনামায় ইনুর স্ত্রীর সম্পদ বেড়েছে অবিশ্বাস্যভাবে।
স্থাবর-অস্থাবর মিলিয়ে তার বর্তমান সম্পদের পরিমাণ ১ কোটি ৮৫ লাখ ৫২ হাজার ২৫৮ টাকা।
এর মধ্যে নগদ অর্থ রয়েছে ১ কোটি ৬১ লাখ ৫৪ হাজার ৮৪৩ টাকা, ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে জমা রয়েছে ১৬ লাখ ৩৭ হাজার ২৭০ টাকা, তার নামে ৭ লাখ ৪৮ হাজার ১৪৫ টাকার একটি অ্যাপার্ন্টমেন্ট আছে।
এছাড়া, তার স্ত্রীর ৪০ ভরি সোনা আছে, ১৯৭৪ সালের বাজার মূল্য অনুযায়ী এ সোনার দাম দেখানো হয়েছে ১২ হাজার টাকা।
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের হলফনামায় হাসানুল হক ইনু তার স্ত্রীর সম্পদের পরিমাণ দেখিয়েছিলেন ৬০ লাখ ৩ হাজার ২৫৮ টাকা।
আর দশম সংসদ নির্বাচনের হলফনামায় জাসদ সভাপতি তার স্ত্রীর সম্পদের পরিমাণ দেখিয়েছিলেন ৬ লাখ ৩৮ হাজার ১৯০ টাকা।
আরও পড়ুন: সংবিধান পর্যালোচনার জন্য সংসদীয় কমিটি গঠনের প্রস্তাব ইনুর
দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি রোধে ক্ষমতাবাজী বন্ধ এবং বৈষম্যের অবসান করতে হবে: ইনু
৭৫৪ দিন আগে
নেতৃত্ব অন্যের হাতে চলে যাওয়ার ভয়ে নির্বাচন চায় না তারেক: কৃষিমন্ত্রী
নেতৃত্ব অন্যের হাতে চলে যাওয়ার ভয়ে তারেক নির্বাচন চায় না বলে মন্তব্য করেছেন কৃষিমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক।
তিনি বলেন, আগামী মাসে জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। বিএনপি একটা বড় রাজনৈতিক দল। অনেক চেষ্টা করেছি, নির্বাচনে আনার জন্য কিন্তু বিএনপি আসেনি। তাদের নেতা তারেক জিয়া সাজাপ্রাপ্ত, খালেদা জিয়া সাজাপ্রাপ্ত; তারা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারবে না।
মঙ্গলবার রাজধানীর ফার্মগেটে বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিল (বিএআরসি) মিলনায়তনে বিশ্ব মৃত্তিকা দিবস উপলক্ষ্যে কৃষি মন্ত্রণালয় আয়োজিত সেমিনার, সয়েল কেয়ার অ্যাওয়ার্ড ও মৃত্তিকা দিবস পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
এসময় তিনি বলেন, কাজেই বিএনপি যদি নির্বাচনে জিতেও, তারেক জিয়া ও খালেদা জিয়া নেতা থাকতে পারবে না। নেতৃত্ব চলে যাবে দলের অন্যদের কাছে। তাই নেতৃত্ব হারানোর ভয়ে তারেক জিয়া কিছুতেই চায় না নির্বাচন হোক, বিএনপি নির্বাচনে আসুক।
আরও পড়ুন: খাদ্য নিরাপত্তা টেকসই করতে কম সময়ে অধিক ফলনে গুরুত্ব দিচ্ছি: কৃষিমন্ত্রী
মন্ত্রী বলেন, দেশটায় শান্তি দরকার, উন্নয়নের জন্য রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা দরকার। সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন হচ্ছে। এটিকে, বানচাল করার জন্য আবারও সহিংসতা ও বর্বরতার পথ বেছে নিয়েছে বিএনপি। তারা ভুল পথে রয়েছে, নির্বাচন বর্জনের মাধ্যমে তারা আরও জনবিচ্ছিন্ন দলে পরিণত হবে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের অর্জিত সাফল্যের কথা শুনে সবাই অবাক বিস্ময়ে তাকিয়ে থাকে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, যেখানে যাই, কথা বলি সারা পৃথিবীর মানুষই আমাদের প্রশংসা করে। সবাই আমাদের কথা শুনতে চায়। বাংলাদেশের সফলতার কথা যখন আমরা বলি, সবাই অবাক বিস্ময়ে তাকিয়ে থাকে। তারা বিস্ময় প্রকাশ করে, কীভাবে বাংলাদেশের এত সাফল্য।
এবারের বিশ্ব মৃত্তিকা দিবসের প্রতিপাদ্য হলো ‘মাটি ও পানি: জীবনের উৎস’।
মন্ত্রী বলেন, জমি কমছে, পানির উৎসও কমে যাচ্ছে। মাটির গুণাগুণও হ্রাস পাচ্ছে। এ অবস্থায় ১৭ কোটি মানুষের খাদ্য চাহিদা আমাদের মেটাতে হবে।
তিনি বলেন, বর্ধিত জনসংখ্যার খাবার জোগাড় করা অনেক বড় চ্যালেঞ্জ। মানুষ আগে খাবার পেতো না, ভাত পেতো না। দেশে দুর্ভিক্ষ হয়েছে বার বার। ২০০৪-০৫ সালে উত্তরাঞ্চলে আমি দেখেছি মানুষের হাড্ডিসার চেহারা। এখন আর সেই অবস্থা নেই। এখন খাদ্যাভাব নেই, খাদ্যের কষ্ট আর নেই।
তিনি আরও বলেন, মাটি ব্যবস্থাপনায় গুরুত্ব দিতে হবে। দেশে প্রায় ১২ লাখ ৫০ হাজার হেক্টর জমি লবণাক্ত। প্রায় ৩০ লাখ হেক্টর জমি উপকূলীয়। লবণাক্ত জমির সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা করতে পারলে সব ফসলে উদ্বৃত্ত হওয়া যাবে। উন্নত জাতের ধানের চাষ ছড়িয়ে দিতে পারলে চালে উদ্বৃত্ত হওয়া সম্ভব।
পরে মন্ত্রী সয়েল কেয়ার অ্যাওয়ার্ড-২০২৩, সয়েল অলিম্পিয়াড এবং মৃত্তিকা দিবসের পুরস্কার বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করেন এবং 'ল্যান্ড অ্যান্ড সয়েল রিসোর্সেস ইউটিলাইজেশন গাইড'- বইয়ের মোড়ক উন্মোচন করেন।
সভাপতির বক্তব্যে কৃষিসচিব ওয়াহিদা আক্তার বলেন, পানি ও মৃত্তিকা সম্পদের অত্যধিক ব্যবহারের কারণে পানি ও মাটি আজ অবক্ষয়ের সম্মুখীন।
তিনি আরও বলেন, ভূমির যথাযথ ব্যবহার ও মাটির অবক্ষয় রোধ নিশ্চিত করার মাধ্যমে খাদ্য উৎপাদন বৃদ্ধির ধারা অব্যাহত রাখতে কৃষি মন্ত্রণালয় নিরলস কাজ করে যাচ্ছে।
অনুষ্ঠানে বিএআরসি নির্বাহী চেয়ারম্যান শেখ মো. বখতিয়ার, কৃষি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মাহবুবুল হক পাটওয়ারী, মৃত্তিকা সম্পদ উন্নয়ন ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক জালাল উদ্দীন প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
আরও পড়ুন: যারা নির্বাচন বানচাল করতে চায় তাদের মোকাবিলা করবে যুবসমাজ: কৃষিমন্ত্রী
বিএনপির শান্তিপ্রিয় নেতা-কর্মীদের গ্রেপ্তার করা হচ্ছে না: কৃষিমন্ত্রী
৭৫৪ দিন আগে
বিএনপি নেতৃত্বাধীন বিরোধী দলগুলোর ৪৮ ঘণ্টার অবরোধ শুরু হচ্ছে বুধবার
নির্বাচন কমিশন (ইসি) ঘোষিত আগামী জাতীয় নির্বাচনের তফসিলের প্রতিবাদে বুধবার (৬ ডিসেম্বর) সকাল থেকে সারাদেশে আরও ৪৮ ঘণ্টা সড়ক-রেল-নৌপথ অবরোধ করবে বিএনপি ও সমমনা দলগুলো।
৩১ অক্টোবর থেকে এটি হবে বিরোধী দলগুলোর দশম দফা অবরোধ কর্মসূচি।
বুধবার সকাল ৬টায় শুরু হয়ে শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টায় অবরোধ শেষ হবে।
মঙ্গলবার এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী দেশবাসী এবং বিএনপি ও অন্যান্য বিরোধী দলের সমর্থকদের স্বতঃস্ফূর্তভাবে কর্মসূচি সফল করার আহ্বান জানান।
সংবাদপত্র বা গণমাধ্যমের যানবাহন, অ্যাম্বুলেন্স এবং অক্সিজেন সিলিন্ডার ও ওষুধ পরিবহনকারী যানবাহন অবরোধের আওতার বাইরে থাকবে।
আরও পড়ুন: বুধবার থেকে ফের ৪৮ ঘণ্টার অবরোধ ঘোষণা বিএনপির
এর আগে সরকারের উপর চাপ বাড়াতে, নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে আগামী নির্বাচন অনুষ্ঠান এবং দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ দলের নেতা-কর্মীদের মুক্তি দেওয়ার দাবিতে সোমবার নতুন করে অবরোধ কর্মসূচি ঘোষণা করেন রিজভী।
তিনি বলেন, অন্যান্য বিরোধী দল; যারা দীর্ঘদিন ধরে বিএনপির সঙ্গে যুগপৎ আন্দোলন করে আসছে, তারাও একই ধরনের কর্মসূচি পালন করবে।
এর আগে আওয়ামী লীগ সরকারের পদত্যাগ এবং নির্দলীয় প্রশাসনের অধীনে আগামী নির্বাচন অনুষ্ঠানের দাবিতে নয় দফা অবরোধ পালন করে বিএনপি ও অন্যান্য বিরোধী দল।
তারা ২৯ অক্টোবর থেকে তিন দফায় দেশব্যাপী ভোর-সন্ধ্যা হরতালও পালন করেছে।
আরও পড়ুন: নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনের জন্য ইসির শো-কজ জনগণের সঙ্গে তামাশা: রিজভী
নির্বাচনে কারচুপির সঙ্গে জড়িতদের জনগণের আদালতে বিচার হবে : রিজভী
৭৫৪ দিন আগে
নির্বাচনে কারচুপির সঙ্গে জড়িতদের জনগণের আদালতে বিচার হবে : রিজভী
আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদের একতরফা নির্বাচনের সঙ্গে জড়িতদের 'জনগণের আদালতে' বিচার করা হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
মঙ্গলবার (৫ ডিসেম্বর) এক ভার্চুয়াল প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
বিএনপি নেতা বলেন, বর্তমান সরকার দেশ, জাতি ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের মতামত ও দাবি উপেক্ষা করে প্রহসনের নির্বাচন অনুষ্ঠানে জোর দিচ্ছে।
সরকার, নির্বাচন কমিশন এবং তাদের সঙ্গে যারা চুক্তি করছে তাদের ছাড় দেওয়া হবে না বলে হুঁশিয়ারি দেন বিএনপির এই নেতা।
রিজভী হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, 'জনগণের আদালত গঠন করা হচ্ছে এবং তাদের প্রতিটি অপকর্মের জবাব দিতে হবে।’
রুহুল কবির রিজভী অভিযোগ করে বলেন, সরকার গার্মেন্টস শিল্পকে ধ্বংসের দিকে নিয়ে যাচ্ছে।
বিএনপি নেতা বলেন, 'গার্মেন্টস শিল্পের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হলে অনেক মানুষ বেকার হয়ে পড়বে। কিন্তু সরকার তা নিয়ে ভাবছে না। এটা যদি দেশপ্রেমিক সরকার হতো, তাহলে তারা সবকিছু বিবেচনায় নিত।’
রিজভী অভিযোগ করেন, প্রহসনমূলক নির্বাচন করতে সরকার বিএনপির হাইকমান্ডকে কারারুদ্ধ করছে।
আরও পড়ুন: নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনের জন্য ইসির শো-কজ জনগণের সঙ্গে তামাশা: রিজভী
তিনি আরও অভিযোগ করেন, সরকার গত ১৫ বছর ধরে দেশের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে 'বিরোধী দলীয় নেতা-কর্মীদের গুম' করতে বাধ্য করছে।
আগামীকাল সকাল ৬টায় শুরু হতে যাওয়া ৪৮ ঘণ্টার অবরোধের ১০ম দফা সফল করতে জনগণের প্রতি আহ্বান জানান বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব।
তিনি বলেন, 'আমাদের আন্দোলন গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের জন্য। আগামীকাল সকাল ৬টা থেকে শুরু হয়ে শুক্রবার সকাল ৬টা পর্যন্ত ৪৮ ঘণ্টার অবরোধ চলবে। অবরোধ কর্মসূচি চলাকালে বিএনপিসহ সমমনা দলের সর্বস্তরের নেতা-কর্মীরা রাজপথে থাকবে।
রিজভী বলেন, ‘আমরা জনগণের শক্তিতে বিশ্বাস করি। আমাদের একমাত্র আশ্রয় হচ্ছে জনগণ। আমরা বিদেশি শক্তির ওপর নির্ভরশীল নই। আমরা আমাদের দাবি আদায়ের জন্য জনগণের শক্তির উপর নির্ভর করছি।’
রুহুল কবির রিজভী বলেন, দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের পক্ষ থেকে আগামী ৪৮ ঘণ্টার অবরোধ কর্মসূচি সফল করার জন্য আমি সকলের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।
আরও পড়ুন: বুধবার থেকে ফের ৪৮ ঘণ্টার অবরোধ ঘোষণা বিএনপির
৭৫৪ দিন আগে
বিএনপি চরম মানবাধিকার লঙ্ঘনকারী: তথ্যমন্ত্রী
বিএনপি চরম মানবাধিকার লঙ্ঘনকারী বলে মন্তব্য করেছেন তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ।
তিনি বলেন, বিএনপি মানবাধিকারের কথা বলতে পারে না, কারণ তারা নিজেরাই চরমভাবে মানবাধিকার লঙ্ঘনকারী। তাদের প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান নির্বিচারে মানুষ হত্যা করেছেন, রক্তের উপর দাঁড়িয়ে দলকে প্রতিষ্ঠা করেছেন। এছাড়া ২০১৩, ১৪, ১৫ সালে তারা পেট্রোলবোমা নিক্ষেপ করে জীবন্ত মানুষকে পুড়িয়ে হত্যা করে অগ্নিসন্ত্রাস করেছিল, এখনও করছে।
মঙ্গলবার সচিবালয়ে তথ্য অধিদপ্তর সম্মেলন কক্ষে হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীর ৬০তম প্রয়াণবার্ষিকী উপলক্ষে আহমেদ ফিরোজ গ্রন্থিত ‘সোহরাওয়ার্দী’- গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: দগ্ধ মানুষের আর্তনাদ কি বিএনপি-জামাতের কানে পৌঁছায় না: তথ্যমন্ত্রী
গ্রন্থকার, তথ্য অধিদপ্তরের সিনিয়র উপপ্রধান তথ্য অফিসার খালেদা বেগম এবং মো. আবদুল জলিল মোড়ক উন্মোচনে অংশ নেন।
আগামী ১০ ডিসেম্বর বিএনপির সমাবেশ নিয়ে করা প্রশ্নের জবাবে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘১০ ডিসেম্বর বিশ্ব মানবাধিকার দিবস। বাংলাদেশে সবচেয়ে বড় মানবাধিকার লঙ্ঘন হয়েছে বঙ্গবন্ধুকে হত্যা এবং এরপর বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার বন্ধ করা। ইনডেমনিটি অধ্যাদেশকে আইনে রূপান্তর করে বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের বিচার বন্ধ করা হয়েছিল। সেটি জিয়াউর রহমানের হাত দিয়ে হয়েছিল। এরপর বাংলাদেশে বড় মানবাধিকার লঙ্ঘন হচ্ছে ১৯৭৭ সালে নির্বিচারে সেনা ও বিমান বাহিনীর অফিসারদেরকে বিনা বিচারে হত্যা করা।’
হাছান মাহমুদ বলেন, ‘শুধু নামের মিল থাকায় মানুষকে ফাঁসি দেওয়া হয়েছে। ফাঁসির মঞ্চে নিয়ে যাওয়ার সময় সে চিৎকার করে বলেছে আমি সেই ব্যক্তি নই, আমি সেই ব্যক্তি নই; কিন্তু কে শোনে কার কথা। এমনও ঘটেছে, ফাঁসিতে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার পরে রায় হয়েছে। অল দিজ আর ডকুমেন্টেড।’
তিনি বলেন, ‘জিয়াউর রহমানের এডিসি ছিলেন যিনি, তিনি এখন কানাডায় থাকেন। তিনি নিজে বলেছেন, এই মৃত্যুদণ্ডের ফাইলগুলো জিয়াউর রহমান সকালবেলা নাস্তার সময় সই করতেন। বিদেশ যাত্রাকালে প্লেনে ওঠার আগে সিঁড়িতেও মৃত্যু পরোয়ানায় সই করেছেন। এভাবে মানবাধিকারকে ভূলুণ্ঠিত করা হয়েছে।’
সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, ‘২০০৪ সালের ২১ আগস্ট তাদের গ্রেনেড হামলায় ২২ জন আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীসহ দুইজন অজ্ঞাত পরিচয় নিহত এবং ৫০০ জন আহত হয়েছিল। সেই হামলার পর বিচার বিভাগীয় তদন্তের রিপোর্ট ছিল গাঁজাখুরী। আর এই হত্যাকাণ্ড নিয়ে পার্লামেন্টে দাঁড়িয়ে বেগম খালেদা জিয়াসহ তার সংসদ সদস্যদের হাস্যরস, চরম মানবাধিকার লঙ্ঘন।’
বিএনপি-জামায়াতের অবরোধ নিয়ে এক প্রশ্নে মন্ত্রী বলেন, ‘বিএনপির কর্মসূচি বলতে চোরাগোপ্তা হামলা করে গাড়ি-ঘোড়া পোড়ানো আর মানুষের উপর হামলা পরিচালনা করা। তারা তাদের সন্ত্রাসীদের নামিয়েছে, নেশাখোরদের টাকা দিয়ে এগুলো করাচ্ছে, অনেক ক্ষেত্রে দিনমজুরকে সারাদিনের ৮০০-১০০০ টাকা মজুরির জায়গায় ২০০০ টাকা ধরে দিয়ে বলে এটা মেরে দিয়ে আসো। এগুলো দুষ্কৃতিকারীদের কাজ। বিএনপি-জামায়াত এ দুটি সংগঠন এখন দুষ্কৃতিকারী সংগঠনে রূপান্তরিত হয়েছে। আমরা দুষ্কৃতিকারীদের দমন করতে বদ্ধপরিকর।’
আওয়ামী লীগের জোটবদ্ধভাবে নির্বাচন এবং জাতীয় পার্টি নিয়ে প্রশ্নের জবাবে দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাছান বলেন, ‘আমাদের সিদ্ধান্ত ১৪ দলীয় জোটগতভাবেই আমরা নির্বাচন করব। আমাদের কাছে শরিকদের সবসময় গুরুত্ব আছে, সেজন্য জোটগতভাবে আমরা নির্বাচন করছি। আমাদের এককভাবে নির্বাচন করার শক্তি, ক্ষমতা ও সমর্থন আছে। কিন্তু শরিকদেরকে গুরুত্ব দেওয়া হয় বিধায় আমরা জোটগতভাবে নির্বাচন করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছি।’
তিনি আরও বলেন, ‘আর জাতীয় পার্টি প্রায় ৩০০ আসনে মনোনয়ন দিয়েছে। তারা যেভাবে নির্বাচন যুদ্ধে নেমেছে সেজন্য তাদেরকে অভিনন্দন জানাই। জাতীয় পার্টির সঙ্গে ২০০৮ সালে আমরা জোটগতভাবে মহাজোট গঠন করেছিলাম, গতবারও তারা আমাদের সঙ্গে ছিল, এবারও সেটি হওয়ার সম্ভাবনা আছে।’
আরও পড়ুন: যারা ইসরায়েলের পক্ষ নিচ্ছে, তারা মানবাধিকার নিয়ে কথা বলার অধিকার হারিয়েছে: তথ্যমন্ত্রী
জলবায়ু অভিঘাত মোকাবিলায় সর্বজনীন আন্তর্জাতিক অর্থায়ন ব্যবস্থার আহ্বান তথ্যমন্ত্রীর
৭৫৪ দিন আগে
মনোনয়ন বাতিলের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে প্রথমদিন ৪২ প্রার্থীর আপিল
রিটার্নিং কর্মকর্তাদের সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে প্রথম দিনেই ২৬ স্বতন্ত্র প্রার্থীসহ মোট ৪২ প্রার্থী নির্বাচন কমিশনে (ইসি) আপিল করেছেন।
মঙ্গলবার (৫ ডিসেম্বর) রিটার্নিং কর্মকর্তাদের মনোনয়নপত্র বাতিল ও গ্রহণের বিষয়ে কমিশন আবেদন গ্রহণ শুরু করে এবং আগামী ৯ ডিসেম্বর পর্যন্ত তা চলবে।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল রাজধানীর নির্বচন ভবন প্রাঙ্গণে স্থাপিত ১০টি বুথের মাধ্যমে আপিল গ্রহণের প্রথম দিনের কার্যক্রম পরিদর্শন করেন।
কার্যক্রম পরিদর্শন করে সিইসি সাংবাদিকদের বলেন, পূর্ণাঙ্গ কমিশন আপিল শুনবে এবং তারপর সিদ্ধান্ত দেবে।
আগামী ১০ থেকে ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত আবেদনের শুনানি হবে বলে জানান তিনি।
সাবেক বিএনপি নেতা ও আওয়ামী লীগের প্রার্থী ব্যারিস্টার শাহজাহান ওমর কেন নির্বাচন কমিশনে (ইসি) এলেন- এ প্রশ্নের জবাবে হাবিবুল আউয়াল বলেন, এটা তার বিষয় নয়।
তবে নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনের বিরুদ্ধে কেন ইসি শুধু কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয় এবং ব্যবস্থা নেয় না- এই প্রশ্নের উত্তর দেননি তিনি।
এ প্রসঙ্গে সিইসি বলেন, ‘আমার যতটুকু বলার ছিল বলেছি। এর বাইরে আমি কিছু বলব না।’
আরও পড়ুন: ৭ জানুয়ারির নির্বাচন: ৭৩১টি মনোনয়নপত্র বাতিল, ১৯৮৫টি গৃহীত
মঙ্গলবার আপিল দাখিল করা প্রার্থীদের মধ্যে রয়েছেন বিকল্পধারা বাংলাদেশের মনোনীত মাহী বি চৌধুরী (মুন্সীগঞ্জ-৩), জাতীয় পার্টি মনোনীত মো. আখতারুজ্জামান (যশোর-১), শফিকুল ইসলাম মধু (খুলনা-৬) ও এটিএম মাজহারুল ইসলাম (কুমিল্লা-২) এবং তৃণমূল বিএনপির মনোনীত আব্দুর রব (সিলেট-২)।
আগামী ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠেয় দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে সারাদেশের ৩০০টি আসনে ৭৪৭ জন স্বতন্ত্রসহ মোট ২ হাজার ৭১৬ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।
কিন্তু গত ১-৪ ডিসেম্বর যাচাই-বাছাইকালে রিটার্নিং কর্মকর্তারা ১৯৮৫টি মনোনয়নপত্র গ্রহণ করেন এবং বাকি ৭৩১টি বাতিল করেন।
৭৩১টি মনোনয়নপত্রের বেশিরভাগই তিনটি কারণে বাতিল করা হয়েছে-স্বতন্ত্র প্রার্থীদের জমা দেওয়া ১ শতাংশ ভোটারের সইয়ে অমিল, ঋণ ও ইউটিলিটি বিলের খেলাপি এবং দ্বৈত নাগরিকত্ব।
প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ তারিখ ১৭ ডিসেম্বর এবং রিটার্নিং অফিসাররা ১৮ ডিসেম্বর প্রতিদ্বন্দ্বীদের মধ্যে নির্বাচনী প্রতীক বিতরণ করবেন।
প্রার্থীরা ১৮ ডিসেম্বর থেকে ৫ জানুয়ারি সকাল ৮টা পর্যন্ত (ভোটগ্রহণের ৪৮ ঘন্টা আগে) নির্বাচনী প্রচারে যেতে পারবেন। যা কোনো বিরতি ছাড়াই ৭ জানুয়ারি সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত চলবে।
আরও পড়ুন: নওগাঁর ৬ আসনে ৩৩ জনের মনোনয়নপত্র বৈধ, বাতিল ২২ জন
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন: ৪৭ জন ইউএনও বদলির অনুমোদন ইসির
৭৫৪ দিন আগে
নাশকতা কিংবা সন্ত্রাসের কারণে নির্বাচন বন্ধ থাকবে না: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
নাশকতা কিংবা সন্ত্রাসের কারণে নির্বাচন বন্ধ থাকবে না, সঠিক সময়ে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন।
মঙ্গলবার (৫ ডিসেম্বর) সচিবালয়ে বড়দিন ও থার্টি-ফাস্ট নাইট উদযাপন উপলক্ষে আইন-শৃঙ্খলা সংক্রান্ত সভা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন মন্ত্রী।
আরও পড়ুন: সব দল সম্পৃক্ত করে নির্বাচন অনুষ্ঠানের চেষ্টা করছি: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
বিএনপির সমালোচনা করে আসাদুজ্জামান খাঁন বলেন, যে দল নাশকতার কথা বলছে, এটা তাদেরই প্র্যাকটিস। তারা সুনিশ্চিত নির্বাচনে পরাজয় জেনেই ভিন্ন পন্থায় নির্বাচনকে প্রতিহত করার জন্য একটা অগণতান্ত্রিক উপায় শুরু করেছে।
তিনি আরও বলেন, আমরা মনে করি নির্বাচনের বাইরে আমাদের আর কোনো কিছু নেই, যার মাধ্যমে তারা (বিএনপি) ক্ষমতা বদলাতে পারে। ক্ষমতায় আসতে হলে তাদের নির্বাচনে আসবে হবে, এটাই হলো সহজ পথ।
আরও পড়ুন: বিএনপিতে যারা তারেকের নেতৃত্ব মানছেন না, নির্বাচনে আসতে তারা নতুন প্ল্যাটফর্ম তৈরি করছেন: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
ফখরুলের জামিন নামঞ্জুরে সরকারের কোনো প্রভাব নেই: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
৭৫৪ দিন আগে
১০ ডিসেম্বর আ. লীগের সমাবেশের অনুমতি দেয়নি ইসি: ওবায়দুল কাদের
নির্বাচন কমিশন (ইসি) বাইরে সমাবেশের অনুমতি না দেওয়ায় ১০ ডিসেম্বর আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবস উপলক্ষে ঢাকায় আওয়ামী লীগের সমাবেশ হবে না বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
তিনি বলেন, ‘আমরা ইসির কাছে বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের দক্ষিণ গেটের সামনে মহাসমাবেশের অনুমতি চেয়েছিলাম, কিন্তু ইসি তা গ্রহণ করেনি। আমরা নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন করতে চাই না বলে সেখানে সমাবেশ করার সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করেছি।’
মঙ্গলবার (৫ ডিসেম্বর) সকালে হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীর ৬০তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষ্যে তার সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদনের পর এসব কথা জানান ওবায়দুল কাদের।
এসময় তিনি জানান, আগামী ১০ ডিসেম্বর আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবস উপলক্ষে আওয়ামী লীগ একটি ইনডোর কর্মসূচি পালন করবে।
আ.লীগের এই নেতা আরও বলেন, আসন্ন সাধারণ নির্বাচন বর্জন, অবরোধ ও হরতাল ডাকা গণতান্ত্রিক আচরণ নয়।
আরও পড়ুন: জাতীয় নির্বাচনে ভোটার উপস্থিতি নিয়ে চিন্তিত নয় আওয়ামী লীগ: কাদের
নির্বাচন সংক্রান্ত সংঘাত-বিশৃঙ্খলায় ব্যবস্থা নেওয়া ইসির দায়িত্ব: কাদের
নির্বাচনের ট্রেন চলছে, কোথাও থামবে না: কাদের
৭৫৪ দিন আগে
জাতীয় নির্বাচন: মাশরাফির আয় গতবারের চেয়ে অর্ধেকের বেশি কমেছে
নড়াইল-২ আসনের সংসদ সদস্য (এমপি) ও আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নৌকার প্রার্থী মাশরাফি বিন মুর্তজার বার্ষিক আয় ও গচ্ছিত অর্থের পরিমাণ গতবারের (২০১৮ সালের নির্বাচন) চেয়ে অর্ধেকের বেশি কমেছে।
তবে স্থাবর সম্পত্তি, ব্যবহৃত গাড়ি ও আসবাব যা ছিল সেগুলো অপরিবর্তিত আছে।
বাংলাদেশ জাতীয় ওয়ানডে ক্রিকেট দলের সাবেক এই অধিনায়কের একাদশ ও দ্বাদশ নির্বাচনী হলফনামা থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।
মাশরাফি বছরে আয় ২০১৮ সালের হলফনামায় দেখানো হয় ১ কোটি ৯৯ লাখ ১৮ হাজার ৭০০ টাকা। এবার বার্ষিক আয় দেখানো হয়েছে ৮৮ লাখ ৫৪ হাজার ৪৫৮ টাকা।
আরও পড়ুন: জাতীয় নির্বাচন: মোমেন, ইমরানের সম্পদ বেড়েছে, কমেছে নাহিদের
এর মধ্যে শেয়ার, সঞ্চয়পত্র ও ব্যাংক আমানত থেকে আয় বছরে ১৪ লাখ ১ হাজার ৯৯৩ টাকা, সম্মানী ও ভাতা থেকে ২৩ লাখ ৩ হাজার ২০ টাকা এবং অন্যান্য খাত থেকে আয় ৫১ লাখ ৪৯ হাজার ৪৮৫ টাকা। স্ত্রীর নামে নেই কোনো অস্থাবর ও স্থাবর সম্পত্তি। গচ্ছিত আছে ৫০ তোলা স্বর্ণ।
গতবারের চেয়ে এবার নগদ অর্থ প্রায় ৪৩ লাখ টাকা বেড়েছে। গতবার নগদ অর্থ দেখানো হয় ১ কোটি ৩৭ লাখ ৮০ হাজার টাকা। এবার দেখানো হয়েছে ১ কোটি ৮০ লাখ ৫৪ হাজার ৪০২ টাকা।
গতবার তার বাহন ও বাড়ির আসবাব হিসেবে যা যা দেখানো হয়, এবারও তাই দেখানো হয়েছে। তার বাহন হিসেবে আছে একটি প্রাইভেটকার, দু’টি মাইক্রো ও একটি জিপ (মূল্য ১ কোটি ৭৫ হাজার ৭ হাজার টাকা)।
আরও পড়ুন: ৭ জানুয়ারির নির্বাচন: ৭৩১টি মনোনয়নপত্র বাতিল, ১৯৮৫টি গৃহীত
বাসার আসবাব আছে ১৮ লাখ ৮০ হাজার টাকার। স্থাবর সম্পদ হিসেবে গতবার হলফনামায় যা ছিল এবারও তাই দেখানো হয়েছে। এর মধ্যে আছে নিজ নামে ৩ একর ৬১ শতাংশ জমি (অর্জনকালীন সময়ে এর মূল্য ৩৭ লাখ টাকা)। ঢাকার পূর্বাচলে একটি প্লট (অর্জনকালীন সময়ে এর মূল্য ৮ লাখ ২৪ হাজার টাকা)। মিরপুরে একটি ৬ তলা ও একতলা ফ্ল্যাট বাড়ি (এ দু’টির মূল্য ৪৭ লাখ ৫০ হাজার ও ১ কোটি ৮ লাখ টাকা)।
হলফনামা অনুযায়ী, ২০১৮ সালে অস্থাবর সম্পদের মধ্যে ব্যাংকসহ বিভিন্ন আর্থিক প্রতিষ্ঠানে গচ্ছিত ছিল ৬ কোটি ৩৭ লাখ ২৯ হাজার ৫১ টাকা। এবার ব্যাংক, বন্ড, ঋণপত্র, পোস্টাল, সেভিংস, সঞ্চয়পত্র ও স্থায়ী আমানতে গচ্ছিত দেখানো হয়েছে ৩ কোটি ৫২ লাখ ৪ হাজার ২২৯ টাকা।
এর মধ্যে তিনটি ব্যাংকে গচ্ছিত আছে ১ কোটি ৩ লাখ ৭০ হাজার ৮৬০ টাকা এবং বন্ড, ঋণপত্রে ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা ও পোস্টাল, সেভিংস সার্টিফিকেটসহ বিভিন্ন ধরনের সঞ্চয়পত্র বা স্থায়ী আমানতে বিনিয়োগ ২ কোটি ৪৫ লাখ ৮৩ হাজার ৩৬৯ টাকা। এদিকে সিটি ব্যাংক থেকে লোন (হোম লোন) নেওয়া আছে ৮৯ লাখ ৭ হাজার ৭৭৫ টাকা।
আরও পড়ুন: মনোনয়ন ফরম বিক্রিতে আ. লীগের আয় ৪ দিনে ১৬.৮১ কোটি টাকা
৭৫৫ দিন আগে
৭ জানুয়ারির নির্বাচন: ৭৩১টি মনোনয়নপত্র বাতিল, ১৯৮৫টি গৃহীত
আগামী ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠেয় দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে দেশের ৩০০টি আসনে মনোনয়ন প্রত্যাশীদের মোট ১৯৮৫টি মনোনয়নপত্র গ্রহণ এবং ৭৩১টি বাতিল করেছেন রিটার্নিং কর্মকর্তারা।
সোমবার (৪ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় ইসি সচিবালয়ের অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ সাংবাদিকদের বলেন, ‘সারাদেশে দাখিলকৃত ২৭১৬টি মনোনয়নপত্রের মধ্যে মোট ১৯৮৫টি গ্রহণ করা হয়েছে এবং ৭৩১টি বাতিল করা হয়েছে।’
গত শুক্রবার থেকে শুরু হওয়া ৩০০ আসনে মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই শেষ করেন রিটার্নিং কর্মকর্তারা।
ইসি সচিবালয়ের উপসচিব মাহবুবর রহমান বলেন, ৭৩১টি মনোনয়নপত্রের অধিকাংশই তিনটি কারণে বাতিল করা হয়েছে- স্বতন্ত্র প্রার্থীদের জমা দেওয়া ১ শতাংশ ভোটারের স্বাক্ষরে অমিল, ঋণ ও ইউটিলিটি বিলের খেলাপি এবং দ্বৈত নাগরিকত্ব।
আরও পড়ুন: নওগাঁর ৬ আসনে ৩৩ জনের মনোনয়নপত্র বৈধ, বাতিল ২২ জন
মনোনয়নপত্র প্রত্যাখ্যান বা গ্রহণের বিষয়ে রিটার্নিং কর্মকর্তাদের সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে মঙ্গলবার থেকে সংক্ষুব্ধ প্রার্থীরা নির্বাচন কমিশনে আপিল করতে পারবেন।
নির্বাচন কমিশন ইতোমধ্যে ৯ ডিসেম্বর পর্যন্ত প্রার্থীদের কাছ থেকে আবেদন গ্রহণের জন্য শহরের নির্বাচন ভবনে ১০টি বুথ স্থাপন করেছে।
৯ ডিসেম্বর পর্যন্ত প্রতিদিন সকাল সাড়ে ১০টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত আপিল গ্রহণ করা হবে।
আপিলগুলো ১০ ডিসেম্বর থেকে ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত নিষ্পত্তি করা হবে। ইসি দিনে প্রায় ১০০টি আপিল শুনবে এবং নিষ্পত্তি করবে।
প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ তারিখ ১৭ ডিসেম্বর এবং রিটার্নিং অফিসাররা ১৮ ডিসেম্বর প্রতিদ্বন্দ্বীদের মধ্যে নির্বাচনী প্রতীক বিতরণ করবেন।
প্রার্থীরা ১৮ ডিসেম্বর থেকে ৫ জানুয়ারি সকাল ৮টা পর্যন্ত (ভোটগ্রহণের ৪৮ ঘন্টা আগে) নির্বাচনী প্রচারে যেতে পারবেন। যা কোনো বিরতি ছাড়াই ৭ জানুয়ারি সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত চলবে।
আরও পড়ুন: দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন: ৪৭ জন ইউএনও বদলির অনুমোদন ইসির
খুলনার ৬ আসনে মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই শেষ
৭৫৫ দিন আগে