রাজনীতি
বিএনপির রাষ্ট্র মেরামতের রূপরেখা হাস্যকর: কাদের
রাষ্ট্রকে মেরামত করতে বিএনপির রূপরেখাকে হাস্যকর বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
মঙ্গলবার সকালে ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগের সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে দলটির ২২তম জাতীয় কাউন্সিল উপলক্ষ্যে খাদ্য উপকমিটির সভায় এ মন্তব্য করেন তিনি।
তিনি বলেন, তারা ক্ষমতায় আসলে রূপরেখা বাস্তবায়ন হবে না, বরং নদীতে ভেসে যাবে।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘বিএনপি দেশকে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে গিয়েছিল। শেখ হাসিনার দৃঢ়তার কারণে বাংলাদেশ আজকে সমৃদ্ধ। বিএনপি গণতন্ত্র ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ধ্বংস করেছে।’
আরও পড়ুন: একাত্তরের পরাজিত শক্তি প্রতিশোধ নিতে সক্রিয় হচ্ছে: কাদের
কাদের আরও বলেন, ‘যারা ধ্বংস করে তারা মেরামত করবে কি করে। এটা অত্যন্ত হাস্যকর স্ট্যান্টবাজি।’
বিএনপি মিথ্যাচারের হোতা উল্লেখ করে তিনি বলেন, তাদের মুখে সত্য বেমানান। বিএনপিকে কেউ বিশ্বাস করে না। ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য তারা মাঠে রয়েছে, কিন্তু সাধারণ মানুষকে সম্পৃক্ত করতে পারেনি।
তিনি আরও বলেন, দেশের মানুষ এখনও বিশ্বাস করে যে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ এগিয়ে যাবে। এটা প্রমাণিত সত্য, বিএনপি সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদের পৃষ্ঠপোষক।
আরও পড়ুন: স্বাধীনতাবিরোধীরা এখনো সক্রিয়: ওবায়দুল কাদের
মার্কিন রাষ্ট্রদূত শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসে স্মৃতিসৌধে যাননি, অন্য কোথাও গেছেন: কাদের
‘রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতের রূপরেখা’: ২৭ দফা ঘোষণা বিএনপি’র
রাষ্ট্র ব্যবস্থায় আমূল পরিবর্তন আনতে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী ও মন্ত্রিসভার নির্বাহী ক্ষমতার ভারসাম্য আনা, উচ্চ কক্ষের আইনসভা প্রবর্তনসহ ২৭ দফার ‘রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতের রূপরেখা’ ঘোষণা করেছে বিএনপি।
সোমবার বিকালে গুলশানের ওয়েস্টিন হোটেলের বলরুমে রাজনীতিবিদ-পেশাজীবী-সাংবাদিকদের উপস্থিতিতে এক সম্মেলনে স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন ২৭ দফার এই রূপরেখা ঘোষণা করেন।
তিনি বলেন, ‘বর্তমান কর্তৃত্ববাদী সরকার বাংলাদেশের রাষ্ট্র কাঠামোকে ভেঙে চুরমার করে ফেলেছে। এই রাষ্ট্রকে মেরামত ও পুনঃগঠন করতে হবে। দেশের জনগণের হাতেই দেশের মালিকানা ফিরিয়ে দেয়ার লক্ষ্যে একটি অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ, গ্রহণযোগ্য ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনে জয়লাভের পর বর্তমান ফ্যাসিস্ট সরকার হটানোর আন্দোলনে অংশগ্রহণকারী রাজনৈতিক দলগুলোর সমন্বয়ে একটি জনকল্যাণমূলক জাতীয় ঐক্যমত্যের সকার প্রতিষ্ঠা করা হবে।’
তিনি আরও বলেন, এই ‘জাতীয় ঐক্যমত্যের সরকার’ রাষ্ট্রের রূপান্তরমূলক সংস্কার কার্যক্রম গ্রহণ করবে।
খন্দকার মোশাররফ জানান, জিয়াউর রহমান ঘোষিত ১৯ দফা এবং বেগম খালেদা জিয়া ঘোষিত বিএনপির ভিশন-২০৩০ এর আলো এই রূপরেখা প্রণয়ন করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: বিএনপির ৫ সংসদ সদস্যের শূন্য আসনে উপনির্বাচন ১ ফ্রেব্রুয়ারি
তিনি জানান, গত আগস্ট মাস থেকে এই রূপরেখা প্রণয়নে সরকার বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর কয়েক দফা সংলাপও করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। যা আজকে আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা হলো।
তিনি আরও জানান, রাষ্ট্র ব্যবস্থা পরিবর্তনের ২৭ দফা কর্ম পরিকল্পনার মধ্যে নির্বাচনকালীন দল নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা প্রবর্তন, প্রধানমন্ত্রী, রাষ্ট্রপতি ও মন্ত্রিসভার নির্বাহী ক্ষমতার ভারসাম্য আনা, পরপর দুই টার্মের অতিরিক্ত কেউ রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন না করা, উচ্চ কক্ষের আইনসভা, সংবিধান সংস্কার কমিশন গঠন, সংবিধানে গণভোট ব্যবস্থা পুণঃপ্রবর্তন, সংসদ সদস্যদের স্বাধীন মতামত প্রদানের সুযোগ দিতে সংবিধানের ৭০ অনুচ্ছেদ সংশোধন, স্বাধীন ও নিরপেক্ষ ব্যক্তিদের নিয়ে নির্বাচন কমিশন গঠনের লক্ষ্যে প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও অন্যান্য নির্বাচন কমিশনারদের নিয়োগ আইন সংশোধন, জুডিশিয়াল কমিশন গঠন, সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিল ব্যবস্থা পুনঃপ্রবর্তন, মিডিয়া কমিশন ও অর্থনৈতিক সংস্কার কমিশন গঠনসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সংস্কারের কথা রয়েছে।
বিএনপির জ্যেষ্ঠ এই নেতা বলেন, এছাড়া সকল মত ও পথের সমন্বয়ে বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদের ভিত্তিতে একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক, বৈষ্যমহীন ও সম্প্রীতিমূলক ‘রেইনবো নেশন’ প্রতিষ্ঠা করার কথাও রূপরেখায় বলা হয়েছে। এজন্য অব্যাহত আলোচনা, মতবিনিময় ও পারস্পরিক বোঝাপড়ার ভিত্তিতে ভবিষ্যমুখী এক নতুন ধারার সামাজিক চুক্তিতে পৌঁছাতে ‘ন্যাশনাল রিকনসিলিয়েশন কমিশন’ গঠন করা হবে বলে বলা হয়েছে।
খন্দকার মোশাররফ বলেন, সবার জন্য স্বাস্থ্য নিশ্চিত করতে যুক্তরাজ্যের ‘এনএইচএস’ আদলে সার্বজনীন স্বাস্থ্য সেবা প্রর্বতন, এক বছরব্যাপী বা আত্মকর্মসংস্থান না হওয়া পর্যন্ত শিক্ষিত বেকারদের বেকার ভাতা প্রদান, আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুযায়ী সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা বৃদ্ধি করার কথা বিবেচনায় থাকবে বলে রূপরেখায় উল্লেখ করা হয়েছে।
গুলশানে ওয়েস্টিন হোটেলে রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতের রূপরেখার ঘোষণার আগে লন্ডন থেকে স্কাইপেতে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান আগামীতে জাতীয় সরকার গঠন এবং দলের প্রণীত রূপরেখাটি সুধী সমাজের কাছে তুলে ধরেন।
সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য জমির উদ্দিন সরকার, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, আবদুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, সেলিমা রহমান, ইকবাল হাসান মাহমুদ চৌধুরী, ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল্লা্হ আল নোমান, শাহজাহান ওমর, বরকত উল্লাহ বুলু, মোহাম্মদ শাহজাহান, আবদুল আউয়াল মিন্টু, শামসুজ্জামান দুদু, এজেডএম জাহিদ হোসেন, জয়নাল আবেদীন, আহমেদ আজম খান, নিতাই রায় চৌধুরী, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য আমান উল্লাহ আমান, মিজানুর রহমান মিনু, গোলাম আকবর খন্দকার, হাবিবুর রহমান হাবিব, জয়নুল আবদিন ফারুক, আবুল খায়ের ভুঁইয়া, আবদুল কাইয়ুম, কেন্দ্রীয় নেতা আসাদুজ্জামান রিপন, মাহবুবউদ্দিন খোকন, সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, হাবিব উন নবী খান সোহেল, রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু, আবদুস সালাম আজাদ, সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স, মাহবুবে রহমান শামীম, বিলকিস জাহান শিরিন, শ্যামা ওবায়েদ, অনিন্দ্র ইসলাম অমিত, আসাদুজ্জামান, আফরোজা আব্বাস, হেলেন জেরিন খান, তাইফুল ইসলাম টিপু, হাসান জাফির তুহিন, শহিদুল ইসলাম বাবুল, মিডিয়া সেলের জহির উদ্দিন স্বপন, শাম্মী আখতার, রুমিন ফারহানা, শায়রুল কবির খান, চেয়ারপার্সনের কার্যালয়ের এবিএম আবদুস সাত্তার, রিয়াজউদ্দিন নসু, শামসুদ্দিন দিদার প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
নাগরিক ঐক্যের মাহমুদুর রহমান মান্না, গণফোরামে মোস্তফা মোহসীন মন্টু, অধ্যাপক আবু সাইয়িদ, সুব্রত চৌধুরী, গণঅধিকার পরিষদের রেজা কিবরিয়া, গণসংহতি আন্দোলনের জোনায়েদ সাকি, ভাসানী অনুসারী পরিষদের শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলু, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের ইমরান ইমন, হাসিব উদ্দিন হোসেন, জেএসডির কামাল উদ্দিন পাটোয়ারী, ২০ দলীয় জোটের জাতীয় পার্টি (কাজী জাফর) মোস্তফা জামাল হায়দার, কল্যাণ পার্টির সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম, এলডিপির রেদোয়ান আহমেদ, শাহাদাত হোসেন সেলিম, এনপিপির ফরিদুজ্জামান ফরহাদ, লেবার পার্টির মোস্তাফিজুর রহমান ইরান, জাতীয় দলের সৈয়দ এহসানুল হুদা, ইসলামী ঐক্যজোটের মাওলানা আবদুল করিম খান, জাগপার ব্যারিস্টার তাসমিয়া প্রধান, খন্দকার লুতফর রহমান, ন্যাপ-ভাসানীর আজহারুল ইসলাম, ডিএলের সাইফুদ্দিন মনি, মুসলিম লীগের শেখ জুলফিকার বুলবুল চৌধুরী, পিপলস লীগের গরীবে নেওয়াজ, জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের মুফতি গোলাম মহিউদ্দিন ইকরাম, বাংলাদেশ ন্যাপের শাওন সাদেকী প্রমুখ নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
পেশাজীবীদের মধ্যে- অধ্যাপক মাহবুব উল্লাহ, অধ্যাপক সদরুল আমিন, অধ্যাপক আফম ইউসুফ হায়দার, অধ্যাপক তাজমেরি এস এ ইসলাম, অধ্যাপক একেএম আজিজুল ইসলাম, অধ্যাপক এবিএম ওবায়দুল ইসলাম, অধ্যাপক শামসুল আলম, অধ্যাপক নজরুল ইসলাম, প্রকৌশলী রিয়াজুল ইসলাম রিজু, হাছিন আহমেদ, অধ্যাপক গোলাম হাফিজ কেনেডি, অধ্যাপক রফিকুল ইসলাম বাচ্চু, অধ্যক্ষ সেলিম ভুঁইয়া, অধ্যক্ষ সেলিম ভুঁইয়া, রফিকুল ইসলাম, আশরাফ উদ্দিন উজ্জ্বল, জাহানারা বেগম, সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের এজেডএম জাহিদ হোসেন ও কাদের গনি চৌধুরী, সাংবাদিক সোহরাব হাসান, এম আবদুল্লাহ, আবদুল হাই শিকদার, কামাল উদ্দিন সবুজ, মোস্তফা কামাল মজুমদার, সৈয়দ আবদাল আহমেদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: নয়াপল্টনে নিজেদের কার্যালয় ভাঙচুরের নিরপেক্ষ তদন্ত দাবি বিএনপির
নাজমুল হুদাকে ‘তৃণমূল বিএনপি’র নিবন্ধন দেয়ার রায় আপিলে বহাল
নয়াপল্টনে নিজেদের কার্যালয় ভাঙচুরের নিরপেক্ষ তদন্ত দাবি বিএনপির
বিএনপি গত ৭ ডিসেম্বর নয়াপল্টনে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে পুলিশের হামলায় ৫০ দশমিক ৫ লাখ টাকার মূল্যবান জিনিসপত্রের ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি করেছে এবং এই ঘটনার নিরপেক্ষ তদন্ত দাবি করেছে।
রবিবার রাজধানীর গুলশানে দলের চেয়ার চেয়ারপার্সনের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, বিএনপির নয়াপল্টন কার্যালয় থেকে ল্যাপটপ, কম্পিউটার, হার্ডডিস্ক, নথিপত্র, ব্যাংকের কাগজপত্র ও নগদ টাকা লুট করা আসলে ডাকাতির ঘটনা।
আরও পড়ুন: নয়াপল্টনে সংঘর্ষ: বিএনপির ৫ নেতাকে কারাগারে ডিভিশন দেয়ার নির্দেশ হাইকোর্টের
মোশাররফ বলেন, ‘প্রত্যক্ষদর্শীদের মতে, বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে পুলিশি অভিযানের পর ৭ ডিসেম্বর আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সহায়তায় ক্ষমতাসীন দলের দুর্বৃত্তরা সম্পত্তি ভাঙচুর ও লুটপাটে অংশ নেয়।’
তিনি বলেন, পুলিশ যেভাবে কোনো অফিস বা বাসভবনে তল্লাশির সময় মালিক ও নিরপেক্ষ পক্ষকে সাক্ষী রাখার সাধারণ আইন লঙ্ঘন করেছে, তা মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানি সামরিক বাহিনীর তৎপরতার কথা মনে করিয়ে দেয়।
তিনি আরও বলেন, আমরা এ ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই এবং এর নিরপেক্ষ তদন্ত দাবি করছি এবং বিচার চাই।
এ ছাড়া খন্দকার মোশাররফ অবিলম্বে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসসহ গ্রেপ্তার হওয়া দলের নেতাকর্মীদের মুক্তি ও তাদের বিরুদ্ধে করা মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানান।
বিএনপি আদালতে যাবে কি না জানতে চাইলে খন্দকার মোশাররফ বলেন, আমরা নিরপেক্ষ তদন্ত চেয়েছি, দেখব কী হয়। এখনও কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি।’
৭ ডিসেম্বর, ১০ ডিসেম্বরের সমাবেশের আগে নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে পুলিশের সঙ্গে বিএনপি নেতাকর্মীদের সংঘর্ষে স্বেচ্ছাসেবক দলের এক নেতা নিহত ও প্রায় ৫০ জন আহত হন।
আরও পড়ুন: নাজমুল হুদাকে ‘তৃণমূল বিএনপি’র নিবন্ধন দেয়ার রায় আপিলে বহাল
বিএনপির ৫ সংসদ সদস্যের শূন্য আসনে উপনির্বাচন ১ ফ্রেব্রুয়ারি
আন্দোলনের মাধ্যমে আ.লীগ সরকারকে উৎখাত করা এত সহজ নয়: প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আন্দোলনের মাধ্যমে আওয়ামী লীগ সরকারকে উৎখাত করা বিএনপি ও অন্যদের পক্ষে সহজ হবে না। তারা সর্বোত্তমভাবে সরকারের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করতে পারে।
তিনি দৃঢ়ভাবে বলেন, ‘কিছুদিন আগে বিএনপি সরকার পতনের আন্দোলন শুরু করে। এটা কি এত সহজ? বরং, আওয়ামী লীগের ক্ষমতা (এমন আন্দোলন বন্ধ করার)।’
রাজধানীর ফার্মগেট এলাকার কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশনে বিজয় দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: আ. লীগ সরকারের আমলে বাংলাদেশের অনেক পরিবর্তন হয়েছে: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
আলোচনায় সভাপতিত্বকারী আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা বলেন, ‘আওয়ামী লীগ পারে, আইয়ুব খানকে আমরা উৎখাত করেছি। ইয়াহিয়া খানকে যুদ্ধে পরাজিত করে উৎখাত করেছি। জিয়াকে পাই নাই হাতে; কিন্তু জিয়া যখনই যেখানে গেছে- আন্দোলন তো তার বিরুদ্ধে হয়েছে। এরশাদকে উৎখাত করেছি। ১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি খালেদা জিয়া ভোট চুরি করে, তাকে উৎখাত করা হয়েছে। আবার ২০০৬ এ ভোট চুরি করেছিল, এক কোটি ২৩ লাখ ভুয়া ভোটার দিয়ে ভোট করতে চেয়েছিল, সেটাও বাতিল হয়েছে। কাজেই আওয়ামী লীগ পারে। কিন্তু আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় বসলে... হ্যাঁ চক্রান্ত করতে পারবে, ষড়যন্ত্র করতে পারবে। ’
খুনি ও যুদ্ধাপরাধীরা যাতে ক্ষমতায় এসে দেশকে ধ্বংস করতে না পারে সেজন্য সবাইকে বিজয়ী পতাকা সমুন্নত রাখতে এবং সজাগ থাকার আহ্বান জানান তিনি।
বিজয়ের এই মাসে বিএনপি কেন সরকার পতনে মরিয়া তা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন তিনি।
শেখ হাসিনা বলেন, ষড়যন্ত্রের কারণে ২০০১ সালে তার দল ক্ষমতায় আসতে না পারায় বিএনপি-জামায়াত শাসনামলে দেশের মানুষ চরম দুর্ভোগ সহ্য করেছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশকে ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ হিসেবে গড়ে তুলতে প্রতিটি নাগরিকের কম্পিউটার সাক্ষরতা এবং ই-গভর্নেন্স, স্বাস্থ্যসেবা ও শিক্ষার আধুনিকায়নের পাশাপাশি ই-বিজনেস ও ই-কমার্সকে আরও বিকশিত করা হবে।
আরও পড়ুন: আমরা বাংলাদেশে মানবাধিকার সমুন্নত রাখি: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
প্রধানমন্ত্রী সম্মানসূচক “গ্লোবাল এম্বাসেডর ফর ডায়াবিটিস”-এর উপাধিতে ভূষিত
নাজমুল হুদাকে ‘তৃণমূল বিএনপি’র নিবন্ধন দেয়ার রায় আপিলে বহাল
সাবেক বিএনপি নেতা ও সাবেক যোগাযোগমন্ত্রী ব্যারিস্টার নাজমুল হুদাকে ‘তৃণমূল বিএনপি’ নামক রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন দিতে হাইকোর্টের রায় বহাল রেখেছেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ।
রবিবার হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে নির্বাচন কমিশনের করা লিভ টু আপিল খারিজ করে দিয়ে প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগের তিন বিচারপতির বেঞ্চ এ রায় দেন।
আদালতে নাজমুল হুদার পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট শাহ মঞ্জুরুল হক। ইসির পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মোহাম্মদ ইয়াছিন।
আরও পড়ুন: নয়াপল্টনে সংঘর্ষ: বিএনপির ৫ নেতাকে কারাগারে ডিভিশন দেয়ার নির্দেশ হাইকোর্টের
জানা গেছে, আজকের আদেশের ফলে নাজমুল হুদার নেতৃত্বাধীন ‘তৃণমূল বিএনপি’কে রাজনৈতিক দল হিসেবে নিবন্ধন দেয়ার নির্দেশ দেয়া হাইকোর্টের রায়ই বহাল রইল বলে জানান নাজমুল হুদার আইনজীবী শাহ মঞ্জুরুল হক।
এর আগে, ব্যারিস্টার নাজমুল হুদার নেতৃত্বাধীন ‘তৃণমূল বিএনপি’কে রাজনৈতিক দল হিসেবে নিবন্ধন দিতে ২০১৮ সালের ৪ নভেম্বর রায় দেন বিচারপতি তারিক উল হাকিম ও বিচারপতি মো. সোহরাওয়ার্দীর হাইকোর্ট বেঞ্চ। সে রায়ের বিরুদ্ধে লিভ টু আপিল করে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
উল্লেখ্য, ২০১৮ সালের ১৪ জুন তৃণমূল বিএনপির নিবন্ধনের আবেদন প্রত্যাখ্যান করে নির্বাচন কমিশন। এই সিদ্ধান্ত চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট করেন নাজমুল হুদা।
আরও পড়ুন: ফখরুল-আব্বাসকে আগেই ডিভিশন দেয়া উচিত ছিল: হাইকোর্ট
ফখরুল ও আব্বাসের কারাগারে ডিভিশন চেয়ে হাইকোর্টে রিট
বিএনপির ৫ সংসদ সদস্যের শূন্য আসনে উপনির্বাচন ১ ফ্রেব্রুয়ারি
বিএনপির সংসদ সদস্যরা পদত্যাগ করায় পাঁচ সংসদীয় আসনের উপনির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে ২০২৩ সালের ১ ফেব্রুয়ারি।
রবিবার বৈঠক শেষে উপনির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়ালের সভাপতিত্বে ইসির বৈঠকে নির্বাচনের তফসিল চূড়ান্ত করা হয়।
ঠাকুরগাঁও-৩, বগুড়া-৪, বগুড়া-৬, চাঁপাইনবাবগঞ্জ-২ ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনের উপনির্বাচনের আয়োজন করবে ইসি।
ইসি সচিব বলেন, প্রার্থীরা ৫ জানুয়ারি পর্যন্ত মনোনয়নপত্র জমা দিতে পারবেন। রিটার্নিং কর্মকর্তারা ৮ জানুয়ারি মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই করবেন। ১৫ জানুয়ারি প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: আ.লীগের জাতীয় কাউন্সিল বিবেচনায় ৩০ ডিসেম্বর ঢাকায় গণমিছিল করবে বিএনপি
গত ১১ ডিসেম্বর বিএনপির সাতজন সংসদ সদস্যের মধ্যে পাঁচজন স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর কাছে পদত্যাগপত্র জমা দেন। সরকারবিরোধী আন্দোলনের অংশ হিসেবে ১০ দফা দাবিতে তাদের এই সিদ্ধান্ত।
পদত্যাগকারী সংসদ সদস্যরা হলেন- মো. জাহিদুর রহমান, ঠাকুরগাঁও-৩; মো. মোশারফ হোসেন, বগুড়া-৪; গোলাম মোহাম্মদ সিরাজ, বগুড়া-৬; মো. আমিনুল ইসলাম, চাঁপাইনবাবগঞ্জ-২; মো. হারুনুর রশীদ, চাঁপাইনবাবগঞ্জ-৩; আবদুস সাত্তার ভূঁইয়া, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ এবং রুমিন ফারহানা, মহিলা সংরক্ষিত আসন।
তাদের মধ্যে চাঁপাইনবাবগঞ্জ-৩ আসনের মো. হারুনুর রশীদ, যিনি বর্তমানে অস্ট্রেলিয়ায় আছেন এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনের অসুস্থ সংসদ সদস্য আবদুস সাত্তার ভূঁইয়া রুমিন ফারহানার মাধ্যমে পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন। এর আগে, শনিবার ই-মেইলের মাধ্যমে সংসদ সদস্যরা পদত্যাগপত্র পাঠান।
সংসদ সচিবালয় তাদের পদত্যাগের পর সংসদীয় আসন শূন্য ঘোষণা করে গেজেট প্রকাশ কর।
আরও পড়ুন: খোকসায় পুলিশের বিরুদ্ধে বিএনপির অফিস বন্ধ করে দেয়ার অভিযোগ
বিজয় দিবস: মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা বিএনপির
বিদ্রোহী প্রার্থীদের সাধারণ ক্ষমা আ.লীগের
আওয়ামী লীগ স্থানীয় সরকার নির্বাচনে বিদ্রোহী প্রার্থী ও দলের শৃঙ্খলাবিরোধী কর্মকাণ্ডে জড়িতদের সাধারণ ক্ষমা ঘোষণা করেছে।
শনিবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারি বাসভবন গণভবনে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের জাতীয় কমিটির বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের দলটির সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘যারা দলের শৃঙ্খলা ভঙ্গ করেছে তাদের মধ্যে শতাধিক নেতা ক্ষমা চেয়ে আবেদন করলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ক্ষমা করেন। এর বাইরে কেউ থাকলে তারাও আবেদন করতে পারবে।’
কাদের আরও বলেন যে ৩০ লাখ টাকা কমিয়ে দলীয় কাউন্সিলের বাজেট তিন কোটি ১৩ লাখ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় সাতক্ষীরায় আ’লীগের ৯ নেতা-কর্মী বহিষ্কার
ইউপি নির্বাচন: বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় সাতকানিয়ায় ১৮ জনকে আ’লীগ থেকে বহিষ্কার
স্বার্থান্বেষী মহল গণতন্ত্রকে ধ্বংস করতে চায়: প্রধানমন্ত্রী
একটি স্বার্থান্বেষী মহল তাদের ব্যক্তিগত লাভের জন্য দেশের গণতন্ত্রকে ধ্বংস করার কাজে নিহিত রয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি বলেছেন, ‘গণতন্ত্রের অভাবটা কোথায়? নাকি যারা এসব কথা বলেন তাঁদের জরুরি অবস্থার সরকার, সামরিক শাসক আসে তাহলে ভালো লাগে। তাঁদের একটু দাম বাড়ে। খোশামোদী-তোষামোদী করে। ওইটুকু পাওয়ার লোভে ব্যক্তি স্বার্থের জন্য তাঁরা দেশের গণতান্ত্রিক পদ্ধতিটাই ধ্বংস করতে চায়।’
আরও পড়ুন: আ. লীগ সরকারের আমলে বাংলাদেশের অনেক পরিবর্তন হয়েছে: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
প্রধানমন্ত্রী তার সরকারি বাসভবন গণভবনে ৭৮টি সাংগঠনিক জেলার সভাপতি ও সেক্রেটারি এবং কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের কমিটির সদস্যদের সমন্বয়ে গঠিত শনিবার আওয়ামী লীগের জাতীয় কমিটির সূচনা বক্তব্যে এ মন্তব্য করেন।
তিনি দাবি করেন, আওয়ামী লীগ ছাড়া জনগণের গণতান্ত্রিক অধিকার রক্ষার কেউ নেই। 'আমি তাদের জিজ্ঞেস করি যে গণতন্ত্রের ঘাটতি কোথায়?’
ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা বলেন, এই স্বার্থান্বেষী মহল মনে করে ভোট কারচুপি, সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ, যা বিএনপি-জামায়াতের আমলে খুবই স্বাভাবিক ছিল, গণতন্ত্রের সমার্থক শব্দ।
‘আমি বিশ্বাস করি জনগণের শক্তিই সবচেয়ে বড় শক্তি; জনগণের আস্থাই সবচেয়ে বড় শক্তি,’ বলেন তিনি।
শেখ হাসিনা বলেন, আওয়ামী লীগ ১৪ বছর ধরে ক্ষমতায় থাকায় এবং দেশে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া অব্যাহত থাকায় বাংলাদেশ ব্যাপক উন্নয়ন করেছে এবং বিশ্বে উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে প্রশংসিত হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমি জানি না যারা গণতন্ত্র খুঁজছেন তারা অবশ্যই চোখে দূরবীন ব্যবহার করছেন, আমি তাদের একটি প্রশ্ন করি, জাতির পিতার সাড়ে তিন বছর এবং আওয়ামী লীগের শাসনামলে অন্য বছর ছাড়া দেশে গণতন্ত্র কোথায় ছিল?’
জিয়াউর রহমান, এইচএম এরশাদ ও খালেদা জিয়ার শাসনামলে সেনানিবাসের হাতে সকল ক্ষমতা কুক্ষিগত ছিল বলে তিনি উল্লেখ করেন।
শেখ হাসিনা প্রশ্ন তোলে বলেন, ‘ক্যান্টনমেন্ট থেকে দেশ শাসিত হয়েছিল, তাহলে গণতন্ত্র বা জনগণের শক্তি কোথায় ছিল?’
তিনি বলেন, মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় সরকার পরিচালিত হওয়ায় দেশ ব্যাপকভাবে এগিয়ে যেতে সক্ষম হয়েছে। ‘যে বাংলাদেশ সন্ত্রাস, দুর্ভিক্ষ, দুর্নীতিতে নিমজ্জিত ছিল, সে দেশ এখন গণতন্ত্র ও উন্নয়নের দেশে পরিণত হয়েছে।’
তিনি উল্লেখ করেন, আওয়ামী লীগ সরকার টানা ১৪ বছর ক্ষমতায় থাকায় এসব ব্যাপক পরিবর্তন আনতে সক্ষম হয়েছে।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ যখনই ক্ষমতায় আসে তখনই দেশের মানুষ ইতিবাচক পরিবর্তন পায়।
আওয়ামী লীগ সবসময় ন্যায়বিচারে বিশ্বাস করে উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘জিয়া দেশে অনাচারের সংস্কৃতি গড়ে তুলেছিলেন, আমরা তা থেকে মুক্তি পেয়ে ন্যায়ের সংস্কৃতি প্রতিষ্ঠা করেছি।’
আরও পড়ুন: আমরা বাংলাদেশে মানবাধিকার সমুন্নত রাখি: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
প্রধানমন্ত্রী সম্মানসূচক “গ্লোবাল এম্বাসেডর ফর ডায়াবিটিস”-এর উপাধিতে ভূষিত
আ.লীগের জাতীয় কাউন্সিল বিবেচনায় ৩০ ডিসেম্বর ঢাকায় গণমিছিল করবে বিএনপি
আওয়ামী লীগের জাতীয় কাউন্সিল বিবেচনায় ২৪ তারিখের পরিবর্তে ৩০ ডিসেম্বর গণমিছিল করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিএনপি।
শনিবার রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়।
তবে, সারাদেশে অন্যান্য সব মহানগর ও জেলায় মিছিল করার তারিখ ২৪ ডিসেম্বর রয়ে গেছে। ‘আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের অনুরোধের পরিপ্রেক্ষিতে তারিখ পরিবর্তন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান।
আরও পড়ুন: কারাগারে বিএনপির নেতাকর্মীদের সঙ্গে অমানবিক আচরণ করা হচ্ছে: বিএনপি
তিনি আরও বলেন, ‘ওবায়দুল কাদের যেমন আশা করেছিলেন এবং আমাদের গণমিছিলের তারিখ পরিবর্তনের অনুরোধ করেছিলেন। কারণ আওয়ামী লীগ ২৪ ডিসেম্বর ঢাকায় কাউন্সিল করবে। বিএনপি রাজনৈতিকভাবে কাজ করতে চায়। বিএনপি কোনও সংঘাত চায় না এবং সংকটের শান্তিপূর্ণ সমাধান চায়।
তিনি বলেন, ‘২৪ ডিসেম্বরের পরিবর্তে, আমরা ঢাকায় সমাবেশ করার জন্য একটি উপযুক্ত দিন ভেবেছিলাম এবং ৩০ ডিসেম্বর সিদ্ধান্ত নিয়েছি। এই অনির্বাচিত সরকারের বিরুদ্ধে আমাদের আন্দোলন এবং একটি নির্বাচিত সরকার প্রতিষ্ঠার লড়াইয়ের কথা জনগণকে মনে করিয়ে দেয়া গুরুত্বপূর্ণ।’
তিনি বলেন, ৩০ ডিসেম্বর ঢাকার কর্মসূচির ভেন্যু পরে ঘোষণা করা হবে।
তিনি সারাদেশের সকল দলের নেতাকর্মীদের গণমিছিলকে সফল করার আহ্বান জানান এবং ঢাকায় তাদের ১০ ডিসেম্বর বিকালের সমাবেশে যারা যোগ দিয়েছিলেন তাদেরকেও মিছিলে যোগ দেয়ার আহ্বান জানান।
এর আগে ১০ ডিসেম্বর রাজধানীর গোলাপবাগ মাঠের জনসভা থেকে দেশব্যাপী গণমিছিলের ঘোষণা দেয় বিএনপি।
আরও পড়ুন: কুষ্টিয়ার মিরপুরে বিএনপি'র ৯ নেতাকর্মী গ্রেপ্তার
খোকসায় পুলিশের বিরুদ্ধে বিএনপির অফিস বন্ধ করে দেয়ার অভিযোগ
বিজয় দিবস: মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা বিএনপির
বিজয় দিবস উপলক্ষে সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধে দেশের জন্য সর্বোচ্চ আত্মত্যাগকারী শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েছে বিএনপি।
শুক্রবার সকাল ৯টার দিকে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেনসহ দলটির সিনিয়র নেতারা স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।
পরে তারা রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের কবরে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। বিএনপি নেতারা জিয়ার বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করে মোনাজাতও করেন।
খন্দকার মোশাররফ সাংবাদিকদের বলেন, ‘আজকের এই বিজয়ের দিনে আমরা আশা করি, প্রত্যাশা করি- বাংলাদেশ থেকে স্বৈরাচার-ফ্যাসিবাদী সরকারের অবসান হবে, গণতন্ত্রের পুনঃপ্রতিষ্ঠা হবে, জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা পাবে।’
আরও পড়ুন: শুক্রবার রাজধানীতে ‘বিজয় দিবসের’ র্যালি করবে বিএনপি
জঙ্গিবাদের সঙ্গে বিএনপির যোগসাজশ নিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের মন্তব্যের জবাবে তিনি বলেন, ‘এই সরকার ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসকে বিকৃত করেছে, বাংলাদেশের ৫০ বছরের ইতিহাস বিকৃত করেছে। তারা তাদের সুবিধা মতো কথা বলে। জনগণ কিন্তু সচেতন। জনগণই বিচার করবে তারা (আওয়ামী লীগ সরকার) সঠিক, না জনগণ সঠিক।’
দুপুর আড়াইটার দিকে নয়াপল্টন থেকে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে বর্ণাঢ্য র্যালি বের করে বিএনপি। বিএনপির বিভিন্ন ইউনিট ও অঙ্গ সংগঠনও সারাদেশে নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে দিবসটি পালন করেছে। এর আগে সকালে তারা বিজয় দিবস উপলক্ষে দলীয় কার্যালয়ে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন করেন।
মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানাতে শুক্রবার জাতি পালন করেছে বিজয় দিবস।
আরও পড়ুন: মহান বিজয় দিবসে জাতীয় কর্মসূচি
বিজয় দিবসের শ্রদ্ধা জানাতে গিয়ে হামলায় ৫ বিএনপি নেতাকর্মী আহত