রাজনীতি
নির্বাচনী ইশতেহারে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ অগ্রাধিকার পাবে: বাণিজ্যমন্ত্রী
আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইশতেহারে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ অগ্রাধিকার পাবে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ইশতেহারে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণের বিষয়টি বিশেষ গুরুত্ব পাবে। আওয়ামী লীগ রাজনীতি করে দেশের মানুষের কল্যাণের জন্য। দ্রব্যমূল্য সহনীয় পর্যায়ে রাখতে সরকার প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছে।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটের কারণে হয়ত শতভাগ করা সম্ভব হয়নি। তবে বিশ্বের অনেক দেশের তুলনায় আমাদের সফলতা রয়েছে। নিম্ন আয়ের মানুষের কথা ভেবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে টিসিবিসহ নানা কর্মসূচির মাধ্যমে সরকার স্বল্পমূল্যে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য বিক্রি করছে। যার জন্য সরকার হাজার হাজার কোটি টাকা ভর্তুকি দিচ্ছে।
আরও পড়ুন: সংলাপ রাজনৈতিক দলের সঙ্গে হয়, আগুনসন্ত্রাসীদের সঙ্গে নয়: তথ্যমন্ত্রী
শনিবার (২৫ নভেম্বর) রাজধানীতে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন কর্পোরেশন (বিএফডিসিতে) জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর ও ডিবেট ফর ডেমোক্রেসি’র যৌথ উদ্যোগে ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণবিষয়ক ছায়া সংসদের গ্র্যান্ড ফাইনাল ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি একথা জানান।
করোনা পরবর্তী রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধসহ বৈশ্বিক অস্থিতিশীলতার প্রেক্ষাপটে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে পণ্যের মূল্য অস্বাভাবিকভাবে বেড়েছে উল্লেখ করে তিনি জানান, যার প্রভাব আমাদের দেশেও পড়েছে। এতে করে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বাড়ায় মানুষের কষ্ট হচ্ছে এটি সত্যি।
এছাড়া দ্রব্যমূল্যের বাজার নিয়ন্ত্রণে সরকারি ও বেসরকারি খাতের যৌথ ভূমিকা মুখ্য বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
তিনি আরও বলেন, দেশে যে পরিমাণ পেঁয়াজের চাহিদা তার চেয়ে প্রায় ৭-৮ লাখ টন ঘাটতি থাকে। যেটা আমরা ভারত থেকে আমদানি করে থাকি। বাণিজ্য মন্ত্রণালয় থেকে কৃষি মন্ত্রণালয়ে চিঠি দিয়ে পেঁয়াজ আমদানির পারমিশন দেওয়ার জন্য বলা হলেও কৃষকের কথা ভেবে অনুমতি দেওয়া হয়নি।
তিনি বলেন, পরে যখন আমদানির অনুমতি দেওয়া হলো— তখন ভারত আমদানির ওপর ৪০ শতাংশ ট্যারিফ আরোপ করল। এর কিছুদিন পরেই ভারত আবার প্রতি টন পেঁয়াজ রপ্তানি ৮০০ ডলার করে, যে কারণে সরকারের পক্ষে নির্ধারিত দাম ধরে রাখা সম্ভব হয়নি।
চিনির আমদানি শুল্ক কমানোর পরও দাম না কমা প্রসঙ্গে বাণিজ্যমন্ত্রী জানান, ডলারের মূল্য আমাদের নিয়ন্ত্রণে নেই। যেসব পণ্য আমদানি করতে হয়, সেগুলো আন্তর্জাতিক বাজার বা ডলারের মূল্যের ওপর নির্ভর করে।
মন্ত্রী বলেন, আমরা চাইলেও সেগুলোর মূল্য নির্ধারণ করে দিতে পারি না। আমরা যেটা পারি, সেটি হলো শুল্ক কমাতে।
যেমন— চিনির দাম কমাতে আমদানি শুল্ক কমানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। কিন্তু ডলারের দাম বেড়ে যাওয়ায় চিনির দামে কোনো প্রভাব পড়েনি বরং বেড়েছে। ফলে এর সুফল ভোক্তা পায়নি।
ডিবেট ফর ডেমোক্রেসি’র চেয়ারম্যান হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসাবে বক্তব্য দেন— জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এ এইচ এম সফিকুজ্জামান।
আরও পড়ুন: রপ্তানি বাড়াতে লাল ফিতার দৌরাত্ম্য দূর করতে হবে: বাণিজ্যমন্ত্রী
এতদিন ব্যবসায়ীরা ডিমে বেশি মুনাফা করেছে: বাণিজ্যমন্ত্রী
৭৬৪ দিন আগে
সংলাপ রাজনৈতিক দলের সঙ্গে হয়, আগুনসন্ত্রাসীদের সঙ্গে নয়: তথ্যমন্ত্রী
রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সংলাপ হয়, আগুনসন্ত্রাসীদের সঙ্গে নয় বলে মন্তব্য করেছেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
তিনি বলেন, 'রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সংলাপ হয়, আগুনসন্ত্রাসীদের সঙ্গে সংলাপ করা যায় না। বরং, তাদের নির্মূল করতে সরকার বদ্ধপরিকর। যারা তাদের সঙ্গে সংলাপের কথা বলেন, তাদের কাছে প্রশ্ন- সন্ত্রাসীদের সঙ্গে কি আলোচনা হয়? সন্ত্রাসীদের নির্মূল করতে হয়।’
শনিবার (২৫ নভেম্বর) দুপুরে চট্টগ্রামের জামালখান সড়কে স্থাপিত ‘বঙ্গবন্ধু মানেই বাংলাদেশ’- শীর্ষক ম্যুরাল ও তথ্যচিত্র উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তথ্যমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: বিএনপি রাষ্ট্র, সমাজ ও সাংবাদিকদের শত্রু: তথ্যমন্ত্রী
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, 'যারা পেট্রোলবোমা মেরে মানুষ পোড়ায়, হাসপাতালে হামলা চালায়, কোরআন শরিফ পোড়ায়, গাড়ি-ঘোড়া ও স্কুলঘর পোড়ায়, তারা কোনো রাজনৈতিক দল নয়, এগুলো রাজনৈতিক কর্মসূচিও নয়। তারা যতদিন এভাবে ফণা তুলবে, ততদিন দেশ ও সমাজ হুমকির মুখে থাকবে।'
গত ১৪ জুন বিএনপির সমাবেশে যাওয়ার সময় চট্টগ্রামের জামালখান সড়কে মিছিলকারীদের ভাঙচুর করা বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল ও ইতিহাস ঐতিহ্যের তথ্যচিত্রগুলো পুনস্থাপন করা হয়। অনুষ্ঠানে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী ও দৈনিক আজাদী সম্পাদক এম এ মালেক বক্তব্য দেন।
সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান বলেন, 'আসলে বিএনপি-জামায়াত শুধু ধ্বংসই করতে জানে। এই ম্যুরাল ও ইতিহাস-ঐতিহ্যের তথ্যচিত্রগুলো কী অপরাধ করেছিল, সেগুলো যে ভাঙচুর করল? যদি জনগণের রায়ে আমরা আবার সরকার গঠন করতে পারি, এই দেশ থেকে শেষ আগুনসন্ত্রাসী পর্যন্ত ইনশাল্লাহ নির্মূল করা হবে।'
বিএনপি-জামায়াতের ডাকা টানা অবরোধ প্রসঙ্গে হাছান মাহমুদ বলেন, 'বিএনপি-জামায়াতের এই অবরোধ কেউ মানছে না। রাস্তায় গাড়ি-ঘোড়া চলছে, অফিস আদালত খোলা। স্কুল-কলেজও খোলা। তারা কিছু কিছু জায়গায় পেট্রোল বোমা নিক্ষেপ করে মানুষের মাঝে ভয় সঞ্চার করা ছাড়া আর কিছু করতে পারেনি। মাঝখানে বিরতি দিয়ে দুই দিন পরপর তাদের এই অবরোধ-হরতালের কথা শুনে এখন হনুমানও ভেংচি কাটে।'
আরও পড়ুন: বিদেশে বসে গুজব রটনাকারীদের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট দেশে মামলা হচ্ছে: তথ্যমন্ত্রী
বিএনপির আগুনসন্ত্রাসের বিরুদ্ধে কলম ধরুন: সাংবাদিকদের প্রতি তথ্যমন্ত্রী
৭৬৪ দিন আগে
বাংলাদেশে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে রাশিয়ার ইতিবাচক ভূমিকা প্রত্যাশা বিএনপির: রিজভী
বাংলাদেশে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে অন্যান্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের পাশাপাশি রাশিয়ার ইতিবাচক ভূমিকা প্রত্যাশা করছে বিএনপি।
বাংলাদেশের রাজনীতি নিয়ে রুশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মারিয়া জাখারোভার বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে দলের জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে এ প্রত্যাশা ব্যক্ত করা হয়।
রিজভী বলেন, 'রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মারিয়া জাখারোভা ২০২৩ সালের ২২ নভেম্বর রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক্স (টুইটার) অ্যাকাউন্টে কিছু মন্তব্য করেছেন বলে বাংলাদেশের জনগণ ও বিএনপির নজরে এসেছে।’
তিনি বলেন, বাংলাদেশে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাসের বিরুদ্ধে সরকারবিরোধী সমাবেশ আয়োজনের জন্য বিরোধী দলের এক সদস্যের সঙ্গে বৈঠক করে বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপের অভিযোগ করেন জাখারোভা।
আরও পড়ুন: রাষ্ট্রীয় কোষাগার থেকে লুটপাট করে নতুন দল তৈরি করছে সরকার: রিজভী
রিজভী বলেন, ‘জাখারোভার বক্তব্য একটি স্বচ্ছ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের জন্য বাংলাদেশের নাগরিকদের আশা-আকাঙ্ক্ষার সম্পূর্ণ বিরোধী। বিএনপি ভুল তথ্য ছড়ানোর বিষয়টি দৃঢ়ভাবে প্রত্যাখ্যান করে।’
২০১৪ ও ২০১৮ সালের প্রহসনের নির্বাচনে আওয়ামী লীগের কলঙ্কিত ট্র্যাক রেকর্ড ও রাষ্ট্রযন্ত্র ব্যবহার করে চলমান মানবাধিকার লঙ্ঘনের প্রেক্ষাপটে বিএনপির এই নেতা বলেন, বাংলাদেশের গণতন্ত্রকামী জনগণ ও প্রধান রাজনৈতিক দলগুলো বিশ্বাস করে, প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বর্তমান সরকারের অধীনে একটি স্বচ্ছ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন অসম্ভব।
রিজভী বলেন, বাংলাদেশের জনগণ ও বিএনপি নেতৃত্বাধীন গণতান্ত্রিক বিরোধী শক্তি তাদের চুরি হওয়া ভোটাধিকার পুনরুদ্ধারের জন্য এক দশকেরও বেশি সময় ধরে সংগ্রাম করছে।
তিনি বলেন, 'পুলিশের নৃশংস নিপীড়ন এবং পুলিশ ও ক্ষমতাসীনদের যৌথ হামলা মোকাবিলা করে বর্তমানে আমাদের দেশের জনগণ নির্বাচনকালীন নির্দলীয় সরকার ও প্রশাসনের তত্ত্বাবধানে একটি অবাধ, সুষ্ঠু, অংশগ্রহণমূলক ও আন্তর্জাতিকমানের শান্তিপূর্ণ নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য শান্তিপূর্ণ ও অহিংস আন্দোলনে সক্রিয়ভাবে নিয়োজিত রয়েছে।’
আরও পড়ুন: নির্বাচনে কারচুপি করতে সরকার এজেন্সিগুলো ব্যবহার করে কিংস পার্টি গঠন করছে: রিজভী
রিজভী বলেন, গত কয়েক মাসে বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো রাজধানী ঢাকা ও বিভাগীয় সদরে স্বতঃস্ফূর্তভাবে লাখ লাখ মানুষের উপস্থিতিতে অসংখ্য সমাবেশের আয়োজন করেছে।
তিনি বলেন, 'কোনো বিদেশি কূটনীতিকের এ ধরনের সমাবেশে সহায়তা করার প্রশ্নটি শুধু অসত্যই নয়, গণতন্ত্রের জন্য জনগণের ন্যায়সঙ্গত সংগ্রাম সম্পর্কে সুস্পষ্ট মনগড়া অভিযোগ।’
বিএনপির এই নেতা আরও বলেন, দুর্নীতিগ্রস্ত স্বৈরাচারী সরকারের সঙ্গে জোট বেঁধে এবং জনগণের ইচ্ছার বিরুদ্ধে জাখারোভার বক্তব্য নিজেই বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপের শামিল, যা অপ্রত্যাশিত ও দুর্ভাগ্যজনক।
তিনি আরও বলেন, ২০০৯ সালে এই স্বৈরাচারী শাসনের সূচনার পর থেকে তাদের জীবন উৎসর্গ করেছে তাদের স্বজনসহ লাখ লাখ মানুষের অনুভূতিতে আঘাত করেছে জাখারোভার বক্তব্য।
রিজভী বলেন, বর্তমানে গণতান্ত্রিককামীরা গণতন্ত্রের মূল্যবোধ, আইনের শাসন ও বাকস্বাধীনতার জন্য রক্ত ঝরিয়ে রাস্তায় নেমেছেন।
আরও পড়ুন: অগ্নিসংযোগ-নাশকতার পেছনে আওয়ামী লীগের ক্যাডাররা: রিজভী
তিনি বলেন, বাংলাদেশের জনগণ বিশ্বের গণতন্ত্রপ্রিয় দেশ ও আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানগুলোর ইতিবাচক ভূমিকাকে কৃতজ্ঞতার সঙ্গে স্বীকার করে। অনুপ্রেরণামূলক কূটনৈতিক উদ্যোগ রাজনৈতিক সম্পৃক্ততা ও মতাদর্শকে অতিক্রম করে জনগণের জন্য ক্ষমতা পুনরুদ্ধারের অভিন্ন লক্ষ্যে বাংলাদেশীদের ঐক্যবদ্ধ করেছে।
রিজভী বলেন, বাংলাদেশের বর্তমান স্বৈরাচারী সরকারের পাশে অন্য কোনো দেশকে দেখতে গণতন্ত্রপন্থী নাগরিকরা পছন্দ করে না।
তিনি বলেন, পারস্পরিক ব্যবসা-বাণিজ্য ও অন্যান্য দ্বিপাক্ষিক স্বার্থে রাশিয়া বাংলাদেশের দীর্ঘদিনের বন্ধু। বিএনপি রাশিয়ার ঐতিহাসিক অবদানকে স্বীকৃতি দেয় এবং দুই দেশের নাগরিকদের মধ্যে সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ককে মূল্য দেয়।
তিনি বলেন, 'আমরা আশা করি, রাশিয়া বাংলাদেশিদের ইচ্ছার বিরুদ্ধে যাবে না। আমাদের জনগণ যখন ভোটাধিকার ও মৌলিক স্বাধীনতা পুনরুদ্ধারের জন্য প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে, তখন রাশিয়ার সমর্থন করাই উচিৎ হবে।’
আরও পড়ুন: বিশ্ব স্বীকৃতি দিয়েছে বিএনপির বিরুদ্ধে সন্ত্রাসের অপপ্রচার একতরফা নির্বাচনের কৌশল: রিজভী
৭৬৪ দিন আগে
নির্বাচনে এলে বিএনপির অনেকের জামানত বাজেয়াপ্ত হয়ে যাবে: জাহিদ মালেক
স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, বিএনপি নির্বাচনে আসতে ভয় পায়, তারা নির্বাচনে এলে অনেকের জামানত বাজেয়াপ্ত হয়ে যাবে।
শুক্রবার সন্ধ্যায় মানিকগঞ্জ সদর উপরজেলা জাগির উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে এক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘দেশের মানুষ শেখ হাসিনার পক্ষে আছে। যতো আন্দোলন করুক না কেন বিএনপি-জামায়াতের এতো শক্তি নেই যে ধাক্কা দিয়ে সরকারকে ফেলে দিবে। তাদের এতো শক্তি নেই যে নির্বাচন বানচাল করতে পারবে। আগামী ৭ জানুয়ারি দেশে অবাধ, সুষ্ঠ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন হবে।’
আরও পড়ুন: মানুষ হত্যা করে ক্ষমতায় আসা যাবে না: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি আরশেদ আলী বিশ্বাসের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক জাহিদুল ইসলামের সঞ্চালনায় মতবিনিময় সভায় বক্তব্য দেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আইনজীবী গোলাম মহীউদ্দীন, সহ-সভাপতি পৌর মেয়র রমজান আলী, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সুলতানুল আজম খান আপেল, সাংগঠনিক সম্পাদক সুদেব সাহা, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ইসরাফিল হোসেন, সাধারণ সম্পাদক আফসার উদ্দিন সরকার, জেলা শ্রমিক লীগের সভাপতি বাবুল সরকার, জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি আবু বকর সিদ্দিক তুষার প্রমূখ।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, বিএনপি জামায়াতের সময় বলা হয়েছিল মেয়েদের শিক্ষার প্রয়োজন নেই। তারা ঘরে থাকবে। তাদের বাইরে যাওয়ার প্রয়োজন নেই। কিন্ত শেখ হাসিনা ক্ষমতায় আসার পর নারীরা সবক্ষেত্রে এগিয়ে যাচ্ছেন। তারা দেশের প্রতিনিধিত্ব করছেন।
বিএনপিকে নির্বাচনে আসার আহ্বান জানিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আপনাদের নির্বাচনে আসার সেই সাহস নেই। কারণ জ্বালাও-পোড়াও করে ভোট পাওয়া যায় না; মানুষকে হত্যা করে ভোট পাওয়া যায় না।’
আরও পড়ুন: এডিস মশা থাকলে ডেঙ্গু রোগীও থাকবে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
জনবল সংকটকে চিকিৎসা খাতে বড় চ্যালেঞ্জ দেখছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী
৭৬৫ দিন আগে
রবিবার মনোনয়ন প্রত্যাশীদের সঙ্গে বৈঠক করবে আ. লীগ
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মনোনয়ন প্রত্যাশীদের সঙ্গে রবিবার (২৬ নভেম্বর) মতবিনিময় সভা করবে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ।
সকাল ১০টায় গণভবনে আওয়ামী লীগ ও সংসদীয় মনোনয়ন বোর্ডের সভাপতি শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে এ সভা অনুষ্ঠিত হবে।
শুক্রবার আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সকল সদস্য ও মনোনয়ন প্রত্যাশীদের জাতীয় পরিচয়পত্রের ফটোকপি ও প্রাপ্ত মনোনয়ন ফরমের কপি নিয়ে সভায় উপস্থিত থাকার আহ্বান জানিয়েছেন।
আরও পড়ুন: নৌকা প্রতীকের মনোনয়ন কিনেছেন যেসব তারকা
মনোনয়ন ফরম বিক্রিতে আ. লীগের আয় ৪ দিনে ১৬.৮১ কোটি টাকা
৭৬৫ দিন আগে
বিএনপি রাষ্ট্র, সমাজ ও সাংবাদিকদের শত্রু: তথ্যমন্ত্রী
তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ‘এই রাষ্ট্র-সমাজ ও সাংবাদিকদের শত্রু বিএনপি, এরা মানবতারও শত্রু। এদের প্রতিহত করতে হবে।’
শুক্রবার (২৪ নভেম্বর) সন্ধ্যায় চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের বঙ্গবন্ধু হলে সাপ্তাহিক ‘চাঁটগার সংবাদ’ পত্রিকার ১১তম বর্ষপূর্তি আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তথ্যমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: বিদেশে বসে গুজব রটনাকারীদের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট দেশে মামলা হচ্ছে: তথ্যমন্ত্রী
তিনি বলেন, ‘বিএনপি দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করতে গিয়ে এখন ইঁদুরের গর্তে ঢুকেছে। তাদের নেতারা গর্তের মধ্য থেকে একটু একটু করে তাকিয়ে কর্মসূচি ঘোষণা করে।’
তিনি আরও বরেন, ‘তারা গাড়িতে চোরাগুপ্তা হামলা চালায়, মানুষের উপর হামলা চালায়, স্কুল-ঘর পুড়িয়ে দেয়, ৩২ জন সাংবাদিককে পিটিয়ে আহত করেছে। বিএনপির নেতা-কর্মীরা সাংবাদিকের বেশ ধরে গাড়িতে আগুন দিতে যায়।’
হাছান মাহমুদ বলেন, ‘২০১৩, ১৪ ও ১৫ সালে দেশকে ধ্বংস করার জন্য বায়তুল মুকাররমে আগুন দেওয়া হয়েছিল। পবিত্র কোরআনে আগুন দেওয়া হয়েছিল, শত শত মানুষকে আগুনে পুড়িয়ে হত্যা করা হয়েছিল। সাড়ে তিন হাজার গাড়ি পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল। বহু ট্রেন-লঞ্চে আগুন ধরিয়ে দেয়া হয়েছিল। শতাধিক ড্রাইভারকে পুড়িয়ে হত্যা করেছে বিএনপি-জামাত।’
শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সেই অগ্নিসন্ত্রাসকে মোকাবিলা করে আমরা দেশকে এগিয়ে নিয়ে গেছি উল্লেখ করে সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, ‘২০১৮ সালেও সেই একই অপচেষ্টা হয়েছিল, তারা সফল হয়নি। এবারও দেশের বিরুদ্ধে অনেক ষড়যন্ত্র হয়েছে, এখনও হচ্ছে। এই ষড়যন্ত্রকারীদের প্রতিহত করতে হবে।’
চাঁটগার সংবাদ পত্রিকার জন্য শুভকামনা জানিয়ে গণমাধ্যমের উদ্দেশে ড. হাছান বলেন, আজকে যে দেশটা বদলে গেল, মানব উন্নয়ন, সামাজিক, অর্থনৈতিকসহ সব সূচকে আমরা যে পাকিস্তানকে পেছনে ফেলেছি, পাকিস্তান যে আজকে আমাদের দিকে তাকিয়ে হা-হুতাশ করে, বাংলাদেশ কীভাবে তাদের পেছনে ফেলে এগিয়ে গেল।
তিনি আরও বলেন, আমরা মানব উন্নয়ন, সামাজিক ও স্বাস্থ্য সূচকে ভারতকেও পেছনে ফেলেছি। এমনকি মাথাপিছু আয়ের ক্ষেত্রে ভারতকে আমরা অতিক্রম করেছি, সেই সত্যটা গণমাধ্যমে প্রকাশিত হতে হবে।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, সব প্রতিকূলতা ও প্রতিবন্ধকতাকে উপড়ে ফেলে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আজকে দেশ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ হলো, সেই গল্পটাও গণমাধ্যমে আসা দরকার।
আরও পড়ুন: বিএনপির আগুনসন্ত্রাসের বিরুদ্ধে কলম ধরুন: সাংবাদিকদের প্রতি তথ্যমন্ত্রী
নির্বাচনে আসার জন্য সরকার কাউকে চাপ সৃষ্টি করছে না: তথ্যমন্ত্রী
৭৬৫ দিন আগে
রাষ্ট্রীয় কোষাগার থেকে লুটপাট করে নতুন দল তৈরি করছে সরকার: রিজভী
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী অভিযোগ করেছেন, রাষ্ট্রীয় কোষাগার থেকে লুটপাট করা টাকা দিয়ে সরকার বিভিন্ন দলের ত্যাগী লোকদের নিয়োগ দিয়ে নতুন দল তৈরি করছে।
শুক্রবার (২৪ নভেম্বর) এক ভার্চুয়াল প্রেস ব্রিফিংয়ে দেওয়া বক্তব্যে বলেন, বিশ্বাসযোগ্য ভোটে জয়ী হওয়ার সুযোগ না থাকায় জনগণকে একতরফা নির্বাচন করার জন্য ফাউল গেম অবলম্বন করার অভিযোগ করেন তিনি।
এই বিএনপি নেতা বলেন, ‘জনপ্রিয় রাজনৈতিক দল কখনই অন্য কোনো রাজনৈতিক দলের নেতা-কর্মীদের নিয়োগ দেয় না। গ্রামাঞ্চলের টাউট এবং খারাপ মানুষেরা বিরোধীদের সমস্যায় ফেলতে এটা করে...শেখ হাসিনাও একই কাজ করছেন।’
তিনি বলেন, সুবিধাবাদীরা বিভিন্নভাবে বিভিন্ন দলে অনুপ্রবেশ করে এবং এই লোকেরা নিজেদের লাভের সুযোগ পেলেই তাদের আসল রঙ পরিবর্তন করে। ‘এরশাদের শাসনামলে আমরা তাকে এই ধরনের লোক নিয়ে দল ও সরকার গঠন করতে দেখেছি। শেখ হাসিনা এখন সেই অশুভ পন্থা অনুসরণ করছেন।’
আরও পড়ুন: বিশ্ব স্বীকৃতি দিয়েছে বিএনপির বিরুদ্ধে সন্ত্রাসের অপপ্রচার একতরফা নির্বাচনের কৌশল: রিজভী
রিজভী আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গোয়েন্দা সংস্থাগুলোকে নির্দেশ দিয়েছেন বিএনপি ও সমমনা দলের লোকদের বিভিন্নভাবে লোভ দেখিয়ে নিয়োগ দিতে।
তিনি আরও বলেন, গোয়েন্দা সংস্থাগুলো এখন লোকদেরকে টাকা দিয়ে লোভ দেখিয়ে দলে নিয়ে যাচ্ছে এবং নিশ্চিত মনোনয়ন ও বিজয়ের প্রতিশ্রুতি দিচ্ছে।
তিনি বলেন, একদিকে তিনি (প্রধানমন্ত্রী) আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে ব্যবহার করে জনগণকে দমন করতে সব ধরনের নিষ্ঠুর পদক্ষেপ নিচ্ছেন, অন্যদিকে অর্থ ব্যবহার করে বিভিন্ন পক্ষের ফেলে দেওয়া লোকদের নিয়ে দল গঠনের চালাকি চালাচ্ছেন। রাষ্ট্রীয় কোষাগার থেকে লুট করা হয়েছে।’
বিএনপির এই নেতা বলেন, অন্য স্বৈরাচারীদের মতো শেখ হাসিনাও ক্ষমতাকে আঁকড়ে ধরার জন্য নির্লজ্জ ও ঘৃণ্য কর্মকাণ্ডে লিপ্ত। ‘কারণ জনগণের কাছে গিয়ে একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনে জয়ী হওয়ার কোনো উপায় তার নেই। তাই নির্বাচনকে সামনে রেখে তিনি সব গণবিরোধী, অনৈতিক কর্মকাণ্ড ও নানা অপকর্মে লিপ্ত হচ্ছেন।
তিনি অভিযোগ করেন, নির্বাচনের মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নের জন্য সরকার বিএনপি নেতা-কর্মীদের বেপরোয়াভাবে গ্রেপ্তার এবং তাদের বাড়িতে অভিযান অব্যাহত রেখেছে। এজন্য সারাদেশে র্যাবের ৪২৮টি কেন্দ্র স্থাপন করা হয়েছে।
বিশ্বকাপ ফাইনালে প্রতিবেশী দেশের ক্রিকেট দলের পরাজয়ে বাংলাদেশিদের উদযাপন নিয়ে ভারতীয় রাজনীতিবিদদের ক্ষোভের বিষয়ে তিনি ভারতীয় মিডিয়া ও নীতিনির্ধারকদের প্রতি বাংলাদেশে ভারতবিরোধী মনোভাব বৃদ্ধির কারণ খুঁজে বের করার আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের জনগণ এখন গণতান্ত্রিক ও মৌলিক অধিকারের অভাবে… শেখ হাসিনা কেন সুষ্ঠু নির্বাচন দিচ্ছেন না? কারণ অনেক দেশ (ভারত সহ) তাকে ক্ষমতায় থাকার গ্যারান্টি দিচ্ছে, যাতে সে তাদের উদ্দেশ্য পূরণ করতে পারে। এ কারণে অনেক দেশ তাকে পৃষ্ঠপোষকতা করছে।’
আরও পড়ুন: নির্বাচনে কারচুপি করতে সরকার এজেন্সিগুলো ব্যবহার করে কিংস পার্টি গঠন করছে: রিজভী
অগ্নিসংযোগ-নাশকতার পেছনে আওয়ামী লীগের ক্যাডাররা: রিজভী
৭৬৫ দিন আগে
বিএনপি দেশের অর্থনীতিকে ধ্বংস করার পথ বেছে নিয়েছে: ওবায়দুল কাদের
শুক্রবার (২৪ নভেম্বর) বিকালে রাজধানীর ধানমন্ডিতে দলীয় সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে তিনি এ মন্তব্য করেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি এখন গোপন হামলা, নাশকতা ও যানবাহন ভাঙচুর করছে।
তিনি বলেন, ‘এটা সরকারের সাফল্য যে জনগণ নির্বাচনকেন্দ্রিক হয়ে উঠেছে। এসব গোপন হামলার মাধ্যমে নির্বাচন নষ্ট বা বানচাল করা অসম্ভব। সংবিধান অনুযায়ী যথাসময়ে নির্বাচন হবে।’
বিএনপির কঠোর কর্মসূচির কথা বলতে গিয়ে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিএনপি যা যা করেছে এর চেয়ে কঠোর কর্মসূচি পৃথিবীতে দৃষ্টান্ত আর নেই- আগুন দিয়ে বাস পোড়ানো, পার্কিং করা গাড়িতে ঘুমন্ত চালককে মারা, হরতাল, অবরোধ- ২০১৩/১৪ সালের পুনরাবৃত্তি। নাশকতার চেয়ে আর কি কঠোর কর্মসূচি আছে?
ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি নির্বাচনে আসবে না এককথায় উড়িয়ে দেওয়া যায়না। বিএনপির এখনও সুযোগ আছে। বিএনপি জোটগতভাবে না এলেও বিএনপির ভেতরের অনেকেই নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছে। শেষ পর্যন্ত ছবিটা কোথায় যায় দেখা যাক।
তিনি বলেন, নির্বাচন নিয়ে বহিঃশক্তির মন্তব্যকে স্বাগত জানাচ্ছি না। সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচনে আমাদের মনোযোগ। আমাদের নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বৃহৎশক্তির দেশগুলোর মন্তব্যে আমরা শরিক হতে চাই না।
সংসদীয় মনোনয়ন নিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, এ পর্যন্ত চারটি বিভাগে মনোনয়ন চূড়ান্ত হয়েছে। আগামীকাল সম্ভব না হলে পরশু রবিবার দলীয়ভাবে ৩০০ আসনে আওয়ামী লীগ প্রার্থীদের তালিকা প্রকাশ করা হবে। আজকের সভাতেও কিছু পুরনো বাদও গেছে, নতুনও মনোনয়ন পেয়েছে। তবে কৌশলগত কারণে কোন কোন বিভাগের মনোনয়ন চূড়ান্ত হয়েছে তা আর প্রকাশ করা হচ্ছে না। এক সঙ্গে ৩০০ আসনের প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করা হবে। দুটা দিন অপেক্ষা করুন।
মনোনয়নে বাদ পড়ার কারণ সম্পর্কে ওবায়দুল কাদের বলেন, যারা উইনঅ্যাবল ও ইলেক্টঅ্যাবল না, জনগণের কাছে গ্রহণযোগ্যতা অনেকেই হারিয়ে ফেলেছেন। নারী-পুরুষ সব প্রার্থীর ক্ষেত্রেই মনোনয়নে এটা প্রযোজ্য।
ক্রিকেটার সাকিব আল হাসানের আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ভারতের পশ্চিমবঙ্গে কত নায়ক-নায়িকা এমপি। তারা তো সরাসরি দল করে না। ভারতের মতো বৃহৎ গণতান্ত্রিক দেশেও আছে।
আর সাকিব আল হাসান রাজনীতি করবে, জনগণের সেবা করবে। বাংলাদেশের যেকোন জায়গায় সে দাঁড়াতে পারে।
৭৬৫ দিন আগে
মূল চ্যালেঞ্জ হলো ভোটারদের ভোটকেন্দ্রে আনা: জাপা মহাসচিব চুন্নু
জাতীয় পার্টির (জাপা) মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু আগামী নির্বাচনে ভোটারদের ভোটকেন্দ্রে নিয়ে আনাকেই প্রধান চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখছেন।
তিনি বলেন, ‘আমরা চাই ভোটাররা যাতে অবাধে ভোটকেন্দ্রে এসে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারে। আমাদের আশ্বস্ত করা হয়েছিল, ভোটাররা নির্বাচনে স্বাধীনভাবে তাদের ভোট দিতে পারবে।’
শুক্রবার (২৪ নভেম্বর) দলের চেয়ারম্যানের প্রেস সেক্রেটারি-২ খন্দকার দেলোয়ার জালালীর সই করা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ঢাকার বনানীতে দলের চেয়ারম্যানের কার্যালয়ে রংপুর ও রাজশাহী বিভাগের মনোনয়ন প্রত্যাশীদের সঙ্গে সাক্ষাতের পর সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে চুন্নু এসব কথা বলেন।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, জাপাতে কোনো বিভক্তি নেই এবং দলের চেয়ারম্যান জিএম কাদেরের অধীনে ঐক্যবদ্ধ তারা।
দল প্রতিষ্ঠায় রওশন এরশাদের ভূমিকার কথা স্মরণ করে মহাসচিব চুন্নু বলেন, তিনি নির্বাচনে অংশ নিলে আমরা সব ধরনের সহযোগিতা করব। রওশন এরশাদ ও সাদ এরশাদ এখনও মনোনয়নপত্র নেননি।
তিনি বলেন, রওশন এরশাদের মনোনয়ন ফরম নেওয়ার কোনো সময়সীমা নেই এবং তিনি যখনই চাইবেন তাকে তা পাঠানো হবে।
হরতাল-অবরোধের কারণে অনেক মনোনয়নপ্রত্যাশী ঢাকায় মনোনয়নপত্র নিতে আসতে পারেননি বলে অভিযোগ করেন চুন্নু। তাই সময় একদিন বাড়ানো হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘প্রার্থীদের সাক্ষাৎকার চলছে, আশা করছি ২৭ নভেম্বর আমাদের চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করা হবে।’
মহাসচিব বলেন, মনোনয়ন বোর্ডের সভাপতি এবং দলের চেয়ারম্যানও মনোনয়ন বোর্ডের আদেশের ভিত্তিতে মনোনয়ন চূড়ান্ত করবেন এবং তিনি ইচ্ছা করলেই মনোনয়ন পরিবর্তন করতে পারবেন।
দলীয় সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করলে বিদ্রোহী প্রার্থীদের বহিষ্কার করা হবে বলে হুঁশিয়ারি দেন তিনি।
আগামীকাল খুলনা, বরিশাল ও সিলেট বিভাগের মনোনয়নপ্রত্যাশীদের সাক্ষাৎকার নেওয়া হবে এবং পরশু ঢাকা, চট্টগ্রাম ও ময়মনসিংহ বিভাগের মনোনয়নপ্রত্যাশীরা সাক্ষাৎকারে মুখোমুখি হবেন।
সব আসনের সম্ভাব্য প্রার্থীদের মধ্যে এ পর্যন্ত মোট ১ হাজার ৭৫২টি মনোনয়ন ফরম বিতরণ করা হয়েছে।
পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদেরের সভাপতিত্বে সাক্ষাৎকারে উপস্থিত ছিলেন সিনিয়র কো-চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ, কো-চেয়ারম্যান এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদার, কাজী ফিরোজ রশীদ, সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা, মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা ও প্রেসিডিয়াম সদস্য ফখরুল ইসলাম প্রমুখ।
৭৬৫ দিন আগে
ডিসেম্বরে অবরোধের পরিবর্তে অবস্থান কর্মসূচির পরিকল্পনা বিএনপির
ডিসেম্বরের শুরুতে হরতাল-অবরোধের মতো কঠোর কর্মসূচি থেকে সরে এসে বিক্ষোভ ও অবস্থান কর্মসূচি দেওয়ার পরিকল্পনা করছে বিএনপি।
মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার সময়সীমা শেষ হওয়ার আগে কোনো ইতিবাচক অগ্রগতি না হলে আগামী ৭ জানুয়ারির দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের আগে নিজেদের শক্তি প্রদর্শনের জন্য এই পরিবর্তনের কথা ভাবা হচ্ছে।
ইউএনবির সঙ্গে আলাপকালে বিএনপির সিনিয়র নেতারা জানান, দলীয় নেতাদের খোলাখুলিভাবে নির্বাচনে যাওয়ার সুযোগ তৈরির লক্ষ্যে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার সময়সীমা শেষ হওয়ার পর হরতাল-অবরোধের পরিবর্তে বিক্ষোভ, অবস্থান কর্মসূচি ও মিছিলের মতো বিকল্প কর্মসূচি নেবে তারা।
তারা বলেন, নভেম্বরে তাদের প্রথম ধাপের আন্দোলন শেষ হবে এবং তারপর বিরোধী দলগুলোর সঙ্গে কোনো বোঝাপড়া ছাড়াই তাদের বর্তমান নির্বাচনী পরিকল্পনা নিয়ে সরকার ও নির্বাচন কমিশন (ইসি) এগিয়ে গেলে, নির্বাচন বানচালের জন্য নতুন কৌশল নিয়ে তারা দ্বিতীয় দফা আন্দোলন শুরু করবে এবং 'একতরফা' নির্বাচন বর্জন করতে জনমত তৈরি করবে।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির একজন সদস্য নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, পশ্চিমা বিশ্বের অব্যাহত চাপে পরিস্থিতির ইতিবাচক পরিবর্তন আসতে পারে, তাই তারা ভিন্নভাবে আন্দোলন চালিয়ে যাবেন। ‘ডিসেম্বরের মাঝামাঝি পর্যন্ত কোনো উন্নয়ন না হলে, আমরা নির্বাচন ব্যাহত করার জন্য আমাদের কৌশল পরিবর্তন করব এবং আবার হরতাল বা অবরোধ কার্যকর করব।’
তিনি বলেন, গণগ্রেপ্তার এবং দলের নেতা-কর্মীদের উপর দমন-পীড়নের কারণে পরিস্থিতি অত্যন্ত প্রতিকূল। নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পরও জনগণের মধ্যে নির্বাচন নিয়ে দৃশ্যমান উৎসাহ না থাকায় তাদের প্রথম দফা আন্দোলন সফল হয়েছে।
এই বিএনপি নেতা বলেন, তারা এখন বিকল্প কার্যকর কর্মসূচি খুঁজছেন। কারণ তারা মনে করেন, কারণ মানুষকে কোনো স্বস্তি না দিয়ে দীর্ঘদিন ধরে হরতাল-অবরোধের মতো কর্মসূচি চালিয়ে গেলে জনগণ বিরক্ত হতে পারে।
তিনি বলেন, তাদের সাম্প্রতিক স্থায়ী কমিটির বৈঠকে তাদের চলমান কর্মসূচি পর্যালোচনা করা হয়েছে এবং পরবর্তী কর্মপন্থা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। ‘আমাদের বেশিরভাগ স্থায়ী কমিটির সদস্য ইসি ঘোষিত বর্তমান নির্বাচনের তফসিল অনুযায়ী মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত অবরোধ অব্যাহত রাখার মত প্রকাশ করেছেন। এরপর আমরা বিক্ষোভ, সমাবেশ, মিছিল, অবস্থান কর্মসূচি ঘোষণা করব।’
নির্বাচনের তফসিল পরিবর্তন না করলে আগামী ৩০ নভেম্বর হরতাল বা অবরোধের পরিবর্তে ঢাকায় ইসির কার্যালয় এবং জেলা পর্যায়ের রিটার্নিং কর্মকর্তাদের অফিস ঘেরাও করার প্রস্তাব দিয়েছেন দলের কয়েকজন নীতিনির্ধারক।
এই বিএনপি নেতা বলেন, তারা অন্য বিরোধী দলগুলোর সঙ্গেও কথা বলেছে, যারা দীর্ঘদিন ধরে তাদের সঙ্গে একযোগে আন্দোলন করে আসছে; তারাও একই মতামত দিয়েছেন। ‘তারা ইসি, সচিবালয়সহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান অবরোধ বা সেখানে অবস্থান কর্মসূচি পালনের পাশাপাশি জনসভা করার পরামর্শ দেন। বিরোধী দলগুলোকে তাদের গণতান্ত্রিক কর্মসূচি পালন করতে না দিলে ইসির ভূমিকা প্রশ্নবিদ্ধ হবে বলে তারা মত দেন।
বিএনপি ও জোটের শরিকদের নেতারা মনে করছেন, মনোনয়নপত্র দাখিলের সময়সীমা শেষ হলে আওয়ামী লীগের ছেড়ে দেওয়া আসনে ক্ষমতাসীন দলের বিদ্রোহী প্রার্থী ও ছোট দলের প্রার্থীদের মধ্যে হাতাহাতি হবে। অংশীদার এবং যারা একটি বোঝাপড়া ও প্রতিশ্রুতির ভিত্তিতে নির্বাচনে যোগদান করছে।
এই বিএনপি নেতা বলেন, ‘যদি এমন পরিস্থিতি আসে, তাহলে আমরা আমাদের রাজনৈতিক লাভের জন্য একটি সময়োপযোগী কৌশল নিয়ে আসব।’
গত ২৮ অক্টোবর রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির মহাসমাবেশে সংঘর্ষ ও সহিংসতার ঘটনার পর গত ২৯ অক্টোবর থেকে ছয় দফায় ১৩ দিন দেশব্যাপী অবরোধ এবং দুই দফায় তিন দিন হরতাল পালন করে বিএনপি ও সমমনা জোট ও বিরোধী দলগুলো।
অবরোধের ষষ্ঠ ধাপ শুক্রবার সকাল ৬টায় শেষ হয়েছে এবং রবিবার সকাল ৬টা থেকে ফের ৪৮ ঘণ্টার অবরোধ শুরু হবে।
যোগাযোগ করা হলে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেন, আগামী সপ্তাহব্যাপী অবরোধ চলবে। এর পর জনগণের আকাঙ্ক্ষা অনুযায়ী নতুন ধরনের কর্মসূচি প্রণয়ন করা হবে।
তিনি বলেন, তাদের দলের নীতিনির্ধারকরা ‘একতরফা’ জাতীয় নির্বাচন বানচালের জন্য আরও জনসমর্থন জোগাড় করতে সম্ভাব্য পরবর্তী পদক্ষেপ নিয়ে আলোচনা করছেন। ‘আমরা এখনও কর্মসূচি চূড়ান্ত করিনি।’
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান বলেন, তৃণমূল পর্যায়ের জনগণ স্বতঃস্ফূর্তভাবে বর্তমান আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে স্বৈরাচারী সরকারের বিরুদ্ধে, যারা পুলিশ ও প্রশাসনের সহায়তায় বিরোধী দলের নেতাদের দমন করার চেষ্টা করছে।
তিনি বলেন, 'আমরা পূর্ণ ধৈর্য ধরে নিয়মতান্ত্রিক আন্দোলন এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছি। এই সরকার জনগণের দৃঢ় মনোবল ও ন্যায়সঙ্গত আন্দোলনের কাছে হার মানতে বাধ্য হবে। জনগণ বিএনপিকে হৃদয় থেকে গ্রহণ করেছে এবং তারা দুঃশাসন থেকে মুক্তি চায়।’
বিএনপির আরেক স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু বলেন, নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর এক সপ্তাহ অতিবাহিত হলেও এখনও জনগণের মধ্যে নির্বাচনী উৎসাহ দেখা যাচ্ছে না। ‘এটা স্পষ্টভাবে প্রতীয়মান হয়েছে যে কেউ নির্বাচনে আগ্রহী নয়। তাই আমাদের আন্দোলন সফল এবং জনগণ আমাদের সঙ্গে আছে। জনগণ কোনো একতরফা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে না।’
তিনি আরও বলেন, জনগণের আকাঙ্ক্ষা এবং নতুন রাজনৈতিক উন্নয়নের ভিত্তিতে আন্দোলন নিজেই তার পরবর্তী পথ নির্ধারণ করবে।
৭৬৫ দিন আগে