রাজনীতি
আগামী নির্বাচনকে সামনে রেখে মাঠ পর্যায়ের প্রশাসন নিয়ে চিন্তা নেই: ইসি রাশেদা
আগামী ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিতব্য দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনকে কেন্দ্র করে মাঠ পর্যায়ের প্রশাসন নিয়ে কোনো উদ্বেগ নেই বলে আশ্বাস দিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার (ইসি) রাশেদা সুলতানা।
তিনি বলেন, ইসি সবার সঙ্গে মিলে একটি সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের প্রস্তাব দেবে।
শুক্রবার (২৪ নভেম্বর) সকালে রংপুর বিভাগীয় কমিশনারের সম্মেলনকক্ষে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে প্রস্তুতি সভা শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে কমিশনার রাশেদা এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: নির্বাচন কারো জন্য অপেক্ষা করবে না: ইসি আনিছুর
তিনি বলেন, ‘কমিশন এখন ভোটারদের জন্য একটি নতুন আইন করেছে। তাদের (ভোটারদের) অধিকার কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা করলে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
নির্বাচন বিলম্বিত হতে পারে কি না জানতে চাইলে ইসি বলেন, ‘নির্বাচন যথাসময়ে হবে, তফসিল পেছানোর কোনো সুযোগ নেই। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী যেকোনো পরিস্থিতিতে মোকাবিলা করবে।’
রংপুর বিভাগীয় কমিশনার হাবিবুর রহমানের সভাপতিত্বে রংপুর, কুড়িগ্রাম, গাইবান্ধা ও লালমনিরহাট জেলার রিটার্নিং কর্মকর্তা, পুলিশ সুপার, ঊর্ধ্বতন জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: ইসি ও আঞ্চলিক নির্বাচন অফিসে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে: ডিএমপি
সন্ধ্যায় জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণে তফসিল ঘোষণা করবেন সিইসি
৭৬৫ দিন আগে
সুইডেন আওয়ামী লীগের সভাপতি জাহাঙ্গীর কবিরের মৃত্যুতে মোমেনের শোক
আওয়ামী লীগের সুইডেন শাখার সভাপতি জাহাঙ্গীর কবিরের মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন।বৃহস্পতিবার (২৩ নভেম্বর) এক শোকবার্তায় পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, জাহাঙ্গীর বিদেশে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি তুলে ধরতে অত্যন্ত ইতিবাচক ভূমিকা পালন করেছেন।
মোমেন মরহুমের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি সমবেদনা জানান।
মঙ্গলবার (২১ নভেম্বর) সকালে সুইডেনের রাজধানী স্টকহোমের একটি হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন জাহাঙ্গীর কবির।
৭৬৬ দিন আগে
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে ৯ দলের ১৪ নেতার সাক্ষাৎ
জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে ৯টি রাজনৈতিক দলের শীর্ষ ১৪ নেতার একটি প্রতিনিধি দল আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে তার সরকারি বাসভবন গণভবনে সাক্ষাৎ করেছেন।
এ সময় নেতারা জাতীয় নির্বাচনের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করেন।
আরও পড়ুন: ফখরুলের জামিন নামঞ্জুরে সরকারের কোনো প্রভাব নেই: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠানে গৃহীত বিভিন্ন পদক্ষেপের জন্য তারা শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ জানান।
নেতারা বঙ্গবন্ধু কন্যার নেতৃত্বে বাংলাদেশের সার্বিক উন্নয়নের ভূয়সী প্রশংসা করেন।
আরও পড়ুন: নির্বাচনকে সামনে রেখে নাশকতা ও অপপ্রচার প্রতিহত করাই আ. লীগের মূল লক্ষ্য: কাদের
পরে প্রতিনিধিদল শেখ হাসিনার কাছে একটি ক্যালিগ্রাফি উপহার দেন।
রাজনৈতিক দলগুলো হলো- বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্ট, বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলন, ইসলামী ঐক্যজোট, বাংলাদেশ মুসলিম লীগ, ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশ, বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টি, বাংলাদেশ ইসলামী ঐক্যজোট, আশেকান আউলিয়া ঐক্য পরিষদ ও জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশ।
আরও পড়ুন: বিএনপির আগুনসন্ত্রাসের বিরুদ্ধে কলম ধরুন: সাংবাদিকদের প্রতি তথ্যমন্ত্রী
৭৬৬ দিন আগে
নির্বাচন কারো জন্য অপেক্ষা করবে না: ইসি আনিছুর
নির্বাচন কমিশনার (ইসি) আনিছুর রহমান বলেছেন, 'নির্বাচন কারো জন্য অপেক্ষা করবে না। সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতার জন্য নির্বাচন করতে হবে, না হয় সাংবিধানিক শূন্যতা সৃষ্টি হবে। নিশ্চয়ই এটা আমাদের কাম্য হতে পারে না।'
বুধবার (২৩ নভেম্বর) দুপুরে সিলেট জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে সিলেট ও সুনামগঞ্জের নির্বাচন সংশ্লিষ্ট সরকারি দপ্তরসমূহের কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক শেষে উপস্থিত সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।
আনিছুর বলেন, 'একটি দল' নির্বাচনে আসলে নির্বাচন পেছানোর বিষয় বিবেচনা করা যাবে। 'তারা (দলের নাম নেননি) নির্বাচনে আসলে আমরা বিবেচনা করব। আমাদের সুযোগ আছে পেছানোর, কারণ পরে যথেষ্ট সময় আছে। তবে এখন পর্যন্ত কারো কাছ থেকে ওইরকম তথ্য পাইনি।'
নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে শতভাগ দল নিয়ে নির্বাচন করার পরিকল্পনা আছে কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, 'শতভাগ কখনোই আসেনি, ইতিহাস বলে। অধিকাংশ দল নির্বাচন করে, সেটাই তখন নির্বাচনী আমেজ চলে আসে। আমরা দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকে বরাবরই আহ্বান জানাচ্ছি, আমাদের নিবন্ধিত ৪৪টা দলের সবাই নির্বাচনে অংশগ্রহণ করুক।'
বিএনপি নির্বাচনে না আসলে প্রভাব পড়ার কোনও আশঙ্কা আছে কিনা এমন প্রশ্নে ইসি আনিছুর রহমান বলেন, ‘গণমাধ্যমে আসা তথ্য অনুযায়ী ৭০ ভাগ দল নির্বাচনে অংশগ্রহণের কথা উঠছে। ৭০ ভাগ যদি হয়ে থাকে, যদিও কত ভাগ সেটি নির্বাচন কমিশন বিশ্লেষণ করেনি। যদি ৭০ ভাগই অংশ নিয়ে থাকে তবে নির্বাচনে প্রভাব পড়ার কোনও কারণ নেই।’
নির্বাচনী পরিবেশ সম্পর্কে তিনি বলেন, এখন পর্যন্ত নির্বাচনী পরিবেশ বিঘ্ন হওয়ার মতো কিছু দেখছি না। যেহেতু একটা চলমান রাজনৈতিক কর্মসূচি আছে, সেটাকে কেন্দ্র করে বিচ্ছিন্নভাবে কিছু ঘটনা হয়েছে। সেটার সাথে নির্বাচনকে মেলানো ঠিক হবে না। এটা নির্বাচনকে উপলক্ষ করেই হচ্ছে, কিন্তু নির্বাচনী পরিবেশ বিঘ্ন করছে এমন কিছু পরিলক্ষিত হয়নি।'
৭৬৬ দিন আগে
চট্টগ্রামে অবরোধে বিএনপির ২০ নেতা-কর্মী গ্রেপ্তার
সরকার পতনের একদফা দাবি ও ঘোষিত নির্বাচনী তফসিল বাতিলের দাবিতে বিএনপির ডাকা ৬ষ্ট দফা অবরোধের দ্বিতীয় দিন চট্টগ্রামে মিছিল ও সড়ক অবরোধকালে আরও ২০জন নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার (২৩ নভেম্বর) মহানগরী ও জেলার বিভিন্ন স্থানে থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
সিএমপির চকবাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মখর্তা (ওসি) মঞ্জুর কাদের মঞ্জুর বলেন, গ্রেপ্তারদের মধ্যে চট্টগ্রাম মহানগর যুবদলের সাংগঠনিক সম্পাদক এমদাদুল হক বাদশাও আছেন। তাকে সন্ধ্যা নগরীর কাতালগঞ্জর পার্কভিউ হাসপাতালের সামনে থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।
এর আগে নগরীর হালিশহর এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে হালিশহর থানা বিএনপির সভাপতি মোশারফ হোসেন ডিপতি।
মহানগর বিএনপির দপ্তরের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা ইদ্রিস আলী এসব তথ্য নিশ্চিত করেন।
তিনি জানান, ১০ নম্বর উত্তর কাট্টলী ওয়ার্ড বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক মোহাম্মদ সেলিমকে বৃহস্পতিবার দুপুরে সাদা পোশাকে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে। দক্ষিণ আগ্রাবাদ ওয়ার্ড স্বেচ্ছাসেবকদল নেতা কাজী মিন্টুকে ডবলমুরিং থানা, পশ্চিম বাকলিয়া ওয়ার্ড বিএনপি নেতা মো. ফারুককে বাকলিয়া থানা, সাতকানিয়া পৌরসভা বিএনপির আহ্বায়ক শওকত আলীকে ডিবি, চকবাজার ওয়ার্ড ছাত্রদল নেতা সাখাওয়াত হোসেন সিনবাদকে চকবাজার থানা, চান্দগাঁও থানা যুবদল নেতা মোরশেদ ফয়সালকে র্যাব, মোহরা যুবদল নেতা নুরুল আবছার ও পূর্ব ষোলশহর ওয়ার্ড যুবদল নেতা মো. আলাউদ্দিনকে চাঁন্দগাও থানা, হাটহাজারী পৌরসভা বিএনপি'র সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক ওয়ার্ড কাউন্সিলর এম এ শুক্কুরকে র্যাব, হাটহাজারী সড়কের ফতেয়াবাদ এলাকা থেকে বিএনপি নেতা আমজাদ আলী, যুবদল নেতা খোরশেদ আলম, ছাত্রদল নেতা কামরুল ইসলাম শিহাব, শহিদুল ইসলাম হৃদয়, মোহাম্মদ রাকিব, তৌহিদুল ইসলাম, সাঈদুল হোসেন অভি, আবুল খায়ের জিসানকে গ্রেফতার করেছে হাটহাজারী থানা পুলিশ।
এদিকে নগর বিএনপির পক্ষ থেকে দেওয়া এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, অবরোধে দিনভর শান্তিপূর্ণভাবে বিক্ষোভকালে মহানগর ও জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে ২০ জন নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার এবং বাঁশখালী উপজেলা ছাত্রদল নেতা মঈনুদ্দীন যায়েদকে না পেয়ে তার ব্যবসায়ী বড় ভাই তৌহিদুল ইসলামকে বাসা থেকে জোরপূর্বক তুলে নিয়ে যায় বাঁশখালী থানা পুলিশ। থানায় রাতভর অমানুষিক নির্যাতন করে বৃহস্পতিবার বিশেষ ক্ষমতা আইনে মিথ্যা মামলা দিয়ে আদালতে চালান করে জেল হাজতে পাঠিয়েছে।
৭৬৬ দিন আগে
বিএনপির ৬২ নেতা-কর্মীর সাড়ে তিন বছরের কারাদণ্ড
পাঁচ বছর আগে রাজধানীর বংশাল থানায় পুলিশের কাজে বাধা ও দাঙ্গার অভিযোগের মামলায় বিএনপির ৬২ নেতা-কর্মীকে পৃথক দুই ধারায় সাড়ে তিন বছর করে কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। বৃহস্পতিবার (২৩ নভেম্বর) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ শেখ সাদীর আদালত এ রায় দেন।
দণ্ডপ্রাপ্তদের মধ্যে রয়েছেন- লতিফ উল্লাহ ফারুক, তাইজুদ্দিন ওরফে লম্বা তাইজু, আ. রহমান ওরফে বোমা রহমান, জহিরুল ইসলাম তুষার ওরফে কালা, মো. রকি প্রমুখ।
দাঙ্গার অভিযোগে আসামিদের দেড় বছর করে কারাদণ্ড, দুই হাজার টাকা করে অর্থদণ্ড, অনাদায়ে তাদের আরও সাত দিনের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
পুলিশের কাজে বাধা দেওয়া অভিযোগে তাদের আরও দুই বছরের কারাদণ্ড, দুই হাজার টাকা করে অর্থদণ্ড, অনাদায়ে আরও সাত দিনের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
২০১৮ সালের সেপ্টেম্বরে বংশাল এলাকায় নাশকতার অভিযোগে পুলিশ মামলাটি দায়ের করে।
৭৬৬ দিন আগে
বিএনপির আগুনসন্ত্রাসের বিরুদ্ধে কলম ধরুন: সাংবাদিকদের প্রতি তথ্যমন্ত্রী
তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ সাংবাদিকদের উদ্দেশে বলেছেন, 'আন্দোলনের নামে গুহা থেকে বের হয়ে অনলাইনে চেহারা দেখিয়ে বিএনপির কর্মসূচির নামে গাড়ি-ঘোড়া পোড়ানো, আগুনসন্ত্রাস চালানো, মানুষের ওপর বোমা নিক্ষেপের কর্মসূচি ঘোষণা করা হচ্ছে। এগুলো কোনো রাজনৈতিক ককর্মসূচি হতে পারে না। এর বিরুদ্ধে দয়া করে আপনারা কলম ধরুন, কথা বলুন।'
বৃহস্পতিবার (২৩ নভেম্বর) দুপুরে রাজধানীর কাকরাইলে তথ্য ভবন মিলনায়তনে সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টের চেক বিতরণকালে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ আহবান জানান।
সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, 'গত ২৮ অক্টোবর বিএনপির সমাবেশের নামে ৩২ জন সাংবাদিককে পিটিয়ে আহত করা হয়েছে। একজন সাংবাদিককে টানা-হেঁচড়া করে মাটিতে ফেলে তাকে পেটানো হয়েছে। এর মধ্যে ২০ জনের বেশি হচ্ছে বিএনপি বিটের সাংবাদিক। তাদেরকে তারা চেনে তারপরও মেরেছে। বাংলাদেশে একদিনে এতো সাংবাদিককে আহত করা আগে কখনো ঘটে নাই।'
হাছান মাহমুদ বলেন, 'শুধু তাই নয়, তারা যখন ক্ষমতায় ছিলো তখন খুলনার হুমায়ুন কবীর বালু, মানিক সাহা, যশোরের সাইফুল ইসলাম মুকুল, শামসুর রহমানসহ ৭ বছরে ১৪ জন সাংবাদিককে শুধু খুলনা, যশোর এলাকাতেই হত্যা করেছে। সাংবাদিকদের ওপর বিএনপি-জামাতের কেন জানি ক্ষোভ এবং তারা যখনই ক্ষমতায় ছিলো সাংবাদিকদের হত্যা করেছে।'
মন্ত্রী বলেন, 'বিএনপি বলেছিল, জোটের সমর্থন নিয়ে তারা দুর্বার আন্দোলনের চেষ্টা করছে, নির্বাচনটাকে ঠেকিয়ে দেবে। অথচ যারা তাদের বাতাস দিয়েছিলো তাদেরও বাতাস ফুরিয়ে গেছে আর গতকালই তাদের ১২ দলীয় জোট থেকে ৩টা নিবন্ধিত দলসহ ৬টি দল বের হয়ে গেছে। জোটের শরিকরাও পালিয়ে যাচ্ছে আর নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার ঘোষণা দিয়েছে। আমার শঙ্কা, যেভাবে তৃণমূল বিএনপি আগাচ্ছে তাতে বিএনপি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়।'
৭৬৬ দিন আগে
একতরফা নির্বাচন প্রতিহত করার হুমকি বিএনপি-জামায়াতসহ সমমনা দলগুলোর
বিএনপিসহ কয়েকটি সমমনা দল ও জোটের নেতারা বলেছেন, দেশের জনগণ তাদের সর্বশক্তি দিয়ে আগামী ৭ জানুয়ারি সরকারের একতরফা জাতীয় নির্বাচন আয়োজনের অপচেষ্টা রুখে দেবে।
বৃহস্পতিবার (২৩ নভেম্বর) তাদের চলমান ৪৮ ঘণ্টার অবরোধের সমর্থনে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশে দেওয়া বক্তব্যে তারা একটি বিশ্বাসযোগ্য ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন অনুষ্ঠানের পথ প্রশস্ত করতে নির্বাচনের তফসিল বাতিলের জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানান।
৪৮ ঘণ্টার অবরোধের দ্বিতীয় দিনে রাজধানীর ফকিরাপুল, মতিঝিল, পান্থপথ, ধূপখোলা, মেরুল বাড্ডা, যাত্রাবাড়ী, আগারগাঁও, শ্যামপুর কদমতলী, ডেমরা, সবুজবাগ, খিলগাঁও, বাংলামোটরসহ বিভিন্ন এলাকায় ঝটিকা মিছিল বের করে বিএনপি ও এর সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা।
এছাড়া গণতন্ত্র মঞ্চ, গণ-অধিকার পরিষদের দুটি উপদল, ১২ দলীয় জোট, বাম গণতান্ত্রিক জোট, জাতীয়তাবাদী সমমনা জোট, গণফোরাম ও পিপলস পার্টি বিজয়নগর, নয়াপল্টন পুরানা পল্টন ও জাতীয় প্রেস ক্লাব এলাকায় বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করে।
এসব মিছিল-সমাবেশ থেকে বিরোধী দলীয় নেতা-কর্মীরা নির্বাচন কমিশন (ইসি) ও সরকারের বিরুদ্ধে একতরফা নির্বাচন অনুষ্ঠানের ‘চেষ্টা’র বিরুদ্ধে নানা স্লোগান দেন।
গত ২৯ অক্টোবর পরবর্তী সময়ের মতো বৃহস্পতিবারও নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনের সড়কের দুই পাশে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী উপস্থিতি ছিল এবং কেন্দ্রীয় কার্যালয় তালাবদ্ধ ছিল।
অবরোধের সমর্থনে সকাল ৬টার দিকে ফকিরাপুল এলাকায় ঝটিকা মিছিল করেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিবসহ দলের কয়েকজন নেতা-কর্মী।
রিজভী বলেন, সরকার ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে সারাদেশে বিএনপি নেতা-কর্মীরা শান্তিপূর্ণভাবে অবরোধ কর্মসূচি পালনে রাজপথে নেমেছে।
তিনি বলেন, ‘বর্তমান সরকার এবার ক্ষমতায় থাকতে পারবে না। কারণ জনগণ তার একতরফা নির্বাচন অনুষ্ঠানের পদক্ষেপ নস্যাৎ করবে।’
এই বিএনপি নেতা অভিযোগ করেন, পুলিশ বিরোধী দলের নেতা-কর্মীদের গ্রেপ্তার করছে, তাদের বিরুদ্ধে ‘মিথ্যা’ ও ‘গায়েবি’ মামলা করছে, বাড়িঘরে হামলা ও তল্লাশি চালাচ্ছে এবং বাবা-মা-ভাইদের গ্রেপ্তার করছে। কিন্তু এরপরও অবরোধ প্রতিহত করা যাচ্ছে না।’
তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, ‘আমাদের বক্তব্য স্পষ্ট, সরকার আর ক্ষমতা আঁকড়ে থাকতে জনগণকে ফাঁকি দিতে পারবে না। জনগণের ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠার আন্দোলনকে দমন করা যাবে না।’
রিজভী বলেন, বর্তমান সরকারকে নির্দলীয় সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করে পদত্যাগ করতে হবে। ‘সেই সরকারের অধীনে নির্বাচন কমিশন (ইসি) গঠন করতে হবে এবং তাদের অধীনে একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য একটি নতুন কমিশন গঠন করতে হবে। এ ছাড়া নির্বাচন হতে দেওয়া হবে না।’
বিএনপির ঢাকা জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক নিপুণ রায় সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় মতিঝিল এলাকায় আয়োজিত সমাবেশে নির্বাচনের তফসিল বাতিলের দাবি জানান।
এ ছাড়া নগরীর বিভিন্ন এলাকায় মিছিল বের করেন বিএনপির বিভিন্ন সহযোগী সংগঠনের নেতারা।
এদিকে, সকাল ১১টায় তোপখানা রোড থেকে গণতন্ত্র মঞ্চের নেতা-কর্মীদের বের করা একটি মিছিল জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে গিয়ে শেষ হয়।
সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক বলেন, নির্বাচনী মাঠকে বিষাক্ত ফুলে সাজিয়ে সরকার একমুখী নির্বাচনের খেলা শুরু করেছে।
তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, জনগণকে সঙ্গে নিয়ে ঐক্যবদ্ধভাবে বিরোধী দল যেকোনো উপায়ে একতরফা নির্বাচন প্রতিহত করবে।
হক বলেন, ভবিষ্যৎ প্রজন্ম বর্তমান সরকারকে শুধু ভোট চোর-ডাকাতই বলবে না, গণশত্রুও বলবে।
তিনি বলেন, ‘আমরা স্পষ্টভাবে বলতে চাই এসব খেলা বন্ধ করুন... এই খেলা বন্ধ না হলে বাংলাদেশের মানুষ জীবনের ঝুঁকি নিয়েও চূড়ান্ত লড়াইয়ের জন্য প্রস্তুত।’
এছাড়া দেশব্যাপী অবরোধ কর্মসূচির সমর্থনে ঢাকার ১০টি পয়েন্টে মিছিল করেছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী।
দলের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, দলের কেন্দ্রীয় ও ঢাকা মহানগর নেতাদের নেতৃত্বে উত্তরা, মিরপুর, মতিঝিল, যাত্রাবাড়ী, ডেমরা, ওয়ারী, গেন্ডারিয়া ও শনির আখড়া এলাকায় মিছিল করেছে জামায়াত।
৭৬৬ দিন আগে
রাজশাহী ও রংপুর বিভাগের ৭২ আসনে প্রার্থী চূড়ান্ত করেছে আওয়ামী লীগ
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে রংপুর ও রাজশাহী বিভাগের ৭২টি আসনে প্রার্থী চূড়ান্ত করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৩ নভেম্বর) দুপুরে তেজগাঁওয়ে ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে কাদের এসব তথ্য জানান।
আগামী ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মাত্র চার দিনে ৩০০ আসনে ৩ হাজার ৩৬২টি মনোনয়ন পত্র বিক্রি করেছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ।
ঢাকা বিভাগের নির্বাচনী এলাকায় সর্বোচ্চ ৭৩০টি মনোনয়ন ফরম বিক্রি হয়েছে, এরপরে চট্টগ্রামের ৬৫৯টি, খুলনার বিভিন্ন আসনে ৪১৬টি, রাজশাহীতে ৪০৯টি, রংপুরের নির্বাচনী আসনে ৩০২টি, ময়মনসিংহে ২৯৫টি, বরিশালে ২৫৮টি এবং সিলেটে ২৫৮টি।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) ৭ জানুয়ারি জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার ঘোষণা দেওয়ায় ১৮ নভেম্বর থেকে মনোনয়ন ফরম বিক্রি শুরু করে আওয়ামী লীগ।
৭৬৬ দিন আগে
জাতীয় পার্টিতে কোনো বিভেদ নেই: মুজিবুল হক চুন্নু
জাতীয় পার্টির (জাপা) মহাসচিব মো. মুজিবুল হক চুন্নু বলেছেন, জাপায় কোনো বিভেদ নেই। জাপা জিএম কাদেরের নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ আছে।
তিনি বলেন, বেগম রওশন এরশাদ আমাদের প্রধান পৃষ্ঠপোষক ও সম্মানের পাত্র। তিনি নির্বাচন করলে তার জন্য আমরা সব ধরনের সহায়তা অব্যাহত রাখব। তিনি ২০ নভেম্বর ফোন করে মনোনয়ন ফরম নেওয়ার কথা বলেছেন, লোক পাঠালেই আমরা তার মনোনয়ন ফরম দিয়ে দেব।
বৃহস্পতিবার (২৩ নভেম্বর) দুপুরে জাপা চেয়ারম্যানের বনানীর কার্যালয়ে গণমাধ্যমকর্মীদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তরে এসব কথা বলেন তিনি।
এসময় মুজিবুল হক চুন্নু বলেন, জাপা নিজস্ব রাজনীতি নিয়ে এগিয়ে চলছে। দলীয় সিদ্ধান্তেই জাপা নির্বাচনে যাচ্ছে। আমরা নিরপেক্ষ ভোটের একটি পরিবেশ চেয়েছি। নির্বাচন কমিশন (ইসি) ও সরকারের বিভিন্ন মহল আমাদের আশ্বস্ত করেছে নির্বাচন সুষ্ঠু হবে। তারা বলেছে, যেকোনো মূল্যেই নির্বাচনের পরিবেশ সুষ্ঠু রাখবে। তারা জানিয়েছেন, ভোটাররা কেন্দ্রে এসে অবাধে ভোট দিতে পারবে। এই আশ্বাসের জন্যই আমাদের নির্বাচনে অংশ নেওয়ার ঘোষণায় দেরি হয়েছে।
আরও পড়ুন: নির্বাচনে যোগ দেওয়ার বিষয়ে এখনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়নি জাতীয় পার্টি: চুন্নু
সাংবাদিকদের অপর এক প্রশ্নের জবাবে জাপা মহাসচিব বলেন, জাপা ৩০০ আসনেই নিজস্ব প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করবে। কারণ, কোনো জোটে যেতে আমরা ইসিকে চিঠি দেইনি। রাজনীতিতে বিভিন্ন কৌশল থাকে। আমরা আমাদের নিজস্ব কৌশল নিয়ে এগিয়ে যাব।
তিনি বলেন, নির্বাচনে জয়ী হতে পারলে জাপা দেশে বেকারত্ব দূর করবে, দ্রব্যমূল্য সহনীয় পর্যায়ে রাখবে, সুশাসন বজায় রাখবে, কর্মমূখী শিক্ষা ব্যবস্থা চালু করবে, দুর্নীতি দূর করবে, সবার জন্য সুচিকিৎসা নিশ্চিত করবে। আমরা নির্বাচিত হলে নির্বাচনী ব্যবস্থা পরিবর্তন করে আনুপাতিক হারে নির্বাচনের পদ্ধতি বাস্তবায়ন করব। আমরা চাই নির্বাচনকালীন কেউ অনিয়ম করলে ইসি যেন তার বিরুদ্ধে সরাসরি ব্যবস্থা নিতে পারে। ইসি যেভাবে সিডিউল ঘোষণা করেছে, তাতে সংলাপের সুযোগ আছে। সবাই এক টেবিলে বসে আলোচনার মাধ্যমে একটি সিদ্ধান্তে আসতে পারবে।
আরও পড়ুন: জাতীয় পার্টি নির্বাচনে অংশ নেবে কি না কয়েকদিনের মধ্যে সিদ্ধান্ত জানাবে: চুন্নু
কোনো ষড়যন্ত্রই জাতীয় পার্টির ঐক্য ভাঙতে পারবে না: চুন্নু
৭৬৬ দিন আগে