রাজনীতি
নির্বাচন বিঘ্নিত করার অসৎ প্রচেষ্টা দেশের জনগণ রুখে দেবে: সালাহউদ্দিন
দেশের আসন্ন জাতীয় নির্বাচন ও গণতান্ত্রিক পরিবর্তনের পথে কোনো অসৎ প্রচেষ্টাকে প্রতিহত করতে বাংলাদেশের মানুষ একতাবদ্ধ ও দৃঢ় প্রতিজ্ঞ বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ।
শনিবার (১৬ আগস্ট) রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক মিলাদ ও দোয়া মাহফিলে তিনি এসব কথা বলেন। বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার ৮১তম জন্মদিন উপলক্ষে এই মিলাদ ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করে যুবদল।
সালাহউদ্দিন বলেন, ‘যারা গণতন্ত্রের বিরুদ্ধে বিভিন্ন রকম বক্তব্য দিয়ে নির্বাচনের বিষয়ে শঙ্কা প্রকাশ করছে, তারা গণতন্ত্রের পক্ষে কোনো শক্তি নয়, তারা বাংলাদেশের মানুষের পক্ষেও নয়।’
তিনি বলেন, তারা হয়তো কোনো কারণে নিজের কথাগুলো ইনিয়ে-বিনিয়ে বলছেন, যাতে নির্বাচন বিলম্বিত করা যায় অথবা বানচাল করা যায়। কিন্তু বাংলাদেশের মানুষ গণতন্ত্রের জন্য, ভোটাধিকার প্রয়োগের জন্য ঐক্যবদ্ধ। যারা এর বিরুদ্ধে বক্তব্য দেবে, তাদের বিরুদ্ধে বাংলাদেশের মানুষ রুখে দাঁড়াবে।
সালাহউদ্দিন সব গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দলের প্রতি একজোট থাকার আহ্বান জানিয়ে বলেন, ‘সব গণতান্ত্রিক শক্তি ও রাজনৈতিক দলকে অনুরোধ করব—যেভাবে আপনারা ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হয়েছিলেন, সেভাবেই আগামী নির্বাচন সুষ্ঠু করতে ঐক্যবদ্ধ থাকুন।’
তিনি আরও বলেন, ‘সব গণতান্ত্রিক শক্তি ও রাজনৈতিক দলকে আমি অনুরোধ করছি, যেভাবে আমরা স্বাধীনতাবিরোধীদের বিরুদ্ধে গণতান্ত্রিক সংগ্রামে ঐক্যবদ্ধ হয়েছিলাম, আবারও সেভাবে ঐক্য তৈরি করুন। আসুন একত্রিত হয়ে আলোচনা করি এবং সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন নিশ্চিত করি, যাতে গণতান্ত্রিক পরিবর্তনের পথ সহজ হয়।’
সালাহউদ্দিন বলেন, বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার নির্দেশনায় গণতন্ত্রকে এগিয়ে নিতে সরকার ও সব গণতান্ত্রিক শক্তির সঙ্গে অনেকবার আলাপ-আলোচনা করা হয়েছে। তিনি নির্দেশনা দিয়েছিলেন, আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে ঐকমত্যের ভিত্তিতে গণতন্ত্র উত্তরণের পথ সহজ করতে হবে।
পড়ুন: প্রধান উপদেষ্টার ঘোষিত সময়েই নির্বাচন হবে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
তিনি বলেন, ‘আমরা জাতীয় ঐকমত্যের ভিত্তিতে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য অপেক্ষমাণ। আমরা সেই গণতন্ত্রের জন্য অপেক্ষমাণ, যে গণতন্ত্রের জন্য আমাদের সন্তানরা শহীদ হয়েছেন, রক্ত দিয়েছেন, পঙ্গুত্ব বরণ করেছেন, অন্ধত্ব বরণ করেছেন। এই গণতন্ত্রের জন্য আমরা গত ১৫–১৬ বছর সংগ্রাম করেছি। এই গণতন্ত্রকে যদি আমরা বিনির্মাণ করতে চাই, একটি শক্তিশালী গণতান্ত্রিক দেশ হিসাবে প্রতিষ্ঠা করতে চাই।’
এর আগে গত ৯ আগস্ট প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন বলেছিলেন, আগামী ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে পারে। এ লক্ষ্যে সারা দেশে নির্বাচন কমিশন জোর প্রস্তুতি নিচ্ছে।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, সমতার ভিত্তিতে একটি শক্তিশালী গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র গড়তে জাতীয় ঐক্য বজায় রাখা জরুরি। আমাদের জাতীয় ঐক্য বজায় রাখতে হবে। তিনি বলেন, ফ্যাসিবাদবিরোধী যে জাতীয় ঐক্য তৈরি হয়েছে, সেই ঐক্য ধরে রাখতে হবে।
তিনি বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার আজীবন গণতন্ত্রের প্রতি নিবেদিতপ্রাণ ভূমিকার কথা তুলে ধরেন। মুক্তিযুদ্ধকালীন সংগ্রাম থেকে শুরু করে সামরিক শাসনের বিরুদ্ধে নয় বছরের আন্দোলন, সংসদীয় গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার এবং ১৯৯৬ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা প্রবর্তনের মাধ্যমে তিনি দেশের গণতন্ত্রে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন বলে উল্লেখ করেন।
সালাহউদ্দিন বলেন, ‘খালেদা জিয়া শুধু একটি নাম নন, তিনি একটি ইতিহাস। খালেদা জিয়ার মতো নেত্রী থাকলে জাতির পথ হারানোর সুযোগ নেই। তিনি সারা জীবন গণতন্ত্রের জন্য লড়াই করেছেন এবং এখনো বাংলাদেশের মানুষের জন্য আশীর্বাদ হয়ে আছেন।’
তিনি আরও বলেন, ‘আজ তার ৮১তম জন্মদিন। আমরা প্রার্থনা করি মহান আল্লাহ তাকে দীর্ঘায়ু দান করুন, যেন তিনি দেশের জনগণের জন্য আলোর দিশারি হয়ে থাকেন। গণতন্ত্রের রক্ষক ও দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের রক্ষক হিসেবে থাকেন।’
১৩৪ দিন আগে
প্রধান উপদেষ্টার ঘোষিত সময়েই নির্বাচন হবে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
প্রধান উপদেষ্টার ঘোষিত সময় অনুযায়ী আগামী ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র ও কৃষি উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। তিনি বলেন, ‘কে কী বলল, তা শোনার দরকার নেই।’
জনগণ নির্বাচনমুখী হলে কেউ বাধা দিতে পারবে না বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি। শনিবার (১৬ আগস্ট) ঢাকার মোহাম্মদপুরে কৃষি মার্কেট-সংলগ্ন নতুন কাঁচাবাজার পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা।
কৃষি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে থাকা জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী এ সময় বাজার পরিস্থিতি নিয়েও বক্তব্য রাখেন। সাংবাদিকরা জানতে চান, প্রধান উপদেষ্টার ঘোষিত সময়ে নির্বাচন করতে ‘দেওয়া হবে না’ বলে কোনো কোনো রাজনৈতিক দল মন্তব্য করেছে।
জবাবে জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘প্রধান উপদেষ্টা যেটা বলেছেন, ওটার ওপরে কারও কোনো কথা নেই। উনি যে মাসের কথা বলেছেন, সে মাসেই নির্বাচন হবে। কে কী বলল, সেটা শোনার আমাদের দরকার নেই।’
তিনি বলেন, ‘রাষ্ট্রের ক্ষমতা জনগণের হাতে। অনেকে অনেক কথা বলবে, তবে জনগণ যখন নির্বাচনমুখী হবে, কেউ বাধা দিতে পারবে না। কারও কোনো শক্তি নেই নির্বাচন বন্ধ করার।’
জুলাই ছাত্র-গণঅভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তির দিনে গত ৫ আগস্ট প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস আগামী ফেব্রুয়ারিতে রোজার আগে জাতীয় সংসদ নির্বাচন আয়োজনের ঘোষণা দেন। পরদিন প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় নির্বাচন কমিশনকে প্রস্তুতি নিতে চিঠি দেয়।
তবে ১২ আগস্ট এক অনুষ্ঠানে জাতীয় নাগরিক পার্টি–এনসিপির মুখ্য সমন্বয়ক নাসিরুদ্দীন পাটওয়ারী জোর দিয়ে বলেছেন, ফেব্রুয়ারিতে ত্রয়োদশ জাতীয় নির্বাচন হবে না। বিএনপি ও জামায়াত নেতাদের উপস্থিতিতে এ অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, ‘নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা হয়েছে ফেব্রুয়ারিতে। নির্বাচন হবে; ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন হবে না।’
পড়ুন: কোনো শক্তি ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন প্রতিহত করতে পারবে না: শফিকুল আলম
এর ব্যাখ্যায় তিনি বলেন, ‘যদি ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন হয়, আমার যে ভাইয়েরা শহীদ হয়েছিল, রক্ত দিয়েছিল সংস্কারের জন্য, তাহলে কবরে গিয়ে তাদের লাশটা ফেরত দিতে হবে এই সরকারকে।
‘আমার যে ভাইয়ের হাতটা চলে গিয়েছিল, যদি সংস্কারকাজ শেষ না করে নির্বাচন হয়, তাহলে এই সরকারকে আমার ভাইয়ের হাতটা ফিরিয়ে দিতে হবে। যে মায়ের বুক খালি হয়েছিল, সেই মায়ের বুকের সন্তানকে ফেরত দিতে হবে।’
বিএনপি ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন আয়োজনের ঘোষণাকে স্বাগত জানিয়েছে। ইতিবাচক সাড়া দিলেও জামায়াতে ইসলামী বলেছে, রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা না করে নির্বাচনের সময় ঘোষণা করায় দলটি ‘বিস্মিত ও হতবাক’।
কাঁচাবাজারে সবজির দাম বাড়ার বিষয়ে উপদেষ্টা বলেন, ‘বিভিন্ন স্থানে পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় সবজির দাম বেড়েছে। তবে তুলনামূলকভাবে আলুর দাম তেমন বাড়েনি। প্রচুর আলু হিমাগারে আছে।’
উপদেষ্টা সবাইকে পলিথিনের পরিবর্তে পাটের ব্যাগ ব্যবহারের পরামর্শ দেন।
চাঁদাবাজির বিষয়ে তিনি বলেন, ‘মোহাম্মদপুর, মিরপুর এলাকায় সব সময়ই চাঁদাবাজি হয়ে থাকে। কোনো চাঁদাবাজকেই বাংলাদেশে থাকতে দেওয়া হবে না। চাঁদাবাজদের ঠাঁই বাংলাদেশে হবে না। যত বড় চাঁদাবাজই হোক না কেন, তাদের আমরা আইনের আওতায় নিয়ে আসব। চাঁদাবাজদের কোনো ছাড় নেই।’
১৩৪ দিন আগে
কোনো শক্তি ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন প্রতিহত করতে পারবে না: শফিকুল আলম
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেছেন, নির্বাচন ফেব্রুয়ারিতেই হবে। এমন কোনো শক্তি নেই এটি প্রতিহত করবে। ইতোমধ্যে নির্বাচন পরিচালনার সঙ্গে সম্পৃক্ত সব দপ্তর বিষয়টি নিয়ে কাজ করছে। আমরা একটি শান্তিপূর্ণ নির্বাচন দেখতে চাই। আশা করছি সেটি সবার সহযোগিতায় সম্ভব হবে।
শুক্রবার (১৫ আগস্ট) দুপুরে মাগুরার পারন্দুয়ালীতে জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শহীদ মেহেদী হাসান রাব্বি ও আল আমিনের কবর জিয়ারত শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন ।
প্রেস সচিব বলেন, যারা জীবন দিয়ে আমাদের জন্য একটি স্বাধীন দেশ দিয়ে গেছেন, তাদের মর্যাদা সমুন্নত রাখতে সবাই ঐক্যবদ্ধভাবে সুখী সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়তে হবে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশে বর্ষা শুরু হয় জুন থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত। বর্ষা শেষ হলে দেখবেন পাড়া মহল্লায় নির্বাচনের আমেজ নেমে এসেছে। সম্ভাব্য প্রার্থী ভোটের জন্য দুয়ারে দুয়ারে যাবেন। পাড়ায় পাড়ায় ভোটের অফিস হবে। এই ভোটের আমেজ সর্বত্র ছড়িয়ে পড়বে। আমরা নিশ্চিত, তখন কারো মনে যদি কোনো সন্দেহ থাকে সেই সন্দেহটুকু চলে যাবে। নির্বাচন ফেব্রুয়ারিতেই হবে এবং রোজার আগেই হবে।
পড়ুন: নির্বাচন নিয়ে জনগণের শঙ্কা রয়ে গেছে: গয়েশ্বর চন্দ্র রায়
তিনি আরও বলেন, জুলাই আগস্টে মাগুরায় মোট ১০ জন শহীদ হয়েছেন। আওয়ামী লীগ যুবলীগের খুনি বাহিনীর হাতে শহীদ হয়েছেন মেহেদী হাসান রাব্বি। উনি ছাত্রদলের স্থানীয় একজন নেতা ছিলেন। আমি তার কবরে গিয়েছিলাম। একই এলাকার আল আমিন ছোট ব্যবসা করতেন ঢাকাতে। উনাকেও গুলি করে মারা হয়েছে। উনার কবর মাগুরা উপকণ্ঠে রয়েছে। সেখানেও গিয়েছিলাম ফুল দিতে। মাগুরা জেলায় মোট ১০ জন শহীদ আছেন। বাকি ৮ জনের প্রত্যেকের কবরস্থানে যাবো।
শফিকুল আলম বলেন, এই শহীদরা নতুন বাংলাদেশের নির্মাতা। তাদের আত্মদানের ফলে আমরা নতুন একটা দেশ পেয়েছি। আমরা আজকের এই দিনে সবাই মুখ ফুটে কথা বলতে পারছি। আমরা এখন পলিটিকাল সেটেলমেন্ট করছি। সামনে সুন্দর একটি নির্বাচন হবে।
তিনি বলেন, শহীদদের কারণে আমরা নতুন বাংলাদেশটা পেয়েছি। সেজন্য তাদের সম্মান জানাতে কবরস্থানে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেছি।
১৩৫ দিন আগে
নির্বাচন নিয়ে জনগণের শঙ্কা রয়ে গেছে: গয়েশ্বর চন্দ্র রায়
আগামী জাতীয় নির্বাচন শেষে ফলাফল ঘোষণা না হওয়া পর্যন্ত জনগণের মনে ভোটের ব্যাপারে সংশয় থাকবে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়।
শুক্রবার (১৫ আগস্ট) নয়া পল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের খালেদা জিয়ার ৮১তম জন্মদিন উপলক্ষে আয়োজিত মিলাদ ও দোয়া মাহফিলে তিনি এ কথা বলেন।
গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, ‘শুনছি নির্বাচন ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহে হবে, কিন্তু ভোট গণনা ও ফলাফল ঘোষণা না হওয়া পর্যন্ত জনগণের মনে নির্বাচন নিয়ে শঙ্কা থাকবে।
তিনি বলেন, যত রক্ত ঝরুক, এখনো গণতন্ত্র হাতের নাগালের বাইরে।
বিএনপি স্থায়ী কমিটির এই নেতা সতর্ক করেছেন, নির্বাচন বানচাল করার ষড়যন্ত্র অব্যাহত আছে। এজন্য আমাদের সতর্ক, শান্ত ও ধৈর্যশীল হতে হবে।
তিনি দলের নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে বলেন, কারও পাতানো ফাঁদে পা দিয়ে গণতন্ত্র ভূলুণ্ঠিত না হয়, সে বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে।
গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, খালেদা জিয়া জাতির অভিভাবক হয়েছেন। তিনি শুধু বিএনপির চেয়ারপারসন নন, লড়ে যাচ্ছেন গণতন্ত্রের জন্য।
তিনি আরও বলেন, বেগম জিয়া নিজে কখনো জন্মদিন পালন করতেন না, আমরাই করতাম। মানুষ যখন তাকে সমালোচনা করত, খালেদা কখনো জন্মদিন উদযাপনের পক্ষে ছিলেন না। তিনি সবসময় তার সুস্বাস্থ্য ও মঙ্গলের জন্য দোয়া কামনা করতেন।
পড়ুন: জন্মদিনে খালেদা জিয়াকে প্রধান উপদেষ্টার ফুলেল শুভেচ্ছা
অনুষ্ঠানে বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেন, জনপ্রিয়তার কারণে খালেদা জিয়াকে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিয়েছিল আওয়ামী লীগ।
তিনি দলের নেতাকর্মীদের জনগণের বিশ্বাস অর্জনে কাজ করার আহ্বান জানান। যদি আমরা সত্যিই দলীয় চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়াকে ভালোবাসি, যদি আমরা শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানকে ভালোবাসি, এবং যদি আমরা তারেক রহমানকে ভালোবাসি, তবে আমাদের জনগণের মন জয়ের জন্য চেষ্টা করতে হবে।
নজরুল ইসলাম খান আরও বলেন, বিএনপি প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান বকশাল তুলে গণতন্ত্র ফিরিয়েছিলেন, খালেদা জিয়া সামরিক স্বৈরশাসনের কবর থেকে গণতন্ত্র পুনঃরুদ্ধার করেছেন এবং তারেক রহমানের হাত ধরে দেশে আবারো গণতন্ত্রের সূচনা হবে।
খালেদা জিয়া ১৯৪৫ সালের ১৫ আগস্ট দিনাজপুরে জন্মগ্রহণ করেন। তিনবার প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন এবং ১৯৯১ সালে বাংলাদেশের প্রথম মহিলা প্রধানমন্ত্রী হন।
১৩৫ দিন আগে
জন্মদিনে খালেদা জিয়াকে প্রধান উপদেষ্টার ফুলেল শুভেচ্ছা
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার ৮১তম জন্মদিন উপলক্ষে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন অন্তবর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
শুক্রবার (১৫ আগস্ট) গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের একান্ত সচিব সজীব এম খায়রুল ইসলাম বলেন, ‘বিকালে প্রধান উপদেষ্টা ম্যাডামের (খালেদা) জন্য ফুলের তোড়া পাঠিয়েছেন। তার কর্মকর্তারা এটা গুলশানের বাসভবনে নিয়ে এসেছেন।’
এদিন বিকাল ৪টায় প্রধান উপদেষ্টার একান্ত সচিব সজীব এম খায়রুল ইসলাম ও প্রধান উপদেষ্টা কার্যালয়ের পরিচালক মোহাম্মদ নাজমুল ইসলাম বিএনপি চেয়ারপারসনের একান্ত সচিব এ বি এম আব্দুস সাত্তারের কাছে ফুলের তোড়া হস্তান্তর করেন ।
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য বেলায়েত হোসেন, মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান ও চেয়ারপারসনের কার্যালয়ের কর্মকর্তা মাসুদ রহমান।
পড়ুন: খালেদা জিয়াকে কারাগারে নির্যাতন: জড়িতদের বিচারের দাবি মির্জা আব্বাসের
এর আগে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ঢাকাস্থ চীনা দূতাবাস চীনা রাষ্ট্রদূতের পক্ষ থেকে খালেদা জিয়ার জন্মদিনে শুভেচ্ছা জানিয়ে ফুলের তোড়া পাঠায়।
খালেদা জিয়া ১৯৪৫ সালের ১৫ আগস্ট দিনাজপুরে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে তিনবার দায়িত্ব পালন করেছেন এবং ১৯৯১ সালে দেশের প্রথম মহিলা প্রধানমন্ত্রী হন।
বিএনপি তার ৮১তম জন্মদিন উপলক্ষে নয়া পল্টনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে মিলাদ ও দোয়া মাহফিল এবং গুলশান অফিসে আরেকটি অনুষ্ঠান আয়োজন করেছে।
ঢাকায় কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে মূল অনুষ্ঠানের পাশাপাশি রাজধানীতে বিভিন্ন মসজিদে ও এতিমখানা-মাদ্রাসায় বিএনপি চেয়ারপার্সনের জন্মদিন উপলক্ষ্যে এই মিলাদ ও দোয়া মাহফিল হচ্ছে।
ঢাকা ছাড়াও সারাদেশে মহানগর, জেলা ও উপজেলা পর্যায়েও দলের চেয়ারপার্সনের আরোগ্য কামনায় খালেদার সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘ জীবন কামনায় এবং ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধ, ১৯৯০ সালের গণতান্ত্রিক আন্দোলন ও ২০২৪ সালের গণআন্দোলনে শহীদদের শান্তির জন্য মিলাদ ও দোয়া মাহফিল আয়োজিত হয়েছে।
১৩৫ দিন আগে
খালেদা জিয়াকে কারাগারে নির্যাতন: জড়িতদের বিচারের দাবি মির্জা আব্বাসের
বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়াকে কারাগারে নির্যাতনের সঙ্গে জড়িতদের বিচারের দাবি করেছেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস।
শুক্রবার (১৫ আগস্ট) নয়া পল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের খালেদা জিয়ার ৮১তম জন্মদিন উপলক্ষে আয়োজিত মিলাদ ও দোয়া মাহফিলে বক্তব্য রাখেন আব্বাস।
মির্জা আব্বাস বলেন, খালেদা জিয়াকে কারাগারে চরম নির্যাতন করা হয়েছে। তাকে পরিত্যক্ত কেন্দ্রীয় কারাগারের অত্যন্ত খারাপ ও অস্বাস্থ্যকর অবস্থায় রাখা হয়।
তিনি আরও জানান, খালেদাকে এমন একটি কক্ষে রাখা হয়েছিল যেখানে ইঁদুর ও পোকামাকড় দৌড়াদৌড়ি করতো। সেখানে মানুষ তো দূরের কথা, প্রাণীদেরও বাঁচার জন্য সংগ্রাম করতে হবে।
তিনি বলেন, কয়েকজন ডেপুটি জেলার ও জেলার অন্যায়ভাবে তাকে ছাদের ওপরে একটি কক্ষে রেখেছিল। আজ আমি এই অনুষ্ঠান থেকে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার জেলজীবনে তার ওপরে যে অত্যাচার হয়েছে, যে নির্যাতন হয়েছে, কারা এর পেছনে দায়ী তাদের সবার বিচার হওয়া উচিত বলে আমি মনে করি।
তিনি স্মরণ করেন, কারাগারে খালেদা জিয়ার সঙ্গে আমাদের ১৫ দিন পর দেখা করার সুযোগ ছিল। দেখেছি, তিনি কী রকম মানবেতর জীবন যাপন করেছেন। বাইরে থেকে যতটা সম্ভব সহযোগিতা করার চেষ্টা করেছি, তবুও ব্যর্থ হয়েছি।তিনি জানান, পর্যায়ক্রমে খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্যহানি ঘটছে। বুঝতে পেরেছি তাঁকে তখন বোধ হয় খাদ্যদ্রব্যের সঙ্গে বিষাক্ত কিছু মিশিয়ে দেওয়া হতো।
মির্জা আব্বাস খালেদার দীর্ঘ জীবন, সুস্বাস্থ্য ও মঙ্গল কামনা করেন।
তিনি বলেন, খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক যাত্রা বিশ্বে নেতৃত্বের এক দৃষ্টান্ত হিসেবে প্রতিষ্ঠিত। তিনি গৃহিণী থেকে জনগণের পাশে দাঁড়ানো নেতা হয়ে ওঠেন, দল ও দেশকে সংগ্রামের মধ্য দিয়ে নেতৃত্ব দেন।
পড়ুন: ঐক্য ধরে রেখে গণতন্ত্রকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দেওয়ার আহ্বান খালেদা জিয়ার
খালেদার শক্তি ও নিষ্ঠার প্রশংসা করে এই বিএনপি নেতা বলেন, আমরা যারা কয়েকজন তাদের সাথে কাজ করেছি তারা নানা চাপের মধ্যে দেশনেত্রীর দৃঢ় মনোবল দেখেছি। গণতন্ত্রের প্রশ্নের তার আপোষহীন নেতৃত্ব এবং নেতা-কর্মীদের প্রতি তার যে ভালোবাসা ও স্নেহ, তা তুলনাহীন।
২০০৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি দুর্নীতি দমন কমিশনের মামলায় দন্ডিত হয়ে কারাগারে যান খালেদা জিয়া। এ সময় তাকে স্যাঁতসেঁতে পরিবেশে অস্বাস্থ্যকর সেলে রাখা হয়েছিল। বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা তাকে বিদেশে নিয়ে উন্নত চিকিৎসার সুপারিশ করলেও বার বার পরিবারের পক্ষ থেকে করা আবেদন তৎকালীন শেখ হাসিনার সরকার নাকচ করে দেয়।
দেশে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ হলে, ছয় মাসের জন্য সাজা স্থগিত করে ২০২০ সালের ২৫ মার্চ বেগম খালেদা জিয়াকে শর্তসাপেক্ষে মুক্তি দেয় সরকার। এ সময় তাকে গুলশানের ভাড়া বাসা ‘ফিরোজা’তে গৃহবন্দি রাখা হয়।
ঢাকায় কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে মূল অনুষ্ঠানের পাশাপাশি রাজধানীতে বিভিন্ন মসজিদে ও এতিমখানা-মাদ্রাসায় বিএনপি চেয়ারপার্সনের জন্মদিন উপলক্ষ্যে এই মিলাদ ও দোয়া মাহফিল হচ্ছে।
ঢাকা ছাড়াও সারাদেশে মহানগর, জেলা ও উপজেলা পর্যায়েও দলের চেয়ারপার্সনের আরোগ্য কামনায় খালেদার সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘ জীবন কামনায় এবং ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধ, ১৯৯০ সালের গণতান্ত্রিক আন্দোলন ও ২০২৪ সালের গণআন্দোলনে শহীদদের শান্তির জন্য মিলাদ ও দোয়া মাহফিল আয়োজিত হয়েছে।
অনুষ্ঠানে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, নজরুল ইসলাম খানও বক্তব্য রাখেন।
১৩৫ দিন আগে
চিকিৎসার জন্য লন্ডনে গেলেন খন্দকার মোশাররফ
চিকিৎসার জন্য লন্ডন গেলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন।
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে শুক্রবার (১৫ আগস্ট) সকাল ৭টার দিকে হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ঢাকা ছাড়েন তিনি। তার সঙ্গে আছেন স্ত্রী বিলকিস আখতার হোসেন ও ছোট ছেলে ব্যারিস্টার খন্দকার মারুফ হোসেন।
বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান জানিয়েছেন, বাংলাদেশের চিকিৎসকদের পরামর্শে মোশাররফ লন্ডনে চিকিৎসা নেবেন। পরিবারের পক্ষ থেকে তিনি দেশবাসীসহ বিএনপির নেতাকর্মীদের কাছে তার দ্রুত সুস্থতার জন্য দোয়া চেয়েছেন।
এর আগে, মঙ্গলবার রাতে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বাসভবন ফিরোজায় তার সঙ্গে দেখা করেন মোশাররফ।
‘ফ্যাসিবাদবিরোধী’ আন্দোলনের সময়ে ২০২৩ সালের ১৭ জুন রাজধানীতে বিএনপির এক পদযাত্রায় অসুস্থ হয়ে পড়লে খন্দকার মোশাররফকে এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে আট দিন চিকিৎসা নেন তিনি। পরে চিকিৎসকদের পরামর্শে ২৭ জুন তাকে সিঙ্গাপুরের ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি হাসপাতালে নেওয়া হলে তার মস্তিষ্কে টিউমার ধরা পড়ে। সেখানে দুই মাস ১০ দিন চিকিৎসার পর ৫ সেপ্টেম্বর তিনি ঢাকায় ফেরেন।
কিন্তু আবার অসুস্থ হয়ে পড়লে ৫ ডিসেম্বর তাকে ফের এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অবস্থার উন্নতি না হওয়ায় চিকিৎসকেরা পরবর্তীতে তাকে আবারও সিঙ্গাপুরে গিয়ে চিকিৎসা ও অস্ত্রোপচার করার পরামর্শ দেন।
২০২৪ সালের ২৭ জানুয়ারি সিঙ্গাপুর ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি হাসপাতালে খন্দকার মোশাররফের মস্তিস্কে টিউমারের সফল অস্ত্রোপচার হয়। চিকিৎসা শেষে তিনি ২১ ফেব্রুয়ারি দেশে ফিরেছিলেন।
১৩৬ দিন আগে
আগামী সপ্তাহেই নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা: ইসি সচিব
আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের রোডম্যাপ আগামী সপ্তাহেই ঘোষণা করা হবে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশন সচিব মো. আখতার আহমেদ।
বৃহস্পতিবার (১৪ আগস্ট) রাজধানীর নির্বাচন ভবনে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে সচিব এ তথ্য জানান। তিনি বলেন, ‘আগামী সপ্তাহেই নির্বাচনী রোডম্যাপ প্রকাশ করতে পারবো বলে আশা করছি।’
সচিব জানান, নির্বাচনী রোডম্যাপে সুশীল সমাজ ও সাংবাদিকদের সঙ্গে সংলাপের সময়সূচি, বিদ্যমান নির্বাচন সংক্রান্ত আইন সংশোধন ও সংস্কারের সময়রেখাসহ আরও বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় অন্তর্ভুক্ত থাকবে।
এর আগে প্রধান নির্বাচন কমিশনার এএমএম নাসির উদ্দিন জানিয়েছিলেন, ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহে পরবর্তী জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে পারে। এ লক্ষ্যে সারাদেশে নির্বাচনী প্রস্তুতি জোরদার করেছে কমিশন।
নবম সংসদ নির্বাচনের আগে ২০০৭-২০০৮ সাল থেকে কাজের অগ্রগতি তুলে ধরে রোডম্যাপ প্রকাশের রেওয়াজ চলে এসেছে। সর্বশেষ দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের দেড় বছর আগে ২০২২ সালের সেপ্টেম্বরে রোডম্যাপ দিয়েছিল তৎকালীন ইসি। বর্তমান ইসিও এ ধরাবাহিকতা বজায় রাখছে।
পড়ুন: ঋণখেলাপীদের জাতীয় নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার অনুমতি দেওয়া হবে না: অর্থ উপদেষ্টা
ভোটার তালিকা, সীমানা নির্ধারণ, দল নিবন্ধন, নির্বাচনী আইনের সংস্কার, সরঞ্জাম কেনাকাটা, দল ও অংশীজনের সঙ্গে সংলাপ, প্রশিক্ষণ, মুদ্রণ, আইন শৃঙ্খলা সভা, নির্বাচনী কর্মকর্তাদের নিয়ে সভাসহ তফসিলের আগে-পরে প্রস্তুতির ফর্দ থাকবে এ রোডম্যাপে।
বর্তমান ইসি ২০২৪ সালের নভেম্বরে যোগ দেওয়ার পর ২০২৫ সালের ডিসেম্বরকে ধরে একটা প্রাথমিক কর্মপরিকল্পনা সাজিয়েছিল। এবার ফেব্রুয়ারিতে ভোটের সম্ভাব্য সময়ীমানা নির্ধারণ হওয়ার পর নতুন সময় ধরে কর্মপরিকল্পনাটির পরিমার্জন চলছে।
কর্মপরিকল্পনা চূড়ান্ত করতে ১৮ অগাস্টে এ নিয়ে বৈঠক করার কথা রয়েছে। ইসির অনুমোদনের পর তা পুস্তিকা আকারে প্রকাশ হতে পারে।
১৩৬ দিন আগে
রাজবাড়ীর পাংশা উপজেলা আ.লীগের সভাপতিসহ গ্রেপ্তার ৭
রাজবাড়ীর পাংশা উপজেলার নিষিদ্ধঘোষিত সংগঠন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান খন্দকার সাইফুল ইসলাম বুড়োসহ আরও ছয় নেতাকে গ্রেপ্তার করেছে রাজবাড়ী সদর থানা পুলিশ।
বুধবার (১৩ আগস্ট) রাত সোয়া ৮টার দিকে রাজবাড়ী উপজেলা শহরের বড়পুল এলাকা থেকে বুড়োকে গ্রেপ্তার করা হয়।
রাজবাড়ীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম এন্ড অপারেশনস) শরীফ আল রাজীব এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
সাইফুল ইসলাম বুড়ো পাংশা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এবং উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান। গত বছর ৫ আগস্টের পর থেকে সাইফুল ইসলাম বুড়ো আত্মগোপনে ছিলেন।
শরীফ আল রাজীব জানান, চলতি বছর ফেব্রুয়ারি মাসে পাংশা মডেল থানায় বিশেষ ক্ষমতা আইনে পুলিশ বাদী হয়ে একটি মামলা করে। সাইফুল ইসলাম ওই মামলার এজাহারভুক্ত আসামি ছিলেন। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তাকে বুধবার রাত সোয়া ৮টার দিকে রাজবাড়ী সদর থানা পুলিশ শহরের বড়পুল এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।
আরও পড়ুন: আ.লীগ নেতাকর্মীদের প্রশিক্ষণ: মেজর সাদেকের স্ত্রী গ্রেপ্তার
জানা গেছে, সাইফুল ইসলাম পাংশা উপজেলার মাছপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) একাধিকবার নির্বাচিত প্রভাবশালী চেয়ারম্যান ছিলেন। তিনি রাজবাড়ী-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও রেলমন্ত্রী এবং প্রভাবশালী আওয়ামী লীগ নেতা জিল্লুল হাকিমের আস্থাভাজন হিসেবে পরিচিত।
শরীফ আল রাজীব বলেন, নিরাপত্তার স্বার্থে বর্তমানে সাইফুল ইসলামকে রাজবাড়ী সদর থানা হেফাজতে রাখা হয়েছে। আইনগত প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে তাকে বৃহস্পতিবার (১৪ আগস্ট) রাজবাড়ী আদালতে পাঠানো হবে।
তিনি আরও বলেন, রাজবাড়ী জেলা পুলিশের পাশাপাশি সব থানার পুলিশ নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করছে। তারই অংশ হিসেবে গত ২৪ ঘণ্টায় জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে আওয়ামী লীগ ও সহযোগী অঙ্গসংগঠনের সাত নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
গ্রেপ্তার হওয়া অন্যরা হলেন— গোয়ালন্দ উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি আব্দুল বাতেন (৩৮), গোয়ালন্দ উপজেলা যুবলীগের সহসভাপতি আসমাউল রেজা সজিব (৩৫), বালিয়াকান্দি উপজেলা আওয়ামী লীগের বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক আব্দুল মান্নান খান (৫০), দৌলতদিয়া ইউনিয়ন শ্রমিক লীগের সদস্য সচিব নুরুল ইসলাম মোল্লা (৫৭), দৌলতদিয়া ইউনিয়ন যুবলীগের সহসভাপতি মাজেদ মণ্ডল (৫০), দৌলতদিয়া ইউনিয়ন কৃষকলীগের সদস্য সচিব মমিনুল ইসলাম (৩৫)।
তাদের বিরুদ্ধেও বিভিন্ন থানায় মামলা রয়েছে। ওইসব মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে তাদের আদালতে সোপর্দ করার কথা জানান এই পুলিশ কর্মকর্তা।
১৩৭ দিন আগে
ঋণখেলাপীদের জাতীয় নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার অনুমতি দেওয়া হবে না: অর্থ উপদেষ্টা
আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঋণখেলাপীদের প্রার্থী হওয়ার অনুমতি দেওয়া হবে না বলে জানিয়েছেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ।
বুধবার (১৩ আগস্ট) জাতীয় পেনশন কর্তৃপক্ষের আয়োজনে অর্থ মন্ত্রণালয়ে ‘ইউপেনশন’ অ্যাপ উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, ‘যদি রাজনৈতিক নেতা টাকা দিয়ে মনোনয়ন বা ভোট প্রচারণা করেন, তখন অর্থ মন্ত্রণালয় কিছুই করতে পারবে না।’
তবে ফেব্রুয়ারিতে সুস্থ নির্বাচন নিশ্চিত করতে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি উন্নয়নে মন্ত্রণালয় সব প্রয়োজনীয় সহযোগিতা দেবে বলে জানিয়েছেন তিনি।
বর্তমান আইনের আওতায় ঋণখেলাপীরা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে পারবে না। ১৯৭২ সালের জনপ্রতিনিধিত্ব আদেশের ধারা ১২ অনুযায়ী, ঋণখেলাপী কেউ সংসদ সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হতে অযোগ্য।
পড়ুন: হালনাগাদ ভোটার তালিকা: মোট ভোটার ১২ কোটি ৬১ লাখ ৭০ হাজার ৯০০
সালেহউদ্দিন বলেন, ‘যদি কেউ ঋণখেলাপী (ডিফল্টার) হয়, তারা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে পারবে না। তবে নির্বাচনের আগে এই ধারা প্রায়শই কার্যকর করা হয় না।’
তিনি আরও বলেন, ‘নির্বাচন কমিশনকে ঋণখেলাপীদের শনাক্ত করতে হবে।’ উদাহরণ হিসেবে তিনি উল্লেখ করেন, ঋণখেলাপী হলেও সাবেক আওয়ামী লীগ নেতা মহিউদ্দিন খান আলমগীর পাঁচ বছর সংসদ সদস্য ছিলেন।
কালো অর্থ ব্যবহারের বিষয়ে প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘এ বিষয়ে এখনও আমাদের কাছে কিছু আসেনি। নির্বাচন কমিশন বিষয়টি বিবেচনা করবে। কালো অর্থের দুটি দিক আছে—উৎস এবং প্রক্রিয়া। উৎসের ক্ষেত্র এখন পূর্বের তুলনায় অনেকটা বন্ধ, এবং কিছু চেক অ্যান্ড ব্যালান্স রয়েছে।’
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারীর মঙ্গলবারের মন্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় অর্থ উপদেষ্টা বলেন, ‘তাদের রাজনৈতিক মন্তব্য করার স্বাধীনতা রয়েছে। আমার ছাত্রজীবনে আমিও বামপন্থী রাজনীতি করেছি এবং নানা মন্তব্য করেছি—হল বন্ধ, বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ইত্যাদি। তবে সেগুলো কখনও বন্ধ হয়নি।’
১৩৭ দিন আগে