রাজনীতি
নির্বাচন নিরপেক্ষ করতে রিটার্নিং কর্মকর্তাদের ইসির নির্দেশ
কমিশনের নিরপেক্ষতা ও সবার কাছে গ্রহণযোগ্যতা সমুন্নত রাখতে রিটার্নিং কর্মকর্তাদের বেশ কিছু পদক্ষেপ নিতে নির্দেশ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
পদক্ষেপের মধ্যে রয়েছে- কোনো পক্ষের প্রভাব ও হস্তক্ষেপ থেকে নির্বাচনের নিরপেক্ষতা রক্ষার পাশাপাশি আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে ভোটারদের তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগে উদ্বুদ্ধ করা।
আগামী ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিতব্য দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে রবিবার জারি করা প্রজ্ঞাপন নম্বর-৯ এ এসব নির্দেশনা দেওয়া হয়।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, ‘আইন, বিধি ও আচরণবিধির সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে, এটি নিশ্চিত করতে হবে যাতে কোনো অর্পিত প্রান্তের কোনো ধরনের প্রভাব বা অনুমান নির্বাচনের নিরপেক্ষতাকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে না পারে।’
নির্বাচনের মতো একটি সংবেদনশীল ও গুরুত্বপূর্ণ কাজের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট নির্বাচন কর্মকর্তারা যাতে উপযুক্ত কর্তৃপক্ষ বা স্থানীয় জনগণের সামনে নিজেদের অপমানিত করে এমন কোনো কাজ না করতে পারে সেজন্য ব্যবস্থা নেওয়ার কথাও বলেছে ইসি।
আরও পড়ুন: ময়মনসিংহের ডিসিকে প্রত্যাহার, সুনামগঞ্জের ডিসিকে বদলির নির্দেশ ইসির
ইসি বলেছে, জেলা প্রশাসন ও উপজেলা প্রশাসনকে নিজ নিজ এলাকায় স্থানীয় জনগণের যৌথসভা করে সবাইকে ভোটে উৎসাহিত করতে হবে। এ ব্যাপারে মাঠ প্রশাসনকে স্থানীয় রাজনৈতিক নেতাদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখতে বলা হয়।
ভোটাররা যাতে নির্বিঘ্নে ও স্বাচ্ছন্দ্যে ভোট কেন্দ্রে এসে ভোট দিতে পারে তার জন্য একটি অনুকূল পরিবেশ তৈরি করতে কমিশন এনফোর্সমেন্ট এজেন্সির মোবাইল টিমের মাধ্যমে নিবিড় টহল দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে।
ইসি রিটার্নিং কর্মকর্তাদের ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা ও গুরুত্বপূর্ণ ভোটকেন্দ্রের নিরাপত্তা জোরদার করতে এবং যেকোনো ধরনের অশুভ কর্মকাণ্ড রোধে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে সতর্ক থাকার জন্য কঠোর নির্দেশ দিতে বলেছে।
ভোটকেন্দ্রের অবস্থান সম্পর্কে জনগণকে জানাতে ব্যাপক প্রচার চালাতে বলেছে কমিশন।
এছাড়া রিটার্নিং অফিসারদের নিজ নিজ জেলা ও মহানগর এলাকায় বিভিন্ন দপ্তরের স্থানীয় কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে একটি ভিজিল্যান্স ও অবজারভেশন টিম গঠন করতে বলা হয়েছে। যাতে নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষভাবে অনুষ্ঠিত হয় এবং এই নিরপেক্ষতা জনগণের সামনে দৃশ্যমান হয়।
আরও পড়ুন: নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে ওসিদের পর ইউএনওদের বদলি চেয়েছে ইসি
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন: ওসিদের বদলির জন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে নির্দেশ ইসি’র
৭৫৬ দিন আগে
ময়মনসিংহে ২৪ প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বাতিল
ময়মনসিংহ জেলার ১১টি সংসদীয় আসনের মনোনয়ন যাচাই বাছাই সম্পন্ন হয়েছে।
যাচাই বাছাইয়ে বিভিন্ন ত্রুটি জনিত কারণে জেলার ১১টি আসনে ২৪ জন প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বাতিল করেছেন জেলা প্রশাসক ও জেলা রিটানিং কর্মকর্তা।
আরও পড়ুন: ঢাকা-১৭ আসনের উপনির্বাচন: হিরো আলমসহ ৮ প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বাতিল
সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী জেলার ১১টি আসনে ১০৭ জন মনোনয়ন প্রত্যাশী মনোনয়ন দাখিল করেছিলেন। ময়মনসিংহ জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
মনোনয়নপত্র বাতিল হওয়া প্রার্থীরা হলেন—
ময়মনসিংহ-১ (হালুয়াঘাট-ধোবাউড়া) আসনে আওয়ামী লীগের স্বতন্ত্র প্রার্থী ফারুক আহমেদ খান, ময়মনসিংহ-২ (তারাকান্দা-ফুলপুর) আসনে আবু বকর সিদ্দিক।
ময়মনসিংহ-৩ (গৌরীপুর) আসনে আওয়ামী লীগের স্বতন্ত্র প্রার্থী অধ্যক্ষ একেএম আব্দুর রফিক, মোশাররফ হোসেন আজাদ।
ময়মনসিংহ-৫ (মুক্তাগাছা) আসনে আওয়ামী লীগের স্বতন্ত্র প্রার্থী অ্যাডভোকেট বদর উদ্দিন আহমেদ, কৃষিবিদ নজরুল ইসলাম, ফয়জুর রহমান।
ময়মনসিংহ-৬ (ফুলবাড়িয়া) আসনে রওশনপন্থী জাতীয় পার্টির প্রার্থী ডা. খন্দকার রফিকুল ইসলাম, আব্দুল মান্নান আকন্দ, জাহাঙ্গীর আলম, আওয়ামীলীগের স্বতন্ত্র প্রার্থী সেলিমা বেগম।
ময়মনসিংহ-৭ (ত্রিশাল) আসনে উপজেলা আওয়ামী লীগ সহসভাপতি হাবিবুর রহমান খান, বাবুল আহেম্মেদ, আবুল মনসুর ফকির, মুক্তিজোটের প্রার্থী বাদশা দেওয়ান।
ময়মনসিংহ-৮ (ঈশ্বরগঞ্জ) আওয়ামী লীগের স্বতন্ত্র প্রার্থী কানিজ ফাতেমা, এ কে এম ওয়াহিদুজ্জান ও খিজির হায়াত খান। ময়মনসিংহ-
০ (গফরগাঁও) আসনে আওয়ামীলীগের স্বতন্ত্র প্রার্থী জেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা কায়সার আহমেদ ও আবুল হোসেন।
ময়মনসিংহ-১১ (ভালুকা) আসনে জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি স্বতন্ত্র প্রার্থী এম এ ওয়াহেদ, সুপ্রিম পার্টি এবিএম জিয়া উদ্দিন বাসার, বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশনের কায়কোবাদ আহমেদ, আওয়ামী লীগের স্বতন্ত্র (জেলা বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশনের সভাপতি) হাজী আব্দুর রহমান।
আরও পড়ুন: দিনাজপুরের ৪ জনের মনোনয়নপত্র বাতিল
খুলনায় তিনটি আসনে ১৮ প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বাতিল
৭৫৬ দিন আগে
দিনাজপুরের ৪ জনের মনোনয়নপত্র বাতিল
দিনাজপুরের ছয়টি আসনে দাখিল করা ৩৪ জনের বাছাইয়ে তথ্যে গড়মিলের কারণে চারজন স্বতন্ত্র প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বাতিল ঘোষণা করেছেন রিটানিং অফিসার জেলা প্রশাসক শাকিল আহমেদ।
আরও পড়ুন: গাজীপুর সিটি নির্বাচন: জাহাঙ্গীর আলমের মনোনয়নপত্র বাতিল, মায়েরটি বৈধ ঘোষণা
মনোনয়নপত্র বাতিলের মধ্যে রয়েছেন—
দিনাজপুর ১ (বীরগঞ্জ-কাহারোল) এ আওয়ামী লীগ নেতা স্বতন্ত্র প্রার্থী আবু হোসাইন বিপু, দিনাজপুর সদর ৩ এ যুবলীগ নেতা স্বতন্ত্র প্রার্থী রাশেদ পারভেজ, দিনাজপুর ৫ (পাবর্তীপুর- ফুলবাড়ী) এ স্বতন্ত্র প্রার্থী তোজাম্মেল হক এবং দিনাজপুর ৬ (বিরামপুর, নবাবগঞ্জ, ঘোড়াঘাট, হাকিমপুর) এ স্বতন্ত্র প্রার্থী শাহনেওয়াজ ফিরোজের মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে।
তবে বাতিলের বিষয়ে ৫ থেকে ৯ ডিসেম্বরের মধ্যে বাতিলের বিষয়ে আপত্তি জানাতে পারবেন প্রার্থীরা।
রবিবার জেলা প্রশাসকের সম্মেলনকক্ষে প্রার্থী এবং প্রতিনিধির উপস্হিতিতে মনোনয়নপত্র বাছাইয়ের পর বাতিল হওয়া প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করেছেন রিটানিং অফিসার।
আগামী ১৭ ডিসেম্বর প্রত্যাহারের সর্বশেষ সময় অতিক্রমের পর ১৮ ডিসেম্বর প্রতীক বরাদ্দ শেষে নির্বাচনী প্রচারণা জমে উঠবে বলে আশা করছেন সংশ্লিষ্টরা।
আরও পড়ুন: খুলনায় তিনটি আসনে ১৮ প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বাতিল
ঢাকা-১৭ আসনের উপনির্বাচন: হিরো আলমসহ ৮ প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বাতিল
৭৫৬ দিন আগে
দগ্ধ মানুষের আর্তনাদ কি বিএনপি-জামাতের কানে পৌঁছায় না: তথ্যমন্ত্রী
বিএনপি-জামাতের প্রতি প্রশ্ন রেখে তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ‘জীবন্ত দগ্ধ মানুষদের আর্তনাদ কি তাদের কানে পৌঁছায় না?
তিনি বলেন, ‘অগ্নিসন্ত্রাসী ও তাদের হুকুমদাতা, অর্থদাতাদের বিচার হলেই কেবল অগ্নিসন্ত্রাস বন্ধ হবে।’
রবিবার (৩ ডিসেম্বর) দুপুরে রাজধানীতে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে ‘অগ্নিসন্ত্রাসের আর্তনাদ’সংগঠন আয়োজিত ‘মানবাধিকার লঙ্ঘনকারী বিএনপি-জামায়াতের অগ্নিসন্ত্রাসী ও হুকুমদাতাদের বিচার চাই’ শীর্ষক মানববন্ধন ও সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ কথা বলেন।
আরও পড়ুন: সংলাপ রাজনৈতিক দলের সঙ্গে হয়, আগুনসন্ত্রাসীদের সঙ্গে নয়: তথ্যমন্ত্রী
‘অগ্নিসন্ত্রাসের আর্তনাদ’র আহ্বায়ক শাহাদত হোসেন বাবুলের সভাপতিত্বে সমাবেশে আইনজীবী খোদেজা নাসরিন আক্তার হোসেন এমপি, বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য ড. আখতারুজ্জামান, আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সংসদের সদস্য আনোয়ার হোসেন, জাতীয় প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক শ্যামল দত্ত, যাত্রীবাহী বাসে পেট্রোল বোমা হামলায় নিহত নাহিদের মা রুনি বেগম, আগুনে ঝলসে যাওয়া সালাউদ্দিন ভূঁইয়াসহ অনেক আহত ও নিহতদের পরিবারের সদস্যরা অগ্নিসন্ত্রাসী ও মদদদাতাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন।
তাদের দাবির সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের মাধ্যমে বা দ্রুততম সময়ে বিচারের মাধ্যমে ২০১৩, ১৪, ১৫ সালে যারা আগুনসন্ত্রাস চালিয়েছিল তাদের এবং হুমুকদাতা ও অর্থদাতাদের যদি আমরা বিচার করতে পারতাম, তাহলে আজকে ২০২৩ সালে এই আগুনসন্ত্রাস হতো না। সেই সময় তারা আগুনসন্ত্রাস চালিয়েছিল খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে, আর এখন চালানো হচ্ছে তারেক জিয়ার নেতৃত্বে।’
হাছান মাহমুদ বলেন, ‘একটি রাজনৈতিক দল অবরোধ ডেকে ঘরের মধ্যে ঘুমিয়ে থাকে আর তাদের কিছু কর্মী, সন্ত্রাসী আর কিছু মানুষকে ভাড়া করে হাতে পেট্রোলবোমা তুলে দিয়ে চোরাগোপ্তা হামলা করাচ্ছে, গাড়িতে আগুন দেওয়াচ্ছে। এটি কোনো রাজনৈতিক দলের কর্মসূচি হতে পারে না। পৃথিবীর কোথাও গত দুই দশকে রাজনীতির জন্য এভাবে আগুনসন্ত্রাস করে মানুষকে পুড়িয়ে মারার ঘটনা ঘটেনি, যেটি বাংলাদেশে বিএনপি-জামায়াত করছে।’
সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, ‘আমি আজকে সকালে বিশ্ব জলবায়ু সম্মেলন থেকে এসেছি। সেখানে দুবাইয়ে কমনওয়েলথ সেক্রেটারির সঙ্গে বৈঠকে রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনায় প্রশ্ন রেখেছিলাম, পৃথিবীর কোথাও রাজনীতির কারণে এভাবে পেট্রোলবোমা নিক্ষেপ করা, নিরীহ মানুষকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে হত্যা করা হচ্ছে কি না, যেটি বাংলাদেশে বিএনপি-জামায়াত ঘটাচ্ছে। তার পুরো দল স্বীকার করেছে পৃথিবীর অন্য কোথাও এটি ঘটছে না, গত ২০ বছরে কোথাও ঘটেনি।’
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাছান বলেন, ‘বিএনপি-জামায়াতের খাসলত বদলাবে আশা করেছিলাম, কিন্তু না, তারা আবার সেই পুরোনো আগুনসন্ত্রাস শুরু করেছে। আসলে কয়লা ধুলে ময়লা যায় না, বিএনপি-জামায়াতও কখনো ভালো হবে না। সুতরাং এদের প্রতিহত করতে হবে। গত এক মাসে তারা ৫৮০টি গাড়িতে আগুন দিয়েছে। অনেক ড্রাইভার-হেলপারকে জীবন্ত পুড়িয়ে হত্যা করেছে। আর এই সমস্ত কিছু পরিচালিত হচ্ছে তারেক রহমান আর বিএনপি নেতাদের নির্দেশে। সুতরাং তারাও দোষী এবং এই অগ্নিসন্ত্রাসের যারা শিকার তাদের আর্তনাদ ও দাবি অনুযায়ী নেতাদেরও বিচারের আওতায় আনতে হবে।’
আরও পড়ুন: বিএনপি নামক ‘কারাগারে’ বন্দি তাদের নেতারা: তথ্যমন্ত্রী
দেশের উন্নয়নে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা দরকার: তথ্যমন্ত্রী
৭৫৬ দিন আগে
খুলনায় তিনটি আসনে ১৮ প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বাতিল
খুলনায় তিনটি আসনে ১৮ জনের মনোনয়নপত্র বাতিল করেছেন খুলনা জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং কর্মকর্তা খন্দকার ইয়াসির আরেফীন।
রবিবার (৩ ডিসেম্বর) মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাইয়ের প্রথমদিনে খুলনা জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক খন্দকার ইয়াসির আরেফিন এই ঘোষণা দেন।
আরও পড়ুন: খুলনায় অবরোধের প্রথম দিনে দূরপাল্লার বাস ছাড়েনি, নগরীতে স্বাভাবিক
স্বতন্ত্র প্রার্থীদের সমর্থনকারী ভোটারদের সই জাল করা, বিদ্যুৎ বিল বকেয়া থাকা, হলফনামায় সই না থাকা এবং ঋণ খেলাপি হওয়ার কারণে তাদের মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়।
মনোনয়ন বাতিল হওয়া প্রার্থীরা হলেন— খুলনা-৪ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী জুয়েল রানা, আতিকুর রহমান, রেজভী আলম, এইচ এম রওশন জামির ও মোত্তজা রশিদী দারা, বাংলাদেশ কংগ্রেসের মনিরা সুলতানা, ইসলামী ঐক্যজোটের রিয়াজ উদ্দিন খান, তৃণমূল বিএনপির শেখ হাবিবুর রহমান।
খুলনা-৫ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী শেখ আকরাম হোসেন, ইসলামী ঐক্যজোটের তরিকুল ইসলাম, বাংলাদেশ কংগ্রেসের এস এম এ জলিল ও জাতীয় পার্টির শাহীদ আলম।
খুলনা-৬ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী এস এম রাজু, গাজী মোস্তফা কামাল, অহিদুজ্জামান মোড়ল, জি এম মাহবুবুল আলম ও মোস্তফা কামাল জাহাঙ্গীর, বিদ্যুৎ বিল বকেয়া থাকায় জাতীয় পার্টির শফিকুল ইসলাম মধু।
খুলনা জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং কর্মকর্তা খন্দকার ইয়াসির আরেফীন জানান, রবিবার খুলনার ছয়টি আসনের মধ্যে তিনটি আসনের মনোনয়নপত্র বাছাই করা হয়। এই তিনটি আসনে ৩৩ জন প্রার্থীর মধ্যে ১৮ জনের বাতিল, একজনের অপেক্ষমাণ এবং ১৪ জনের মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা করা হয়েছে। সোমবার খুলনা- ১, ২ ও ৩ নম্বর আসনের মনোনয়নপত্র বাছাই করা হবে।
আরও পড়ুন: উদ্বোধনের এক মাস পরও খুলনা-মোংলা রুটে শুরু হয়নি ট্রেন চলাচল
পদ্মা সেতু দিয়ে খুলনা-ঢাকা রুটে নকশীকাথাঁ কমিউটার ট্রেন চলাচল শুরু আজ
৭৫৬ দিন আগে
একাধিক ত্রুটির কারণে হিরো আলমের মনোনয়ন বাতিল
একাধিক ত্রুটির কারণে বগুড়া-৪ (কাহালু-নন্দীগ্রাম) আসনে বাংলাদেশ কংগ্রেস পার্টি থেকে জমা দেওয়া ইউটিউবার আশরাফুল হোসেন আলম ওরফে হিরো আলমের মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে।
হলফনামায় সই না করা, আয়কর রিটার্ন দাখিল না করা এবং সঠিকভাবে মনোনয়নপত্র পূরণ না করায় রবিবার (৩ ডিসেম্বর) রিটার্নিং অফিসার ও বগুড়ার জেলা প্রশাসক মো. সাইফুল ইসলাম তার মনোনয়নপত্র বাতিল করেন।
এছাড়া, জেলার চারটি আসনে আরও ১০ প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বিভিন্ন ত্রুটির কারণে বাতিল করা হয়েছে।
মনোনয়নপত্র বাতিলের বিষয়ে হিরো আলম বলেন, ‘প্রতি বছর আমার মনোনয়নপত্র বাতিল হয়, তাতে কিছু আসে যায় না।’
এর আগে চলতি বছরের জুলাইয়ে ঢাকা-১৭ আসনের উপনির্বাচনে অংশ নেন হিরো আলম। ফেব্রুয়ারিতে বগুড়া-৬ (সদর) ও বগুড়া-৪ (কাহালু-নন্দীগ্রাম) আসনের উপনির্বাচনেও তিনি স্বতন্ত্র প্রার্থী ছিলেন।
আরও পড়ুন: ঢাকা-১৭ উপনির্বাচনে প্রার্থিতা ফিরে পেলেন হিরো আলম
হিরো আলম ২০১৮ সালের ৩ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বগুড়া-৪ আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন।
তবে ভোটের মাঝপথে অনিয়মের অভিযোগ এনে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ান তিনি।
বগুড়া-৪ আসনের মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাইয়ের প্রথম দিনে জেলার সাতটি আসনের মধ্যে চারটির মনোনয়নপত্র নির্বাচন করা হয়েছে।
জেলার সিনিয়র নির্বাচন কর্মকর্তা মাহমুদ হাসান জানান, সোমবার বাকি তিনটি আসনের মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই করা হবে।
বাছাই শেষে রিটার্নিং কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম বলেন, আমার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে কেউ আপিল করতে চাইলে আগামী ৫-৯ ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন কমিশনে (ইসি) আবেদন করতে হবে।
আরও পড়ুন: ঢাকা-১৭ আসনের উপনির্বাচন: হিরো আলমসহ ৮ প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বাতিল
যারা হিরোকে জিরো বানাতে চায় তারাই জিরো হয়ে গেছে: হিরো আলম
৭৫৬ দিন আগে
চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহিসহ ৪ জনের মনোনয়ন বাতিল
রাজশাহী-১ (গোদাগাড়ী-তানোর) আসনে আওয়ামী লীগের চার বিদ্রোহী প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে।
রবিবার (৩ ডিসেম্বর) যাচাই-বাছাই শেষে চারজনের মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়।
তারা হলেন- চিত্রনায়িকা শারমিন আক্তার নিপা মাহিয়া, আওয়ামী লীগ নেতা আখতারুজ্জামান আখতার, গোলাম রাব্বানী ও পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর সহধর্মীনী শাহনেওয়াজ আয়েশা আখতার জাহান ডালিয়া।
এ ছাড়াও সাতজনের মনোনয়নপত্র বৈধ বলে ঘোষণা করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: মা হচ্ছেন চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহি
তারা হলেন- আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী ওমর ফারুক চৌধুরী, বিএনএফ দলের প্রার্থী আল-সাআদ, তৃণমূল বিএনপির প্রার্থী জামাল খান দুদু, এনপিপির প্রার্থী নুরুন্নেসা, বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক মুক্তিজোটের প্রার্থী বশির আহমেদ, জাতীয় পার্টি থেকে শামসুদ্দীন মন্ডল ও বিএনএমের প্রার্থী শামসুজ্জোহা বাবু।
জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং অফিসারের কার্যালয় থেকে জানানো হয়েছে, রাজশাহী-১ আসনে মোট ১১ জন মনোনয়নপত্র দাখিল করেছিলেন। যাচাই-বাছাই শেষে সাতজনের মনোনয়নপত্র বৈধ বলে ঘোষণা করা হয়।
রিটার্নিং অফিসার শামীম আহমেদ জানান, স্বতন্ত্র প্রার্থী হতে এক শতাংশ ভোটারের সইসহ তালিকা জমা দিতে হয়। এর মধ্যে চিত্রনায়িকা শারমিন আক্তার নিপা মাহিয়া তিনটি ভোটারের নমুনা পাওয়া যায়নি। আর একজন ভোটার নয়।
অপরদিকে, শাহনেওয়াজ আয়েশা আখতার জাহান ডালিয়ার দেওয়া সইয়ের সাতটি ভোটারের তথ্য পাওয়া যায়নি। গোলাম রাব্বানীর দেওয়া তিনজন ভোটারের ঠিকানা এবং আকখতারুজ্জামান আখতারের নয়জন ভোটোরের সঠিক তথ্য পাওয়া যায়নি।
আরও পড়ুন: ৩৫ দিন পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারিনি: নুসরাত ফারিয়া
'হেই সামালো' দিয়ে শেষ হলো কোক স্টুডিও বাংলা সিজন ১
৭৫৬ দিন আগে
কক্সবাজারে ঋণ খেলাপির দায়ে নৌকার প্রার্থী সালাহউদ্দিনের মনোনয়ন বাতিল
ঋণ খেলাপির দায়ে আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কক্সবাজার-১ (চকরিয়া-পেকুয়া) আসনের ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী সালাহ উদ্দিন আহমদের মনোনয়ন বাতিল হয়েছে।
রবিবার (৩ ডিসেম্বর) সকাল ১০টার দিকে যাচাই-বাছাইয়ের সময় জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক মো. শাহীন ইমরান তার মনোনয়নপত্র বাতিল করেন।
জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্র জানায়, ৪৭ কোটি টাকার ঋণ খেলাপি হওয়ায় তার মনোনয়ন বাতিল করা হয়েছে।
জানা যায়, কক্সবাজার জনতা ব্যাংক লালদীঘি শাখা থেকে 'ফিস প্রিজারভারস' নামক ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের বিপরীতে সালাহ উদ্দিন আহমদ সহ অন্য পরিচালকরা প্রায় অর্ধ শত কোটি টাকা ঋণ নিয়েছিলেন। যা পরবর্তীতে খেলাপি হয়। পরে প্রতিষ্ঠানটির পরিচালনা পর্ষদ পরিবর্তন হলেও ব্যাংকের শর্ত অনুযায়ী সালাহ উদ্দিন আহমদ এখনও সেই ঋণের একজন জামিনদার।
আরও পড়ুন: ময়মনসিংহের ডিসিকে প্রত্যাহার, সুনামগঞ্জের ডিসিকে বদলির নির্দেশ ইসির
আরও জানা যায়, ৩০ নভেম্বর মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার দিনও বাংলাদেশ ব্যাংকের ক্রেডিট ইনফরমেশন ব্যুরো(সিআইবি) রিপোর্ট অনুযায়ী সালাহ উদ্দিন আহমদ একজন ঋণখেলাপি ছিলেন। তাই তার মনোয়নপত্র আইন অনুযায়ী বৈধ বলার সুযোগ নেই।
এই বিষয়ে সালাহ উদ্দিন আহমদ বলেন, আমার যেসব ঋণ খেলাপি ছিল, সবকিছু আদালতের মাধ্যমে সমাধান করেছি। তারপরও কেন বাতিল করেছে বুঝতে পারছি না। আমি নির্বাচন কমিশন বরাবর আপিল করব।আশা করি ফিরে পাব।
এই বিষয়ে জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক মুহম্মদ. শাহীন ইমরান বলেন,ঋণ খেলাপির অভিযোগে মনোনয়ন বাতিল করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: নির্বাচন বর্জন করেছে ইনসানিয়াত বিপ্লব বাংলাদেশ
৭৫৭ দিন আগে
বিএনপি ও সমমনা বিরোধী দলগুলোর ডাকা আরেকটি অবরোধ চলছে
বিএনপি ও সমমনা বিরোধী দলগুলোর ডাকা ৪৮ ঘণ্টার সড়ক, রেল ও নৌপথ অবরোধ আজ রবিবার সকাল ৬টা থেকে শুরু হয়েছে। চলবে আগামী মঙ্গলবার সকাল ৬টা পর্যন্ত।
আওয়ামী লীগ সরকারকে ক্ষমতা থেকে সরে দাঁড়াতে এবং নির্দলীয় সরকারের অধীনে আগামী সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য চাপ সৃষ্টি করতে বিরোধী দলগুলো এর আগে সাতটি অবরোধ পালন করে।
অবরোধে অগ্নিসংযোগ ও সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে এবং রাস্তার কর্মসূচিতে জনসাধারণের কম প্রতিক্রিয়া রয়েছে।
আগের অবরোধের মতো এবারও ঢাকার বিভিন্ন পয়েন্টে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর উপস্থিতি বেশি।
আরও পড়ুন: সমমনা দলগুলোর সঙ্গে বিএনপির আন্দোলনের বিজয় নিশ্চিত: নজরুল ইসলাম খান
ঢাকার রাস্তায় গণপরিবহনের সংখ্যা আজ পর্যাপ্ত এবং উত্তেজনা ও অগ্নিসংযোগের আশঙ্কা সত্ত্বেও জনসাধারণকে তাদের গন্তব্যে যেতে দেখা গেছে।
এছাড়া ঢাকার রাস্তায় রিকশা আধিপত্য বিস্তার করেছে এবং কিছু ব্যক্তিগত যানবাহনকেও রাস্তায় চলাচল করতে দেখা গেছে।
গণমাধ্যমের যানবাহন, অ্যাম্বুলেন্স এবং অক্সিজেন সিলিন্ডার ও ওষুধ বহনকারী যানবাহন এ অবরোধের আওতাবহির্ভূত থাকবে।
মধ্যরাতের ঠিক আগে ঢাকার বিভিন্ন স্থানে দুটি বাসে আগুন ধরিয়ে দেয় দুর্বৃত্তরা।
গাবতলীতে রাত ১১টা ৯ মিনিটে পদ্মা লাইনের একটি বাসে আগুন দেওয়া হয়।
ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স সদর দপ্তরের (মিডিয়া সেল) উপসহকারী পরিচালক শাহজাহান শিকদার জানান, আগারগাঁওয়ে রাত ১১টার দিকে বেতার ভবনের সামনে ভূঁইয়া পরিবহনের একটি বাসে আগুন দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন: বিএনপি ও সমমনা বিরোধী দলগুলোর ৪৮ ঘণ্টার অবরোধ শুরু হচ্ছে রবিবার
৭৫৭ দিন আগে
নির্বাচন বর্জন করেছে ইনসানিয়াত বিপ্লব বাংলাদেশ
বর্তমান সংসদ বিলোপ এবং সেনাবাহিনীর সরাসরি তত্ত্বাবধান ছাড়া নির্বাচনে যাবে না বলে জানিয়েছে নতুন নিবন্ধিত দল ইনসানিয়াত বিপ্লব বাংলাদেশ।
কমিশনকে দ্বাদশ নির্বাচনে না যাওয়া প্রসঙ্গে অবগত করতে শনিবার (২ ডিসেম্বর) দেওয়া এক চিঠিতে এ তথ্য জানায় দলটি।
দলটি চিঠিতে জানায়, জনগণের স্বাধীন ভোটাধিকার রুদ্ধ করে, রাষ্ট্র ক্ষমতার অপব্যবহার করে, সংসদ বহাল রেখে এবং সশস্ত্র-দলীয় গুন্ডা ব্যবহার করে নির্বাচনের নামে একপক্ষীয় বানোয়াট নির্বাচন প্রকৃতপক্ষে নির্বাচন নয়। এটি গণতন্ত্র হত্যা এবং জনগণকে অস্বীকার করে অবৈধভাবে রাষ্ট্র কুক্ষিগতকরণ।
এতে বলা হয়েছে, প্রতিপক্ষকে মাঠে নামতে না দিয়ে একপক্ষীয় খেলা যেমন খেলা নয়, ধোকা ও দস্যুতা; তেমনি গণতান্ত্রিক জনগণকে বাদ দিয়ে কিছু কেনা-বেচার দালাল দিয়ে একপক্ষীয় নির্বাচন কোনো নির্বাচন নয়, রাষ্ট্র বিধ্বংসী প্রহসন।
স্বাধীন ভোটাধিকার ছাড়া নাগরিকত্ব ও গণতন্ত্র এবং রিপাবলিক অস্বীকার হয়, রাষ্ট্রের নৈতিক ভিত্তি ধ্বংস হয়, মিথ্যা ও অবৈধতা এবং দুর্নীতি ও স্বৈরতা দস্যুতা রাষ্ট্রের ভিত্তি হয়ে যায়, জনগণের মালিকানা ও স্বাধীনতা ধ্বংস হয়ে যায়।
দলটির প্রধান ইমাম হায়াত বলেন, সংসদ বহাল রেখে রাষ্ট্র ক্ষমতার অপব্যবহার করে জালিয়াতির নির্বাচন করে জনগণের নাগরিকত্ব ও ভোটাধিকার হরন করে রাষ্ট্র কুক্ষিগত করে রাখা রাজনীতি নয়, চরম অপরাজনীতি।
তিনি জানান, ‘বলপূর্বক একচেটিয়া ভুয়া নির্বাচন তথা কোনো জালিয়াতির সংসদ ও সরকার; জনগণের প্রতিনিধিত্ব করে না এবং অবৈধ লোকদের প্রণীত সকল আইন অবৈধ হয়ে থাকবে। চলমান সংসদ বহাল রেখে নির্বাচন প্রহসন ভোট ডাকাতির ব্যবস্থা মাত্র।’
তিনি আরও জানান, ক্ষমতাবলে সংসদ সদস্যরা প্রশাসন ও পুলিশ, সবাইকে ব্যবহার করে সশস্ত্র দলীয় গুন্ডা দিয়ে সন্ত্রাস করে ভোটকেন্দ্র জবরদখল করে ভুয়া নির্বাচন আমরা বিগত নির্বাচনে দেখেছি, এবারও তাই হচ্ছে।
আরও পড়ুন: নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে ওসিদের পর ইউএনওদের বদলি চেয়েছে ইসি
হায়াত বলেন, ‘আমরা বিগত নির্বাচনে অংশ নিয়েছিলাম এবং আমরা দেখেছি ক্ষমতাসীন দল ও দলীয় সাংসদ প্রশাসন ও পুলিশ এবং দলীয় সশস্ত্র গুন্ডা বাহিনী দিয়ে কিভাবে ত্রাস ও সন্ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করে জনগণের ভোটাধিকার হরন করেছে।’
জীবনের নিরাপত্তা ছাড়া সপরিবারে ভোটকেন্দ্রে যাওয়া সম্ভব নয়। আর বুথ থেকে ভোট গণনা পর্যন্ত ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতাসম্পন্ন সেনাবাহিনীর সক্রিয় নিয়ন্ত্রণ ছাড়া নিরাপদ নির্বাচন ও স্বাধীন ভোটাধিকার এখন অসম্ভব বলে মন্তব্য করেন ইমাম হায়াত।
তিনি বলেন, সংসদ বিলোপ ও সেনাবাহিনীর সরাসরি দায়িত্বে নির্বাচন ছাড়া কোনো গণতন্ত্র হত্যার নির্বাচন ও প্রহসনমূলক নির্বাচনের মাধ্যমে অবৈধভাবে রাষ্ট্র কুক্ষিগত করে রাখার ভুয়া নির্বাচনে শরিক হয়ে দেশ ও জনগণের সঙ্গে ইনসানিয়াত বিপ্লব বেঈমানি বিশ্বাসঘাতকতা করবে না।
এর আগে চলমান পরিস্থিতিতে ইনসানিয়াত বিপ্লব নিবন্ধিত দল হিসেবে জনগণের স্বাধীন ভোটাধিকার, সংঘাতমুক্ত, জালিয়াতিমুক্ত, নিরাপদ ও সুষ্ঠ নির্বাচনের জন্য বাংলাদেশের নির্বাচন কমিশনের কাছে পাঁচটি দাবি পেশ করেছিল।
১) ক্ষমতাসীন দলীয় নিয়ন্ত্রণ ও অন্যায় দলীয় প্রভাবমুক্ত এবং সুষ্ঠ নির্বাচনের স্বার্থে বর্তমান সংসদ ভেঙে নির্বাচন দিতে হবে।
২) নিরাপত্তা ও বিশ্বাসযোগ্যতার জন্য ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতাসহ সেনাবাহিনীর সরাসরি তত্ত্বাবধানে নির্বাচন হতে হবে।
৩) নির্বাচনের এক মাস আগে থেকে নির্বাহী প্রসাশন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নিয়ন্ত্রণ ও ট্রান্সফার নির্বাচন কমিশনের (ইসি) অধীনে দিতে হবে।
৪) প্রতিটি ভোটকেন্দ্রে অনলাইন সিসিটিভি ক্যামরা থাকতে হবে।
৫) সংবাদমাধ্যম/সংবাদিক ভোটকেন্দ্রে অবাধ প্রবেশের সুযোগ দিতে হবে।
আরও পড়ুন: ময়মনসিংহের ডিসিকে প্রত্যাহার, সুনামগঞ্জের ডিসিকে বদলির নির্দেশ ইসির
দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনে ৪৪ নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলের মধ্যে ২৯টি দল যোগ দিয়েছে
৭৫৭ দিন আগে