রাজনীতি
প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে ৬ দিনের কর্মসূচি ঘোষণা বিএনপির
দলের ৪৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপনে ছয়দিনের কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)। আগামী ১ সেপ্টেম্বর প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন করবে দলটি। সমাবেশ ও আলোচনা সভাসহ ছয় দিন ব্যাপি কর্মসূচি পালন করবেন দলটির বিভিন্ন ইউনিটের নেতাকর্মীরা।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে বুধবার(২০ আগস্ট) দলের ‘জাতীয় উদযাপন কমিটির’ সভা শেষে নয়াপল্টন কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এই কর্মসূচি ঘোষণা করেছেন।
ঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী ৩১ আগস্ট দিবসটি উদযাপনে ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন, বাংলাদেশে এক আলোচনা সভা আয়োজন করবে বিএনপি।
১ সেপ্টেম্বর সকালে নয়াপল্টন কেন্দ্রীয় কার্যালয় এবং সারা দেশে বিএনপির সকল কার্যালয়ে দলীয় পতাকা উত্তোলন করা হবে।
বিএনপি ও এর সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা সকাল ১১টায় দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের নেতৃত্বে দলের প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের সমাধিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ এবং ফাতেহা পাঠ করবেন।
এছাড়াও, দলের জেলা ও শহর ইউনিটগুলো একই দিনে সারা দেশে আলোচনা সভা ও বর্ণাঢ্য র্যালি করবে।
২ সেপ্টেম্বর, প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে বিএনপির নয়াপল্টন কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে একটি বর্ণাঢ্য র্যালি বের করা হবে।
৩ সেপ্টেম্বর বিএনপির সকল উপজেলা ও পৌরসভা ইউনিট সমাবেশ ও আলোচনা সভা করবে।
৪ সেপ্টেম্বর, দলটি সারা দেশে মাছের পোনা অবমুক্তকরণ, বৃক্ষরোপণ এবং ক্রীড়া অনুষ্ঠান এবং বিনামূল্যে চিকিৎসা শিবিরের আয়োজনের মতো বেশ কয়েকটি গণ-কর্মসূচি পালন করবে।
৫ সেপ্টেম্বর দলটি তার প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপনের অংশ হিসেবে সমসাময়িক রাজনৈতিক বিষয় নিয়ে একটি গোলটেবিল আলোচনার আয়োজন করবে।
কেন্দ্রীয় কর্মসূচি ছাড়াও, বিএনপির সহযোগী সংগঠন এবং সারা দেশে তাদের সকল ইউনিট তাদের নিজস্ব কর্মসূচি পালনের মাধ্যমে যথাযথ মর্যাদার সঙ্গে দিবসটি উদযাপন করবে।
আরও পড়ুন: ডাকসু নির্বাচনে পূর্ণাঙ্গ প্যানেল ঘোষণা করেছে ছাত্রদল
প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে, বিএনপি ও এর সহযোগী সংগঠনগুলো পোস্টার এবং বিশেষ ক্রোড়পত্র প্রকাশ করবে।
১৯৭৮ সালের ১ সেপ্টেম্বর জিয়াউর রহমান ১৯ দফা কর্মসূচি নিয়ে একটি স্বনির্ভর বাংলাদেশ গড়ে তোলার লক্ষ্যে রাজনৈতিক দল বিএনপি গঠন করেন। দলটি বেশ কয়েকবার দেশ শাসনও করেছে।
১ সেপ্টেম্বর দলের ৪৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে ১৮ আগস্ট বিএনপি ১৬ সদস্যের একটি ‘জাতীয় উদযাপন কমিটি’ গঠন করে।
বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খানকে কমিটির আহ্বায়ক এবং সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীকে সদস্য সচিব করা হয়েছে।
১৩০ দিন আগে
শেরপুরে এনসিপির সমন্বয় কমিটি থেকে ১৫ জনের একযোগে পদত্যাগ
শেরপুরের নকলায় জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) সমন্বয় কমিটির ১৫ জন সদস্য একযোগে পদত্যাগ করেছেন। একই সঙ্গে ৩২ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি থেকে পদত্যাগ করা ব্যক্তিরা পুরো উপজেলা কমিটিকেও প্রত্যাখ্যান করেছেন।
মঙ্গলবার (১৯ আগস্ট) রাতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এই পদত্যাগের বিষয়টি গণমাধ্যমকে জানানো হয়।
পদত্যাগকারীদের মধ্যে রয়েছেন ৫ জন যুগ্ম সমন্বয়কারী এবং ১০ জন সদস্য।
যুগ্ম সমন্বয়কারীরা হলেন— মো. মমিনুল ইসলাম আরব, মনিরুল ইসলাম মনির, সিরাজুল ইসলাম সোহাগ, রাশিদুল জামান রাসেল ও জসীম উদ্দীন।
সাধারণ সদস্যরা হলেন— মো. দেলোয়ার হোসেন, সোহেল রানা, জাহাঙ্গীর আলম, সোহাগ মোল্লা, আলামিন মিয়া, রতন মিয়া, নাজমুল হাসান, সুমন মিয়া, আরিফ মিয়া ও সাদেকুল ইসলাম শান্ত।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, এনসিপি’র নকলা উপজেলার প্রধান সমন্বয়কারী হুমায়ুন কবির আকাশ একজন অযোগ্য, অনাদর্শিক ও সামাজিকভাবে অগ্রহণযোগ্য ব্যক্তি। এ প্রেক্ষাপটে দীর্ঘ আত্মবিশ্লেষণ শেষে তারা স্বেচ্ছায় ও সম্মিলিতভাবে পদত্যাগের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছেন এবং পুরো উপজেলা কমিটিকেও প্রত্যাখ্যান করেছেন। পাশাপাশি দ্রুত সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য কেন্দ্রীয় কমিটির দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন তারা।
আরও পড়ুন: শরীয়তপুরে এনসিপির যুগ্ম সমন্বয়কারীর পদত্যাগের ঘোষণা
পদত্যাগের বিষয়ে যুগ্ম সমন্বয়কারী মো. মমিনুল ইসলাম আরব বলেন, ‘প্রধান সমন্বয়কারী হুমায়ুন কবির আকাশের বিরুদ্ধে শহীদ পরিবারের কাছ থেকে টাকা নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে। তার শিক্ষাগত যোগ্যতাও প্রশ্নবিদ্ধ। একজন অযোগ্য ব্যক্তির নেতৃত্বে কাজ করা সম্ভব নয় বলেই আমরা সবাই পদত্যাগ করেছি।’
প্রসঙ্গত, গত ১০ আগস্ট কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক কমিটির সদস্য সচিব আখতার হোসেন ও মুখ্য সংগঠক (উত্তরাঞ্চল) সারজিস আলমের স্বাক্ষরে নকলা উপজেলা কমিটির অনুমোদন দেওয়া হয়। এতে হুমায়ুন কবির আকাশকে প্রধান সমন্বয়কারী, ১০ জনকে যুগ্ম সমন্বয়কারী ও ২১ জনকে সদস্য করে মোট ৩২ সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়।
তবে কমিটি ঘোষণার পর থেকেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপক আলোচনা ও সমালোচনা শুরু হয়। অনেকেই কমিটি নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন। প্রথম দিন থেকেই পদত্যাগের গুঞ্জন চলছিল, যা শেষ পর্যন্ত বাস্তবে রূপ নিল।
১৩০ দিন আগে
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল হাসপাতালে ভর্তি
থাইল্যান্ড থেকে দেশে ফেরার ছয় ঘণ্টা পরই হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
মঙ্গলবার (১৯ আগস্ট) দিবাগত রাতে তাকে রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য অধ্যাপক এজেএম জাহিদ হোসেন জানান, রাত ১২টার দিকে গুলশানের বাসায় অসুস্থ বোধ করেন মির্জা ফখরুল। পরে তাকে ইউনাইটেড হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
তিনি বলেন, ‘আলহামদুলিল্লাহ এখন মহাসচিবের অবস্থা স্টেবল। চিকিৎসকদের নিবিড় পর্যবেক্ষণে আছেন। সবাই দোয়া করবেন।’
তিনি আরও জানান, হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক মোমিনুজ্জামানের তত্ত্বাবধায়নে চিকিৎসাধীন মির্জা ফখরুল।
আরও পড়ুন: চোখের চিকিৎসার জন্য থাইল্যান্ড যাচ্ছেন মির্জা ফখরুল
এর আগে, চোখের ফলোআপ চিকিৎসা শেষে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ব্যাংকক থেকে ঢাকা ফেরেন মির্জা ফখরুল। স্ত্রী রাহাত আরা বেগমও তার সঙ্গে ছিলেন।
ঢাকায় নেমে প্রথমে গুলশানের বাসায় যান বিএনপি মহাসচিব। এরপর দলের জাতীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠকে যোগ দিতে গুলশানে চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে যান।
রাত ১১টা পর্যন্ত সেই বৈঠক চলে। এরপর বাসায় গিয়ে অসুস্থবোধ করেন ফখরুল। দ্রুতই বাসার কাছে ইউনাইটেড হাসপাতালে নেওয়া হয় তাকে।
১৩১ দিন আগে
বিএনপি পিআর পদ্ধতির বিপক্ষে: ফখরুল
বিএনপি আনুপাতিক প্রতিনিধিত্ব (পিআর) নির্বাচন পদ্ধতি মেনে নেবে বলে জানিয়েছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, দেশের মানুষ পিআর পদ্ধতির সঙ্গে পরিচিত নয়।
তিনি বলেন, ‘আমরা স্পষ্টভাবে বলেছি যে, আমরা কখনই পিআর সিস্টেম মেনে নেব না, কারণ এ দেশের মানুষ এর সঙ্গে অভ্যস্ত নয়। তারাও এটি জানে না বা বোঝে না।’
মঙ্গলবার (১৯ আগস্ট) থাইল্যান্ড থেকে দেশে ফিরে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে ফখরুল এই মন্তব্য করেন।
তিনি বলেন, ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) কিছু সময় ব্যবহারের পর বাতিল করা হয়েছে এবং পিআর সিস্টেম সম্পর্কে মানুষের কোনো ধারণা নেই। ‘তাই, এটি গ্রহণ করার প্রশ্নই আসে না।’
পড়ুন: উচ্চকক্ষের ১০০ সদস্য নির্বাচন পিআর পদ্ধতিতে, সিদ্ধান্ত এনসিসির
ফখরুল বলেন, পিআর পদ্ধতি ভোটারদের সরাসরি ভোটের মাধ্যমে তাদের প্রতিনিধি নির্বাচন করতে বাধা দেয়।
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের মানুষ নির্বাচন চায়। কারণ এটিই দেশের রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক সংকট কাটিয়ে ওঠার একমাত্র উপায়।’
বিএনপি নেতা বলেন, তাদের দল প্রচলিত ব্যালট পদ্ধতিতে একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের আশায় আছে।
ফখরুল বলেন, পিআর ব্যবস্থায় ভোটাররা জানেন না যে তারা কাকে ভোট দিচ্ছেন। ‘এটা গ্রহণযোগ্য হতে পারে না।’
ডাকসু নির্বাচন সম্পর্কে বিএনপি মহাসচিব বলেন, তারা আশা করেন সকলের অংশগ্রহণে নির্বাচন সুষ্ঠু ও স্বচ্ছভাবে অনুষ্ঠিত হবে।
এর আগে, চোখের ফলোআপ চিকিৎসার জন্য ১৩ আগস্ট ফখরুল তার স্ত্রী রাহাত আরা বেগমকে নিয়ে থাইল্যান্ডের ব্যাংককে যান।
গত ১৩ মে চোখের জরুরি অস্ত্রোপচারের জন্য ব্যাংককে গিয়েছিলেন বিএনপি মহাসচিব।
১৩১ দিন আগে
জামায়াতের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন আইআরআই’র প্রতিনিধি দল
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নেতাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক ইন্টারন্যাশনাল রিপাবলিক্যান ইন্সটিটিউট (আইআরআই)-এর একটি প্রতিনিধি দল।
মঙ্গলবার (১৯ আগস্ট) রাজধানীর মগবাজারের দলটির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আইআরআই’র তিন সদস্যবিশিষ্ট প্রতিনিধি দলটি সাক্ষাৎ করেন বলে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে জামায়াতের প্রচার বিভাগ।
এতে বলা হয়, সাক্ষাৎকারটি অত্যন্ত আন্তরিকতা ও হ্রদ্যতাপূর্ণ পরিবেশে অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আইআরআই-এর প্রতিনিধি দলে ছিলেন আইআরআই’র এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চলের পরিচালক স্টিফেন সিমা, উপপরিচালক ম্যাথিউ কার্টার এবং সিনিয়র প্রোগ্রাম ম্যানেজার অমিতাভ ঘোষ।
পড়ুন: দেশের চিকিৎসায়ই ভরসা রেখেছেন জামায়াতের আমির: ডা. তাহের
জামায়াত নেতাদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের নায়েবে আমির ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মো. তাহের, সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা এটিএম মা’ছুম ও কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য অ্যাডভোকেট জসিম উদ্দিন সরকার।
বৈঠকে তারা ২০২৪ -এর গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী বাংলাদেশের সার্বিক পরিস্থিতি বিশেষ করে বিচার কার্যক্রম, রাষ্ট্রীয় সংস্কার এবং অবাধ, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন অনুষ্ঠানের অগ্রগতির বিষয়ে বিশদ আলোচনা করেন।
১৩১ দিন আগে
রাজনৈতিক কারণে গঠিত ভোটকেন্দ্র বাতিলের আহ্বান বিএনপির
আওয়ামী লীগের শাসনের সময়ে রাজনৈতিক স্বার্থে গঠিত ভোটকেন্দ্রগুলো বাতিল করতে হবে নির্বাচন কমিশনের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
মঙ্গলবার (১৯ আগস্ট) বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা সাবেক প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে রিজভী বলেন, ‘রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে যে ভোটকেন্দ্রগুলো গঠিত হয়েছে, সেগুলো বাতিল করা আবশ্যক। নির্বাচন কমিশন জনগণসংখ্যার বাস্তব বণ্টন অনুযায়ী নতুন ভোটকেন্দ্র ঘোষণা করুক। এটিই আমাদের প্রত্যাশা ও দাবি।’
তিনি অভিযোগ করেন, শেখ হাসিনার ‘ফ্যাসিবাদী শাসনকাল’ চলাকালীন আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক স্বার্থে বহু ভোটকেন্দ্র তৈরি করা হয়েছিল।
রিজভী বলেন, ‘এ পর্যন্ত তিনটি বড় নির্বাচন হয়েছে – একটিতে ভোটারই ছিল না, আরেকটি রাতের বেলায় অনুষ্ঠিত হয়েছিল, এবং শেষটি কাগজের ভোট হিসেবে সঞ্চালিত হয়েছিল। মানুষ এই নির্বাচনের অভিজ্ঞতা ভুলে যায়নি।’
তিনি জোর দিয়ে বলেন, মানুষ কেবল তখনই এই নির্বাচনের স্মৃতি ভুলতে পারবে, যখন নির্বাচন কমিশন এবং অন্তর্বর্তী সরকার ফেব্রুয়ারিতে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন নিশ্চিত করবে।
বিএনপি নেতা আরও বলেন, ‘নির্বাচন কমিশন যদি জনগণ ও গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দলগুলোর দাবিতে কাজ করে, ভোটাররা প্রায় ১৬–১৭ বছর পর নিরাপদভাবে ভোটকেন্দ্রে যেতে আত্মবিশ্বাসী বোধ করবে।’
নির্বাচন কমিশনকে রিজভী অনুরোধ করেন এমন পরিবেশ তৈরি করতে, যেখানে ভোটাররা বিনা ভয় ও প্রভাব ছাড়াই ভোট দিতে পারবে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচন প্রসঙ্গে রিজভী অভিযোগ করেন, ছাত্রদলের মনোনয়ন ফর্ম কেনার পথে বিএনপির ছাত্র সংগঠন ছাত্রদলকে বাধা দেওয়ার জন্য জনসমাবেশ বা মব সৃষ্টি করা হয়েছিল।
তিনি বলেন, ‘প্রফেসর ড. মুহম্মদ ইউনূসের সরকার থাকাকালীন কেন প্রতিটি এলাকায় জনসমাবেশ হচ্ছে? গ্রামে-গঞ্জে কেন মব কালচার বিকাশের সুযোগ দেওয়া হচ্ছে? আইনশৃঙ্খলা নেই, অনিয়ন্ত্রিত কিছু মানুষ নিজের হাতে আইন প্রয়োগ করছে।’
রিজভী আরও জানান, রংপুরের তারাগঞ্জে সাম্প্রতিক দুটি ঘটনা প্রমাণ করছে যে মব কালচার মানুষের জীবনকে ঝুঁকির মধ্যে ফেলে দিচ্ছে।
‘আমরা অন্তর্বর্তী সরকারের অধীনে এমন পরিস্থিতি মেনে নেব না,’ তিনি বলেন।
রিজভী দাবি করেন, ব্যাংক থেকে টাকা লুট করা ব্যক্তিদের গ্রেপ্তার করতে হবে। তিনি উদাহরণ হিসেবে বলেন, ‘মহিউদ্দিন খান আলমগীর ফার্মার্স ব্যাংকের মাধ্যমে কোটি কোটি টাকা লুট করেছেন, এবং নাফিজ সারাফাত পদ্মা ব্যাংকের মাধ্যমে একই কাজ করেছেন। এই দুর্নীতিবাজদের গ্রেপ্তার করে বিচার করতে হবে।’
তিনি সরকারের প্রতি আহ্বান জানান, লুট হওয়া জনসম্পদ ফেরত আনতে শক্তিশালী ও কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে।
১৩১ দিন আগে
জাতীয় নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা নিয়ে উদ্বেগ নেই: ইসি সচিব
২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠিতব্য জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে আইনশৃঙ্খলা নিয়ে এখনই উদ্বেগের কোনো কারণ নেই বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সিনিয়র সচিব মো. আখতার আহমেদ।
সোমবার (১৮ আগস্ট) রাজধানীর আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘এই মুহূর্তে এ নিয়ে উদ্বিগ্ন হওয়ার যৌক্তিক কারণ নেই।’
তিনি বলেন, কমিশন এখন নির্বাচনের প্রস্তুতিকে ত্বরান্বিত করার ওপর জোর দিচ্ছে। এই মুহূর্তে সামগ্রিকভাবে উদ্বেগ প্রকাশের কোনো কারণ নেই। আইনশৃঙ্খলার বিষয়টি পরে বিবেচনা করা হবে।
নির্বাচনী রোডম্যাপ প্রসঙ্গে ইসি সচিব জানান, রোডম্যাপের খসড়া ইতোমধ্যে প্রস্তুত করা হয়েছে এবং চলতি সপ্তাহের মধ্যেই তা প্রকাশ করা হতে পারে।
তিনি বলেন, ‘আমি আগেই বলেছিলাম, এ সপ্তাহেই কর্মপরিকল্পনা বা রোডম্যাপ ঘোষণা করা হবে। বর্তমানে সমন্বয়ের কাজ চলছে। কমিশন অনুমোদন দিলেই আমরা তা আপনাদের সামনে তুলে ধরতে পারব।
পড়ুন: পুলিশ-প্রশাসনে আ. লীগের অনুগতদের রেখে বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন সম্ভব নয়: রিজভী
ভোটকেন্দ্র সংক্রান্ত নির্দেশনার বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে ইসি সচিব বলেন, কমিশন বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয়েছে এবং আগামী জাতীয় নির্বাচনে ভোটকেন্দ্রের সংখ্যা বাড়ানোর পরিকল্পনা নেই।
তিনি বলেন, জাতীয় নির্বাচনের জন্য প্রতিটি ভোটকেন্দ্র ৩ হাজার ভোটারের জন্য নির্ধারিত করা হয়েছে। তবে প্রতিটি বুথে ভোটার সংখ্যা ৫০০ থেকে বাড়িয়ে ৬০০ করা হবে।
২০২৪ সালের দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সারা দেশে ১১ কোটি ৯৭ লাখ ভোটারের জন্য ৪২ হাজার ১৪৮টি ভোটকেন্দ্র ছিল।
ত্রয়োদশ জাতীয় নির্বাচনে ভোটার সংখ্যা বেড়ে ১২ কোটি ৭৮ লাখে ঠেকবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
১৩২ দিন আগে
পুলিশ-প্রশাসনে আ. লীগের অনুগতদের রেখে বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন সম্ভব নয়: রিজভী
পুলিশ ও প্রশাসনে আওয়ামী লীগের অনুগতদের রেখে এবং শেখ হাসিনার শাসনামলে নিয়োগ পাওয়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় জড়িত থাকলে একটি বিশ্বাসযোগ্য জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠান সম্ভব নয় বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
তিনি বলেন, ‘সবাই চায় রমজানের আগে ফেব্রুয়ারিতে আসন্ন নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হোক। কিন্তু আওয়ামী লীগের নিয়ন্ত্রিত প্রশাসনের অধীনে একটি বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন সম্ভব নয়। তাই, আওয়ামী লীগের কর্মীদের প্রশাসন থেকে অপসারণ করতে হবে।’
সোমবার (১৮ আগস্ট) বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের মাজারে শ্রদ্ধা নিবেদনের পর সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে রিজভী এ কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, আওয়ামী লীগের শাসনামলে ১৬ হাজার ৩৯৯ জন প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক নিয়োগ করা হয়েজে। এই শিক্ষকদের বেশিরভাগই কোনো যোগ্যতাভিত্তিক প্রতিযোগিতা ছাড়াই নিয়োগ পেয়েছিল বলেও দাবি করেন বিএনপির এই নেতা।
বিএনপির এই নেতা প্রশ্ন রেখে আরও বলেন, এর মধ্যে ৫৫ থেকে ৬০ শতাংশ আওয়ামী লীগের অনুগত। ‘এই শিক্ষকরা যদি পোলিং অফিসার বা প্রিজাইডিং অফিসার হিসেবে কাজ করেন—তাহলে কি নির্বাচন সুষ্ঠু হবে? না।’
তিনি বলেন, তাদের নিয়োগের একমাত্র মানদণ্ড হলো তারা ছাত্রলীগ, যুবলীগ, নাকি আওয়ামী লীগের সঙ্গে জড়িত।
রিজভী বলেন, ‘এইভাবে, প্রশাসন দলীয় অনুগতদের দিয়ে সাজানো হয়েছে। তাদের প্রশাসন থেকে অপসারণ করতে হবে এবং নির্বাচন প্রক্রিয়া থেকে বাদ দিতে হবে।’
পড়ুন: নির্বাচন বিঘ্নিত করার অসৎ প্রচেষ্টা দেশের জনগণ রুখে দেবে: সালাহউদ্দিন
তবে তিনি বলেন, তাদের দল বিএনপির অনুগতদের বিনিময়ে নিয়োগ দিতে চায় না। ‘আমরা চাই নিরপেক্ষ ব্যক্তিরা, যারা কোনোভাবেই পক্ষপাতদুষ্ট নন, তারা পোলিং অফিসার এবং প্রিজাইডিং অফিসার হিসেবে দায়িত্ব পালন করুক।’
নীলফামারী জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির নতুন নেতাদের সঙ্গে রিজভী দলের প্রতিষ্ঠাতার প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে শেরেবাংলা নগরে জিয়াউর রহমানের সমাধিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।
তিনি বলেন, গত ১৫ থেকে ১৬ বছর ধরে প্রশাসন এবং পুলিশ আওয়ামী লীগের ক্যাডারদের দ্বারা প্রভাবিত। ‘প্রশাসনে তাদের রেখে একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে পারে না।’
বিএনপির এই নেতা বলেন, বিএনপি বিশ্বাস করে নির্বাচন কমিশন এই বিষয়গুলোতে মনোযোগ দেবে এবং একটি বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন নিশ্চিত করবে— যাতে ভোটাররা স্বাধীনভাবে ভোটকেন্দ্রে যেতে এবং তাদের পছন্দের প্রার্থীদের ভোট দিতে পারে।
বিএনপি নেতা-কর্মীদের সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়ে রিজভী বলেন, আওয়ামী লীগের সহযোগীরা বিভিন্ন কৌশলে দেশের বিভিন্ন স্থানে অস্থিরতা তৈরির চেষ্টা করছে।
তিনি বলেন, ‘তাদের সামরিক প্রশিক্ষণও দেওয়া হচ্ছে। আপনারা দেখেছেন যে, তাদের মধ্যে দুজনকে ইতোমধ্যেই গ্রেপ্তার করা হয়েছে। চিন্তা করুন, তারা এ ধরনের আরও কত কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকতে পারে... সকলকে সতর্ক থাকতে হবে।’
আনুপাতিক প্রতিনিধিত্ব (পিআর) ব্যবস্থার বিরোধিতা করে বিএনপির এই নেতা বলেন, দেশের মানুষ এই ধরনের নির্বাচনী ব্যবস্থার জন্য প্রস্তুত নয়। ‘পিআর ব্যবস্থা বাংলাদেশের জন্য উপযুক্ত নয়। যারা পিআর ব্যবস্থায় নির্বাচন দাবি করে—তাদের উদ্দেশ্য নিয়ে সন্দেহ রয়েছে,’ বলেন তিনি।
১৩২ দিন আগে
রাষ্ট্রপতির ছবি সরানোর সঙ্গে নির্বাচনের সম্পর্ক নেই: রিজওয়ানা হাসান
সব দূতাবাস থেকে রাষ্ট্রপতির ছবি সরানোর জন্য মৌখিকভাবে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে বলে বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে। নির্বাচনের আগে সরকার এ বিষয়ে কি বার্তা দিচ্ছে—জানতে চাইলে রিজওয়ানা হাসান বলেন, ‘এটা আদৌ কোনো বার্তা দেয় কিনা আমি জানি না। আমিও আপনার মতো শুনেছি এবং পত্রিকায় পড়েছি। আমি যেহেতু বিদেশি দূতাবাসে কাজ করি না, তাই বলতে পারছি না ইঙ্গিতটা কি, এটার সঙ্গে নির্বাচনের কোনো সম্পর্ক আছে বলে আমার মনে হয় না।’
রিজওয়ানা হাসান পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় এবং পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টার দায়িত্বে রয়েছেন।
রাষ্ট্রপতি থাকছেন না, প্রধান বিচারপতি রাষ্ট্রপতি হচ্ছেন—এ ধরনের আলোচনার বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে রিজওয়ানা হাসান বলেন, ‘এ রকম আলোচনার কি শেষ আছে? কত আলোচনা শুনেছি। জুনের মধ্যেও নির্বাচন হবে না, এই মাসের মধ্যে নির্বাচন হবে। রাজনৈতিক বিষয় তো? আমরা বাংলাদেশিরা রাজনীতি সচেতন, প্রত্যেকের কাছে সব ঘটনার একটা ব্যাখ্যা আছে। হয়তো এটার (দূতাবাস থেকে রাষ্ট্রপতির ছবি সরানো) পিছনে কোনো ব্যাখ্যা নেই। কিন্তু এটার সঙ্গে নির্বাচনের কোনো সম্পর্ক নেই এটা একেবারেই স্পষ্ট। একটা ছবির সঙ্গে নির্বাচনের কোনো সম্পর্ক থাকতে পারে না।’
তিস্তা প্রকল্প নিয়ে চীনের সঙ্গে আলোচনা চলছে
তিস্তা নদী নিয়ে চীনের সঙ্গে একটি চুক্তি হওয়ার কথা। এটি কবে হবে, এতে কত ব্যয় ধরা হয়েছে—জানতে চাইলে পরিবেশ উপদেষ্টা বলেন, ‘আমরা যে প্রকল্পটিতে হ্যাঁ বলেছি, সেখানে কাগজে-কলমে এখনো লেখা আছে ১ জানুয়ারি ২০২৬ থেকে প্রকল্প শুরু হবে। সেই প্রকল্পে কত টাকা আসবে, কতটা অর্থায়ন হবে, শর্ত কী হবে—এসব নিয়ে বাংলাদেশ সরকার চীন সরকারের সঙ্গে এখন কথা বলছে। তাই ওই আলাপ-আলোচনা শেষ না হলে কত টাকা লাগবে, তা বলা যাবে না। সরকার হয়তো কাজটি একটি ধাপে না করে দুই ধাপেও করতে পারে। তিনি জানান, চীন সরকার হয়তো টাকা দেওয়ার পদ্ধতিটা অন্যরকম ভাবতে পারে। তাই টাকার পরিমাণ এখনই বলা যাচ্ছে না।’
এই প্রকল্প নিয়ে সরকার তিনটি বিষয়ে চীনের সঙ্গে একমত হয়েছে জানিয়ে উপদেষ্টা বলেন, ‘এই প্রকল্পের উদ্দেশ্য হবে নদী ভাঙন রোধ করা ও কমিয়ে আনা, বন্যার প্রভাব থেকে মানুষকে সুরক্ষা দেওয়া এবং সেচ মৌসুমে নদীতে পর্যাপ্ত পানি নিশ্চিত করা।’
পুরো প্রক্রিয়া শেষ হয়ে প্রকল্প শুরু হবে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘প্রকল্পের মেয়াদ আমরা দশ বছরের কথা বলেছি। প্রথম পাঁচ বছর পরে সেটার মূল্যায়ন করে আবার পাঁচ বছর। প্রথম পাঁচ বছরের মধ্যে তিন বছর পর আমরা একটা মিডটার্ম পর্যালোচনার কথাও বলেছি।’
১৩৩ দিন আগে
ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধেই নির্বাচন হবে: উপদেষ্টা রিজওয়ানা
নির্বাচন অনুষ্ঠানের সময় নিয়ে বিভিন্ন দলের নিজস্ব হিসাব-নিকাশ ও রাজনীতি আছে জানিয়ে উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন, প্রধান উপদেষ্টার ঘোষণা অনুযায়ী ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধেই নির্বাচন হবে।
রবিবার (১৭ আগস্ট) সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এক প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা এ কথা জানান। রিজওয়ানা হাসান পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় এবং পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টার দায়িত্বে রয়েছেন।
এনসিপির একজন নেতা বলেছেন, ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন হবে না। বিএনপি চাচ্ছে যথাসময়ে নির্বাচন। নির্বাচন পিছিয়ে যাবে কিনা, সরকারের পরিকল্পনা কি- জানতে চাইলে উপদেষ্টা বলেন, ‘সরকারের পরিকল্পনা তো প্রধান উপদেষ্টা মহোদয় নিজে পরিষ্কার করে বলেছেন। এরপর বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের তাদের নিজস্ব হিসাব-নিকাশ আছে, নিজস্ব রাজনীতি আছে। এটার সঙ্গে তো সরকারের অবস্থান বদলের কোনো সম্পর্ক নেই। সরকার বলেছে ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন হবে এবং সেই মোতাবেক নির্বাচন কমিশনকে প্রস্তুতি নিতে বলেছে, এটাই হচ্ছে সরকারের অবস্থান। ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধেই নির্বাচন হবে।’
পড়ুন: পাথর লুটে যোগসাজশ ছিল প্রশাসনের, তাদের বিরুদ্ধে দ্রুতই ব্যবস্থা: পরিবেশ উপদেষ্টা
উপদেষ্টা আরও বলেন, সরকার কোনো রাজনৈতিক দলের কথা শুনে নয়। সরকার নিজেদের মত আলাপ-আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেয়।
১৩৩ দিন আগে