রাজনীতি
প্রধান বিচারপতির কাছে স্মারকলিপি পেশ গ্রেপ্তার ও কারাবন্দি বিএনপি নেতা-কর্মীদের স্বজনদের
বিএনপি ও এর সহযোগী সংগঠনের সম্প্রতি সাজাপ্রাপ্ত ও গ্রেপ্তার নেতা-কর্মীদের মুক্তির জন্য মঙ্গলবার (২৮ নভেম্বর) প্রধান বিচারপতির কাছে স্মারকলিপি পেশ করেন তাদের স্বজনেরা।
কারাবন্দি বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসের স্ত্রী আফরোজা আব্বাস কারাবন্দি বিরোধী নেতাদের স্বজনদের পক্ষে আইনজীবীদের মাধ্যমে স্মারকলিপি জমা দেন।
দুই পৃষ্ঠার স্মারকলিপিতে উল্লেখ করা হয়, বাংলাদেশের বর্তমান রাজনৈতিক বাস্তবতায় এক অসহনীয় পরিস্থিতির মধ্যে কারাগারে আটক বিরোধী রাজনৈতিক নেতা-কর্মীদের পরিবারের সদস্যরা বিচারের শেষ আশ্রয়স্থল হিসেব প্রধান বিচারপতির কাছে যেতে বাধ্য হয়েছেন।
স্মারকলিপিতে স্বজনরা বলেন, আমরা বিশ্বাস করি বিচার বিভাগের অভিভাবক হিসেবে আপনি (প্রধান বিচারপতি) দেশের বিচার বিভাগকে রক্ষা, একটি স্বাধীন বিচার বিভাগ প্রতিষ্ঠা ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠায় অগ্রণী ভূমিকা পালন করবেন।
বিরোধীদলীয় নেতা-কর্মীদের ওপর দমন-পীড়ন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী কর্তৃক মিথ্যা, ভুয়া ও হয়রানিমূলক মামলায় গণগ্রেপ্তার, পুলিশি হেফাজতে নির্যাতন, জামিন প্রত্যাখান এবং আদালতে গণহারে সাজা প্রতিরোধে প্রধান বিচারপতি সক্রিয় ভূমিকা পালন করবেন বলেও তারা প্রত্যাশা করেন।
স্বজনরা বলেন, বিএনপি ও অন্যান্য বিরোধী রাজনৈতিক বন্দীদের অবিলম্বে মুক্তির জন্য আমরা প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ এবং আদালতকে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেওয়ার জন্য অনুরোধ করছি।
এর আগে সকাল সাড়ে ১০টায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বিরোধীদলীয় নেতাদের কারাগার থেকে মুক্তির দাবিতে মানববন্ধন করেন কারাবন্দি বিএনপি নেতা-কর্মীদের পরিবারের সদস্যরা।
তাদের অনেকের হাতে প্ল্যাকার্ড এবং তাদের প্রিয়জনের ছবি দেখা গেছে, যারা কারাগারে অবস্থান করছেন।
বিএনপির মহিলা শাখা জাতীয়তাবাদী মহিলা দল আয়োজিত মানববন্ধন কর্মসূচিতে স্বজনদের নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে বিভিন্ন স্লোগান দেন তারা।
অনুষ্ঠানে স্বজনদের কেউ কেউ প্রিয়জনের অনুপস্থিতিতে তাদের দুঃখ ও কষ্টের কথা বলেন।
তাদের অনেকেই সেখানে কান্নায় ভেঙে পড়েন।
আরও পড়ুন: মনোনয়নপত্র নেওয়ায় একরামুজ্জামান ও আবু জাফরকে দল থেকে বহিষ্কার
৭৬১ দিন আগে
ফুরিয়ে আসছে ইসিতে মনোনয়নপত্র দাখিলের সময়
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মনোনয়নপত্র দাখিলের সময় শেষ হবে ৩০ নভেম্বর।
রিটার্নিং বা সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তাদের কাছ থেকে মনোনয়নপ্রত্যাশীরা আগামীকাল বিকাল ৫টার মধ্যে ফরম সংগ্রহ করে জমা দিতে পারবেন বলে জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন।
ইসি ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই ১-৪ ডিসেম্বর এবং প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ তারিখ ১৭ ডিসেম্বর।আরও পড়ুন: রাজশাহী ও রংপুর বিভাগের ৭২ আসনে প্রার্থী চূড়ান্ত করেছে আওয়ামী লীগ
নির্বাচন কমিশন (ইসি) গত ১২ নভেম্বর 'অনলাইন মনোনয়ন জমা দেওয়ার ব্যবস্থা (ওএনএসএস) এবং স্মার্ট ইলেকশন ম্যানেজমেন্ট অ্যাপ' উদ্বোধন করেছে। এর ফলে প্রথমবারের মতো মনোনয়ন প্রত্যাশীরা অনলাইনে ফরম জমা দিতে পারবেন।
প্রার্থীরা নির্বাচনের ২১ দিন আগে প্রচারণা শুরু করতে না পারলেও তাদের সভা করার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। নির্বাচন কমিশন প্রথমবারের মতো ৩০০টি নির্বাচনী তদন্ত কমিটি গঠন করেছে।
আরও পড়ুন: নির্বাচন কারো জন্য অপেক্ষা করবে না: ইসি আনিছুর
ইসির তথ্যপত্র অনুযায়ী, দেশে মোট ভোটার তালিকায় ৫৮ লাখ ৬৪ হাজার ৪৩০ জন নতুন ভোটার এবং মোট ভোটারের মধ্যে পুরুষ ৬ কোটি ৪ লাখ ৪৫ হাজার ৭২৪ জন এবং নারী ভোটার ৫ কোটি ৮৭ লাখ ৪ হাজার ৮৭৯ জন।
এছাড়া হালনাগাদ তালিকায় তৃতীয় লিঙ্গের পরিচয়ে ৮৩৭ জন ট্রান্সজেন্ডার ভোটারকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
আগামী ৩০ ডিসেম্বর সারাদেশে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে।
আরও পড়ুন: বিএনপি নির্বাচনে যোগ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিলে পুনঃতফসিল হতে পারে: সিইসি
৭৬১ দিন আগে
বিএনপিতে যারা তারেকের নেতৃত্ব মানছেন না, নির্বাচনে আসতে তারা নতুন প্ল্যাটফর্ম তৈরি করছেন: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
রাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন বলেছেন, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপার্সন তারেক রহমানকে যারা নেতা হিসেবে মানতে পারছেন না, তারা নির্বাচনে আসতে নতুন প্ল্যাটফর্ম তৈরি করছেন।
তিনি বলেন, মানুষ যখন তাদের থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছেন, তারা নিশ্চিত নির্বাচনে আসতে পারবে না কোনোদিন। তাই তারা কুৎসা রটাচ্ছে, অবান্তর কথা বলে যাচ্ছে।
আরও পড়ুন: গার্মেন্টস শ্রমিক আন্দোলনে বিএনপির ইন্ধন রয়েছে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
মঙ্গলবার (২৮ নভেম্বর) দুপুরে সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
বিএনপি না এলে নির্বাচন প্রতিযোগিতাপূর্ণ হবে কিনা— এ বিষয়ে জানতে চাইলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, তারেক রহমানকে যারা নেতা হিসেবে মানতে পারছেন না, তার নেতৃত্ব মানতে যাদের কষ্ট হচ্ছে, তারা কিন্তু এরই মধ্যে নির্বাচনে আসবে বলে আমরা জানি। এছাড়া, নির্বাচনে আসার জন্য তারা বিভিন্ন প্ল্যাটফর্মও তৈরি করেছেন।
তিনি বলেন, আপনারা দেখেছেন বিএনপির যে নেতৃত্ব, তা দলটির অনেকের পছন্দ না। তাই তারা নতুন দল করে নির্বাচনে অংশ নেওয়ার চেষ্টা করছেন। আবার বিএনপিরও অনেকেই প্রার্থী হওয়ার চেষ্টা করছেন।
এ দেশের মানুষও একটা উৎসবমুখর পরিবেশে চলে এসেছে। সবাই নিজেদের প্রার্থীকে কীভাবে জয়ী করা যায়, তা নিয়ে চিন্তা করছেন। কে নির্বাচনে আসলেন না, বা কে কী বললেন, তা নিয়ে মানুষের কোনো উদ্বেগ নেই।
তিনি আরও বলেন, বিএনপির কথিত চেয়ারপারর্সন তারেক রহমান রাজনীতি করবেন না বলে মুচলেকা দিয়েছিলেন। আবার রাজনীতির মাঠ গরম করছেন। একেক সময় একেক ঘোষণা দিচ্ছেন। ২৮ অক্টোবর সরকার পরিবর্তন হবে, তারপর বিএনপি যেভাবে চাইবে, সেভাবে দেশ চলবে। এমন ঘোষণাও দিয়েছিলেন। সেদিন তারা প্রধান বিচারপতির বাসভবনে ভাঙচুর করেছে, হাসপাতালে ভাঙচুর করেছে।
লেভেল-প্লেয়িং ফিল্ড আছে কিনা- জানতে চাইলে তিনি বলেন, সেটা আছে কিনা আপনারা দেখবেন। রাজনৈতিক দলগুলো তো প্রচার করবেই। সবাই প্রচারে নামবে। নিজেদের প্রার্থী নিয়ে তারা আনন্দ করবে, উৎসব করবে।
এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, তাদের যতগুলো নেতা কারাগারে, তাদের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট মামলা আছে। তারা ভাঙচুর করেছেন, বাস জ্বালিয়েছেন, মানুষ পুড়িয়েছেন। এসব ঘটনা আমরা শনাক্ত করে তাদের বিরুদ্ধে মামলা করেছি এবং তারা গ্রেপ্তার হয়েছেন। এছাড়াও তারা বিভিন্ন সময়ে রাষ্ট্রদ্রোহী কর্মকাণ্ড করেছে। বিনাকারণে কাউকে ধরা হয়নি।
নির্বাচন ঘিরে নাশকতার শঙ্কা সংক্রান্ত এক প্রশ্নের জবাবে আসাদুজ্জামান খাঁন বলেন, আমি এখন পর্যন্ত এ ধরনের কোনো খবর পাইনি। কেবল বাংলাদেশের মানুষই না, বিশ্বের কোনো সভ্য দেশের মানুষই নাশকতা পছন্দ করেন না। তাই তারা যত নাশকতা করবে, ততই জনবিচ্ছিন্ন হবে। এতে জনসমর্থনের চেয়ে ধিক্কার জুটবে তাদের ভাগ্যে।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যেভাবে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন, মানুষ সেটাই চাচ্ছে। সেই আলোকিত বাংলাদেশ থেকে কেউ আর অন্ধকারে ফিরে যেতে চাচ্ছে না। আগামী নির্বাচনে নিজেদের পছন্দের মানুষকে নির্বাচিত করবেন বলে মানুষ তৈরি হয়ে আছে।
বিএনপির কঠোর আন্দোলনের ঘোষণা সম্পর্কে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, সেই কঠোর আন্দোলন কী আমি জানি না। আমরা তো দেখলাম, ট্রেনের লাইন কাটার জন্য তারা গিয়েছিল, এ দেশের জনগণ তাদের ধরিয়ে দিয়েছে। বাসে আগুন দেওয়ার চেষ্টা করলে জনগণ তাদের ধরে পুলিশে দিয়েছে। এতে প্রমাণ হয়, এ দেশের মানুষ সহিংসতা পছন্দ করে না। যেখানে জনসমর্থন নেই, সেখানে এ ধরনের চিন্তা কাম্য না।
তিনি বলেন, আমি আগেই বলেছি, নির্বাচনে পরাজিত হবে জেনেই তারা আসছে না। ২০০৮ সালে তারা ৩০টি আসন পেয়েছিল। ২০১৪ সালে তারা নির্বাচনে আসেনি। সারা বাংলাদেশে তারপরে জ্বালাও-পোড়াও ও অগ্নিসন্ত্রাস করেছে।
আরও পড়ুন: ফখরুলের জামিন নামঞ্জুরে সরকারের কোনো প্রভাব নেই: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
সব দল সম্পৃক্ত করে নির্বাচন অনুষ্ঠানের চেষ্টা করছি: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
৭৬১ দিন আগে
দেশের উন্নয়নে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা দরকার: তথ্যমন্ত্রী
তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, দেশে বর্তমানে যে উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ড চলছে, তা অব্যাহত রাখতে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা দরকার।
তিনি বলেন, দেশের উন্নয়নে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা দরকার। ২০১৩-১৫ সাল পর্যন্ত যেভাবে জ্বালাও-পোড়াও করেছে এবং এখনও একনাগারে এগুলো করছে; তাতে দেশের ও রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা বিনষ্ট হচ্ছে। রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা ছাড়া কখনোই উন্নয়ন সম্ভব নয়।
আরও পড়ুন: সংলাপ রাজনৈতিক দলের সঙ্গে হয়, আগুনসন্ত্রাসীদের সঙ্গে নয়: তথ্যমন্ত্রী
মঙ্গলবার (২৮ নভেম্বর) প্রেস ইনস্টিটিউট প্রকাশিত ‘এসডিজি এবং উন্নয়নমূলক ফিচার সংকলন’ গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন ও সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, বিএনপির অবরোধের মধ্যে ঢাকার বিভিন্ন জায়গায় যানজট হচ্ছে। দূরপাল্লার গাড়িও চলছে। এই যে কর্মসূচি দিয়ে তারা নিজেদের হাস্যকর করছে, আমি বুঝি না তারা কেন এই সিদ্ধান্তগুলো নেয়? এসব কর্মসূচি কেউ মানছে না, বুড়ো আঙ্গুল দেখিয়ে দিচ্ছে যে তোমাদের মানি না, কিসের অবরোধ!
তিনি বলেন, আমরা তো চাই বিএনপি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করুক। ধ্বংসাত্মক এই অপরাজনীতি থেকে বেরিয়ে আসুক। প্রধান নির্বাচন কমিশনারের (সিইসি) বক্তব্য আমি শুনেছি, আমি মনে করি তিনি যথার্থ বলেছেন। আশা করি বিএনপির শুভ বুদ্ধির উদয় হবে।
তিনি আরও বলেন, একটি নির্বাচিত সরকারকে দিন তারিখ বলে ফেলে দেওয়া এটাই তো একটি সন্ত্রাসী ঘোষণা। এই অপরাজনীতি থেকে আশা করি তারা বেরিয়ে আসবে। সাত সমুদ্র তের নদীর ওপার থেকে দেশের বাস্তবতা তাদের বুঝতে অসুবিধা হচ্ছে। কারণ সিদ্ধান্তটা ওখান থেকে আসে। যারা পলাতক কিংবা যারা নির্বাচন করতে পারবে না। তারাই সিদ্ধান্ত দেয় নির্বাচনে যাবে না। বিএনপি নেতারা তো নির্বাচনে অংশগ্রহণ করছে।
আরও পড়ুন: বিএনপি রাষ্ট্র, সমাজ ও সাংবাদিকদের শত্রু: তথ্যমন্ত্রী
বিএনপির আগুনসন্ত্রাসের বিরুদ্ধে কলম ধরুন: সাংবাদিকদের প্রতি তথ্যমন্ত্রী
৭৬১ দিন আগে
শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের মাধ্যমে দেখাতে চাই আমরা প্রতিশ্রুতি রক্ষা করেছি: কাদের
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের মঙ্গলবার (২৮ নভেম্বর) বলেছেন, একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠান তাদের লক্ষ্য এবং শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের মাধ্যমে তারা প্রতিশ্রুতি রক্ষা করে তা প্রমাণ করতে চায়।
রাজধানীর ধানমন্ডি এলাকায় আওয়ামী লীগ সভাপতির কার্যালয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী কাদের বলেন, আসন্ন জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে অনেকেই নানা ধরনের মন্তব্য করছেন এবং অনেকে অনেক জল্পনা-কল্পনা করছেন।
মন্ত্রী বলেন, সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে এসবের সমাধান হবে। ‘তারপর অনেক সমালোচনাই বন্ধ হয়ে যাবে।’
জোটের মধ্যে আসন ভাগাভাগি নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, ১৭ ডিসেম্বর মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষ তারিখ। আমরা পর্যবেক্ষণ করব, এর মধ্যে সমন্বয় করব। ১৭ ডিসেম্বরের মধ্যে সবকিছু চূড়ান্ত করা হবে।’
আরও পড়ুন: বিএনপি দেশের অর্থনীতিকে ধ্বংস করার পথ বেছে নিয়েছে: ওবায়দুল কাদের
আওয়ামী লীগ নেতাদের স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা কোনো বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করবে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘আমরা দেখছি কারা কারা চাইছে। আমাদের একটি কৌশলগত সিদ্ধান্ত আছে।’
কাদের আরও বলেন, ‘আমাদের কাছে ১৭ ডিসেম্বর পর্যন্ত সময় আছে। এর ভেতরে আমরা পরিবর্তন, সংশোধন করতে পারবো। আমাদের কৌশলগত দিক থাকবে।’
উৎসবমুখর পরিবেশে আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা ৭ জানুয়ারির নির্বাচনের জন্য মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করছেন।
নির্বাচনে বিএনপির অংশগ্রহণ নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘তারা অংশগ্রহণ করলে আমাদের কোনো আপত্তি নেই। আমরা তাদের স্বাগত জানাই। তাদের কেউ নির্বাচনে অংশ নিতে পারে। কেউ কেউ ইতো্মধ্যে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন।’
প্রসেঙ্গত, মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করায় খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা একরামুজ্জামান ও আবু জাফরকে বহিষ্কার করেছে বিএনপি।
আরও পড়ুন: নির্বাচনকে সামনে রেখে নাশকতা ও অপপ্রচার প্রতিহত করাই আ. লীগের মূল লক্ষ্য: কাদের
এখন সংলাপের আর সুযোগ নেই: কাদের
৭৬১ দিন আগে
মনোনয়নপত্র নেওয়ায় একরামুজ্জামান ও আবু জাফরকে দল থেকে বহিষ্কার
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে যাওয়ায় বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা সৈয়দ এ. কে. একরামুজ্জামান ও জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য শাহ মো. আবু জাফরকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
দলের জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, 'দলবিরোধী কর্মকাণ্ডে' জড়িত থাকার অভিযোগে তাদের বিরুদ্ধে এই ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
এতে আরও বলা হয়, ‘দলীয় শৃঙ্খলা পরিপন্থী কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার সুস্পষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য সৈয়দ এ কে একরামুজ্জামান ও জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য শাহ মো. আবু জাফরকে প্রাথমিক সদস্যপদসহ দলের সকল পর্যায়ের সকল পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।’
আরও পড়ুন: ঢাকা-১৭ আসনের উপনির্বাচন: হিরো আলমসহ ৮ প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বাতিল
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ইতোমধ্যে প্রত্যাখ্যান করেছে বিএনপি। তারা মনোনয়নপত্র সংগ্রহকে 'দলীয় শৃঙ্খলা লঙ্ঘন' হিসেবে বিবেচনা করছে।
একরামুজ্জামান ২০০১ সালের নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে এবং ২০০৮ ও ২০১৮ সালের নির্বাচনে বিএনপির প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করলেও তিনি নির্বাচিত হননি।
এদিকে, আসন্ন নির্বাচনে অংশ নিতে গত ২১ নভেম্বর বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য আবু জাফর নতুন নিবন্ধিত দল বিএনএমে (বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আন্দোলন) যোগ দেন।
আরও পড়ুন: সিলেট সিটি নির্বাচন: ১১ মেয়র প্রার্থীসহ ৩৮৭ জনের মনোনয়নপত্র দাখিল
৭৬২ দিন আগে
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-১ আসনে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-১ (নাসিরনগর) আসন থেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা সৈয়দ এ. কে. একরামুজ্জামান।
সোমবার ব্রাহ্মণবাড়িয়া রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক কার্যালয় থেকে তার পক্ষে বকুল মিয়া মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেন।
এদিকে সোমবার দুপুর ১২টার দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট তৃতীয় আদালতে পুলিশের করা একটি বিস্ফোরক মামলায় হাজির হয়ে জামিনের আবেদন করেন একরামুজ্জামান। আদালত তার জামিন আবেদন মঞ্জুর করেন।
নাসিরনগর থানা সূত্রে জানা গেছে, ২ নভেম্বর রাত ৮টার দিকে নাসিরনগর উপজেলা সদরের কাশফুল রেস্তোরাঁর সামনে সরকারি কাজে বাধাদান ও বিস্ফোরক আইনে ৩৮ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন থানার উপপরিদর্শক (এসআই) রূপন নাথ।
আরও পড়ুন: হাসিনাকে সমর্থন দিয়ে জনগণের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে ভারত: রিজভী
সরকারি কাজে বাধা দান, হত্যার উদ্দেশ্যে বিস্ফোরকদ্রব্য ব্যবহার ও পুলিশ সদস্যকে আহত করার অভিযোগে করা এ মামলায় একরামুজ্জামানকে ৪ নম্বর আসামি করা হয়। ঘটনাস্থল থেকে ককটেল ও দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করা হয়। আইনজীবী আলী আজমের নেতৃত্বে ১৫-২০ জন আইনজীবী আদালতে তার পক্ষে শুনানিতে অংশ নেন।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আইনজীবী আলী আজম বলেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় হওয়া বিস্ফোরক আইনের মামলায় ঘটনার তারিখ ২ নভেম্বর উল্লেখ করা হয়। কিন্তু ঘটনার সময় একরামুজ্জামান ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় উপস্থিত ছিলেন না। কারণ ২ নভেম্বর ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে তিনি একটি মামলায় হাজির হয়ে জামিনের আবেদন করেন। শুনানি শেষে ঢাকার ওই আদালত তাকে জামিন দেন। এর প্রমাণপত্রসহ অন্যান্য প্রমাণপত্র ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আদালতে পেশ করা হয়েছে। আদালত সব কিছু বিবেচনা করে বিস্ফোরক আইনের এ মামলায় তার জামিন আবেদন মঞ্জুর করেছেন।
আরও পড়ুন: ২৮ অক্টোবরে মহাসমাবেশ থেকে চট্টগ্রামের বিএনপি নেতা গ্রেপ্তার, কারাগারে মৃত্যু
একরামুজ্জামান বলেন, ‘আমি জামিন পেয়েছি। ঢাকায় যাচ্ছি। নির্বাচনে প্রার্থী হওয়া নিয়ে এ মুহূর্তে বলার মতো কিছুই নেই। এখনই সব কিছু স্পষ্ট করতে চাচ্ছি না।’
তবে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মো. কাউসার আহমেদ বলেন, বিকালের দিকে রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসকের কার্যালয় থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-১ (নাসিরনগর) আসনের জন্য স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে সৈয়দ একরামুজ্জামানের নামে মনোনয়নপত্র তোলা হয়। তার পক্ষে মো. বকুল মিয়া নামে একজন মনোনয়নপত্রটি সংগ্রহ করেন।
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের দেওয়া তালিকা ধরে নির্বাচনে বিজয়ী ঘোষণা করবে ইসি: বিএনপি
৭৬২ দিন আগে
দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচন: ২৮৯ আসনে প্রার্থী তালিকা প্রকাশ জাপার
আগামী ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠেয় দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনে ২৮৯টি আসনে প্রার্থীর তালিকা প্রকাশ করেছে জাতীয় পার্টি (জাপা)।
জাপা মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু বনানীতে পার্টির চেয়ারম্যানের কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করেন।
রংপুর-৩ ও ঢাকা-১৭ আসন থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন জাপা চেয়ারম্যান গোলাম মুহাম্মদ (জিএম) কাদের।
গত ২০ নভেম্বর থেকে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মনোনয়ন ফরম বিক্রি শুরু করেছে জাপা।
আরও পড়ুন: অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন অনুষ্ঠানের বিষয়ে ইসি তার কথা রাখবে: জাপা
জনগণের ভোটাধিকার নিশ্চিতে কাজ করছে জাপা: চুন্নু
মূল চ্যালেঞ্জ হলো ভোটারদের ভোটকেন্দ্রে আনা: জাপা মহাসচিব চুন্নু
৭৬২ দিন আগে
বুধবার অবরোধ, বৃহস্পতিবার হরতাল ডেকেছে বিএনপি
নির্বাচন কমিশন (ইসি) ঘোষিত আগামী জাতীয় নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার প্রতিবাদে বুধবার সকাল থেকে ফের সারাদেশে ২৪ ঘণ্টার সড়ক-রেল-নৌপথ অবরোধ এবং বৃহস্পতিবার দিনব্যাপী হরতাল পালন করতে যাচ্ছে বিএনপি।
সোমবার (২৭ নভেম্বর) এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী এ ঘোষণা দেন।
তিনি বলেন, বুধবার সকাল ৬টায় অবরোধ শুরু হবে এবং বৃহস্পতিবার সকাল ৬টায় শেষ হবে এবং বৃহস্পতিবার সকাল ৬টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত হরতাল চলবে।
রিজভী বলেন, এ কর্মসূচির উদ্দেশ্য নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে আগামী নির্বাচন অনুষ্ঠান এবং দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ দলের নেতা-কর্মীদের মুক্তি দিতে সরকারের ওপর চাপ সৃষ্টি করা।
তিনি বলেন, অন্যান্য বিরোধী দল যারা দীর্ঘদিন ধরে বিএনপির সঙ্গে যুগপৎ আন্দোলন করে আসছে তারাও এই কর্মসূচি পালন করবে।
আরও পড়ুন: শিথিলতায় চলছে ৪৮ ঘণ্টার অবরোধ
বিরোধী দলের চলমান ৪৮ ঘণ্টার অবরোধ শেষ হবে মঙ্গলবার সকাল ৬টায়। এর ১৪ ঘণ্টা আগেই নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়।
অবরোধ কর্মসূচি সফল করার জন্য দেশবাসী ও বিরোধী দলের নেতা-কর্মীদের ধন্যবাদ জানান রিজভী।
বিএনপি এবং সমমনা দলগুলো দেশব্যাপী ১৯ নভেম্বর থেকে ৪৮ ঘণ্টার হরতাল পালন করে এবং ২২ নভেম্বর থেকে ৪৮ ঘণ্টার অবরোধ এবং ২৬ নভেম্বর থেকে আরেক দফা ৪৮ ঘণ্টার অবরোধ ঘোষণা করে, যা মঙ্গলবার সকাল ৬টায় শেষ হবে।
আওয়ামী লীগ সরকারের ওপর চাপ সৃষ্টি করতে এবং নির্দলীয় প্রশাসনের অধীনে আগামী নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য বিরোধী দলগুলো এখন পর্যন্ত সাত দফায় অবরোধ পালন করেছে।
নয়াপল্টনে বিএনপির মহাসমাবেশে হামলার প্রতিবাদে তারা ২৯ অক্টোবর দেশব্যাপী সকাল-সন্ধ্যা হরতালও পালন করে। যানবাহনে অগ্নিসংযোগ ও সংঘর্ষের ঘটনায় তিনজন নিহত হওয়ার মধ্যে দিয়ে হরতাল শেষ হয়।
২৮ অক্টোবর নয়াপল্টনে বিএনপির বহুল আলোচিত মহাসমাবেশ শুরুর আধা ঘণ্টা পর কাকরাইলে ক্ষমতাসীন দলের নেতা-কর্মী ও পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন বিএনপি নেতা-কর্মীরা। খুব দ্রুতই নয়াপল্টনের চারপাশে ছড়িয়ে সহিংস সংঘর্ষ পড়ে এবং মাঝপথে সমাবেশ বন্ধ করে দেয় বিএনপি।
আরও পড়ুন: বিএনপি ও সমমনা দলগুলোর ডাকা ৪৮ ঘণ্টার অবরোধ চলছে
ডিসেম্বরে অবরোধের পরিবর্তে অবস্থান কর্মসূচির পরিকল্পনা বিএনপির
৭৬২ দিন আগে
যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্ক আরও দৃঢ় করতে কাজ করছি: হাছান মাহমুদ
তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাছান মাহমুদ বলেছেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক অত্যন্ত চমৎকার। আমরা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্ক আরও দৃঢ় করতে চাই।
সোমবার (২৭ নভেম্বর) দুপুরে সচিবালয়ে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সিনেমা হল মালিকদের নবনির্বাচিত কমিটি ও সাংবাদিকদের সঙ্গে মত বিনিময়কালে তিনি এ কথা বলেন।
আরও পড়ুন: ফিলিস্তিনের বিষয়ে মত প্রকাশের স্বাধীনতা খর্ব করছে ইউরোপীয় দেশগুলো : ড. হাছান মাহমুদ
বাংলাদেশে নিযুক্ত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত পিটার হাসকে নিয়ে রাশিয়ার মুখপাত্রের বক্তব্যের বিষয়ে জানতে চাইলে তথ্যমন্ত্রী বলেন, রাশিয়া বিবৃতি দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র সেটির জবাবও দিয়েছে। সেটি নিয়ে আমি কিছু বলতে চাই না।
তিনি আরও বলেন, এটি দুই রাষ্ট্রের বিষয়। কেউ ছুটিতে যেতে পারে, আবার ছুটি থেকে আসতেও পারে। এটি কোনো গুরুত্বপূর্ণ বিষয় বলে আমি মনে করি না।
তিনি বলেন, এটি রুটিন কাজের অংশ। যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক অত্যন্ত চমৎকার। পাশাপাশি বহুমাত্রিক সম্পর্ক আছে। আমরা সে সম্পর্ক আরও দৃঢ় করতে কাজ করছি।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেছেন— নির্বাচনে বাইরের থাবা এসে পড়েছে এবং দেশের অর্থনীতিকে বাঁচাতে হলে একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন দিতে হবে৷
একজন রাজনীতিবিদ হিসেবে এবারের নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক করা চ্যালেঞ্জ কি না- প্রশ্ন করা হলে হাছান মাহমুদ বলেন, নির্বাচন কমিশন চায় দেশে একটি গ্রহণযোগ্য ও উৎসবমুখর একটি নির্বাচন হোক।
মন্ত্রী বলেন, আমরাও সেটি চাই। আমরা চাই সবাই নির্বাচনে অংশগ্রহণ করুক। ইতোমধ্যে সারা দেশে নির্বাচনের যেভাবে সাড়া পড়েছে, যেভাবে নির্বাচনী আমেজ তৈরি হয়েছে। আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি জনগণের ব্যাপক অংশগ্রহণ নির্বাচনে থাকবে।
মন্ত্রী আরও বলেন, এছাড়া অন্য দলগুলো যারা এখনও নির্বাচনে আসার ঘোষণা দেয়নি। তাদের অনেকেই শিগগির ঘোষণা দেবে।
হিউম্যান রাইটস ওয়াচ রবিবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, দেশে নির্বাচনকে কেন্দ্র করে দমন-পীড়ন চলছে।
এ ব্যাপারে তথ্যমন্ত্রীর মতামত চাইলে তিনি বলেন, হিউম্যান রাইটস ওয়াচ বিভিন্ন সময় বিবৃতি বিক্রি করে। ফলে তাদের নিয়ে আমি তেমন কোনো কথা বলতে চাই না।
তিনি বলেন, দেশে যেমন কিছু বিবৃতিজীবী আছে আর আন্তর্জাতিকভাবেও কিছু বিবৃতিজীবী আছে। হিউম্যান রাইটস ওয়াচ দেশে যে এত গাড়ি-ঘোড়া পোড়ানো হচ্ছে, সেটি যখন তাদের বিবৃতিতে অনুপস্থিত থাকে আর অন্যটিকে গুরুত্ব দেওয়া হয় সেই বিবৃতিজীবীদের নিয়ে আমি কথা বলতে চাই না।
তথ্যমন্ত্রী আরও বলেন, অ্যামিনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল বিবৃতি দেয় যুদ্ধাপরাধীদের বাঁচানোর জন্য আর গাজায় হত্যাকাণ্ড হলে চুপ থাকে। আর বাংলাদেশে কেউ কাউকে ঘুষি মারলে বিবৃতি দেয়। এ সমস্ত বিবৃতি নিয়ে কথা বলতে চাই না। এগুলোর গ্রহণযোগ্যতা নেই।
আরও পড়ুন: সাংবাদিকদের ওপর হামলাকারী 'অপরাধীদের' বিচারের আওতায় আনা হবে: হাছান মাহমুদ
কুলিয়ারচরে সারভর্তি ট্রাকে আগুন
৭৬২ দিন আগে