রাজনীতি
এনসিপির প্রতি অন্তর্বর্তী সরকার পক্ষপাতদুষ্ট আচরণ করছে: নুর
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) প্রতি অন্তর্বর্তী সরকার পক্ষপাতদুষ্ট আচরণ করছে বলে অভিযোগ করেছেন গণ অধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর।
সোমবার (৪ আগষ্ট) বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদের জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় (জাবি) ইউনিটের উদ্যোগে আয়োজিত এক প্রবন্ধ লিখনী প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের জহির রায়হান মিলনায়তনে একটি পুরষ্কার বিতরনী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদের জাবি শাখার সভাপতি ইকবাল হোসেনের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক নাজিরুল ইসলামের সঞ্চালনায় বক্তারা বলেন, আগামী নির্বাচনের আগেই প্রয়োজনীয় সংস্কার শেষে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত করতে হবে এবং একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন আয়োজন করতে হবে।
এ সময় নুরুল হক নূর বলেন, ‘ফ্যাসিবাদী হাসিনার পতনের পর এনসিপি প্রতিশ্রুতি দিলেও তারা তা ভেঙেছেন। নিজেদের দল গঠনের পর তারা রাজনৈতিক সুবিধা আদায়ের চেষ্টা করেছেন এবং এখনও করছেন।’
তিনি ২০২৪ সালের আন্দোলনের সময় জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের অবদানের কথা শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করে বলেন, বিগত জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের ভূমিকা ভূয়সী প্রশংসার দাবি রাখে।
জুলাই ঐক্য নষ্টের জন্য এনসিপিকে দায়ী করেন নুর।
তিনি আরও বলেন, আমরা এমন একটি বাংলাদেশ কল্পনা করি যেখানে কোনও বৈষম্য থাকবে না। এ ছাড়াও দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে দ্রুত ছাত্র সংসদ নির্বাচন আয়োজনের দাবি জানান তিনি।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মাঝে আরও উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপউপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মাহফুজুর রহমান এবং উপউপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. সোহেল আহমেদ প্রমুখ।
১৪৬ দিন আগে
নেতৃত্ব দিতে হলে বিএনপিকে জনগণের আস্থা অর্জন করতে হবে: তারেক
বিএনপি নেতৃত্ব দিতে হলে আগে জনগণের আস্থা ও বিশ্বাস অর্জন করতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন দলটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
তিনি বলেন, জনগণের আস্থা ধরে রাখুন। মনে রাখবেন, জনগণ আপনাকে গ্রহণ করলে আপনি নেতা, আর তারা আপনাকে প্রত্যাখ্যান করলে আপনি নেতা নন।
রবিবার (৪ আগস্ট) রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে জাতীয়তাবাদী যুবদল আয়োজিত ‘ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলন ও আমার না বলা কিছু কথা’ শীর্ষক আলোচনা সভায় ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে এ কথা বলেন তিনি।
২০২৪ সালের জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তিকে কেন্দ্র করে এ আয়োজন করা হয়।
তারেক রহমান বলেন, আপনি যুবদল, ছাত্রদল, স্বেচ্ছাসেবক দল, মহিলা দল বা বিএনপিপন্থী কোনো আইনজীবী সংগঠনের সদস্য হন না কেন, আপনাদের দায়িত্ব হলো বিএনপির কর্মসূচি ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়া। কারণ জনগণের রায়ই চূড়ান্ত। জনগণের জন্যই তৈরি করা এই পরিকল্পনাগুলো বাস্তবায়নের জন্য জনগণের সহায়তা ও সহযোগিতা প্রয়োজন।
ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলনের সময় যুবদলের ভূমিকার প্রশংসা করে তিনি বলেন, যখন নির্যাতন চরমে ছিল, তখনও যুবদল রাজপথ ছাড়েনি। ২০২৪ সালের গণঅভ্যুত্থানে যুবদলের ৭৮ জন নেতাকর্মী শহীদ হয়েছেন। এটা সম্ভব হয়েছে জনগণ পাশে ছিল বলেই, তারা আপনাদের বিশ্বাস করেছিল। তাই সেই আস্থা ধরে রাখতে হবে।
ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নিয়ে তারেক রহমান বলেন, বিএনপি নির্বাচিত হলে কর্মসংস্থান, স্বাস্থ্যসেবা এবং পরিবেশ সংরক্ষণে বিশেষ উদ্যোগ নেওয়া হবে।
পড়ুন: জুলাই সনদে যেকোনো সময় সই করতে প্রস্তুত বিএনপি: সালাহউদ্দিন
তিনি বলেন, বেকার যুবক ও স্কুল পড়ুয়া শিক্ষার্থীদের জন্য আন্তর্জাতিক ভাষা শেখার কোর্স চালু করা হবে যাতে তারা বিদেশে কাজের সুযোগ পায়।
তিনি আরও জানান, প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করা হবে এবং এ খাতে কর্মীদের ৮০ শতাংশই নারীদের মধ্য থেকে নিয়োগ দেওয়া হবে।
ক্ষমতায় এলে, আগামী পাঁচ বছরে আমাদের প্রায় ৩০ থেকে ৩২ কোটি গাছ লাগানোর লক্ষ্য আছে—বলেন তারেক রহমান।
সভায় শেখ হাসিনা সরকারের সময়ে গণআন্দোলন ও ২০২৪ সালের গণঅভ্যুত্থান নিয়ে একটি প্রামাণ্যচিত্রও প্রদর্শন করা হয়।
সভায় বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস এবং যুবদল সভাপতি আব্দুল মোনায়েম মুন্না বক্তব্য দেন।
১৪৬ দিন আগে
জুলাই সনদে যেকোনো সময় সই করতে প্রস্তুত বিএনপি: সালাহউদ্দিন
বিএনপি জুলাই জাতীয় সনদে যেকোনো সময় সই করতে প্রস্তুত বলে জানিয়েছেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ। তিনি জোর দিয়ে বলেন, এই বিষয়ে যেকোনো বিভ্রান্তি ছড়ানো রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।
তিনি বলেন, ‘জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের প্রস্তুত জুলাই জাতীয় সনদের চূড়ান্ত খসড়া যদি আগামীকাল আমাদের কাছে পাঠানো হয়—তাহলে আমরা একই দিনে সই করব। আমরা যেকোনো সময় সই করতে প্রস্তুত—এ নিয়ে কোনো বিরোধ নেই।’
সোমবার (৪ আগস্ট) গুলশানের বাসভবনে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।
সালাউদ্দিন বলেন, রাজনৈতিক দলগুলো যদি সনদের বাস্তবায়ন প্রক্রিয়া নিয়ে আলোচনা করতে চায়—তাহলে বিএনপি এই ধরনের আলোচনায় অংশগ্রহণের জন্য উন্মুক্ত।
বিএনপির এই নেতা আরও বলেন, দলটি ইতোমধ্যেই তাদের অবস্থান স্পষ্ট করেছে। কিছু বিষয়ে ভিন্নমতের নোট যোগ করেছে এবং অন্য বিষয়ে ঐকমত্য হয়েছে। ‘যখনই আমরা সম্মত বিষয় এবং আমাদের ভিন্নমতের নোট উভয়ই প্রতিফলিত করে নথিটি পাব—তখনই আমরা তাতে সই করব। আমরা সেই প্রতিশ্রুতি দিয়েছি এবং এ নিয়ে বিভ্রান্তির কোনো অবকাশ থাকা উচিত নয়,’ বলেন তিনি।
তিনি বলেন, জুলাই সনদে দেওয়া প্রতিশ্রুতিগুলো কি কেবল দলিলে সই করার মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকবে—নাকি এর বাস্তবায়ন নিয়ে আরও আলোচনা হবে—তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
সালাহউদ্দিন উল্লেখ করেন, কিছু দল সন্দেহ প্রকাশ করে বলেছে যে, এই বিষয়টি স্পষ্ট না হওয়া পর্যন্ত তারা সনদে সই করবে না।
তিনি বলেন, বিএনপি সহযোগিতা করছে না বলে একটি বিভ্রান্তিকর বক্তব্য প্রচার করা হচ্ছে। তবে ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে দলটি কীভাবে কাজ করেছে—তা জনগণের কাছে স্পষ্ট।
পড়ুন: জামায়াতের সঙ্গে জোটের সুযোগ নেই, তবে এনসিপির জন্য আলোচনার দরজা খোলা: সালাহউদ্দিন
বিএনপির এই নেতা বলেন, তারা নিয়মিত প্রেস ব্রিফিংয়ের মাধ্যমে তাদের দলের অবস্থান এবং আলোচনার ফলাফল গণমাধ্যমের মাধ্যমে জানিয়েছেন।
সালাহউদ্দিন বলেন, ‘আমরা সর্বোচ্চ সহযোগিতার হাত বাড়িয়েছি এবং তা অব্যাহত রাখছি। এই সংস্কারগুলো আমাদের নিজস্ব প্রতিশ্রুতির অংশ। আমরা অনেক আগেই জাতির কাছে ৩১ দফা কর্মসূচি বাস্তবায়নের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলাম। তাই আমাদের উদ্দেশ্য বা আন্তরিকতা নিয়ে কারো প্রশ্ন তোলা উচিত নয়। আমরা বিশ্বাস করি, যে বিভ্রান্তি তৈরি করা হচ্ছে—তা সম্পূর্ণ ইচ্ছাকৃত এবং রাজনৈতিকভাবে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত নিরাপত্তাহীনতার অনুভূতি প্রতিফলিত করে।’
তিনি বলেন, বিএনপি চায় নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের সম্পৃক্ততার মাধ্যমে সবকিছু আইনসম্মত ও সাংবিধানিকভাবে করা হোক।
বিএনপি নেতা বলেন, ‘আমরা সকল আলোচনায় অংশ নিতে প্রস্তুত। বিএনপি জাতির সামনে ঘোষণা করেছে এবং স্পষ্ট করে দিয়েছে যে, জাতীয় ঐকমত্য প্রতিষ্ঠা এবং সংস্কারের মাধ্যমে একটি শক্তিশালী গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র গঠনের জন্য দলটি যেকোনো প্রক্রিয়াকে সমর্থন করবে এবং সকল ধরণের আলোচনায় যোগ দেবে।’
তিনি বলেন, জুলাই ২০২৫ সালের জাতীয় সনদ বাস্তবায়নের প্রতিটি পর্যায়ে পূর্ণ আইনি ও সাংবিধানিক সুরক্ষা নিশ্চিত করার জন্য জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের প্রস্তাবের সঙ্গে বিএনপি একমত।
২০২৪ সালের জুলাইয়ের ছাত্র আন্দোলন এবং বৈষম্যের বিরুদ্ধে গণতান্ত্রিক অভ্যুত্থানের কথা উল্লেখ করে সালাহউদ্দিন বলেন, এই ঐতিহাসিক ঘটনাগুলোকে সংবিধানে যথাযথভাবে স্বীকৃতি দিতে হবে। ‘আমরা এই প্রস্তাবের সঙ্গে সম্পূর্ণ একমত এবং ৩০ জুলাই রাতে আমাদের প্রতিক্রিয়া জমা দিয়েছি।’
সকলকে ঐক্যবদ্ধ থেকে ফ্যাসিবাদবিরোধী জাতীয় ঐক্যকে সমুন্নত রাখার এবং একটি শক্তিশালী গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ গড়ে তুলতে সেই ঐক্যকে শক্তিতে রূপান্তর করার আহ্বান জানান বিএনপির এই নেতা।
তিনি সাংবাদিকদের আরও জানান, দ্বিতীয় পর্যায়ে ঐকমত্য কমিশনে ১৯টি মূল সংস্কার বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে—যার মধ্যে ১২টিতে বিএনপি একমত হয়েছে এবং বাকি ৭টিতে ভিন্নমতের পত্র জমা দিয়েছে।
জুলাই ঘোষণা সম্পর্কে তিনি বলেন, বিএনপি অনেক আগেই এ বিষয়ে তাদের মতামত জানিয়েছে এবং আসন্ন ঘোষণা অনুষ্ঠানে এখনও আনুষ্ঠানিক আমন্ত্রণের অপেক্ষায় রয়েছে।
তিনি বলেন, জুলাই ঘোষণার উল্লেখযোগ্য ঐতিহাসিক ও রাজনৈতিক মূল্য রয়েছে। ‘বিএনপি ফেব্রুয়ারিতে ঘোষণায় প্রদত্ত প্রস্তাবগুলোতে সাড়া দিয়েছে।’
সালাহউদ্দিন বলেন, মানিক মিয়া অ্যাভিনিউতে জুলাই ঘোষণা অনুষ্ঠানের আয়োজন করছে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়। অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস এতে যোগ দেবেন। ‘কিন্তু বিএনপি এখনও অনুষ্ঠানে যোগদানের জন্য আমন্ত্রণ পায়নি।’
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বিএনপি এখনও প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের অপেক্ষায় রয়েছে। তিনি যথাযথ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে জাতি এবং নির্বাচন কমিশনকে তার পূর্বের প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী ফেব্রুয়ারিতে পরবর্তী নির্বাচন অনুষ্ঠানের বিষয়ে জানাবেন।
বিএনপির এই নেতা বলেন, তারা জানতে পেরেছেন যে জুলাইয়ের গণঅভ্যুত্থানের প্রথম বার্ষিকীতে জাতির উদ্দেশে ভাষণে প্রধান উপদেষ্টা নির্বাচনের সময়সূচি ঘোষণা করতে পারেন। ‘আমরা সেই অপেক্ষায় আছি।’
১৪৬ দিন আগে
গণঅভ্যুত্থান স্মরণে ৫ ও ৬ আগস্ট বিজয় র্যালি করবে বিএনপি
আওয়ামী লীগের ‘ফ্যাসিবাদ’ পতনের স্মারক হিসেবে আগামী ৫ ও ৬ আগস্ট দেশব্যাপী বিজয় র্যালি করবে বিএনপি।
সোমবার (৪ আগস্ট) দলটির পক্ষ থেকে গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এমন তথ্য জানানো হয়েছে।
এতে বলা হয়েছে, ৫ আগস্ট দেশের সব থানা ও উপজেলায় এবং ৬ আগস্ট সব জেলা ও মহানগরে র্যালি অনুষ্ঠিত হবে। তবে ঢাকায় কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে আগামী বুধবার (৬ আগস্ট) বেলা ২টায় নয়াপল্টনে দলটির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে থেকেও বিজয় র্যালি বের হবে।
আরও পড়ুন: ফ্যাসিবাদ-উগ্রবাদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে তরুণদের প্রতি তারেক রহমানের আহ্বান
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী ঢাকাবাসীসহ বিএনপি এবং এর অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের যথাসময়ে র্যালিতে যোগ দিতে আহ্বান জানিয়েছেন।
১৪৬ দিন আগে
এনসিপির নতুন বাংলাদেশের ইশতেহার প্রকাশ
২০২৪ সালের ছাত্র আন্দোলনের এক দফা দাবির এক বছর পূর্তিতে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে বহুল আলোচিত ‘নতুন বাংলাদেশের ইশতেহার’ আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করেছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)।
‘জুলাই আন্দোলনের’ শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে দলটি বিচার প্রতিষ্ঠা, কাঠামোগত সংস্কার এবং একটি নবতর রাজনৈতিক দর্শনের কথা তুলে ধরা হয়েছে। ঘোষণাপত্রটি পাঠ করেন আন্দোলনের সময়কার ছয় কেন্দ্রীয় সমন্বয়কের একজন ও বর্তমানে এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম।
এনসিপির ঘোষণায় বলা হয়েছে—নতুন সংবিধান তৈরি, গত বছরের জুলাই গণআন্দোলনের স্বীকৃতি, সেই সময় নিপীড়নের শিকারদের বিচার, বিচারব্যবস্থা ও রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান সংস্কার, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর জবাবদিহি এবং দুর্নীতিমুক্ত রাষ্ট্র গঠনের দাবি জানানো হয়েছে।
দলটির নেতারা বলেন, ‘জুলাইতে ছাত্র আন্দোলনের ডাকের ৪৮ ঘণ্টার মধ্যেই সরকার পতন হয়েছিল। এবার সেই জুলাই ঘোষণাপত্রকে সংবিধানে যুক্ত করতে হবে।’
তারা গত এক বছরে গুম, হত্যা ও নির্যাতনের ঘটনায় বিচার নিশ্চিত না করায় জনগণের কাছে প্রকাশ্যে দুঃখ প্রকাশ করেন।
দলের সদস্যসচিব আখতার হোসেন বলেন, ‘জুলাই ঘোষণাপত্র অবশ্যই সংবিধানে জায়গা পেতে হবে। জনগণই এখন নতুন বাংলাদেশের রক্ষক।’
তিনি বলেন, ‘বিচারব্যবস্থা যেন আর কোনো রাজনৈতিক দলের নিয়ন্ত্রণে না থাকে। সরকার যা করবে, তা জনগণের জানার অধিকার নিশ্চিত করে করতে হবে।’
দক্ষিণাঞ্চলের প্রধান সমন্বয়ক হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, ‘যদি আমাদের ভয় দেখানো হয়, আমরা রাজনৈতিকভাবে প্রতিরোধ করব। প্রয়োজনে জীবন দিয়ে হলেও আমাদের কর্মসূচি বাস্তবায়ন করব।’
এনসিপির ‘নতুন বাংলাদেশের ইশতেহার’ ঘোষণা
১৪৭ দিন আগে
ফ্যাসিবাদ-উগ্রবাদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে তরুণদের প্রতি তারেক রহমানের আহ্বান
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) এর ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ছাত্র-তরুণ সমাজকে ফ্যাসিবাদ, চরমপন্থা ও উগ্রবাদ প্রতিরোধে সতর্ক ও সক্রিয় ভূমিকা পালন করার আহ্বান জানিয়েছেন।
রবিবার (৩ আগস্ট) শাহবাগে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল আয়োজিত ছাত্র সমাবেশে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে তিনি বলেন, `বাংলাদেশের ভবিষ্যতে যেন কোনোভাবেই ফ্যাসিবাদ, জঙ্গিবাদ কিংবা উগ্রবাদ পুনরায় মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে না পারে—সেজন্য ছাত্র-তরুণ সমাজকে এখন থেকেই সচেতন থাকতে হবে।`
তারেক রহমান নতুন ভোটারদের ‘ধানের শীষে’ ভোট দিয়ে একটি আত্মনির্ভরশীল ও প্রগতিশীল বাংলাদেশ গঠনে তরুণ ও প্রবীণ প্রজন্মের ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
তিনি বলেন, `আমি দেশের ছাত্র, যুবক ও ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের উদ্দেশে বলতে চাই—আপনাদের প্রত্যেককে সজাগ থেকে ভবিষ্যতে যেন ফ্যাসিবাদ বা উগ্রবাদ মাথাচাড়া দিতে না পারে, সেজন্য সচেতন ভূমিকা পালন করতে হবে।`
জুলাই-আগস্টের গণঅভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে আয়োজিত এই সমাবেশে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে ছাত্রদলের বিপুলসংখ্যক নেতাকর্মী অংশগ্রহণ করেন।
সভায় তরুণদের সামনে বিএনপির বিভিন্ন পরিকল্পনা তুলে ধরে তারেক রহমান বলেন, `বিএনপি এমন একটি বাংলাদেশ গড়তে চায়, যেটা একজন মা কল্পনা করেন—যেখানে নতুন ও পুরাতন প্রজন্ম একত্রে এগিয়ে যাবে।`
পড়ুন: ফ্যাসিস্ট হাসিনাকে আর রাজনীতি করতে দেওয়া যাবে না: ফখরুল
তিনি বলেন, `বর্তমানে দেশের ১৩ কোটির বেশি ভোটারের মধ্যে গত ১৫ বছরে প্রায় ৪ কোটি নতুন ভোটার যুক্ত হয়েছেন। আপনারা ভোটার হলেও ফ্যাসিস্ট চক্র আপনাদের ভোটাধিকার কেড়ে নিয়েছিল।`
আগামী জাতীয় নির্বাচনকে নতুন ভোটারদের জন্য একটি বড় সুযোগ হিসেবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, `এই সুযোগ কাজে লাগিয়ে গত দেড় দশকে যারা ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত হয়েছেন, তাদের সবাইকে আহ্বান জানাই—আত্মনির্ভরশীল বাংলাদেশ গড়ার বিএনপির পরিকল্পনা বাস্তবায়নে আমাদের পাশে দাঁড়ান।`
নতুন ভোটারদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে তারেক রহমান বলেন, `আপনার প্রথম ভোট ধানের শীষের পক্ষে হোক।`
তিনি ছাত্রদলের নেতাকর্মীদেরও অনুরোধ করেন, যেন এই বার্তা দেশের প্রতিটি শিক্ষার্থী ও তরুণের কাছে পৌঁছে দেয়া হয়।
তারেক রহমান বলেন, `চলুন আজ প্রতিজ্ঞা করি—স্বাধীনতা ও গণতন্ত্রের জন্য যারা শহীদ হয়েছেন, তাদের স্বপ্নের বাংলাদেশ গড়ার যোগ্য নাগরিক হিসেবে নিজেকে গড়ে তুলব। আজকের অঙ্গীকার হোক—তরুণদের প্রথম ভোট হোক ধানের শীষে।`
১৪৭ দিন আগে
এনসিপির ‘নতুন বাংলাদেশের ইশতেহার’ ঘোষণা
জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) বহুল আলোচিত ‘নতুন বাংলাদেশের ইশতেহার’ আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করেছে। এ উপলক্ষে রবিবার (৩ আগস্ট) রাজধানীর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ঢাকাসহ বিভিন্ন জেলা থেকে দলীয় নেতাকর্মীরা সমবেত হন।
‘জুলাই আন্দোলনের’ শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে দলটি বিচার প্রতিষ্ঠা, কাঠামোগত সংস্কার এবং একটি নবতর রাজনৈতিক দর্শনের কথা তুলে ধরে।
হাজার হাজার নেতাকর্মী, সমর্থক ও বিশ্লেষকের পাশাপাশি শিক্ষার্থী এবং প্রথমবারের মতো ভোটার হতে যাওয়া বিপুলসংখ্যক তরুণ এতে অংশ নেন। এতে দেশের রাজনৈতিক পরিসরে তরুণ প্রজন্মের ক্রমবর্ধমান সম্পৃক্ততা প্রতিফলিত হয়।
দলীয় নেতারা বলেন, বিচার, মর্যাদা ও গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ সমুন্নত রাখতে একটি ঐক্যবদ্ধ জাতীয় উদ্যোগ প্রয়োজন।
পড়ুন: ফ্যাসিস্ট হাসিনাকে আর রাজনীতি করতে দেওয়া যাবে না: ফখরুল
তারা ‘নতুন বাংলাদেশের ইশতেহার’-কে জনগণকেন্দ্রিক একটি রোডম্যাপ হিসেবে উল্লেখ করেন, যা অন্তর্ভুক্তিমূলক ও জবাবদিহিমূলক শাসনের প্রতিশ্রুতি দেয়।
অনুষ্ঠানের প্রতীকী মঞ্চে লেখা ছিল— ‘বিচার। সংস্কার। ভবিষ্যৎ।’
আয়োজনে গত বছরের দুর্নীতি, বৈষম্য ও রাজনৈতিক সহিংসতার বিরুদ্ধে ছাত্র ও তরুণদের নেতৃত্বে গড়ে ওঠা ‘জুলাই আন্দোলনে’ নিহতদের জন্য ন্যায়বিচারের দাবি ছিল কেন্দ্রীয় বিষয়বস্তু।
‘নতুন বাংলাদেশ ঘোষণা’ শিরোনামে ৪৮ পৃষ্ঠার একটি নীতিপত্র ডিজিটাল ও মুদ্রিত—উভয় মাধ্যমেই প্রকাশ করা হয়েছে। এতে ছয়টি মূল স্তম্ভের ভিত্তিতে এনসিপির নীতিগত অঙ্গীকার ও দিকনির্দেশনা তুলে ধরা হয়েছে।
১৪৭ দিন আগে
ফ্যাসিস্ট হাসিনাকে আর রাজনীতি করতে দেওয়া যাবে না: ফখরুল
‘ফ্যাসিস্ট ও অপসারিত প্রধানমন্ত্রী’ শেখ হাসিনাকে বাংলাদেশের রাজনীতিতে জায়গা না দিতে সব শ্রেণিপেশার মানুষকে আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, ‘আজকের এই সমাবেশ থেকে আমাদের শপথ নিতে হবে—আর কখনও এই ফ্যাসিস্ট হাসিনাকে আমরা দেশের রাজনীতিতে জায়গা দিতে দেব না। আমরা আরও শপথ করব, কারও কাছে মাথানত করব না। নিজেদের শক্তিতে আমরা একটি আত্মনির্ভরশীল বাংলাদেশ গড়ব।’
রবিবার (৩ আগস্ট) জুলাই-আগস্ট মাসব্যাপী গণঅভ্যুত্থানের বার্ষিকী উপলক্ষে বিএনপির ছাত্রসংগঠন জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের শাহবাগের সমাবেশে তিনি এমন মন্তব্য করেন। ছাত্রসমাজ ও ফ্যাসিবাদবিরোধী শক্তিগুলোকে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানিয়ে ফখরুল বলেন, সরকার দেশে বিভাজন ও অস্থিরতা সৃষ্টির ষড়যন্ত্র করছে।
তিনি অভিযোগ করেন, ‘শেখ হাসিনা ও তার মিত্ররা, যারা এখন প্রতিবেশী ভারতে আশ্রয় নিয়েছেন, তারা বাংলাদেশকে হুমকি দিচ্ছেন। শুধু তাই নয়, তারা নানাভাবে দেশের ভেতরেও অশান্তি সৃষ্টি করতে চাইছেন।’
বিএনপি নেতা বলেন, ‘দেশের ভবিষ্যতের দায়িত্ব নিতে হলে শিক্ষার্থীদের জ্ঞান, বুদ্ধিমত্তা ও বৈজ্ঞানিক চিন্তা গড়ে তুলতে হবে। প্রজ্ঞা ছাড়া আমরা এগোতে পারব না। দেশের ভবিষ্যৎ গড়তে হলে শিক্ষা ও বিজ্ঞানের পথে হাঁটতে হবে।’
গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠায় বিএনপির প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করে তিনি বলেন, ‘আমরা একটি সত্যিকারের গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র গড়ার পথে রয়েছি।’
ফখরুল জানান, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান লন্ডনে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বৈঠকে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন—আগামী সাধারণ নির্বাচন ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠিত হবে।
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের জনগণ সেই নির্বাচনের জন্য অপেক্ষা করছে। তার আগেই তারা তারেক রহমানের প্রত্যাবর্তনের প্রতীক্ষায় আছে।’
পড়ুন: এনসিপি: ‘মেরুদণ্ডহীন’ ইসি, গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় না ফিরলে নির্বাচন বয়কট
ফখরুল বলেন, বিএনপির লক্ষ্য হলো শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার স্বপ্ন পূরণ করা। ‘তারেক রহমানের নেতৃত্বে আমরা একটি সুখী, সমৃদ্ধ ও গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ গড়ব।’
তিনি উল্লেখ করেন, ‘শত শত ছাত্র, সাধারণ মানুষ ও শ্রমিক ন্যায়ভিত্তিক, বাসযোগ্য ও সুশাসনসম্পন্ন একটি দেশ গড়ার আশায় জীবন দিয়েছেন।’
বিভিন্ন চ্যালেঞ্জের মধ্যেও ফখরুল বলেন, ‘বাংলাদেশকে নতুনভাবে গড়ার একটি সুযোগ তৈরি হয়েছে। এ সুযোগ কাজে লাগাতে বিএনপি ৩১টি প্রস্তাবনা তুলে ধরেছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘একটি নতুন সূর্য উদিত হয়েছে, যা বাংলাদেশের জন্য নতুন আশা ও শুরু এনেছে। আমাদের ছাত্র ভাইয়েরা বিশাল ত্যাগ স্বীকার করেছে—দেশজুড়ে গ্রেপ্তার, নির্যাতনের শিকার হয়েছে। আজকের এই সমাবেশ, টেকনাফ থেকে তেঁতুলিয়া পর্যন্ত আমাদের ঐক্য ও শক্তির বহিঃপ্রকাশ। আমরা এই মুহূর্ত উদযাপন করছি, একইসঙ্গে আমরা স্মরণ করছি সেই ভাইদের, যারা এক বছর আগে আমাদের ছেড়ে চলে গেছেন।’
১৪৭ দিন আগে
জামায়াত আমিরের শারীরিক অবস্থার খোঁজ নিলেন তারেক রহমান
জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমানের শারীরিক অবস্থার খোঁজখবর নিয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তিনি গুলশানের ইউনাইটেড হাসপাতালে বাইপাস সার্জারির পর বর্তমানে সেরে উঠছেন।
রবিবার (৩ আগস্ট) তারেক রহমানের পক্ষ থেকে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব শাহিদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি ও হাবিব-উন-নবী খান সোহেল জামায়াত আমিরের খোঁজখবর নিতে হাসপাতাল পরিদর্শনে যান।
বিএনপি নেতারা সেখানে উপস্থিত চিকিৎসক এবং জামায়াতের শীর্ষ নেতাদের সঙ্গেও কথা বলেন।
পড়ুন: এনসিপি: ‘মেরুদণ্ডহীন’ ইসি, গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় না ফিরলে নির্বাচন বয়কট
হাসপাতাল পরিদর্শনের পর এ্যানি সাংবাদিকদের বলেন, “আমরা আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের পক্ষ থেকে জামায়াত আমিরের শারীরিক অবস্থার খোঁজ নিতে এসেছি।”
সৌজন্য স্বরূপ তারেক রহমানের পক্ষ থেকে পাঠানো ফুলের তোড়া জামায়াতের সহকারী মহাসচিব এহসানুল মাহবুব জুবায়েরের হাতে তুলে দেওয়া হয় এবং আমিরের দ্রুত সুস্থতা কামনা করা হয়।
গত শনিবার ইউনাইটেড হাসপাতালে ড. শফিকুর রহমানের সফল করোনারি আর্টারি বাইপাস সার্জারি সম্পন্ন হয়।
১৪৭ দিন আগে
এনসিপি: ‘মেরুদণ্ডহীন’ ইসি, গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় না ফিরলে নির্বাচন বয়কট
বর্তমান নির্বাচন কমিশনকে ‘মেরুদণ্ডহীন’ আখ্যা দিয়ে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) মুখ্য সমন্বয়ক নাসিরউদ্দিন পাটোয়ারী বলেছেন, কমিশনের সামনে এখনও নিজেদের সংশোধনের সুযোগ রয়েছে। শেষ পর্যন্ত গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় না ফিরলে নির্বাচন বয়কট করবে এনসিপি।
রবিবার (৩ আগস্ট) দুপুরে রাজধানীর নির্বাচন ভবনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এএমএম নাসিরউদ্দিনের সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি বলেন, ‘আমরা যতই এই নির্বাচন কমিশনকে দেখতে পাচ্ছি, ততই বুঝতে পারছি এটি মেরুদণ্ডহীন প্রতিষ্ঠান।’
নাসিরউদ্দিন পাটোয়ারী বলেন, গত ১৫ বছরে মানুষ ভোট দিতে পারেনি। এখন তারা এমন পরিস্থিতি তৈরি করার চেষ্টা করছে, যাতে নির্দিষ্ট একটি দল ছাড়া কেউ নির্বাচনে এলে সমস্যা তৈরি হয়।
এনসিপি নেতা বলেন, ভবিষ্যতের বাংলাদেশে যদি গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় নির্দিষ্ট একটি দল ছাড়া কেউ ভোট দিতে আসে, তাহলে (নির্বাচন কমিশন বা কোনো দল) সেক্ষেত্রে সমস্যা তৈরি করবে। আর নির্বাচন কমিশন এখন ঠিক সেই দিকেই অগ্রসর হচ্ছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
পড়ুন: শাহবাগে ছাত্রদলের সমাবেশ চলছে
বর্তমান নির্বাচন কমিশন নিয়ে তার দলের এমন পর্যবেক্ষণের কারণ ব্যাখ্যা করে নাসিরউদ্দিন পাটোয়ারী বলেন, নির্বাচন কমিশন এখন এমন একটি পরিস্থিতি তৈরি করছে, যেখানে কেউ যদি গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে ভোটগ্রহণে অংশ নিতে চায়, তাহলে তারা (ইসি) সেই প্রক্রিয়ায় বাধা দিচ্ছে।
‘দ্বিতীয়ত, আমরা যতই এই নির্বাচন কমিশনকে দেখি, ততই বুঝতে পারি এটি একটি মেরুদণ্ডহীন নির্বাচন কমিশন। তৃতীয়ত, নির্বাচন কমিশন এমন একটি প্রতিষ্ঠান, যা বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক যাত্রাপথের দিশা দেখাবে—কিন্তু যতটুকু এখন পর্যবেক্ষণ করছি, আরও দিন দিন আমরা দেখতে পাচ্ছি এটার (নির্বাচন) অধিকাংশ অঙ্গ জুড়ে হলো সামরিক উর্দি পরা পোশাকে এবং বাকি যতটুক আছে সেটা আবার দলীয় পোশাকে আবৃত্ত।’
তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশনের সমস্যাগুলো জনগণের সামনে তুলে ধরছে তাদের দল এবং এই কমিশনের ‘মেরুদণ্ডহীনতা’ ধীরে ধীরে জাতির সামনে স্পষ্ট হয়ে উঠবে।
এক প্রশ্নের জবাবে এনসিপি নেতা বলেন, ‘আমরা তাদের (নির্বাচন কমিশন) সঙ্গে নিয়মিত বৈঠক করছি, কথা বলছি, তাদের ভুলগুলো দেখিয়ে দিচ্ছি এবং সংশোধনের সুযোগ দিচ্ছি।’
তিনি আরও বলেন, নির্বাচন কমিশন যদি সামরিক উর্দি পরে দলীয় উর্দি পরে তার মেরুদণ্ড বিকিয়ে দিতে চায় এবং ভোট না দিতে চায়, তাহলে এনসিপি শেষ পর্যন্ত নির্বাচন বয়কটের সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হতে পারে।
শেষে নাসিরউদ্দিন পাটোয়ারী বলেন, ‘আমরা তাদের এখনও সুযোগ দিচ্ছি, তাদের সে শুভোদয় হোক এবং গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় আসুক। ভোট নেওয়ার প্রক্রিয়া তারা শুরু করুক, যেন বাংলাদেশকে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় নিয়ে যাওয়ার জন্য তারা সচেষ্ট হয়।’
১৪৭ দিন আগে