রাজনীতি
নেতার দরকার নেই, চৌকস কর্মী চাই: ছাত্রলীগকে ওবায়দুল কাদের
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে হলে নেতার দরকার নেই, স্মার্ট কর্মী দরকার।
শুক্রবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আওয়ামী লীগের ছাত্র সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের ৭৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: বিএনপির ১০ ডিসেম্বরের সমাবেশ: ভেন্যু সমস্যার সমাধানে আশাবাদী ওবায়দুল কাদের
টেলিভিশন ফুটেজ ও প্রত্যক্ষদর্শীদের মতে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে অপরাজেয় বাংলা স্মারকের সামনের উপচে পড়া মঞ্চটিতে ওবায়দুল কাদের বক্তব্য বক্তব্য দেয়ার সময় ভেঙে পড়ে।
বেশ কয়েকজন আহত হওয়ার ঘটনায় কাদের অক্ষত ছিলেন। আহতদের হাসপাতালে নেয়া হয়েছে বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন।
ঘটনার আগে তিনি ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়তে নিজেদের প্রস্তুত করতে বলেন।
তিনি ছাত্রলীগকে দ্রুত কমিটি গঠন করতে বলেন।
তিনি বলেন, ‘আমরা ছাত্রলীগের কমিটিতে শীর্ষ দুই নেতার নাম ঘোষণা করেছি কিন্তু এখনও পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করা হয়নি। জাতীয় নির্বাচনের আগে আমাদের অনেক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হবে বলে দ্রুত কমিটিগুলো গঠন করতে হবে।’
কর্মসূচিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও ঢাকা মহানগরীর (উত্তর ও দক্ষিণ) বিভিন্ন ইউনিটের ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা, ছাত্রলীগের সাবেক নেতারা যোগ দেন।
ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কাদের। পরিচালনা করেন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনান।
ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী বলেন, ‘আমরা ২০২৪ সালের আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে আওয়ামী লীগের অগ্রগামী হবো এবং আমরা স্বাধীনতা বিরোধী শক্তিকে দেশে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে দেব না। এটি আমাদের প্রতিশ্রুতি এবং এই ৭৫ বছরপূর্তি উদযাপনে আমরা বছরে ৭৫টি বিজয় সমাবেশের আয়োজন করব।’
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ ছাত্রলীগ একটি প্রধান সংগঠন। এর একটি গৌরবময় ইতিহাস রয়েছে। আমাদের আবার আমাদের ট্র্যাকে ফিরে আসতে হবে।’
তিনি বলেন, আগামী দিনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে হলে সন্ত্রাস, সাম্প্রদায়িকতা ও তাদের সহযোগী বিএনপির বিরুদ্ধে লড়াই করতে হবে।
অনুষ্ঠানটি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে শুরু হয় এবং অপরাজেয় বাংলা স্মৃতিস্তম্ভ থেকে শুরু হয়ে ধানমন্ডি-৩২ পর্যন্ত একটি র্যালির মাধ্যমে শেষ হয়।
আরও পড়ুন: স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য সিঙ্গাপুর যাচ্ছেন ওবায়দুল কাদের
গোলাপবাগে সমাবেশ করে বিএনপি ‘অর্ধেক পরাজিত’: ওবায়দুল কাদের
ঠাকুরগাঁও-৩ আসনের উপনির্বাচনে ৬ প্রার্থীর মনোনয়নপত্র জমা
ঠাকুরগাঁও-৩ (পীরগঞ্জ-রানীশংকৈল) আসনের উপনির্বাচনের জন্য ছয় প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।
বৃহস্পতিবার (৫ জানুয়ারি) বিকাল ৪টা পর্যন্ত পীরগঞ্জ উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও জেলা নির্বাচন কর্মকর্তার দপ্তরে মনোনয়নপত্র জমা করেন প্রার্থীরা।
আরও পড়ুন: দলগুলোকে নির্বাচনে আনতে ইসির 'আইনগত কোনো বাধ্যবাধকতা' নেই: ইসি আনিসুর
জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা সফিকুল ইসলাম জানান, পীরগঞ্জ উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং অফিসারের দপ্তরে ১৪ দলীয় জোটের প্রার্থী ওয়ার্কার্স পার্টির অধ্যাপক ইয়াসিন আলী ও বাংলাদেশ ন্যাশনাল ফ্রন্টের (বিএনএফ) সিরাজুল ইসলাম এবং জেলা নির্বাচন কর্মকর্তার দপ্তরে জাতীয় পার্টির হাফিজ উদ্দীন আহম্মেদ, জাকের পার্টির এমদাদ হোসেন, ন্যাশনাল পিপলস পার্টির (এনপিপি) সাফি আল আসাদ ও স্বতন্ত্র প্রার্থী অধ্যক্ষ গোপাল চন্দ্র রায় মনোনয়নপত্র জমা দেন।
পীরগঞ্জ উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং অফিসার তকদির আলী সরকার জানান, আগামী ৮ জানুয়ারি মনোনয়নপত্র বাছাই ও ১৫ জানুয়ারি মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ দিন। ইলেকট্রিক ভোটিং মেশিনের (ইভিএম) মাধ্যমে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে ১ ফেব্রুয়ারি।
বিএনপির জাহিদুল ইসলাম জাহিদ পদত্যাগ করায় এ আসনটি শূন্য হয়। এ আসনে ভোটার রয়েছেন তিন লাখ ২৪ হাজার ৭৩৯ জন। এর মধ্যে পুরুষ এক লাখ ৬৫ হাজার ২৩৫ জন এবং নারী এক লাখ ৫৯ হাজা ৫০৪ জন। মোট ভোট কেন্দ্র ১২৮টি ও বুথ ৮০৮ টি।
আরও পড়ুন: গাইবান্ধা-৫ উপনির্বাচনে আ.লীগ প্রার্থী রিপনের জয়
গাইবান্ধা-৫ উপনির্বাচনের ভোটগ্রহণ চলছে
গাইবান্ধা-৫ উপনির্বাচনে আ.লীগ প্রার্থী রিপনের জয়
শান্তিপূর্ণভাবে অনুষ্ঠিত গাইবান্ধা-৫ আসনের উপনির্বাচনে বেসরকারিভাবে আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী মাহমুদ হাসান রিপন জয়ী হয়েছেন।
রিপন জাতীয় পার্টি সমর্থিত প্রার্থী এএইচএম গোলাম শহীদ রঞ্জুকে ৩৩ হাজার ৫৩৩ ভোটের ব্যবধানে পরাজিত করে বিজয়ী হন। বিজয়ী প্রার্থী নৌকা প্রতীকে ৭৮ হাজার ২৮৫ ভোট এবং লাঙ্গল প্রতীকে রঞ্জু পেয়েছেন ৪৪ হাজার ৭৫২ ভোট। উপনির্বাচনে অন্য প্রার্থীরা হলেন, বিকল্পধারার প্রার্থী অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর আলম ও স্বতন্ত্র প্রার্থী সৈয়দ মাহবুবুর রহমান।
বুধবার সকাল ৮টায় ভোটগ্রহণ শুরু হয়ে চলে বিকাল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত। কোনো অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি। ঢাকা থেকে মোট এক হাজার ২৪২টি সিসিটিভি ক্যামেরার মাধ্যমে নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করা হয় এবং মাত্র ৩৫ শতাংশ ভোটারের অংশগ্রহণে শেষ হয়। সাঘাটা ও ফুলছড়ি উপজেলা নিয়ে আসনটি গঠিত।
গত বছরের ১২ অক্টোবর নির্বাচন কমিশন (ইসি) নির্বাচনের দিন ‘ব্যাপক অনিয়মের’ কারণে উপনির্বাচন স্থগিত করে এবং পরে কমিশন নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য ৪ জানুয়ারি নির্ধারণ করে।
আরও পড়ুন: গাইবান্ধা-৫ উপনির্বাচনের ভোটগ্রহণ চলছে
২০২২ সালের ২২ জুলাই গাইবান্ধা-৫ আসনের সংসদ সদস্য ও সংসদের ডেপুটি স্পিকার ফজলে রাব্বী মিয়ার মৃত্যুর পর ২০২২ সালের ২০ অক্টোবরের মধ্যে সংসদীয় আসনের জন্য নির্বাচন করা সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা হয়ে দাঁড়ায়। সেই অনুযায়ী নির্বাচনের দিন ১২ অক্টোবর নির্ধারিত হয়।
গত বছরের ১২ অক্টোবর নির্বাচনী অনিয়ম খতিয়ে দেখতে তিন সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়।
কমিটির সুপারিশের পরিপ্রেক্ষিতে একজন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক, পাঁচজন উপ-পরিদর্শক ও নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তাসহ ১৩৩ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয় নির্বাচন কমিশন।
আরও পড়ুন: গাইবান্ধা-৫ শুন্য আসনে উপনির্বাচন ৪ জানুয়ারি
গাইবান্ধা-৫ উপনির্বাচনে অনিয়মের খবর পাওয়া যায়নি: ইসি রাশিদা
নির্ধারিত সময়েই রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হবে: আইনমন্ত্রী
আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়কমন্ত্রী অ্যাডভোকেট আনিসুল হক বলেছেন, রাষ্ট্রপতি নির্বাচন নিয়ে আপাতত সংবিধান সংশোধনের কোনো পরিকল্পনা নেই। নির্ধারিত সময়েই রাষ্ট্রপতি নির্বাচন হবে।
তিনি বলেন, বর্তমান রাষ্ট্রপতি পর পর দুই টার্ম থেকেছেন, সংবিধান অনুসারে তিনি আর থাকতে পারবেন না।
বুধবার (৪ জানুয়ারি) রাজধানীর বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে অধস্তন আদালতের বিচারকদের জন্য আয়োজিত এক প্রশিক্ষণ কর্মশালার উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী একথা বলেন।
আরও পড়ুন: দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করেছে সরকার: আইনমন্ত্রী
যুক্তরাজ্যের সহযোগিতায় এই প্রশিক্ষণ কর্মশালার আয়োজন করা হয়।
চারদিনের এ কর্মশালায় বাংলাদেশের বিচার বিভাগের বিভিন্ন সমস্যা যেমন মামলাজট, মামলা ব্যবস্থাপনা, দ্রুত মামলা নিষ্পত্তির পন্থা ইত্যাদি বিষয়ে আলোচনা করা হবে।
বিএনপি নেতাদের জামিনের প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, আদালতের কাজে আইন মন্ত্রণালয় তো নয়ই, সরকারের অন্য কোনও মন্ত্রণালয়ও হস্তক্ষেপ করছে না। আদালত যদি মনে করে থাকে, যে জামিন দেয়া যাবে, আদালত জামিন দিয়েছে। যদি মনে করে থাকে যে, জামিন দেয়া যাবে না, তখন দেয়নি।
মন্ত্রী আরও বলেন, এটা অহরহ হয়ে থাকে যে নিম্ন আদালত জামিন দেননি, উচ্চ আদালত জামিন দিয়েছেন। আবার এমনও হয়, নিম্ন আদালত জামিন দিয়েছেন, উচ্চ আদালত সেখানে হস্তক্ষেপ করে তা আটকে দিয়েছেন। এটা নতুন কিছু না বাংলাদেশে।
এটা নিয়ে যারা অভিযোগ করছেন, তারা হয়তো জাতীয় পার্টি-বিএনপির আমল দেখেননি বা দেখলেও তারা সেইসব অভিজ্ঞতার কথা এখন বলতে চান না।
আইন ও বিচার বিভাগের সচিব মো. গোলাম সারওয়ার এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে যুক্তরাজ্যের হাইকোর্টের জজ বিচারপতি মওরা ম্যাকগোয়ান ও যুক্তরাজ্যের সার্কিট জজ খাতুন সাপনারা বক্তব্য দেন।
আরও পড়ুন: চলমান উন্নয়ন প্রকল্পগুলো শেষ করাই নতুন বছরের চ্যালেঞ্জ: আইনমন্ত্রী
দুর্নীতি প্রতিরোধে সরকার প্রশংসনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে: আইনমন্ত্রী
গাইবান্ধা-৫ উপনির্বাচনে অনিয়মের খবর পাওয়া যায়নি: ইসি রাশিদা
গাইবান্ধা-৫ উপনির্বাচনে ভোটকেন্দ্রে এখনও কোনো অনিয়মের খবর পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার রাশিদা সুলতানা।
বুধবার সকালে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন কমিশন কার্যালয় থেকে সিসিটিভি ক্যামেরায় নির্বাচন পর্যবেক্ষণকালে তিনি এ কথা বলেন।
আরও পড়ুন: বিএনপি বা অন্য কোনো দলের সঙ্গে নতুন করে সংলাপ সম্ভব নয়: সিইসি
তিনি আরও বলেন, শীতের কারণে ভোটার উপস্থিতি কম ছিল।
তিনি বলেন, ‘আমরা সিসিটিভি ক্যামেরায় ভোট দেখতে পাচ্ছি। এখন পর্যন্ত ভোট কেন্দ্রে কোনো সমস্যা হয়নি।’
ইসির আইডিয়া প্রকল্পের ডিপিডি (কমিউনিকেশনস) স্কোয়াড্রন লিডার শাহরিয়ার আলম সাংবাদিকদের বলেন, ঢাকা থেকে সরাসরি এক হাজার ২৪২টি সিসিটিভি ক্যামেরার মাধ্যমে নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে।
নির্বাচন কমিশন ভবনের পঞ্চম তলায় ইসি কন্ট্রোল রুমে সকাল ৮টা থেকে সিসি ক্যামেরার মাধ্যমে ভোট পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে।
নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল, নির্বাচন কমিশনার আহসান হাবিব খান, মো. আলমগীর, রাশিদা সুলতানা ও আনিসুর রহমান।
আরও পড়ুন: দলগুলোকে নির্বাচনে আনতে ইসির 'আইনগত কোনো বাধ্যবাধকতা' নেই: ইসি আনিসুর
বর্তমান ইসির অধীনে নির্বাচনী সহিংসতা শূন্যের কোঠায় নেমে এসেছে: সিইসি
গাইবান্ধা-৫ উপনির্বাচনের ভোটগ্রহণ চলছে
অনিয়মের কারণে স্থগিত হওয়া গাইবান্ধা-৫ আসনের উপনির্বাচনে বুধবার সকালে শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে।
সকাল ৮টায় ভোটগ্রহণ শুরু হয়ে চলবে বিকাল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত। সকাল ১০টার দিকে এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত কোনো অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি।
ঠাণ্ডা উপেক্ষা করে সকাল থেকে মানুষদের দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গেছে। আগের মতোই সিসিটিভি ক্যামেরার মাধ্যমে নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: গাইবান্ধা-৫ উপনির্বাচন বুধবার
গাইবান্ধা-৫ উপনির্বাচনে প্রার্থীরা হলেন- আওয়ামী লীগের প্রার্থী মাহমুদ হাসান রিপন, জাতীয় পার্টির প্রার্থী এএইচএম গোলাম শহীদ রঞ্জু, বিকল্পধারার প্রার্থী অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর আলম ও স্বতন্ত্র প্রার্থী সৈয়দ মাহবুবুর রহমান।
সাঘাটা ও ফুলছড়ি উপজেলা নিয়ে গঠিত এ আসনটিতে তিন লাখ ৩৯ হাজার ৭৪৩ জন ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন।
গত বছরের ১২ অক্টোবর নির্বাচন কমিশন (ইসি) নির্বাচনের দিন ‘ব্যাপক অনিয়মের’ কারণে উপনির্বাচন স্থগিত করে এবং পরে কমিশন নির্বাচনের জন্য ৪ জানুয়ারি নির্ধারণ করে।
আরও পড়ুন: আগামী নির্বাচন নিয়ে চিন্তিত নই; যথাসময়ে অনুষ্ঠিত হবে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
২০২২ সালের ২২ জুলাই গাইবান্ধা-৫ আসনের সংসদ সদস্য ও সংসদের ডেপুটি স্পিকার ফজলে রাব্বী মিয়ার মৃত্যুর পর ২০২২ সালের ২০ অক্টোবরের মধ্যে সংসদীয় আসনের জন্য নির্বাচন করা সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা হয়ে দাঁড়ায়। সে অনুযায়ী নির্বাচন ১২ অক্টোবরের জন্য নির্ধারিত হয়েছিল।
গত বছরের ১২ অক্টোবর নির্বাচনী অনিয়ম খতিয়ে দেখতে তিন সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়। কমিটির সুপারিশের পরিপ্রেক্ষিতে একজন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক, পাঁচ উপ-পরিদর্শক ও নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তাসহ ১৩৩ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয় নির্বাচন কমিশন।
নির্বাচন শান্তিপূর্ণভাবে করতে র্যাব, পুলিশ, বিজিবি ও আনসার সদস্যরা মোতায়েন থাকবে বলে জানিয়েছেন রিটার্নিং কর্মকর্তা আবদুল মোতালেব।
আরও পড়ুন: দলগুলোকে নির্বাচনে আনতে ইসির 'আইনগত কোনো বাধ্যবাধকতা' নেই: ইসি আনিসুর
বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচনের 'পূর্বশর্ত' প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগ: গয়েশ্বর
বিএনপির সিনিয়র নেতা গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদত্যাগই একটি সুষ্ঠু ও বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠান এবং দেশে চলমান রাজনৈতিক সংকট সমাধানের পথ প্রশস্ত করতে পারে।
‘দেশে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের প্রধান বাধা হচ্ছেন শেখ হাসিনা (প্রধানমন্ত্রী)। তিনি যতদিন ক্ষমতায় থাকবেন, ততদিন পুলিশ, র্যাব, প্রশাসনের সব লোক নির্বাচনের পথে বাধা হয়ে দাঁড়াবে।
মঙ্গলবার সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এক মানববন্ধন কর্মসূচিতে তিনি এসব কথা বলেন।
বিএনপি নেতা বলেন, পুলিশ ভদ্র হবে এবং নির্বাচনের প্রাক্কালে তারা ভোট চুরি করতে ভোট কেন্দ্রে যাবে না এবং শেখ হাসিনা ক্ষমতার বাইরে থাকলে প্রশাসন জনগণের সেবক হিসেবে কাজ করবে।
আরও পড়ুন: ঢাকায় বিএনপিসহ ৩২টি দলের বিশাল শোডাউন সম্মিলিত আন্দোলনে রূপ নেয়
‘সে কারণেই আমরা বলছি যে শেখ হাসিনার পদত্যাগ একটি সুষ্ঠু ও অবাধ নির্বাচনের পূর্বশর্ত। যদি এই পূর্বশর্ত পূরণ করা হয় তবে আমাদের সমস্ত শর্ত পূরণ করা হবে,’ তিনি বলেছিলেন।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর বলেন, বর্তমান প্রধানমন্ত্রীকে ক্ষমতা থেকে সরিয়ে দিলে খালেদা জিয়াকে নিঃশর্ত মুক্তি দেয়া হবে এবং মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, মির্জা আব্বাসসহ বিরোধী দলের অন্য সব নেতাকে মুক্তি দেয়া হবে।
ঢাকাস্থ ঠাকুরগাঁও জাতীয়তাবাদী ফোরাম বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া, মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসসহ সব রাজনৈতিক দলের বন্দিদের মুক্তির দাবিতে মানববন্ধনের আয়োজন করে।
আরও পড়ুন: ২০২৩ হবে দেশপ্রেমিক মানুষের সাফল্যের বছরআলাদা করে বিএনপি নেতাদের মুক্তি চাওয়ার কোনো মানে নেই উল্লেখ করে গয়েশ্বর বলেন, তাদের দলের উচিত শেখ হাসিনার পদত্যাগের এক দফা দাবিতে যাওয়া।তিনি বলেন, ‘গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করে আমরা দেশকে ফ্যাসিবাদ থেকে মুক্ত করব। তাই আন্দোলন-সংগ্রাম ছাড়া আমাদের আর কোনো বিকল্প নেই।’
গ্রেপ্তার 'অন্যায়'
গয়েশ্বর বলেন, সরকার ফখরুল, আব্বাসসহ বিএনপি নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার করে অন্যায়ভাবে কারাগারে রেখেছে।
তিনি বলেন, ‘আমরা শুধু বিচার বিভাগ এবং আদালতকে বলতে চাই যে আমরা ন্যায়বিচার চাই। আমরা কোনো করুণা চাই না।’
বিএনপি নেতা অভিযোগ করেন, তাদের দলের প্রধান খালেদা জিয়া বিচার চেয়েছেন, কিন্তু তিনি তা পাননি। বাংলাদেশের ইতিহাসে খালেদা জিয়া ছাড়া এমন কোনো ব্যক্তি নেই যাকে এ ধরনের মামলায় জামিন দেয়া হয়নি।
তিনি বলেন, কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে সাজাপ্রাপ্ত ক্ষমতাসীন দলের সংসদ সদস্য হাজী সেলিম জামিন পেলেও খালেদা জিয়া জামিন পাননি। ‘এটা অন্যায়… তাহলে কার কাছে বিচার চাইব? বিচার বিভাগকে নির্বাহী বিভাগ থেকে আলাদা করে বিচারকরা স্বাধীন হলে আমরা ন্যায়বিচার পেতে পারতাম।
গয়েশ্বর বলেন, খালেদা, ফখরুল, আব্বাসসহ বিএনপির অন্যান্য নেতাকর্মীরা গণতন্ত্র ও জনগণের ভোটাধিকার চান বলেই তাদের কারাগারে পাঠানো হয়েছে। ‘আমরা যদি গণতন্ত্রের বর্তমান সংগ্রামে সফল হতে পারি, তাহলে বাংলাদেশ স্বাধীন হবে এবং সকল নেতাকর্মী দুঃশাসনমুক্ত হবে এবং ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা করতে পারব।
আরও পড়ুন: সরকার বিরোধী আন্দোলন দমনে ব্যর্থ হবে: নজরুল ইসলাম খান
গাইবান্ধা-৫ উপনির্বাচন বুধবার
অনিয়মের কারণে স্থগিত হওয়া গাইবান্ধা-৫ আসনের উপনির্বাচন বুধবার অনুষ্ঠিত হবে।
গত বছরের ১২ অক্টোবর নির্বাচনের দিন ‘ব্যাপক অনিয়মের’ কারণে নির্বাচন কমিশন (ইসি) উপনির্বাচন স্থগিত করে এবং পরবর্তীতে কমিশন ৪ জানুয়ারি ভোটগ্রহণের দিন ধার্য করে।
২০২২ সালের ২২ জুলাই গাইবান্ধা-৫ আসনের সংসদ সদস্য ও সংসদের ডেপুটি স্পিকার ফজলে রাব্বী মিয়ার মৃত্যুর পর ২০২২ সালের ২০ অক্টোবরের মধ্যে সংসদীয় আসনের জন্য নির্বাচন করা সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা হয়ে দাঁড়ায়। সেই অনুযায়ী নির্বাচন ১২ অক্টোবরের জন্য নির্ধারিত হয়েছিল।
সকাল সাড়ে ৮টা থেকে বিকাল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনের (ইভিএম) মাধ্যমে ভোটগ্রহণ আগের মতোই সিসিটিভি ক্যামেরার মাধ্যমে পর্যবেক্ষণ করা হবে।
গত ১২ অক্টোবর নির্বাচনের অনিয়ম খতিয়ে দেখতে তিন সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়।
কমিটির সুপারিশের পরিপ্রেক্ষিতে একজন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক, পাঁচজন উপ-পরিদর্শক ও নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তাসহ ১৩৩ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয় নির্বাচন কমিশন।
আরও পড়ুন: গাইবান্ধা-৫ আসনে উপনির্বাচন ৪ জানুয়ারি: ইসি সচিব
গাইবান্ধা-৫ উপনির্বাচনে প্রার্থীরা হলেন- আওয়ামী লীগের প্রার্থী মাহমুদ হাসান রিপন, জাতীয় পার্টির প্রার্থী এএইচএম গোলাম শহীদ রঞ্জু, বিকল্পধারার প্রার্থী অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর আলম, স্বতন্ত্র প্রার্থী সৈয়দ মাহবুবুর রহমান।
সাঘাটা ও ফুলছড়ি উপজেলা নিয়ে গঠিত এ আসনটিতে তিন লাখ ৩৯ হাজার ৭৪৩ জন ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন।
ইউএনবি গাইবান্ধা প্রতিনিধি জানিয়েছে, মঙ্গলবার ১৪৫টি ভোট কেন্দ্রে ইভিএমসহ নির্বাচনী সামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে। রিটার্নিং অফিসার আব্দুল মোতালেব ও সহকারী রিটার্নিং অফিসার কামরুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।
নির্বাচন শান্তিপূর্ণভাবে করতে র্যাব, পুলিশ, বিজিবি ও আনসার সদস্যরা মোতায়েন থাকবে বলে জানান আবদুল মোতালেব।
আরও পড়ুন: গাইবান্ধা-৫ শুন্য আসনে উপনির্বাচন ৪ জানুয়ারি
গাইবান্ধা-৫ উপনির্বাচন বাতিল: ১২৫টি কেন্দ্রের কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিবে ইসি
সরকার বিরোধী আন্দোলন দমনে ব্যর্থ হবে: নজরুল ইসলাম খান
বিএনপি’র জ্যেষ্ঠ নেতা নজরুল ইসলাম খান সোমবার বলেছেন, ক্ষমতা পরিবর্তনের জন্য জনগণের দাবিকে সরকার দমাতে পারবে না।
তিনি বলেন, ‘সাধারণ মানুষ জেগে উঠেছে এবং তারা আমাদের আন্দোলনে যোগ দিচ্ছে, কারণ তারাও ক্ষমতার পরিবর্তন চায়। যুগে যুগে মানুষের দাবি কেউ দমাতে পারেনি। এই সরকারও তা করতে পারবে না।’
জাতীয় প্রেসক্লাবে মুসলিম লীগের দ্বি-বার্ষিক কাউন্সিল উপলক্ষে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল এ মন্তব্য করেন।
আরও পড়ুন: যুগপৎ আন্দোলন: বিএনপির লিয়াজোঁ কমিটি গঠন
তিনি বলেন, জনগণ শান্তি, কল্যাণ ও সমৃদ্ধির জন্য সেই পরিবর্তন চায়।
নজরুল বলেন, সরকার গত তিন মাসে প্রায় ১৩ বিএনপি নেতা-কর্মীকে হত্যা ও দলের অনেক নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করলেও বিপুল সংখ্যক মানুষের অংশগ্রহণে তাদের দলের প্রতিটি কর্মসূচি সফলভাবে অনুষ্ঠিত হয়েছে।
এসময় এই বিএনপি নেতা বলেন, ১৯৬৯ সালের আন্দোলনের সময় আওয়ামী লীগের অধিকাংশ নেতাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছিল এবং আমেনা বেগম নামে একজন অজ্ঞাত নেতা দল চালাতেন। সেই আন্দোলনের পর নির্বাচনে জয়ী হয় আওয়ামী লীগ। সুতরাং, এটা সঠিক ধারণা নয় যে আন্দোলনে জয়ী হওয়া যাবে না, বিরোধী নেতাদের কারাগারে রাখলে ক্ষমতা অর্জন করা যাবে না।’
সরকার জোর করে ক্ষমতায় থেকে ভুল করছে উল্লেখ করে বিএনপি নেতা বলেন, ‘তারা (আ.লীগ নেতা) জেনেও একই ভুলের পুনরাবৃত্তি করছে। ক্ষমতা কি মানুষকে এত অন্ধ করে? সব রাজনৈতিক দলই মানুষের জীবনের মতো ভালো-খারাপ সময় পার করে। আমরা আশা করি ক্ষমতাসীন দল বিষয়টি বুঝতে পারবে।’
নজরুল বলেন, নির্বাচনের মাধ্যমে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হলেও বর্তমান সরকার নির্বাচন ব্যবস্থাকে ধ্বংস করে দিয়েছে।
ভোট কারচুপি ও রাতে ব্যালট ভরে ক্ষমতা দখলের পর সরকার নিজেকে নির্বাচিত শাসনামল দাবি করে সরকার জনগণের সঙ্গে তামাশা করছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি।
বিএনপির এই নেতা বলেন, জনগণের ভোটাধিকার পুনরুদ্ধার করতে এবং স্বাধীনভাবে তাদের ইচ্ছামতো তাদের প্রতিনিধি নির্বাচনের সুযোগ দিতে নির্বাচনকালীন নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে।
নজরুল বলেন, ক্ষমতাসীন দলের নেতারা উন্নয়ন ও মেগা প্রকল্পের নামে ব্যাপক দুর্নীতি ও লুটপাটে লিপ্ত।
তিনি বলেন, ‘উন্নয়ন সবারই হওয়া উচিত। কিন্তু আমাদের দেশে তিন/চার বছরে প্রায় ১৩/১৪ হাজার নতুন কোটিপতি তৈরি হয়েছে। এটাকে অগ্রগতি হিসেবে দেখা যায়। কিন্তু এটাও সত্য যে একই সময়ে ৩৫ মিলিয়ন থেকে ৪০ মিলিয়ন মানুষ দরিদ্র হয়ে গেছে।’
আরও পড়ুন: ১০ দফা বাস্তবায়নই বিএনপির নতুন বছরের চ্যালেঞ্জ: মোশাররফ
ঢাকায় বিএনপিসহ ৩২টি দলের বিশাল শোডাউন সম্মিলিত আন্দোলনে রূপ নেয়
সরকারকে বেকায়দায় ফেলতে গিয়ে বিএনপিই বেকায়দায়: তথ্যমন্ত্রী
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, বিদেশিদের পদলেহন এবং দেশবিরোধী সাংঘর্ষিক রাজনীতি করে সরকারকে বেকায়দায় ফেলতে গিয়ে এখন বিএনপি ও তার মিত্ররাই বেকায়দায় পড়ে গেছে।
সোমবার (২ জানুয়ারি) দুপুরে সচিবালয়ে মন্ত্রণালয় সভাকক্ষে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র মালিক সমিতি ও সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় এসব কথা বলেন তিনি।
আরও পড়ুন: আ'লীগের সতর্কতায় বিএনপির বড় বিশৃঙ্খলার চেষ্টা বিফল: তথ্যমন্ত্রী
তিনি বলেন, আমাদের দেশে রাজনীতির ক্ষেত্রে যেটা চ্যালেঞ্জ, সেটি হচ্ছে বিরোধীদল বিএনপির সাংঘর্ষিক রাজনীতি এবং তার মিত্রদের দেশবিরোধী অপতৎপরতা। দেশবিরোধী অপতৎপরতা করতে গিয়ে বিদেশিদের পদলেহন এবং বিদেশিদের কাছে ধরনা দেয়া হচ্ছে। এগুলো করে তারা সরকারকে বেকাদায় ফেলতে চায়।
কিন্তু সরকারকে বেকাদায় ফেলতে গিয়ে এখন বিএনপি নিজেই বেকাদায় পড়ে গেছে।
কারণ ১০ ডিসেম্বর তারা ভেবেছিল নয়াপল্টনের সামনে একটি সমাবেশ করতে পারবে, বিশৃঙ্খলা তৈরি করতে পারবে। সেটি তারা করতে পারেনি। ১০ ডিসেম্বরের পর বিএনপি বুঝতে পেরেছে তাদের শক্তি এবং সামর্থ্য কতটুকু।
এরপরও বিএনপি এ বছরও চেষ্টা করবে দেশকে অস্থিতিশীল করার জন্য।
তিনি বলেন, তবে আমরা তাদের সর্বোচ্চ অস্থিতিশীলতা তৈরি করার চেষ্টা দেখেছি ২০১৩, ১৪, ১৫ সালে। সেগুলো মোকাবিলা করা হয়েছে। সুতরাং তারা কী করতে চায় বা কী করতে পারে, সেটি নিয়ে আমাদের ধারণা আছে। আর তা মোকাবিলা করার জন্য আমাদের প্রস্তুতি ও পরিকল্পনা দুটিই আছে। এছাড়া সেটি আমাদের জন্য কঠিন কোনো কাজ নয়।
গত বছরের ডিসেম্বর মাসে বিএনপি দুটি হঠকারি সিদ্ধান্ত নিয়েছে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, একটি হচ্ছে নয়াপল্টনে সমাবেশ করার গোঁ ধরা। সেই গোঁ ধরে তাদের রাজনৈতিক ক্ষতি হয়েছে। আরেকটি হচ্ছে তাদের সংসদ সদস্যদের বাধ্য করে পদত্যাগ করানো, এটাতেও তাদের ক্ষতি হয়েছে।
এ ধরনের হঠকারী সিদ্ধান্ত কেন নেয়া হলো সেই প্রশ্নই এখন বিএনপির অভ্যন্তরে ঘুরপাক খাচ্ছে। খন্দকার মোশাররফ সাহেবরা সেই হঠকারী সিদ্ধান্তের জবাব দিতে পারেন না তো, সে জন্য কর্মীদের কাছে উঁচু গলায় কথা বলে কর্মীদের আশ্বস্ত করতে চান, অন্য কোনো কিছু নয়।
সংশ্লিষ্টদের আবেদন পেলে বছরে ১০টি হিন্দি চলচ্চিত্র আমদানি
এর আগে সিনেমা হল মালিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, চলচ্চিত্র অঙ্গনের সবার আবেদন পেলে বছরে ১০টি ভারতীয় হিন্দি সিনেমা আমদানি ও প্রদর্শন সম্ভব।
তিনি বলেন, যদি চলচ্চিত্র প্রদর্শক সমিতি, পরিচালক সমিতি, শিল্পী সমিতি এবং প্রযোজক সমিতি-এই চারটা সমিতি লিখিত আবেদন দেয় তাহলে আমরা বিষয়টা নিয়ে উদ্যোগ নেবো।
সবাই লিখিত দিতে হবে। কারণ অতীতে দেখা গেছে বেশির ভাগ সমিতি চাচ্ছে কিন্তু শিল্পী সমিতি চায় না।
আরও পড়ুন: বিএনপির ডাকা গণমিছিল গাঁধার ডিম পাড়ার মতো হবে: তথ্যমন্ত্রী
ড. হাছান বলেন, যে চলচ্চিত্র শিল্পের যাত্রা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে শুরু হয়েছিল, সেই চলচ্চিত্রের উন্নয়নের জন্য প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধুকন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা অনেকগুলো পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন।
তার মধ্যে অন্যতম বড় পদক্ষেপ হচ্ছে এক হাজার কোটি টাকার স্বল্প সুদে ঋণ তহবিল। সেটির জন্য ৫০ এর অধিক দরখাস্ত পড়েছে। আমরা আশা করছি সেগুলো তাড়াতাড়ি নিষ্পত্তি হবে এবং আর দরখাস্তকারী উৎসাহী আছেন।
মানুষের রুচির পরিবর্তনের কারণে শুধু দেশে নয়, সিনেমার শহর মুম্বাইতেও সিঙ্গেল স্পেস অনেকগুলো সিনেমা হল বন্ধ হয়েছে, কলকাতাতেও তাই, কিন্তু সিনেপ্লেক্স দিন দিন বাড়ছে উল্লেখ করে মন্ত্রী জানান, বাংলাদেশে ব্যাংকের যে পুণ:অর্থায়নযোগ্য ঋণ তহবিল মার্কেটের মধ্যে সিনেপ্লেক্স করলে তার জন্যও প্রযোজ্য। আলাদাভাবে শুধু সিনেপ্লেক্স করার বাধ্যবাধকতা নেই।
মেট্রোপলিটন শহরগুলোতে পাঁচ শতাংশ সুদে আর মেট্রোপলিটন শহরের বাইরে সাড়ে চার শতাংশ সুদে এই ঋণ পাবেন এক বছর গ্রেস পিরিয়ডসহ যেখানে সাধারণ ঋণের সুদ ৯ শতাংশ।
'বিএনপির ভুল ইসলামী আন্দোলন করেনি'
এ দিন সকালে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ দলের জাতীয় সমাবেশে বিশেষ অতিথি হিসেবে যোগ দেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
এ সময় বক্তব্যে তিনি বলেন, বিএনপিকে ১০ ডিসেম্বর সমাবেশের জন্য সোহরাওয়ার্দী উদ্যান বরাদ্দ দিলেও তারা পল্টনের রাস্তা বন্ধ করে সমাবেশের জন্য গোঁ ধরে থেকে শেষ পর্যন্ত গোলাপবাগে গেছে।
ইসলামী আন্দোলনও বায়তুল মুকাররমের সামনে সমাবেশ করতে চাইতে পারতো।
নামাজের সুবিধা হতো। কিন্তু রাস্তা বন্ধ হয়ে জনগণের ভোগান্তি হতো। তারা সেটা করেননি, বিএনপির মতো ভুল করেননি। এজন্য তাদের ধন্যবাদ।
সম্মেলনের সভাপতি ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ'র মুহতারাম আমীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম (পীর সাহেব চরমোনাই) এবং রাজনৈতিক নেতাদের উপস্থিতিতে তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী হাছান দেশে ইসলামের কল্যাণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদক্ষেপগুলোকে যুগান্তকারী হিসেবে বর্ণনা করেন।
বাংলাদেশ চলচ্চিত্র প্রদর্শক সমিতির উপদেষ্টা সুদীপ্ত কুমার দাস এবং নেতৃবৃন্দের মধ্যে ইউনুস রুবেল, শরফুদ্দীন এলাহী, সহিদুর রহমান, তাপস দাশ গুপ্ত, ঈশা খান, সম্রাট শাহ ও ফারুক আহমেদ সভায় যোগ দেন।
অতিরিক্ত সচিব (চলচ্চিত্র, সোশ্যাল ও নিউ মিডিয়া) ড. মো. জাহাঙ্গীর আলম এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: সাপের মতো খোলস বদলায় বিএনপি জোট: তথ্যমন্ত্রী