রাজনীতি
নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার না হলে আ. লীগ নির্বাচন করতে পারবে না: ইসি সানাউল্লাহ
আওয়ামী লীগের কার্যক্রমের উপর থাকা নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার না করা হলে দলটি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে পারবে না বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ।
কার্যক্রম নিষিদ্ধ থাকা কোনো রাজনৈতিক দলের নেতারা আসন্ন সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে পারেন কিনা এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ‘রাজনৈতিক দল হিসেবে আওয়ামী লীগের কোনো কার্যক্রম পরিচালনার অনুমতি নেই। তাই, তারা সেই রাজনৈতিক দলের নামে যেকোনো ধরনের নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে পারবে না।’
বুধবার (৩ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর আগওরগাঁওয়ের নির্বাচন কমিশন ভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে নির্বাচন কমিশনার এ কথা বলেন।
নির্বাচন কমিশনার জনপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫-এর খসড়ায় পরিবর্তনগুলো উত্থাপন করার সময় এই মন্তব্য করেন।
আগামী ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারির শুরুর দিকে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া ত্রয়োদশ জাতীয় নির্বাচনের আগে আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো এই আইনের খসড়াটি অধ্যাদেশ হিসেবে আইনে রূপান্তরিত হবে।
পড়ুন: নির্বাচনে ‘না ভোট’ দেওয়ার সুযোগ রাখার খসড়া আইন ইসির
কার্যক্রম নিষিদ্ধ থাকা দলের নেতারা স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারবেন কিনা এমন আরেকটি প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, তারা দলের প্রতীক ছাড়া নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন কিনা তা সময়ই বলে দেবে।
খসড়া আরপিও-তে পরিবর্তনগুলো তুলে ধরে সানাউল্লাহ বলেন, যদি কোনো রাজনৈতিক দলকে 'অবৈধ বা বাতিল' ঘোষণা না করা হয় কিন্তু সরকার তার কার্যক্রম স্থগিত করে, তবে সেক্ষেত্রে সেই রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন এবং তার জন্য সংরক্ষিত প্রতীক স্থগিত থাকবে।
পলাতকদের নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা নিষিদ্ধ করার প্রস্তাব করে নির্বাচন কমিশন খসড়া আরপিও (সংশোধন) অধ্যাদেশ চূড়ান্ত করেছে।
সানাউল্লাহ বলেন, যেকোনো আদালতে পলাতক ঘোষণা করা ব্যক্তি নির্বাচনের জন্য বা (সংসদের) সদস্য হওয়ার জন্য অযোগ্য হবেন।
২০২৫ সালের ১২ মে সন্ত্রাসবিরোধী আইনের অধীনে সরকার একটি গেজেট বিজ্ঞপ্তি জারি করে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ এবং এর সহযোগী সংগঠনগুলোর সকল কার্যক্রম নিষিদ্ধ করেছে। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল (আইসিটি) দলের নেতা-কর্মীদের বিচার সম্পন্ন করা পর্যন্ত এই নিষেধাজ্ঞা বলবৎ থাকবে।
পড়ুন: নির্বাচনে অন্য কোনো দেশকে থাবা মারার সুযোগ দেওয়া হবে না : প্রধান উপদেষ্টা
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগ গেজেট বিজ্ঞপ্তি জারির পর নির্বাচন কমিশন (ইসি) আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক দল হিসেবে নিবন্ধন স্থগিত করে।
সরকারের বিজ্ঞপ্তি অনুসারে, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে এই সংগঠনগুলোর নেতা-কর্মীদের বিচার সম্পন্ন না হওয়া পর্যন্ত আওয়ামী লীগ এবং এর সহযোগী ও সমমনা সংগঠনগুলোর সকল কার্যক্রম নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, আওয়ামী লীগ বা এর সহযোগী সংগঠনগুলোর আয়োজিত যেকোনো ধরণের প্রকাশনা, গণমাধ্যম সম্পৃক্ততা, অনলাইন এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচারণা, সমাবেশ, সভা, সমাবেশ এবং সম্মেলন কঠোরভাবে নিষিদ্ধ।
১১৬ দিন আগে
নির্বাচনে ‘না ভোট’ দেওয়ার সুযোগ রাখার খসড়া আইন ইসির
নির্বাচন কমিশন (ইসি) জনপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫ এর খসড়া চূড়ান্ত করেছে। এতে পলাতকদের নির্বাচন থেকে বিরত রাখা এবং বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতার নির্বাচন এড়াতে একক প্রার্থীর নির্বাচনী এলাকায় বিকল্প হিসেবে 'না ভোট' চালুর প্রস্তাব করা হয়েছে।
বুধবার(৩ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে আরপিওতে প্রস্তাবিত পরিবর্তন সম্পর্কে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ। তিনি বলেন, ‘আমরা এটি (খসড়া আইন) চূড়ান্ত করে আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছি।’
খসড়া আইনে, সশস্ত্র বাহিনী-সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী এবং বিমানবাহিনীকে অন্তর্ভুক্ত করতে আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সংজ্ঞা সম্প্রসারিত করা হয়েছে। এতে পুলিশ, সশস্ত্র পুলিশ ব্যাটালিয়ন, র্যাব, আনসার, বিজিবি এবং কোস্টগার্ডসহ অন্যান্য বিদ্যমান সংস্থার মতো নির্বাচনের সময় আইন প্রয়োগকারী সংস্থা হিসেবে সশস্ত্র বাহিনীকে কাজ করার পথ প্রশস্ত করে।
আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সংজ্ঞায় সশস্ত্র বাহিনীকে আগে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছিল। কিন্তু ২০০৮ সালের সাধারণ নির্বাচনের পর আওয়ামী লীগ সরকার তাদের প্রথম মেয়াদে এগুলো বাদ দেয়। ফলস্বরূপ, ২০১৪, ২০১৮ এবং ২০২৪ সালের বিগত তিনটি সাধারণ নির্বাচনে সশস্ত্র বাহিনীকে কেবল স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে মোতায়েন করা হয়েছিল।
প্রস্তাবিত সংশোধনী অনুসারে, মনোনয়নপত্রের সঙ্গে একজন প্রার্থীকে আয়কর রিটার্ন, দেশে ও বিদেশে তার সম্ভাব্য আয়ের উৎস, দেশে ও বিদেশে তার নিজের এবং তার উপর নির্ভরশীলদের সম্পত্তির বিবরণী জমা দিতে হবে।
পড়ুন: নির্বাচনে অন্য কোনো দেশকে থাবা মারার সুযোগ দেওয়া হবে না : প্রধান উপদেষ্টা
হলফনামায় মিথ্যা তথ্য প্রদানের ফলে মেয়াদকালে যেকোনো সময় তাদের সংসদ সদস্যপদ বাতিল হতে পারে।
প্রস্তাবিত সংশোধনীতে নির্বাচনী নিরাপত্তা জামানত ২০ হাজার টাকা থেকে বাড়িয়ে ৫০ হাজার টাকা করা হয়েছে এবং জোট-সমর্থিত প্রার্থীর জন্য জোটের প্রতীক নয়, নিজের দলের প্রতীক ব্যবহার বাধ্যতামূলক করা হয়েছে এবং সংশ্লিষ্ট নির্বাচনী এলাকায় অবস্থিত যেকোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সভাপতি বা পরিচালনা কমিটির অন্য কোনো পদে থাকা ব্যক্তিকে নির্বাচনে অযোগ্য ঘোষণা করা হয়েছে।
পলাতক ব্যক্তি সম্পর্কে সানাউল্লাহ বলেন, যেকোনো আদালতে পলাতক ঘোষিত ব্যক্তি নির্বাচনের জন্য বা (সংসদের) সদস্য হওয়ার জন্য অযোগ্য হবেন।
‘ভোট না দেওয়ার’ বিকল্প সম্পর্কে নির্বাচন কমিশনার বলেন, যদি কোনো নির্বাচনী এলাকায় একক প্রার্থী থাকে তবে তাকে একবারের জন্য ‘না ভোট দেওয়ার’ বিকল্প ব্যবহার করে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে হবে।
খসড়া আরপিওর ১৯ অনুচ্ছেদ অনুসারে, প্রার্থিতা প্রত্যাহারের পর যদি কেবল একজন প্রার্থী থাকে—তাহলে একমাত্র প্রার্থী এবং ‘না ভোট দেওয়ার’ বিকল্পের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
‘না ভোট দেওয়ার’ সংখ্যা প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর প্রাপ্ত ভোটের সংখ্যার চেয়ে বেশি হলে নতুন তফসিল ঘোষণা করে সেই নির্বাচনী এলাকায় নতুন নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। তবে পরবর্তী নির্বাচনে ‘ না ভোট’ বিকল্প হিসেবে থাকবে না যদি একজনও প্রার্থী থাকে—তাহলে তাকে নির্বাচিত ঘোষণা করা হবে।
রাষ্ট্রপতির কর্মকর্তার কর্তৃত্ব সম্পর্কে সানাউল্লাহ বলেন, খসড়া আইনে ভোটকেন্দ্রের ভোটগ্রহণ বন্ধ করার জন্য একজন প্রিজাইডিং অফিসারের ক্ষমতা বৃদ্ধি করা হয়েছে। তিনি বলেন, ‘ভোটকেন্দ্রের ভোটগ্রহণের সার্বিক তত্ত্বাবধানে প্রিসাইডিং অফিসার থাকবেন।’
খসড়া আইন অনুসারে যদি ভোটগ্রহণ নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায় বা বাধাগ্রস্ত হয় অথবা ব্যালট বাক্স অবৈধভাবে সরিয়ে ফেলা হয়, ধ্বংস করা হয়, হারিয়ে যায় বা এতটাই কারচুপি করা হয় যে ভোটগ্রহণের ফলাফল নিশ্চিত করা যায় না—তাহলে প্রিসাইডিং অফিসার ভোটগ্রহণ বন্ধ করতে পারবেন।
পড়ুন: নির্বাচনের প্রস্তুতি পুরোদমে চলছে: সিইসি নাসির
বর্তমান আরপিও আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সাহায্য না নিয়ে এবং শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনার ক্ষেত্রে ব্যর্থ না হওয়া পর্যন্ত ভোটগ্রহণ বন্ধ করার সুযোগ নেই প্রিসাইডিং অফিসারের।
উপদেষ্টা পরিষদ যদি এটি অনুমোদন করে এবং আইন মন্ত্রণালয়ের যাচাই-বাছাইয়ের পর রাষ্ট্রপতি একটি অধ্যাদেশ জারি করেন—তাহলে খসড়াটি আইনে পরিণত হবে।
১১৬ দিন আগে
গণতান্ত্রিক অগ্রগতি না থাকায় পিছিয়ে পড়ছে বাংলাদেশ: খসরু
গণঅভ্যুত্থানের এক বছর পরেও বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় ফিরতে না পারায় ধীরে ধীরে অধঃপতনের দিকে যাচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির জ্যেষ্ঠ নেতা আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী।
তিনি বলেন, ‘এক বছর আসলে অনেক দীর্ঘ সময়। নির্বাচনী প্রক্রিয়ার মাধ্যমে অনেক আগেই দেশকে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় ফেরানো উচিত ছিল। এই বিলম্বের কারণে, বাংলাদেশ দিন দিন অধঃপতনের দিকে যাচ্ছে।’
বুধবার(৩ সেপ্টেম্বর) এক সেমিনারে দেওয়া বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
খসরু বলেন, ঐতিহাসিকভাবে যেসব দেশ বিপ্লব বা গণঅভ্যুত্থানের পর নির্বাচনের মাধ্যমে দ্রুত গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করে, তারা আরও ভালোভাবে এগিয়ে যায়।
বিএনপির এই নেতা বলেন, যারা তা করতে ব্যর্থ হয়, তারা প্রায়শই অর্থনৈতিক পতন, সামাজিক অস্থিরতা এবং কিছু ক্ষেত্রে গৃহযুদ্ধের মুখোমুখি হয়।
তিনি ব্যাখ্যা করে বলেন, ‘যেসব দেশ তাদের অভ্যুত্থানের পরে সমস্যা তৈরি করে, বিভিন্ন দাবি ও অজুহাত তৈরি করে, তারা তাদের গণতন্ত্র হারিয়ে ফেলে এবং তাদের অর্থনীতি ধ্বংস হয়ে যায়। এই দেশগুলোও গৃহযুদ্ধের সম্মুখীন হয়েছে এবং সমাজ গভীরভাবে বিভক্ত হয়ে পড়েছে। এ কারণেই আর বিলম্ব না করে নির্বাচন আয়োজন করতে হবে।’
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খসরু বলেন, বাংলাদেশে গণতন্ত্র এবং নির্বাচিত সরকারের অনুপস্থিতির কারণে পরিস্থিতি ক্রমশ কঠিন হয়ে উঠছে।
তিনি অন্তর্বর্তী সরকার এবং জনগণের মধ্যে ক্রমবর্ধমান দূরত্ব তুলে ধরে বলেন, উভয়ের মধ্যে কোনো যোগাযোগ নেই।
বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘এই দূরত্বের কারণে আইন প্রয়োগকারী সংস্থা এবং সরকারি কর্মকর্তারা তাদের দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হচ্ছেন। আমরা আইনশৃঙ্খলার অবনতি, নিরাপত্তার অভাব এবং এমন একটি ব্যবসায়িক পরিবেশ প্রত্যক্ষ করছি, যা আসলে কার্যকর নয়। কারখানাগুলো নতুন বিনিয়োগ পাচ্ছে না, কারণ এই অনিশ্চয়তার মধ্যে কেউ তাদের সময়, অর্থ বা সম্পদ বিনিয়োগ করতে আগ্রহী নয়।’
রাজধানীর একটি হোটেলে ‘জুলাই-পরবর্তী রাজনৈতিক চিন্তাভাবনা: বাংলাদেশ কোন দিকে হাঁটছে?’ শীর্ষক সেমিনারটি আয়োজন করে স্কুল অব লিডারশিপ ইউএসএ (বাংলাদেশ চ্যাপ্টার)।
খসরু সতর্ক করে দিয়েছিলেন, সঠিক গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া ছাড়াই দেশ ইতোমধ্যে এক বছরেরও বেশি সময় হারিয়েছে, যা বাংলাদেশকে রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক অস্থিতিশীলতাকে আরও গভীরে ঠেলে দিচ্ছে।
পড়ুন: ক্ষমতায় গেলে রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক পরিবর্তন আনবে বিএনপি: মির্জা ফখরুল
আন্তর্জাতিক শীর্ষ সম্মেলন এবং আলোচনা আয়োজন করার পরেও তিনি উল্লেখ করেছেন, দেশ প্রকৃত বিনিয়োগ আকর্ষণ করতে ব্যর্থ হয়েছে।
বিএনপির নেতা বলেন, ‘সাম্প্রতিক এক শীর্ষ সম্মেলনে, নতুন কোনো বিনিয়োগ করা হয়নি, যদিও বর্তমান অনেক বিনিয়োগকারী উপস্থিত ছিলেন। তবে, এখন, নির্বাচনের সময় ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গে আমরা আশার কিছু লক্ষণ দেখতে শুরু করেছি। এটা স্পষ্ট যে বিনিয়োগকারীরা তাদের সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য নির্বাচনের জন্য অপেক্ষা করছেন। তারা পরিস্থিতি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছেন এবং নির্বাচনের পরে বিনিয়োগের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছেন।’
খসরু গণঅভ্যুত্থানের পর জনগণের মানসিকতার পরিবর্তনকে মূল্যায়ন করার জন্য সকল রাজনৈতিক দলকে আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, ‘শেখ হাসিনার কর্তৃত্ববাদী শাসনের অবসানের পর, বাংলাদেশের জনগণের মানসিকতায় বিশাল পরিবর্তন এসেছে। তাদের প্রত্যাশা এবং আকাঙ্ক্ষা আকাশছোঁয়া, কিন্তু আমরা যদি এই পরিবর্তনগুলো বুঝতে এবং স্বীকার করতে ব্যর্থ হই- তাহলে রাজনৈতিক নেতা এবং দলগুলোর কোনো ভবিষ্যৎ থাকবে না। আমরা যদি এটি স্বীকার না করি-তাহলে দল, আমার এবং দেশের ভবিষ্যৎ ঝুঁকির মধ্যে পড়বে। কারো ভবিষ্যৎ নিরাপদ থাকবে না।
বিএনপির এই নেতা জোর দিয়ে বলেন, রাজনৈতিক দলগুলোকে তাদের ভবিষ্যত রাজনীতির হাতিয়ার হিসেবে গণঅভ্যুত্থানের কৃতিত্ব দাবি করা বন্ধ করতে হবে।
তিনি বলেন, ‘যদি আমরা আন্দোলনের কৃতিত্বের জন্য লড়াই চালিয়ে যাই—তাহলে বাংলাদেশের কোনো ভবিষ্যৎ নেই। কৃতিত্ব জনগণের, দেশের জন্য যারা ত্যাগ স্বীকার করেছেন তাদের, ব্যক্তিদের নয়।’
খসরু উল্লেখ করেন, ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের পর প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধারা তাদের জীবন ও কাজে ফিরে আসেন।
তিনি বলেন, ‘যারা সম্মুখ সারিতে লড়াই করেছিলেন তারা তাদের ভূমিকায় ফিরে আসেন। শিক্ষকরা তাদের স্কুলে ফিরে যান এবং শিক্ষার্থীরা তাদের কলেজে ফিরে যান। স্বাধীনতা সংগ্রামকে ব্যক্তিগত লাভের জন্য ব্যবহার করার ধারণার বাইরে আমাদের এগিয়ে যেতে হবে। আমাদের দেশের ভবিষ্যৎ গড়ার দিকে মনোনিবেশ করার সময় এসেছে।’
১১৬ দিন আগে
নির্বাচনে অন্য কোনো দেশকে থাবা মারার সুযোগ দেওয়া হবে না : প্রধান উপদেষ্টা
আগামী ফেব্রুয়ারিতে উৎসবমুখর ও শান্তিপূর্ণ জাতীয় নির্বাচন নিশ্চিতের আশ্বাস দিয়ে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহম্মদ ইউনুস বলেছেন, এই নির্বাচনে অন্য কোনো দেশকে থাবা মারার কোনো সুযোগ দেওয়া হবে না এবং এই নির্বাচন দেশের প্রতিটি নাগরিকের আকাঙ্ক্ষা ও রাজনৈতিক দলের ভবিষ্যত বাংলাদেশ গড়ার ইচ্ছা পূরণ করবে।
মঙ্গলবার (২ সেপ্টেম্বর) রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় সাতটি রাজনৈতিক দল ও একটি সংগঠনের সঙ্গে বৈঠকে এ কথা বলেন। বৈঠকের পর প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন তিনি।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, এবারের নির্বাচন অনন্য। এটি কেবল অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের নির্বাচন নয়। এটি দেশের সব মানুষের, সব রাজনৈতিক দলের নির্বাচন।
তিনি বলেন, এবারের নির্বাচনের আকাঙ্ক্ষা হল ভবিষ্যতের বাংলাদেশ নির্মাণের। এই নির্বাচন হবে নিজেদের পায়ে দাঁড়ানোর, সাহস অর্জনের, নিজের ভঙ্গিতে দেশ পরিচালনার নির্বাচন।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘নিজের ভূমিতে দেশ পরিচালনার এই নির্বাচন। এই নির্বাচনে অন্য কোনো দেশের থাবা মারার কোনো সুযোগ যেন না থাকে।’
আজ প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠকে অংশ নেন, এবি পার্টি, নাগরিক ঐক্য, গণসংহতি আন্দোলন, গণঅধিকার পরিষদ, এলডিপি, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, জাতীয় গণফ্রন্ট এবং হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ।
পড়ুন: নুরের সুচিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠানোর নির্দেশ প্রধান উপদেষ্টার
দুর্গাপূজার সময় সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়ে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘সারাদেশে শান্তিপূর্ণ পরিবেশ নিশ্চিত করা আমাদের দায়িত্ব। অনেক গণ্ডগোল তৈরি করার চেষ্টা হবে। সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে। এবারও উৎসবমুখর পরিবেশে দুর্গাপূজা শান্তিপূর্ণভাবে উদযাপন হবে।’
প্রেস সচিব জানান, প্রধান উপদেষ্টা বৈঠকে রাজনৈতিক দলগুলোকে বলেছেন আনন্দ ও উৎসবমুখর পরিবেশে নির্বাচন হবে। যারা আগে কখনো ভোট দিতে পারেননি, তাদের জন্য এই নির্বাচনে ভালো অভিজ্ঞতা দিতে হবে।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, আগে যারা ভোট দিতে গিয়ে তিক্ত অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হয়েছেন, তাঁদেরও ভালো অভিজ্ঞতা দিতে হবে। কেউ যেন বলতে না পারেন যে ভোট দিতে দেওয়া হয়নি।
অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘যারা অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে নির্বাচন পর্যন্ত পৌঁছাতে দিতে চায় না, তারা যতরকমে পারবে ততরকমভাবে বাধা দেয়ার চেষ্টা করবে। কিছু কিছু লক্ষণ এখন দেখা যাচ্ছে। সামনে আরও আসবে। এজন্য আমাদের আরও সতর্ক হতে হবে। আমাদের চেষ্টা হবে নির্বাচন করার এবং নির্বাচন ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচিত সরকারের হাতে আমরা ক্ষমতা হস্তান্তর করব।’
১১৭ দিন আগে
হত্যার উদ্দেশ্যেই নুরকে আঘাত করা হয়: মির্জা ফখরুল
আঘাত যারাই করুক, গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুরকে হত্যার উদ্দেশ্যেই আঘাত করা হয়েছিল বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নুরকে দেখতে গিয়ে মঙ্গলবার (২ সেপ্টেম্বর) দুপুরে তিনি সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘যে বিষয়টি আমার সবচেয়ে খারাপ লেগেছে তা হলো, যারাই আঘাত করুক, নুরুল হক নুরকে হত্যার উদ্দেশ্যেই যে আঘাত করা হয়েছিল, তা পরিষ্কার।’
নুরের শারীরিক অবস্থা আগের চেয়ে অনেক ভালো, কিন্তু এখনো আশঙ্কা কাটেনি উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘তার (নুর) যে জায়গাগুলোতে ইনজুরি হয়েছে, সেই জায়গাগুলো খুব ফ্যাটাল (মারাত্মক)। তার ব্রেনেও (মস্তিষ্কে) ইনজুরি হয়েছে, ব্লিডিং (রক্তপাত) হয়েছে।’
‘চিকিৎসকদের সঙ্গে আলাপ করে জানতে পেরেছি, এখানে চিকিৎসার কোনো ত্রুটি হয়নি; সব ঠিকঠাক আছে। এখানে কিছুদিন রেস্ট (বিশ্রাম) নেওয়ার পরে বাইরে ইভ্যালুয়েশনের (মূল্যায়নের) দরকার। সে এখনো খেতে পারছে না, পাইপ দিয়ে লিকুইড খেতে হচ্ছে। তার রিকভারি হতে সময় লাগছে।’
আরও পড়ুন: ক্ষমতায় গেলে রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক পরিবর্তন আনবে বিএনপি: মির্জা ফখরুল
নুরের শারীরিক অবস্থা মূল্যায়ন ও পর্যবেক্ষণের জন্য প্রয়োজনে তাকে দেশের বাইরে পাঠানো দরকার বলেও মনে করেন এই রাজনীতিক।
তিনি আরও বলেন, অভ্যুত্থানের পরও আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলো যদি আমাদের নেতাদের ওপর এভাবে আক্রমণ করে, তাহলে সাধারণ মানুষকে কী করছে চিন্তা করুন। এটা আমি কোনোমতেই মেনে নিতে পারি না। প্রধান উপদেষ্টা যে বিচার বিভাগীয় তদন্ত দিয়েছেন, সেটা দ্রুত শেষ করে ব্যবস্থা নেওয়া উচিত। আমি সরকারের কাছে বলি, তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য দেশের বাইরে পাঠানো উচিত।
১১৮ দিন আগে
বিএনপির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে এনসিপির শুভেচ্ছা
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) ৪৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষ্যে দলটিকে শুভেচ্ছা জানিয়েছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)।
সোমবার (১ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় এনসিপির মুখ্য সংগঠক (উত্তরাঞ্চল) সারজিস আলমের নেতৃত্বে প্রতিনিধি দল বিএনপি চেয়ারপারসনের গুলশান কার্যালয়ে শুভেচ্ছা বিনিময় করে। এ সময় এনসিপি নেতাদের মধ্যে আরও উপস্থিত ছিলেন দলটির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক সামান্তা শারমিন ও আরিফুল ইসলাম আদীব প্রমুখ।
বিএনপি চেয়ারপারসনের পক্ষ থেকে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ ফুল গ্রহণ করেন।
বিএনপি নেতাদের সঙ্গে সাক্ষাতের পরে এনসিপি নেতা শামান্তা শারমিন বলেন, ‘‘গণতন্ত্রের একটি নাম হচ্ছে বিএনপি। তাদেরকে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে স্বাগত জানাতে এসেছি।
তিনি বলেন, ‘আমরা যখন আলাপ করছিলাম সেই আলাপের মধ্যে উঠে এসেছে গত ১৭ বছরে বিরোধী দলীয় নেতাকর্মীদের ওপরে যে হামলা-নির্যাতন-মামলা নেমে এসেছিল শেখ হাসিনার আমলে।
তার পরবর্তীতে আমরা যখন দেখেছি যে এই মামলাগুলো তুলে নেওয়া এবং তাদেরকে জেল-জরিমানা পোহাতে হচ্ছে, তারা পারিবারিকভাবে হয়রানির শিকার হচ্ছেন। এই বিষয়গুলো নিয়ে আমাদের সকল রাজনৈতিক দলের উদ্বেগ রয়েছে।আজ সোমবার (১ সেপ্টেম্বর) বিএনপি প্রতিষ্ঠার ৪৭তম বার্ষিকী পালন করছে। সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান ১৯৭৮ সালের ১ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) প্রতিষ্ঠা করেন।
এইদিন সকালে বিএনপির ৪৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে দলীয় পতাকা উত্তোলন, প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন ও ফাতেহা পাঠসহ নানা কর্মসূচি পালন করা হয়েছে।
ভোর ৬টায় নয়াপল্টনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়সহ সারাদেশে বিএনপির সব কার্যালয়ে দলীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়। পরে দলের শীর্ষস্থানীয় নেতারা জিয়াউর রহমানের সমাধিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন ও ফাতেহা পাঠ করেন।
এ ছাড়া দিনটি উপলক্ষে বাংলাদেশ প্রকৌশল ইনস্টিটিউশনে (আইইবি) এক আলোচনা সভার আয়োজন করে বিএনপি।
১৯৭৮ সালের ১ সেপ্টেম্বর আত্মনির্ভরশীল বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে ১৯ দফা কর্মসূচি নিয়ে বিএনপি গঠন করেন তৎকালীন রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান। পরবর্তীতে দলটি একাধিক মেয়াদে দেশ শাসন করেছে।
১১৮ দিন আগে
ক্যান্সার হাসপাতালে এক কোটি টাকার অনুদান হস্তান্তর করল জামায়াত
মহাখালী ক্যান্সার হাসপাতালে এক কোটি টাকার অনুদান হস্তান্তর করেছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। সোমবার (১ সেপ্টেম্বর) দুপুর পৌনে ২টায় রাজধানীর মহাখালীর জাতীয় ক্যান্সার গবেষণা ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে ঢাকা মহানগরী উত্তর জামায়াতের আয়োজনে এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে এই অনুদান হস্তান্তর করা হয়।
জামায়াতের কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের আমির মোহাম্মদ সেলিম উদ্দিন এই অনুদান হস্তান্তর করেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে সেলিম উদ্দিন বলেন, মানুষের কল্যাণই জামায়াতের রাজনীতির মূল উদ্দেশ্য, আর সে লক্ষ্যে আমরা সব সময় আপোষহীন। জামায়াত একটি গণমুখী ও কল্যাণকামী রাজনৈতিক দল। আমরা মানুষকে কর্জে হাসানা প্রদান করি। যাতে মানুষ সুদের ভয়াবহতা থেকে রক্ষা পায়। ক্যান্সার হাসপাতালে আমাদের সামান্য অনুদান সে কল্যাণকামীতারই ধারাবাহিকতা।
তিনি বলেন, আমরা এমন একটি ইনসাফপূর্ণ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করতে চাই, যেখানে মানুষে মানুষে কোনো ভেদাভেদ থাকবে না। ধর্ম, বর্ণ, গোত্র নির্বিশেষে সকল মানুষের অধিকার নিশ্চিত হবে।
পড়ুন: সংস্কার নিয়ে গড়িমসি হলে নির্বাচন নিয়ে মানুষের মধ্যে সংশয় তৈরি হবে: ডা. তাহের
তিনি আরও বলেন, একটি দল ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য নির্বাচন নির্বাচন জিকির তুলেছে। তারা আর সুষ্ঠু নির্বাচনের কথা বলছেন না। তারা যেনতেনভাবে নির্বাচন করে ক্ষমতায় যেতে চায়। কিন্তু সচেতন জনতা তামাশার নির্বাচন কোন ভাবেই মেনে নেবে না। নির্বাচনের আগেই সংস্কার ও জুলাই সনদকে আইনী ভিত্তি দিতে হবে।
সেলিম উদ্দিন বলেন, এসবকে আইনি ভিত্তি না দেওয়া হলে অন্তর্বর্তী সরকার নিজেরাই অবৈধ হয়ে যাবে। যারা সুষ্ঠু নির্বাচনকে বাধাগ্রস্ত করবে অবশ্যই তাদেরকে আইনের আওতায় আনতে হবে। আর আগামীতে স্বৈরাচার রুখবার জন্য পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন করতে হবে।
তিনি আগামী নির্বাচনকে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করতে রাষ্ট্রীয় সংস্কার ও জুলাই সনদ লেখা, আইনি ভিত্তি এবং পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন অনুষ্ঠানের আহবান জানান।
দলটির বনানী থানা আমির মিজানুর রহমান খানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন ঢাকা-১৭ আসনে জামায়াত মনোনীত সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী ডা. এস এম খালিদুজ্জামান। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন ক্যান্সার গবেষণা ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের পরিচালক ডা. শাহজাহান কবির।
এতে উপস্থিত ছিলেন ডা. হাসানুল বান্না, ডা. আব্দুস সালাম, ডা.আব্দুল্লাহ ইউসুফ জামিল তিহান, ডা.শরিফুল ইসলাম, ডা. মিনহাজ উদ্দিন প্রমুখ।
১১৮ দিন আগে
নির্বাচনের প্রস্তুতি পুরোদমে চলছে: সিইসি নাসির
প্রধান নির্বাচন কমিশনার এ এম এম নাসির উদ্দিন বলেছেন, সরকার চাওয়া অনুযায়ী জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য পূর্ণ প্রস্তুতি নিচ্ছে নিবার্চন কমিশন। কারণ, কমিশন তার নির্বাচনী প্রস্তুতির বিষয়ে কোনো দোষ নিতে রাজি নয়।
সোমবার (১ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর নির্বাচন ভবনে ঢাকার মার্কিন দূতাবাসে চার্জ ডি'অ্যাফেয়ার্স ট্রেসি অ্যান জ্যাকবসনের সঙ্গে বৈঠকের পর তিনি বলেন, ‘সরকারের ইচ্ছানুযায়ী আমরা নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছি। আমরা কোনো ধরণের দোষ মেনে নিতে রাজি নই। আমি তাকে (মার্কিন চার্জ ডি'অ্যাফেয়ার্স) বলেছি।’
সিইসি বলেন, ইসি সম্পূর্ণরূপে প্রস্তুতি নিশ্চিত করবে। যাতে কেউ দোষারোপ করতে না পারে— কমিশন অপ্রস্তুত বা তার প্রস্তুতি অপর্যাপ্ত।
কমিশনের উপর যেকোনো দোষ এড়াতে সিইসি বলেন, ইসি সম্পূর্ণরূপে প্রস্তুত থাকবে, যাতে কেউ বলতে না পারে যে নির্বাচন সম্পর্কে ইসি প্রস্তুত নয়। প্রস্তুতিতে ঘাটতি আছে বা তার প্রস্তুতি যথেষ্ট নয়।
নির্বাচনকালীন আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি সম্পর্কে কথা বলতে গিয়ে তিনি বলেন, দেশের স্বার্থ বিবেচনা করে রাজনৈতিক দলগুলো এ বিষয়ে একটি অবস্থানে আসবে।
নাসির উদ্দিন বলেন, ‘আমি বিশ্বাস করি আমাদের রাজনৈতিক দলগুলো দেশের স্বার্থকে সর্বোপরি অগ্রাধিকার দেবে। আমাদের রাজনৈতিক দলগুলো দেশের কথা চিন্তা করে দেশের স্বার্থে কাজ করবে। শেষ পর্যন্ত, আপনি দেখতে পাবেন যে, তারা (রাজনৈতিক দলগুলো) একটি অবস্থানে আসবে।’
পড়ুন: দেশে নিবন্ধিত ভোটার ১২ কোটি ৬৪ লাখ: ইসি
জনতার উপর সহিংসতা সম্পর্কে উদ্বেগ প্রকাশ করে সিইসি বলেন, যারা অস্থিরতা উসকে দিতে চাইছে, তারা কোনো সুযোগ পাবে না। কারণ ভোটের দিন ঢাকা শহর প্রায় জনশূন্য হয়ে পড়বে বলে আশা করা হচ্ছে। ভোটাররা সারা দেশের ৩০০টি নির্বাচনী এলাকায় চলে যাবেন।
তিনি আরও বলেন, ‘নির্বাচনের সময় মানুষ নিজ নিজ নির্বাচনী এলাকায় যাওয়ায় শহরটি মূলত ফাঁকা হয়ে যায়। যারা জনতার সহিংসতা সৃষ্টি করতে চায় তারা সুযোগ পাবেন না, আমাদের অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে।’
মব সহিংসতা সম্পর্কে সিইসি বলেন, একদিনে ৩০০টি নির্বাচনী এলাকায় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। যারা মব সহিংসতা উসকে দিতে চায় তারা (ভোটের দিন) এমনটা করার সুযোগ পাবে না, কারণ ঢাকা শহর মূলত জনশূন্য (নির্জন) থাকবে এবং ভোটাররা সারা দেশের ৩০০টি নির্বাচনী এলাকায় চলে যাবেন।
বৈঠকে ট্রেসি অ্যান জ্যাকবসনের সঙ্গে ছিলেন ডেভিড মু (দূতাবাসের রাজনৈতিক প্রধান) এবং ফিরোজ আহমেদ (রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞ)।
১১৮ দিন আগে
আইসিইউ থেকে কেবিনে নেওয়া হয়েছে নূরকে
গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুরকে আইসিইউ থেকে কেবিনে স্থানান্তর করা হয়েছে। সোমবার(১ সেপ্টেম্বর) দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করেন ঢাকা মেডিকেলের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান।
তিনি বলেন, নুরের শারীরিক অবস্থা উন্নতির দিকে এবং চিকিৎসকেরা আশা করছেন, আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে তিনি হাসপাতাল থেকে ছাড় পেতে পারেন। শারীরিক অবস্থার উন্নতি হওয়ায় তাকে হাসপাতালে ভিভিআইপি এক নাম্বার কেবিনে শিফট করা হয়েছে।
পড়ুন: চীন থেকে ফিরেই নুরের খোঁজ নিতে ঢামেকে নাহিদ-সার্জিস
তিনি আরও বলেন, ‘শরীরের বিভিন্ন অংশের ক্ষত স্বাভাবিক হতে ৪ থেকে ৬ সপ্তাহ সময় লাগবে। নাকের ভাঙা অংশ নির্দিষ্ট অবস্থানে থাকায় নাক স্বাভাবিক আকারে ফিরে আসবে। চিকিৎসকদের পরামর্শে নুর স্বাভাবিক খাবার গ্রহণ করতে পারছেন।’
এদিনে নুরের শারীরিক অবস্থার খোঁজ নিতে ঢাকা মেডিকেলে যান নৌপরিবহন উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ড. এম. সাখাওয়াত হোসেন।
১১৮ দিন আগে
ক্ষমতায় গেলে রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক পরিবর্তন আনবে বিএনপি: মির্জা ফখরুল
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, বিএনপি ক্ষমতায় গেলে দেশের রাজনৈতিক পরিবর্তন ঘটবে, সেইসঙ্গে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিও হবে।
তিনি বলেন, ‘জনগণের সমর্থনের মধ্য দিয়ে বিএনপি যদি রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব পায়—তাহলে নিঃসন্দেহে একদিকে যেমন রাজনৈতিক পরিবর্তন ঘটবে, অন্যদিকে অর্থনৈতিক পরিবর্তন ঘটবে এবং বাংলাদেশ সামনের দিকে এগিয়ে যাবে।’
সোমবার (১ সেপ্টেম্বর) সকালে দলের ৪৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের (বীর উত্তম) মাজারে দোয়া ও পুষ্পস্তবক অর্পণ শেষে তিনি এসব কথা বলেন।
এ সময় দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমান উল্লাহ আমান, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানি, আবদুস সালাম আজাদ, কেন্দ্রীয় নেতা মীর সরফত আলী সপু, কাজী আবুল বাশার, সাইফুল আলম নীরব, মহানগর বিএনপির উত্তরের আহ্বায়ক আমিনুল হক, দক্ষিণের তানভীর আহমেদ রবিনসহ অঙ্গসংগঠনের নেতারা উপস্থিত ছিলেন। পুস্পস্তবক অর্পনের পরে জিয়াউর রহমানের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে বিশেষ মোনাজাতে অংশ নেন নেতারা।
আরও পড়ুন: ঘোষিত সময়েই নির্বাচন হবে: মির্জা ফখরুল
সংস্কার প্রসঙ্গে বিএনপি মহাসচিব বলেন, সংস্কার কমিশনে যে প্রস্তাবগুলো নিয়ে এসেছিল, বিএনপি তা সমাধানে সর্বাত্মক সহযোগিতা করেছে। এছাড়া, ৩১ দফা কর্মসূচি প্রবর্তন করার মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের রাজনীতিতে আমূল পরিবর্তন আনার ব্যবস্থা করেছে বিএনপি।
তিনি আরও বলেন, এখন যে চ্যালেঞ্জ আমাদের সামনে রয়েছে সেটি হচ্ছে, আগামী ফেব্রুয়ারি মাসে নির্বাচন অনুষ্ঠানের যে কথা আছে— তা সুষ্ঠুভাবে আয়োজন করা।
গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের লড়াইয়ে বিএনপিকে ধ্বংস করার জন্য বারবার চেষ্টা হয়েছে উল্লেখ করে করে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘বিএনপি গণতন্ত্রকে পুনরুদ্ধারের জন্য দীর্ঘ সংগ্রাম করেছে, লড়াই করেছে বারবার। বিএনপিকে ধ্বংস করে ফেলার জন্য বারবার চেষ্টা করা হয়েছে। বিএনপি ফিনিক্স পাখির মতো প্রতিবারই বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদের আদর্শ নিয়ে, শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের আদর্শ নিয়ে এবং খালেদা জিয়ার আদর্শ নিয়ে ফিরে এসেছে।’
তিনি দাবি করেন, গত ১৫ বছরে বিএনপিকে ধ্বংস করার জন্য দলের প্রায় ৬০ লাখ মানুষের বিরুদ্ধে মামলা দেওয়া হয়েছে। বিএনপির প্রায় ২০ হাজার নেতাকর্মীকে হত্যা করা হয়েছে। ১ হাজার ৭০০ নেতাকর্মীকে গুম করা হয়েছে। বিএনপিকে ধ্বংস করার লক্ষ্যে দেশে একটি নির্মম ফ্যাসিবাদ কায়েম করা হয়েছিল বলে অভিযোগ করেন তিনি।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, জনগণের আন্দোলনের মধ্য দিয়ে, ছাত্রদের আন্দোলনের মধ্য দিয়ে আমরা সেই ভয়াবহ ফ্যাসিস্ট থেকে মুক্তি পেয়েছি।
১১৯ দিন আগে